Tag: Amit Shah

Amit Shah

  • Waqf Amendment Bill: ‘আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে অভূতপূর্ব মুহূর্ত’, ওয়াকফ বিল পাশ নিয়ে মোদি

    Waqf Amendment Bill: ‘আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে অভূতপূর্ব মুহূর্ত’, ওয়াকফ বিল পাশ নিয়ে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার (Lok Sabha)পর রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha) পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill)। তার পরেই এই ঘটনাকে ‘এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত’ বলে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওয়াকফ বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটিকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেওয়ার জন্য সাংসদ এবং সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এই বিল পাশ হওয়াকে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে দাবি করেছেন মোদি।

    স্বচ্ছতার লক্ষ্যেই নয়া বিল

    বিমস্টেক সম্মেলনে যোগ দিতে এখন তাইল্যান্ডে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখান থেকেই শুক্রবার সকালে সমাজমাধ্যমে মোদি লেখেন, “সংসদের দুই কক্ষে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার ঘটনা আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা, সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত।” প্রধানমন্ত্রী জানান, এত দিন যাঁরা প্রান্তিক এবং বঞ্চিত ছিলেন, ওয়াকফ সংক্রান্ত নতুন আইন তাঁদের সাহায্য করবে। ওয়াকফ ব্যবস্থার ‘ত্রুটি’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “বহু দশক ধরে ওয়াকফ ব্যবস্থা আর স্বচ্ছতার অভাব কার্যত সমার্থক ছিল। এই কারণে মুসলমান মহিলা, গরিব মুসলমান এবং পসমন্দা মুসলমানদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংসদে পাশ হওয়া এই বিল স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে এবং মানুষের অধিকার সুরক্ষিত রাখবে।”

    সংখ্যালঘু মুসলিমদের কণ্ঠস্বর

    সংখ্যালঘু মুসলিমদের কণ্ঠস্বরে পরিণত হবে এই ওয়কফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill), আশা প্রধানমন্ত্রীর। মুসলিম গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই বিল পাশ মোদি সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রয়াস। প্রথমটি ছিল তিন তালাক। উল্লেখ্য, দু’দিন ধরে সংসদে ম্যারাথন বিতর্কের পর বৃহস্পতিবার রাতে পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। এ বার রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষা। তার পরই তা আইনে পরিণত হবে। ওয়াকফ বিল অন্যায় ও দুর্নীতির যুগের অবসান ঘটিয়ে ন্যায়বিচার ও সাম্যের যুগের সূচনা করবে। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, ‘‘ওয়াকফ বিল, ২০২৫ অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা অন্যায় ও দুর্নীতির যুগের অবসান ঘটিয়ে ন্যায়বিচার ও সাম্যের যুগের সূচনা হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিলের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে, এই বিলকে সমর্থন করার জন্য সমস্ত দল এবং সংসদ সদস্যদের আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’’

  • Manipur Violence: শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করছে সরকার, সংসদে পাশ মণিপুর-প্রস্তাব

    Manipur Violence: শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করছে সরকার, সংসদে পাশ মণিপুর-প্রস্তাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন (Manipur Violence) জারি নিয়ে সংবিধিবদ্ধ প্রস্তাব গৃহীত হল লোকসভায়। ওয়াকফ বিল পাশের পরে বুধবার গভীর রাতে বিরোধীরা দাবি তুললেন মণিপুরে নিয়ে আলোচনার। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ইস্তফা দিয়েছিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। তার পরে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। নিয়ম অনুযায়ী, কোথাও রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে দু’মাসের মধ্যে সংসদীয় অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। বুধবার সেই প্রস্তাবই পাশ হয়েছে।

    শাহি জবাব

    এদিন মণিপুর (Manipur Violence) প্রসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য যা যা করণীয় করা হচ্ছে। সেখানে দুই জাতির সংঘর্ষ। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল। বিরোধীরা শুধু রাজনীতি করার জন্যই মণিপুর নিয়ে এত কথা বলছে।” অমিত শাহর ভাষণের পর মণিপুর প্রস্তাবও পাশ হয়ে যায়। রাত ২টো ৪১ নাগাদ লোকসভা মুলতুবি হয়। উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন এন বীরেন সিং। আর ১৩ ফেব্রুয়ারি মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। প্রায় দু’বছর ধরে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষে বিরামহীন হিংসার সাক্ষী থেকেছে মণিপুর। এই নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয় বীরেন সিংকে। প্রবল চাপের মুখে পদত্যাগ করেন বীরেন সিং। ফেব্রুয়ারি মাসেই মণিপুরে জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন।

    সাংবিধানিক কারণেই মধ্যরাতে আলোচনা

    বুধবার লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী পাশ হয় রাত ১টা ৫৭ মিনিটে। এরপর অধিবেশন মুলতুবি না করে স্পিকার ওম বিড়লা জানান এবার মণিপুর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। মধ্যরাতে বিরলতম ঘটনার সাক্ষী থাকে সংসদ। কেন বুধবার রাতে মণিপুর নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার কারণ জানিয়েছেন কংগ্রেসের সাংসদ শশী তারুর। তিনি জানান, সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তার কারণেই এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কী কারণে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে তা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। লোকসভা মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবিধিবদ্ধ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

  • Waqf Amendment Bill 2025: “স্রেফ ভোটব্যাংকের স্বার্থে ওয়াকফ বিল নিয়ে ভীতি ছড়ানো হচ্ছে,” লোকসভায় তোপ শাহের

    Waqf Amendment Bill 2025: “স্রেফ ভোটব্যাংকের স্বার্থে ওয়াকফ বিল নিয়ে ভীতি ছড়ানো হচ্ছে,” লোকসভায় তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওয়াকফ বিল মুসলিমদের ধর্মীয় বিষয় ও তাদের দান করা সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করবে – এই ধরনের ভীতি ছড়ানো হচ্ছে শুধুমাত্র ভোটব্যাংকের স্বার্থে।” বুধবার ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Amendment Bill 2025) নিয়ে আলোচনার সময় কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন লোকসভায় বিল পেশের সময় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও বলেছিলেন, এই বিলের উদ্দেশ্য হল ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনা চালু করা, জটিলতাগুলি সমাধান করা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

    কী বললেন শাহ? (Waqf Amendment Bill 2025)

    শাহ বলেন, “একজন মুসলমান তো চ্যারিটি কমিশনার হতেই পারেন। তাঁকে ট্রাস্ট দেখতে হবে না, আইন অনুযায়ী ট্রাস্ট কীভাবে চলবে, সেটা দেখতে হবে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটা ধর্মের কাজ নয়। এটা প্রশাসনিক কাজ। সব ট্রাস্টের জন্য কি আলাদা আলাদা কমিশনার থাকবে?” বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা তো দেশ ভাগ করে দিচ্ছেন। আমি মুসলমান ভাই-বোনেদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনাদের ওয়াকফ বোর্ডে কোনও অমুসলিম থাকবে না। এই আইনে এমন কিছুই নেই।”

    ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা!

    এদিন বক্তৃতায় অংশ নিয়ে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকেও নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ওয়াকফ ৬০২ বর্গ কিলোমিটার জমি দখল করতে চেয়েছিল। সেজন্য হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পাঁচতারকা হোটেলের জন্য জমি মাসে ১২ হাজার টাকায় ওয়াকফকে দেওয়া হয়েছিল। তারা (কংগ্রেস) মনে করে যে এভাবে তারা ভোট বৈতরণী পার হবে।”

    তিনি বলেন, “ভারতে অনেক গির্জা ওয়াকফ বিলকে সমর্থন করছে। চার বছরের মধ্যে মুসলমানরা বুঝতে পারবেন যে এই বিল তাঁদের উপকারে আসবে। বিভিন্ন ধর্মের অন্তর্গত বেশ কিছু সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রয়াগরাজের চন্দ্রশেখর আজাদ পার্কও রয়েছে। সরকার মুসলমানদের চ্যারিটি ও দানের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে না।” শাহ বলেন, “ওয়াকফ ইসলামের নীতিগুলি (Waqf Amendment Bill 2025) থেকে এসেছে। আমি সব মুসলমানকে বলতে চাই, অমুসলিমরা আপনাদের (Amit Shah) ওয়াকফে প্রবেশ করবে না।

    ওয়াকফ পরিষদ সম্পত্তির কার্যকারিতা তদারকি করে। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও অবৈধভাবে জমি দখল করে, তারা তাদের ধরবে (Waqf Amendment Bill 2025)।”

  • Maa Sharda: আগেই উদ্বোধন করছিলেন শাহ, এবার জম্মু-কাশ্মীরের শারদা মন্দিরে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হল

    Maa Sharda: আগেই উদ্বোধন করছিলেন শাহ, এবার জম্মু-কাশ্মীরের শারদা মন্দিরে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ হিন্দুর আস্থা জড়িয়ে রয়েছে কুপওয়াড়ার শারদা মন্দিরের সঙ্গে। ৩৬ বছর পরে কাশ্মীরের কুপওয়াড়ার শারদা মাতার (Maa Sharda) মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হল। এ এক ঐতিহাসিক জয়। দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে উপেক্ষা, আক্রমণ এবং দশকের পর দশক ধরে সাংস্কৃতিকভাবে হিন্দুদেরকে দমন করার যে প্রচেষ্টা তার বিরুদ্ধে বড় জয় পাওয়া গেল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। একটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা পর্ব সম্পন্ন হয় শারদা পীঠে। এই সময়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গর্ভগৃহে এই সময়ে প্রার্থনা চলে। অনেকে বলছেন দীর্ঘ চার দশক ধরে হিন্দুদের প্রতি বঞ্চনার জবাব অবশেষে দেওয়া গেল।

    কেন গুরুত্বপূর্ণ কুপওয়াড়ার শারদা পীঠ (Maa Sharda)?

    ঠিক ২ বছর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসেই জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলার টিটওয়াল গ্রামে দেবী শারদার এই মন্দির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বাধীনতার পরে সেই প্রথম নিয়ন্ত্রণরেখার গা-ঘেঁষে কোনও মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এক সময়ে শারদা পীঠের উদ্দেশে তীর্থযাত্রা শুরু হত কুপওয়ারার টিটওয়াল গ্রাম থেকেই। কিন্তু ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার ঠিক পরেই পাক হানাদারদের আক্রমণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় টিটওয়ালের শারদা মন্দির (Maa Sharda) ও গুরুদ্বার। দেশভাগের পর থেকেই ওই এলাকায় ওই মন্দির পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল পন্ডিত সমাজ। অবশেষে ২০২৩ সালের মার্চে হয় মন্দির উদ্বোধন। এবার হল প্রাণ প্রতিষ্ঠা।

    ২৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন মন্দির

    প্রসঙ্গত, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে মুজফফ্‌রাবাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে নীলম উপত্যকায় অবস্থান করছে ১৮টি মহাশক্তি পীঠের একটি শারদা পীঠ ও শারদা (Maa Sharda) বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ। জানা যায়, ষষ্ঠ থেকে বারোশো শতকের মাঝে ভারতীয় উপমহাদেশে এটি ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্দির বিশ্ববিদ্যালয়। নালন্দা-তক্ষশীলার (Jammu and Kashmir) থেকেও প্রাচীন ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে হামলা করে ভেঙে দেয় বিদেশী আক্রমণকারীরা। ঐতিহাসিকরা জানাচ্ছেন, ২৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন বর্তমানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা শারদী পীঠকে। পরবর্তীকালে ১৯ শতকে মহারাজা গুলাব সিং মন্দিরকে আবার সংস্কার করেন। একদা এই মন্দির ছিল জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, ষষ্ঠ ও দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে, ভারতীয় উপমহাদেশে যে কয়টি বিশিষ্ট মন্দিরকেন্দ্রীক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, তারমধ্যে অন্যতম ছিল এই শারদা পীঠ। জানা যায়, এর গ্রন্থাগার ছিল খুবই বিশ্ব বিখ্যাত।

    ১৯৪৮ সালে পর থেকে ভারতীয়রা যেতে পারেন না এই মন্দিরে

    এই গ্রন্থাগার ব্যবহারের জন্য বহুদূর থেকে পণ্ডিতরা এখানে আসতেন বলে জানা যায়। জানা যায়, উত্তর ভারতে শারদা লিপির বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই মন্দিরের। বর্তমানে অধিকৃত কাশ্মীরে একেবারে ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মন্দিরটি। হিন্দুদের বিশ্বাস, এখানেই সতীর ডান হাত পড়েছিল। তবে ১৯৪৮ সালের পর থেকে ভারতীয়রা যেতে পারেন না এই তাঁদের তীর্থস্থলে।প্রসঙ্গত, সারদা পীঠে ভারতীয় দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকারের দাবিতে ২০০৪ সাল থেকেই সরব ‘সেভ সারদা কমিটি’।

    ২০২৩ সালে কুপওয়াড়ার মন্দির উদ্বোধন করে কী বলেছিলেন শাহ

    ২০২৩ সালে মন্দির উদ্বোধনের পরে অমিত শাহ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বলেন, ‘‘৩৭০ প্রত্যাহারের পরে কাশ্মীরের পরিস্থিতি যে শান্ত হয়েছে, তা সীমান্ত এলাকায় ওই মন্দির নির্মাণ থেকেই স্পষ্ট। কেবল হিন্দু মন্দিরই নয়, জঙ্গিরা বিভিন্ন সময়ে যে সুফি তীর্থস্থানগুলি ভেঙে দিয়েছে, সেগুলিও পুনরুদ্ধার করবে মোদী সরকার।’’ কর্তারপুরের ধাঁচেই সীমান্তের ও-পারে থাকা মূল শারদা মন্দির পর্যন্ত হিন্দুদের যাত্রার ব্যবস্থার দাবিও উঠেছে বারবার।কর্তারপুর করিডরটি ২০১৯ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল। এই স্থানে আছে দুটো গুরুত্বপূর্ণ শিখ উপাসনালয়। প্রথমটি হল পাকিস্তানের কর্তারপুরের গুরুদ্বারা দরবার সাহিব এবং আরেকটি হল পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক। এই সংযোগস্থল হল তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখানে তাদের ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়। সারদা পিঠ করিডোর  এর ক্ষেত্রেও সরকারের একই চিন্তাভাবনা রয়েছে সরকারের।

  • Chhattisgarh: হয় অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো! ছত্তিশগড়ে আত্মসমপর্ণ ৫০ মাওবাদীর, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শাহের

    Chhattisgarh: হয় অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো! ছত্তিশগড়ে আত্মসমপর্ণ ৫০ মাওবাদীর, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) মাওবাদী দমন অভিযানে ব্যাপক সাফল্যের পরেই রবিবার পঞ্চাশ জনেরও বেশি মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে। সে রাজ্যের বিজাপুর জেলার পুলিশের কাছে এই আত্মসমর্পণ করে মাওবাদীরা। এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মাওবাদী দমনে আমরা সফল হয়েই চলেছি। হয় তারা আত্মসমর্পণ করুক, নয়তো তাদের গ্রেফতার করা হবে অথবা খতম করা হবে।’’ এই আবহে তাদের (মাওবাদী) সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অমিত শাহ।

    এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত, সমাজমাধ্যমে পোস্ট অমিত শাহের

    এ নিয়েই সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি সমাজ মাধ্যমের পোস্ট। যেখানে তিনি লিখছেন, ‘‘এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত যে ৫০ জনেরও বেশি মাওবাদী (Chhattisgarh) আজকে আত্মসমর্পণ করেছে বিজাপুর জেলায়। তারা হিংসার পথকে ছেড়েছে। আমি এদের প্রত্যেককে স্বাগত জানাতে চাই। তারা হিংসার পথ এবং অস্ত্র- দুটোকেই ছেড়েছে।’’

    ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ

    তিনি এক্ষেত্রে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতি খুবই পরিষ্কার। যে সমস্ত মাওবাদী (Chhattisgarh) উন্নয়নের পথকে বেছে নেবে এবং অস্ত্র পরিত্যাগ করবে, তাদেরকে নতুনভাবে সমাজের স্রোতে ফিরিয়ে আনা হবে।’’ একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছেন তাদের উদ্দেশে, যারা এখনও পর্যন্ত অস্ত্র পরিত্যাগ করেনি। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীকে দেশ থেকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হবে।

    কী বলছেন ছত্তিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা?

    এ নিয়ে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা জানিয়েছেন, সরকার সর্বদা বল প্রয়োগ করে মাওবাদী দমনে বিশ্বাস রাখছে না। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এই (সশস্ত্র) পথে আছে তারা সেই পথ ছেড়ে দিক। চলতি বছরে ১৩৩ জন মাওবাদীকে মূল স্রোতে ফেরানো গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ছত্তিশগড় সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ২৮০০ থেকে ২৯০০ মাওবাদী (Maoists) হয় আত্মসমর্পণ করেছে, নয় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে অথবা খতম করা হয়েছে।

  • Amit Shah: হয়েছে রাম মন্দির, বাতিল ৩৭০ ধারা, এই আবহে ইউসিসি নিয়ে বড় ঘোষণা শাহের

    Amit Shah: হয়েছে রাম মন্দির, বাতিল ৩৭০ ধারা, এই আবহে ইউসিসি নিয়ে বড় ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির হয়েছে। বাতিল ৩৭০ ধারা। বাকি আছে ইউসিসি হতে। আমরা তাও করব। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করতে শোনা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরকে (Jammu And Kashmir) খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাজ্যের মর্যাদা খুব তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু-কাশ্মীরে। কিন্তু সেটা কবে হবে? তা এইভাবে প্রকাশ্য মঞ্চে বসে বলা সম্ভব নয়।

    ইউসিসি নিয়ে কী বললেন শাহ (Amit Shah)?

    এদিন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়েও ফের একবার বলতে শোনা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (Amit Shah)। তিনি বলেন, ‘‘এটা আসবেই। এটা ছিল সংবিধান সভার সিদ্ধান্ত (ইউসিসি চালু করার)। কংগ্রেস হয়তো ভুলে গেছে কিন্তু আমরা তা ভুলে যাইনি। আমরা বলেছিলাম আমরা ৩৭০ ধারা বাতিল করব। আমরা তা করেছি। আমরা বলেছিলাম আমরা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করব। আমরা তাও করেছি। এখন ইউসিসি হতে বাকি। আমরা তাও করব।’’ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার দিল্লির বাসভবনে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধারের অভিযোগে শাহ বলেন, ভারতের প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে জম্মু-কাশ্মীরের ভোটের প্রসঙ্গ

    প্রসঙ্গত, গত বছরই জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন হয়। সে প্রসঙ্গও এদিন সাংবাদিকদের সামনে উল্লেখ করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা ছিল প্রথমবারের জন্য জম্মু-কাশ্মীরে ভোট, ৪০ বছরে যেখানে কোনও জায়গাতে ফের ভোট নিতে হয়নি। কখনও কাঁদানে গ্যাসও ছুড়তে হয়নি। একটা গুলিও চলেনি। তারপরেও ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরে। এটা একটা বড় পরিবর্তন এসেছে বলেই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)।

  • Amit Shah: দেশ কোনও ধর্মশালা নয়! লোকসভায় পাশ নয়া অভিবাসন বিল, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূলকে শাহি-তোপ

    Amit Shah: দেশ কোনও ধর্মশালা নয়! লোকসভায় পাশ নয়া অভিবাসন বিল, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূলকে শাহি-তোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হল অভিবাসন এবং বিদেশি নাগরিক বিল, ২০২৫। নতুন এই বিল নিয়ে বৃহস্পতিবারই লোকসভায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়। বিলের ওপর আলোচনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাউকে এই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অমিত শাহের বক্তৃতায় উঠে আসে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টার কথাও। এই প্রসঙ্গে তিনি তোপ দাগেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারকেও।

    এদেশ ধর্মশালা নয়, বললেন শাহ (Amit Shah)

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে (Immigration and Foreigners Bill 2025) ভারতে আসা বিদেশিদের যাতায়াত, রেজিস্ট্রেশন ও ভিসা নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্র সরকার। এতে দু’পক্ষের কাজই সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিলের মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকদের মোট ছটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল- পর্যটক, পড়ুয়া, দক্ষ শ্রমিক, ব্যবসায়ী, উদ্বাস্ত ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বিলটি পেশ করেন লোকসভায়। বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘যদি কেউ এই দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য এখানে আসতে চান, তাঁদের সব সময় স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ, তাঁদের এই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এই দেশ কোনও ধর্মশালা নয়।’’

    অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তোপ তৃণমূলকে

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, পর্যটক হিসেবে, ব্যবসার জন্য, শিক্ষা বা চিকিৎসার জন্য কেউ আসতে চাইলে তাঁদেরকে সব সময় এ দেশে স্বাগত জানানো হবে (Immigration and Foreigners Bill 2025)। একইসঙ্গে নয়া অভিবাসন বিলের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা আরও মজুবত হবে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি এবং ব্যবসাতেও গতি আনবে এই বিল, এমনটাই মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন নিজের বক্তব্যে দেশে অনুপ্রবেশ রুখতেও কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) বক্তৃতায় উঠে আসে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গও। তাঁর দাবি, অসমে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সেই রাজ্য দিয়ে ব্যাপক অবৈধ অনুপ্রবেশ হয়েছে। এই সময়ই তিনি তোপ দাগেন তৃণমূল সরকারকে। মমতা জমানায় পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা এ দেশে প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ শাহের। এই প্রসঙ্গে শাহের অভিযোগ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কাছে ভুয়ো নথিও পৌঁছে যাচ্ছে। কোথা থেকে এই আধার কার্ডগুলি দেওয়া হচ্ছে? এনিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে সমস্ত বাংলাদেশিরা ধরা পড়েছেন, তাঁদের সকলের কাছে পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানার আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে।’’ অমিত শাহের আরও দাবি, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে জমি না-পাওয়ার কারণে সীমান্তে ৪৫০ কিলোমিটার কাঁটাতার দেওয়ার কাজ আটকে রয়েছে।’’

    তৃণমূলের গুণ্ডামির কারণেই ৪৫০ কিমি কাঁটাতার আটকে

    এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘২০২৬ সালের সেখানে (বাংলায়) বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং পশ্চিমবঙ্গে এই অনুপ্রবেশ সমস্যার সমাধান হবে।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন ‘‘যখনই সীমানা দেওয়ার কাজ চলছে তখনই সেখানে শাসকদলের কর্মীরা গুণ্ডামি করছে এবং ধর্মীয় স্লোগান দিচ্ছে। ৪৫০ কিলোমিটারের বেশি সীমানা বাঁধার কাজ সম্পন্ন হয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কারণে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বর্ডার রয়েছে ২,২১৬ কিলোমিটার। যার মধ্যে ১৬৫৩ কিলোমিটার সীমানা দেওয়া হয়েছে। সীমানার আশেপাশের রাস্তা চেকপোস্ট বানানো হয়েছে। শুধুমাত্র জমি দিচ্ছে না বলে পশ্চিমবঙ্গের ৪৫০ কিলোমিটার সীমানা বাঁধার কাজ বাকি থেকে গিয়েছে।’’

    প্রস্তাবিত বিল খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে

    নিজের বক্তব্যে অমিত শাহ বলেন, ‘‘প্রস্তাবিত বিলটি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এদেশে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতেও সহায়তা করবে।’’ তাঁর আরও দাবি, বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পরে ভারতে অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সময়ে বিদেশিদের চলাচলের উপর নজরদারি সহজতর হবে। বিলের ওপর আলোচনার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূল বিষয় হল অভিবাসন কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। বরং এটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে জড়িত। বিলটি ভারতে আসা প্রত্যেকের উপর নিবিড় নজরদারি নিশ্চিত করবে। কেন কেউ ভারতে আসছেন এবং কতক্ষণ থাকছেন তাও বোঝা যাবে। ভারতে আসা প্রতিটি বিদেশি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরআরও দাবি, ‘‘নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে, এই আইন মাদক কারবার, অনুপ্রবেশকারী, অস্ত্র চোরাচালানকারী এবং যারা ভারতের অর্থনীতিকে ভেতর থেকে ধ্বংস করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কুঠারাঘাত।’’

    আগের চার আইন কী কী ছিল?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রস্তাবিত আইনটির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার, বিদেশিদের ঘন ঘন আসা-যাওয়ার স্থানগুলির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিদেশি এবং অভিবাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলি বর্তমানে চারটি আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয় – পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন, ১৯২০, বিদেশিদের নিবন্ধন আইন, ১৯৩৯, বিদেশী আইন, ১৯৪৬ এবং অভিবাসন (বাহকদের দায়বদ্ধতা) আইন, ২০০০। তবে এই সমস্ত আইনগুলি বর্তমানে বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নয়া বিলে আগের চার আইনের বেশ কিছু বিধান রয়েছে বলেই জানিয়েছে। নয়া এই বিলে জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা এবং অভিবাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং পর্যটনকে উৎসাহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

  • Amit Shah: রাজ্যসভায় কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা শাহের, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    Amit Shah: রাজ্যসভায় কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা শাহের, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএ-জমানায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলের অপব্যবহারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পিএম- কেয়ার্স ফান্ড (PM Cares) সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য বিরোধী দলগুলিকে (Congress) কড়া ভাষায় আক্রমণও শানিয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (সংশোধনী) বিলের ওপর আলোচনায় রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    বিনা প্রমাণে অভিযোগ করে পালিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি (Amit Shah)

    সেখানেই তিনি বলেন, দুর্যোগ ত্রাণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ নেহরু-গান্ধী পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে ডাইভার্টেড হয়েছিল। রাজ্যসভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিল পাশ হওয়ার সময় শাহ কংগ্রেসকে তাদের তহবিল ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা সম্পর্কে জবাব দিতে চ্যালেঞ্জ করেন এবং একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা চালানোর অভিযোগ তোলেন যেখানে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করতেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিনা প্রমাণে অভিযোগ করে পালিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এটি সংসদ, রাস্তার প্রতিবাদ নয়। যদি আপনারা অভিযোগ করেন, তাহলে আপনাদের উত্তরও শুনতে হবে।”

    বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন

    পিএম-কেয়ার্স তহবিলে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে বিরোধীদের তোলা অভিযোগ খণ্ডন করে দিয়ে শাহ বলেন, ‘‘এই তহবিল প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখানে কঠোর আর্থিক তদারকি ব্যবস্থা রয়েছে। এটি কংগ্রেসের (Congress) আমলের পিএমএনআরএফের সম্পূর্ণ বিপরীত, যেখানে কংগ্রেস সভাপতি সরাসরি সদস্য ছিলেন। এটি একটি রাজনৈতিক পরিবারকে তহবিল নিয়ন্ত্রণ ও নয়ছয় করার সুযোগ দিয়েছে।’’  শাহ (Amit Shah) জানান, কীভাবে ইউপিএ সরকার পিএমএনআরএফের তহবিল রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে পাচার করেছিল। এই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান, ধর্মান্তরণ গোষ্ঠী এবং পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংয়ের সঙ্গে সংযোগের অভিযোগ রয়েছে (Congress)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আপনারা স্বচ্ছতার কথা বলেন? আপনার দল জিপ থেকে বোফোর্স থেকে ২জি—এতগুলি কেলেঙ্কারিতে জড়িত। ভারতের মানুষ আপনার ইতিহাস জানেন।” বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, কেন দুর্যোগ ত্রাণের সরকারি অর্থ নেহরু-গান্ধী পরিবার নিয়ন্ত্রিত একটি ফাউন্ডেশনে পাঠানো হচ্ছিল?

    তৃণমূল কংগ্রেসকেও নিশানা

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসকেও নিশানা করেন শাহ। পশ্চিমবঙ্গে দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল বিতরণ না করার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছিল তৃণমূল। বাংলার শাসক দলের প্রতিনিধিদের সেই অভিযোগ খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদি সরকারের আমলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারগুলির তুলনায় রাজ্যে দুর্যোগ ত্রাণ বরাদ্দ ৩০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে (Amit Shah)। বিরোধী দলগুলির অতিরিক্ত তহবিলের দাবিকেও প্রত্যাখ্যান করে শাহ স্পষ্ট করে দেন, দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল আসল সংকট মোকাবিলার জন্য—খয়রাতির জন্য নয়। প্রসঙ্গত, এটি পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলির দিকে সরাসরি ইঙ্গিত, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তহবিলের অপব্যবহার এবং দুর্যোগপ্রবণ এলাকার নাগরিকদের ত্রাণ না দেওয়ার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন। শাহের এই খয়রাতির অভিযোগ শোনার পরেই ওয়াকআউট করেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। যদিও বলতেই থাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন (Amit Shah), “আপনাদের (TMC) ব্যাখ্যা করতে হবে কেন আপনারা আরও তহবিল চান অথচ আগে যেসব তহবিল পেয়েছেন সেগুলি বিলি করতে ব্যর্থ হন।”

    আপনাদের রাজ্যে অনেক দাঙ্গা হয়?

    তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, সংশোধনীতে দুর্যোগের সংজ্ঞার অধীনে দাঙ্গাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হোক। তৃণমূলের এই দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আর দাঙ্গার মধ্যে কী সম্পর্ক? এটার কারণ কি আপনাদের রাজ্যে অনেক দাঙ্গা হয়, তাই?” তাঁর এই মন্তব্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে, বিশেষত তৃণমূলের সদস্যদের মধ্যে। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাহীনতা ও রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ রয়েছে। রাজ্যসভার সভাপতি জগদীপ ধনখড় ডিসরাপশনের অনুমতি না দেওয়ায় তৃণমূলের সাংসদরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেন।

    ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’

    সংশোধনীটি ডিফেন্ড করতে গিয়ে অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনে ভারতের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন। তিনি সভাকে স্মরণ করিয়ে দেন, মোদিকে রাষ্ট্রসংঘের তরফে ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিল, যা পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুর্যোগ মোকাবিলায় তাঁর প্রচেষ্টার স্বীকৃতি (Amit Shah)। এদিন শাহ ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ এবং ইতালির মতো দেশগুলিকে দুর্যোগ ত্রাণে সহায়তা করে মানবিক সহায়তায় একটি বৈশ্বিক নেতা হিসেবে তার অবস্থান শক্তিশালী করেছে ভারত।

    ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে লোকসভায় পাস হওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (সংশোধনী) বিল, ২০২৪, বিরোধী দলগুলির আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যসভায় ভোটে পাশ হয়ে যায়। কংগ্রেস ও তার সহযোগীদের প্রস্তাবিত বেশ কয়েকটি সংশোধনী সরাসরি খারিজ হয়ে যায়। শাহ বলেন, “যদি কোনও ভবন মেরামত না করা হয়, তা ধসে পড়বে। একইভাবে, আইনগুলিকেও আপডেট করতে হবে (Congress)। এতে আপত্তি করার কী আছে (Amit Shah)?”

  • Sahkar Taxi: উবের-ওলা’র সঙ্গে টক্কর! কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’, ফোনে আঙুল ছোঁয়ালেই মিলবে গাড়ি-বাইক-রিকশা

    Sahkar Taxi: উবের-ওলা’র সঙ্গে টক্কর! কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’, ফোনে আঙুল ছোঁয়ালেই মিলবে গাড়ি-বাইক-রিকশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওলা-উবেরের রমরমা শেষের পথে। ওলা বা উবেরের মতো অ্যাপ ক্যাবকে টক্কর দিতে কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’ (Sahkar Taxi) পরিষেবা। খুব শীঘ্রই এই ক্যাব পরিষেবা আনা হবে বলে সংসদে ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সমবায়-ভিত্তিক এই পরিষেবা ক্যাব চালকদের সরাসরি সুবিধা দেবে। ওলা এবং উবরের মতো অ্যাপ-ভিত্তিক পরিষেবার আদলে তৈরি এই উদ্যোগটি সমবায় সমিতিগুলিকে চালকদের আয় থেকে মধ্যস্থতাকারীদের কোনও কর ছাড়াই দু’চাকার যান, ট্যাক্সি, রিকশা এবং চার চাকার যানবাহন রেজিস্টারের অনুমতি দেবে।

    আসছে সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘সহকার সে সমৃদ্ধি’ অর্থাৎ সহযোগিতায় সমৃদ্ধিলাভের যে স্বপ্ন তাকেই সত্যি করে তুলবে এই পরিষেবা। এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘এটা একটা স্লোগানমাত্র নয়। সমবায় মন্ত্রক গত সাড়ে তিন বছর ধরে একে সার্থক করে তুলতে চেষ্টা করে চলেছে। আর কয়েকমাসের মধ্যে এক প্রধান সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা (Sahkar Taxi) শুরু হয়ে যাবে। যা থেকে সরাসরি লাভবান হবেন চালকরা।” কেননা এক্ষেত্রে কোনও মধ্যস্থতাকারী থাকবেন না। ফলে সরাসরি লভ্যাংশ তাঁদের কাছেই যাবে।

    কেন এই ভাবনা

    ওলা, উবরের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণেই এই প্রকল্প আনছে কেন্দ্র সরকার। আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের মাধ্যমে বুকিং করতে গেলে রাইডের ভাড়ায় তারতম্য হয় বলে সম্প্রতি এক অ্যাপ ক্যাব ব্যবহারকারী অভিযোগ জানান। এর পরই কেন্দ্রীয় গ্রাহক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (সিসিপিএ) সম্প্রতি উভয় কোম্পানিকে নোটিশ জারি করে। অভিযোগের জবাবে, ওলা বৈষম্যের দাবি অস্বীকার করেছে। সিসিপিএ-কে তাদের দাবি, “আমাদের সব গ্রাহকের জন্য সমমূল্য কাঠামো রয়েছে। ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তিতে কোনও পার্থক্য করা হয় না।” উবেরও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, “দাম কোনও যাত্রীর ফোন মডেলের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় না। আমরা কোনও যাত্রীর ফোন প্রস্তুতকারকের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করি না।” ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই ধরনের বৈষম্যমূলক দাম নির্ধারণকে “অনৈতিক ব্যবসায়িক পদ্ধতি” হিসেবে দাবি করেছেন।

  • Amit Shah: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত,” ঘোষণা করলেন শাহ

    Amit Shah: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত,” ঘোষণা করলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ (Separatism) এখন অতীত।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিনই তিনি হুরিয়তের দুটি শাখা সংগঠনের মূল স্রোতে ফেরার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন ভূস্বর্গে বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন অতীত।

    জম্মু- কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ (Amit Shah)

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই জম্মু- কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে কোমর বেঁধে নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একদিকে যেমন উপত্যকায় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেওয়া হয়, তেমনি অন্যদিকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। এই জোড়া ফলায় মেলে সাফল্য। গত ১০ বছরে উপত্যকায় নিত্য কমছে অশান্তির হার। এবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্সের দুটি শাখা সংগঠন হিংসার রাস্তা ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কথাই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    কী বলছেন শাহ

    সোশ্যাল মিডিয়া শাহ লিখেছেন, “কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদ এখন ইতিহাস। মোদিজির সবকা সাথের নীতি উপত্যকা থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। হুরিয়তের দুই শাখা সংগঠন সমস্ত রকম বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল।” তিনি লিখেছেন, “এই দুই সংগঠনকে সমাজের মূল ধারায় স্বাগত। আমি এই ধরনের সব সংগঠনকেই বিচ্ছিন্নতাবাদ ভুলে দেশের ঐক্যের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। উন্নত, শান্ত ও ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদৃষ্টিরই সুফল এটা।”

    গত কয়েক দশক ধরে কাশ্মীরে ভারত বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল বিচ্ছিন্নতাাদীরা। এদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল হুরিয়ত। তারা কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে প্রকাশ্যেই। ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা লোপ পাওয়ার পর অবশ্য বদলে যায় ছবিটা। ভূস্বর্গে প্রকৃত শান্তি ফেরাতে ধরপাকড় শুরু করে কেন্দ্র (Amit Shah)। তার পরেই বেপাত্তা হয়ে যায় হুরিয়ত পন্থী নেতাদের মাথারা। এঁদের অনেকেই আবার পরে ফেরেন সমাজের মূল স্রোতে। কেবল হুরিয়ত নয়, বিচ্ছিন্নতাবাদী আরও অনেক সংগঠনই ফিরেছে মূল ধারায়। সেই তালিকায় এবার জুড়ল হুরিয়তের দুই সংগঠনের নাম।

    গত ২১ মার্চ রাজ্যসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “মোদি সরকার নিষ্ঠুরভাবে জঙ্গিদের আত্মীয় যারা সরকারি চাকরি করছিলেন, তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। সহানুভূতিশীলরা দিল্লি ও শ্রীনগরের জেরে রয়েছে। আরও একটি সময় ছিল যখন জঙ্গিদের (Separatism) গৌরবান্বিত করা হত। আর নয়। আজ তারা যেখানে মারা যায়, সেখানেই সমাহিত করা হয় (Amit Shah)।”

LinkedIn
Share