Tag: বাংলা খবর

  • Arshad Nadeem: প্রতিশ্রুতি দিয়েও জমি দেয়নি পাক সরকার, ক্ষোভ প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী আরশাদ নাদিমের

    Arshad Nadeem: প্রতিশ্রুতি দিয়েও জমি দেয়নি পাক সরকার, ক্ষোভ প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী আরশাদ নাদিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিক্সে ইতিহাস গড়েও জমি পাননি পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম (Arshad Nadeem)। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করে দেশের জন্য সোনার পদক জেতেন পাকিস্তানের জ্যাভেলিন তারকা আরশাদ নাদিম। এই জয় ছিল ঐতিহাসিক—কারণ, অলিম্পিক্স ইতিহাসে সেই প্রথম কোনও পাকিস্তানি অ্যাথলিট ব্যক্তিগত বিভাগে সোনার পদক জিতেছিলেন। দেশে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার এবং একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আরশাদকে নানা পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয় (Pakistan)। কারও পক্ষ থেকে আর্থিক পুরস্কার, তো কারও পক্ষ থেকে জমির আশ্বাস—ঘোষণার বন্যা বইতে থাকে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, আজও সেই প্রতিশ্রুত জমির একটি টুকরোও হাতে পাননি তিনি।

    প্রতিশ্রুতি এখনও বাস্তব হয়নি, ক্ষোভের কথা জানালেন আরশাদ

    ‘জিও টিভি’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরশাদ নাদিম নিজেই জানিয়েছেন, “পাকিস্তান সরকার (Arshad Nadeem) আমাকে জমি দেওয়ার কথা বলেছিল, কিন্তু বাস্তবে কিছুই পাইনি। এটা ছিল একেবারেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। তবে অন্যান্য নগদ পুরস্কার আমি পেয়ে গিয়েছি।” সরকারের পক্ষ থেকে জমির প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলেও, আরশাদ জানিয়েছেন যে তিনি এখন পুরোপুরি নিজের অ্যাথলেটিক্স কেরিয়ারে মনোযোগ দিচ্ছেন। লক্ষ্য একটাই—নিজেকে আরও উন্নত করা।

    অলিম্পিক্সে আরশাদের বিস্ময়কর পারফরম্যান্স (Arshad Nadeem)

    ২৮ বছর বয়সি আরশাদ নাদিম (Arshad Nadeem) প্যারিস অলিম্পিক্সে ৯২.৯৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভেলিন ছুড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকেন এবং স্বর্ণপদক জেতেন। ঠিক তাঁর পরেই দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ভারতের জ্যাভেলিন সেনসেশন নীরজ চোপড়া, যিনি রুপোর পদক ঘরে তোলেন। বর্তমানে এই দুই তারকার মধ্যে দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে ক্রীড়াপ্রেমী বিশ্ব। ১৬ অগাস্ট, পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে সিলেসিয়া ডায়মন্ড লিগ। সেখানে আবার মুখোমুখি হবেন এই দুই শীর্ষ প্রতিযোগী। ১৯৯৭ সালে পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাব প্রদেশে জন্ম নেন আরশাদ। ছোটবেলায় খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ থেকেই ধীরে ধীরে তিনি পা রাখেন জ্যাভেলিনে। এই খেলা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। অলিম্পিক্স ছাড়াও কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতে নিজের কেরিয়ারে নতুন উচ্চতা ছুঁয়েছেন তিনি।

  • Calcutta High Court: ২১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মধ্য কলকাতায় যেন যানজট না-হয়! নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ২১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মধ্য কলকাতায় যেন যানজট না-হয়! নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস উপলক্ষে কলকাতায় মিছিলের দিন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। সকাল ৯টার মধ্যে মিছিল যেখানেই থাকবে, সেখানেই সেটিকে থামিয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শহরে যেন কোনও যানজট না হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)। এই সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করে অল ইন্ডিয়া লয়্যার্স ইউনিয়ন। এই মামলাতেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রাস্তাসহ মধ্য কলকাতা এবং আশপাশের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে যান চলাচল যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, তা কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে নিশ্চিত করতে হবে। এই নির্দেশ কেবল কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ এলাকাগুলির জন্য প্রযোজ্য। বেলা ১১টার পর মিছিল স্বাভাবিক নিয়মেই চলতে পারবে বলে আদালত জানিয়েছে (Calcutta High Court)।

    পুলিশ কমিশনারের পদক্ষেপ স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন

    বিচারপতি এদিন জানতে চান, সভায় কতজনের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজ্যের আইনজীবী জানান, প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের জমায়েত হতে পারে। বিচারপতি তখন বলেন, ‘‘আপনার এই বক্তব্য রেকর্ডে আনব?’’ উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘‘এটা নতুন কিছু নয়।’’ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কলকাতার পুলিশ (Kolkata Police) কমিশনার একজন সরকারি কর্মচারী। তিনি কী কী পদক্ষেপ করছেন, তা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। যদি পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়, তখন কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা-ও আগে থেকে পরিকল্পনা করা দরকার। তিনি আরও বলেন, আমহার্স্ট স্ট্রিট ও কলেজ স্ট্রিট বন্ধ হলে উত্তর কলকাতার (Calcutta High Court) স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থমকে যাবে।

    যানজটের অভিযোগ দীর্ঘদিনের

    আসলে, ২১ জুলাইয়ের তৃণমূল কর্মসূচির কারণে মধ্য কলকাতায় দীর্ঘ যানজটের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই প্রেক্ষিতে ধর্মতলার মতো জনবহুল এলাকায় একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে কর্মসূচি করার অনুমতি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে আবেদনকারীরা। বিচারপতি ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানিতে আদালত (Calcutta High Court) প্রশ্ন তোলে — একটানা কতদিন রাস্তা বন্ধ করে এই ধরনের কর্মসূচি মেনে নেওয়া সম্ভব? তিনি বলেন, “এই বছর কর্মসূচির স্থান পরিবর্তন করছি না, তবে কিছু শর্ত থাকছে।” তৃণমূলের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আগামী বছর শহিদ মিনার, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড বা অন্য কোথাও সভা করার কথা ভাবতে পারেন।”

  • BJP Murder: অভিজিৎ সরকার হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন ওসি সহ দুই পুলিশ কর্মীর জেল! ‘রক্ষকই ভক্ষক’, বলল আদালত

    BJP Murder: অভিজিৎ সরকার হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন ওসি সহ দুই পুলিশ কর্মীর জেল! ‘রক্ষকই ভক্ষক’, বলল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ভোট-পরবর্তী হিংসায় কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের হত্যা মামলায় (BJP Murder) কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সহকারী কমিশনার (তৎকালীন নারকেলডাঙা থানার ওসি) শুভজিৎ সেন এবং অভিযুক্ত সহযোগী সুজাতা দে-র জামিনের আবেদন শুক্রবার খারিজ করেছে আদালত। বিচারক তাঁদের ৩১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। একই দিনে মামলার আরও দুই অভিযুক্ত—তৎকালীন সাব-ইন্সপেক্টর রত্না সরকার ও হোমগার্ড দীপঙ্কর দেবনাথকেও জেল হেফাজতে পাঠানো হয় (Abhijit Sarkar Case)।

    রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়ে যায়, তখন সমাজ কোথায় দাঁড়াবে

    শুনানির সময় বিচারক মন্তব্য করেন, ‘‘যখন রক্ষকই ভক্ষক হয়ে যায়, তখন সমাজ কোথায় দাঁড়াবে?’’ পাশাপাশি, তদন্তকারী অফিসারকে না জানিয়ে কেন শুভজিৎ নিহত অভিজিতের (BJP Murder) মায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন অংশে হিংসার ঘটনা ঘটে। তার মধ্যেই কাঁকুড়গাছিতে অভিজিৎ সরকারের মৃত্যু ঘটে (BJP Murder)। পরিবার সূত্রে অভিযোগ, ফল ঘোষণার ঠিক পরেই গলায় দড়ি পেঁচিয়ে এবং বেধড়ক মারধর করে তাঁকে হত্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ তদন্তে থাকলেও পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই দায়িত্ব সিবিআই-এর হাতে যায়।

    চার্জশিটে নাম বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের (Abhijit Sarkar Case)

    এই মামলায় প্রথমে পুলিশ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সিবিআই প্রথম অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে, যেখানে অভিযুক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ২০ জনে। এর মধ্যে ১৫ জন আগে থেকেই পুলিশের চার্জশিটে ছিল। চলতি বছরের ২ জুলাই সিবিআই দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয়। সেই নথিতে অভিযুক্তদের (BJP Murder) তালিকায় উঠে এসেছে বেলেঘাটা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের নাম। এ ছাড়াও শুভজিৎ সেন, রত্না সরকারদের নামও সেখানে রয়েছে।

  • Bangladesh: ইউনূস জমানায় ভালো নেই বাংলাদেশ, গোপালগঞ্জ হিংসায় মৃত বেড়ে ৫

    Bangladesh: ইউনূস জমানায় ভালো নেই বাংলাদেশ, গোপালগঞ্জ হিংসায় মৃত বেড়ে ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে (Bangladesh) ইউনূস সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে আওয়ামি লীগ সমর্থকদের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়, সেখানে আরও একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বাংলাদেশের ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক মাকসুদ আলম জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার থানাপাড়া এলাকার রমজান মুন্সি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তাঁর বাবার নাম আকবর মুন্সি বলে জানিয়েছে ঢাকার পুলিশ। জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন রমজান এবং তার মরদেহ পরবর্তীকালে মর্গে পাঠানো হয়।

    রিকশাচালক রমজান হিংসার কবলে (Bangladesh)

    রমজানের ভাই হীরা মুন্সি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন গোপালগঞ্জ (Gopalganj Violence) সদর এলাকার সিনেমা হলের কাছে তার ভাই একজন যাত্রীকে রিকশা থেকে নামায়। এরপর ফেরার সময় হিংসার কবলে পড়ে যায়, সেখানেই সে গুলিবিদ্ধ হয়। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়, পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু কোথাও চিকিৎসায় তিনি সাড়া দেননি। পরবর্তীকালে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের মধ্যবর্তী রাতে তিনি মারা যান।

    বুধবারই ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোপালগঞ্জ (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, বুধবারই ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোপালগঞ্জ। সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশকে কেন্দ্র করে এই হিংসা ছড়ায়। তারা মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এর পরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা (Gopalganj Violence), তখনই সংঘর্ষ শুরু হয়।

    ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন (Bangladesh)

    পরবর্তীকালে সেনাবাহিনী এসে এনসিপি পার্টির নেতাদের সভা পরিচালনা করতে সাহায্য করেন। কিন্তু তারপরও ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ঐ রাতেই চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে যাদের মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল, তাঁদের নাম হল সোহেল মোল্লা, দীপ্ত সাহা, ইমন তালুকদার এবং রমজান কাজী। গোপালগঞ্জে হিংসার পরে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। স্থানীয় প্রশাসন প্রথমে সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছটা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত এবং পরে দুপুর ২টা পর্যন্ত কারফিউ কার্যকর করা হয়। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে এ কথা বলা হয়।

  • Assam CM: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের উস্কানি দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী, তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    Assam CM: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের উস্কানি দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী, তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়নে অভিযান চালায় হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার (Assam CM)। সেই অভিযানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন অনুপ্রবেশকারীরা সরকারি আধিকারিকদের উপর হামলা চালায়। এমনকি, এক পর্যায়ে কিছু অভিযুক্ত বাঁশ নিয়ে দৌড়ে পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীদের উপর আক্রমণও করে। এই পরিস্থিতির মধ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান এবং বলেন, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ইচ্ছাকৃতভাবে উস্কানি দিচ্ছেন অনুপ্রবেশকারীদের। তাঁর মন্তব্যের কারণেই গোলপাড়ায় হিংসা ছড়ায় এবং পুলিশের গুলিতে একজন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিহত হয়।

    খোলাখুলি ভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহ দিচ্ছেন রাহুল

    হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam CM) আরও বলেন, রাহুল গান্ধী অসমে এসে খোলাখুলি ভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহ দিচ্ছেন যাতে তারা জবরদখল করা জমি ছাড়তে না চায়। এই উস্কানিমূলক মন্তব্যই উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালে। তিনি জানান, ওই অঞ্চলে উত্তেজিত জনতা পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়, যা সম্পূর্ণভাবে রাহুলের বক্তব্য দ্বারা প্রভাবিত।

    রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে

    প্রসঙ্গত, অসম সফরের (Assam CM) সময় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই দুই নেতা গুয়াহাটিতে কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকের পর ছয়গাঁও শহরে (গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৪০ কিমি দূরে) এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন রাহুল গান্ধী। সেই সভায়ই তিনি অনুপ্রবেশকারীদের উদ্দেশে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Assam CM)। তিনি সামাজিক মাধ্যমে এবং বিভিন্ন বিবৃতিতে বারবার রাহুল গান্ধীকেই পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করেন (Rahul Gandhi)।প্রসঙ্গত, গোলপাড়ায় ১৪৪ একরের ওই বনভূমিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিল অনুপ্রবেশকারীরা। বুধবারের ঘটনায় বহু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, পুরুষ ও মহিলারা হাতে বাঁশ ও লাঠি নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের তাড়া করছে ও পাথর ছুঁড়ছে।

  • TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় ভয়ানক এক জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন। তিন মাস পার হয়ে গেলেও সেই হামলার রেশ এখনও রয়ে গেছে। ওই ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। এবার সেই সংগঠনটিকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত করল আমেরিকা। আমেরিকার এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং তিনি বলেছেন যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের নীতিই হল জিরো টলারেন্স এবং অপারেশন সিঁদুর।

    মার্কিন বিদেশ সচিবের বিবৃতি

    বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “আজ থেকে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)-কে ‘ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন’ (FTO) এবং ‘স্পেশালি ডিজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট’ (SDGT) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।” ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, পহেলগাঁও হামলাকে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হওয়া অন্যতম ভয়াবহ জঙ্গি হামলা বলে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামেও পরিচিত, পহেলগাঁওয়ের হামলার দায় শুরুতে স্বীকার করলেও, কয়েক দিনের মধ্যেই তারা সেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং ২২ এপ্রিল হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে।

    সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকাকে সমর্থন

    মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “TRF-এর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ কেবল জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিকেও বাস্তবে রূপ দিচ্ছে।” এছাড়াও, ভারতের সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক সফরের সময় সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় আমেরিকা। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়।

    কারা এই ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’?

    হাফিজ সঈদের নেতৃত্বাধীন জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার অধীনে কাজ করা একটি শাখা সংগঠন হল ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। ২০১৯ সাল থেকে সংগঠনটি সক্রিয়। জম্মু-কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিক, কাশ্মীরি পণ্ডিত ও সাধারণ মানুষের উপর একাধিক হামলার অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে জম্মুতে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানোর দায়ও TRF-এর উপর বর্তেছে। এমনকি পুলওয়ামা হামলার সঙ্গেও তাদের যোগ ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ২০২৩ সালেই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

  • South Syria violence: দক্ষিণ সিরিয়াতে ভয়ঙ্কর হিংসা, প্রায় ৬০০ জন নিহত, বলছে রিপোর্ট

    South Syria violence: দক্ষিণ সিরিয়াতে ভয়ঙ্কর হিংসা, প্রায় ৬০০ জন নিহত, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়ায় ভয়ঙ্কর হিংসা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ সিরিয়ায় সাম্প্রতিক হিংসায় ৫৯৪ জন নিহত হয়েছেন—এমন খবর সামনে আসতেই চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে (South Syria violence)। ব্রিটেনের সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে, এবং বিগত রবিবার থেকে সিরিয়ার সুয়েইদা প্রদেশে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তাতে ভয়ঙ্কর বর্বরতার ছবি সামনে এসেছে।

    ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের ৩০০ জন নিহত হয়েছেন

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই (South Syria violence) এই সংস্থা জানিয়েছে, সিরিয়ার ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের ৩০০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৪৬ জন ছিল যোদ্ধা এবং ১৫৪ জন অসামরিক নাগরিক। এদের মধ্যে ৮৩ জনকে সে দেশের সরকার মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে। বেদুইন এবং দ্রুজ সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধের কারণে এই লড়াই শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা।

    ইজরায়েলের বিমান হামলায় সিরিয়ার ১৫ জন নিহত হয়েছেন (South Syria)

    এর পাশাপাশি ইজরায়েলের বিমান হামলায় সিরিয়ার ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ইজরায়েল বলেছে যে দ্রুজদের রক্ষা করা তাদের কর্তব্য এবং এই কারণেই তাদের এই অভিযান। ব্রিটেনের ওই সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস আরও জানিয়েছে যে, তারা যে পরিসংখ্যান তুলে দিচ্ছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা সম্ভব নয়। তবে পাশাপাশি সূত্র মারফত যে খবরগুলি মিলছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা ৩০০। সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, তাদের কাছে খবর রয়েছে ১৫৯ জন অসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবারই সুয়েইদা প্রদেশ থেকে সিরিয়ার বাহিনীর প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে সেখানকার হিংসার সামগ্রিক চিত্র (South Syria)

    কী বলছেন দ্রুজ জনগোষ্ঠীর নেতা (South Syria violence)

    প্রসঙ্গত, এই প্রদেশ সিরিয়ায় দ্রুজ জনগোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠ (South Syria violence)। সেখানে ভয়ঙ্কর রকমের ক্ষয়ক্ষতি এবং লুটপাটের দৃশ্য দেখা গিয়েছে। এর পাশাপাশি রাস্তায় প্রচুর মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। দ্রুজ এবং বেদুইনদের মধ্যে এই সংঘর্ষের পরে সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সিরিয়ার ইসলামিক সরকার দখল নিচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। প্রসঙ্গতই, দ্রুজ জনগোষ্ঠী মনে করে যে তাদের ধর্ম হল শিয়া ইসলামের একটি শাখা, এবং নিজস্বভাবে স্বতন্ত্র পরিচয় ও বিশ্বাস বজায় রেখেই তারা চলে। একজন বিশিষ্ট দ্রুজ নেতা শেখ হিকমাত আল-হাজারি বলেন, “আমাদের প্রদেশকে দুষ্কৃতিমুক্ত না করা পর্যন্ত এ লড়াই চলবে।”

    ইজরায়েল এয়ার স্ট্রাইক করে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতরে

    অন্যদিকে, বুধবার ইজরায়েল এয়ার স্ট্রাইক করে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতর দামেস্কে। এই হামলার পরেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্রপতি। সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতি আহমেদ আল-সারাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে জানিয়েছেন যে, দেশকে অস্থির করার প্রচেষ্টা করছে ইসরায়েল।

  • Shravan Maas: শুরু হল শ্রাবণ, শিবভক্তদের পবিত্র মাস, পুজো-উপবাসের জন্য পাবেন চারটি সোমবার

    Shravan Maas: শুরু হল শ্রাবণ, শিবভক্তদের পবিত্র মাস, পুজো-উপবাসের জন্য পাবেন চারটি সোমবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু শাস্ত্রে শ্রাবণ মাসের (Shravan Maas) গুরুত্ব অপরিসীম। শ্রাবণকে বলা হয় দেবাদিদেব শিবের (Lord Shiva) মাস। মহাদেব পুজিত হন এই মাসে। ভগবান শিবের উপাসনা করার শ্রেষ্ঠ সময় কাল-প্রদোষ বলে মনে করা হয়। পুণ্যার্থীরা শ্রাবণের প্রতি সোমবার, শিবের জন্যে ব্রত পালন করেন। সাধারণত মাসভর চলে নানা ধর্মীয় রীতি পালন। শ্রাবণ মাস শুরু হল আজ শুক্রবার ১৮ জুলাই থেকে।

    মোট চারটি সোমবার (Shravan Maas)

    চলতি বছরের শ্রাবণে শিবভক্তরা মোট চারটে সোমবার পাবেন।

    প্রথম সোমবারের উপবাস: ২১ জুলাই।

    দ্বিতীয় সোমবারের উপবাস: ২৮ জুলাই।

    তৃতীয় সোমবারের উপবাস: ৪ অগাস্ট।

    শেষ সোমবারের উপবাস: ১১ অগাস্ট।

    শিব মন্দির ছাড়াও, বাড়িতে বাড়িতেও (Shravan Maas) পুজো হয় মহাদেবের। ‘হর হর মহাদেব’ উচ্চারণ করে দেশের ভিন্ন প্রান্তে ভোলেবাবার মাথায় জল ঢালতে ভক্তদের সমাগম হয়। শিবের পুজোয় গঙ্গাজল দিয়ে শিবকে অভিষেককে ‘রুদ্রাভিষেক’ বলে। একেই শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করা হয়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে জলাভিষেক করলে পুজোর সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।

    শ্রাবণ মাস শিবের অত্যন্ত প্রিয়

    মনে করা হয়, শ্রাবণ মাস (Shravan Maas) শিবের অত্যন্ত প্রিয় মাস। তাই তাঁকে সন্তুষ্ট করে ভক্তরা কোনও ত্রুটি রাখেন না। উপবাস করে শিবের মাথায় গঙ্গার জল বা দুধ ঢালেন শিবভক্তরা। বিশ্বাস করা হয়, এই মাসে ভক্তি মনে মহাদেবকে ডাকলে তিনি তুষ্ট হন ও মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, পবিত্র এই মাসে শিবের আরাধনায় সকল সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। শিবের কৃপা পেতে মেনে চলতে হবে বিশেষ নিয়ম। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন এই নিয়ম মেনে শিব পুজো করতে হবে। তাতে জীবনের সকল দুর্ভোগ কেটে যাবে, তেমনই সর্ব ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটবে।

    শ্রাবণ মাসে শিব পুজোর পদ্ধতি-

    শ্রাবণ মাসে বিশেষ নিয়ম মেনে শিবের আরাধনা করুন। প্রতিদিন, বিশেষ করে সোমবারে সকালে তাড়াতাড়ি উঠে স্বচ্ছ পোশাক পরে নিন। বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। শিবের আরতি করুন এবং ভোগ নিবেদন করুন। মনে রাখবেন যে শুধুমাত্র সাত্ত্বিক জিনিস ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করা হয়। ডান হাতে জল নিয়ে শ্রাবণ মাসের সোমবারের ব্রতর সংকল্প করুন। এর পর সমস্ত দেবতাদের ওপর গঙ্গাজল অর্পণ করুন। ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করে শিব শঙ্করের অভিষেক করুন।

    শ্রাবণের সোমবার ব্রতকথা অবশ্যই পাঠ করা উচিত

    ভোলানাথকে সাদা ফুল, সাদা চন্দন, ভাঙ, ধুতুরা, গরুর দুধ, পঞ্চামৃত, সুপুরি, বিল্ব পত্র (বেলপাতা) ও জল অর্পণ করুন। পুজো সামগ্রী অর্পণ করার সময় ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করতে ভুলবেন না। শ্রাবণ সোমবারের পুজোয় সোমবার ব্রতকথা অবশ্যই পাঠ করা উচিত। শেষে আরতি করতে ভুলবেন না। প্রসাদ হিসেবে শিবকে ঘি ও চিনির ভোগ অর্পণ করুন। তার পর সেই প্রসাদ বিতরণ করুন ও নিজেও তা গ্রহণ করুন।

    যে কোনও সোমবার পুজো করলে মহাদেব তুষ্ট হন

    শাস্ত্র মতে, বিল্বের মূলে স্বয়ং শিব বসবাস করে। এই নিয়ম মেনে পুজো করতে সকল জটিলতা থেকে মুক্তি মিলবে। শ্রাবণ মাসে এই নিয়ম মেনে পুজো করুন। সকল দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে। সারা বছরই অনেকে শিব পুজো করে থাকেন। সোমবার করে দেবাদিদেব মহাদেবের বিশেষ পুজো করা হয়। শাস্ত্র মতে, যে কোনও সোমবার পুজো করলে মহাদেব তুষ্ট হন।

    কী কী নিবেদন করলে মিলবে সুফল?

    বিশেষভাবে শিবলিঙ্গে রৌপ্য বা পিতলের পদ্ম দিয়ে দুধ নিবেদন করা উচিত। এ ছাড়া জল, বিল্ব পাতা , আকন্দ ফুল, ধুতুরা যা শিবের প্রিয় ফুল, চন্দন, মধু, ছাই নিবেদন করুন (Shravan Maas)। এছাড়া শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন— চিনি, জাফরান, গব্য ঘি।

  • WBSSC Recruitment: এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ, ৩৫ হাজার পদে এখনও পর্যন্ত আবেদন পার সাড়ে পাঁচ লাখ

    WBSSC Recruitment: এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ, ৩৫ হাজার পদে এখনও পর্যন্ত আবেদন পার সাড়ে পাঁচ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে ৩৫৭২৬টি সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করেছেন সাড়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী (WBSSC Recruitment)। এই তথ্য জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া চালু করেছে এসএসসি। মূল সময়সীমা ১৪ জুলাই থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ২১ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৩ জুলাই পর্যন্ত সাড়ে চার লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। তিন দিনের মধ্যে সংখ্যা আরও ১ লক্ষ বেড়ে গিয়েছে (WBSSC Recruitment Drive)।

    ৯ জুলাই হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করে মমতা সরকারকে

    এসএসসির কর্মকর্তাদের মতে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আবেদনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই কলকাতা হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করে রাজ্য সরকারকে এবং সাফ জানিয়ে দেয় যে চিহ্নিত অযোগ্যদের কোনওভাবেই নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। এই বাতিলের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। এক্ষেত্রে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে (WBSSC Recruitment) সম্পূর্ণভাবে বাতিল বলে ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত (WBSSC Recruitment Drive)।

    কী বলছেন চাকরি হারা শিক্ষিকা?

    নতুন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষার্থী (WBSSC Recruitment) নিবেদিতা গিন, যাঁর চাকরি গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে, তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি আবেদন করেছি, কিন্তু ফলাফল কী হবে তা আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না। শেষবার যখন আমি পরীক্ষা দিয়েছিলাম, তারপর অনেকগুলো বছর কেটে গিয়েছে। যেহেতু আবার আদালত আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে, তাই আমি আবেদন করেছি।”

    অযোগ্যদের জন্য বারবার সওয়াল মমতা সরকারের

    প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে আদালতের নির্দেশ অনুসারে এসএসসি নবম-দশম শ্রেণির জন্য ২৩,৩১২টি এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ১২,৫১৪টি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এরপরই অযোগ্যদের (WBSSC Recruitment Drive) পক্ষে বারবার সওয়াল করতে দেখা যায় মমতা সরকারকে (WBSSC Recruitment)। এখানে প্রশ্ন উঠতে থাকে—কেন চিহ্নিত অযোগ্যদের বারবার ঢাল বানাতে চাইছে সরকার? শেষমেষ, হাইকোর্টের নির্দেশে চিহ্নিত অযোগ্যদের আবেদন বাতিল করা হয়।

  • Assam Eviction Drive: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের হাতে আক্রান্ত পুলিশ, অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে সওয়াল রাহুল গান্ধীর

    Assam Eviction Drive: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের হাতে আক্রান্ত পুলিশ, অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে সওয়াল রাহুল গান্ধীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ জুলাই অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে এক অভিযান চালায় অসম সরকার। বুধবারের এই অভিযানের সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও মল্লিকার্জুন খাড়গে (Assam Eviction Drive)। এখানেই উঠছে প্রশ্ন—বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশে ফেরত পাঠানোর এমন অভিযানের বিরোধিতা কেন করছেন কংগ্রেস নেতারা?

    অভিযান চালানো হয় গোয়ালপাড়ার পাইকান রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায়

    প্রসঙ্গত, অসম সরকারের এই অভিযান চালানো হয় গোয়ালপাড়ার পাইকান রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায়। ওই বনাঞ্চলে দীর্ঘদিন (Assam Eviction Drive) ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। অভিযান চলাকালীন ব্যাপক অশান্তি ও সংঘর্ষ বাধে। সরকারি আধিকারিকদের উপর অনুপ্রবেশকারীরা পাথর ও বাঁশের লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। তাদের কাছে ধারালো অস্ত্রও ছিল (Assam Eviction Drive)।

    দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিল অনুপ্রবেশকারীরা

    পুলিশ প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয় (Assam Eviction Drive)। পরে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়, একজন গুরুতর জখম হন এবং কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক আহত হন। উল্লেখযোগ্য, ১৩ জুলাই থেকেই এই বনাঞ্চল দখলমুক্ত করার অভিযান চালাচ্ছে অসমের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকার। ১৪৪ একরের ওই বনভূমিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিল অনুপ্রবেশকারীরা। বুধবারের ঘটনায় বহু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, পুরুষ ও মহিলারা হাতে বাঁশ ও লাঠি নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের তাড়া করছে ও পাথর ছুঁড়ছে।

    ‘তোষণের রাজনীতি’র অংশ? এমন প্রশ্ন উঠছে

    এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “হঠাৎই অতর্কিতে তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করে। চারদিক থেকে পাথর ছুঁড়তে থাকে। আমাদের গুলি চালাতে হয়েছে আত্মরক্ষার (Assam Eviction Drive) জন্য, কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়।” এখন প্রশ্ন উঠছে, অবৈধ বাংলাদেশিদের দ্বারা সংঘটিত এই সহিংসতার পরেও কংগ্রেস কেন তাঁদের পক্ষ নিচ্ছে? এটি কি ‘তোষণের রাজনীতি’র অংশ?

LinkedIn
Share