Tag: Arrest

Arrest

  • Dakshin Dinajpur: নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার জেলা তৃণমূলের নেতা

    Dakshin Dinajpur: নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার জেলা তৃণমূলের নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক প্রতুল মৈত্র। শনিবার রাতেই দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। তিনি আবার গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবীও। শনিবার গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালত চত্বর থেকেই তৃণমূলের এই জেলা পদাধিকারী তথা আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, বংশীহারি থানায় দায়ের হওয়া একটি পকসো মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। তবে, তদন্তের স্বার্থে সবটা এখনই বলা সম্ভব নয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dakshin Dinajpur)

    দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পকসো মামলায় ধৃত প্রতুল মৈত্র গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর। সরকারি আইনজীবীর পাশাপাশি তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন। গঙ্গারামপুরের এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি মামলায় শনিবার রাতে বংশীহারী থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। গঙ্গারামপুরের এক নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই সরকারি আইনজীবীকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে বুনিয়াদপুরের গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালত থেকেই বংশীহারী থানার পুলিশ সরকারি আইনজীবী প্রতুল মৈত্রকে থানায় নিয়ে যায়। রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বেশি রাতে তাকে বংশীহারী থেকে হরিরামপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বংশীহারী থানার পুলিশ তার বিরুদ্ধে পকসো, চাইল্ড প্রোটেকশন অ্যাক্ট সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর জামিন বাতিল করে দুদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, সরকারি আইনজীবীর বিরুদ্ধে এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। ঘটনার সত্যতা কতটা রয়েছে তা কোর্টে বিচার্য বিষয়। এমনকী অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, আইন আইনের পথেই চলবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র জেলার সহ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, তৃণমূলের নেতা আবার আইনজীবী হয়ে এই ধরনের ঘটনায় জড়িত। এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: অবশেষে টনক নড়ল পুলিশের! নরেন্দ্রপুরকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

    South 24 Parganas: অবশেষে টনক নড়ল পুলিশের! নরেন্দ্রপুরকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুর কাণ্ডে এবার গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ দুজন। মূলত স্কুলে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় থানায় এফআইআর করা হয়েছিল। সেই এফআইআরে তাঁর নাম ছিল। ধৃতদের নাম অলোক নাড়ু ও স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্য মানিজুর রহমান। অলোকবাবু পঞ্চায়েতের সদস্য। বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা প্রবীর সর্দার ওরফে ছোটন, যাঁকে ওই হামলার ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিন চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় সব মিলিয়ে মোট আটজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

    প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন আক্রান্ত শিক্ষকরা (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুরের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আক্রান্ত শিক্ষকরা অভিযোগ করেছিলেন, প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাই, বহিরাগতদের দিয়ে স্কুলে তাণ্ডব চালানো হয়। এরপরই নড়েচ়ড়ে বসে শিক্ষা পর্ষদ। কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়। এমনকী রাজ্যপালও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছিলেন, নিয়ম মেনে গ্রেফতার হবে। তবে, কয়েকদিন দেখার পর প্রয়োজনে আমি এই বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করব। যদিও তারপরই পুলিশও নড়েচড়ে বসে। গ্রেফতার করা হয় একের পর এক অভিযুক্তকে। যদিও এখনও অধরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ ও এলাকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা যুব সভাপতি আকবর আলি খান। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে অপরাধীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ২৮ জানুয়ারি এবং ৩০ জানুয়ারি মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর ও নরেন্দ্রপুর এলাকার দুই পৃথক জায়গা থেকে শিক্ষক নিগ্রহে গ্রেফতার হন প্রবীর সর্দার ও অসীম ইশ্বর। আর ভোর রাতে পুলিশের জালে আরও দুজন।

    মামলা গড়িয়েছিল হাইকোর্টে

    ২৭ জানুয়ারি নরেন্দ্রপুর স্কুলে হামলা চালানোর ঘটনার পরপরই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাধ্যমিক পরীক্ষায় কে সুপারভাইজার হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। স্কুলের শিক্ষক শিবনাথ চাটুইকে সুপারভাইজার হিসেবে নিযুক্ত করার কথা আদালতে জানিয়ে দেয় পর্ষদ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: স্কুলের ভিতরেই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ! রাজ্যে পড়ুয়াদের সুরক্ষা কোথায়?

    North 24 Parganas: স্কুলের ভিতরেই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ! রাজ্যে পড়ুয়াদের সুরক্ষা কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলের ভিতরেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্কুলেরই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁয়। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে। স্কুলের শিক্ষকের হাতেই যদি ছাত্রী নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটে, তাহলে পড়ুয়াদের সুরক্ষা কোথায়? এইরকম মন্তব্য শোনা গেল অভিভাবকদের মুখে।

    পুলিশ সূত্রে খবর (North 24 Parganas)

    বনগাঁ (North 24 Parganas) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার রাতে বনগাঁ থানায় একটি অভিযোগ জানানো হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয় যে স্কুলের মধ্যে স্কুলেরই এক শিক্ষক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। ছাত্রীর বাড়ি বনগাঁ স্টেশনের কাছেই। আর অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি বনগাঁ শহরে। শিক্ষককে গ্রেফতার করে আজ বুধবার আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারক তাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার কথা জানিয়েছেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    নির্যাতিতা তরুণীর পরিবার সূত্রে বলা হয়, “ওই কিশোরী সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশুনা করছে। গত মঙ্গলবার স্কুলের ভিতরেই এক ক্লাসরুমে তাকে নির্যাতন করা হয়। আমরা অত্যন্ত অসুরক্ষিত বোধ করছি। যে স্কুলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার জন্য পাঠাই, সেখানেই আমাদের ছেলে-মেয়েরা সুরক্ষিত নয়। দোষী অপরাধী শিক্ষকের কঠোর শাস্তি চাই। ঘটনার দিন রাতেই স্থানীয় বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। তারপরে আজ বুধবার আবার অভিযুক্ত শিক্ষককে বনগাঁ (North 24 Parganas) কোর্টে তোলা হয়।” যদিও ঘটনায় স্কুলের তরফ থেকে এখনও কিছু মন্তব্য পাওয়া যায়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষকও ঘটনায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    আগেও ঘটেছে ঘটনা

    উল্লেখ্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একই রকম ভাবে কিছুদিন আগে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাথরুমের ভিতরে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। নির্যাতনের পরও ছাত্রীকে বাইরে বের হতে দেয়নি। বাথরুমেই আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখানেও অভিযুক্ত ছিলেন স্কুলের এক শিক্ষক। আবার এই জেলার ঢোলাহাট থানার এক স্কুলের শিক্ষক ফয়জুদ্দিন মোল্লাকে স্কুলের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হয়। ঠিক একই রকম ভাবে উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) ফের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। স্কুলে ছাত্রীদের নিরপত্তা এবং সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ভুয়ো সিম কার্ড বানিয়ে বিদেশে তথ্য পাচার! রাজ্য জুড়ে মাথাচাড়া দিয়েছে জালিয়াতি চক্র

    Fraud: ভুয়ো সিম কার্ড বানিয়ে বিদেশে তথ্য পাচার! রাজ্য জুড়ে মাথাচাড়া দিয়েছে জালিয়াতি চক্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাল নথি দিয়ে সিম কার্ড বানানোর একটি বড় চক্র রাজ্য জুড়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ বা স্পেশাল টাস্ক ফোর্স হানা দিয়ে মুর্শিদাবাদ ও হুগলি জেলার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, জাল নথির সাহায্যে শ’য়ে শ’য়ে সিম কার্ড বানিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে হোয়াটসঅ্যাপে ওটিপি পাচার করা হত। এই সব সিম কার্ড দিয়ে প্রতারকরা প্রতারণা (Fraud) করত বলে তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা।

    বহু ভুয়ো সিমকার্ড উদ্ধার (Fraud)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার সীমন্তবর্তী এলাকা তো বটেই, সেই সঙ্গে জেলার সদর বহরমপুরেও জাল নথি দিয়ে সিম কার্ড বানানোর একটি বড় চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কিছু যুবক সামনে সিম কার্ড, মোবাইলের দোকান কিংবা অনলাইনে ব্যবসা খুলে আড়ালে চালাচ্ছে জালিয়াতির ব্যবসা। আর ভুয়ো সিম কার্ড দিয়ে চলত প্রতারণা (Fraud)। মুর্শিদাবাদ ও হুগলির বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দেয় এসটিএফ। মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া থানা এলাকা থেকে নইমুল ইসলাম ও আবদুল আজিমকে, ভগবানগোলা থানা এলাকা থেকে কাওশার শেখ এবং দৌলতাবাদ থানা এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ কামরুজ্জামান ও দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদ থানার গুধিয়া এলাকার বাসিন্দা আস্তিক মণ্ডল এবং হুগলির জাঙ্গিপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সুরেশ দে এবং রমেশ জানাকে। ধৃতরা প্রত্যেকেই জাল নথি দিয়ে সিম কার্ড বানাত বলে পুলিশের দাবি। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকশো ভুয়ো সিম কার্ড, বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন, জাল নথি-সহ একাধিক বৈদ্যুতিন যন্ত্র।

    হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ও ওটিপি ব্যবহার করে প্রতারণা!

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যন্ত্র দিয়ে যেমন জাল নথি বানানোর কাজ করা হত, তেমনই ওটিপি পাচার করা হত দেশের বাইরে। ধৃতরা দেশে ও বিদেশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ও ওটিপি ব্যবহার করে প্রতারণার (Fraud) কাজ করত বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ওই জালিয়াতির সঙ্গে দেশের গোপন তথ্যপাচার করা হত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: ভুয়ো কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি!

    Burdwan: ভুয়ো কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যজুড়ে দাপিয়ে বেড়়াচ্ছে ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। এবার ভুয়ো কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করার অভিযোগ উঠল এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান (Burdwan) সহ আশপাশের এলাকায়। অনেক ব্যবসায়ী তার খপ্পরে পড়ে টাকাও দিয়েছেন। তবে, এক ব্যবসায়ী প্রতারকের আচরণ দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন। ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, প্রতারকের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কত জন ব্যবসায়ীর থেকে ওই প্রতারক টাকা হাতিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত প্রতারকের নাম রঞ্জিত বসু। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার নোনাচন্দনপুকুর এলাকায়। অভিযোগ, রঞ্জিত নিজেকে সেন্ট্রাল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। যদিও কেন্দ্রের এই ধরনের কোনও সংস্থা নেই। গত কয়েক দিন ধরে এই ভুয়ো পরিচয়ে রঞ্জিত বর্ধমানের (Burdwan) বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা তুলছিলেন বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত এক ব্যবসায়ীর উপস্থিত বুদ্ধির জোরে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে বর্ধমানের পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারও ওই প্রতারক জামালপুরের আধাপুর এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে হানা দেন।

    ব্যবসায়ীর বুদ্ধিতেই গ্রেফতার প্রতারক

    শেখ আবদুল কাশেম নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন রঞ্জিত। আবদুল কাশেম বলেন, ওই ব্যবসায়ী কেন্দ্রীয় সংস্থার নাম করে আমাকে হুমকি দিতে থাকে। প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পরে, তাঁর আচরণ দেখে  সন্দেহ হওয়ায় প্রতারককে বসিয়ে রেখে থানায় ফোন করি। এরপরই জামালপুর থানার পুলিশ এসে রঞ্জিতকে পাকড়াও করে। যদিও পুলিশকেও নিজের ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, লাভ হয়নি। রঞ্জিতকে গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ভিডিও কলে বোমা দেখিয়ে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল কর্মী, তীব্র চাঞ্চল্য

    Hooghly: ভিডিও কলে বোমা দেখিয়ে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল কর্মী, তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিডিও কলে বোমা দেখিয়ে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত এক যুবক। যুবকের নাম শেখ শামিম। ঘটনা ঘটেছে হুগলির (Hooghly) তারকেশ্বরের কাছে নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিয়াসারা এলাকায়। পুলিশের কাছে জেরা করে ধৃত যুবকের কাছে এক ডজন আরও বোমা পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য (Hooghly)

    ঘটনায় স্থানীয় (Hooghly) পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবক এলাকায় তৃণমূল করে। গত সোমবার রাতে একটি ভিডিও কলের ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, শামিম নিজের হাতে বোমা নিয়ে একজনকে দেখাচ্ছে। একই ভাবে তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে অপর প্রান্তের আরেক যুবককে ইশারাও দেয়। এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক বিনিময় হয়। এরপর পুলিশ তল্লাশি করে পাকড়াও করে শামিমকে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করে এলাকায় বোমা মজুত রয়েছে বলে খোঁজ মেলে এবং এরপর পুলিশ ১২ টি বোমা উদ্ধার করে। তারপরেই বালতির জলে ডুবিয়ে বোমাগুলিকে নিস্ক্রিয় করে পুলিশ। এই যুবকের সঙ্গে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের মনিরুল ইসলামের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে ঘটনায় তৃণমূল দলের মধ্যেই তীব্র অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Hooghly) বিজেপি নেতা গণেশ চক্রবর্তী বলেন, “লোকসভার ভোটের আগে এলাকায় অশান্তি করতে তৃণমূল এই ধরনের কাজ করছে। উপপ্রধান এই সব অসামাজিক কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের (Hooghly) মনিরুল ইসলাম অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “পুলিশ ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করুক। দোষীকে আমি চিনি না।” আবার তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ বলেন, “বিষয় সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে বলব।” উল্লেখ্য এই পিয়াসারায় দুমাস আগে বিধায়ক এবং উপপ্রধান গোষ্ঠীর সঙ্গে পরস্পরের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলকায় নেমেছিল পুলিশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গ্রেফতার পুরুলিয়ায়, মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা

    Purulia: মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গ্রেফতার পুরুলিয়ায়, মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গলমহলের পুরুলিয়ায় (Purulia) ফের নতুন করে সশস্ত্র মাওবাদী কার্যকলাপ সক্রিয় করে তোলার ছক কষা হচ্ছিল। এবার পুলিশের জালে গ্রেফতার হল কুখ্যাত মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গোস্বামী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর ফলে বড় রকমের নাশকতামূলক চক্রান্তকে নস্যাৎ করা গিয়েছে। এই মাওবাদী নেতা সিপিআই (মাওবাদী) শাখার কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সদস্য। তার একাধিক ছদ্মনাম ওরফে বাবু, ওরফে কিশোর, ওরফে পঙ্কজ। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ এই মাওবাদী নেতার মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ১০ লক্ষ টাকা।

    উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলার করিডরের পরিকল্পনা (Purulia)

    সব্যসাচী গোস্বামীর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানা এলাকার এইচবি সোদপুর রোড ৬ নম্বর এলাকায়। তার পরিকল্পনায় ছিল উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলার করিডর রচনা করা। ২০২২ সালে অসমের গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে মাও কার্যকলাপের জন্য মামলা রুজু করা হয়েছিল তার নামে। বর্তমানে সে ছিল পূর্ব ক্ষেত্রের বুরোর সক্রিয় সদস্য। পুরুলিয়া (Purulia) থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই বড় সাফল্য এসেছে। শুক্রবার স্থানীয় বেলগুমা পুলিশ লাইনে তাকে আনার কথা। এরপর আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    মোট ৫ বার গ্রেফতার

    এই নিয়ে মাও নেতা সব্যসাচী গোস্বামী মোট ৫ বার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল। ২০২১ সালে অসমের গোলাঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। ২০১৮ সালে মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থেকে এসটিএফ গ্রেফতার করেছিল তাকে। ঠিক তারও আগে ২০০৫ সালে একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। কিন্তু প্রত্যেক বার জামিন পেয়ে আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যেত সব্যসাচী। এছাড়াও ২০২১ সালে একাধিকবার যেমন-২০২২ সালে বাঁকুড়ার বাড়িকূল থানা এলাকায় এবং ২০২৩ সালে ঝাড়গ্রামের ধরমপুর থেকে বারবার পুলিশের হাতে এসেও অল্পের জন্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় সে। কিন্তু পুরুলিয়াতে (Purulia) বেশ কিছুদিন সক্রিয় ছিল এই মাও নেতা।

    অস্ত্র চালাতে পারদর্শী সব্যসাচী

    সিপিআই (মাওবাদী) কলকাতা সিটি কমিটির সম্পাদক হয়েছিল সব্যসাচী। ২০০৪ সালেই রাজ্য কমিটির সদস্য পদ পেয়েছিল এই মাওবাদী নেতা। ২০১৮ সালের পর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়। নোনাডাঙা উচ্ছেদ কমিটির সদস্য হিসেবে বিশেষ ভূমিকা ছিল তার। ছাত্রজীবনে নকশাল নেতা সন্তোষ রানার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল। মূলত তাত্ত্বিক মাওবাদী নেতা হলেও অস্ত্র চালাতে পারদর্শী সব্যসাচী। বাংলায় মাওবাদী সংগঠনকে শক্তিশালী করাই একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল তার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ইডি-র ওপর হামলার এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার দুই, খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের

    ED: ইডি-র ওপর হামলার এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার দুই, খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে ইডি-র (ED) ওপর হামলার ঘটনায় প্রায় এক সপ্তাহ পর টনক নড়ল পুলিশের। ওই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নবান্নে রিপোর্ট তলব করেছিল। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এই হামলার ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছিলেন। এসবের পরও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রাজ্য পুলিশের ডিজি গঙ্গাসাগরে গিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছিলেন। তারপরও পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন করেন। তারপরই হুঁশ ফিরল পুলিশের। চাপে পড়ে পুলিশ বিজেপির আন্দোলনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম মেহবুব মোল্লা, সুকমল সর্দার। তবে, হামলার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান এখনও ফেরার। তাঁর নাগাল পায়নি পুলিশ।

     ইডি-র (ED) ওপর হামলার ফুটেজ দেখে গ্রেফতার

    সন্দেশখালিতে গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। ইডির দাবি, ঘটনার দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। ইডি (ED) আধিকারিকদের বিক্ষোভের মুখে ফেলে তিনি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। ইডি আধিকারিকরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডিকে। তিন জন আধিকারিককে হাসপাতালে ভর্তিও করাতে হয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে দুজনকে পুলিশ চিহ্নিত করে। ঘটনার পর তারা গাঢাকা দিয়েছিল। দু’জনই ভেড়ি এলাকায় লুকিয়েছিলেন। তাঁদের বাড়ি সরবেরিয়া এলাকায়। ইডির উপর হামলার ঘটনায় তাঁরা জড়িয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের খোঁজ মিলেছে। ন্যাজাট থানার পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। যদিও ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    ইডি-র হামলার ঘটনায় তিনটি এফআইআর

    সন্দেশখালিতে ইডি (ED) অভিযানের সময় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় এক হাজার অনুগামী। এই ঘটনায় সন্দেশখালির ন্যাজাট থানায় পর পর তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। হামলার পর ইডি একটি এফআইআর দায়ের করে। একটি এফআইআর করা হয় পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে। এ ছাড়া, ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে একটি এফআইআর দায়ের হয় একই থানায়। মার খাওয়া আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মামলায় ইডির বিরুদ্ধে এফআইআরটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: শাহজাহানকে গ্রেফতারের দাবিতে ন্যাজাট থানা ঘেরাও সুকান্তর, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    Sukanta Majumdar: শাহজাহানকে গ্রেফতারের দাবিতে ন্যাজাট থানা ঘেরাও সুকান্তর, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিজেপির উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থানা ঘেরাও কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তবে থানার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। পুলিশের অবশ্য অভিযোগ, বিজেপির কর্মীরা আইন অমান্য করে ব্যারিকেড তুলে ফেলে। পুলিশ ক্ষিপ্ত বিজেপিকে আটকাতে গেলে রীতিমতো ধস্তাধস্তি বেধে যায়। সুকান্ত পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “শেখ শাহজাহান কোথায় আছে পুলিশ জানে। চাইলেই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে। এখন আমাদের আটকাতে পুলিশ এসেছে, সেদিন হামলার সময় কোথায় ছিল? পুলিশই লুকিয়ে রেখেছে শাহজাহানকে।”

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এদিন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানকে গ্রেফতারের দাবিতে ন্যাজাট থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “থানা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরেই ব্যরিকেড করে রেখেছে পুলিশ। বিজেপির কর্মসূচিকে নষ্ট করার জন্য পরিকল্পনা করে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুলিশ। যেখানে ব্যারিকেডে করা হয়েছে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা ছিল না। পুলিশের বাধা পেয়ে আমরা রাস্তায় বসেই আন্দোলন শুরু করি। আমাদের আটকাতে পুলিশ ইচ্ছে করে মহিলা পুলিশ রেখে দিয়েছে। পুরুষ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার জন্যই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। তৃণমূলের বাঘ এখন ইঁদুরের গর্তে ঢুকে গেছে।” তবে সেই সঙ্গে বিজেপির মহিলা কর্মীদেরকে পুরুষ পুলিশ কর্মীরা খামচে দেন বলে সেই অভিযোগও করেন তিনি।

    গত শুক্রবার থেকে পলাতক শাহজাহান

    রেশন দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে ব্যাপক ভাবে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। মাথা ফাটানো হয় তিন তদন্তকারী অফিসারের। এরপর থেকেই এই তৃণমূলের নেতা পালাতক। পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি শাহজাহানকে। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজি রাজীব কুমার এই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারের কথা বললেও এখনও অধরা তিনি। প্রতিবাদে বিজেপির পক্ষ থেকে আজ বসিরহাটের ন্যাজাট থানা ঘেরাও করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। পুলিশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করায় এই কর্মসূচিকে ঘিরেই বিজেপির বিক্ষোভে ব্যাপক উত্তাল হয়ে ওঠে। রীতিমতো রাস্তায় বসে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) পুলিশের বিরুদ্ধে দলদাসের কথা বলে তীব্র আক্রমণ করেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রাজ্যে জাল আধার কার্ড চক্রের পর্দাফাঁস! কীভাবে চলত এই কারবার?

    Murshidabad: রাজ্যে জাল আধার কার্ড চক্রের পর্দাফাঁস! কীভাবে চলত এই কারবার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে আধার জালিয়াতি চক্র। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের মোটা টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড করিয়ে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের গিরিয়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম আব্দুর রহমান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) পূর্ব পাড়ে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। কাঁটাতার পেরিয়ে জেলায় মাঝে মধ্যে অনুপ্রবেশকারীরা চলে আসে। বাংলাদেশিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন এই আব্দুর। বিনিময়ে তিনি মোটা টাকাও নিতেন। দীর্ঘদিন জঙ্গিপুর গিরিয়া স্কুল সংলগ্ন এলাকায় কম্পিউটার দোকান খুলে এই বেআইনি কারবার তিনি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর দোকানে হানা দেয়। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, বায়োমেট্রিক মেশিন-সহ একাধিক ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম তথা গ্যাজেট। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু আধার কার্ডও। ধৃত ব্যক্তি মিঠিপুর এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এই বেআইনি কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতীয় নাগরিক হওয়ার অন্যতম ঠিকানা ছিল এই আব্দুরের দোকান। বাংলাদেশীদের ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করে দিতেন আব্দুর। বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কাজকর্মে সহযোগিতা করার অভিযোগও রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। ধৃত আব্দুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই কম্পিউটার দোকানের আড়ালে বেআইনি কারবার চালাচ্ছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কিছু ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই ধরনের কারবার কারও একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। ফলে, এর পিছনে কেউ বা কারা রয়েছে। তাদের খোঁজে আমরা তল্লাশি শুরু করেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share