Tag: Arrest

Arrest

  • Salt Lake Kolkata: বিলাসবহুল গাড়িতে মিলল কয়েক কোটি টাকার মাদক আর গাঁজা! কোথায় জানেন?

    Salt Lake Kolkata: বিলাসবহুল গাড়িতে মিলল কয়েক কোটি টাকার মাদক আর গাঁজা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়েকদিন আগে সোদপুরের বিটি রোডে বিলাসবহুল গাড়িতে গরু পাচার করার ঘটনা সামনে আসে। পাচার হওয়া গরুসহ গাড়িটি আটক করে পুলিশ। এবার কলকাতার (Salt Lake Kolkata) দুটি জায়গায় গাড়ির ভিতর থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক এবং গাঁজা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সল্টলেকে (Salt Lake Kolkata) দুটি বিলাসবহুল গাড়ি থেকে পাওয়া গেল কয়েক কোটি টাকার মাদক। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) অভিযান চালিয়ে ওই মাদক উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, গাড়ির ভিতর থেকে বড় প্যাকেটে ৫০০ গ্রাম হেরোইন এবং ৩০ হাজারের বেশি ছোট ছোট প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ওই প্যাকেটগুলিতে ঠাসা ছিল বহুমূল্য হেরোইন। সেগুলো শহরেরই নানা জায়গায় পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এসটিএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে নওডাঙার  অভিযান চালানো হয়। সেখানেই দুটি বিলাসবহুল গাড়ির হদিশ মেলে। দুটি গাড়িতেই প্রচুর হেরোইন রাখা ছিল। কিছুদিন আগে বিধাননগরের নাওডাঙায় তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকার মাদক সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোমিন খান ও মেহতাব বিবি নামে ওই দম্পতি ছাগলের খোঁয়াড়ের আড়ালে বহুমূল্য মাদকের কারবার চালাত। সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হত। হাতেনাতে তাদের গ্রেপ্তার করে বিধাননগর থানার পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। এই মাদক পাচারচক্রের জাল বহুদূর অবধি বিস্তৃত বলেই মনে করছে পুলিশ। ধৃত দম্পতি পশুপালনের ব্যবসা করতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ধাপার মনপুর এলাকায় তাঁদের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। পশুপালনের আড়ালে মাদক তৈরি ও বিক্রির কাজ করত ওই দম্পতি। তাদের কাছ থেকে  প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছিল। সেই সঙ্গে মিলেছিল হেরোইন এবং ব্রাউন সুগারের মতো মাদক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় দেড় কিলোগ্রাম রাসায়নিক। এই পাচারচক্রে আর কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার শহরে, কোথায় জানেন? Salt Lake Kolkata

    মঙ্গলবার গভীর রাতে ইএম বাইপাসে (Salt Lake Kolkata) একটি গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সার্ভে পার্ক থানা এবং নারকোটিকস বিভাগের আধিকারিকরা অভিযান চালিয়ে গাড়ির ভিতর থেকে ১২৮ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশের চোখে ধূলো দিতে গাড়ির সিটের নীচে গাঁজা লুকিয়ে রাখা ছিল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইমরান বলে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ভিন রাজ্য থেকে ওই গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছিল।  দক্ষিণ  ২৪ পরগনার একটি জায়গায় গাঁজা পাচার করার কথা ছিল। তার আগেই পুলিশের হাতে ধরল পড়ল পাচারকারী। ধৃত ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে আদালতে তুলে ইডি-র মুখে কৃষ্ণনাম কেন?

    ED: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে আদালতে তুলে ইডি-র মুখে কৃষ্ণনাম কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সোমবার ভোরে শান্তনু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অয়ন শীলকে ইডি (ED) গ্রেপ্তার করেছে। ৩৭ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করার পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি (ED)  তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি ইডি-র তদন্তকারীদের। প্রচুর নথিও উদ্ধার করেছেন তাঁরা। শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগ নয়, পুরসভা ও দমকলের নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। অভিযোগ, তাঁর কাছে থেকে হাজার হাজার প্রার্থীর তথ্য মিলেছে। চাকরি দেওয়ার নামে অয়ন ৫০ কোটি টাকা তুলেছেন বলেও অভিযোগ । সোমবারই তাঁকে পেশ করা হয়েছে আদালতে। কেন্দ্রীয় সংস্থার মতে, দুর্নীতি এত চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে একমাত্র শ্রীকৃষ্ণই বাঁচাতে পারে বাংলাকে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আরও দাবি, এখনও পর্যন্ত যা তথ্য তারা অয়নের অফিস ও বাড়ি থেকে পেয়েছে তার ভিত্তিতে এই দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু, এর বাইরেও বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইলে এত তথ্য মিলেছিল, যাকে সোনার খনি বলে উল্লেখ করেছিল ইডি। এবার অয়ন শীলকে আদালতে পেশ করার পর ইডির (ED)  বক্তব্য, আমরা সোনার খনির খোঁজ পেয়েছি। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে এই ব্যক্তির হাত গোটা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই ব্যক্তির কোম্পানি ওএমআর শিট ছাপানোর দায়িত্বে ছিল। পুরসভার পরীক্ষায় প্রভাব খাটানো হত প্রভাবশালীদের দিয়ে, এমনটাও অভিযোগ কেন্দ্রীয় সংস্থার। ইডির (ED)  তরফে বলা হয়েছে, এই দুর্নীতি এতটা নীচে নেমেছে যে মজদুর ও টাইপিস্ট পদেও দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যের ৬০ টির বেশি পুরসভার নিয়োগে অয়নের ক্ষমতা ছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। শুধু প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, গ্রুপ ডি নয়, রাজ্যু জুড়ে দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে আছে বলে অভিযোগ।

    এদিন আদালতে কী বলেছে ইডি ? ED

     এটা শুধু এসএসসি বা টেটে নিয়োগের দুর্নীতির বিষয় নয়। এই দুর্নীতি রাজ্য সরকারের সব দপ্তরে হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি পরিসংখ্যান খোলা আদালতেই বলে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় অন্তত পাঁচ হাজার বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। যার জন্য ৫০ কোটি টাকা তুলেছিলেন এই অয়ন শীল। ইডি এও বলেছে, সবটা এখানে বলা যাচ্ছে না। কেস ডায়েরিতে সবটা রয়েছে। বিচারকের উদ্দেশে ইডি-র আইনজীবী বলেন, সবটা দেখলে আপনি শিউরে উঠবেন। এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখে কৃষ্ণনামও শোনা গিয়েছে। আদালত কক্ষে ইডি বলে, মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় যেমন অর্জুনকে পথ দেখিয়েছিলেন ভগবান কৃষ্ণ, তেমন এখানেও শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া কেউ পথ দেখাতে পারবেন না। এর আগে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইল ফোনকে সোনার খনি বলেছিল ইডি। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি বলে, সেই ফোন থেকেই শান্তনু ও অয়নের চ্যাটের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। কিন্তু, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে এও জানানো হয়, সেই খনি থেকে দুর্নীতি যোগের মাত্র ১০ শতাংশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ৯০ শতাংশ এখনও বাকি।

    কী বলেছেন অয়নের আইনজীবী?

    অয়নের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, একজন অভিযুক্তের কথায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁক মক্কেলকে, কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। আর নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য পুরসভা অনুমতি দিয়েছিল, সরকার অনুমোদিত কোম্পানি দ্বারা নিয়োগ করা হত।  ইডি-র (ED)  পাল্টা প্রশ্ন, স্যর ওঁদের জিজ্ঞেস করুন ওএমআর শিটে দাগ দেওয়ার অনুমতি ছিল? সরকারের ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত দুর্নীতিতে ভরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loot: স্কুটি নিয়ে বান্টি অর বাবলির দৌরাত্ম্য! অভিনব কায়দায় লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ, চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ কর্তাদের

    Loot: স্কুটি নিয়ে বান্টি অর বাবলির দৌরাত্ম্য! অভিনব কায়দায় লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ, চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ কর্তাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বলিউড সুপারহিট সিনেমা বান্টি অর বাবলির কথা মনে আছে। সেলুলয়েডের পর্দায় তাদের চুরি বা কেপমারির কৌশল দেখে হতবাক হয়েছিলেন আমজনতা। এবার বাস্তবের বান্টি অর বাবলি হদিশ পাওয়া গিয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। তবে, তারা সম্পর্কে বন্ধু নয়, তারা স্বামী-স্ত্রী। ইতিমধ্যেই নিউ বারাকপুর থানার পুলিশ এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্ষু চড়কগাছ কমিশনারেটের কর্তাদের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গত চার-পাঁচ বছরে উত্তর ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলার ১৫ টি থানা এলাকায় স্কুটি নিয়ে অভিনব কায়দায় কেপমারি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার অধিকাংশ থানা এলাকায় বহু মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে পগার পার হয়ে যেত তারা। যদিও কমিশনারেটের কর্তাদের পাতা ফাঁদে পড়ে আপাতত তারা এখন শ্রীঘরে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আকবর আলি এবং রাবিয়া বিবি। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, বিভিন্ন থানা এলাকা মিলে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার বেশি তারা হাতিয়েছে। আরও কত টাকা তারা হাতিয়েছে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্কুটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই স্কুটি করেই তারা অপারেশন চালাত।

    কী ভাবে তারা অপারেশন চালাত? Loot

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আকবর আর রাবিয়া বিবির বাড়়ি খড়দহ থানা এলাকায়। স্বামী, স্ত্রী মিলে পরিকল্পিতভাবে টাকা লুঠ (Loot) করে চলেছে। কমিশনারেট এলাকার মধ্যে জেটিয়া, নৈহাটি, খড়দহ, নিউ ব্যারাকপুর থানা এলাকা এবং জেলা পুলিশ এলাকার মধ্যে মধ্যমগ্রাম, বারাসতসহ একাধিক থানা রয়েছে। এছাড়া হুগলি জেলায় চন্দননগর, চুঁচুড়াসহ পাঁচটি থানা এলাকায় হানা দিয়েছে। প্রথমে স্কুটি করে তারা একসঙ্গে বাড়ি থেকে বের হত। পাড়ার লোকজন জানতেন কাজের বের হচ্ছেন। কারণ, তাদের বাড়ি রহড়া থানায়। সেখানে তারা কোনও অপরাধ করেনি। ফলে, এলাকার মানুষ তাদের সন্দেহ পর্যন্ত করত না। তাদের পোশাক, পরিচ্ছদ ছিল দেখার মতো। কোনও থানা এলাকায় গিয়ে একটি ব্যাঙ্ককে তারা বেছে নিত। সেই ব্যাঙ্কের সামনে তারা অপেক্ষা করত। রাবিয়া বিবি স্কুটি থেকে নেমে কিছুটা দূরে থাকত। ব্যাঙ্ক থেকে বয়স্ক কোনও লোকজন বের হলেই তাকে তারা টার্গেট করত। তার পিছনে ধাওয়া করত। টোটো বা অটোতে করে সেই বয়স্ক লোকজন উঠলেই সেই গাড়িতেই যাত্রী সেজে রাবিয়া বিবি উঠে পড়ত। আর পিছনে পিছনে তার স্বামী স্কুটি নিয়ে তার গাড়ি লক্ষ্য করত। রাবিয়াবিবি সুযোগ বুঝে গাড়ির মধ্যে বয়স্ক মানুষের সঙ্গে আলাপ জমাত। এরপর সুযোগ বুঝে ব্যাগে ব্লেড চালিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত ( Loot)।  বুঝে ওঠার আগেই স্বামীর স্কুটি করে সে পগার পরা হয়ে যেত। ধৃতরা এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: ভলভো বাসের পর এবার তেলের  ট্যাঙ্কারে গরু বোঝাই আস্ত গোয়াল! প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    Purba Medinipur: ভলভো বাসের পর এবার তেলের ট্যাঙ্কারে গরু বোঝাই আস্ত গোয়াল! প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল ভলবো বাসে করে গরু ভর্তি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। আজ ফের গরু উদ্ধার হল তেলের ট্যাঙ্কার থেকে। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) পুলিশের নাকা চেকিং থেকে এই গরু বোঝাই তেলের ট্যাঙ্কার উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকার মানুষের অভিযোগ অবৈধ ভাবে গরু পাচার করা হচ্ছিল।

    কীভাবে উদ্ধার হল (Purba Medinipur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গরু বোঝাই একটি তেলের ট্যাঙ্কার যাচ্ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) হেঁড়িয়া ইটাবেড়িয়া রাজ্য সড়ক ধরে। কিন্তু গাড়ির গতিপ্রকৃতি দেখেই সন্দেশ করে পুলিশ। এরপর গাড়িকে আটক করতে চাইলে গাড়িকে নিয়ে চালক আচমকা ছুট দিতে চায়। এরপর পুলিশ আরও তৎপর হলে ট্যাঙ্কারকে ধাওয়া করে গাড়িকে পাকড়াও করে। গাড়িটিকে ইটাবেড়িয়া বাজার থেকে ভূপতিনগর থানার পুলিশ আটক করে। এরপর শুরু হয় তল্লাশি।

    ট্যাংকার খুলতেই পুলিশের চোখ কপালে!

    ইটাবেড়িয়া বাজারে (Purba Medinipur) তেলের ট্যাঙ্কার খুলতেই পুলিশের চোখ একাবারে কপালে উঠে যায়। গাড়ির ট্যাঙ্কারে তেল নেই, এক দম ফাঁকা। লাইন করে বাঁধা রয়েছে প্রচুর গরু। এরপর পুলিশ, চালক এবং খালাসিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। কিন্তু তাদের বক্তব্যে অসঙ্গগতি মেলায় গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার নিজে অত্যন্ত তৎপর হয়ে বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে নাকা চেকিংয়ে এই ভাবে গরু আটক হবে কেউ ভাবতে পারেনি। আবার অনেক স্থায়ীবাসিন্দা বলেছেন, এই ভাবে গরু পাচার হল এক অভিনব কায়দায় গরু পাচার।

    ভলভো বাসের উদ্ধার গরু

    গতকাল শুক্রবার, যে বিলাস বহুল বাসে মানুষ যাতায়ত করে সেই বাসে করেই গরু পাচার করা হচ্ছিল। বর্ধমানের মেমারিতে জিটি রোডর কাছেই এই ঘটনা ঘটেছিল। বাসের দুই পাশেই ভিতর থেকে পর্দা দিয়ে ঢাকা ছিল। পর্দার রঙ রঙিন হওয়ায় বাইরে থেকে বাসের ভিতরের অংশ দেখা যাচ্ছিল না। আর সম্ভব এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ ভাবে গরু পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এলাকার মানুষের সচেতনতায় পাচার হওয়া গরুগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। গতকালকের পর আজ পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) গরু পাচারের ঘটনায় ফের একবার চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Simi Terrorist: পরিচয় বদলে স্কুল শিক্ষক! কীভাবে জালে ২২ বছর ধরে ফেরার সিমি জঙ্গি নেতা?

    Simi Terrorist: পরিচয় বদলে স্কুল শিক্ষক! কীভাবে জালে ২২ বছর ধরে ফেরার সিমি জঙ্গি নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ বছর ধরে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। তবুও ধরা যাচ্ছিল না নিষিদ্ধ সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বা সিমির সদস্য হানিফ শেখকে। অবশেষে রবিবার দিল্লি পুলিশের সাউদার্ন রেঞ্জ স্পেশ্যাল সেল  গ্রেফতার করল ওই জঙ্গি নেতাকে। ২০০১ সাল থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে দেশদ্রোহী মামলা। ইসলামিক মুভমেন্ট নামের এক উর্দু ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিল হানিফ। প্রচুর মুসলিম যুবককে জেহাদি কার্যকলাপে যুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

    কে এই হানিফ শেখ

    স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া-র (সিমি) বিভিন্ন কার্যকলাপ সামলাতেন হানিফ শেখ। ২০০১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’-এর অভিযোগও আনা হয়। হানিফের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) অধীনে মামলা দায়ের হয়।  তার পর থেকেই ‘পলাতক’ ছিলেন তিনি। হানিফ শেখ ১৯৯৭ সালে মারুল জলগাঁওতে কলেজের পড়াশোনা শেষ করেন। সে বছরই তিনি সিমি-তে যোগ দেন। জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসাবে কাজ শুরু করেন। তাঁর উৎসাহ দেখে তৎকালীন সিমি প্রধান সহিদ বদর ২০০১ সালে ‘ইসলামিক মুভমেন্ট’-এর উর্দু সংস্করণের হানিফকে সম্পাদক করে দেন। সেখানে হানিফের একাধিক লেখা ‘যুব সমাজ’-এ প্রভাব ফেলছে বলে অভিযোগ ওঠে। 

    আরও পড়ুন: নারী দিবসেই সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’দের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    কীভাবে গ্রেফতার হানিফ

    শুরুতে হানিফের বিষয়ে তেমন তথ্যই ছিল না পুলিশের কাছে। সিমির ম্যাগাজিন ‘ইসলামিক মুভমেন্ট’ এ লেখা সম্পাদকীয় কলমে ‘হানিফ হুদাই’নামই ছিল পুলিশের কাছে একমাত্র লিঙ্ক। এই সূত্র  ধরেই দেশেরে নানা প্রান্তে অভিযান চালায় পুলিশ। গত ৪ বছর ধরে হানিফকে ধাওয়া করছে পুলিশ। তবে বারবারই সে ছিল অধরা। সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হানিফ সম্পর্কে তথ্য একত্রিত করতে থাকে পুলিশ। সিমির এই সদস্য কোথায় ডেরা তৈরি করতে পারে, তার সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করে দিল্লি পুলিশ। বিভিন্ন সূত্র থেকে পুলিশ জানতে পারে, মহম্মদ হানিফ নাম নিয়ে মহারাষ্ট্রের ভুসাওয়ালে একটি উর্দু স্কুলের শিক্ষক হিসাবে কাজ করছে হানিফ শেখ। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল। পাতা হয় ফাঁদ। ২২ ফেব্রুয়ারি গোপন আস্তানা থেকে পালানোর চেষ্টা করতেই হানিফকে ধরে ফেলে পুলিশ। অভিযোগ, গত ২৫ বছর ধরে বহু মুসলিম যুবককে বিপথে নিয়ে গিয়েছে হানিফ। অন্তরালে থাকলেও উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাটের যেখানেই সভা হত সেখানে হাজির হতেন তিনি। শুধু তা-ই নয় সংগঠনের জন্য টাকার জোগানও দিতেন হানিফ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Child Trafficking Case: ৩০ হাজারের বিনিময়ে সদ্যোজাতকে হস্তান্তর! কলকাতায় শিশুপাচার চক্রের হদিশ

    Child Trafficking Case: ৩০ হাজারের বিনিময়ে সদ্যোজাতকে হস্তান্তর! কলকাতায় শিশুপাচার চক্রের হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ের কোল থেকে চুরি করে মাত্র ২৮ দিনের কন্যা সন্তানকে বিক্রি (Child Trafficking Case) করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তার দাদু-দিদার বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে আনন্দপুর থানা (Anandapur Child Traffing) এলাকায়। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় পুলিশ সদ্যজাতের দাদু চুন্নু ও দিদা অলোকা ছাড়াও শিখা মুখোপাধ্যায়, পূর্ণিমা মণ্ডল, চৈতালি চক্রবর্তী-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরা তিনজনই মিডলম্যান বা দালাল। এদিনই ধৃতদের আলিপুর কোর্টে তোলা হয়। ধৃতদের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    তদন্তে পুলিশ

    বুধবার রাতেই শিশুসন্তান নিখোঁজ বলে আনন্দপুর থানায় (Anandapur Police Station) অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিশু কন্যার মা ১৯ বছরের নীলম কুমারী। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামেন আনন্দপুর (Anandapur) থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে জেরার সময় ওই শিশু-কন্যার দাদুর কথায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করে পুলিশ। তারা বুঝতে পারে, শিশুটিকে কোথাও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আর এই ব্যাপারে জড়িত অভিযোগকারিণীর বাবা ও সৎ মা। শেষ পর্যন্ত পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে তারা। পুলিশ জানতে পারে, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযুক্ত চুন্নু দাস এবং তাঁর স্ত্রী অলকা সরদার ২৩ দিনের সদ্যজাত শিশুকন্যাকে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

    আরও পড়ুন: গীতা পাঠে আসছেন মোদি, শনিবার শুরু মঞ্চ বাঁধার কাজ, নজরুলগীতি দিয়ে সূচনা অনুষ্ঠানের

    উদ্ধার সদ্যজাত

    নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার পাঁচপোতার বিশ্বাসপাড়া থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। বছর ৪০-এর চৈতালি চক্রবর্তীর কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে তাকে হোমে পাঠানো হয়। এরপর যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় সদ্যজাতকে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জন মিডলম্যানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনজনই মহিলা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে যে আরও বড় চক্রের যোগ আছে, তা পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। আনন্দপুরে এই শিশু বিক্রির (Child Trafficking Case) ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও আনন্দপুর থানা এলাকায় শিশু পাচারের অভিযোগ ওঠে। গত ১ অগাস্ট ২২ দিনের শিশুকন্যার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় মা-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyber Crime: পাকিস্তানি যোগ! ১০ দিনে ৫২জন সাইবার অপরাধীকে গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ

    Cyber Crime: পাকিস্তানি যোগ! ১০ দিনে ৫২জন সাইবার অপরাধীকে গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১০দিন ধরে পরপর অভিযান চালিয়ে সাইবার ক্রাইমে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৫২ জনকে গ্রেফতার করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। গিরিডি, হাজারিবাগ, জামতারা অঞ্চলে এই অভিযানগুলো চালানো হয়েছিল। সীমান্তবর্তী ঝাড়খণ্ডের এই গ্রামগুলিতে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক সাইবার চক্রেরও খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। ওই সাইবার চক্রটি পাকিস্তান থেকে চালানো হয় বলেও অনুমান পুলিশের।

    কী বলছে পুলিশ

    ঝাড়খণ্ড পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যাপের মাধ্যমে নগ্ন ভিডিয়ো কল করে প্রতারণার জাল বিস্তার করেছিল ওই দুষ্কৃতীরা। ব্যবহারকারীকে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হত। নগ্ন ভিডিয়ো কলের ছবি তুলে তা দেখিয়ে চলত লাগাতার ব্ল্যাকমেল। এ ছাড়া, সন্তানসম্ভবা মহিলাদেরও ঠকানো হত ভিন্ন কৌশলে। হাজারিবাগ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার অভিযান চালিয়ে বিহারের চম্পারণের বাসিন্দা সইফ রিয়াজ ওরফে শিবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের ছাতরা ও হানতুরগঞ্জের অরবিন্দ কুমার, নীতীশ কুমার, রামান কৌশিককেও ধরেছে পুলিশ। এরা পাকিস্তানের একটি নম্বর থেকে নির্দেশ পেত সেইরকমই কাজ চলত।  

    গিরিডিতে অভিযান

     ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতেও কয়েক জন সাইবার অপরাধীর খোঁজ পায় পুলিশ। পরিকল্পনা করে ফাঁদ পেতে তাঁদের কাছে পৌঁছে যায়। কিন্তু পুলিশ দেখেই পালানোর ফন্দি আঁটে ওই দুষ্কৃতীরা। নানা কৌশলে গ্রামের রাস্তা দিয়ে তারা ছুটছিল। পিছনে ধাওয়া করে রুদ্ধশ্বাসে ছুটছিলেন পুলিশ আধিকারিকেরাও। তবে তাঁরা কেউ পুলিশের পোশাকে ছিলেন না। সাদা পোশাকে দুষ্কৃতীদের ধরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ছ’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে নগদ ৮,২৯,৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে ছিল ১২টি মোবাইল ফোন, ২১টি এটিএম কার্ড, ১৮টি সিম কার্ড, ১২টি ব্যাঙ্কের পাসবই, ছয়টি চেকবই, চারটি প্যান কার্ড এবং দু’টি আধার কার্ড। জামতারা অঞ্চলেও অভিযান চালিয় ৩০ জন অপরাধীকে ধরা হয়েছে বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: খড়দায় বসে বিদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ! কোটি কোটি টাকার প্রতারণা

    Khardah: খড়দায় বসে বিদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ! কোটি কোটি টাকার প্রতারণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়দায় (Khardah) বসে বিদেশের অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিত প্রতারকরা। মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ করার অভিযোগ উঠেছে এই প্রতারকদের বিরুদ্ধে। মূলত, প্রতারণা জগতের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে পরিচিত জামতারা গ্যাং। পুলিশকে ঘোল খাইয়ে বহু মানুষের অ্যাকাউন্ট সাফ করার অনেক ঘটনা রয়েছে এই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। জামতা়ড়া গ্যাংকে টেক্কা দেওয়ার মতো গ্যাং তৈরি হয়ে গিয়েছিল খড়দায়। পুলিশ টের পর্যন্ত পায়নি। করোনার সময় এই গ্যাং মার্কিন মুলুকে সব থেকে বেশি প্রতারণা করেছিল। গত চার বছর ধরে সক্রিয় ছিল এই প্রতারণা চক্র। সবমিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে বলে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ভয়েস চেঞ্জার, অডি গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দেরাদুনের পাঁচ তারা একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিটকয়েন এবং হাওলার মাধ্যমে ওই টাকা যেত বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে।

    কীভাবে প্রতারণা করত? (Khardah)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা মূলত ভয়েস চেঞ্জারের মাধ্যমে বিদেশীদের সঙ্গে  কথা বলত। তাঁদের কম্পিউটারের অ্যান্টি ভাইরাসের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে, নতুন করে অ্যান্টি ভাইরাস দেওয়ার জন্য তারা লিংক পাঠাত। সেই লিংকে ক্লিক করলেই অ্যাকাউন্টের ডিটেলস চলে আসত প্রতারকদের কাছে। এরপর খড়দায় (Khardah) বসেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। আমেরিকা এবং কানাডার ৭০-৮০ জন প্রবীণ নাগরিকের প্রতারিত হওয়ার হদিশ মিলেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের আশঙ্কা। কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে দেরাদুন থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করে বারাকপুর সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা।

    কীভাবে হদিশ মিলল প্রতারকদের?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে খড়দহ থানা এলাকার বলরাম হাসপাতালের কাছে একটি কল সেন্টারে হানা দেয় খড়দা থানার পুলিশ। সৈয়দ শাহাবাজ হাসান নামে এক প্রতারকের বাড়িতে চলত এই কল সেন্টার। সেখানে খড়দা,(Khardah) টিটাগড়ের পাশাপাশি কলকাতার গড়ফার একজনেক হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে নেমে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় ১০ জনকে। এরপর এই কেসের তদন্তভার কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগকে দেওয়া হয়। তারপর তদন্তে নেমে ২৫ অক্টোবর গোয়েন্দা বিভাগ আরবাজ হাসান নামে একজনকে সল্টলেকের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের হদিশ পায়। এরপর গত তিনদিন আগে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের  একটি পাঁচ তারা হোটেল থেকে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, সৈয়দ শাহাবাজ হাসান, সোনু জয়সওয়াল, কৃষ্ণ কুমার সিং, অনীশ ঠাকুর, ফরহাদ হাসান ও হর্ষ দিনানি। এই ছয়জনকে শনিবার ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে পাঠানো হচ্ছে বারাকপুর আদালতে।

    কী বললেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তা?

    বারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান শ্রীহরি পান্ডে এক সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, গত ১৮ই অক্টোবর খড়দার (Khardah) একটি কলসেন্টারে হানা দিয়ে পুলিশ প্রচারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। একটি অডি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রবীণ ব্যক্তিদের থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ২০১৯ সাল থেকে এই কল সেন্টার কাজ করে। এই চক্র দীর্ঘ চার বছর ধরে এরা খড়দা থেকে চালাচ্ছিল। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক! আজই কি ইডি হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয়?

    Jyotipriya Mallick: স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক! আজই কি ইডি হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেমন আছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)? আজ, সোমবার আদালতে বালুর স্বাস্থ্যের রিপোর্ট দেবে ইডি।  হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয়র সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক। আজও তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের কিছু পরীক্ষা করা হতে পারে। ইডি সূত্রে দাবি, রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত জ্যোতিপ্রিয় এবং বাকিবুর রহমানের ‘ঘনিষ্ঠ’ অনেকের বাড়িতে তল্লাশি করে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। আপাতত গোয়েন্দাদের আতশ কাচের তলায় রয়েছে অন্তত দু’ডজন মোবাইল ফোন এবং এক ডজন সংস্থা!

    কী বলছে মেডিক্যাল বুলেটিন

    হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, রবিবার মন্ত্রীর হল্টার মনিটরিং শেষ হয়েছে। তাতে হদযন্ত্রের কোনও সমস্যা মেলেনি। জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট ইডিকে পাঠিয়েছে হাসপাতাল। এদিন জ্যোতিপ্রিয়র জন্য আনা হয়েছিল মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। মন্ত্রী দুশ্চিন্তায় ভুগছেন বলে মত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের। রেশন দুর্নীতিতে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে রবিবারই আইসিইউ থেকে জেনারেল কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এদিন ফের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে অ্যাপোলো হাসপাতালে যায় ইডি-র টিম। আজ, বিকেল ৩টেয় মন্ত্রীর জন্য বৈঠকে বসবে মেডিক্যাল টিম। তখনই তাঁকে ছাড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    উদ্বিগ্ন মন্ত্রী

    গত ২৭ অক্টোবর ইডির হাতে গ্রেফতার হন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। সেদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। যা শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েন মন্ত্রী। এরপর থেকে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বালু। কিন্তু তাঁর সব রকম শারীরিক পরীক্ষা করা হলেও কোনওরকম অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। এর পর একজন মনরোগ বিশেষজ্ঞকে জ্যোতিপ্রিয়কে পরীক্ষা করতে পাঠায় মেডিক্যাল বোর্ড। তিনি জানিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয় তাঁর ও তাঁর পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে ভুগছেন। যার জেরে নানা উপসর্গের অভিযোগ করছেন তিনি। যার কোনও বাস্তবতা নেই।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাই-ভাইপো, বাড়ির কুকুর-বিড়াল দুর্নীতিতে যুক্ত’’, মমতাকে নিশানা দিলীপের

    ইডির জাল

    রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) গ্রেফতার হতেই তদন্ত আরও জোর কদমে শুরু করেছে ইডি। বনমন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের ২০টির বেশি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। মোবাইল ডি-কোড করে তথ্যের সন্ধান করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই মোবাইলের ভিতরেই লুকিয়ে থাকতে পারে দুর্নীতির চাবিকাঠি। এমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা। রেশন ‘দুর্নীতি’র অন্যতম মূল চক্রী বাকিবুরের বয়ানের ভিত্তিতে মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়াও ইডির তদন্তকারীরা মন্ত্রীর বর্তমান আপ্ত-সহায়ক অমিত দে এবং প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক অভিজিৎ দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ইডি সূত্রের দাবি, ওই দু’জন ছাড়াও মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ আরও কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক ফাঁস! কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার পাঁচ লস্কর জঙ্গি

    Jammu and Kashmir: উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক ফাঁস! কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার পাঁচ লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। জন্মু ও কাশ্মীর পুলিশ (Jammu And Kashmir Police) এবং সিআরপিএফের (CRPF) যৌথ অভিযানে ফাঁস হয়েছে লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি (LeT Terrorist Module) মডিউল। জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলা থেকে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সংগঠনের পাঁচ জন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি নিরাপত্তাবাহিনীর। প্রসঙ্গত, আজই জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপির কোর গ্রুপের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    জঙ্গিদের কাছ থেকে কী কী মিলল

    জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) যৌথ প্রয়াসে এই অভিযানে সাফল্য এসেছে, বলে সেনাবাহিনী সূত্রে খবর। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের নাম আদিল হুসেন ওয়ানি, সুহেল আহমেদ দার, আইতমাদ আহমেদ লাওয়ে, মেহরাজ আহমেদ লোন, সাবজার আহমেদ খার। পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গিদের কাছ থেকে দু’টি পিস্তল, তিনটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি ইউবিজিএল গ্রেনেড লঞ্চার, দু’টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, পিস্তল এবং একে-৪৭ এর গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে থানার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: বিদেশ যাচ্ছেন রাজ্যপাল! কেন, উপাচার্যদের কী বললেন আচার্য?

    প্রসঙ্গত, মাত্র দিন দশেক আগেই কাশ্মীরের অনন্তনাগে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে জঙ্গি এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে। মোট ৪ জন জওয়ান এবং এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয় এই ঘটনায়। কাশ্মীরের প্রত্যন্ত এলাকায় ৩ জন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েই অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। এই জঙ্গিরা অনন্তনাগের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। রবিবার ধৃত জঙ্গিদের থেকে জেরায় জানা গেছে, সামনে আরও ২টি বড় নাশকতার ছক কষা হয়েছিল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share