Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Brain Tumor: মানসিক চাপেই বাড়ছে বিপদ! ব্রেন টিউমারের নেপথ্যে কি স্ট্রেস?

    Brain Tumor: মানসিক চাপেই বাড়ছে বিপদ! ব্রেন টিউমারের নেপথ্যে কি স্ট্রেস?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মনের পাশাপাশি শরীরের উপরেও গভীর ছাপ ফেলে! মানসিক চাপ থেকে শুরু করে ডিপ্রেসন বা অবসাদ মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক! শরীরের একাধিক রোগের কারণ! এমনকি মস্তিষ্কের টিউমারের (Brain Tumor) কারণ ও হতে পারে মানসিক চাপ। সম্প্রতি চিকিৎসকদের এক আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রে এমন তথ্যই প্রকাশিত হল। তবে, প্রথম থেকেই সতর্ক হলে বড় বিপদ মোকাবিলা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসার সুযোগ হারিয়ে যায়। তারপরে শুরু হয় রোগ নির্ণয়। এটাই মস্তিষ্কের টিউমারের চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আজ, ৮ মে ওয়ার্ল্ড ব্রেন টিউমার ডে (World Brain Tumor Day)। সেই উপলক্ষে একটি সর্বভারতীয় কর্মশালায় এমনটাই জানালেন দেশের বিভিন্ন শহরের শল্য চিকিৎসকদের একাংশ। বিশ্ব জুড়ে লাগাতার মস্তিষ্কের টিউমার ও তার চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা চলছে। গবেষণায় নতুন দিক উঠে আসছে। তবে আধুনিক এই চিকিৎসার প্রথম শর্ত হল দ্রুত রোগ নির্ণয়। ভারতে মস্তিষ্কের টিউমার (Brain Tumor) চিকিৎসার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সচেতনতার অভাব। তাই রোগ নির্ণয় করতেই অনেকটা সময় চলে যায়‌।

    ভারতে ব্রেন টিউমারে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা কি বাড়ছে?

    ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ভারতে নতুন করে ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের তালিকা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রায় তিরিশ হাজার মানুষ এ দেশে নতুন করে ব্রেন টিউমারের সমস্যার শিকার হন। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। এই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় রোগীর বাড়তি ভোগান্তি হয় বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেন ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) হয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোনও একটি নির্দিষ্ট কারণকে ব্রেন টিউমারের জন্য দায়ী করা যায় না। তবে কিছু কারণে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেগুলো এড়িয়ে চললে রোগের ঝুঁকিও কমতে পারে। মানসিক চাপ ব্রেন টিউমারের অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশে ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, মানসিক অসুস্থতা! আধুনিক জীবন যাপনে অধিকাংশ মানুষ নানান কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন‌। বদলে যাচ্ছে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সম্পর্ক। এমনকি কর্মজীবনে ও নানান পরিবর্তন আসছে। আর এই সবকিছুই মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলছে। বহু মানুষ নানান কারণে মানসিক চাপের শিকার হচ্ছেন। এর ফলে মস্তিষ্কে অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। মানসিক চাপ থাকলে শরীরে অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ হয়। মস্তিষ্কে এর গভীর প্রভাব পড়ে। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হিসাবে টিউমার (Brain Tumor) হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    স্ট্রেস ফ্যাক্টরের পাশপাশি আরও কিছু কারণ মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। নিয়মিত রেডিয়েশন, এক্স রে শরীরে প্রবেশ করলে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই দেখা যায়, অন্য কোনও রোগের জেরে দীর্ঘদিন রেডিয়েশন থেরাপি নেওয়ার জেরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে ব্রেন টিউমার (Brain Tumor) হয়েছে। আবার বংশানুক্রমিক সমস্যার জেরেও এই রোগ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারে ক্যান্সারে আক্রান্ত কেউ থাকলে বা আগে কেউ অন্য কোনও টিউমারে আক্রান্ত থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্থুলতা মস্তিষ্কের টিউমারের অন্যতম কারণ হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে মস্তিষ্কে চাপ‌ পড়ে। সেটা টিউমারের অন্যতম কারণ হতে পারে।

    কীভাবে উপসর্গ চিনবেন?

    চিকিৎসকদের মতে, প্রথম পর্বেই রোগ নির্ণয় হয়ে গেলে রোগের‌ মোকাবিলা সম্ভব। কিছু উপসর্গ সম্পর্কে সজাগ হলেই রোগ নির্ণয় দ্রুত সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত মাথার তীব্র যন্ত্রণা, মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলা, স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলা, কাজ করার ইচ্ছে না থাকা, বমি হওয়া, মল-মূত্রত্যাগে নিয়ন্ত্রণ হারানোর মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট পরীক্ষার (Brain Tumor) মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব।‌

    চিকিৎসার পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্রেন টিউমারের (World Brain Tumor Day) আক্রান্ত মানেই জীবন শেষ, এমন ভাবনা একেবারেই ঠিক নয়। টিউমারের চিকিৎসা সম্ভব। আর টিউমার হলেই ক্যান্সার বা অন্য কোনও জটিল রোগ হবে এমন ভাবাও অপ্রয়োজনীয়। নানান নেতিবাচক ভাবনা বাদ দিয়ে ঠিকমতো চিকিৎসা সম্পূর্ণ করলে আবার সুস্থ জীবনে ফিরে আসা যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ১

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – পর্ব ১

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    পর্ব-১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১ মে, ‘সকালের খবর’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার তানোরে সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়। ডাকাতরা সাংবাদিকের মা এবং তার ১০ বছর বয়সী ভাগ্নিকে নির্মমভাবে আঘাত করে। এই ঘটনা ঘটে ৩০ এপ্রিল গভীর রাতে, গ্রাম আখচায় অবস্থিত বিশ্বজিৎ চৌধুরীর বাড়িতে (Bangladeshi Hindus)। তিনি বর্তমানে তানোর রিপোর্টার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন। বাড়িতে হামলার সময় বিশ্বজিৎ চৌধুরী নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। হামলাকারীরা ঘরের ভেতরে ঢুকে প্রথমে তাঁর মাকে প্রথমেই আক্রমণ করে। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকের দশ বছর বয়সি ভাগ্নেকেও চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। এর ফলে শিশুটির মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। এরপরেই স্থানীয় গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন, এবং তাদের উপস্থিতিতে হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরে গ্রামবাসীদের সহায়তায় আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর মা ও ভাগ্নিকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

    ২ মে, বাংলাদেশের দৈনিক ‘পার্বত্য কণ্ঠ’-এ প্রকাশিত খবর ধর্ষিতা হিন্দু মহিলা

    গত ২ মে, বাংলাদেশের দৈনিক ‘পার্বত্য কণ্ঠ’-এ প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, ধর্ষণের একটি মামলায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ১৮ বছর বয়সি এক হিন্দু মহিলার (Hindus Under Attack) ওপর হামলা চালানো হয়। পরে তাঁকে  গণধর্ষণ করা হয়। তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে একটি গাছের নিচে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে এই অপরাধ সংঘটিত করা হয়। অভিযুক্তরা পালা করে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। একজন ধর্ষণ করে এবং অপরজন মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করে। গ্রেফতার হওয়া দুজনের নাম মফিজুল ইসলাম (৩১) এবং আবু তালেব গাজী (২৮)।

    ৪ মে, ‘ডেইলি অবজারভার’ পত্রিকার খবর, দেবোত্তর সম্পত্তি দখল

    গত ৪ মে, ‘ডেইলি অবজারভার’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের নিয়ামতপুর-মান্দা এলাকার ঐতিহাসিক দেবোত্তর সম্পত্তির প্রায় ১৪০০ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। এই দেবোত্তর জমি একসময় জমিদার কালিপদ এবং দেবীপদ রায়ের মালিকানাধীন ছিল। ১৯৪৯ সালের পরে এই সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহণ করে (Bangladeshi Hindus)।

    ৫ মে, ‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর হিন্দু মহিলার নগ্ন দেহ উদ্ধার

    গত ৫ মে, ‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, বাংলাদেশের বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু এলাকায় একটি খাল থেকে ২৯ বছর বয়সি এক হিন্দু মহিলার মৃতদেহ (Bangladeshi Hindus) উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, তিনি নিজের জমিতে একা চাষ করতে গিয়েছিলেন। দুপুরে খেতে না আসায় পরিবার ও প্রতিবেশীরা খোঁজ শুরু করে। পরে তাঁর নগ্নদেহ খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। যৌন নির্যাতনের পরেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ (Hindus Under Attack)।

    ৫ মে, ‘কালবেলা’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর হিন্দু ধর্মকে অপমান করে ফোসবুক পোস্ট, গ্রেফতার ১

    ৫ মে, ‘কালবেলা’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আবদুল ওহাব ফকির (৪০) নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে পোস্ট দেন। ঘটনাটি গাবতলী উপজেলার। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন উস্কানিমূলক পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। গত অগাস্ট মাসে জামাত-বিএনপির নেতৃত্বে গণভবন দখল করা হয়। পদচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই সে দেশে হিন্দুবিরোধী (Hindus Under Attack) কার্যকলাপ আরও বেড়ে যায়। সামাজিক মাধ্যমে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অসংখ্য উস্কানিমূলক পোস্ট ছড়িয়ে পড়ছে। আব্দুল ওহাব ফকিরের এমন পোস্টকে তাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা মানতে নারাজ ওয়াকিবহাল মহল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন পলাশ কুমার মহন্ত নামের এক ব্যক্তি। ওহাবের বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্ম (Bangladeshi Hindus) অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। গাবতলীর শতমথ মুক্ত মঞ্চ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

    ৭ মে, ‘এই দিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর কালী মূর্তি ভাঙচুর

    গত ৭ মে, ‘এই দিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের একটি চা বাগানে অবস্থিত কালীমন্দিরে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় এবং দেবী কালী ও ভগবান শিবের মূর্তি ভেঙে ফেলে। এই ঘটনাটি গভীর রাতে ঘটে। পরদিন সকালে স্থানীয়রা ভাঙা মূর্তিগুলো দেখতে পান। এরপর গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এছাড়া, ‘জয়জায়দিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পেশায় কাঠমিস্ত্রি এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম মঙ্গল সূত্রধর। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হন, কিন্তু আর ফিরে আসেননি (Bangladeshi Hindus)।

     

    (চলবে)

  • BRICS: চাপ বাড়ল পাকিস্তানের! পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করল ‘বন্ধু’ চিন, ইরান

    BRICS: চাপ বাড়ল পাকিস্তানের! পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করল ‘বন্ধু’ চিন, ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তানের মুখোশ বিশ্বের দরবারে খুলে দিতে ঘুরছে ভারতের প্রতিনিধি দল (BRICS)। এই আবহে বিশ্বমঞ্চে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল পাকিস্তান। ব্রিকসের অন্তর্ভুক্ত ১০টি দেশেরই সংসদীয় ফোরাম পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করল। একইসঙ্গে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতিতে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর কথাও বলা হল। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ১০ দেশের এই সংসদীয় ফোরামে পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিন ও ইরানও রয়েছে।

    কোন কোন দেশ রয়েছে (BRICS)?

    প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের (BRICS) ব্রাসিলিয়ায় ৪ ও ৫ জুন ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বার্ষিক সংসদীয় ফোরামের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যোগ দেয় ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মিশর, ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া। সম্মেলনের প্রতিনিধিরা ২ দিন ধরে নানা ইস্যুতে আলোচনা করেন। ভারতের তরফে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নেতৃত্বে একটি সংসদীয় দল এই সম্মেলনে যোগদান করে। ব্রিকসের এই সম্মেলনে ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।

    নিজের বক্তব্যে কী বললেন ওম বিড়লা

    ওম বিড়লা তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ আজ একটি বিশ্বব্যাপী সঙ্কটে পরিণত হয়েছে, যা কেবল আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমেই মোকাবিলা করা যেতে পারে।’’ সন্ত্রাস ইস্যুতে তিনি চারটি বড় পদক্ষেপের কথা বলেছেন নিজের বক্তব্যে। এর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অর্থায়ন বন্ধ করা, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও মসৃণ করা, প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করা এবং তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা বাড়ানো (BRICS)।

    ১০ দেশের সংসদের প্রতিনিধিরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন

    সম্মেলনের একেবারে শেষে ১০ দেশের সংসদের প্রতিনিধিরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন। সেখানেই পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়। লোকসভা সচিবালয় এনিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে সম্মেলনের যৌথ ঘোষণায় ভারতের পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এবং ব্রিকসভুক্ত সব দেশের সংসদগুলিও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে (Pahalgam Terror Attack)। ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিশ্ব বাণিজ্য, আন্তঃসংসদীয় সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার মতো বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

  • Ram Mandir: ‘‘রামমন্দির হল সভ্যতার ধ্বনি ও জাতীয় গৌরবের প্রতীক’’, বললেন চম্পত রাই

    Ram Mandir: ‘‘রামমন্দির হল সভ্যতার ধ্বনি ও জাতীয় গৌরবের প্রতীক’’, বললেন চম্পত রাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ জুন অযোধ্যায় রাম দরবারের আটটি মন্দিরের উদ্বোধন হয়। এই আবহে রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক তথা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সহ-সভাপতি শ্রী চম্পত রাই অর্গানাইজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাম মন্দিরের আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক এবং জাতীয় তাৎপর্য তুলে ধরেন (Ram Mandir)। তাঁর মতে, ‘‘রামমন্দির হল সভ্যতার ধ্বনি ও জাতীয় গৌরবের প্রতীক।’’

    এটি ভারতবর্ষের আত্মমর্যাদা এবং সাংস্কৃতিক সার্বভৌমত্বের প্রতীক

    চম্পত রাই বলেন, ‘‘রাম মন্দিরের তাৎপর্য শুধুমাত্র ধর্মীয় দিকেই নেই এটি একটি সভ্যতার প্রতীক। ভারতের জাতীয় গৌরবের পুনরুত্থান সম্ভব হয়েছে এই মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে। এপ্রসঙ্গে তিনি ইতিহাসও টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘‘১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে রাম মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল এবং আজ আমরা তা পুনরায় স্থাপন করেছি। এটি ভারতবর্ষের আত্মমর্যাদা এবং সাংস্কৃতিক সার্বভৌমত্বের প্রতীক।’’ তিনি (Champat Rai) বলেন, ‘‘রাম মন্দিরের পুনরুত্থান লক্ষ লক্ষ ভক্তের বিশ্বাস ও মর্যাদার এক জীবন্ত দলিল। তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে মন্দির পরিচালনা করছে। ভক্তদের সুবিধা-অসুবিধা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, নির্মাণ পরিকাঠামোর মধ্যে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৃঙ্খলা, ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, ভক্তদের বিশ্রামাগার ইত্য়াদি সবই রয়েছে।

    স্থানীয় অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধি (Ram Mandir)

    রাম মন্দিরকে (Ram Mandir) কেন্দ্র করে অযোধ্যার স্থানীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে বলেও তিনি জানান। চম্পত রাইয়ের (Champat Rai) মতে, ২০১৯ সালের আগে প্রতিদিন ২০০০ থেকে ৪০০০ মানুষ অযোধ্যায় আসতেন। কিন্তু ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর প্রতিদিন প্রায় চার লক্ষ তীর্থযাত্রী মন্দির পরিদর্শনে আসতে শুরু করেন সেই সময়টাতে। এর ফলে অযোধ্যায় ব্যাপক অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে বলেও জানান তিনি।

    বেড়েছে দিন মজুরদের রোজগার

    তাঁর মতে, রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের পর থেকেই অযোধ্যার স্থানীয় শ্রমিকদের রোজগার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যাঁরা দিনমজুরের কাজ করেন, তাঁরা এখন প্রতিদিন প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করছেন। এ থেকেই বোঝা যায়, রাম মন্দির নির্মাণের ফলে অযোধ্যায় কতটা অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘রাম মন্দিরকে শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ভুল হবে এটি ভারতের জাতীয় গৌরবের প্রতীক।’’

  • Bangladesh Election: ২০২৬ এপ্রিলে বাংলাদেশ নির্বাচনের ঘোষণা, রাজনৈতিক চাপে সময় কিনছেন ইউনূস?

    Bangladesh Election: ২০২৬ এপ্রিলে বাংলাদেশ নির্বাচনের ঘোষণা, রাজনৈতিক চাপে সময় কিনছেন ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Md Yunus) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন যে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন (Bangladesh Election) অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখযোগ্য যে, এর আগে বাংলাদেশের বিএনপি সহ প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই নির্বাচনের দাবি করেছিল। তবে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের দাবিকে উপেক্ষা করলেন ইউনূস। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক চাপের কারণে আসলে এভাবেই সময় কিনতে চাইছেন ইউনূস। একারণেই ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের পরিবর্তে, ২০২৬ সালের এপ্রিলে নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

    শর্ত সাপেক্ষে ছাত্রদের জাতীয় নাগরিক দলের সমর্থন ইউনূসের সিদ্ধান্তকে

    বাংলাদেশের অন্যতম সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ছাত্রদের জাতীয় নাগরিক দল (এনসিপি) ইউনূসের ২০২৬ এপ্রিলের নির্বাচনের ঘোষণাকে সমর্থন করেছে। তারা জানিয়েছে, জুলাই মাসের ঘোষণা ও অন্যান্য সংস্কারমূলক কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে এপ্রিলেই নির্বাচন হলে অসুবিধা নেই।

    ইউনূসের সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন ঢাকার শিক্ষাবিদ (Bangladesh Election)

    তবে ইউনূস (Md Yunus) যখন এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেন, তিনি কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ উল্লেখ করেননি। এনিয়েই ঢাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রেজাউল রহমান লেনিন এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অচলাবস্থা এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী আইন রয়েছে। এ কারণে মনে হয় না ইউনূস সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন (Bangladesh Election) পরিচালনা করতে পারবে।”

    বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চয়তার পরিবেশেই ৮ মাস দেশ শাসন ইউনূসের

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন হয়। জামাতদের ষড়যন্ত্রে দখল করা হয় গণভবন। দেশ ছাড়েন হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। এর পর মহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন (Bangladesh Election)। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর সরকারকে ঘিরে নানা বিতর্ক দেখা গেছে। দেশে বেড়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বেকারত্ব এবং ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচারের কারণে মুখ পুড়েছে ইউনূস সরকারের। প্রায় ৮ মাস এই বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চয়তার পরিবেশের মধ্যেই ইউনূস সরকার দেশ শাসন করছে।

    সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ছাত্ররা

    ইউনূসের ঘোষণার আগে তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা জানিয়েছিলেন যে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছাত্রদের দল এনসিপি দাবি তুলেছে, নির্বাচন কমিশনকে যেন বিএনপির প্রভাব মুক্ত হয়। তারা সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিতে চাইছে। এরপরে নির্বাচন করাতে চায় ছাত্ররা। অন্যদিকে, বিএনপি সমেত প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচন চায়।

    বিএনপির তাড়াহুড়োর কারণ (Bangladesh Election)

    বিএনপির এত তাড়া কিসের? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগ এখন দুর্বল অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশে। একটা সময়ে আওয়ামি লিগের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল বিএনপি। এই সুযোগ নিয়ে বিএনপি মসনদ দখল করতে চাইছে বাংলাদেশে। বিএনপির আশঙ্কা, সময় যত পেরিয়ে যাবে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যেতে পারে।

    সেনাপ্রধান কী বলেছিলেন?

    এদিকে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী গত ৫ জুন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন বিলম্ব করার অভিযোগ আনেন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু বিএনপি নয়, দেশের প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন চাইছে। শুধু রাজনৈতিক দল নয়, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানও ডিসেম্বর মাসেই নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, একটি নির্বাচিত সরকারই নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম।

    শীতকালে বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    সম্প্রতি মহম্মদ ইউনূস তাঁর উপদেষ্টা পরিষদকে জানিয়েছিলেন যে তিনি পদত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। এতে দেশজুড়ে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়। তবে পরে তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৫ সালের মধ্যেই একটি নির্বাচিত সরকার গঠন হওয়া প্রয়োজন। কারণ, বাংলাদেশে শীতকালই নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পরীক্ষা চলে, ফলে শিক্ষকরাও ব্যস্ত থাকেন। রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলিতেও লাগাম টানা হয়। তা সত্ত্বেও ইউনূস সরকার সরাসরি ঘোষণা করেছে যে নির্বাচন এপ্রিল মাসেই অনুষ্ঠিত হবে।

  • African Swine Fever: করোনা আবহে ভারতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার হানা! কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    African Swine Fever: করোনা আবহে ভারতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার হানা! কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফের ফিরছে আতঙ্ক! কয়েক বছর আগের স্মৃতি এখনো তাজা! আর তার মধ্যেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ আবার বাড়ছে। তাই বাড়ছে আতঙ্ক! কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। আর তার মধ্যেই দেশে হানা দিয়েছে নতুন রোগ। আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) দেশে ছড়িয়েছে। আর তার জেরেই বাড়তি উদ্বেগ।

    আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার কী?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (ASF Alert in India) একটি সংক্রামক রোগ। জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দির মতো সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বরের উপসর্গ এই রোগে প্রথমে জানান দেয়। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন ফুসফুস, লিভার এবং হৃদপিণ্ড ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এর ফলে শরীরে একাধিক জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর আশঙ্কাও রয়েছে।

    ভারতের কোথায় এই সংক্রমণ হয়েছে?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের এক গ্রামে এই রোগের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। ওই গ্রামে মূলত পশু পালন করেই অধিকাংশ মানুষ জীবন নির্বাহ করেন। দিন কয়েক আগেই কয়েকজন এই আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশাসনের তরফে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। গোটা গ্রামে ‘প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা’ জারি হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে গ্রামবাসীদের গ্রামের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কয়েক দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    কীভাবে এই রোগ ছড়ায়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) মূলত পশুবাহিত রোগ। অর্থাৎ, পশুর দেহেই এই রোগ ছড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, মূলত শুয়োরের দেহ থেকে এই রোগের ভাইরাস মানুষের দেহে পৌঁছয়। আর সেখান থেকেই সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অসমের যে গ্রামে এই রোগে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, সেখানেও শুয়োর থেকেই মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

    কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) যথেষ্ট বিপজ্জনক। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়লে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সংক্রমণ রুখতে সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিশেষ করে করোনা আবহে আরও বাড়তি সতর্কতা জরুরি (ASF Alert in India) বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে থেকে ফেরার পথে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব?

    বিশেষত, যারা পশু পালনের কাজ করেন, এই পরিস্থিতিতে তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বারবার হাত পরিষ্কার রাখা এবং কাজের শেষে ঘরম জলে ভালোভাবে স্নান করা দরকার। যাতে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। ভিড় এলাকায় নাক ও মুখ ঢেকে রাখা জরুরি। কারণ নাক ও মুখের মাধ্যমেই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। তাই করোনা হোক বা আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার, যেকোনও সংক্রামক রোগ রুখতে মাস্ক সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) পশুর শরীর থেকেই মানুষের শরীরে পৌঁছয়। তাই যেখানে-সেখানে মাংসের তৈরি পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে পোর্কের পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন। যাতে স্বাস্থ্যের বাড়তি জটিলতা তৈরি না হয়, সেদিকে নজর রেখেই খাওয়া-দাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

  • Mid Day Meal: মিড ডে মিল খাচ্ছে না রাজ্যের ৫০ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া! জবাব তলব কেন্দ্রের, চুরির অভিযোগ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Mid Day Meal: মিড ডে মিল খাচ্ছে না রাজ্যের ৫০ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া! জবাব তলব কেন্দ্রের, চুরির অভিযোগ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) বাংলার পড়ুয়াদের সংখ্যা বিপুল হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রের এক রিপোর্টে এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ৫০ শতাংশ পড়ুয়াই গত শিক্ষাবর্ষে মিড ডে মিল নেয়নি। কেন মিড ডে মিলে পড়ুয়ার সংখ্যা এত বিপুল হ্রাস পেল তা নিয়ে আগামী ৩০ জুনের মধ‍্যে রাজ‍্যের কাছ থেকে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এই ইস্যুতে একযোগে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী।

    মিড ডে মিল ইস্যুতে রাজ্যকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর (Mid Day Meal)

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “৫০ শতাংশ বাচ্চা মিড ডে মিল খাচ্ছে না। মিড ডে মিল প্রকল্পে কেন্দ্র যে টাকা দেয়, তার ৪ হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। রাজ্য খরচই করেনি। সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে, কী হচ্ছে, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।” অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দেগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকেও কাগজর কাটিং-সহ আমার বক্তব্য পাঠিয়েছি। তৃণমূলের লোকেরা মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) চাল চুরি করছে। ১০০ শতাংশ দেখিয়ে চাল নিচ্ছে। আর ৫০ শতাংশ চাল রান্না হচ্ছে।”

    ২০২৩-২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫-২০২৬ সালে ১০ লক্ষ কম পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা নিয়েছে

    কেন্দ্রের ওই রিপোর্টে যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তাতে করুণ চিত্র দেখা যাচ্ছে। ২০২৩-২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫-২০২৬ সালে ১০ লক্ষ কম পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা নিয়েছে। তথ্য বলছে প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ যোজনার অন্তর্গত এই প্রোগ্রামে পশ্চিমবঙ্গের ১৫টি জেলায় ২০২৪-২৫ সালে নথিভুক্ত আছে এমন চল্লিশ শতাংশেরও বেশি পড়ুয়া মিড ডে মিলের সুবিধা গ্রহণ করেনি। যার মধ্যে কোচবিহার সবচেয়ে নিচে রয়েছে। যেখানে ৪৬ শতাংশ পড়ুয়া মিড ডে মিল (Mid Day Meal) গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ মিড ডে মিলের সুবিধা নেয়নি ৫৪ শতাংশ পড়ুয়া।

    গুরুতর উদ্বেগ হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার

    এই প্রবণতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটিকে গুরুতর উদ্বেগ হিসেবেও তারা চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যে ভারত সরকারের স্কুল এবং স্বাক্ষরতা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে এ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। প্রোগ্রাম অ্যাপ্রুভাল বোর্ড ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছে যে ২০২৩-২৪ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত রাজ্যের মিড ডে মিলের স্কুলগুলির ক্ষেত্রে ভর্তি সংখ্যা ৪.০১ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে।

    ২০২৫-২৬ সালের ভর্তির সংখ্যা আরও ৬ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে

    ২০২৫-২৬ সালের এই ভর্তির সংখ্যা আরও ৬ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে। যা যথেষ্ঠ উদ্বেগপূর্ণ। মিড ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্পের আওতায় পড়ুয়াদের পুনরায় অন্তর্ভুক্ত প্রচেষ্টা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক স্তরে পিএম পোষণের আওতায় যথাক্রমে ৭৮ শতাংশ এবং ৭৪ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী ছিল। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকে তা কমে ৫৮ শতাংশতে দাঁড়িয়েছে।

    সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কোন কোন জেলায় (West Bengal)

    কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ সালে পিএম পোষণ শক্তি যোজনায় নাম নথিভুক্ত করেছিল ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৪৬ জন পড়ুয়া। তবে এর মধ্যে মাত্র ৭৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৪৬ জন মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) সুবিধা গ্রহণ করেছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলাগুলিতে করুণ চিত্র সামনে এসেছে। এখানে অর্ধেকের চেয়েও কম নাম নথিভুক্তকারী ছাত্র-ছাত্রীরা মিড ডে মিলের সুবিধা গ্রহণ করেছে।

    তহবিল তছরুপের গুরুতর অভিযোগ, কেন কমছে পড়ুয়া?

    একই সঙ্গে এই প্রকল্পে প্রোগ্রাম অ্যাপ্রুভাল বোর্ড তহবিল তছরূপের অভিযোগও নিয়ে এসেছে। একাধিক অনিয়মের কথা উল্লেখ করেছে তারা। তাদের অভিযোগ, এই প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করে যে সংস্থাগুলি এবং পৌর কর্পোরেশন, একক নোডাল এজেন্সি অ্যাকাউন্টের বাইরে তহবিল জমা রাখছে। রাজ্যকে অবিলম্বে এই তহবিল স্থানান্তর করা নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত সরকারের নির্দেশিকা লঙ্ঘন এবং বিলম্বের জন্য যাঁরা দায়ী, সেই সমস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে পিএবি। নিজেদের কার্যবিবরণীতে তারা এটা উল্লেখ করেছে (West Bengal)। তবে মিড ডে মিলে এত বিপুল পরিমাণে ছাত্রছাত্রী সংখ্যার কমে যাওয়ার কারণ কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের স্কুল শিক্ষা বিভাগের বিদ্যালয়গুলিতে ড্রপ আউটের হার ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষত উচ্চ প্রাথমিক বিভাগে। মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) পড়ুয়া কমার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় কারণ হতে পারে।

  • India England Cricket: সরছে পটৌডীর নাম! সচিন-অ্যান্ডারসনের নামে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ

    India England Cricket: সরছে পটৌডীর নাম! সচিন-অ্যান্ডারসনের নামে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন ভারত ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ (India England Cricket) খেলতে গেলে সেই ট্রফি ছিল পটৌডীর নামে। প্রসঙ্গত, ভারতের দুই প্রাক্তন অধিনায়ক ইফতিখর আলি খান পটৌডী এবং মনসুর আলি খান পটৌডীর নামেই ছিল এই ট্রফির নাম। তবে এবারে তা বদলে যাচ্ছে। ট্রফির নাম হচ্ছে সচিন-অ্যান্ডারসন। চলতি মাসের ২০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ। সেই ট্রফির নাম হতে চলেছে জেমস অ্যান্ডারসন এবং সচিন তেন্ডুলকরের নামে। ইংল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যম এমনই দাবি করেছে।

    ২০০৭ সালে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যে শুরু হয় পটৌডী ট্রফি (India England Cricket)

    প্রসঙ্গত, আজ থেকে ১৮ বছর আগে ২০০৭ সালে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের নাম হয়েছিল পটৌডী ট্রফি। ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের সেটা ছিল ৭৫তম বছর। সেই উপলক্ষ্যেই পটৌডী পরিবারের দুই ক্রিকেটারকে সম্মান জানাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে খবর। এ বার তবে সেই নাম বদলে যাচ্ছে। কিছু দিন আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে (India England Cricket) এই বিষয়টি জানিয়ে দেয়। তখনই নতুন ট্রফি দু’দেশের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর এবং জেমস অ্যান্ডারসনের নামে করার প্রস্তাব দেয় ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড (India England Cricket Series)।

    দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন-অ্যান্ডারসন (India England Cricket Series)

    ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর। টেস্ট ক্রিকেটের (India England Cricket) ইতিহাসে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। যাঁর রান ১৫,৯২১। ১৯৮৯ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন সচিন তেন্ডুলকর। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি ২০০ টেস্ট খেলেছেন। অন্যদিকে অ্যান্ডারসন হলেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। যার মধ্যে ৭০৪ উইকেট রয়েছে। তথ্য বলছে, এই দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার ১৪টি টেস্ট ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন। দুই দেশের সেরা ক্রিকেটারকে সম্মান জানাতে এই ট্রফিটি তাঁদের উভয়ের নামেই নামকরণ করা হচ্ছে।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    Suvendu Adhikari: ‘‘যত নষ্টের গোড়া’’, কেষ্টর হুমকিকাণ্ড মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর, আসরে জাতীয় মহিলা কমিশনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশকে ফোনে হুমকিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি, বোলপুরের আইসিকে ফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এবার আসরে নামল কেন্দ্রও। জাতীয় মহিলা কমিশন চিঠি দিল রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমারকে। কমিশন জানতে চেয়েছে, এই ঘটনায় কেন আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি। এই মর্মে রাজ্য পুলিশকে ৭২-ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।

    মমতাকে তুলোধনা করলেন শভেন্দু

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তোপ দাগেন পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুলিশের অতিসক্রিয়তা ও নিষ্ক্রিয়তা তুলে ধরে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘বাংলার পুলিশের যা হাল তা সকলেরই জানা। একজন আইনের ছাত্রীকে তুলে আনতে গুরগাঁও চলে যায় অথচ একজন আইসি, যিনি অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন, ফিটনেসে পাশ করে ডিউটি করছেন, তাঁর মা-বউকে হুমকি-গালিগালাজ করলে পুলিশমন্ত্রীর গায়ে লাগে না।’’

    যত নষ্টের গোড়া মমতা, বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একজন তৃণমূল নেতা মদ্যপ অবস্থায় ফোন করে পুলিশ অফিসারকে গালিগালাজ করছেন। হুমকি দিচ্ছেন। রাজীব কুমারকে বলছেন, এই ডিজি আইসিকে কখন সরাবে? সেই নেতাকে গ্রেফতার না করে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে প্রোটেকশন দিচ্ছেন, সেটা ভাবা যায় না।’’ এরপরেই শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়,‘‘অনুব্রত মণ্ডলরা কেউ নন, যত নষ্টের গোড়া মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁরই ছত্রছায়ায় নেতা-মন্ত্রীরা এই ধরনের আচরণ করার সাহস পান।’’

    আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘এই ধরনের নেতারা সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অ্যাসেট। প্রকাশ্যে সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেষ্টকে রাজ্যসভার টিকিট দিতে চেয়েছিলাম, নেয়নি। সেই অনুব্রত থানায় গেলে থোড়াই পুলিশ ফোন বাজেয়াপ্ত করবে? যা দোষ এখন আইসির।’’ বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘আমি তো বলছি, আইসিকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে, দেখে নিন।’’

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চিঠি

    অন্যদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশন রাজীব কুমারকে পাঠানো চিঠিতে জানতে চেয়েছে, একজন আইসিকে কুকথা বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অতীতে অপরাধের রেকর্ডও রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন? বৃহস্পতিবারই এই চিঠি দেয় কমিশন। নিজেদের চিঠিতে তারা এও জানতে চেয়েছে, যদি একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের পরিবারকে এমন হুমকির শিকার হতে হয়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাটা কোথায়?

    কী লেখা হল চিঠিতে?

    বৃহস্পতিবার পাঠানো সেই চিঠিতে লেখা হয়, ‘‘একজন মহিলার বিরুদ্ধে ওই রকম হুমকি মন্তব্য শুধুই সামাজিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয় নয়, বরং এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধও। যার ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যয় সংহিতায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা উল্লেখ রয়েছে। যাঁর অতীতে অপরাধের ছাপ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে এখনও কোনও যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি কেন?’’ একইসঙ্গে বীরভূমের এই নেতার বিরুদ্ধে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টও চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এজন্য রাজ্য পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে তারা। এরমধ্যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে করা আইনি পদক্ষেপের রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে তারা।

    খোশমেজাজেই রয়েছেন কেষ্ট

    প্রসঙ্গত, হমকিকাণ্ডের পরেই পুলিশ নোটিশ দেয় অনুব্রতকে। দু’দিন হাজিরা তিনি এড়িয়ে যান। তিনি নাকি অসুস্থ, এমনটাই দাবি ছিল অনুব্রতর। এই কারণেই গত শনি ও রবিবার পুলিশের নোটিশ এড়িয়েছিলেন বীরভূমের কেষ্ট। সূত্রের খবর, টানা পাঁচদিন নাকি তাঁকে ‘বেড রেস্টে’র পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। বুধবার পর্যন্ত ছিল সেই বিশ্রামের সময়সীমা। বৃহস্পতিবার হাজিরা দিলেন কেষ্ট। ঘটনার সাত দিন পরে বৃহস্পতিবারই বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ শান্তিনিকেতন এসডিপিও অফিসে গিয়ে তাঁকে হাজিরা দিতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, তাঁকে ঘণ্টা দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসার। তবে হাজিরা দেওয়ার পরে তাঁকে বেশ খোশ মেজাজেই বের হতে দেখা যায়। মুখে মুচকি হাসিও নজর এড়ায়নি কারও। কোমরের পিছনে দু’হাত জোড় করে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে আসেন কেষ্ট।

    আইসির ফোনই বাজেয়াপ্ত

    অন্যদিকে, ভাইরাল অডিও কাণ্ডে বোলপুর থানার আইসি (Bolpur IC) আইসি লিটন হালদারের বিরুদ্ধেই আবার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশের যুক্তি, অনুমতি ছাড়া রেকর্ড বেআইনি। সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে আইসির মোবাইল ফোনটিও সিজ করেছে পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কেষ্টর ফোন এখনও বাজেয়াপ্ত করেনি পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের নিচুতলারই একাংশের মধ্যে ক্ষোভও দেখা গিয়েছে।

  • Indian Railways: তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি রুখতে আধার যাচাইকরণ! বড় পদক্ষেপের পথে রেল

    Indian Railways: তৎকাল টিকিটের কালোবাজারি রুখতে আধার যাচাইকরণ! বড় পদক্ষেপের পথে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকিট জালিয়াতি রোধ করতে বড় পদক্ষেপ করছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এবার থেকে সমস্ত তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে ই-আধার যাচাইকরণ। নয়া এই নিয়ম চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে ২০২৫ সালের জুনের শেষ দিকে চালু হতে পারে এই প্রক্রিয়া। শেষ মুহূর্তের ট্রেন টিকিট বুকিং প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনতেই (Tatkal Tickets) এমন উদ্যোগ রেল। বিগত ২৭ মে এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ভারতীয় রেল।

    সমাজমাধ্যমে পোস্ট রেলমন্ত্রীর (Indian Railways)

    ইতিমধ্যে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ঘোষণাও সামনে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের জন্য শীঘ্রই ই-আধার যাচাই ব্যবস্থা চালু করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় রেল শীঘ্রই তৎকাল টিকিট বুক করার জন্য ই-আধার ব্যবহার শুরু করবে। এটি প্রকৃত ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনের সময় নিশ্চিত টিকিট পেতে সহায়তা করবে।’’ রেলের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটে ১৩ কোটিরও বেশি সক্রিয় রেল গ্রাহক রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে মাত্র ১ কোটি ২০ লক্ষ আধার-যাচাইকৃত। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, টিকিট কাউন্টার থেকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে টিকিট কিনেছেন এমন যাত্রীরা আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট থেকে অথবা ১৩৯-এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট বাতিল করতে পারবেন। তবে টাকা রিফান্ডের জন্য তাঁদের রিজার্ভেশন সেন্টারেই যেতে হবে।

    তৎকাল টিকিটে দালালদের রমরমা

    প্রসঙ্গত, জরুরি ভিত্তিতে যাত্রীদের স্বল্প সময়ের নোটিশে টিকিট বুক করতে সাহায্য করতেই রয়েছে তৎকাল স্কিম। কিন্তু এখানে দালালদের রমরমা বাড়তেই থাকে বলে অভিযোগ। ব্যাপক বাড়তে থাকে এর অপব্যবহার। এই কারণে প্রায়শই সমালোচনার মুখে পড়েছে তৎকাল স্কিম (Tatkal Tickets)। যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তৎকালে টিকিটই মিলছে না। যখনই বুকিং করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন ওয়েবসাইটের সার্ভার ডাউন হয়ে যাচ্ছে। সার্ভার ঠিক হতেই এক নিমেষে সব টিকিট সোল্ড আউট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে এজেন্টরা ঠিক তৎকালের টিকিট জোগাড় করে ফেলছেন। এতেই জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এবার দালালদের তৎকাল টিকিট কালোবাজারির দুর্নীতি টেনে ধরা সহজ হবে মনে করা হচ্ছে। রেলের কর্মকর্তারা এনিয়ে জানিয়েছেন, দালালরা জাল পরিচয়পত্র এবং স্বয়ংক্রিয় বট ব্যবহার করে বুকিং প্রোটোকল এড়িয়ে সিস্টেমটিকে কাজে লাগায়। এর ফলে প্রকৃত ভ্রমণকারীদের তৎকাল টিকিট পেতে খুবই সমস্যা হয়।

    ৫ মাসে আড়াই কোটি ভুয়ো ইউজার আইডি ব্লক

    এর পাশাপাশি, টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা আনতে আরও পদক্ষেপ করেছে রেল। আগাম বুকিংয়ের ক্ষেত্রে যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে রেল।  দেখা যায় যে, একটি সাইবার প্রতারণা চক্র ভুয়ো আইডি এবং স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে সাধারণ বুকিং প্রোটোকলগুলিকে বাইপাস করছিল। এই চক্রটি ভুয়ো ইউজার আইডি এবং বটের মাধ্যমে দ্রুত টিকিট বুক করত, যা আসল যাত্রীদের বঞ্চিত করছিল। গত পাঁচ মাসে প্রায় ২০ লক্ষ অন্যান্য অ্যাকাউন্ট সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং আড়াই কোটি ভুয়ো ইউজার আইডি ব্লক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই জালিয়াতি রুখতে রেল কর্তৃপক্ষ এখন একটি “অ্যান্টি-বট” অ্যাপ্লিকেশন মোতায়েন করেছে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি স্বয়ংক্রিয় টিকিট বুকিং শনাক্ত এবং ব্লক করতে সাহায্য করছে। এর ফলে সিস্টেমটি আসল ব্যবহারকারীদের জন্য ন্যায্য এবং সহজলভ্য থাকবে। রেল কর্তারা জানিয়েছেন, এই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    এমন পদক্ষেপ স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে (Indian Railways)

    রেলমন্ত্রী এনিয়ে আরও জানিয়েছেন, এমন পদক্ষেপ স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে। একইসঙ্গে জালিয়াতি কমাবে (Indian Railways)। প্রকৃত ভ্রমণকারীরা আরও সহজেই টিকিট পাবে। রেলকর্তাদের মতে, আধার যাচাইকরণ কেবল তৎকাল টিকিটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, নিয়মিত বুকিংয়ে নয় ক্ষেত্রে যা নিয়ম আছে তাই থাকছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য টিকিট ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করা এবং সামগ্রিক ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করা।

LinkedIn
Share