Tag: মাধ্যম বাংলা

  • RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করা থেকে জাতীয় সুরক্ষা! সাক্ষাৎকারে মোহন ভাগবত

    RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করা থেকে জাতীয় সুরক্ষা! সাক্ষাৎকারে মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) যাত্রা শুরু হয় ১৯২৫ সাল থেকে। এই সংগঠন চলতি বছরের বিজয়া দশমীতে শততম বর্ষে পা দিচ্ছে। গত মার্চ মাসেই অনুষ্ঠিত হয় আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা। সেই সভাতেই আরএসএসের নানা দিক সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। প্রতিবেদনে সেই সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল।

    একজন স্বয়ংসেবক এবং সর সঙ্ঘ চালক হিসেবে আরএসএসের শততম বর্ষপূর্তিকে কী চোখে দেখেন?

    এ প্রশ্নের জবাবে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার এই মিশনকে শুরু করেছিলেন। এ নিয়ে তিনি দেশের সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলোকে বিশ্লেষণ করেন এবং তার যথাযথ সমস্যার সমাধানের জন্য কোন কোন পদক্ষেপ করতে হবে সেটাও তিনি বাতলে দেন। ১৯৫০ সাল থেকেই সংঘের কার্যকর্তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে। দেশজুড়ে সংঘের কাজ বাড়তে থাকে। স্বয়ং সেবকরা (RSS) সমাজে কাজে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। দশকের পর দশক ধরে স্বয়ং সেবকরা জাতীয় জাগরণে এই কাজকেই করে চলেছেন।’’

    শততম বর্ষে সবচেয়ে বড় মাইলস্টোন কী সংঘের কাছে?

    এ নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন,‘‘আমাদের কাছে আলাদা করে কিছু নেই। ১৯৫০ সালের পর থেকেই দেখা যায় যে আরএসএস-এর (RSS) কাজ দ্রুতভাবে বাড়তে থাকে এবং হিন্দু সমাজ সংঘটিত হতে থাকে। এর পরবর্তীকালে সংঘ শক্তি আরও বহু গুণে বেড়ে যায় ১৯৭৫ সালে জাতীয় জরুরি অবস্থার সময়। এই সময়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ গণতন্ত্র ফেরাতে গঠনমূলক আন্দোলন করে পরবর্তীকালে একাত্মতা রথযাত্রা, কাশ্মীর সংক্রান্ত আন্দোলন, রাম জন্মভূমি মুক্তি আন্দোলন, বিবেকানন্দ সার্ধশতী- এ সমস্ত কিছুই আরএসএস করেছে এবং এর সঙ্গে সেবা কাজও চালিয়েছে।’’

    ১৯৪৮ সাল এবং ১৯৭৫ সালের সংকট নিয়ে কী বলবেন?

    প্রসঙ্গত ১৯৪৮ এবং ১৯৭৫ সালে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করা হয়। এ নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘এই দুই সময়েই এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়। এটা জানা সত্ত্বেও যে আরএসএস কোনও ক্ষতিকারক সংগঠন নয়। ১৯৪৮ সালে যখন প্রথমবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় তখন সংঘ প্রথমবারের জন্য বুঝতে পারে তার শক্তি। এরপরে স্বয়ংসেবকরা পরিকল্পনা করেন সমাজকে পরিবর্তন করার লক্ষ্যই তাঁরা কাজ করবেন। ১৯৭৫ সালের জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন শুরু করেছিল সংঘ এবং আমরা প্রত্যেকেই অংশগ্রহণ করেছিলাম তাতে। জাতীয় জরুরি অবস্থা যখন শেষ হয়, তখন দেখা যায় সংঘ একটা শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’’

    দেশজুড়ে ভাষা-ভৌগোলিক বৈচিত্রে আরএসএস কীভাবে স্বয়ংসেবকদের প্রশিক্ষণ দেয়?

    এনিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘প্রথম দিন থেকে আরএসএস স্থির করেছে যে তারা সমগ্র সমাজকে সংগঠিত করবে।’’ এনিয়ে একটি গল্পও বলেন সংঘ প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘একবার এক নতুন কার্যকর্তা সংগঠনে আসেন। তিনি সমাজতন্ত্রের আদর্শ বিশ্বাস করেন। খুব ধূমপান করতেন। প্রথমবার তাঁকে অভ্যাস বর্গে হাজির করানো হয়। যেখানে এসে এই ধরনের ধূমপান করার সুবিধা পাননি তিনি। তখন তিনি সারাটা দিন অস্থির হয়ে ওঠেন। রাতে সংগঠন সম্পাদক তাঁকে নিয়ে হাঁটতে বের হন। তাঁকে বলা হয় যে একটা সিগারেটের দোকানে যাও। কিন্তু কখনও যেন এটা ক্যাম্পের ভিতরে না হয়। পরবর্তীকালে ওই ব্যক্তি ভালো কার্যকর্তায় পরিণত হন এবং ধূমপানও ছেড়ে দেন।’’ সংঘ প্রধানের মতে, এভাবেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সংঘে।

    আরএসএস চলছে ডাক্তারজী, গুরুজীর দেখানো পথেই! যদি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় তাহলে কীভাবে সেটা হবে?

    এনিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘ডাক্তার হেডগোয়ার এবং গুরুজীর যে চিন্তা ভাবনা, তা সনাতন ধর্মেরই প্রথা। হিন্দু সংস্কৃতির বাইরে নয় বা আলাদাও নয়। আরএসএসের পদ্ধতি হল এভাবেই কাজ করা। প্রথম দিন থেকে থেকে আমরা নীতি এবং আদর্শের ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছি। আমরা প্রেরণা এবং নির্দেশ পাই মহান মানুষদের কাছ থেকেই। কিন্তু দেশ কাল পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করেই আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’’

    বর্তমান দিনে সমাজ এবং প্রতিদিনকার জীবনযাত্রা বদলে যাচ্ছে নিত্য শাখা কী প্রাসঙ্গিক?

    এনিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘শাখাতেই আমরা পরম বৈভাবশালী ভারত রাষ্ট্র নির্মাণের কথা বলি। এটাই হল সংঘের শাখা। এখানেই স্বয়ংসেবকরা একত্রিত হন এবং দেশ ভক্তির একটা বাতাবরণ তৈরি হয়। একজন সাধারণ মানুষ প্রথমবারের জন্য সংঘের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে নিত্য শাখার মাধ্যমে। ব্যক্তির সঙ্গে সামুহিকতার একটা বন্ধন তৈরি হয় এভাবে। শাখার সময়ের পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু শাখার কোনও বিকল্প নেই।’’

    বনবাসী বা জনজাতিদের মধ্যে সংঘের কাজ কীভাবে বাড়ছে?

    বনবাসীদের মধ্যে কাজ কীভাবে বাড়ছে, এই প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সর সংঘচালক বলেন, ‘‘আমরা তাঁদের মধ্যে থেকে সমাজকে নেতৃত্ব দিতে পারেন এমন ব্যক্তিদেরকে তুলে আনার চেষ্টা করছি। যাঁরা তাঁদের নিজেদের সমাজের জনগণের জন্য কাজ করবেন। তাঁদেরকে দেখবে এবং সমগ্র জাতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে। প্রতিটি জনজাতি অঞ্চলেই বাড়ছে সংঘের কাজ।’’

    হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে প্রতিবেশী দেশগুলিতে, সংঘের প্রতিনিধি সভায় এনিয়ে আলোচনা হয়েছে, আপনার কী মতামত?

    এই প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান বলেন, ‘‘ভারতের হিন্দু সমাজ যদি সংঘটিত হয় এবং শক্তিশালী হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সারা পৃথিবীর হিন্দুরা সেখান থেকে শক্তি পাবেন। এই কাজই চলছে। কিন্তু তা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু নিশ্চিতভাবে একদিন হবে। বাংলাদেশে যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে, সেখানে স্থানীয় হিন্দুরা বলছেন যে আমরা আর এখান থেকে পালাব না। আমরা এখানে থাকব। আমাদের অধিকারের জন্য সংঘর্ষ করব। হিন্দু সমাজের আভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়ছে, একথা বলাই যায়। যেখানেই হিন্দুরা আক্রান্ত হোক বিশ্বজুড়ে, আমরা আমাদের সম্ভাব্য সমস্ত রকমের কাজই করব আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে।’’

    জাতীয় সুরক্ষার বিষয়ে সংঘের মতামত কী?

    এনিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমাদের কারও উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়, আমাদেরকে নিজেদের আত্মরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে। একজন সত্যিকারের ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি কখনও নিরাপদ হয় না যদি তিনি শক্তিশালী না হন। শুভ শক্তিকে রক্ষার জন্য ধর্মকে শক্তির সঙ্গে একত্রিত হতেই হবে।’’

    ভারতের ধর্মীয় ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক বিবিধতা সংঘ কীভাবে দেখে?

    আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষজন একসঙ্গে এসে সংঘের কাজ দেখেন। আরএসএসের যে গানগুলি রয়েছে সেগুলো শুধুমাত্র হিন্দিতেই নেই, সেগুলো বিভিন্ন ভাষাতেই রয়েছে। বিভিন্ন ভাষাতেই সংঘ শিক্ষা বর্গে গাওয়া হয় এবং প্রত্যেকটি গানের মধ্যেই রয়েছে জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেম, জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি রক্ষার উদ্দেশ্যে।’’

    আরএসএস সমর্থতার কথা বলে কিছু মানুষ একতার কথা বলে সমান অধিকারের কথা বলে এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য কী?

    এনিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘সমান অধিকার বা ইকুইটি হল রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক। আর সমরসতা মানে সামাজিক ঐক্যের কথা বলি। এভাবেই আমরা স্বাধীনতা এবং সমান অধিকারকে প্রচার করি। আমাদের যে সংবিধান তা জাতিভেদ ও অস্পৃশ্যতাপর বিরুদ্ধে কথা বলছে। মানসিকভাবেই আমাদের বৈষম্য দূর করতে হবে।’’

    আরএসএস-এ বর্তমানে নারী শক্তির অংশগ্রহণ বাড়ছে এনিয়ে আপনার মতামত কী?

    এ নিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন,‘‘১৯৩৩ সাল নাগাদ গড়ে তোলা হয় রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি, যা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে। আরএসএসের শাখা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে তা পুরুষ মানুষের জন্যই। কিন্তু মহিলারা তা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং দেখতেও পারেন। এ কথা সত্য যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ শুধুমাত্র পুরস্কার কার্যকর্তার ওপর নির্ভরশীল নয়। আমাদের মাতৃশক্তিও সমানভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভাতে তাঁরা যোগদান করছেন।’’

    শতবর্ষে আরএসএসের প্রস্তাব পাশ হয়েছে পঞ্চ পরিবর্তন, এ নিয়ে পরিকল্পনা কী?

    মোহন ভাগবত বলেন,‘‘সামাজিক সমরসতা হল আমাদের প্রথম কাজ। এরপর আসে কুটুম্ব প্রবোধন, তার মানে ভারতবর্ষের সনাতন পরিবারের ঐতিহ্য এবং প্রথাকে মান্যতা দেওয়া। এরপর পরিবেশের সংরক্ষণ। এর সঙ্গে আসে স্ব অর্থাৎ আত্মনির্ভরতা। শেষে আসে একদম নাগরিক কর্তব্য অর্থাৎ আমরা যেন প্রত্যেকে আইন, সংবিধান এবং সামাজিক রীতি নিয়ম মেনে চলি।’’

    আগামী ২৫ বছর সংঘের কার্যক্রম কী?

    মোহন ভাগবত বলেন,‘‘ আগামী ২৫ বছর সমগ্র হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমরা কাজ করব এবং ভারতকে একটা নতুন জায়গাতে নিয়ে যাব। এভাবেই সমগ্র বিশ্বের একটা পরিবর্তন হবে।’’

    সংঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে, ২০৪৭ সালের দেশের স্বাধীনতা ১০০ বছর হবে, ভারত কীভাবে বিশ্বগুরু হবে?

    এনিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘এই সময় আমাদের সমাজে তিনটে ব্যধির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। একটা হচ্ছে স্বার্থপরতা, দ্বিতীয় হচ্ছে জাতিভেদ প্রথা আর একটা হচ্ছে আত্ম বিস্মৃতি। আমরা যদি সংগঠিত থাকি।’’

    হিন্দু সমাজের শুভচিন্তকদের জন্য আপনার বার্তা কী?

    আরএসএস প্রধান বলেন (Mohan Bhagwat), ‘‘হিন্দু সমাজকে জাগ্রত হতে হবে। তাদের আভ্যন্তরীণ যে সমস্ত বিভেদ এবং বিবাদ আছে, তার সমস্ত কিছুকে মিটিয়ে দিতে হবে। তাদেরকে নিঃস্বার্থ হতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে পারিবারিকভাবে সামাজিকভাবে এবং পেশাগতভাবে ধার্মিক হতে হবে। হিন্দুত্বের আদর্শের উপর গড়ে তুলতে হবে জীবন।’’

  • Rash Behari Bose: বৈষ্ণব বেশে আত্মগোপন করেন নবদ্বীপে! জন্মদিনে জানুন রাসবিহারী বোসের রোমাঞ্চকর কর্মকাণ্ড

    Rash Behari Bose: বৈষ্ণব বেশে আত্মগোপন করেন নবদ্বীপে! জন্মদিনে জানুন রাসবিহারী বোসের রোমাঞ্চকর কর্মকাণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ মে ভারতের সশস্ত্র সংগ্রামের অন্যতম পুরোধা মহাবিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্মদিন (Rash Behari Bose)। মহান এই বিপ্লবীর কর্মকাণ্ড এককথায় রোমাঞ্চকর। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবীর সব্যসাচী চরিত্র যেন রাসবিহারী বসু নিজেই। লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোম নিক্ষেপ হোক অথবা দেশে সোনা অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা। সবেতেই নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এরপর ব্রিটিশ পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে জাপানে চলে যান ১৯১৫ সালের ১২ মে। এক্ষেত্রে তিনি নিজের পরিচয় দেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মীয় হিসেবে। নাম নেন পি এন টেগোর। জানা যায়, খিদিরপুর ডক থেকে ‘সানুকি মারু’ নামক জাহাজে চড়ে তিনি জাপানের উদ্দেশে রওনা হন।

    রাসবিহারী বসু এনিয়ে কী লিখেছিলেন?

    গবেষকদের মতে, ১৯১৪ সালেই তাঁর বিদেশ যাওয়ার সমস্ত রকমের ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল (Indian Freedom Fighter)। তখন ব্রিটিশ সরকার তাঁকে গ্রেফতার করতে উঠেপড়ে লেগেছিল বলে জানা যায়। একাধিক বড় বড় রেলস্টেশনে তাঁর ছবি টাঙানো হয়েছিল। রাসবিহারীকে (Rash Behari Bose) ধরিয়ে দিলে মোটা টাকার পুরস্কার ঘোষণা হয়েছিল। তখন পুরস্কারের অঙ্কটা নেহাত কম ছিল না। এই সময়ই ঠিক হয় তিনি নবদ্বীপে থাকবেন। নিরাপদে আত্মগোপন করবেন। এনিয়ে রাসবিহারী (Rash Behari Bose) লিখেছেন, “নবদ্বীপ একটি তীর্থস্থান। অথচ সাধারণতঃ সেখানে তত বেশী লোক যাওয়া আসা করে না। কিছু দিন সেখানে থাকাই ঠিক হইল। তাছাড়া সেই সময় আমাদেরই একজন লোক সেখানে ছিল, তাহার মতে নবদ্বীপ খুব নিরাপদ স্থান। এই সমস্ত ঠিক করিয়া…‌‌ তখন একজন ভট্টাচার্য্য ব্রাহ্মণের মতন ছিলাম। পৈতে তো ছিলই, তার উপর একটি টিকিও ছিল… পশুপতি যেমন নির্ভীক তেমনি বুদ্ধিমান। তাহাকে সঙ্গে করিয়া বরাবর ট্রেনে নবদ্বীপ গিয়া হাজির। ঠাকুর (ত্রৈলোক্য মহারাজ) সেখানে ছিল। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করিয়া একটি বাড়ি ভাড়া করিবার জন্য খুঁজিতে বাহির হইলাম। নবদ্বীপের একপ্রান্তে এক বৈরাগীর এক বাড়ী ছিল। ২টি ঘর। সেটি ভাড়া করিলাম। সেখানে প্রায় একমাসের ওপর ছিলাম।”

    বাড়িটির বর্তমান অবস্থান

    জানা যায়, ওই বাড়িটি নবদ্বীপের ব্রজানন্দ গোস্বামী রোডে অবস্থিত। এমনটাই দাবি করে শ্রীমদনমোহন মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরে ঢুকেই ডান হাতের প্রথম ঘরটিতেই থাকতেন রাসবিহারী (Rash Behari Bose), এমনটাই বলছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এমনকি বিপ্লবী যে টেবিল-চেয়ার ব্যবহার করতেন, যে টেমির আলোয় লিখতেন, সে সবও তাঁরা সংরক্ষিত হয়ে রয়েছে। তদানীন্তন মন্দির-প্রধান প্রভুপাদ প্রাণগোপাল গোস্বামীই তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

  • Bangladesh: ইউনূসের জমানায় ফের আক্রান্ত হিন্দুরা, যশোর হিংসায় ঘরছাড়া বহু

    Bangladesh: ইউনূসের জমানায় ফের আক্রান্ত হিন্দুরা, যশোর হিংসায় ঘরছাড়া বহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূসের (Muhammad Yunus) বাংলাদেশে ফের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার অভিযোগ সামনে এল। গত বৃহস্পতিবার ২২ মে বাংলাদেশের যশোর জেলার (Bangladesh) অভয়নগর উপজেলার অবস্থিত গ্রাম দাহার মাসিহাটিতে হিন্দুদের ওপর মৌলবাদীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই গ্রামের অসংখ্য হিন্দুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করারও অভিযোগ উঠেছে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোতে।

    মাছের ভেড়ি নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত (Bangladesh)

    এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিরোধের সূত্রপাত হয় একটি মাছের ভেরি নিয়ে। এখানেই ৫০ বছরের তারিকুল ইসলাম নামের একজনকে হত্যা করা হয়। তারপরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে (Bangladesh)। এরপরেই মৌলবাদীরা দাহার মাসিহাটি গ্রামে কুড়িটিরও বেশি হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। প্রথম আলো প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তারা চারটি দোকান ভাঙচুর করে এবং আরও দুটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনার দশজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    গ্রামের পুরুষ সদস্যরা ঘরছাড়া (Bangladesh)

    প্রথম আলো প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, তারিকুল ইসলামের সঙ্গে পিন্টু বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তির জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ইউনূসের বাংলাদেশে এমন সাম্প্রদায়িক হিংসার (Bangladesh) ঘটনা ফের একবার সামনে এল। সমাজ মাধ্যমে তা ব্যাপক ভাইরালও হয়েছে হিন্দুদের আক্রান্ত হওয়ার ছবি এবং ভিডিও (যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িগুলি ভাঙচুরের দৃশ্য স্পষ্ট হয়েছে প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকের প্রতিবেদনে। যিনি নিজে গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়েছিলেন (Bangladesh)। দাহার মাসিহাটি গ্রামে পৌঁছে তিনি দেখতে পান যে হিন্দু বাড়িঘর এবং তাদের জিনিসপত্র একদম ছারখার হয়ে গেছে। ওই সাংবাদিক তাঁর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন যে ছয়টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে গ্রামের সমস্ত পুরুষ সদস্য তাঁদের নিরাপত্তার কারণে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। কিছু হিন্দু মহিলা রয়ে গেছেন গ্রামে। আহতদের বেশিরভাগই মতুয়া সম্প্রদায় বলে জানা গিয়েছে।

  • Puri Temple: এখানেই ড্রোন উড়িয়েছিল ‘পাক-চর’ জ্যোতি! পুরীর জগন্নাথধামে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি বসানোর ভাবনা

    Puri Temple: এখানেই ড্রোন উড়িয়েছিল ‘পাক-চর’ জ্যোতি! পুরীর জগন্নাথধামে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি বসানোর ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পরেই এদেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল পাকিস্তান। তবে ভারতের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পাকিস্তানের সব ড্রোন অকেজো করে দেয়। এইবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Puri Temple) সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওড়িশা সরকার নিরাপত্তার জন্য অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি স্থাপনের কথা ভাবছে। এনিয়ে বিষয়ে ওড়িশা সরকারের (Odisha Government) কর্তাব্যক্তিরা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাও আলোচনা করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। যাতে পুরী শ্রীমন্দিরকে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত করা যায়।

    কী বললেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী?

    একথা সাংবাদিক সম্মলেন করে জানিয়েছেন ওড়িশা সরকারের (Odisha Government) আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হরিচন্দন বলেন, ‘‘মন্দিরে (Puri Temple) অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি স্থাপনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে, এই সিস্টেমটি বসানোর পরে হামলার জন্য ব্যবহৃত ড্রোনগুলিকে সনাক্ত, ট্র্যাক এবং নিষ্ক্রিয় করার কাজ সহজ হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রয়োজন হলে শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের (SJTA) তহবিল থেকে অর্থ সরবরাহ করা হবে।’’

    দ্বাদশ শতকের এই মন্দিরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতেই এই পদক্ষেপ

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যেই ওড়িশা সরকার সম্প্রতি জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Temple) নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটাই বাড়িয়েছে, যাতে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। এবার সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে ওড়িশার বিজেপি সরকার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি বসানোর পরিকল্পনা করছে। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ শতকের এই ঐতিহাসিক মন্দিরের (Puri Temple) নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, ওড়িশা সরকার রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত রথযাত্রা উৎসবের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে বলেও ঘোষণা করেন হরিচন্দন। রথ তৈরি সহ উৎসব আয়োজনের বিভিন্ন খরচ করতে তাঁর দফতর সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন হরিচন্দন। যাতে এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।

    পুরীর মন্দিরের ওপর উড়িয়েছিল ড্রোন, পাক গুপ্তচর জ্যোতিকে জেরার প্রস্তুতি ওড়িশা পুলিশের

    সম্প্রতি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করা হয় জ্যোতি মালহোত্রাকে। তাকে ওড়িশা পুলিশও জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও সূত্রের খবর। কারণ গত বছর ২০২৪ সালে পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শনে গিয়েছিল জ্যোতি। সেসময়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে,  জগন্নাথ মন্দিরের ওপর ড্রোন ওড়ানোর, যা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। তবে কি ড্রোনের মাধ্যমে করা ভিডিওগ্রাফি জ্যোতি পৌঁছে দিত পাকিস্তানে? নিরাপত্তার ঘেরাটোপ এড়িয়ে কী ভাবে এবং কেন জ্যোতি ওই সংবেদনশীল জায়গায় ড্রোন ওড়াল, এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তাকে জেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে ওড়িশা পুলিশ।

  • ISI Agent: গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র পাক হাইকমিশন! প্রার্থী বাছাই থেকে মগজধোলাই, কীভাবে চলত?

    ISI Agent: গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র পাক হাইকমিশন! প্রার্থী বাছাই থেকে মগজধোলাই, কীভাবে চলত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুপ্তচরবৃত্তির (ISI Agent) কেন্দ্র হল পাকিস্তানের হাইকমিশন, গোয়েন্দা রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। ভিসা অফিসার হিসেবে পাকিস্তান আদতে আইএসআই আধিকারিকদেরই নিয়োগ করে দিল্লিতে তাদের হাই কমিশনে (Pakistan High Commission)। ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানের হাইকমিশনের কর্মী আহসানুর রহিম ওরফে দানিশকে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করে দিল্লি। তার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে যে প্রায় ২৪ জন ব্যক্তিকে পাকিস্তানের ভিসার জন্য আবেদন করিয়েছিল দানিশ। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশ এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে এবং পরবর্তীকালে ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু সে অর্থে এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক তথ্য না পাওয়া যাওয়াতে, তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    ভিসা অফিসার নয়, দানিশ ছিল আইএসআই আধিকারিক (ISI Agent)

    এক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, কোনওভাবেই পাকিস্তান হাইকমিশনের (Pakistan High Commission) ভিসা অফিসার ছিল না দানিশ। আদতে সে ছিল আইএসআইয়ের ইন্সপেক্টর র‍্যাঙ্কের একজন অফিসার (ISI Agent)। জানা যায়, সে নিজের এই সমস্ত কার্যকলাপগুলি রিপোর্টিং করত তার উর্ধ্বতন আইএসআই অফিসারদের। যাদের মধ্যে একজনের নাম হচ্ছে শোয়েব। এদেশে থেকে দানিশ আইএসআইয়ের জন্য এজেন্ট নিয়োগ করত। এর পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন কোম্পানির সিম কার্ড সংগ্রহ করত। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, দানিশের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছিল ইসলামাবাদ থেকে। সে ভারতের ভিসা পায় ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি। তথ্য বলছে, আইএসআইয়ের এজেন্ট দানিশের বাড়ি পাকিস্তানের নাড়োয়ালে। বর্তমানে এই স্থান পাকিস্তানের পাঞ্জাবে অবস্থিত। গত ১৩ মে দানিশকে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করা হয়। কারণ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে সে ভারতের নাগরিকদের আইএসআই এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করছে। এরপাশাপাশি এদেশে পাকিস্তানপন্থী বিভিন্ন ইস্যুকে প্রচারও করছে সে।

    জ্যোতিদের মতো এজেন্টদের নিয়োগ করত পাক হাই কমিশনের আইএসআই আধিকারিকরা

    এই দানিশেরই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল হরিয়ানার জ্যোতি মালহোত্রা। যে কিনা একজন ট্রাভেল ভ্লগার (ভিডিও ব্লগার)। এই ইউটিবারও পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করত। হরিয়ানা থেকে পুলিশ সম্প্রতি তাকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের হাইকমিশনের একটা ইতিহাস রয়েছে, এই ধরনের কার্যকলাপ করার। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ পাক হাইকমিশনের বিরুদ্ধে নতুন নয়। এমনটাই জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। হাইকমিশনকে ব্যবহার করেই এ দেশে এজেন্ট নিয়োগের কাজ চালিয়ে যায় তারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়োগ (ISI Agent) করা এজেন্টদের পোস্টিং দেওয়া হয়।

    কাদেরকে প্রার্থী হিসেবে বাছাই করত আইএসআই, কীভাবে হত মগজধোলাই?

    দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পাকিস্তান ডেস্ক পাক গুপ্তচরদের বিষয়ে যে তথ্য জোগাড় করেছে, এবং জ্যোতিকে জেরা করে যাা উঠে এসেছে, তার থেকে আইএসআই-এর মোডাস অপারান্ডি বা কার্যপদ্ধতি ফাঁস হয়েছে। জানা যাচ্ছে, দানিশের মতো আইএসআই এজেন্টরা এখানে জ্যোতিদের মতো ব্লগার ও ইনফ্লুয়েন্সারদের মূূলত টার্গেট করত। প্রার্থী বাছাইয়ে জোর দেওয়া হত তিনটি বিষয়ের ওপর। যাদের টাকার প্রয়োজন, ঘুরতে ভালোবাসে এবং একা থাকে— খোঁজা চলত এমন ক্যান্ডিডেটদের। এই শর্তগুলো মিলে গেলেই টোপ ফেলা হত। যেমন প্রথমেই পাকিস্তান ঘুরে আসার আমন্ত্রণ দেওয়া হয়। সহজে ভিসা জোগাড় করা থেকে শুরু করে সেখানে থাকা-খাওয়া-ঘোরার সুবন্দোবস্ত— সবকিছু করে দেয় আইএসআই। শুধু তাই নয়। এর পর ধীরে ধীরে, তাদের বলা হয় পরিবারের সদস্যদেরও সঙ্গে আনতে। এই ভাবে ধীরে ধীরে জাল ফেলা হয়। আটকা পড়লে, আসল খেলা শুরু হয়। বলা হয় ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের তথ্য বা ছবি সরবরাহ করতে এবং সামরিক ও কেন্দ্রীয় কর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে গোপন নথি ও তথ্য হাতাতে। আইএসআই-এর টোপ গিলে নেয় জ্যোতি। আরও অনেকের কাছে ফেলা হয়। যারা গেলে না, তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়।

    ভিসা অফিসারের মুখোশে আইএসআই অফিসারদের পাঠানো হয় হাইকমিশনে

    প্রসঙ্গত, আইএসআই (ISI Agent) এভাবেই পাক হাইকমিশনকে ব্যবহার করে। এদেশে তাদের এজেন্ট খোঁজে এবং তাদেরকে বিভিন্ন কাজও দেয়। তথ্য পাচার করার কাজে লাগায় তাদেরকে। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, এই সমস্ত পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স অফিসারদের গুপ্তচরবৃত্তির প্রশিক্ষণ দেয় পাক সেনা। সেনা অফিসাররাই বাছাই করা আইএসআই অফিসারদের গুপ্তচর হিসেবে হাইকমিশন (Pakistan High Commission) গুলিতে পাঠায়। এখানে তারা আসে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে। তারা নিজেদের বলে ভিসা অফিসার। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের মে মাসে দিল্লি পুলিশের তদন্তে উঠে আসে দুজনের নাম। যারা নিজেদের পরিচয় দেয় ভিসা অফিসার কিন্তু তারা ছিল আইএসআই এজেন্ট। এ দুজনের নাম ছিল আবিদ হোসেন এবং তাহীর খান। এই দুজনকে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়।

    পাক যড়যন্ত্র বুঝতে পেরে পাক হাইকমিশনে কর্মী সংখ্যা কমায় দিল্লি

    শুধু তাই নয়, ভিসার জন্য যে সমস্ত ভারতীয়রা পাকিস্তানে যেতে আবেদন করে তাদের কাছ থেকে ভারতীয় ফোনের সিম কার্ডও সংগ্রহ করে আইএসআই। এগুলো বিভিন্নভাবে তারা কাজে লাগায়। ঠিক এই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানের হাই কমিশনের (ISI Agent) কর্মী সংখ্যা ১৮০ থেকে ৯০ নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে এরকম একটি স্টিং অপারেশন চালানো হয়েছিল। যেখানে একজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত ভিসা অফিসারের মুখোশ খোলা হয়। দেখা যায় হাইকমিশনের ওই কর্মী আসলে আইএসআই এজেন্ট।

    ২০১৬ সালেও সামনে আসে পাক হাইকমিশনের গুপ্তচরবৃত্তি

    ২০১৬ সালের একই ঘটনা ঘটে। যেখানে দিল্লি পুলিশের তদন্তে উঠে আসে আরও এক আইএসআই এজেন্টে। জানা যায়, তার নাম ছিল মেহমুদ আক্তার। ঘটনা ক্রমে, সেও ছিল হাইকমিশনের কর্মী। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে প্রতিটি দেশই নিজেদের হাইকমিশনে বেশ কিছু কূটনৈতিক রক্ষাকবচ পায়। এটাকে ব্যবহার করেই দিল্লির হাইকমিশনকে আইএসআই-এর হাব বানিয়েছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে এই আক্তারকে আইএসআই নিয়োগ করে ২০১৩ সালে এবং হাইকমিশনের কর্মী হিসেবে তখনই পাঠায়।

  • Germany: আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে সবার! অপারেশন সিঁদুরকে সরাসরি সমর্থন জার্মানির

    Germany: আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে সবার! অপারেশন সিঁদুরকে সরাসরি সমর্থন জার্মানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) ইস্যুতে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিল জার্মানি (Germany)। এপ্রসঙ্গে জার্মানির বার্তা, যে কোনও দেশেরই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।

    কী বললেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী?

    শুক্রবারই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেখা যায় জার্মানির (Germany) বিদেশমন্ত্রী জোহান ওয়াডেফুলকে। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘২২ এপ্রিল ভারতের পহেলগাঁও ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলায় আমরা আতঙ্কিত। সাধারণ বাসিন্দাদের উপর এই হামলার তীব্র নিন্দা করি আমরা। দুই তরফে সামরিক হামলা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করার সবরকম অধিকার রয়েছে ভারতের।’’ একইসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে শান্তিরক্ষার জন্যও সওয়াল করেছেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘‘শান্তি যাতে বজায় থাকে, এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এটাই। দ্বিপাক্ষিক সমাধান মেলার জন্য আলোচনা চলতে পারে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ও পারস্পরিক সহযোগিতা পরিকল্পনায় নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত ও জার্মানি।’’ যুদ্ধ বিরতিকেও সমর্থন করেছেন তিনি।

    কী বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী?

    জার্মানির (Germany) বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জয়শংকর বলেন, ‘‘পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় যে প্রত্যুত্তর দিয়েছে ভারত, তার ঠিক পরেই আমি বার্লিনে এসেছি। আপনাদের জানাতে চাই যে ওই বিষয়টা নিয়ে আমি মিস্টার ওয়েডফুলকে (Operation Sindoor) বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি। সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি আছে ভারতের। আর ভারত কখনও পারমাণবিক (অস্ত্র নিয়ে) ব্ল্যাকমেলের কাছে নতিস্বীকার করবে না।’’ প্রসঙ্গত, দিল্লির তরফে বার বারই স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে যে কাশ্মীর ইস্যুতে এবং ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একমাত্র দ্বিপাক্ষিক আলোচনার রাস্তাতেই থাকতে চায় ভারত। শুক্রবার জার্মানিতে সাংবাদিক সম্মেলনেও ফের একবার স্পষ্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রসঙ্গত, ত্রিদেশীয় ইউরোপ সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই সফরের অংশ হিসেবে তাঁর এই জার্মানি সফর। সেখানেই এক সাংবাদিক বৈঠকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী।

  • Communist: ‘‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে খুন বাসবরাজু’’! কমিউনিস্ট দলগুলির বিবৃতিতে ফের দেশদ্রোহিতার প্রতিফলন

    Communist: ‘‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে খুন বাসবরাজু’’! কমিউনিস্ট দলগুলির বিবৃতিতে ফের দেশদ্রোহিতার প্রতিফলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমন অভিযানে মিলেছে বড়সড় সাফল্য। খতম হয়েছে তাদের শীর্ষ নেতা বাসবরাজু। দেশের ভিতরে উগ্র বামপন্থাকে (Communist) এমন যোগ্য জবাব দেওয়ার পরে সেনা জওয়ানরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সামনে এসেছে সেই ভিডিও। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বামপন্থী দলগুলির অবস্থান তা একবার ফের তাদের দেশদ্রোহিতার মুখোশকেই উন্মোচন করল। সিপিআই ও সিপিএমের মতো দলগুলির বিবৃতিতেই স্পষ্ট যে তার ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং একটি শান্তিপূর্ণ জাতীয় জীবনের বিরোধী।

    সিপিআই এবং সিপিআইএম এই দুই দলই ঐতিহাসিকভাবে চিনপন্থী

    সিপিআই এবং সিপিআইএম এই দুই দলই ঐতিহাসিকভাবে চিনপন্থী। মাওবাদী দমন অভিযানের পরেও তাদের বিবৃতিতেও স্পষ্ট হয়ে উঠল যে তারা এখনও পর্যন্ত ভারতীয় হয়ে উঠতে পারেনি। এভাবেই তারা নিন্দা জানাল বাহিনীর গুলিতে খতম হওয়া নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের নেতা নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুর। প্রসঙ্গত, বাসবরাজু ছিলেন মাওবাদী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক (Communist)। ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। সাধারণ মানুষদের হত্যা, সেনা জওয়ানদের হত্যা একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ছিল। এই ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল, সেই সিপিআই (মাওবাদী) নেতাকে যখন খতম করা হল, তখন তারই সমর্থনে এগিয়ে এল এবং নিন্দা জানাল সিপিআই ও সিপিএম।

    কমিউনিস্ট পার্টির বিবৃতিতে জাতীয়তা-বিরোধিতার ছায়া (Communist)

    এদের মধ্যে সিপিএম তাদের নিজেদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, অমানবিক নীতি গ্রহণ করেই এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। সিপিআই এটাকে ‘বিচার বহির্ভূত’ পদক্ষেপ বলে ঘোষণা করেছে। ‘‘ঠান্ডা মাথায় বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’’ বলে উল্লেখ করেছে তারা। কমিউনিস্ট পার্টির সর্বদাই অধিকারের কথা বলে। খুব সত্যি কথা বলতে তারা এ নিয়ে ভন্ডামি করে। কমিউনিস্ট পার্টি অধিকারের কথা মাওবাদীদের জন্য বলে কিন্তু মাওবাদী হামলায় মৃতদের জন্য অধিকারের কথা বলে না। প্রসঙ্গত, বামপন্থীদের এমন বিবৃতি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক বিবৃতি নয়। এর মাধ্যমে অপমান করা হয়েছে সেই শত শত জওয়ানদেরকে। যাঁরা তাঁদের নিজেদের উৎসর্গ করেন দেশের জন্য!

    ২০১০ সালে দান্তেরওয়াড়াতে ৭৬ জন জওয়ান শহিদ হন, বাসবরাজু ছিল হামলার মূলচক্রী

    একথা বলা দরকার, বাসবরাজু (Basavaraju) শুধুমাত্র একজন নেতা নয়, সে ছিল অপারেশনাল হেড এবং মাস্টারমাইন্ড। ২০১০ সালে দান্তেরওয়াড়াতে ৭৬ জন শহিদ হন। বাসবরাজু ছিল এই মাওবাদী হামলার মূলচক্রী। বাসবরাজুর নেতৃত্বে ২০১৩ সালে ছত্তিশগড়ের ঝিরানকাটে গণহত্যা ঘটানো হয়। সেখানেও অজস্র রাজনৈতিক নেতাকে খুন করা হয়। যদি কমিউনিস্ট নেতারা মনে করেন, বাসবরাজুকে খতম করার ঘটনা বিচার বহির্ভূত, তাহলে তারা মাওবাদী গণহত্যাকে কোন চোখে দেখেন? প্রসঙ্গত, দেশের বামপন্থী দলগুলি ভারতীয় সেনাকে লেঠেল বলেও সম্বোধন করে। কমিউনিস্ট পার্টি (Communist) কখনও ভারতীয় সেনা জওয়ানদের আত্মত্যাগকে মর্যাদাও দেয় না। এভাবেই ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মর্যাদার ওপরে আঘাত করে তারা। দেশের সেনাবাহিনী সম্পর্কে কমিউনিস্টরা প্রশ্ন তুলছে। যাঁরা আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করছেন, দেশের ঐক্যকে রক্ষা করছেন, অখণ্ডতাকে রক্ষা করছেন।

    নাগরিক হত্যার সময় চুপ থাকে বামপন্থী দলগুলি (Communist)

    এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে যেই রাজনৈতিক দলগুলি সংবিধানের আওতায় থেকে কাজ করছে। কিন্তু তারা সেই ধরনের কথাই বলছে যা সংবিধানের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। কারণ দেশের সংবিধানের কথা কমিউনিস্ট দলগুলির (Communist) তখনই মনে পড়ে যখন তারা নিজেদের অ্যাজেন্ডাকে বাস্তবায়িত করতে পারে। নিরীহ নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালায়। যখন নাগরিকদেরকে হত্যা করা হয় তখন সংবিধানের কথা এই বামপন্থী দলগুলোর মনে পড়ে না। কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদ-লেনিনবাদ) তারা সরাসরি এই অপারেশনকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে অভিহিত করেছে। প্রসঙ্গত, মাওবাদীদের উপস্থিতি ভারতবর্ষের অনুন্নয়নের একটি বড় কারণ।

    অনুন্নয়নকে কাজে লাগায় মাওবাদীরা

    দেখা যাচ্ছে, সড়কের অভাব, রেল যোগাযোগের অভাব, অনুন্নয়ন- এইগুলোই বেকারত্ব বাড়ায় যা মাওবাদীরা ব্যবহার করে। এভাবেই নিজেদের অ্যাজেন্ডাকে কাজে লাগায় তারা। মোদি জমানায় উন্নত হচ্ছে মাওবাদী প্রাভাবিত অঞ্চলগুলি। সেখানে পায়ের তলায় জমি হারাচ্ছে তাই মাওবাদীরা। বাসবরাজুর মতো গুরুত্বপূর্ণ মাওবাদী নেতাকে খতম করা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক বড় মাইলস্টোন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্টে ২৭ জন মাওবাদীকে খতম করা গিয়েছে। সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়তে মোদি সরকারের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন সকলেই।

  • Illegal Bangladeshi: ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত নিতে ঢাকাকে ফের বলল দিল্লি

    Illegal Bangladeshi: ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত নিতে ঢাকাকে ফের বলল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে যে বিপুলসংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশি (Illegal Bangladeshi) রয়েছে, তাদের ফেরত পাঠানোর সুবিধার্থে নাগরিকত্বের পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়া যেন দ্রুত শুরু করা হয়। বৃহস্পতিবার ঢাকাকে এই কথা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণদীপ জয়সওয়াল বলেন, ‘‘যে সমস্ত ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছে, তারা বাংলাদেশি নাগরিক হোক বা অন্য কোনও দেশের, আইন অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে, যাদের ফেরত পাঠানো প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশের সরকারকে ইতিমধ্যে তাদের জাতীয় নাগরিকত্ব যাচাই করতে বলেছি।’’ রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বর্তমানে ভারতের কাছে ২৩৬০ জনেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকের তালিকা রয়েছে। যাদের ফেরত পাঠানো প্রয়োজন। জানা গিয়েছে এই বিপুল সংখ্যার মধ্যে অনেকেই বর্তমানে জেলেও রয়েছে।

    অবৈধ বাংলাদেশিরা গোপনে এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, অবৈধ বাংলাদেশিরা (Illegal Bangladeshi) গোপনে এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। কোনও রকমের বৈধ নথি ছাড়া। যার ফলে এ দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করা খুব কঠিন কাজ হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার, ১২১ অবৈধ বাংলাদেশিকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তাদেরকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এরা সকলে ৮৩১ জনের একটি গোষ্ঠীর অংশ, যারা সাম্প্রতিককালে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে। এদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।  এর আগে,  মে মাসে শুরুতেই উত্তর-পূর্ব ভারতের অসমের দক্ষিণ সালমারা জেলায় অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে কমপক্ষে পাঁচ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশ প্রশাসন তাদেরকে আবার বাংলাদেশ ফেরত পাঠায়।

    দেশজুড়ে অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান

    এপ্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশে তাঁত শিল্পের পতনের কারণে বিগত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ভারতে প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘‘বিগত কয়েক মাসে আমরা এক হাজার বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছি। অসমে গ্রেফতার করার পরেই তাদেরকে আবার পুনরায় দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। অন্যদিকে অবৈধভাবে ভারতে থাকার অভিযোগে দিল্লিতে ও পুলিশ প্রশাসন অভিযানে নামে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছয় জন বাংলাদেশি (Illegal Bangladeshi) মহিলাকে আটক করা হয়। এছাড়া গুজরাটেও একই ধরনের অভিযান চালানো হয় এবং সেখানে ১০০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

  • Schizophrenia: ভারতে বেড়ে চলেছে সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট, সচেতনতার অভাবেই কি?

    Schizophrenia: ভারতে বেড়ে চলেছে সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট, সচেতনতার অভাবেই কি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হঠাৎ কেউ ছায়াসঙ্গী হয়ে পিছু নিয়েছে, কিংবা সব সময়েই কেউ ক্ষতি করবে বলে ষড়যন্ত্র কষে চলেছে! এমন নানান ভয়ে শিউরে থাকেন অনেকে। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে অনেকেই নানান কারণে উদ্বেগে থাকে। পরিবার কিংবা প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে না। বরং নিজের মতো থাকতেই পছন্দ করে। অনেক সময়েই তারা নানা রকম আশঙ্কায় ভোগে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়। বরং পরিবারের কেউ এমন সমস্যায় ভুগলে, তাঁর দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। কারণ এগুলোই সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) লক্ষণ হতে পারে।

    ভারতে বাড়ছে সমস্যা, বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    সম্প্রতি, ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে এক সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, দেশ জুড়ে সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা বাড়ছে। মানসিক এই রোগ নিয়ে সচেতনতাও তলানিতে। তার জেরে পরিস্থিতি সামলানো আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। বিশ্ব সিজোফ্রেনিয়া সচেতনতা দিবসে (World Schizophrenia Awareness Day) তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই রোগ নিয়ে আরও বেশি সচেতনতা কর্মসূচি জরুরি। যাতে সহজেই রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্ভব হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিজোফ্রেনিয়ার মূল সমস্যা এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। রোগীর অধিকাংশ সময়েই সম্পূর্ণ চিকিৎসা হয় না।‌ যার জেরেই বিপদ বাড়ে‌।

    কীভাবে রোগীকে সনাক্ত করবেন?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্ত থাকেন। ফলে, বাইরের মানুষের পক্ষে খুব আলাদা ভাবে তাদের চিহ্নিত করা কঠিন। কিন্তু পরিবারের সদস্যেরা, সব সময় একসঙ্গে থাকলে রোগ সহজেই চিহ্নিত করা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই সাধারণত এই সমস্যার সূত্রপাত হয়। তবে জীবনের যেকোনও পর্বেই মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত (World Schizophrenia Awareness Day) হলে মেলামেশা বা সামাজিক যোগাযোগের চাহিদা কমে যায়। রোগী কখনোই পরিবারের সকলের সঙ্গে একসঙ্গে বসে গল্প করা কিংবা কোনও আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়া বা প্রতিবেশীদের সঙ্গে সময় কাটানো পছন্দ করবেন না। অতিরিক্ত নির্জনতা তাঁর পছন্দ হবে। তাই কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে মারাত্মক একা থাকার প্রবণতা লক্ষ্য করলে, তা নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    অকারণ নানান আশঙ্কায় ভুগলে কিংবা মনগড়া ভয় (Delusion) তৈরি হলে, তা সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) অন্যতম কারণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে, রোগী অনেক সময়েই নানান ভয়ের কল্পনা করেন। যাকে হ্যালোসিনেশন (Hallucination) বলা হয়। তাই পরিবারের কেউ যদি সব সময় নানান আশঙ্কার কথা জানান এবং তার সঙ্গে যদি বাস্তবের বিশেষ মিল না থাকে, তাহলে সে ব্যাপারে সতর্ক হওয়া জরুরি। দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

    কেন বাড়ছে এই রোগ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে বদলে যাচ্ছে সমাজ ব্যবস্থা। সম্পর্কের সমীকরণও বদলে যাচ্ছে। আর এর ফলেই সিজোফ্রেনিয়ার (Schizophrenia) মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের মধ্যেও সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যাচ্ছে। অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে, বাবা-মায়ের সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর নয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুসম্পর্ক নেই। এগুলো ছেলেমেয়েদের মধ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। মানসিক চাপ তৈরি করছে। যার জন্য সিজোফ্রেনিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    এর পাশাপাশি, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সামাজিক প্রত্যাশা গত কয়েক বছরে মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। সাফল্য কিংবা সামাজিক স্বীকৃতি নিয়ে খুব কম বয়স থেকেই মানুষের উপরে অসম্ভব চাপ তৈরি হচ্ছে। যার ফলে মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ছে‌। সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্ত বৃদ্ধির এটাও অন্যতম কারণ বলেই তাঁরা মনে করছেন। তবে অনেক সময়েই বংশানুক্রমিক রোগ হিসাবেও অনেকে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই পরিবারের কেউ এই রোগে আক্রান্ত থাকলে, জিনগত ভাবে এই রোগ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে হচ্ছে।

    কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা সম্ভব?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সচেতনতাই এই রোগ মোকাবিলার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতে সিজোফ্রেনিয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, মানুষ এই রোগ সম্পর্কে সচেতন নন। তাই রোগীর ঠিকমতো চিকিৎসা হয় না। অনেক সময়েই আক্রান্তের এই মনগড়া উদ্বেগ অবহেলা হয়। ফলে নানান জটিলতা তৈরি হয়। আক্রান্তের আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটে। তাই চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা (World Schizophrenia Awareness Day) গড়ে তোলা জরুরি। পাশপাশি, রোগ চিহ্নিত হওয়ার পরে, রোগীর যাতে ঠিকমতো চিকিৎসা হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীর ঠিকমতো চিকিৎসা হয় না। চিকিৎসার মাঝপথে রোগী ওষুধ নিয়মিত খাওয়া বন্ধ করে দেন। থেরাপিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তাই মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত যাতে আক্রান্ত ওষুধ খান, প্রয়োজনীয় থেরাপি নেন, সেটা নিশ্চিত করাই পরিবারের দায়িত্ব।

    রোগীকে কখনোই সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে আলাদা করা যাবে না বলেই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিয়ে কিংবা পুজো, যেকোনও আনন্দ অনুষ্ঠান, যেখানে সমাজের বহু মানুষের মেলামেশা করার সুযোগ থাকবে, সেখানে সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) আক্রান্তকে অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে। পরিবারের দায়িত্ব, তাঁর সামাজিক যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়া। এতে রোগ মোকাবিলা সহজ হবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • SwaRail: রেল আনছে ‘স্বরেল’! টিকিট বুকিং থেকে ট্রেনের তালিকা এক অ্যাপেই মিলবে সব পরিষেবা

    SwaRail: রেল আনছে ‘স্বরেল’! টিকিট বুকিং থেকে ট্রেনের তালিকা এক অ্যাপেই মিলবে সব পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন রেলওয়ে (Indian Railways) অ্যাপ চালু করল ভারতীয় রেলওয়ে। যাত্রী পরিষেবাকে আধুনিক এবং সহজতর করে তুলতেই এই অ্যাপ চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। অ্যাপের নাম দেওয়া হয়েছে স্বরেল (SwaRail App)। ভারতীয় রেলওয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগে বেশ কিছু পরিষেবা আইআরসিটিসি রেল কানেক্ট, ইউটিএস ইত্যাদি অ্যাপে পাওয়া যেত। এবার থেকে স্বরেল অ্যাপে এই সমস্ত পরিষেবা একজায়গাতেই পাওয়া যাবে। খুব শীঘ্রই এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে বলে জানিয়েছে রেল।

    স্বরেল অ্যাপের (SwaRail App)-এর গুরুত্বপূর্ণ ফিচার্স

    ১. সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সেন্টার (CRIS) এই অ্যাপ ডেভেলপ করেছে। সমস্ত ধরনের রেল যাত্রীরাই এই অ্যাপের সহায়তা পাবেন।

    ২. ট্রেনের তালিকা, সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত টিকিট কাটা যাবে এই অ্যাপেই। SwaRail অ্যাপের My Bookings সেকশনে গিয়ে পূর্বের ভ্রমণের ইতিহাসও দেখা যাবে।

    ৩. অ্যাপে রয়েছে একটি সিঙ্গল-অন-সিস্টেম। একসঙ্গে অজস্র ফিচার্সের সুবিধে রয়েছে অ্যাপটিতে। আইআরসিটিসির লগ ইন তথ্য দিয়ে এই অ্যাপে লগ ইন করা যাবে।

    ৪. ট্রেনের সমস্ত তথ্যই এই অ্যাপে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে রেল। ট্রেন যদি দেরি করে তাহলে সেই তথ্যও মিলবে এখানে।

    ৫. ট্রেনে ওঠার সময় যাত্রীর কোচ কোনদিকে তাও দেখিয়ে দেবে এই অ্যাপ। এর ফলে যাত্রীদের অনেকটাই সুবিধে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ৬. এর পাশাপাশি ট্রেন (Indian Railways) সফরে থাকাকালীন নির্দিষ্ট ভেন্ডরের থেকে খাবার অর্ডার করা যাবে এই অ্যাপ থেকেই।

    ৭. অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফিচার্স হিসেবে এই অ্যাপে রয়েছে রেল মদদ এর সাহায্যে রেল সফরকালীন যে কোনও অভিযোগ জানানো যাবে।

    ৮. অ্যাপে দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল আর-ওয়ালেটের সুবিধাও। বাতিল যাত্রা, বাতিল টিকিটের রিফান্ড চাইলে এখান থেকেই মিলবে টাকা। এই ওয়ালেট দিয়ে টিকিটও বুক করা যাবে।

    ৯. জানানো হয়েছে, বিভিন্ন ভাষায় দেখা যাবে এই অ্যাপের ইন্টারফেস। ফলে ভাষাজনিত সমস্যাও দূর হবে।

LinkedIn
Share