Tag: মাধ্যম বাংলা

  • PM Modi: লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠন, দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন মোদি

    PM Modi: লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠন, দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্যে ফের একবার দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করতে হলে এমনটা আমাদের করতেই হবে।’’ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন গুজরাটের গান্ধীনগরে। সেখানে একটি সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীর শক্তি প্রতিফলিত হয়েছে অপারেশন সিঁদুরে। এখন সময় এসেছে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের মাধ্যমে দেশকে শক্তিশালী করার।’’ প্রতিটি নাগরিককে জাতির উন্নয়নে অংশীদার হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমরা যদি ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে চাই এবং আমাদের অর্থনীতিকে বিশ্বের চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে বিদেশি পণ্যের ওপর আমরা নির্ভর করব না।’’ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘এভাবেই গ্রামের ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে হবে যে তাঁরা যেন বিদেশি পণ্য বিক্রি না করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের গণেশ মূর্তিও বিদেশ থেকে আসে। হোলির রং-ও আমাদের বাইরে থেকে আসে।’’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘একজন নাগরিক হিসেবে আপনারা তালিকা তৈরি করুন। নিজেদের বাড়িতে যান এবং ২৪ ঘণ্টায় আপনি কতগুলি বিদেশি পণ্য ব্যবহার করেন, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন যে চুলের কাঁটা থেকে চিরুনি সবটাই বিদেশে তৈরি।’’

    এটা ১৪০ কোটি নাগরিকের কর্তব্য (Indian Made Goods)

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘আমরা যদি ভারতকে আত্মনির্ভরভাবে গড়ে তুলতে চাই, ভারতকে উন্নত করতে চাই, তাহলে এটা কেবল অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব নয়। এটা ১৪০ কোটি নাগরিকের কর্তব্য।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘ওয়ান ডিসট্রিক্ট ওয়ান প্রোডাক্ট, ভোকাল ফর লোকাল-এই সরকারি কর্মসূচিগুলো দেশীয় পণ্যের ব্যবহারকেও বৃদ্ধি করবে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, মেড ইন ইন্ডিয়া ব্র্যান্ডের জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই গর্ব হওয়া উচিত।’’

  • Vinayak Damodar Savarkar: দিয়েছিলেন ‘হিন্দু’ শব্দের সংজ্ঞা, জন্মদিনে জানুন সাভারকরের জীবনী

    Vinayak Damodar Savarkar: দিয়েছিলেন ‘হিন্দু’ শব্দের সংজ্ঞা, জন্মদিনে জানুন সাভারকরের জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রথম সারির অন্যতম যোদ্ধা হিসেবে উঠে আসে বিনায়ক দামোদর সাভরকরের (Vinayak Damodar Savarkar) নাম। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তাঁকে জীবনের ১১ বছর কাটাতে হয়েছিল দ্বীপান্তরে। সকলের থেকে আলাদা করে সাভারকরকে রাখা হয়েছিল কালাপানির সেলুলার জেলে।

    জন্ম ও বংশ পরিচয়

    ১৮৮৩ সালের ২৮ মে মহারাষ্ট্রের নাসিকের ভগুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বিনায়ক দামোদর সাভরকর। তাঁর মা ছিলেন রাধাবাই সাভারকর এবং পিতা ছিলেন দামোদর পন্ত সাভারকর (Freedom Fighter)। রাধাবাই এবং দামোদর পন্ত সাভারকরের চার সন্তান ছিল, তিন ছেলে এবং এক মেয়ে। বিনায়ক দামোদর সাভারকর (Vinayak Damodar Savarkar) প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন নাসিকের শিবাজি স্কুলে। তিনি শৈশব থেকেই ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে লিপ্ত হন। ১১ বছর বয়সে মাঙ্কি আর্মি গঠন করেন তিনি। পরে স্বদেশি আন্দোলনে যোগ দেন তিনি।

    হিন্দু শব্দের সংজ্ঞা দিয়েছিলেন সাভারকর

    আন্দামানের কুখ্যাত সেলুলার জেলে নিজের কুঠুরিতে বন্দি বিনায়ক দামোদর সাভারকর কারাগারেই রচনা করেছিলেন ‘হিন্দু’ শব্দের সংজ্ঞা। এর ফলে ‘হিন্দু’ কে? যুক্তিসম্মত, প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা পেয়েছিল দেশবাসী। সাভারকরের ভাষায়,

    ‘‘আ সিন্ধু, সিন্ধু পর্যন্তা যস্য ভারত ভূমিকা
    পিতৃভূ, পূণ্যভূশ্চৈব সবৈ হিন্দু রিতি স্মৃত’’

    অর্থাৎ, সিন্ধু নদ থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত এই বিশাল ভূখণ্ডকে যিনি পূণ্যভূমি ও পিতৃভূমি বলে মনে করেন, তিনি আস্তিক হতে পারেন, নাস্তিক হতে পারেন, প্রতিমাপূজক অথবা নিরাকারবাদীও হতে পারেন, তিনিই হিন্দু। কোনও ব্যক্তি যদি ভারতীয় পরম্পরা, ঐতিহ্য, কৃষ্টিকে মেনে চলেন তিনিই হিন্দু। হিন্দু শব্দের ব্যাপকতা তাই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ভারত-ভূমির সংস্কৃতি এবং জাতীয়তাবোধের নামই হিন্দুত্ব।

    লোকমান্য তিলকের দর্শন তাঁকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল

    সাভারকর ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী (Freedom Fighter), রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং লেখক ও দার্শনিক। ‘হিন্দু মহাসভা’-তেও সাভারকর ছিলেন একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। হাইস্কুলের ছাত্র থাকাকালীনই সাভারকর স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ শুরু করেন বলে জানা যায়। পুণের ফার্গুসন কলেজে পড়াশোনা করতেন তিনি। লোকমান্য তিলকের দর্শন তাঁকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। ব্রিটেনে আইন পড়তে যান তিনি। সেখানে পড়াশোনা করার সময় ইন্ডিয়া হাউস এবং ফ্রি ইন্ডিয়া সোসাইটির মত স্বাধীনতাকামী দলগুলির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

    ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন (Vinayak Damodar Savarkar)

    ১৯০৫ সালে দশেরার দিনে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা সমস্ত জিনিসপত্র এবং কাপড় পোড়ানো শুরু করেন সাভারকর। এরপর আইন নিয়ে পড়তে লন্ডন পাড়ি দেন সাভারকর (Vinayak Damodar Savarkar)। কিন্তু ব্রিটিশদের ঘরে থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কৌশল রপ্ত করতে থাকেন তিনি। গঠন করেন অভিনব ভারত সোসাইটি, ফ্রি ইন্ডিয়া সোসাইটি নামে দুই সংগঠন। ১৯১০ সালে তাঁকে লন্ডনে গ্রেফতার করা হয়। নাসিকের জেলা কালেক্টর জ্যাকসনকে হত্যার জন্য নাসিক ষড়যন্ত্র মামলার অভিযোগে ১৯১১ সালের ৭ এপ্রিল কালাপানির সাজা দেওয়া হয় বিনায়ককে। ১৯১১ সালের ৪ জুলাই থেকে ১৯২১ সালের ২১ মে পর্যন্ত পোর্ট ব্লেয়ার জেলে ছিলেন তিনি।

    স্বাধীনতার জন্য সমুদ্রে ঝাঁপ (Vinayak Damodar Savarkar)

    সাভারকরকে (Vinayak Damodar Savarkar) যখন লন্ডন থেকে ভারতে আনা হচ্ছিল তখন তিনি ব্রিটিশদের হাত থেকে পালানোর জন্য এসএএস মোরিয়া জাহাজের শৌচালয়ের জানলা দিয়ে ভূমধ্যসাগরের ঠান্ডা জলে ঝাঁপ দেন। মৃত্যুভয় তাঁর ছিল না। শুধু স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে যে কোনও উপায়ে তিনি মুক্তির চিন্তা করেছিলেন। ভূমধ্যসাগরের দীর্ঘ জলপথ সাঁতরে তিনি ফরাসি উপকূলে পৌঁছেছিলেন। চেয়েছিলেন আশ্রয়। কিন্তু ব্রিটিশ বিরোধিতায় রাজি হয়নি ফ্রান্স। তাঁরা সাভারকরকে ইংরেজদের হাতে তুলে দেয়। এরপর তাঁর ঠিকানা হয় আন্দামানের সেলুলার জেল। যেখানে অন্ধকারে চলে নির্যাতন। কিন্তু জেল থেকেও স্বাধীনতার জন্য কবিতা-প্রবন্ধ লিখতে থাকেন তিনি। স্বাধীনতার জন্য চলে তাঁর নিরলস সংগ্রাম।

  • Murid Air Base: অপারেশন সিঁদুর! নয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল পাকিস্তানের মুরিদ বিমানঘাঁটির ধ্বংসের ছবি

    Murid Air Base: অপারেশন সিঁদুর! নয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল পাকিস্তানের মুরিদ বিমানঘাঁটির ধ্বংসের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাক-ভূমে ভারতীয় বায়ুসেনার তাণ্ডবের নতুন চিত্র সামনে এসেছে। কৃত্রিম উপগ্রহের পাঠানো সেই চিত্রগুলিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্থানের মুরিদ বিমান ঘাঁটির (Murid Air Base) ব্যাপক ধ্বংসাবশেষের ছবি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই কৃত্রিম উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে প্রায় তিন মিটার একটি গভীর গর্ত। অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পূর্ব এবং পরবর্তী উপগ্রহ চিত্র এভাবেই সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, যেখানে আঘাত হানা হয়েছে তা পাকিস্তানের একটি ভূগর্ভস্থ গোপন অবকাঠামো থেকে মাত্র ৩০ মিটার দূরে অবস্থিত।

    মুরিদ বিমান ঘাঁটির ছাদ পুরোপুরি ধ্বংস (Murid Air Base)

    অপারেশন সিঁদুরের পরেই দেখা যাচ্ছে, ওই বিমান ঘাঁটির ছাদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বিমানঘাঁটির (Operation Sindoor) দেওয়ালগুলির ধ্বংসাবশের ছবি সামনে এসেছে। এখানেই বোঝা যাচ্ছে যে হামলা ঠিক কতটা তীব্র ছিল! প্রসঙ্গত এই মুরিদ বিমান ঘাঁটি পাকিস্তানের চাকওয়ালে অবস্থিত (Murid Air Base)। জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১৫০ কিমি দূরে অবস্থিত। এখানেই অপারেশন সিঁদুরে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।

    ১০ জায়গায় হামলা ভারতের (Murid Air Base)

    প্রসঙ্গত, ভারত পাকিস্তানের দশটি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সারগোধা (মুশাফ), ভোলারি, জাকোবাবাদ, সুক্কুর এবং রহিম ইয়ার খান বিমান ঘাঁটি। জাকোবাবাদের বিমানঘাঁটিতে উপগ্রহ চিত্রে ব্যাপক ধ্বংসাবশেষ সামনে এসেছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ভোলারিতে ধ্বংসের ছবি দেখা যাচ্ছে। সিন্ধুতে অবস্থিত সুক্কুর বিমান ঘাঁটিতেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। এর পাশে ঝলসানো গাছপালাও দেখা যাচ্ছে। বিস্ফোরণের পরেই এই ছবি সামনে এসেছে। দক্ষিণ পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খানের বিমানঘাঁটির রানওয়েতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা হয়। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তারপরেই ৭ মে অপারেশন সিঁদুর লঞ্চ করে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত।

  • Thyroid Disease: বাড়ছে থাইরয়েডের সমস্যা, কারণ কি জিনগত না জীবন যাপনের ধরণ?

    Thyroid Disease: বাড়ছে থাইরয়েডের সমস্যা, কারণ কি জিনগত না জীবন যাপনের ধরণ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    দেশ জুড়ে বাড়ছে থাইরয়েড সমস্যা (Thyroid Disease)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এ দেশের ৪২ কোটি মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন। পুরুষের তুলনায় মহিলাদের এই সমস্যা বেশি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিন দিন আরও জটিল হচ্ছে থাইরয়েড সমস্যা। আর তার ফলেই নানান শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। ভারতীয়দের মধ্যে এ নিয়ে সচেতনতা (Thyroid Treatment) না বাড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

    থাইরয়েড সমস্যা (Thyroid Disease) কী?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মানুষের শরীরে থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে। গলার মাঝে, স্বরযন্ত্রের ঠিক নীচে এই গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থি থেকেই থাইরয়েড হরমোন বের হয়। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা হরমোন। কিন্তু এই হরমোন‌ অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে শুরু হলেই, তা বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে খুব কম বয়স থেকেই বিশেষত মহিলাদের ভারসাম্যহীন ভাবে থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ হচ্ছে। এর ফলে ফুসফুস, শ্বাসনালী, ত্বক এবং মহিলাদের জরায়ুর উপরেও প্রবল প্রভাব পড়ছে।

    কেন ভারতে থাইরয়েডের সমস্যা বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, থাইরয়েড যে কোনও বয়সের মানুষের হতেই পারে। তবে মহিলাদের থাইরয়েড সমস্যা (Thyroid Disease) বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ আয়রন এবং আয়োডিনের অভাব। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, থাইরয়েড প্রয়োজনের তুলনায় কম নিঃসরণ আবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি নিঃসরণ, দুটোই বিপজ্জনক। দেখা যাচ্ছে, শরীরে আয়রন এবং আয়োডিন, এই দুই উপাদানের ভারসাম্য নষ্ট‌ হলেই এই ধরনের থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা তৈরি হয়।

    আবার, ডায়বেটিস থাকলে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতে কম বয়সিদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জেরে খুব কম বয়স থেকেই অনেকে ডায়বেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। ‌এর ফলে থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ছে।

    এর পাশাপাশি, জিনগত বিষয়টিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ থাইরয়েডের সমস্যায় (Thyroid Disease) আক্রান্ত থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই থাইরয়েড একটি বংশানুক্রমিক রোগ বলা যেতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    অনিয়ন্ত্রিত থাইরয়েড মানেই কি ক্যান্সারের ঝুঁকি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, থাইরয়েড অনিয়ন্ত্রিত হলেই তা ক্যান্সার হবে এমন নয়। তবে দীর্ঘদিন থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা থাকলে থাইরয়েড ক্যান্সারের ঝুঁকি অবশ্যই বেড়ে‌ যায়।

    কীভাবে রোগ চিহ্নিত করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি লক্ষণ থেকেই থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য না থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহে থাইরয়েডের ভারসাম্য না থাকলে মানসিক চাপ তৈরি হয়। ফলে অকারণেই মেজাজ খিটখিটে থাকে। কোনও কাজেই বেশি সময় মনোযোগ থাকে না।‌ আবার থাইরয়েড ঘটিত সমস্যা (Thyroid Disease) থাকলে ত্বক রুক্ষভাব থাকে। চুল পড়ার সমস্যা হয়। মহিলাদের ঋতুস্রাব নিয়মিত হয় না।‌ ক্লান্তি বোধ বেড়ে যায়। ফলে দিনভর ঘুম ভাব থাকে। অনেক সময়ে গলার স্বরে পরিবর্তন হয়। গলার স্বর কর্কশ হয়ে যায়। এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

    থাইরয়েডের সমস্যা প্রতিরোধ (Thyroid Treatment) করতে কী করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, থাইরয়েডের সমস্যা এড়াতে খাবারে নজরদারি জরুরি।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস থাকলে থাইরয়েডের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই খাওয়ার সময় সচেতন হওয়া জরুরি।‌ অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই যাবে না।‌ আবার প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রক্রিয়াজাত খাবারে নানান রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এর ফলে দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে থাইরয়েড গ্রন্থির উপরেও প্রভাব পড়ে।

    থাইরয়েডের সমস্যা (Thyroid Disease) এড়াতে ধূমপান বন্ধ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। ধুমপান করলে থাইরয়েড গ্রন্থির উপরে প্রভাব পড়ে। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট‌ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Kailashahar Airport: লালমনিরহাটে বেজিং-ঢাকার যুদ্ধ ঘাঁটি! পাল্টা ত্রিপুরার কৈলাশহর বিমানবন্দরকে সাজাচ্ছে দিল্লি

    Kailashahar Airport: লালমনিরহাটে বেজিং-ঢাকার যুদ্ধ ঘাঁটি! পাল্টা ত্রিপুরার কৈলাশহর বিমানবন্দরকে সাজাচ্ছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে চিন। সূত্রের খবর, এই আবহে এলাকা তদারকিও করেন চিনা আধিকারিকরা। যার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ত্রিপুরার পরিত্যক্ত বিমানঘাঁটি কৈলাশহরকে (Kailashahar Airport) নতুনভাবে সাজাতে শুরু করেছে ভারত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের লালমনিরহাটে একটি বিমানঘাঁটি ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরে পাকিস্তানি বায়ুসেনা এবং একাত্তরের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সেটি ব্যবহার করত বলে জানা যায়। পরে সম্প্রতি, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ এ্যারোস্পেস এবং এভিয়েশন ইউনিভার্সিটিকে ক্যাম্পাস গড়তে জমি দেওয়া হয়। এখন সেখানেই নতুন বিমানঘাঁটি গড়ে তুলতে চাইছে ইউনূস সরকার। পাশে রয়েছে চিন।

    চিকেন নেক থেকে কুড়ি কিমির মধ্যে লালমনিরহাট

    জানা যাচ্ছে, লালমনিরহাটের যে বিমানঘাঁটি বেজিং ব্যবহার করতে চায় তা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কুড়ি কিলোমিটারেরও কম দূরে অবস্থিত। এই অংশ সামরিক ও কূটনৈতিক (Kailashahar Airport) দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরবঙ্গের এই অংশ শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নামে পরিচিত। এখান থেকেই অনতিদূরে গড়ে তোলা হচ্ছে লালমনিরহাট বিমানবন্দর। প্রসঙ্গত, দেশের এই অংশকে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বারও বলা হয়। তাই কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল চিকেন নেক। জানা যায়, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি তৈরি হয় ১৯৩১ সালে। মায়ানমারে (তৎকালীন বর্মা) সামরিক অভিযানের সময় এই বিমানঘাঁটি ব্যবহার করে ব্রিটিশ সেনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই বিমানঘাঁটির তাৎপর্য কমতে শুরু করে। একসময় অসামারিক বিমান পরিবহণের কথাও ভাবা হয়েছিল অতীতে। সেই মতো ১৯৫৮ সালে অসামরিক বিমান চলাচল শুরু করে পাকিস্তান। তবে তা দীর্ঘমেয়াদী হয়নি। এরপর ধীরে ধীরে প্রাসঙ্গিকতা হারায় লালমনিরহাট।

    ত্রিপুরার উনাকোটি জেলায় অবস্থিত কৈলাশহর বিমানবন্দর (Kailashahar Airport)

    লালমনিরহাটে চিন-বাংলাদেশের পরিকল্পনার পাল্টা পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে নয়াদিল্লিও। জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার পুরনো বিমানবন্দর কৈলাশহর, এটিকে ফের একবার নতুনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই বিমানবন্দরের অবস্থান কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হল কৈলাশহর। আবার শিলিগুড়ি করিডর থেকেও খুব বেশি দূরে নয়। এই বিমানবন্দরটি ত্রিপুরার উনাকোটি জেলায় অবস্থিত। ইতিমধ্যে ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, এটিকে নতুনভাবে গড়ার কাজে হাত লাগিয়েছে।

    ২৬ মে বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা

    গত ২৬ মে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার উত্তরপূর্ব আঞ্চলিকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এম রাজু কিশোর, আগরতলার বিমানবন্দরের ডিরেক্টর কেসি মিনাকে সঙ্গে নিয়ে কৈলাশহর বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেন। একইসঙ্গে কেসি মিনা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রাজ্য সরকারের অনুরোধ এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশেই এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার উত্তরপূর্বের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কৈলাশহর বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন। সেখানে তাঁরা পরিকাঠামো, জমি, বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা- এই সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখেন।

    একাত্তরের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল কৈলাশহর বিমানবন্দর

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ত্রিপুরার উনাকোটি জেলায় অবস্থিত কৈলাশহর বিমানবন্দরটি (Kailashahar Airport) প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ভারতীয় বিমানবাহিনীর অভিযান এবং নজরদারি পরিকল্পনা করার সময় এই বিমানবন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তবে তারপরে এটি বন্ধ হয়ে যায়। পরিণত হয় পরিত্যক্ত বিমানবন্দরে। জানা যায়, একাত্তরের যুদ্ধের সময় (1971 War Base), এই বিমানবন্দর থেকেই ভারতীয় বিমান বাহিনী অপারেশনাল কমান্ডের অধীনে বাংলাদেশ বা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অভিযান চালিয়েছিল।

    দিল্লির বার্তা বেজিং ও ঢাকাকে

    কৈলাশহর বিমানবন্দর নতুনভাবে গড়ে তোলা হলে উত্তর পূর্ব ভারতের পরিবহণ ক্ষমতাও বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর পাশাপাশি, যে কোনও ধরনের রসদের যোগানও খুব দ্রুত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ত্রিপুরাতে শুধুমাত্র একটি প্রধান বিমানবন্দর রয়েছে সেটি আগরতলা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কৈলাশহর বিমানবন্দর (1971 War Base) গড়ে উঠলে আগরতলার সঙ্গেও দ্রুত সংযোগ তৈরি হবে। প্রসঙ্গত, লালমনিরহাট বিমানবন্দর ভারতীয় ভূখণ্ডের খুব কাছাকাছি হওয়ায় বিশেষজ্ঞ মনে করছেন পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কৈলাশহরকে সাজাতে শুরু করেছে নয়া দিল্লি। এখানে ঢাকা এবং বেজিং-কে বার্তা দেওয়া হল যে লালমনিরহাটে তাদের কার্যকলাপের ওপর ভারত শুধু পর্যবেক্ষণ করছে না বরং তার পাল্টা হিসেবে পদক্ষেপও করতে শুরু করেছে।

  • Thalassemia: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে থ্যালাসেমিয়া! রুখতে নতুন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র?

    Thalassemia: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে থ্যালাসেমিয়া! রুখতে নতুন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। তাই বাড়ছে উদ্বেগ। বিশ্বের মোট থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের বড় অংশ ভারতেই! আর তাই এই রোগ মোকাবিলায় এবার বাড়তি নজর দিচ্ছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health)।

    কেন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia)?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৫ কোটি মানুষ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। প্রতি বছর ভারতে ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ নতুন করে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতি বছর চিকিৎসা বাবদ কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। যা যথেষ্ট আর্থিক বোঝা বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাছাড়া থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির বারবার রক্তের প্রয়োজন হয়। তাই এই চিকিৎসা যথেষ্ট জরুরি। পাশপাশি এই রোগে আক্রান্তের স্বাভাবিক জীবন অনেক সময়েই ব্যহত হয়। সব মিলিয়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে দেশ জুড়ে স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল।

    কোন পথে থ্যালাসেমিয়া মোকাবিলার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health) তরফে জানানো হয়েছে, থ্যালাসেমিয়া মোকাবিলায় সবচেয়ে বড় হাতিয়ার সচেতনতা কর্মসূচি। তাই স্কুল স্তর থেকেই থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সচেতনতা জরুরি। তাই প্রত্যেক স্কুলে থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) নিয়ে কর্মসূচি চালানো‌ হবে। প্রাথমিক শিক্ষার পর্ব থেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি শুরু হবে। থ্যালাসেমিয়া রোগ কী সে সম্পর্কে জানানোর পাশপাশি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের কী কী সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কেও জানানো হবে। রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হবে। যাতে কম বয়সি ছেলেমেয়েরা রক্তদান কর্মসূচিতে যোগদান করে। কারণ বিশাল সংখ্যক থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য রক্তের প্রয়োজন। নিয়মিত রক্তদান কর্মসূচি ছাড়া সেই রক্তের জোগান থাকা মুশকিল। তবে থ্যালাসেমিয়া নিয়ে যাতে কোনও ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয়, সে দিকেও নজরদারি চালাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।‌ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের যাতে কোনও রকম সামাজিক সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতেও স্কুল স্তরে নানান কর্মসূচি।

    থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) রুখতে লাগাতার স্ক্রিনিং

    থ্যালাসেমিয়া রুখতে লাগাতার স্ক্রিনিং জরুরি। তাই গ্রামীণ এলাকায় এবং স্কুলে স্কুলে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শিশুদের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই বোঝা যায় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কিনা! তাই নিয়মিত এই পরীক্ষা জরুরি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক বছর স্কুলে স্কুলে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করা হবে। তাহলে সহজেই থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের সংখ্যা জানা যাবে। ফলে থ্যালাসেমিয়া মোকাবিলার কাজ সহজ হবে।
    থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের চিকিৎসা সহজ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কেন্দ্রীয় ব্লাড ব‌্যাঙ্ক ব্যবস্থা এবং স্টেম সেল রেজিস্ট্রি-র মতো কাঠামো আরও জোরদার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের জীবন স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত রক্ত জরুরি হয়। শরীরে যাতে রক্তের ঘাটতি না হয় সেদিকে নজর দেওয়া হয়। আবার অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হয়। তাই থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের চিকিৎসা যাতে সহজেই হয়, রক্তের জোগান যাতে ঠিকমতো থাকে আবার প্রয়োজন মাফিক অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার ও করা যায়, সেই দিকে নজর রাখতেই এই দুই পরিকাঠামোর উপরে বাড়তি নজর দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health)।

  • Chinese PL-15E missile: প্লিজ একবার দাও! ভারতের হেফাজতে থাকা আস্ত চিনা ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেতে লাইন বিশ্বের হেভিওয়েটদের

    Chinese PL-15E missile: প্লিজ একবার দাও! ভারতের হেফাজতে থাকা আস্ত চিনা ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেতে লাইন বিশ্বের হেভিওয়েটদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলাকালীন পাকিস্তানের নিক্ষেপ করা চিনা নির্মিত ‘পিএল-১৫ই’ ক্ষেপণাস্ত্র (Chinese PL-15E missile) সফলভাব ইন্টারসেপ্ট বা মাঝপথেই ধ্বংস করেছে ভারত। সেই ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ এসে পড়ে ভারতের ভূমিতে, যা বর্তমানে রয়েছে কেন্দ্রের হেফাজতে। এখন, এই ধ্বংসাবশেষ হয়ে উঠেছে বিশ্বের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তাবড় তাবড় দেশ এখন এই চিনা ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পরীক্ষা চাইছে। সেই কারণে, সকলে এক এক করে এখন ভারতের দ্বারস্থ হচ্ছে। আমেরিকা থেকে শুরু করে ফ্রান্স, জাপান থেকে শুরু করে ‘পঞ্চ অক্ষী’ জোট— কে নেই সেই তালিকায়!

    ‘পিএল-১৫ই’ বিভিআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র (Chinese PL-15E missile)

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময়, পাকিস্তানের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সফলভাবে ধ্বংস করে দেয় ভারতের ইন্টিগ্রেটেড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। ধ্বংস হওয়া পাকিস্তানের নিক্ষিপ্ত সেই ক্ষেপণাস্ত্রের তালিকায় ছিল চিনা নির্মিত ‘পিএল-১৫ই’ বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র (BVRAAM)। তালিকায় ছিল তুরস্কের ‘বায়রাক্তার টিবি-২’ কামিকাজে ড্রোন। আকাশে ধ্বংস হওয়ার পর এগুলির বহু অংশ ভারতের ভূমিতে এসে পড়ে। এমনকি, একটি গোটা চিনা ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ধার হয় পঞ্জাবের হোসিয়ারপুর থেকে। ওই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ছোড়া হয়েছিল পাক ফাইটার জেট থেকে। কিন্তু ইন্টারসেপ্ট হওয়ায় গোঁত্তা খেয়ে তা ভারতে পড়ে। কিন্তু, কোনও বিস্ফোরণ না হওয়ায় ক্ষেপণাস্ত্রটিকে (Chinese PL-15E missile) প্রায় গোটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

    প্লিজ, একবার ক্ষেপণাস্ত্রটা দাও!

    এই খবর চাউর হতে বেশি সময় লাগেনি। চিনা ক্ষেপণাস্ত্রটির ধ্বংসাবশেষ দ্রুত নিজেদের হেফাজতে নেয় ভারতীয় সেনা। বর্তমানে তা রয়েছে ডিআরডিও-র পরীক্ষাগারে। ক্ষেপণাস্ত্রটিকে বিশ্লেষণ করছে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। একটা আস্ত চিনা ‘পিএল-১৫ই’ ক্ষেপণাস্ত্র (Chinese PL-15E missile) ভারতের হাতে এসে পড়েছে, এটা জানতে পেরেই বহু দেশের সামনে একটা বড় সুযোগের দ্বার খুলে গিয়েছে। চিনের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রকে পরীক্ষা করে প্রযুক্তি বোঝার সুযোগ পেতে তাদের তর সইছে না। সেই কারণে, তারা এক এক করে ভারতের দ্বারস্থ হচ্ছে। সকলের আবদার অনেকটা যেন এরকমই— প্লিজ, একবার ক্ষেপণাস্ত্রটা দাও।

    চিনা ক্ষেপণাস্ত্রের দুর্বলতা বের করছে ভারত?

    এই ‘পিএল-১৫ই’ (Chinese PL-15E missile) হল চিনের ‘পিএল-১৫’ মূল ক্ষেপণাস্ত্রের রফতানি সংস্করণ, যা পাকিস্তান সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ব্যবহার করে। চিনের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন দ্বারা নির্মিত এই আকাশ-থেকে-আকাশ মিসাইলটির পাল্লা ১৪৫ কিমি। এতে ডুয়াল-পালস রকেট মোটর এবং অ্যাক্টিভ রেডার গাইডেন্স রয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রে অত্যাধুনিক সিকার এবং ইলেকট্রনিক কাউন্টার-মেজার রয়েছে। এটি চিনা আস্ত্রাগারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বর্তমানে ডিআরডিও-র (DRDO) পরীক্ষাকেন্দ্রে এই ক্ষেপণাস্ত্রের কাটাছেঁড়া চলছে। এর ফলে, ভবিষ্যতের যুদ্ধে উপকৃত হতে পারে ভারত। এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রোপালশন সিস্টেম, গাইডেন্স প্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধের উপাদানগুলির অধ্যয়ন করে ভারত তার দুর্বলতা বের করে ফেলতে পারে। অচিরে এতে ভারতের নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা করবে। চিন যে ভারতের সবচেয়ে বড় শত্রু, এটা একটা শিশুও জানে। ফলে, শত্রুর সামরিক প্রযুক্তি হাতে পাওয়া মানে ভবিষ্যতের যুদ্ধে এগিয়ে থাকা।

    চিনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে সুবর্ণ সুযোগ

    কিন্তু, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এত আগ্রহ কেন? এর অন্যতম কারণ হল, চিনের অ্যাডভান্সড ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি সম্পর্কে অন্য দেশের কাছে সীমিত তথ্য থাকা। বেজিং বরাবরই গোপনীয়তা বজায় রাখে। যে কারণে, আমেরিকা থেকে শুরু করে জাপান— বিশ্বে চিনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে এটা একটা সুবর্ণ সুযোগ। ভারতের হাতে এসে পড়া চিনা ‘পিএল-১৫ই’ ক্ষেপণাস্ত্র (Chinese PL-15E missile) তাই এখন বিশ্বের কাছে ‘হট-কেক’। ফ্রান্স এবং জাপানের মতো দেশগুলি ক্ষেপণাস্ত্রটির অভ্যন্তরীণ গঠন এবং রেডার এড়িয়ে যাওয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি বুঝতে আগ্রহী বলে জানা গিয়েছে। আবার আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত ‘ফাইভ আইজ’ গোয়েন্দা জোটও ধ্বংসাবশেষ হাতে পেতে নয়াদিল্লির সাথে আলোচনা করছে বলেও জানা গিয়েছে।

    ভারতের হাতে এখন তুরুপের তাস

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময় হাতে আসা এই ধ্বংসাবশেষ আদৌ কারোর সঙ্গে ভাগ করা হবে কিনা, সেই বিষয়ে ভারত এখনও পর্যন্ত কাউকে কিছুই জানায়নি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, তাড়াহুড়ো নয়, কৌশলগত ও কূটনৈতিক স্বার্থকে মাথায় রেখে সব দিক পর্যালোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেবে ভারত। তাঁদের মতে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের হাতে তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারে। ভারতে এর বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তর করিয়ে নিতে পারে।

    অন্যদিকে, প্রমাদ গুণছে চিন…

    এদিকে, ভারতের হাতে তাদের আস্ত একখান অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে চিন। বেজিং ভালোই বুঝতে পারছে, প্রতিপক্ষ ভারত এখন ক্ষেপণাস্ত্রের (Chinese PL-15E missile) নাড়িভুঁড়ি বের করে পোস্ট-মর্টেম করছে এবং সব রহস্য বের করছে। এর পর, ভারত যদি ওই ক্ষেপণাস্ত্র অন্য দেশকে দেয়, তাহলে বিপদ বাড়বে বৈকি। এই ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্লেষণ করে চিনের জন্য পাল্টা দাওয়াই-এর ব্যবস্থা করে ফেলবে ভারত সহ গোটা বিশ্ব। এতে, চিনের উন্নত প্রযুক্তির ধার অনেকটাই ভোঁতা হতে পারে।

  • Irritable Bowel Syndrome: মাঝ বয়স থেকে ভোগাচ্ছে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম! কেন বাড়ছে এই সমস্যা?

    Irritable Bowel Syndrome: মাঝ বয়স থেকে ভোগাচ্ছে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম! কেন বাড়ছে এই সমস্যা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অফিসের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলার মাঝেই কিংবা বাড়িতে নানান কাজে ব্যস্ততার মধ্যে বারবার পেটের ভিতরে অস্বস্তি কিংবা পেট ব্যথা হয়। আবার অনেক সময়েই দিনের একাধিকবার মলত্যাগ হয়। পেটের গোলমালে জেরবার হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। পেটে ব্যথা, বারবার মলত্যাগের প্রবণতা এমন নানান উপসর্গের জন্য কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। অনেক সময়েই নানান অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে (Irritable Bowel Syndrome) আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রবীণদের মধ্যে এই রোগ সাধারণত দেখা যেত। কিন্তু গত এক দশকে দেখা গিয়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে কম বয়সিদের মধ্যে ইরেটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বেড়েছে। এর ফলে তাদের শারীরিক সমস্যার পাশপাশি কাজের ক্ষতি হচ্ছে। মানসিক চাপ বাড়ছে।

    কেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বাড়ছে?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, খাদ্যাভাস ও জীবন যাপনের ধরনের জেরেই খুব কম বয়সিদের মধ্যেও ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable Bowel Syndrome) মতো সমস্যা বাড়ছে। লাগাতার পেটের এই অসুখের জেরে আরও নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রবীণদের মধ্যে এই শারীরিক সমস্যা দেখা যেত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হজম শক্তি কমে। তার জেরেই পেটের এই সমস্যা দেখা দিত। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ এই সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ সময়েই তরুণ প্রজন্মের খাদ্যতালিকায় সহজ পাচ‌্য খাবার থাকে না। আবার অনেক সময়েই কম বয়সিদের খাবারের সময় অনিয়মিত থাকে। খাবার খাওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান ও অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পাচনতন্ত্রের উপরে। তার ফলেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।

    কোন ছয় খাবার এড়িয়ে চললে বিপদ কমানো‌ যেতে পারে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেটের এই লাগাতার সমস্যা (IBS Treatment) নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ছয়টি খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষত যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদের প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    ক্যাফিন জাতীয় খাবার!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই অতিরিক্ত কফি-প্রেমী! যা অনেক সময়েই‌ শরীরের জন্য মারাত্মক বিপদ তৈরি করছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনে বারবার কফি খাওয়ার ফলে পাচনতন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। পেটের সমস্যা থাকলে তাই ক্যাফিন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কফি পানে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তার পাশপাশি চকোলেট এবং সোডা খাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কারণ এগুলোতেও ক্যাফিন থাকে।

    চিনি এড়িয়ে চলা দরকার!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable Bowel Syndrome) মতো সমস্যা রুখতে চিনি একদম বর্জন করতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের একেবারেই চিনি খাওয়া চলবে না। চিনি হলো প্রক্রিয়াজাত মিষ্টি। এটা শরীরের উপরে মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে। বিশেষত হজমের সমস্যা তৈরি করে। অন্ত্রের ক্ষতি করে। তাই চিনি এড়িয়ে চলা দরকার।

    যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম রুখতে যেকোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রক্রিয়াজাত খাবারে নানান রাসায়নিক থাকে। যা লিভার, পাকস্থলী এবং অন্ত্রের উপরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বার্গার, পিৎজা, হটডগ‌ বা কোনও প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে হজমের সমস্যা হয়। তাই যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি।

    অ্যালকোহল পান চলবে না!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable Bowel Syndrome) মতো সমস্যা থাকলে অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অ্যালকোহলে অভ্যস্ত হলে লিভারের কার্যক্ষমতা আরও কমে যায়। এর ফলে হজমের সমস্যা বাড়ে। তার ফলে পেটের একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

    ফাইবার জাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফাইবার জাতীয় খাবার হজম করতে অনেক সময়েই অতিরিক্ত সময় লাগে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফাইবার বিশেষ সাহায্য করে। তবে যাঁরা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, অনেক সময়েই তাঁদের জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বাড়তি সমস্যা তৈরি করে। তার উপরে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (Irritable Bowel Syndrome) থাকলে আরও ভোগান্তি বাড়ায়। তাই মটর, ছোলা বা যেকোনও দানা শস্য খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি।

    দুগ্ধজাত খাবারে রাশ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেটের সমস্যা থাকলে দুগ্ধজাত খাবার বাড়তি ভোগান্তি তৈরি করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড। আর এই জৈব উপাদানের জেরেই হজমের সমস্যা থাকলে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার ভোগান্তি বাড়ায় (IBS Treatment)। পেটের সমস্যাও‌ তৈরি করে। তাই পেটের সমস্যা থাকলে দুধ, টক দই কিংবা পনীরের মতো খাবারে রাশ জরুরি। তার পরিবর্তে সোয়া মিল্ক বা বাদাম দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Falharini Kali Puja: মেলে দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্তি! জানুন ফলহারিণী কালীপুজোর মাহাত্ম্য

    Falharini Kali Puja: মেলে দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্তি! জানুন ফলহারিণী কালীপুজোর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সোমবার ফলহারিণী কালীপুজো। বাংলায় কালীপুজোর চল সারা বছর ধরেই দেখা যায়। দুর্গাপুজোর পরে যে কালীপুজো হয় তা জনপ্রিয় দীপান্বিতা কালী পুজো নামে পরিচিত। এছাড়াও রয়েছে রক্ষাকালী পুজো। স্থানীয়ভাবেও বাংলার নানা প্রান্তে কালীপুজো হয়। কোনও কোনও গৃহস্থের বাড়িতেও কালী পুজো বছরের বিশেষ সময়ে দেখা যায়। জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে যে কালীপুজো হয় তা ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে প্রসিদ্ধ।

    কখন লাগছে তিথি?

    গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে এবছর ফলহারিণী অমাবস্যা শুরু হচ্ছে সোমবার সকাল ১১টা বেজে ৭মিনিট ১৯ সেকেন্ডে। চলবে মঙ্গলবার ২৭ তারিখ সকাল ৮টা ৪৪মিনিট ৫৯ সেকেন্ড পর্যন্ত। অন্যদিকে, বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে, অমাবস্যা শুরু হবে ২৬ মে সোমবার দুপুর ১২টা ১৩ মিনিটে। ছেড়ে যাবে পরের দিন ২৭ তারিখ সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে।

    ফলের মালা পরানোর রীতি দেখা যায়

    ভক্তদের বিশ্বাস, মা কালী জীবের কর্মফল অনুসারে তাদের আশীর্বাদ প্রদান করেন। তিনি প্রসন্না হলে জীবের দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি মেলে। পাশাপাশি জীবন সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। ফলহারিণী অমাবস্যায় দেবীকে বিভিন্ন মরশুমি ফল দিয়ে পুজো দিলে দেবী সন্তুষ্ট হন বলে বিশ্বাস। আম, জাম, কলা, লিচু-সহ বিভিন্ন ফলের মালা তৈরি করে দেবীকে পরানোর রীতি দেখা যায়।

    এই দিনেই সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণ

    জানা যায়, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ফলহারিণী কালীপুজোর দিনে সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন জগত কল্যাণের জন্য। ১২৮০ বঙ্গাব্দের জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে ষোড়শী রূপে পূজা করেছিলেন সারদা মা’কে। পরবর্তীতে এই সময়ের কালী পুজো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে ফলহারিণী কালী (Falharini Kali Puja) পুজো নামেই প্রসিদ্ধি পায়।

    কেন এই পুজো ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে পরিচিত?

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, জৈষ্ঠ্য মাসে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল সমেত নানারকম মরসুমী ফল পাওয়া যায়। ভক্তরা তাদের ইষ্ট দেবীকে এই ফল নিবেদন করে থাকেন। দেবী ভক্তদের কর্মফল হরণ করে তাদেরকে মোক্ষফল প্রদান করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, ফলহারিণী কালীপুজো করলে বিদ্যা, কর্ম এবং অর্থ ভাগ্যের উন্নতি ঘটে প্রেম প্রণয়ের বাধা দূর হয়, দাম্পত্য সংসারী জীবনেও সুখ শান্তি বিরাজ করে। এককথায় এই বিশেষ পুজোয় ভক্তরা আধ্যাত্মিক, নৈতিক, মানসিক শক্তি পেয়ে থাকেন বলে তাদের বিশ্বাস।

  • Ahilya Bai: রানি অহল্যা বাঈয়ের শাসন ব্যবস্থা, আজও যে কোনও সরকারের কাছে মডেল

    Ahilya Bai: রানি অহল্যা বাঈয়ের শাসন ব্যবস্থা, আজও যে কোনও সরকারের কাছে মডেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী অহল্যা বাঈ (Ahilya Bai) হোলকারের ৩০০তম জন্ম বার্ষিকী চলছে। এই আবহে সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের সরকারের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠান করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল অহল্যা বাঈয়ের রাজত্বকালের সুশাসন সম্পর্কে জনগণকে জানানো। দেবী অহল্যা বাঈ-এর রাজত্বকালে রাজস্ব আদায় থেকে পঞ্চায়েতের ক্ষমতায়ন ইত্যাদি সবই দেখা যে। বর্তমানে যে কোনও সরকারের নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এমন মডেল অনুসরণযোগ্য। কেমন ছিল অহল্যা বাঈ-এর আমলে তাঁর রাজ্য পরিচালনার নীতি। এ নিয়েই আমাদের প্রতিবেদনে (Good Governance)।

    রাজ্যগুলিতে দূত নিয়োগ

    এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করা হয়, তেমনই রানি অহল্যা বাঈ ভারতীয় রাজ্যগুলিতে তাঁর দূত নিয়োগ করতেন। তাঁর আমলে দূত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল, ভগবন্ত রাও জগতাপ (উদয়পুর), মার্তন্দ্রাও আন্নাজি (জয়পুর), মাধব রাও লক্ষ্মণ (হায়দরাবাদ দক্ষিণ), খান্ডু জগদেব রাও (অযোধ্যা), শ্যামজি মোরেশ্বর (শিন্দে কোর্ট), অয়াজি জাখদেব (পুনে কোর্ট), বিঙ্কোজি কৃষ্ণা রাও (ভোলা), বিঙ্কোজি কৃষ্ণা রাও (বুধোয়া)। জিভাজি গিরমাজি (ভোপাল নবাব), বাপুজি আনন্দরাও (কোটা), বাহাদুর সিং (দিল্লি), বেঙ্কোজি শিবাজি (ডুঙ্গারপুর), বিনায়ক সদাশিব (প্রতাপগড়), কেশো ভিকাজি দাতার (পেশওয়া), জাস্কর মেহতা এবং দত্তরাম (মারওয়ার), বলওয়ান্তপুর গোবিন্দপুর (রামপুর) ইত্যাদি।

    যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিতে আমেরিকান কর্নেল নিয়োগ করেছিলেন অহল্যা বাঈ

    হোলকার রাজ্যের গ্রামগুলিতে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। তরবারি চালনা, বর্শা নিক্ষেপ এবং অন্যান্য যুদ্ধ কৌশল শেখানো হত। প্রতিবেশী রাজ্যগুলির আক্রমণ রুখতে অহল্যা বাঈ (Ahilya Bai) হোলকার তাঁর সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর জন্য, তিনি আমেরিকান কর্নেল জেপি বাইডকে নিয়োগ করেন। কর্নেলকে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা বেতন দিতেন তিনি।

    কর বৃদ্ধি না করেই রাজস্ব সংগ্রহ ৭৫ লক্ষ থেকে ১.২৫ কোটি করতে পেরেছিলেন তিনি

    জানা যায়,হোলকার (Ahilya Bai) রাজ্য উত্তরে রামপুরা, দক্ষিণে রাজপুতানা এবং নিমার অঞ্চলের দক্ষিণ মালভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এই সমস্ত অঞ্চল থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করা হত। রাজ্যের বার্ষিক আয় ছিল ৭৫ লক্ষ টাকা। ঐতিহাসিকরা বলেন, মন্ত্রিসভা রাজ্যের ব্যয় পরিচালনার জন্য কর বৃদ্ধি করতে চাইলেও তা নাকচ করে দেন রানি। কর বৃদ্ধি না করেই রাজস্ব সংগ্রহ ১.২৫ কোটি টাকা করতে পেরেছিলেন তিনি।

    জন উন্নয়নমূলক কাজ

    পঞ্চায়েতের ক্ষমতা: সুশাসন আনতে রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিকে বিচার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।

    কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করা: পঞ্চায়েতগুলি যাতে স্বৈরাচারী না হয়, সেকারণে কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে হত রাজ্যের কাছে।

    গণশুনানি: অহল্যাবাঈ সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিদিন গণ শুনানির ব্যবস্থা করতেন ।

    ব্যক্তিগতভাবেও শুনতেন মামলা: তাঁর রাজ্যের আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি কারও আপত্তি থাকলে, অহল্যাবাঈ ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের সমস্যার কথা শুনতেন।

    দেশজুড়ে মন্দির নির্মাণ ও সংস্কার

    মথুরায় বিহারি মন্দির: অহল্যা বাঈ ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরা-বৃন্দাবনে বিহারি মন্দির, চিরহরন ঘাট এবং কালিয়াদেহ ঘাট নির্মাণ করেন। হরিদ্বারে, তিনি এক কোটি টাকা ব্যয়ে হোলকার ওয়াড়া এবং ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে কুশঘাট নির্মাণ করেন।

    কাশীতে রাম মন্দির: কাশীতে, তিনি ভগবান রাম, মা সীতা, লক্ষ্মণ, ভরত, শত্রুঘ্ন এবং হনুমানের মূর্তি স্থাপন করেছিলেন।

    কাশীতে মন্দির নির্মাণ: মণিকর্ণিকা ঘাট, রামেশ্বর পঞ্চকোশী ধর্মশালা, ভগবান শিব মন্দির, দশাশ্বমেধ ঘাট, কপিল ধারা ধর্মশালা, নাগওয়া গার্ডেন, মণি কর্ণেশ্বর মন্দির, অহিলেশ্বর মন্দির এবং ঋষি অগস্ত্য কুন্ড নির্মাণ করেন।

    বিশ্বনাথ-সোমনাথ মন্দির: গুজরাটের সোমনাথ এবং বারাণসীর বিশ্বনাথ মন্দিরে আফগানিস্তান থেকে আনা চন্দন কাঠের দরজা স্থাপন করেন তিনি।

    পণ্ঢরপুরের বিঠ্ঠল মন্দির: ভগবান বিঠ্ঠলের হীরকখচিত মুকুট অহল্যা বাঈ করে দেন।

    অযোধ্যার রাম মন্দির: সরযূ নদীর দক্ষিণে শ্রী রাম মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। স্বর্গ দ্বার, সূর্য ঘাট, নাগেশ্বর মন্দির এবং ধর্মশালাও তিনি নির্মাণ করেছিলেন রামনগরীতে। অহল্যা ঘাটও নির্মাণ করেছিলেন তিনি।

    জ্যোতির্লিঙ্গ সংস্কার: উজ্জয়িনীর ভগবান মহাকালেশ্বর মন্দির সংস্কার করেছিলেন তিনি (Ahilya Bai)।

LinkedIn
Share