Tag: Arrest

Arrest

  • Gang Rape: অশোকনগরে  এক যুবতীকে গণধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত চার যুবক

    Gang Rape: অশোকনগরে এক যুবতীকে গণধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত চার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যুবতীকে মাদক খাইয়ে ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের (Gang Rape) অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে। অভিযোগ, অচৈতন্য অবস্থায় যুবতীকে গভীর রাতে যশোর রোডের পাশে অশোকনগরের একটি কলেজের সামনে ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্ত যুবকরা। পুলিশ খবর পেয়েই মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গণধর্ষণের অভিযোগে ওই চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, এত কাণ্ড হওয়ার পরও পুলিশ কিছু জানতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Gang Rape)

    মাদক খাইয়ে যুবতীকে অচৈতন্য করে গণধর্ষণের (Gang Rape) ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অশোকনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চার অভিযুক্তের নাম তন্ময় পাল, আকাশ চক্রবর্তী, টুকাই সিকদার এবং গোপাল পাল। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি অশোকনগর ৫ নম্বর সুভাষপল্লি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা যুবতী পানশালায় নর্তকীর কাজ করেন। যুবতীর পূর্ব পরিচিত আকাশের কাছে টাকা ধার চায় এই যুবতী। আর এই টাকা ধার দেবে বলেই রবিবার সন্ধ্যার পরে আকাশ ওই যুবতীকে অশোকনগরে ডাকে। এর পরেই আকাশ ওই যুবতীকে আরেক অভিযুক্ত টুকাই সিকদারের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই যুবতীকে মাদক খাইয়ে অচৈতন্য করে চার বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তারপরে গভীর রাতে হাবড়া শ্রীচৈতন্য কমার্স কলেজের সামনে যুবতীকে ফেলে চম্পট দেয় ওই চার যুবক। পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসন খবর পেয়ে নির্যাতিতাকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যায় অশোকনগর হাসপাতালে। সেখানে বসেই ওই যুবতী পুলিশের কাছে ওই চার যুবকের নামে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালে অশোকনগর সুভাষপল্লি এলাকা থেকে ওই চার যুবককে গ্রেফতার করে অশোকনগর থানার পুলিশ। সোমবার তাদের চারজনকে বারাসত আদালতে পাঠানো হয়।

    কী বললেন নির্যাতিতা যুবতী?

    নির্যাতিতার বক্তব্য, ‘আমার সঙ্গে আকাশ চক্রবর্তীর পরিচয় ছিল। আমার কিছু টাকার প্রয়োজন হয়েছিল, আকাশকে বলেছিলাম। ও টাকা দেওয়ার জন্য এদিন রাতে আমায় ডাকে। তারপর একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমাকে অচৈতন্য করে আকাশ সহ মোট চারজন গণধর্ষণ (Gang Rape) করে। পরে আমাকে একটি ফাঁকা জায়গায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। আমি দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।’ দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবিতে সরব নির্যাতিতার মাও।

    কী বললেন হাসপাতালের সুপার?

    এদিন বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, যুবতীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। চিকিৎসার পর সমস্ত কিছু বলা যাবে। এদিন নির্যাতিতাকে দেখতে বারাসত হাসপাতালে আসেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এদিন তিনি বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত পৈশাচিক। দোষীদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমি ওই পরিবারের পাশে আছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Titagar Shootout: টিটাগড় শুটআউটে মূল অভিযুক্তসহ গ্রেফতার ৩, কেন খুন করা হল তৃণমূল কর্মীকে?

    Titagar Shootout: টিটাগড় শুটআউটে মূল অভিযুক্তসহ গ্রেফতার ৩, কেন খুন করা হল তৃণমূল কর্মীকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া টাকা চাওয়ার জন্যই টিটাগড়ে তৃণমূল কর্মী আনোয়ার আলিকে খুন (Titagar Shootout) করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে প্রাথমিকভাবে এই তথ্য সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে প্রকাশ্য দিবালোকে শুটআউটের (Titagar Shootout) ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ও তার স্ত্রীসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম  মহম্মদ সানি, মহম্মদ আরিফ এবং সানির স্ত্রী শবনম বানু। তিনজনকেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাদের বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়।

    ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার জন্যই কী ব্যবসায়ীকে খুন?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সানির বাড়ি টিটাগড়ের উড়ানপাড়া এলাকায়। বছর পাঁচেক আগে সানির বিরুদ্ধে একটি খুনের অভিযোগও ছিল। তাতে সে জেলও খেটেছে। পরে, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোবাইল কেনাবেচার কাজ করা শুরু করেছিল। আনোয়ারসাহেব তৃণমূল কর্মীর পাশাপাশি এলাকায় তিনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। টিটাগড় এলাকায় তাঁর মোবাইলের দোকান রয়েছে। তিনি জমি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি পরিবহণের তাঁর ব্যবসা ছিল। আনোয়ারের মোবাইল দোকান থেকে ধারে মোবাইল নিত সানি। পরে, তা বিক্রি করে টাকা ফেরত দিত সে। এইভাবে কারবার দুজনের মধ্যে ঠিকঠাক চলছিল। তবে, কয়েকমাস আগে আনোয়ারের দোকান থেকে সানি বেশ কয়েকটি মোবাইল ধারে নিয়েছিল। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা। সেই টাকা দীর্ঘদিন ধরে ফেরত দিচ্ছিল না বলে অভিযোগ। আনোয়ার আলি ও তার ছেলে সোহেল বার বার সানির কাছে বকেয়া টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু, সানি সেই বকেয়া টাকা ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ। যার জেরে সোহেলের সঙ্গে সানির একবার ঝামেলা হয়েছিল। আনোয়ারের সঙ্গে তুমুল বচসাও হয়। আনোয়ার বকেয়া টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত সানির উপর চাপ দিয়েছিলেন। নতুন করে আর সানিকে মোবাইল তিনি আর ধার দেননি। ফলে, সানি চরম বিপাকে পড়ে যায়। এরপরই সানি তার বন্ধু আরিফকে সমস্ত বিষয়টি বলে। আরিফ নৈহাটি থেকে একজন শার্প শুটারকে নিয়ে আসে। আনোয়ারকে খতম করার তারা ছক কষে।

    এই ঘটনা নিয়ে কী বললেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) আশিস মৌর্য বলেন, সানির সঙ্গে আনোয়ার আলির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যা ছিল। এনিয়ে বচসাও হয়েছিল। এরপরই তাকে খুন করা হল। ঘটনাস্থল থেকে একটি স্কুটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে আনোয়ারের গতিবিধির উপর সানি ও তার দলবল নজর রাখছিল। এমনকী সানির স্ত্রী শবনম আনোয়ারকে ফোন করে তাঁর অবস্থান জানার চেষ্টা করে। আনোয়ার খুন হওয়ার কিছুক্ষণ আগে তাঁকে শবনম ফোন করে বকেয়া টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল। সেই টাকা আনতে গিয়েই সানি ও তাদের গ্যাংয়ের হাতে আনোয়ারসাহেব খুন (Titagar Shootout) হন। তবে, ঘটনার সময় সানি আরিফ ছাড়়াও আরও একজন ছিল। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda School: হাতে অ্যাসিড বোমা নিয়ে ক্লাসের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াল বন্দুকবাজ, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    Malda School: হাতে অ্যাসিড বোমা নিয়ে ক্লাসের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াল বন্দুকবাজ, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চক, পেন্সিল হাতে নিয়ে ক্লাসে ঢুকেছেন স্কুলের (Malda School) শিক্ষক। পড়ুয়াদের ভিড়ে ঠাসা ক্লাসরুম। শিক্ষক সবে ক্লাস শুরু করেছেন। আচমকাই আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে আর দুটি কাচের বোতল নিয়ে অপরিচিত মাঝবয়সী একজন ক্লাসরুমে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়লেন। তাঁকে দেখে শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রী সকলেই ভয়ে সিঁটিয়ে গেলেন। শিক্ষকের বই-খাতা রাখার টেবিলে দুটি কাচের বোতল রাখেন ওই বন্দুকবাজ। ওই ব্যক্তি ক্লাসের পড়ুয়াদের বলেন, কাচের বোতলে অ্যাসিড আর পেট্রল বোমা রয়েছে। স্কুলের মধ্যে বন্দুকবাজের এরকম দাপাদাপির খবর শুনলে মনে হতেই পারে মার্কিন মুলুক কিংবা অস্ট্রেলিয়ার কোনও এলাকার ঘটনা। কিন্তু, ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে এই রাজ্যেই। ঘটনাস্থল পুরাতন মালদহের মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুল (Malda School) । চোখের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে একজনকে দেখে ক্লাস সেভেনের পড়ুয়ারা কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

    কেন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে হামলা চালালেন ওই ব্যক্তি?

     বন্দুকবাজের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্কুলের (Malda School)  অন্যান্য ক্লাসের পড়ুয়ারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবকরা স্কুল গেটের বাইরে ভিড় করেন। স্থানীয় লোকজনের ভিড়ে স্কুল গেটের সামনে কয়েকশো মানুষের ভিড় জমে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মালদহ থানার পুলিশ আসে। ততক্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি ক্লাসরুমের ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে হাতে একটি কাগজ নিয়ে বলতে থাকেন, তৃণমূল আর পুলিশ প্রশাসন আমার স্ত্রী ও ছেলেকে দুবছর ধরে অপহরণ করে রেখেছে। আমি বিডিও থেকে নবান্ন পর্যন্ত সব জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। আমি এর আগে ফেসবুকে বিষয়টি বলেছিলাম। কিন্তু, কেউ কথা রাখেনি। আজ, আমি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে এসেছি। আমার ব্যাগের মধ্যে ইলেকট্রনিক বোমা রয়েছে। হাতে নাইন এমএম রয়েছে। আর দুটি কাচের বোতলের একটিতে অ্যাসিড বোমা, অন্যদিতে পেট্রল বোমা রয়েছে।  বোমা ফাটলে গোটা ক্লাসরুম ঝলসে যাবে। এই কথাগুলি তিনি যখন বলছিলেন, তখন ক্লাসের মধ্যে থাকা পড়ুয়ারা কার্যত ভয়ে সিঁটিয়ে ছিলেন। আর ক্লাস রুমের বাইরে তখন শিক্ষক, অভিভাবক আর পুলিশ অফিসারদের ভিড়। এক পুলিশ আধিকারিকের তত্পরতায় ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলা হয়। আগ্নেয়াস্ত্রসহ অ্যাসিড বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরে, ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

     স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম দেববল্লভ রায়। তার বাড়ি পুরাতন মালদহের নেমুয়া এলাকায়। একসময় তার স্ত্রী বিজেপি-র পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ছিলেন। পরে, তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বছর দুয়েক আগে থেকেই তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে তৃণমূল অপহরণ করে রেখেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এদিনের ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কোনও কারণ থেকে ওই ব্যক্তি এসব করেছে। তাকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়াতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নানা অভিযোগ করেছিল। তখনও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। এবার স্কুলে (Malda School) এভাবে কেন এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: চারচাকা গাড়ির পিছনের সিট খুলতেই থরে থরে সাজানো গাঁজার প্যাকেট!

    Singur: চারচাকা গাড়ির পিছনের সিট খুলতেই থরে থরে সাজানো গাঁজার প্যাকেট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ির সিটের পিছনে কী? দেখতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। রাতের বেলা সিঙ্গুরে (Singur) নাকা চেকিংয়ে তল্লাশি চালাতে গিয়ে দেখা যায়, চারচাকা গাড়ির পিছনের সিটে স্ক্রু আঁটা। স্ক্রু খুলে দিতেই পর্দা ফাঁস। ভিতরে থরে থরে সাজানো গাঁজার প্যাকেট। আসলে একটা খবর ছিলই পুলিশের কাছে। সেটাই সত্যি হল।

    গ্রেফতার মহিলা সহ চারজন

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গাঁজা ভর্তি ওই চারচাকা গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের সিঙ্গুর থানা। পাচারের অভিযোগে গ্ৰেফতার করা হল এক মহিলা সহ তিনজনকে। উদ্ধার হয়েছে ৮৭ প্যাকেট গাঁজা, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। ধৃতদের বাড়ি ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগর এলাকায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। শুক্রবার রাতে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করে। সিঙ্গুর (Singur) থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে সিঙ্গুর বিডিও অফিস এলাকায় একটি গাড়িকে সন্দেহ হওয়ায়  দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। গাড়িতে থাকা তিনজনের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় সন্দেহ বাড়ে। পুলিশ গাড়িটি তল্লাশি শুরু করে। পাওয়া যায় ৮৭ টি প্যাকেট। প্রত্যেকটি প্যাকেটে প্রায় এক কিলো করে গাঁজা আছে বলে জানা গেছে।

    পুলিশের আধিকারিক কী জানালেন?

    হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি আফজল আবরার জানান, পাচারকারীরা ওড়িশার তাজপুর জেলা থেকে গাঁজা নিয়ে আসছিল‌ চন্দননগরে  কোনও এক ব্যক্তিকে দেওয়ার জন্য। পাচারকারীরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে জাতীয় সড়ক এড়িয়ে গিয়ে বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তা ধরে আসছিল, যাতে পুলিশের নজর এড়ানো যায়। গাড়িটি চন্ডীতলার আঁইয়া, শিয়াখালা, বনমালীপুর, বাসুবাটি হয়ে যখন সিঙ্গুরে (Singur) ঢোকে, তখনই গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তারপরেই গাঁজা পাচারের পর্দা ফাঁস হয়। গাঁজা পাচারকারী তিনজনেরই বাড়ি চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর এলাকায়। গ্ৰেফতার হওয়া তিনজন এত পরিমাণ গাঁজা কাদের সরবরাহ করত এবং এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত আছে, তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। যে গাড়িটি করে গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল, সেটি কোথাকার, তার মালিক কে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: পানীয় জলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বধূকে পালা করে ধর্ষণ, গ্রেফতার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার

    Rape: পানীয় জলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বধূকে পালা করে ধর্ষণ, গ্রেফতার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের গৃহবধূকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের লাভপুর থানা এলাকায়। ধৃতদের নাম ছোট্টু দত্ত ও সুমিত মুখোপাধ্যায়। তারা লাভপুর থানায় কর্মরত।  বৃহস্পতিবারই তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    কয়েকদিন আগে চার বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে লাভপুরে একটি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। ছোট্টু দত্ত ও সুমিত মুখোপাধ্যায় নামে  দুই সিভিক ভলান্টিয়ার সেখানেই কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন। চরম গরমের কারণে ওই বধূ সিভিকদের কাছে গিয়ে পানীয় জল চান। এমনিতেই দুপুরের দিকে মন্দির চত্বর ফাঁকা ছিল। জানা গিয়েছে, ওই দুই সিভিক পানীয় জলের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। সেই জল খেয়ে ওই বধূ অসুস্থ বোধ করেন। তাঁকে সাহায্য করার নাম করে সিভিক ভলান্টিয়াররা  অতিথি শালায় নিয়ে যান। সঙ্গে করে চার বছরের শিশু কন্যাকে তাঁরা নিয়ে যান। এরপর অতিথিশালার ভিতরে পালা করে তারা ওই বধূকে ধর্ষণ (Rape) করে বলে অভিযোগ। পরে, ওই বধূ বাড়ি ফিরে গিয়ে প্রথমে ভয়ে কাউকে কিছু বলেননি। পরে, তিনি স্বামীকে সমস্ত বিষয়টি খুলে বলেন। এরপরই স্ত্রীকে সঙ্গে করেই তাঁর স্বামী ১৯ এপ্রিল বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। প্রসঙ্গত, নদিয়ার হাঁসখালিতে কিশোরীকে ধর্ষণ (Rape) এবং পরে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ছেলের বাড়িতে মদ্যপানের আসরে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ (Rape) করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। শুধু হাঁসখালি নয় তেহট্টের বাড়িতে মা বাবার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ১৫ বছরের কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের (Rape)  অভিযোগ উঠেছিল এক পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। এবার মন্দিরের অতিথিশালা নিয়ে গিয়ে বধূকে পালা করে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে বীরভূম জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এই ঘটনায় যা যা করার দরকার তা করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SIT: রাজু ঝা খুনের ঘটনায় দুর্গাপুরের এক ব্যবসায়ীর অফিস সিল করল সিট, কেন?

    SIT: রাজু ঝা খুনের ঘটনায় দুর্গাপুরের এক ব্যবসায়ীর অফিস সিল করল সিট, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় অভিজিত্ মণ্ডল নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। এবার এই খুনের পিছনে আর কারা রয়েছে, তা নিয়ে চর্চা চলছে সর্বত্র। অভিজিত্ গ্রেফতার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই খুনের ঘটনার তদন্তে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিটের (SIT) সদস্যরা পৌঁছে গেলেন দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের অন্য এক ব্যবসায়ী নারায়ণ খারকার অফিসে। তাকে দেখা করার জন্য নোটিশও দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই ব্যবসায়ীর আইনজীবী নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেননি।

    নারায়ণ খারকার অফিসে হানা দিয়ে কী করল সিট (SIT)?

    মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুরের অম্বুজা কলোনিতে হানা দেয় পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের সিট (SIT)। একদম ভরা বাজার থেকে অভিজিৎকে পাকড়াও করে পুলিশ। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, সেই সময় নারায়ণ অম্বুজা কলোনিতে তাঁর অফিসেই ছিলেন। অভিজিৎকে পুলিশ ধরার সঙ্গে সঙ্গেই খবর পৌঁছে গিয়েছিল অফিসে। স্করপিও গাড়িতে করে চম্পট দেন ‘কয়লা মাফিয়া’ নারায়ণ। যদিও অন্য একটি সূত্রের দাবি, কয়েকদিন ধরেই নারায়ণ এলাকাতে নেই। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ সিটের আধিকারিকরা ফের দুর্গাপুরের অম্বুজা কলোনিতে নারায়ণের অফিসে হানা দেন। সঙ্গে ১০টি গাড়িতে ছিল পুলিশ। নারায়ণের অফিস পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায়। অফিসে তল্লাশির জন্য ধৃত অভিজিত্ মণ্ডলকেও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন সিটের (SIT) আধিকারিকরা। কিন্তু, অফিসে কারও দেখা মেলেনি। এরপরই অফিস সিল করে দেওয়া হয়।

    কে এই নারায়ণ খারকা?

    একসময় রাজু ঝায়ের সঙ্গে কয়লার কারবারে যুক্ত ছিলেন নারায়ণ। একসঙ্গে তাঁরা ব্যবসা করতেন। রাজ্যে পালাবদল হওয়ার পরই নারায়ণের প্রভাব বাড়তে শুরু করে। জেলে যেতে হয় রাজুকে। বহুদিনের জুটি ভেঙে যায়। কারবারের দ্বন্দ্ব চরম শত্রুতার পর্যায়ে চলে যায়। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল-দুর্গাপুর খনি অঞ্চলে ইসিএলের কয়লা পরিবহণের ‘ডিস্ট্রিবিউশন অর্ডার’ পাওয়া সংস্থার উপর তোলা আদায় করার কারবার শুরু করেছিল রাজু। প্রতি টন কয়লার জন্য ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা ডান্ডা ট্যাক্স চালু করেছিল সে। এই নিয়ে নারায়ণের সঙ্গে শত্রুতা বাড়তে থাকে রাজুর। ইসিএলের কয়লা নিলাম হলে কোনও সংস্থা তা কিনত। সেখানেও থাবা বসিয়েছিল রাজু। তার জেরেও অনেকেরই সঙ্গে শত্রুতা বাড়ছিল রাজুবাহিনীর। নারায়ণের সঙ্গে রাজু-র দুরত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। ধৃত অভিজিত্ মণ্ডল নারায়ণের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাই, অভিজিত্ গ্রেফতার হওয়ার অর্থ নারায়ণকে বার্তা দেওয়া। বুধবার রাতে দুর্গাপুর অফিসে সিল করে সিট (SIT) আধিকারিকরা সেই বার্তা আরও স্পষ্ট করলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI Raid: উদ্ধার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল, কীসের খোঁজে ফের তল্লাশি পুকুরে?

    CBI Raid: উদ্ধার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল, কীসের খোঁজে ফের তল্লাশি পুকুরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়ে সোমবার ভোরেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার খোঁজ মিলল দ্বিতীয় মোবাইলেরও। ১৪ এপ্রিল সিবিআইয়ের নজর এড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক দুটি মোবাইল বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। শুক্রবার রাত থেকে ওই পুকুরের জল বের করার কাজ শুরু হয়। মোবাইল উদ্ধার করা কী সম্ভব, তা নিয়ে তিনদিন ধরে চর্চা হয়েছে। সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরাও তিনটে পাম্প নামিয়ে পুকুর থেকে জল তোলার উদ্যোগ নেন। আর এই কাজে হাত লাগিয়েছিলেন স্থানীয় শ্রমিক এবং মত্স্যজীবীরা। রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পুকুরের ভিতর থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পরে, বাকী আরও একটি মোবাইলের খোঁজে নতুন করে তল্লাশি শুরু হয়। সেই মতো সিবিআই (CBI Raid) ফের পুকুর থেকে মোবাইল খোঁজার উদ্যোগ নেয়। অবশেষে আরও একটি মোবাইলও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখন পেনড্রাইভ, হার্ডডিস্কের খোঁজে পুকুরে জোরদার তল্লাশি চলছে। বিস্তারিত আসছে।

    কার খোঁজে পুকুরে ফের তল্লাশি?

    শুক্রবার বেলা ১২ টা নাগাদ সিবিআই (CBI Raid)  বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দেয়। দিনভর চলে তল্লাশি। তৃণমূল বিধায়ককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। শুক্রবার বিকেলের দিকে সিবিআই আধিকারিকদের নজর এড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাঁর দুটি মোবাইল এবং পেনড্রাইভ, হার্ডডিস্ক বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেন। এরপরই সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরা মোবাইলের খোঁজে পুকুরে জল বের করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। নামানো হয় তিনটি পাম্প। শনিবার সকালের মধ্যে জল অনেকটাই কমে যায়। প্রথমদিকে ৪ জন শ্রমিক এবং একজন মত্স্যজীবী মোবাইল খোঁজার কাজ শুরু করেন। কিন্তু, তা পর্যাপ্ত নয় বলে শ্রমিকের সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়। পুকুরে নামানো হয় জেসিবি। রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রথম ফোনটি উদ্ধার হয়। তবে, এই ফোনটি সম্ভবত বিধায়কের নিজের নয়। সেটি বিধায়কের স্ত্রীর ফোন। আর মোবাইলের সঙ্গে রবিবার পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল দুটি বোয়াল, ২২টি কই মাছ, ৩০টি শিঙি, দুটি শোল মাছ। পরে, দ্বিতীয় মোবাইলের খোঁজে পুকুরে ২২ জন শ্রমিককে নামানো হয়। তারমধ্যে সঞ্জীব বাগদি নামে এক শ্রমিকের হাতেই দ্বিতীয় মোবাইলটি ওঠে। পুকুরের মধ্যে মোবাইলের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক পেনড্রাইভ, হার্ডডিস্ক ফেলেছিলেন। তার খোঁজে পুকুরে নতুন করে ফের তল্লাশি শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! ধৃত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যুবকসহ পাঁচজন

    Fraud: চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! ধৃত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যুবকসহ পাঁচজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম সঞ্জয় দাস। বাড়ি রানাঘাট। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত পড়েছিল সে। তারপর আর পড়াশুনা করতে পারেনি। তাতে কী হয়েছে? রীতিমতো গ্যাং তৈরি করে অনলাইনে প্রতারণার (Fraud) ফাঁদ পেতে বসে সে। আর সেই ফাঁদে পা দিলেই চাকরির টোপ দিয়ে মগজধোলাই করে চলত প্রতারণা (Fraud)। এইভাবে তার রোজগার হত লক্ষ লক্ষ টাকা। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু, এই প্রতারকদের হাতে প্রতারিত (Fraud) হয়ে এক যুবক মগড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে নদিয়ার রানাঘাট থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম চন্দন রায়, সৌগত বৈরাগী, অর্ণব বিশ্বাস, সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় এবং সঞ্জয় দাস।

    কী ভাবে চলত প্রতারণা (Fraud)?

    প্রতারণার জন্য সঞ্জয় দামি মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করত। বেসরকারি ব্যাঙ্কের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেসবুক-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে কর্মখালির বিজ্ঞাপন দিত সে। সেই জালে পা দিলেই প্রতারণার (Fraud) শিকার হতে হত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ফর্ম ফিলআপের জন্য অল্প টাকা নেওয়া হত। তারপর ‘রেজিস্ট্রেশন’ করতে হবে বলে আরও কয়েক হাজার টাকা নেওয়া হত। সে সব মিটলে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ লক্ষ  টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। তাদের কাছ থেকে মোট ৮টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। ১৪ এপ্রিল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে, চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    কী বললেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার?

    হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, এর আগেও একবার কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এই চক্র। ত্রিবেণীর মনোজিৎ সাউ নামে এক যুবক এবং তাঁর স্ত্রী আর্থিক প্রতারণার (Fraud) শিকার হয়েছেন বলে গত ১ ফেব্রুয়ারি মগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের ঠকিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। এরপরই আমরা তদন্ত শুরু করি। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Strike: দণ্ডিকাণ্ডে এবার বাংলা বনধের ডাক দিলেন আদিবাসীরা! জানেন কবে?

    Strike: দণ্ডিকাণ্ডে এবার বাংলা বনধের ডাক দিলেন আদিবাসীরা! জানেন কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তপশিলি উপজাতি কমিশন রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে এই ঘটনা নিয়ে তিন দিনের মধ্যে যাবতীয় রিপোর্ট তলব করেছে। দণ্ডিকাণ্ডে দুজনকে গ্রেফতার করার ঘটনায় খুশি নয় আদিবাসী সমাজ। বরং, রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে এবার বাংলা বনধের (Strike) ডাক দিল আদিবাসী সংগঠন সেঙ্গেল অভিযান। দণ্ডিকাণ্ডে জড়িত মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের  দাবিতেই এই বনধের ডাক বলে দাবি আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের নেতাদের। 

    কবে হচ্ছে বাংলা বনধ(Strike)?

    দণ্ডিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ এপ্রিল গভীর রাতে বালুরঘাট থেকে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ দাস এবং আনন্দ রায়। তাঁরা এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ডিএসপি পদ মর্যাদার এক আধিকারিক এই মামলার তদন্তকারি অফিসার।  ধৃতরা এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন। আগামী ১৭ তারিখ তাঁদের ফের আদালতে তোলা হবে।  সেঙ্গেল অভিযানের উত্তরবঙ্গ জোনালের সভাপতি মোহন হাঁসদা বলেন,  আদিবাসী মহিলাদের দিয়ে যারা দণ্ডি কাটিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছি। শুনলাম এই মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু, যে নেত্রী এই যোগদান কর্মসূচির নেতৃত্ব দিলেন তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। আমরা তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানাই। আদিবাসীদের উপর নির্যাতন, বঞ্চনার বিরুদ্ধেই আমরা আগামী সোমবার ১৭ই এপ্রিল বাংলা বনধ (Strike) ডেকেছি। আর বনধ (Strike) সফল করার জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করব।

    জাতীয় এসটি কমিশনকে চিঠি দিয়ে কী লিখলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

     শুক্রবার ফের জাতীয় এসটি কমিশনকে চিঠি দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি চিঠিতে লিখিছেন, দণ্ডিকাণ্ডে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু, তারা এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত নন। মূল অভিযুক্তকে আড়াল করতে পুলিশ এই দুজনকে গ্রেফতার করেছে।  এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হচ্ছেন, প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবি জানিয়ে এদিন আবার চিঠি দিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এই বিষয় নিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে টুইটও  করেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arrest: দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার দুই তৃণমূল কর্মী, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    Arrest: দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার দুই তৃণমূল কর্মী, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরে দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার (Arrest) করল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ দাস এবং আনন্দ রায়। দুজনেই তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার ধৃত দুজনকে বালুরঘাট আদালতে তোলা হয়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১৭ এপ্রিল তাদের ফের আদালতে তোলা হবে বলে জানান বালুরঘাট জেলা আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী সজল ঘোষ।

    দণ্ডিকাণ্ডে গ্রেফতার (Arrest) নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি করার প্রায়শ্চিত হিসেবে তৃণমূলের জেলার প্রাক্তন মহিলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী তিনজন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটার নিদান দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকী বিজেপি ছেড়ে আসার পর তাঁদের হাতে তিনি তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। ওই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বিজেপি-র অভিযোগ। এমনিতেই এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এই ঘটনার প্রতিবাদে আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন সংগঠন একজোট হয়ে আন্দোলনে নামে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রাতারাতি অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে এক আদিবাসী মহিলাকে তৃণমূলের জেলার মহিলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আদিবাসী সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু তপনের ওই গ্রামে গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তবে, এতদিন এই ঘটনায় দলগতভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও প্রশাসনিক স্তরে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল। এবার এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হল। বিজেপি-র জেলা নেতা বাপি সরকার বলেন, জেলার ওই তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে দণ্ডিকাণ্ড হয়েছিল। কিন্তু, তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। তাঁকে আড়াল করতে লোক দেখানো দুজনকে গ্রেফতার (Arrest)  করা হয়েছে। আমাদের প্রথম থেকে দাবি অভিযুক্ত নেত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    জেলা তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি বলেন, দণ্ডিকাণ্ডকে প্রথম থেকে দল সমর্থন করেনি। তাই , ঘটনার পর পরই দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share