Tag: মাধ্যম

  • Sukhoi Su-57: খেলা ঘুরিয়ে দিল ‘সোর্স কোড’! অ্যামকা হাতে পেতে আরও ১০ বছর, বন্ধু পুতিনের সু-৫৭ প্রস্তাবেই ‘হ্যাঁ’ ভারতের?

    Sukhoi Su-57: খেলা ঘুরিয়ে দিল ‘সোর্স কোড’! অ্যামকা হাতে পেতে আরও ১০ বছর, বন্ধু পুতিনের সু-৫৭ প্রস্তাবেই ‘হ্যাঁ’ ভারতের?

    সুশান্ত দাস

    দেশীয় ‘অ্যামকা’ (AMCA) প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দেওয়ার বিষয়ে জোরকদমে এগনোর সিদ্ধান্ত নিলেও পাশাপাশি আপৎকালীন ভিত্তিতে কম সংখ্যায় বিদেশ থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (FGFA) কেনার ব্যাপারে অত্যন্ত গভীর ভাবনাচিন্তা করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আর এই ক্ষেত্রেও ‘বন্ধু’ রাশিয়াকেই ভরসা ভারতের। যে কারণে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এফ-৩৫ প্রস্তাব ফিরিয়ে রাশিয়ার তৈরি সুখোই ‘সু-৫৭’ (Sukhoi Su-57) স্টেলথ যুদ্ধবিমানকেই বাছতে চলেছে ভারত। অন্তত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অন্দরে এমন কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।

    অ্যামকা হাতে পেতে আরও এক দশক!

    মোদি জমানায় আত্মনির্ভর ভারত যে ‘অ্যামকা’ (FGFA) তৈরি করছে, এটা নিশ্চিত। সরকার সবুজ সঙ্কেত দিতেই দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতে জোরকদমে এগোচ্ছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও। তবে, একটা বিষয় পরিষ্কার। আপাতভাবে ২০৩৫ সালের আগে ‘অ্যামকা’ হাতে পাচ্ছে না বায়ুসেনা। কারণ, মাত্র গত বছরই ‘অ্যামকা’-য় সম্মতি জানিয়েছে কেন্দ্র। আর এটা কারও অজানা নয় যে, যে কোনও যুদ্ধবিমান তৈরি করতে অন্ততপক্ষে ১০-১৫ বছর লাগেই। ফলে, ভারতকে আরও দশটা বছর অপেক্ষা করতেই হবে স্বদেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জন্য।

    পাকিস্তানকে পঞ্চম প্রজন্মের ‘জে-৩৫এ’ দিচ্ছে চিন

    কিন্তু, এই দশ বছরে বদলে যাবে অনেক কিছুই। ভারতীয় বায়ুসেনার বর্তমানে মাত্র ৩১টা স্কোয়াড্রন রয়েছে। যেখানে থাকার কথা ৪২। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই সংখ্যা আরও কমবে। কারণ, মিগ-২১বি, জাগুয়ার, মিরাজ-২০০০ সহ বহু যুদ্ধবিমান অবসর নেবে। অবিলম্বে এই শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে ভারতকে। এমআরএফএ-র আওতায় ১১৪টি  যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়টিও চূড়ান্ত রূপ নেয়নি। আবার, তেজসের কাজও অনেক বিলম্ব হচ্ছে। ইঞ্জিন আমদানি সমস্যায় জেরবার নির্মাণকারী সংস্থা হ্যাল। যে কারণে, ডেডলাইনের অনেক পেছনে চলছে মার্ক-১এ এবং মার্ক-২ সংস্করণের কাজ। অন্যদিকে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) জোর ধাক্কা খাওয়ার পর ভারতের বিরুদ্ধে নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। আর এক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে বড় সহায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ সেই চিন, যারা পাকিস্তানের সব ঋতুর বন্ধু। ইতিমধ্যেই, ইসলামাবাদকে নিজেদের পঞ্চম প্রজন্মের ‘জে-৩৫এ’ মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, তাও আবার অর্ধেক দামে! ফলে, এটা ভারতের কাছে বড় সমস্যা হতে পারে, যদি ভারতের কাছেও পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (FGFA) না থাকে। সব মিলিয়ে, ভারতের হাতে সময় বেশি নেই।

    ভারতের পাশে দাঁড়াল বন্ধু রাশিয়া

    এই সময়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বন্ধু রাশিয়া। গত ফেব্রুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে ভারতকে তাদের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘এফ-৩৫এ’ দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় সেই একই সময়ে ভারতকে তাদের পঞ্চম প্রজন্মের ‘সু-৫৭ই’ (সু-৫৭-এর এক্সপোর্ট ভেরিয়েন্ট) যুদ্ধবিমানের প্রস্তাব দেয় রাশিয়াও। মস্কোর প্রস্তাব আরও ভালো ছিল, কারণ তারা ভারতকে সম্পূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তর করতেও রাজি হয়। মস্কো জানায়, চাইলে ভারত নিজেদের দেশেই যৌথভাবে এই বিমান তৈরি করতে পারে। এমনকি, ভারতের কাবেরি ইঞ্জিন নির্মাণে প্রযুক্তিগত সহায়তা করতেও রাজি বলে জানায় মস্কো।  এখানেই শেষ নয়। চলতি মাসের গোড়ায় নিজেদের প্রস্তাবকে আরও আকর্ষণীয় করে রাশিয়া। পুতিনের দেশ জানিয়ে দেয়, তারা ভারতকে ‘সু-৫৭’ (Sukhoi Su-57) ফাইটার জেটের বহুমূল্য সোর্স কোড দিতেও রাজি।

    রাশিয়ার অভাবনীয় প্রস্তাবে ঘুরেছে খেলা!

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাশিয়ার এই প্রস্তাব এক কথায় বৈপ্লবিক, অভাবনীয়। কারণ, যে কোনও যুদ্ধবিমানের কেন্দ্রে থাকে ‘সোর্স কোড’। অত্যন্ত সংবেদনশীল তথ্য। এক কথায়, যুদ্ধবিমানের মাথার ঘিলু। রাফাল যুদ্ধবিমানের সোর্স কোড নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে খিটমিট লেগেছে ভারতের। কেউই নিজেদের যুদ্ধবিমানের সোর্স কোড (Source Code) হস্তান্তর করতে দিতে চায় না। এদিকে, সোর্স কোড না পাওয়ায় রাফাল যুদ্ধবিমানে ব্রহ্মস সহ একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রকে ইন্টিগ্রেট বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছে না ভারত। কারণ, ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে যুদ্ধবিমানের মেলবন্ধন ঘটাতে সোর্স কোড খুলে তাতে মডিফাই করতে হয়। অন্যদিকে, আমেরিকা ভারতকে এফ-৩৫ বেচতে চাইলেও, যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তি দেওয়া তো দূরের কথা, পূর্ণ কর্তৃত্বও দিতে রাজি নয়। অর্থাৎ, বিমানের নিয়ন্ত্রণ থাকবে পেন্টাগনের হাতে। ভারত শুধু ওড়াবে। সেখানে ভারতকে তাদের স্টেলথ পঞ্চম প্রজন্মের সু-৫৭ (Sukhoi Su-57)  ফাইটার জেটের সোর্স কোড সমেত গোটা প্রযুক্তি দিতে রাজি রাশিয়া।

    প্লেটে ‘সোর্স কোড’ সাজিয়ে পেশ ভারতকে

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের (FGFA) সোর্স কোড দিতে রাজি হওয়াটা কোনও ভাবেই ছোট বিষয় নয়। মনে করিয়ে দেওয়া যাক, ২০১১ সালে ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। প্রোজেক্টের নাম ছিল ‘পিএকে-এফএ টি-৫০’। তখন ‘সু-৫৭’ (Sukhoi Su-57) দিনের আলো দেখেনি। বলা যেতে পারে, বর্তমান ‘সু-৫৭’র পূর্বসূরি ছিল ‘টি-৫০’। কিন্তু, প্রযুক্তি হস্তান্তর সহ একাধিক বিষয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় ২০১৭ সালে ওই প্রকল্পে থেকে পিছিয়ে আসে ভারত। সেই থেকে ব্রহ্মপুত্র ও মস্কোভা নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। এবার এত বছর পর, সেই পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেটের সোর্স কোড প্লেটে সাজিয়ে ভারতকে প্রস্তাব দিচ্ছে ক্রেমলিন। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, সোর্স কোড পেলে রুশ যুদ্ধবিমানে ‘অস্ত্র’, ‘রুদ্রম’ সহ বিভিন্ন দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র অতি সহজেই অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে ভারত। অন্তর্ভুক্ত করা যাবে দেশীয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গ্যালিয়াম নাইট্রাইড-বেসড্ আয়েসা রেডার  (GaN-based AESA radar) — পোশাকী নাম বীরূপাক্ষ ও সর্বাধুনিক এভিয়োনিক্সও। ফলে, এটিও হয়ে উঠবে সু-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানের মতো সু-৫৭ আই। অর্থাৎ, ভারতীয় সংস্করণ, যা বিশ্বে আর কারও কাছে থাকবে না।

    মার্কিন ‘এফ-৩৫’! নৈব নৈব চ…

    রাশিয়ার থেকে সোর্স কোড সহ অত্যাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের (FGFA) প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রস্তাব পাওয়ার পর থেকে সুখোই সু-৫৭ (Sukhoi Su-57) কেনা নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে নয়াদিল্লি। বলা বাহুল্য, রাশিয়া তাদের স্পর্শকাতর প্রযুক্তি ভারতের সঙ্গে ভাগ করতে রাজি হওয়ার পর থেকেই বরাতের লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে ওয়াশিংটন। কারণ, আমেরিকা কখনই তাদের এফ-৩৫ বিমানের সোর্স কোড ভাগ করা তো দূরে থাক, অন্য প্রযুক্তিও ভাগ করবে না। উপরন্তু, আমেরিকা থেকে কেনা একাধিক সামরিক সরঞ্জাম হাতে পেতে দেরি হচ্ছে ভারতের। মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার ২ বছর পরেও, ভারত এখনও তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমানের জন্য জেনারেল ইলেক্ট্রিকের থেকে এফ৪১৪ জেট ইঞ্জিন হাতে পায়নি। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি শুরু হওয়ার কথা ছিল বোয়িংয়ের অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই হেলিকপ্টার। একটাও এখনও হাতে আসেনি ভারতের। কেন্দ্রীয় কর্তাদের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে ঢিলেমি করছে মার্কিন প্রশাসন। এই সব নিয়ে আমেরিকার ওপর ক্ষুব্ধ ভারত। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই ভারত যে ‘এফ-৩৫’ নেবে না, তা বলাই বাহুল্য। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত এক প্রকার ‘এফ-৩৫’-কে ইতিমধ্যই খারিজ করে দিয়েছে। এখন শুধু সরকারি ঘোষণার অপেক্ষা।

  • Vijay Rupani: রাজনৈতিক যাত্রা শুরু এবিভিপি থেকে! বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রূপানির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিজেপির

    Vijay Rupani: রাজনৈতিক যাত্রা শুরু এবিভিপি থেকে! বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রূপানির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (Vijay Rupani)। দলের নেতার প্রয়াণে বিজেপি নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু। প্রসঙ্গত, বিজয় রূপানি হলেন গুজরাটের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী, যিনি বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) নিহত হলেন। এর আগে ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ চলাকালীন বলবন্ত রায় মেহতা বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন।

    রাষ্ট্রপতির শোকবার্তা

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও শোক প্রকাশ করে বলেন, “ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাই। বিমান দুর্ঘটনায় দেশ হারাল গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিজিকে (Vijay Rupani)। তিনি সারা জীবন জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। এমনদিনে তাঁর পরিবারকে জানাই সমবেদনা।”

    রাজনাথ সিংয়ের শোকবার্তা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এক্স-এ (পূর্বতন ট্যুইটার) শোকবার্তায় লেখেন, “বিজয় রূপানিকে (Vijay Rupani) সর্বদা স্মরণ করা হবে। তিনি একজন ভূমিস্তরের নেতা হিসেবে সারা জীবন রাজ্যের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে কাজ করেছেন।”

    কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী রামমোহন নাইডু নিশ্চিত করেন রূপানির মৃত্যুর খবর

    প্রসঙ্গত, গতকালই কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী রামমোহন নাইডু নিশ্চিত করেন যে দুর্ঘটনার সময় বিমানে বিজয় রূপানী (Vijay Rupani) উপস্থিত ছিলেন। গতকালই তিনি বলেন, “ বিমান দুর্ঘটনার ঘটনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। কতজন নিহত হয়েছেন তার তদন্ত চলছে। গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বিজেপি নেতা বিজয় রূপানিও ওই বিমানে ছিলেন।”

    পুরীর সাংসদ সম্বিত পাত্রের শোকবার্তা

    বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্র লেখেন, “গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যু শুধু রাজ্যের নয়, গোটা ভারতীয় রাজনীতিতে (Ahmedabad Plane Crash) এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করল। মহাপ্রভু জগন্নাথ তাঁর বিদেহী আত্মাকে শান্তি দিন এবং পরিবারের সবাইকে এই শোক সহ্য করা শক্তি দিন।”

    বিজেপি নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের শোকবার্তা

    লুধিয়ানা বিজেপির পক্ষ থেকেও রূপানীর (Vijay Rupani) প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিল্লির মন্ত্রী মঞ্জিন্দর সিং সিরসা সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে শ্রদ্ধা জানান। বিজেপি নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং লেখেন, “বিজয় রূপানিকে তাঁর জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য চিরকাল মনে রাখা হবে।” উল্লেখ্য, তিনি ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং পাঞ্জাব বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্বও পালন করেছেন।

    এবিভিপি থেকে শুরু হয় সাংগঠনিক যাত্রা

    বিজয় রূপানির সাংগঠনিক যাত্রা শুরু হয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের মাধ্যমে। এরপর তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একজন প্রচারক হন। পরে তিনি জনসংঘের সদস্য হন এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) প্রতিষ্ঠিত হলে প্রথম দিন থেকেই সদস্যতা গ্রহণ করেন।

    পেশাগত জীবনে আইনজীবী, জরুরি অবস্থায় কারারুদ্ধ

    ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময় তিনি কারারুদ্ধ হন বলে জানা যায়। পেশাগত জীবনে বিজয় রূপানি একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী ছিলেন এবং পরবর্তীকালে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। জীবনে প্রথম তিনি রাজকোট পুরসভা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

    জন্ম হয় মায়ানমারে, ছিলেন মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ

    বিজয় রূপানির জন্ম একটি জৈন ব্যবসায়িক পরিবারে, মায়ানমারে। ১৯৬০ সালে তাঁর পরিবার ভারতে ফিরে আসে। এরপর থেকেই তিনি জনসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিজয় রূপানি দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে কাজ করেন। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদি যখন প্রথমবার রাজকোট থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তখন বিজয় রূপানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তৎকালীম মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জেতাতে।

    ২০১৬ সালে হন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী

    পরবর্তীকালে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি রাজ্যের পর্যটন দফতরের চেয়ারম্যান ছিলেন। রাজ্য বিজেপিতে তিনি নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেন। পরে তাকে দিল্লিতে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবেও পাঠানো হয়। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী করা হয় আনন্দীবেন প্যাটেলকে। ঠিক দুই বছর পরে, ২০১৬ সালে বিজয় রূপানি আনন্দীবেন প্যাটেলের স্থলাভিষিক্ত হন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই তার নাম প্রস্তাব করে।

    ২০১৭ সালের নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই জয় পায় বিজেপি

    ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই জয় পায় বিজেপি। পুনরায় গুজরাটে সরকার গঠন করে গেরুয়া শিবার। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে, অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • RSS: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা! শোক প্রকাশ আরএসএসের, উদ্ধারকাজে সামিল স্বয়ংসেবকরা

    RSS: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা! শোক প্রকাশ আরএসএসের, উদ্ধারকাজে সামিল স্বয়ংসেবকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সংকটে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) সর্বদাই এগিয়ে আসে – তা প্রাকৃতিক বিপর্যয় হোক কিংবা অন্য কিছু। আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের স্বয়ংসেবকরা সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন। গুজরাটের কর্ণাবতীর সিভিল হাসপাতালে তাঁরা চিকিৎসকদের ও বিভিন্ন মেডিক্যাল টিমকে সহায়তা করতে থাকেন। একই সঙ্গে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারগুলিকেও দেখভাল করেন এবং সবার সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলেন। আরএসএস-এর এমন নিঃস্বার্থ সেবা বিমান দুর্ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেকটাই সহায়তা করে (Air India Plane Crash)।

    উদ্ধারকাজে অংশ নেন ১৭৫ স্বয়ংসেবক (RSS)

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) নীতিই হল নিঃস্বার্থ সেবা। যেকোনও দুঃসময়ে তারা পাশে দাঁড়ায়। আরএসএস-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোট ১৭৫ জন স্বয়ংসেবক এই সেবাকার্যে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা শুধু উদ্ধারকাজেই নয়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, নিহতদের ময়নাতদন্তে সহায়তা, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ এবং রক্তদানেও অংশ নেন (Air India Plane Crash)। এছাড়াও, ২০০০-এর বেশি মানুষকে চা, জল ও খাবার সরবরাহ করে সাহায্য করেন সংঘের স্বয়ংসেবকরা। এই সেবাকাজে আরএসএস-কে সহায়তা করে কালুপুর স্বামীনারায়ণ মন্দির।

    শোক প্রকাশ আরএসএস-র (RSS)

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ শ্রী সুনীল আম্বেকর। সমাজমাধ্যমের পাতায় তিনি লেখেন- “গুজরাটে আজকের এই বিমান দুর্ঘটনা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা গভীর সমবেদনা জানাই সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্তদের, যাঁরা এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। ভগবানের কাছে আমাদের প্রার্থনা, এই দুঃখ সহ্য করার শক্তি যেন তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে দেন।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে,  অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • Pox in Summer: গ্রীষ্মে চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘বসন্ত’! কেন অসময়ে বাড়ছে দাপট? কাদের ঝুঁকি বেশি?

    Pox in Summer: গ্রীষ্মে চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘বসন্ত’! কেন অসময়ে বাড়ছে দাপট? কাদের ঝুঁকি বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সপ্তাহে জুড়ে গরমের দাপট বাড়ছে। আর তার মধ্যেই চিন্তা বাড়াচ্ছে পক্স! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জুনের প্রথম দশ দিনের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য ভাবে পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে (Pox in Summer)। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময়েই এই ভাইরাস সক্রিয় হয়। কিন্তু চলতি বছরে গরমে পক্সের বাড়বাড়ন্ত বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি করছে। তাই সতর্কতা জরুরি।

    কেন গরমে পক্সের দাপট?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণত, ঋতু পরিবর্তনের সময়ে পক্সের ভাইরাসের দাপট বাড়ে। কিন্তু, এই গরমেও দেখা যাচ্ছে পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার রকম ফেরে এই ধরনের ভাইরাসের দাপট বাড়ে। শীতের শেষ এবং গরম শুরু, এমন মরশুমে তাপমাত্রার ঘনঘন পরিবর্তন হয়। তাই পক্সের (Pox in Summer) মতো ভাইরাসের দাপট বাড়ে। বসন্ত ঋতুতেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। কিন্তু চলতি মরশুমে বারবার তাপমাত্রার তারতম্য দেখা যাচ্ছে। তার জেরেই এই রোগের দাপট বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহ, প্রায় দিন পনেরো কখনও বৃষ্টি হয়েছে, তাপমাত্রা একটু কমেছে। আবার কখনও তীব্র গরম। ভ্যাপসা আবহাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে। কখনও গরম থেকে বাঁচতে এসি ঘরে, আবার তারপরেই তীব্র রোদে বাইরে যাওয়া। আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তনে ভাইরাস সক্রিয় হয়। তাই এই গরমেও বাড়ছে পক্সের (Pox in Summer) দাপট। তাপমাত্রার ঘনঘন রকমফেরের জেরেই ভোগান্তি বাড়ছে।

    কাদের ঝুঁকি বেশি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যাদের নিয়মিত দিনের অনেকটা সময় বাইরে থাকতে হয়, তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে‌। দিনের মারাত্মক গরমে শরীরের ভিতর গরম হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ঘামের জেরে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। আর তার ফলেই যেকোনও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায় (Pox in Summer)। তবে, শিশুদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সাধারণত শিশুদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় কম থাকে। তাই যেকোনও ভাইরাস ঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই চলতি মরশুমে শিশুদের বাড়তি যত্ন জরুরি।

    পক্স রুখতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পক্স রুখতে (Precautions Against Pox) শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত এমন খাবার মেনুতে রাখা জরুরি, যাতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত লেবু জাতীয় ফল খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরম থেকে সাময়িক রেহাই পাওয়ার জন্য অনেকেই প্যাকেটজাত ঠান্ডা নরম পানীয় খান। কিন্তু সেটা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। বরং, নুন এবং পাতিলেবু মেশানো জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। আবার ভিটামিন সি-র চাহিদাও পূরণ হয়।

    কার্যকর ঘরোয়া টোটকা

    মেথি, মৌরির মতো পরিচিত মশলা শরীর সুস্থ রাখতে বাড়তি সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, মেথি, মৌরি ভেজানো সরবত লিভারের জন্য বিশেষ উপকারি। তাই নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠেই এই সরবত খেলে হজমের গোলমাল কম হয়। গরমেও শরীর ঠান্ডা থাকে। পক্সের (Pox in Summer) মতো ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা সহজ হয়।
    গরম থেকে রেহাই পেতে এবং শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডাব খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। আবার ডাবের জল ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়। পক্সের ভোগান্তি রুখতে ও ডাব সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌
    তবে বারবার আইসক্রিম, নরম ঠান্ডা পানীয় খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ (Precautions Against Pox) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ‌পাশপাশি বারবার এসি ঘর থেকে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার বারবার তারতম্য হলে পক্সের ঝুঁকি বাড়বে (Pox in Summer)!

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Fatty Liver: শহুরে ভারতীয়দের মধ্যে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা, কতটা বিপজ্জনক? কীভাবে মোকাবিলা?

    Fatty Liver: শহুরে ভারতীয়দের মধ্যে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা, কতটা বিপজ্জনক? কীভাবে মোকাবিলা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    লিভারের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও বাড়ছে এই রোগ। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লিভারের নানান অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) মতো অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মকভাবে বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ১২ জুন গ্লোবাল ফ্যাটি লিভার ডে (Global Fatty Liver Day)! আর সেই উপলক্ষে দেশ জুড়ে একাধিক সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করেছেন চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন।

    ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভার হলো লিভারে অতিরিক্ত মেদ জমে যাওয়া। তার ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। শরীরের বিভিন্ন অংশে এর গভীর প্রভাব পড়ে। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন মুশকিল। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই রোগ বেড়ে যাওয়া, যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই তাঁরা আশঙ্কা করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, কয়েক বছর আগেও মূলত নিয়মিত মদ্যপান করলে, তবেই ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা দেখা যেত। কিন্তু গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। নিয়মিত মদ্যপানে আসক্ত নন, এমন বহু মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হচ্ছেন। যাকে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (NAFLD) বলা হচ্ছে। এই রোগের কবল থেকে বাদ নেই শিশুরাও। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও জীবন যাপনের জেরেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই এই রোগের মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র সচেতনতা।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    এক আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্প্রতি সর্বভারতীয় স্তরে একটি সমীক্ষা চালায়। আর তাতেই উদ্বেগজনক রিপোর্ট পাওয়া যায়। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) সমস্যায় ভুগছেন‌। প্রায় ৬৫ শতাংশ শহুরে ভারতীয় (Urban Indians) নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (NAFLD) সমস্যায় আক্রান্ত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীর বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। এমনকি আক্রান্তের তালিকায় শিশুদের সংখ্যাও যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য।

    কেন প্রকোপ বাড়াচ্ছে ফ্যাটি লিভার?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মদ্যপান ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের প্রধান কারণ। নিয়মিত অতিরিক্ত মদ্যপান করলে লিভারের এই সমস্যা দেখা যায়। তবে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (NAFLD) মতো সমস্যা আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অসময়ে খাবার খাওয়া, অপরিমিত খাদ্যাভ্যাস এবং অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের প্রধান কারণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ স্থুলতার সমস্যায় ভুগছেন। ওবেসিটি, ডায়াবেটিস এই দুই সমস্যা ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) অন্যতম কারণ। আর এই দুই সমস্যার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস সরাসরি ভাবে যুক্ত। অতিরিক্ত ওজন‌ শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। ফ্যাটি লিভারেরও কারণ স্থুলতা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই অতিরিক্ত সময়ের ব্যবধানে খাবার খান। অনিয়মিত খাদ্যাভাস শরীরে প্রভাব ফেলে। আবার অনেকেই পিৎজা, বার্গারের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার অর্থাৎ, যেসব খাবারে অতিরিক্ত রাসায়নিক দেওয়া মাংস ব্যবহার হয়, সেই ধরনের খাবার নিয়মিত খান। যার ফলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও, পরিবারের কেউ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে, পরবর্তী প্রজন্মের ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও এই রোগের ঝুঁকি থাকে।

    কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) মতো রোগের মোকাবিলা করতে প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। তাঁরা জানাচ্ছেন, মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই নিয়মিত মদ্যপান করা চলবে না। তবে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো অসুখ রুখতে শরীরের ওজন নিয়ে সচেতনতা জরুরি। স্থুলতা যাতে না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, দিনের অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটা কিংবা আধ ঘণ্টা যোগাভ্যাস জরুরি। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হয়। রক্তচাপের সমস্যার ঝুঁকি কমে। হরমোন নিঃসরণ স্বাভাবিক হয়। আবার দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝড়ে যায়। ফলে, ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। নিয়মিত শারীরিক কসরত ফ্যাটি লিভারের রুখতে ‘ওষুধ’-এর মতো কাজ করবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    লিভারের অসুখ রুখতে প্রধান ‘মেডিসিন’ খাবার

    লিভারের অসুখ রুখতে প্রধান ‘মেডিসিন’ খাবার। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভার রুখতেও বিশেষত নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (NAFLD) মতো রোগ মোকাবিলা করবে খাবার। নির্দিষ্ট সময়ে পরিমিত খাবার ফ্যাটি লিভারের মতো রোগ রুখতে সাহায্য করবে। তাঁদের পরামর্শ, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কম তেল মশলার সহজপাচ্য খাবার খাওয়া জরুরি। তাতে লিভার সুস্থ থাকে। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছয়। নিয়মিত ডাব, লাউ, পেঁপে, কাঁচকলা, আপেল, পালং শাকের মতো ফল এবং সব্জি খাওয়া দরকার। এতে লিভার সুস্থ থাকে। অতিরিক্ত মেদ জমে না। মাছ, মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে নজর দেওয়া দরকার, ঠিকমতো রান্না হচ্ছে কিনা, অতিরিক্ত তেল মশলা যাতে ব্যবহার না হয়, সেটা খেয়াল রাখা জরুরি।‌ প্রানীজ প্রোটিন থেকে শরীর সহজেই প্রোটিন পায়। সেই প্রোটিন যাতে ঠিকমতো শরীরে কাজে লাগে, তাই রান্না নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। চটজলদি প্রক্রিয়াজাত খাবার অর্থাৎ বিরিয়ানি, পিৎজা, হটডগ‌, বার্গার এবং অতিরিক্ত তেলেভাজা জাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। তবেই ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) মোকাবিলা সহজ হবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • QRSAM: সেনা পাচ্ছে দেশে তৈরি নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ‘কিউআরস্যাম’, মোতায়েন হবে চিন-পাকিস্তান সীমান্তে

    QRSAM: সেনা পাচ্ছে দেশে তৈরি নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ‘কিউআরস্যাম’, মোতায়েন হবে চিন-পাকিস্তান সীমান্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সৌজন্য তামাম বিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছে ভারতের বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা। এবার, আরও শক্তিশালী হওয়ার পথে দেশের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Air Defence System) বা আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। শীঘ্রই ভারতের হাতে আসছে আরও একটি নতুন ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যার পোশকি নাম কুইক রিয়্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল বা সংক্ষেপে ‘কিউআরস্যাম’ (QRSAM)। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধুনিক এয়ার ডিফেন্স ক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    ৩০ হাজার কোটি টাকার কিউআরস্যাম

    ভবিষ্যতে পাকিস্তান, চিনের বিরুদ্ধে সংঘাতের মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী ৩০,০০০ কোটি টাকা দিয়ে নতুন স্বদেশীয় ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম (QRSAM) কিনতে চলেছে। জানা যাচ্ছে, চলতি মাসেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধিনস্থ ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (ডিএসি) এই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিতে পারে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তা সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন যে, দেশের পশ্চিম এবং উত্তর সীমান্তে মোতায়েনের জন্য দেশীয় এই নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (Air Defence System) তিনটি রেজিমেন্ট কেনার প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও। এটি যৌথভাবে উৎপাদন করবে দুই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও ভারত ডিনামিক্স লিমিটেড।

    প্রতিক্রিয়ার সময় মাত্র ৩-৫ সেকেন্ড!

    যা জানা যাচ্ছে, ‘কিউআরস্যাম’-কে (QRSAM) বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে সেনার ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অ্যাসেটগুলিকে লক্ষ্য করে হওয়া শত্রুর ফাইটার, হেলিকপ্টার, ড্রোন, সার্ফেস-টু-সার্ফেস এবং এয়ার-টু-সার্ফেস মিসাইল সহ আকাশপথে যে কোনও হানা প্রতিহত করার জন্যে। কিউআরস্যাম সিস্টেমটি একটি ট্রাকে চাপিয়ে সেনা কনভয়ের সঙ্গেও চলতে পারে। সিস্টেমটি কুইক রিয়্যাকশন-এর জন্যে তৈরি। অর্থাৎ, একটি টার্গেট চিহ্নিত ও লক থেকে লঞ্চ হতে সময় নেয় মাত্র ৩ থেকে ৫ সেকেন্ড। দিন হোক বা রাত– যে কোনও সময়ই এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (Air Defence System) সমান কার্যকর। প্রতিটি লঞ্চারে ৬টি মিসাইল থাকে। একটি ব্যাটারিতে ৪টি লঞ্চার, একটি ব্যাটারি সার্ভিলেন্স রেডার, এবং ব্যাটারি মাল্টি ফাংশন রেডার আর কমান্ড সিস্টেম থাকে। অর্থাৎ প্রতি ব্যাটারিতে ২৪টি রেডি-টু-ফায়ার মিসাইল, সঙ্গে রিলোড মিসাইল থাকে। ৩টি ব্যাটারি থাকে একটি রেজিমেন্টে। অর্থাৎ ২৪×৩=৭২টি রেডি-টু-ফায়ার মিসাইল। ভারত ৩টি রেজিমেন্ট নিচ্ছে। অর্থাৎ ৭২×৩=২১৬টি রেডি-টু-ফায়ার মিসাইল, এর সঙ্গে আলাদা রিলোড মিসাইল। সেনাবাহিনীর আখেরে ১১টি কিউআরস্যাম (QRSAM) রেজিমেন্টের প্রয়োজন হবে।

    ভারতে বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা (Air Defence System)

    ভারত বর্তমানে বিভিন্ন পাল্লার জন্য বিভিন্ন ধরনের এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা মোতায়েন করে রেখেছে, যাদের সমন্বয় ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে আকাশতীর ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার। দূরপাল্লার জন্য রয়েছে রাশিয়া থেকে কেনা ৩৮০ কিমি পাল্লার ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’, যা ভারতে ‘সুদর্শন চক্র’ হিসেবে পরিচিত। মাঝারি পাল্লার জন্য রয়েছে ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত ৭০ কিমি পাল্লার ‘বারাক-৮’ ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া রয়েছে ২৫ কিমি পাল্লার স্বদেশীয় ‘আকাশ’ প্রতিরক্ষা সিস্টেম এবং ৬ কিমি পাল্লার ‘ভিশোরাড’ ক্ষেপণাস্ত্র। প্রায় ৩০ কিমি পাল্লার কিউআরস্যাম (QRSAM) সিস্টেমটি স্বল্প থেকে মাঝারি পাল্লার বিদ্যমান এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমগুলির পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। ভারতের বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্সের (Air Defence System) আওতায় এগুলো ছাড়াও রয়েছে এল-৭০, জডইউ-২৩ এবং শিলকা বিমান প্রতিরক্ষা বন্দুক, যেগুলি অপারেশন সিঁদুর-এর সময় নিজেদের জাত চিনিয়েছিল। এর বাইরে, ভারত বর্তমানে ‘প্রোজেক্ট কুশ’ নিয়ে গবেষণা করছে। এটি অ্যাডভান্সড স্টেজে রয়েছে। খুব শীঘ্রই পরীক্ষা শুরু হবে। ভারতের লক্ষ্য, ২০২৯ ২০২৯ সালের মধ্যে ৩৫০ কিমি পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা।

  • Snan Yatra 2025: আজ দেবস্নান পূর্ণিমা, প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    Snan Yatra 2025: আজ দেবস্নান পূর্ণিমা, প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার ১১ জুন, প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা (Snan Yatra 2025)। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে স্নানযাত্রা হয়। যে কারণে, এই পূর্ণিমাকে দেবস্নান পূর্ণিমা বা স্নান পূর্ণিমা বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এদিন বাংলা, ওড়িশা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা মহাসমারোহে পালিত হয়। তবে, সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হয় পুরী জগন্নাথধামে (Puri Jagannath Dham)। ফলে, সারা বিশ্বের চোখ এখন পুরীতে। এছাড়া, এ রাজ্যের মাহেশেও বড় করে হয় এই উৎসব। এই দিন হল শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের জন্মতিথি। স্নানযাত্রা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে খুবই পবিত্র একটি উৎসব।এদিনের এই শুভ তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শুভ বা পুণ্য কাজ সারেন। এবছর এই দেবস্নান পূর্ণিমার তিথি শুরু হয়েছে ১০ জুন, মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৩৭ মিনিটে এবং এই তিথি শেষ হচ্ছে, বুধবার দুপুর ১টা ১৪ মিনিটে। তাই উদয় তিথি অনুসারে দেব স্নান পূর্ণিমা পালিত হচ্ছে বুধবার।

    রথযাত্রার (Puri Jagannath Rath Yatra) ঢাকে কাঠি…

    জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা (Snan Yatra 2025) থেকেই ঢাকে কাঠি পড়ে গেল রথযাত্রার। প্রস্তুতি-পর্ব যদিও আরও সপ্তাহ তিনেক আগে প্রভুর চন্দন-যাত্রার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। দীর্ঘগরমে ভক্তদের মতোই কষ্ট পান জগন্নাথ। সঙ্গে মাথা ধরে। তাই গ্রীষ্মকালে তাঁর কপালে চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হয়, যাকে বলে চন্দন উৎসব। বর্ষার আগমনে হয় স্নানযাত্রা। যা থেকেই কার্যত রথযাত্রার কাউন্টডাউন শুরু হয় বলে ধরে নেওয়া হয়। এদিন জগন্নাথ ধাম মন্দিরের স্নান কক্ষে (Snan Yatra 2025) রীতি মেনে ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০৮ কলসে সুগন্ধি জল দিয়ে স্নান করানোর পালা চলে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা ত্রয়ীকে। প্রথমে জগন্নাথ, তারপর বলরাম এবং শেষে সুভদ্রার পুজো করে নিয়ে যাওয়া হয় স্নানের জন্য৷ অনুষ্ঠানের পর গজবেশে সজ্জিত হন প্রভু জগন্নাথ। স্কন্দপুরাণ মতে, পুরীর মন্দির প্রতিষ্ঠার পর রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এই অনুষ্ঠান প্রচলন করেন।

    জ্বর আসবে জগন্নাথদেবের…

    সাধারণত, বছরে একবার মহাপ্রভু শ্রীজগন্নাথ (Lord Jagannath) তার ভাই বোনদের সঙ্গে স্নান করেন (Snan Yatra 2025)।স্নানযাত্রার পর শুরু হয় ‘অনসর’, এই অনসর কালে জগন্নাথদেব অসুস্থতার কারণে ভক্তগণের অন্তরালে গোপন স্থানে চিকিৎসাধীন থাকেন। কথিত আছে, স্নানের পর এদিন থেকে ধুম জ্বর আসে জগন্নাথদেবের। ফলে, ১৫ দিন ধরে তাঁর চিকিৎসা চলে। এই সময়ে শ্রীমন্দিরের দ্বার বন্ধ থাকে। ভক্তরা প্রভুর দর্শন করতে পারেন না। অন্তরালেই রাখা হয়ে এই তিন দেবদেবীকে। বিশ্বাস, রাজবৈদ্যের আয়ুর্বৈদিক পাঁচন খেয়ে ১৫ পর সুস্থ হয়ে ওঠেন জগন্নাথদেব। চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করে দরজা খোলা হয়। সুস্থ হয়ে উঠেই জগন্নাথদেব নতুন বেশভূষায় সুসজ্জিত হয়ে দর্শন দেন। তখন জগন্নাথধামে পালিত হয় নেত্রোৎসব বা নবযৌবন উৎসব। এরপর, তিন ভাই-বোন মাসির বাড়ি যাওয়ার তোড়জোড় করেন। রাজবেশে সজ্জিত হয়ে, মহাসমারোহে রথে চেপে তাঁদের মাসির বাড়ি যান। তাই স্নানযাত্রার সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে রথযাত্রা (Puri Jagannath Rath Yatra)। এই বছর আষাঢ় শুক্লা দ্বিতীয়া অর্থাৎ রথযাত্রার তিথি শুরু হচ্ছে ২৬ জুন দুপুরে ১টা ২৫ মিনিটে, দ্বিতীয়া থাকবে পরের দিন ২৭ জুন সকাল ১১টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত। উদয়া তিথি অনুসারে তাই ২৭ তারিখে রথযাত্রা অনুষ্ঠান শুরু হবে। উল্টো রথের অনুষ্ঠান হবে ৫ জুলাই।

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – শেষ পর্ব

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – শেষ পর্ব

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    চতুর্থ পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ২০২৫ সালের মে মাসে সংখ্যালঘু (Bangladeshi Hindus) ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর ৪৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে হত্যাকাণ্ড ৪টি, ধর্ষণ ৪টি, মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ৬টি, ভূমি দখল ৬টি, এবং অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা উল্লেখযোগ্য। ঢাকার প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতে প্রায়ই প্রকাশিত হয়েছে এই ঘটনাগুলো।

    সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবিরোধী হামলা

    কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি পাবনায়। পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০ মে ২০২৫ তারিখে ‘সুচিত্রা সেন গার্লস হোস্টেল’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই-৩৬ হোস্টেল’ রাখে। সুচিত্রা সেনের ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে তার নাম ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাবেক সভাপতি ও আমেরিকা প্রবাসী সাংস্কৃতিক সংগঠক গোপাল সান্যাল তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের “সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস”–এর নাম পাল্টে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাবনার সংস্কৃতিপ্রেমী জনতা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

    ভূমি দখল ও আদিবাসী নিপীড়ন

    রাজশাহীর পুঠিয়ায় কয়েকজন হিন্দু (Bangladeshi Hindus) কৃষকের জমি ‘জোরপূর্বক’ দখল করে পুকুর খননের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০ বিঘা জমি দখল করে পুকুর খনন করতে গেলে স্থানীয় কৃষকরা বাধা দেয়। সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের গোড়াগাছি হিন্দুপাড়ায় (Hindus Under Attack) এ ঘটনা ঘটে বলে জানান পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন। পরে গ্রামের লোকজন জোট বাঁধলে পুকুর খননকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এসময় একটি মাটি কাটার যন্ত্র (এস্কাভেটর বা ভেকু) ভাঙচুর করা হয়। সেখান থেকে বেশ কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন অবৈধ খনন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর নির্মাণের সময় রাখাইন সম্প্রদায়ের ছয়টি পরিবারকে তাদের ২৫০ বছরের পুরনো জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্যোগে তাদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে। ‘উচ্ছেদের শিকার’ রাখাইন পরিবারের সদস্য চিং ধামো রাখাইন বলেন, “পায়রা বন্দর নির্মাণের জন্য আমাদের ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বসতভিটা কোনো আলোচনা ছাড়াই অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণের পর গাছপালা ও বসতবাড়ির ক্ষতিপূরণ হিসেবে আমরা কিছু টাকা পেয়েছি। কিন্তু ভোগদখলকৃত জমির ক্ষতিপূরণ এখনও পায়নি।”

    বাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

    যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে খুন করা হয়। মাছের পুকুর লিজ দেওয়া নিয়ে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনার জেরে ওই গ্রামের অন্তত ২০টি নিরীহ হিন্দু পরিবারের (Bangladeshi Hindus) বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এছাড়া সাগর বিশ্বাস নামের এক হিন্দু কিশোরকে অপহরন করা হয়। স্থানীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শ্রীপুরের মাগুরাতে একটি হিন্দু পরিবারের সদস্যদের রাতের খাবারের পর অজ্ঞান করে বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও সোনা লুট করা হয়। পুলিশ তদন্ত করছে, তবে এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

    মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ

    গত ২৮ মে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি কালী মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া এলাকার যুগল চন্দ্র দাসের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মন্দিরের বেশ ক্ষতি হয়েছে। এলাকার লোকজন এসে আগুন নেভালেও অনেক কিছু পুড়ে গিয়েছে। মন্দিরটি স্থাপনের ৫০ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তদন্ত করছে।

    ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে থিয়েটার শিল্পী প্রশান্ত হালদারের বাড়িতে গত ২৪ মে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রশান্ত ঢাকার নাট্যদল অনুস্বর এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। প্রায় চার দশক ধরে তিনি নাট্যচর্চায় যুক্ত আছেন। নাট্যকার ও অভিনেতা হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। তার বাড়িতে আগুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে নাট্যদল অনুস্বর এবং থিয়েটার বিষয়ক পত্রিকা ‘ক্ষ্যাপা’। ৬২ জন সাংস্কৃতিক কর্মী প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

    অপহরণ ও ধর্ষণ

    ঢাকার ধামরাইতে  ১৬ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা রাজবংশীকে ১৯ মার্চ অপহরণ করা হয়। ২৬ এপ্রিল মামলা হলেও এখনও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৪টি আদিবাসী পরিবারের বাড়ি ৪ মে উচ্ছেদ করা হয়। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। স্থানীয় আদিবাসী সংগঠন এর প্রতিবাদ জানিয়ে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে। হাইমচর, চাঁদপুরে একটি হিন্দু পরিবারের ২৫০ বছরের পুরনো জমি দখল করে ভূমিদস্যুরা। পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ও ভূমি রক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। এই ঘটনাগুলো বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর চলমান নিপীড়ন ও বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে।

     

    (শেষ)

  • Starlink: সেট-আপ করতে ৩৩ হাজার টাকা, মাসিক রিচার্জ ৩ হাজার! খরচ বনাম সুবিধের পাল্লায় ঝুলছে স্টারলিঙ্কের সাফল্য

    Starlink: সেট-আপ করতে ৩৩ হাজার টাকা, মাসিক রিচার্জ ৩ হাজার! খরচ বনাম সুবিধের পাল্লায় ঝুলছে স্টারলিঙ্কের সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই ভারত সরকারের থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ইলন মাস্কের ইন্টারনেট পরিষেবা সংস্থা স্টারলিঙ্ক। গত ৬ জুন টেলিকম মন্ত্রকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স পেয়েছে স্টারলিঙ্ক। এর ফলে ভারতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে পারবে সংস্থাটি। এর পর থেকেই স্টারলিঙ্কের পরিষেবা পেতে কত খরচ হতে পারে, সেই নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছিল। অবশেষে, সোমবার, প্রকাশ্যে এল সেই অঙ্ক।

    সেট-আপ করলেই প্রথম মাস ফ্রি!

    সংবাদসংস্থা এএনআই-র একটি প্রতিবেদন তরফে জানা গিয়েছে, ভারতে প্রতি বাড়িতে স্টারলিঙ্কের বিশেষ যন্ত্র বসাতে খরচ পড়বে ৩৩ হাজার টাকা। আর মাসে মাসে এই পরিষেবা পাওয়ার জন্য দিতে হবে ৩ হাজার টাকা। তবে, গ্রাহকদের আকর্ষিত করতে বিশেষ অফার নিয়ে এসেছে সংস্থাটি। জানা গিয়েছে, প্রথম মাসের সাবস্ক্রিপশন মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইলনের সংস্থা। অর্থাৎ, সেটআপ করার জন্য ৩৩ হাজার টাকা দিলেই প্রথম এক মাস নিখরচায় ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে পারেন গ্রাহক। দ্বিতীয় মাস থেকে মাসিক ৩ হাজার টাকা করে দিতে হবে।

    খরচ বনাম সুবিধে!

    বর্তমান পরিষেবা পেতে একজন ব্যবহারকারীকে যত খরচ করতে হয়, স্টারলিঙ্কে সেই পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এত টাকা দিয়ে ইন্টারনেট বসানো অনেকের কাছে বাস্তবসম্মত নাও হতে পারে। ফলে, স্টারলিঙ্ক কতটা সাফল্য পাবে তা সময়ই বলবে। তবে, স্টারলিঙ্ক আশাবাদী। সংস্থার দাবি, যেহেতু তাদের পরিষেবা সরাসরি উপগ্রহ-মারফৎ হবে, তাই ইন্টারনেটের স্পিড (যা গ্রাহককূল মূল বিচার করে থাকে) অন্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি হবে। উপরন্তু, একবারে প্রত্যন্ত জায়গাতেও এই পরিষেবা অনায়াসেই মিলবে। ফলে, আখেরে লাভবান হবেন ব্যবহারকারীরাই। এক নজরে দেখে নেওয় যাক, স্টারলিঙ্ক কী এবং তা কীভাবে কাজ করে।

    স্টারলিঙ্ক কী?

    স্টারলিঙ্ক প্রচলিত ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী ব্যবস্থা নয়। এটি হল সরাসরি স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ-ভিত্তিক ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। অনেকটা ডিটিএইচ (ডায়রেক্ট-টু-হোম) পরিষেবার মতো। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে উপগ্রহের (Satellite) মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়। সাধারণত এটি সেই সমস্ত এলাকায় ব্যবহৃত হয়, যেখানে মোবাইল টাওয়ার বা ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছায় না— যেমন প্রত্যন্ত গ্রাম, পাহাড়ি অঞ্চল, দ্বীপ বা সাগরপারের অঞ্চল।

    কীভাবে কাজ করবে স্টারলিঙ্ক?

    এই পরিষেবায় একটি স্যাটেলাইট ডিশ এবং একটি মোডেম বা রাউটার ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারকারী কোনও অনুরোধ পাঠালে (যেমন— একটি ওয়েবসাইট খোলা), সেই অনুরোধ প্রথমে স্যাটেলাইট ডিশ থেকে উপগ্রহে যায়। উপগ্রহ সেটি গ্রাউন্ড স্টেশনে (NOC) পাঠায়, যেখানে থেকে তথ্য প্রক্রিয়া করে আবার সিগন্যালের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ডিভাইসে পাঠিয়ে দেয়। স্টারলঙ্ক ব্যবস্থায় একজন উপভোক্তা ৫০ থেকে ২৫০ এমবিপিএস পর্যন্ত উচ্চ-গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন।

    স্টারলিঙ্কের কেন্দ্রে উপগ্রহ-পুঞ্জ

    স্টারলিঙ্ক ব্যবস্থায় পৃথিবীর লো-আর্থ অরবিটে (ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ থেকে ২০০০ কিলোমিটার উচ্চতায়) প্রদক্ষিণকারী ছোট উপগ্রহের একটি সমষ্টি থেকে সরাসরি ইন্টারনেট বিম করে ফাইবার অপটিক্স এবং সেলুলার টাওয়ারের সীমারেখাকে অতিক্রম করতে পারবে। এই স্যাটেলাইটগুলি ব্যবহারকারীর বাড়িতে বা অফিসে স্থাপিত একটি কমপ্যাক্ট ডিশ অ্যান্টেনার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, যা পরে রাউটারের বা মোডেমের মাধ্যমে ইন্টারনেট রিলে করে। বর্তমানে, ৬ হাজারেরও বেশি উপগ্রহ ইতিমধ্যেই কক্ষপথে রয়েছে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে নেটওয়ার্ক ৪২ হাজার উপগ্রহপুঞ্জ তৈরি করা হবে। এই সম্প্রসারণের জন্য একটি রোডম্যাপও রয়েছে বলে সংস্থা জানিয়েছে।

    ভারতে কেন গুরুত্বপূর্ণ স্যাটেলাইট-ইন্টারনেট?

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বহু গ্রামীণ বা দুর্গম অঞ্চলে এখনও ইন্টারনেট পৌঁছায়নি। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেই সমস্ত জায়গায় দ্রুত ও স্থায়ী ইন্টারনেট ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। বিশেষত স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা কৃষি সংক্রান্ত উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। স্টারলিঙ্ক মূলত ভারতের এমন সব এলাকায় পরিষেবা দিতে চায়, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ফাইবার অপটিক কভারেজ নেই বা খুবই দুর্বল। তবে, খরচের বিষয়টাই যা বাধা হতে পারে। কারণ, ভারত যে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা মোবাইল ডেটা ব্যবহারের দেশ, তা কারও অজানা নয়। ফলে, স্টারলিঙ্ক নিলে সেই খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। যদিও, স্টারলিঙ্কের ভরসা হতে পারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুতগতি ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা।

    কবে থেকে চালু হবে পরিষেবা?

    লাইসেন্স হাতে পেলেও স্টারলিঙ্কের পথ এখনও পুরোপুরি মসৃণ নয়। ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি (TRAI) এখনও স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বরাদ্দ সংক্রান্ত সুপারিশের অনুমোদন পায়নি। এটি অনুমোদিত হলেই পূর্ণমাত্রায় পরিষেবা চালু করতে পারবে স্টারলিঙ্ক। ফলে, পরিষেবা চালু হতে হতে আরও এক বছর লাগতে পারে। ইতিমধ্যে, এশিয়ার একাধিক দেশে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে স্টারলিঙ্ক পরিষেবা—জাপান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, ভুটান ও বাংলাদেশ। সেখানে মাসিক খরচ ২,৬০০ টাকা থেকে ৬,০০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

    স্টারলিঙ্কের প্রতিযোগী কারা?

    এই ময়দানে স্টারলিঙ্কের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হল রিলায়েন্স জিও স্যাটেলাইট এবং ভারতী এয়ারটেল-এর ওয়ানওয়েব। মাস্কের সংস্থার সঙ্গে এই দুই সংস্থাকেও স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। তবে, এই তিন সংস্থা নিজেদের পরিষেবা শুরু করলেও, একে অপরের সহায়ক হিসেবেও কাজ করবে। এর জন্য গতমাসে ভারতের টেলিকম অপারেটর সংস্থা রিলায়েন্স জিও এবং ভারতী এয়ারটেলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে স্টারলিঙ্ক। ভারতে এই দুই সংস্থার ইতিমধ্যেই বিপুল বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। ভারতের বেশিরভাগ জায়গাতেই এই সংস্থাগুলির নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই দুই সংস্থার অনলাইন ও অফলাইন স্টোরের মাধ্যমে এবার থেকে স্টারলিঙ্ক ইকুইপমেন্ট বিক্রি করতে পারবে। উল্টোদিকে, এয়ারটেল পরিকল্পনা করছে যাতে তাদের নেটওয়ার্কের মধ্যেই স্টারলিঙ্ক ইন্ট্রিগ্রেট করা যায়। রিলায়েন্স জিও সংস্থা তার ব্রডব্যান্ড সিস্টেমে এই স্টারলিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

    স্যাটেলাইট-ইন্টারনেটের দুর্বলতা

    খরচ ছাড়াও স্টারলিঙ্কের মতো স্যাটেলাইট-ইন্টারনেটের বেশ কিছু দুর্বলতাও রয়েছে। প্রথমত, গ্রাহক সংখ্যা বেশি হলে, তা পরোক্ষভাবে ইন্টারনেট স্পিডকে প্রভাবিত করতে পারে। ফলত, গতি কমে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, যোগাযোগ যেহেতু সরাসরি স্যাটেলাইট নির্ভর, তাই পরিষ্কার আকাশ হওয়া বাধ্যতামূলক। এদেশে, প্রায়ই ঝড়-জল-বৃষ্টি-মেঘ থাকে। তেমন হলে, স্যাটেলাইটের সঙ্গে ডিশের যোগাযোগে বিঘ্ন হতে পারে। ঠিক যেমনটা হয় ডিটিএইচ-এর ক্ষেত্রে। তৃতীয়ত, ডিশ চৌম্বকীয় হওয়ায়, বজ্রপাতের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক।

  • Health Problems: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় হানা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ, সুস্থ থাকতে কী কী করণীয়?

    Health Problems: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় হানা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ, সুস্থ থাকতে কী কী করণীয়?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আবহ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক দিন অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হলেও, তাপমাত্রা কমছে না। বরং আগামী কয়েকদিনে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়ার এই রকমফেরে বাড়ছে নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কখনও বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা সামান্য কমছে, আবার কখনও তীব্র অস্বস্তিকর গরমে ঘামে শরীর ভিজে যাচ্ছে। আর এর ফলেই শ্বাসনালীর সংক্রমণ, গলা ব্যথা, কাশি, সর্দির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তার পাশপাশি অনেকেই হজমের সমস্যাতেও ভুগছেন‌। তাই বাড়তি সতর্কতা না নিলে ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বাতাসে সুপার-অ্যাক্টিভ ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কখনও গরম, আবার কখনও তাপমাত্রার পারদ পতনে বাতাসে নানান ভাইরাস সক্রিয় হচ্ছে। যার ফলে ভাইরাস ঘটিত অসুখের ঝুঁকি বাড়ছে (Health Problems)। গরমে ঘাম হওয়ার জেরে আবার সাময়িক স্বস্তি পেতে অনেকটা সময় একটানা এসি ঘরে থাকার জেরে ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবহাওয়ার দ্রুত রকমফেরে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি বাড়ে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এর পাশপাশি এই পরিবেশে হজমের সমস্যাও বাড়ছে। অনেকেই পেটের অসুখ, বমির মতো সমস্যায় ভুগছেন।‌ বিশেষত শিশুদের সমস্যা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা?

    আবহাওয়ার এই অস্বস্তিকর অবস্থায় সুস্থ থাকতে (Experts Health Tips) ঘরোয়া উপাদানেই ভরসা রাখছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুরা প্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে বেশি দৌড়াদৌড়ি করে। ঘাম ও হয়। তাই তাদের শরীরে বাড়তি জল প্রয়োজন। তাই সেই চাহিদা পূরণ হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখা জরুরি। নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খেলে হজমের সমস্যা (Health Problems) কমবে। পেটের অসুখের ঝুঁকিও কমবে। গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার জেরে যে এনার্জির ঘাটতি হয়, সেটাও সহজে পূরণ করবে জল। ছোটোদের পাশাপাশি বড়দের জন্যও একই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, জল পর্যাপ্ত খাওয়ার দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।

    অতিরিক্ত তেল-মশলা জাতীয় খাবার বর্জন

    পাশপাশি কম তেল মশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার হজম করা কঠিন। বিশেষত চর্বি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন এবং অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার হজম করা কঠিন। ফলে এই আবহাওয়ায় নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems) দেখা দিতে পারে। সহজ পাচ্য খাবার নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। খাবারের সম্পূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যাবে। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই তাঁদের পরামর্শ (Experts Health Tips), নিয়মিত ডাল, সব্জি এবং পরিমিত পরিমাণে মাছ, ডিম জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। প্রয়োজনীয় এনার্জি শরীর সহজেই পাবে।

    সব সমস্যার সমাধানে জল ও ফল

    তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় নিয়মিত ফল খাওয়া দরকার। সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমাতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো দরকার (Health Problems)। তাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, যেমন বিভিন্ন ধরনের লেবু, কিউই,‌ অ্যাপ্রিকট, বেরি জাতীয় ফল নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ে।

    হজমের গোলমাল এড়াতে এবং পেটের সমস্যা কমাতে নিয়মিত মেথি ভেজানো জল এবং ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ (Experts Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুয়েই থাকে পর্যাপ্ত খনিজ। যা হজম শক্তি বাড়ায়। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমে নিয়মিত এই দুইটি শরবত খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share