Tag: Air India

Air India

  • DGCA: কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ! কেন্দ্রের নির্দেশে তিন শীর্ষকর্তাকে সরাল এয়ার ইন্ডিয়া

    DGCA: কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ! কেন্দ্রের নির্দেশে তিন শীর্ষকর্তাকে সরাল এয়ার ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের নির্দেশে সংস্থার তিন শীর্ষকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরাল এয়ার ইন্ডিয়া। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, অর্থাৎ ডিজিসিএ (DGCA)-র নির্দেশে এই পদক্ষেপ করল টাটার মালিকানাধীন বিমান সংস্থা। প্রসঙ্গত, এই তিন আধিকারিক এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমান কর্মীদের বিভিন্ন সূচি নির্ধারণের (Roster Management) দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিগত কয়েকদিন ধরেই তাঁরা কর্তব্যে গাফিলতি করেছেন। ডিজিসিএ-র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই তিন শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে কাজের নিয়ম না মানার অভিযোগ রয়েছে। তারা বারবার একই ভুল করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    কর্তব্যে গাফিলতি

    কোনও কোনও কর্মীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বাধ্যতামূলক লাইসেন্স ছাড়াই তাঁদের বিমানে ডিউটি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কিছু কর্মীকে টানা ডিউটি করানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় বিশ্রামের সুযোগও দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই ডিজিসিএ তিনজন দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ আধিকারিককে চিহ্নিত করে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে (DGCA)।

    তিন শীর্ষ আধিকারিকের পরিচয় (DGCA)

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিজিসিএ যে তিনজন শীর্ষকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়েছে, তাঁরা হলেন, এয়ার ইন্ডিয়ার ডিভিশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট চুরা সিং, ডিরেক্টর অফ অপারেশনস (ক্রু সিডিউলিং) পিঙ্কি মিত্তল এবং ক্রু সিডিউলিং-এর চিফ ম্যানেজার পায়েল অরোরা। আগেই ডিজিসিএ-র (DGCA) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ‘‘এয়ার ইন্ডিয়া স্বেচ্ছায় জানিয়েছে, বিমানকর্মীদের সূচি নির্ধারণ, নিয়মানুবর্তিতা এবং অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতে গাফিলতি হয়েছে। এই গাফিলতির সঙ্গে যে আধিকারিকরা সরাসরি যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়নি, এটা উদ্বেগের।’’

    অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ (DGCA)

    কর্তৃপক্ষের নির্দেশ, খুব শীঘ্রই তাঁদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করতে হবে এবং ১০ দিনের মধ্যে সেই তদন্তের রিপোর্ট ডিজিসিএ-কে জমা দিতে হবে। প্রসঙ্গত, অল্প কিছু দিন আগে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় পড়ে, যাতে ২৭১ জনের মৃত্যু হয়। রানওয়ে ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি একটি ভবনে ধাক্কা খায়। এই ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং বেশ কিছু উড়ান বাতিল করা হয়। এবার ওই সংস্থার তিন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে ডিজিসিএ।

  • Air India Plane Crash: নাশকতার সম্ভাবনা! বিমান বিপর্যয়ে এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীদের জেরা, কয়েক জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত

    Air India Plane Crash: নাশকতার সম্ভাবনা! বিমান বিপর্যয়ে এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীদের জেরা, কয়েক জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) নেপথ্যে নাশকতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। তদন্তে উড়ান সংস্থার কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। গুজরাটের আমেদাবাদে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্তব্যরত গ্রাউন্ড স্টাফদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও, ১২ জুন উড়ানের আগে যাঁরা বিমান ছাড়ার অনুমতি দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন কর্মীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে। উদ্ধার করা হয়েছে ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (DFDR) এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR)। বিমানটির ব্ল্যাক বক্সও উদ্ধার হয়েছে, যা দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

    বেশ কয়েক জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত

    সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত এআই ১৭১ বিমানটি ওড়ার আগে সেটির দেখাশোনার কাজে যে কর্মীরা ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বিমানটি (Air India Plane Crash) ওড়ার সবুজ সঙ্কেত যে কর্মীরা দিয়েছিলেন, এমন বেশ কয়েক জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দাবি ওই সূত্রের। মোবাইলগুলি যাচাই করে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা, এমনই দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। গত বৃহস্পতিবার লন্ডনের গ্যাটউইকগামী ওই বিমানটি আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ানের কিছু ক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। তিনিও ওই বিমানেই ছিলেন।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশ্বাস

    বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা ওই দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) কারণ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। ঘটনার তদন্তে যুক্ত হয়েছে বোয়িং, আমেরিকার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (NTSB) এবং ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA)। ভারতের ডিজিসিএ এবং অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক জানিয়েছে, উড়ানের ঠিক আগে পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাবহারওয়াল এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডার একটি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তবে এরপর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (ATC)-এর সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এই প্রথমবার কোনো বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমান দুর্ঘটনার শিকার হলো। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলিধর মোহল জানান, কেন্দ্রীয় তদন্ত কমিটি এই দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তিন মাসের মধ্যে জমা দেবে।

  • Air India Plane Crash: মিলল এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স, কেন ঘটল দুর্ঘটনা?

    Air India Plane Crash: মিলল এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স, কেন ঘটল দুর্ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনার তিন দিন পর হদিশ মিলল আমেদাবাদে ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের (Air India Plane Crash) দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সের। রবিবার সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে এই তথ্যটি জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ‘ককপিট ভয়েস রেকর্ডার’ (সিভিআর) ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার যে হস্টেলের ছাদে বিমানটি আছড়ে পড়েছিল, সেখান থেকে প্রথম ব্ল্যাক বক্স, অর্থাৎ ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর) উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার খোঁজ মিলল দ্বিতীয়টির। দুই ব্ল্যাক বক্স এবার আমেদাবাদের তদন্তে গতি আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ককপিট ভয়েস রেকর্ডার পাওয়ায় তদন্তে সুবিধা

    রবিবার, আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান (Air India Plane Crash) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান সচিব পিকে মিশ্র। রবিবার, ওই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা ছাড়াও আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। তাঁর কাছেই ওই দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে আধিকারিকদের তরফে। ককপিট ভয়েস রেকর্ডারটি পাওয়ার পর তদন্তে সুবিধা হবে, বলে মনে করা হচ্ছে। কী কারণে সেদিন ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল তার সম্ভাব্য কারণ জানতে সাহায্য করবে এই দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি। ইতিমধ্যে বিমানের ‘ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার’ বা প্রথম ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১২ জুন বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডন গ্যাটউইকের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১। বোয়িং সংস্থার এই ড্রিমলাইনার বিমানে এর আগে বড়সড় দুর্ঘটনা হয়নি। কিন্তু সে দিন রানওয়ে ছাড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সামনের বিল্ডিংয়ে ধাক্কা খেয়ে বিমানটি ভেঙে পড়ে। মুহূর্তে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারপাশ। বিমানে আগুন ধরে যায়।

    কেন গুরুত্বপূর্ণ ‘ব্ল‍্যাক বক্স’?

    বিমান দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) তদন্তে সব প্লেনেই দু’রকমের ব্ল‍্যাক বক্স রাখা থাকে। এটাই নিয়ম। একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)। অপরটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। সিভিআর থাকে বিমানের সাংনের অংশে। অন্যদিকে, এফডিআর থাকে বিমানের শেষের অংশে। যে কারণে, দুর্ঘটনার দিন যে মেডিক্যাল হস্টেলের ছাদে ধাক্কা লেগে বিমানের লেজের অংশ ভেঙে আটকে গিয়েছিল, সেই ছাদ থেকেই এফডিআরটি উদ্ধার হয়। কোনও দুর্ঘটনা হলে এই দুই রেকর্ডিং থেকে কী ঘটেছিল সেটার একটা ছবি ভেসে ওঠে তদন্তকারীদের সামনে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ড থেকে পাওয়া যায় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের হিসেব, কোনদিকে যাচ্ছিল বিমান, কত স্পিড ছিল এমন মোট ৮০ রকমের তথ্য পাওয়া যায়। বিমানের ককপিটের কথাবার্তা রেকর্ড করা রয়েছে ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে। প্রথমে মেটালিক স্ট্রিপে রেকর্ড হত বিমানের ভিতরের সব ঘটনা। যাতে জলে কিংবা আগুনের গ্রাসে পড়লেও নষ্ট না হয় তথ্য। পরবর্তীতে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাগনেটিক ড্রাইভ এবং মেমরি চিপ রাখা হয় ব্ল‍্যাক বক্সে।

    দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স থেকে বিশদ তথ্য

    দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) তদন্ত করছে এয়ারক্র্যাফ্‌ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) এবং এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই)। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবের সঙ্গে তাদের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে। কেন্দ্রীয় সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক আমেদাবাদের দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। তিন মাসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ার আগে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন পাইলট। পাঠিয়েছিলেন বিপদবার্তা (মেডে কল)। কিন্তু তার পর আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। মুহূর্তের মধ্যে বিমানটি ভেঙে পড়ে। একটি অডিয়োয় পাইলটকে বলতে শোনা গিয়েছে, থ্রাস্ট পাওয়া যাচ্ছে না। বিমান ক্রমশ নীচের দিকে নামছে। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স থেকে এই সংক্রান্ত আরও বিশদ তথ্য পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি কী অবস্থায় মিলেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, প্রাথমিকভাবে দু-টি রেকর্ডারই কার্যত অক্ষত রয়েছে, বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। দেশেই ব্ল্যাকবক্সের ডেটা ডি-কোডিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

    বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে সক্রিয় কেন্দ্রীয় ও গুজরাট সরকার 

    এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেটিগেশন ব্যুরো এবং এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সার্কিট হাউসে হওয়া ওই উচ্চ-পর্যায়ের পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান সচিব পিকে মিশ্র কেন্দ্রীয় এবং গুজরাট রাজ্য সরকার, এএআইবি এবং ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে তদন্ত প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানেই তাঁকে ওই ফ্লাইটের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR) দু’টিই পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই বিমান দুর্ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেটিগেশন ব্যুরো। আন্তর্জাতিক প্রোটোকল মেনে সমান্তরালভাবে তদন্ত করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্র্যান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড-ও।

  • Air India: নড়ছিল বিমানের পিছনের অংশ! এবার সংবাদমাধ্যমে দাবি করলেন এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী আকাশ

    Air India: নড়ছিল বিমানের পিছনের অংশ! এবার সংবাদমাধ্যমে দাবি করলেন এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী আকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারে আমেদাবাদের এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা হয়। এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগেই আকাশ বৎস নামের এক যাত্রী এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ফ্লাইটে চড়েছিলেন বলে দাবি করেন এবং তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তাঁর ওই পোস্ট ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। কারণ তিনি বিমানের অব্যবস্থা নিয়ে বেশ কিছু তথ্য দেন। আকাশ বৎস (Akash Vatsa) দিল্লি থেকে আমেদাবাদ যান ওই বিমানে চড়ে এবং সেই ফ্লাইটের ভিতরের ভিডিও তিনি প্রকাশ করেন। নিজের পোস্টে আকাশ বৎস প্রশাসনকে অনুরোধ জানান, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। আকাশের দাবি, যে বিমানের বিপর্যয় ঘটেছে সে সম্পর্কে তিনি আরও অনেক কিছু তথ্য জানাতে পারেন।

    25A সিটে বসেছিলেন আকাশ (Air India)

    আকাশ সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমেদাবাদের ওই বিমান ভেঙে পড়ার ঠিক দু’ঘণ্টা আগেই তিনি ওই ফ্লাইটে (Air India) ছিলেন এবং সেখানে তিনি অস্বাভাবিক অনেক কিছু লক্ষ্য করেছেন। এরপরেই তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে লেখেন, “দয়া করে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।” এক্স (আগে টুইটার) -এ তিনি লেখেন, “আমি ওই একই ফ্লাইটে উঠেছিলাম, দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা আগে। 25A সিটে বসেছিলাম। তখনই কিছু অস্বাভাবিক বিষয় খেয়াল করেছিলাম।”

    পিছনের অংশ নড়ছিল বিমানের, দাবি আকাশের

    দিল্লি থেকে আমেদাবাদ যাওয়ার ওই বিমানে (Air India) থাকা আকাশ পরবর্তী কালে সংবাদ সংস্থা এনআইএ-র সঙ্গেও কথা বলেন। ওই সাক্ষাৎকারে আকাশ বলেন, “প্রথমে স্বাভাবিক মনে হলেও অনেক কিছু অস্বাভাবিক লক্ষ্য করেছি। যখনই বিমানটি উপরের দিকে ওঠে, তখন আমি লক্ষ্য করলাম যে পিছনের অংশ বারবার উপর এবং নিচে নড়ছিল।”

    কী বললেন আকাশ?

    তিনি আরও বলেন, “আমি কোনও বিশেষজ্ঞ নই, তবে বিমান চলাচলের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা এটি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। তবে আমার মনে হয়েছে বিমানের (Air India) ফ্ল্যাপগুলির বেশ কিছু অস্বাভাবিকতা ছিল।” তিনি আরও দাবি করেন, “ওড়ার আগে মাটিতে থাকাকালীন বিমানের এসি সঠিকভাবে কাজ করছিল না।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারের এই বিমান দুর্ঘটনার সঙ্গে আকাশ বৎসের (Akash Vatsa) এই দাবির কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মাধ্যমেই বেরিয়ে আসবে।

  • Plane Crash: ২৭ বছর আগে বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েও বেঁচে গিয়েছিলেন ১১এ-র যাত্রী

    Plane Crash: ২৭ বছর আগে বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েও বেঁচে গিয়েছিলেন ১১এ-র যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কী অদ্ভূত সমাপতন! দু’জনেই পড়ে গিয়েছিলেন বিমান দুর্ঘটনার (Plane Crash) কবলে। বরাত জোরে বেঁচেও গিয়েছেন দু’জনে। অবাক করার বিষয় হল দু’জনের সিট নম্বরও এক – ১১এ। দু’টি দুর্ঘটনার সময়ের ব্যবধান অবশ্য ২৮ বছরের। ফেরা যাক খবরে, গত ১২ জুলাই আমেদাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। সব মিলিয়ে বিমানে ছিলেন ২৪২ জন। তাঁর মধ্যে বেঁচে গিয়েছেন মাত্র একজন। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্বাস কুমার রমেশ। তিনি বসেছিলেন বিমানটির ১১এ আসনে।

    ১১এ আসনের যাত্রী (Plane Crash)

    তাইল্যান্ডে বসে রমেশের বেঁচে যাওয়ার খবর জানতে পারেন ঠিক ২৭ বছর আগে এমনই এক বিমান দুর্ঘটনার কবল থেকে বেঁচে ফেরা অভিনেতা-গায়ক জেমস রুয়াংসাক লইচুসাক। ১৯৯৮ সালে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল তাই এয়ারওয়েজের একটি বিমান। টিজি২৬১ নম্বর বিমানটি দক্ষিণ তাইল্যান্ডের সুরাত থানি শহরে অবতরণের চেষ্টা করার সময় মাঝ আকাশেই ভেঙে পড়ে। বিমানটিতে ছিলেন ১৪৬ জন। দুর্ঘটনায় মারা যান ১০১ জন। যাঁরা সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন লইচুসাকও। রমেশের মতো তিনিও বসেছিলেন ১১এ নম্বর সিটে। বছর সাতচল্লিশের অভিনেতা-গায়ক ফেসবুকে লিখেছেন, “ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় জীবিত ব্যক্তি। তিনি আমার মতো একই সিটে বসেছিলেন – ১১এ।”

    ভয়ঙ্কর স্মৃতি

    ঘটনাটি (Plane Crash) নিছকই কাকতালীয়। তবে ভারতের এই বিমান দুর্ঘটনায় অবিশ্বাস্যভাবে একজনের বেঁচে যাওয়ার খবর উসকে দিয়েছে তাইল্যান্ডের লইচুসাকের ভয়ঙ্কর স্মৃতি। যদিও ২৭ বছর আগের সেই দুর্ঘটনা এবং ভারতের এদিনের বিমান দুর্ঘটনার প্রেক্ষিত এবং বিমানও আলাদা আলাদা, তবুও ৪ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূরে বসে লইচুসাকের স্মৃতিতে ভেসে ওঠে সেদিনের ভয়ঙ্কর সব স্মৃতি। বরাত জোরে যেদিন আরও ৪৪ জনের মতোই বেঁচে গিয়েছিলেন তিনিও। তাঁরও সিট নম্বর ছিল ১১এ। তবে দু’টি বিমানের গঠন এবং জাত – দুটোই আলাদা (Plane Crash)।

    তা হোক না, তবে সিট নম্বর তো দু’জনেরই এক!

  • Air India Plane Crash: আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়র কমিটি গঠন করল কেন্দ্র

    Air India Plane Crash: আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়র কমিটি গঠন করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদ (Ahmedabad) বিমান দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা করল ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। ১২ জুন আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করা এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট এআই-১৭১ ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)।

    বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন

    অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (আইসিএও) নির্ধারিত আন্তর্জাতিক বিধি অনুসারে আমেদাবাদে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার তদন্ত হবে। বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বিমান চলাচলে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা থামানো নিয়েও কাজ করবে। শনিবার অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিশেষজ্ঞ কমিটি দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণ করবে এবং বর্তমানে থাকা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিউর (এসওপি) এবং নিরাপত্তা নির্দেশিকা পর্যালোচনা করবে। কমিটির প্রধান লক্ষ্য হবে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিমান দুর্ঘটনা রোধে একটি শক্তিশালী কাঠামো তৈরি করা এবং সেই অনুযায়ী কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা। মন্ত্রক আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, এই কমিটি অন্যান্য সংস্থার পরিচালিত আনুষ্ঠানিক তদন্তের বিকল্প নয় বরং এটি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং মূলত প্রতিরোধমূলক ও ব্যবস্থাপনাগত দিকগুলোতে আলোকপাত করবে।

    সক্রিয় সরকার

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আমেদাবাদ (Ahmedabad) সিভিল হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। ইতিমধ্যে ৭০-৮০ জন চিকিৎসকের একটি দল মৃতদেহের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং ময়নাতদন্তে নিয়োজিত রয়েছেন। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। ফরেনসিক টিম ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করছে এবং অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালাচ্ছে। মিলেছে অভিশপ্ত বিমানের ব্ল্যাক (Air India Plane Crash) বক্সের খোঁজ। জানা গিয়েছে, মেঘানিনগরের যে মেডিক্যাল হস্টেলের উপর এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমানটি ভেঙে পড়েছিল সেই বিল্ডিংয়ের ছাদেই ব্ল্যাক বক্সের খোঁজ মিলেছে। যেটি উদ্ধার করেছে এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো বা এএআইবি টিম। মনে করা হচ্ছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের শেষপ্রান্তে থাকা কমলা রঙের এই ডিভাইসটি দুর্ঘটনার তদন্তে বেশ খানিকটা সহায়তা করতে পারে।

  • Air India Plane Crash: ‘‘ঈশ্বরই রেখেছেন, নইলে…’’! বিশ্বাসই হচ্ছে না বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত যাত্রীর

    Air India Plane Crash: ‘‘ঈশ্বরই রেখেছেন, নইলে…’’! বিশ্বাসই হচ্ছে না বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত যাত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাখে হরি মারে কে! এই কথা ফের একবার সত্য প্রমাণিত হল আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় (Air India Plane Crash)। বিশ্বাসকুমার রমেশ, এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত এআই১৭১ বিমানের একমাত্র যাত্রী, যিনি বেঁচে রয়েছেন। প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বাসকুমার রমেশ নামে ওই যাত্রী জানালেন, এয়ার বিমানটি ওড়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে। একটা জোরালো শব্দ হয়। তার পরেই বিমানটি ভেঙে পড়েছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, বিমান দুর্ঘটনায় সম্ভবত সকল আরোহীই নিহত। কিন্তু পরে আমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএ মালিক জানান, এক জন জীবিত রয়েছেন। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পেয়েছে। ১১এ আসনের ওই যাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর চিকিৎসা চলছে।

    চারপাশে শুধুই মৃতদেহ

    বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিট নাগাদ, গুজরাটের মেঘানিনগরে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানটি (Air India Plane Crash)। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টেক অফের ৪ মিনিটের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। ১.২৫ লক্ষ লিটারেরও বেশি জ্বালানি ছিল তখন বিমানে। বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ার পরই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে জ্বলে যান সকলে। বছর চল্লিশের রমেশ লন্ডনেই থাকেন। গুজরাটে এসেছিলেন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। গতকাল দাদা অজয় কুমার রমেশের সঙ্গে তিনি লন্ডনে ফিরে যাচ্ছিলেন। সেই যাওয়া আর হয়নি। রমেশ বসেছিলেন জানলার ধারে ১১এ সিটে। ইমার্জেন্সি এক্সিটের ঠিক পাশেই বসায়, বিমানটি ভেঙে পড়তেই ছিটকে বেরিয়ে যান বিশ্বাস। তাতেই রক্ষা পান। রক্ষা পাননি দাদা। তবে ২৪২ জনের মধ্যে একমাত্র তিনিই বেঁচে, এ কথা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না। হাসপাতালের বিছানা থেকে শুয়ে দুর্ঘটনার পরের মুহূর্ত বর্ণনা করে তিনি বলেন, “আমার চারপাশে শুধু মৃতদেহ ছিল। বিমান টুকরো টুকরো হয়ে আমার চারিদিকে পড়েছিল। হঠাৎ কেউ একজন আমায় টেনে তুলল আর অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে গেল।”

    ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম

    গুজরাটের সিভিল হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রমেশ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর বুক, চোখ ও পায়ে আঘাত রয়েছে। এমন বিপর্যয় ঘটতে চলেছে, তা কি বিমানে বসে আঁচ করতে পেরেছিলেন রমেশ? উত্তরে তিনি বলেন, “টেক অফের ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে জোরে একটা শব্দ হয়। তারপরই প্লেন (Air India Plane Crash) ক্র্যাশ হয়ে গেল। সব কিছু এত তাড়াতাড়ি হয়ে গেল। বুঝতেই পারিনি। যখন জ্ঞান ফেরে, উঠে দেখি, চারদিকে ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে রয়েছে লাশ। ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। উঠে দাঁড়ানোর পরেই পালাতে শুরু করেছিলাম আমি। সেই সময় কেউ একজন আমাকে ধরে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে দেন। তার পর ওই অ্যাম্বুল্যান্সে করেই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।”

    ডিএনএ নমুনার প্রয়োজন

    বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু। তিনি জানিয়েছিলেন, বিমানের সকল আরোহীই নিহত দুর্ঘটনায় (Air India Plane Crash)। ঠিক তার পরেই সংবাদ সংস্থা এএনআই আমেদাবাদের সিপিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, গোটা ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন এক জনই। সিপি বলেন, ‘‘সব মিলিয়ে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। যে হেতু লোকালয়ে বিমান ভেঙে পড়েছে, তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’’ বিমানটি যে বহুতলে ভেঙে পড়েছে, সেটি ছিল বিজে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের হস্টেল। স্থানীয়দের দাবি, ওই হস্টেলে থাকেন ৫০ জন চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ায় ওই হস্টেলের পাঁচ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া গোটা বিমানের ভিতরে থাকা যাত্রীদের দেহের এতটাই খারাপ অবস্থা যে শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনার প্রয়োজন। তাই যাত্রীদের পরিবারের কাছে ডিএনএ নমুনা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

  • Air India Plane Crash: আমেদাবাদে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান, অন্তত ২০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা

    Air India Plane Crash: আমেদাবাদে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান, অন্তত ২০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪২ জনকে নিয়ে ওড়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ল লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী (Air India Plane Crash) বিমান। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমেদাবাদের (Ahmedabad) মেঘানিনগরে বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই-১৭১। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরের খুব কাছেই উড়ানটি ভেঙে পড়েছে। গুজরাট পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বিমানে মোট ২৪২ জন ছিলেন। ২৩০ জন যাত্রী ও ১০ জন কেবিন ক্রু ও ২ জন পাইলট ছিলেন বিমানটিতে। সকলের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা। আপাতত ঘটনাস্থলে গিয়েছে উদ্ধারকারী দল। বিমান দুর্ঘটনার পরপরই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উদ্ধার কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সমস্ত ধরনের সাহায্য করা হবে বলে অমিত শাহের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা

    বৃহস্পতিবার দুপুরে আমেদাবাদ এয়ারপোর্ট (Air India Plane Crash) থেকে টেক অফ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী যাত্রীবাহী বিমান। কী কারণে ওই দুর্ঘটনা, তা এখনই জানা যায়নি। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল, অ্যাম্বুল্যান্স ও পুলিশ। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক বিমান বলে এয়ার ইন্ডিয়ার ওই উড়ানে প্রচুর জ্বালানি ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। যেখানে ওই বিমানের শেষ মুহূর্ত ধরা পড়েছে। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, বিমানটি ওঠার সময় আচমকা অলটিচিউড ড্রপ করে নীচের দিকে নামতে শুরু করে। এরপরই আগুনের গোলায় পরিণত হয়। কালো ধোঁয়ায় ঢেখে যায় চারদিক। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিমানবন্দরের অদূরে গোঁত্তা খেয়ে ভেঙে পড়ে বিমানটি। উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ায় বিমানটিতে বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রথামিকভাবে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আমেদাবাদের মেঘানিনগরে বিমানটি যেভাবে জনবহুল এলাকার মাঝে ভেঙে পড়ে, তাতে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার জেরে ওই বিমানে থাকা যাত্রীদের বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। বেসরকারি সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের যাত্রী ছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি-ও।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস

    ভেঙে পড়ার পরেই বিমানটিতে (Air India Plane Crash) আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়েছে দমকলের অন্তত সাতটি ইঞ্জিন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চলছে উদ্ধারকাজ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিমানটি ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেটি ভেঙে পড়ে। আমেদাবাদে ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর পেয়েই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়াও গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেছেন বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে। কেন্দ্র সরকারের তরফে সমস্তরকম সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন শাহ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪৭ মিনিট নাগাদ আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বিমানটি। টেক অফের খানিকক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ১১ বছরের পুরনো বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি। গান্ধীনগর থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৯০ জন সদস্যকে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে দুর্ঘটনাস্থলে। উড়ান সংস্থার তরফেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে গোটা ঘটনা। ডিজিসিএর তরফে জানানো হয়েছে, বিমান চালানোর দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সভরওয়াল।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ উত্তর ভারতের বহু বিমানবন্দর, জারি সতর্কতা

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ উত্তর ভারতের বহু বিমানবন্দর, জারি সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জেরে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাক ভূমে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের থেকে কোনও প্ররোচনামূলক বা প্রতিহিংসাস্বরূপ হামলার সম্ভাবনা থাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বুধবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উত্তর ভারতের বহু বিমান চলাচল। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি বিমানবন্দরও (Airport Shut)। ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমানও। যাত্রীদের সুবিধার্থে বিবৃতি জারি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেট, ইন্ডিগোর মতো ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৮টি বিমানবন্দর।

    ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত (Operation Sindoor)

    প্রধান কয়েকটি বিমানবন্দর যার মধ্যে ধর্মশালা, লেহ, জম্মু, শ্রীনগর এবং অমৃতসর রয়েছে, এই বিমানবন্দরগুলিতে ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার সারাদিনের জন্য বন্ধ করে রাখা হয়েছে পাঠানকোট, জয়শলমীর, সিমলা, পাঠানকোট এবং জামনগর বিমানবন্দর। তবে বৃহস্পতিবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে কিনা, বুধবার দুপুর পর্যন্ত তা জানা যায়নি। এদিন সব মিলিয়ে বাতিল হয়েছে ২০০-র বেশি বিমান।

    কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই বিমানবন্দরগুলির মাধ্যমে সমস্ত ডিপার্চার এবং অ্যারাইভাল ও কানেক্টিং ফ্লাইট প্রভাবিত হতে পারে। নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসার আগে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। যাত্রীদের তাঁদের ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা জানতে এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাত্রা পরিকল্পনা করার অনুরোধ করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির ওপর ভিত্তি করে আরও নতুন নতুন তথ্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। শ্রীনগর বিমানবন্দর বুধবার বন্ধ থাকায় সেখান থেকে কোনও বেসামরিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে না।

    কী বলছে এয়ার ইন্ডিয়া 

    এক্স হ্যান্ডেলে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, জোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট থেকে বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সমস্ত বিমান বাতিল করা হয়েছে। এই বিমানবন্দরগুলিতে যেসব বিমানের নামার কথা ছিল, সেগুলিও (Operation Sindoor) আপাতত বাতিল করা হয়েছে। অমৃতসরগামী দু’টি আন্তর্জাতিক বিমান অবতরণ করানো হবে দিল্লিতে। যাত্রীদের সমস্যার জন্য আমরা দুঃখিত।” সূত্রের খবর, বিমানবন্দরের কর্তারা জানিয়েছেন, এটি জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি, যাত্রী সুরক্ষাই সর্বাগ্রে। ডিজিসিএ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

    স্পাইসজেট-ইন্ডিগোর পোস্ট

    স্পাইসজেট জানিয়েছে, ‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে ধর্মশালা, লেহ, শ্রীনগর, অমৃতসর-সহ উত্তর ভারতের একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই বিমানবন্দরগুলিতে বিমানের ওঠানামা প্রভাবিত হতে পারে। এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে সকলকে যাত্রার পরিকল্পনা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।’ ইন্ডিগোর পোস্টে বলা হয়েছে, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে শ্রীনগর, জম্মু, অমৃতসর, লেহ, চণ্ডীগড়, ধর্মাশালা থেকে আমাদের সমস্ত বিমান বাতিল করা হয়েছে। এই বিমানবন্দরগুলিতে আমাদের কোনও বিমান নামবেও না। বিমানবন্দরে পৌঁছনোর আগে আপনারা বিমান সংক্রান্ত তথ্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে জেনে নিন।’ ইন্ডিগো এও জানিয়েছে, জোধপুর এবং বিকানেরের বিমান পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে (Operation Sindoor)। ভারতের বন্ধ থাকায় কাতার এয়ারওয়েজ সাময়িকভাবে পাকিস্তানের সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে। এয়ারলাইনটি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও জানিয়েছে।

    হিন্দু পর্যটককে হত্যা

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে জঙ্গিরা। এই বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার বদলা হিসেবে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। এই অভিযানের নামই দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। অপারেশনের নাম দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং (Airport Shut)।

    জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

    এই অপারেশনে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটির ২১টি টার্গেট ধ্বংস করতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এগুলির মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের শক্তঘাঁটি বাহাওয়ালপুরও। বাহওয়ালপুরের মর্কাজ সুভান আল্লায় নামক জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, মুরিদকে-র মর্কাজ তৈবায় লস্কর-ই-তৈবার ২০০ একর জায়গার উপর স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারত। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, ‘আমাদের পদক্ষেপ ছিল মাপা, নির্দিষ্ট এবং কোনওভাবেই উস্কানিমূলক নয়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কোনও ব্যবস্থাকেই নিশানা করা হয়নি। লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন এবং হামলা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ভারত যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে।’

  • Air India: হিন্দু ও শিখ যাত্রীদের হালাল-খাবার দেওয়া যাবে না, বিরাট ঘোষণা এয়ার ইন্ডিয়ার

    Air India: হিন্দু ও শিখ যাত্রীদের হালাল-খাবার দেওয়া যাবে না, বিরাট ঘোষণা এয়ার ইন্ডিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হালাল প্রত্যায়িত খাবারের (Halal-certified Food) বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই সরব হয়েছিলেন অ-মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা। কেন জোর করে ইসলামি হালাল খাবার খেতে হবে হিন্দু-শিখ ধর্মাবলম্বীদের? এটা ছিল আমজনতার প্রশ্ন। এবার দীর্ঘ সময়ের জন্য সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া গ্রুপ (Air India)। হিন্দু ও শিখদের হালাল-খাবার পরিবেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাটার মালিকানাধীন এই উড়ান সংস্থা। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের সাধারণ নাগরিকগণ। এবার থেকে হালাল জাতীয় খাবার আর দেওয়া হবে না অ-মুসলিম বিমানযাত্রীদের। সামাজিক মাধ্যমে নেট- নাগরিকদের নানা মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। বেশিরভাগই এয়ার ইন্ডিয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

    খাবার পরিবেশনের রীতিতে এবার বদল

    টাটা গ্রুপের (Air India) ব্যবস্থাপনায় এয়ার ইন্ডিয়া একটি সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীরভাবে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। গ্রুপের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, হিন্দু ও শিখ যাত্রীদের হালাল-প্রত্যায়িত খাবার (Halal-certified Food) পরিবেশন করা যাবে না। মুসলিম যাত্রীদের জন্য পৃথকভাবে এমওএমএল বা মুসলিম মিল স্টিকার বা লেবেল যুক্ত খাবার ‘বিশেষ’ বলে বিবেচিত হবে। টিকিট বুক করার সয়ম কোনও ব্যক্তি এমওএমএল বা হালাল-খাবারের অপশন টিক করলে তবেই কেবলমাত্র নথিভুক্ত ব্যক্তিদের হালাল খাবার পরিবেশন করা হবে। এই সিদ্ধান্তটি বহু বছর ধরে খাবার পরিবেশনের রীতিতে এবার বদল ঘটতে শুরু করবে। ধর্মী ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনগুলিকে আরও ভালোভাবে যাতে সম্মান করা যায়, সেই দিকেও নজর থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, হালাল-প্রত্যায়িত খাবার কেবলমাত্র নির্দিষ্ট রুটেই উপলব্ধ হবে।

    হালালের ‘একচেটিয়া’ রাজত্ব ছিল

    এক দশকেরও বেশি সময় ধরে, হিন্দু এবং শিখ ধর্মাবলম্বী যাত্রীরা এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) ফ্লাইটে খাবারের বিকল্প ব্যবস্থার দাবি তুলে আসছিলেন। বিশেষ করে হালাল-খাবারের একচেটিয়া পরিবেশন রীতি মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি করেছিল। কিছু কর্মী এবং ধর্ম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা এই ব্যবস্থাকে হালালের ‘একচেটিয়া’ রাজত্ব হিসাবে বর্ণনা করেছেন। যাঁরা ইসলাম ধর্মাবলম্বী নন, অর্থাৎ অ-মুসলিম তাঁদের উপর একটি খাদ্যাভ্যাসকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হল, হালাল শংসাপত্রের বাইরে উপলব্ধ বিকল্প খাবারগুলি যাতে সমস্ত যাত্রীদের খাদ্যতালিকায় থাকে সেই বিশ্বাসকে সম্মান করতে হবে।

    যাত্রীদের বিভিন্ন চাহিদা মেটানোই লক্ষ্য

    জানা গিয়েছে, টাটা গ্রুপের এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) সাম্প্রতিক পদক্ষেপের একাটাই লক্ষ্য যাত্রীদের বিভিন্ন চাহিদা মেটানো। হিন্দু, শিখ এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা তাঁদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় রীতিগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ খাবারের বিকল্প পরিষেবাগুলিকে উপলব্ধ করা। এই ঘোষণা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা ও প্রশংসা হচ্ছে। বিশেষ করে হিন্দু এবং শিখ ধর্মের মানুষেরা এই ধরনের পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষায় ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ রাম মন্দিরে হামলার হুমকি খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনের, অযোধ্যায় জারি সতর্কতা

    সনাতন ডায়েট বোর্ড সার্টিফাইড প্রয়োজন

    সামাজিক মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া এসেছে। যেমন-‘মেঘ আপডেট’ নামে এক্স হ্যান্ডলের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পোস্ট ব্যাপক ঝড় তুলেছে। একে এক প্রকার আলোড়ন বলা বললেও কম বলা হবে। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় সবচেয়ে বড় পদক্ষেপগুলির (Air India) মধ্যে একটি। ১.৬ বিলিয়ন হিন্দু, ০.৫ বিলিয়ন বৌদ্ধ এবং জৈন-শিখ-সহ মোট ২.০ বিলিয়ন সনাতনীদের জন্য ভালো খবর (Halal-certified Food)। সনাতন ডায়েট (SATVIC/SANATAN DIET) বোর্ড সার্টিফাইড এবং সার্টিফিকেশনের প্রয়োজন এই সময়ে। এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) দারুণ খবর।”

    অন্য একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “সংখ্যালঘু প্রভাবের কারণে এখনও পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই কেবলমাত্র ভুগছেন। ভাবা যায়! অবাক কাণ্ড, একবার কল্পনা করুন।” আবার আরও একজন উল্লেখ করে লিখেছেন, “এটি ভালো খবর। আমি অবাক হয়েছি যে এই দিকে এত বছর ধরে কেন নজর দেওয়া হয়নি। সকলের অলক্ষ্যে ছিল।” একই ভাবে একাধিক ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে খাদ্য তালিকা এবং পছন্দগুলির স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) এই ঘোষণায় দেশজুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share