Tag: ABVP

ABVP

  • ABVP: দিল্লি জয়ের পর হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়েও জয় অব্যাহত এবিভিপির

    ABVP: দিল্লি জয়ের পর হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়েও জয় অব্যাহত এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্জাব, দিল্লি জয়ের পর এবার হায়দ্রাবাদেও গেরুয়া ঝড়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির লাগাতার জয়ে গেরুয়া শিবিরে ব্যাপক জয়ের উল্লাস। শিক্ষাক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন এক চেটিয়া দখল করেছিল বাম এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনগুলি। এবার ছাত্র সংসদের নির্বাচনে হায়দ্রাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (HCU) ছাত্র সংসদ দখল করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। ফল প্রকাশের পর জয়ী এবিভিপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। অপর দিকে বাম-কংগ্রেস সমর্থিত টুকরে টুকরে গ্যাং ক্রমশ আরও কোনঠাসা হওয়ার পথে।

    সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী এবিভিপি

    হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপির (ABVP) পক্ষ থেকে ছাত্র সংসদের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক এবং সংস্কৃতি সম্পাদকের আসনে জয়লাভ করেছে। এবিভিপির জয়ী প্যানেলে রয়েছেন, শিব পালেপু, দেবেন্দ্র, শ্রুতি, সৌরভ শুক্লা, জ্বালা প্রসাদ এবং ভেনাস। তবে এই নির্বাচনে বামপন্থী এবং কংগ্রেস সমর্থিত ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-কে অত্যন্ত লজ্জাজনক ভাবে পরাজিত হয়ে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এক বিবৃতিতে এবিভিপির মুখপাত্র (HCU) অন্তরীক্ষ বলেছেন, “এই জয় শিক্ষার্থীদের জাতীয়তাবাদের প্রতি অঙ্গীকার এবং বিভেদমূলক রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রতীক। বামপন্থীদের তীব্র উপস্থিতি সত্ত্বেও, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে এবিভিপির সাফল্য ব্যাপক। সমস্ত রকমের অপশক্তিকে পরাজয় করতে ছাত্রছাত্রীদের দৃঢ় সংকল্পই ফুটে উঠেছে।”

    ৮১ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছিল

    জানা গিয়েছে, ছাত্র পরিষদ নির্বাচনে (HCU) এনএসইউআই নোটার চেয়ে কম ভোট পেয়েছে। তবে তেলেঙ্গানায় সরকার যেখানে কংগ্রেসের, সেখানে এই জয় এবিভিপির জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের ছিল। বিপরীত শক্তির সরকার থাকা সত্ত্বেও সাধারণ পড়ুয়াদের জন্য মৌলিক চাহিদা এবং দাবি-দাওয়াগুলিকে নিয়ে কাজ করার ভাবনাই রাষ্ট্রবাদী শক্তিকে জয়ী করেছে বলে মনে করছেন সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মোট ২৯টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ভোটের ৮১ শতাংশেরও বেশি ভোটাররা ক্যাম্পাস উন্নয়নের জন্য ভোট প্রদান করেছিলেন। মোট ৪৫ রাউন্ড গণার পর অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) এবং সেবালাল বিদ্যার্থী দল (এবিভিপি-এসএলভিডি) জোট মোট ৬টি পদে জয়ী হয়।

  • DUSU Election 2025: ফের গেরুয়া ঝড়! দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ভোটে তিনটি পদে জয়ী এবিভিপি

    DUSU Election 2025: ফের গেরুয়া ঝড়! দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ভোটে তিনটি পদে জয়ী এবিভিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (DUSU Election 2025) ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ফের গেরুয়া ঝড়। সভাপতি, সম্পাদক-সহ চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে তিনটিই দখল করল এবিভিপি। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এর ঝুলিতে গেল শুধু সহ-সভাপতির পদ। ২০২৩ সালের মতোই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিপুল জয় ছিনিয়ে নিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। সভাপতি পদে এবিভিপি প্রার্থী আরিয়ান মান তাঁর এনএসইউআই প্রতিদ্বন্দ্বী জসলিন নন্দিতা চৌধরিকে ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন।

    একচ্ছত্র আধিপত্য এবিভিপি’র

    ভোটগ্রহণ হয়েছিল বৃহস্পতিবার। শুক্রবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ফল ঘোষণা হল। কংগ্রেস প্রভাবিত ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-কে হারিয়ে সভাপতি পদ পুনর্দখল করল সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি (ABVP)। সম্পাদক এবং যুগ্ম সম্পাদক পদ দু’টিও গিয়েছে এবিভিপির ঝুলিতে। ছাত্র সংসদের চারটি পদের জন্য মোট ২১ জন প্রার্থী ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। চলতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন মূল ক্যাম্পাসের পাশাপাশি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালেয়ের অধীনে থাকা ৫০টি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৩৯.৪৫ শতাংশ। ছাত্র নির্বাচন হলেও, তা ঘিরে উত্তেজনা ছিল টানটান। ৫২টি কেন্দ্র ও ১৯৫টি বুথে হয়েছে ভোট গ্রহণ। আনা হয়েছিল ৭১১টি ইভিএম।

    প্রত্যেক পড়ুয়ার পাশে থাকার বার্তা

    শুক্রবার প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, ২৮ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে এই পদে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া সভাপতি পদে বসলেন আরিয়ান। অন্যদিকে এনএসইউআই প্রার্থী পেয়েছেন ১২ হাজারের সামান্য অধিক ভোট। শুধুই সভাপতি পদই নয়, সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক পদেও জয় লাভ করেছে আরএসএস-এর ছাত্রদল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া সম্পাদক হয়েছেন কুণাল চৌধুরী এবং যুগ্ম সম্পাদক হয়েছে দীপিকা ঝা। একমাত্র সহ-সভাপতি পদে জয় লাভ করেছে এনএসইউআই-র প্রার্থী রাহুল ঝান্সলা। এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বাম সমর্থিত দুই ছাত্রদল এসএফআই ও আইসা। কিন্তু তাদের হাত আপাতত শূন্যই। আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কুণাল চৌধরী এনএসইউআই-এর কবীরকে পরাজিত করে সম্পাদকের পদটি ছিনিয়ে নিয়েছেন৷ সেন্ট্রাল প্যানেলের যুগ্ম সম্পাদকের পদটিও পেয়েছেন এবিভিপি’র দীপিকা ঝা৷ তিনি এনএসইউআই-এর লবকুশ ভাডানাকে পরাজিত করেছেন৷ এবিভিপি-র কুণাল চৌধরী বলেন, “আমি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই৷ করজোড়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক পড়ুয়াকে আশ্বস্ত করছি, কখনও কারও কিছু প্রয়োজন হলে, আমি সবসময় পাশে আছি৷”

  • Mock Drill: বুধবারের মহড়ায় নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান বিজেপি ও এবিভিপির

    Mock Drill: বুধবারের মহড়ায় নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান বিজেপি ও এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। এই আবহে বুধবার (৭মে) সারা দেশে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাগরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই মহড়ায় (Mock Drill) সাধারণ নাগরিক, নেতা-কর্মী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে এসে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাল সর্বভারতীয় বিজেপি ও এবিভিপি। মঙ্গলবারই এনিয়ে সর্বভারতীয় বিজেপির এক্স হ্যান্ডল থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা পোস্ট করা হয়েছে। সেখানেই নাগরিকদের মহড়ায় অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। একই আবেদন রেখেছে এবিভিপি।

    নিজেদের বিবৃতিতে কী জানাল এবিভিপি (Mock Drill)

    যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহড়া নিয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি সামনে এসেছে। সেখানে তারা স্পষ্ট ভাবে বলছে, ‘‘এই মক ড্রিল কোনও সামান্য ব্যাপার নয়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। যেভাবে আমাদের দেশে নিরাপত্তার হুমকি আসছে, তা প্রতিরোধ করতে দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ শক্তি প্রদর্শন দেখা যাবে এই মক ড্রিলে।’’ এই সংগঠন আরও বলেছে, ‘‘দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর উপরেই নয়। দেশের সুরক্ষার দায়িত্ব প্রত্যেকটি সাধারণ জনগণকে নিতে হবে। বিশেষত যুব সমাজকে। আমাদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, এই সমস্ত জায়গাতে এই সচেতনতা ছড়াতে হবে। সতর্কতা বাড়াতে হবে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাগরিক মহড়ার প্রস্তুতি চালাতে হবে।’’

    কী বললেন এবিভিপির (ABVP) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডক্টর বীরেন্দ্র সিং সোলাঙ্কি কেন্দ্রীয় সরকারের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। মক ড্রিল (Mock Drill) নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ স্বাগত জানাচ্ছে সিভিল ডিফেন্সকে। আমরা সমস্ত ছাত্র, শিক্ষক, প্রশাসনিক আধিকারিক এবং দেশের আপামর জনগণের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে তাঁরা যেন উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মহড়ায়। এভাবেই গড়ে উঠবে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভর ভারত।’’ এবিভিপি’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘‘মহড়ার প্রস্তুতি জানান দিচ্ছে, আজকের ভারত যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসী হামলাকে জবাব দিতে প্রস্তুত। প্রত্যেক নাগরিকের এটা স্মরণ করা উচিত। প্রত্যেক নাগরিক যেন মনে রাখেন দেশের এই সংকটের পরিস্থিতিতে তাঁদের নিজেদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।’’

    এবিভিপির আহ্বান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবিলায় নাগরিক মক ড্রিল-এ (Mock Drill) অংশগ্রহণের জন্য এবিভিপির এমন আহ্বানকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। এবিভিপি তাদের যেকোনও আন্দোলনেই তুলে ধরে নেশন ফার্স্ট স্লোগান। আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠনের এই আহ্বানে তাদের সেই নীতিই প্রতিফলিত হলে বলে মনে করা হচ্ছে। জাতীয় কর্তব্য পালনে এবং দেশ রক্ষায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ করা ঠিক কতটা জরুরি, সেই বিষয়টিও এবিভিপি নিজেদের বার্তায় তুলে ধরেছে। প্রসঙ্গত, এই নাগরিক মহড়ায় সাইরেন যেমন বাজবে, তেমনই ব্ল্যাকআউটও করা হবে অর্থাৎ বড় বড় শপিং মল, বাড়ি-ঘর, শিল্প-কলকারখানা এই জায়গাগুলিতে আলো বন্ধ করা হবে। এর পাশাপাশি যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে কীভাবে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়া যায় সে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ রেডার স্টেশনগুলির ক্ষেত্রে এই ধরনের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মহড়ায় অংশ নিতে আবেদন এবিভিপির

    একই সঙ্গে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারা যেন সম্পূর্ণভাবে এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন পড়ুয়াদের উৎসাহিত করে মহড়ায় অংশগ্রহণ করতে সেই আহ্বানও জানিয়েছে এবিভিপি। এই ছাত্র সংগঠনের মতে, এর ফলেই গড়ে উঠবে আত্মনির্ভরশীল এবং ঐক্যবদ্ধ ভারত। প্রসঙ্গত, বুধবার সব মিলিয়ে দেশের ২৫৯টি জায়গায় এই মহড়া চলবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মহড়া চলবে গ্রামীণ এলাকাতেও। সারা দেশের পাশাপাশি, বাংলার মোট ২৩টি জেলার ৩১টি জায়গায় ‘মক ড্রিল’ হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে এমন মহড়া হয়েছিল, ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের আগে। তারপরে ৫৪ বছর পরে তেমনটা হতে চলেছে বুধবার।

    সবার উপরে দেশ, স্মরণ করাল বিজেপি-এবিভিপি

    এই মহড়া (Mock Drill) মূলত হবে বিমান হামলা হলে নাগরিকরা কী ধরনের পদক্ষেপ করবেন সেটা নিয়ে। দেশের সব রাজ্যকে কেন্দ্রের তরফে পাঠানো নির্দেশিকায় সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে বার্তা পাঠিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, বুধবারের মহড়ায় খতিয়ে দেখে নিতে হবে, বিমান হামলার সময়ে সতর্কতামূলক সাইরেন ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে কি না। এর পাশাপাশি রাতে যদি হামলা হয়, সেক্ষেত্রে যুদ্ধবিমানের খবর পাওয়ামাত্র হঠাৎ করে সমস্ত আলো বন্ধ করে দিতে হবে। যাতে শত্রুপক্ষকে বিভ্রান্ত করা যায়। এমন পরিস্থিতিতে সবার উপরে দেশ এই কথা স্মরণ করিয়ে, নাগরিকদের যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিতে আহ্বান জানাল বিজেপি-এবিভিপি।

  • JNUSU Elections: জেএনইউতে ইতিহাস গড়ল এবিভিপি, ছাত্র সংসদের ৪২টির মধ্যে ২৪ আসনে এল জয়

    JNUSU Elections: জেএনইউতে ইতিহাস গড়ল এবিভিপি, ছাত্র সংসদের ৪২টির মধ্যে ২৪ আসনে এল জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইতিহাস তৈরি করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (JNUSU Elections)। ছাত্র সংসদের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৪টিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি। প্রসঙ্গত, ৪২ জন ছাত্র-ছাত্রী প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ১৬টি স্কুল এবং অন্যান্য কেন্দ্র থেকে। এর পাশাপাশি সেন্ট্রাল প্যানেলে সহ-সম্পাদক পদে জয় ছিনিয়ে এনেছেন এবিভিপি প্রার্থী বৈভব মিনা। এবিভিপি-র এই বিপুল জয়ে আর কখনও এটা বলা যাবে না যে জেএনইউ লাল দুর্গ। এবিভিপির (ABVP) এই বিপুল উত্থানে একেবারেই লাল দুর্গ ভেঙে পড়ল এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। অনেকেই বলছেন, এটি একটি মাইলফলকও বটে, বিশেষত ছাত্র আন্দোলনের ক্ষেত্রে। এই বিপুল জয়ে পড়ুয়ারা জাতীয়তাবাদী মতাদর্শকেই গ্রহণ করল বলে জানাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সেন্ট্রাল প্যানেলের একটিমাত্র সহ-সম্পাদক পদে জয় এলেও বাকি সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদেও এবিভিপি জোর টক্কর দিয়েছে। শেষ রাউন্ড পর্যন্ত ঘাড়ের উপরে নিঃশ্বাস ফেলেছে বামপন্থী ছাত্র জোটের উপরে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, সমস্ত বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের মধ্যে লড়াই করে এবিভিপির বিরুদ্ধে। এর সত্ত্বেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এবিভিপি লড়াই দিয়ে যায়।

    রাজস্থানের বাসিন্দা  এবিভিপির বৈভব মিনা জিতলেন সহ-সম্পাদক পদে

    সেন্ট্রাল প্যানেলে সহ-সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন এবিভিপির বৈভব মিনা। জানা যাচ্ছে,  তিনি আদতে রাজস্থানের বাসিন্দা। সে রাজ্যের কারাওলি থেকে তিনি পড়তে আসেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। বৈভব মিনা একজন তফশিলি জাতির ছাত্র। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক হন। জয়পুরে পড়াশোনা শেষ করে পরবর্তীকালে হিন্দি সাহিত্যে তিনি স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি নেন বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে তিনি হিন্দি সাহিত্যের ওপরে গবেষণা করছেন, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজে। একইসঙ্গে তিনি সম্পূর্ণ করেছেন তাঁর দুবছরের এনএসএস প্রোগ্রামও। বর্তমানে তিনি জেএনইউ-র জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNUSU Elections) কাবেরি হস্টেলের সভাপতি রয়েছেন।

    এক নজরে আমরা দেখে নেব, এবিভিপি (ABVP) কোথা থেকে কত আসন জিতল

    স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে রয়েছে পাঁচটি আসন। এর মধ্যে এবিভিপি জয় পেয়েছে দুটি আসনে।

    স্কুল অফ সোশ্যাল সায়েন্সে রয়েছে পাঁচটি আসন। এর মধ্যে এবিভিপি জয় পেয়েছে দুটি আসনে।

    স্কুল অফ বায়োটেকনোলজিতে রয়েছে দুটি আসন। এখানে এবিভিপি জয় পেয়েছে একটি আসনে।

    স্পেশাল সেন্টার ফর মলিকুলার মেডিসিন এখানে রয়েছে একটি আসন, এবিভিপি জয় পেয়েছে ওই আসনে।

    স্কুল অফ কম্পিউটেশনাল এবং ইন্টিগ্রেটিভ সায়েন্স, এখানে দুটি আসনের মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    স্কুল অফ কম্পিউটার অ্যান্ড সিস্টেম সায়েন্স, এখানে রয়েছে তিনটি আসন যার মধ্যে এবিভিপি জয় পেয়েছে দুটি আসনে।

    স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, এখানে চারটি আসনের মধ্যে চারটিতেই এবিভিপি জয় পেয়েছে।

    স্পেশাল সেন্টার ফর ন্যানো সায়েন্স, এখানে রয়েছে একটি আসন এবিভিপি একটিতেই জয় পেয়েছে।

    স্কুল অফ সংস্কৃত অ্যান্ড ইন্ডিক্ট স্টাডিজ, এখানে রয়েছে তিনটি আসন, তিনটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    অ্যামালগামেটেড সেন্টারে দুটি আসনের মধ্যে দুটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    স্কুল অফ এনভারমেন্টাল সায়েন্সে দুটি আসনের মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    অটল বিহারী বাজপেয়ি স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিয়েন্সিপ, এখানে একটি আসনের মধ্যে একটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    স্কুল অফ ফিজিক্যাল সায়েন্সে তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    সার্টিফিকেট প্রফেসিয়েন্সির একটি আসনের মধ্যে একটিতেই জয় পেয়েছে এবিভিপি।

    প্রসঙ্গত, জেএনইউ-র সোশ্যাল সায়েন্সকে মনে করা হত যে বামেদের শক্ত ঘাঁটি। কিন্তু ২৫ বছর পরে এবিভিপি এই জায়গা থেকে দুটি আসন দখল করতে সমর্থ হয়েছে।

    কী বলছেন এবিভিপি নেতৃত্ব (ABVP)

    এ নিয়ে এবিভিপির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNUSU Elections) শাখার সভাপতি রাজেশেখরকান্ত দুবে বলেন, ‘‘আমাদের এই জয় শুধুমাত্র এটা প্রমাণ করে না যে আমরা কতটা সক্রিয় ছাত্র আন্দোলনে, এর পাশাপাশি এটাও প্রমাণ করে বিদ্যার্থী পরিষদের ওপর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিক কতটা বিশ্বাস এবং ভরসা রয়েছে।’’ এবিভিপি তরফ থেকে নবনির্বাচিত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সম্পাদক বৈভব মিনা বলেন, ‘‘আমি এটিকে আমার ব্যক্তিগত জয় হিসেবে দেখছি না। এটা হচ্ছে জাতীয়তাবাদী ভাবাদর্শের জয়।’’

  • Ram Navami: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল রামের পুজো, ইফতার পার্টির বদলি!

    Ram Navami: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল রামের পুজো, ইফতার পার্টির বদলি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতবার রামনবমী (Ram Navami) পালনের অনুমতি দিয়েও, পরে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আর এবার অনুমতিই মেলেনি। তবে রামনবমী পালন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন হিন্দু পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। রবিবার তাঁরাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ক্যাম্পাসে রামনবমী পালন করলেন ঘটা করে। রীতিমতো রামচন্দ্রের প্রতিমা বসিয়ে পুজোও হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি ভবনের নীচে দেওয়ালে লেখা ‘আজাদ কাশ্মীর’। তার পাশেই ব্যানার টাঙিয়ে দিল ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর মুখরিত হল ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগানে।

    রামের পুজো (Ram Navami)

    বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রামনবমী পালনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। উপাচার্য নেই, এই ‘অজুহাতে’ অনুমতি দেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। তখনই হিন্দু ছাত্রগোষ্ঠী প্রশ্ন তুলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যদি ইফতার পার্টির আয়োজন করা যায়, তাহলে রামনবমী পালন করা যাবে না কেন? সেই সময়ই তারা জানিয়েছিল, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে হবে রামের পুজো। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভিড় করেছিলেন পড়ুয়ারা। ছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। সবার উপস্থিতিতেই পুজো হয় রামের।

    এবিভিপির বক্তব্য

    এবিভিপির কলকাতা জেলা সম্পাদক দেবাঞ্জন পাল বলেন, “ইফতার পার্টির আয়োজন করা গেলে ক্যাম্পাসে রামনবমী পালন করা যাবে না কেন?” তাঁর অভিযোগ, ‘ইফতার পার্টিতে কোনওরকমের নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করেই সবাইকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। আর এদিন আইকার্ড দেখে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, “আমরা তো শুধু আমাদের আরাধ্য ভগবান রামের (Ram Navami) আরাধনা করেছি। যাদবপুর তো পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নয়! এখানে যদি ইফতার বা সরস্বতী পুজো হতে পারে, তাহলে রামের পুজো নয় কেন?” এবিভিপির দক্ষিণবঙ্গের রাজ্য সম্পাদক অনিরুদ্ধ সরকার বলেন, “এর আগের বছরও আমরা শোভাযাত্রা করতে গিয়েছিলাম। বামেরা হামলা করেছিল। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম, যা-ই হোক না কেন, এবার আমরা করবই। করেওছি।”

    বামঘেঁষা যাদবপুরে সফলভাবে রামের পুজো হওয়ার ঘটনাটিকে বিশেষজ্ঞরা ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বলে অভিহিত করেছেন (Jadavpur University)। তাঁদের বক্তব্য, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রীদের (Ram Navami) একটা অংশের মধ্যে এবিভিপির প্রভাব রয়েছে। এবার সেটাকেই সংগঠিত রূপ দিতে পেরেছে তারা।

  • Ram Navami: রামনবমী পালনে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের, ইফতার পার্টি কেন, প্রশ্ন হিন্দু ছাত্রদের

    Ram Navami: রামনবমী পালনে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের, ইফতার পার্টি কেন, প্রশ্ন হিন্দু ছাত্রদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) বিরুদ্ধে। মুসলমানদের রমজান উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছিল ইফতার পার্টির। সেখানেই রামনবমীর (Ram Navami) উৎসব পালন করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, উপাচার্যের অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে। যার জেরে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হিন্দু ছাত্র সংগঠনগুলি। তাদের প্রশ্ন, মাত্র কয়েকদিন আগেই একই ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টির অনুমতি কীভাবে দেওয়া হয়েছিল?

    রামনবমী পালনের অনুমতি নয় (Ram Navami)

    বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি নোট জারি করে জানানো হয়, “উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।” প্রসঙ্গত, ক্যাম্পাসে হিংসা রোধে ব্যর্থতা ও প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্যের অভিযোগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে অপসারণ করেছেন। তাই আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ে শূন্য উপাচার্যের পদ। সেই যুক্তি দেখিয়েই হিন্দু ছাত্র সংগঠনগুলিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও অন্য আয়োজকরা এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করে একে সুস্পষ্ট পক্ষপাতিত্ব বলে অভিযোগ করেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হিন্দু ছাত্র সংগঠনগুলি।

    রামনবমী পালন হবেই!

    রামনবমী উৎসব পালনের অন্যতম প্রধান আয়োজক সোমসূর্য ব্যানার্জি বলেন, “আমরা এ বছর ক্যাম্পাসের ভেতরেই রামনবমী পালন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গতবার প্রথমে অনুমতি মিললেও, পরে প্রতিবাদের মুখে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এবার আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি চেয়েছি। কোনও অবস্থায়ই পিছু হটব না।” তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে যদি ইফতার পার্টির আয়োজন করা যায়, তাহলে আমরা কেন রামনবমী পালন করতে পারব না? আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। যদি কেউ আমাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে তার মোকাবিলা করব।” প্রশাসনের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করার অভিযোগও করেন সোমসূর্য। তিনি বলেন, “প্রশাসনের দুটি সম্প্রদায়ের জন্য দুটি আলাদা নিয়ম কেন? আমরা এই বৈষম্য মেনে নেব না।” বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের মতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা থাকা উচিত। উৎসব পালনের অধিকার সকলেরই থাকা প্রয়োজন (Jadavpur University)।

    বাধা এসএফআই-ও

    হিন্দু ছাত্র সংগঠনগুলি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রামনবমী (Ram Navami) পালন করতে উদ্যোগী হলেও, বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইও। সংগঠনের তরফে এক সদস্য বলেন, “এবিভিপি এই অনুষ্ঠানের পিছনে আছে। তবে আমরা তাদের ক্যাম্পাসের ভেতরে রামনবমী পালন করতে দেব না। আমরা বাইরের লোকদের প্রবেশ করতেও দেব না। ক্যাম্পাসে গুন্ডামি করতে দেব না।” এসএফআইয়ের এই বক্তব্যের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হিন্দু ছাত্ররা এসএফআই এবং অন্যান্য বামপন্থী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের ধর্মীয় অধিকার দমন করার অভিযোগ তুলেছে। যদিও তারা অন্য ধর্মের উৎসব পালনকে সমর্থন করছে। হিন্দু ছাত্র সংঘের এক নেতা বলেন, “এটি তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের পুরানো ভণ্ডামি। তারা মুখে সমন্বয়ের কথা বলে, কিন্তু হিন্দু উৎসব বন্ধ করতে যে কোনও পর্যায়ে নামতে পারে।”

    এবিভিপির বক্তব্য

    এবিভিপির পশ্চিমবঙ্গ শাখার ট্রাস্টি বোর্ডের রাজ্য সভাপতি শান্তনু সিংহ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে বামপন্থীদের ঘাঁটি হিসেবে চিত্রিত করা হয়, কিন্তু বাস্তব অন্য কথা বলে। এদের উন্নতি বা অগ্রগতিতে কোন আগ্রহ নেই। এদের একমাত্র লক্ষ্য হল অরাজকতা সৃষ্টি করা এবং তাদের মতাদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কোনও কণ্ঠস্বরকে দমন করা। আমরা আর তাদের শর্ত চাপিয়ে দিতে দেব না। আমরা (Jadavpur University) প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়ে তাদের মোকাবিলা করব।” গত কয়েক মাসে নানা সময় অশান্ত হয়ে উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। মার্চ মাসে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সফরের (Ram Navami) সময়ও ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ হয়। মন্ত্রীকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় বলেও অভিযোগ। মন্ত্রীকে ঘেরাও করার পাশাপাশি তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এর পরেই সরিয়ে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে।

    এখানেও সেই তুষ্টিকরণের রাজনীতি‍!

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রামনবমী পালনের জন্য ছাত্রদের দেওয়া অনুমতি প্রত্যাহার করে নেন। ১৫ এপ্রিল অনুমতি দেওয়া হলেও, ঠিক তার পরের দিনই কোনও কারণ না দর্শিয়েই অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়। অভিযোগ, সেবারও উৎসব পালনে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। উৎসব বন্ধের দাবিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের বাইরে রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখিয়েছিল (Ram Navami)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির সেই ধারা। সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের স্বার্থেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ইফতার পার্টির আয়োজনের। আর সেই একই কারণে (Jadavpur University) বাধা দেওয়া হচ্ছে রামনবমী (Ram Navami) পালনে।

  • ABVP: বামেদের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে জেএনইউ-তে ‘একাত্মতা যাত্রা’ করল এবিভিপি

    ABVP: বামেদের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে জেএনইউ-তে ‘একাত্মতা যাত্রা’ করল এবিভিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে ফের একবার খবরের শিরোনামে দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। সম্প্রতি, অভিযোগ ওঠে যে জওরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক বিভাজনের মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্যের কারণে সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। ঠিক এই আবহে পাল্টা আন্দোলনে নামল এবিভিপি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) তরফে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই ডাক দেওয়া হয় একাত্মতা যাত্রার। এই কর্মসূচিতে ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    কী জানাল এবিভিপি (ABVP)?

    এবিভিপির-র (ABVP) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের বিক্ষোভের আসল উদ্দেশ্য হল, ভারতের প্রাচীনতম সনাতন সভ্যতা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিতে রক্ষা করা। সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতেই বামপন্থীদের বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এবিভিপি। বাম ছাত্র সংগঠনগুলির বিভাজনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গঙ্গা ধাবা থেকে এই একাত্মতা যাত্রা শুরু হয় এবং তা চলে বারাক হস্টেল পর্যন্ত।

    আগেও এমন আন্দোলন করেছে এবিভিপি (ABVP)

    প্রসঙ্গত, এটাই নতুন নয়, এর আগেও বাম সংগঠনগুলির বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে এবিভিপি রাষ্ট্রীয় একতা যাত্রার আয়োজন করেছে। সেখানে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এবিভিপি কর্মীদের অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি (ABVP) শাখা জানিয়েছে, তারা যে কোনও ধরনের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে। এরপাশাপাশি তারা বামেদের এমন বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে পথে নামাতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।

    কী বললেন এবিভিপির জেএনইউ-র সভাপতি?

    অখিল ভারতী বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) জেএনইউ শাখার সভাপতি রাজেশ্বর কান্ত দুবে এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘জেএনইউ-র একটা পরিচয় রয়েছে। এটি বিবিধতার মধ্যে ঐক্যের কথা বলে। এখানে যদি কেউ আঘাত করে তাহলে আমরা তার পাল্টা জবাব দেবই। জেএনইউ-র একাত্মতা যাত্রার মাধ্যমে আমরা এইবার তাই প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে এই বার্তা দিতে চাইলাম যে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিভাজনের রাজনীতিকে সমর্থন করেনা।’’

  • Ram Janmabhoomi: রাম মন্দির আন্দোলনের ‘প্রথম করসেবক’ কামেশ্বর চৌপাল প্রয়াত, শোক প্রকাশ মোদির

    Ram Janmabhoomi: রাম মন্দির আন্দোলনের ‘প্রথম করসেবক’ কামেশ্বর চৌপাল প্রয়াত, শোক প্রকাশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Janmabhoomi) ট্রাস্টি কামেশ্বর চৌপাল প্রয়াত হলেন। দীর্ঘদিন কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে ৬৮ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন তিনি। রিপোর্ট অনুযায়ী , চৌপাল দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘এক অনন্য রামভক্ত ছিলেন কামেশ্বর চৌপাল (Kameshwar Chaupal), তাঁর প্রয়াণে আমি দুঃখিত।’’ প্রসঙ্গত, কামেশ্বর চৌপালকে ‘প্রথম করসেবক’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৮৯ সালে তিনি রাম জন্মভূমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য প্রথম ইট স্থাপন করেছিলেন বলে জানা যায়। তিনি বিহারের প্রাক্তন এমএলসি ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক্স হ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ (Ram Janmabhoomi) করা হয়। শোক প্রকাশ করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    কামেশ্বর চৌপাল বিহারের সুপৌল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন

    সূত্রের খবর, চৌপালের মেয়ে তাঁকে আগে একটি কিডনি দান করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিস্থাপন ফলপ্রসূ হয়নি (Ram Janmabhoomi)। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সকালে মারা গেলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১৯৫৬ সালের ২৪ এপ্রিল কামেশ্বর চৌপাল বিহারের সুপৌল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন বলে জানা যায়। তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ছিলেন। এর পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বনবাসী কল্যাণ কেন্দ্র, আরএসএস এবং এবিভিপি সহ সঙ্ঘ পরিবারের একাধিক সংগঠনে কাজ করেন তিনি।

    শোক প্রকাশ অমিত শাহের

    প্রসঙ্গত, কামেশ্বর চৌপালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন অমিত শাহ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Ram Janmabhoomi) লিখেছেন, ‘‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের স্থায়ী সদস্য এবং বিজেপির সিনিয়র নেতা কামেশ্বর চৌপাল জি’র প্রয়াণ অত্যন্ত দুঃখজনক। শ্রীরাম জন্মভূমি আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। সামাজিক কাজ ও বঞ্চিতদের কল্যাণের জন্য বিশেষ কাজ করেছিলেন কামেশ্বর চৌপাল। প্রভু শ্রীরাম তাঁর আত্মাকে শ্রীচরণে স্থান দিন এবং তাঁর শোকগ্রস্ত পরিজনদের মানসিক শক্তি প্রদান করুন।’’

  • ABVP: ‘‘দেশ গঠনের কাজ করছে এবিভিপি’’, বললেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি

    ABVP: ‘‘দেশ গঠনের কাজ করছে এবিভিপি’’, বললেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশা এবিভিপির (ABVP) ৪৯তম রাজ্য সম্মেলনে হাজির ছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। সেখানেই তিনি জানান যে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এমন একটি সংগঠন, যারা দেশ গঠনের কাজ করে চলেছে নিরন্তরভাবে। এবিভিপির জ্ঞান-চরিত্র-একতা আদর্শের কথাও তিনি তুলে ধরেন এদিন। তিনি আরও জানান, শিক্ষা এবং সমাজের বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রসঙ্গত, এবিভিপি ওড়িশার ৪৯তম রাজ্য সম্মেলন শুরু হয় কটকের ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এবং সেখানেই একথা বলতে শোনা যায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে (Odisha CM)। মোহন মাঝি আরও বলেন, ‘‘জাতীয় স্বার্থে, জাতির পুনর্গঠনে দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে বহন করে চলেছে এবিভিপি।’’

    যে কোনও নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয় ওড়িশায়

    একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ওড়িশা সরকারের (ABVP) ছাত্রদরদী বিভিন্ন নীতির কথাও এদিন তুলে ধরেন নিজের বক্তব্যে। তিনি জানান, পরীক্ষা ব্যবস্থায়ও স্বচ্ছতা আনা হয়েছে ওড়িশায়। যে কোনও নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয় ওড়িশায়। এর পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ নিয়েও এদিন কথা বলেন তিনি। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপের ব্যবস্থাও ওড়িশায় রয়েছে বলে নিজের ভাষণে উল্লেখ করেন তিনি।

    রাজ্য সম্মেলনে হাজির ছিলেন এবিভিপি (ABVP) ওড়িশার রাজ্য সম্পাদক অরিজিৎ পট্টনায়ক

    ওড়িশায় পরবর্তী অ্যাকাডেমিক বছর থেকে বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের বক্তব্যে মোহন চরণ মাঝি আরও জানান, আগামী দিনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ছাত্র নেতৃত্বকেই ভবিষ্যতে ওড়িশার দায়িত্ব নিতে হবে। প্রত্যেক ছাত্র নেতৃত্বকে তিনি তাঁদের কর্তব্য এবং সমাজের দায়বদ্ধতাও স্মরণ করান। রাজ্য সম্মেলনে হাজির ছিলেন এবিভিপি (ABVP) ওড়িশার রাজ্য সম্পাদক অরিজিৎ পট্টনায়ক। তিনি সংগঠনের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন। ওড়িশা এবিভিপি এক লাখ সদস্য করাতে পেরেছে বলে তিনি নিজের রিপোর্টে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এই অ্যাকাডেমিক বছরে ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৭ জন পড়ুয়া সংগঠনে নাম লিখিয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ABVP: এবিভিপির ৭০ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে ভাষণ দেবেন যোগী আদিত্যনাথ

    ABVP: এবিভিপির ৭০ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে ভাষণ দেবেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) ৭০ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে ভাষণ দেবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Chief Minister Yogi Adityanath)। জানা গিয়েছে, আগামীকাল রবিবার, ২৪ নভেম্বর গোরক্ষপুরে দেশের প্রতি ছাত্রসমাজের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে এই ভাষণ দেবেন তিনি। খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বেলিত ছাত্রসমাজ। 

    ভারত সহ নেপালের ৪৪টি প্রদেশের প্রতিনিধিদের যোগদান(ABVP)

    ১৯৪৯ সালের ৯ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ তথা এবিভিপি (ABVP)। এই বছর ৭০ তম রাষ্ট্রীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারত সহ নেপালের ৪৪টি প্রদেশ থেকে মোট ১৫০০ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অধ্যাপক, গবেষক সম্মলেনে অংশ গ্রহণ করেছেন। ২৪ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত অধ্যাপক যশবন্তরাও কেলকর যুব পুরস্কারের অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Chief Minister Yogi Adityanath)। এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেওয়া হবে মহারাষ্ট্রের বিশিষ্ট সমাজসেবী দীপেশ নায়ারকে। তিনি সামজিক ক্ষেত্রে শিক্ষার প্রগতি বিস্তারে কাজ করছেন। বিশেষ করে শরীরীক প্রতিবন্ধীদের ব্যক্তিদের পড়াশুনা করানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন। পুরস্কার স্বরূপ ১ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হবে তাঁকে।

    উদ্যোগ, কর্মসংস্থান, আত্মনির্ভরতা

    উল্লেখ্য, প্রখ্যাত ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং জোহা কর্পোরেশনের সিইও শ্রীধর ভেম্বু ২২ নভেম্বর এই এবিভিপির (ABVP) রাষ্ট্রীয় সম্মলেনের উদ্বোধন করেন। এদিন তিনি ভাষণ দিতে গিয়ে যুব সমাজের উদ্যোগ, কর্মসংস্থান, আত্মনির্ভরতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার প্রয়োগের বিষয়ে অপার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

    একই ভাবে এবিভিপির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র সোলাঙ্কি বলেন, “এবিভিপি এই বিশেষ সম্মলেনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মানববিদ্যা, বিজ্ঞান, ম্যানেজমেন্ট, প্রকৌশল, চিকিৎসা-সহ ইত্যাদি বিষয়ে যোগদানের জন্য উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণার কাজ করছে। সেই সঙ্গে একটি যুব পুরস্কার দেওয়া হয়। সমাজ এবং জাতির প্রতি কর্তব্যের ভাবনা দিয়ে কাজকে প্রধান্য দেওয় হয়। দিব্যাঙ্গ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জ্ঞানের আলো পৌঁছে দিতে বিরাট কাজ করছেন শ্রী দীপেশ নায়ার। জীবনকে অর্থপূর্ণ এবং সার্থক করতে এই উদ্যোগ অত্যন্ত অপরিহার্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share