Tag: Arrest

Arrest

  • Kashmir: করছে সরকারি চাকরি! তিন দশক ধরে গা ঢাকা দেওয়া আট জঙ্গি গ্রেফতার কাশ্মীরে

    Kashmir: করছে সরকারি চাকরি! তিন দশক ধরে গা ঢাকা দেওয়া আট জঙ্গি গ্রেফতার কাশ্মীরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার উদ্দেশে, জম্মু ও কাশ্মীরের তদন্ত সংস্থা এসআইএ সন্ত্রাস সংক্রান্ত মামলায় পলাতক সকলকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সমাজে সাধারণ মানুষের মধ্যে গা-ঢাকা দেওয়া এই জঙ্গিদের খুঁজে বের করে তাদের আদালতে হাজির করার জন্য একটি বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে। তাতেই মিলল সাফল্য। তিন দশক ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার পর গ্রেফতার হয়েছে আট জঙ্গি। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের ডোডা জেলা থেকে তদন্ত সংস্থা এসআইএ এবং সিআইডির আধিকারিকরা তাঁদের গ্রেফতার করেছেন। 

    ধৃতদের মধ্যে এক জন সরকারি চাকুরিজীবী

    পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে এক জন সরকারি চাকরিজীবী ছিল। ধৃতেরা বিচারব্যবস্থার চোখ এড়িয়ে বিগত কয়েক দশক ধরে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ধৃত আট জঙ্গির নাম আদিল ফারুক ফরিদি, মহম্মদ ইকবাল ওরফে জাভেদ, মুজাহিদ হুসেন ওরফে নিসার আহমদ, তারিক হুসেন, ইশতিয়াক আহমদ, আজাজ আহমদ, জামিল আহমদ এবং ইশফাক আহমদ। এঁদের মধ্যে ফরিদি জম্মুর শিক্ষা দফতরের কর্মী ছিল। অন্য দিকে, ইশফাক ডোডা কোর্টে মুহুরির কাজ করত। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের সকলের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের শীঘ্রই জম্মুর আদালতে পেশ করা হবে।

    আরও পড়ুন: ফের অশান্ত মণিপুর, চলতি সপ্তাহে হিংসায় নিহত ৬, আহত ১৩

    কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করার বিশেষ অভিযান

    কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, সেই রাজ্যকে সন্ত্রাসশূন্য করার লক্ষ্যে লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। ৩২৭টি সন্ত্রাসবাদী ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৭৩৪ জন নিখোঁজ অপরাধীর তালিকা রয়েছে এসআইএ-র হাতে। যার মধ্যে ৩৬৯ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই ৩৬৯ জনের মধ্যে ১২৭ জন পলাতক, ৮০ জন মারা গিয়েছেন এবং ৪৫ জন পাকিস্তান-সহ অন্যান্য দেশে গা ঢাকা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

    পাঞ্জাবে গ্রেফতার পাক জঙ্গির ৬ শাকরেদ

    অন্যদিকে, পাঞ্জাব পুলিশের অ্যান্টি গ্যাংস্টার ফোর্স (Punjab Police’s AGTF) ও মোহালি পুলিশের (Mohali Police) যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হল আইএসআই-এর মদতপুষ্ট পাকিস্তানি জঙ্গি হরবিন্দার সিংয়ের (Harwinder Sing) ৬ সঙ্গী। ধৃতদের মধ্যে একজন গত এপ্রিল মাসে পাতিয়ালায় (Patiala) জোড়া খুনে অভিযুক্ত। খুনের পর থেকেই পলাতক ছিল সে। ধৃতদের কাছ থেকে ৫টি পিস্তল ও ২০টি তাজা কার্তুজ বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • STF: দেশের গোপন নথি পাক গুপ্তচর সংস্থাকে পাচারের অভিযোগ! কলকাতায় ধৃত বিহারের যুবক

    STF: দেশের গোপন নথি পাক গুপ্তচর সংস্থাকে পাচারের অভিযোগ! কলকাতায় ধৃত বিহারের যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হল বিহারের এক যুবককে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে ভক্ত বংশী ঝা নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ভক্ত আদতে বিহারের দাড়ভাঙার বাসিন্দা। তাঁকে শুক্রবার কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের মোবাইলেও দেশ সম্পর্কিত গোপন ছবি ও ভিডিয়ো মিলেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য় সংক্রান্ত নথিও মিলেছে বলে খবর।

    ধৃত দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত!

    শনিবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (এসটিএফ) ভি সলোমন নেশাকুমার জানান, শুক্রবার ওই  ব্যক্তিকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩৬ বছর বয়সি ভক্ত বংশী ঝা জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠাচ্ছিল। ধৃত বিহারের দারভাঙার বাসিন্দা। এসটিএফের দাবি, ভক্ত বংশী ঝায়ের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ধৃত দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তার সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ভক্ত বংশী ঝা এমন অনেক তথ্য পাকিস্তানে পাঠিয়েছে, যেগুলি দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত।

    আরও পড়ুন: চাঁদে নামার পর ৮ মিটার গড়ালো প্রজ্ঞানের চাকা! আপডেট দিল ইসরো

    জিজ্ঞাসাবাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে!

    ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ধারায় ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করার পাশাপাশি অফিসিয়াল অ্যাক্ট ৩/৯ এর আর/ডব্লিউ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এসটিএফ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত বংশী গত তিন মাস ধরে কলকাতায় বাস করছিলেন। সম্প্রতি তাঁর কলকাতার আস্তানা সম্পর্কে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। তার ভিত্তিতেই শুক্রবার অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে অভিযুক্ত দিল্লির এক কুরিয়ার সার্ভিসে কাজ করছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তদন্তকারীদের দাবি, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর তরফে সেনা জওয়ান ও দেশের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সতর্ক করা হয়। মূলত সামাজিক মাধ্যমেই পাতা হত হানি ট্রাপের ফাঁদ। সেখানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা আধিকারিক কিংবা সেনার জওয়ানদের ফাঁসানো হত। গোপনীয় তথ্য ফাঁস হওয়া থেকে রক্ষা পেতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কার্যকলাপ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: নির্বাচনে কারচুপির দায়ে গ্রেফতার ডোনাল্ড ট্রাম্প! মিনিট কুড়ি পর পেলেন মুক্তি

    Donald Trump: নির্বাচনে কারচুপির দায়ে গ্রেফতার ডোনাল্ড ট্রাম্প! মিনিট কুড়ি পর পেলেন মুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনে কারচুপির দায়ে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এদিন আটলান্টার ফুলটন কাউন্টির একটি কারাগারে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। মাত্র ২০মিনিট জেলে কাটানোর পর দু’লক্ষ ডলারের বন্ডের বিনিময়ে জামিন দেওয়া হয় আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। গ্রেফতারির পর তাঁর একটি ছবি তোলা হয়।

    ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    গ্রেফতারির পরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, “ন্যায় বিচারের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। আমরা কোনও ভুল কাজ করিনি। আমি কোনও অপরাধ করিনি। ওরা যা করছে, তা হল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ।” ২০২০-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়া প্রদেশে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী তথা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, ১২ হাজার ভোটে জিতে গিয়েছেন বাইডেন। ট্রাম্প দাবি করছিলেন, গণনায় কারচুপি করা হয়েছিল। এর পর তাঁর বিরুদ্ধেই পাল্টা কারচুপির অভিযোগ আনা হয়। জর্জিয়া প্রদেশের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টায় অভিযুক্ত করা হয় তাঁকে। জর্জিয়ার আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। ট্রাম্পের সঙ্গেই অভিযুক্ত হন তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী— হোয়াইট হাউসের তৎকালীন চিফ অফ স্টাফ মার্ক মেডোস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি। তা ছাড়া, আমেরিকান বিচারবিভাগের তৎকালীন কর্তা জেফরি ক্লার্ক-সহ আরও ১৬ জনের বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ আনা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: মঞ্চে পড়ে তেরঙ্গা, নিচু হয়ে তা তুলে পকেটে রাখলেন মোদি, কুর্নিশ নেটিজেনদের

    ভাইরাল ট্রাম্পের মাগশট

    ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাগশট। গ্রেফতারির পর এই ছবি তোলা হয়, যেখানে নাম, বয়স, উচ্চতা সহ শারীরিক বিবরণ দেওয়া থাকে। আটলান্টার ফুলটন জেল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রকাশিত তথ্যে ট্রাম্পের বিবরণীতে তাঁর উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওজন ৯৭ কেজি এবং তাঁর চুলের রঙ ব্লন্ড বা স্ট্রবেরি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিগত কয়েক দশকে, রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসাবে কেরিয়ারের উত্থান থেকে শুরু করে হোয়াইট হাউসে কাটানো চার বছর, অগুনতি ছবির মধ্য়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ছবিটিই সবথেকে বেশি ভাইরাল হয়েছে। জামিনের পর ট্রাম্প নিজের মাগশটের ছবি পোস্ট করে লেখেন, “আজ, জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টির অন্যতম কুখ্যাত জেলে আমায় বিনা কোনও অপরাধে গ্রেফতার করা হয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: অবিলম্বে হিংসা বন্ধ এবং দোষীদের গ্রেফতার করার কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    Cooch Behar: অবিলম্বে হিংসা বন্ধ এবং দোষীদের গ্রেফতার করার কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বারবার শিরোনামে উঠে আসা কোচবিহারে (Cooch Behar) দিনহাটা, সিতাই, শীতলকুচি সহ একাধিক জায়গায় পরিদর্শন করবেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ কোচবিহারের সার্কিট হাউসে রাত কাটাবেন তিনি, তার আগে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান অবিলম্বে হিংসা বন্ধ করতে হবে এবং দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। সেই সঙ্গে  বলেন, হিংসায় আক্রান্ত সকল এলাকায় পরিদর্শন করবেন তিনি এবং এই পরিদর্শনের যাত্রাকে ‘মোবাইল রাজভবন’ বলে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    কী বলেছেন রাজ্যপাল (Cooch Behar)?

    উত্তরবঙ্গে গতকাল পাহাড়ে সফর শেষ করে কোচবিহারে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শনের যাবেন রাজ্যপাল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা, সিতাই, শীতলকুচি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এলাকায় ভোট পরবর্তী ব্যাপক সন্ত্রাসের খবর উঠে এসেছিল। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও দিনহাটাতে খুন হয়েছেন বিরোধী দলের একাধিক কর্মী। সামনেই ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন। তাই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ করতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়ে মতপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। হিংসা ঠেকাতে জেলে রাখতে হবে গুন্ডাদের। যে সমস্ত দুষ্কৃতীদের সাহায্যে নেতারা এলাকাকে দখলে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নিতে হবে। রাজ্যের গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে হবে। ভারতবর্ষ স্বাধীন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, এই রাজ্যের পরিস্থিতিকে গণতন্ত্রের অনুকুল করতে হবে। কোচবিহারকে সন্ত্রাসকে মুক্ত করতে হবে এবং নাগরিকদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। হাইকোর্টের আদেশকে দ্রুত পালন করতে হবে কমিশনকে, বলেও মন্তব্য করেন সিভি আনন্দ বোস। পুলিশকে সাধারণ মানুষের মনকে ভয়মুক্ত করে বিশ্বাস এবং আস্থাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। কোনও প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে প্রশাসনকেই দায়িত্ব নিতে হবে। রাজ্যের নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের অধীনে, নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যপাল নিযুক্ত করলেও নির্বাচনকে হিংসা মুক্ত করার দায়িত্ব প্রশাসনেরই। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।

    অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান রাজ্যপাল

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল নিজে বলেছিলেন, রাজভবনের রাজ্যপাল নন জনগণের রাজ্যপাল হতে চান তিনি। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা এবং ভোটের প্রচারে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু ঘটেছে রাজ্যে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বারবার কড়া মত প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। কমিশনকে পঞ্চায়েত নির্বাচন বিষয়ে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচনের কথা খুব স্পষ্ট করে বলেছেন। রাজভবনে পিস রুম তৈরি করেছেন নিজে। রাজ্যের যে সকল স্থানে দুষ্কৃতীদের আক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ, তাঁদের জন্য সরাসরি পিস রুমে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা করেন রাজ্যপাল। ক্যানিং পূর্ব, ভাঙরে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছিল এলাকা এবং যেভাবে দুষ্কৃতীরা দৌরাত্ম্য চালিয়ে আইনকে হাতে তুলে নিয়ে গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, সেই বিষয়ে কমিশনকে বিশেষ ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। দক্ষিণবঙ্গে মনোনয়নের সময় হিংসা কবলিত এলাকা এবং বিরোধী প্রার্থীদের এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল। রাজ্যপাল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহকে শান্তিপূর্ণ করেতে চাহাইছেন। সাধারণ মানুষ যাতে নিজেরদের ভোট নিজেরা ঠিক ঠাক দিতে পারেন সেই বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। কোচবিহারে (Cooch Behar) সাংবাদিক সম্মলেনে রাজ্যপাল রাজ্যের নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসনকে দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sexual Harassment: তিলজলায় তরুণীকে গণধর্ষণ! অভিযুক্ত দুই বিদেশি ফুটবলার

    Sexual Harassment: তিলজলায় তরুণীকে গণধর্ষণ! অভিযুক্ত দুই বিদেশি ফুটবলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক তরুণীকে ধর্ষণের (Sexual Harassment) অভিযোগে এক মহিলা ও দুই বিদেশি ফুটবলার সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল নিউটাউন থানার পুলিশ। অভিযুক্ত দুই ফুটবলার দক্ষিণ আফ্রিকার ঘানার বাসিন্দা। কলকাতায় তারা বিভিন্ন ফুটবল টুর্নামেন্টে টাকার বিনিময়ে ফুটবল খেলে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে অভিযুক্ত মহিলা মিজোরামের বাসিন্দা। রবিবার তিনজনকেই বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

    টাকা চাইতে গিয়েই বিপদ

    পুলিশ সূত্রে খবর, এক তরুণী নিউটাউন থানায় এসে অভিযোগ করেন যে তাঁর সঙ্গে পূর্ব পরিচিত এক মহিলার কাছে টাকা চাইতে যান তিনি। ওই মহিলা জানান, তাঁর কাছে টাকা নেই। কিন্তু তাঁর সঙ্গে গেলে তিনি টাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। সেই বিশ্বাসে তাঁর সঙ্গে সাহায্যপ্রার্থী তরুণী গিয়েছিলেন দুই বিদেশি ফুটবলারের কাছে। অভিযোগ, তারা নিজেদের ফ্ল্যাটে টাকা দেওয়ার অছিলায় ধর্ষণ (Sexual Harassment) করে ওই তরুণীকে। পাঁচ দিন আগের এই ঘটনায় শনিবার রাতে তিলজলা ও নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক মহিলা-সহ তিন অভিযুক্তকে। নিউটাউন থানা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন গত ১৯ মে। তার ভিত্তিতে এই ধরপাকড় চালায় পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

    ধৃতদের পরিচয়

    বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর, ধৃত দুই ফুটবলারের নাম ক্রিস জোসেফ ও মোজেস জুটা। কলকাতার তিলজলায় একটি ফ্ল্যাটে তাঁরা থাকেন। ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ঘানার ওই দুই ফুটবলার চুক্তির বিনিময়ে খেলে থাকেন। তবে কলকাতার কোনও নামী ক্লাবের সঙ্গে তাঁদের এখনও কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি বলেই দাবি করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, দুই ফুটবলার ২০১৯ সালে কলকাতায় এসেছিলেন। কোভিডের সময়ে তাঁরা ঘানায় ফিরে যান। ফের ২০২১ সালে তাঁরা কলকাতায় আসেন। ময়দান সূত্রের খবর, দক্ষিণ শহরতলিতে এই ধরনের বিদেশি ফুটবলারদের বসবাস রয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নামী ক্লাবের সঙ্গে জড়িত নন। ধৃত তরুণী লিজার প্রসঙ্গে পুলিশের দাবি, ওই তরুণী নানা ধরনের কাজ করে থাকেন। অনেক বিদেশির সঙ্গেই তাঁর বন্ধুত্ব রয়েছে। লিজার কাজকর্ম নিয়েও সন্দেহ রয়েছে পুলিশের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: বিয়ের জন্য চাপ দিতেই কালিয়াচকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন, দাবি পুলিশের

    Malda: বিয়ের জন্য চাপ দিতেই কালিয়াচকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন, দাবি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদহের (Malda) কালিয়াচক থানার উজিরপুরে নাবালিকা খুনের কিনারা করল পুলিশ। খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল। তার বয়স ৩০ বছর। তার বাড়ি কালিয়াচক থানার রামনগর এলাকায়। সে দিনমজুরের কাজ করে। যে জায়গায় নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখান থেকে ধৃত যুবকের বাড়ি প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে। ইতিমধ্যেই ধৃত যুবককে ১৪ দিনের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

    নাবালিকাকে কেন খুন করা হল?

    নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মালদহ (Malda), গাজোল, কালিয়াচক এবং ইংরেজবাজার থানার আধিকারিকদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করা হয়। নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর বিভিন্ন সূত্র পেয়ে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে, একজন খুনের কথা স্বীকার করে। পরে, তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ৯ দিন আগে মিসডকল থেকেই ওই নাবালিকার সঙ্গে আলাপ হয়। ফোনেই দুজনের মধ্যে কথাবার্তার সূত্র ধরে সম্পর্ক গভীর হয়। এরপরই ওই নাবালিকা দেখা করার জন্য জোরাজুরি করে। ধৃত যুবক ফোনে তাকে একটি ঠিকানা বলে দেয়। সোমবার বাসে করে ওই কিশোরী সেখানে আসে। এরপর তারা দুজনে হাঁটতে হাঁটতে ঘটনাস্থল উজিরপুরে আসে। সেখানে দুজনের মধ্যে শারীরীক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে, ওই কিশোরী তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। আর ধৃত যুবক বিবাহিত। তার দুই সন্তান রয়েছে। তার পরিবারের অবস্থা বোঝানোর পর সে তা মানতে চায়নি। বরং, বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। এরপরই তার গলায় ওড়না জড়িয়ে ওই যুবক তাকে খুন করে বলে অভিযোগ।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    মালদহের (Malda) পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ভিডিওগ্রাফি করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। ৯ দিন আগে আলাপ হলেও সোমবারই তাদের দুজনের প্রথম দেখা হয়। ওই নাবালিকা বিয়ের পাশাপাশি ধৃত যুবকের বাড়ি যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তারপরই সে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে জানিয়েছে। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arrest: রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতার! কে এই ধৃত ব্যক্তি?

    Arrest: রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতার! কে এই ধৃত ব্যক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজু ঝা খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম অভিজিৎ মণ্ডল। তার বাড়ি কাঁকসা থানার বামুনাড়া এলাকায়। সেখানে একটি বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকতো সে। সেই ফ্ল্যাট এখন তালাবন্ধ। রাজু ঝা খুনের ঘটনায় এটিই প্রথম গ্রেফতার (Arrest)। রাজু ঝাকে খুন করার পিছনে ধৃতের ঠিক কী ভূমিকা ছিল, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু ঝা খুন হওয়ার পর বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১২ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছিল। এতদিন ধরে তল্লাশির পর অবশেষে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করতে সমর্থ হল। ধৃত ওই যুবক শিল্পাঞ্চলের দাপুটে এক ব্যবসায়ীর গাড়ির চালক ছিলেন। যদিও এই বিষয়ে পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    পয়লা এপ্রিল, শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে ফিল্মি কায়দায় এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে রাজু ঝা-কে খুন করে দুষ্কৃতীরা। জানা যায়, কয়লামাফিয়া রাজু ঝা দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বেতাজ বাদশা ছিলেন। তাঁর সঙ্গে গরুপাচারকাণ্ডের অন্যতম মাথা আব্দুল লতিফও ছিলেন। এই লতিফের দুধসাদা গাড়িতে করেই রাজু ঝা কলকাতায় যাচ্ছিলেন। গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিলেন লতিফ আর ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। গাড়ি চালাচ্ছিলেন নুরুল হোসেন নামে একজন। শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে তাঁদের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। শুটআউটের আগেই গাড়ির চালক নুরুল নেমে গিয়েছিলেন। হামলার সময় রহস্যজনকভাবে লতিফও গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন। নীল রংয়ের একটি গাড়ি থেকে রাজু ঝা-কে গুলি করা হয়। পূর্ব বর্ধমানের জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, খুন হওয়ার ১৮ দিনের মাথায় একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হল। ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলের আদি বাড়ি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি এলাকায়। সে পানাগড় এলাকায় থাকত, চাকরি করত প্রাইভেট কোম্পানিতে। মঙ্গলবার রাতে তাকে দুর্গাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার তাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। বিচারক ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হওয়ায় ধৃত সোমনাথ ভট্টাচার্যের কথা অনেকেই বিশ্বাস করতেন। নিজের পদকে ব্যবহার করেই বারের লাইসেন্স বা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। জানা গিয়েছে, সঞ্জয় বসু নামে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বারের লাইসেন্সের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। অন্য একজনের কাছে ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। সঞ্জয়বাবুকে বারের লাইসেন্সও পাইয়ে দিয়েছিলেন সোমনাথবাবু। আবগারি দফতরের স্ট্যাম্পসহ সব কিছুই ওই লাইসেন্সে ছিল। সঞ্জয়বাবু দোকান খোলার জন্য উদ্যোগও নিয়েছিলেন। পরে, আবগারি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেই জানতে পারে, সমস্ত কাগজপত্র জাল। এরপরই তিনি বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অন্য একজনও প্রতারিত হয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু লোকজনের কাছে তিনি চার-পাঁচ লক্ষ টাকা করে তুলেছেন। সব মিলিয়ে তিনি প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি তুলেছিলেন বলেই পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে, জাল নথি তিনি কী করে তৈরি করলেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে।

    পুলিশ অফিসারের (kolkata Policeলক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ারও নিয়ম ছিল, কী সেটা জানেন?

    পুলিশের চোখে ধূলো দিতেই কারও কাছ থেকে চেক বা অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নিতেন না। সমস্ত টাকা নগদে নিতেন কলকাতার (Kolkata Police) এসিপি সোমনাথ ভট্টাচার্য। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা এই তথ্য জানতে পেরেছেন। মূলত বরাহনগরে বনহুগলির বাড়িতে বসেই সে এই কারবার চালাত। অফিসে কারও সামনে এসব বিষয়ে কথা পর্যন্ত বলত না। বাড়িতে বসেই এই সব বিষয়ে কথাবার্তা এবং লেনদেনও হত সেখানে। ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু কাগজপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে, বাকি টাকার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। আর ওই পুলিশ অফিসারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একসঙ্গে নগদ এত টাকা নিয়ে তিনি কোথায় রাখতেন তা পুলিশ আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, বিক্ষোভ, স্লোগান! ইমরানের গ্রেফতারি ঘিরে রণক্ষেত্র লাহোর

    Imran Khan: জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, বিক্ষোভ, স্লোগান! ইমরানের গ্রেফতারি ঘিরে রণক্ষেত্র লাহোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইমরান খান (Imran Khan) ‘বড় খেলোয়াড়’। শুধু ক্রিকেটে নয়, রাজনীতির ময়দানেও। দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করতে চায় পাকিস্তান সরকার। তার জন্য ইমরানের (Imran Khan) বাড়ির বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাষ্ট্রনেতাদের গ্রেফতারির ঘটনা পাক মুলুকে নতুন নয়। হামেশাই এমন ঘটনা ঘটে থাকে। তবে ইমরান খান গ্রেফতারি এড়াতে যে নাটক করলেন, তা হলিউডের থ্রিলার মুভিকেও হার মানাবে। 

    আত্মসমর্পণ করতে পারেন ইমরান

    পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতারের জন্য মঙ্গলবারই ইসলামাবাদ থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে গিয়েছিল ইমরানের (Imran Khan) বাড়ির সামনে। কিন্তু আট ঘণ্টার চেষ্টাতেও পুলিশ ইমরানের বাড়ির দরজায় পৌঁছতে পারেনি। তেহরিক-ই-ইনসাফের কর্মীরা ঘিরে ফেলে গোটা চত্ত্বর। চলে বিক্ষোভ, স্লোগান। সময় যত গড়িয়েছে সেই বিক্ষোভের আঁচ বেড়েছে। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিবেশ। আট ঘণ্টার অপেক্ষার পর হাল ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে এভাবে যে বেশিদিন গ্রেফতারি এড়ানো যাবে না তা বিলক্ষণ জানেন ইমরান (Imran Khan)। তাই সুর নরম করেছেন তিনি। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পুলিশের হাতে সরাসরি গ্রেফতার না হয়ে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন। সেই কারণে লাহোরের উচ্চ আদালতে তোশাখানা তছরুপ মামলার শুনানিতে আগামী ১৮ মার্চ তিনি হাজিরা দিতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: সমলিঙ্গে বিবাহের আইনি বৈধতা সংক্রান্ত মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে

    একই সঙ্গে পাক সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘ওরা তো ঠিক করেই এসেছে আমাকে গ্রেফতার করে ফিরবে। কারণ, উপর থেকে এননই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ওদের কোনও মাথা ব্যথা নেই। আসলে পাকিস্তান সরকার পরিচালিত হচ্ছে লন্ডন থেকে। ওরা ভাবছে আমাকে জেলে পুরে  দিলেই সব কিছু শেষ হয়ে যাবে। ওরা এটা ভুলে গিয়েছে, হাজার হাজার ইমরান (Imran Khan) রয়েছে দেশকে বাঁচানোর জন্য।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: এবার স্বাস্থ্য দপ্তরে দুর্নীতি! ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রীঘরে যুবক, কোথায় দেখে নিন

    Scam: এবার স্বাস্থ্য দপ্তরে দুর্নীতি! ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রীঘরে যুবক, কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষক দুর্নীতি (Scam) নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। আদালতের নির্দেশ রাজ্যে শয়ে শয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল হয়েছে। শুক্রবারই গ্রুপ সি পদে আদালতের নির্দেশে নতুন করে বহু নিয়োগ বাতিল হয়েছে। চাকরি বাতিলের তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝিও রয়েছে। এরইমধ্যে ভুয়ো নথি নিয়ে গ্রুপ ডি পদে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে ধরা পড়ল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। স্বাস্থ্য দপ্তরে এই ধরনের দুর্নীতির (Scam) ঘটনা ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালের আধিকারিকরা তার কাছে থাকা নিয়োগপত্র দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, নিয়োগপত্র নিয়ে তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেন। তারপর নিয়োগপত্রটি জমা দিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি বলেন। নিয়োগপত্র দেখেই আমার সন্দেহ হয়। কারণ, স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এভাবে একজনের নিয়োগপত্র দেওয়া হয় না। আমি চারিদিকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, এই ধরনের কাউকে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে পাঠানো হয়নি। ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে ওই যুবক হাসপাতালে এসেছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।

    কে দিল ওই ভুয়ো নিয়োগপত্র? Scam

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য দফতরের গ্রুপ ডি পদে চাকরিতে যোগ দিতে এসেছিল ওই যুবক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মোক্তার আলি। তার বাড়ি মালদহের ইংলিশবাজার এলাকায়। মোক্তারকে হাসপাতালে বসিয়ে রেখে পুলিশের খবর দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে সে স্বীকার করে স্পিড পোস্টে তার কাছে নিয়োগপত্রটি এসেছিল। তবে, এই নিয়োগপত্রের বিনিময়ে সে কত টাকা দিয়েছে তা পুলিশের কাছে স্বীকার করেনি।  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, পরীক্ষা না দিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়া যায় না। এই বিষয়টি সকলের জানা দরকার। একটি চক্র রয়েছে, যারা টাকার বিনিময়ে এভাবে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেয়। অনেকে তাদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়। তবে, এই হাসপাতালে এই ধরনের কোনও চক্র রয়েছে কি না তা জানা নেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ধৃত যুবককে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ধৃতকে হেপাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share