Tag: বাংলা খবর

  • Pakistan Ranger: সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, রাজস্থানে আটক পাকিস্তানি সেনা

    Pakistan Ranger: সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ, রাজস্থানে আটক পাকিস্তানি সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে ভারতীয় জওয়ানদের হাতে আটক একজন পাকিস্তানি রেঞ্জার (Pakistan Ranger)। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার জন্যই ওই পাক রেঞ্জারকে আটক করেছে বিএসএফ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে পাক বাহনীর হাতে আটক রয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পূর্ণম। গত ২৩ এপ্রিল অসাবধানতাবশত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরতেই তাঁকে আটক করে পাক রেঞ্জাররা। এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলেও পূর্ণমকে এখনও ছাড়েনি পাক বাহিনী। এবার পূর্ণমের পাল্টা হিসেবেই বিএসএফ আটক করল এক পাক রেঞ্জারকে (Pakistan Ranger)।

    ফোর্ট আব্বাস এলাকা থেকে গ্রেফতার (Pakistan Ranger)

    জানা গিয়েছে, রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকা ফোর্ট আব্বাস থেকে ওই পাকিস্তান রেঞ্জার্সের জওয়ানকে ধরা হয়েছে। বিএসফের অভিযোগ, এ দিন ইচ্ছা করেই ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ওই পাক রেঞ্জার্স জওয়ান। ওই পাক জওয়ানের কোনও কুমতলব ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

    সীমান্তে উত্তেজনা

    সেনা বা সাধারণ নাগরিকরা অনেক সময়ই অসাবধানতায় সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেন। এই ঘটনাগুলি সাধারণত আলোচনা করেই মেটানো হয়। জড়িত ব্যক্তিদের সাধারণত আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু পহেলগাঁও হামলার পরে উত্তেজনা চলছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সীমান্তে (Pakistan Ranger)।

    গত সোমবারই পাঠানকোটে যান পূর্ণমের স্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কনস্টেবল পূর্ণমের স্ত্রী রজনী গত সোমবারই পশ্চিমবঙ্গের রিষরার তাঁর বাড়ি থেকে পাঠানকোটে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পূর্ণমের বিষয়ে খোঁজখবর করতেই গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। জানা গিয়েছে, বিএসএফ অফিসাররা তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, পূর্ণমের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য ভারতীয় সেনা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। সেনার তরফ থেকে এমন আশ্বাসের পরই, পূর্ণমের স্ত্রী অমৃতসর থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফ-ই (BSF) তাঁর ফিরোজপুর থেকে অমৃতসর যাওয়ার ব্যবস্থা করে।

  • Shirdi Sai Temple: পহেলগাঁওকাণ্ডের আবহে ইমেলে শিরডি সাই বাবা মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

    Shirdi Sai Temple: পহেলগাঁওকাণ্ডের আবহে ইমেলে শিরডি সাই বাবা মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার (Shirdi Sai Temple) একমাসও হয়নি। এই আবহে এবার শিরডি সাই বাবা মন্দিরে (Bomb Threat) হামলার হুমকি। বোমা মেরে মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে শুক্রবারই একটি ইমেল এসেছে বলে অভিযোগ। এরপরই মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবারই একটি অজ্ঞাত পরিচয় ইমেল আইডি থেকে হুমকি ইমেল আসে। সেখানেই মন্দির বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মন্দির কর্তৃপক্ষ ওই ইমেল পেতেই পুলিশকে খবর দেয়। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ইমেলে লেখা রয়েছে, প্রথমে পহেলগাঁও এরপরের টার্গেট শিরডি।

    আগত ভক্তদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে (Shirdi Sai Temple)

    বোমা হামলার পর থেকেই মন্দিরে আগত ভক্তদের (Shirdi Sai Temple) স্ক্রিনিং করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে সিসিটিভির ওপরেও নজরদারি রাখা হচ্ছে। যেকোনও সন্দেহভাজন গতিবিধির ওপরেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। বোমা হামলার (Bomb Threat) হুমকি চিঠি পাওয়ার পরে ইতিমধ্যেই পুলিশ খুবই সতর্ক হয়েছে। কে, কোথা থেকে হুমকি ইমেলটি পাঠিয়েছে, তার উৎস খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    ইমেলে আর কী লেখা ছিল, সেটা অবশ্য় জানায়নি পুলিশ

    তবে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া ওই ইমেলে আর কী লেখা ছিল, সেটা অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানায়নি পুলিশ। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, সাই বাবা মন্দিরের (Shirdi Sai Temple) নিরাপত্তা আধিকারিক হলেন বর্তমানে রোহিদাস মালি। তিনিই শিরডি থানায় বোমা হুমকির এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন। এক্ষেত্রে বলা দরকার, এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও শিরডি সাই বাবা মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছিল। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই  ভুয়ো হুমকি হিসেবেই তা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার আবহে এই হুমকি ইমেলকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে প্রশাসন। তাই মন্দিরের নিরাপত্তাও আঁটসাঁট করা হয়েছে।

  • Pakistani Airspace: উত্তেজনার আবহে পাক আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে নামকরা বিদেশি বিমানসংস্থাগুলি

    Pakistani Airspace: উত্তেজনার আবহে পাক আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে নামকরা বিদেশি বিমানসংস্থাগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ভারতের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এই আবহে পাকিস্তানের (Pakistani Airspace) ওপর দিয়ে চলছে না কোনও ভারতীয় বিমান। তবে বর্তমানে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে পশ্চিম দুনিয়ার দেশগুলির নামী বিমানসংস্থা পাকিস্তানের (Pakistani Airspace) আকাশ সীমাকে এড়িয়ে চলছে। যদিও তাদের জন্য সে দেশের আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞা নেই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার কারণে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে দেশটি। তার কারণ হল আকাশসীমা ব্যবহারকারী বিমান সংস্থাগুলির থেকে পাকিস্তান ওভারফ্লাইড ফি নেয়। কিন্তু তা বর্তমানে বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে।

    কোন কোন বিমান সংস্থা এড়িয়ে চলছে পাক আকাশসীমা?

    গত দুই দিন ধরে, লুফথানসা, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, সুইস, এয়ার ফ্রান্স, ইতালির আইটিএ এবং পোল্যান্ডের লট হলের মতো বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় ইউরোপীয় বিমান সংস্থা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কারণে পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে। বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন,পাকিস্তানের আকাশসীমা (Pakistani) যেভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে পশ্চিম দুনিয়ার দেশগুলি, তাতে কয়েকশো মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে পাকিস্তানের।

    ২০১৯ সালেও বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছিল পাকিস্তান (Pakistani Airspace)

    এক্ষেত্রে অনেকেই উদাহরণ দিচ্ছেন ২০১৯ সালের। সেসময় ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামাতে হামলার পরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক চালায় ভারতের বিমান বাহিনী। এরপরে পাকিস্তানের (Pakistani Airspace) ওপর দিয়ে বিমানসংস্থাগুলির উড়ানে রাশ টানা হয়। সেই সময়ে ১০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছিল দেশটির। পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার না করতে পারার কারণে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি হয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হওয়াতে যেভাবে পশ্চিম দুনিয়ার দেশগুলি পাকিস্তানকে এড়িয়ে চলছে, তাতে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা হয়।বেছে বেছে খুন করা হয় হিন্দু পর্যটকদের। এই ঘটনায় উঠে আসে পাকিস্তানি যোগ। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে বাড়তে থাকে উত্তেজনা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত।

  • Post Poll Violence: আজ ২ মে, ভোট পরবর্তী হিংসার ৪ বছর, নিহতদের শ্রদ্ধা জানাল বিজেপি

    Post Poll Violence: আজ ২ মে, ভোট পরবর্তী হিংসার ৪ বছর, নিহতদের শ্রদ্ধা জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২ মে। ২০২১ সালে এই দিনেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল (Post Poll Violence)। নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতে দেখা যায় রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দল হয় বিজেপি। এর পরেই শুরু হয় হিংসা। রাজ্যজুড়ে আক্রান্ত হতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। খুন অনেক অনেক বিজেপি কর্মী। চলতে থাকে বাড়ি লুট ও ভাঙচুর। নিজেদের জীবন বাঁচাতে অজস্র বিজেপি কর্মীকে আশ্রয় নিতে হয় ভিনরাজ্যে। এদিন ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহতদের উদ্দেশে সমাজমাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বেলেঘাটায় নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী।

    ১ লক্ষের বেশি কর্মী ঘর ছাড়া হয়েছিলেন (Post Poll Violence)

    বিজেপির দাবি, ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রায় ২৫ হাজার কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। ১ লক্ষের বেশি কর্মী ঘর ছাড়া হয়েছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মীরা ১২ হাজার অভিযোগ পুলিশে জানালেও তদন্ত করেনি পুলিশ। কোনও ক্ষতিপূরণ দেয়নি রাজ্য। এরপরেই এনিয়ে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। সিবিআই তদন্তের (Post Poll Violence) নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। খুন-ধর্ষণের মামলাগুলি যায় সিবিআইয়েরের কাছে। এরফলে গ্রেফতার করা হয় ৪০০ তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাকে।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহতদের তালিকা

    বিজেপির তরফ থেকে একটি তালিকা সামনে এসেছে। যার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘‘২০২১ সালের নির্বাচন, যাঁদেরকে কেড়ে নিল আমাদের থেকে।’’

    ওই তালিকায় অনুযায়ী—

    ২০২১ সালে ২ মে বেলেঘাটাতে খুন হন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার

    কোচবিহারে সিতাইতে ২০২১ সালে ৩০ মে খুন হন অনিল বর্মন

    ফলতাতে ২০১৬ সালের ১৬ মে হত্যা করা হয় বিজেপি কর্মী অরিন্দম মিদ্দে

    ইন্দাসের বিজেপি কর্মী অরূপ রুইদাসকে ২০২১ সালের ৪ মে হত্যা করা হয়

    সন্দেশখালির বিজেপি কর্মী আস্তিক দাসকে হত্যা করা হয় ১০ মে ২০২১

    কাটোয়ার কেতুগ্রামের বিজেপি কর্মী বলরাম মাঝিকে হত্যা করা হয় ৫ মে ২০২১

    রায়নার ভাদুদাসকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৫ মে

    ভগবানপুরের ভাস্কর বেরা কে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর

    চন্ডিপুরের চন্দন মাইতিকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর

    বিজেপির মহিলা কর্মীর চন্দনা হালদারকে সাতগাছিয়াতে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২ জুলাই

    নন্দীগ্রামের বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে হত্যা (Post Poll Violence) করা হয় ২০২১ সালের ১৩ মে

    মেদিনীপুর পুরের বিজেপি কর্মী দেবাশীষ শীলকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর

    উত্তর দিনাজপুর জেলার কোচবিহার রায়গঞ্জের বিজেপি কর্মী দেবেশ বর্মনকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২০ জুলাই

    চাপড়ার বিজেপি কর্মী ধর্ম মন্ডলকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ১৬ মে

    শীতলকুচির বিজেপি কর্মীর ধীরেন বর্মনকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৪ মে

    রায়নায় মহিলা বিজেপি কর্মী দুর্গাবালা বাঘকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৩ মে।

    বোলপুরের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালে ২ মে

    কোচবিহারের দিনহাটার বিজেপি কর্মী হারাধন রায়কে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৪ মে

    সোনারপুরের বিজেপি কর্মী হারান অধিকারীকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালে ২ মেয়ে

    ভাটপাড়ার বিজেপি কর্মী জয়প্রকাশ যাদবকে খুন করা হয় ২০২১ সালের ৬ জুন

    বারাসাতের মহিলা বিজেপি কর্মী জোৎস্না মল্লিককে খুন করা হয় ২০২১ সালের ১২ মে

    ঝাড়গ্রামের বিজেপি কর্মী কিশোর মান্ডিকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৫ মে

    কোতুলপুরের বিজেপি কর্মী কুশ ক্ষেত্রপালকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৬ মে

    মগরাহাটের বিজেপি কর্মী মানস সাহাকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর

    বীরভূমের দুবরাজপুরের বিজেপি কর্মী মিঠুন বাগকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ১২ জুন

    ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর ইটাহারে খুন হন বিজেপি কর্মী মিঠুন ঘোষ

    ২০২১ সালের ৬ অগাস্ট বারাসাতে খুন হন বিজেপি কর্মী মহম্মদ আলী

    নলহাটির বিজেপি কর্মী মনোজ জয়সওয়াল খুন হন ২০২১ সালের ৭ মে

    সোনারপুর উত্তরের বিজেপি কর্মী নির্মল মন্ডল খুন হন ২০২১ সালের ২০ মে

    রাজারহাটের বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাস খুন হন ২০২১ সালের ২৩ মে

    হরিশ্চন্দ্রপুরের বিজেপি কর্মী প্রতাপ মন্ডলকে খুন করা হয় ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর

    ডায়মন্ডহারবারের বিজেপি কর্মী রাজু সামন্তকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৯ মে

    আমডাঙার বিজেপি কর্মী রঞ্জিত দাসকে হত্যা করা হয় ১১ মে ২০২১

    কাকদ্বীপের বিজেপি কর্মী সমরেশ পালকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৫ জুলাই

    নৈহাটির বিজেপি কর্মী সন্তু মন্ডলকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৫ মে

    ভাতারের বিজেপি বিজেপি কর্মী শ্রম হাঁসদাকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২১ মে

    সিতাইয়ের বিজেপি কর্মী শ্রীধর দাসকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৩ জুন

    মগরাহাটের বিজেপি কর্মীর সৌরভ বরকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৩ মে

    জগদ্দল এর বিজেপি কর্মী শোভারানী মন্ডল মারা যান ২০২১ সালের ৩ মে

    চাকদহের বিজেপি কর্মী উত্তম ঘোষকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২ মে

  • Pakistani National: কোন কুমতলবে বাংলায় আসে পাক নাগরিক আজাদ? স্লিপার সেল হিসেবেই কি?

    Pakistani National: কোন কুমতলবে বাংলায় আসে পাক নাগরিক আজাদ? স্লিপার সেল হিসেবেই কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি, এনআইএ-র পরে এবার কেন্দ্রীয় ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর (IB) আতস কাচের তলায় পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে ধৃত পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ মল্লিক (Pakistani National)। ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, এই পাক নাগরিক সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে আজাদের ২টি ভোটার কার্ড রয়েছে। একটি রয়েছে নৈহাটি, অপরটি রয়েছে মধ্যমগ্রামের ঠিকানায়। প্রসঙ্গত, পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডের তদন্তে গত ১৫ এপ্রিল কলকাতা (West Bengal) থেকে জেলায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রাজ্যে একসঙ্গে ৮ জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডির অফিসাররা। বেকবাগান, বিরাটি, গেদেতে অভিযান চালানো হয়। সেদিনই উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি থেকে গ্রেফতার করা হয় আজাদ মল্লিককে। আজাদ কোনও কুমতলবেই এতদিন ধরে বাংলায় ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল কিনা , সে সন্দেহও দানা বাঁধছে।

    করাচির ঠিকানায় রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স (Pakistani National)

    আজাদের কাছে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স। আরও চাঞ্চল্য তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে। ধৃতের মোবাইল ঘেঁটে তাতে বহু পাকিস্তানি নাম পেয়েছে ইডি। সেখানেই পাকিস্তানের করাচির একটি ড্রাইভিং লাইসেন্সও পাওয়া গিয়েছে। সেখানে নাম রয়েছে আজাদ হুসেন। ১৯৯৭ সালের করাচির ঠিকানায় রয়েছে লাইসেন্স। এই সমস্ত প্রাপ্ত তথ্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল আজাদ পাকিস্তানের নাগরিক। এতে কোনও সন্দেহ রইল না।

    স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল পাক নাগরিক আজাদ?

    তদন্তকারীরা মনে করছেন (Pakistani National), নিজের নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য নিয়েই আজাদ মল্লিক ওরফে আজাদ হুসেন পশ্চিমবঙ্গে থাকছিল। আজাদের বিরুদ্ধে মূল যে অভিযোগ, তা হল অনুপ্রবেশকারীদের জাল নথি দিয়ে ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়া! তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, এর পিছনে অন্য উদ্দেশ্য নেই তো? তাহলে কি স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল পাক নাগরিক আজাদ মল্লিক? এটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। দীর্ঘদিন এভাবেই বাংলায় ঘাঁটি গেড়ে থাকত আজাদ। কোনও বিশেষ কুমতলব ছিল ওই পাকিস্তানি নাগরিকের। এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের।

    কী বলছেন ইডির আইনজীবী?

    প্রথমে তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (Pakistani National) হিসেবে সন্দেহ করা হলেও, পরে জানা যায় সে আদতে পাকিস্তানি। গত মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘তদন্তে জানা গিয়েছে, আজাদ মল্লিক বাংলাদেশি নয়, আসলে পাকিস্তানি নাগরিক। পরিচয় বদল করে এখানে ভিসার আবেদন করেছিল। এদেশে ঢুকে ২টি ভোটার কার্ড, ৪টি বার্থ সার্টিফিকেট ও একাধিক ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে ফেলেছিল সে। প্রায় ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে।

    একেক দেশে একেক নামে পরিচিত আজাদ মল্লিক

    একেক দেশে একেক নামে পরিচিত আজাদ মল্লিক।’’ ইডির তরফ থেকে তখন আরও জানানো হয়, আজাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। বর্তমানে তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই টাকা দেশবিরোধী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা! প্রসঙ্গত, ওইদিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার আদালতে ইডির আইনজীবী আরও বলেন, ‘‘এটা শুধু পাসপোর্ট জালিয়াতি নয়। জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন। এটা দেশের সুরক্ষার জন্য উদ্বেগজনক। শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়।’’ নতুন তথ‍্যের ভিত্তিতে ইডি ফের একটি মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। সেই মামলাতে আবার আজাদ মল্লিককে হেফাজতে (Pakistani National) নেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    ১২ বছর ধরে এরাজ্যে রয়েছে, প্রথমেই বানায় রেশন কার্ড

    প্রথমে বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে গ্রেফতার করা হলেও পরে ইডির আধিকারিকরা জানতে পারেন, সে আসলে পাকিস্তানের নাগরিক। তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করেছিল আজাদ মল্লিক। অন্তত ১২ বছর ধরে এরাজ্যে রয়েছে সে। তদন্তে উঠে এসেছে, বাংলায় ঢুকে প্রথমেই রেশন কার্ড বানায় সে। এরপরে তার ভিত্তিতে পায় ভোটার কার্ড। এর পাশাপাশি আধার কার্ডও বানিয়ে ফেলে আজাদ। সেখান থেকে তৈরি করে ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্সও।

    হাওয়ালা যোগে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে

    কিন্তু একজন পাকিস্তানের নাগরিক বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে এত সহজে এত নথি বানিয়ে ফেলল কীভাবে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তৃণমূল জমানায় প্রশাসনের চোখে ধূলো দিয়ে একজন পাক নাগরিক এভাবে থাকছিল বছরের পর বছর। অথচ কেউ জানতেই পারেনি। আজাদের বিরুদ্ধে একইসঙ্গে হাওয়ালা যোগে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে  ইডি। গত রবিবারই আজাদকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করেন তদন্তকারীরা। ইডির আইনজীবীরা জানান, পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে দেশের জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে রাম দরবারের নির্মাণ কাজ, বসল প্রথম সোনার দরজা

    Ram Mandir: অযোধ্যায় দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে রাম দরবারের নির্মাণ কাজ, বসল প্রথম সোনার দরজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় সম্পূর্ণ রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের দ্রুত অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রথম তলায় গড়ে উঠছে রাম দরবার (Ram Darbar)। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাম দরবারে সোনার দরজা স্থাপন করা হয়েছে। মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় মাইলফলক বলেই জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। রাম দরবারের নির্মাণের মাধ্যমেই নতুন অধ্যায়ের সূচনা  হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, রাম দরবারে ভগবান রাম, সীতা, লক্ষণ এবং হনুমানের মূর্তি স্থাপন করা হবে। রাম দরবারের কাজ এখন পুরোদমে চলছে।

    ব্যস্ত নির্মাণ কর্মীরা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন (Ram Mandir)

    নির্মাণ কর্মীরা খুবই ব্যস্ত। নিজেদের নাওয়া-খাওয়া ভুলে সদা ব্যস্ত তাঁরা। প্রতিনিয়ত তাঁরা রাম দরবারকে কীভাবে আরও সুন্দর করা যায়, সেই ভাবনাই ভাবছেন। রাম দরবারে (Ram Darbar) প্রতিষ্ঠিত সোনার দরজা কেবলমাত্র একটি দরজাই নয়, তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানাচ্ছে যে, এটি একটি আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজের বিষয়ে দেশের কোটি কোটি ভক্তের আগ্রহ তুঙ্গে। রাম নগরীর মন্দিরের প্রতিটি আপডেট পেতে তাঁরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। এই আবহে রাম দরবার নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে।

    রাম দরবারের (Ram Mandir) কাজ শেষ হলে আরও বেশি ভক্ত সমাগম হবে

    রাম মন্দির আজ আর কেবল হিন্দু ধর্মের আস্থা বা বিশ্বাসের প্রতীক হয়েই নেই। উপরন্তু এদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পরম্পরা এবং জাতীয় অস্মিতার প্রতীক হয়ে উঠেছে রাম মন্দির। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, রাম দরবারের (Ram Darbar) নির্মাণ কাজ শেষ হলে আরও বেশি সংখ্যক লক্ষ লক্ষ তীর্থ যাত্রা এখানে হাজির হবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০২০ সালের অগাস্টে ভূমি-পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের (Ram Mandir)।

  • Prafulla Chaki: ১৯০৮ সালের ২ মে, বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকিকে খুন করে আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে আনে ব্রিটিশ পুলিশ

    Prafulla Chaki: ১৯০৮ সালের ২ মে, বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকিকে খুন করে আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে আনে ব্রিটিশ পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ মে ১৯০৮ সালে আজকের দিনেই এ জগত ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ভারত মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান প্রফুল্ল চাকি (Prafulla Chaki) । তিনি আত্মঘাতী হয়েছিলেন, নাকি তাঁকে ব্রিটিশ পুলিশ হত্যা করেছিল তা নিয়ে রয়েছে আজও সন্দেহ। মামলা চলাকালীন ব্রিটিশ পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী আত্মঘাতী হয়েছিলেন প্রফুল্ল। কিন্তু পরবর্তীকালে যে তথ্য সামনে আসে তাতে একথা মনে হওয়া খুব স্বাভাবিক যে তিনি আত্মঘাতী হননি বরং ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে অত্যাচার করে গুলি করেছিল।

    কোন মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন প্রফুল্ল

    প্রফুল্ল চাকি (Prafulla Chaki) ও ক্ষুদিরাম বোস ইংরেজ আধিকারিক কিংসফোর্ডকে হত্যা করার লক্ষ্যে বোমা বন্দুক নিয়ে তৈরি ছিলেন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০ এপ্রিল কিংসফোর্ডকে হত্যা করার লক্ষ্যে প্রফুল্ল চাকি ও ক্ষুদিরাম বোস দুজনেই বিহারের মুজাফফরপুরে (Indian Freedom Movement) কিংসফোর্ডের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। ইউরোপিয়ান ক্লাবের প্রবেশদ্বারে তারা কিংসফোর্ডের ঘোরার গাড়ির জন্য ওত পেতেছিল। একটি ঘোড়া গাড়ি আসতে দেখে বোমা নিক্ষেপ করে তাঁরা। দুর্ভাগ্যক্রমে ওই গাড়িতে কিংসফোর্ড ছিলেন না। ছিলেন দুজন ব্রিটিশ মহিলা। তাঁরা বোমার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন। ওই দুজনকে ব্যারিস্টার কেনেডির স্ত্রী ও কন্যা বলে চিহ্নিত করা হয়। এর পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান দুজনেই। আলাদা আলাদা পথ বেছে নিয়েছিলেন প্রফুল্ল (Prafulla Chaki) ও ক্ষুদিরাম।

    কীভাবে ধরা পড়লেন প্রফুল্ল চাকি (Prafulla Chaki)

    প্রফুল্ল কলকাতার দিকে আসার সিদ্ধান্ত নেন। পায়ে হেঁটে মুজাফফরপুর থেকে চার স্টেশন দূরে সমস্তিপুর স্টেশন পর্যন্ত আসেন। ট্রেনে তাঁকে দেখে সদেহ হয় নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে এক পুলিশ দারোগার। সাব ইন্সপেক্টরকে তখন দারোগা বলা হত। মোকামা স্টেশনে নন্দলাল ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে ধরে ফেললে (আদালতে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী) নিজের বুকে ও মাথায় নাকি গুলি করেন প্রফুল্ল (Indian Freedom Movement) ।

    প্রফুল্লের মৃত্যু ঘিরে সন্দেহ কেন

    প্রফুল্ল চাকির (Prafulla Chaki) শরীরের দুটি গুলি লেগেছিল। একটি বুকে, অপরটি মাথায়। দেহ পরিবারকে ফেরত দেওয়া হয়নি। তাঁর শরীরের পোস্টমর্টেম হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন একজন আত্মহত্যাকারী ব্যক্তি নিজের বুকের মত জায়গায় গুলি করার পর তাঁর পক্ষে দ্বিতীয় গুলি চালানোর আর সুযোগ থাকে না। ব্রিটিশ পুলিশের দাবি ছিল প্রফুল্লর কাছে গুলি ভর্তি বন্দুক ছিল। যদি তাঁর কাছে বন্দুক থাকত তাহলে নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তাকে সন্দেহের বশে পাকড়াও করেন তখন ওই পুলিশকেই গুলি মেরে পালানোর চেষ্টা করতে পারতেন প্রফুল্ল। কিংবা অন্য পুলিশকে গুলি করে পালাতেন। তবে প্রফুল্লর দেহের পোস্টমর্টেম হয়নি। দেহ পরিবারকে ফেরত না দেওয়ায় তখনও প্রশ্ন তুলেছিল বিপ্লবীরা।
    ঐতিহাসিকদের মত

    সমসাময়িক অনেক ঐতিহাসিকের মতে প্রথমে প্রফুল্লর (Prafulla Chaki) উপর নিদারুর অত্যাচার চালানো হয়। তারপর তাকে পিস্তল দিয়ে একাধিক গুলি করে খতম করা হয়। মুজাফফরপুর স্টেশনে আনা হয় দেহ। শনাক্ত করেন ক্ষুদিরাম বোস। এর পর তাঁর মাথা কেটে কেরোসিন কিংবা স্পিরিটে চুবিয়ে আনা হয় কলকাতায়। দেহ মুজাফফরপুরের শ্মশানে অজ্ঞাতপরিচয়য় লাশ হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়।

    প্রফুল্লের (Prafulla Chaki) খুনের বদলা

    ব্রিটিশ পুলিশ যা করেছিল সেই তথ্য যদি প্রকাশ হত তাহলে আরও অনেক ব্রিটিশ ও পুলিশের কর্মচারী ভারতীয়ের প্রাণ যেত। এই ভয়েই ‘আত্মঘাতী’ তত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঐতিহাসিক নির্মল কুমার নাগ একমত যে প্রফুল্লকে খুন করে তাঁর মাথা কেটে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও বিপ্লবীদের থামানো যায়নি। ১৯০৮ সালের ৯ই নভেম্বর নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে হত্যা করে প্রফুল্ল চাকির(Prafulla Chaki) মৃত্যুর বদলা নিয়েছিলেন বাঙালি বিপ্লবী শিরিশ চন্দ্র পাল ও রণেন গঙ্গোপাধ্যায়।

  • Chandrayaan 3: চাঁদের প্রাথমিক বিবর্তন নিয়ে বড় আবিষ্কার করল চন্দ্রযান ৩

    Chandrayaan 3: চাঁদের প্রাথমিক বিবর্তন নিয়ে বড় আবিষ্কার করল চন্দ্রযান ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) শিবশক্তি পয়েন্টে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। সামনে এসেছে চাঁদের প্রাথমিক বিববর্তনের অনেক কিছুই। প্রজ্ঞান রোভারে থাকা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (APXS) যে তথ্য পাঠিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে , চাঁদের দক্ষিণ মেরুর এই অংশে অস্বাভাবিকভাবে কম রয়েছে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম। কিন্তু এখানে সালফালের ঘনত্ব খুবই বেশি রয়েছে। এ নিয়ে আমেদাবাদের ভৌত গবেষণাগারে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠের এই স্থানে সালফারে মাত্রা খুবই বেশি। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন আজ থেকে প্রায় ৪.৩ বিলিয়ন বছর আগে এই উপাদানগুলি চন্দ্রপৃষ্ঠে উন্মোচিত হয়। অর্থাৎ লাভা রূপে বেরিয়ে আসে চন্দ্রপৃষ্ঠের ভিতর থেকে।

    অ্যাপোলো, লুনা যে তথ্য দিতে পারেনি তাই দিচ্ছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)

    বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে যে লাভা বা ম্যাগমা উঠে আসে তা পরবর্তীকালে শীতল হয়ে জমাট বেঁধে যায়। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, বিভিন্ন দেশ যে ধরনের মহাকাশযানগুলি পাঠিয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠে (Shiv Shakti Point), তা অ্যাপোলো হোক কিংবা লুনা- এই সমস্ত চন্দ্রযানগুলি যে তথ্য দিয়েছে, তার থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা তথ্য দিচ্ছে চন্দ্রযান-৩।

    চাঁদের ভূতাত্ত্বিক গঠন আবিষ্কারে এগিয়ে ভারত (Chandrayaan 3)

    বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সালফার সমৃদ্ধ যে উপাদানগুলি চাঁদে পাওয়া যাচ্ছে সেগুলি চন্দ্রপৃষ্ঠ তৈরির একটি অন্যতম বিল্ডিং ব্লক। চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) থেকে পাঠানো তথ্যগুলির সামনে আসার ফলে শিবশক্তি পয়েন্টের গুরুত্ব আরও বেশি বেড়ে গিয়েছে। চাঁদ কীভাবে তৈরি হল, তার প্রাথমিক বিবর্তন কোন পথে হল, যে সময় লাভা নির্গত হল, সেই তথ্যগুলি এখন পাঠাচ্ছে চন্দ্রযান ৩। চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) এর এই আবিষ্কারগুলি মহাকাশ গবেষণায় ভারতের ক্রমবর্ধমান উন্নতিকেই সামনে আনছে। চাঁদের ভূতাত্ত্বিক গঠন আবিষ্কার (Shiv Shakti Point) করার যে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা, সেখানে আমাদের দেশ ভারতবর্ষের অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল চন্দ্রযান ৩।

  • Amit Shah: ‘‘বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে’’, পহেলগাঁওকাণ্ডে হুঙ্কার অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘‘বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে’’, পহেলগাঁওকাণ্ডে হুঙ্কার অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর প্রথমবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর হুঙ্কার, ‘‘বেছে বেছে বদলা নেওয়া হবে। কেউ যদি ভাবে কাপুরুষের মতো হামলা চালিয়ে জিতে যাবে, তাহলে তাদের মনে রাখা দরকার এটা নরেন্দ্র মোদির ভারত। তাই একে একে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়া হবে।’’

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে রয়েছে

    বৃহস্পতিবারই নয়াদিল্লির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘দেশের প্রতিটি ইঞ্চি থেকে সন্ত্রাসবাদকে উপড়ে ফেলা আমাদের লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্য পূরণ হবেই। কেবল ১৪০ কোটি ভারতীয় নন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে রয়েছে। বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্র একজোট হয়ে ভারতের সঙ্গে আছে। আমি সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাই, যতদিন পর্যন্ত না সন্ত্রাসের মূল ধ্বংস হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। যারা এই জঘন্য হামলা চালিয়েছে তাদের প্রত্যেককে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে।’’

    হামলার পরেই জম্মু-কাশ্মীরে ছুটে যান অমিত শাহ (Amit Shah)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Attack) বৈসরানে পর্যটকদের ওপর ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। এরপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীনগরে ছুটে যান। ঠিক পরের দিন ২৩ এপ্রিল তিনি নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং সমবেদনা জানান। শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর সময় অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘এই জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার (Pahalgam Attack) সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না।’’ সম্প্রতি, মন কি বাত অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী দোষীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল। গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছিল। স্কুল-কলেজের সংখ্যা এবং পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু শত্রুদের এটি পছন্দ হয়নি। সন্ত্রাসবাদীরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায়। আমি নিহতদের পরিবারগুলিকে আশ্বস্ত করছি, তাঁরা ন্যায়বিচার পাবে। এই হামলার নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের কঠোরতম শাস্তি হবে।’’

  • Supreme Court: সেনার মনোবল ভাঙবেন না! পহেলগাঁওকাণ্ডে বিচারবিভাগীয় কমিশনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: সেনার মনোবল ভাঙবেন না! পহেলগাঁওকাণ্ডে বিচারবিভাগীয় কমিশনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) ঘটনায় বিচারবিভাগীয় কমিশন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল জনস্বার্থে মামলা। বৃহস্পতিবার ১ মে তা খারিজ করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং এন কোটেশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে, এমন কিছু আর্জি জানানো উচিত নয় যা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দেয়। বিচারপতিদের বেঞ্চ মামলাকারীদের ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘‘কবে থেকে একজন অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠলেন সন্ত্রাসের মতো বিষয় তদন্ত করার বিষয়ে?’’

    এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আগে দায়িত্বশীল হোন

    সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court) এদিন আরও বলে, ‘‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়, যখন আমাদের দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাঁদের এমন লড়াইকে কখনও খাটো করা উচিত নয়। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ইস্যু।’’ বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আগে দায়িত্বশীল হোন। দেশের প্রতিও আপনার কিছু কর্তব্য রয়েছে। এটি এমন গুরুত্বপূর্ণ সময় যখন প্রতিটি ভারতীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য হাত মিলিয়েছে। বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেবেন না। বিষয়টির সংবেদনশীলতা খতিয়ে দেখুন।’’

    তিন মামলাকারী হলেন ফতেশকুমার শাহু, মহম্মদ জুনায়েদ এবং ভিকি কুমার

    এক আবেদনকারী দাবি করেন যে, পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের উপর দেশের নানা প্রান্তে হামলা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনি যা আবেদন করছেন সে সম্পর্কে আপনি কি নিশ্চিত?’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনার তদন্ত হোক সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বিচারবিভাগীয় কমিশনের মাধ্যমে। এমনই আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাশ্মীরের তিন নাগরিক। বৃহস্পতিবারই তা খারিজ করল শীর্ষ আদালত। এই তিন মামলাকারীরা হলেন ফতেশকুমার শাহু, মহম্মদ জুনায়েদ এবং ভিকি কুমার। জানা গিয়েছে, তিন জনেই কাশ্মীরের বাসিন্দা। এই তিন ব্যক্তি পহেলগাঁওয়ের ঘটনার তদন্ত করতে চেয়েছিলেন একটি বিচারবিভাগীয় কমিশনের তদারকিতে। তাঁদের আর্জি ছিল কমিশনের মাথায় থাকবেন শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতি। কিন্তু এমন আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।

LinkedIn
Share