Tag: ABVP

ABVP

  • ABVP: এবিভিপি-র আন্দোলনের জের, ধর্মীয় মৌলবাদ ছড়ানোর অভিযোগে দায়িত্ব থেকে সরানো হল ৬ শিক্ষককে

    ABVP: এবিভিপি-র আন্দোলনের জের, ধর্মীয় মৌলবাদ ছড়ানোর অভিযোগে দায়িত্ব থেকে সরানো হল ৬ শিক্ষককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) অভিযোগের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশের একটি সরকারি আইন কলেজের মোট ছ’জন শিক্ষককে সরানো হল দায়িত্ব থেকে। উগ্র মৌলবাদ ছড়ানো এবং দেশের সেনাবাহিনী সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারের অভিযোগ ছিল ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। এই ছ’জনের মধ্যে চারজন শিক্ষক মুসলিম ধর্মাবলম্বী বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘ভারত আমারই এক অংশ’, পদ্মভূষণ পেয়ে বললেন সুন্দর পিচাই

    আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠনের (ABVP) অভিযোগের পর, বিচার বিভাগীয় তদন্ত চলাকালীন এই শিক্ষকরা পাঁচ দিনের জন্য ক্লাসে পড়াতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ। এবিভিপি কর্মীরা (ABVP), শাসাকিয়া নবীন বিধি মহাবিদ্যালয়ের (সরকারি নতুন আইন কলেজ) ক্যাম্পাসের এই ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন। তার জেরেই সরানো হল দায়িত্ব থেকে।   

    আরও পড়ুন: গুজরাটে ভোটদানের হার কম, ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি?

    এবিভিপি-র বিবৃতি

    কলেজের এবিভিপি ইউনিটের (ABVP) সভাপতি দীপেন্দ্র ঠাকুর, কলেজ অধ্যক্ষ ডঃ ইনামুর রহমানের কাছে একটি অভিযোগ করেন, যে কলেজের কিছু শিক্ষক প্রথম বর্ষের ছাত্রদের মধ্যে “ধর্মীয় মৌলবাদ এবং সরকার ও সেনাবাহিনী সম্পর্কে নেতিবাচক কথা” প্রচার করেছেন। এবিভিপি-র আরও অভিযোগ, লাভ জেহাদের প্রচারও চালাচ্ছিলেন এই শিক্ষকরা। 

    আরও পড়ুন: ‘সবাই একটাই বিয়ে করবে’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে কমিটি গড়ে বললেন চৌহান

    কলেজ কর্তৃপক্ষের বিবৃতি

    কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, “এবিভিপি-র  (ABVP) অভিযোগ গুরুতর হওয়ায় আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে জেলা আদালতের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এই তদন্ত করবেন। তদন্ত যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায় সেজন্য অভিযুক্ত ছয় শিক্ষককে আগামী পাঁচ দিনের জন্য সমস্ত রকম দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: দেশকে রক্ষা করার জন্য ছাড়লেন আইআইটি-র সুযোগ! জানুন গৌরব যাদবের স্বপ্নপূরণের কাহিনী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • JNU: জেএনইউ-তে ব্রাহ্মণ বিরোধী স্লোগান বামেদের, নিন্দায় এবিভিপি

    JNU: জেএনইউ-তে ব্রাহ্মণ বিরোধী স্লোগান বামেদের, নিন্দায় এবিভিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বিতর্কে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের (JNU) বেশ কয়েকটি ভবনের দেওয়ালে ব্রাহ্মণ বিরোধী স্লোগান লেখার অভিযোগ উঠল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)।

    আরও পড়ুন: মহিলা বিচারপতিদের নিয়ে পৃথক ডিভিশন বেঞ্চ গঠন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    এদিন স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-২ ভবনের দেয়াল ভাঙচুর করে ব্রাহ্মণ ও বনিয়া সমাজের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ছাত্র-ছাত্রীদের।

    এই ঘটনায় জেএনইউ কর্তৃপক্ষের তরফে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: এনডিটিভি ডিরেক্টর পদে ইস্তফা প্রণয়-রাধিকার, সংস্থা ছাড়লেন রবীশও

    “ব্রাহ্মণ ক্যাম্পাস ছোড়ো”, “ব্রাহ্মণ ভারত ছোড়ো” এবং “ব্রাহ্মণ-বনিয়ারা, “উই আর কামিং ফর ইউ” ইত্যাদি স্লোগানে ভরে উঠেছে বিভিন্ন দেয়াল (JNU) । স্লোগানগুলি লাল কালিতে লেখা। জনৈক অধ্যাপকের চেম্বারের সামনে লেখা হয়েছে, “গো ব্যাক টু শাখা”। 

    এবিভিপির বিবৃতি

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, এই ভাঙচুরের ঘটনা এবং বিকৃত স্লোগানগুলির জন্য বাম ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। ABVP-এর JNU ইউনিটের সভাপতি রোহিত কুমার এদিন জানান, “এবিভিপি, শিক্ষাক্ষেত্রে কমিউনিস্ট গুন্ডাদের দ্বারা এই ভাঙচুরের ব্যাপক নিন্দা করছে। কমিউনিস্টরা JNU-এর স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-2 ভবনের দেওয়ালে গালাগালি পর্যন্ত লিখেছে। তারা ভয় দেখানোর জন্য, মুক্ত চিন্তার অধ্যাপকদের চেম্বারকে অবধি বিকৃত করেছে, হুমকির ভাষা লিখে”। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে শিক্ষাক্ষেত্রগুলি বিতর্ক এবং আলোচনার জন্য ব্যবহার করা উচিত, সমাজ এবং ছাত্রদের বিষাক্ত করার জন্য নয়।

    অধ্যাপক সংগঠনের বিবৃতি

    JNU শিক্ষকদের একটি সংগঠনও এই ভাঙচুরের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একটি টুইট পোস্ট করেছে এবং এর জন্য বামেদেরকে দায়ী করেছে।
    JNU টিচার্স ফোরাম ট্যুইটারে লিখেছে, “বামেরা প্রতিটি ভিন্নমতের কণ্ঠকে ভয় দেখায়, ভাঙচুরের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • TET Agitation: টেট চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবিভিপির

    TET Agitation: টেট চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল রাতে টেট উত্তীর্ন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের জোর করে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে বিকাশ ভবনের সামনে  বিক্ষোভ দেখাল আরএসএস এবং বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। পুলিশ তাদের জোর করে তুলতে গেলে তুমুল ধস্তাধস্তি হয়। অপরদিকে শুক্রবার মধ্যরাতের ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে মধ্য কলকাতায় মিছিল করে বিজেপি।   

    এদিন দুপুরে বিধাননগরের বিকাশ ভবনের সামনে জড়ো হন এবিভিপি সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার রাতের পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ দেখান তাঁরা। প্রায় একই সময়ে এবিভিপির বিক্ষোভস্থল থেকে কিছু দূরেই বাম ছাত্রযুবদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি চলছিল। অপরদিকে এবিভিপি সমর্থকদের পুলিশ সরাতে এলে সেখানেও ধুন্ধুমার বেধে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পরে তাদের প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। 

    অন্যদিকে বৃহস্পতিবারের পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আজ দুপুরে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে সদর দফতর থেকে মিছিল করেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদে সেই মিছিলে নেতৃত্ব দেন অগ্নিমিত্রা পাল। মিছিল গান্ধীমূর্তিতে আন্দোলনকারীদের কাছে যাওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন: “এই সরকারকে একটাও ভোট না”, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন চাকরিপ্রার্থীরা

    অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “দেখুন আমাদের কতদূর যেতে দেয়। গতরাতে যা করেছে তাকে ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না কি আন্দোলন করে আজ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মুখোস আজ খুলে গেছে।”

    এদিকে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য পুলিশি অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করেছেন। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “হিটলারের বাহিনীর মতো মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পুলিশ নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে আন্দোলনরত ২০১৪-র টেট  উত্তীর্ণদের তুলে দিয়েছে। যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের কাছে আইন মেনেই অবস্থান করছিলেন।” 

     


    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohan Bhagwat: দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে আরএসএস, হায়দরাবাদে মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে আরএসএস, হায়দরাবাদে মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে (Hyderabad) সংগঠনের নয়া ভবনের উদ্বোধনে এসে এমনই দাবি করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। এর পাশাপাশি তাঁর দাবি, সত্যকে কোনওদিনই চেপে রাখা যায় না। তা একদিন না একদিন নিজের পথ করে নেবে।

    ভাগবতের মতে, আরএসএস কর্মীদের আত্মত্যাগের কারণেই আড়েবহরে বেড়েছে আরএসএস। তিনি বলেন, আরএসএস কর্মীরা অনেক আত্মত্যাগ করেছেন। আর তা করতে পেরেছেন বলেই মজবুত হয়েছে সংগঠন। বিরোধীদের উদ্দেশে ভাগবত বলেন, কিছু মানুষ আছেন যাঁরা মনে করেন তাঁরাই একমাত্র সঠিক। আর বাকিরা ভুল। আর যখনই তাঁদের বিরোধিতা করা হয়, তাঁরা চেষ্টা করেন ন্যায় ও সত্যকে চেপে রাখতে। তিনি মনে করিয়ে দেন, হিংসা দিয়ে সত্যকে চেপে রাখা যায় না।

    আরও পড়ুন : হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    তেলঙ্গনায় দলীয় কর্মীদের সাফল্যেও তিনি যে অভিভূত, তাও দেরাজ গলায় প্রবীণ এই আরএসএস নেতা। তিনি বলেন, অনেক লড়াইয়ের শেষে এই সাফল্য পেয়েছেন এখানকার যুব নেতারা। তিনি বলেন, আমি তেলঙ্গানায় এবিভিপি ক্যাডারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি। আমি দেখেছি কীভাবে তারা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে। আজ এই ভবনের উদ্বোধন বুঝিয়ে দিচ্ছে আন্দোলন কতটা ইতিবাচক হয়ে উঠেছে।

    সংগঠন বাড়ায় যে বিপদ হতে পারে সে ব্যাপারে সংগঠনের ছাত্র ও কর্মীদের সতর্ক করে দেন আরএসএস প্রধান। বলেন, এই সময় সতর্ক না হলে সমস্যা হতে পারে। আরএসএসের জনপ্রিয়তা এখন বাড়ছে। জনপ্রিয়তা নিজেই ভবিষ্যতে পথ আটকে দিতে পারে। সংঘপ্রধান মনে করিয়ে দেন, আমাদের কাছে সাফল্য কোনও গন্তব্য নয়, এটি হল যাত্রা।

    আরও পড়ুন : সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    হিন্দুত্ববাদীদের অতিসক্রিয়তা যে তিনি ভালো চোখে দেখছেন না, দিন কয়েক আগে তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ভাগবত। তিনি বলেছিলেন, সমস্ত মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার প্রয়োজন কী? জ্ঞানবাপী নিয়ে আমাদের আলাদা ভক্তি থাকতেই পারে, তাই বলে সমস্ত মসজিদে শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব খুঁজতে বেরনো অনুচিত।

     

  • JNU clash: ‘যজ্ঞে বাধা দেওয়াতেই সংঘর্ষ’, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের দাবি উড়িয়ে জানাল জেএনইউ কর্তৃপক্ষ

    JNU clash: ‘যজ্ঞে বাধা দেওয়াতেই সংঘর্ষ’, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের দাবি উড়িয়ে জানাল জেএনইউ কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) দিন জেএনইউয়ে (JNU) দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে অশান্তির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে বাম ছাত্র সংগঠনের আনা আমিষ খাবারে বাধা দেওয়ার তত্ত্ব খারিজ করে কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, আমিষ নয়, যজ্ঞে বাধা দেওয়াতেই ঘটনার সূত্রপাত।

    বাম ছাত্র সংগঠের অভিযোগ ছিল, ক্যাম্পাসের ভিতর পড়ুয়াদের আমিষ খাওয়ার উপর ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) ছাত্র সংগঠন শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। তার জেরেই বাকি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। 

    সেই ঘটনার প্রায় ২৪-ঘণ্টা পর কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই কাবেরী ছাত্রাবাসের ভিতর যজ্ঞের আয়োজন করেছিল এবিভিপি। তাতে বাধাদেয় বামপন্থীরা। আর তার জেরেই নাকি ছড়ায় অশান্তি! যদিও কর্তৃপক্ষের এই দাবি মানতে নারাজ বামপন্থীরা (NSUI)।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার রবিকেশ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে খাদ্যাভাস নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ বা নিয়ন্ত্রণ নেই। এখানে যাঁর ইচ্ছা হবে, তিনিই আমিষ খাবার খেতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রামনবমীর ঘটনা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, “১০ এপ্রিলে জেএনইউ ক্য়াম্পাসের ভিতর পড়ুয়াদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রামনবমী উপলক্ষ্যে ক্য়াম্পাসের ভিতরেই কাবেরী ছাত্রাবাসে একটি যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। কিছু পড়ুয়া তাতে বাধা দেয়। তবে ওয়ার্ডেন এবং ডিনের সহযোগিতায় বিষয়টি তখনকার মতো মিটে যায় এবং যজ্ঞ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়। কিন্তু, পড়ুয়াদের একাংশ এতে খুশি ছিল না। রাতের খাবার খাওয়ার সময় হলে তারাই ঝামেলা শুরু করে।”

    একইসঙ্গে, রবিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ছাত্রাবাসের আবাসিকদের খাদ্যাভ্য়াস এবং খাদ্যতালিকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানও স্পষ্ট করেন রেজিস্ট্রার। তিনি বলেন, “ছাত্রাবাস পরিচালনার জন্য ছাত্রদের নিজস্ব কমিটি রয়েছে। এরসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও সম্পর্ক নেই। খাদ্যতালিকা নিয়েও কর্তৃপক্ষের কিছু বলার নেই।”

    কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যারা রবিবারের সংঘর্ষের জন্য দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে, এই ধরনের ঘটনার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন যাতে বিঘ্নিত না হয়, সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করার আবেদন করেছেন রেজিস্ট্রার। উল্লেখ্য, ওই ঘটনার পর গভীর রাতে কাবেরী হস্টেলে যান উপাচার্য শান্তিশ্রী ধুলিপুডি পণ্ডিত-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য আধিকারিকরা।

    প্রসঙ্গত, রামনবমীতে আমিষ খাওয়া নিয়ে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) দু’টি ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। ঘটনায় ছ’জন আহত হয়েছেন। জেএনইউ বাম ছাত্র ইউনিয়নের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ অভিযোগ করেন, ঘটনায় হস্টেলের মেস সেক্রটারিকেও মারধর করা হয়। 

    প্রসঙ্গত, মেস কমিটি পড়ুয়াদের ভোটেই নির্বাচিত হয়। তারা বিভিন্ন খাদ্যাভ্য়াসের আবাসিকদের জন্য মিলিয়ে মিশেয়ে বিভিন্ন পদের আয়েজন করে। রবিবার মাংস এবং পনীর দুই-ই ছিল খাদ্য তালিকায়। কিন্তু বাম ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ ছিল, এবিভিপি সদস্যরা তাঁদের আমিষ খেতে বাধা দেন।

    এবিভিপির তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়, বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা তাঁদের উপর প্রথমে আক্রমণ চালায়। যজ্ঞে বাধা দেয়।  এই ঘটনায় রবি রাজ নামে তাঁদের এক সদস্য আহত হয়েছে। তাদের এই দাবিতেই মান্যতা দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

     

LinkedIn
Share