Tag: মাধ্যম

  • Donald Trump: ‘‘অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন শেষ’’, ডালাসে ভারতীয় খুন নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

    Donald Trump: ‘‘অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন শেষ’’, ডালাসে ভারতীয় খুন নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেক্সাসের ডালাসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মোটেল ম্যানেজার চন্দ্রমৌলি ‘বব’ নাগামাল্লাইয়াহর নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে অবশেষে প্রতিক্রিয়া জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন— “আমেরিকাকে আবার নিরাপদ করব।” একই সঙ্গে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন এখন শেষ।

    কী লিখলেন সমাজমাধ্যমে?

    ট্রাম্প (Donald Trump) সোমবার সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘চন্দ্র নাগামাল্লাইয়ার খুনের সাংঘাতিক খবরটা আমি শুনেছি। ডালাসে তিনি এক জন সম্মানীয় ব্যক্তি ছিলেন। স্ত্রী এবং সন্তানের সামনে তাঁর মাথা কেটে নেওয়া হয়েছে। কাজটা করেছেন এক অবৈধ অভিবাসী, যিনি কিউবা থেকে এখানে এসেছিলেন। কখনও তাঁর এখানে ঢুকতে পারার কথা ছিল না। এর আগেও এই লোকটি শিশুনিগ্রহ, গাড়ি চুরির মতো অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। জো বাইডেনের অপদার্থ সরকার তাঁকে আটকে রাখতে পারেনি। কিউবাও এঁকে চায় না।’’

    অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন এখন শেষ

    অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে এর পর আরও কঠোর হওয়ার বার্তা দেন ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি লেখেন, ‘‘অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন এখন শেষ, নিশ্চিন্ত থাকুন। আমার প্রশাসনের আধিকারিকেরা ভাল কাজ করছেন। আমেরিকাকে আবার আমরা নিরাপদ, সুরক্ষিত করে তুলব। এই অপরাধী আমাদের হেফাজতে রয়েছে। খুনের অভিযোগে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’’

    ওয়াশিং মেশিন নিয়ে ঝগড়ার সময়ই খুন

    চন্দ্রমৌলি ‘বব’ নাগামাল্লাইয়াহ হত্যাকাণ্ডে ৩৭ বছরের ইয়োরডানিস কোবোস-মার্টিনেজকে (Illegal Immigrants) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডালাসে চন্দ্র একটি ছোট হোটেলের মালিক ছিলেন, আর সেই হোটেলেই কর্মরত ছিল মার্টিনেজ। ১০ সেপ্টেম্বর দু’জনের মধ্যে ওয়াশিং মেশিন নিয়ে তীব্র বিতণ্ডা ঘটে। সেই ঝগড়ার ফলেই ঘটেছিল নৃশংস খুন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে ধরা পড়ে—অভিযুক্ত (Illegal Immigrants) এক হাতে কাটা মাথা নিয়ে রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে।

  • Ayodhya Deepotsav: এবছর অযোধ্যায় জ্বলবে ২৬ লক্ষ প্রদীপ, ফের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য তৈরি রামনগরী

    Ayodhya Deepotsav: এবছর অযোধ্যায় জ্বলবে ২৬ লক্ষ প্রদীপ, ফের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য তৈরি রামনগরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) এ বছরের দীপাবলিতে (Ayodhya Deepotsav) হতে চলেছে অনন্য এক আয়োজন। রামনগরীতে আসন্ন দীপোৎসব ২০২৫-এ রাম কি পৈড়ি এবং সরযূ ঘাট জুড়ে জ্বালানো হবে প্রায় ২৬ লক্ষ প্রদীপ। রাজ্যের পর্যটন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই আয়োজনের মাধ্যমে গড়া হতে পারে নতুন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।

    কী বললেন রাজ্যের পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জয়বীর সিং?

    রাজ্যের পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জয়বীর সিং জানিয়েছেন, এবার দীপোৎসবকে (Ayodhya Deepotsav) আরও মহিমান্বিত ও বিশ্ব মানের করার প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, “এইবার ২৬ লক্ষেরও বেশি প্রদীপ জ্বালানো হবে। এর সঙ্গে থাকছে আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশবান্ধব আতশবাজির প্রদর্শনী, যা ভক্তদের এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দেবে।”

    বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে সবুজ আতশবাজির শো

    বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে সবুজ আতশবাজির শো। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলবে এই প্রদর্শনী (Ayodhya Deepotsav)। ভক্তদের জন্য থাকছে সঙ্গীত, লেজার লাইট ও আধুনিক নৃত্যশৈলীর সঙ্গে রঙিন আতশবাজির অনন্য সমন্বয়। সরযূ নদীর জলে আতশবাজির প্রতিবিম্ব পুরো দৃশ্যকে করে তুলবে আরও মনোমুগ্ধকর। পর্যটন ও সংস্কৃতির প্রধান সচিব মুখেশ কুমার মেশ্রাম জানিয়েছেন, এ বছরের দীপোৎসবের মূল ভাবনা হলো ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মেলবন্ধন। পরিবেশবান্ধব আতশবাজির মাধ্যমে ভক্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে টেকসই উন্নয়নের বার্তা।

    গত বছর ২৫ লক্ষেরও বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে গড়া হয়েছিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

    ২০১৭ সালে যোগী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অযোধ্যায় প্রতি বছর দীপোৎসবের (Ayodhya Deepotsav) আয়োজন করা হচ্ছে। গত বছর ২৫ লক্ষেরও বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে গড়া হয়েছিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে দীপোৎসব ২০২৫ আয়োজন করা হবে ১৯ অক্টোবর। ঐতিহ্য, ভক্তি আর পরিবেশ সচেতনতার এক অনন্য সংমিশ্রণে ভরে উঠবে অযোধ্যার (Ayodhya) আকাশ।

  • ABVP: ১৮ সেপ্টেম্বর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন, ইস্তেহার প্রকাশ এবিভিপির

    ABVP: ১৮ সেপ্টেম্বর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন, ইস্তেহার প্রকাশ এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করল। এই ইস্তেহারটি পড়ুয়াদের সুযোগ- সুবিধা এবং ছাত্র কল্যাণের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের (DUSU Election 2025) পাঁচ হাজারেরও বেশি পড়ুয়ার মতামতের ভিত্তিতে এটি প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এবিভিপি।

    মেট্রোর ভাড়া কমানো, ক্যাম্পাসে ফ্রি ওয়াইফাই-এর আশ্বাস

    ইস্তেহারে এবিভিপি মূলত পড়ুয়াদের দৈনন্দিন জীবন সহজ করার এবং শিক্ষাজীবনকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য রেখেছে। পাঠ্যক্রমের বাইরে পড়ুয়ার জীবনকে আরও সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে এবিভিপি (ABVP) একগুচ্ছ আশ্বাস দিয়েছে। এবিভিপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মেট্রোর ভাড়া হ্রাস, ক্যাম্পাসে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই সুবিধা এবং সহায়ক স্বাস্থ্য বীমা প্রদানের। এছাড়া বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়ার জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে এবং খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। এবিভিপি জানিয়েছে, তারা কলেজের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অ্যাকাডেমিক সংগঠনগুলির (DUSU Election 2025) বাজেট বৃদ্ধি করবে। হস্টেলে নানা সুযোগ-সুবিধার দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে এবিভিপি। নতুন হস্টেল নির্মাণের কথাও ইস্তেহারে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এবিভিপি পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তি এবং চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি করবে

    পড়ুয়াদের ভবিষ্যতকে আরও সমৃদ্ধ করতে এবিভিপি (ABVP) বৃত্তি এবং চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি করবে। এছাড়া ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে, যাতে পড়ুয়ারা নিরাপদ পরিবেশে তাদের শিক্ষা অর্জন করতে পারে। এই প্রতিশ্রুতিগুলো ইস্তেহারের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, তাদের প্রধান লক্ষ্য হল পড়ুয়াদের এক উন্নত, নিরাপদ এবং সুবিধাসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় জীবন নিশ্চিত করা। ইস্তেহারটি প্রকাশিত হয়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ। প্রসঙ্গত, ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫। এবিভিপির (ABVP) এই ইস্তেহার পড়ুয়াদের স্বার্থে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে তাদের ভোটে প্রভাব ফেলতে চায়। বিশেষভাবে পড়ুয়ার সুবিধা, নিরাপত্তা এবং শিক্ষাজীবনের মান বৃদ্ধিই এই ইস্তেহারের মূল লক্ষ্য।

  • SIR: এসআইআর পরিচালনা সাংবিধানিক অধিকার, নির্দেশ দিতে পারেনা আদালত, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    SIR: এসআইআর পরিচালনা সাংবিধানিক অধিকার, নির্দেশ দিতে পারেনা আদালত, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা দাখিল করেছে। সেখানে তারা জানিয়েছে যে ভোটার তালিকায় চলমান বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) পরিচালনার সম্পূর্ণ অধিকার তাদেরই রয়েছে। নির্বাচন কমিশন তাদের হলফনামায় উল্লেখ করেছে, দেশজুড়ে পর্যায়ক্রমে যে এসআইআর পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক অধিকার। তাই আদালত এই বিষয়ে কোনও নির্দেশ দিতে পারে না। যদি আদালত এই ধরনের নির্দেশ দেয়, তাহলে তা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতার উপর হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে।

    আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের জনস্বার্থ মামলা

    সম্প্রতি আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলায় তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন, যাতে ভারতে যে কোনো নির্বাচনের আগে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার যুক্তি ছিল, দেশের রাজনীতি এবং নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে এটি জরুরি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, তারা চায় না শীর্ষ আদালত এই ধরনের নির্দেশ দিক। কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতে দাখিল করা হলফনামায় বলা হয়েছে, সংবিধানের ধারা ৩২৪ অনুযায়ী ভোটার তালিকা তৈরি ও সংশোধনের একমাত্র কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশন, এবং অন্য কোনো সংস্থা বা ব্যক্তি এতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। কমিশন আরও জানিয়েছে, ভোটার তালিকার যথাযথতা নিশ্চিত করতে এসআইআর অপরিহার্য, এবং তারা সর্বদা এই দায়িত্বের বিষয়ে সতর্ক ও দায়িত্বশীল। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা ভোটার তালিকাকে সঠিক রাখার বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন এবং এই কাজ নিয়মিতভাবে সম্পন্ন করা হয় (SIR)।

    বিহারে বাদ ৬৫ লাখ নাম (SIR)

    প্রসঙ্গত, কয়েক মাস পর বিহারে ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। জানা গেছে, সেই রাজ্যে ইতিমধ্যেই এসআইআর-এর (SIR) মাধ্যমে প্রায় ৬৫ লাখ অবৈধ ভোটারের নাম বাদ গেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মৃত ভোটারের নাম, কিছু স্থায়ীভাবে অন্য রাজ্যে বসবাসকারী ভোটার, এবং এমন কিছু ভোটারও রয়েছে যাদের নাম একাধিক জায়গায় তালিকাভুক্ত ছিল।

  • Maharashtra: মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর রেলস্টেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হল রানি অহল্যাবাঈয়ের নামে

    Maharashtra: মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর রেলস্টেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হল রানি অহল্যাবাঈয়ের নামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) আহমেদনগর রেলস্টেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে অহল্যাবাঈ রেলস্টেশন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদনের পর একথা জানিয়েছে তারা। জেলার নামও ইতিমধ্যেই আহমেদনগর থেকে অহল্যাবাঈ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি করা হয়েছে হোলকার সাম্রাজ্যের রানি, পুণ্যশ্লোক অহল্যাবাঈ (Ahalyabai) হোলকার-এর ৩০০তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে, যিনি তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা এবং সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রসিদ্ধ।

    নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ (Maharashtra)

    এই নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবটি প্রথমে সামনে এনেছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। তিনি জানিয়েছেন, এই নাম পরিবর্তন বহু বছর ধরে স্থানীয় জনগণের এবং ইতিহাসপ্রেমীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল। আমাদের প্রয়াসকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব অনুমোদন করেছেন। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে নাম পরিবর্তনের কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।

    নামে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া ও ধাপসমূহ

    নাম পরিবর্তনের পর রেলস্টেশনের সকল সাইনবোর্ড, ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থা, মানচিত্র এবং যাত্রীসেবা সংক্রান্ত ঘোষণা ধাপে ধাপে নতুন নাম অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে। সাধারণ যাত্রীরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নামের সঙ্গে পরিচিত হবেন।

    আদর্শ রানি লোকমাতা অহল্যা বাঈ (Ahilyabai)

    নারী ক্ষমতায়নের দিক থেকে তিনি একটি আদর্শ উদাহরণ তৈরি করতে পেরেছিলেন তিনি। পাশ্চাত্যের সঙ্গে যদি ভারতীয় সভ্যতার তুলনা টানা হয় মধ্যযুগের নারী সশক্তিকরণের ক্ষেত্রে, সেখানে লোকমাতা অহল্যা বাঈ নয়া অধ্যায় লিখতে পেরেছিলেন। অহল্যা বাঈ হোলকার জন্মগ্রহণ করেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) এক অখ্যাত গ্রাম নাম চন্ডীতে। জন্মের পরেই পারিবারিকভাবে তিনি ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ করেননি। বর্তমান দিনের পাশ্চাত্যের যে আধুনিক ফেমিনিজম, সেটিকে দূরে সরিয়ে, বিপরীতে হেঁটে রানি পদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন অহল্যা বাঈ। প্রাচীন ভারতে এবং মধ্যযুগে নারীদের নাকি কোনও ক্ষমতাই ছিল না এবং তাঁদেরকে নাকি পর্দা প্রথার মধ্যে থাকতে হত। প্রচলিত এই মিথ-কে একেবারেই ভেঙে তছনছ করে দিয়েছেন অহল্যা বাঈ। সুশাসন, জনকল্যাণ মূলক কাজ, মন্দির প্রতিষ্ঠা- এই সমস্ত কিছুর ভিত্তিতে তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন যে মধ্যযুগেও এই ভারতবর্ষের নারী শক্তি কতটা এগিয়েছিল। একজন বিধবা নারী যাঁকে হয়তো ঘরের ভিতরেই থাকতে হত। কিন্তু তাঁর ভাগ্য, তাঁর জন্য অন্য কিছু পরিকল্পনা করেছিল। তাঁর শ্বশুর ছিলেন অত্যন্ত দেশপ্রেমিক মালহার হোলকার। তিনি ছিলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের একজন অগ্রণী সেনা নায়ক। অহল্যা বাঈ তাঁর কাছ থেকেই শিক্ষা পেয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সুশাসনের এবং কূটনীতির।

  • Zakir Naik: এইডস আক্রান্ত জাকির নায়েক? ভর্তি মালয়েশিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে

    Zakir Naik: এইডস আক্রান্ত জাকির নায়েক? ভর্তি মালয়েশিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কিত ইসলামিক বক্তা (Islamic Preacher) জাকির নায়েক (Zakir Naik) গুরুতর ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সমাজ মাধ্যমে খবর ছড়িয়েছে, তিনি এইডস আক্রান্ত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা জটিল হলেও তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। জানা গেছে, তিনি পেটালিং জায়ার সানওয়ে মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি আছেন।

    মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত জাকির নায়েক, খবর হাসপাতাল সূত্রে

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জাকির নায়েক (Zakir Naik) যে অসুখে ভুগছেন তা একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ। তবে রোগের প্রকৃত ধরন প্রকাশ করা হয়নি। কেন রোগ সম্পর্কে বলা হচ্ছে না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন! হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। সানওয়ে মেডিকেল সেন্টার মালয়েশিয়ার অন্যতম উন্নত হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে সংক্রামক রোগ, ক্যান্সার, হৃদরোগ, এইচআইভি চিকিৎসা ও জটিল বিপাকীয় রোগের জন্য এই হাসপাতাল আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছে। এছাড়া ভিআইপি পর্যায়ের চিকিৎসা দেওয়ার জন্যও এটি সুপরিচিত।

    সমাজ মাধ্যমে খবর

    এদিকে, সমাজ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে জাকির নায়েক নাকি এইচআইভি পজিটিভ (Zakir Naik)। একটি কথিত ডায়াগনস্টিক রিপোর্টও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে একজন রোগীর নাম লেখা আছে “জাকির আবদুল করিম নায়েক”। রিপোর্টটি কুয়ালালামপুরের পান্তাই হাসপাতালের। তাতে দেখা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট রোগীর এইচআইভি টেস্ট পজিটিভ এসেছে। তবে ওই রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করা যায়নি, আর সেটি সত্যিই জাকির নায়েকের কিনা তাও নিশ্চিত নয়। এই গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে জাকির নায়েকের আইনজীবী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “এইডসে আক্রান্ত হওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটি ভুয়া সংবাদ, জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য ছড়ানো হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, রোগ সম্পর্কিত আসল তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে চিকিৎসক ও পরিবারের অনুরোধে, তবে যে রিপোর্ট ঘুরছে তা একেবারেই বানানো।

    ২০১৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ায়তে জাকির নায়েক (Zakir Naik)

    ভারতের মাটিতে উগ্রপন্থী বক্তব্য ও মানি লন্ডারিং মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ২০১৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন জাকির নায়েক। ভারত সরকার তাঁকে প্রত্যর্পণ করার চেষ্টা চালালেও মালয়েশিয়া এখনও সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি।এই প্রেক্ষাপটে তাঁর অসুস্থতার খবরে স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলোচনার ঝড় উঠেছে।

  • The Bengal Files: কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে প্রদর্শিত হল ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’

    The Bengal Files: কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে প্রদর্শিত হল ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত হল পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর (The Bengal Files) বিশেষ প্রদর্শনী। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রদর্শনী ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ও টানটান উত্তেজনা। আয়োজকদের দাবি, ছবিটি পশ্চিমবঙ্গে কার্যত এক অঘোষিত নিষেধাজ্ঞার মুখে, তাই প্রদর্শনীর দিন সকাল থেকেই লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয় সিআরপিএফ।

    শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভাষা ভবন অডিটোরিয়ামে হয় প্রদর্শনী

    প্রদর্শনীটি হয় ন্যাশনাল লাইব্রেরি চত্বরে অবস্থিত ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভাষা ভবন অডিটোরিয়ামে। বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান ছিল শুধুমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের (The Bengal Files) জন্য। প্রায় ৫০০ জন দর্শক আমন্ত্রণপত্র দেখিয়ে প্রবেশ করেন। প্রবেশের আগে প্রত্যেকের ব্যাগ ও পরিচয়পত্র খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

    কী বললেন স্বপন দাশগুপ্ত?

    সাংস্কৃতিক সংগঠন খোলা হাওয়া এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত এনিয়ে বলেন, বাংলার মানুষ এই ছবি দেখার অধিকার রাখে (The Bengal Files)। এই ছবির প্রদর্শনী আটকানো গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী। আমরা চাই মানুষ নিজেরাই ছবিটি দেখে মতামত তৈরি করুন।

    কী বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri)

    প্রদর্শনীর শেষে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন (The Bengal Files)। তিনি বলেন, “বাংলায় ছবিটি নিষিদ্ধ করে সরকার প্রমাণ করেছে এখানে দুটি সংবিধান চলছে—একটি ভারতের সংবিধান, আরেকটি অঘোষিত সংবিধান, যা ছবিটিকে আটকে রেখেছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আজকের প্রদর্শনী একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। পরিবেশটা যুদ্ধক্ষেত্রের মতো মনে হচ্ছিল। কিন্তু বাংলার ত্যাগ ও ১৯৪৬ সালের ইতিহাস আজ সারা দেশ জানল।” বিবেক অগ্নিহোত্রী আরও দাবি করেন, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ শুধু একটি ছবি নয়, এটি বাংলার মানুষের আত্মত্যাগ ও ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে-র ঘটনার সত্য তুলে ধরেছে

    ছবিকে ঘিরে বিতর্ক

    ছবিটি ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে-র দাঙ্গা নিয়ে তৈরি, যেখানে কলকাতায় ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। গোপাল মুখার্জি ওরফে ‘গোপাল পাঁঠা’র ভূমিকা নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবি। খোলা হাওয়া সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতা, যার মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও আছেন। তাদের বক্তব্য, ছবিটি আটকে দেওয়া গণতন্ত্রবিরোধী পদক্ষেপ। এটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উদ্যোগ।

    বাংলায় কার্যত নিষিদ্ধ

    ছবিটিতে অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, দর্শন কুমার ও পল্লবী যোশী। দেশজুড়ে ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেলেও পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি কার্যত অনিশ্চিত। ছবির প্রচারের জন্য কলকাতায় পরিকল্পিত কিছু অনুষ্ঠানও বাতিল হয়েছে বলে অভিযোগ। অগ্নিহোত্রী জানিয়েছেন, ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান পুলিশ আটকে দেয়, এমনকি প্রদর্শনীর সরঞ্জামও (The Bengal Files) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।

  • London News: অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল লন্ডন, সংঘর্ষ পুলিশের সঙ্গে

    London News: অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল লন্ডন, সংঘর্ষ পুলিশের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার লন্ডনে (London News) টমি রবিনসনের নেতৃত্বে (Tommy Robinsons) আয়োজিত “ইউনাইট দ্য কিংডম” শীর্ষক বিক্ষোভে প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ অংশ নেন। অভিবাসন বিরোধী এই বিক্ষোভ শুরুতে শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরে উত্তেজনা ছড়ায়। রবিনসনের কিছু সমর্থক পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের উপর বোতল ছোড়া হয়, কয়েকজন অফিসারকে ঘুষি ও লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ। মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে ২৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হন, এর মধ্যে চারজন গুরুতরভাবে আহত—কারও দাঁত ভেঙে যায়, কারও মাথায় আঘাত লাগে, আবার কারও নাক ও মেরুদণ্ডে চোট পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    পাল্টা বিক্ষোভ (London News)

    একই সময়ে বামপন্থী সংগঠন “স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম” আয়োজিত “মার্চ এগেইনস্ট ফ্যাসিজম” শীর্ষক পাল্টা বিক্ষোভে প্রায় ৫ হাজার মানুষ অংশ নেন। তাঁরা হাতে প্ল্যাকার্ডে লিখেছিলেন—“শরণার্থীরা স্বাগতম”, “ফ্যাসিবাদ ভাঙো”। অন্যদিকে রবিনসনের সমর্থকরা স্লোগান দেন—“আমরা আমাদের দেশ ফেরত চাই”, “স্টপ দ্য বোটস”, “ওদের ফেরত পাঠাও”। দুই পক্ষের বিক্ষোভ একই দিনে হওয়ায় রাজধানীজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিকেল গড়াতে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বারবার তীব্র বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মেট্রোপলিটন পুলিশকে একাধিকবার হস্তক্ষেপ করতে হয়।

    ভিডিও বার্তা দেন ইলন মাস্ক

    সভায় ভিডিও বার্তায় যোগ দেন টেসলার মালিক ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, অভিবাসনের কারণে ব্রিটেন ধ্বংসের পথে (London News)। সভায় বক্তব্য রাখেন ফ্রান্সের ডানপন্থী রাজনীতিক এরিক জেমুরও, যিনি ইউরোপে মুসলিম অভিবাসনের সমালোচনা করেন। রবিনসন নিজেও অভিযোগ করেন, অভিবাসীরা এখন আদালতে ব্রিটিশ নাগরিকদের চেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। সভায় নিহত মার্কিন রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্ককে স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিক্ষোভে ইংল্যান্ডের সেন্ট জর্জ পতাকা ও যুক্তরাজ্যের ইউনিয়ন জ্যাক উড়তে দেখা যায়। নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ জোর করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

  • Lanza-N Radar: ঘুম উড়বে শত্রুর! ভারতের হাতে এল বিশ্বের সেরা থ্রিডি এয়ার সার্ভিল্যান্স রেডার ‘ল্যাঞ্জা-এন’

    Lanza-N Radar: ঘুম উড়বে শত্রুর! ভারতের হাতে এল বিশ্বের সেরা থ্রিডি এয়ার সার্ভিল্যান্স রেডার ‘ল্যাঞ্জা-এন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের আকাশসীমা সুরক্ষায় বিরাট লাফ ভারতের। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর দুরন্ত প্রতিফলন। আকাশপথে শত্রুর হামলা ঠেকাতে ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) হাতে এল বিশ্বের অন্যতম সেরা থ্রিডি এয়ার সার্ভিল্যান্স রেডার (3D-ASR) সিস্টেম।

    ভারতীয় যুদ্ধজাহাজে লাগল ‘ল্যাঞ্জা-এন’

    পোশাকি নাম ‘ল্যাঞ্জা-এন’ (Lanza-N Radar)। ভারতীয় নৌসেনার জন্য স্পেনের সংস্থা ‘ইন্দ্রা-ল্যাঞ্জা’র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতেই এই সর্বাধুনিক আকাশ নজরদারি ব্যবস্থা তৈরি করেছে দেশীয় কোম্পানি ‘টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড’ (টিএএসএল)। ইতিমধ্যেই প্রথম রেডার সিস্টেমটি নৌসেনার (Indian Navy) একটি রণতরীতে মোতায়েন করা হয়েছে। ক্রমশ, এধরনের আরও ১৯টি থ্রিডি এয়ার সার্ভিল্যান্স রেডার সিস্টেম মোতায়েন করা হবে দেশের যুদ্ধজাহাজগুলিতে।

    কর্নাটকে টাটার কারখানায় তৈরি হচ্ছে

    জানা গিয়েছে, এটি ল্যাঞ্জা-এন আসলে ইন্দ্রার তৈরি ল্যাঞ্জা থ্রিডি রেডারেরই নৌ-সংস্করণ। প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে কর্নাটকে টাটার কারখানাতে এই রেডারগুলি তৈরি হচ্ছে। এই প্রথম স্পেনের বাইরে ল্যাঞ্জা-এন রেডার (Lanza-N Radar) কাজ করতে চলেছে। ২০২০ সালে হওয়া প্রায় ১৪ কোটি ডলারের (প্রায় ১২৮০ কোটি টাকা) চুক্তির আওতায় অবশেষে এটি মাঠে নামছে। কর্নাটকে টাটার কারখানায় এই রেডারগুলি তৈরি করবে। টিএএসএল জানিয়েছে, প্রথম কমিশনিংয়ের পর, ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ার এবং বিমানবাহী রণতরীতে অতিরিক্ত এই রেডার সিস্টেমকে জুড়ে ফেলা হবে।

    বিশ্বের সেরা এয়ার ডিফেন্স রেডারগুলির অন্যতম

    বিশ্বের সেরা দূরপাল্লার এয়ার ডিফেন্স এবং ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী রেডারগুলির মধ্যে এই রেডারের (Lanza-N Radar) স্থান একেবারে উপরের দিকে। এটি ত্রিমাত্রিক মডিউলে কাজ করে। ফলে, আকাশ ও ভূপৃষ্ঠের উভয় লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করতে পারে। রেডারটির সীমা প্রায় ৪৭০ কিমি। এটি ড্রোন, সুপারসনিক যুদ্ধবিমান, বিকিরণ-রোধী ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর নজর রাখতে পারে। পাশাপাশি নৌ প্ল্যাটফর্মও সনাক্ত করতে পারে এই রেডার। যে কারণে, দূরপাল্লার নজরদারির ক্ষেত্রেও যেমন এর জুড়ি মেলা ভার।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের জয়জয়কার

    বর্তমানে দেশে তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ভারতে। কেন্দ্রের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make in India) উদ্যোগের ফলে, বিদেশি প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলি ভারতীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে তৈরি করছে একাধিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম। সেই ক্ষেত্রে এই বড় সাফল্য পেল টিএএসএল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’ (Atmanirbhar Bharat) স্লোগানের অন্যতম ফসল এই ত্রিমাত্রিক রেডার। টিএএসএল-এর তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই কৃতিত্ব অর্জন ভারতের প্রতিরক্ষা আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। স্থানীয়করণের সঙ্গে সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন ও অ্যাসেম্বলির ক্ষেত্রে এটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।”

  • Made in India Rafale: ‘ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল’, প্রস্তাব বায়ুসেনার, খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    Made in India Rafale: ‘ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল’, প্রস্তাব বায়ুসেনার, খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতেই তৈরি হোক ১১৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান! প্রস্তাব ভারতীয় বায়ুসেনার।

    কেন্দ্রকে অভিনব প্রস্তাব বায়ুসেনার

    চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিচ্ছে মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান। অবসরের দিকে এগোচ্ছে মিগ-২৯, জাগুয়ার ও মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানগুলিও। সেই যুদ্ধবিমানের পরিবর্তে যে তেজস মার্ক-১এ অন্তর্ভুক্ত করার কথা ছিল, তা দীর্ঘ বিলম্বের শিকার। মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যেই একাধিকবার উষ্মাপ্রকাশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এহেন পরিস্থিতিতে দেশে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা হ্রাসের মোকাবিলা এবং বাহিনীর শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এমনই একটি অভিনব প্রস্তাব কেন্দ্রকে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)।

    ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফাল যুদ্ধবিমান

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১১৪টি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফাল যুদ্ধবিমান (Made in India Rafale) কিনতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে সুপারিশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। যুদ্ধবিমানগুলি রাফাল নির্মাণকারী ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাধিক ভারতীয় সংস্থা তৈরি করবে। বায়ুসেনার পাঠানো স্টেটমেন্ট অফ কেস বা প্রস্তাবটির আর্থিক পরিমাণ ধরা হচ্ছে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি, যেখানে দেশীয় উপাদানের অংশগ্রহণ থাকবে ৬০ শতাংশেরও বেশি।

    অপারেশন সিঁদুর-এ রাফালের ভূমিকা

    অপারেশন সিঁদুর-এ রাফাল যুদ্ধবিমান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, তা নিজেদের প্রস্তাবে রাখে বায়ুসেনা। সেখানে রাফাল যুদ্ধবিমানের সাফল্যকে তুলে ধরা হয়। সূত্রের খবর, বায়ুসেনার নোটে বলা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুর অভিযানে রাফাল তার অত্যাধুনিক স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট ব্যবহার করে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চিনা পিএল-১৫ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে।

    আরও উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত

    সূত্রের খবর, বর্তমান রাফালে যে স্ক্যাল্প মিসাইল আছে, তার থেকে আরও উন্নত, অধিক দূরপাল্লার এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিসাইল থাকতে পারে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ রাফালে (Made in India Rafale)। এই স্ক্যাল্প ব্যবহার করেই পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক এবং জঙ্গিদের ঘাঁটিতে নিশানা করেছিল ভারত। ফরাসি সংস্থা ভারতে তৈরি করবে ইঞ্জিন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের আধুনিক কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদে রাফালে ব্যবহৃত এম-৮৮ ইঞ্জিনের জন্য এমআরও ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। উৎপাদনে অংশ নেবে টাটা-সহ একাধিক ভারতীয় সংস্থা।

    খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    সূত্রের খবর, বায়ুসেনার (Indian Air Force) থেকে পাওয়া সুপারিশ নিয়ে বর্তমানে প্রতিরক্ষা অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন শাখা এনিয়ে কাজ করছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে ডিফেন্স প্রোকিউরমেন্ট বোর্ডের বৈঠক বসতে পারে। তার পরে, এই বিষয়ে আলোচনায় বসবে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল। যদি শেষ পর্যন্ত সেই সুপারিশ গৃহীত হয়, তাহলে সেটি ভারত সরকারের স্বাক্ষরিত সর্ববৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে। এই চুক্তি সম্পন্ন হলে ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে রাফালে বিমানের (Made in India Rafale) সংখ্যা দাঁড়াবে ১৭৬। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা ৩৬টি রাফালে পেয়েছে এবং ভারতীয় নৌবাহিনী চুক্তির মাধ্যমে আরও ২৬টি অর্ডার করেছে।

LinkedIn
Share