Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Balochistan: সুরাব শহরের দখল তাদের হাতে, দাবি বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির

    Balochistan: সুরাব শহরের দখল তাদের হাতে, দাবি বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালোচিস্তান (Balochistan) প্রদেশের সুরাব শহরের নিয়ন্ত্রণ নিল বিদ্রোহীরা। এমনটাই দাবি বিদ্রোহীদের। সমাজমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে সরকারি ভবনের দখল নিচ্ছে বিদ্রোহীরা। বিএলএ বা বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি ঘোষণা করেছে যে শহরে পুলিশ স্টেশন, প্রধান ব্যাংক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস সহ পুরো সুরাব শহরকেই তারা দখল করেছে। বালোচ কমান্ডাররা দাবি করেছেন যে তাদের দাপটে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী পিছু হঠে। অভিযানের সময় একজন স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) হত্যার দায়ও তারা নিয়েছে (Balochistan Liberation Army)। পুলিশ কর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্রও তারা কেড়ে নিয়েছে বলে দাবি তাদের।

    কী বললেন বিদ্রোহীদের মুখপাত্র জয়ন্দ বালুচ (Balochistan)

    সুরাব শহরকে দখলের পরেই বিবৃতি সামনে আসে বিএলএ মুখপাত্র জয়ন্দ বালুচের। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের যোদ্ধারা সুরাবের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরগুলির নিয়ন্ত্রণ করছে। এর পাশাপাশি কোয়টা ও করাচির যে জাতীয় সড়ক, সেই সড়কের চেকপোস্টগুলি এবং টহলদারি ব্যবস্থাও তারা নিয়ন্ত্রণ করছে।’’

    শুক্রবার সন্ধ্যাতে চলে হামলা (Balochistan)

    প্রসঙ্গত, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গোটা শহর। পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন সড়ক যেগুলি রয়েছে, সেগুলিকেও তারা সিল করে দিয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যাতে বিপুল সংখ্যক বিদ্রোহীরা জমা হতে থাকে এবং বিভিন্ন সরকারি অফিস গুলিতে হামলা শুরু করে। পাকিস্তানের সরকারি আধিকারিকরা যদিও এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি।

    জোর করে বালোচিস্তান দখল করে পাকিস্তান (Balochistan)

    বালোচিস্তান (Balochistan) হল পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ। আফগানিস্তান, ইরান এবং আরব সাগরের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিক গ্যাস, তামা, সোনা, কয়লা এবং ইউরেনিয়াম সহ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের সময় এই প্রদেশ আধা-স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য ছিল। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান জোরপূর্বক এই অঞ্চলটি দখল করে। সেই থেকেই শুরু বিদ্রোহ।বর্তমানে ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে তা আরও ভয়ঙ্কর আকার ধরাণ করে। পাকিস্তানি সেনা ও সরকার কোনওভাবেই নিয়্ন্ত্রণ করতে পারছে না বিদ্রোহীদের।

  • NDA: ঐতিহাসিক মাইলফলক! ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হলেন ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ

    NDA: ঐতিহাসিক মাইলফলক! ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হলেন ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঐতিহাসিক মাইলফলক এল দেশের সামরিক ইতিহাসে। পুণের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়ে বের হল ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ (NDA)। এর পাশাপাশি গ্র্যাজুয়েট হলেন পুরুষ বিভাগেরও ৩০০ জন। ত্রি-সেবা প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমির ক্ষেত্রপাল প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘Antim Pag’ (শেষ ধাপ) পেরিয়ে যান এই ক্যাডেটরা। ২৯ মে পাসিং আউট প্যারেডের রিভিউ অফিসার হিসাবে হাজির ছিলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিং ও মিজোরামের বর্তমান রাজ্যপাল।

    ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় (NDA)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০২২ সালে এনডিএ-র ১৪৮তম কোর্সে যোগ দিয়েছিলেন মহিলা ক্যাডেটের এই প্রথম ব্যাচ। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার ভিত্তিতেই ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে মহিলাদের আবেদনের অনুমতি দেয় ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)। এরপরেই অ্যাকাডেমি ক্যাডেট ক্যাপ্টেন উদয়বীর নেগি ১৪৮ তম কোর্সের প্যারেডের নির্দেশ দেন।

    কী বললেন ভিকে সিং

    জেনারেল ভিকে সিং বলেন, ‘‘আজ অ্যাকাডেমির ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। কারণ, NDA থেকে বেরোল মহিলা ক্যাডেটদের প্রথম ব্যাচ। বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তি এবং ক্ষমতায়নের দিকে আমাদের সম্মিলিত যাত্রায় এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এই তরুণীরা “নারী শক্তি”র অনিবার্য প্রতীক, যা কেবল নারী উন্নয়নই নয়, নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নেরও প্রতীক। আমি এমন একটি ভবিষ্যৎ কল্পনা করি, খুব বেশি দূরে নয়, যেখানে এই তরুণীদের মধ্যে একজন তাঁদের (Women Cadets) সেবার সর্বোচ্চ পদে উন্নীত হচ্ছেন।’’

    কী বললেন শ্রীতি দক্ষ

    ১৭ জন মহিলা-সহ মোট ৩৩৯ জন ক্যাডেটেরই দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ জন ক্যাডেট পেয়েছেন বিএসসি ডিগ্রি। ৮৫ জনকে দেওয়া হয়েছে কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি, ৫৯ জনকে ব্যাচেলর অফ আর্টস ও ১১১ জন বি.টেক ডিগ্রি পেয়েছেন। ব্যাচেলর অফ আর্টস স্ট্রিমে শীর্ষ স্থান দখল করেছেন শ্রীতি দক্ষ। অ্যাকাডেমিতে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে দক্ষ বলেন, ‘‘এখানে তিন বছরের প্রশিক্ষণ আবেগের মিশ্রণ। প্রাথমিকভাবে এখানে আয়ত্ত করতে একটু সময় লেগেছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠি। ইন্সট্রাক্টর, স্টাফদের সাহায্যে অ্যাকাডমির (NDA) সঙ্গে একাত্মবোধ করি।’’

    প্রসঙ্গত, একই স্কোয়াড্রনের এক্স-এনডিএ হলেন শ্রীতি দক্ষের বাবা । তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’’ জানা গিয়েছে, বি টেক স্ট্রিম থেকে নৌ ও বিমান বাহিনীর ক্যাডেটদের যথাক্রমে তাঁদের নিজ নিজ প্রাক-কমিশনিং প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি- ভারতীয় নৌ অ্যাকাডেমি এবং বায়ুসেনা অ্যাকাডেমিতে এক বছরের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর তাঁদের ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

  • AMCA Programme: নির্মাণে হাত মেলাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, অ্যামকার ৫টি প্রোটোটাইপ মডেলকে অনুমোদন কেন্দ্রের

    AMCA Programme: নির্মাণে হাত মেলাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, অ্যামকার ৫টি প্রোটোটাইপ মডেলকে অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন থমকে থাকার পর অবশেষে গতি পেতে চলেছে দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নির্মাণের কাজ। এবার সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতের অ্যামকা যুদ্ধবিমান (AMCA Programme) তৈরি করবে। প্রথম ধাপ হিসেবে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে ভবিষ্যতের যুদ্ধবিমানের পাঁচটি প্রোটোটাইপ।

    মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের ইতিহাসে একটি মাইলফলক!

    মূল উৎপাদন শুরু করার আগে, অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটের (অ্যামকা) ৫টি প্রোটোটাইপ উৎপাদন করবে ভারত। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, ‘‘অ্যামকা প্রকল্পের (AMCA Programme) অধীনে পাঁচটি প্রোটোটাইপ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে যা পরবর্তীতে সিরিজ উৎপাদনে যাবে।’’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সরকার ইতিমধ্যেই অ্যামকা-র জন্য একজিকিউটিভ বা কার্যকারী মডেল অনুমোদন করেছে। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা জেনে খুশি হবেন যে মাত্র দুই দিন আগে, অ্যামকা প্রকল্পের আওতায় সম্পূর্ণরূপে ভারতে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (AMCA Programme) তৈরির জন্য কার্যকারী মডেল অনুমোদিত হয়েছে।’’ রাজনাথ (Rajnath Singh) যোগ করেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তকে মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। কারণ প্রথম বার, দেশের একটি মেগা প্রতিরক্ষা প্রকল্পে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাকে হাতে হাত মিলিয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে।’’ এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) ও একাধিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই অ্যামকা তৈরি করছে অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি। সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক চললে, প্রথম প্রোটোটাইপটি ২০২৮ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে উন্মোচিত হওয়ার কথা। আর সিরিজ উৎপাদন ২০৩২ থেকে ২০৩৩ সালের মধ্যে শুরু হওয়ার কথা।

    অন্যদের থেকে প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে থাকবে অ্যামকা!

    অ্যামকা (AMCA Programme) নির্মাণে একাধিক বিষয় মাথায় রাখা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয়, এটি হতে চলেছে স্টেলথ মাল্টিরোল কমব্যাট ফাইটার। বিভিন্ন মিশনে বিভিন্ন সম্ভাব্য ভূমিকার কথা মাথায় রেখে নির্মাণ করা হবে এই ভবিষ্যতের জেটকে। যেমন— এয়ার সুপ্রিমেসি (ডগফাইটে ওস্তাদ) থেকে শুরু করে ভূমিতে-আক্রমণ (বম্বার)। আবার শত্রু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়া (সিড) থেকে শুরু করে শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে তছনছ করা (ইলেকট্রনিক যুদ্ধকৌশল)— এক হাতে সব সামলাতে পারবে অ্যামকা (AMCA Programme)। অর্থাৎ, এক কথায় সর্বগুণস্পন্ন হতে চলেছে ভারতের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান, যা অন্য দেশের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের তুলনায় কয়েক কদম এগিয়ে। এমনকি, ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের সঙ্গে তুল্যমূল্য হবে অ্যামকা। যে কারণে, অ্যামকার নকশায় একাধিক সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও বদল আনা হয়েছে। যেমন— টুইন-টেইল লেআউটের মাধ্যমে স্টেলথ রেডার, প্ল্যাটফর্ম এজ অ্যালাইনমেন্ট অ্যান্ড সেরেশন, বডি কনফর্মাল অ্যান্টেনা অ্যান্ড লো ইন্টারসেপ্ট রেডার, ডাইভার্টারলেস সুপারসনিক ইনলেট (DSI) সার্পেন্টাইন ডাক্ট যা ইঞ্জিন ফ্যান ব্লেডকে আড়াল করবে, ইন্টার্নাল ওয়েপন্স বে, এবং এয়ারফ্রেমে কম্পোজিটের (কার্বনের যৌগ দিয়ে তৈরি) ব্যাপক ব্যবহার।

  • Menstrual Cycle: সময়ের ‘আগে’ ঋতুমতী হচ্ছে ভারতীয় মেয়েরা! বাড়তি যত্নের পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    Menstrual Cycle: সময়ের ‘আগে’ ঋতুমতী হচ্ছে ভারতীয় মেয়েরা! বাড়তি যত্নের পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়ঃসন্ধিকালে (Adolescence) বদলে যায় শরীরের গঠন। শরীরে সক্রিয় হয় একাধিক হরমোন। আর তার ফলেই নানান পরিবর্তন হয়। শরীর এবং মনের বদলের প্রভাব হয় সুদূরপ্রসারী। প্রাকৃতিক নিয়মেই বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েরা ঋতুমতী (Menstrual Cycle) হয়। পরবর্তী জীবনে মা হয়ে ওঠার প্রথম ধাপ। তবে, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভারতীয় মেয়েরা ‘সময়ের আগেই’ ঋতুমতী হচ্ছে।‌ যা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য তাই বাড়তি যত্নও জরুরি (Menstrual Health Hygiene) বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    ‘সময়ের আগে’ ঋতুমতী (Early Age Periods) কী?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স বারো কিংবা তেরো হলে শরীরে নানান হরমোনের পরিবর্তন ঘটে‌। আর তার জেরেই মেয়েদের ঋতুস্রাব হয়। ঋতুচক্র (Menstrual Cycle) শুরু হয়। কিন্তু গত এক দশকে দেখা গিয়েছে, মেয়েদের আট থেকে ন’বছর বয়সের মধ্যেই ঋতুচক্র শুরু হয়ে যাচ্ছে। বয়স দশ বছর পার হওয়ার আগেই মেয়েদের প্রথম ঋতুস্রাব হচ্ছে। এর ফলে, শরীর ও মনের পরিবর্তন ও শুরু হয়ে যাচ্ছে। একেই সময়ের আগে ঋতুমতী হওয়া বোঝানো হচ্ছে।

    কেন সময়ের আগে ঋতুমতী হচ্ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবেশের পরিবর্তনের জেরেই এমন বদল হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকাল আগেই শুরু হচ্ছে। খাদ্যাভাস, জীবন যাপনে বদল এবং পরিবেশ দূষণের জেরেই নানান পরিবর্তন ঘটছে। পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে নানান বদল ঘটছে। বয়ঃসন্ধিকাল এগিয়ে আসাও তার অন্যতম কারণ বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

    কেন বাড়তি যত্নের প্রয়োজন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খুব কম বয়সে ঋতুমতী (Early Age Periods) হলে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, আট থেকে দশ বছরের মেয়ে ঋতুমতী হলে, তাকে ছয় থেকে সাত বছর বয়সেই এই বিষয়ে সচেতন (Menstrual Awareness) করা জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই পরিবার, শিশুকন্যাকে এই বিষয়ে বোঝানোর সুযোগ পাচ্ছেন না। তার আগেই শিশু কন্যা ঋতুমতী হচ্ছে। এর ফলে তার কাছে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। তাই দশ-বারো বছরের মেয়েদের মতো নয়। পরিবারের সদস্যদের ছয় থেকে সাত বছরের শিশুকে‌ ঋতুস্রাব (Menstrual Cycle) সম্পর্কে বোঝানোর প্রশিক্ষণ জরুরি। এমনি পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। হরমোনের পরিবর্তনের জেরেই এই ঘটনা। ঋতুস্রাব কোনও অসুখ নয়। পাশপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের উপায় সম্পর্কেও সাত বছরের পরেই মেয়েদের বোঝানো‌ জরুরি।
    তার পাশপাশি, শিশুর বাড়তি যত্ন জরুরি। অর্থাৎ দ্রুত ঋতুস্রাব হলে, শরীরে আয়রনের বাড়তি জোগান জরুরি। তাই কন্যা শিশুকে নিয়মিত কলা, আপেল, বেদানা, মাছ খাওয়ানো জরুরি। তাতে শরীরে আয়রনের জোগান ঠিকমতো থাকবে। শরীর দূর্বল হবে না।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আরেকটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, অধিকাংশ স্কুলে শৌচালয়ের স্বাস্থ্যবিধি (Menstrual Health Hygiene) মেনে চলা হয় না। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শৌচালয়ের পরিচ্ছন্নতা জরুরি। বিশেষত ঋতুস্রাব চলাকালীন শৌচালয়ের বাড়তি পরিচ্ছন্নতা জরুরি। সে ব্যাপারেও শিশুকে সচেতন করা দরকার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শিশুর ছয় কিংবা সাত বছর বয়স হলেই সে বিষয়ে জানানো দরকার। সতর্ক করাও দরকার। যাতে ঋতুস্রাব হলে শৌচালয় সংক্রান্ত সংক্রমণ এড়ানো যায়। সে সম্পর্কেও সচেতন করা জরুরি।

    কোন খাবার নিয়মিত দেওয়া দরকার?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সময়ের আগে ঋতুমতী (Early Age Menstruation) হওয়ার জেরে মেয়েদের বাড়তি যত্ন জরুরি। যাতে দীর্ঘমেয়াদি কোনও সমস্যা বা সংক্রমণ না ঘটে। তাই নিয়মিত কিছু খাবার খাওয়ায় পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।
    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারে নিয়মিত হলুদের ব্যবহার জরুরি (Menstrual Health Hygiene)।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, যেকোনও ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ রুখতে হলুদ বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত হলুদ শরীরে পৌঁছলে মেয়েদের নানান সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, সময়ের আগে ঋতুস্রাব (Menstrual Cycle) হলে শরীরে বাড়তি এনার্জির প্রয়োজন। তাই শিশুদের নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া দরকার। যাতে শরীরে রোগ‌ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। তাই লেবু, কিউই, ডিম জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
    এর পাশপাশি আয়রন ও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার মেয়েদের ছোটো থেকেই নিয়মিত খাওয়া দরকার। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, মাছ, বেদানা, আপেল, মোচা খাওয়ার পাশপাশি নিয়মিত দুধ কিংবা টক দই খাওয়া দরকার (Menstrual Health Hygiene)।‌ এতে হাড় মজবুত থাকে। শরীরে আয়রনের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Sesame Seeds: তিলেই হবে বাজিমাত! কোন‌ কোন রোগের মুশকিল আসান করবে তিল?

    Sesame Seeds: তিলেই হবে বাজিমাত! কোন‌ কোন রোগের মুশকিল আসান করবে তিল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    নিয়মিত এক মুঠো তিল (Sesame Seeds), আর তাতেই হবে বাজিমাত। একাধিক রোগের ঝুঁকি কমবে। সঙ্গে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি। আধুনিক জীবনে নানান রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হাড়ের রোগের মতো সমস্যা এখন খুব কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ পরামর্শ দিচ্ছেন, নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকুক এক মুঠো তিল। তাতেই একাধিক রোগের (Medicinal Benefits) সমস্যা কমবে।

    হাড়ের সমস্যা কমাবে তিল (Sesame Seeds)!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরোলেই বাড়লে হাড়ের সমস্যা। কোমড় ও হাঁটুর যন্ত্রণার জেরে, অনেকের নিয়মিত কাজেও প্রভাব পড়ছে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতির জেরেই হাড়ের রোগ বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই বয়স তিরিশের‌ চৌকাঠে পৌঁছলেই নিয়মিত তিল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, তিলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। পাশপাশি প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। এই দুই উপাদান হাড়ের গঠন মজবুত করে। তাই নিয়মিত তিল খেলে হাড়ের ক্ষয় রোগের ঝুঁকি কমবে।

    মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানসিক নানান সমস্যা বাড়ছে। মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ থেকেই এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কাজের চাপ এবং পারিপার্শ্বিক নানান কারণে এই ধরনের সমস্যা বাড়ছে। এই মানসিক চাপ কমাতেও তিল সাহায্য করে। তাই তিরিশের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য তিল (Sesame Seeds) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, তিল খেলে শরীরে সেরোটোনিন তৈরি হয়। এই সেরোটোনিনের অভাবেই মস্তিষ্কে উদ্বেগ বাড়ে। মানসিক চাপ তৈরি হয়। তাই নিয়মিত তিল খেলে এই উদ্বেগ কমবে। মানসিক শান্তি বজায় থাকবে।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে!

    কম বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয়দের হৃদরোগ উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। নিয়মিত তিল খেলে এই সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তিলের (Sesame Seeds) মধ্যে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও যৌগ রয়েছে। এই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া তিলের বীজে ভিটামিন ই থাকে। এই ভিটামিন হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে (Medicinal Benefits)।

    হজমের গোলমাল কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এখন তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনিয়মিত খাওয়া এবং অধিকাংশ সময়েই চটজলদি খাবার খাওয়ার অভ্যাস শরীরে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। হজমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘদিন হজমের গোলমালের জেরে লিভার এবং অন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। এর দীর্ঘপ্রসারি ফল হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, হজমের গোলমাল কমাতে নিয়মিত তিল খাওয়া উচিত।‌ তিলে (Sesame Seeds) প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই নিয়মিত তিল খেলে হজমের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।

    অ্যানিমিয়ার সমস্যা কমাবে তিল!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মহিলারা রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভোগেন। আয়রনের ঘাটতির জেরেই এই সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তিলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই হিমোগ্লোবিন কম থাকলে নিয়মিত তিল খাওয়া উচিত।

    কীভাবে তিল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তিলের বীজ থেকে তিলের তেল তৈরি করা যায়। রান্নায় ওই তিল নিয়মিত অল্প ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। তাছাড়া তিলের বীজ (Sesame Seeds) থেকে নাড়ু বা লাড্ডু বানিয়েও খাওয়া যায়। তাঁদের পরামর্শ, চিনি বা গুড় ব্যবহার করা যাবে না। তিলের বীজ গুঁড়ো করে, তার সঙ্গে কাঠবাদাম কিংবা পেস্তা গুঁড়ো মিশিয়ে লাড্ডু বানিয়ে, নিয়মিত একটা করে খেলে প্রচুর উপকার (Medicinal Benefits) পাওয়া যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই নবান্নে এসএসসি ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে ফের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। আর এরপরই এই ইস্যুতে মমতাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতার এমন ঘোষণায় চাকরিহারা যোগ্যরা বিভ্রান্ত বলেও তোপ দাগেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন।

    সমাজমাধ্যমের পাতায় কী লিখলেন শুভেন্দু?

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়া, আপনি বিগত কয়েক মাস ধরে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের নানা রকম আশ্বাস, অভয় দিয়েছেন। কখনও বলেছেন স্কুলে ফিরে যান, কখনও বলেছেন স্কুলে পড়াতে তো কোনও বারণ নেই (তা সে বেতন ছাড়াই হোক না কেন), কখনও বলেছেন সরকার পাশে আছে, ভরসা রাখুন চাকরি যাবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনার নাকি প্ল্যান এ, বি, সি, ডি তৈরি আছে। আজ যখন পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করলেন (যেটা সম্পূর্ণ এসএসসি-র এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে, আপনার কোনও ভূমিকা হওয়া উচিত নয়), তখন উল্লেখ করলেন না কেন যে, এই ঘোষণা আপনার কত নম্বর প্ল্যানের অংশ।’’

    আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের

    প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হচ্ছে আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে পরীক্ষা নিতেই হবে, তাই পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমরা চাই, পরে যেন আদালত আমাদের দোষ না দেয়।’’ আর এরপরই রাজ্যের হাজার হাজার যোগ্য চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আনেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘আপনি আজও চেষ্টা করেছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিভ্রান্ত করতে, তবে আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের? আজ তারা আপনার এই ঘোষণাকে মৃত্যুপরোয়ানা বলে উল্লেখ করেছে।’’

    বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন

    শুভেন্দুর প্রথম প্রশ্ন

    প্রথম প্রশ্নে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘‘যদি আদালতে পুনর্বিবেচনার আর্জির ফলাফল চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের পুনর্বহাল করার পক্ষে না যায়, তবে আর কোন আইনি পথে এদের সাহায্য করা সম্ভব হবে? কারণ যোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা না দিয়ে আপনি নিজে এদের আইনি সম্ভাবনার সমস্ত দরজার শিকলে তালা দিয়েছেন।’’

    শুভেন্দুর দ্বিতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় প্রশ্নে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানতে চেয়েছেন, ‘‘পুনরায় পরীক্ষায় বসতে বলে যে উপদেশ আপনি দিচ্ছেন, কি গ্যারান্টি আছে, যে যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা চাকরি হারিয়েছেন আপনার সরকারের শিক্ষামন্ত্রী, আপনার দলের নেতাদের ও তৎকালীন এসএসসি কর্তাদের দুর্নীতির ফলে, তারাই আবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি ফিরে পাবেন? হয়তো সম্পূর্ণ নতুন ব্যক্তিরা চাকরি পেলেন। আপনি দায়িত্ব নিয়ে, ১০০% সুনিশ্চিত ভাবে এক জন কারও নাম বলতে পারবেন যে চাকরি ফিরে পাবেই পাবে? হয়তো কিছু জন পাবে, বেশি বা কম, সে তো ফলাফল বেরোলে বোঝা যাবে।’’

    শুভেন্দুর তৃতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তৃতীয় প্রশ্নে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘যে রিভিউ পিটিশন নিয়ে আপনি এত আশাবাদী, এবং চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভরসা জোগানোর আপনার এক মাত্র সম্বল, সেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করার সময়ে কি যোগ্যদের তালিকা জমা দিয়েছেন সঙ্গে?’’

    ফের চাকরি বিক্রির সুযোগ পাবে নেতারা, তৃণমূলকে খোঁচা শুভেন্দুর

    এর পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের খোঁচা দিতেও ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, ‘‘যে বিজ্ঞপ্তি জারি করার ঘোষণা আজ করলেন এবং যার ফলে পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরির শূন্যপদে আবার নিয়োগ হবে, এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার ব্যাপারে সব থেকে খুশি হয়েছে আপনার দলের নেতারা, কারণ তারা আবার লক্ষ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি করার সুযোগের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে ৩০ মে। তারপর ১৬ জুন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। নতুন প্যানেল প্রকাশ হবে ১৫ নভেম্বর। কাউন্সেলিং ২০ নভেম্বর। মমতা সরকারের এমন ঘোষণার তীব্র বিরোধ করতে দেখা গিয়েছে চাকরিহারা যোগ্য আন্দোলনকারীদের।

  • PM Modi: লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠন, দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন মোদি

    PM Modi: লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠন, দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্যে ফের একবার দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করতে হলে এমনটা আমাদের করতেই হবে।’’ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন গুজরাটের গান্ধীনগরে। সেখানে একটি সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীর শক্তি প্রতিফলিত হয়েছে অপারেশন সিঁদুরে। এখন সময় এসেছে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের মাধ্যমে দেশকে শক্তিশালী করার।’’ প্রতিটি নাগরিককে জাতির উন্নয়নে অংশীদার হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমরা যদি ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে চাই এবং আমাদের অর্থনীতিকে বিশ্বের চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে বিদেশি পণ্যের ওপর আমরা নির্ভর করব না।’’ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘এভাবেই গ্রামের ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে হবে যে তাঁরা যেন বিদেশি পণ্য বিক্রি না করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের গণেশ মূর্তিও বিদেশ থেকে আসে। হোলির রং-ও আমাদের বাইরে থেকে আসে।’’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘একজন নাগরিক হিসেবে আপনারা তালিকা তৈরি করুন। নিজেদের বাড়িতে যান এবং ২৪ ঘণ্টায় আপনি কতগুলি বিদেশি পণ্য ব্যবহার করেন, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন যে চুলের কাঁটা থেকে চিরুনি সবটাই বিদেশে তৈরি।’’

    এটা ১৪০ কোটি নাগরিকের কর্তব্য (Indian Made Goods)

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘আমরা যদি ভারতকে আত্মনির্ভরভাবে গড়ে তুলতে চাই, ভারতকে উন্নত করতে চাই, তাহলে এটা কেবল অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব নয়। এটা ১৪০ কোটি নাগরিকের কর্তব্য।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘ওয়ান ডিসট্রিক্ট ওয়ান প্রোডাক্ট, ভোকাল ফর লোকাল-এই সরকারি কর্মসূচিগুলো দেশীয় পণ্যের ব্যবহারকেও বৃদ্ধি করবে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, মেড ইন ইন্ডিয়া ব্র্যান্ডের জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই গর্ব হওয়া উচিত।’’

  • Vinayak Damodar Savarkar: দিয়েছিলেন ‘হিন্দু’ শব্দের সংজ্ঞা, জন্মদিনে জানুন সাভারকরের জীবনী

    Vinayak Damodar Savarkar: দিয়েছিলেন ‘হিন্দু’ শব্দের সংজ্ঞা, জন্মদিনে জানুন সাভারকরের জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রথম সারির অন্যতম যোদ্ধা হিসেবে উঠে আসে বিনায়ক দামোদর সাভরকরের (Vinayak Damodar Savarkar) নাম। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তাঁকে জীবনের ১১ বছর কাটাতে হয়েছিল দ্বীপান্তরে। সকলের থেকে আলাদা করে সাভারকরকে রাখা হয়েছিল কালাপানির সেলুলার জেলে।

    জন্ম ও বংশ পরিচয়

    ১৮৮৩ সালের ২৮ মে মহারাষ্ট্রের নাসিকের ভগুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বিনায়ক দামোদর সাভরকর। তাঁর মা ছিলেন রাধাবাই সাভারকর এবং পিতা ছিলেন দামোদর পন্ত সাভারকর (Freedom Fighter)। রাধাবাই এবং দামোদর পন্ত সাভারকরের চার সন্তান ছিল, তিন ছেলে এবং এক মেয়ে। বিনায়ক দামোদর সাভারকর (Vinayak Damodar Savarkar) প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন নাসিকের শিবাজি স্কুলে। তিনি শৈশব থেকেই ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে লিপ্ত হন। ১১ বছর বয়সে মাঙ্কি আর্মি গঠন করেন তিনি। পরে স্বদেশি আন্দোলনে যোগ দেন তিনি।

    হিন্দু শব্দের সংজ্ঞা দিয়েছিলেন সাভারকর

    আন্দামানের কুখ্যাত সেলুলার জেলে নিজের কুঠুরিতে বন্দি বিনায়ক দামোদর সাভারকর কারাগারেই রচনা করেছিলেন ‘হিন্দু’ শব্দের সংজ্ঞা। এর ফলে ‘হিন্দু’ কে? যুক্তিসম্মত, প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা পেয়েছিল দেশবাসী। সাভারকরের ভাষায়,

    ‘‘আ সিন্ধু, সিন্ধু পর্যন্তা যস্য ভারত ভূমিকা
    পিতৃভূ, পূণ্যভূশ্চৈব সবৈ হিন্দু রিতি স্মৃত’’

    অর্থাৎ, সিন্ধু নদ থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত এই বিশাল ভূখণ্ডকে যিনি পূণ্যভূমি ও পিতৃভূমি বলে মনে করেন, তিনি আস্তিক হতে পারেন, নাস্তিক হতে পারেন, প্রতিমাপূজক অথবা নিরাকারবাদীও হতে পারেন, তিনিই হিন্দু। কোনও ব্যক্তি যদি ভারতীয় পরম্পরা, ঐতিহ্য, কৃষ্টিকে মেনে চলেন তিনিই হিন্দু। হিন্দু শব্দের ব্যাপকতা তাই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ভারত-ভূমির সংস্কৃতি এবং জাতীয়তাবোধের নামই হিন্দুত্ব।

    লোকমান্য তিলকের দর্শন তাঁকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল

    সাভারকর ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী (Freedom Fighter), রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং লেখক ও দার্শনিক। ‘হিন্দু মহাসভা’-তেও সাভারকর ছিলেন একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। হাইস্কুলের ছাত্র থাকাকালীনই সাভারকর স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ শুরু করেন বলে জানা যায়। পুণের ফার্গুসন কলেজে পড়াশোনা করতেন তিনি। লোকমান্য তিলকের দর্শন তাঁকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। ব্রিটেনে আইন পড়তে যান তিনি। সেখানে পড়াশোনা করার সময় ইন্ডিয়া হাউস এবং ফ্রি ইন্ডিয়া সোসাইটির মত স্বাধীনতাকামী দলগুলির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

    ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন (Vinayak Damodar Savarkar)

    ১৯০৫ সালে দশেরার দিনে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা সমস্ত জিনিসপত্র এবং কাপড় পোড়ানো শুরু করেন সাভারকর। এরপর আইন নিয়ে পড়তে লন্ডন পাড়ি দেন সাভারকর (Vinayak Damodar Savarkar)। কিন্তু ব্রিটিশদের ঘরে থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কৌশল রপ্ত করতে থাকেন তিনি। গঠন করেন অভিনব ভারত সোসাইটি, ফ্রি ইন্ডিয়া সোসাইটি নামে দুই সংগঠন। ১৯১০ সালে তাঁকে লন্ডনে গ্রেফতার করা হয়। নাসিকের জেলা কালেক্টর জ্যাকসনকে হত্যার জন্য নাসিক ষড়যন্ত্র মামলার অভিযোগে ১৯১১ সালের ৭ এপ্রিল কালাপানির সাজা দেওয়া হয় বিনায়ককে। ১৯১১ সালের ৪ জুলাই থেকে ১৯২১ সালের ২১ মে পর্যন্ত পোর্ট ব্লেয়ার জেলে ছিলেন তিনি।

    স্বাধীনতার জন্য সমুদ্রে ঝাঁপ (Vinayak Damodar Savarkar)

    সাভারকরকে (Vinayak Damodar Savarkar) যখন লন্ডন থেকে ভারতে আনা হচ্ছিল তখন তিনি ব্রিটিশদের হাত থেকে পালানোর জন্য এসএএস মোরিয়া জাহাজের শৌচালয়ের জানলা দিয়ে ভূমধ্যসাগরের ঠান্ডা জলে ঝাঁপ দেন। মৃত্যুভয় তাঁর ছিল না। শুধু স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে যে কোনও উপায়ে তিনি মুক্তির চিন্তা করেছিলেন। ভূমধ্যসাগরের দীর্ঘ জলপথ সাঁতরে তিনি ফরাসি উপকূলে পৌঁছেছিলেন। চেয়েছিলেন আশ্রয়। কিন্তু ব্রিটিশ বিরোধিতায় রাজি হয়নি ফ্রান্স। তাঁরা সাভারকরকে ইংরেজদের হাতে তুলে দেয়। এরপর তাঁর ঠিকানা হয় আন্দামানের সেলুলার জেল। যেখানে অন্ধকারে চলে নির্যাতন। কিন্তু জেল থেকেও স্বাধীনতার জন্য কবিতা-প্রবন্ধ লিখতে থাকেন তিনি। স্বাধীনতার জন্য চলে তাঁর নিরলস সংগ্রাম।

  • Murid Air Base: অপারেশন সিঁদুর! নয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল পাকিস্তানের মুরিদ বিমানঘাঁটির ধ্বংসের ছবি

    Murid Air Base: অপারেশন সিঁদুর! নয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল পাকিস্তানের মুরিদ বিমানঘাঁটির ধ্বংসের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাক-ভূমে ভারতীয় বায়ুসেনার তাণ্ডবের নতুন চিত্র সামনে এসেছে। কৃত্রিম উপগ্রহের পাঠানো সেই চিত্রগুলিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্থানের মুরিদ বিমান ঘাঁটির (Murid Air Base) ব্যাপক ধ্বংসাবশেষের ছবি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই কৃত্রিম উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে প্রায় তিন মিটার একটি গভীর গর্ত। অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পূর্ব এবং পরবর্তী উপগ্রহ চিত্র এভাবেই সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, যেখানে আঘাত হানা হয়েছে তা পাকিস্তানের একটি ভূগর্ভস্থ গোপন অবকাঠামো থেকে মাত্র ৩০ মিটার দূরে অবস্থিত।

    মুরিদ বিমান ঘাঁটির ছাদ পুরোপুরি ধ্বংস (Murid Air Base)

    অপারেশন সিঁদুরের পরেই দেখা যাচ্ছে, ওই বিমান ঘাঁটির ছাদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বিমানঘাঁটির (Operation Sindoor) দেওয়ালগুলির ধ্বংসাবশের ছবি সামনে এসেছে। এখানেই বোঝা যাচ্ছে যে হামলা ঠিক কতটা তীব্র ছিল! প্রসঙ্গত এই মুরিদ বিমান ঘাঁটি পাকিস্তানের চাকওয়ালে অবস্থিত (Murid Air Base)। জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১৫০ কিমি দূরে অবস্থিত। এখানেই অপারেশন সিঁদুরে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।

    ১০ জায়গায় হামলা ভারতের (Murid Air Base)

    প্রসঙ্গত, ভারত পাকিস্তানের দশটি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সারগোধা (মুশাফ), ভোলারি, জাকোবাবাদ, সুক্কুর এবং রহিম ইয়ার খান বিমান ঘাঁটি। জাকোবাবাদের বিমানঘাঁটিতে উপগ্রহ চিত্রে ব্যাপক ধ্বংসাবশেষ সামনে এসেছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ভোলারিতে ধ্বংসের ছবি দেখা যাচ্ছে। সিন্ধুতে অবস্থিত সুক্কুর বিমান ঘাঁটিতেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। এর পাশে ঝলসানো গাছপালাও দেখা যাচ্ছে। বিস্ফোরণের পরেই এই ছবি সামনে এসেছে। দক্ষিণ পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খানের বিমানঘাঁটির রানওয়েতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা হয়। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তারপরেই ৭ মে অপারেশন সিঁদুর লঞ্চ করে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত।

  • Thyroid Disease: বাড়ছে থাইরয়েডের সমস্যা, কারণ কি জিনগত না জীবন যাপনের ধরণ?

    Thyroid Disease: বাড়ছে থাইরয়েডের সমস্যা, কারণ কি জিনগত না জীবন যাপনের ধরণ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    দেশ জুড়ে বাড়ছে থাইরয়েড সমস্যা (Thyroid Disease)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এ দেশের ৪২ কোটি মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন। পুরুষের তুলনায় মহিলাদের এই সমস্যা বেশি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিন দিন আরও জটিল হচ্ছে থাইরয়েড সমস্যা। আর তার ফলেই নানান শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। ভারতীয়দের মধ্যে এ নিয়ে সচেতনতা (Thyroid Treatment) না বাড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

    থাইরয়েড সমস্যা (Thyroid Disease) কী?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মানুষের শরীরে থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে। গলার মাঝে, স্বরযন্ত্রের ঠিক নীচে এই গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থি থেকেই থাইরয়েড হরমোন বের হয়। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা হরমোন। কিন্তু এই হরমোন‌ অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে শুরু হলেই, তা বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে খুব কম বয়স থেকেই বিশেষত মহিলাদের ভারসাম্যহীন ভাবে থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ হচ্ছে। এর ফলে ফুসফুস, শ্বাসনালী, ত্বক এবং মহিলাদের জরায়ুর উপরেও প্রবল প্রভাব পড়ছে।

    কেন ভারতে থাইরয়েডের সমস্যা বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, থাইরয়েড যে কোনও বয়সের মানুষের হতেই পারে। তবে মহিলাদের থাইরয়েড সমস্যা (Thyroid Disease) বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ আয়রন এবং আয়োডিনের অভাব। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, থাইরয়েড প্রয়োজনের তুলনায় কম নিঃসরণ আবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি নিঃসরণ, দুটোই বিপজ্জনক। দেখা যাচ্ছে, শরীরে আয়রন এবং আয়োডিন, এই দুই উপাদানের ভারসাম্য নষ্ট‌ হলেই এই ধরনের থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা তৈরি হয়।

    আবার, ডায়বেটিস থাকলে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতে কম বয়সিদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জেরে খুব কম বয়স থেকেই অনেকে ডায়বেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। ‌এর ফলে থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ছে।

    এর পাশাপাশি, জিনগত বিষয়টিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ থাইরয়েডের সমস্যায় (Thyroid Disease) আক্রান্ত থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই থাইরয়েড একটি বংশানুক্রমিক রোগ বলা যেতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    অনিয়ন্ত্রিত থাইরয়েড মানেই কি ক্যান্সারের ঝুঁকি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, থাইরয়েড অনিয়ন্ত্রিত হলেই তা ক্যান্সার হবে এমন নয়। তবে দীর্ঘদিন থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা থাকলে থাইরয়েড ক্যান্সারের ঝুঁকি অবশ্যই বেড়ে‌ যায়।

    কীভাবে রোগ চিহ্নিত করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি লক্ষণ থেকেই থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য না থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহে থাইরয়েডের ভারসাম্য না থাকলে মানসিক চাপ তৈরি হয়। ফলে অকারণেই মেজাজ খিটখিটে থাকে। কোনও কাজেই বেশি সময় মনোযোগ থাকে না।‌ আবার থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা (Thyroid Disease) থাকলে ত্বক রুক্ষভাব থাকে। চুল পড়ার সমস্যা হয়। মহিলাদের ঋতুস্রাব নিয়মিত হয় না।‌ ক্লান্তি বোধ বেড়ে যায়। ফলে দিনভর ঘুম ভাব থাকে। অনেক সময়ে গলার স্বরে পরিবর্তন হয়। গলার স্বর কর্কশ হয়ে যায়। এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

    থাইরয়েডের সমস্যা প্রতিরোধ (Thyroid Treatment) করতে কী করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, থাইরয়েডের সমস্যা এড়াতে খাবারে নজরদারি জরুরি।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস থাকলে থাইরয়েডের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই খাওয়ার সময় সচেতন হওয়া জরুরি।‌ অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই যাবে না।‌ আবার প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রক্রিয়াজাত খাবারে নানান রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এর ফলে দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে থাইরয়েড গ্রন্থির উপরেও প্রভাব পড়ে।

    থাইরয়েডের সমস্যা (Thyroid Disease) এড়াতে ধূমপান বন্ধ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। ধুমপান করলে থাইরয়েড গ্রন্থির উপরে প্রভাব পড়ে। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট‌ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share