Tag: মাধ্যম

  • Weight Gain Problem: উৎসবের পরে বেড়েছে ওজন! দীপাবলির আগে কোন দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে?

    Weight Gain Problem: উৎসবের পরে বেড়েছে ওজন! দীপাবলির আগে কোন দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের রেশ এখনো কাটেনি! বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো শেষ হলেও, উৎসবের মরসুম কিন্তু হাজির! আর মাত্র কয়েক দিন! আর তারপরেই দীপাবলির উৎসবে মেতে উঠবেন আমজনতা! দীপাবলি আর ভাইফোঁটা! বছরের এই দুই উৎসবে বাঙালি বাড়িতে বাড়তি আয়োজন! শহর হোক বা গ্রাম, কালীপুজো আর ভাইফোঁটা উপলক্ষে বাঙালির রান্নাঘরে বাড়তি আয়োজন চলে! গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা চলছে থাকে।‌ তাই দুর্গোৎসব আর দীপাবলির মাঝের দু’সপ্তাহে শরীরে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর সময় অনেকেই নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করেছেন‌।‌ রাত জেগে প্যান্ডেলে প্রতিমা দর্শন করেছেন। বন্ধুদের সঙ্গে দেদার আড্ডা আর খানাপিনা ও চলেছে! আর তার জেরে অনেকেই কাবু হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হজমের গোলমালে জেরবার অনেকেই। আবার কেউ কেউ বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। দীপাবলির উৎসবে মেতে ওঠার আগে, তাই কয়েক দিন শরীরের বাড়তি যত্ন জরুরি।

    কোন দিকে বাড়তি খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    নিয়মিত সকালে আধ-ঘণ্টা হাঁটা!

    উৎসবের মরশুমে শরীর সুস্থ রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সময়ে নিয়মিত সকালে আধ ঘণ্টা হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে হাঁটলে শরীরের একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ‌ হয়। ওজন ও ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ, কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে। সকালে হাঁটলে মানসিক চাপ কমে। ফলে শরীরের একাধিক হরমোন ঠিকমতো কাজ করে। এর জেরে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। পাশপাশি, সকালে হাঁটলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ও এড়ানো যায়। তাই পুজোর পেট পুজোর জেরে‌, যারা বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত, তাদের নিয়মিত সকালে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, দু’সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটলে তার প্রভাব শরীরে পড়বে।

    রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উৎসবের মরসুমে অনেকেই রাত জেগে থাকেন। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। একদিকে অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া, আরেকদিকে অপর্যাপ্ত ঘুম! এই দুই কারণেই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়াও একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে থাকে। দীপাবলির উৎসবের আনন্দ করার জন্য‌ এই কয়েকদিন তাই রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে মস্তিষ্ক, স্নায়ু এবং পেশির বিশ্রাম জরুরি। তাই প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। দুর্গাপুজোর সময়ে অনেকেই রাত জেগে ঠাকুর দর্শন করেন। তাই উৎসবের পরে শরীরে বাড়তি ক্লান্তিবোধ তৈরি হয়। এই সময় তাই মস্তিষ্কের বিশ্রামের প্রয়োজন। অতিরিক্ত রাত জেগে থাকার অভ্যাস বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে।

    কম তেলে রান্না খাবার প্রয়োজন!

    বাঙালির ভুরিভোজ মানেই মাছ, মাংসের হরেক পদ। আর তার সঙ্গে চলে ভাজাভুজি! আর তার জেরেই ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো বিপদ‌ তৈরি হয়। তাই সুস্থ থাকতে আপাতত ভুরিভোজে রাশ টানার পরামর্শ‌ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন খেলেও অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া চলবে না। বরং স্যুপ কিংবা স্টু জাতীয় পদ বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আর তেলে ভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেল ও মশলা ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি হজমের গোলমাল তৈরি করে।

    সব্জি আর ফলেই ভরসা রাখার পরামর্শ!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, হজমের গোলমাল এড়াতে এবং অন্যান্য রোগের দাপট কমাতে সব্জি এবং ফলের উপরেই ভরসা রাখা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, উৎসবের মরসুমে সুস্থ থাকতে নিয়মিত সব্জি এবং ফল খাওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, এই সময়ে অধিকাংশ বাঙালি অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খান। কিন্তু সেই অনুপাতে ফল আর সব্জি খাওয়া হয় না। আর তার জেরেই সমস্যা বাড়ে‌। নিয়মিত লেবু, পেয়ারা, কলা, নাশপাতি জাতীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন এগুলো অন্ত্রের জন্য ভালো। আবার এগুলো শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের জোগান দেয়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। তার পাশপাশি গাজর, পালং শাক, পটল, ঝিঙে লাউয়ের মতো সব্জি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের জোগান দেবে।‌ তাই শরীর সুস্থ থাকবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Air Force Day 2025: “সাহসিকতা, শৃঙ্খলা ও নির্ভুলতার প্রতীক”, বায়ুসেনা দিবসে আকাশ-যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    Air Force Day 2025: “সাহসিকতা, শৃঙ্খলা ও নির্ভুলতার প্রতীক”, বায়ুসেনা দিবসে আকাশ-যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুসেনা দিবসে বুধবার ভারতীয় বিমানবাহিনীর বীর যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির

    বুধবার সকালে সমাজ মাধ্যম এক্স-এ (পূর্বতন ট্যুইটার) এক বার্তায় রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, ভারতীয় বায়ুসেনা সর্বদা সাহস, অঙ্গীকার ও উৎকর্ষতা প্রদর্শন করে এসেছে। বায়ুসেনা দিবসে সমস্ত বিমান যোদ্ধা, প্রবীণ সৈনিক এবং তাঁদের পরিবারবর্গকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এক্স মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “ভারতীয় বায়ুসেনা সর্বদা সাহস, অঙ্গীকার ও উৎকর্ষতা প্রদর্শন করে এসেছে। আমাদের বিমান যোদ্ধারা আমাদের আকাশ রক্ষা করে ও দুর্যোগ এবং মানবিক অভিযানের সময় অক্লান্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের সেবা করে। আমাদের বায়ুসেনা শক্তি এবং প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি দিয়ে দেশকে গর্বিত করেছে। ভবিষ্যতের সমস্ত প্রচেষ্টায় সাফল্যের জন্য আমি ভারতীয় বায়ুসেনাকে আমার শুভেচ্ছা জানাই।”

    শুভেচ্ছা বার্তা প্রধানমন্ত্রীর…

    এক্স পোস্টে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “বায়ুসেনা দিবসে সমস্ত সাহসী বিমান যোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারবর্গকে শুভেচ্ছা। ভারতীয় বায়ুসেনা সাহসিকতা, শৃঙ্খলা ও নির্ভুলতার প্রতীক। বায়ুসেনা ভারতের আকাশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এমনকি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও তাঁদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তাঁদের প্রতিশ্রুতি, পেশাদারিত্ব এবং অদম্য মনোবল প্রতিটি ভারতীয়কে গর্বিত করে।”

    এদিন গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ারবেসে বুধবার অনুষ্ঠিত হল ভারতীয় বায়ুসেনার ৯৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিডিএস, স্থলবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধানরা। ঐতিহ্যবাহী বিমানগুলির দুর্দান্ত আকাশ প্রদর্শন এবং তিন বাহিনীর মার্চপাস্ট মন কেড়েছে উপস্থিত দর্শকদের।

    কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এদিন তাঁর ভাষণে বলেন, “ভারতীয় বায়ুসেনা আজ প্রযুক্তি, দক্ষতা ও সক্ষমতার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। আমি গর্বিত যে এমন এক বাহিনীর অংশ, যা কেবল আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত নয়, সাহস ও সমর্পণেও অতুলনীয়।” তিনি স্মরণ করান ১৯৪৮, ১৯৭১, ১৯৯৯-এর যুদ্ধ থেকে শুরু করে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক ও সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিন্ধুর’-এর মতো অভিযানে বায়ুসেনার অনন্য ভূমিকার কথা। তিনি বলেন, “আমাদের বীর সেনারা প্রতি ক্ষেত্রেই ইতিহাস তৈরি করেছেন। ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রতিরক্ষা এবং সম্মানের নতুন উদাহরণ স্থাপন করেছে।”

    এয়ার চিফ মার্শাল সিং জানান, ‘অপারেশন সিন্ধুর’-এ ভারতীয় বায়ুসেনার সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ দেশের কৌশলগত অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। তিনি বলেন, “এই অভিযান প্রমাণ করেছে যে নিবিড় প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে কত বড় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।” বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “নিয়মিত প্রশিক্ষণই আমাদের সক্ষম রাখে। প্রতিটি বায়ুযোদ্ধাকে অঙ্গীকার করতে হবে—পরিস্থিতি যাই হোক, আমি দুর্বল হব না, এবং আমাদের ঐক্য অটুট থাকবে।” ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সতর্কতা ও অবিরাম অনুশীলনই সাফল্যের চাবিকাঠি।”

  • Auto Immune Disease: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরকেই কাবু করবে না তো! তিন নোবেলজয়ীর কাজ ফের আলোচনায়

    Auto Immune Disease: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরকেই কাবু করবে না তো! তিন নোবেলজয়ীর কাজ ফের আলোচনায়

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শরীর সুস্থ রাখতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) জরুরি। তবে নিজের দেহের শক্তির রাশ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে বাড়বে বিপদ! নিজের দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি করবে জটিল সমস্যা। যার জেরে সুস্থ জীবন যাপন ব্যাহত হবে। তাই নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি যাতে বাড়তি বিপদ তৈরি না করে, এই শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে, অসুখের মোকাবিলা করা যায়, এ নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে চর্চা দীর্ঘকালের। গত প্রায় দু’দশক ধরে এই নিয়ে লাগাতার চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন তিন বিজ্ঞানী। ম্যারি ই ব্রুঙ্কো, ফ্রেড র‌্যাম্‌সডেল এবং শিমন সাকাগুচি, এই তিনজন মানব শরীরের ‘অটোইমিউন’ ডিজিজ নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেই গবেষণার জন্যই ২০২৫ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞান শাখায় এই তিনজন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী (Nobel Prize in Medicine) হয়েছেন।

    অটোইমিউন ডিজিজ (Autoimmune Disease) কী?

    ক্যান্সার কিংবা রিউমাটোয়েড আর্থারাইটিস, মানুষের শরীরে এমন নানান রোগ রোগ রয়েছে, যা অটোইমিউন ডিজিজ নামে পরিচিত। অর্থাৎ, নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তির জেরেই এই ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। নিজের শক্তির দ্বারাই জীবন শক্তি ক্ষয় হয়। অর্থাৎ নিজের দেহের বিভিন্ন সুস্থ কোষকে শরীর নিজেই আক্রমণ করে। ফলে নানান জটিল অসুখ দেখা দেয়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে এই ইমিউনিটি পাওয়ার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। অটোইমিউন ডিজিজ (Autoimmune Disease) থেকে মানব দেহকে বাঁচাতেও এই সম্পর্কে জ্ঞান অত্যন্ত জরুরি। দীর্ঘ দুই দশক ধরে এই তিন বিজ্ঞানী তাই চর্চা চালিয়েছেন মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি নিয়ে!

    কী বলছে গবেষণা?

    মানুষের শরীরকে প্রতি মুহূর্তে আক্রমণ করছে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক! চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেকটি জীবাণুর গঠন আলাদা রকম। মানুষের শরীরের ভিতরে থাকা রোগ প্রতিরোধ শক্তি এই আক্রমণ প্রতিহত করছে। তার ফলেই আমরা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারছি। কিন্তু বেশ কিছু জীবাণু এমন রয়েছে, যার গঠন সম্পূর্ণ নয়। কিংবা যার গঠন অনেকটাই আমাদের শরীরের ভিতরে থাকা প্রয়োজনীয় কোষের মতোই! ফলে তখন মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি দ্বিধায় পড়ছে। আর তখন তৈরি হচ্ছে অটোইমিউন ডিজিজ (Autoimmune Disease)। অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধকারী শক্তি ভুলবশত নিজের কোষের ক্ষয় করছে। ভাইরাস আর কোষের মধ্যে পার্থক্য করতে পারছে না।‌

    তবে এই তিন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর (Nobel Prize in Medicine) গবেষণায় দেখা যায়, মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি প্রক্রিয়ায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে টি-সেল নামে এক ধরনের কোষের! কোনটি ভাইরাস আর কোনটি শরীরের নিজস্ব কোষ, কার ক্ষয় জরুরি, এটি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে এই টি-সেল (T-Cell)। অর্থাৎ, টি-সেল কিংবা রেগুলেটরি টি-সেল জাতীয় কোষ দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে ঠিকমতো কাজে লাগানোর পথ দেখায়। যাতে নিজের শক্তি ভুলভাবে ক্ষয় না করে, প্রয়োজনীয় ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাজে লাগাতে পারে।

    এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণার মূল বিষয় ছিল পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স (Peripheral Immune Tolerance)! অর্থাৎ, শরীরের কিছু রোগ প্রতিরোধ শক্তিধারী কোষ বোন ম্যারো থেকে তৈরি হওয়ার সময় বুঝতে পারে, তাদের ইমিউনিটি পাওয়ার কোথায় ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু কিছু রোগ প্রতিরোধ শক্তিধারী কোষ তৈরি হয় শরীরের অন্যান্য অঙ্গে যেমন লিম্ফ গ্ল্যান্ডে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় পেরিফেরাল ইমিউন সিস্টেম। সেখানে বেশ কিছু কোষ থাকে, যা নিজের শক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকে না। ফলে অটোইমিউন ডিজিজ (Autoimmune Disease) হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই সিস্টেম সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল করেছে এই গবেষণা।

    চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য কেন নতুন দিশা?

    ক্যান্সার সহ একাধিক জটিল অটোইমিউন ডিজিজের চিকিৎসা কোন পথে হবে, এ নিয়ে নয়া দিশা দেখায় এই গবেষণা। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের নিজস্ব শক্তি যখন শরীরের বিপক্ষে চলে যায়, তখন কীভাবে বাইরে থেকে ওষুধ কাজ করবে, এ নিয়ে বহু ধোঁয়াশা ছিলো। কিন্তু এই গবেষণা পথ দেখিয়েছে। কীভাবে কোন কোষগুলোর সক্রিয়তা বাড়ালে এই ধরনের অটোইমিউন রোগের (Autoimmune Disease) মোকাবিলা করা যাবে। তাই এই গবেষণা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে নতুন পথ তৈরি করেছে!

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Encephalitis: দেশের ৫০ শতাংশ এনসেফালাইটিস আক্রান্ত পূর্ব ভারতেই! কেন বাড়ছে এই রোগ?

    Encephalitis: দেশের ৫০ শতাংশ এনসেফালাইটিস আক্রান্ত পূর্ব ভারতেই! কেন বাড়ছে এই রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশজুড়ে বাড়ছে বিপদ! চলতি বছরে উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে এনসেফালাইটিস (Encephalitis)! যা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে চিকিৎসক মহলে! সাম্প্রতিক সর্বভারতীয় সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশ জুড়ে এনসেফালাইটিস বেড়েছে (Encephalitis in India)। বিশেষত বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভাবে এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট এনসেফালাইটিস আক্রান্তের ৫০ শতাংশের বেশি রোগী এই কয়েকটি রাজ্যে দেখা যাচ্ছে। তাই এই রাজ্যগুলোতে এনসেফালাইটিস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সচেতন না হলে আগামী কয়েক বছরে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসক মহল।

    কেন এনসেফালাইটিস (Encephalitis) বাড়ছে?

    এনসেফালাইটিস হল মস্তিষ্কের প্রদাহ বা ফোলা। এনসেফালাইটিস সবার প্রথমেই মস্তিষ্কে প্রদাহ তৈরি করে। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এনসেফালাইটিস মূলত মশাবাহিত রোগ। মশার মাধ্যমেই এই রোগ সংক্রমিত হয়। জাপানি এনসেফালাইটিস মশার মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেক জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষত পূর্ব ভারতের (Encephalitis in India) রাজ্যগুলো যেমন পশ্চিমবঙ্গ, বিহার কিংবা ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে মশার প্রকোপ বেশি। এইসব জায়গায় ম্যালেরিয়া কিংবা ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা যায়। তেমনি এনসেফালাইটিসও (Encephalitis) ছড়িয়ে পড়ে। মশার দাপট বেশি থাকার জেরেই এই ধরনের রোগ সংক্রমণ বেশি হচ্ছে।

    আবহাওয়ার পরিবর্তন এই রোগ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন পরজীবী রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। এর ফলে বাতাসে ভাইরাসের চরিত্র বদল হচ্ছে। আবার ভাইরাসের সক্রিয়তা বাড়ছে। তাই এনসেফালাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে‌।‌ অপরিচ্ছন্নতাকেও এনসেফালাইটিস (Encephalitis) ছড়ানোর অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অপরিচ্ছন্ন জায়গায় মশার উপদ্রব বাড়ে। ফলে মশাবাহিত রোগের প্রকোপও বাড়ে।

    কাদের বিপদ বেশি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যেকোনও বয়সের মানুষ এনসেফালাইটিস (Encephalitis) রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি সকলের। তবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকলে, কো-মরবিটি বেশি থাকলে দুশ্চিন্তা বেশি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ। কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তুলনামূলক ভাবে কম থাকে। আবার ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে, কিডনি বা হৃদরোগের সমস্যায় ভুগলে তাদের ও এনসেফালাইটিস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। কারণ তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম হয়।

    এই রোগের লক্ষণ কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এনসেফালাইটিস (Encephalitis) রোগের প্রথম উপসর্গ হল জ্বর। দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। এর পাশাপাশি মাথা ব্যথা, খিঁচুনি, ঘাড়ে প্রবল যন্ত্রণার মতো উপসর্গ ও দেখা যায়। অনেক সময়েই আক্রান্তের স্মৃতিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। চিনতে অসুবিধা হওয়া, যে কোনও কাজে মনোসংযোগে সমস্যা হওয়া, কিংবা জ্ঞান হারানোর মতো উপসর্গ ও দেখা দেয়। এই রোগে সংক্রমিত হলে অনেকের আচরণগত পরিবর্তন দেখা দেয়। অর্থাৎ, কথা বলার ক্ষমতা কমে যায়। ক্লান্তিভাব বাড়ে। অনেক সময়েই রোগী তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ এনসেফালাইটিস একটি প্রাণঘাতী অসুখ হয়ে উঠতে পারে।

    কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এই রোগ সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করবে। এই রোগ মূলত মশাবাহিত। তাই মশার দাপট কমাতে পারলেই রোগের দাপট কমবে। তাই নিয়মিত এলাকা পরিষ্কার রাখা জরুরি। যাতে মশার জন্ম না হয়! তাহলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। আবার রোগ সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ (Encephalitis in India)। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগ প্রথম পর্বে চিহ্নিত করতে পারলে সংক্রমণ আটকানো সহজ হয়। আবার আক্রান্তের প্রাণঘাতী পরিস্থিতিও এড়ানো যায়। তাই এই রোগের যেকোনও একটি উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শারীরিক পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। তাতে রোগের জটিলতা কমতে পারে। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Kojagori Lakshmi Puja 2025: আজ আশ্বিন পূর্ণিমার লক্ষ্মীপুজো, জানেন কেন একে ‘কোজাগরী’ বলা হয়?

    Kojagori Lakshmi Puja 2025: আজ আশ্বিন পূর্ণিমার লক্ষ্মীপুজো, জানেন কেন একে ‘কোজাগরী’ বলা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে, আমার এ ঘরে থাকো আলো করে’— এই ছন্দেই বাঙালি ধনদেবীর আরাধনা করে থাকে। দেবীকে এই রীতিতে আবাহন করার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মী (Kojagori Lakshmi Puja 2025) পুজোর মাহাত্ম্য। শারদীয়া দুর্গাপুজোর অন্তে পূর্ণিমা তিথিতে পুজো হয় দেবী লক্ষ্মীর। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি ধন, ঐশ্বর্য, সমৃদ্ধি, সুখ ও শান্তি প্রদানকারী দেবী (Kojagori Puja)। বাংলার গৃহস্থ থেকে সমাজের বণিক বা ব্যবসায়ী, প্রত্যেকের কাছেই সাদরে পূজিতা হন দেবী। প্রতিমা ছাড়া শুধুমাত্র ঘট এবং অন্যান্য প্রতীকের মাধ্যমেও অনেক গৃহে দেবীর উপাসনা হয়। দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলিতেও কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো (Kojagori Lakshmi Puja 2025) নিশ্চয়ই আমাদের দৃষ্টি এড়ায় না। গ্রাম বাংলায় ধানের গোলা সমেত মাটির দেওয়ালের বাড়ি এখন আর সেভাবে দেখা যায় না। লক্ষ্মীপুজো (Lakshmi Puja) উপলক্ষে গোবরের গোলা এবং আলপনায় এই মাটির বাড়িগুলোই যেন সবথেকে বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠত।

    ‘কোজাগরী’ (Kojagori Puja) কেন বলা হয়?

    এবার আসা যাক, ‘কোজাগরী’ শব্দের আক্ষরিক বিশ্লেষণে। কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘কো জাগতী’ থেকে। এর অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ বিশ্বাস মতে, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর (Kojagori Lakshmi Puja 2025) দিনে ধন-সম্পদ-ঐশ্বর্য এর দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন এবং প্রতিটি ভক্তের বাড়ি গিয়ে সুখ, সমৃদ্ধি প্রদান করেন। কথিত আছে, এ ক্ষেত্রে যে বাড়ির দরজা খোলা থাকে, একমাত্র সেই বাড়িতেই প্রবেশ করেন দেবী (Lakshmi Puja)। কারও বাড়ির দরজা বন্ধ থাকলে, তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মী প্রবেশ করেন না ও সেখান থেকে ফিরে চলে যান। এ কারণে লক্ষ্মীপুজোর রাতে জেগে থাকার রীতি প্রচলিত আছে। সারা রাত জেগে লক্ষ্মী আরাধনাই এই পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এখানেই ‘কোজাগরী’ শব্দ এই লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে ওঠে। বাংলার প্রতিটি ঘর শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে, প্রদীপের আলোতে সুসজ্জিত থাকে।

    কোজাগরী পুজোর (Kojagori Puja) বিভিন্ন রীতি

    প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, দুর্গাপুজোর পরে এই বিশেষ পূর্ণিমার রাতে যে ব্যক্তি জেগে পাশা খেলেন, দেবী লক্ষ্মী তাঁকে ধনসম্পদ দান করেন। মূর্তি ছাড়াও নানান প্রতীকের মাধ্যমে দেবীকে কল্পনা করে পুজো করা হয়, এই বিশেষ পূর্ণিমার রাতে। গৃহস্থরা এই প্রতীকগুলির ভিন্ন ভিন্ন নামকরণও করেছেন, যেমন আড়ি লক্ষ্মী (Kojagori Lakshmi Puja 2025)। এ ক্ষেত্রে ধান ভর্তি ঝুড়ির ওপর কাঠের লম্বা দুটি সিঁদুর কৌটো লালচেলিতে মুড়ে লক্ষ্মীর রূপ দেওয়া হয়। “বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী”-বাণিজ্যের উপর মা লক্ষ্মীর কৃপা দৃষ্টি পেতে আবার কোন বণিক না চায়! তাই কলার পেটোর তৈরি নৌকা লক্ষ্মী (Lakshmi Puja) আরাধনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এগুলিকে সপ্ততরী বলা হয়। বাণিজ্যিক নৌকার প্রতীক এই সপ্ততরী। অনেকেই পুজোর সময় এই সপ্ততরীতে টাকা, শস্য, হরিতকি, কড়ি, হলুদ রাখেন।

    লক্ষ্মীপুজো করলে কী কী ফল মেলে?

    পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় লক্ষ্মীসরা বা পটচিত্র আঁকা হয়। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে এই সরায় অঙ্কিত পুতুলের সংখ্যাও বদল হয়ে যায়। কোথাও তিনটি, কোথাও পাঁচটি, কোথাও সাতটি পুতুল আঁকা হয়। এতে থাকে লক্ষ্মী, জয়া ও বিজয়া-সহ লক্ষ্মী, রাধাকৃষ্ণ, সপরিবার দুর্গা ইত্যাদি। সুরেশ্বরী সরা নামক এক প্রকারের সরা দেখা যায়, যেখানে মহিষাসুরমর্দিনী অর্থাৎ মা দুর্গা আঁকা থাকে। আর এই সরার নীচের দিকে থাকেন সবাহন লক্ষ্মী (Kojagori Lakshmi Puja 2025)। আবার কলার বের ও লক্ষ্মীর মুখ সমন্বিত পোড়া মাটির ঘটকেও লক্ষ্মী রূপে কল্পনা করে পুজো করা হয়। এই ঘটে চাল বা জল ভরে সেটিকে লক্ষ্মী কল্পনা করে পুজো করা হয়। অনেক জায়গায় গৃহস্থ কত্রীরা নিজেরাই এই পুজো করতে পারেন৷ শ্বেতপদ্ম ও শ্বেতচন্দন দ্বারা দেবী লক্ষ্মীর (Kojagori Puja) আরাধনা করা হয়। নৈবেদ্যতে ফলমূল তো রাখতেই হয়, বিশেষ ভাবে থাকে চিঁড়ে এবং নারকেল। আতপ চাল তো লাগেই। ঘরে ঘরে আলো জ্বেলে রাখা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে যে ঘরে আলো জ্বলে সেখানেই মা লক্ষ্মী পা রাখেন। মা লক্ষ্মীর (Lakshmi Puja) ঘটের সামনে কড়ি রাখা হয়। প্রতিটি দ্বারে আলপনা দেন গৃহস্থ কত্রীরা। লক্ষ্মী দেবীর ১০৮ নাম জপ করলে এবং কোজাগরী পূর্ণিমার দিন লক্ষ্মী পাঁচালি (Kojagori Lakshmi Puja 2025) পড়লে সৌভাগ্যের উদয় হয়, গৃহে সুখ, শান্তি, ধন, সম্পত্তি আসে বলেই ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে।

  • North Bengal Flood: কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা পেয়েই দুর্গতদের সহায়তায় মাঠে রাজ্য বিজেপি, সোমেই উত্তরবঙ্গে শমীক

    North Bengal Flood: কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা পেয়েই দুর্গতদের সহায়তায় মাঠে রাজ্য বিজেপি, সোমেই উত্তরবঙ্গে শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবির দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ আসতেই, উত্তরবঙ্গের দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ঝাঁপিয়ে পড়ল বঙ্গ বিজেপি। ত্রাণ ও উদ্ধারকাজের পাশাপাশি, সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের রাজ্যে ফেরানোর ক্ষেত্রেও সক্রিয় হয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবারই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

    রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় দল প্রস্তুত। একইসঙ্গে, বিজেপির স্থানীয় কর্মকর্তারাও দুর্গতদের সাহায্য করতে মাঠে নেমেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। অমিত শাহ বলেন, ‘‘দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তার সঙ্গে কথা বলেছি এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি। এনডিআরএফ-এর দলগুলি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, এবং প্রয়োজনে আরও দল তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মীরাও বিপর্যস্ত মানুষদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছেন।’’

    উত্তরের জেলা কমিটিগুলিকে ত্রাণ-উদ্ধারকাজে নামার নির্দেশ

    এর পর বিকেলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানান, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রতি মিনিটে পরিস্থিতির খবর নেওয়া হচ্ছে। এনডিআরএফ ও বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীরা উদ্ধারকাজে নেমেছেন, আর সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের সহায়তার জন্য ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে পাঠানো হয়েছে। শমীক জানান, উত্তরবঙ্গে বিজেপির সব জেলা কমিটিকে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেছেন, ‘‘আমাদের সীমিত সাধ্যের মধ্যে দিয়ে উত্তরবঙ্গে আমাদের দলের সমস্ত শাখাকে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সব জেলা ক্ষতিগ্রস্ত নয়, সেখানকার সমস্ত বিজেপি নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীরা উদ্ধারকার্যে নামবেন। আর আজ সন্ধ্যার পর থেকে আমাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। আমাদের সাধ্যমতো যতটা সহযোগিতা এবং ত্রাণ এই মুহূর্তে আমরা দিতে পারি, আমরা তার ব্যবস্থা করব।’’

    সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের ফেরাতে উদ্যোগ

    শুধু দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া নয়, ভিন্‌রাজ্যে আটকে পড়া পর্যটকদের রাজ্যে ফেরানোর ক্ষেত্রেও সক্রিয় হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপির নির্বাচন সহ-প্রভারী তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব রবিবার যোগাযোগ করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। শমীক বলেন, ‘‘বিপ্লবের ফোন পেয়ে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সচিবালয়ের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। তিনি বিপ্লবকে জানিয়েছেন যে, সিকিম থেকে পশ্চিমবঙ্গে যাতায়াতের একটি মাত্র রাস্তা আপাতত খোলা রয়েছে। বাকি সব রাস্তা দুর্যোগে বিপর্যস্ত। সেই একটিমাত্র অক্ষত রাস্তা দিয়েই যত দ্রুত সম্ভব বাঙালি পর্যটকদের নিরাপদে ফেরানোর জন্য সিকিম সরকার সচেষ্ট হচ্ছে।’’ সিকিম সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে বিজেপির তরফ থেকে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে বলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি জানিয়েছেন।

  • Darjeeling News: রাতভর বৃষ্টিতে দার্জিলিঙে ভয়াবহ ধস, মৃত অন্তত ১৭; মিরিকে ভাঙল সেতু

    Darjeeling News: রাতভর বৃষ্টিতে দার্জিলিঙে ভয়াবহ ধস, মৃত অন্তত ১৭; মিরিকে ভাঙল সেতু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে ফের প্রকৃতির তাণ্ডব (Darjeeling News)! টানা বৃষ্টিতে পাহাড়জুড়ে নেমে এসেছে ভয়াবহ বিপর্যয়। একের পর এক ধসে বিধ্বস্ত গোটা দার্জিলিং জেলা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সিকিম। প্রশাসনের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মিরিকে ভেঙে পড়েছে একটি লোহার সেতু। জেলা প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। ধসের জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়েছে। পাহাড় এখন কার্যত বিপর্যস্ত অবস্থায়।আবহাওয়া দফতর আগেই সতর্ক করেছিল পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই মতোই শুক্রবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গে শুরু হয় প্রবল বর্ষণ। দার্জিলিং জেলা (Darjeeling News) প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, মিরিকে (Heavy Rain) লোহার সেতু ভেঙে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সুখিয়ায় ধসের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরও চারজন। একাধিক জায়গায় এখনও ধস চলছে, এবং ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে, সিকিমের বহু জায়গায় পর্যটকরা আটকে পড়েছেন।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিবৃতি

    কার্শিয়াংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় বলেন, “মিরিকের ধস থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এর আগে ভোরে আরও দুটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সুখিয়াতেও চারজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আবহাওয়ার প্রতিকূলতার কারণে উদ্ধারকাজে অসুবিধা হচ্ছে, তবে দুপুরের দিকে বৃষ্টি কমায় উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। শিলিগুড়ি-দার্জিলিং (Darjeeling News) রোহিণী রোড এবং দিলারাম সংলগ্ন সড়ক ধসে বন্ধ হয়ে আছে। মিরিকের ধস অত্যন্ত ভয়াবহ, সেখানেও উদ্ধারকাজ চলছে।”

    মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে

    প্রশাসনের আশঙ্কা, পাহাড়ে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে (Heavy Rain) । জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনিত থাপা জানিয়েছেন, “বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বিপদে পড়া মানুষদের সাহায্যের জন্য পঞ্চায়েত সদস্য, জিটিএ আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড়জুড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে। শিশু ও মহিলাদের নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মিরিকের বিডিও, এসডিও, পুরসভা-সহ স্থানীয় প্রশাসন মাঠে নেমে কাজ করছে।”

    বাড়ছে তিস্তার জলস্তর

    শনিবার রাতেই সেবকের কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তার পর টানা বৃষ্টির কারণে একাধিক জায়গায় ধস নামায় রাস্তা পুরোপুরি অচল হয়ে যায়। দুধিয়ায় লোহার সেতু ভেঙে পড়ায় শিলিগুড়ি-মিরিকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পাশাপাশি দিলারামের কাছে ধসে বন্ধ রোহিণী রোডও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। পুলবাজার সেতুরও ক্ষতি হয়েছে, ফলে বিজনবাড়ি ও আশপাশের এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। অবিরাম বৃষ্টিপাতে বারবার ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। তিস্তার জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান বিপর্যয়ের (Darjeeling News) প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে— টাইগার হিল, রক গার্ডেনসহ দার্জিলিংয়ের সব পর্যটনকেন্দ্র আপাতত বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত পর্যটকদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

  • Operation Sindoor: ‘‘শল্যচিকিৎসার মতো নিখুঁত আঘাত’’! ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ১০টি পাক বিমান ধ্বংস হয়েছে, ফের জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    Operation Sindoor: ‘‘শল্যচিকিৎসার মতো নিখুঁত আঘাত’’! ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ১০টি পাক বিমান ধ্বংস হয়েছে, ফের জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময় পাক বিমানবাহিনীর ৮-১০টি সামরিক বিমান ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এমনটাই ফের একবার ব্যক্ত করলেন এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিং (ACM Amar Preet Singh)। কয়েকদিন আগে, রাষ্ট্রসংঘের সভায় ভারতের সামরিক অভিযান নিয়ে বিকৃত তথ্য পরিবেশন করে এসেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Pak PM Shehbaz Sharif)। শুক্রবার, তারই জবাব দিয়ে ফের একবার পাকিস্তানকে সত্যিটা মনে করালেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান।

    কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    আগামী ৮ অক্টোবর, ৯৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস (IAF Raising Day) উদযাপন করতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তার আগে, শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন অমরপ্রীত। সেখানেই বায়ুসেনা প্রধান (ACM Amar Preet Singh) বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) পাকিস্তানের চার-পাঁচটি এফ-১৬ ও জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান এবং একটি নজরদারি বিমান মাঝ-আকাশে ধ্বংস করেছে ভারত। এছাড়া, পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে থাকা আরও ৪-৫টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও ধ্বংস হয়েছে। এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিং আরও জানান, শুধু যুদ্ধবিমান নয়, পাকিস্তানের ১১টি সামরিক ঘাঁটিতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের নিখুঁত প্রত্যাঘাতে ওদের (পাকিস্তান) এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, রেডার সিস্টেম, কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, রানওয়ে ও হ্যাঙ্গারও বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল।

    ‘‘অপারেশন সিঁদুর ইতিহাসে স্থান পাবে’’

    অমরপ্রীত সিংয়ের (ACM Amar Preet Singh) দাবি, এই অভিযানে (Operation Sindoor) সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেয় দীর্ঘ পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম। সবচেয়ে দূরের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছিল ৩০০ কিমিরও বেশি গভীরে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই পরিস্থিতি পাল্টে দেয়।’’ তাঁর কথায়, অপারেশন সিঁদুর ছিল শল্যচিকিৎসার মতো নিখুঁত আঘাত, ন্যূনতম ক্ষয়ক্ষতি। বায়ুসেনা প্রধান আরও বলেন, ‘‘আমরা নিখুঁত ভাবে নিশানা করতে পেরেছি, অপারেশন সিঁদুরের এক রাতেই ওদের কাবু করতে পেরেছি। আমাদের তরফে হতাহতের সংখ্যা ছিল ন্যূনতম। সব মিলিয়ে এটি ছিল ১৯৭১-এর পর প্রথম প্রকাশ্যে আসা সর্ববৃহৎ অভিযান। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) ইতিহাসে স্থান পাবে।’’

    পাকিস্তানের ‘‘মনোহর কাহানিয়া’’-কে কটাক্ষ

    অন্যদিকে, ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপতিত করার মিথ্যা দাবির জন্য তিনি পাকিস্তানকে উপহাস করেন এবং সেগুলিকে ‘‘মনোহর কাহানিয়া’’ বা রম্য রচনা বলে অভিহিত করেছেন। পাকিস্তানের দাবিকে ব্যঙ্গ করে বায়ুসেনার প্রধান (ACM Amar Preet Singh) বলেন, ‘‘যদি ওরা মনে করে যে আমাদের ১৫টি যুদ্ধবিমান ভূপতিত করেছে, আমি আশা করি তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত এবং যখন তারা আবার যুদ্ধ করতে আসবে তখন তারা আমার তালিকা থেকে ১৫টি কম বিমানের ব্যবস্থা করবে।’’

  • Rajnath Warns Pakistan: ‘‘ইতিহাস ও ভূগোল দুই-ই বদলে দেবে ভারত’’, স্যর ক্রিক নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের

    Rajnath Warns Pakistan: ‘‘ইতিহাস ও ভূগোল দুই-ই বদলে দেবে ভারত’’, স্যর ক্রিক নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্যর ক্রিক (Sir Creek) নিয়ে পাকিস্তানকে সরাসরি কড়া হুঁশিয়ারি (Rajnath Warns Pakistan) দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বললেন, ‘স্যর ক্রিক এলাকায় পাকিস্তানের যে কোনও আগ্রাসনের যোগ্য দেওয়া হবে যা ইতিহাস এবং ভূগোল দুটোই বদলে দিতে পারে ভারত।’

    কী বললেন রাজনাথ?

    বৃহস্পতিবার দশেরার দিনে গুজরাটের ভুজ সীমান্ত ঘাঁটিতে সেনাদের সঙ্গে অস্ত্রপুজো করে তিনি বলেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিএসএফ যৌথভাবে এবং সজাগভাবে ভারতের সীমান্ত রক্ষা করছে। যদি পাকিস্তান স্যর ক্রিক (Sir Creek) এলাকায় আগ্রাসন দেখানোর চেষ্টা করে বা কোনও প্রকার দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা করে, তবে এমন জবাব দেওয়া হবে যা ইতিহাস ও ভূগোল দুই-ই বদলে দেবে ভারত।’’ এই প্রসঙ্গে তিনি ইসলামাবাদকে স্মরণ (Rajnath Warns Pakistan) করিয়ে বলেন, ‘‘১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী লাহোরে পৌঁছনোর ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিল। ২০২৫ সালে এসে পাকিস্তানের মনে রাখা উচিত যে করাচি যাওয়ার একটি পথ এই প্রণালীর মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।’’ রাজনাথ স্পষ্ট করে দেন, লেহ হোক বা স্যর ক্রিক— ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তি ভাঙার চেষ্টা করা হলে, ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অক্ষম করে দেবে।

    কী এই স্যর ক্রিক?

    স্যর ক্রিক (Sir Creek) হল গুজরাটের কচ্ছের রণ এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি প্রণালী। সিন্ধু নদের ব-দ্বীপে তৈরি হয়েছে এই খাঁড়ি। দুই দেশের মধ্যে সমুদ্র সীমান্ত হিসেবে এই এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই স্যর ক্রিককে ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ। ১৯৯৯ সালে স্যর ক্রিক এলাকাতেই অনুপ্রবেশকারী পাক নজরদার বিমানকে ধ্বংস করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই ঘটনায় ১৬ জন পাক সেনা নিহত হয়েছিলেন।

    স্যর ক্রিক অঞ্চলে নির্মাণ পাক সেনার

    সম্প্রতি স্যর ক্রিক (Sir Creek) অঞ্চলে পাকিস্তানি সেনার বেশ কিছু নির্মাণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। স্যর ক্রিক সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তানি সেনা বেশ কিছু সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। যে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখছে ভারতীয় সেনা। যা নিয়ে শুরু বিতর্ক। এই অঞ্চলে নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফের বিশেষ বাহিনী ‘ক্রিক ক্রোকোডাইল’। রাজনাথ বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরেও, স্যর ক্রিক এলাকায় সীমান্ত নিয়ে বিরোধ চলছে। ভারত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছে, কিন্তু পাকিস্তানের উদ্দেশ্যের মধ্যে ত্রুটি রয়েছে (Rajnath Warns Pakistan)। ওদের অভিপ্রায় স্পষ্ট নয়। সম্প্রতি পাকিস্তান সেনাবাহিনী স্যর ক্রিক সংলগ্ন এলাকায় যেভাবে সামরিক পরিকাঠামো সম্প্রসারণ করেছে, তাতে তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে।’’

  • Putin Supports PM Modi: ‘‘অপমান মেনে নেবে না ভারত’’, মার্কিন শুল্ক-যুদ্ধে ‘বন্ধু’ মোদিকে সমর্থন পুতিনের

    Putin Supports PM Modi: ‘‘অপমান মেনে নেবে না ভারত’’, মার্কিন শুল্ক-যুদ্ধে ‘বন্ধু’ মোদিকে সমর্থন পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ান তেল কেনায় ভারতের ওপর মার্কিন চাপের বিরুদ্ধে (Russia Attacks US Tariff) সরব হলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর স্পষ্ট কথা, নয়াদিল্লি কখনওই এই ধরণের চাপের কাছে মাথা নত করবে না (Putin Supports PM Modi) এবং নিজেকে কারও সামনে অপমানিত হতে দেবে না।

    ‘‘অপমান মেনে নেবে না ভারত’’

    রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ভারতের উপর চাপ বাড়াচ্ছে আমেরিকা। একই সঙ্গে চাপ বাড়ছে চিনের উপরেও। সেই সময়েই এই ইস্যুতে আমেরিকাকে নিশানা করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার, কৃষ্ণ সাগরের রিসোর্ট শহর সোচিতে ভালদাই ডিসকাশন গ্রুপে বক্তব্য রাখছিলেন পুতিন। আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন ভারত-সহ ১৪০টি দেশের নিরাপত্তা এবং ভূরাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেখানেই পুতিন বলেন, ‘‘ভারতের মতো একটি দেশ কারও সামনে কখনই অপমান মেনে নেবে না। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিনি। মোদি আমার বন্ধু। আমি জানি, তিনি কখনও দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেবেন না। তিনি নিজেও এ ধরনের কোনও পদক্ষেপ করবেন না।’’ পুতিনের মতে, যদি ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ করে, তবে দেশের ক্ষতি হবে আনুমানিক ৯ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার। তাঁর কথায়, “ভারতের মানুষ খুব মনোযোগ দিয়ে দেখবেন তাঁদের নেতারা কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, আর তাঁরা কখনও অপমান সহ্য করবেন না।”

    মস্কো এবং নয়াদিল্লির মধ্যে ‘‘বিশেষ’’ সম্পর্ক

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন। তাঁকে ‘‘ভারসাম্যপূর্ণ এবং জ্ঞানী নেতা’’ হিসাবে অভিহিত করেছেন। পুতিন জোর দিয়ে দাবি করেছেন, মস্কো এবং নয়াদিল্লির মধ্যে ‘‘বিশেষ’’ সম্পর্ক রয়েছে। বন্ধু মোদির পাশে থাকার অঙ্গীকার আলাদা করে করেন পুতিন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মার্কিন শুল্কের জন্য ভারতের যা ক্ষতি হবে, তা বাণিজ্য দিয়ে পুষিয়ে দেবে রাশিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকার শুল্কের কারণে ভারতের যা ক্ষতি হচ্ছে, তা আমাদের খনিজ তেল আমদানির মাধ্যমে পুষিয়ে যাবে। পাশাপাশি, ভারত থেকে আরও কৃষিজাত পণ্য কেনা যেতে পারে। ওষধি পণ্যের জন্যেও আমাদের দিক থেকে কিছু পদক্ষেপ করা হতে পারে, যাতে বাণিজ্যের ভারসাম্য বজায় থাকে।’’

    ট্রাম্পকে তুলোধনা পুতিনের

    দ্বিচারিতা নিয়ে ট্রাম্পকে তুলোধনা করেন পুতিন। তিনি মনে করিয়ে দেন, রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি বাণিজ্য কমাতে ভারতকে বাধ্য করা “অর্থনৈতিকভাবে অর্থহীন” এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমেরিকারই অর্থনীতি। রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা হলে বিশ্ব অর্থনীতি গভীর সংকটে পড়বে এবং অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলারের উপরে পৌঁছাবে। ইউক্রেনের সঙ্গে ইউরেনিয়াম কেনা নিয়ে চুক্তি করেছে আমেরিকা। এই নিয়েও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন পুতিন। তাঁর দাবি, ওয়াশিংটন নিজেই রাশিয়ার কাছ থেকে ভালো মানেই ইউরেনিয়াম কিনছে। আর তারাই আবার অন্য দেশকে রাশিয়ার জ্বালানি কিনতে বাধা দিচ্ছে।

LinkedIn
Share