Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Nepal News: গণেশ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নেপালে

    Nepal News: গণেশ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ নেপালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু-প্রধান রাষ্ট্র নেপাল—সেখানে গণেশ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে ঘটে গেল এক সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ।
    শনিবার, নেপালের (Nepal News) জনকপুরধামে (Janakpurdham) গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের হয়। সেই সময়ই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার খবর পাওয়া যায়। দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নেপালের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণেশের মূর্তিটি একটি মুসলিম-প্রধান এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় স্থানীয় কিছু মানুষ শোভাযাত্রা থামিয়ে রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করেন। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।

    গণেশের প্রতিমার দিকে পাথর নিক্ষেপ (Nepal News)

    এরপর মৌলবাদীরা গণেশের প্রতিমার দিকে পাথর ছুড়লে পরিস্থিতি একেবারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং দুই পক্ষই ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
    নেপালের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ সেখানে পৌঁছায় এবং এরপর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল যে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করতে হয়। নেপালের ডেপুটি সুপার জানিয়েছেন, এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে দুইজন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।

    থমথমে পরিবেশ মোতায়েন পুলিশ

    জানা যাচ্ছে, এর পরেও ওই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যেকোনও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে প্রায় ২০০ জন নেপাল পুলিশ এবং অতিরিক্ত সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ডেপুটি সুপার বাহাদুর সিং জানিয়েছেন, জনকপুরধাম (Janakpurdham) থেকে দেবপুরা এবং যাতাহি থেকে জনপ্রধান যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে (Nepal News) পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই ঘটনা নতুন নয়। অতীতেও দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনের সময় প্রায় একই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর যখন হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়, বিশেষ করে মূর্তি বিসর্জনের সময়, তখনই কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বছর গণেশ চতুর্থীর প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও সেই পুরনো চিত্রেরই পুনরাবৃত্তি দেখা গেল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকার কিছু জেহাদি মানসিকতার মানুষ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে ইচ্ছাকৃতভাবে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করে এবং দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করে থাকে।

  • PM Modi: ‘‘চিন-ভারত বন্ধুত্বে স্বার্থ জড়িত ২৮০ কোটি মানুষের’’, জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘চিন-ভারত বন্ধুত্বে স্বার্থ জড়িত ২৮০ কোটি মানুষের’’, জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও (SCO) সম্মেলনে যোগ দিতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে চিন সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দীর্ঘ ১০ মাস পর এই সফরে মুখোমুখি বৈঠকে মিলিত হলেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। রবিবার, নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই শুরু হওয়া এই বৈঠক চলে প্রায় এক ঘণ্টা। বৈঠকে পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান, সংবেদনশীলতা ও সহযোগিতার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জবাবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানান।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    বৈঠকের সূচনায় মোদি (PM Modi) বলেন, “গত বছর কাজানে আমাদের মধ্যে অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। সেই আলোচনা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ইতিবাচক দিশায় এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের পর পরিস্থিতি শান্ত ও স্থিতিশীল রয়েছে। সীমান্ত ইস্যুতে দুই দেশের প্রতিনিধিরাও পারস্পরিক বোঝাপড়ায় পৌঁছেছেন। নতুন করে কৈলাস-মানসসরোবর যাত্রাও চালু হয়েছে।” তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ভারত ও চিনের মধ্যে শিগগিরই সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হবে। তাঁর কথায়, “ভারত ও চিনের বন্ধুত্ব কেবল দুই দেশেরই নয়, সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের মিলিয়ে ২৮০ কোটির বেশি মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে এই সম্পর্কে।”

    চিনা প্রেসিডেন্টের (Jinping) বক্তব্য কী?

    প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, “বিশ্বজুড়ে নানা পরিবর্তন ঘটছে। এই প্রেক্ষাপটে চিন ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমরা বিশ্বের দুই প্রাচীন সভ্যতা, দুই বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ, এবং গ্লোবাল সাউথের প্রধান দুই অংশীদার। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব থাকা উচিত। আমরা যেন ভালো প্রতিবেশীর মতো পাশে থাকি।” তিনি আরও বলেন, “ড্রাগন ও এলিফ্যান্টকে আরও ঘনিষ্ঠ হতে হবে।”

    সম্পর্কের ৭৫ বছর

    চলতি বছর ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৭৫তম বর্ষপূর্তি। এই উপলক্ষে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও স্থায়ী করে তুলতে কূটনৈতিক স্তরে জোর দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন শি জিনপিং। তাঁর মতে, এশিয়ায় শান্তি ও গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভারত ও চিনকে (Jinping) একসঙ্গে পথ চলতে হবে।

  • Bharat Forecast System: আবহাওয়া পূর্বাভাসে নতুন যুগের সূচনা হল ‘ভারত ফোরকাস্ট সিস্টেম’-র মাধ্যমে

    Bharat Forecast System: আবহাওয়া পূর্বাভাসে নতুন যুগের সূচনা হল ‘ভারত ফোরকাস্ট সিস্টেম’-র মাধ্যমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল ভারত। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে ‘ভারত পূর্বাভাস ব্যবস্থা’ (Bharat Forecasting System)। এই উন্নত প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়তা করেছে আইআইটি এম-পুনে (IITM Pune), আইএমডি (IMD), এবং নয়াদিল্লিতে অবস্থিত এনসিএমআরডব্লিউএফ (NCMRWF)।

    অত্যন্ত উন্নত ও নির্ভুলভাবে প্রদান করা সম্ভব হবে পূর্বাভাস

    এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার (Bharat Forecasting System) পূর্বাভাস অত্যন্ত উন্নত ও নির্ভুলভাবে প্রদান (Weather Forecasting) করা সম্ভব হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৫ সালের ২৬ মে ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের উদ্যোগে এই ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। ভারতের বিজ্ঞানীদের হাতেই এই প্রযুক্তির পুরো উন্নয়ন হয়েছে, যা দেশের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রযুক্তির ফলে দেশের অর্থনৈতিক খরচ অনেকটাই কমে আসবে। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের যেকোনো এলাকার আবহাওয়ার নির্ভুল পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে এই নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে। এছাড়াও, ভারতের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি বিশেষভাবে উপকারে আসবে। বিশেষ করে কৃষি নির্ভর জনগোষ্ঠী, যাদের জীবন-জীবিকা অনেকাংশে আবহাওয়ার উপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য এটি একটি বড় সুবিধা হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

    বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ও সতর্কবার্তা নির্ধারণেও বড় ভূমিকা রাখছে

    কয়েক দশক আগে ভারতের আবহাওয়া পূর্বাভাস (Bharat Forecasting System) দেওয়ার জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হত, তা ছিল ‘২৫ বাই ২৫’ মডেল। এর অর্থ, একটি কাল্পনিক ২৫ কিলোমিটার লম্বা ও ২৫ কিলোমিটার চওড়া বর্গাকার অঞ্চলকে ভিত্তি ধরে সেই এলাকার আবহাওয়া কেমন হবে, তার পূর্বাভাস দেওয়া হত। পরবর্তীকালে পূর্বাভাস আরও নির্ভুল করতে চালু হয় ‘১২ বাই ১২’ মডেল। এতে ২৫ কিলোমিটারের জায়গায় ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের বর্গক্ষেত্র ব্যবহৃত হতে থাকে। ফলে একসময় যেখানে ৬২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকার জন্য একটিমাত্র পূর্বাভাস দেওয়া হতো, নতুন মডেলে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ১৪৪ বর্গকিলোমিটারে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে যায়, আরও নিখুঁত পূর্বাভাস দিতে হলে এই মডেলগুলো যথেষ্ট নয়। দরকার আরও উচ্চ রেজোলিউশনের গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম। সেই লক্ষ্যেই শুরু হয় ‘৬ বাই ৬’ মডেলের উন্নয়ন কাজ। এরফলে ১৪৪ বর্গকিলোমিটারের বদলে মাত্র ৩৬ বর্গকিলোমিটারের ব্লকে বিশ্লেষণ করা হয়। এলাকা যত ছোট হয়, সেই অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করতে আরও বেশি শক্তিশালী কম্পিউটারের দরকার হয়। এই অত্যাধুনিক মডেল কেবল দৈনিক আবহাওয়া পূর্বাভাসেই নয়, বরং বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ও সতর্কবার্তা নির্ধারণেও বড় ভূমিকা রাখছে।

  • Japan: সূর্যোদয়ের দেশে মোদি, আগামী দশ বছরে ভারতে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে জাপান

    Japan: সূর্যোদয়ের দেশে মোদি, আগামী দশ বছরে ভারতে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে জাপান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দুই বছর পাঁচ মাস পর ফের জাপান সফরে গিয়ে ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সে দেশের সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। টোকিওতে অনুষ্ঠিত ১৫তম ভারত–জাপান বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইসিবা উপস্থিত ছিলেন। এই সম্মেলনের সময় দু’দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, আগামী দশ বছরে জাপান (Japan), ভারতে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।

    কী কী বিষয়ে মৌ স্বাক্ষরিত হল?

    এই মৌসমূহের মধ্যে রয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কের উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। পাশাপাশি আরও কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা ভবিষ্যতের ভারত–জাপান (Japan) সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    কী জানাল ভারতের বিদেশমন্ত্রক?

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই সফরের সময় যে চুক্তিগুলি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল— ডিজিটাল পার্টনারশিপ, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারে যৌথ উদ্যোগ, ডি-কার্বনাইজিং প্রযুক্তিতে সহযোগিতা, বর্জ্য ও জলের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকৃত প্রযুক্তি প্রয়োগ, এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিস্তার। এছাড়া, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং পরিবেশগত বিষয়েও যৌথ কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আলোচনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েও

    এই সফরে দু’দেশের মধ্যে (Japan) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগের সূচনাও হয়েছে। দুই দেশ বৈশ্বিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালার প্রসঙ্গেও একমত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এই বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। জাপানের (Japan) পক্ষ থেকে ভারতে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েনের বেসরকারি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করবে।

    দুই দেশের মধ্যে প্রতি বছর তিনটি করে সফর আয়োজন করা হবে

    ভারত ও জাপানের বিদেশ মন্ত্রক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে প্রতি বছর তিনটি করে সফর আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে নেতৃত্ব পর্যায়ে নিয়মিত মতবিনিময় ও সহযোগিতা আরও দৃঢ় হবে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদি এর আগে ২০২৩ সালের মে মাসে শেষবার জাপান সফর করেছিলেন। এবারের সফর শেষ করে তিনি চিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে।

  • India: গত জুলাই মাসে ইউক্রেনে সবচেয়ে বেশি ডিজেল রফতানি করেছে ভারত, উঠে এল রিপোর্টে

    India: গত জুলাই মাসে ইউক্রেনে সবচেয়ে বেশি ডিজেল রফতানি করেছে ভারত, উঠে এল রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে জুলাই মাসে সর্বাধিক ডিজেল সরবরাহ করেছে ভারত (India)। ইউক্রেনের সংস্থা নাফতোরাইনক–এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ওই মাসে ইউক্রেন যে পরিমাণ ডিজেল আমদানি করেছে, তার ১৫.৫ শতাংশই এসেছে ভারতের থেকে। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গড়ে প্রতিদিন ২,৭০০ টন ডিজেল ভারত থেকে বিভিন্ন রুট ধরে পৌঁছেছে ইউক্রেনে। এক বছরের ব্যবধানে এ হারে ভারতের ডিজেল সরবরাহে বিপুল বৃদ্ধি দেখা গেছে।

    বিভিন্ন রুটে ইউক্রেনে (Ukraine) পৌঁছেছে ভারতের ডিজেল

    ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ইউক্রেনে (Ukraine) ডিজেল রফতানিতে ভারতের (India) অংশীদারিত্ব ছিল মাত্র ১.৯ শতাংশ। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে সেই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.২ শতাংশে, অর্থাৎ মাত্র এক বছরে প্রায় পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতের ডিজেল রফতানি। ভারতে পরিশোধিত ডিজেল মূলত রোমানিয়া ও তুরস্কের মাধ্যমে ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে। রোমানিয়া থেকে পৌঁছেছে ট্যাঙ্কার-এর মাধ্যমে এবং তুরস্কের মারমারা এরিগলিসি বন্দর থেকে রফতানি হয়ে ইউরোপের এই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে পৌঁছেছে জ্বালানি।দেখা যাচ্ছে ওই মাসে স্লোভাকিয়া থেকে ইউক্রেন ডিজেল আমদানি করেছে ১৫ শতাংশ, গ্রীস থেকে ১৩.৫ শতাংশ, তুরস্ক থেকে ১২.৪ শতাংশ, লিথুয়ানিয়া থেকে ১১.৪ শতাংশ, অন্যান্য দেশ থেকে ৩২.২ শতাংশ।

    কেন এই ঘটনা এত তাৎপর্যপূর্ণ?

    ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসন একাধিকবার ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরোক্ষ মদতদাতা হিসেবে ভারত কাজ করছে। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখায় ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উপর চাপ বাড়িয়েছে (India)। রাশিয়া থেকে তেল কেনার জেরে ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা এর ফলে আমেরিকায় রফতানি হওয়া ভারতীয় পণ্যে মোট শুল্ক দাঁড়াচ্ছে ৫০ শতাংশে। এই আবহে ইউক্রেনের ডিজেল আমদানিতে ভারতের অংশীদারিত্বের এই বৃদ্ধি শুধু বাণিজ্যিক সাফল্য নয়, বরং ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা। পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কে চাপ থাকলেও, ভারত ইউক্রেনের সর্ববৃহৎ ডিজেল সরবরাহকারী হিসেবে উঠে এসেছে — যা বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত।

  • Dengue in Kolkata: কলকাতায় বাড়ছে ডেঙ্গি, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১২৮

    Dengue in Kolkata: কলকাতায় বাড়ছে ডেঙ্গি, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১২৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণের (Dengue in Kolkata) সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কলকাতা (kolkata) মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের (KMC) এক আধিকারিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অগাস্ট মাসের শুরুতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫৫। তবে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮৩-এ, অর্থাৎ মাত্র ২১ দিনের মধ্যে ১২৮ জন নতুন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত মোট ৩৮৩ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে। শুধু গত সপ্তাহেই নতুন করে ৪০ জন ডেঙ্গিতে (Dengue in Kolkata) আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর।

    সাতটি ওয়ার্ডকে ডেঙ্গি-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে

    ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা (KMC) সাতটি ওয়ার্ডকে ডেঙ্গি-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই তালিকায় রয়েছে বালিগঞ্জের সানি পার্ক ও কুইন্স পার্ক, লেক গার্ডেন, তপসিয়া, পিকনিক গার্ডেন, খিদিরপুর, যোধপুর পার্ক এবং ভবানীপুরের কিছু অংশ। পুরসভা সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাস থেকেই এই এলাকাগুলিকে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। তবে গত দুই সপ্তাহে নতুন করে কোনও এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় যুক্ত করা হয়নি। শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগকে নির্মাণস্থল ও সম্ভাব্য মশার প্রজননস্থানে (Dengue in Kolkata) বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সচেতনতা দলের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে জল জমা প্রতিরোধ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে।

    ডেঙ্গিতে (Dengue in Kolkata) মৃত্যু উদ্বেগ বাড়ছে

    ডেঙ্গির দাপটে ইতিমধ্যেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে শহরে। ৯ অগাস্ট, বালিগঞ্জ সানি পার্কের বাসিন্দা স্বরূপ মুখার্জি (৭৫) ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ১৪ অগাস্ট, বেহালা পর্ণশ্রীর গাবতলা লেনের বাসিন্দা অরিজিৎ দাস (৩৫) প্রাণ হারান। এর আগে, ২১ জুন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ১৩ বছরের কিশোরী সরোণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয় ডেঙ্গিতে।

    দ্রুত বাড়ছে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণও

    শুধু ডেঙ্গিই (Dengue in Kolkata) নয়, একইসঙ্গে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণও আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। কলকাতা পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৬০৫। ১০ অগাস্ট পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১,১৫৬ — অর্থাৎ মাত্র ১৪ দিনের ব্যবধানে ৪৪৯ জন নতুনভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের মতে, এই বৃদ্ধির হার যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমন অভিযান! অবুঝমাড়ে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল নিরাপত্তা বাহিনী

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমন অভিযান! অবুঝমাড়ে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল নিরাপত্তা বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) নারায়ণপুর জেলার অবুঝমাড় অঞ্চলে মাওবাদী-বিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণে অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী (Anti Maoist campaign)। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ২৯ অগাস্ট যৌথ বাহিনীর অভিযানে এই অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধার হয়। নারায়ণপুরের পুলিশ সুপার রবিনসন গুড়িয়া এক বিবৃতিতে জানান, ২৪ আগস্ট থেকেই নিরাপত্তা বাহিনী এই অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করে। অভিযানে অংশ নেয় ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (DRG), স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (ITBP)। অভিযান চালিয়ে চার-পাঁচটি ভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

    কী কী উদ্ধার করা হল

    রবিনসন গুড়িয়া আরও জানান, অবুঝমাড় অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিছু আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের কাছ থেকেও অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী (Chhattisgarh), এই অভিযানে উদ্ধার হয়েছে— ৪৯টি বন্দুক,একটি ইনসাস রাইফেল, একটি এসএলআর রাইফেল, একটি স্টেনগান, একটি লাইট মেশিনগান (LMG), আটটি ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার (BGL), বিভিন্ন মাপের ছোট ও মাঝারি সাইজের গ্রেনেড সেল। প্রসঙ্গত, ২৮ অগাস্ট (বুধবার) ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলের ৩০ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেন। ছত্তিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা এক বিবৃতিতে জানান, আত্মসমর্পণকারীদের সরকারি পুনর্বাসন নীতির আওতায় পুনর্বাসন দেওয়া হবে (Chhattisgarh)। তিনি আরও আহ্বান জানান, যারা এখনও উগ্র বামপন্থা অনুসরণ করছেন, তারা যেন সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসেন (Chhattisgarh)। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৭ অগাস্টও ছত্তিশগড় পুলিশের (Anti Maoist campaign) কাছে আরও চারজন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেন।

    মাওবাদী অভিযান চলছেই

    প্রসঙ্গত, মাওবাদী মুক্ত দেশ গড়ার ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এই লক্ষ্যে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ তারিখকে একটি নির্ধারিত ডেডলাইন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাঁর এই ঘোষণার পর থেকেই দেশজুড়ে জোরকদমে চলছে মাওবাদী-বিরোধী অভিযান, যার ইতিবাচক ফলও মিলতে শুরু করেছে। সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মাওবাদীদের একাধিক শীর্ষনেতাক খতম করা গিয়েছে। এই ঘটনার পর আরও গতি পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান। এই প্রেক্ষাপটে সরকারও মাওবাদীদের উদ্দেশে সরকার আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসে। সরকারের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেক মাওবাদী ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করছেন।

  • Droupadi Murmu: কাছাকাছি ভারত-চিন! মার্চে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘গোপন’ চিঠি লেখেন চিনা প্রেসিডেন্ট

    Droupadi Murmu: কাছাকাছি ভারত-চিন! মার্চে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘গোপন’ চিঠি লেখেন চিনা প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই চিঠির মাধ্যমে ভারত-চিন সম্পর্ক নতুন করে কোন পথে এগোতে পারে, তার সম্ভাবনা যাচাই করতে চেয়েছিল বেজিং। ভারতের এক শীর্ষ প্রশাসনিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

    চিঠি পৌঁছায় মোদির হাতে

    প্রতিবেদন অনুসারে, রাষ্ট্রপতির দফতকে (Droupadi Murmu) পাঠানো সেই চিঠি পরে পৌঁছে যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে। তার কয়েক মাসের মধ্যেই, জুন মাসে, ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাতের উত্তাপ কিছুটা কমে আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগে নামে উভয় দেশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সম্প্রীতির পিছনে বড় একটি ভূমিকায় ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসনের শুল্কনীতি।

    শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে ভারত ও চিনের একসঙ্গে কাজ করা উচিত

    চিনের বার্তা ছিল স্পষ্ট (Droupadi Murmu)— যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে ভারত ও চিনের একসঙ্গে কাজ করা উচিত, কারণ এই দুই দেশেরই সামনে অভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ দাঁড় করিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেই বার্তাই পরোক্ষভাবে তুলে ধরা হয়েছে শি জিনপিংয়ের (Chinese President) চিঠিতে। চিঠি প্রকাশ্যে আসার কিছুদিন পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর সম্মেলনে যোগ দিতে চিন সফরে যান। প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলনের পাশাপাশি মোদির সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা রবিবার অনুষ্ঠিত হতে পারে।

    ভারতের ওপর শুল্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আমেরিকার বিরোধী দল

    মার্চ থেকে অগাস্ট— এই কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক কূটনীতির পরিমণ্ডলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির কারণে ভারতের পণ্যের উপর প্রায় ৫০ শতাংশ আমেরিকান শুল্ক চাপানো হয়, যা মোদি প্রশাসনের জন্য চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে, চিন (Chinese President) রাশিয়া থেকে ভারতের তুলনায় অনেক বেশি তেল আমদানি করলেও, তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। এই বৈষম্য নিয়ে আমেরিকার বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে। কারণ, গত দুই দশকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের প্রভাব ঠেকাতে ভারতকে কৌশলগতভাবে পাশে চেয়েছিল আমেরিকা। এখন সেই ভারতই যদি বাণিজ্য নীতিতে কোণঠাসা হয়, তা হলে সেই কৌশলগত বোঝাপড়ার ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

    চিন তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আমেরিকার ‘দাদাগিরি’র বিরোধিতা করে আসছে

    চিন বারবার তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আমেরিকার ‘দাদাগিরি’র বিরোধিতা করে আসছে। ভারতও একইসঙ্গে বিশ্ব কূটনীতিতে নিজস্ব ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এই প্রেক্ষাপটে, দু’দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করা, কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করা এবং সীমান্ত সংক্রান্ত দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলির সমাধানে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মতো বিষয়গুলিতে সাম্প্রতিক সময়ে অগ্রগতি হয়েছে। কয়েক দিন আগেই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ভারতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কূটনৈতিক মহলের মতে, চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্জীবিত করতে চাইছে এবং এর পেছনে তাদের স্পষ্ট ও কৌশলগত স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।

  • India: ভারত-জাপান মানব সম্পদ বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত, দক্ষ পেশাদাররা কাজের সুযোগ পাবেন সূর্যোদয়ের দেশে

    India: ভারত-জাপান মানব সম্পদ বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত, দক্ষ পেশাদাররা কাজের সুযোগ পাবেন সূর্যোদয়ের দেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) ও জাপান (Japan) দুই দেশের মধ্যে দিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে আগামী পাঁচ বছরে ৫ লাখেরও বেশি মানুষের বিনিময়ের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত ভারত-জাপান শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী, ভারত থেকে প্রায় ৫০ হাজার দক্ষ পেশাদার জাপানে কাজের সুযোগ পাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি স্তরে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়বে। পাশাপাশি, যৌথ উদ্ভাবনী প্রকল্প ও গবেষণামূলক কাজ আরও গতিশীল হবে। ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক ও শিক্ষাবিদদের জাপানে যাওয়ার সুযোগ যেমন বাড়বে, তেমনি জাপানি কর্পোরেট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও ভারত সফরে আসবেন। এছাড়া ভারতীয় শিক্ষকরা জাপানের জনপ্রিয় জেট (Japan Exchange and Teaching) প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগও পাবেন।

    প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও ভাষা শিক্ষার প্রসারে জোর

    এই যৌথ উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য হল ভারত ও জাপানের মধ্যে ছাত্র ও গবেষকদের আদান-প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষাগত সম্পর্ক জোরদার করা। ভারতের (India) জন্য জাপানের (Japan) টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম (TITP) এবং স্কিলড ওয়ার্কার ভিসা প্রোগ্রাম দুটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগের দ্বার খুলে দিচ্ছে। এর জন্য সারা ভারত জুড়ে পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যাতে আরও বেশি দক্ষ কর্মী এই প্রক্রায় অংশ নিতে পারেন। ভারত (India) “ইন্ডিয়া-নিপ্পন প্রোগ্রাম ফর অ্যাপ্লাইড কম্পিটেন্সি ট্রেনিং” চালু করবে, যেখানে ভারত ও জাপানের যৌথ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে জাপানি শিল্পদক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয়ুর্বেদ, যোগা এবং অন্যান্য সুস্থতা-কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান জাপানে স্থাপন করা হবে।

    দুই দেশের বিদেশমন্ত্রক যৌথভাবে এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন তদারকি করবে

    এই চুক্তির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো ভাষা শিক্ষার প্রসার। জাপান ফাউন্ডেশন ভারতজুড়ে (India) আরও বেশি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স এবং ভাষা কেন্দ্র চালু করবে। পাশাপাশি, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ও জাপানের বিদেশ মন্ত্রক যৌথভাবে এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন তদারকি করবে এবং প্রতিবছর একটি অগ্রগতি রিপোর্ট প্রকাশ করবে। সব মিলিয়ে, শিক্ষা, দক্ষতা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অর্থনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভারত-জাপানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ও সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত খুলে যাচ্ছে।

  • Daruma Doll: ‘দারুমা’ পুতুল উপহার পেলেন মোদি, সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করেন জাপানিরা

    Daruma Doll: ‘দারুমা’ পুতুল উপহার পেলেন মোদি, সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করেন জাপানিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের জাপান সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই সফরের সময় তাঁকে উপহার হিসেবে একটি বিশেষ পুতুল দেওয়া হয়, যাকে “দারুমা পুতুল” বলা হয়। স্থানীয় জাপানি ভাষায় এ নামেই পরিচিত এই পুতুলটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পুতুলের মধ্যেই জাপানের ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য মেলবন্ধন প্রতিফলিত হয়। জানা যাচ্ছে, এই দারুমা পুতুলটি উপহার দেন তাকাসাকির শোরিনজান দারুমা-জি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, রেভারেন্ড সেইশি হিরোস। এটি শুধু একটি খেলনা নয়—জাপানের ঐতিহ্যের একটি প্রতীকও বটে।

    দারুমা (Daruma Doll) পুতুলের বৈশিষ্ট্য

    দারুমা (Daruma Doll) পুতুল সাধারণত একটি গোলাকার মূর্তি, যার মধ্যে জাপানের ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং ইতিহাস প্রতীকীভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকে। অনেকেই একে “ধর্ম পুতুল” হিসেবেও আখ্যা দেন। মূলত এটি বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে যুক্ত, এবং সাধারণভাবে বৌদ্ধ পুতুল হিসেবেই বিবেচিত হয়। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গহীন এই পুতুল সাধারণত লাল রঙের হয়ে থাকে, পুতুলটির মুখে এক ধরনের কঠোরতা থাকে এবং চোখ দুটি সম্পূর্ণ সাদা। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল—নিচের অংশ ভারী হওয়ার কারণে এটি পড়ে গেলেও নিজে থেকেই আবার সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। এই গুণের ভিত্তিতে জাপানি প্রবাদে বলা হয়: “নানাকোরোবি ইয়াওকি”, অর্থাৎ ‘সাতবার পড়লেও, আটবার উঠে দাঁড়াও।’

    জাপানের দোকান, রেস্তোরাঁ, বাড়ি সর্বত্র দেখা যায় এই পুতুল

    জাপানের দোকান, রেস্তোরাঁ, বাড়ি—প্রায় সর্বত্রই এই পুতুলের দেখা মেলে। জাপানিরা বিশ্বাস করেন, এটি সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি ও অধ্যবসায়ের প্রতীক। দারুমা (Daruma Doll) নামে পরিচিত এই পুতুলটির ইতিহাস ভারতবর্ষের সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত। এর নামকরণ ও অনুপ্রেরণা এসেছে বোধিধর্ম (বা বোধি ধর্ম) নামক এক ভারতীয় সাধকের জীবন থেকে। বোধিধর্ম ছিলেন তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমে জন্মগ্রহণকারী একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। ধারণা করা হয়, তিনি ৪৪০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং পঞ্চম-ষষ্ঠ শতাব্দীতে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে চিন হয়ে জাপানে পৌঁছান। বৌদ্ধ ধ্যানচর্চার একাগ্রতাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে তিনি একটানা ৯ বছর ধ্যানস্থ ছিলেন। এত দীর্ঘ সময় ধ্যানমগ্ন থাকার ফলে তাঁর হাত-পা অসাড় হয়ে যায়। আরও জানা যায়, ধ্যানের সময় যাতে ঘুম না আসে, সেজন্য তিনি নিজের চোখের পাতা নিজেই উপড়ে ফেলেন। সেই কারণেই দারুমা পুতুলে চোখ বড় বড় এবং চওড়া।

    জাপানে নতুন বছরের শুরুতে সবাই দারুমা কেনেন

    ধারণা করা হয়, অতীতে গুটিবসন্ত মহামারির সময়, এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার আশায় দারুমাকে লাল রঙে রাঙানো হতো। সেই প্রথা থেকেই দারুমা সাধারণত লাল রঙের হয়ে থাকে। তবে এর বিভিন্ন রঙের পেছনেও রয়েছে আলাদা প্রতীকী মানে—হলুদ দারুমা সুরক্ষা ও নিরাপত্তার প্রতীক, সাদা দারুমা প্রেম ও একতার প্রতীক। প্রতিটি দারুমা পুতুলের মুখের নিচে সোনালি অক্ষরে লেখা থাকে “ফুকু ইরি”, যার অর্থ—‘সৌভাগ্য বহনকারী’। জাপানে নতুন বছরের শুরুতে মানুষ একটি দারুমা কেনেন এবং কোনো ইচ্ছা থাকলে তার একটি চোখে রং দিয়ে “প্রাণ প্রতিষ্ঠা” করেন। যদি বছরের মধ্যে সেই ইচ্ছা পূরণ হয়, তবে অন্য চোখেও রং পূরণ করা হয়। আর যদি ইচ্ছেপূরণ না হয়, তবে সেই দারুমাকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে “দারুমা কুইও” নামের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে পূজা দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

LinkedIn
Share