Tag: Arrest

Arrest

  • Birbhum: তৃণমূল কর্মী হয়েছিলেন মাওবাদী! ১২ বছর ফেরার থাকার পর পুলিশের জালে

    Birbhum: তৃণমূল কর্মী হয়েছিলেন মাওবাদী! ১২ বছর ফেরার থাকার পর পুলিশের জালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক মাওবাদী নেতাকে বীরভূম (Birbhum) থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ১২ বছর ফেরার থেকেও শেষরক্ষা হল না। গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে ফিরতেই মাওবাদী যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, এলাকায় সন্ত্রাস-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হল। ধৃতের নাম বাবন সূত্রধর (৪৮)। তাঁর বাড়ি বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বর থানার বেলিয়া গ্রামের পুকুরপাড়ায়।

    সেভেন এমএম পিস্তল বাজেয়াপ্ত! (Birbhum)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১২ বছর ধরে বাড়িছাড়া ছিলেন ওই মাওবাদী নেতা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পাশের জেলা মুর্শিদাবাদের নওদা থানায় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ ছিল। পুলিশও দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে খুঁজছিল। কয়েক দিন আগে তিনি বীরভূমের (Birbhum) গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। ফেরার আগে থেকেই শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন তিনি। এদিকে বাবনের গ্রামে ফেরার খবর পেয়ে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে রামপুরহাট থানার পুলিশ। বিশাল বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন রামপুরহাটের এসডিপিও ধীমান মিত্র। বাম আমলে বাবনের বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপরই প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন বাবন। এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর কাছে থেকে সেভেন এমএম পিস্তল এবং পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে।

    কী বললেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা?

    তৃণমূলের বুথ সভাপতি অরুণ সূত্রধর বলেন, বাবন তো আমাদের দলের হয়ে কাজ করত। পরিবারে একটি দুর্ঘটনার জন্য ও বিপথে চলে গিয়েছিল। এখন সে নিজেকে শুধরে নিয়েছে। ও যাতে সঠিক বিচার পায়, তা আমরা দেখব।

    সংগঠনের মধ্যে বেশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, স্বীকার করলেন মাওবাদী নেতা

    আর মাওবাদী নেতা বাবন সূত্রধর বলেন, মাওবাদী সংগঠনে নাম লেখালেও বোনের প্রতি অবিচারের বদলা এখনও নিতে পারিনি। বেশ কয়েক বছর আমি জেলও খেটেছি। আমার কাছে অস্ত্র ছিল না। পুলিশ তা গুঁজে দিয়েছে। আর মাওবাদীদের মধ্যে আরও বেশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, খেয়োখেয়ি। তাই, তাদের পথ থেকে পিছিয়ে এসেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশের শ্লীলতাহানি! এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা

    Panihati: পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশের শ্লীলতাহানি! এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের পানিহাটি (Panihati) উৎসবে মহিলা পুলিশ কর্মীর শ্লীলতাহানির ঘটনা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। তারপরই নড়়েচড়ে বসে পুলিশ। মহিলা পুলিশ কর্মী শ্লীলতাহানির  ঘটনায় অবশেষে যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম দীপ মজুমদার। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Panihati)

    গত ২৩ শে ডিসেম্বর রাতে পানিহাটি (Panihati) উৎসবের ভিতরে এক মহিলা পুলিশ কর্মীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যে এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এমন হয় যে তৃণমূল নেতাদের বেলেল্লাপনা আটকাতে অন্য পুলিশ কর্মীদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। মেলার ভিতরে মহিলা পুলিশ কর্মীর সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই মহিলা পুলিশ কর্মী খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে, গত ২৩ তারিখে অভিযোগ দায়ের করা হলেও এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। ২৯ শে ডিসেম্বর ওই মহিলা পুলিশ কর্মীর অভিযোগ পত্র সঙ্গে নিয়ে রাজ্যে নারী সুরক্ষার হাল কী তা তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পোস্ট করার পরেই পুলিশ নড়েচড়ে বসে।

    তৃণমূল বিধায়কের দাবি ভিত্তিহীন, প্রমাণ করে দিল পুলিশ

    যদিও বিষয়টি জানাজানি হতেই পানিহাটি (Panihati) বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ শুক্রবার দাবি করেন, পানিহাটি উৎসবের মধ্যে কোনওরকম শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূলের কোনও কর্মী সমর্থক এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। পুলিশের একাংশ বিজেবি সঙ্গে যোগাসাজস করে এসব করছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মূলে জোর-চাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। বিধায়কের দাবি যে ভিত্তিহীন তা যুব তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হতে প্রমাণিত হয়ে গেল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, ২৩শে ডিসেম্বর মহিলা পুলিশ কর্মীর সঙ্গে শ্লীলতাহানি করা হয়। নিয়ম মেনে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে যেহেতু শাসক দলের নেতারা জড়িত, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করার সাহস দেখায়নি। আমাদের দলের রাজ্য সভাপতি বিষয়টি রাজ্যবাসীর সামনে আনতে পুলিশ নড়েচড়ে বসে। অবশেষে এই ঘটনা জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে যুব তৃণমূল নেতাকে। এ ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। আমাদের দাবি প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: সাইকো কিলার? হাওড়ায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন! ধৃতের বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Howrah: সাইকো কিলার? হাওড়ায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন! ধৃতের বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির কাছ থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় এক শিশুকন্যা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিথর দেহ উদ্ধার হয় তার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার একটি গ্রামে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ছয় বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম এরশাদ মালি। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। সেই তথ্য হাতে পেয়ে পুলিশ কর্তারা হতবাক হয়ে গিয়েছেন।

    ধর্ষণ করে শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুন! (Howrah)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ায় শিশুকন্যাটি বাড়ির সামনে খেলছিল। সেখান থেকেই রহস্যজনকভাবে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পরে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে, অন্য একটি বাড়ির পাঁচিলের ভিতরে মেয়েটির বস্তাবন্দি দেহ মেলে। তারপরেই ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। সিসি ক্যামেরায় এরশাদকে সাইকেলে করে ওই বস্তা নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। রবিবার রাতে অভিযুক্ত এরশাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সে কবুল করে, বাড়ির সামনে থেকে মেয়েটিকে ভুলিয়ে কিছুটা দূরে বস্তির একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তার পরে প্যান্ডেল বাঁধার কাপড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ ব্যাগে ভরে।

    ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কী পেল পুলিশ?

    ধর্ষণে অভিযুক্ত এরশাদের বাড়ি কলকাতার মেটিয়াবুরুজে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে বিদ্যুতের মিস্ত্রি হিসাবে একটি ঠিকা সংস্থার হয়ে হাওড়ার ওই গ্রামে কাজ করতে এসেছিল। এর পরেই তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানান, এর আগে ২০২০ সালেও এরশাদের বিরুদ্ধে কলকাতার একটি শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। বরাতজোরে শিশুটি রক্ষা পায়। এরশাদকে সেই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে সে জামিন পায়। এবারও সেই একই কায়দায় ধর্ষণ করে খুন। সাইকো কিলার কি না, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: সক্রিয় জালিয়াতি চক্র! মৃত ব্যক্তির সই জাল করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে জমি

    North 24 Parganas: সক্রিয় জালিয়াতি চক্র! মৃত ব্যক্তির সই জাল করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে জমি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হিঙ্গলগঞ্জে জমি জালিয়াতির চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মৃত ব্যক্তির সই জাল করে জমি হাতানোর ঘটনাও ঘটেছে। তদন্তে নেমে জালিয়াতির এই তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়ে চক্ষুচড়ক গাছ হয়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের।

    ঠিক কী ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে বঙ্কিম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হিঙ্গলগঞ্জ থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, প্রতিবেশী হরিপদ মিস্ত্রি ও তাঁর স্ত্রী বুলারানির নামে মালেকান ঘুমটিতে বঙ্কিমের ৩৪ শতক জমির দলিল তৈরি করা হয়েছে। সেই জমি তাঁর প্রয়াত বাবা মহাদেব মণ্ডলের সই নকল করে জমির দলিল তৈরি করেছেন হরিপদ। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, গৌর মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি হরিপদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চক্রান্ত করে বঙ্কিমের জমির দলিল বুলারানির নামে করার ব্যবস্থা করেন। আর এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে আসে। জানা যায়, ২০০৭ সালে মৃত ব্যক্তির সই ২০২২ সালে নকল করে ৩৪ শতক জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই চক্রের চারজনকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম গৌর মণ্ডল, হরিপদ মিস্ত্রি, বুলারানি মিস্ত্রি, ও রেণুকা মণ্ডল। মৃত মহাদেব মণ্ডল হিসাবে সাজানো হয় হরিপদকে। মহাদেব মণ্ডলের সই নকল করে হরিপদ ২০২২ সালে হাসনাবাদ রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে জমি লিখে দেন বুলারানির নামে। গ্রেফতার করা হয় হাসনাবাদ রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক রেণুকা মণ্ডলকেও। তদন্তকারীদের দাবি, কারচুপির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন রেণুকা। কারচুপিতে রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    হাসনাবাদ রেজিস্ট্রি অফিসের এডিএসআর সঞ্জিতকুমার ঘোষ বলেন, এই ধরনের কারচুপির ঘটনা নির্দিষ্ট ভাবে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কয়েকটি গ্রামের জমি নিয়েই হচ্ছে। এর আগেও কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তা নিয়ে মামলা চলছে। হিঙ্গলগঞ্জের এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের অফিসের কর্মীদের কোনও যোগ আছে বলে জানা নেই। আমরা যতটা সম্ভব তথ্য যাচাই করি। দলিল লেখকদেরও বার বার সতর্ক করা হয়। আবারও সতর্ক করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: পাচারে যুক্ত পুলিশ! ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মী

    Cooch Behar: পাচারে যুক্ত পুলিশ! ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের হাতেই পুলিশকর্মী গ্রেফতারের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ব্রাউন সুগার সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল কোচবিহারের (Cooch Behar) কোতোয়ালি থানার পুলিশ। যার মধ্যে একজন পুলিশ কনস্টেবল রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত কনস্টেবলের নাম শেখ আজিজুল। অন্য জনের নাম শেখ শাহবাজ। দু’জনের বাড়ি মালদহের রতুয়ার বাহারাল-সাহাপুরে। শাহবাজ সম্পর্কে আজিজুলের শ্যালক। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে একশো গ্রামের বেশি ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য দেড় লক্ষ টাকার মতো।

    পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ ছিল? (Cooch Behar)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ আজিজুল বছর তিরিশের যুবক। বছর চারেক আগে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পান তিনি। এক বছর আগে, কোচবিহার ক্রাইম ব্রাঞ্চের সদস্য করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, তারপর থেকেই একাধিক অভিযান ব্যর্থ হতে শুরু করে ক্রাইম ব্রাঞ্চের। তার মধ্যে সবগুলিই ‘ব্রাউন সুগার’ সম্পর্কিত ঘটনা। বেশ কয়েকটি ঘটনায় নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে অভিযান শুরু করা হয়। ওই অভিযানের প্রত্যেকটিতে শামিল ছিলেন আজিজুল। কিন্তু নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর আগেই দেখা যায়, দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। তাদের মোবাইলও বন্ধ। এক পুলিশ অফিসার বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আমরা গ্রাহক সেজে অভিযান করি। কিন্তু দেখা যায়, আগে থেকেই সব জেনে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তখনই আমাদের সন্দেহ দানা বাঁধে, পুলিশকর্মীদের মধ্যে থেকেই পাচার করে দেওয়া হচ্ছে অভিযানের তথ্য। তদন্তে নেমে আজিজুলকে সন্দেহ করা হয়। তাঁর মোবাইলে ফাঁদ পাততেই উঠে আসে একের পরে এক তথ্য। জানা গিয়েছে, আশ্রমঘাটে ফাঁদ পাতে কোচবিহারের (Cooch Behar) কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ব্রাউন সুগার-সহ গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। রতুয়ায় বেশ অবস্থাপন্ন আজিজুলের পরিবার। বেশ কিছু জমিজমাও রয়েছে তাঁদের। কিন্তু আজিজুল ব্রাউন সুগারের কারবারের সঙ্গে জড়িত তা বিশ্বাস করতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।

    জেলা পুলিশ সুপার কী বললেন?

    কোচবিহারের (Cooch Behar) পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, ধৃতদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাতে আরও নতুন তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই মাওবাদী নেতা, তাঁদের কাছে থেকে কী পেল পুলিশ?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই মাওবাদী নেতা, তাঁদের কাছে থেকে কী পেল পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কি মাওবাদীরা নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠল। মুর্শিদাবাদ থেকে দুই মাও নেতাকে গ্রেফতার করার ঘটনা সেই সন্দেহকে নতুন করে উস্কে দিল। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে পিস্তল ও বুলেট উদ্ধার করেছে। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad)  সুতি থেকে মন্টু মল্লিক ও প্রতীক ভৌমিক নামে দুই মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল ও ৬’টি বুলেট।

    চলছিল তথ্য জোগাড় (Murshidabad)  

    সাত মাস আগে মাওবাদী নেতা প্রদীপ মণ্ডল ওরফে ‘ডাক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে কলকাতা পুলিশ জানতে পারে, বাংলাদেশ সীমান্তে ‘মাও করিডর’ তৈরির কাজ করছে ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীরা। তথ্য পেয়ে পুলিশ দুই মাও নেতাকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, মন্টু মল্লিক ওরফে রবি বা ভজা নামে পরিচিত। বেহালার সরশুনা এলাকার বারুইপাড়া রোডের বাসিন্দা তিনি। অন্যদিকে প্রতীক ভৌমিক ওরফে কাঞ্চনের বাড়ি নদিয়ার ধানতলায়। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর হাতে আগেও গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তখনই পুলিশ জানতে পারে, তিনি মাও কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। তবে সে-ব্যাপারে পুলিশের হাতে উপযুক্ত কোনও প্রমাণ ছিল না।

    বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার পথে গ্রেফতার

    কিন্তু তাঁর ওপরে ধারাবাহিক নজরদারি চালিয়ে যায় পুলিশ। তাঁর মোবাইলও ট্র্যাক করা হয়। একটা সময় পুলিশ নিশ্চিত হয়, ঝাড়খণ্ড ও রাজ্যে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মন্টু এবং প্রতীক। তখন থেকেই প্রতীক ও মন্টুর ওপর নজর রাখতে শুরু করে এসটিএফ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১৮ নভেম্বর গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে পুলিশ পৌঁছয়। পুলিশ জানতে পারে, ওই এলাকার একটি গোপন স্থানে দুই মাওবাদী নেতা বিশেষ বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন। বাইকে করে যাওয়ার পথেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Joynagar: জয়নগর কাণ্ডে এবার গ্রেফতার তিন তৃণমূল কর্মী

    Joynagar: জয়নগর কাণ্ডে এবার গ্রেফতার তিন তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগর কাণ্ডে নতুন করে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম নজরুল মণ্ডল, আকবর ঢালি এবং আমানুল্লাহ জমাদার। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িই দলুয়াখাকিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃত তিন জনই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। তৃণমূল নেতা খুনের পর গন্ডগোলের ঘটনায় দলীয় কর্মীরা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় তৃণমূলের দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূল নেতা খুনের পরই একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল

    তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের মামলার পাশপাশি, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আলাদা মামলা রুজু করে পুলিশ। সেই মামলাতেই রবিবার রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৩ নভেম্বর জয়নগরের বামনগাছির পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে মসজিদ নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন।  মসজিদের সিঁড়িতে সবে পা রেখেছিলেন তিনি। এমন সময়ে তাঁর ঘাড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে এসেছিলেন। রক্তাক্ত দেহটি তুলে দৌড়েছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি সইফুদ্দিনকে। খুনের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দলুয়াখাকি গ্রাম। সইফুদ্দিনকে গুলি করে পালানোর সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় দু’জন ধরা পড়ে যান স্থানীয়দের হাতে। অভিযোগ, সাহাবুদ্দিন নামে তাঁদের একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। অন্য জন, শাহরুল শেখকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    শাসক দলের নেতা খুনের পরই সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়

    তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার পর পরই তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ২০-২৫ টি বাড়িতে ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। পরিবারের মহিলাদের মারধর করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, বেছে বেছে শুধুমাত্র সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আনিসুর লস্করকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও কামালউদ্দিন ঢালি নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার জয়নগরের দলুয়াখাকিতে ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Infiltration In India: পাকিস্তানি মা-ছেলের ভারতে অনুপ্রবেশ, গ্রেফতার করল এসএসবি

    Infiltration In India: পাকিস্তানি মা-ছেলের ভারতে অনুপ্রবেশ, গ্রেফতার করল এসএসবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত টপকে ভারতে অনুপ্রবেশ (Infiltration In India) এবং সেই সঙ্গে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় পাকিস্তানের নাগরিক এক মা-ছেলেকে গ্রেফতার করল এসএসবি। সশস্ত্র সীমা বল অর্থাৎ এসএসবি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার শিলিগুড়ি ব্লকের খড়িবাড়ি পানিট্যাঙ্কি এলাকায় ভারত-নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করলে ধরা পড়েন মা এবং ছেলে। এরপর তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তারপরেই গ্রেফতার করে দার্জিলিং পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তাঁরা পাকিস্তানি নাগরিক, ধৃত মহিলার নাম শায়িস্তা হানিফ এবং ছেলের নাম মহম্মদ হানিফ।

    কীভাবে পৌঁছালেন শিলিগুড়িতে (Infiltration In India)?

    এসএসবি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা বুধবার সকালে ভারত-নেপাল সীমান্তের কাকরভিটা থেকে মেচি নদীর উপর এশিয়ান হাইওয়ে হয়ে হেঁটে (Infiltration In India) পানিট্যাঙ্কি এলাকায় পৌঁছান। এরপর এসএসবি জওয়ানরা তাঁদের গ্রেফতার করে। তাঁদের তল্লাশি করলে পাকিস্তানি পাসপোর্ট এবং কিছু নথি পাওয়া যায়। এরপর জেরায় জানা যায়, পাকিস্তানের করাচি শহরের গহানমার স্ট্রিটের সারফা বাজারে তাঁদের মূল বাড়ি। বৃহস্পতিবার তাঁদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    সৌদি আরব থেকে কাঠমান্ডুতে আসেন

    ধৃত পাকিস্তানি মা-ছেলের (Infiltration In India) কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তাঁরা প্রথমে পাকিস্তান থেকে সৌদি আরবে যান, এরপর সেখান থেকে গত ৫ নভেম্বর তাঁরা ভারত এবং কাঠমান্ডুতে আসার জন্য বিমানে টিকিট কেটেছিলেন। গত ১১ নভেম্বর তাঁরা সৌদি আরবের জেড্ডা বিমান বন্দর থেকে কাঠমান্ডুতে আসেন। তল্লাশিতে তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল, দুটি সিমকার্ড, একটি মেমরি কার্ড, দুটি পেন ড্রাইভ, ১০ হাজার নেপালি টাকা, ১৬ হাজার ৩৫০ ভারতীয় টাকা এবং ৬ ইউরো, ১৬৬টি রিয়াল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    এই গ্রেফতারের পর দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ জানিয়েছেন, “আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে গ্রেফতার হওয়া মা এবং ছেলে হলেন পাকিস্তানের নাগরিক। তবে বেশ কিছু দিন ধরে তাঁরা সৌদি আরবে থাকছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগণায় তাঁর এক বোন আছেন, সেখানে যাওয়ার জন্য অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ (Infiltration In India) করেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী বাইক চুরির পান্ডা! এতদিন পুলিশ কী করছিল?

    Nadia: নদিয়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী বাইক চুরির পান্ডা! এতদিন পুলিশ কী করছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) তৃণমূল  ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী এখন গাড়ি চুরির পান্ডা। সেই কর্মীকে গ্রেফতার করে একাধিক মোটরবাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মনিরুল দফাদার। প্রসঙ্গত শান্তিপুরের মনিরুল একনিষ্ঠ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী। শান্তিপুর কলেজে ছাত্র সংসদে তার যাতায়াত ছিল নিয়মিত। কলেজের নেতাদের সঙ্গে ওঠা বসা ছিল তার। সব কিছুর আড়ালে সে মোটরবাইক চুরি  করত বলে অভিযোগ।

    গাড়ি চুরির পান্ডা কীভাবে জানা গেল? (Nadia)

    গত এক সপ্তাহ আগে নদিয়ার (Nadia) বাদকুল্লা সবজি বাজার থেকে একটি বাইক চুরি হয়। একটি দোকানের সিসি ক্যামেরা দেখে থানার পুলিশ মনিরুলকে গ্রেফতার করে। অপর দিকে, মনিরুল মোটর সাইকেল যার কাছে বিক্রি করেছিল, পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করেছে বাইকও। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে মনিরুলই হল চক্রের পান্ডা। সে মোটরবাইক চুরি করে বিক্রি করত। শান্তিপুর থেকে আরও দু’টি চোরাই মোটরবাইক উদ্ধার করে পুলিশ। শান্তিপুর, ফুলিয়া, বাদকুল্লা সহ একাধিক বাইক চুরির ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত। সে কোথায় কোথায় চুরি করা বাইক বিক্রি করত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সব চুরি চুরি যাওয়া মোটরবাইক উদ্ধারের চেষ্টা কাছে চালাচ্ছে পুলিশ। মনিরুল তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হওয়াতে ঘটনায় বিপাকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি শান্তিপুর কলেজে যাতে আগামীতে মনিরুল প্রবেশ করতে না পারে সেই আশ্বাসও তারা হয়। দিয়েছেন। শান্তিপুর কলেজ থেকে বেশ কিছু মোবাইল চুরি হয়েছে। এখন সকলের সন্দেহ মনিরুলই সে সব করেছে।

    বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূল দলটা কেমন তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। এই ধরনের বড় সড় চুরি চক্রের পান্ডা ওই তৃণমূল কর্মী। এরাই দলের সম্পদ। অবিলম্বে পুলিশের ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mandarmani: মন্দারমণিতে অবশেষে যুবতী খুনের কিনারা, গ্রেফতার ২

    Mandarmani: মন্দারমণিতে অবশেষে যুবতী খুনের কিনারা, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মন্দারমণির (Mandarmani) সমুদ্রের ধারে এক যুবতীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরে, জানা যায় ওই যুবতীর নাম লাবনী দাস। তাঁর বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুর। কিন্তু, তাঁকে খুন করা হল তা জানা যায়নি। এবার সেই খুনের ঘটনায় অবশেষে রহস্য ভেদ হল। জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর দিদির দেওর প্রলয় দাসই এই খুনের মূল চক্রী। ইতিমধ্যে পুলিশ এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে। প্রলয়ের এক বন্ধু মনোজ গোস্বামী এই খুনে সাহায্য করেছিল। তাই পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেছে। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েই মর্মান্তিক পরিণতি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এই ঘটনায় আর কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কেন ওই যুবতীকে খুন করা হল? (Mandarmani)

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লাবনী দাস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর দিদির বিয়ে হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে। পরিবারের পাশে আর্থিকভাবে দাঁড়াতে সোদপুরে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতে যেতেন লাবণী। সেই জন্য দিদির বাড়িতেও প্রায়শই যাতায়াত ছিল তাঁর। ওই যাতায়াতের ফলেই দিদির দেওর প্রলয় দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন লাবণী। কলকাতায় এক অ্যাপ ক্যাব সংস্থায় চালক হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিল প্রলয়। সেই কারণে দমদমে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত সে। প্ৰায় প্রতি শুক্রবারই বিউটি পার্লারে কাজ শেখার নাম করে দমদমে প্রলয়ের সেই ভাড়া বাড়িতে যাতায়াত করতেন লাবণী। সেই সময় প্রলয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন লাবনী। লাবনীর পাশাপাশি অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে প্রলয় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে লাবনী বিয়ের জন্য চাপ দেন। পরে, তারসঙ্গে অশান্তি শুরু করে। পথের কাঁটা সরাতে মন্দারমণি (Mandarmani) এলাকায় তাপস জানা নামে এক বন্ধুর সাহায্য নেয় প্রলয়। এরপর লাবনীকে নিয়ে সোজা মন্দারমণি যান লাবনী। তারপর সেখানে শ্বাসরোধ করে লাবণীকে খুন করে বলে অভিযোগ। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ সমুদ্র সৈকতে ফেলে দেওয়া হয়। তাপস এই কাজে প্রলয়কে সাহায্য করেছিল। ঘটনার পর থেকে সে উধাও।

    কী বললেন মৃতার দিদি?

    এই বিষয়ে মৃতার দিদি বলেন, দেওরের সঙ্গে বোনের সম্পর্কের বিষয়টি আমরা জানতাম না। তবে, এভাবে বোনকে খুন করার বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দাবি করছি। দেওর ছাড়াও আমার বোনকে খুন করার পিছনে যারা রয়েছে তাদের প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share