Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Edible Mushrooms: নিয়মিত মেনুতে থাকে মাশরুম! নয়া প্রজন্মের এই পছন্দের খাবার শরীরে কী প্রভাব ফেলে?

    Edible Mushrooms: নিয়মিত মেনুতে থাকে মাশরুম! নয়া প্রজন্মের এই পছন্দের খাবার শরীরে কী প্রভাব ফেলে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের পছন্দের খাবারের তালিকায় থাকছে মাশরুম! কম বয়সিদের স্বাদের খবর পেয়েই শহরের নানান নামীদামী রেস্তোরাঁয় মাশরুমের হরেক পদ তৈরি হচ্ছে। ইতালি-চিন-জাপানের পদ থেকে ভারতীয়, নানান মশলা আর রান্নার ধরনে তৈরি হচ্ছে মাশরুম। তবে পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু স্বাদে নয়, স্বাস্থ্যের জন্য ও এই খাবার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মাশরুম নিয়ম মাফিক রান্না করে খেলে, তা শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। একাধিক অঙ্গের সুস্থতার সঙ্গে মাশরুম খাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    মাশরুম কেন খাওয়া দরকার?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাশরুম এক ধরনের উদ্ভিদ জাতীয় খাবার। কিন্তু এই খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও থাকে নানান খনিজ পদার্থ। যা শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নিয়মিত মাশরুম খেলে শরীরের সহজেই ভিটামিন এবং প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। পাশপাশি পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়ামের মতো একাধিক প্রয়োজনীয় উপাদানের জোগান ও হয়। বিশেষত যারা প্রাণীজ প্রোটিন খেতে চান না, তাদের জন্য বিকল্প খাবার হিসাবে মাশরুম খুবই উপকারি‌। ক্যান্সার থেকে হৃদরোগ, একাধিক জটিল অসুখের ঝুঁকি কমাবে মাশরুম। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    শরীরের কোন রোগ রুখতে সাহায্য করে মাশরুম?

    ক্যান্সার রুখতে পারে!

    সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় চিকিৎসক-গবেষকেরা জানাচ্ছেন, সপ্তাহে দুই থেকে তিন কাপ মাশরুম খেলে ক্যান্সারের ঝুকি ৪৫ শতাংশ কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, জাপান সহ পৃথিবীর একাধিক দেশে ক্যান্সার চিকিৎসায় মাশরুম ব্যবহার করা হয়। এমন কিছু ওষুধ দেওয়া হয়, যাতে মাশরুমের উপাদান ক্যান্সার রোগীর শরীরে পৌঁছয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাশরুমে থাকে গ্লুটাথিওয়ান এবং এরগোথিওয়ানাইন নামে দুই ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এই দুই উপাদান ক্যান্সারের কোষ নষ্ট করতে বিশেষ সাহায্য করে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এই দুই উপাদানের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই সপ্তাহে অন্তত দু-তিনদিন মাশরুম খেলে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগকেও দূরে রাখা যাবে বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    অ্যালজাইমারের ঝুঁকি কমাতে পারে!

    বয়স পঞ্চাশ কিংবা ষাটের চৌকাঠে পৌঁছলেই স্মৃতিশক্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আধুনিক জীবনে প্রৌঢ়কালের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অ্যালজাইমারের মতো রোগ। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমছে। স্মৃতিশক্তি থাকছে না। ফলে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমাতে পারে মাশরুম। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাশরুমে রয়েছে ভিটামিন বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই দুই উপাদান মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। মস্তিষ্কের স্নায়ুর উপরেও প্রভাব ফেলে। এর ফলে অ্যালজাইমারের মতো রোগের ঝুঁকি কমে। আবার স্মৃতিশক্তিও ভালো থাকে। গবেষক-চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সপ্তাহে দু’কাপ পরিমাণ মাশরুম খেলে মস্তিষ্কের বিকাশ বেশি হয়। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমার ঝুঁকিও অর্ধেক হয়ে যায়।

    হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ব্যালেন্স রাখতে মাশরুম বিশেষ সাহায্য করে। তাই এই খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই মাশরুম খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে। হৃদপিণ্ডের প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান সহজেই পেয়ে যাবে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।

    হাড়ের ক্ষয় রোগ রুখতে পারে!

    হাড় ক্ষয়ের রোগ বাড়ছে। বিশেষত ভারতে মহিলাদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। হাড়ের দুর্বলতা ও ক্ষয়রোগের জেরে হাঁটাচলা এমনকি বসে থাকাও কষ্টকর হয়ে উঠছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি-র অভাবেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের একাংশ ও ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছেন। যার জেরে অনেকেই কোমড় ও হাঁটুর যন্ত্রণায় কাবু হচ্ছে।‌ পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খুব কম খাবারেই পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকে। যে কয়েকটি খাবার থেকে শরীর সহজেই ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ করতে পারে, তাদের মধ্যে রয়েছে মাশরুম। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত মাশরুম খেলে শরীরে ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ হয়। এতে হাড় ক্ষয়ের মতো রোগ সহজেই আটকানো‌ যায়।

    অন্ত্রের জন্য উপকারি!

    ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজের পাশপাশি মাশরুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই মাশরুম নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বাড়ে। অন্ত্রের জন্য ও এই খাবার বিশেষ উপকারি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Jiban Krishna Saha: সম্পত্তি ও নগদ মিলিয়ে জীবনকৃষ্ণের ২৩৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Jiban Krishna Saha: সম্পত্তি ও নগদ মিলিয়ে জীবনকৃষ্ণের ২৩৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) নামে ও ঘনিষ্ঠদের নামে থাকা সম্পত্তি ও নগদ মিলিয়ে ২৩৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। গ্রেফতারের পর তাঁর, স্ত্রী টগরী সাহা এবং একাধিক আত্মীয়ের নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক নগদ লেনদেন ও বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একইসঙ্গে এবার তলব করা হচ্ছে সেই সব চাকরিপ্রার্থীদের, যাঁদের কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকার লেনদেন (Jiban Krishna Saha)

    ইডির অনুমান, জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অন্তত ৭৫ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে টাকা এসেছে। এর মধ্যে কমপক্ষে সাতজন প্রার্থীর কাছ থেকে মোট ৪৬ লক্ষ টাকা গ্রহণ করা হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা সাহার স্ত্রী টগরী সাহার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। তদন্তে উঠে এসেছে, দুর্নীতির টাকা  খাটানোর জন্য একাধিক ব্যক্তি, আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যদের নামে জমি, ফ্ল্যাট এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে বিনিয়োগ করা হয়েছিল। এইভাবেই অবৈধ অর্থ লেনদেন ও সম্পত্তি গোপন রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল, যা শেষমেশ ধরা পড়ে যায় তদন্তকারীদের নজরে।

    মোট প্রায় ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর থেকে বিধায়ক টাকা নিয়েছিলেন বলে দাবি ইডির

    শুধু জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) ক্ষেত্রেই, ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইডি, যা বিভিন্ন সময়ে ছোট ছোট অঙ্কে লেনদেন করে গোপন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, প্রথম দফায় ২০ জন প্রার্থীর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং তাঁদের আগামী সপ্তাহে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই জীবন কৃষ্ণকে টাকা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। মোট প্রায় ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর থেকে বিধায়ক টাকা নিয়েছিলেন বলে দাবি তদন্তকারীদের, এবং সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন এই প্রথম ২০ জন।

  • Abhijit Gangopadhyay: আবার একটা জালিয়াতি! এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আশঙ্কা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Gangopadhyay: আবার একটা জালিয়াতি! এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আশঙ্কা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন বিচারপতি ও বর্তমান বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, ‘‘আবার একটা জালিয়াতি হতে চলেছে—এটা আগে থেকেই আন্দাজ করা সম্ভব।’’ প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবার রাতে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সেখানে ১৮০৬ জনের নাম দেখা যায়। এনিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, এই সংখ্যাটা অনেক বেশি হওয়া উচিত। অন্তত পাঁচ থেকে ছয় হাজার।

    কী বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে ভাবে রাজ্য সরকার পরীক্ষার্থীদের নিয়ে ছেলেখেলা করতে শুরু করেছে, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে প্রবঞ্চনা শুরু করে দিয়েছে, তাতে আমার তো মনে হয় না বিষয়টা স্বচ্ছ ভাবে হবে। এই পরীক্ষা স্কুল সার্ভিস কমিশনের হাত থেকে নিয়ে নেওয়া উচিত বা একটা সুপারভাইজারি বডি তৈরি করে এই কাজটা করা উচিত।’’ তিনি আরও বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে স্বচ্ছতার জন্য লিস্ট বের করতে বলেছিল, সেটা হল না। রাজ্য কত রকমের ভাঁওতাবাজি চালাবে? সুপ্রিম কোর্টকেও ভাঁওতা দিচ্ছে।”এই তালিকার উপর কোনওভাবে নির্ভর করা যাবে না বলে মনে করেন তিনি।

    কী কী পদ্ধতিতে দুর্নীতি হয়েছিল?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ (Abhijit Gangopadhyay) বুঝিয়ে দিয়েছেন, ঠিক কী কী ভাবে দুর্নীতি হয়েছে। তিনি বলেন, “ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে। একদল পরীক্ষাতেই বসেনি, চাকরি পেয়ে গিয়েছে। লিস্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও সুপারিশ করে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে একদলকে। এছাড়া এসএসসি যতজনকে সুপারিশ করেছিল, তার থেকে বেশি লোককে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই সব তালিকা এখানে নেই।” তাঁর মতে, অযোগ্যদের সংখ্যা অন্তত পাঁচ থেকে ছ’হাজার (SSC)।

    স্বচ্ছতার সঙ্গে বের হয়নি তালিকা

    তালিকায় ওই দাগি শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোন স্কুলে কাজ করত, সেটাও দেওয়া হয়নি। তাই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) বলছেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে স্বচ্ছতার জন্য লিস্ট বের করতে বলেছিল, সেটা হল না। রাজ্য কত রকমের ভাঁওতাবাজি চালাবে? সুপ্রিম কোর্টকেও ভাঁওতা দিচ্ছে।” এই তালিকার উপর কোনওভাবে নির্ভর করা যাবে না বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘আবারও দুর্নীতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’’ তাঁর দাবি, পরীক্ষার সময় ওএমআর সরবরাহ এবং আলাদা সিল কভারে সেগুলি নিয়ে যাওয়ার কাজটা স্কুল সার্ভিস কমিশন ছাড়া অন্য কোনও অথরিটিকে দিয়ে করাতে হবে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টকে দেখতে বলেছেন তিনি।

    কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর রায়েই বাতিল হয় ২৬ হাজার চাকরি

    ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে মামলার শুনানি করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর রায়ের ভিত্তিতেই প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রাখে এবং নির্দেশ দেয়, অযোগ্যদের বাদ দিয়ে নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে। এই নির্দেশ অনুযায়ীই ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে পরীক্ষা আয়োজন করছে এসএসসি। কিন্তু বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এই সংস্থা (SSC) আগেও ভরসা রাখতে পারেনি—তাই পরীক্ষার দায়িত্ব এসএসসি-এর হাত থেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করছেন।

  • Indian Army: তাঁকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল দুশো সেনা, বিতর্কিত মন্তব্য মমতার, পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    Indian Army: তাঁকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল দুশো সেনা, বিতর্কিত মন্তব্য মমতার, পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সরাসরি সেনাবাহিনীর বিরোধিতায় নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Indian Army)। শুধু তাই নয়, ধর্মতলায় মঞ্চ খোলা ইস্যুতে তিনি দাবি করেছেন, প্রায় ২০০ জন সেনা সদস্য নাকি তাঁকে দেখে ছুটে পালিয়েছিলেন। দেশের সেনাবাহিনী সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র বিতর্ক। মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে স্তম্ভিত কমবেশি সব মহলই। তিনি আরও বলেন, বিজেপির নির্দেশেই সেনাবাহিনী এই কাজ করছে। তাঁর এই মন্তব্যে রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে আলোড়ন। বিরোধী দল বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেছে। তাঁকে পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে তারা। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও দেওয়া হয়েছে স্পষ্ট বিবৃতি। অনেকেই বলছেন, দেশের সেনাবাহিনী আমাদের সুরক্ষা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনা যেভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছে, তা গোটা দেশের গর্ব। সেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একজন সাংবিধানিক পদে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্য কি মানায়?

    মঞ্চ খোলা ইস্যুতে সেনার বিবৃতি (Indian Army)

    ভারতীয় সেনা (Indian Army) মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগেই তাঁদের মঞ্চ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কর্ণপাত করেনি উদ্যোক্তারা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ভারতীয় সেনাবাহিনী (স্থানীয় সামরিক কর্তৃপক্ষ, কলকাতা) ময়দান এলাকায় দুই দিনের জন্য অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে। ৩ দিনের বেশি অনুষ্ঠানের জন্য ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য ২ দিনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তবে মঞ্চটি প্রায় এক মাস ধরে স্থাপন করা হয়েছে, অস্থায়ী কাঠামো অপসারণের জন্য আয়োজকদের কাছে বেশ কয়েকবার অনুস্মারক পাঠানো হয়েছে কিন্তু এটি অপসারণ করা হয়নি। এরপর কলকাতা পুলিশকে অবহিত করা হয় এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী কাঠামোটি সরিয়ে ফেলেছে।’’

    পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    অন্যদিকে, সেনাবাহিনীকে (Indian Army) এভাবে অপমান করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি মন্তব্য করেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রীকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত।” সুকান্ত এই ইস্য়ুতে বলেন, ‘‘দিদি ভারতে কী করছেন? ওঁর পাকিস্তানে গিয়ে আসিফ মুনিরকে সাহায্য করা উচিত। ভারতীয় সেনা যদি দিদিকে দেখে দৌড়ায়, তাহলে ওঁর প্রয়োজন এখানে নেই, ওঁকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। দিদির অপব্যবহার হচ্ছে।’’

    দেশের সেনাবাহিনীকে চরম অপমান করেছেন, বললেন শুভেন্দু

    অন্যদিকে, এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের ফেসবুক পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন। আমরা সবাই জানতাম, আপনি একজন জাতীয়তাবাদ-বিরোধী। তবে যেভাবে আপনি বলেছেন, ‘ময়দানে পৌঁছানোর পর ২০০ জন সাহসী সেনা সদস্য পালিয়ে গেছেন আপনাকে দেখে’, এটা শুধু একটি বড় মিথ্যেই নয়—বরং দেশের সেনাবাহিনীর প্রতি চরম অপমান। যে সেনাবাহিনীর সাহস ও আত্মত্যাগের কোনও তুলনা হয় না, যাঁরা আমাদের সীমান্ত রক্ষা করেন এবং সংকটের সময় আমাদের সুরক্ষা দেন, তাঁদের নিয়ে এমন মিথ্যা প্রচার করা লজ্জাজনক।”

    ক্ষমতার লোভে অন্ধ মমতা

    শুভেন্দু আরও বলেন, “ময়দানে তৃণমূলের অস্থায়ী কাঠামো এক মাস ধরে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী (Indian Army) বারবার তা সরানোর কথা বললেও তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের ‘উদ্যোক্তা’র পরিচয় দিয়ে কখনোই সেই কাঠামো সরায়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী এখন নিজের মুখ রক্ষার জন্য মিথ্যা গল্প বানাচ্ছেন। এটা নিছক নির্লজ্জতা। ক্ষমতার লোভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এতটাই অন্ধ করে দিয়েছে যে তিনি দেশের জওয়ানদের অসম্মান করছেন। এটা শুধু সেনাবাহিনীর নয়, প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের অপমান। মুখ্যমন্ত্রীর এমন অপমানজনক মন্তব্য দেশের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করছে।”

    ২০০-র মতো সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল

    প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির কাছে তৃণমূলের মঞ্চ খুলতে শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঞ্চের ত্রিপল, বাঁশ ইত্যাদি খুলে সরিয়ে ফেলা হয়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী দিন বলেন, ‘‘বিজেপির কথায় চলছে সেনাবাহিনী। সেনাকে দিয়ে কাজ করালে দেশটা কোথায় যাবে? সেনাবাহিনীর অপব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ২০০-র মতো সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল। যখন বিজেপি থাকবে না তখন পালাবে কোথায়? আমরা শনি-রবিবার কর্মসূচি করি। আমরা টাকাও দিয়েছি। আপত্তি থাকলে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পারত। রাজনৈতিক স্বার্থে সেনাবাহিনীর অপব্যবহার হচ্ছে। আমি এই ঘটনার তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি।’’

  • Afghanistan Earthquake: মৃত্যু ৮০০ পার, ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস মোদি, জয়শঙ্করের

    Afghanistan Earthquake: মৃত্যু ৮০০ পার, ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস মোদি, জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার গভীর রাতে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে (Afghanistan Earthquake) মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়াল। আহতের সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এই বিপর্যয়ে আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়াল ভারত। চিন থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়েছেন, ‘সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত।’ একই কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করও।

    সাহায্যের আশ্বাস ভারতের

    এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে চিন সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে (Afghanistan Earthquake) প্রাণহানিতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। এই কঠিন সময়ে আমরা শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির পাশে রয়েছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। ভারত সবরকম মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ পাঠাতে প্রস্তুত।” প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) পাশাপাশি, আফগানিস্তানের এই বিপর্যয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রীও। এস জয়শঙ্কর এই বিপর্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এই কঠিন সময়ে ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। নিহতদের পরিবারের প্রতি রইল আমাদের গভীর সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”

    মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প

    মার্কিন ইউএসজিএস-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল জালালাবাদ শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী রিখটার স্কেলে প্রথম ভূকম্পনের (Afghanistan Earthquake) মাত্রা ছিল ৬.৩। মূল কম্পনের পর আরও অন্তত চারটি আফটারশক অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৪.৫ থেকে ৫.২ তীব্রতার মধ্যে। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮২০। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি উদ্ধারকারী দলগুলো দুর্গম এলাকাগুলিতে পৌঁছাতে লড়াই করছে। সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল, ফলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারিত হয়নি। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে শুধুমাত্র প্রত্যন্ত কুনার প্রদেশেই প্রায় ৮০০ জন নিহত এবং ২ হাজার ৫০০ জন আহত হয়েছেন। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তিনি আরও জানান, পার্শ্ববর্তী নাঙ্গারহার প্রদেশে আরও ১২ জন নিহত এবং ২৫৫ জন আহত হয়েছেন। তালিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি জানান, অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।

    কেন ভূমিকম্পপ্রবণ আফগানিস্তান

    আফগানিস্তান একটি ভূমিকম্পপ্রবণ (Afghanistan Earthquake) অঞ্চল, কারণ এটি ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি ভূপ্রকৃতির কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে ভূমিধসের ঝুঁকি থাকে ব্যাপক, ফলে উদ্ধারকার্যও চরমভাবে ব্যাহত হয়। এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে তালিবান সরকারের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৪,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে তাখার ও বাদাখশন প্রদেশে প্রায় ৪,০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে। রাষ্ট্রসংঘের হিসেব অনুযায়ী, গত এক দশকে আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭,০০০ জনের, অর্থাৎ প্রতিবছর গড়ে ৫৬০ জনের প্রাণহানি ঘটে।

  • Siksha Bondhu: সুপ্রিম কোর্টে ফের ধাক্কা রাজ্যের, শিক্ষাবন্ধুদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ

    Siksha Bondhu: সুপ্রিম কোর্টে ফের ধাক্কা রাজ্যের, শিক্ষাবন্ধুদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শিক্ষাবন্ধুরা এখন থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখে এবং জানিয়ে দেয়, শিক্ষাবন্ধুদের (Siksha Bondhu) চাকরির মেয়াদ ৬০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হল। সর্বোচ্চ আদালত এদিন আরও পর্যবেক্ষণ করে জানায়, দেশে শিক্ষকরা যথোপযুক্ত সম্মান পান না বরং অবহেলা ও শোষণের শিকার হন। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এদিন বলেন, যদি কেউ একটানা ২১ বছর ধরে কাজ করে থাকেন, তবে তাঁকে স্থায়ী কর্মী হিসেবে বিবেচনা করা হবে না কেন? দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ (Supreme Court) স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, শিক্ষাবন্ধুদের বকেয়া অর্থও মেটাতে হবে।

    সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনেই নিয়োগ পান শিক্ষাবন্ধুরা (Siksha Bondhu)

    প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে রাজ্য সরকার সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে শিক্ষাবন্ধুদের (Siksha Bondhu) নিয়োগ করে। এরপর ২০১৩ সালে রাজ্য সরকার তাঁদের ‘স্বেচ্ছাসেবক’ হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু ২০১৪ সালে, তাঁদের ভাতা বন্ধ করে এবং ৬০ বছরের আগেই অবসর নেওয়ার নির্দেশ জারি করে রাজ্য। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষাবন্ধুরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। ২০২৩ সালে, বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চ রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেন। তবে, সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে।

    রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে একই রায় দেয়

    এই নিয়ে মামলা উঠেছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল শিক্ষকদের মতো শিক্ষামিত্রদেরও কাজ করার অধিকার রয়েছে ৬০ বছর পর্যন্ত। ২০২৫ সালে দেওয়া এই মামলার রায়ে ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের আগের রায়কেই বহাল রাখে, যা শিক্ষাবন্ধুদের পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ জয় হিসেবে বিবেচিত হয়। এরপরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায়ই বহাল রাখল। সূত্রের খবর, বর্তমানে রাজ্যে মোট ৩,৩৩৭ জন শিক্ষাবন্ধু রয়েছেন। পিছিয়ে পড়া ও স্কুলছুট পড়ুয়াদের আবার শিক্ষার স্রোতে ফিরিয়ে আনাই তাঁদের মূল দায়িত্ব।

  • SSC: নেতা-নেত্রী থেকে বিধায়কের বউমা! এসএসসির দাগি তালিকায় তৃণমূলের রমরমা

    SSC: নেতা-নেত্রী থেকে বিধায়কের বউমা! এসএসসির দাগি তালিকায় তৃণমূলের রমরমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি দাগি প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য হয় তৃণমূল সরকার (Trinamool Congress)। তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, তা একপ্রকার দখল করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কে নেই সেই তালিকায়! বিধায়কের পুত্রবধূ থেকে শুরু করে নেতা-নেত্রীদের আত্মীয়। যেমন ধরুন, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের পুত্রবধূ শম্পা ঘোষ রয়েছেন তালিকার ১২৬৯ নম্বরে। একইভাবে ‘অযোগ্য’ তালিকায় (SSC) নাম আছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষের। তাঁর নাম রয়েছে ৬৪৭ নম্বরে। তালিকার পাতা উল্টাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ— রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলার চিত্র একই রকম। সব জায়গাতেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের নাম উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি।

    বিজেপির আক্রমণ (SSC)

    এই ইস্যুতে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘একটা চাকরিও কোনও নির্বাচিত সরকার অবৈধভাবে দিতে পারে না। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গোটা ভারতবর্ষের সামনে অবৈধভাবে চাকরি দিয়েছে। আজ যাঁরা দাগি বলে চিহ্নিত হলেন, তাঁদের থেকেও মহাদাগি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।’’ শুভেন্দুর আরও দাবি, ‘‘এই দাগিদের মধ্যে ৯০ শতাংশ টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, আর ১০ শতাংশ নেতা-মন্ত্রীদের সুপারিশে পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছেন। কারও গয়নাগাটি, কারও জমি বিক্রি হয়েছে, আবার কারও গরু-বাছুর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে চাকরি পাওয়ার জন্য (SSC)।’’ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের পাল্টা খোঁচা, ‘‘অযোগ্যরা এবার তালিকা প্রকাশ করুন, কোন কোন তৃণমূল নেতাকে কত টাকা দিয়েছেন।’’

    তালিকায় তৃণমূলের রমরমা (SSC)

    এসএসসি-র ‘অযোগ্য’ তালিকায় একের পর এক তৃণমূল (Trinamool Congress) ঘনিষ্ঠদের নাম উঠে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে। তালিকার ১৩৬০ নম্বরে আছেন শতাব্দী বিশ্বাস, যিনি নিউ বারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান স্বপ্না বিশ্বাসের কন্যা। অযোগ্য তালিকায় নাম উঠেছে হুগলির খানাকুলের তৃণমূল নেতা এবং জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য বিভাস মালিক এবং তাঁর স্ত্রী সন্তোষী মালিকের। তাঁদের নাম যথাক্রমে ৩১৬ ও ১৩৩২ নম্বরে। হুগলি জেলা পরিষদের প্রাক্তন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শাহিনা সুলতানা, এবং খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ-সভাপতি নইমুল হক ওরফে রাঙার স্ত্রী নমিতা আদককেও ‘দাগি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এসএসসি। বারাসাত ১ ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইশা হক সর্দারের ছেলে মহম্মদ নাজিবুল্লা রয়েছেন তালিকার ৭৯১ নম্বরে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের ১০ নম্বর জলচক অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি অজয় মাঝি আছেন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের তালিকার ৩৯ নম্বরে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী রয়েছেন তালিকার ১০৪ নম্বরে। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের কন্যা রোশনারা বেগমকেও চিহ্নিত করা হয়েছে ‘অযোগ্য’ হিসেবে। তালিকায় নাম রয়েছে কবিতা বর্মণের, যিনি ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন। মালদার মোথাবাড়ির তৃণমূল নেতা সামসুদ্দিন আহমেদের নামও রয়েছে এই তালিকায়। নাম রয়েছে হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জ এলাকার তৃণমূল নেত্রী সন্ধ্যা মণ্ডলের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল।

  • Earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্প আফগানিস্তানে, মৃত অন্তত ২৫০! কাঁপল দিল্লি, কাশ্মীরও

    Earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্প আফগানিস্তানে, মৃত অন্তত ২৫০! কাঁপল দিল্লি, কাশ্মীরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার মধ্যরাতে আফগানিস্তানে (Afghanistan) একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে (Earthquake) অন্তত ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন বহু মানুষ। আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের তরফ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আফগানিস্তানের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র সারাফাত জামান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটি সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে। সেই কারণে আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি আরও জানান, যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। আফগানিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর যেমন উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে, তেমনি স্থানীয় নাগরিকরাও এতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।আফগানিস্তানের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৩। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের দাবি, কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬ মাত্রার। দিল্লিতেও অনুভূত হয় আঁচ। অনেকে আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন।

    আফটারশক বা পরবর্তী কম্পনে বারবার কেঁপে ওঠে

    ভূমিকম্পের (Earthquake) পর আফটারশক বা পরবর্তী কম্পনে বারবার কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। যার মধ্যে অন্তত দু’টি কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ রিখটার স্কেলের কাছাকাছি। মূল কম্পনের মাত্র ২০ মিনিট পরেই প্রথম আফটারশকটি অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৪.৫ এবং উৎসস্থল ছিল ভূমি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এরপর রাত ১টা ৫৯ মিনিটে ৪.৩ মাত্রার, ভোর ৩টা ৩ মিনিটে এবং ৫টা ১৬ মিনিটে দুটি ৫ মাত্রার কম্পন হয়, যেগুলোর গভীরতা ছিল ১০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

    কেন্দ্রস্থল আফগানিস্তানের জালালাবাদের কাছে নানগরহর প্রদেশে

    ভূমিকম্পের (Earthquake) কেন্দ্রস্থল আফগানিস্তানের জালালাবাদের কাছে নানগরহর প্রদেশে, ভূমি থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে কম্পন শুরু হয়। ভারতের সময় অনুযায়ী রাত পৌনে ১টা। নানগরহর প্রদেশের জনস্বাস্থ্য দফতরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন, যাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    আঁচ অনুভূত দিল্লিতেও (Earthquake)

    এই ভূকম্পনের প্রভাব শুধু আফগানিস্তানেই নয়, ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবেশী পাকিস্তান এবং ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর ও রাজধানী দিল্লিতেও। ভূমিকম্পের সময় দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় বহু মানুষ আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। সমাজমাধ্যমে অনেকে রাতের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের (Afghanistan) নানগরহর প্রদেশটি পাকিস্তান সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল এবং রাজধানী কাবুল থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২০২ কিলোমিটার।

    ভূকম্পন প্রবণ দেশ আফগানিস্তান

    রেড ক্রসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বত অঞ্চল ভূতাত্ত্বিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয়। এই অঞ্চলে প্রতি বছর একাধিক ভূমিকম্প ঘটে। এর প্রধান কারণ হল, অঞ্চলটি ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এছাড়াও, আফগানিস্তানের হেরাত শহরের নিচ দিয়ে একটি বড় ফল্ট লাইন অতিক্রম করেছে, যা ভূমিকম্পের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। মাত্র এক মাস আগেই, অর্থাৎ অগাস্ট মাসে, আফগানিস্তানে একাধিক ভূমিকম্প হয়েছিল। ২ অগাস্ট রিখটার স্কেলে ৫.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়, এরপর ৬ অগাস্ট আরও একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৪.২।

    ২০২২ সালের ভূমিকম্প

    শুধু ২০২৫ সালেই নয়, মাত্র তিন বছর আগে, ২০২২ সালে পূর্ব আফগানিস্তানে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৯। এতে প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত হন এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হন।

    ২০২৩ সালের ভূমিকম্প

    এরপর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প (মাপ ৬.৩) আফগানিস্তানকে কাঁপিয়ে দেয়। ওই ভূমিকম্পে দেশের একটি বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বহু বাড়িঘর ধসে পড়ে। তালিবান সরকারের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়েছিল যে মৃতের সংখ্যা ৪,০০০ ছাড়িয়েছে। যদিও পরে রাষ্ট্রসংঘ তথ্য প্রকাশ করে জানায়, ওই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দেড় হাজারের কিছু বেশি ছিল।

    ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে হয় ভয়াবহ ভূমিকম্প

    ঠিক পাঁচ মাস আগে, অর্থাৎ ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে — আফগানিস্তানে তীব্র ভূমিকম্প হয়। সেই ভূমিকম্পের প্রভাব ভারতেও অনুভূত হয়, বিশেষ করে রাজধানী দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায়। রয়টার্সের প্রতিবেদনের অনুযায়ী, ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৬। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের বাগলান থেকে ১৬৪ কিলোমিটার পূর্বে। ঠিক পাঁচ মাসের মাথায়, ফের এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যদি ভূমিকম্প ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি গভীরতায় ঘটে, তবে তা আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কারণ, কম্পনের অভিঘাত খুব দ্রুত ভূপৃষ্ঠে পৌঁছে যায়, যার ফলে ঘরবাড়ি, অবকাঠামো ও নির্মাণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। স্বাভাবিকভাবেই, প্রাণহানির ঝুঁকিও অনেক গুণ বেড়ে যায়।

  • Bad Cooking Practices: রান্নাঘরের এই পাঁচ অভ্যাস বাড়াচ্ছে বিপদ! কীভাবে এড়াবেন?

    Bad Cooking Practices: রান্নাঘরের এই পাঁচ অভ্যাস বাড়াচ্ছে বিপদ! কীভাবে এড়াবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর সুস্থ রাখার চাবিকাঠি রয়েছে রান্নাঘরে! কী খাবার তৈরি হচ্ছে, কীভাবে সেটা রান্না হচ্ছে আর কখন খাওয়া হচ্ছে, এই সবকিছুই জরুরি। এগুলোর উপরে শরীর সুস্থ থাকার শর্ত অনেকটাই নির্ভর করে। অন্তত এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বহু শিশু নিয়মিত পেটের অসুখে ভোগে। অনেকেই বমি কিংবা হজমের গোলমালের জেরে হয়রানি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, এই ধরনের নানান সমস্যা হয় খাবার থেকেই। তাই রান্নাঘরের অভ্যাস নিয়ে সচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জানেন না, খুব সাধারণ রান্নাঘরের পাঁচটি অভ্যাস আসলে বিপজ্জনক। শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছে।

    নিয়মিত বাসি ভাত এবং ডিম খাওয়ার অভ্যাস!

    জীবনের ব্যস্ততা বাড়ছে। অনেকেই এখন কাজ কমাতে একসঙ্গে অনেকটা রান্না করে রাখেন‌। তারপরে সময় মতো গরম করে খান। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস খুবই বিপজ্জনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিছু খাবার পুনরায় গরম করে খেলে, তার পুষ্টিগুণ একেবারেই থাকে না। বরং আরও বেশি শারীরিক ক্ষতি করে। তেমনি দুটো খাবার হলো ভাত এবং ডিম। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাসি ভাতে নানান ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। বাসি ভাত খেলে ডায়রিয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দেখা যায়, নিয়মিত বাসি ভাত খেলে অনেকেই পেটের অসুখে ভুগছেন। ভাতের পাশাপাশি ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রেও এই পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাসি ডিম শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। কারণ ডিম পুনরায় গরম করে খেলে ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে কোনও উপকার হয় না। বরং নানান রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

    প্লাস্টিকের বোতলে জল রাখার অভ্যাস!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য যেমন ক্ষতিকারক, তেমনি শরীরের জন্যও ক্ষতিকারক। অধিকাংশ বাড়িতেই প্লাস্টিকের বোতলে জল রাখার রেওয়াজ। যা একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ প্লাস্টিক বোতল একবার ব্যবহারযোগ্য। কিন্তু বহু বাড়িতেই ওই বোতল দিনের পর দিন ব্যবহার হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্লাস্টিকের বোতল তৈরির সময় বিসফেনল জাতীয় উপাদান ব্যবহার করা হয়। এই উপাদান রক্তচাপের ভারসাম্য নষ্ট করে। হরমোনের সমস্যা তৈরি করে। এমনকি ইনসুলিন ক্ষরণের ক্ষেত্রেও নানান জটিলতা তৈরি করে। দীর্ঘদিন প্লাস্টিকের বোতলে জল রেখে জল খেলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হরমোন ঘটিত অসুখ এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও তৈরি হয়।

    রান্নাঘরে অতিরিক্ত সুগন্ধি ব্যবহার!

    রান্নাঘরে মাছ-মাংসের আঁশটে গন্ধ দূর করতে অনেকেই বাজারে সহজলভ্য সুগন্ধি ব্যবহার করেন। অনেকেই এখন রান্নার পরে ঘরে এয়ার ফ্রেশনার কিংবা সুগন্ধযুক্ত মোমবাতি জ্বালিয়ে গন্ধ দূর করেন। এতে সাময়িক স্বস্তি হলেও শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ এই সুগন্ধিতেই থ্যালেট সহ একাধিক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এগুলো শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক। হৃদপিণ্ড, ফুসফুসের উপরে এগুলোর গভীর প্রভাব পড়ে। তাই রান্নাঘরে নিয়মিত এই ধরনের সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বরং তাদের পরামর্শ রান্নার পরে রান্নাঘর নিমপাতা এবং লেবুর রস মেশানো ঘরোয়া মিশ্রণে পরিষ্কার করলে জীবাণু দূর হবে আবার বাজে গন্ধ ও থাকবে না।

    পুরনো ননস্টিক বাসনে রান্না!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কী খাওয়া হচ্ছে, এর পাশপাশি কীভাবে রান্না করা হচ্ছে এটাও সমান জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে তাই কোথায় কীভাবে রান্না হচ্ছে সেটার দিকে নজরদারি প্রয়োজন। তাই তাঁদের পরামর্শ পুরনো ননস্টিক বাসনে রান্না করা একেবারেই উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ননস্টিক বাসনে টেফলন নামে একটি রাসায়নিকের আস্তরন থাকে। পুরোনো বাসন বারবার ঘষা মাজার ফলে সেই আস্তরন ছিঁড়ে যায়। এতে বাসনের মধ্যে একধরনের রাসায়নিক ক্রিয়া হয়। ওই বাসনে রান্না করলে, ওই রাসায়নিক খাবারে মিশে যেতে পারে। বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যার প্রভাব শরীরেও পড়ে।

    অতিরিক্ত তেল ও কৃত্রিম চিনির ব্যবহার!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশজুড়ে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের সুস্থ থাকার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সবচেয়ে বড় কারণ জীবন‌ যাপন সংক্রান্ত নানান অভ্যাস। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেলে রান্না করা খাবার খাওয়া এবং কৃত্রিম চিনি খাওয়ার অভ্যাস শরীরে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নিয়মিত তেলে ভাজা জাতীয় খাবার খান‌। অনেকেই একবার রান্না করা তেল, পুনরায় ব্যবহার করেন। যা খুবই বিপজ্জনক। একবার রান্না করার পরে আবার সেই তেল পুনরায় ব্যবহার করলে শরীরে নানান জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়‌। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রুখতে তরুণ প্রজন্মের একাংশ কৃত্রিম চিনি নিয়মিত ব্যবহার করছে। যা খুবই বিপজ্জনক। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কৃত্রিম চিনিতে নানান ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে। যার ফলে ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাঁদের পরামর্শ, কম তেলে রান্না করতে হবে। চিনি কিংবা কৃত্রিম চিনি কোনোটাই শরীরের জন্য উপকারী নয়। তাই এগুলো‌ বাদ দেওয়া উচিত।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Commonwealth Meet: কমনওয়েলথ ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় মেহকের, ব্রোঞ্জ লাভপ্রীতের

    Commonwealth Meet: কমনওয়েলথ ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় মেহকের, ব্রোঞ্জ লাভপ্রীতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার কমনওয়েলথ (Commonwealth Meet) ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ দিনে ভারতের মেহক শর্মা ও লাভপ্রীত সিং যথাক্রমে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। বীর সাভারকর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় মেহক শর্মা মহিলাদের +৮৬ কেজি বিভাগে মোট ২৫৩ কেজি (স্ন্যাচে ১১০ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৪৩ কেজি) উত্তোলন করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। এই বিভাগে সামোয়ার ইউনিয়ারা সিপাইয়া মোট ২৬১ কেজি (১১১ কেজি + ১৫০ কেজি) উত্তোলন করে স্বর্ণপদক জয় করেন। আর নাইজেরিয়ার মেরি তাইওয়ো ওসিজো ২৩১ কেজি উত্তোলন করে ব্রোঞ্জ জেতেন।

    মেহকের পারফরম্যান্স (Commonwealth Meet)

    মেহকের পারফরম্যান্স (Commonwealth Meet) ছিল প্রশংসনীয়। স্ন্যাচে তিনি প্রথমে ১০৩ কেজি, তারপর ১০৭ কেজি এবং তৃতীয় প্রচেষ্টায় ১১০ কেজি উত্তোলন করেন। ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে শুরু করেছিলেন ১৩০ কেজি দিয়ে, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ১৩৭ কেজি এবং তৃতীয় প্রচেষ্টায় সফলভাবে ১৪৩ কেজি উত্তোলন করে রৌপ্য নিশ্চিত করেন (Commonwealth)।

    লাভপ্রীত সিংয়ের পারফরম্যান্স (Commonwealth Meet)

    পুরুষদের +১১০ কেজি বিভাগে, ভারতের লাভপ্রীত সিং মোট ৩৮০ কেজি (স্ন্যাচে ১৭৫ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ২০৫ কেজি) উত্তোলন করে তৃতীয় স্থান দখল করেন। এই বিভাগে সামোয়ার সানেলে মাও ৪০১ কেজি (১৮১ কেজি + ২২০ কেজি) উত্তোলন করে স্বর্ণপদক জিতেছেন, আর নিউজিল্যান্ডের ডেভিড লিটি ৩৯৭ কেজি উত্তোলন করে রৌপ্য পান।

    ভারত চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ১৩টি পদক অর্জন করেছে

    যুব পুরুষদের +৯৪ কেজি বিভাগে, ভারতের তুষার চৌধুরী দারুণ পারফরম্যান্স করে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। তিনি মোট ২৮৫ কেজি (১২৫ কেজি + ১৬০ কেজি) উত্তোলন করেন, যা শ্রীলঙ্কার নেজিথা নেথসাহান-এর তুলনায় অনেক বেশি; নেথসাহান তুলেছিলেন মাত্র ১৯৭ কেজি (৯৭ কেজি + ১০০ কেজি)। ভারত চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ১৩টি পদক অর্জন করেছে- ৩টি স্বর্ণ, ৭টি রৌপ্য, ৩টি ব্রোঞ্জ। প্রথম দিনেই ভারতের হয়ে টোকিও অলিম্পিক রৌপ্যজয়ী মীরাবাই চানু মহিলা ৪৮ কেজি বিভাগে স্বর্ণ জিতেছেন এবং ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমসের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাছাড়া, ঋষিকান্ত সিং (৬০ কেজি), এন. অজিথ (৭১ কেজি) এবং ভি. অজয় বাবু (৭৯ কেজি)-ও গ্লাসগো ২০২৬ সিডব্লিউজি-এর জন্য স্থান নিশ্চিত করেছেন।

    অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফলাফল (Commonwealth Meet)

    সিনিয়র পুরুষদের ১১০ কেজি বিভাগ:

    ফিজির তানিলা তুইসুভা রেইনোগি – ৩৬৫ কেজি (১৬৫ কেজি + ২০০ কেজি)

    সামোয়ার জ্যাক ওপেলোগ – ৩৫৭ কেজি (১৫৭ কেজি + ২০০ কেজি)

    জ্যাকসন রবার্টস-ইয়ং – ৩৫৬ কেজি (১৫০ কেজি + ২০৬ কেজি)

    জুনিয়র পুরুষদের +১১০ কেজি বিভাগ:

    নিউজিল্যান্ডের ইসিস শুস্টার – ৩৩৮ কেজি (১৫৫ কেজি + ১৮৩ কেজি)

    মালয়েশিয়ার মুহাম্মদ ফারিস কামারুল – ৩১৫ কেজি (১৩৫ কেজি + ১৮০ কেজি)

    জুনিয়র মহিলা +৮৬ কেজি বিভাগ:

    মালয়েশিয়ার সিটি আকিলাহ ফারহানা – ২২৭ কেজি (১০৭ কেজি + ১২০ কেজি)

    কানাডার অ্যাঞ্জেল বিলেন – ২২৫ কেজি (৯৮ কেজি + ১২৭ কেজি)

    নিউজিল্যান্ডের আনিকা ফালাসিয়া – ২১৭ কেজি (১০০ কেজি + ১১৭ কেজি)

    যুব মহিলা +৭৭ কেজি বিভাগ:

    নিউজিল্যান্ডের আনিকা ফালাসিয়া – ২১৭ কেজি (১০০ কেজি + ১১৭ কেজি)

    শ্রীলঙ্কার সেওয়ান্দি সাস – ১৩৫ কেজি (৬০ কেজি + ৭৫ কেজি)

LinkedIn
Share