Tag: বাংলা খবর

  • Death During Exercise: জিমে গেলেও বিপত্তি! শরীর চর্চা কখন বিপজ্জনক হতে পারে?

    Death During Exercise: জিমে গেলেও বিপত্তি! শরীর চর্চা কখন বিপজ্জনক হতে পারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর চর্চাও হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক। এমনকি প্রাণঘাতী! সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় আবার প্রশ্নের মুখে জিমের সময় কাটানো! গত কয়েক সপ্তাহে সেলিব্রেটি থেকে সাধারণ শরীর সচেতন মানুষের জিম করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া এবং মৃত্যুর ঘটনা পরপর প্রকাশ্যে এসেছে। আর তারপরেই জোরালো হচ্ছে প্রশ্ন। জিম নিয়ে নানান ধোঁয়াশাও তৈরি হয়েছে। শরীর চর্চার মাঝেই কি রয়েছে নানান ফাঁদ! এমন প্রশ্ন ও উঠছে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অযথা উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। বরং সচেতনতা জরুরি। সতর্কতা ও সচেতনতা হাতিয়ার হলেই বড় বিপদ এড়ানো‌ যেতে পারে।

    কখন জিম বিপজ্জনক হতে পারে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিমে শারীরিক কসরত হয়‌। অধিকাংশ সময় জিম নিয়মিত করলে, ক্যালোরি ক্ষয় হয়। এর পাশপাশি পেশি মজবুত করতেও সাহায্য করে‌। দীর্ঘ সময় ধরে জিম করলে তাই রক্ত সঞ্চালনে এবং স্নায়ুর ওপরে এর প্রভাব পড়ে‌। আর সেখানেই জটিলতা তৈরির আশঙ্কা থাকে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স ও শারীরিক পরিস্থিতি জিম করার আগে জানা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, জটিল হৃদরোগের সমস্যা থাকলে, হাড়ের ক্ষয় রোগ থাকলে কিংবা স্নায়ুর সমস্যা থাকলে দিনের কতখানি জিম করা যাবে সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, জিমের একাধিক জিনিস থাকে, নানান পেশি মজবুতবের জন্য, নানান রকমের কসরত করা হয়। কিন্তু হৃদরোগ কিংবা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে কোন ধরনের জিমের কৌশল রপ্ত করা যাবে, আর কোন কৌশল এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। তবেই বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে।‌ কারণ, চিকিৎসকদের মতে, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া জিমে গিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করলে অনেক সময়েই রক্তচাপ বেড়ে যায়। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ নানান বিপদ তৈরি করে। আবার হৃদপিণ্ডের উপরেও বাড়তি চাপ পড়ে। তাই তখন হৃদরোগের আশঙ্কা ও বেড়ে যায়‌।

    জিমের অভ্যাস তৈরি হওয়ার পাশপাশি অনেকেই ডায়েট করার অভ্যাস তৈরি করেন। আপাত দৃষ্টিতে ডায়েট শরীরের জন্য খুবই উপকারী।‌ স্থুলতা রুখতে এবং নানান রোগের দাপট এড়াতে নিয়মিত ডায়েট চার্ট মেনে খাদ্যাভ্যাস জরুরি। কিন্তু অনেক সময়েই ডায়েট অপরিকল্পিত হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনভিজ্ঞ অপরিকল্পিত ডায়েট এবং জিমের শারীরিক কসরত শরীরকে দূর্বল করে। পেশি এবং স্নায়ুর একাধিক রোগের কারণ হয়। তাই এদিকেও নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, জিম করার পাশপাশি ডায়েট করলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এই অভ্যাস করা প্রয়োজন।

    কীভাবে জিম করলে বিপদের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে?

    শরীর জিমের জন্য প্রস্তুত কিনা সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রথম শর্ত বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, জিমে নিয়মিত যাওয়া, কতক্ষণ নিয়মিত জিম করা উচিত এই নিয়ে আগাম সতর্কতা জরুরি। তাহলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। জিমের সব ধরনের কৌশল, সকলের জন্য প্রয়োজনীয় না ও হতে পারে। সে সম্পর্কে জিমের প্রশিক্ষকের মতামত নিয়েই কাজ করতে হবে। পাশপাশি খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ শারীরিক কসরতের সঙ্গে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার না খেলে শরীর প্রয়োজনীয় এনার্জি‌ পাবে না। তখন যে কোনও রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Supreme Court: সারমেয়দের কামড়ে বাড়ছে জলাতঙ্ক, ঘটছে মৃত্যু, সরাতে হবে দিল্লির সমস্ত পথকুকুর, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: সারমেয়দের কামড়ে বাড়ছে জলাতঙ্ক, ঘটছে মৃত্যু, সরাতে হবে দিল্লির সমস্ত পথকুকুর, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথকুকুর (Stray Dogs) সমস্যা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সোমবার শীর্ষ আদালত দিল্লি ও ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নের সব পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে, রাস্তায় থাকা সমস্ত কুকুরকে অবিলম্বে ধরে ফেলতে হবে। শুধু তাই নয়, এই কুকুরগুলিকে নির্বীজকরণ করে স্থায়ীভাবে খোঁয়াড়ে পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, পথকুকুরদের কামড়ে বাড়ছে জলাতঙ্ক এবং তার জেরে আমজনতার মৃত্যুও ঘটছে। দুটোই উদ্বেগজনক। কুকুর সরানোর ক্ষেত্রে পশুপ্রেমী কোনও পক্ষের আবেদন গ্রাহ্য হবে না বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

    বাধা দিলে কড়া ব্যবস্থা (Supreme Court)

    বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং আর. মাধবনের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই নির্দেশ যেন কোনওভাবেই লঙ্ঘন না হয় এবং যথাযথভাবে কার্যকর হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আদালত পশুপ্রেমীদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে— যদি কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন এই কাজের পথে বাধা দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    রাস্তাঘাট থেকে কুকুর সরানোর কাজে কোনও রকম আপস চলবে না

    বেঞ্চ (Supreme Court) আরও জানিয়েছে, দিল্লি এনসিটি-সহ এর সংলগ্ন অন্যান্য পুরসভাগুলিকে যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাঘাট থেকে সমস্ত পথকুকুর ধরতে হবে। এই কাজে প্রয়োজনে আলাদা বাহিনী গঠন করতে বলা হয়েছে। সব পাড়া, এলাকা ও রাস্তাকে পথকুকুর-মুক্ত (Stray Dogs) করাই হবে পুর কর্তৃপক্ষগুলির প্রাথমিক দায়িত্ব। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, “রাস্তাঘাট থেকে কুকুর সরানোর কাজে কোনও রকম আপস চলবে না।”

    পুরসভাগুলিকে ৮ সপ্তাহের সময়সীমা দিয়েছে শীর্ষ আদালত

    এই কাজে পুরসভাগুলিকে ৮ সপ্তাহের সময়সীমা দিয়েছে শীর্ষ আদালত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কতটা কাজ হয়েছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে (Supreme Court) জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার শুনানির সময় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, দিল্লিতে পথকুকুরদের স্থানান্তরের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করা হয়েছিল। তবে, কিছু পশুপ্রেমী আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসায় সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, “সমস্ত এলাকা থেকে পথ কুকুরদের তুলে নিয়ে গিয়ে দূরে কোথাও স্থানান্তর করুন। আপাতত নিয়ম ভুলে যান। যারা জলাতঙ্কে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের পশুপ্রেমীরা কি ফিরিয়ে আনতে পারবে? পথকুকুর মুক্ত করতে হবে আমাদের সব রাস্তা। পথকুকুরদের দত্তক নেওয়াও বন্ধ।”

  • Bangladesh News: ফের হিন্দু-হত্যা বাংলাদেশে! রংপুরে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করল মৌলবাদীরা

    Bangladesh News: ফের হিন্দু-হত্যা বাংলাদেশে! রংপুরে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করল মৌলবাদীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh News) বিপন্ন হিন্দু। মৌলবাদীদের হাতে গত ৯ অগাস্ট রাত দশটা নাগাদ খুন হল ৪০ বছর বয়সি রুপলাল দাস এবং ৩৫ বছর বয়সি প্রদীপ দাস। বাংলাদেশে এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনাটি ঘটে বুড়িরহাট গ্রামে। এটি রংপুর জেলায় তারাগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী রুপলাল দাস এবং প্রদীপ দাস ছিলেন আত্মীয়। রুপলাল দাসের ভাগ্নির স্বামী হলেন প্রদীপ দাস (Hindu)। দুজনকেই পিটিয়ে হত্যা করে মৌলবাদীরা।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    রুপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে ঠিক হওয়ায় সম্প্রতি তাঁর মেয়ের হবু বরের সঙ্গে দেখা করতে প্রদীপ দাস এবং রুপলাল দাস বাংলাদেশের ঘনিরামপুর গ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানে মৌলবাদীদের (Bangladesh News) একটা দল হামলা চালায় এবং তাদেরকে ভ্যান চোর বলে আক্রমণ করে। স্থানীয় আলমগীর হোসেন এবং মেহেদী হাসান নামের দুই ব্যক্তি রুপলাল দাস এবং প্রদীপ দাসের ভ্যানের ভিতর থেকে ছোট একটা প্লাস্টিকের বোতল খুঁজে পেয়েছিল এবং তারা দাবি করে যে ওই বোতলের মধ্যে এমন কিছু পদার্থ ছিল যা তাদেরকে অজ্ঞান করে দেয়। এই দাবি শোনার পর মৌলবাদীরা অভিযোগ করে যে প্রকৃত মালিককে অজ্ঞান করে দেওয়ার পর রুপলাল এবং প্রদীপ মিলে ভ্যানটি চুরি করেছে। এরপরে লাঠি, লোহার রড দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ওই দুজনকে। শনিবার রাতেই রুপলাল দাসের মৃত্যু হয়, পরে রবিবার সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা প্রদীপ দাসেরও মৃত্যু হয়।

    বিক্ষোভ হিন্দুদের (Bangladesh News)

    এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে থাকেন স্থানীয় হিন্দুরা (Hindu) এবং বাংলাদেশের রংপুর-দিনাজপুর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তারা। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে একাধিক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বিক্ষোভকারীদের মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে ওই বিক্ষোভ, এরপরে তা উঠে যায়। তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক এম এ ফারুক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই গণপিটুনির ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে (Bangladesh News) চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে, খুব শীঘ্রই মামলা দায়ের করা হবে।

  • Birbhum News: নয়ডায় ভুয়ো থানা খুলে শ্রীঘরে একদা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতা, নাম জড়িয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতেও

    Birbhum News: নয়ডায় ভুয়ো থানা খুলে শ্রীঘরে একদা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতা, নাম জড়িয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum News) বিভাস অধিকারী ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তাঁর নাম জড়িয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে। এবার উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় আস্ত একটা ভুয়ো থানা খোলার জন্য গ্রেফতার করা হল বীরভূমের এই প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে (Bivas Adhikari)। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও পাঁচজনকে। রয়েছে তাঁর ছেলেও। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে নয়ডায় একটা অফিস খুলে প্রতারণা চালাচ্ছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। একদা তৃণমূল নেতার এই অফিসের সামনে বোর্ড লাগানো ছিল ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’।

    ভুয়ো আধিকারিক সেজে লোকের কাছে টাকা তুলত (Birbhum News)

    শুধু তাই নয়, লোকজনকে তাঁরা আন্তর্জাতিক তদন্তকারী সংস্থার অফিসার হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং সে ক্ষেত্রে তৈরি করা হয়েছিল ভুয়ো পরিচয়পত্র। কী না হত না! পুলিশ অফিসার, আবার কখনও বা তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিক সেজে মানুষকে ভয় দেখানো হত, আর এরপরে টাকা তোলা হত। গোপন সূত্রে এই খবর পায় পুলিশ। তারপরেই তারা অভিযানে নামে। এরপরেই গ্রেফতার করা হল একদা তৃণমূল নেতা বিভাস অধিকারী এবং তাঁর ছেলে সহ ছয় অভিযুক্তকে।

    তৃণমূল ছেড়ে খুলেছিলেন সর্বভারতীয় আর্য মহাসভা নামের সংগঠন

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের (Birbhum News) নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি ছিলেন বিভাস অধিকারী (Bivas Adhikari)। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম উঠে এসেছিল তাঁরও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বিভাস অধিকারীকে। পরে অবশ্য তৃণমূল ছেড়ে সর্বভারতীয় আর্য মহাসভা নামে একটি নতুন দল গঠন করেন বিভাস অধিকারী। আসলে একদা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকা মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারের পর এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিভাসের নাম উঠে আসে। মানিক ভট্টাচার্যের ফ্ল্যাটে যখন তল্লাশি চালানো হয় (Birbhum News), তখনই ইডি তদন্তকারীদের হাতে আসে বিভাস অধিকারীর নাম। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল যখন গ্রেফতার হন, তখনই তৃণমূল ছেড়ে দেন বিভাস অধিকারী। নয়ডার একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই গ্রুপের সদস্যরা নিজেদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনুদান সংগ্রহ করার কাজ করত এবং সরকারি কর্মচারীর ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াত। দেখা গিয়েছে, জাতীয়-আন্তর্জাতিক কিছু জাল নথি এবং পুলিশের লোগোও তারা ব্যবহার করত প্রতারণার কাজে।

    কী বলছেন সেন্ট্রাল নয়ডার ডিসিপি

    সেন্ট্রাল নয়ডার ডিসিপি শক্তি মোহন অবস্থি বলেন, “এরা সকলেই গত ৪ জুন তাদের ভুয়ো অফিস খোলার জন্য একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল ৷ সেখানে একটি বোর্ড লাগিয়ে এক সপ্তাহ ধরে কাজও করছিল। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে দেখা যায়, তারা ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’-এর নামে নিজেদেরকে সমান্তরাল পুলিশ ব্যবস্থা হিসেবে তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করছিল।”ডিসিপি আরও বলেন, “অভিযুক্তদের ব্যবহৃত পুলিশের লোগোটি আসলটির সঙ্গে অনেকাংশেই মিলে যায় ৷ তাদের লোগোর কোনও কপিরাইট, ট্রেডমার্ক বা রেজিস্টেশন পাওয়া যায়নি ৷ মূলত মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এই লোগো ব্যবহার করেছে তারা।” উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, এদের কাছ থেকে ১৭টি স্ট্যাম্প, নয়টি মোবাইল ফোন, নয়টি পরিচয়পত্র, ছয়টি চেক বই, একটি প্যান কার্ড, একটি ভোটার আইডি কার্ড, ছয়টি এটিএম কার্ড, তিনটি ভিজিটিং কার্ড, মন্ত্রক থেকে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট, কম্পিউটার এবং চারটি আন্তর্জাতিক পুলিশ এবং অপরাধ তদন্ত ব্যুরোর বোর্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

  • Khudiram Bose: “হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী”, আত্মবলিদান দিবসে বীর সন্তান ক্ষুদিরাম বসুকে স্মরণ

    Khudiram Bose: “হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী”, আত্মবলিদান দিবসে বীর সন্তান ক্ষুদিরাম বসুকে স্মরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হাসি হাসি পরব ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী”, অখণ্ড ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বিপ্লবী আন্দোলনের সব থেকে উজ্জ্বল নক্ষত্র ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস (Khudiram Bose Death Anniversary) আজ। ১৯০৮ সালের ১১ অগাস্ট মাত্র ১৮ বছর বয়সে দেশের সর্বকনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে হাসিমুখে ফাঁসিতে চড়েছিলেন ভারতের এই বীর সন্তান। মুজফফরপুর ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসি হয় ক্ষুদিরাম বসুর (Khudiram Bose)।

    ফিরে দেখা ইতিহাস (Khudiram Bose Death Anniversary)

    ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর মেদিনীপুর শহরের কাছাকাছি (বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা) কেশপুর থানার অন্তর্গত মৌবনী (হাবিবপুর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ক্ষুদিরাম বসু। পাঁচ বছর বয়সে তিনি তাঁর মাকে হারান এবং এর এক বছর পর তাঁর বাবা মারা যান। এরপর খুব অল্প বয়সেই তিনি কলকাতার বারিন্দ্রকুমার ঘোষের মতো বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সে নিজেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রতী করেছিলেন ক্ষুদিরাম। স্থানীয়দের মধ্যে ব্রিটিশবিরোধী পুস্তিকা বিতরণের জন্য ইংরেজ শাসকরা তাঁকে আটক করে।

    ১৯০৮ সালের এপ্রিল মাসে ক্ষুদিরামের বয়স যখন ১৬ বছর, সে সময় প্রধান প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট ডগলাস কিংসফোর্ডকে হত্যার উদ্দেশ্যে ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি মুজফফরপুরে একটি গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, কিংসফোর্ড সেদিন ক্লাবে আসেননি। দুই ইংরেজ মহিলা মিসেস কেনেডি ও তাঁর কন্যা একই লাল গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। ফলে সেই বোমা হামলায় তাঁরা মারা গিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ ধরার আগেই প্রফুল্ল চাকি নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন।

    অন্যদিকে, এই ঘটনার পর নিজের প্রাণ বাঁচাতে ক্ষুদিরাম বসু (Khudiram Bose) ২৫ মাইল পথ পায়ে হেঁটে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন৷ কিন্তু, একটি জায়গায় জলের খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশের মুখোমুখি হন তিনি। তাঁকে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়৷ কিন্তু, সদ্য কৈশোর পেরনো ক্ষুদিরাম পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়ে যান৷ তাঁর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল বলে দাবি করে ব্রিটিশ পুলিশ৷ এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচারে ক্ষুদিরাম বসুকে ফাঁসির সাজা শোনায় করে ব্রিটিশ বিচার ব্যবস্থা৷

    মাত্র ১৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ (Khudiram Bose)

    বিখ্যাত অনুশীলন সমিতির সদস্য ছিলেন ক্ষুদিরাম। তাঁকে ফাঁসি দেওয়া (Khudiram Bose Death Anniversary) হয় মুজফফপুর সংশোধনাগারে। বর্তমানে সেই কারাগারের নাম বদলে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর নামেই নামকরণ করা হয়েছে। এই কারাগারেই মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফাঁসির মঞ্চে হাসতে হাসতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন ভারতের এই বীর সন্তান। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একজন যিনি দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর শরীরের মৃত্যু হলেও আজীবন তিনি অমর হয়ে থেকে গেলেন প্রতিটি ভারতবাসীর মনের মণিকোঠায়।

  • Rajnath Singh: ‘মানতে পারছে না ভারতের উত্থান, নিজেকে সকলের বস্ ভাবেন’, নাম না করে ট্রাম্পকে কটাক্ষ রাজনাথের

    Rajnath Singh: ‘মানতে পারছে না ভারতের উত্থান, নিজেকে সকলের বস্ ভাবেন’, নাম না করে ট্রাম্পকে কটাক্ষ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে মন্তব্য করেছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই প্রেক্ষাপটে, নাম না করে ট্রাম্পকে কটাক্ষ করলেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি জানিয়েছেন, “কেউ কেউ নিজেকে সকলের বস ভাবেন এবং তাঁরা ভারতের উত্থান মেনে নিতে পারেন না।”একইসঙ্গে রাজনাথ সিং অভিযোগ করেন, “ভারতীয় পণ্য বিদেশে যাতে বিক্রি না হয়, সেজন্য একাংশ মানুষ  চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”

    কী বললেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)?

    রবিবার রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, “কেউ কেউ আছেন, যাঁরা ভারতের দ্রুত উন্নতি দেখে খুশি হতে পারছেন না। তাঁরা এটি পছন্দ করছেন না। (তাঁরা ভাবেন), সকলের ‘বস্‌’ তো আমি, তা হলে ভারত কী ভাবে এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে? অনেকেই চেষ্টা করছেন যাতে, ভারতীয়দের হাতে তৈরি জিনিস সেই সব দেশের তৈরি জিনিসপত্রের চেয়ে বেশি দামি হয়ে যায়। ওই জিনিসগুলির দাম বেড়ে গেলে, সেগুলি আর বিশ্ববাসী কিনতে চাইবেন না। এই চেষ্টাই চলছে। কিন্তু আমি পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, কেউই ভারতকে বিশ্বের একটি বড় শক্তি হয়ে ওঠা থেকে আটকাতে পারবে না।” রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) আরও বলেন, “আপনারা জেনে খুশি হবেন, প্রতিরক্ষা খাতে এখন আমরা ২৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রতিরক্ষা সামগ্রী রপ্তানি করছি। এটা ভারতের শক্তি, এটা ভারতের নতুন প্রতিরক্ষা খাত। এবং এর রফতানি ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

    অর্থনীতিতে এগোচ্ছে দেশ, মন্তব্য মোদির

    একই দিনে বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে ভারতের অর্থনীতির দ্রুত উত্থান নিয়ে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, “আমরা দ্রুত তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হিসাবে পরিচিতি পাওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই গতি এসেছে আমাদের কাছে সংস্কার, কর্মক্ষমতা এবং পরিবর্তনের ভাবনা থেকে। আমাদের সুস্পষ্ট লক্ষ্য এবং সৎ প্রচেষ্টা থেকে এই গতি এসেছে।”

    দেশের স্বার্থের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়েই ট্রাম্প সম্প্রতি এই মন্তব্য করেন। ট্রাম্প দাবি করেন, ভারতের দেওয়া টাকাই ইউক্রেন যুদ্ধ চালানোর কাজে ব্যবহার করছে রাশিয়া। তিনি ভারত এবং রাশিয়া—দুই দেশের অর্থনীতিকেই ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেন। এই মন্তব্যের পরেই নয়াদিল্লি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে, দেশের স্বার্থের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। এক বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক জানায়, ট্রাম্প (Donald Trump) যে দাবি করেছেন তা “অন্যায্য ও অযৌক্তিক”। বিদেশ মন্ত্রক আরও জানায়, রাশিয়া থেকে আমেরিকাও তাদের পারমাণবিক শিল্পের জন্য ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড, প্যালাডিয়াম এবং অন্যান্য রাসায়নিক কিনে থাকে।

  • Delhi: রাষ্ট্রপতি ভবনের অদূরে দু’জন পথচারীকে ধাক্কা মারল এসইউভি, মৃত ১

    Delhi: রাষ্ট্রপতি ভবনের অদূরে দু’জন পথচারীকে ধাক্কা মারল এসইউভি, মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকালে দিল্লির চাণক্যপুরী এলাকায় ঘটে গেল একটি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে, একটি দ্রুতগামী এসইউভি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দু’জন পথচারীকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন দু’জন (Delhi)। ১০ অগাস্ট রবিবার সকালে হওয়া এই দুর্ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা জুড়ে। রিপোর্ট বলছে যে, ওই মৃতদেহটি অনেকক্ষণ ধরেই সেখানে পড়েছিল, যতক্ষণ না তা সরানো হয়। এর পাশাপাশি, ওই গাড়িটি থেকে খালি মদের বোতলও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। দুর্ঘটনার পরেই ওই গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। জানা যাচ্ছে, গাড়িচালকের বয়স ২৬ বছর। ইতিমধ্যে চালক সহ গাড়ি আটক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আটক হওয়া চালকের নাম আশিস। এক্ষেত্রে বলা দরকার, ১১ মূর্তি রোড, দিল্লির চাণক্যপুরীর এই এলাকা যথেষ্ট অভিজাত এবং হাই-প্রোফাইল এলাকা বলেই পরিচিত।

    গাড়িটি উত্তরপ্রদেশের বলে জানিয়েছে পুলিশ (Chanakyapuri)

    বিকট শব্দ শুনে আশপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় দিল্লির এইমস ট্রমা সেন্টারে। চিকিৎসকরা একজনকে মৃত ঘোষণা করেন, অপরজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাড়িটি উত্তরপ্রদেশের। চালককে আটক করা হয়েছে এবং গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কি না। ঘটনাস্থলে ক্রাইম ও ফরেনসিক টিম এসে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Chanakyapuri)।

    গত বছরের তুলনায় দিল্লিতে কমেছে দুর্ঘটনা (Delhi)

    এদিকে দিল্লি পুলিশের (Delhi) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ে রাজধানীতে ঘটেছে ২,২৩৫টিরও বেশি সড়ক দুর্ঘটনা। আহত হয়েছেন মোট ২,১৮৭ জন। এর মধ্যে ৫৫৬টি দুর্ঘটনা ছিল অতিশয় ভয়াবহ, যেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫৭ জন। শুধু মার্চ মাসেই ঘটেছে ১৩৭টি ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত্যু হয়েছে ১৩৯ জনের। তবে পুলিশ দাবি করেছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে দুর্ঘটনার সংখ্যা কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালের একই সময়কালে দুর্ঘটনার পরিমাণ ছিল ১৩.৪ শতাংশ বেশি।

  • Operation Akhal: ‘অপারেশন অখল’-এ শহিদ দুই জওয়ান, আহত আরও দুই, খতম ১ জঙ্গি

    Operation Akhal: ‘অপারেশন অখল’-এ শহিদ দুই জওয়ান, আহত আরও দুই, খতম ১ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) কুলগামে জঙ্গি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে রাতভর গুলির লড়াই চলছে (Operation Akhal)। গত ৯ দিন ধরে চলতে থাকা ‘অপারেশন অখল’-এ এদিন শহিদ হয়েছেন দুই জওয়ান এবং আহত হয়েছেন আরও দুইজন। এক জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। এই অপারেশনে এখন পর্যন্ত দশ জওয়ান আহত হয়েছেন।অখল জঙ্গলে ঘাঁটি করেছে জঙ্গিরা, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে সেনা। ওই ঘন জঙ্গলে ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে কয়েকটি গুহা। সেনাবাহিনীর অনুমান, ওই গুহার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। কোথায় কোথায় তারা রয়েছে, তার খোঁজে ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী।

    শহিদ দুই জওয়ানের নাম (Operation Akhal)

    শহিদ দুই জওয়ানের মধ্যে একজন হলেন ল্যান্সনায়েক প্রীতপল সিং এবং অন্যজন সিপাই হরমিন্দর সিং। গুলিতে আহত হওয়ার পর তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শেষরক্ষা করা যায়নি। আহত দুই জওয়ান এখনও চিকিৎসাধীন। প্রসঙ্গত, এই অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট পাঁচ জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়েছে। অভিযানটি শুরু হয় ১ অগাস্ট। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে অবস্থিত একটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছোট গ্রামের নাম অখল, সেই নাম অনুসারেই অপারেশনের নামকরণ হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী, এরপর থেকেই শুরু হয় গুলির লড়াই।

    খতম হয়েছে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত তিন জঙ্গি (Operation Akhal)

    এদিকে শ্রীনগরে ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত তিন জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা। এই প্রসঙ্গে লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে জঙ্গিরা পালাতে পারেনি এবং উদ্ধার হয়েছে সেই আগ্নেয়াস্ত্র, যা পহেলগাঁওয়ে পর্যটক হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছিল। এই ঘটনার ঠিক পাঁচদিন পরেই ফের জঙ্গি দমনে সক্রিয় হয় ভারতীয় সেনা। সেনার তল্লাশি অভিযানের খবর পেয়ে জঙ্গিরা গুলিবর্ষণ শুরু করে, যার জবাবে পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় সেনা। এখনও সেই লড়াই অব্যাহত রয়েছে (Operation Akhal)।

  • Pakistan: ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ আকাশ সীমা, বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের

    Pakistan: ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ আকাশ সীমা, বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) ভারতীয় বিমানগুলির জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করায়, বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে পাকিস্তানি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত দুই মাসে এই সিদ্ধান্তের কারণে পাকিস্তানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১,২৪০ কোটি টাকা। পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদপত্র ডন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই আর্থিক ক্ষতির কথা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সংসদে স্বীকার করেছেন। শুক্রবার পাকিস্তানের সংসদে তিনি এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দেন।

    পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনের প্রতিবেদন

    ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৩ এপ্রিল ভারত ‘সিন্ধু জল চুক্তি’ স্থগিত করে, আর তার পরদিন, ২৪ এপ্রিল, পাকিস্তান ভারতের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় (Indian Flights)। কিন্তু এই সিদ্ধান্তই পরে “বুমেরাং” হয়ে ফিরে এসেছে পাকিস্তানের জন্য। কারণ, এতে পাকিস্তান অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

    কী বলছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    পাকিস্তানি (Pakistan) বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৪ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়কালে ভারতীয় ১০০ থেকে ১৫০টি বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আকাশসীমা বন্ধ থাকায় একটিও যেতে পারেনি, যার ফলে এই বিপুল লোকসান হয়েছে। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মতে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও প্রতিরক্ষা অর্থনৈতিক লাভের চেয়েও অনেক বড় বিষয়।

    পাকিস্তান (Pakistan) সরকারের প্রকাশিত ডেটা

    তবে পাকিস্তান সরকারের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫ লাখ ৮ হাজার মার্কিন ডলার আয় করত। অথচ ২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, সেই আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার প্রতি দিনে। অর্থাৎ, কয়েক বছরে পাকিস্তানের বিমান চলাচল সংক্রান্ত রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত যে পাকিস্তানের জন্য এক বিপুল আর্থিক ধাক্কা হয়ে এসেছে, তা সহজেই অনুমেয়। সুতরাং, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে আকাশসীমা বন্ধ করাটা স্বার্থরক্ষার বার্তা দিলেও, আর্থিক দিক থেকে তা পাকিস্তানের জন্য একপ্রকার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলেই বিশ্লেষকদের মত।

  • Operaton Sindoor: “অপারেশন সিঁদুরে আমরা যেন দাবা খেলছিলাম”, বললেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী

    Operaton Sindoor: “অপারেশন সিঁদুরে আমরা যেন দাবা খেলছিলাম”, বললেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অপারেশন সিঁদুরে (Operaton Sindoor) আমরা যেন দাবা খেলছিলাম, কারণ আমরা জানতাম না শত্রুর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে,”—এমনটাই বললেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Upendra Dwivedi)। শনিবার তিনি উপস্থিত ছিলেন আইআইটি মাদ্রাজে, যেখানে তিনি সেনাবাহিনীর নতুন গবেষণা প্রকল্প ‘অগ্নি’-এর উদ্বোধন করেন। সেখানেই তিনি এই মন্তব্যগুলি করেন।

    কী বললেন সেনাপ্রধান (Operaton Sindoor)?

    তিনি আরও বলেন, “অপারেশন সিঁদুর (Operaton Sindoor) একটি ধূসর যুদ্ধ। অর্থাৎ, এটি কোনো প্রথাগত সামরিক অভিযান ছিল না। ঠিক দাবা খেলার মতো, কখনও কখনও আমরা শত্রুকে ‘চেকমেট’ দিচ্ছিলাম, আবার অনেক সময় আমাদেরও মারাত্মক ঝুঁকি নিতে হয়েছে। কিন্তু এটাই জীবন।”

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় স্তম্ভিত হয়েছিল দেশ

    অপারেশন (Operaton Sindoor) নিয়ে বলতে গিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “২২ এপ্রিল, পেহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছিল, তাতে গোটা দেশ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। ঠিক তার পরের দিন, ২৩ এপ্রিল, আমরা সবাই একসঙ্গে বসি। সেই সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং স্পষ্টভাবে বলেন, ‘এবার যথেষ্ট হয়েছে।’ তিন বাহিনীর প্রধানরাও বুঝে যান, এবার বড় কিছু হতে চলেছে। এরপর সরকার আমাদের সম্পূর্ণ ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেয়—নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা।” তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল এক গভীর রাজনৈতিক আত্মবিশ্বাস, স্পষ্ট দিশা ও স্বচ্ছতা—যা আমরা প্রথমবারের মতো অনুভব করি।”

    ২৯ এপ্রিল বৈঠক করি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে

    সেনাপ্রধান (Upendra Dwivedi)বলেন, “২৫ এপ্রিল আমরা নর্দান কমান্ডে পরিদর্শনে যাই। সেখানে আমরা পরিকল্পনা করি এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বুঝে নিই কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি আমাদের লক্ষ্য হবে। নয়টি জঙ্গি ঘাঁটির মধ্যে সাতটি আমরা ধ্বংস করতে পেরেছিলাম এবং অসংখ্য জঙ্গিকে খতম করতে পেরেছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “২৯ এপ্রিল আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করি। সেটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত। কীভাবে একটি ছোট্ট নাম—‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operaton Sindoor)—সারা দেশকে আবেগে ভাসিয়ে দিয়েছিল, তা সত্যিই অবিস্মরণীয়।”

LinkedIn
Share