Tag: মাধ্যম

  • India Bhutan Rail Link: শীঘ্রই ট্রেনে চেপে যাওয়া যাবে ভুটান! জোড়া রেল প্রকল্পের ঘোষণা ভারতের

    India Bhutan Rail Link: শীঘ্রই ট্রেনে চেপে যাওয়া যাবে ভুটান! জোড়া রেল প্রকল্পের ঘোষণা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ট্রেনেই যাওয়া যাবে ভুটানে (India Bhutan Rail Link)। শীঘ্রই রেলপথে জুড়তে চলেছে দুই দেশ। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে (India Bhutan Relations) নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে একসঙ্গে এক জোড়া নতুন রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে একটি রেল প্রকল্প রয়েছে বাংলায়। ভুটান যাত্রা সহজ করতে সোমবার দুটি রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। তিনি জানান, ভারত এবং ভুটানের মধ্যে মোট ৮৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। একটি রেলপথ যাবে পশ্চিমবঙ্গের বানারহাট থেকে ভুটানের সামৎসে পর্যন্ত। অন্যটি হবে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফুর পর্যন্ত।

    মোদির সফরে পাকা কথা…

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছর ভুটান সফরে গিয়ে এই রেল প্রকল্পের (India Bhutan Rail Link) চুক্তিতে সাক্ষর করেছিলেন। ভারত সফরে এসে সোমবার এই চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সিলমোহর দিলেন ভুটানের বিদেশসচিব। এদিন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভুটানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠবে। ভারত ও ভুটান দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারত হল ভুটানের সবথেকে বড় বাণিজ্য সঙ্গী। ভুটানের যাবতীয় আমদানি-রফতানি ভারত হয়ে হয়। ফলে ভুটানের আর্থিক উন্নতিতে এই রেলপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এই ৮৯ কিলোমিটার ভুটানকে ভারতের ১,৫০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করবে।”

    রেলমন্ত্রক যা বলল

    রেলমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত দুটি রেল প্রকল্পের (India Bhutan Rail Link) জন্য খরচ পড়বে আনুমানিক ৪০৩৩ কোটি টাকা। বাংলা ও ভুটানের এই রেলপথ নির্মাণের কাজ আগামী ৩ বছরের সম্পন্ন হয়ে যাবে। বানারহাট থেকে সামৎসে পর্যন্ত রেলপথে থাকবে দু’টি স্টেশন। একটি বড় ও ২৪টি ছোট উড়ালপুল, ৩৭টি ভূগর্ভপথ। অন্যদিকে অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফুর-এর মধ্যে ৬টি স্টেশন থাকবে। এই পথে দুটি উচ্চ সেতু, ২৯টি বড়, ৬৫টি ছোট সেতু এবং একটি উড়ালপুল থাকছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ৪ বছর।

    বিদেশমন্ত্রক যা জানাল

    বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘দুই দেশের সরকার এই সীমান্তপার প্রকল্পের জন্য সায় দিয়েছে। এটাই ভুটানের সঙ্গে প্রথম রেল যোগযোগ প্রকল্প (India Bhutan Relations)। এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে একটি মউ স্বাক্ষর করা হয়েছে।’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রেললাইনের ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সুবিধা হবে। ভুটানের পণ্য খুব সহজেই পৌঁছে যাবে ভারতে। সেখান থেকে ছড়িয়ে যেতে পারবে সারা বিশ্বে (India Bhutan Rail Link)। যার ফলে সেই দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হবে। শুধু তাই নয়, ভারতও আরও সহজে নিজেদের পণ্য পাঠিয়ে দিতে পারবে ভুটানে। এতে ভারতেরও কিছুটা লাভ রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এর মাধ্যমে পর্যটকরাও খুব সহজে ভুটান যেতে পারবেন। তাদের আর বিমানের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তাতেও ভুটানের ভালো পর্যটনেরও সুবিধা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • West Bengal SIR: পুজোর পরেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু এসআইআর, রাজ্য সিইও দফতরে ২ অফিসার নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের

    West Bengal SIR: পুজোর পরেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু এসআইআর, রাজ্য সিইও দফতরে ২ অফিসার নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পরেই বাংলায় ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর (West Bengal SIR) শুরু হতে পারে। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। এর মধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে নিয়োগ করা হল দুই আইএএস অফিসার। কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে ২০১১ সালের পশ্চিমবঙ্গ ব্যাচের অফিসার অরুণ প্রসাদকে। আর যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে ২০১৩ সালের পশ্চিমবঙ্গ ব্যাচের অফিসার হরিশঙ্কর পানিকরকে। অরুণ নদিয়ার জেলাশাসক পদে ছিলেন। আর হরিশঙ্কর ছিলেন রাজ্য অর্থ দফতরের বিশেষ সচিব পদে।

    ছাব্বিশের আগে কোমর বাঁধছে কমিশন

    আগামী বছরে বাংলায় বিধানসভা ভোট। তা নজরে রেখেই কোমর বাঁধছে কমিশন। ইতিমধ্যেই কমিশনের তরফ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর, খুব বেশি হলে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসআইআর–এর (West Bengal SIR) প্রস্তুতি শেষ করতে হবে সব রাজ্যকে। অক্টোবরে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। তারপরই শুরু হবে এসআইআর। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ইতিমধ্যেই তিন জন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রয়েছেন। তার সঙ্গে আরও এক জনকে নিযুক্ত করা হল ওই পদে। আর যুগ্ম অফিসার পদে রয়েছেন দু’জন। তাঁদের মধ্যে এক জনের কয়েক দিনের মধ্যে বদলি হওয়ার কথা। সেই কারণেই নতুন এক জনকে ওই পদে আনা হল। এ ছাড়াও উপ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বাছাইয়ের জন্য নতুন প্যানেল চেয়েছে কমিশন (West Bengal SIR)।

    বিহারে প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা

    এদিকে, মঙ্গলবারই বিহারে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা (Bihar SIR) প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে রয়েছেন ৭.৪ কোটি ভোটার। বাদ পড়েছে প্রায় ৪৮ লাখ ভোটারের নাম। জুন মাসে বিহারের ভোটার তালিকায় মোট ৭.৮৯ কোটি ভোটারের নাম ছিল। সমীক্ষার প্রথম ধাপে যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছিল, তাতে অন্তত ৬৫ লাখ নাম বাদ পড়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রিভিশনের পর খসড়া তালিকায় না থাকা আরও ২১ লক্ষ ৫৩ হাজার মানুষের নাম ভোটার তালিকায় সংযোজন করা হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকায় রিভিশনের সময় বাদ গিয়েছেন আরও ৩ লক্ষ ৬৬ ভোটার। সব মিলিয়ে গোটা এসআইআর প্রক্রিয়ায় নাম বাদ গেল ৪৭ লক্ষ ভোটারের। কমিশনের (Election Commission of India) দাবি এরা সকলেই হয় মৃত নয় অবৈধ ভোটার।

  • Modi Maa Durga Aarti: সকলের সুখ ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনায় অষ্টমী সন্ধ্যায় দিল্লিতে মা দুর্গার আরতি করলেন মোদি

    Modi Maa Durga Aarti: সকলের সুখ ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনায় অষ্টমী সন্ধ্যায় দিল্লিতে মা দুর্গার আরতি করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নবরাত্রি (Navratri)৷ দুর্গাপুজোর নবমী (Maha Navami) তিথি পড়ে গিয়েছে৷ এই আবহে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর চিত্তরঞ্জন পার্কের দুর্গাপুজোর মণ্ডপে দেবী দর্শনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi Maa Durga Aarti)৷ করলেন আরতি-প্রার্থনা৷ তিনি নিজে পুজো মণ্ডপে আরতি করার ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ রাজধানীর বুকে সিআর পার্ক (PM Modi CR Park Puja) একখণ্ড ‘বঙ্গভূমি’ বলেই পরিচিত৷ দিল্লিতে পুজোর সময় বাঙালিদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য হয়ে ওঠে সিআর পার্কের পুজো৷ এই পুজো ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠে দিল্লি৷ শহরের বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালি এবং অন্য ভাষাভাষিরাও এখানে আসেন৷ এবার এই পুজোয় সামিল হলেন প্রধানমন্ত্রী৷

    দুর্গামণ্ডপ ও কালীবাড়িতে আরতি মোদির

    দু’দিন আগে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল কলকাতার দুর্গাপুজোর কথা। মহাষ্টমীর রাতে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি হাজির হলেন রাজধানীর দুর্গাপুজোর মণ্ডপে। নয়াদিল্লির প্রখ্যাত বাঙালি মহল্লা চিত্তরঞ্জন পার্কের মণ্ডপে গিয়ে মঙ্গলবার পূজাপাঠ করলেন প্রধানমন্ত্রী (Modi Maa Durga Aarti)। এদিন সন্ধ্যায় পদ্মফুল হাতে নিয়ে পুজোয় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। নিজে হাতে দেবীর আরতি করেন তিনি। ভক্তিভরে প্রণাম করেন দেবীকে। মহিলারা উলুধ্বনি ও শঙ্খ বাজিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। সঙ্গে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এবং স্থানীয় বিজেপি সাংসদ বাঁশুরী স্বরাজ। পাশাপাশি, চিত্তরঞ্জন পার্কের কালীবাড়িতে মা কালীকেও এদিন আরতি করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এই প্রথমবার চিত্তরঞ্জন পার্কের দুর্গাপুজোয় হাজির থাকলেন নরেন্দ্র মোদি।

    সমাজমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর

    প্রথমে কথা ছিল ষষ্ঠীতে সিআর পার্কের পুজোয় আসবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। এরপর এসপিজি, দিল্লি পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেডের তরফ থেকে চিত্তরঞ্জন পার্কের কালীমন্দিরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানানো হয় ৩০ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমীর দিন আসবেন মোদি। দুর্গামণ্ডপ এবং কালীবাড়িতে নিজের উপস্থিতির ছবি এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেন মোদি। ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নেন তার ভিডিও। সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বাংলাতে পোস্টও করেন। লেখেন, ‘‘আজ মহাষ্টমীর পুণ্যদিনে আমি দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের দুর্গাপুজোয় অংশ নিতে গিয়েছিলাম। চিত্তরঞ্জন পার্ক, বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আমাদের সমাজের ঐক্য ও সাংস্কৃতিক প্রাণময়তার প্রকৃত রূপ ফুটে ওঠে এই অনুষ্ঠানগুলিতে। সকলের সুখ ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করেছি আমি (Modi Maa Durga Aarti)।’’

  • Durga Puja 2025: নবমী মানেই বাঙালির হেঁশেলে মটন চাই-ই! তবে খেয়াল রাখুন শরীরটারও

    Durga Puja 2025: নবমী মানেই বাঙালির হেঁশেলে মটন চাই-ই! তবে খেয়াল রাখুন শরীরটারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেটপুজো ছাড়া যে কোনও পুজো (Durga Puja 2025) অসম্পূর্ণ। আর নবমী (Maha Navami) মানেই বাঙালি ঘরে মটন মাস্ট। কচি পাঁঠার ঝোল বা কষা খাসির মাংস-দুটোই সমান জনপ্রিয়। তবে যে যে বাড়িতে পুজো হয় বা যাঁরা নবরাত্রি পালন করেন তাঁরা নবমীর (Navami) মটনটা অন্যদিন চেখে নেন। তবে একথাও ভুলে গেলে চলবে না যে, নবমীর দুপুরে (Navami Lunch Menu) জমিয়ে ভুরিভোজ করার পর ফেঁপে যেতে পারে পেট। শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাওয়ার আগে একটু সচেতন হলেই হল।

    কারা সতর্ক হবেন

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটনের যে কোনও পদ সহজপাচ্য হয় না। এটি চর্বিযুক্ত মাংস। তাই কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। হৃদরোগীদের মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, মটনে থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট আর এই প্রাণীজ প্রোটিন, যা হজম করাও বেশ কঠিন। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। পাশপাশি যাদের কোলেস্টেরল আছে, তাদের ক্ষেত্রেও মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকছে (Durga Puja Food)। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটন খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আরও তৈরি হয়। তাই মটনে না হোক, হাই কোলেস্টেরলে আক্রান্তদের সতর্ক হতেই হবে। রক্তচাপ যাদের বেশি তাদের একেবারেই মটন খাওয়া যাবে না বলে সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। মটনের অতিরিক্ত চর্বি রক্তচাপ বাড়ায়।

    খেতে হলে অল্প খান

    বছরের বিশেষ দিনে (Durga Puja 2025) অনেক সময়ই নিয়মের বাইরে খাওয়া চলে। নবমীর (Maha Navami) দিন একেবারেই মটন মেনু থেকে বাদ দেওয়াও হয়তো কঠিন। কিন্তু কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। হৃদরোগ কিংবা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তরা কখনই দুই পিসের বেশি মটন খাবেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পরিমিত খাবার খুব জরুরি। তাই খুব সামান্য পরিমাণে খেলে অনেক ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা কমে। নবমীতে ভারী খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে পুজোর অন্য দিনগুলোতে সহজপাচ্য, কম ফ্যাট জাতীয় খাবারের পরিকল্পনা করা জরুরি।

  • Durga Puja 2025: নবদুর্গার নবম রূপ, মহানবমীতে পূজিতা হন দেবী সিদ্ধিদাত্রী, জানুন মাহাত্ম্য

    Durga Puja 2025: নবদুর্গার নবম রূপ, মহানবমীতে পূজিতা হন দেবী সিদ্ধিদাত্রী, জানুন মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের (Durga Puja 2025) সূচনা হয়। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্ল প্রতিপদ তিথি থেকে শুরু হয় নবরাত্রি (Navratri 2025)। যা চলে দুর্গা নবমী পর্যন্ত। এই নবরাত্রিতে দেবী দুর্গা নয়টি ভিন্ন রূপে পূজিতা হন। নবদুর্গার (Nabadurga) এই নয়টি রূপ হল— দেবী শৈলপুত্রী, দেবী ব্রহ্মচারিণী, দেবী চন্দ্রঘণ্টা, দেবী কুষ্মাণ্ডা, দেবী স্কন্দমাতা, দেবী কাত্যায়নী, দেবী কালরাত্রি , দেবী মহাগৌরী এবং দেবী সিদ্ধিদাত্রী (Devi Siddhidatri)।

    নবরাত্রির (Navratri 2025) শেষ দিনে পূজিতা হন দেবী সিদ্ধিদাত্রী (Durga Puja 2025)। এই দেবী মা দুর্গার নবম রূপ বলে পরিগণিত হন। ভক্তদের বিশ্বাস মতে, দেবী সিদ্ধিদাত্রী দেবাদিদেব মহাদেবের শরীরের অংশ। তাই তিনি অর্ধনারীশ্বর নামেও প্রসিদ্ধ। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মহাবিশ্ব যখন তৈরি হয়নি, চারদিকে যখন ঘন অন্ধকার ছিল, প্রাণের চিহ্ন যখন কোথাও ছিল না, তখন একটি দৈব আলোকরশ্মি নারীমূর্তির আকার ধারণ করতে থাকে। ইনিই দেবী মহামায়া, মহাশক্তি। এই আদি দেবীর থেকেই জন্ম হয়েছিল ত্রি শক্তির-ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। বিশ্ব বা জগত সংসার পরিচালনার জন্য এই আদিমাতা ত্রিদেবকে দায়িত্ব দেন। এর পরে মহাসাগরের তীরে বসে বহু বছর ধরে মহামায়ার তপস্যায় রত ছিলেন ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। তপস্যায় প্রসন্না হয়ে দেবী তাঁদের সামনে ‘সিদ্ধিদাত্রী’ রূপে (Devi Siddhidatri) প্রকট হন।

    অসুরবধের আনন্দে নবমী তিথিতে মেতে ওঠেন দেবতারা

    অসুরবধের আনন্দে নবমী তিথিতে (Durga Puja 2025) কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে দেবীর বন্দনায় মেতে উঠেছিলেন দেবতারা। এখানেই নবমী পুজোর মাহাত্ম্য বা গুরুত্ব বলে পণ্ডিতদের ধারণা রয়েছে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এদিন তাই দেবীর সম্পূর্ণ পুজো সম্পন্ন হয়। এই তিথিতেই বলি, হোম, কুমারী পুজো এবং ষোড়শ উপাচারের বিধান আছে। দেবীকে প্রসন্ন করতে নৈবেদ্যতে তিল নিবেদন করার রীতি দেখা যায়। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী সিদ্ধিদাত্রীর (Devi Siddhidatri) কৃপায় জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় এবং সফলতা আসে জীবনে‌। মাতা সিদ্ধিদাত্রী ভগবান ব্রহ্মাকে বিশ্বস্রষ্টার স্রষ্টা, ভগবান বিষ্ণুকে সৃষ্টি ও জগত রক্ষার ভূমিকা এবং দেবাদিদেব মহাদেবকে প্রয়োজন হলে জগৎ ধ্বংস করার ভূমিকা প্রদান করেন। ভক্তদের (Durga Puja 2025) আরও বিশ্বাস, দেবী সিদ্ধিদাত্রী পরবর্তীতে সরস্বতী, লক্ষ্মী এবং মাতা পার্বতী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সিদ্ধিদাত্রী মাতা সর্বদাই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের সঙ্গে শক্তি হিসেবে আছেন, এটা বোঝাতেই তিনি এই ত্রিদেবের পত্নী রূপে অবস্থান করেন‌। পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, দেবী সিদ্ধিদাত্রী (Devi Siddhidatri) জগৎ পরিচালনা, পালন এবং সংহারের জন্য অলৌকিক ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন এই ত্রিদেবকে। অতিপ্রাকৃত এই আটটি শক্তিকে মার্কণ্ডেয় পুরাণে অষ্টসিদ্ধি বলা হয়েছে যা দেবী সিদ্ধিদাত্রী দেন।

    সিদ্ধি আট প্রকারের-

    অণিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহকে আকারে ছোট করা যায়।
    মহিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহকে অসীম প্রসারিত করা যায়।
    গরিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহকে অকল্পনীয় ভারী করা যায়।
    লঘিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহ ভারহীন হয়ে যায়।
    প্রাপ্তি: এই শক্তির দ্বারা সর্বভূতে বিরাজ করা যায়।
    প্রাকাম্য: এই শক্তির দ্বারা সমস্ত মনের কামনা পূর্ণ করা যায়।
    ঈশিত্ব : এই শক্তির দ্বারা প্রভুত্ব স্থাপন করা যায়।
    বশিত্ব: এই শক্তির দ্বারা সকলকে পরাধীন রাখা যায়।

    ভক্তদের বিশ্বাস, মার্কণ্ডেয় (Durga Puja 2025) পুরাণ অনুসারে যে ৮ প্রকার সিদ্ধি মাতা সিদ্ধিদাত্রী ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরকে প্রদান করেছিলেন, মহানবমীর (Navratri 2025) দিন মাতা সিদ্ধিদাত্রীর আরাধনা করলে ভক্তদের মধ্যে এই সকল শক্তির প্রবেশ ঘটে।

  • Puja Weather Update: মহাষ্টমীর দুপুরে বৃষ্টি শুরু কলকাতায়, নিম্নচাপের জেরে ভাসতে পারে নবমী-দশমী!

    Puja Weather Update: মহাষ্টমীর দুপুরে বৃষ্টি শুরু কলকাতায়, নিম্নচাপের জেরে ভাসতে পারে নবমী-দশমী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠী-সপ্তমীতে বিরতি দিয়ে অষ্টমীতে ফের শুরু হল বৃষ্টির ইনিংস।

    মহাষ্টমীর দুপুরে বৃষ্টি

    মহাষ্টমীর (Maha Ashtami) সকাল শুরু হয়েছিল শরতের রোদ ঝলমলে আকাশে। সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছিল পুষ্পাঞ্জলী। তবে, মহাষ্টমীর দুপুরে শহরে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েই রেখেছিল আবহাওয়া দফতর। সেই মতো, বেলা ১২টার কিছুটা পর থেকেই কলকাতায় শুরু হয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২-৩ ঘণ্টা হবে এই বৃষ্টিপাত। একইসঙ্গে, তাদের পূর্বাভাস, দক্ষিণ কলকাতায় বেশি পরিমাণে হবে বর্ষণ। পাশাপাশি, দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলাতেও মাঝারি বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। এই জেলাগুলি হল পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ এব‌ং পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলাগুলির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    আবহাওয়ার পূর্বাভাস

    এদিকে, হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, বর্তমানে একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রয়েছে খাম্বাত উপসাগরের কাছে। তার সঙ্গে জোড়া অক্ষরেখা দক্ষিণ গুজরাট থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। একইসঙ্গে ৩০ সেপ্টেম্বর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি ঘনীভূত হয়ে ১ অক্টোবর নাগাদ নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই নিম্নচাপটি ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে আসতে পারে, এমন সম্ভাবনা আছে। ফলে নবমী থেকে দশমী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গজুড়ে আবহাওয়া পাল্টে যাবে বলে আশঙ্কা।

    ভাসবে নবমী-দশমী?

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, নবমী থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দশমীতে অতি ভারী বৃষ্টিতে ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলা। দশমীর দিন ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি চলবে। ওই দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। ওই চার জেলার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    উত্তরবঙ্গেও দুর্যোগ!

    দক্ষিণবঙ্গে যখন বৃষ্টিপাত হবে, উত্তরবঙ্গে আবার দুর্যোগের আশঙ্কা। সেখানে দার্জিলিং-সহ পার্বত্য পাঁচ জেলাতে রয়েছে দুর্যোগের আশঙ্কা। ভারী বৃষ্টি দেখা যাবে মালদহ, দুই দিনাজপুরে। এই ভাবে ঝড়-বৃষ্টি-বাদল নিয়ে কাটাতে হবে শুক্রবার পর্যন্ত। চলতি সপ্তাহের শনিবার থেকেই কমবে বৃষ্টিপাত। রবিবার একেবারে হালকা হয়ে যেতে পারে বৃষ্টি।

  • Surya Kumar Yadav: ‘‘দেখলাম আমাদের ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেল’’, ক্ষোভ উগরে দিলেন সূর্য

    Surya Kumar Yadav: ‘‘দেখলাম আমাদের ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেল’’, ক্ষোভ উগরে দিলেন সূর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের ফাইনালের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানকে ঘিরে ঘটে যাওয়া ট্রফি-বিতর্ক (Asia Cup Final Drama) চলছিলই। এবার তাতে নতুন মাত্রা যোগ করলেন চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (Surya Kumar Yadav)। বললেন, ‘‘দেখলাম, ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেল ওরা।’’

    ‘‘ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেল ওরা’’

    পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হলেও হাতে ট্রফি পায়নি। ম্যাচের পরে এই বিতর্কিত পরিস্থিতিতে সূর্যকুমার যাদব (Surya Kumar Yadav) আর তাঁর দলকে ট্রফি ছাড়াই উদযাপন করতে দেখা গিয়েছিল। আর এবার সেই ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললে ‘স্কাই’। ট্রফি বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমরা মোটেও দরজা বন্ধ করে দিইনি। ড্রেসিংরুমের ভিতরেও বসে থাকিনি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কাউকে অপেক্ষাতেও রাখিনি। জটলার মধ্যে কেউ কেউ চিৎকার করতে শুরু করে। তার পরেই ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেল ওরা। এটাই আমি দেখেছি। কিছু লোক আমাদের ভিডিও করেছে। তবে আমরা ড্রেসিং রুমের ভিতরে যাইনি।’’

    ‘‘মাঠে দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি’’

    পিসিবি প্রধান ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভির (Mohsin Naqvi) কাছ থেকে ট্রফি চায়নি ভারতীয় দল। সেটা ফের একবার পরিষ্কার করে দেন সূর্য (Surya Kumar Yadav)। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমেই আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, পুরো টুর্নামেন্টে সরকার বা বিসিসিআইয়ের কেউ আমাদের এমন কিছু বলেনি যে, কেউ যদি ট্রফি দেয় তবে আমরা তা নেব কি নেব না। আমরা নিজেরাই মাঠে দাঁড়িয়ে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ তিনি জানান, কেবল তিনি নন, দলের বাকি খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফও একই মত পোষণ করেছিলেন। এর পরে যা ঘটেছে, তা দেখেছে গোটা বিশ্ব। ভারতীয় দল ট্রফি হাতে না পেলেও সাজঘরে নিজেদের মতো করে উদযাপন করেছে। সূর্যকুমার হাসতে হাসতে বলেন, “আমরা সবাই মিলে এআই ট্রফি বানালাম। কাপ না পেলেও ক্রিকেটে আমরা যা করেছি, সেটাই আমাদের প্রকৃত পুরস্কার।”

    ট্রফি রয়েছে নকভির জিম্মায়!

    এদিকে, বিসিসিআইয়ের (BCCI) দৃঢ় বিশ্বাস, ট্রফি রয়েছে মহসিন নকভির ব‍্যক্তিগত জিম্মায়। ভারতীয় বোর্ডের এক কর্তা জানান, সেদিন দেখা যায়, নকভি যখন মাঠ ছাড়ছেন, তখন একটি রুপোলি মোড়কে ট্রফি নিয়ে তাঁর পিছন পিছন আসছেন এসিসির কয়েক জন কর্তা। নকভি পাকিস্তানের মন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম‍্যান। জানা যাচ্ছে, এশিয়া কাপের ট্রফি রয়েছে দুবাইয়ে এসিসি-র সদর দফতরে। এটি দুবাইয়ের যে স্টেডিয়ামে ফাইনালে হল, সেখান থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে। এই বিল্ডিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সদর দফতরের সমনে। এদিকে, সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, আয়োজকদের নকভি জানিয়েছেন, ভারতীয় দল তাদের পদক পেতে পারে। এমনকি ট্রফিও তারা পাবে। তবে সেই পদক এবং ট্রফি দু’টিই নকভি নিজের হাতে ভারতের হাতে তুলে দিতে চান। তার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলেছেন তিনি। এই মুহূর্তে ভারতীয় বোর্ড (Surya Kumar Yadav) যে অবস্থান নিয়েছে, তাতে এ ধরনের অনুষ্ঠানে তাদের আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই (Asia Cup Final Drama)। ভারতীয় বোর্ড এই নিয়ে মঙ্গলবার দুবাইয়ের বৈঠকে প্রতিবাদ জানাবে বলে জানা গিয়েছে। এখানেই থামছে না বোর্ড। নভেম্বরে আইসিসির বৈঠকেও বিষয়টি তুলবে বিসিসিআই।

  • Durga Puja 2025: সন্ধিপুজোয় লাগে ১০৮টি পদ্ম, জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ, কী এর মাহাত্ম্য?

    Durga Puja 2025: সন্ধিপুজোয় লাগে ১০৮টি পদ্ম, জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ, কী এর মাহাত্ম্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ধিপুজোর (Sandhi Puja) সময় দেবীকে চামুণ্ডা রূপে পুজো করা হয়। তাই, দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল সন্ধিপুজো। বলা হয়, অষ্টমী এবং নবমীর সন্ধিক্ষণের এই পুজোয় সারা বছর বিশেষ ফল লাভ হয়। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট এই ৪৮ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয় সন্ধিপুজো। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেকগুলি নিয়মকানুন এবং রীতিনীতি। যার মধ্যে অনেক নিয়ম অনেকেরই অজানা।

    কেন সন্ধিপুজোয় ব্যবহার করা হয় ১০৮টি পদ্ম ফুল? (Durga Puja 2025)

    পূরাণ মতে, দেবী দুর্গা আবির্ভূত হন অষ্টমী ও নবমী তিথির মিলনক্ষণেই, দেবী চামুণ্ডা রূপে। চন্ড ও মুন্ড নামক দুই ভয়ানক অসুরকে এই সন্ধিক্ষণে বধ করেছিলেন দেবী। অন্যদিকে কৃত্তিবাসের রামায়ণে উল্লেখ আছে, রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করার জন্য আশ্বিন মাসেই রামচন্দ্র অকাল বোধন করেন। সেখানেও সন্ধিপুজোর (Durga Puja 2025) বিশেষ তিথিতে দেবীকে ১০৮টি পদ্ম নিবেদন করা হয়। সেই সময় হনুমানকে দেবীদহ থেকে ১০৮টি পদ্ম ফুল তুলে আনতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে পাওয়া যায় ১০৭টি পদ্ম। তখন রাম নিজে তাঁর পদ্ম সমান নেত্র দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন দেবী আবির্ভূত হয়ে বরদান করেন যে, তিনি রাবণের থেকে নিজের সুরক্ষা সরিয়ে নেবেন। পদ্ম পবিত্রতার প্রতীক। পাঁকে জন্মালেও তার গায়ে কাদা লাগে না। সেরকমই বাইরের খারাপ মানুষের অন্তরকে যাতে ছুঁতে না পারে, তার উদ্দেশ্যেই দেবীর পায়ে পদ্ম সমর্পণ করা হয়।

    কেন জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ?

    হিন্দু সংস্কৃতিতে, ১০৮ সংখ্যাটির গুরুত্ব কম নয়। দেবতাদের জপ করা হয় ১০৮টি নামের মধ্য দিয়ে। কৃষ্ণের অষ্টতর শত নামের মাহাত্ম্য সকলের জানা। আবার আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী মানব শরীরে রয়েছে ১০৮টি পয়েন্ট। দুর্গাপুজোতেও (Durga Puja 2025) ১০৮টি পদ্মের পাশাপাশি ১০৮টি প্রদীপ জ্বেলে দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয় অন্ধকার মুছে মানুষকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়ার। ১০৮ প্রদীপের আলো অজ্ঞতা ও অশুদ্ধতা বিনাশ করে।

  • Durga Puja 2025: মহাষ্টমী ও নবমীর সংযোগ মুহূর্তে কেন হয় সন্ধি পুজো? কী ফল মেলে?

    Durga Puja 2025: মহাষ্টমী ও নবমীর সংযোগ মুহূর্তে কেন হয় সন্ধি পুজো? কী ফল মেলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাষ্টমীর (Durga Puja 2025) শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট, এই মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হয় সন্ধিপুজো (Sandhi Puja)। অষ্টমী থেকে নবমীর সংযোগ মুহূর্তে কোনও এক উদ্যোক্তা ‘জয় মা’ ধ্বনি তোলেন। বাড়ি থেকে পাড়ার পুজো সবেতেই কমবেশি এই রীতি দেখা যায়।

    কেন হয় সন্ধিপুজো? (Durga Puja 2025)

    ১০৮টি পদ্ম এবং ১০৮টি মাটির প্রদীপ সহযোগে সম্পন্ন হয় সন্ধি পুজো। প্রথা অনুযায়ী সন্ধি পুজোয় (Sandhi Puja) দেবী দুর্গাকে পুজো করা হয় চামুণ্ডা রূপে। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, যখন মহিষাসুরের (Durga Puja 2025) সঙ্গে দেবী যুদ্ধ করছিলেন, সেই সময় চণ্ড ও মুণ্ড দেবীকে আক্রমণ করেছিল। চণ্ড ও মুণ্ড ছিল মহিষাসুরের দুই সেনাপতি। তাদের দেবী দুর্গা বধ করেছিলেন। সেই থেকে দেবীর নাম হয় চামুণ্ডা। ভক্তদের বিশ্বাস, চণ্ড ও মুণ্ডকে যে সন্ধিক্ষণে দেবী বধ করেছিলেন, সেই ক্ষণেই সন্ধি পুজোর আয়োজন করা হয়।

    দেবী কালিকার জন্ম আখ্যান

    আবার অন্য একটি পৌরাণিক (Durga Puja 2025) মতে, এই সন্ধিপুজোর সন্ধিক্ষণে দেবী কালিকার জন্ম হয়েছিল মাতা অম্বিকার তৃতীয় নয়ন থেকে। পরাক্রমশালী অসুর রক্তবীজের প্রতিটি রক্তবিন্দু থেকে নতুন অসুরের জন্ম হত। রক্তবীজের সমস্ত রক্ত দেবী কালিকা পান করেছিলেন বলে পৌরাণিক কাহিনিতে উল্লেখ রয়েছে। এই সন্ধিক্ষণে ক্ষণিকের জন্য হলেও দেবীর অন্তরের সমস্ত স্নেহ-মমতার অবসান ঘটে বলে মনে করা হয়। এজন্য সন্ধিপুজো চলাকালীন দেবীর দৃষ্টির সামনে কাউকে যেতে দেওয়া হয় না। দৃষ্টিপথ পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

    সন্ধিপুজোয় (Sandhi Puja) কী ফল মেলে জানেন?

    প্রথা অনুযায়ী সন্ধিপুজোয় পুজোর শেষ ধাপ (Durga Puja 2025) অর্থাৎ শেষ ২৪ মিনিটে বলিদান সম্পন্ন হয়। সাধারণত ছাগলের পাশাপাশি কোনও কোনও জায়গায় আখ, কলা, চালকুমড়ো ইত্যাদিও দেবীকে বলি দেওয়া হয়ে থাকে। কথিত আছে, সংযমী হয়ে ভক্তি ভরে নিষ্ঠার সঙ্গে উপবাসী থেকে সন্ধিপুজো করলে যমের হাত থেকেও মুক্তি মেলে। অর্থাৎ মৃত্যুর সময় দেবীর কৃপায় যমের স্পর্শও রোখা যায়। আবার বলা হয়, নিষ্ঠা এবং ভক্তির সঙ্গে সন্ধিপুজো করলে যে ফল পাওয়া যায়, তা সারা বছর পুজোয় ফললাভের সমকক্ষ।

  • Lawrence Bishnoi: বিষ্ণোই গ্যাংকে ‘জঙ্গি সংগঠন’ তকমা দিল কানাডা, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা?

    Lawrence Bishnoi: বিষ্ণোই গ্যাংকে ‘জঙ্গি সংগঠন’ তকমা দিল কানাডা, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে কুখ্যাত বিষ্ণোই গ্যাংকে (Lawrence Bishnoi) ‘জঙ্গি সংগঠন’ তকমা দিল কানাডা। সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় কানাডার জননিরাপত্তামন্ত্রী গ্যারি আনন্দাসাঙ্গারী ঘোষণা করেন, সেদেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে বিষ্ণোই গ্যাং। এমনকি, কানাডার মাটিতে খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের জন্যও বিষ্ণোই গ্যাংকে কাঠগড়ায় তুলেছে সে দেশের সরকার। এ ঘোষণার ফলে কানাডায় থাকা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নগদ টাকা, যানবাহন ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যাবে। অনেকে একে ভারত-কানাডা সম্পর্কে (India-Canada Relation) পুনর্গঠনের আভাস হিসেবে দেখছেন।

    কী বলেছে কানাডা সরকার?

    বিবৃতি দিয়ে গ্যারি বলেছেন, ‘‘বিষ্ণোইয়ের দলের (Lawrence Bishnoi) কার্যকলাপ দেশ এবং দেশের বাইরে ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছে। তাদের অসামাজিক কাজে এবার লাগাম দেওয়া দরকার। তাই তাদের জঙ্গি ঘোষণা করে আমরা সামগ্রিকভাবে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করছি। কানাডার মাটিতে হিংসা ও আতঙ্কের কোনও জায়গা নেই। সেই কারণেই কানাডার সরকার বিষ্ণোই গ্যাংকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করল।” কানাডার অপরাধদমন আইন অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ফলে, কানাডার আইন অনুযায়ী, এখন থেকে কোনও কানাডীয় নাগরিক বা বিদেশে থাকা কেউ যদি জেনে বুঝে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত সম্পত্তির সঙ্গে লেনদেন করে, তবে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

    কী কী অভিযোগ বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে?

    খুন, সুপারি কিলিং, লুঠতরাজ, তোলাবাজি-সহ একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের (Lawrence Bishnoi) বিরুদ্ধে। মূলত কানাডাকে ঘাঁটি করে নিজেদের কার্যকলাপ চালায় এই গোষ্ঠীর মূল পান্ডা বলে পরিচিত লরেন্স বিষ্ণোই। কানাডার ব্যবসায়ী, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের হুমকি দিয়ে তোলা আদায়ের অভিযোগও করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক গুলিচালনার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে বিষ্ণোই গ্যাং। ভারতে সলমন খান, দিশা পাটানির বাড়িতে গুলি চালনার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে বিষ্ণোই গ্যাং (Lawrence Bishnoi)। কানাডায় কপিল শর্মার ক্যাফেতেও দুইবার গুলি চালিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। সিধু মুসেওয়ালা খুনেও অভিযুক্ত লরেন্স বিষ্ণোই। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি খুনেও অভিযুক্ত বিষ্ণোই গ্যাং। তবে কানাডায় গা ঢাকা দেওয়ায় বিষ্ণোই গ্যাং কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর তা নিয়েই নয়াদিল্লির সঙ্গে জাস্টিন ট্রুডো সরকারের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে।

    সুবিধা হবে ভারতের…

    তবে আজকে কানাডার এ সিদ্ধান্তকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। অনেকে একে ভারত-কানাডা সম্পর্কে (India-Canada Relation) পুনর্গঠনের আভাস হিসেবে দেখছেন। কানাডা সরকারের এই পদক্ষেপের জেরে লরেন্স বিষ্ণোইকে (Lawrence Bishnoi) বাগে আনতে সুবিধা পেতে পারে নয়াদিল্লি। তবে প্রশ্ন উঠছে, এভাবে কি ভারতের সঙ্গে সম্প্রতি তিক্ত হওয়া সম্পর্ক মেরামত করতে চাইছে কানাডা?

LinkedIn
Share