Tag: মাধ্যম বাংলা

  • RSS: দেশের প্রতিটি রাজ্যেই প্রভাব বাড়ছে আরএসএস-এর, উল্লেখ সংঘের রিপোর্টে

    RSS: দেশের প্রতিটি রাজ্যেই প্রভাব বাড়ছে আরএসএস-এর, উল্লেখ সংঘের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক রাজস্থানের যোধপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকটি শুরু হয় গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে এবং চলবে আগামী রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকে সংঘের (RSS Work) ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত ৩২টি সংগঠন অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, রাষ্ট্রীয় সেবিকা সমিতি, বনবাসী কল্যাণ আশ্রম, সংস্কার ভারতী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, ভারতীয় কৃষক সংঘ, বিদ্যাভারতী, ভারতীয় মজদুর সংঘ এবং বিজেপি প্রবৃদ্ধি। এই আবহে সামনে এল সংঘের কাজের রিপোর্ট। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, সারাদেশে সংঘের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

    স্বয়ংসেবকদের নানান উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছে

    ওই রিপোর্টে সারা দেশের সাংগঠনিক কার্যক্রম, সামাজিক কর্মসূচি, সাংগঠনিক প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা, সংগঠনের বিস্তার এবং বর্তমান জাতীয় পরিস্থিতির একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরেছে সংঘ (RSS)। প্রতিবেদনটি শুধু সংঘের বিস্তারই নয়, সমাজে সংঘের (RSS Work) গ্রহণযোগ্যতা এবং প্রভাব বৃদ্ধিকেও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে।
    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমাজের বিশিষ্টজন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও সংঘের কার্যক্রমের প্রতি আস্থা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংঘের দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক ভাবনা এবং স্বয়ংসেবকদের (RSS) নানান উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক সমর্থন ও সহযোগিতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    গত বছর সারাদেশে ১,১৪৪টি প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে, ৩১,৬২৬ জন স্বয়ংসেবক অংশ নিয়েছেন

    আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে অনুকূল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে কার্যক্রম সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পরিশ্রম চালানো প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে কর্মপদ্ধতিতে দৃঢ়তা, কার্যক্রমের গুণগত মান উন্নয়ন এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে পৌঁছানো আবশ্যক বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
    সাংগঠনিক দিক থেকে দেখা যায়, গত বছর সারাদেশে ১,১৪৪টি প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ৩১,৬২৬ জন স্বয়ংসেবক অংশ নিয়েছেন।

    পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলায় ১০০ নয়া শাখা চালু হয়েছে

    রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কাজও। নদিয়ায় এক বছরে ১০০টি নতুন শাখা চালু হয়েছে, এর সঙ্গে রয়েছে ৫০টি মিলন এবং ৫০টি মণ্ডলী। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, উত্তর অসমে জেলা ভিত্তিক শীতকালীন শিবিরে ৭,৬৮৫ স্বয়ংসেবক অংশ নিয়েছেন, দক্ষিণ অসমে অংশগ্রহণ করেছেন ৩,৮৭৯ স্বয়ংসেবক। ছত্তিশগড় প্রদেশে ‘পূর্ণ বিভাগ’ লক্ষ্য পূরণ করে ১৫৪ মণ্ডল ও ৩২টি বস্তিতে নতুন শাখা চালু হয়েছে।

    বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির কথাও উল্লেখ

    সামাজিক কর্মসূচিতেও সংঘের (RSS) অবদান বিরাট বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গো-সেবা উদ্যোগের আওতায় ৬৪৭টি গো-কথা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ১,৭৬,১৮৯ জন অংশগ্রহণ করেছেন। ৭৭টি গো-সেবা সঙ্গমে অংশগ্রহণ করেছেন ১,৫৬,৯৯০ জন। গো-বিজ্ঞান পরীক্ষায় ৮,৬২৬ কেন্দ্রে ৬,৮২,৪৩৯ পড়ুয়া অংশগ্রহণ করেছেন। দীপাবলিতে গোবরের প্রদীপ ব্যবহার করে ১১,২৮,৩৪৩টি পরিবারের কাছে ২৩,৭০,৩২৩টি প্রদীপ বিতরণ করা হয়েছে। গোপাষ্টমীতে ২৪,১২৭টি অনুষ্ঠান হয়েছে, যার মধ্যে অংশগ্রহণ করেছেন ৭,২২,১৫৬ জন।

    পরিবেশ রক্ষায় সংঘের ভূমিকার কথা উল্লেখ

    পরিবেশ রক্ষায় সংঘের প্রচেষ্ট বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। NSPC ২০২৪ প্রতিযোগিতায় ৭,০৯,১৭৩ পড়ুয়া অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ১০৭টি অন্যান্য দেশের পড়ুয়ারাও রয়েছেন। ‘এক থালা–এক থলে অভিযান’-এ ১৪,১৭,০৬৪ প্লেট এবং ১৩,৪৬,১২৮ থলে বিতরণ করা হয়েছে, যার ফলে প্লাস্টিক ব্যবহারে ৮০–৮৫% হ্রাস এসেছে এবং প্রতিদিন আনুমানিক ৩.৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

    গ্রামীণ উন্নয়নে এবং সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় সংঘের কাজ এগিয়েছে

    গ্রামীণ উন্নয়ন ও সামাজিক সম্প্রীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলে নারী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উদ্যোগে অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়েছে। কর্ণাটক দক্ষিণ প্রান্তে প্রায় ১,০০০ গ্রামে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, ৭৭৩ গ্রামে গ্রাম সঙ্গমে ১১,০০০ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুরে শিশু সংস্কার কেন্দ্র চালু হয়েছে, যা ১৮টি গ্রামে কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং অল্পবয়সে বিয়ে রোধে ভূমিকা রাখছে। অন্ধ্রপ্রদেশের অনাকাপল্লিতে গ্রামবাসীরা যৌথভাবে অর্থ সংগ্রহ করে সর্বজনীন শ্মশানঘাট নির্মাণ করেছেন। মধ্য ভারতের চম্বল অঞ্চলে ৬৮৩ গ্রামে ‘এক মন্দির–এক শ্মশান’ নীতি বাস্তবায়িত হয়েছে। কাশীতে প্রথমবার জাতিভেদ না মেনে সমবেত ভোজের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে অংশ নিয়েছে ৪০০ পরিবার।

    সাংস্কৃতিক কাজ ও জাতীয়স্তরের নানা কর্মসূচিতেও সংঘ সফল

    সাংস্কৃতিক কাজ ও জাতীয়স্তরের নানা কর্মসূচিতেও সংঘ সফল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের বিজয়া দশমী উৎসবে নাগপুরে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন ইসরো প্রধান ড. কে. রাধাকৃষ্ণন। গোপাষ্টমী ও গো-নবরাত্রি উপলক্ষে সারা দেশে হাজার হাজার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও মহারাজা সোহেলদেব, সন্ত শিরোমণি রবিদাস, গীতা জয়ন্তী প্রভৃতি উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন প্রান্তে মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ভবিষ্যতের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে শতবর্ষ উদযাপনের কর্মসূচিগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করা যায়। প্রতিটি মণ্ডল ও বস্তিতে শাখা বিস্তার, পরিবেশবান্ধব সমাজ গঠন, সামাজিক সম্প্রীতি জোরদার, যুবক ও নারীদের সংগঠনে আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়া, এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা হবে। রিপোর্টে সংঘের মূল বার্তা তুলে ধরা হয়েছে এই শ্লোকের মাধ্যমে, “সমাজই আমাদের আরাধ্য, সেবাই আমাদের পুজো। ভরত মাতার বৈভব বৃদ্ধির সেবা-সংকল্পই আমাদের সাধনা।”

    দেশভক্তি, সততা এবং উজ্জ্বল চরিত্রের উদাহরণ স্থাপন করতে হবে

    ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএস-এর মতো শক্তি, সমাজকে জাগ্রত ও সুসংগঠিত করার মহৎ কাজের জন্য নিয়োজিত। সময়ের চাহিদা অনুযায়ী সমাজের বাকি অংশকেও জাগ্রত করার কাজ এবং সঠিক দিকনির্দেশ আরএসএসকেই করতে হবে। সমাজের বৃহত্তর অংশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে, তাঁদেরকে এই মহৎ উদ্দেশ্যে যুক্ত করা জরুরি বলে মনে করে আরএসএস। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, আমাদের উচিত সংগঠনকে পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা, যাতে এটি সমাজে অর্থবহ এবং দৃঢ় ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য সদিচ্ছা সম্পন্ন মানুষদের অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিতে হবে, তাঁদেরকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। দেশভক্তি, সততা এবং উজ্জ্বল চরিত্রের উদাহরণ স্থাপন করতে হবে। এইভাবে আমরা একটি ঐক্য়বদ্ধ ও শক্তিশালী সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারব।

  • Ashoka Emblem: শ্রীনগরে দরগার ফলকে স্থাপিত ‘অশোক স্তম্ভ’ ভেঙে দিল মৌলবাদীরা, ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলল বিজেপি

    Ashoka Emblem: শ্রীনগরে দরগার ফলকে স্থাপিত ‘অশোক স্তম্ভ’ ভেঙে দিল মৌলবাদীরা, ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীনগরের হযরত বাল দরগায় সম্প্রতি একটি ফলক (স্মারক পাথর) স্থাপন করা হয়, যেখানে ভারতের জাতীয় প্রতীক ‘অশোক স্তম্ভ’ (অশোক চিহ্ন) ছিল (Ashoka Emblem)। শুক্রবার ওই ফলকটিতে একদল মৌলবাদী হামলা চালায় এবং তা ভেঙে ফেলে। তাদের দাবি, এই জাতীয় প্রতীকের ইসলামের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই এবং জাতীয় প্রতীকের ব্যবহার করে ইসলামের ঐতিহ্যকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শ্রীনগরে।

    ঘটনাকে সমর্থন করলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তানভীর সাদিক

    ন্যাশনাল কনফারেন্সের (Srinagar) নেতা তানভীর সাদিক সংবাদমাধ্যমে জানান, ইসলামে মূর্তি পুজো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং ওই ফলকে ব্যবহৃত প্রতীক ইসলামের বিশ্বাসের পরিপন্থী (Ashoka Emblem)। নিজের সমাজ মাধ্যমে তানভীর আরও লেখেন, “ইসলামের পবিত্র স্থানগুলিতে শুধু ‘তাওহীদের পবিত্রতা’ প্রতিফলিত হওয়া উচিত, অন্য কিছু নয়।”  অনেকেই বলছেন, বোঝাই যাচ্ছে, নিজের হাতে তানভীর  ওই জাতীয় প্রতীক না ভাঙলেও, তাঁর ভয়ঙ্কর উস্কানি ছিল। এই জাতীয় প্রতীক ভাঙার ঘটনায় তিনি নিন্দা তো জানাননি, উল্টে যারা ভেঙেছে তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে নিজের বাড়িতে ডেকে জঙ্গিদের খাওয়ানোর।

    বাড়িতে ডেকে জঙ্গিদের খাওয়ায় তানভীর সাদিক, অভিযোগ ডঃ আন্ধ্রাবির

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি নেত্রী ও জম্মু-কাশ্মীরের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন ডঃ দরখশান আন্ধ্রাবি। তিনি এটিকে একটি ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে।যদিও তিনি সরাসরি নাম করেননি, তবে তানভীর সাদিকের ভূমিকা প্রসঙ্গে ডঃ আন্ধ্রাবি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তাঁর অভিযোগ, তানভীর সাদিকই দরগায় অশোক স্তম্ভ (Ashoka Emblem) বসানোর বিরোধিতা করেছিলেন, এবং তিনিই এই হামলার মদতদাতা। তিনি আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন, “ওই বিধায়ক (তানভীর) নিজের বাড়িতে জঙ্গিদের খাওয়ান, আর জম্মু-কাশ্মীরের শাসক দলের গুন্ডারা এই হামলা চালিয়েছে (Srinagar)।”

  • Election Commission: রাজ্যে এসআইআর শীঘ্রই? জোড়া বৈঠকে বসছে রাজ্য সিইও দফতর

    Election Commission: রাজ্যে এসআইআর শীঘ্রই? জোড়া বৈঠকে বসছে রাজ্য সিইও দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। এই প্রক্রিয়াকে ঘিরে পরপর দুটি বৈঠক করতে চলেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর (SIR)। রবিবার ও সোমবার বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সোমবার রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হবে। ওই দিন অতিরিক্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর (Election Commission)। তার আগে, শনিবার অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতির লক্ষ্যে দফতরের আধিকারিকেরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন।

    ১০ তারিখ বৈঠক ডেকেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)

    স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) দফতর কতটা প্রস্তুত, তা খতিয়ে দেখতেই আয়োজিত হয়েছে জোড়া বৈঠক। এই বৈঠকগুলোর পর, ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ডাকা বৈঠকে রাজ্যের তরফে বিস্তারিত প্রতিবেদন পেশ করবেন সিইও — এমনটাই জানা গিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে। অর্থাৎ একপ্রকার ধরে নেওয়া যাচ্ছে, রাজ্যে এসআইআর হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

    বাংলায় শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে এসআইআর!

    এদিকে, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন মনে করিয়ে দিয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত সিইও দফতরে নিয়োগের জন্য চারজন আধিকারিকের নামের প্যানেল পাঠানো হয়নি। চিঠিতে দ্রুত ওই চার আধিকারিকের নিয়োগের উদ্দেশ্যে প্যানেলের নাম পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই বিহারে শুরু হয়েছে এসআইআর বা ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষা (Election Commission)। সেই রাজ্যে বাদ পড়েছে প্রায় ৬৪ লক্ষ নাম। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আপাতত খসড়া তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। এই প্রক্রিয়ার পরেই কি এবার বাংলায় এসআইআর শুরু হতে চলেছে? সে পথেই কমিশন এগোচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সম্প্রতি দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এক সাংবাদিক সম্মেলনে, বাংলায় এসআইআর (SIR) চালুর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানান— এই বিষয়ে তাঁরা যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবেন। আর এখন সেই সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতা সরকার প্রশ্ন বিক্রি করবে ৫০ হাজারে, রয়েছে রেকর্ডিং’’, এসএসসি পরীক্ষার আগে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতা সরকার প্রশ্ন বিক্রি করবে ৫০ হাজারে, রয়েছে রেকর্ডিং’’, এসএসসি পরীক্ষার আগে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে ফের বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ফের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন বিক্রি হবে এবং তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জড়িত। তাঁর কথায়, ‘‘৫০ হাজার টাকায় মমতা সরকার প্রশ্ন বিক্রি করবে, আমি রেকর্ডিং পেয়েছি। আগের বার কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও জীবনকৃষ্ণরা এজেন্ট ছিল। এবার নতুন কিছু এজেন্ট দিয়ে করাবে (SLST Exam)।’’

    বিক্রি হচ্ছে প্রশ্নপত্র!

    এসএলএসটি পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি জানান যে, উত্তর ২৪ পরগনায় একটি চক্র ৫০,০০০ টাকায় সেই প্রশ্নপত্র বিক্রি করছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (ডাব্লুবিএসএসসি) দ্বারা পরিচালিত ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা রয়েছে। যেখানে ৩৫,৭২৬টি শূন্যপদ রয়েছে। এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, ৭ সেপ্টেম্বরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ৫০,০০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার তথ্য তাঁর কাছে আছে। এনিয়ে তাঁর কাছে রেকর্ডিংও আছে।

    ওএমআর শিটে কারচুপি হবে না, তাই অন্যপথ

    এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেস সরকার যখন বুঝতে পেরেছে যে তারা অর্থের বিনিময়ে অযোগ্যদের যোগ্যতা অর্জনে সহায়তা করার জন্য ওএমআর শিট দিয়ে কারচুপি করতে পারবে না, তখন তারা এখন অন্য উপায় অবলম্বন করেছে। এজেন্টদের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বিক্রির চেষ্টা চলছে। আমার কাছে খবর আছে যে, ৭ সেপ্টেম্বরের প্রশ্নপত্র ৫০,০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’’

    এসএসসি হল চিটিংবাজ, ফেরেব্বাজ, ফোর টোয়েন্টি

    তাঁর কথায় (Suvendu Adhikari), ‘‘এই এসএসসি হল চিটিংবাজ, ফেরেব্বাজ, ফোর টোয়েন্টি। অযোগ্যদের আসল তালিকায় সংখ্যাটা ছিল ১৯৫৬ জন। সেখানে মাত্র ১৮০৪ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের ভাইঝি-সহ ১৫৮ জন অযোগ্য শিক্ষককে আবার পরীক্ষায় বসাচ্ছে। এই পরীক্ষা অবৈধ। দেদার প্রশ্নপত্র বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতারা ঘোষণা করে যাচ্ছে পরীক্ষার সময় খাতা খুলে দেখবে, পার প্রার্থী পিছু ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই কারণে রেলের পরীক্ষাগুলো ওড়িশায় হয়।’’

  • Donald Trump: ‘সবসময় মোদির বন্ধু’! চিনের কাছে ভারত, রাশিয়াকে হারিয়ে ফেললাম বলার পর ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের

    Donald Trump: ‘সবসময় মোদির বন্ধু’! চিনের কাছে ভারত, রাশিয়াকে হারিয়ে ফেললাম বলার পর ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের। ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এইভাবেই তিনি ভারত ও রাশিয়াকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের এই শুল্কনীতির জবাবে ভারত, চিন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এরপর ট্রাম্প জানালেন, তিনি সবসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বন্ধু। একইসঙ্গে শুক্রবারে তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে লেখেন, “চিনের কাছে হয়ত ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়ে ফেললাম।”

    কী লিখলেন, কী বললেন ট্রাম্প (Donald Trump)?

    নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ পোস্ট করে ট্রাম্প লেখেন, “দেখে মনে হচ্ছে ভারত ও রাশিয়াকে চিনের কাছে হারিয়ে ফেললাম। তাদের দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ কামনা করি।” ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঘিরে হইচই পড়ে যায়। পরে, হোয়াইট হাউসে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে নিজের আগের বক্তব্যের ব্যাখ্যা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফের একবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে নয়াদিল্লিকে নিয়ে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না আমরা ভারতকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি খুব আশাহত যে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এত তেল কিনছে। আমি সে কথা জানিয়েছি। আমরা ভারতের উপরে চড়া শুল্ক বসিয়েছি, ৫০ শতাংশ শুল্ক। আপনারা জানেন, মোদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। কয়েক মাস আগে তিনি এখানে এসেছিলেন। আমরা রোজ গার্ডেনে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেছিলাম।” ট্রাম্প (Donald Trump) আরও বলেন, “নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সবসময় বিশেষ থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি যা করছেন, সেটা ঠিক নয়। ভারত (India) ও আমেরিকার মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।”

    ভারত-চিন-রাশিয়ার জোট

    আমেরিকা যখন ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে, ঠিক সেই সময় ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে চিন ও রাশিয়া। সম্প্রতি, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সামিটে অংশ নিতে চিনের তিয়ানজিনে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Donald Trump) এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তাঁরা চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিন রাষ্ট্রনেতার এই সাক্ষাৎ ও আলোচনা বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে ভারত, চিন ও রাশিয়া একত্রে একটি ত্রি-শক্তির মঞ্চ তৈরি করছে, যার ফলে আমেরিকা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কিছুটা একঘরে হয়ে পড়ছে।

  • Mumbai Police: ৪০০ কেজি আরডিএক্স-সহ ঢুকেছে ১৪ জঙ্গি, হুমকি বার্তা মুম্বই পুলিশকে , জারি হাই অ্যালার্ট

    Mumbai Police: ৪০০ কেজি আরডিএক্স-সহ ঢুকেছে ১৪ জঙ্গি, হুমকি বার্তা মুম্বই পুলিশকে , জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই পুলিশের (Mumbai Police) হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইনে আসা একটি হুমকি বার্তা নিয়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। ওই হুমকিবার্তায় দাবি করা হয়েছে, ১৪ জন জঙ্গি প্রায় ৪০০ কেজি আরডিএক্স-সহ শহরে প্রবেশ করেছে। আরও দাবি করা হয়, ৩৪টি মানব বোমা বহনকারী গাড়ি মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে।তার বিস্ফোরণে কাঁপবে মুম্বই। এই খবর পাওয়ার পরই গোটা শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। মুম্বই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ভুয়ো হুমকি বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ মুম্বই পুলিশ। বম্ব স্কোয়াড এবং বিশেষ পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার মুম্বই পুলিশের (Mumbai) এক আধিকারিক জানান, হুমকি বার্তাটি বৃহস্পতিবার ট্রাফিক পুলিশের কন্ট্রোলরুমের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে আসে। এরপরই গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করা হয়। বিশেষ করে রেলস্টেশন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি ও তল্লাশি।

    ‘লস্কর-ই-জিহাদি’ নামের সংগঠনের কথা বলা হয়

    পুলিশ সূত্রে খবর, বার্তায় ‘লস্কর-ই-জিহাদি’ নামক একটি সংগঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, বিস্ফোরণের জন্য ৩৪টি গাড়িতে ৪০০ কেজি আরডিএক্স রাখা রয়েছে। ওই বার্তায় (Mumbai Police) এমন কথাও লেখা রয়েছে—এই বিস্ফোরক দিয়ে গোটা দেশ কেঁপে উঠবে। এই হুমকির তদন্তে নেমেছে মুম্বই পুলিশের (Mumbai) ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পাশাপাশি সন্ত্রাস দমন শাখা (ATS) ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাকেও জানানো হয়েছে।

    সতর্কতা মুম্বইজুড়ে (Mumbai Police)

    শহরে সম্ভাব্য কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, অনন্ত চতুর্দশীর দিন শহরে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নামবেন গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের জন্য। তার আগে এমন হুমকি বার্তা ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহজনক কোনও কিছু চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে থানায় জানাতে হবে। মুম্বইবাসীদের (Mumbai Police) উদ্দেশে আবেদন জানিয়ে পুলিশ বলেছে, কোনও গুজবে কান দেবেন না এবং শহরের নিরাপত্তা রক্ষায় সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

  • Agnimitra Paul: বিধানসভায় প্রবল ধস্তাধস্তির দিনই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত অগ্নিমিত্রা পাল, ভর্তি হাসপাতালে

    Agnimitra Paul: বিধানসভায় প্রবল ধস্তাধস্তির দিনই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত অগ্নিমিত্রা পাল, ভর্তি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিন আগেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল বিধানসভা। সাসপেন্ড হয়েছিলেন পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। ব্যাপক ধস্তাধস্তিও হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পালও (Agnimitra Paul)। এরপর বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যরাতে তিনি হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজনেরা। আনন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত তাঁকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রয়োজন হলে আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত হাসপাতালে রেখে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হতে পারে।

    নিউরো মেডিসিন বিভাগের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি

    বর্তমানে নিউরো মেডিসিন বিভাগের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রসঙ্গত, একদিন আগেই বিধানসভা চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে বিক্ষোভে। ওইদিন মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়। সেই তালিকায় অগ্নিমিত্রা পালও (Agnimitra Paul) ছিলেন। তাঁদের মার্শাল দিয়ে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে, যাতে আহত হন বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ। বর্তমানে তিনিও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। সম্ভবত শুক্রবার বিকেল বা শনিবার সকালে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।

    অসুস্থতার কারণে হাজির থাকতে পারেনি মোদির সভাতেও

    উল্লেখ্য, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতায় সফরের সময় তিনটি নতুন মেট্রো রুট উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে অগ্নিমিত্রা পাল উপস্থিত থাকতে পারেননি। সূত্রের খবর, তখনও তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কয়েকদিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেও ছিলেন (Agnimitra Paul)। বৃহস্পতিবার বিধানসভার উত্তেজনার পর তিনি রাতে বাড়ি ফেরেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়েই ঘুমাতে যান তিনি। কিন্তু শুক্রবার ভোর থেকেই হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করেন। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এবং তখন থেকেই চিকিৎসা চলছে।

  • Nur Khan Airbase: অপারেশন সিঁদুরে গুঁড়িয়ে যায় নূর খান বিমানঘাঁটি, পুনর্নির্মাণ করছে পাকিস্তান, ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    Nur Khan Airbase: অপারেশন সিঁদুরে গুঁড়িয়ে যায় নূর খান বিমানঘাঁটি, পুনর্নির্মাণ করছে পাকিস্তান, ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নূর খান বিমানঘাঁটিতে (Nur Khan Airbase) জোরকদমে পুনর্গঠনের কাজ চলছে। সম্প্রতি প্রকাশিত স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে, মে মাসে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আঘাতে ধ্বংস হওয়া কাঠামো নতুনভাবে নির্মিত হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির মেরামত করে এই বিমানঘাঁটিকে ফের কার্যকার করতে চাইছে পাকিস্তান।

    মে মাসে ভারতীয় বিমানবাহিনী ওই ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়

    মে মাসে ভারতীয় বিমানবাহিনী ওই ঘাঁটিতে (Nur Khan Airbase) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। আশপাশের ভবনগুলোও এই হামলায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায় অপারেশন সিঁদুরের হামলার পরে ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকা ১৭ মে-র মধ্যে পরিষ্কার করে ফেলা হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বরের ছবিতে আরও দেখা যায়, সেখানে নতুন দেওয়াল ও কাঠামো তৈরি হচ্ছে, যা পূর্বের নকশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ভিতরকার গঠন ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছিল, তাই সেগুলো ভেঙে ফেলে পুরনো ভিতের ওপরেই নতুন কাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।

    খুব কাছেই পাক সেনার সদর দফতর

    নূর খান বিমানঘাঁটি (Nur Khan Airbase) পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এখানেই রয়েছে আকাশপথ নজরদারি ব্যবস্থা, সি-১৩০ পরিবহণ বিমান ও আইএল-৭৮ জ্বালানি ভরার বিমান। এই সবকটি ব্যবস্থাই পাকিস্তানের নজরদারি ও যুদ্ধের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই ঘাঁটিতে ভারতের হামলাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতরের এত কাছাকাছি একটি ঘাঁটিতে আঘাত হেনে ভারত পাক সেনাকে নিজেদের বুঝিয়ে দেয় ক্ষমতা।

    পাকিস্তানের (Pakistan) ২০০ কিমি ভিতরে ঢুকে যায় ভারতীয় সেনা

    ২২ এপ্রিল, যখন পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ সাধারণ মানুষ নিহত হন। এর কয়েক দিনের মধ্যেই ভারত পাল্টা আঘাতের রূপরেখা চূড়ান্ত করে এবং ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত সীমান্ত পেরিয়ে একাধিক কৌশলগত আক্রমণ চালানো হয়। প্রায় ২০০ কিলোমিটার গভীরে ঢুকে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের রেডার, রানওয়ে, জঙ্গি ঘাঁটি ও হ্যাঙ্গারে নিখুঁত হামলা চালায়। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে এটিই ভারতের সবচেয়ে গভীর ও ব্যাপক সামরিক অভিযান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই ধারাবাহিক আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পাকিস্তান দ্রুত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয় (Nur Khan Airbase)।

  • Total Lunar Eclipse: ৮২ মিনিট ধরে রাতের আকাশে ‘ব্লাড মুন’! রবিবার চন্দ্রগ্রহণ, বিরল ঘটনা দেখবে কলকাতা

    Total Lunar Eclipse: ৮২ মিনিট ধরে রাতের আকাশে ‘ব্লাড মুন’! রবিবার চন্দ্রগ্রহণ, বিরল ঘটনা দেখবে কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭ সেপ্টেম্বর, এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকার সুযোগ রয়েছে কলকাতা তথা ভারতবাসীর। আগামী রবিবার হতে চলেছে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse)। এটিই বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ চন্দ্রগ্রহণ। সবচেয়ে বড় কথা, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে রাতের আকাশে ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon) প্রত্যক্ষ করতে পারবেন সকলে। এত সময় ধরে পূর্ণগ্রাসের পর্ব চলা সত্যিই বিরল। মোট গ্রহণের প্রক্রিয়া চলবে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এটিই অন্যতম দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ।

    দেখা যাবে কলকাতা থেকে, ৮২ মিনিট ধরে ‘ব্লাড মুন’!

    জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৭-৮ তারিখে যে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) হবে, তা চলবে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে। সাম্প্রতিক সময়ে এতক্ষণ ধরে চন্দ্রগ্রহণ সে ভাবে হয়নি। এটি ৭ সেপ্টেম্বর রাত ০৯টা ৫৭ মিনিট থেকে শুরু হবে। শেষ হবে ৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাত ১টা ২৬ মিনিটে। চন্দ্রগ্রহণের মোট সময়কাল ৩ ঘন্টা ২৯ মিনিট। তবে, পূর্ণগ্রাস শুরু হবে রাত ১১টা থেকে। চলবে ১২টা ২২ মিনিট পর্যন্ত। অর্থাৎ, পুরো ৮২ মিনিট! আর এই গোটা সময়টায় চাঁদের রং হয়ে উঠবে রক্তিম (Blood Moon)। ভারতের প্রায় সব শহর থেকেই দেখা যাবে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, পুণে, লখনউ, হায়দরাবাদ, চণ্ডীগড় থেকে স্পষ্ট এই গ্রহণ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়া অবশ্যই অনুকূল থাকতে হবে। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, ফিজি দ্বীপপুঞ্জ এবং অ্যান্টার্কটিকার কিছু অংশে এই গ্রহণ দেখা যাবে।

    কী এই ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon), কেন এত আগ্রহ?

    ব্লাড মুন নিয়ে অনেক গল্প রয়েছে। রূপকথা থেকে শুরু করে হাড়হিম করা ভৌতিক কাহিনিতে ব্লাড মুন-এর একটা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। শুধু তাই নয়। বহু প্রাচীন সভ্যতায় এর নির্দশন মেলে। এমনকী, এখনও পৃথিবীর বহু সংস্কৃতিতে ব্লাড মুন পৌরাণিক কাহিনী ও কুসংস্কারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে, যেখানে একে পরিবর্তন বা রূপান্তরের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। তবে, বিজ্ঞানের ব্যাখ্যায় ব্লাড মুন হয় আলোর তরঙ্গের কারণে। তাঁদের মতে, চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। তার উপর সূর্যের আলো পড়ে। সেই আলো প্রতিফলিত হলে, আমরা চাঁদকে দেখতে পাই। গ্রহণ তখনই ঘটে, যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় চলে আসে। চন্দ্রগ্রহণের (Total Lunar Eclipse) ক্ষেত্রে চাঁদ এবং সূর্যের মাঝে পৃথিবী চলে আসে। ফলে, সূর্যের আলো আর চাঁদে পড়ে না। বদলে পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের উপরে। তখনই হয় চন্দ্রগ্রহণ। চাঁদ পুরোপুরি কালো কিন্তু হয় না। বদলে লাল হয়ে ওঠে। সূর্য আর চাঁদের মাঝে পৃথিবী চলে এলে সূর্যের রশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ধাক্কা খায়। এই বায়ুমণ্ডল ছোট তরঙ্গ (নীল এবং বেগুনি)-কে ছেঁকে নেয়। শুধু দীর্ঘ (লাল, কমলা) তরঙ্গই চাঁদে গিয়ে পৌঁছোয়। সে কারণে চাঁদকে রক্তিম দেখায়। তাকেই বলা হয় ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon)।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না! ভবানীপুরেই হারাব’’, মমতাকে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না! ভবানীপুরেই হারাব’’, মমতাকে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না,  ভবানীপুরেই হারাবো’’, মমতাকে হুঙ্কার দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবারে বিধানসভায় তুমুল হইচই-হট্টগোল বেঁধে যায়। কোনও কারণ ছাড়াই বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে গেরুয়া শিবির। এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আজ যা হল তার নিন্দা করি। এই তানাশাহী, স্বৈরাচারী রাজত্বের পতন হবে বলে বিশ্বাস করি। আজ স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে বিজেপি বিধায়করা যেভাবে লড়াই চালালেন তাতে আরও একবার প্রমাণিত বাংলার ২ কোটি ২৭ হাজার ভোটার প্রকৃত লোকদের জনপ্রতিনিধি করেই বিধানসভায় পাঠিয়েছেন।’’

    উনি নন্দীগ্রামে হেরেছেন, ভবানীপুরে হারবেন

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘উনি নন্দীগ্রামে হেরেছেন। ভবানীপুরে হারবেন। ওঁর ভাইপোর কোম্পানি তিন অঙ্ক পেরোবে না। মমতাকে ভবানীপুরেই হারাব। ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘শঙ্কর ঘোষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বঙ্কিম ঘোষের দুটি স্টেন্ট বসানো বুকে, তিনিও হাসপাতালের পথে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জগৎপ্রকাশ নাড্ডা সকলের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। বলেছেন, লড়তে রহো। ন্যাশনাল বিজেপিও আমাদের সাপোর্ট করছে।’’

    চাকরি চোর মমতা, জেলে যাবে মমতা

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘যে ভাষায় দেশভাগের জন্য বিজেপিকে দায়ী করে, বিজেপি সম্পর্কে বিচারধারাকে আক্রমণ করেছে, মুসলিম তোষণ করতে গিয়ে, বাংলাদেশ থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে গিয়ে তার নিন্দার ভাষা নেই। অমিত শাহ, মোদিকে চোর বলেছেন! যে ভাষা শুনতে হল তা মানতে পারি না। মোদি একটি পদবি। এই পদবির লোকজন গুজরাটে বেশি। সারা বিশ্বে আছেন, বাংলাতেও আছেন। ‘মোদি চোর’ বলায় রাহুল গান্ধীর মেম্বারশিপ গিয়েছিল। ফলে বিএনএসের ধারা অনুযায়ী এফআইআর করতে বলব চোর মমতার বিরুদ্ধে। ‘চাকরি চোর মমতা, জেলে যাবে মমতা’ (Mamata Banerjee) স্লোগানও দেন শুভেন্দু।’’  তিনি আরও বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি মুসলিমদের প্রোটেকশন দিয়ে, বাংলা, বাঙালির অস্মিতার কথা বলে আইপ্যাকের বুদ্ধিতে ভাষার নামে গোল করে চলে যাবে ভেবেছিল। ১০ গোল খাইয়ে আমরাই ওঁকে বাড়ি পাঠিয়েছি। ১৪ বছর ৫ মাসে এমন বিরোধিতার সামনে পড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। এলওপি বাইরে থাকলেও আজ ৬৪ জন বিজেপি বিধায়ক যেভাবে এলওপির ভূমিকা নিয়েছেন তাতে কৃতজ্ঞতা জানাই।’’

LinkedIn
Share