Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Diabetes: আগেই জানান দেবে! ইঙ্গিত বুঝলেই ডায়াবেটিসের বিপদ এড়ানো সম্ভব?

    Diabetes: আগেই জানান দেবে! ইঙ্গিত বুঝলেই ডায়াবেটিসের বিপদ এড়ানো সম্ভব?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    বিপদ বাড়ছে। বয়সের সীমারেখা পেরিয়ে এখন স্কুল পড়ুয়ার শরীরেও অসুখ হাজির হচ্ছে। ডায়াবেটিস আর শুধুই প্রৌঢ়ত্বের সঙ্গে হাজির হচ্ছে না। বরং খুব কম বয়সিদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। এমনকি স্কুল পড়ুয়ারাও টাইপ টু ডায়াবেটিস আক্রান্ত হচ্ছে। জীবনভর তাদের এই রোগের বোঝা নিয়েই চলতে হচ্ছে। এর ফলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষত ভারতে গত কয়েক বছরে মারাত্মক ভাবে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বেড়েছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের চিহ্নিত করতে পারলেই বিপদের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে। স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ থাকবে। তাই ডায়াবেটিস হওয়ার আগেই সতর্কতা জরুরি। কে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হতে পারেন, সে সম্পর্কে সতর্ক থাকলেই বড় বিপদ এড়ানো সহজ হতে পারে।

    কীভাবে প্রি-ডায়াবেটিক রোগী চিহ্নিত হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করলেই সহজেই পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক থাকা যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতকে ডায়াবেটিস রোগের ক্যাপিটাল বলা হয়। গত কয়েক বছরে এ দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। কমবেশি সব পরিবারেই কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রয়েছেন। পরিবারের কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে, তার পরবর্তী প্রজন্মের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই বাড়ির কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে, পরিবারের অন্যদের ও বছরে অন্তত একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস পরীক্ষা একেবারেই খরচ সাপেক্ষ। তাই সে নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তার দরকার নেই। সহজ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে শর্করার পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত কিনা সেটা বোঝা যায়। তাই বয়স বছর তিরিশের চৌকাঠ পেরোলেই বছরে অন্তত একবার রক্তের শর্করার পরিমাণ ঠিক রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করালেই চিকিৎসক বুঝতে পারবেন, রোগীর ডায়াবেটিস হতে পারে কিনা!

    কাদের ঝুঁকি বেশি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস বংশানুক্রমিক ভাবে সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখায়। তাই বাড়িতে কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত থাকলে, অন্যদের সতর্ক থাকা জরুরি। তাঁরা সহজেই প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের তালিকায় থাকতে পারেন। এছাড়াও, যাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই তাঁরাও প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের তালিকায় সহজেই থাকেন। তাঁদের ও বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন আছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। স্থুলতার সমস্যা থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। তাই শরীরের ওজন নিয়েও বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।

    কীভাবে প্রি-ডায়াবেটিক রোগী সতর্ক থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস শরীরে নানান রোগের কারণ। রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস দৃষ্টিশক্তির সমস্যা তৈরি করে। আবার ডায়াবেটিস হলে কিডনির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যার কারণ ও অনেক সময় ডায়াবেটিস হয়। তাই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। যাতে এই রোগের প্রকোপে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত না হয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। নিয়মিত হাঁটাচলা করা প্রয়োজন। তাঁদের পরামর্শ দিনে তিরিশ থেকে চল্লিশ মিনিট নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে। হাঁটলে শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার নিয়মিত হাঁটলে সহজেই ক্যালোরি ক্ষয় হয়। ফলে স্থূলতাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই নিয়মিত হাঁটাচলা করা জরুরি।

    খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন

    ধারাবাহিক ভাবে কয়েক বছরের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী যদি কেউ প্রি-ডায়াবেটিক রোগী হিসাবে চিহ্নিত হয়, তবে তাঁকে খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, চিনি একেবারেই খাওয়া চলবে। চিনি রক্তে শর্করার পরিমাণ মারাত্মক ভাবে বাড়িয়ে দেয়। তাই চিনি খাওয়া একেবারেই চলবে না। যেকোনও ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মিষ্টি বিপজ্জনক। তাছাড়া, পাকা আম, কলা জাতীয় ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণে নজর দেওয়া জরুরি। ভাতের মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিমাণ নিয়ে সচেতনতা জরুরি। প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়মিত পনীর, টক দই, করলা, পটল, লেবুর মতো খাবার খাওয়ায় পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    রোগের ঝুঁকি কমাতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি খুব জরুরি। তাই প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের ঠিকমতো পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনিয়মিত ঘুম ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কারণ, ঘুম পর্যাপ্ত না হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। এছাড়াও একাধিক অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমে। তাই নিয়মিত অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা যাতে ঘুম হয়, সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেলে, রোগ মোকাবিলা সহজ হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট, খারিজ রিভিউ পিটিশন

    Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট, খারিজ রিভিউ পিটিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি’র মাধ্যমে ২০১৬ সালের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের প্যানেল থেকে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন (SSC Recruitment Scam) খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মঙ্গলবার বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ৩ এপ্রিল ঘোষিত মূল রায় ঘোষণার আগে সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়েছিল। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন গত ৪ মে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আদালতের মতে, সেই রায়ই চূড়ান্ত এবং এতে পুনরায় শুনানির প্রয়োজন নেই (Supreme Court)।

    ওএমআর শিট জমা দিতে ব্যর্থ এসএসসি, নিয়োগ বাতিল ছিল অনিবার্য

    আদালত (Supreme Court) জানায়, কলকাতা হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট, কোনও আদালতেই এসএসসি ২০১৬ সালের পরীক্ষার মূল ওএমআর শিট বা তার প্রতিলিপি জমা দিতে পারেনি। আদালতের ভাষায়, এটি স্কুল সার্ভিস কমিশনের গুরুতর ব্যর্থতা। সেই কারণেই গোটা নিয়োগ বাতিল করা ছাড়া আদালতের আর কোনও উপায় ছিল না। বিচারপতিরা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের দায় স্বীকার করে নিয়েছে। পাশাপাশি সিবিআই এবং বিচারপতি রনজিৎ বাগ কমিটির রিপোর্টে যে অনিয়মের তালিকা রয়েছে, তা থেকেই পরিষ্কার— গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই দুর্নীতিগ্রস্ত (SSC Recruitment Scam)। মূল ওএমআর শিট না রাখা বা জমা না দেওয়ার ঘটনা পুরো ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

    ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে নতুন নিয়োগ

    সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) আগেই নির্দেশ দিয়েছিল, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে এসএসসি ৩০ মে নতুন নিয়োগ পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নবম-দশম শ্রেণির এবং ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই দু’টি তারিখই রবিবার পড়েছে। তবে রিভিউ পিটিশন খারিজ হওয়ায় নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে এদিনও বিক্ষোভ চালিয়ে গিয়েছেন চাকরিহারা প্রার্থীরা।

  • Asia Cup 2025: এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করল ভারত, বাদ যশস্বী ও শ্রেয়স , কী বলছে বোর্ড?

    Asia Cup 2025: এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করল ভারত, বাদ যশস্বী ও শ্রেয়স , কী বলছে বোর্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) জন্য ঘোষিত ভারতীয় দলে জায়গা হয়নি যশস্বী জয়সওয়াল এবং শ্রেয়স আয়ারের। দেশের অন্যতম সেরা এই দুই ব্যাটার বাদ পড়ায় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। বর্তমান দলে ইনিংস শুরু করতে পারেন এমন তিনজন রয়েছেন—শুভমন গিল, সঞ্জু স্যামসন এবং অভিষেক শর্মা। সহ-অধিনায়ক শুভমনের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন নেই। সঞ্জু উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন, তাঁর অভিজ্ঞতাও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় ওপেনারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল অভিষেক এবং যশস্বীর মধ্যে। এখানে পিছিয়ে পড়েছেন যশস্বী (Asia Cup)।

    যশস্বীর বাদ পড়া নিয়ে কী বলছেন আগরকর

    এ বিষয়ে আগরকর বলেন, “যশস্বীর না থাকা দুর্ভাগ্যজনক। তবে অভিষেকের পারফরম্যান্স অগ্রাহ্য করা কঠিন ছিল। আমরা জানি টি-টোয়েন্টিতে ওর পারফরম্যান্স কতটা ভালো। অভিষেক বল করতে পারে, যা অধিনায়কের জন্য একটি বাড়তি বিকল্প। এই দু’জনের মধ্যে একজনকে বসতেই হত।” অর্থাৎ, অভিষেকের অলরাউন্ডার দক্ষতা যশস্বীর থেকে তাঁকে এগিয়ে দিয়েছে। যশস্বীর বল না করতে পারার বিষয়টি তাঁর পক্ষে যায়নি। যদিও প্রশ্ন উঠছে, যখন অক্ষর পটেলের মতো একজন বাঁহাতি স্পিনার দলে রয়েছেন, তখন আরেকজন বাঁহাতি স্পিনারের প্রয়োজন আদৌ আছে কি না। তাছাড়া, আইপিএল ২০২৫-এ যশস্বী ১৪ ম্যাচে ৪৩ গড় এবং ১৫৯.৭১ স্ট্রাইক রেটে ৫৫৯ রান করেন। এই পারফরম্যান্সও নির্বাচকদের মন জিততে পারেনি।

    শ্রেয়স বাদ পড়ায় কী যুক্তি দিচ্ছেন আগরকর (Asia Cup 2025)

    শ্রেয়স আয়ারকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যায় আগরকর কোনও যুক্তি দিতে পারেননি। তিনি বলেন, “শ্রেয়সকে দলে না রাখা আমাদের দোষ নয়, আবার ওরও দোষ নয়। কারণ ১৫ জনের বেশি ক্রিকেটার রাখা যায় না। কার জায়গায় ওকে নিতাম?” শ্রেয়স দেশের সাদা বলের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটার। তিনি গত দুই আইপিএলে সফল অধিনায়ক হিসেবেও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। ২০২৫ আইপিএলে তিনি ১৭টি ম্যাচে ৫০.৩৩ গড় এবং ১৭৫.০৭ স্ট্রাইক রেটে ৬০৪ রান করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ৬টি অর্ধশতরান। এত কিছু সত্ত্বেও জাতীয় দলে তাঁর জায়গা না হওয়ায় বিস্মিত ক্রিকেট মহলের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, একজন ব্যাটারকে আর কী করলে জাতীয় দলে নেওয়া হবে?

    ১৫ সদস্যের স্কোয়াড (Asia Cup 2025)

    এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) জন্য ভারতের সম্ভাব্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড: সূর্য কুমার যাদব (সি), শুভমান গিল (ভিসি), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিবম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা (ডব্লিউকে), জসপ্রিত বুমরা, আরশদীপ সিং, বরুণ চক্রবর্তী, কুলদীপ যাদব, সঞ্জু স্যামসন (ডব্লিউকে), হর্ষিত রানা ও রিঙ্কু সিং। ভারতীয় দল তাদের (Asia Cup) প্রথম ম্যাচ ১০ সেপ্টেম্বর দুবাইতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে খেলবে।

  • Kolkata Metro: মোদির হাত ধরে পুজোর আগেই মেট্রোপথে জুড়ছে শিয়ালদা-হাওড়া, কতটা লাভবান হবেন নিত্যযাত্রীরা?

    Kolkata Metro: মোদির হাত ধরে পুজোর আগেই মেট্রোপথে জুড়ছে শিয়ালদা-হাওড়া, কতটা লাভবান হবেন নিত্যযাত্রীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গবাসীকে দুর্গাপুজোর বড় উপহার দিতে আগামী শুক্রবার ফের বঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যেমন তেমন কোনও উপহার নয়, ঐতিহাসিক উপহার। নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতেই আগামী ২২ তারিখ কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন দমদমে প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেখান থেকেই নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনটি নতুন পাতালরেল রুট হল— রুট তিনটি হল শিয়ালদা-এসপ্লানেড (২.৪৫ কিলোমিটার), নোয়াপাড়া-জয়হিন্দ বিমানবন্দর (৬.৭৭ কিলোমিটার), হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)-বেলেঘাটা (৪.৩৯ কিলোমিটার)।

    মেট্রোপথে জুড়ে যাচ্ছে শিয়ালদা-হাওড়া

    বলা বাহুল্য, এই তিনটি রুট চালু হলে শহরের উত্তর, মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ ও দ্রুত হবে। এই তিনটে রুটের মধ্যে আবার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড রুটটি। এটি মেট্রোর গ্রিন লাইন হাওড়া ময়দান-সেক্টর ৫ রুটের একটি অংশ। মোদির হাত ধরে এই রুটের ২টি অংশ জুড়বে আগামী ২২ তারিখ। এতদিন গ্রিন লাইন ১-এর অন্তর্গত সেক্টর ৫ থেকে শিয়ালদা এবং গ্রিন লাইন ২-এর অন্তর্গত হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত বিভক্তভাবে চালু ছিল মেট্রো। মাঝে এসপ্লানেড ও শিয়ালদার মধ্যে সংযোগ ছিল না। ২২ তারিখ সেটাই হয়ে যাবে। ফলে, (মেট্রো) রেল পথে জুড়ে যাবে হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন। শিয়ালদা-এসপ্লানেড রুট চালু হলে প্রায় ১ ঘণ্টার রাস্তা পার করা যাবে ১১ মিনিটে। এই দুই স্টেশনেই সহজে যেতে পারবেন রেলযাত্রীরা। মোট ১৫.৬৬ কিলোমিটার পথে চলবে মেট্রো। এই রুটে ৮ মিনিট অন্তর মেট্রো চলবে বলে জানা যাচ্ছে।

    আরও সহজে বিমানবন্দর…

    অন্যদিকে, নোয়াপাড়া-এয়ারপোর্ট মেট্রো রুট চালু হলেও উপকৃত হবেন রেলযাত্রীরা। নোয়াপাড়া থেকে কলকাতা বিমানবন্দর বা জয় হিন্দ মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত যে রুট চালু হবে, সেটি অতিক্রম করবে প্রায় ৬.২৫ কিলোমিটার। মেট্রো সূত্রে খবর, এই রুটে চলা দুটি ট্রেনের মধ্যে সম্ভাব্য সময়ের ফারাক থাকবে ১৫ মিনিট। সম্পূর্ণ নতুন সাজে সেজে উঠেছে এটি। ভূগর্ভস্থ নির্মাণে তৈরি এই স্টেশনকে ইতিমধ্যেই এশিয়ার অন্যতম বড় মেট্রো স্টেশন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। মুম্বই, দিল্লি, লখনউ ও চেন্নাইয়ের পর কলকাতা হল ভারতের পঞ্চম শহর, যেখানে বিমানবন্দরের সঙ্গে সরাসরি মেট্রো পরিষেবা যুক্ত হচ্ছে। এই রুটে নোয়াপাড়া ও এয়ারপোর্ট ছাড়া রয়েছে দুটি স্টেশন- যশোর রোড ও দমদম ক্যান্টনমেন্ট। ঠিক যেভাবে শিয়ালদা আর দমদমে রেল স্টেশনের সংযোগকারী মেট্রো স্টেশন রয়েছে, সেভাবেই আরও দমদম ক্যান্টনমেন্টেও সংযোগকারী মেট্রো স্টেশন তৈরি হবে। শহরের দক্ষিণ থেকে বিমানবন্দর যেতে গেলে আর পোহাতে হবে না বাইপাস ও ভিআইপি রোডের জ্যামের ঝক্কি। সরাসরি ব্লু লাইন (কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর) রুটের মেট্রো ধরে নোয়াপাড়ায় নেমে লাইন বদলে ইয়েলো লাইন ধরে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে বিমানবন্দর। নোয়াপাড়া স্টেশনটি ইন্টারচেঞ্জিং হবে।

    বিকল্প পথে শিয়ালদা…

    আবার, অরেঞ্জ লাইনে নিউ গড়িয়া (কবি সুভাষ) থেকে রুবি (হেমন্ত মুখোপাধ্যায়) পর্যন্ত মেট্রো চালু রয়েছে। এবার সেই রুটই বিস্তৃত হচ্ছে বেলেঘাটা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে নিউ গড়িয়া থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত মেট্রো চলবে এবার। মোট ৯.৭৯ কিলোমিটার পথ। এই রুটে ২০ মিনিট অন্তর মেট্রো চলবে বলে জানা যাচ্ছে। বেলেঘাটা ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় জুড়ে গেলে, বেলেঘাটা থেকে যাত্রীরা সোজা কবি সুভাষ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবেন। আর কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের সঙ্গে যোগ রয়েছে নিউ গড়িয়া রেল স্টেশনের। অর্থাৎ শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার সঙ্গে সরাসরি জুড়ে যাবে মেট্রো স্টেশন। ফলে, যাত্রীরা মেট্রোতে চেপে পৌঁছে যেতে পারবেন স্টেশনে। তবে, বর্তমানে ব্লু লাইনের প্রান্তিক কবি সুভাষ স্টেশন বন্ধ। যাতায়াত হবে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন অবধি।

    আশায় নিত্যযাত্রীরা

    রুটের নিত্যযাত্রীরাও আশায় আছেন এই রুট নিয়ে। এবার মেট্রোর তরফ থেকে জানানো হল যে নতুন রুটগুলি চালু হলে ঠিক কতটা সুবিধা হবে লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন নিজের কর্মস্থলে। কিন্তু স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছতে যে যানজটের যন্ত্রণা পেরতে হয়, সেই সমস্যার কিছুটা সুরাহা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, শুধুমাত্র নিত্যযাত্রীরাই নন, এই মেট্রো চালু হলে পুজোর দর্শণার্থীদেরও বিশেষ সুবিধা হবে। রাস্তার যানজটও অনেকটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    নতুন রুটে ভাড়া কেমন?

    নতুন ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী, ন্যূনতম ভাড়া রাখা হয়েছে মাত্র ৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ৭০ টাকা। উদাহরণস্বরূপ, বিমানবন্দর থেকে যশোর রোড যেতে খরচ হবে ৫ টাকা, আর নোয়াপাড়া যেতে দিতে হবে ২০ টাকা। একইভাবে, বিমানবন্দর থেকে চাঁদনি চক বা এসপ্ল্যানেড যেতে খরচ হবে ৪০ টাকা। কবি সুভাষ পর্যন্ত পৌঁছতে ভাড়া ৪৫ টাকা। এয়ারপোর্ট থেকে শিয়ালদা যেতে খরচ হবে সর্বাধিক ৫০ টাকা। বিমানবন্দর থেকে হাওড়া যেতে যাত্রীদের দিতে হবে ৫০ টাকা। রুবি মোড় (হেমন্ত মুখোপাধ্যায়) যেতে গুনতে হবে ৬৫ টাকা। আর বিমানবন্দর থেকে সেক্টর ফাইভ বা করুণাময়ী পর্যন্ত যাত্রার জন্য সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ টাকা।

  • GST Reforms: মোদি সরকারের জিএসটি সংস্কার, লাভবান হবে মধ্যবিত্ত, কোন কোন পণ্যের দাম কমতে পারে?

    GST Reforms: মোদি সরকারের জিএসটি সংস্কার, লাভবান হবে মধ্যবিত্ত, কোন কোন পণ্যের দাম কমতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির আগেই জিএসটি সংস্কারের ইঙ্গিত মিলেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এক্ষত্রে উল্লেখ করা দরকার বর্তমানে জিএসটি-র (GST Reforms) পাঁচটি স্তর রয়েছে। এগুলি হল ০, ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ। সূত্রের খবর, এই পাঁচ স্তর প্রধানত দু’টিতে কমিয়ে আনা হতে পারে। থাকতে পারে কেবল ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ জিএসটি। জানা যাচ্ছে, সিগারেট, পানমশলার মতো ক্ষতিকর পণ্যে ৪০ শতাংশ জিএসটি প্রযোজ্য হতে পারে। এই একই জিএসটি লাগু হতে পারে অনলাইন গেমিং-এর ক্ষেত্রেও। এই পদক্ষেপ সরকারের তরফে কর হারগুলিতে স্থিতিশীলতা আনতে এবং ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট সংক্রান্ত জটিলতা দূর করার উদ্দেশ্যেই নেওয়া হয়েছে।বর্তমানে ১০ লক্ষেরও বেশি পণ্য জিএসটি-র আওতায় রয়েছে। নতুন এই জিএসটি সংস্কার সাধারণ মানুষের জন্য সরাসরি উপকার বয়ে আনবে।

    কোন কোন পণ্যের দাম কমতে পারে (GST Reforms)?

    বর্তমানে ছোট গাড়ি ও ২৫০ সিসি পর্যন্ত দু’চাকার গাড়ির উপর ২৮ শতাংশ হারে জিএসটি বসে। নতুন প্রস্তাবে তা কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হতে পারে। এছাড়াও, এয়ার কন্ডিশনার, ৩২ ইঞ্চি পর্যন্ত টেলিভিশন, ডিশওয়াশার প্রভৃতি পণ্যের দামও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সিমেন্টের উপরও কর কমিয়ে ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনা যেতে পারে, যেখানে বর্তমানে ২৮ শতাংশ কর আরোপিত হয়। এর ফলে নির্মাণ খরচ হ্রাস পেতে পারে। স্বাস্থ্য ও জীবন বিমার প্রিমিয়ামের ওপরও জিএসটি (GST Reforms) হ্রাসের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে তা ৫ শতাংশ করা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে কর হার শূন্য করার সম্ভাবনাও রয়েছে।

    ১২ শতাংশ জিএসটি নামবে ৫ শতাংশে, ২৮ শতাংশ নামবে ১৮ শতাংশে

    বর্তমানে যেসব পণ্যে ১২ শতাংশ জিএসটি প্রযোজ্য, সেগুলির ৯৯ শতাংশই ৫ শতাংশ করের আওতায় আসতে পারে। আর যেসব পণ্যে বর্তমানে ২৮ শতাংশ কর বসে, তার ৯০ শতাংশেই করহার কমে ১৮ শতাংশে নামবে। এর ফলে, একদিকে যেমন জিনিসপত্রের দাম কমবে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের কাছে কর কাঠামো আরও সহজবোধ্য হয়ে উঠবে। যেমন, সিমেন্ট, এসি, টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিনের মতো প্রায় ৯০ শতাংশ পণ্য, যেগুলির উপর এখন ২৮ শতাংশ জিএসটি প্রযোজ্য, সেগুলি ১৮ শতাংশ করস্ল্যাবে স্থান পাবে। অর্থাৎ, এই পণ্যগুলির দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমে যেতে পারে (GST Reforms)।

    উদহরণস্বরূপ বলা যায়-

    • ৩৫০ টাকার সিমেন্টের ব্যাগ ২৮ টাকা সস্তা হতে পারে
    • ৮০ হাজার টাকার টিভি ৮ হাজার টাকা কমে যেতে পারে
    • ৪০ হাজার টাকার ফ্রিজ ৪ হাজার টাকা কমবে
    • প্রতি কেজি ১০০০ টাকার মিষ্টির দাম ৭০ টাকা কমে যেতে পারে

    ৭ শতাংশ পর্যন্ত সস্তা হয়ে যাবে এই সমস্ত পণ্য

    ড্রাই ফ্রুট, ব্র্যান্ডেড নোনতা খাবার, টুথ পাউডার, টুথপেস্ট, সাবান, চুলের তেল, সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক, প্রক্রিয়াজাত খাবার, হিমায়িত শাকসবজি, কনডেন্সড মিল্ক, কিছু মোবাইল ও কম্পিউটার, সেলাই মেশিন, প্রেসার কুকার, গিজার, নন-ইলেকট্রিক ওয়াটার ফিল্টার, ইলেকট্রিক ইস্ত্রি, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, এক হাজার টাকার উপরের তৈরি পোশাক, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার জুতো, বেশিরভাগ টিকা, এইচআইভি/টিবি ডায়াগনস্টিক কিট, সাইকেল, বাসনপত্র, জ্যামিতি বক্স, মানচিত্র, গ্লোব, গ্লাসড টাইলস, প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড ভবন, ভেন্ডিং মেশিন, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যানবাহন, কৃষিযন্ত্রপাতি, সোলার ওয়াটার হিটার ইত্যাদির উপর জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হবে। ফলে, এই সব পণ্যও গড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সস্তা হয়ে যাবে।

    ‘ক্ষতিকর’ বিভাগের পণ্য, সামাজিক নীতি মেনেই করা হয়েছে

    কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ‘ক্ষতিকর’ বিভাগে কোন কোন পণ্য থাকবে, তা দেশের সামাজিক নীতির কথা চিন্তা করে স্থির করেছে সরকার। সূত্রের খবর, অনলাইন গেমিং ছাড়াও এই বিভাগে রাখা হতে পারে পানমশলা, সিগারেট, বিলাসবহুল গাড়ি, এসইউভি-কে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, বর্তমানে অনলাইন গেম থেকে সরকার ২৮ শতাংশ শুল্ক নেয়, যা সর্বোচ্চ। অর্থাৎ নয়া নিয়ম কার্যকর হলে, অনলাইন গেমিংয়ের মাধ্যমে যাঁরা অর্থ রোজগার করেন, তাঁদের ৪০ শতাংশ কর দিতে হতে পারে।

    জিএসটি সংস্কার নিয়ে কী বলছেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, জিএসটি কাঠামো সংস্কারের উদ্দেশ্যে গত ছ’মাস ধরেই কাজ করে চলেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। জানা যাচ্ছে, সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে নতুন জিএসটি কাঠামো চালু করে দিতে পারে মোদি সরকার। নতুন নিয়ম চালু হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিস সস্তা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন (Good Governance)। তিনি গত শুক্রবার লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেছেন, ‘‘এ বারের দীপাবলি আমি আপনাদের জন্য দ্বিগুণ আনন্দের করে দিচ্ছি। এই দীপাবলিতে দেশবাসী একটি বড় উপহার পাবেন। আমরা নতুন প্রজন্মের জিএসটি সংস্কার আনছি। এর ফলে সারা দেশে করের বোঝা কমবে। দীপাবলির আগে এটাই হবে উপহার (Good Governance)।” নতুন জিএসটি কাঠামোর খসড়া ইতিমধ্যে রাজ্যগুলির কাছেও পাঠিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। রাজ্য সরকারগুলিকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

  • Sukanta Majumdar: মেডিক্যালে ভর্তি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের, বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মেডিক্যালে ভর্তি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের, বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যে এমবিবিএস-এর প্রথম বর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া (West Bengal)। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ডেন্টালে ভর্তি। এ নিয়ে সামনে এসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার বিজ্ঞপ্তি। জানা যাচ্ছে, ওবিসি জটের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিজের সামাজিক মাধ্যমে সুকান্তবাবু লিখেছেন, রাজ্যে মেডিক্যালে ভর্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। হঠাৎ করেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি ‘জরুরি বিজ্ঞপ্ত’রি করে অনির্দিষ্টকালের জন্য মেডিক্যাল-ডেন্টাল কাউন্সেলিং ও ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে রাজ্যের হাজার হাজার মেডিক্যালপ্রার্থী ও তাঁদের অভিভাবকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন (Sukanta Majumdar), রাজনীতির জন্য এক নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে তুষ্ট করতেই কি কাউন্সেলিং বন্ধ করে দেওয়া হল? সংরক্ষণের নামে কোনও বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে কি এই পদক্ষেপ? তাঁর কটাক্ষ, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পরীক্ষায় সফল ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ কার্যত অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

    মমতা সরকারকে আক্রমণ শুভেন্দুর (West Bengal)

    সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ এবং জয়েন্ট ফল না প্রকাশ করার ইস্যুতে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে তিনি বলেন, এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবসা চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী! যত সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়বে, তত মমতার ঘনিষ্ঠদের প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়বে, ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠবে।” তাঁর দাবি, এইভাবে ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের কথায়, জাতীয় ওবিসি (OBC) তালিকার বাইরে থাকা ৭৬টি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ভোটব্যাঙ্কের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই তালিকায় ঢোকাতে চায়। একই সঙ্গে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও যাতে এরা বঞ্চিত না হয়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলত, সকল পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলির পথে।

    উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে (Sukanta Majumdar)

    প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের এমন বিজ্ঞপ্তির ফলে উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। কতদিন এভাবে চলবে, এনিয়েও উঠছে প্রশ্ন, এবং তাদের বছর নষ্ট হবে কিনা, সে আশঙ্কাও করছেন তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত কী কারণে স্বাস্থ্য ভবন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা অবশ্য স্পষ্ট করে বলা হয়নি। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগেই এমবিবিএস ও বিডিএস (বিডিএস মানে ডেন্টাল)-এর কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের কাজ রবিবার রাতেই মিটে গিয়েছিল। বুধবারেই এর ফল প্রকাশের কথা ছিল, অর্থাৎ ২০ অগাস্ট। জানা যাচ্ছে, এ রাজ্যে পাঁচ হাজারের বেশি আসন রয়েছে, যেখানে পছন্দের ভিত্তিতে নাম দাখিলের হিসেবে যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন ইতিমধ্যে ১১ হাজার পড়ুয়া। কিন্তু এর ঠিক পরেই স্থগিত করে দেওয়া হয় কাউন্সেলিং।

    অনেক মেধাবী পড়ুয়া রাজ্যের বাইরে পা বাড়াবেন?

    এর ফলে একেবারে অনিশ্চয়তা শুরু হয় ১১ হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে। মেডিকেল পড়ুয়াদের ভর্তি থেকে শুরু করে বার্ষিক যে পরীক্ষা—সেটা সমস্তটাই সারাদেশের এনএমসির একটি গাইডলাইন মেনে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। এর জন্য দায়ী স্বাস্থ্য ভবন, কারণ গোটা দেশের সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলার মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। ভর্তি প্রক্রিয়াতে অচলাবস্থা। এই আবহে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অনেক মেধাবী পড়ুয়া রাজ্যের বাইরে পা বাড়াবেন, এবং রাজ্যের বাইরে কোনও জায়গায় তারা ভর্তি হবেন। অন্যদিকে জয়েন্টের ফল কবে প্রকাশ হবে? সে প্রশ্নেরও উত্তর মিলছে না। কারণ, ওবিসি জটিলতা এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে পুরোটাই এখন অন্ধকারে চলছে।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর-এ ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে করাচি বন্দর ফাঁকা করে দিয়েছিল পাকিস্তান! বলছে উপগ্রহ চিত্র

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর-এ ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে করাচি বন্দর ফাঁকা করে দিয়েছিল পাকিস্তান! বলছে উপগ্রহ চিত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ফাঁকা কলসির আওয়াজ বেশি’! মুখে যতই তর্জন-গর্জন করুক না কেন, অপারেশন সিঁদুর-এ (Operation Sindoor) ভারতের প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের পিলে যে চমকে উঠেছিল, তার আরও একটা অকাট্য প্রমাণ মিলল। সম্প্রতি, প্রকাশিত হওয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে যে, অপারেশন সিঁদুরের সময় করাচি বন্দর থেকে রণতরীগুলিকে সরিয়ে ইরান সীমান্তের কাছে গ্বদর বন্দরের কাছে রেখে দেয় পাকিস্তান। অর্থাৎ, কার্যত পালিয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচায় পাক নৌসেনা (Pakistan Navy)। ফের প্রমাণিত হল পাকিস্তানের ওই তর্জন-গর্জন শুধুই ছিল ‘মুখেন মারিতং জগৎ’।

    লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল পাক নৌসেনা

    অপারেশন সিন্দুরের (Operation Sindoor) সময়ে পাকিস্তান কীভাবে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল, তা প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়েছে। সেই সময়কার স্যাটেলাইট ছবির কিছু ভিজ্যুয়াল প্রকাশ করেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। সবগুলি ৬-৭ মে তারিখের বলে দাবি। ঠিক যে সময় পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারত। যা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, সংঘাত যখন শীর্ষে ছিল তখনই পাক সেনার পগারপার হওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে। ওই উপগ্রহ চিত্রগুলিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, করাচি বন্দর কার্যত ফাঁকা। অন্যদিকে, গ্বদর বন্দরে সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে পাক নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলি। তাও আবার কিনা বাণিজ্যিক টার্মিনালে নোঙর করা হয় রণতরীগুলিকে!

    পগারপার পাক নৌবাহিনির ‘বীরপুঙ্গব’রা

    ৭ মে’র রাতে যখন ভারত (Operation Sindoor) একের পর এক পাক জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছিল, তখন আরব সাগরে পাকিস্তানের করাচি বন্দরের ওপর ব্রহ্মোস দিয়ে নিশানা করে রেখেছিল ভারতীয় নৌবহর। অপেক্ষা ছিল শুধু নির্দেশের। যদিও শেষ পর্যন্ত সেখানে ভারত কোনও হামলা করেনি। কিন্তু হামলা হতে পারে আশঙ্কায়, ভারতের মিসাইলের ভয়ে আগেভাগেই জাহাজ নিয়ে পগারপার পাক নৌবাহিনির ‘বীরপুঙ্গব’রা। এক কথায় ‘চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা’-র মতো নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে তৎপর হয় পাক নৌসেনা। প্রকাশিত হওয়া ছবিগুলি অনুযায়ী, করাচি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ইরানের কাছে গ্বদর বন্দরে গিয়ে লুকোয় পাকিস্তান নৌবাহিনী। এর মধ্যে একটি ছিল জুলফিকার-ক্লাসের ফ্রিগেট। যা চিনের তৈরি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধজাহাজ। কারণ বেজিং পাকিস্তানকে এই উন্নত জাহাজগুলির মধ্যে মাত্র চারটি দিয়েছে। অপারেশন সিন্দুরের মাত্র ছ’মাস আগে, ইসলামাবাদ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে ফ্রিগেটটিকে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছিল।

    ১৯৭১-এর যুদ্ধের ছায়া…

    ভারত-পাক যুদ্ধে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে শেষবার ১৯৭১-এর যুদ্ধের সময় হামলা চালিয়েছিল ভারত। সেই সময় কার্যত গুঁড়িয়ে যায় করাচি বন্দর। সে কথা মনে রেখেই, আগেই পালিয়ে যায় পাকিস্তানের নৌবহর। পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভারতের দক্ষিণ নৌ কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এসসি সুরেশ বাঙ্গারা, যিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে ভারতের হামলার সময়ও অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর মতে, ভারত আক্রমণ চালাতে পারে এ বিষয়ে পাকিস্তানের তিনটি বাহিনীরই পূর্ণ সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের প্রথম সারির যুদ্ধজাহাজগুলিকে তখনও বন্দরে দেখতে পাওয়া তাদের নিম্নমানের অপারেশনাল প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়।

    ভারতের ভয়ে কাঁটা…

    বিগত কয়েক মাস ধরে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সম্পর্কে পাকিস্তান বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গল্প বানিয়ে শুনিয়েছে। অস্ত্রের লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না পারলেও মুখের লড়াইয়ে কোনও খামতি ছিল না পাকিস্তানের। ভারতের সঙ্গে সংঘাত চলাকালীন একাধিকবার পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে পাকিস্তানের নেতা-মন্ত্রীদের মুখে। ভারতের সেনাঘাঁটি ধ্বংসের মিথ্যে দাবিও করা হয়েছিল। এমনকি সংঘর্ষবিরতির পর মিথ্যে যুদ্ধ জয়ের বিজয় উৎসবও করেছে। কিন্তু ভারতের হামলাতেই যে পাল্টা পাকিস্তানের সেনাঘাঁটি ধ্বংস হয়েছিল তা স্পষ্ট। এবার উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে ফের একবার প্রমাণ হল অপারেশন সিঁদুর-এর সময় কতটা ভয়ে কাঁটা হয়ে ছিল পাক নৌসেনা (Pakistan Navy)।

  • Putin Modi Talk: আলাস্কার বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, ফোনে বন্ধু মোদিকে বললেন পুতিন

    Putin Modi Talk: আলাস্কার বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, ফোনে বন্ধু মোদিকে বললেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। সেই বৈঠকে ঠিক কী কথা হয়েছে, ফোন করে তা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের এই বিষয়টি নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে এই বিষয়টি জানানোর জন্য পুতিনকে  ধন্যবাদ দিয়েছেন মোদি। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথাও প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    সমাজ মাধ্যমে পোস্ট মোদির (PM Modi)

    এক্স পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পুতিনকে বন্ধু হিসাবে উল্লেখ করে লেখেন, ‘‘সম্প্রতি আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর (পুতিন) বৈঠকের বিষয়বস্তু আমার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’’ মোদি আরও জানিয়েছেন, ভারত ধারাবাহিক ভাবে ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়ে এসেছে। যুদ্ধ বন্ধের সকল প্রচেষ্টাকে ভারত সমর্থন করে বলেও জানিয়েছেন মোদি।

    কথা দুই দেশের সম্পর্ক নিয়েও

    জানা যাচ্ছে, আলাস্কার বৈঠক বা ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গই নয়, মোদি এবং পুতিনের (Putin) মধ্যে এই কথোপকথনের মধ্যে উঠে এসেছে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়েও একাধিক প্রসঙ্গ। ভ্লাদিমির পুতিন এবং নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া ও ভারতের সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।

    ১৫ অগাস্ট আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, গত ১৫ অগাস্ট আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বৈঠকের দিকে নজর ছিল ভারতেরও, কারণ সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হুঁশিয়ারি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের ওপর শুল্কও বৃদ্ধি করেন তিনি।

    বৈঠক নিয়ে কী জানিয়েছিলেন ট্রাম্প

    বৈঠকের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন যে, এই বৈঠক হতে চলেছে মূলত রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সংঘাত থামানোর বিষয়ে। কিন্তু অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই মনে করেছিলেন যে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার প্রসঙ্গ উঠতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের এই বৈঠকে। প্রসঙ্গত, আলাস্কায় গত ১৫ অগাস্ট এই বৈঠক ৩ ঘণ্টা ধরে চলে। জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কোনও সমাধানসূত্রই বের করা যায়নি। কিন্তু বৈঠকের পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট দুজনেই বলেন বৈঠক ফলপ্রসূ।

    বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে ভারত

    অন্যদিকে, গত শনিবারে ভারত আলাস্কায় রাশিয়া এবং আমেরিকার এই বৈঠকে স্বাগত জানায়। এ নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে বিবৃতি আসে যে, ভারত স্বাগত জানাচ্ছে আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) এই বৈঠককে।

    ট্রাম্পের সুর নরম

    প্রসঙ্গত রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে শুল্ক চড়িয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপরে। তবে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্পের সুর কিছুটা নরম বলেই মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। কারণ, ওই বৈঠকের পরে তিনি বলেন, “আজ যা হল, আশা করি এর পর আর ওটা (শুল্ক) নিয়ে ভাবতে হবে না। তবে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হয়তো ওটা নিয়ে আমাকে আবার ভাবতে হবে। এখন কিছু নয়। আমার মনে হয়, বৈঠক খুব ভালো হয়েছে।’’

  • Child Stubbornness: শিশুর মারাত্মক জেদ সামলাতে হিমশিম! কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

    Child Stubbornness: শিশুর মারাত্মক জেদ সামলাতে হিমশিম! কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সময় মতো খেতে বসা কিংবা ঘুমোনোর জন্যও হয়রানি হচ্ছে। মনোযোগের অভাবে সাধারণ জিনিসেও ভুল হচ্ছে। আবার মনের মতো কিছু না হলেই বিপত্তি! পরিবারের একরত্তি সদস্যের মারাত্মক জেদ আর খিটখিটে‌ মেজাজ সামলাতে অনেক বাবা-মা হিমশিম খাচ্ছেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের এই মেজাজ হারানোর সমস্যায় অধিকাংশ অভিভাবক নাজেহাল। অতিরিক্ত জেদ এবং খিটখিটে মেজাজের জন্য অনেক সময়েই তাদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। এমন অনেক আচরণ তারা করছে, যা একেবারেই কাম্য নয়। ফলে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আট থেকে বারো বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। তবে অনেক সময় এর থেকেও কম বয়সিদের মধ্যেও এই ধরনের অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে।

    কেন সন্তান জেদি এবং খিটখিটে হয়ে উঠছে?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান যেকোনও সামান্য বিষয়েও মারাত্মক জেদ করলে কিংবা দিনের অধিকাংশ সময়ে খুব খিটখিটে মেজাজে থাকলে তার প্রতি বাড়তি যত্ন ও নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সন্তানের লাগাতার জেদ আর খিটখিটে স্বভাবের জন‌্য অভিভাবকেরা তাকে অতিরিক্ত শাসন করেন‌। এর ফল হয় উল্টো। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত চাপ এবং ক্লান্তিবোধ শিশুকে খিটখিটে স্বভাবের করে তুলতে পারে। এর ফলেই তৈরি হয় একগুঁয়ে আর জেদি মনোভাব। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু খুব কম বয়স থেকেই স্কুলে ভর্তি হয়ে যায়। পড়াশোনার পাশাপাশি একাধিক বিষয় তারা তালিম নেয়। অর্থাৎ, দিনের অধিকাংশ সময় নানান প্রশিক্ষণের মধ্যেই কাটে। একটা মানসিক চাপ সব সময় কাজ করে। এর ফলে তারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে থাকে। তার উপরে যেকোনও বিষয় নিয়ে আরো বাড়তি চাপ দিলে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান দিনের কতটা সময় স্ক্রিন টাইম কাটায় সে দিকে নজর দেওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বাড়িতেই বিনোদন হিসাবে সন্তানের হাতে‌ মোবাইল ধরিয়ে দেওয়া হয়‌। কিন্তু মোবাইল কখনোই শিশুর অবসর যাপনের মাধ্যম হতে পারে না। এতে মস্তিষ্কে বাড়তি চাপ তৈরি করে। চোখের পক্ষে ক্ষতিকারক। আবার শিশু মোবাইলে কী দেখছে, সেটাও নজরে রাখা প্রয়োজন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এমন একাধিক বিষয় শিশু মোবাইল থেকে শেখে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। আর তার থেকেই তৈরি হয় খিটেখিটে স্বভাব।

    তবে সন্তানের অতিরিক্ত জেদের কারণ একাকিত্ব বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু নিউক্লিয়ার পরিবারে বড় হচ্ছে। তাই ভাগ করে নেওয়া, অপেক্ষা করা কিংবা অন্যকে ভালো বলার মতো স্বাভাবিক গুণ ঠিকমতো বিকশিত হচ্ছে না। আধুনিক জীবনে অধিকাংশ পরিবারে বাবা এবং মা দুজনেই কাজে ব্যস্ত থাকেন। অনেক সময়েই শিশু দিনের একটা বড় অংশ মা-বাবার সঙ্গে থাকার সুযোগ পায় না। এর ফলে তাদের মধ্যে একটা একাকিত্ব গ্রাস করে। আবার নানান সামাজিক বিনিময় ও ঠিকমতো হয় না। এই সবকিছুর প্রভাব তাদের আচরণে পড়ে।

    কীভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, শিশুর খুব সামান্য জিনিস নিয়ে জেদ করা কিংবা পরিবারের যেকোনও সদস্যের সঙ্গে আচরণে কোনো সমস্যা দেখা দিলে প্রথম থেকেই বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।‌ তাহলে পরিস্থিতি জটিল হবে না।‌ তবে কখনোই অতিরিক্ত বকাবকি চলবে না। তাঁদের পরামর্শ, শিশুর পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখতেই হবে। নিজের মতো কিছুটা সময় খেলাধুলা করা জরুরি। এতে সারাদিনের ক্লান্তি এবং মানসিক চাপ কমে। অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে তালিম দেওয়ার পাশপাশি যাতে শিশুর খেলার সময় থাকে, সেটা সন্তানের দৈনন্দিন রুটিন তৈরির সময় অবশ্যই নজর দিতে হবে।

    পাশাপাশি শিশুর বিশ্রামের দিকে নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন বিশ্রামে ঘাটতি হলে শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে যায়। ফলে খিটখিটে মেজাজ দেখা যায়। রাগ, জেদ বাড়ে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের অভাব ঘটে। আর তার ফলেই এই মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়। সন্তান নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুমোতে পারছে কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি। ঠিকমতো পর্যাপ্ত ঘুম হলে সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ ঠিকমতো হবে। ক্লান্তি কমবে। মানসিক অস্থিরতাও থাকবে না।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর বিনোদন মানে কখনোই স্ক্রিন টাইম নয়। সন্তানকে ছাদে ঘুড়ি ওড়ানো, সাইকেল চালানো, রঙ করা কিংবা গল্পের বই পড়ার মতো বিষয়ে অভ্যস্ত করে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের অভ্যাসে শরীর ও মন সুস্থ থাকে। মস্তিষ্কে বাড়তি উত্তেজনা তৈরি হয় না। বরং মানসিক চাপ কমে।

    পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোতে অভ্যস্ত করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত রাগ, জেদ নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় সন্তানের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ তৈরি। তাই ছুটির দিনে একসঙ্গে বসে দাবা, লুডো খেলা কিংবা একসঙ্গে মাঠে যাওয়া অথবা গান শোনার জন্য সময় বরাদ্দ জরুরি। এতে সন্তানের মনে কি চলছে সে সম্পর্কে সহজেই হদিশ পাওয়া যায়। আবার অনেক আচরণ সম্পর্কে তাদের সহজেই শেখানো‌ যায়। এতে জটিলতা কমে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘ব্রিটিশ আমলের দমন-পীড়ন’’, চাকরিহারা শিক্ষক সুমনের গ্রেফতারিতে গর্জে উঠলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘ব্রিটিশ আমলের দমন-পীড়ন’’, চাকরিহারা শিক্ষক সুমনের গ্রেফতারিতে গর্জে উঠলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি ভবন অভিযানের আগেই চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসকে আটক করার ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলকে চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধলেন বিরোধী দল বিজেপির নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সুমন বিশ্বাসের আটককে ‘ব্রিটিশ আমলের দমন-পীড়ন’ বলে তোপ দেগেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। অনেকেই বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আসলে দুর্নীতিগ্রস্তদের পক্ষে, এই ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “এরকম নির্লজ্জ এবং দু’কানকাটা সরকার এবং প্রশাসন আমরা আগে কোনও দিনও দেখিনি। যেভাবে এই ২৬ হাজার লোকের চাকরি গেল, শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের লোভের জন্য, লালসার জন্য। এদের উচিত ছিল মাথা নিচু করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। এই যে একের পর এক শিক্ষকের অবস্থা খারাপ হচ্ছে, একজন আদিবাসী শিক্ষকের মৃত্যু ঘটল, আমার মনে হয় এটা মার্ডার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক মার্ডার। সেই ভদ্রলোকের জীবন যাওয়ার পরেও যখন যোগ্য শিক্ষকরা তাঁদের চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য যখন আন্দোলনে নেমেছেন, সেই গণতান্ত্রিক শান্তিপ্রিয় আন্দোলনকে যেভাবে এই সরকার দমন-পীড়ন করছে, ব্রিটিশ আমলে স্বাধীনতা সংগ্রাম আন্দোলনকে এভাবে দমন-পীড়ন করা হত। স্বাধীনোত্তর ভারতে এ ধরনের দমন-পীড়ন আমরা দেখিনি।”

    ভোরেই সুমন বিশ্বাসের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ

    প্রসঙ্গত, এদিনই এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একটা বড় অংশ। অভিযানের শুরু হওয়ার আগেই আটক করা হয় চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসকে (Suman Biswas)—এমনই অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। জানা গেছে, আদিসপ্তগ্রাম স্টেশন থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন যে সুমন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ জানিয়েছে, তাঁকে আটক করা হয়েছে। এর আগে আজ ভোরেই আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক সুমন বিশ্বাসের ব্যান্ডেলের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। তাঁর পরিবার বলছে, ‘ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ পুলিশ এসে বাড়িতে তল্লাশি চালায়,’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন তুলেছে সুমনের পরিবার “চাকরি না পেয়ে প্রতিবাদ জানানো কি অপরাধ?”

    কী বলছেন সুমন বিশ্বাসের ভাই

    সুমন বিশ্বাসের ভাই সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, “দাদার এক বন্ধু ফোন করলেন। আদিসপ্তগ্রামে বাড়ি। তাঁর সঙ্গে হয়ত দেখা করে কলকাতা যাওয়ার ভাবনা-চিন্তা করেছিলেন। তিনি হয়ত যেতে দেননি। সে ব্যাপারটা আমি বলতে পারব না। কারণ, কাল রাতের পর আর ফোন হয়নি দাদার সঙ্গে। এখন এই মুহূর্তে খবর পেলাম, আদিসপ্তগ্রাম স্টেশন থেকে দাদা হয়ত আন্দোলনের জন্য যাচ্ছিলেন ট্রেন ধরবে বলে। তখন এসে ধরল। যখন ধরছে দাদাকে কোনও কথা বলতে দেয়নি। সুমন বিশ্বাসকে কোনও কথা বলতে দেয়নি। যখন জিজ্ঞাসা করছে, আপনার কোন থানা থেকে? কোনও সদুত্তর না দিয়ে তুলে নিয়ে চলে গেল। এবার কোন থানায় গেছে, আমার দাদার বন্ধু এখন বিভিন্ন থানায় বাইক নিয়ে ঘুরছে, কোন থানায় নিয়ে গেল। আমরা কি করব? ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে যোগ্য চাকরি পাওয়াটা কি তাঁর অপরাধ? আমরা কার কাছে যাব? এই সরকারের কর্মচারী হয়ে যদি এই সরকারের কাছে ধর্ষিত হতে হয় তাহলে আমরা কোথায় যাব?”

    কী বলছেন সুমন বিশ্বাস (Suman Biswas)?

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির কারণে বাতিল হয়েছে ২০১৬-এর এসএসসির গোটা প্য়ানেল! চাকরি হারিয়ে রাস্তায় বসেছেন যোগ্য শিক্ষকরাও। এই আবহেই যোগ্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবিতে সোমবার ১৭ অগাস্ট এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেয় চাকরিহারা শিক্ষকদের একটা বড়ো অংশ। সুমন বিশ্বাস বলছেন, “বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে বলা হয়েছে কারা নাকি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করতে চায়। এই ধরনের কোনও বক্তব্য়ের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। এসএসি ভবন অভিযান হবেই। শেষ সময় পুলিশ প্রশাসন ভয় পেয়ে আমাদের আন্দোলনকে ভেঙেচুরে তুবড়ে দেওয়ার জন্য এই পরিকল্পনা করছে কি না সেটা সময় বলবে।” শুধু সুমন বিশ্বাসই নন, এসএসসি অভিযানে যোগ দিতে আসা আরও দুই চাকরিহারাকেও করুণাময়ী থেকে আটক করেছে পুলিশ। চাকরিহারাদের একের পর এক আটক ও গ্রেফতারের ঘটনায় আন্দোলনকারীরা সিদ্ধান্ত নেন, আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখা হবে। তবে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন—সোমবার আন্দোলন স্থগিত থাকলেও তাঁরা নিজেদের দাবি থেকে এক ইঞ্চিও সরবেন না।

LinkedIn
Share