Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Kashmir: কাশ্মীরে ৪ হাজারের মধ্যে আড়াই হাজার কবর পরিচয়হীন জঙ্গিদের, পাক-মিথ্যাচার ফাঁস হল রিপোর্টে

    Kashmir: কাশ্মীরে ৪ হাজারের মধ্যে আড়াই হাজার কবর পরিচয়হীন জঙ্গিদের, পাক-মিথ্যাচার ফাঁস হল রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন ধরে পাকিস্তান এবং কয়েকটি ভারতবিরোধী সংগঠন এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো কিছু এনজিও — জম্মু-কাশ্মীরের (Kashmir) কবরগুলিকে দেখিয়ে দাবি করত যে, এইসব কবর সাধারণ নাগরিকদের, যাদেরকে ভারতীয় সেনাবাহিনী হত্যা করে গোপনে কবর দিয়েছে। তবে এইসব অভিযোগ আর ধোপে টিকল না (Jammu And Kashmir News)। কারণ, গত ৪ সেপ্টেম্বর ‌‘সেভ ইয়ুথ ফিউচার ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এই গবেষণার শিরোনাম ছিল: “কাশ্মীর উপত্যকায় অচিহ্নিত এবং অজ্ঞাত কবর”। এই রিপোর্টটি তারা ছয় বছর ধরে গবেষণা করে তৈরি করেছে, এবং এতে মোট ৪,০৫৬টি কবর চিহ্নিত করা হয়েছে, যা ছড়িয়ে রয়েছে ৩৭৩টি কবরস্থানে। গবেষণায় উঠে এসেছে, এই কবরগুলোর (Kashmir) মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ — প্রায় ৬১.৫% বা ২,৪৯৩টি কবর — বিদেশি জঙ্গিদের, যারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে অনুপ্রবেশ করে এবং ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে নিহত হয়। অজ্ঞাত পরিচয় জঙ্গিদের অনেকের কাছেই কোনও পরিচয়পত্র ছিল না — ইচ্ছাকৃতভাবেই এমনটা করা হয়, যাতে তাদের সংগঠন ও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা গোপন রাখা যায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এটি ছিল পাকিস্তানের যুদ্ধের দায় এড়ানোর এক কৌশল।

    এই গবেষণায় পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে কবরগুলোকে

    ১. অজ্ঞাত পরিচয় বিদেশি জঙ্গি – ২,৪৯৩ জন (৬১.৫%)
    ২. স্থানীয় জঙ্গি – ১,২০৮ জন (২৯.৮%) – যাদের নাম-পরিচয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে
    ৩. অচিহ্নিত কবর – ২৭৬টি (৬.৮%) – মূলত বারামুলা জেলায়
    4. ভারতের নাগরিক – ৯ জন
    5. ১৯৪৭ সালের উপজাতি হামলাকারী – ৭০ জন

    ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওয়াজাহাত ফারুক ভাট কী বললেন?

    এই গবেষণা কাশ্মীরের (Kashmir) চারটি সীমান্তবর্তী জেলা — বারামুলা, কুপওয়ারা, বান্দিপোরা ও গান্দেরবালে করা হয়। ফাউন্ডেশনের বক্তব্য অনুযায়ী, এই রিপোর্ট মিথ্যাচার ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে প্রমাণ সমেত ভিত্তিক জবাব দিয়েছে। গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের প্রাক্তন চিফ ইনফরমেশন কমিশনার ওয়াজাহাত হাবিবুল্লা। তিনি বলেন, “এই গবেষণা একটি জটিল সত্যকে প্রমাণ করতে পেরেছে। যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।” ওই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওয়াজাহাত ফারুক ভাট বলেন, “এই কবরগুলোকে ঘিরে বহু বছর ধরে ভুল ধারণা ও সন্দেহ রয়ে গেছে। আমরা তথ্য-ভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে সমাজে সত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”

    ভারতের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র (Jammu And Kashmir News)

    এমন অনেক গণকবরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল যেগুলিকে কেন্দ্র করে তথাকথিত ভারত বিরোধী মানবাধিকার সংগঠনগুলো এদেশকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিল (Kashmir)। সংগঠন যেমন — এপিডিপি (জম্মু ও কাশ্মীর নিখোঁজ ব্যক্তিদের আত্মীয়দের সংগঠন), আইপিটিকে (কাশ্মীর বিষয়ক সত্য অনুসন্ধান সংগঠন), এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল — দাবি করেছিল যে এই কবরগুলো নিঁখোজ হয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষদের। কিন্তু সেভ ইয়ুথ ফিউচার ফাউন্ডেশন এসব দাবি যে মিথ্যা তা প্রমাণ করেছে।

    ভারতের বিরুদ্ধে গণহত্যার গল্প সাজানো হত

    সেভ ইয়ুথ ফিউচার ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ডিএনএ টেস্ট বা ফরেনসিক পরীক্ষা ছাড়াই, সব ধরনের মৃত ব্যক্তিকে একই ক্যাটাগরিতে ফেলত এই মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তারা আলাদা করে বোঝায়নি যে কেউ সাধারণ নাগরিক, কেউ স্থানীয় জঙ্গি, আর কেউ বিদেশি জঙ্গি। এভাবেই দিনের পর অপ্রচার করা হয়েছে। জঙ্গি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে পার্থক্য না করে, আগের অনেক মানবাধিকার রিপোর্ট মৃতের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখিয়েছে এবং ভারতের বিরুদ্ধে গণহত্যার গল্প সাজিয়েছে।

    কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়েকেউ আওয়াজ তোলেনি

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের এক তদন্তে উঠে আসে যে, অনেক কবরেই বিদেশি জঙ্গিদের দেহ রয়েছে, যারা সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল। কিন্তু এই সত্যকে উপেক্ষা করা হয়েছিল, কারণ তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতের বদনাম করা, সত্য খোঁজা নয়। প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে এই অচিহ্নিত কবর নিয়ে ভারত বিরোধীরা যত আলোচনা করেছে, তার তুলনায় ১৯৮৯-৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যা নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। এমনকি যেসব মুসলিম সাধারণ মানুষ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডও (যেমন: ওন্ধামা – ১৯৯৮, চিট্তিসিংহপোরা – ২০০০, নাদিমার্গ – ২০০৩) এইসব সত্য়ও প্রকাশ পায়নি।

    এনিয়ে পাকিস্তান চালাত ছায়াযুদ্ধ

    সেভ ইয়ুথ ফিউচার ফাউন্ডেশন স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে এই কবর নিয়ে পাকিস্তান প্রক্সি ওয়ার বা ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান থেকে সরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই কাশ্মীরকে নতুন টার্গেট বানায়। তারা পাকিস্তানি জঙ্গিদের অস্ত্র, অর্থ, প্রশিক্ষণ এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে সাহায্য করে। হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ— এসব সংগঠন কাশ্মীরকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করে। বিদেশি জঙ্গিদের কাছে কোনও পরিচয়পত্র থাকত না, তাই তাদের অনেকেই অপরিচিত জঙ্গি হিসেবে কবর দেওয়া হয়।

  • Anxiety in Children: পরীক্ষার আগে সন্তানের বাড়তি মানসিক চাপ নিয়ে চিন্তিত! ঘরোয়া খাবারেই লুকিয়ে সমাধান

    Anxiety in Children: পরীক্ষার আগে সন্তানের বাড়তি মানসিক চাপ নিয়ে চিন্তিত! ঘরোয়া খাবারেই লুকিয়ে সমাধান

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পড়াশোনার চাপ বাড়ছে। তার সঙ্গে নানান চাপ বাড়তি মানসিক উদ্বেগ তৈরি করছে। অভিভাবকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তানের পড়াশোনার চাপ তাদের মনের উপরেও বাড়তি চাপ তৈরি করছে। এর ফলে তাদের মধ্যে একধরনের উদ্বেগ (Anxiety in Children) তৈরি হচ্ছে।

    পরীক্ষার আগে বাড়ছে উদ্বেগ

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের একাংশ এই মানসিক উদ্বেগের সমস্যায় (Mental Stress Among Children) ভুগছে। যে কোনও পরীক্ষার আগে তাদের মধ্যে এই উদ্বেগ বাড়ছে। এর ফলে তারা সহজ বিষয় ও মনে রাখতে পারছে না। স্মৃতিশক্তি ঠিকমতো কাজ করছে না। আবার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। সন্তানের এই মানসিক উদ্বেগ (Anxiety in Children) নিয়ে চিন্তিত বাবা-মায়েরা। তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কয়েকটি ঘরোয়া খাবারেই (Homemade Foods) সমাধান পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্য (Child Mental Health) ভালো রাখতে, চাপ কমাতে এবং উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে এই ঘরোয়া উপাদান বিশেষ উপকারি।

    মানসিক উদ্বেগ (Anxiety in Children) কমাতে কোন ঘরোয়া উপদানে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    কুমড়োর বীজ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতের একাধিক উপাদান শরীর ও মনের জন্য বিশেষ উপকারি। কুমড়োর বীজ‌ তেমনি একটি উপাদান। তাঁরা জানাচ্ছেন, কুমড়োর বীজে থাকে পটাশিয়াম। এই খনিজ সম্পদ শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও বিশেষ উপকারি। তাই কুমড়োর বীজ ভালোভাবে শুকনো করে খেলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। উদ্বেগ কমে। তাছাড়া বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের হরমোন ঘটিত নানান পরিবর্তনের জেরে অনেক সময় মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। কুমড়োর বীজ খেলে মেজাজ শান্ত থাকে।

    বাদাম!

    যেকোনও ধরনের বাদাম মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ উপকারি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঠবাদাম হোক কিংবা কাজুবাদাম, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে যেকোনও বাদাম বিশেষ সাহায্য করে। আবার বাদামে থাকে ভিটামিন ই, উপকারি ফ্যাট। এই দুই উপাদান মস্তিষ্কের স্নায়ুর জন্য বিশেষ ইতিবাচক। তাই বাদাম খেলে একদিকে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। আরেকদিকে মানসিক চাপ কমে। ফলে উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাছাড়া বাদাম অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই সন্তানের বাড়তি উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত বাদাম খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    টক দই!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের পাশপাশি মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও টক দই খুবই জরুরি একটি খাবার। নিয়মিত টক দই খেলে মন ভালো থাকার নিউরোট্রান্সমিটার উৎপাদন বাড়ে। এই খাবারে থাকে ভালো ব্যাকটেরিয়া যা শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত টক দই খেলে মানসিক উদ্বেগ কম তৈরি হয়। বরং মন শান্ত থাকে।

    কমলালেবু!

    কমলালেবু একটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তাই এই ফল নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। উদ্বেগ কমে।

    আদা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের পাশপাশি রান্নার কিছু উপকরণ ও মানসিক উদ্বেগ (Anxiety in Children) কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তেমনি একটি উপকরণ হলো আদা। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদাতে প্রদাহরোধী যৌগ থাকে। এটা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে বিশেষ সাহায্য করে।

    তবে শুধুমাত্র খাবারেই মানসিক উদ্বেগ পুরোপুরি কমবে না বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক সুস্থতা অনেকটাই জীবন যাপনের ধরনের উপরে নির্ভর করছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরীক্ষার আগে বাড়তি চাপ যাতে তৈরি না হয়, তাই বছরভর একটি সুস্থ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়া জরুরি। নিয়মিত অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। অতিরিক্ত রাত জেগে না থাকা, নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া এবং শারীরিক কসরত করার মতো সুঅভ্যাস গড়ে‌ তোলা জরুরি। এর পাশপাশি, মানসিক চাপ কমাতে (Reduce Mental Stress) নিয়মিত গান শোনা বা ছবি আঁকার মতো সৃজনশীল কাজের দিনের কিছুটা সময় বরাদ্দ করা জরুরি। তাহলে বাড়তি উদ্বেগ (Anxiety in Children) তৈরির আশঙ্কা কমবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Teacher’s Day 2025: সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের স্মরণে আজ শিক্ষক দিবস, জেনে নিন তাঁর জীবনী

    Teacher’s Day 2025: সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের স্মরণে আজ শিক্ষক দিবস, জেনে নিন তাঁর জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ সেপ্টেম্বর গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয় শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day)। দিনটি যাঁর জন্মদিনের স্মরণে পালিত হয়, তিনি হলেন ড. সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Dr Sarvepalli Radhakrishnan)। শিক্ষা, উন্নয়ন এবং মানব কল্যাণকেই তিনি করে নিয়েছিলেন জীবনের ব্রত। কারণ শিক্ষার জগতে তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনি একজন অত্যন্ত দক্ষ শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি, দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

    রাধাকৃষ্ণণের শিক্ষাজীবন (Teacher’s Day)

    ১৮৮৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Dr Sarvepalli Radhakrishnan) তামিলনাড়ুর তিরুত্তানিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবা সর্বপল্লি বীরস্বামী এবং মা সীতাম্মা। লুথার্ন মিশনারি স্কুল, তিরুপতি এবং ভেলোরে প্রাথমিক শিক্ষা (Teacher’s Day)। ছোট থেকেই পড়াশোনায় তাঁর তেমন মন ছিল না। এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানোই ছিল পয়লা পছন্দের। ছেলের এমন মতিগতি দেখে চিন্তায় পড়ে যান বাবা। তাই তাঁকে ভর্তি করিয়ে দেন ভেলোরের একটি মিশনারি স্কুলে। মন পড়াশোনায় না বসলে কী হবে, স্কুলজীবন থেকেই পড়াশুনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন তিনি। বরাবরই সে জন্য তিনি বৃত্তি পেয়ে এসেছেন। এরপর মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। ১৯১৬ সাল থেকে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন।

    বিবেচিত হয়েছিলেন নোবেল পুরস্কারের জন্যও

    জীবনের বড় সময় শিক্ষকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ছিলেন ছাত্র সমাজের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়। একবার তাঁকে ফুলসজ্জিত কার্ট নিয়ে স্টেশন থেকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরই মধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি যে সব বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। তাঁর হাতে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক দার্শনিক গ্রন্থ, যা নিয়েও হইচই পড়ে গিয়েছিল। তাঁর ‘অ্যান আইডিয়ালিস্ট ভিউ অফ লাইফ’ বিবেচিত হয়েছিল নোবেল প্রাইজের জন্যও। ১৯৭৫ সালে ‘প্রগতিতে ধর্মের অবদান’ রচনা তাঁকে এনে দিয়েছিল ‘টেম্পলটন’ পুরস্কার। তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু কাজের মধ্যে রয়েছে— Reign of Religion in Contemporary Philosophy, Philosophy of Rabindranath Tagore, The Hindu View of Life, Kalki or the Future of Civilisation, An Idealist View of Life, The Religion We Need, India and China, and Gautama the Buddha.

    প্রশাসনিক জীবন

    সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Teacher’s Day) ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এর মধ্যে, ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৫২ সালে তিনি ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং ১৯৬২ সালে দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে, তিনি মরণোত্তর ভারতরত্ন পেয়েছিলেন।

    কেন পালিত হয় শিক্ষক দিবস? (Teacher’s Day)

    রাধাকৃষ্ণণ (Dr Sarvepalli Radhakrishnan) একজন মহান শিক্ষাবিদ। শিক্ষার প্রসারে তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। শিক্ষাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নিরন্তর ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। দেশে শিক্ষার প্রসারের জন্য ১৯৬২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষক দিবস পালন শুরু হয়। সেটা ছিল তাঁর ৭৭তম জন্মদিন। এই দিনে প্রথমবার শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। ১৯৬৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই দিনকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্কুল-কলেজে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা নাচ, গান, আবৃত্তি সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান জানিয়ে থাকেন।

    আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস

    ৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে সম্মান জানিয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day) পালন করা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি বিশেষ সংগঠন ইউনেস্কো (ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন) এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে এই দিনটি স্মরণ করা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উদযাপন করার পিছনে একটি বড় কারণ হল, শিক্ষকদের শ্রমকে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি দেওয়া। সমাজ গঠনে শিক্ষকের বিশেষ ভূমিকা থাকে। তাই মানুষ গড়ার এই কারিগরদের শ্রমের মর্যাদা দেওয়ার জন্যই আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

  • RSS: শুক্রবার যোধপুরে বসছে সমন্বয় বৈঠক, তার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করল আরএসএস

    RSS: শুক্রবার যোধপুরে বসছে সমন্বয় বৈঠক, তার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ যোধপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আরএসএস-এর (RSS) সমন্বয় বৈঠক। তার আগে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন আরএসএস নেতা সুনীল আম্বেকর। ২০২৫ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০২৬ সালের বিজয়াদশমী পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) তার শতবর্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। এই অনুষ্ঠান শুরু হবে নাগপুরে একটি বিজয়াদশমীর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, যেখানে সংঘের সরসঙ্ঘচালক ড. মোহন ভাগবত ভাষণ দেবেন। আরএসএস-এর (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর জানিয়েছেন, শতবর্ষের উদযাপনে দেশজুড়ে স্বয়ংসেবকরা পথসঞ্চালন করবেন এবং বছর জুড়ে অনুষ্ঠিত হবে- হিন্দু সম্মেলন, সামাজিক সদ্ভাবনা সভা, গৃহ সংস্পর্শ কার্যক্রম। তিনি আরও জানিয়েছেন, এসব কর্মসূচির লক্ষ্য হল সংঘের কর্মকাণ্ডকে সমাজের বৃহত্তর অংশের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

    ‘পঞ্চ পরিবর্তন’-এর (RSS) কথাও এদিন বলেন সুনীল আম্বেকর

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সংঘের ‘পঞ্চ পরিবর্তন’-এর কথাও তুলে ধরা হয়। জানানো হয় এনিয়েও আলোচনা চলবে সংঘের সমন্বয় বৈঠকে। এই ইস্যুতে কর্মসূচি চলবে আগামীদিনে। প্রসঙ্গত, এই ‘পঞ্চ পরিবর্তন’ হল-

    সামাজিক সম্প্রীতি (Social Harmony)

    পারিবারিক জাগরণ (Family Awakening)

    পরিবেশ সচেতনতা (Environmental Awareness)

    আত্মনির্ভরতা (Self-Reliance)

    নাগরিক কর্তব্য (Civic Duty)

     কী কী আলোচনা হবে অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকে (Akhil Bharatiya Samanvay Baithak)?

    সংঘের (RSS) বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রম পর্যালোচনা চলবে। একইসঙ্গে  ২০২৫-২৬ সালের শতবর্ষ উদযাপনের পরিকল্পনা এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা, বিশেষ করে পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির প্রসঙ্গে।

    কারা অংশ নেবেন বৈঠকে?

    সুনীল আম্বেকর জানিয়েছেন, এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন, ড. মোহন ভাগবত (সরসংঘচালক), দত্তাত্রেয় হোসাবলে (সরকার্যবাহ), সমস্ত সহ-সরকার্যবাহগণ, সংঘের ৩২টি সংগঠনের ৩২০ জন কার্যকর্তা। উপস্থিত সংগঠনগুলোর (Akhil Bharatiya Samanvay Baithak) মধ্যে রয়েছে-রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি, বনবাসী কল্যাণ আশ্রম, সংস্কার ভারতী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, ভারতীয় কিষান সংঘ, বিদ্যা ভারতী, ভারতীয় মজদুর সংঘ, বিজেপি ইত্যাদি।

  • Suvendu Adhikari: বাংলাদেশি মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী, সিএএ-তে তাদের স্থান নেই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাংলাদেশি মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী, সিএএ-তে তাদের স্থান নেই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি (Bangladeshi) মুসলিমদের সিএএ-তে কোনও স্থান নেই, তাঁরা ‘অনুপ্রবেশকারী’ – বিধানসভা ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে ফের একবার এমনটাই স্পষ্ট করে জানালেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, সিএএ-র আওতায় কারা পড়েন এবং কারা পড়েন না, তা কেন্দ্র আগে থেকেই নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত হয়ে আসা অমুসলিম শরণার্থীরাই এই আইনের অন্তর্ভুক্ত।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ভাষায়, “হিন্দু, শিখ, খ্রীষ্টান, জৈন, বুদ্ধিস্ট সকলেরই স্থান রয়েছে। তবে বাংলাদেশি মুসলিম নয়, পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। তাঁরা অনুপ্রবেশকারী। তাঁরা ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকবে। আর সব হিন্দু, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ , তাঁরা সবাই শরণার্থী, তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। হিন্দুরা আসবে, নিরাপদে থাকবে।”

    এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়

    এই আইনের আওতায় হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে শর্ত অনুযায়ী, তাঁদের ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে প্রবেশ করা আবশ্যক ছিল। তবে এবার নাগরিকত্বের আবেদন জানানো যাবে আরও ১০ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ ২০২৫-এর মধ্যে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁরাও এই আইনের সুযোগ নিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এনিয়ে জানিয়েছে, এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রণীত। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইন ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া অমুসলিম শরণার্থীদের জন্য একটি মানবিক পদক্ষেপ।ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) কার্যকর করার সিদ্ধান্তে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন,”সেকুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতা), প্লুরালিজম (বহুত্ববাদ), এবং কমিউনিজম (সমাজতন্ত্র) — এই মূল্যবোধগুলো বজায় থাকবে ততক্ষণই, যতক্ষণ ভারত একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে টিকে থাকবে।”

  • Sin Tax: দেশজুড়ে চর্চা, এই পণ্যগুলি কিনলে বইতে হবে বাড়তি ‘পাপের বোঝা’! কী এই ‘সিন ট্যাক্স’?

    Sin Tax: দেশজুড়ে চর্চা, এই পণ্যগুলি কিনলে বইতে হবে বাড়তি ‘পাপের বোঝা’! কী এই ‘সিন ট্যাক্স’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৭ সালে চালু হয় পণ্য ও পরিষেবা কর, যাকে বলা হয় জিএসটি। ৮ বছর পর বুধবার, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জিএসটি কাউন্সিল করের স্ল্যাব পুনর্বিন্যাস করেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নতুন জিএসটি হার ঘোষণা করেছেন। নতুন জিএসটি কর হারের ঘোষণা হওয়া ইস্তক দেশে একজোড়া শব্দবন্ধ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। তা হচ্ছে ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax)।

    জিএসটি কাউন্সিলের ঘোষণা অনুযায়ী, এ বার থেকে দু’টি হারে জিএসটি কার্যকর হবে— ৫ এবং ১৮ শতাংশ। ১২ এবং ২৮ শতাংশের যে জিএসটি স্তর ছিল, তা তুলে দেওয়া হল। এছাড়া, কিছু পণ্যকে রাখা হয়েছে ৪০ শতাংশ হারের বিশেষ তালিকায়। এই বিশেষ কর হারের তালিকাকে বলা হচ্ছে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি ট্যাক্স’ (Sin Tax) আর সেই তালিকায় থাকা পণ্যগুলিকে বলা হচ্ছে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি গুডস’।

    ‘সিন ট্যাক্স’-এর বাংলা অর্থ করলে বোঝায় ‘পাপের কর’। অর্থাৎ, অর্থনৈতিক ও নীতিগতভাবে এই শব্দটি একটি নির্দিষ্ট গুরুত্ব বহন করে। কারণ, মনে করা হয়, ব্যক্তি বা সমাজের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে—এমন জিনিসগুলিকে এই করের আওতায় আনা হয়। অর্থাৎ, ‘সিন ট্যাক্স’-এর আওতায়। সাম্প্রতিক সময়ে জিএসটি কাউন্সিলের সভায় এই ‘সিন ট্যাক্স’-এর প্রাসঙ্গিকতা ফের একবার উঠে এসেছে, বিশেষত এই করের মাধ্যমে রাজস্ব তৈরি এবং এই করের আওতায় থাকা জিনিসগুলি কীভাবে যেকোনও মানুষের আচরণকে প্রভাবিত করে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতবর্ষের (India) ক্ষেত্রে ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax) কিভাবে কাজ করে, তা বোঝা আমাদের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়েই আমাদের প্রতিবেদন।

    ‘সিন ট্যাক্স’ আরোপিত করা হচ্ছে এমন কতগুলি পণ্য

    শুরুর কথাতেই যেমন বলা হয়েছে, নাগরিকদের স্বাস্থ্য, সমাজ বা পরিবেশের উপর ক্ষতিকারক বলে বিবেচিত হয় এমন পণ্য ও পরিষেবার উপর আরোপিত একটি করকেই ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax) বলা হয়। এগুলি সাধারণভাবে বেশিরভাগটাই অপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে অথবা সামাজিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং সমাজের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এবার কয়েকটি উদাহরণ সহ বোঝা যাক—যেমন, ‘সিন ট্যাক্স’-এর আওতায় পড়ছে তামাক, সিগারেট, মদ্যপান, পান মসলা, জুয়া, যেকোনও ধরনের বাজি। এর পেছনে উদ্দেশ্য হল—এই করের আওতায় থাকা জিনিসগুলি যাতে মানুষ কম ব্যবহার করেন এবং সেগুলির প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমে যায়, সেইজন্যই সরকার এগুলির ওপর বেশি কর আরোপ করছে, জিএসটি বেশি নিচ্ছে।

    বর্তমানে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের উপরে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে

    দেশে বর্তমানে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের উপরে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে। ভারতে সিগারেটের উপরে মোট ৫২ শতাংশ কর চালু রয়েছে। বিড়ির উপরে ২২ শতাংশ কর বর্তমানে চালু রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ভারত। সেই অনুযায়ী, তামাকজাত পণ্যে ৭৫ শতাংশ কর আরোপ করতে পারে ভারত সরকার। ৪০ শতাংশ জিএসটি হওয়ায় এই করের হার ৬৪ শতাংশ হবে। উদ্দেশ্য স্পষ্ট—দাম যত বাড়বে, তত মানুষ এগুলি কিনতে চাইবেন না। বলা হচ্ছে, ভারতবর্ষের মতো দেশে জনস্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ আজ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই চ্যালেঞ্জের অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে—তামাক ব্যবহার, অ্যালকোহল সেবন এবং জীবনযাত্রা-সম্পর্কিত নানা স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সমাজকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে কী বলা হল?

    একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে—তামাক ব্যবহারের ফলে ভারতে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এও জানিয়েছে যে, প্রতিবছর শুধুমাত্র তামাক ব্যবহারের কারণেই ভারতে প্রায় ১৩.৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। সারা পৃথিবীর মধ্যে ভারতের নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি তামাক ব্যবহার করেন। তামাক উৎপাদনকারী দেশ হিসেবেও ভারত সারা পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

    ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ২৬ কোটি মানুষ তামাক সেবন করে

    ২০১৬-১৭ সালের ‘গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ইন্ডিয়া’-র তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ভারতে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ২৬ কোটি মানুষ তামাক (Sin Tax) ব্যবহার করেন। ভারতে তামাক ব্যবহারের সবচেয়ে প্রচলিত ধরন হল ‘ধোঁয়াবিহীন তামাক’। এর মধ্যে পড়ে—খৈনি, গুটখা, পান তামাক, জর্দা ইত্যাদি। আর ধোঁয়াযুক্ত তামাকের মধ্যে পড়ে—বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা ইত্যাদি। এই ধরনের ‘সিন ট্যাক্স’ আরোপ করে মোদি সরকার অতিরিক্ত তামাক সেবনকে রুখতে চাইছে এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত রাজস্ব সুরক্ষিত করতে চাইছে।

    এক নজরে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি গুডস’-এর তালিকা

    ১) তামাকজাত পণ্য, ২) গুটখা, ৩) পানমশলা, ৪) জর্দা, ৫) অন্যান্য তামাকজাত পণ্য, ৬) সিগারেট, ৭) সিগার/চুরুট, ৮) মিষ্টি যুক্ত ঠান্ডা পানীয়, ৯) কোল্ড ড্রিঙ্কস, ১০) ক্যাফিন যুক্ত কোল্ড ড্রিঙ্কস, ১১) লাক্সারি গাড়ি, ১২) ১২০০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির পেট্রল গাড়ি, ১৩) ১৫০০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির ডিজেল গাড়ি, ১৪) ৩৫০ সিসির উপরে মোটরবাইক, ১৫) ইয়ট, ১৬) হেলিকপ্টার, প্রাইভেট এয়ারক্রাফট, ১৭) কয়লা, লিগনাইট, পিট, ১৮) অনলাইন গ্যাম্বলিং ও গেমিং সার্ভিস

  • Javed Akhtar: বাম থেকে তৃণমূল, মৌলবাদের কাছে অসহায় দুই সরকারই! একটা তাড়ায় তসলিমাকে, অপরটা ঢুকতে দেয় না জাভেদকে

    Javed Akhtar: বাম থেকে তৃণমূল, মৌলবাদের কাছে অসহায় দুই সরকারই! একটা তাড়ায় তসলিমাকে, অপরটা ঢুকতে দেয় না জাভেদকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌলবাদীদের সামনে আত্মসমর্পণ মমতা সরকারের। জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যে কি সত্যিই ধর্মনিরপেক্ষতা বলে কোনও জিনিস আছে? একসময় মৌলবাদীদের ও সাম্প্রদায়িক শক্তির সামনে মাথা নত করত রাজ্যের তথাকথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বামফ্রন্টের সরকার—সে চিত্র আমরা দেখেছি। ২০০৭ সালে মৌলবাদীদের চাপের মুখে পড়ে কিভাবে তসলিমা নাসরিনকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়তে হয়েছিল, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এই বামেরা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রোখার ডাক দিত, কিন্তু ২০০৭ সালে অসহায়ভাবে মৌলবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণ করে সেই বামফ্রন্ট কার্যত তাড়িয়ে দেয় তসলিমা নাসরিনকে। সেই হিংসায় নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় প্রয়াত তৃণমূল নেতা ইদ্রিশ আলিকে। এতদিনে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। ১৮ বছর আগের সেই ঘটনা আরেকবার মনে করিয়ে দিচ্ছে—পশ্চিমবঙ্গে শাসনব্যবস্থায় বামফ্রন্ট থেকে তৃণমূল এলেও মৌলবাদীদের সামনে আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে দুই দলের মধ্যে কোনো পার্থক্য নজরে পড়ছে না।

    মৌলবাদীদের হুমকি, বন্ধ জাভেদ আখতারের অনুষ্ঠান

    গত সোমবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল খ্যাতনামা কবি তথা গীতিকার জাভেদ আখতারের। কিন্তু তাঁকে সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেওয়া যাবে না—এই হুমকি দেয় কয়েকটি কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠন। আর সেই মৌলবাদী সংগঠনগুলির চাপের কাছে মাথা নোয়াতে হয় রাজ্য সরকারকে, এবং শেষ পর্যন্ত সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয় (Javed Akhtar)।

    মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    এই বিষয়টি নিয়ে (Javed Akhtar) সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। কলকাতায় জাভেদ আখতারের অনুষ্ঠান বাতিল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘‘এই রাজ্য সরকার কট্টরপন্থী। এরা সুরাবরর্দীর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এটা বারবার প্রমাণিত, ভোটব্যাঙ্ক-ধর্মীয় পরিচিতি ইত্যাদি দেখে হয়। বাংলা, বাঙালি নিয়ে যা চলছে, বিধানসভাতেও যে প্রস্তাব আসবে, এটা কাদের জন্য? যারা আকাশকে আসমান বলে, মাকে আম্মা বলে, বাবাকে আব্বা বলে, জলকে পানি বলে। এই সরকার নামেই তৃণমূল কংগ্রেস, কার্যত মুসলিম লিগ-২।’’

    জাভেদের অনুষ্ঠানের আগে হুমকি দেয় মৌলবাদী সংগঠনগুলি

    জানা যাচ্ছে, জাভেদ আখতারকে (Javed Akhtar) আমন্ত্রণ জানানোর খবর প্রকাশ্যে আসতেই কয়েকটি ইসলামিক সংগঠন তীব্র প্রতিবাদ জানায়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল ‘জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ’। এ ছাড়াও ‘ওয়াহাবি ফাউন্ডেশন’ নামের একটি মৌলবাদী সংগঠনও এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতায় শামিল ছিল। এদের সবার দাবি ছিল, জাভেদ আখতার নাকি ইসলাম-বিরোধী কথা বলেন, তাই তার মতো একজন ব্যক্তিকে বাংলার কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেওয়া উচিত নয়। এই বক্তব্যের সাথে তারা রীতিমতো ‘ফতোয়া’ জারি করে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমি চাপে পড়ে সেই অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেয়।

    তসলিমাকে তাড়ানোর সময় যে হিংসাত্মক আন্দোলন হয়েছিল, তেমনটা করার হুমকি

    প্রসঙ্গত, মৌলবাদী সংগঠনগুলি এই অনুষ্ঠানে জাভেদ আখতারের যোগদান হলে ২০০৭ সালের তসলিমা নাসরিনকে তাড়ানোর সময় যে হিংসাত্মক আন্দোলন হয়েছিল, তেমনই পরিস্থিতির হুমকি দেয়। জানা যাচ্ছে, ‘উর্দু ইন হিন্দি সিনেমা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমি। সেখানে হিন্দি সিনেমায় উর্দু ভাষার ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা হতো। গান, কবিতা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মসূচিরও পরিকল্পনা ছিল। সেখানেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই খ্যাতনামা কবিকে। তবে এই অনুষ্ঠান রুখে দিল মৌলবাদীরা।

    তোষণের চূড়ান্ত পরিণতি হলেই কি এমনটা হয়? প্রশ্ন সুকান্তর

    এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ড. সুকান্ত মজুমদার বলেন— “এই পরিণতি কি তখনই হয়, যখন তোষণের কোনও সীমা থাকে না? মৌলবাদীদের কথাই কি চূড়ান্ত হয়ে দাঁড়ায়? এ প্রশ্নের উত্তর একমাত্র একজনই দিতে পারেন—পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” তিনি আরও বলেন, ‘ন্যাশনাল মুশায়রা’ নামের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমি (Urdu Academy), যা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অধীনস্থ। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন সাহিত্যে একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত, পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ সম্মাননায় ভূষিত বিখ্যাত কবি জাভেদ আখতার। মৌলবাদীদের লাগাতার চাপে শেষ পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়। এমনকি রাজ্য সরকারের উপর চরম চাপ তৈরি করা হয়েছিল, যেন জাভেদ আখতার বাংলায় ঢুকতেই না পারেন। এই ঘটনার আসল সত্য প্রকাশ্যে আনতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

  • Weather Update: সেপ্টেম্বর মাস জুড়েই বৃষ্টি হবে! পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের, মাটি হবে পুজো?

    Weather Update: সেপ্টেম্বর মাস জুড়েই বৃষ্টি হবে! পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের, মাটি হবে পুজো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসের শেষে দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই, মানুষ বৃষ্টি মাথায় করেই কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন। পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেলের কাজও চলছে পুরোদমে। তার মধ্যেই আশঙ্কার কথা শোনাল আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। পূর্বাভাস, গোটা সেপ্টেম্বর মাস জুড়েই বৃষ্টি চলবে। পুজোয় বৃষ্টি হবে। লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস কার্যত দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহবিদরা জানিয়েছেন, পুজোয় বর্ষা পুরো ছন্দেই থাকছে। এখনই বর্ষা বিদায়ের কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাঁদের মতে, অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে মৌসুমী বায়ু এবং মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় থাকতে পারে। তবে পুজোয় কোন দিন কতটা বৃষ্টি তা সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে নির্দিষ্ট করে জানাতে পারবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    বঙ্গোপসাগরে নতুন নিম্নচাপ

    এদিকে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেতেও নিম্নচাপের বৃষ্টি অব্যাহত বঙ্গে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে (Weather Update)। বুধবার এটি ক্রমশ ও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বিকেলের পর সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং ওড়িশা উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। মঙ্গলবার দিনভর জেলায় জেলায় দফায় দফায় বৃষ্টির পর আজ বুধবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা (Heavy Rain Alert) রয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই কলকাতায় আকাশের মুখভার। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েই চলেছে। বৃষ্টির জেরে ফের একবার কলকাতার নিচু এলাকাগুলি নতুন করে জলমগ্ন হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

    দক্ষিণবঙ্গে সতর্কতা

    আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট, নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিরও সতর্কতা রয়েছে (Weather Update)। পূর্বাভাস, আগামী ৪৮-ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রামে। বৃহস্পতি ও শুক্রবারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলা— কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনি ও রবিবার বৃষ্টি কমলেও সোমবার ফের বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে অনুমান।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি

    অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি চলবে। আগামী ২৪-ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে আজ প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে (Weather Update)। কম-বেশি বৃষ্টি চলতে পারে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। শুক্রবার ও শনিবারও বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকবে। তবে রবিবার থেকে ফের বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। রবিবার ও সোমবার, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

  • India Russia Defence: আরও ‘সুদর্শন-চক্র’ কিনতে উদ্যোগী ভারত, রাশিয়ার প্রস্তাব ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সু-৫৭

    India Russia Defence: আরও ‘সুদর্শন-চক্র’ কিনতে উদ্যোগী ভারত, রাশিয়ার প্রস্তাব ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সু-৫৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে সদ্যসমাপ্ত এসসিও সম্মেলেনর ফাঁকে নরেন্দ্র মোদি ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একান্ত আলাপচারিতার ছবি সকলেই দেখেছেন। বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে সম্বোধন করে বরাবরের মতোই হাতে-হাত মিলিয়ে চলার প্রতিজ্ঞা করেন। জবাবে মোদি বলেন, ‘‘কঠিন সময়েও ভারত ও রাশিয়া একে অপরের পাশে থেকেছে।’’ এর ঠিক দুদিন পরই দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্পর্কিত বড় খবর সামনে এল। একদিকে যেমন জানা যাচ্ছে, নয়াদিল্লিকে তেলের দামে আরও ছাড় দিতে চলেছে মস্কো। তেমনই সামরিক (India Russia Defence) ক্ষেত্রেও ভারতকে আরও শক্তিশালী করতে অতিরিক্ত ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ (S-400 Triumf) আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ‘সু-৫৭’ (Su-57) যুদ্ধবিমান নিয়ে কথা চালাচ্ছে রাশিয়া।

    ভারতকে রাশিয়ার প্রস্তাব

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ৫০ শতাংশ শুল্কের কাছে মাথা নত না করা এবং সেই প্রবল চাপকে উপেক্ষা করে বন্ধু রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি জারি রাখার ‘লাভ’ তুলতে চলেছে ভারত! মোদি-পুতিন বৈঠকের পর আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সখ্যতা (India Russia Defence)। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বিষয়ক এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার তাস সংবাদসংস্থা জানিয়েছে যে, আরও বেশি সংখ্যক এস-৪০০ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম সরবরাহ করা নিয়ে নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে আলোচনা চলছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার ‘ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি-টেকনিক্যাল কোঅপারেশন’-এর প্রধান দিমিত্রি শুগায়েভ জানিয়েছেন, এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ (S-400 Triumf) আকাশ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও বেশি কেনার বিষয়ে দুদেশের মধ্যে কথাবার্তা চলছে।

    আরও ‘সুদর্শন চক্র’ কেনার উদ্যোগ

    ২০১৮ সালে ভারত ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে রাশিয়ার সঙ্গে পাঁচটি এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ দূরপাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার চুক্তি করে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি ইউনিট পৌঁছালেও, বাকি দুই ইউনিটের ডেলিভারি একাধিকবার পিছিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শেষ দুটি এস-৪০০ (S-400 Triumf) ইউনিট ভারতকে সরবরাহ করবে রাশিয়া ২০২৬ এবং ২০২৭ সালে। তার মধ্যেই বাড়তি ইউনিটের জন্য মস্কোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিল ভারত, বলে দাবি রুশ সংবাদসংস্থার। এখানে উল্লেখ করা দরকার, ভারতে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম পরিচিত ‘সুদর্শন চক্র’ নামে। গত মে মাসে অপারেশন সিঁদুরের সময় এই সুদর্শন চক্র দিয়ে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে ভারত।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সু-৫৭

    একদিকে রাশিয়ার থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কেনার জন্য যেমন আলোচনা চালাচ্ছে ভারত, তেমনই অন্যদিকে, নয়াদিল্লির সামনে ফের একবার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সু-৫৭ স্টেলথ যুদ্ধবিমানের প্রস্তাব পেড়েছে মস্কো (India Russia Defence)। সংবাদসংস্থা তাস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়া এখন ভারতেই তাদের অত্যাধুনিক সু-৫৭ ফিফথ-জেনারেশন বা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করার সম্ভাবনা যাচাই করছে। ভারতীয় বায়ুসেনার আধুনিক যুদ্ধবিমানের চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রস্তাবনার আওতায় কত পরিমাণ বিনিয়োগ লাগবে, তা নিয়ে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ বিস্তারিতভাবে গবেষণা করছে।

    একই কারখানায় সু-৩০ ও সু-৫৭!

    ভারত ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তাদের প্রয়োজন অন্তত দুই থেকে তিন স্কোয়াড্রন (৪০-৬০) পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। তার পর থেকেই, রাশিয়া বহুদিন ধরেই ভারতকে সি-৫৭ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য অনুরোধ করে আসছে। রাশিয়ার পেশ করা প্রস্তাব অনুয়ায়ী, বর্তমানে ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ইতিমধ্যেই নাসিকের কারখানায় লাইসেন্স নিয়ে রাশিয়ার সু-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান উৎপাদন করছে। প্রয়োজনে সেই একই কারখানাটিকে সু-৫৭ (Su-57) যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও, ভারতের বিভিন্ন কারখানায় ইতিমধ্যে রাশিয়ান প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন হয়। যেগুলিকে ব্যবহার করে সু-৫৭ তৈরি করলে খরচ অনেকটাই কমে যাবে বলে অনুমান (India Russia Defence)।

    প্রসঙ্গত, ভারত আগে রাশিয়ার ফিফথ-জেনারেশন ফাইটার এয়ারক্রাফট প্রকল্পের অংশ ছিল। কিন্তু প্রায় ৮-১০ বছর আগে কিছু কারণবশত সেই প্রকল্প থেকে সরে আসে। তবে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি দেখে এই পুরনো প্রকল্প আবার নতুন করে শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Hospitality Sector: দেশে ঊর্ধ্বমুখী পর্যটন ব্যবসা, ২০৩৪ সালের মধ্যে ৬ কোটি ৩০ লাখ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

    Hospitality Sector: দেশে ঊর্ধ্বমুখী পর্যটন ব্যবসা, ২০৩৪ সালের মধ্যে ৬ কোটি ৩০ লাখ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৪৭ সাল নাগাদ ভারতে ১০ কোটি পর্যটকের আগমনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত ব্যাপক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং ২০৩৪ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে পর্যটন-নির্ভর শিল্পে ৬ কোটি ৩০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির। এই সময়ের মধ্যেই পর্যটনকেন্দ্রিক শিল্প (Hospitality Sector) থেকে ভারতের জিডিপিতে ৪৩.২৫ লক্ষ কোটি টাকা যুক্ত হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে (GDP)। প্রসঙ্গত, বিগত এক বছরের মধ্যে বিশ্ব পর্যটন র‍্যাঙ্কিং-এ ভারতের অবস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। আগে যেখানে ভারত ছিল ৩৯তম স্থানে, বর্তমানে সেখান থেকে ৩১ ধাপ এগিয়ে অষ্টম স্থানে পৌঁছে গেছে। এই উত্থান স্পষ্ট করে দেয় যে, সারা বিশ্বের মানুষ এখন ভারতকেই অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক এবং ধর্মীয় পর্যটনের প্রসারও স্পষ্টভাবে চোখে পড়ছে।

    বৈদেশিক মুদ্রার আয় বেড়েছে (Hospitality Sector)

    বিশ্লেষকরা ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানাচ্ছেন— ১৯৯৯ সালে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা আয় ছিল মাত্র ০.১৩ লক্ষ কোটি টাকা। সেই আয় ২০১৯ সালে বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছায় ২.১২ লক্ষ কোটি টাকায়। তবে এরপর ২০২০ সালে করোনা মহামারী শুরু হওয়ায় এবং লকডাউনের ফলে পর্যটন শিল্পে ধস নামায়, এই আয় ২০২০-২১ অর্থবছরে নেমে আসে মাত্র ০.৫০ থেকে ০.৬৫ লক্ষ কোটি টাকায়। তবুও, করোনা-পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ায় ভারতের পর্যটন খাত।

    ফলে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে বৈদেশিক মুদ্রা আয় আবার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭৮ লক্ষ কোটি টাকায়। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, বিশ্বের মানুষ এখন ভারতে আরও বেশি করে আসছেন। ফলে ভারতের পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসা ও পরিষেবা খাতে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের পর্যটন (Hospitality Sector) এখন আর কেবলমাত্র ছুটি কাটানোর মাধ্যম নয়— এটি হয়ে উঠছে অর্থনৈতিক গতিশীলতার এক গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী পর্যটন প্রতিযোগিতায় ভারত দ্রুতই অন্যান্য দেশকে ছাপিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    এ প্রসঙ্গে এমপি ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস এলএলপি-র প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্র পাতিল বলেন, “পরবর্তী দশকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা যত বেশি পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ করব এবং পর্যটকদের জন্য যত বেশি সুবিধা ও বিকল্প অভিজ্ঞতা তৈরি করব, তত বেশি উন্নতি হবে ভারতের পর্যটন খাতে।”

    ভারতের আধ্যাত্মিক পর্যটন

    ভারতে আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় পর্যটন ক্ষেত্রও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী— ২০২১ সালে তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা ছিল ৬৭.৭ কোটি, যা ২০২২ সালে বেড়ে হয়েছে ১৪৩.৯ কোটি। রাজস্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকায় এবং তৈরি হয়েছে প্রায় ৮ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান। ভারতের পর্যটন এখন কেবলমাত্র একটি খাত নয়— এটি হয়ে উঠেছে দেশের উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ, যেখানে অর্থনীতি, সংস্কৃতি, কর্মসংস্থান সবকিছুর মেলবন্ধন দেখা যাচ্ছে (Hospitality Sector)।

LinkedIn
Share