Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Nandotsav: জন্মাষ্টমীর পরের দিন কৃষ্ণ নবমীতে পালন করা হয় নন্দোৎসব, কী এর তাৎপর্য?

    Nandotsav: জন্মাষ্টমীর পরের দিন কৃষ্ণ নবমীতে পালন করা হয় নন্দোৎসব, কী এর তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয়েছে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2025)। আজ, রবিবার (১৭ অগাস্ট), কৃষ্ণ নবমীতে পালন করা হয় নন্দোৎসব (Nandotsav)। প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর পরের দিন এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হওয়ার আনন্দে নন্দদেব এই দিন সকল ব্রজবাসীদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। নন্দ মহারাজ (কৃষ্ণের পালক পিতা) তার পুত্রের জন্ম উপলক্ষে এই উৎসব পালন করেছিলেন।

    নন্দোৎসবের বিশেষ আচার

    এদিন, ভক্তরা নন্দ মহারাজ এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করে এবং তাঁদের প্রতি ভক্তি জানায়। নন্দোৎসব (Nandotsav) ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসবের আনন্দ ও উল্লাসের উদযাপন। এই দিনে, ভক্তরা নন্দ মহারাজ এবং শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এটি ভক্তদের মধ্যে আনন্দ, প্রেম এবং ভক্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়। এই উৎসবটি বৃন্দাবনের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই বিশেষ দিনে কৃষ্ণের প্রিয় ভোগ নিবেদন করা হয়। অনেক বাড়িতে জন্মাষ্টমীর থেকেও বেশি বড় করে নন্দোৎসব পালন করা হয়। নন্দোৎসবের দিন বাড়িতে কীর্তন দেওয়ার প্রথা আছে। বাড়িতে কীর্তন দিতে না পারলেও এই দিন অবশ্যই বাড়িতে গীতা পাঠ করতে হয়। কথিত আছে, নন্দদেব এই দিনে সকল ব্রজবাসীদের প্রচুর দান করতেন। আপনিও এই দিন নিজের সাধ্যমতো কিছু দান করতে পারেন।

    নন্দোৎসবের বিশেষ খাবার

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) উপবাস যাঁরা পালন করেন, তাঁদের নন্দোৎসবের (Nandotsav) দিন বিশেষ কিছু খাবার খেতে হয়। নন্দোৎসবে বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয় এবং অনেক বাড়িতে এই উৎসব জন্মাষ্টমীর থেকেও বড় আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন করা হয়। বলা হয়, এদিন কাঁচকলার তৈরি যে কোনও খাবার তৈরি করে খেতে হবে। নন্দোৎসবের দিন ঠাকুরকে খিচুড়ি ভোগ দিতে হয়। পুজোর পর ভোগের প্রসাদ নিজে গ্রহণ করতে হয় এবং বাড়ির সকল সদস্যদেরও এই খিচুড়ি ভোগ দিতে হয়। খিচুড়ি ভোগের সঙ্গে যে কোনও মিষ্টি কিছু ভোগও দিতে হয়।

  • The Bengal Files: কলকাতায় ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলসের’ ট্রেলার লঞ্চে বাধা, মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিবেক অগ্নিহোত্রীর

    The Bengal Files: কলকাতায় ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলসের’ ট্রেলার লঞ্চে বাধা, মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিবেক অগ্নিহোত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri) পরিচালিত ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর (The Bengal Files) ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান পশ্চিমবঙ্গে বাতিল হওয়ায় রাজ্যের মমতা সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন পরিচালক। প্রসঙ্গত, শুক্রবারের পরে শনিবারেও বাধা দেওয়া হয় ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে। শুক্রবারই একটি ভিডিও শেয়ার করে বিবেক অগ্নিহোত্রী জানান, কলকাতায় নির্ধারিত ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান একটি মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল বাতিল করে দেয়। তাঁর বক্তব্য, “আমরা আমাদের টিম নিয়ে কলকাতায় পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় একটি সিনেমা হলে ট্রেলার লঞ্চের পরিকল্পনা করেছিলাম। তাঁরা সব অনুমতিও দিয়েছিলেন। তবে হঠাৎ করে তা বাতিল করা হয়।” পরিচালক আরও বলেন, “শুরুতে আমাদের কাছে সমস্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি ছিল। সেই কারণে আমরা কলকাতায় এসেছিলাম। কিন্তু পরে আমাদের জানানো হয়, অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।”

    শনিবারেও বাধা, কেটে দেওয়া হয় তার (The Bengal Files)

    শুধু শুক্রবার নয়, শনিবারও ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর (The Bengal Files) ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হয়। একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে জায়ান্ট স্ক্রিনে ট্রেলার দেখানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মাঝপথে পুলিশ এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। তার কেটে দেয় জায়ান্ট স্ক্রিনের। এই ঘটনার পর অভিনেত্রী এবং প্রযোজক পল্লবী জোশীও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “এটা স্পষ্ট যে এই ছবি আটকাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।”

    ভারতে কি দুটি সংবিধান চলে?

    বিবেক অগ্নিহোত্রী অভিযোগ করেন, সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে বলেই তারা অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারতে কি দুটি সংবিধান চলে? এক ভারতীয়দের জন্য, আরেকটা কি পশ্চিমবঙ্গের জন্য?” উল্লেখ্য, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ ছবির প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল ও পল্লবী জোশী। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, দর্শন কুমার এবং পল্লবী জোশী। সিনেমাটি মুক্তি পাবে ৫ সেপ্টেম্বর।

    কেউ এই ছবির মুক্তি থেকে আটকাতে পারবে না

    পরিচালক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা দেরি করব না। খুব শীঘ্রই কলকাতাতেই ট্রেলার লঞ্চ করব।” শুক্রবার তিনি নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে তিনি বলেন, “কলকাতায় নামার পর জানতে পারলাম, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর ট্রেলার লঞ্চের ভেন্যু বাতিল করা হয়েছে—আমাদের কণ্ঠ রোধ করতে। কিন্তু আমাকে থামানো যাবে না, কারণ সত্যকে চুপ করিয়ে রাখা যায় না। সব কলকাতাতেই হবে। দয়া করে এই ভিডিও শেয়ার করুন এবং বাকস্বাধীনতাকে সমর্থন করুন।” শুক্রবার সন্ধ্যায় বিবেক অগ্নিহোত্রী কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে দেবীর দর্শনে যান। সেখানে তিনি বলেন, “আমি মায়ের আশীর্বাদ নিতে এসেছি। কেউ এই ছবি মুক্তি থেকে আটকাতে পারবে না।”

    সিনেমার প্রযোজক তথা অভিনেত্রী পল্লবী জোশীর তোপ (The Bengal Files)

    সিনেমার প্রযোজক তথা অভিনেত্রী পল্লবী জোশী বলেন, “ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান ঘিরে যা হয়েছে তা দেখে মনে প্রশ্ন জাগছে না, বেঙ্গল ফাইলস সিনেমা তৈরি হওয়া দরকার ছিল। দেখুন কী হচ্ছে বাংলায়। সেই কারণে এই ধরনের সিনেমা এখনকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ আমি প্রত্যেক ভারতবাসীকে এই সিনেমার দেখার জন্য অনুরোধ করব৷ যাতে তারা বাংলার আসল রূপ দেখতে পারে৷” তিনি আরও বলেন, “আমি রাজনীতি নিয়ে কথা বলব না৷ কিন্তু যেভাবে আমাদের সিনেমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে তা আমি মেনে নেব না৷ আমার বিষয়টা মোটেও ভালো লাগেনি৷ কোনও পরিচালক বা অভিনেতাদের সম্মান দেওয়া সেই রাজ্যের দায়িত্ব৷ আর এটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে৷ এই রাজ্যে কি মত প্রকাশের কোনও স্বাধীনতা আছে? একজন অভিনেতা, নির্মাতা হিসাবে আমাদের সেই স্বাধীনতাটুকু নেই যে সেখানে ট্রেলার দেখানো যাবে৷ একটা সিনেমাকে কেন এত ভয় পাচ্ছে সরকার?”

    ট্রেলার না দেখাতে দেওয়া অনৈতিক, এমন ঘটনা কাশ্মীরেও হয়নি

    পল্লবীর কথায়, “ট্রেলার না দেখাতে (The Bengal Files) দেওয়া অনৈতিক ৷ এমন ঘটনা কাশ্মীরেও হয়নি। আমরা তো কাশ্মীরে গিয়েও শুটিং করেছি৷ এখন তো মনে হচ্ছে কাশ্মীরের অবস্থা হয়তো বাংলার থেকেও ভালো৷ এই রাজ্যে কী এইভাবে চলতে হবে? আর আমার মনে হয়, এই কারণে দ্য বেঙ্গল ফাইলস গুরুত্বপূর্ণ৷ আমি গোটা যুব সমাজকে আহ্বান জানাবো, এই সিনেমা দেখার জন্য ৷ বোঝার জন্য যে বাংলায় কী চলছে!”

    এমন সমস্যা তো কাশ্মীর ফাইলস মুক্তির সময়ও হয়নি, বললেন প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল

    প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল অভিযোগ করে বলেন, “এখানে অনুমতি না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে৷ তাহলে কেন যখন টেস্টিং চলছিল, তখন বারণ করা হয়নি? এতবড় পাঁচতারা হোটেলে অনুমতি ছাড়া কী কোনও কাজ চলতে পারে? গতকাল রাত থেকে সেটআপ তৈরি করা হচ্ছিল ৷ আজ ট্রেলার লঞ্চ করার কথা ছিল৷ থিয়েটারে অনুমতি বাতিল করার পর হোটেল ব্য়বস্থা করা হয়।” তিনি আরও বলেন, “এমন সমস্যা তো কাশ্মীর ফাইলস মুক্তির সময়ও হয়নি। সেই সমস্যা অনেক কম ছিল। তবে বাংলার এসে এমন ঘটনার অভিজ্ঞতা প্রথম ৷ ট্রেলার চলতে চলতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ পরিচালক বিবেকের সঙ্গে পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছে ৷ একটা ট্রেলার লঞ্চ ঘিরে এত পুলিশ ৷ এত ভয় কেন?”

  • RG Kar Victim: নবান্ন অভিযানে পুলিশের মার! অভয়ার বাবার ইমেইল পেয়েই পদক্ষেপ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

    RG Kar Victim: নবান্ন অভিযানে পুলিশের মার! অভয়ার বাবার ইমেইল পেয়েই পদক্ষেপ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভয়ার বাবা-মায়ের আর্জির প্রেক্ষিতে সাড়া দিল রাইসিনা হিলস (RG Kar Victim)। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন। জানা গিয়েছে, গত ৯ অগাস্ট ‘নবান্ন অভিযান’-এর সময় অভয়ার মাকে আক্রমণের অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতির দফতরে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে একটি চিঠি, যেখানে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে—কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানাতেও বলা হয়েছে।

    রাষ্ট্রপতিকে মেইল করেন অভয়ার বাবা (RG Kar Victim)

    গত ১৩ অগাস্ট, রাষ্ট্রপতিকে (Draupadi Murmu) মেইল করেন অভয়ার বাবা। তিনি লেখেন, “আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের বাঁচান (RG Kar Victim)। আমরা সব হারিয়েছি। আমার মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আমার মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্ত্রীকে আক্রমণ করা হয়েছে। এই নিয়ে তিনবার আমরা মেইল করলাম। আমাদের অনুরোধ এবার উত্তর দিন।” ১৪ অগাস্ট রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে অভয়ার বাবার কাছে একটি ইমেইল পৌঁছায়, যেখানে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি নিজে জানান, তাঁর আপ্তসহায়ক পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন এবং যেসব সমস্যার মুখোমুখি তাঁরা হচ্ছেন, সেগুলির সমাধানে সর্বতোভাবে চেষ্টা চালানো হবে।

    চিঠিতে কী জানানো হল?

    চিঠিতে জানানো হয়েছে (RG Kar Victim), রাষ্ট্রপতির আপ্তসহায়ক শিগগিরই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তাঁদের সমস্যাগুলির সমাধানে যথাযথ প্রচেষ্টা নেওয়া হবে। এই ইমেল পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন নির্যাতিতা চিকিৎসক অভয়ার বাবা-মা। অন্ধকারে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা। রাষ্ট্রপতির এই সহযোগিতায় তাঁরা নতুন করে ন্যায়বিচারের আশা করছেন।

    ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযান

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ৯ অগাস্ট ছিল আরজি কর কাণ্ডের একবছর। সেই উপলক্ষে আয়োজিত নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন অভয়ার বাবা-মা (RG Kar Victim)। অভিযানের মাঝপথেই অভয়ার মাকে আক্রান্ত হতে হয় বলে অভিযোগ। ক্যামেরায় দেখা যায়, মারের চোটে তাঁর কপাল ফুলে গিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে ওই হামলার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা উল্লেখ করে একটি ইমেইল পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। তার পরেই এল রাষ্ট্রপতি ভবনের নির্দেশ।

  • Viksit Bharat Rozgar Yojana: বিকশিত ভারত রোজগার যোজনায় যুবকরা পাবেন ১৫ হাজার টাকা, কীভাবে করবেন আবেদন?

    Viksit Bharat Rozgar Yojana: বিকশিত ভারত রোজগার যোজনায় যুবকরা পাবেন ১৫ হাজার টাকা, কীভাবে করবেন আবেদন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) কৃষক, পশুপালক, মহিলা এবং অন্যান্য শ্রেণির কল্যাণে একাধিক ঘোষণা করেন। যুবসমাজের উন্নতির লক্ষ্যে তিনি ১ লক্ষ কোটি টাকার একটি বৃহৎ প্রকল্প চালুর কথা জানান। সদ্য চালু হওয়া “প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা”-র আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমবার কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করা যুবকদের জন্য ১৫,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে (Viksit Bharat Rozgar Yojana)।

    প্রায় সাড়ে তিন কোটি যুবকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত

    এই প্রকল্পের অধীনে, যেসব সংস্থা অধিকসংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে, তাদেরকেও সরকার অনুদান দেবে (Viksit Bharat Rozgar Yojana)। পাশাপাশি, সদ্য স্নাতক হওয়া যুবকদের যেসব কোম্পানি নিয়োগ করবে, সেসব কোম্পানি প্রতি কর্মীর জন্য ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাবে। মনে করা হচ্ছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে তিন কোটি যুবকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। এই প্রকল্পটি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট-এর অংশ হিসেবে ঘোষিত হয় এবং ২০২৫ সালের ১ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে।

    বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা (Viksit Bharat Rozgar Yojana)

    প্রথমে এর নাম ছিল Employment Linked Incentive, যা পরবর্তীতে বদলে রাখা হয় বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা। এই প্রকল্পের মেয়াদ ৩১ জুলাই ২০২৭ পর্যন্ত এবং এর জন্য মোট ৯৯,৪৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    দুই কিস্তিতে মিলবে টাকা

    এই আর্থিক সহায়তা দুই কিস্তিতে সংশ্লিষ্ট যুবকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। পাশাপাশি, সরকার এমন কোম্পানি ও ব্যবসাগুলোকেও ভর্তুকি দেবে, যারা সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। প্রত্যেক যুবক, যারা প্রথমবার চাকরি পাচ্ছেন, তাঁরা মোট ১৫,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন। এই অর্থ দুই ভাগে দেওয়া হবে—প্রথম কিস্তি মিলবে নিয়োগের ছয় মাস পর এবং দ্বিতীয় কিস্তি একটানা ১২ মাস চাকরিতে থাকার পর। তবে এই সুবিধা পাওয়ার জন্য, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে অবশ্যই নিজের UAN (Universal Account Number) তৈরি করে তা সক্রিয় করতে হবে এবং ফেস অথেন্টিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

    এই কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য (Viksit Bharat Rozgar Yojana)

    ১. দেশের যুবসমাজকে কর্মসংস্থানের সাথে সংযুক্ত করা:

    এই যোজনার অন্যতম মূল উদ্দেশ্য হল দেশের বিশাল যুব জনসংখ্যাকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূলস্রোতে নিয়ে আসা। যারা সদ্য পড়াশোনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে চায়, তাদের জন্য এই প্রকল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। প্রথমবার চাকরিতে প্রবেশ করা তরুণ-তরুণীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পথ তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে তারা কর্মজীবনের শুরুতেই সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবে এবং দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।

    ২. ক্ষুদ্র, মাঝারি উদ্যোগ, উৎপাদন, পরিষেবা ও প্রযুক্তি খাতকে উৎসাহিত করা:

    এই প্রকল্পটি কেবলমাত্র চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নয়, বরং নিয়োগকারী সংস্থাগুলির জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণা। বিশেষত যেসব সংস্থা অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম, যেমন—MSME (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প), উৎপাদন খাত, পরিষেবা শিল্প এবং তরুণ প্রযুক্তি-নির্ভর উদ্যোগ (startups)—তাদের আর্থিক ভর্তুকি এবং প্রণোদনার মাধ্যমে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

    এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে, তেমনি দেশে উৎপাদনশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ত্বরান্বিত হবে। প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন ও স্টার্টআপ সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে সরকার এদের প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছে।

    এই প্রকল্পের সুবিধা কে পাবেন?

    প্রথমবারের মতো EPFO-তে নাম নথিভুক্ত হয়েছে এমন তরুণ-তরুণীরা।

    যাদের মোট মাসিক বেতন ১ লক্ষ টাকা বা তার কম।

    কর্মচারীকে একটানা অন্তত ৬ মাস একই সংস্থায় কাজ করতে হবে।

    আর্থিক সহায়তা কত? (PM Modi)

    এই প্রকল্পের অধীনে কর্মচারীদের বেতনের ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। মাসিক বেতন যদি ১০,০০০ টাকার মধ্যে হয়, তাহলে ওই কর্মচারী ১,০০০ টাকা পর্যন্ত সহায়তা পাবেন। যাঁরা মাসে ১০,০০১ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকার মধ্যে বেতন পান, তাঁদের জন্য সহায়তার পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছে ২,০০০ টাকা। আর যাঁদের মাসিক বেতন ২০,০০১ টাকা থেকে শুরু করে ১,০০,০০০ টাকার মধ্যে, তাঁরা ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত সহায়তা লাভ করবেন। এই আর্থিক অনুদান সরাসরি কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হবে, এবং এতে যেমন কর্মীদের সুরক্ষা বাড়বে, তেমনি নিয়োগকর্তারা নতুন কর্মী নিয়োগে আরও উৎসাহিত হবেন।

  • Subhangshu Shukla: অপেক্ষার শেষ, ভারতে ফিরছেন শুভাংশু শুক্লা, সোমবার দেখা করবেন মোদির সঙ্গে

    Subhangshu Shukla: অপেক্ষার শেষ, ভারতে ফিরছেন শুভাংশু শুক্লা, সোমবার দেখা করবেন মোদির সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে ফিরে আসার পর এবার দেশের মাটিতে ফিরতে চলেছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা (Subhangshu Shukla)। দীর্ঘ রিহ্যাবিলিটেশন পর্ব শেষ করে রবিবার তিনি ভারতের (India) মাটিতে পা রাখতে পারেন বলে সূত্রের খবর। অক্টোবরে হতে চলা গগনযান মিশনের প্রশিক্ষণ পুনরায় শুরু করার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। বিমানে বসে ছবিও পোস্ট করেছেন শুভাংশু। লিখেছেন, “ভারতে ফেরার জন্য এবং সকলের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য তিনি আর অপেক্ষা করতে পারছেন না।” প্রসঙ্গত, শুভাংশু শুক্লার বাড়ি লখনউতে। সেখানেই থাকে তাঁর পরিবার। রবিবার তিনি সেখানে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা যাচ্ছে।

    কী লিখলেন শুভাংশু (Subhangshu Shukla)

    নিজের পোস্টে শুভাংশু লেখেন, “ভারতে (India) ফেরার বিমানে বসে আমার মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। মিশনের জন্য বিগত এক বছর ধরে যারা আমার সঙ্গে ছিলেন, যারা আমার পরিবার, বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন, তাঁদের ছেড়ে আসতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আবার আমার বন্ধু, পরিবার ও দেশের সকলের সঙ্গে দেখা করতেও উৎসাহিত। এটাই হয়তো জীবন। গুডবাই বড় কঠিন, কিন্তু আমাদের জীবনে এগিয়ে যেতে হবে।” শেষে তিনি শাহরুখ খানের গানের দুটি পঙক্তিও লেখেন, “ইউ হি চলা চল রাহি, জীবন গাড়ি হ্যায় সময় পাহিয়া।”

    গত মাসেই পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি

    গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা (Subhangshu Shukla) অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের অন্তর্গত একটি অভিযানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন। সেখানে ১৮ দিন কাটিয়ে গত মাসেই পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। মহাকাশ থেকে ফিরে শরীরকে আবার পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এতদিন তিনি রিহ্যাবে ছিলেন। জানা যাচ্ছে, রবিবার তিনি ভারতে আসবেন এবং সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর ২৩ অগাস্ট ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’-এর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানা গিয়েছে (Subhangshu Shukla)।

  • Atal Bihari Vajpayee: ১৬ অগাস্ট অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস, শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

    Atal Bihari Vajpayee: ১৬ অগাস্ট অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস, শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ অগাস্ট প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস (Atal Bihari Vajpayee)। এই দিনেই তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দিল্লিতে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে নির্মিত স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন এবং এ নিয়ে তিনি এক্স-এ একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “সমগ্র দেশবাসীর তরফ থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীজিকে (Atal Bihari Vajpayee) তাঁর পুণ্যতিথিতে নমস্কার জানাচ্ছি। দেশের সর্বাঙ্গীন বিকাশের জন্য তাঁর সমর্পণ, সেবাভাব ও বিকশিত এবং আত্মনির্ভর ভারতের নির্মাণে তাঁর অবদান আজও সকলকে প্রেরণা জোগায়।”

    শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু

    এদিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং অন্যান্য সিনিয়র কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও ‘সদৈব অটল’ — যা কিনা অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) সমাধিস্থল — সেখানে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্ম হয়েছিল ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর

    অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) জন্ম হয়েছিল ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর। তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রদ্ধেয় ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। তাঁর বাগ্মিতা, রাষ্ট্রদৃষ্টিভঙ্গি, দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের জন্য আজও তিনি দেশবাসীর হৃদয়ে অটল।

    প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৯৬ সালে

    তিনি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৯৬ সালে, যদিও সে দায়িত্ব ছিল স্বল্পকালীন। এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর আমলেই ১৯৯৮ সালে পোখরানে ভারত সফলভাবে পরমাণু পরীক্ষা করে। তিনিই ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি ভারতবর্ষকে সড়কপথে যুক্ত করার লক্ষ্যে ‘সোনালী চতুর্ভুজ’ প্রকল্প চালু করেন। দেশের প্রতি তাঁর এই অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে ২০১৫ সালে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’-এ ভূষিত করা হয়। ২০১৮ সালের ১৬ অগাস্ট অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee) প্রয়াত হন।

  • Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে কেন পালন করা হয় ‘দহি হান্ডি’ উৎসব? কী এর তাৎপর্য?

    Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে কেন পালন করা হয় ‘দহি হান্ডি’ উৎসব? কী এর তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে ভাদ্র মাসে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীতে পালিত হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2025)। সারা ভারত জুড়ে উত্সাহের সঙ্গে পালিত হয় এই উৎসব। কৃষ্ণ হলেন ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। এই বছর জন্মাষ্টমী পালিত হবে সোমবার, ২৬ অগাস্ট। দহি হান্ডি উতসব পালিত হবে মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট। জন্মাষ্টমীর সঙ্গে যুক্ত অনেক রীতিনীতির মধ্যে একটি হল দহি হান্ডি (Dahi Handi Festival) উৎসব। গুজরাট, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে পালিত হয় এই উৎসব। আসুন জেনে নিই এই উৎসবের তাৎপর্য।

    কৃষ্ণের তরুণ বয়সের প্রতীক

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) দহি হান্ডি (Dahi Handi Festival) উৎসব হল কৃষ্ণের তরুণ বয়সের প্রতীক। হাঁড়িতে দই রেখে সেই হাঁড়ি ভাঙা। সংক্ষেপে এমন উৎসবের নামই হল দহি-হান্ডি উৎসব। এই উপলক্ষে একরকম প্রতিযোগিতাও চলে। যারা অংশ গ্রহণ করে, তারা মজার ছলে কৌতুকপূর্ণ এবং দুষ্টু প্রকৃতির ভাবনাগুলিকে ফুটিয়ে তোলে। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, কৃষ্ণ মাখন বেশ পছন্দ করতেন, প্রায়শই কৃষ্ণ গোকুলের গ্রামবাসীদের বাড়ি থেকে মাখন চুরি করতেন। মাখনের প্রতি ভালবাসা এতটাই তীব্র যে, বন্ধুদের সঙ্গে মিলে মানুষের পিরামিড তৈরি করতেন। একটি মাটির পাত্রে অর্থৎ হান্ডিতে মাখন এবং দই রেখে উঁচু থেকে ঝুলিয়ে রাখা হতো। এরপর মানুষের পিরামিড বেয়ে উঠে হান্ডি ভাঙা হয়। এই খেলা বেশ জনপ্রিয় ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যুগের পরিবর্তনে, মাখন চুরির কৌতুকপূর্ণ খেলাটি মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং ভারতের অন্যান্য অংশে অত্যন্ত উত্সাহের সঙ্গে পালিত হয়। এই উৎসবে হাজার হাজার কৃষ্ণভক্ত যোগদান করে থাকেন।

    দহি হান্ডির তাৎপর্য

    দহি হান্ডি (Janmashtami 2025) উদযাপনের গভীর প্রতীকী অর্থ রয়েছে। হান্ডি ভাঙার অর্থ হল মন্দের উপর ভালোর জয়কে চিহ্নিত করা। সামাজিক রীতিনীতির অনমনীয়তার উপর কৃষ্ণের ঐশ্বরিক বিজয়কে কৌতুকের সঙ্গে প্রতিধ্বনিত করা। এই উত্সবে মানুষের দলগত কাজ, ঐক্য এবং সাহসের মূল্যবোধের উপরও জোর দেওয়া হয়। কারণ যুবকদের দল, কৃষ্ণের নাম গোবিন্দ নামে পরিচিত হয়। মাটির পাত্র ভাঙার জন্য মানব পিরামিডের নির্মাণ করা হয়।

    দল এবং একতা

    শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে (Janmashtami 2025) দহি হান্ডির ঐতিহ্যের মধ্যে সহযোগিতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্বকে বিশেষ ভাবে প্রদর্শন করা হয়। গোবিন্দরা অর্থাৎ স্থানীয় যারা যোগদান করে, তারা একত্রে কাজ করে একটি সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টা করে থাকে। এই সবটাই একতার মধ্যে থাকা শক্তির প্রতীক। সাহস ও অধ্যবসায় ছাড়া উঁচুতে রাখা মাটির পাত্র ভাঙা সহজ কাজ নয়। পিরামিডগুলি বেশ লম্বা হতে পারে এবং কাজটির জন্য প্রচুর শারীরিক শক্তি, ভারসাম্য এবং সংকল্পের প্রয়োজন হয়। ফলে সাহস এবং অধ্যবসার মাধ্যমে কীভাবে প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে শক্তি সঞ্চয় করা যায়, সেটাই প্রমাণ করা হয় এই খেলায়। কৃষ্ণ স্বয়ং সমস্যা থেকে জয় পেতে শক্তির প্রতীক ছিলেন।

    আধ্যাত্মিক তাৎপর্য

    এই উৎসবের গভীরে রয়েছে আধ্যাত্মিক উচ্চতার রূপক। হান্ডি অহংকে প্রতিনিধিত্ব করে, যা ভাঙা কঠিন। তাই ভাঙার স্তরে পৌঁছানোর জন্য গোবিন্দকে আত্ম-উপলব্ধির মধ্যে দিয়ে মানব মনকে যাত্রা করাতে হয়। আবার মাটির পাত্রের মধ্যে থাকা দই ঐশ্বরিক আনন্দের মাধুর্যকে নির্দেশ করে, যা একজন ব্যক্তি অহং-কে ভেঙে দেয়। ফলে নিজের আত্মাকে উপলব্ধি করা এবং পরিচালনার জন্য মনকে অনুভব করা প্রয়োজন।

    আধুনিক সময়ে কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী

    সমসাময়িক সময়ে, দহি হান্ডি (Janmashtami 2025) একটি উৎসবমুখর পরিবেশে একটি প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়ায় পরিণত হয়েছে। অনেক রাজ্যে দহি হান্ডি প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়ে থাকে। যেখানে গোবিন্দদের দল সর্বোচ্চ পিরামিড গঠনের জন্য প্রতিযোগিতা করে এবং বিজয় সুনিশ্চিত করে পুরস্কার অর্জন করে থাকে। প্রতিযোগিতাটি সঙ্গীত, নৃত্য এবং “গোবিন্দ আলা রে” গানের সাথে একটি প্রাণবন্ত আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করে থাকে। ভক্তরাও দারুণ উপভোগ করে থাকেন। জন্মাষ্টমীর ধর্মীয় উৎসব এখন একটি সামাজিক মাত্রাও অর্জন করেছে। আয়োজকদের দেওয়া পুরস্কারের অর্থ প্রায়ই জনকল্যাণ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী এবং দহি হান্ডি প্রথা শুধু ধর্মীয় উৎসব (Dahi Handi Festival) নয়, তার থেকেও চেয়েও বেশি পরিমাণে সামজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। মানুষের জীবন, আনন্দ এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রবহমান ধারাকে নিশ্চিত করে।

  • Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে গোপালকে কেন নিবেদন করা হয় ৫৬ ভোগ? জানুন পৌরাণিক কাহিনি

    Janmashtami 2025: জন্মাষ্টমীতে গোপালকে কেন নিবেদন করা হয় ৫৬ ভোগ? জানুন পৌরাণিক কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশজুড়ি পালিত হচ্ছে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মর্ত্যে আবির্ভুত হয়েছিলেন শ্রী কৃষ্ণ। যে কারণে, দেশের প্রতিটি কৃষ্ণ মন্দির সেজে ওঠে এই দিন। ঘরে ঘরে আরাধনা করা হয় যশোদা-কা নন্দলালার। “হরে-কৃষ্ণ নাম”-এ মেতে ওঠে নবদ্বীপ থেকে মায়াপুর, মথুরা-বৃন্দাবন। লুচি, মালপোয়া, মোহনভোগ, তালের বড়া, তাল ক্ষীর সাজিয়ে শ্রী কৃষ্ণের প্রার্থনায় মেতে ওঠেন আট থেকে আশি। গোপালকে নিবেদন করা হয় মাখন, মিছরি, ননী-ক্ষীর-সহ ছাপান্ন ভোগ (Krishna Janmashtami 56 Bhog)।

    জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণের আরাধনা

    দ্বাপর যুগে মর্ত্যে আবির্ভাব ঘটে বিষ্ণুর অষ্টম (Janmashtami 2025) অবতার শ্রী কৃষ্ণের। সনাতন ধর্মে, পাপভার থেকে পৃথিবীকে মুক্তি দিতে ও সাধু-সন্ন্যাসীদের পরিত্রাণের জন্য মর্ত্যে আর্বিভূত হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। ভাদ্রমাসের রোহিনী নক্ষত্র অবস্থিত অষ্টমী তিথিকে শ্রীকৃষ্ণের আর্বিভাব তিথি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি জন্মাষ্টমী হিসেবে পরিচিত। এদিন ধুমধাম করে সারা দেশে কৃষ্ণ পুজো করা হয়ে থাকে। শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রাধা, বলরাম ও সুভদ্রার পুজোও করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরায়। তবে তিনি বেড়ে ওঠেন গোকুলে। সেজন্য মথুরা ও বৃন্দাবনে এই উত্‍সব সবচেয়ে বড় করে হয়।

    কেন ছাপান্ন ভোগ?

    জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপালকে ৫৬ ভোগ (Krishna Janmashtami 56 Bhog) দেওয়া হয়। জন্মাষ্টমীতে গোপালকে ৫৬ ভোগ অর্পণ করে তাঁর প্রসাদ গ্রহণ করা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। ৫৬ ভোগে ভগবান কৃষ্ণ প্রসন্ন হন ও ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ করেন, এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। ৫৬ রকমের ভোগ অর্পণ করা হয় গোপালকে। ভাত, ডাল, লুচি থেকে তালের বড়া, ক্ষীর, মালপোয়া, লস্যি কী থাকে না! আর মাখন, মিছরি ছাড়া তো গোপালের ভোগই অসম্পূর্ণ।

    পৌরাণিক কাহিনি

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) দিন বালগোপালকে ৫৬ রকম পদ সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। হিন্দুশাস্ত্র মতে, দেব-দেবীদের পুজোর সময় সাধারণ বিজোড় সংখ্যায় নৈবেদ্য সাজানো হয়ে থাকে। কিন্তু কৃষ্ণকে দেওয়া ৫৬ ভোগ (Krishna Janmashtami 56 Bhog)। পৌরাণিক কাহিনি মতে, বৃন্দাবনবাসীরা ইন্দ্রকে নানারূপে মহার্ঘ ভোগ নিবেদন করে সন্তুষ্ট রাখতেন। হিন্দুশাস্ত্র মতে, ইন্দ্র হলেন বৃষ্টি ও ব্রজের দেবতা। তাঁর আশীর্বাদেই সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত বর্ষণ হয়। তাই চাষীরা ইন্দ্রদেবকে তুষ্ট করতে দামি ও প্রচুর ভোগ রান্না করে নিবেদন করতেন। কিন্তু, গরিব চাষীদের পক্ষে দামি ভোগ নিবেদন করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। চাষীদের কষ্ট দূর করতে এগিয়ে আসেন শ্রীকৃষ্ণ। এভাবে ভোগ নিবেদন না করে ইন্দ্রকে নিজের ভোগ অবস্থা বুঝে নিবেদন করার পরামর্শ গরিব চাষীদের দেন কৃষ্ণ। তাঁর কথা শুনে চাষীরা সেই কাজই করেন। এদিকে, ভোগের সামগ্রীতে ঘাটতি দেখে ইন্দ্র অত্যন্ত রেগে যান। তাঁর ক্রোধে প্রচণ্ড বৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে থাকে। ক্রোধের কারণে বৃন্দাবনে হতে থাকে মেঘভাঙা বৃষ্টি। তারপর থেকেই মানুষের জীবন হয়ে ওঠে বিপন্ন।

    বিপদে পড়ে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারস্থ হয় সকলে। বন্যা পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে গ্রামবাসীরা গোবর্ধন পর্বতের দিকে চলে যায়। সেখানে গিয়ে সকলেই দেখেন, শ্রীকৃষ্ণ পর্বতকে নিজের কড়ে আঙুল তুলে রেখে দিয়েছেন। সেই পর্বতের তলায় আশ্রয় নেন সকল গ্রামবাসীরা। টানা সাতদিন ধরে বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতি আরও জোরালো হয়ে ওঠে। সাতদিন টানা কৃষ্ণঠাকুর কড়ে আঙুলে পর্বতকে ধরে থাকেন। সাতদিন ধরে একচুলও নড়েননি তিনি। এমনকী, এককণা খাবারও মুখে তোলেননি। এরপর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মাতা যশোদা এবং ব্রজবাসীরা মিলে সাত দিন ও অষ্টপ্রহর হিসেবে ৫৬ ধরনের খাবার প্রস্তুত করে কৃষ্ণের কাছে পরিবেশন করেন। তারপর থেকে প্রত্যেক জন্মাষ্টমীতে (Janmashtami 2025) তাঁর জন্য ছাপ্পান্ন ধরনের ভোগ প্রস্তুত করা হয়। কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণকে প্রসন্ন করতে এই ছাপ্পান্ন ভোগ নিবেদন করলে ভক্তদের মনোবাসনা পূর্ণ হয়ে থাকে।

    ৫৬ ভোগে কী কী থাকে? (Krishna Janmashtami 56 Bhog)

    ভাত (ভক্ত), ডাল (সুপ), চাটনি (প্রলেহ), কঢ়ী (সদিকা), দই-সব্জির কঢ়ী (দধিশাকজা), সিখরন (সিখরিণী), শরবৎ (অবলেহ), বাটী (বালকা), মোরব্বা (ইক্ষু খেরিণী), শর্করা যুক্ত (ত্রিকোণ), বড়া (বটক), মঠরী (মধু শীর্ষক), ফেনি (ফেণিকা), পুরী বা লুচি (পরিষ্টশ্চ), খজলা (শতপত্র), ঘেওয়ার (সধিদ্রক), মালপোয়া (চক্রাম), চোলা (চিল্ডিকা), জিলিপি (সুধাকুন্ডলিকা), মেসু (ধৃতপূর), রসগোল্লা (বায়ুপূর), চন্দ্রকলা (পগী হুই), মহারায়তা (দই), থুলি (স্থূলী), লবঙ্গপুরী (কর্পূরনাড়ী), খুরমা (খণ্ড মণ্ডল), ডালিয়া (গোধূম), পরিখা, সুফলঢয়া (মৌরী যুক্ত), বিলসারু (দধিরূপ), লাড্ডু (মোদক), শাক, অধানৌ আচার (সৌধান), মোঠ (মণ্ডকা), পায়েস (ক্ষীর), দই, গাওয়া ঘি, মাখন (হৈয়ঙ্গপীনম), মালাই (মন্ডূরী), রাবড়ি (কূপিকা), পাপড় (পর্পট), সীরা (শক্তিকা), লস্যি (লসিকা), সুবত, মোহন (সংঘায়), সুপারি (সুফলা), এলাচ (সিতা), ফল, তাম্বুল, মোহন ভোগ, লবণ, কষায়, মধুর, তিক্ত, কটূ, অম্ল।

    কীভাবে প্রস্তুত করবেন ছাপান্ন ভোগ

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2025) ভোরে উঠেই এই ভোগ রান্না তৈরি করা শুরু করে দেওয়া উচিত। শুদ্ধাচারে হলুদ বস্ত্র পরে এই ভোগ রান্না করা ভাল। অনেকে এই সময় মুখে কাপড় বেঁধে এই রান্না করেন। ছাপান্ন ভোগে শস্য, ফল, শুকনো ফল, মিষ্টি, পানীয়, নোনতা, আচার প্রভৃতিও নিবেদন করা হয়। নিয়ম অনুসারে ৫৬ ভোগে (Krishna Janmashtami 56 Bhog) থাকে ১৬ ধরনের জলখাবার, ২০টি মিষ্টি এবং ২০ ধরনের শুকনো ফল। যার মধ্যে দুধের তৈরি খাবার সবার আগে পরিবেশন করতে হয়।

  • Janmashtami 2025: আজ জন্মাষ্টমী, এ বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কততম আবির্ভাব তিথি জানেন?

    Janmashtami 2025: আজ জন্মাষ্টমী, এ বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কততম আবির্ভাব তিথি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2025)। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, দ্বাপর যুগে আজকের দিন শ্রীকৃষ্ণের মর্ত্যে আগমন ঘটেছিল। দেখে নেওয়া যাক, আজ শ্রীকৃষ্ণের কততম জন্মতিথি (Lord Krishna Birth Anniversary)। কীভাবেই বা হিসেব করা হয়েছে সেই সময়?

    শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব কবে?

    বিভিন্ন হিন্দু শাস্ত্র থেকে জানা যায়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর মর্ত্যলোকে ছিলেন। পুরাণ অনুসারে, মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান ইহধাম ত্যাগ করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, সেই দিনই কলিযুগ প্রবেশ করে। জানা যায়, ওই দিন ছিল শুক্রবার। অর্থাৎ হিসেব করে দেখলে খ্রিস্টপূর্ব ৩১০১ সালে কলিযুগ শুরু হয়, বর্তমানে চলছে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ। অঙ্কের হিসেবে কলির বয়স দাঁড়াচ্ছে ৩১০১ + ২০২৫= ৫১২৬ বছর। শ্রীকৃষ্ণের (Lord Shri Krishna) অর্ন্তধানের দিন কলি যুগের সূচনা বলে মনে করা হয়। আগেই বলা হয়েছে, শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর ধরাধামে ছিলেন। তা হলে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ৫১২৬ + ১২৫= ৫২৫১ বছর পূর্বে হয়েছিল বলে বোঝা যাচ্ছে।

    ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি

    ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি এবং রোহিণী নক্ষত্রের মিলনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। কংসের অত্যাচার থেকে পৃথিবীকে মুক্তি দিতে তাঁর মর্ত্যে আগমন। এই দিনে রাতের পুজোর তাৎপর্য রয়েছে, কারণ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই রাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশু-রূপের পুজো করা হয়। এই শিশু রূপের অনেক নাম রয়েছে। যেমন— নন্দগোপাল, ননীগোপাল, নাড়ুগোপাল ইত্যাদি। এই পুজের রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম। শিষ্টাচারে, যথাযথ নিয়ম মেনে এই দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করলে দুঃখ-কষ্ট দূর হয়।

    জন্মাষ্টমী পুজোর পদ্ধতি

    জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে হবে এবং রাত ১২টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। পুজোর দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করুন। বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। সমস্ত দেবতার জলাভিষেক করুন। তারপর ব্রত বা উপাসনার সংকল্প নিন। সারাদিন জলাহার ও ফলাহার করুন। সাত্বিক থাকুন। তারপর একটি পাত্রে ভগবান কৃষ্ণের একটি ধাতব মূর্তি রাখুন এবং স্নান করান। প্রথমে দুধ, তারপর দই, তারপর মধু, তারপর চিনি এবং সবশেষে ঘি দিয়ে প্রভুকে স্নান করান। একে পঞ্চামৃত স্নান বলে। প্রভুকে যথাযথভাবে স্নান করানোর পর, তাকে জল দিয়ে স্নান করান। মনে রাখবেন যে জিনিসগুলি নিবেদন করা হবে তা শঙ্খের মধ্যে রেখেই নিবেদন করা উচিত।

    প্রসাদ নিবেদন

    এরপর পীতাম্বর, ফুল ও প্রসাদ নিবেদন করুন। এর পর ভগবানকে দোলনায় বসিয়ে দোল দিন। নাড়ুগোপালকে ছেলের মতো যত্ন করে ভোগ নিবেদন করুন। নাড়ুগোপালকে চিনি, মিছরি এবং শুকনো ফল নিবেদন করুন। ননীও মাখন দিতে ভুলবেন ন। তারপর নাড়ুগোপালের আরতি করুন। ঈশ্বরের কাছে আপনার জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর করার জন্য অনুরোধ করুন। এর পরে, আপনি “হরে কৃষ্ণ” মহামন্ত্রও জপ করতে পারেন। জীবনে প্রেম এবং সুখের জন্য “মধুরাষ্টক” পাঠ করুন। শ্রী কৃষ্ণকে গুরুরূপে পেতে হলে শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ করুন।

  • Australia: অস্ট্রেলিয়াতে স্বাধীনতা দিবস পালনে বাধা খালিস্তানপন্থীদের, পিছু হটল ভারতীয়দের দাপটে

    Australia: অস্ট্রেলিয়াতে স্বাধীনতা দিবস পালনে বাধা খালিস্তানপন্থীদের, পিছু হটল ভারতীয়দের দাপটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার (Australia) মেলবোর্নে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেটে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনের সময় খালিস্তানপন্থীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। শুক্রবার সকালে মেলবোর্নের প্রবাসী ভারতীয়রা কনস্যুলেটের সামনে জড়ো হয়েছিলেন স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য। কিন্তু সেই সময় আচমকাই বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানপন্থীরা সেখানে জড়ো হয়। তবে তাদের দেখে ভারতীয়রা স্লোগান তোলেন এবং দেশাত্মবোধক গান গাইতে থাকেন এবং সুশৃঙ্খলভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেন।

    পিছু হটে খালিস্তানপন্থীরা (Australia)

    একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতীয়রা যখন দেশাত্মবোধক গান গাইছেন, তখন খালিস্তানপন্থীরা হট্টগোল সৃষ্টি করছে। একটি অস্ট্রেলিয়ান (Australia) সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে, মেলবোর্নে ভারতীয় কনস্যুলেটের বাইরে খালিস্তানি গুন্ডারা গোলমাল সৃষ্টি করে। তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ভারতবিরোধী স্লোগান তুলতে থাকে। কিন্তু খালি গলায় তাদের সেই স্লোগান শোনা যায়নি, কারণ লাউডস্পিকারে ভারতীয়রা দেশাত্মবোধক গান গাইতে থাকেন। এরপরে এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পিছু হটে এবং শেষে সঠিকভাবে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করা হয়।

    ভারত মাতা কি জয় স্লোগান প্রবাসী ভারতীয়দের

    তিরঙ্গা উত্তোলনের সময় উপস্থিত ভারতীয়রা (Australia) “ভারত মাতা কি জয়”, “বন্দেমাতরম” প্রভৃতি ধ্বনি দেন। প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমাগত বাড়ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানপন্থীদের (Khalistani) প্রভাব এবং তাদের কার্যকলাপ। সম্প্রতি মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁতে ঘৃণামূলক গ্রাফিতি দেখা গেছে। অন্যদিকে সম্প্রতি অ্যাডিলেডে সামান্য গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ২৩ বছর বয়সি এক ভারতীয় যুবককে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে।

    অস্ট্রেলিয়াতে বাড়ছে খালিস্তানি কার্যকলাপ (Australia)

    শুধু তাই নয়, গত বছর যখন ভারতীয় ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল, সেই সময় ডিসেম্বর মাসে চলছিল চতুর্থ টেস্ট। তখনই খালিস্তানপন্থীরা ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং তাদের গালিগালাজ করে। জানা যায়, ওই খালিস্তান সমর্থকরা তখন টিকিট ছাড়াই স্টেডিয়ামে ঢুকে ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়। ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসেও তারা একইরকম প্রয়াস চালায়। তবে উপস্থিত ভারতীয়দের সামনে তারা টিকতে পারেনি (Khalistani)।

LinkedIn
Share