Tag: মাধ্যম বাংলা

  • London News: অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল লন্ডন, সংঘর্ষ পুলিশের সঙ্গে

    London News: অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল লন্ডন, সংঘর্ষ পুলিশের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার লন্ডনে (London News) টমি রবিনসনের নেতৃত্বে (Tommy Robinsons) আয়োজিত “ইউনাইট দ্য কিংডম” শীর্ষক বিক্ষোভে প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ অংশ নেন। অভিবাসন বিরোধী এই বিক্ষোভ শুরুতে শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরে উত্তেজনা ছড়ায়। রবিনসনের কিছু সমর্থক পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের উপর বোতল ছোড়া হয়, কয়েকজন অফিসারকে ঘুষি ও লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ। মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে ২৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হন, এর মধ্যে চারজন গুরুতরভাবে আহত—কারও দাঁত ভেঙে যায়, কারও মাথায় আঘাত লাগে, আবার কারও নাক ও মেরুদণ্ডে চোট পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    পাল্টা বিক্ষোভ (London News)

    একই সময়ে বামপন্থী সংগঠন “স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম” আয়োজিত “মার্চ এগেইনস্ট ফ্যাসিজম” শীর্ষক পাল্টা বিক্ষোভে প্রায় ৫ হাজার মানুষ অংশ নেন। তাঁরা হাতে প্ল্যাকার্ডে লিখেছিলেন—“শরণার্থীরা স্বাগতম”, “ফ্যাসিবাদ ভাঙো”। অন্যদিকে রবিনসনের সমর্থকরা স্লোগান দেন—“আমরা আমাদের দেশ ফেরত চাই”, “স্টপ দ্য বোটস”, “ওদের ফেরত পাঠাও”। দুই পক্ষের বিক্ষোভ একই দিনে হওয়ায় রাজধানীজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিকেল গড়াতে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বারবার তীব্র বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মেট্রোপলিটন পুলিশকে একাধিকবার হস্তক্ষেপ করতে হয়।

    ভিডিও বার্তা দেন ইলন মাস্ক

    সভায় ভিডিও বার্তায় যোগ দেন টেসলার মালিক ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, অভিবাসনের কারণে ব্রিটেন ধ্বংসের পথে (London News)। সভায় বক্তব্য রাখেন ফ্রান্সের ডানপন্থী রাজনীতিক এরিক জেমুরও, যিনি ইউরোপে মুসলিম অভিবাসনের সমালোচনা করেন। রবিনসন নিজেও অভিযোগ করেন, অভিবাসীরা এখন আদালতে ব্রিটিশ নাগরিকদের চেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। সভায় নিহত মার্কিন রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্ককে স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিক্ষোভে ইংল্যান্ডের সেন্ট জর্জ পতাকা ও যুক্তরাজ্যের ইউনিয়ন জ্যাক উড়তে দেখা যায়। নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ জোর করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

  • Lanza-N Radar: ঘুম উড়বে শত্রুর! ভারতের হাতে এল বিশ্বের সেরা থ্রিডি এয়ার সার্ভিল্যান্স রেডার ‘ল্যাঞ্জা-এন’

    Lanza-N Radar: ঘুম উড়বে শত্রুর! ভারতের হাতে এল বিশ্বের সেরা থ্রিডি এয়ার সার্ভিল্যান্স রেডার ‘ল্যাঞ্জা-এন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের আকাশসীমা সুরক্ষায় বিরাট লাফ ভারতের। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর দুরন্ত প্রতিফলন। আকাশপথে শত্রুর হামলা ঠেকাতে ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) হাতে এল বিশ্বের অন্যতম সেরা থ্রিডি এয়ার সার্ভিল্যান্স রেডার (3D-ASR) সিস্টেম।

    ভারতীয় যুদ্ধজাহাজে লাগল ‘ল্যাঞ্জা-এন’

    পোশাকি নাম ‘ল্যাঞ্জা-এন’ (Lanza-N Radar)। ভারতীয় নৌসেনার জন্য স্পেনের সংস্থা ‘ইন্দ্রা-ল্যাঞ্জা’র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতেই এই সর্বাধুনিক আকাশ নজরদারি ব্যবস্থা তৈরি করেছে দেশীয় কোম্পানি ‘টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড’ (টিএএসএল)। ইতিমধ্যেই প্রথম রেডার সিস্টেমটি নৌসেনার (Indian Navy) একটি রণতরীতে মোতায়েন করা হয়েছে। ক্রমশ, এধরনের আরও ১৯টি থ্রিডি এয়ার সার্ভিল্যান্স রেডার সিস্টেম মোতায়েন করা হবে দেশের যুদ্ধজাহাজগুলিতে।

    কর্নাটকে টাটার কারখানায় তৈরি হচ্ছে

    জানা গিয়েছে, এটি ল্যাঞ্জা-এন আসলে ইন্দ্রার তৈরি ল্যাঞ্জা থ্রিডি রেডারেরই নৌ-সংস্করণ। প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে কর্নাটকে টাটার কারখানাতে এই রেডারগুলি তৈরি হচ্ছে। এই প্রথম স্পেনের বাইরে ল্যাঞ্জা-এন রেডার (Lanza-N Radar) কাজ করতে চলেছে। ২০২০ সালে হওয়া প্রায় ১৪ কোটি ডলারের (প্রায় ১২৮০ কোটি টাকা) চুক্তির আওতায় অবশেষে এটি মাঠে নামছে। কর্নাটকে টাটার কারখানায় এই রেডারগুলি তৈরি করবে। টিএএসএল জানিয়েছে, প্রথম কমিশনিংয়ের পর, ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ার এবং বিমানবাহী রণতরীতে অতিরিক্ত এই রেডার সিস্টেমকে জুড়ে ফেলা হবে।

    বিশ্বের সেরা এয়ার ডিফেন্স রেডারগুলির অন্যতম

    বিশ্বের সেরা দূরপাল্লার এয়ার ডিফেন্স এবং ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী রেডারগুলির মধ্যে এই রেডারের (Lanza-N Radar) স্থান একেবারে উপরের দিকে। এটি ত্রিমাত্রিক মডিউলে কাজ করে। ফলে, আকাশ ও ভূপৃষ্ঠের উভয় লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করতে পারে। রেডারটির সীমা প্রায় ৪৭০ কিমি। এটি ড্রোন, সুপারসনিক যুদ্ধবিমান, বিকিরণ-রোধী ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর নজর রাখতে পারে। পাশাপাশি নৌ প্ল্যাটফর্মও সনাক্ত করতে পারে এই রেডার। যে কারণে, দূরপাল্লার নজরদারির ক্ষেত্রেও যেমন এর জুড়ি মেলা ভার।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের জয়জয়কার

    বর্তমানে দেশে তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ভারতে। কেন্দ্রের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make in India) উদ্যোগের ফলে, বিদেশি প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলি ভারতীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে তৈরি করছে একাধিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম। সেই ক্ষেত্রে এই বড় সাফল্য পেল টিএএসএল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’ (Atmanirbhar Bharat) স্লোগানের অন্যতম ফসল এই ত্রিমাত্রিক রেডার। টিএএসএল-এর তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই কৃতিত্ব অর্জন ভারতের প্রতিরক্ষা আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। স্থানীয়করণের সঙ্গে সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন ও অ্যাসেম্বলির ক্ষেত্রে এটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।”

  • Made in India Rafale: ‘ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল’, প্রস্তাব বায়ুসেনার, খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    Made in India Rafale: ‘ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল’, প্রস্তাব বায়ুসেনার, খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান! প্রস্তাব ভারতীয় বায়ুসেনার।

    কেন্দ্রকে অভিনব প্রস্তাব বায়ুসেনার

    চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিচ্ছে মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান। অবসরের দিকে এগোচ্ছে মিগ-২৯, জাগুয়ার ও মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানগুলিও। সেই যুদ্ধবিমানের পরিবর্তে যে তেজস মার্ক-১এ অন্তর্ভুক্ত করার কথা ছিল, তা দীর্ঘ বিলম্বের শিকার। মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যেই একাধিকবার উষ্মাপ্রকাশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এহেন পরিস্থিতিতে দেশে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হ্রাসের মোকাবিলা এবং বাহিনীর শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এমনই একটি অভিনব প্রস্তাব কেন্দ্রকে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)।

    ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফাল যুদ্ধবিমান

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১১৪টি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফাল যুদ্ধবিমান (Made in India Rafale) কিনতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে সুপারিশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। যুদ্ধবিমানগুলি রাফাল নির্মাণকারী ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাধিক ভারতীয় সংস্থা তৈরি করবে। বায়ুসেনার পাঠানো স্টেটমেন্ট অফ কেস বা প্রস্তাবটির আর্থিক পরিমাণ ধরা হচ্ছে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি, যেখানে দেশীয় উপাদানের অংশগ্রহণ থাকবে ৬০ শতাংশেরও বেশি।

    অপারেশন সিঁদুর-এ রাফালের ভূমিকা

    অপারেশন সিঁদুর-এ রাফাল যুদ্ধবিমান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, তা নিজেদের প্রস্তাবে রাখে বায়ুসেনা। সেখানে রাফাল যুদ্ধবিমানের সাফল্যকে তুলে ধরা হয়। সূত্রের খবর, বায়ুসেনার নোটে বলা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুর অভিযানে রাফাল তার অত্যাধুনিক স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট ব্যবহার করে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চিনা পিএল-১৫ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে।

    আরও উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত

    সূত্রের খবর, বর্তমান রাফালে যে স্ক্যাল্প মিসাইল আছে, তার থেকে আরও উন্নত, অধিক দূরপাল্লার এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিসাইল থাকতে পারে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফালে (Made in India Rafale)। এই স্ক্যাল্প ব্যবহার করেই পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক এবং জঙ্গিদের ঘাঁটিতে নিশানা করেছিল ভারত। ফরাসি সংস্থা ভারতে তৈরি করবে ইঞ্জিন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের আধুনিক কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদে রাফালে ব্যবহৃত এম-৮৮ ইঞ্জিনের জন্য এমআরও ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। উৎপাদনে অংশ নেবে টাটা-সহ একাধিক ভারতীয় সংস্থা।

    খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    সূত্রের খবর, বায়ুসেনার (Indian Air Force) থেকে পাওয়া সুপারিশ নিয়ে বর্তমানে প্রতিরক্ষা অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন শাখা এনিয়ে কাজ করছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে ডিফেন্স প্রোকিউরমেন্ট বোর্ডের বৈঠক বসতে পারে। তার পরে, এই বিষয়ে আলোচনায় বসবে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল। যদি শেষ পর্যন্ত সেই সুপারিশ গৃহীত হয়, তাহলে সেটি ভারত সরকারের স্বাক্ষরিত সর্ববৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে। এই চুক্তি সম্পন্ন হলে ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে রাফালে বিমানের (Made in India Rafale) সংখ্যা দাঁড়াবে ১৭৬। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা ৩৬টি রাফালে পেয়েছে এবং ভারতীয় নৌবাহিনী চুক্তির মাধ্যমে আরও ২৬টি অর্ডার করেছে।

  • Supreme Court: ধর্ষণ ও সম্মতিসূচক যৌন সম্পর্কের পার্থক্য খুঁজতে হাইকোর্টগুলিকে চার ধাপের সুপ্রিম নির্দেশ

    Supreme Court: ধর্ষণ ও সম্মতিসূচক যৌন সম্পর্কের পার্থক্য খুঁজতে হাইকোর্টগুলিকে চার ধাপের সুপ্রিম নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বুধবার এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, ধর্ষণ ও সম্মতিসূচক যৌন সম্পর্কের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। শীর্ষ আদালতের মতে, যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে অভিযোগ যাচাই করার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার, কারণ সব অভিযোগকে একইভাবে দেখা যায় না। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে বিয়ে করার ইচ্ছা না রেখেও কেবলমাত্র যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন, তবে তা প্রতারণা হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে এদিন স্পষ্ট হল, শুধুমাত্র বিয়ের প্রতিশ্রুতিকে ভিত্তি করে প্রতিটি যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ বলা যায় না। কারণ অনেক সময় সম্পর্ক ভেঙে গেলে বা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হলে অভিযোগ ওঠে, যা সবসময় ধর্ষণের আওতায় পড়ে না।

    কী বললেন বিচারপতিরা?

    এই মামলায় বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মিথ্যা বা অযথা অভিযোগ কেবল অভিযুক্তের ভাবমূর্তি নষ্ট করে না, বরং বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার ঘটায়। আদালতের ভাষায়, “ভিত্তিহীন অভিযোগে সমন জারি করা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়, যা অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্মানকে কলঙ্কিত করে।”

    মামলার প্রেক্ষাপট (Supreme Court)

    ২০১৪ সালে এক মহিলা অভিযোগ করেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তি ২০১০ সাল থেকে তার উপর ধর্ষণ, অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক, শারীরিক নির্যাতন এবং জাতিগত অপমান চালিয়েছেন। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তের বাবা-মাকেও মামলায় জড়ানো হয়। চার বছর পর মামলা দায়ের হওয়ায় অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ম্যাজিস্ট্রেট ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৬ (ধর্ষণ) অনুযায়ী সমন জারি করেন, যা পরে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বহাল রাখে।

    সম্মতিসূচক সম্পর্ক ছিল, দাবি অভিযুক্তের আইনজীবীর

    অভিযুক্ত ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। তাঁর পক্ষের আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাহুল কৌশিক জানান, সম্পর্কটি ছিল সম্পূর্ণ সম্মতিসূচক, কিন্তু ভেঙে যাওয়ার পর প্রতিশোধমূলকভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ (Supreme Court)

    সুপ্রিম কোর্ট অভিযোগ খারিজ করে জানায়, মামলায় কোনও নির্দিষ্ট তারিখ বা স্থানের উল্লেখ নেই এবং কেন চার বছর পরে অভিযোগ দায়ের করা হলো তারও বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। শীর্ষ আদালত বলেছে, এই ধরনের অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই এবং মূলত এটি ভাঙা সম্পর্কের একটা প্রতিশোধমূলক রূপ।

    চার ধাপের পরীক্ষা

    এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court), হাইকোর্টগুলোর (High Courts) জন্য একটি চার ধাপের পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে, যা ধারা ৪৮২ সিআরপিসি (বর্তমানে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ধারা ৫২৮) অনুযায়ী ফৌজদারি কার্যক্রম খারিজ করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

    প্রথমত – অভিযুক্ত যে প্রমাণ দিচ্ছে, সেটা একেবারে পরিষ্কার, নিখুঁত এবং সন্দেহহীন হতে হবে।

    দ্বিতীয়ত – যদি ওই প্রমাণকে সত্যি ধরা হয়, তাহলে অভিযোগের ভিত্তি পুরো নষ্ট হচ্ছে কিনা, আর সাধারণভাবে একজন মানুষ ওই অভিযোগকে মিথ্যা বলে বিশ্বাস করবে কি না, সেটা দেখতে হবে।

    তৃতীয়ত – অভিযোগকারী সেই প্রমাণের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে পারছে কি না, বা প্রমাণটা এমন যা বাস্তবে কোনওভাবেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।

    চতুর্থত – আদালতকে দেখতে হবে মামলাটা চালিয়ে গেলে সেটা কি বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার হবে, আর ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করবে কি না।

    এই চারটি শর্ত পূর্ণ হলে, হাইকোর্টের উচিত মামলা খারিজ করে দেওয়া। এতে অভিযুক্ত ব্যক্তি অকারণ হয়রানি থেকে রক্ষা পাবেন এবং আদালতের মূল্যবান সময়ও সাশ্রয় হবে।

    সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের গুরুত্ব

    আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় শুধু এই মামলার জন্য নয়, ভবিষ্যতের বহু মামলার ক্ষেত্রেও পথ দেখাবে। দেশে প্রায়ই দেখা যায়, ভালোবাসার সম্পর্কে থাকাকালীন শারীরিক সম্পর্ক হয়। সেই সম্পর্ক ভেঙে গেলে অনেক সময় ক্ষোভ বা প্রতিশোধ থেকে ধর্ষণের মামলা করা হয়। এতে আসল ধর্ষণ মামলার গুরুত্ব কমে যায় এবং আইনের অপব্যবহার বাড়ে। সুপ্রিম কোর্ট এবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, সব অভিযোগকে অন্ধভাবে গ্রহণ করা যাবে না। আদালতকে ভালো করে দেখতে হবে—অভিযোগ কতটা বিশ্বাসযোগ্য, প্রমাণ কতটা পরিষ্কার, আর অভিযোগকারিণী কেন দেরি করে মামলা করেছেন। এসব খুঁটিনাটি না দেখলে নির্দোষ মানুষ অকারণে ফেঁসে যায়, সমাজে তাঁর সম্মান নষ্ট হয় এবং বিচারব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায়ের ফলে মিথ্যা বা প্রতিশোধমূলক অভিযোগ কমবে। আদালতগুলো এখন থেকে আরও সতর্কভাবে প্রতিটি মামলা খতিয়ে দেখবে। এতে একদিকে যেমন নির্দোষ মানুষ অন্যায়ভাবে হয়রানি থেকে রক্ষা পাবেন, তেমনি সত্যিকারের অপরাধীদের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার পাওয়া আরও সহজ হবে। ফলে বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার রোধে এই রায় একটি বড় দিশা হয়ে থাকবে।

  • Indian Man: ট্রাম্প জমানায় নেই আইনের শাসন, আমেরিকায় মাথা কেটে খুন করা হল প্রৌঢ় ভারতীয়কে

    Indian Man: ট্রাম্প জমানায় নেই আইনের শাসন, আমেরিকায় মাথা কেটে খুন করা হল প্রৌঢ় ভারতীয়কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াশিং মেশিন নিয়ে বিবাদ। আর তাতেই আমেরিকার ডালাসে ঘটল ভারতীয়র (Indian Man) নৃশংস হত্যাকাণ্ড। প্রাণ হারালেন কর্নাটকের বাসিন্দা ভারতীয় প্রৌঢ় চন্দ্র নাগামাল্লাইয়াহ্‌ (৫০)। নিজের স্ত্রী ও ১৮ বছরের পুত্রের চোখের সামনেই তাঁকে মাথা কেটে খুন করে হোটেলের কর্মচারী ইয়োরডানিস কোবোস-মার্টিনেজ (৩৭)। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডালাসের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর ফের উঠছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন। বন্দুকবাজদের দৌরাত্ম্য সেদেশে এককথায় রুটিনে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই বন্দুকবাজদের হামলায় হতাহতের ঘটনা প্রচুর ঘটছে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে। অগাস্ট মাসের শেষে আমেরিকার এক স্কুলে হামলা চালায় এক বন্দুকবাজ। এতে নিহত হয় ২ শিশু। চলতি সপ্তাহের বুধবারই ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি খুন হলে, সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়, সে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সবই প্রমাণ করে দিচ্ছে সে দেশে (USA) আইন-শৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণ কার্যত শিথিল, প্রশাসনের শাসনও দুর্বল হয়ে পড়েছে।

    কীভাবে বিবাদের সূত্রপাত?

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ডালাসের রাস্তায় একটি ছোট হোটেল চালাতেন চন্দ্র নাগামাল্লাইয়াহ্‌। সেখানেই কাজ করত অভিযুক্ত। সম্প্রতি হোটেলের ওয়াশিং মেশিন ভেঙে যাওয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা বাঁধে। প্রৌঢ় কর্মচারীকে মেশিন ব্যবহার না করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু অভিযুক্ত প্রথমে মালিকের কথা বুঝতে না পেরে অন্য এক সহকর্মীর মাধ্যমে অনুবাদ শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এর পর ধারালো অস্ত্র নিয়ে তিনি প্রৌঢ়ের (Indian Man) উপর চড়াও হন। রক্তাক্ত অবস্থায় পালানোর চেষ্টা করেন প্রৌঢ়। স্ত্রী ও ছেলে তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁদেরও ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয় খুনি। শেষে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রৌঢ়ের মাথা কেটে ফেলে সে। ছিন্ন মুণ্ডে লাথি মেরে তা নিয়ে জঞ্জালের স্তূপের দিকে হাঁটতে শুরু করে। ঠিক সেই সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। রক্তমাখা পোশাকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে।

    ভারতীয় দূতাবাসের বিবৃতি

    হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে আমেরিকায় (USA) অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। ভারতীয় দূতাবাস এনিয়ে সমাজমাধ্যমে লিখেছে, ‘‘চন্দ্র নাগামাল্লাইয়াহ্‌-র (Indian Man) দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুতে (Indian Man) আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। চন্দ্র ভারতীয়। ডালাসে কর্মস্থলে তাঁকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা পরিবারটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত এখন ডালাস পুলিশের হেফাজতে। বিষয়টির দিকে আমরা নজর রাখছি।’’

    বুধবারই খুন হন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ নেতা, সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায় উঠছে প্রশ্ন!

    চলতি সপ্তাহের বুধবারে আমেরিকাতে খুন হন ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ এক নেতা। জানা গিয়েছে, ওই নেতার নাম চার্লি কির্ক। ৩১ বছর বয়সী ওই নেতা বুধবার আমেরিকার ইউটা ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। হঠাৎ এই ভিড়ের মধ্যে থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলে নিহত হন তিনি। এই ঘটনায় পরবর্তীকালে শোক প্রকাশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নিহত চার্লিকে মহান দেশপ্রেমিক ও শহীদ বলে আখ্যা দেন। তিনি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আগামী রবিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আমেরিকার সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তিনি যা বলেননি তা হলো—একবারের জন্যও ভাবা যায়, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি কার কারণে হলো। কিভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ একজন ব্যক্তি যদি ভিড়ের মধ্যে খুন হয়ে যেতে পারেন, তাহলে সেখানকার সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়?

    অগাস্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে হামলা, ২ শিশু নিহত

    গত অগাস্ট মাসেই মিনেসোটা প্রদেশের মিনিয়াপলিসে একটি ক্যাথলিক স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে, যা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় কমপক্ষে দুইজন শিশু নিহত হয় এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়। স্কুল চলাকালীন এক বন্দুকধারী মিনিয়াপলিস ক্যাথলিক হাইস্কুলে ঢুকে গুলিবর্ষণ শুরু করে। হামলার সময় পাঁচজন স্কুলছাত্র গুরুতর আহত হন এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর ওই বন্দুকবাজ স্কুলের পাশে থাকা একটি চার্চেও হামলা চালায়, যেখানে দু’জনের মৃত্যু হয় এবং আরও কয়েকজন আহত হন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গুলি চালানোর সময় স্কুলের শিশুরা সকালের প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করছিল। হামলাগ্রস্ত এই ক্যাথলিক স্কুলটি মিনিয়াপোলিসের দক্ষিণ-পূর্ব আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এবং প্রি-স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা এখানে পড়াশোনা করে। বর্তমানে প্রায় ৩৯৫ জন শিশু এই স্কুলে শিক্ষা গ্রহণ করছে।

  • Suvendu Adhikari: ডিসেম্বরে ব্রিগেডে পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ, থাকবেন ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ডিসেম্বরে ব্রিগেডে পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ, থাকবেন ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’বছর আগে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে হয়েছিল ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’। লোকসভা ভোট ঘোষণার কয়েক মাস আগেই সেই অভিনব কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছিল। এবার বিধানসভা ভোটের আগে আবারও ব্রিগেডে একই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘোষণা করেছেন, এ বার অন্তত পাঁচ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটবে।

    পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দুর ঘোষণা (Suvendu Adhikari)

    বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়। বিজেপির নামে নয়, ‘সনাতনী ঐক্য মঞ্চ’ নামক সংগঠনের ব্যানারে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছিল। হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে আয়োজন করা হয় এই বিক্ষোভ মিছিল। মিছিল শেষে চণ্ডীপুর থানার সামনে জনসভায় বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভায় সাধু সমাজের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি ব্রিগেডে ‘পাঁচ লক্ষ হিন্দুর গীতা পাঠ’-এর (Gita) কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    ৭ ডিসেম্বরের দিন হবে গীতা পাঠ, জানাচ্ছে আয়োজক সংস্থা

    শুভেন্দুর কথায় (Suvendu Adhikari), ‘‘ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাগেশ্বর ধাম থেকে ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী আসবেন। ব্রিগেডে পাঁচ লক্ষ হিন্দু একসঙ্গে গীতা পাঠ করবেন।’’ আয়োজক সংগঠন ‘সনাতন সংস্কৃতি সংসদ’-এর সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে ৭ ডিসেম্বরের দিন ধার্য হয়েছে। বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ্বর ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী এতে যোগদানের সম্মতি দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। ২০২৩ সালের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দ্বারকাপীঠের শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতী, যিনি হিন্দু ধর্মের চার শীর্ষ পদাধিকারীর অন্যতম।

    মূল দায়িত্বে কার্তিক মহারাজ

    ২০২৩ সালের গীতাপাঠের (Gita) আয়োজন করেছিল একাধিক ধর্মীয় সংগঠন। তবে ২০২৪ সালে শিলিগুড়িতে যে সমবেত গীতাপাঠ হয়, তা একাই আয়োজন করে ‘সনাতন সংস্কৃতি সংসদ’, সংগঠনের নেতা ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী স্বামী প্রদীপ্তানন্দের (কার্তিক মহারাজ) নেতৃত্বে। এ বারও মূল দায়িত্ব তাদের কাঁধেই থাকছে। যদিও শুরু থেকেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই উদ্যোগকে নেপথ্য থেকে সমর্থন দিয়ে এসেছেন। চণ্ডীপুরের সভায় তাঁর ঘোষণাই স্পষ্ট করে দিয়েছে, এবারও তাঁর দলবল জমায়েতের প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে। আয়োজকদের বক্তব্য, এবারের গীতাপাঠ হবে আগের সব আয়োজনের থেকে অনেক বেশি বিস্তৃত ও ঐতিহাসিক। তাঁদের দাবি, গতবারই লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ ঘটেছিল, যা রাজ্যে একটি নজির তৈরি করেছিল। তবে এবারের আয়োজনকে তারা আরও বৃহৎ আকারে গড়ে তুলতে চাইছেন।আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু কলকাতা বা আশেপাশের জেলাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এ বার ব্রিগেডে আসবেন। এ জন্য আগেভাগেই বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও সাধু-সন্তদের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।

    জুন মাসেই গীতা পাঠের এই অনুষ্ঠানের কথা ঘোষণা করেছিলেন কার্তিক মহারাজ

    এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য, ব্রিগেডে গীতাপাঠের প্রসঙ্গ প্রথম সামনে আসে চলতি বছরের জুন মাসে। সেই সময়েই ব্রিগেডে পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ আয়োজনের কথা ঘোষণা করেছিলেন পদ্মশ্রী-পুরস্কারপ্রাপ্ত ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজ। তিনি জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে একাধিক ধর্মগুরুর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল এবং নানা বিষয়ে আলাপ-আলোচনার পরই তিনি এই পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের ঘোষণা করেন। রাজ্যে হিন্দু ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই গীতাপাঠকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আয়োজকদের মতে, সমবেত গীতাপাঠ কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং হিন্দু সমাজকে একত্রিত করার এক মহৎ প্রচেষ্টা। সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যের রাজনৈতিক আবহে যে বিভাজনের ছবি স্পষ্ট হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ আরও বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। কারণ সম্প্রতি তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ উঠেছে এবং একাধিক ক্ষেত্রে তাদের হিন্দুবিরোধী চিত্রও প্রকাশ্যে এসেছে।

    অনুষ্ঠানের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই

    যদিও কার্তিক মহারাজ সবসময় স্পষ্ট করেছেন যে, উদ্যোক্তারা জানেন— এই কর্মসূচির সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই। গত জুন মাসেই তিনি এ কথা পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন। কার্তিক মহারাজ বলেছিলেন, “এখন গ্রামে গ্রামে, জেলায় জেলায় গীতা পাঠ হচ্ছে। যার ফলে মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তনও হচ্ছে। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।” এরপরেই তাঁর সংযোজন, “রাজনীতির সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। গীতা এমন এক ধর্মগ্রন্থ যা হাজার হাজার বছর ধরে মানবজাতির কল্যাণে নিয়োজিত। বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও গীতা পড়েন। পৃথিবীর সমস্ত ভাষায় গীতা অনুবাদ হয়েছে। এখন সনাতন হিন্দু ধর্মের কথা বললেই বিজেপির কথা বলা হলে তো হাস্যকর ব্যাপার।”

  • Snoring: ঘুমের পরেই নাক ডাকার আওয়াজে হিমশিম! কোনও রোগের ইঙ্গিত কি?

    Snoring: ঘুমের পরেই নাক ডাকার আওয়াজে হিমশিম! কোনও রোগের ইঙ্গিত কি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দুপুরের ভুরিভোজের পরের স্বল্প সময়ের সুখ নিদ্রায় হোক কিংবা দিনভরের ক্লান্ত শরীরে রাতের বিছানায় গভীর ঘুমে, ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে নিজের নাক! এমন নাকের ডাক, যে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের তো বটেই, নিজের ঘুম ও অনেক সময় ভেঙে যাচ্ছে। নাক ডাকার বিচিত্র অদ্ভুত আওয়াজ নিয়ে রসিকতা ও করছেন পরিবার। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিছক মজার বিষয় মনে হলেও ব্যাপারটা আসলে খুবই গুরুতর। স্বাস্থ্য নিয়েও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতোই একটি সমস্যা। তাই পরিবারের কেউ মারাত্মক নাক ডাকলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। বরং চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেন নাক ডাকার সমস্যা হয়?

    স্থূলতার সমস্যা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নাক ডাকার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত ওজন। দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে ঘুমের সময় নাক দিয়ে আওয়াজ হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওজন বেড়ে যাওয়ার অর্থ শরীরে অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ তৈরি হয়ে যাওয়া। গলা এবং ঘাড়ের অংশে অতিরিক্ত মেদ তৈরি হয়ে যাওয়ার কারণে শ্বাসনালীতে চাপ পড়ে। আর সেই জন্য নাক ডাকার সমস্যা দেখা যায়।

    অ্যালার্জিজনিত সমস্যা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যালার্জির কারণেও নাক ডাকার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই অনেকে নানান অ্যালার্জিতে ভোগেন। যার জেরে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো কিংবা সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আর তার জেরেই নাক ডাকার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।

    মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস!

    মদ্যপান ও ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। লিভার, ফুসফুসের একাধিক রোগের কারণ এই দুই অভ্যাস। আবার নাক ডাকার মতো সমস্যাও বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ধুমপান করলে ঘুমের সময় মুখ ও গলার পেশি শিথিল হয়ে যায়। এর ফলেই নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় অদ্ভুত একটা আওয়াজ তৈরি হয়। ফলে নাক ডাকার সমস্যা দেখা দেয়।

    ভিটামিন ডি অভাব!

    সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নাক ডাকার অন্যতম কারণ ভিটামিন ডি-র অভাব। ওই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী চিকিৎসক-গবেষকদের একাংশ বলছেন, ভিটামিন ডি যেমন শরীরের হাড় মজবুত করতে প্রয়োজনীয়। তেমনি শরীরে গভীর ঘুমের জন্য ও ভিটামিন ডি জরুরি। শরীরের সমস্ত পেশি, স্নায়ুর বিশ্রাম প্রয়োজন। তবেই শরীর আবার নতুনভাবে কাজের শক্তি পাবে। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকলে ঘুমের গুণগত মান বাড়ে। অর্থাৎ শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শরীরে ভিটামিন ডি অভাব থাকলে ঠিকমতো ঘুম হয় না।‌ ফলে পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্ষমতা কমে। নাক ডাকার মতো সমস্যাও তৈরি হয়।

    কেন নাক ডাকার সমস্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নাক ডাকার সমস্যা একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। ঘুমের মধ্যে শ্বাসনালীতে ঠিকমতো অক্সিজেন পৌঁছয় না। নিঃশ্বাস ও প্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় বাধা‌ তৈরি হয়। তার জেরেই নাক ডাকার মতো সমস্যা তৈরি হয়। তাই অতিরিক্ত নাসিকা‌ গর্জনে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো বিপদ ও ঘটতে পারে। ঘুমের ভিতরে হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো বিপদ ঘটনার পিছনেও থাকে নাক ডাকার সমস্যা। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। অতিরিক্ত নাক ডাকার সমস্যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো রোগের জন্ম দেয়। তাই নাক ডাকার মতো সমস্যা মোটেও অবহেলা করা উচিত নয় বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সেনারা কেন পালাবে, সেনাদের দেখেই ছারপোকা পালিয়েছে’’, মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘সেনারা কেন পালাবে, সেনাদের দেখেই ছারপোকা পালিয়েছে’’, মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০ সেনা নাকি তাঁকে দেখে পালিয়েছে, এরই প্রতিবাদে মেয়ো রোডে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। সেই মঞ্চে বৃহস্পতিবার যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেনাকে কেন অপমান করলেন মুখ্যমন্ত্রী? এই প্রশ্ন তুলে সরব হলেন শুভেন্দু। তিনি বললেন, “টুকরে টুকরে গ্যাঙের মানসিকতা মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)।” শুভেন্দু আরও বলেন, “সেনারা কেন পালাবে, সেনাদের দেখেই ছারপোকা পালিয়েছে ডোরিনা ক্রসিং। আমাদের দেশের সেনাকে দেখে চিন পালায়, পাকিস্তান পা ধরে।”

    আগেও সেনাকে অপমান করেছেন মমতা

    তিনি (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “প্রত্যেক ঘটনাতে সেনাকে অপমান করা হয়েছে। অবন্তিপোরায় জঙ্গি হামলার পর যখন আমাদের বায়ুসেনা যখন ভিতরে ঢুকে মেরে এসেছিল, তখন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, প্রমাণ কোথায়?” শুভেন্দু এদিন আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) একবার সারা রাত নবান্নে কাটিয়েছেন। কেন জানেন? আর্মি একটা সার্ভে করে। বড় বড় ব্রিজে কত গাড়ি যাতায়াত করে ইন্টারন্যাশানালি, সেটাকে কাউন্ট করার একটা সার্ভে হয় কয়েক বছর অন্তর অন্তর। এক বছর গাড়ি কাউন্ট করছিল দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, আর্মি ঢুকে পড়েছে!” ঘটনার রেশ ধরেই শুভেন্দু বলতে থাকেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এটা যেন আলাদা দেশ, যে সেনা ঢুকে পড়ল? কেন? তার প্রতিবাদে তিনি সেই রাতে নবান্নে ছিলেন।” শুভেন্দুর প্রশ্ন, “এটা কোন ধরনের মানসিকতা? এটা দেশ বিরোধীদের মানসিকতা।” তখনই তিনি অভিযোগ করেন, “টুকরে টুকরে গ্যাঙের মানসিকতা মুখ্যমন্ত্রীর।”

    প্রশাসন ও কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ

    প্রসঙ্গত সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে দেখে ২০০ সেনা পালিয়েছে। আমি বললাম আপনারা কেন পালাচ্ছেন। আপনারা বিজেপির কথায় এটা করেছেন। আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। কোনও সমস্যা থাকলে আমাদের আগে জানাতে পারতেন।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। মেয়ো রোডে প্রতিবাদে বসতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন সেনা কর্মীরা। প্রশাসন ও কলকাতা পুলিশ তাঁদের অনুমতি দিচ্ছে না, এমন অভিযোগও ওঠে। সে প্রসঙ্গেও এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওঁদের কেউ পঁচিশ বছর, কেউ কুড়ি বছর, জীবনের যে প্রাইম টাইম, তাঁরা দেশের সেবায় নিয়োজিত করেছেন। এখনও দেশকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছেন। তাঁদের যে অপমান করা হয়েছে, তাঁরা প্রতিবাদ করতে এখানে বসতে চান। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য সরকার অনেক শর্ত চাপিয়েছে, যাতে এখানে কোনওভাবেই করতে না পারেন।”

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, চার্জ গঠন পার্থ-পরেশ-অঙ্কিতাদের বিরুদ্ধে, এ বার শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া 

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, চার্জ গঠন পার্থ-পরেশ-অঙ্কিতাদের বিরুদ্ধে, এ বার শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি-র (SSC Scam) একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)-সহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জ (SSC Scam) গঠন করল আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারক বিশ্বরূপ শেঠ এই চার্জ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে এবার শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া।

    কোন কোন ধারায় চার্জ গঠন

    এই মামলায় শুধুই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নন, অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, তাঁর কন্যা, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান-সহ আরও অনেক প্রভাবশালী নাম। আদালত সূত্রে খবর, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (IPC 120B), প্রমাণ নষ্ট করা (IPC 201), প্রতারণা (IPC 420), নথি জাল করা (IPC 467, 468) ও জাল নথি ব্যবহার (IPC 471)— এই ধারাগুলোতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়েছে।

    কারা রয়েছেন?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় এই প্রথমবার চার্জ গঠন হলো। মামলার শুনানি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে। মামলার নথি অনুযায়ী অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন— পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, সমরজিৎ আচার্য, নিয়োগ কর্তা (SSC Scam) কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, আধিকারিক অশোক সাহা ও পর্ণা বসু। নাম রয়েছে বেশ কিছু এজেন্টেরও, পাশাপাশি নাইসা আধিকারিক পঙ্কজ বনশল ও নীলাদ্রি দাসের।

    শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি পার্থ

    শারীরিক অসুস্থতার কারণে (SSC Scam) দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারও তিনি হাসপাতালের শয্যা থেকে সওয়াল করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তাঁর বক্তব্য— “আমায় মুক্তি দিন, সমাজের সামনে দাঁড়াতে দিন। জেলের অন্ধকারে আমাকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে।” তবে আদালত তাঁর এই আবেদন খারিজ করে দেয়। একইভাবে পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা আদালতে মামলা থেকে অব্যাহতির আর্জি জানালেও বিচারক তা গ্রহণ করেননি। তাঁদের দাবি ছিল— তাঁরা নির্দোষ। আইনজীবীর সওয়ালে বলা হয়, অঙ্কিতা নিজের যোগ্যতাতেই চাকরি পেয়েছিলেন। তখন পরেশ অধিকারী কোনও পদে ছিলেন না, তাই প্রভাব খাটানোর প্রশ্নই ওঠে না। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান অঙ্কিতা অধিকারী। কিন্তু সেই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ববিতা সরকার নামে আরেক প্রার্থী। ২০২২ সালের মে মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করে দেয় এবং প্রাপ্ত বেতনের অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

  • Suvendu Adhikari: কেন বিধানসভায় রক্ষী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী? স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন বিধানসভায় রক্ষী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী? স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে প্রবেশ করার ঘটনায় স্পিকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা (Contempt Of Court) দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশেই বিধানসভায় নিরাপত্তারক্ষী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল— মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী বিধানসভায় ঢুকতে পারবেন না।

    স্পিকারের আদালত অবমাননা (Contempt Of Court)!

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর রক্ষীদের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে স্পিকার আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন। শুধু তাই নয়, আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী আবেদন করেছেন যাতে বিধানসভার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মামলার শুনানি আগামী সপ্তাহে হতে পারে। তার আগেই রাজনৈতিক মহলে উত্তাপ ছড়িয়েছে। যদিও তৃণমূল এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি, বিজেপির অভিযোগ— স্পিকারের এই সিদ্ধান্ত আদালতের রায়কে অগ্রাহ্য করার সামিল।

    হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়

    বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়— তাহলে কি বিধানসভায় আইন সমানভাবে প্রযোজ্য নয়? শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবীর যুক্তি, বিধানসভার স্পিকার নিজেই জানিয়েছিলেন কোনও বিধায়ক নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। তবুও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাপত্তারক্ষীসহ প্রবেশ করেছেন, যা আদালত অবমাননার সমান।

    শুভেন্দুর মামলায় কী রায় দিয়েছিলেন বিতারপতি অমৃতা সিনহা?

    এর আগে, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বিধানসভায় ঢোকার অনুমতি চেয়ে মামলা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল— তৃণমূল বিধায়কদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের প্রবেশাধিকার রয়েছে, অথচ বিজেপি বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের গেটের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। সে সময় হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেনি। তবে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, বিধানসভার আইন অনুযায়ী সেই নোটিস বহাল থাকবে। পাশাপাশি তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল— বিধানসভার সচিবকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে এই নিয়ম সব দলের বিধায়কদের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য হয়।

LinkedIn
Share