Tag: Ashwini vaishnaw

Ashwini vaishnaw

  • UPI: ভারতে দৈনিক ইউপিআই লেনদেন এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের জনসংখ্যার সমান

    UPI: ভারতে দৈনিক ইউপিআই লেনদেন এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের জনসংখ্যার সমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে দৈনিক ইউপিআই (UPI) লেনদেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) জনসংখ্যার সমান। বুধবার ওয়ারশ-তে ভারতীয় প্রবাসীদের সম্মেলন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি তুলনা করে ডিজিটাল লেনদেনের তাৎপর্যকে তুলে ধরেছেন। তিনি উল্লেখ করে বলেন, দৈনিক ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজিটাল ভারতের পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে দেশ।

    ভারতে ৯,৮৪০.১৪ মিলিয়ন ইউপিআই লেনদেন (UPI)

    কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ভারতের ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের একটি ক্লিপ পোস্ট করে বলেন, “৪৪৮ মিলিয়ন হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) মোট জনসংখ্যা। একই ভাবে ভারতের দৈনিক ইউপিআই লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬৬ মিলিয়ন। সারা দেশে নগদহীন এই লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের ডিজিটাল (UPI) অর্থনীতির ভিত্তিস্বরূপ এটি একটি মাইলফলক পদক্ষেপ। এনপিসিআই (NPCI)-এর মতে, ইউপিআই পেমেন্ট বছরে ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এই লেনদেনের মোট মূল্য ২০.৬৪ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ফের সক্রিয় রাজনীতিতে, ভূস্বর্গের ভোটে বিজেপির দায়িত্বে রাম মাধব

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বক্তব্য

    এই বছরের জুন মাসে ইউপিআই (UPI) লেনদেন ছিল ২০.০৭ ট্রিলিয়ন এবং মে মাসে ছিল ২০.৪৪ ট্রিলিয়ন। জুলাই মাসে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৪৬৬ মিলিয়ন বা প্রায় ৬৬,৫৯০ কোটি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) তার মাসিক বুলেটিনে ইউপিআই-এর অসাধারণ বৃদ্ধির কথা বলেছে। তারা জানিয়েছে, লেনদেনের পরিমাণ ২০১৯-২০-এর ১২.৫ বিলিয়ন থেকে ২০২৩-২৪-এ ১৩১ বিলিয়ন, অর্থাৎ দশ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI) লেনদেনগুলি আর্থিক বছরে ৫৭ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে ডিজিটাল পেমেন্টের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২৩ সালে বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (BCG) ব্যাঙ্কিং সেক্টর রাউন্ডআপ অনুসারে ফোন পে (PhonePe) এবং গুগুল পে (Google Pay) বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ashwini Vaishnaw: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    Ashwini Vaishnaw: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিআর আম্বেডকরের দেওয়া সংবিধানে এসসি-এসটিদের জন্য সংরক্ষণে ক্রিমি লেয়ারের কোনও বিধান নেই।” উপশ্রেণি সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। গত সপ্তাহে সাব কোটা মামলায় রায় দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে (Supreme Court), রাজ্যগুলির এই ক্ষমতা রয়েছে যে, সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীগুলিকে আরও উন্নীত করার লক্ষ্যে তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত বিভাগের মধ্যে কোটা বরাদ্দ করতে পারবে।

    কী বললেন অশ্বিনী বৈষ্ণব? (Ashwini Vaishnaw)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সংবিধানের প্রদত্ত এসসি এবং এসটিদের জন্য সংরক্ষণের উপ-শ্রেণিকরণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ওপর বিশদ আলোচনা করেছে। তবে, তাকে এখনই কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” এর পরেই মন্ত্রী বলেন, “বিআর আম্বেডকরের দেওয়া সংবিধান অনুযায়ী, এসসি-এসটি সংরক্ষণে ক্রিমি লেয়ারের কোনও বিধান নেই।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, রাজ্যগুলিকে অবশ্যই এসসি-এসটিতে ক্রিমি লেয়ার চিহ্নিত করতে হবে। সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বাদ দিতে হবে তাদের। কিন্তু এনডিএ সরকার সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ।” তিনি বলেন, “এসসি-এসটি সংরক্ষণের বিধান হওয়া উচিত সংবিধান মেনে।”

    বৈঠকে মন্ত্রিসভা

    দেশের শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই বৈঠকেই সংবিধানে প্রদত্ত এসসি-এসটিদের জন্য সংরক্ষণের উপ শ্রেণিকরণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এই বৈঠকেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যেহেতু আম্বেডকরের সংবিধানে এসসি-এসটি’র জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থায় ক্রিমি লেয়ারের কোনও বিধান নেই, সেহেতু সংবিধান অনুযায়ীই সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকা উচিত।

    আরও পড়ুন: ৮টি বড় রেল প্রকল্পের অনুমোদন দিল মোদি সরকার, খরচ হবে ২৪,৬৫৭ কোটি

    চলতি মাসের শুরুর দিকে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে (Ashwini Vaishnaw) সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির বেঞ্চ এসসি-এসটি বিভাগে কোটা যুক্ত করার অনুমোদন দেয়। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এসসি-এসটি ক্যাটেগরির মধ্যে একটি নয়া সাব ক্যাটেগরি তৈরি করা যেতে পারে। এর অধীনে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য আলাদা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে (Supreme Court)। শুক্রবার, বিজেপির এসসি-এসটি সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি দল দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিজেপি সাংসদ ফাগ্গান সিং কুলাস্তে। সেখানে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি ক্রিমি লেয়ার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবেন না।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমাদের বৈঠকের সময় আমরা এসসি/এসটি সংরক্ষণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের দ্বারা প্রকাশিত ব্যক্তিগত মতামত নিয়ে  আলোচনা করেছি, যা এসএস/এসটি সম্প্রদায়ের ক্রিমি লেয়ারকে চিহ্নিত করার ও তাদের সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।”

    তিনি বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করার জন্য অনুরোধ করেছি। বৈঠকে আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মতামতের সঙ্গে এক মত হয়েছেন। এবং এটি বাস্তবায়ন না করার অঙ্গীকার করেছেন।” তিনি বলেন, “আমরা এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। বৈঠকে আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছি।”

    অশ্বিনীর মতো প্রায় একই বক্তব্য শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালের গলায়ও। শুক্রবার লোকসভায় তিনি বলেন, “এসসি/এসটির উপ শ্রেণিবিভাগে ক্রিমি লেয়ারের উল্লেখটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের একটি পর্যবেক্ষণ, সিদ্ধান্তের অংশ নয়। সদস্যদের সমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা উচিত নয়।”

    ২০০৫ সালের এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, এসসি-এসটির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনের এক্তিয়ার কোনও রাজ্যের সরকারের নেই। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সেই রায় খারিজ করে দিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও এসসি-এসটির মধ্যে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, উপশ্রেণি চিহ্নিতকরণের বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সমতার নীতি লঙ্ঘন করছে না। তবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এই রায়ের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছায়নি বৃহস্পতিবার। বেঞ্চের ছয় বিচারপতি এসসি-এসটির মধ্যে অতি পিছিয়ে পড়া অংশকে চিহ্নিত করে কোটার মধ্যে কোটার সুবিধা দেওয়ায় ছাড়পত্র দিলেও (Supreme Court) ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন (Ashwini Vaishnaw) বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kavach 4.0: দিল্লি-হাওড়া রুটে বসছে ‘কবচ ৪.০’, টেন্ডার এবছরই, ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    Kavach 4.0: দিল্লি-হাওড়া রুটে বসছে ‘কবচ ৪.০’, টেন্ডার এবছরই, ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও মূল্যে দুর্ঘটনা রুখতে সক্রিয় ভারতীয় রেল। প্রায় ২০ হাজার ট্রেনে অত্যাধুনিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা তথা “কবচ” বসানোর পরিকল্পনা করছে ভারতীয় রেল। আনা হচ্ছে ‘কবচ ৪.০’। ইতিমধ্যেই ১০ হাজার ট্রেনে ‘কবচ ৪.০’ বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণও করেছে রেলমন্ত্রক। বুধবার এই বিষয় নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কবচ ৪.০-তে রয়েছে ‘টেম্পোরারি স্পিড রেস্ট্রিকশন’, উন্নত ব্রেকিং কার্ভ এবং লোকেশন প্রিসিশনের মতো অতিরিক্ত ফিচার। 

    রেলমন্ত্রীর ঘোষণা

    ভারতীয় রেলের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মধ্য রেলের ১ হাজার ৪৬৫টি রুটের ১৪৪টি রেকে এই ‘কবচ’ চালু করা হয়েছে। দিল্লি-চেন্নাই এবং মুম্বই-চেন্নাই সেকশনে অটোমেটিক সিগন্যাল সেকশনের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, আপাতত দু’টি ব্যস্ততম রুটে এই ‘কবচ’ বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটি- দিল্লি-মুম্বই এবং অন্যটি দিল্লি-হাওড়া। এই প্রক্রিয়া এই অর্থবর্ষের মধ্যেই শেষ করা হবে বলেও জানান তিনি।নতুন এই কবচের নাম রাখা হয়েছে ‘কবচ ৪.০’। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ধীরে ধীরে প্রতিটি সেকশনেই কবচ ৪.০ আনা হবে। ভারতের প্রাণ রেলওয়ে তাই মরুভূমি থেকে জঙ্গল প্রতিটি রেললাইনেই এই অত্যাধুনিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধী ব্যবস্থা আনতে চলেছে ভারতীয় রেল।

    কী ভাবনা রেলের

    দিল্লি-কলকাতা এবং দিল্লি-মুম্বই রেলপথে কবচ বসানোর কাজ ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হবে, বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। অ্যান্টি-কলিশন প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রীদের ভ্রমণ নিরাপদ করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া রুটে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার কবচের কাজ চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, গোল্ডেন কোয়াড্রিল্যাটেরাল বা সোনালী চতুর্ভুজে চলাচলকারী ট্রেনগুলোতে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহণ হয়। ১০ হাজার ইঞ্জিনে কবচ বসানো ছাড়াও সারা দেশে ৮,০০০ রেল স্টেশন লিডার (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং, একটি রিমোট সেন্সিং পদ্ধতি যা পৃথিবীতে রেঞ্জ পরিমাপ করতে স্পন্দিত লেজারের আকারে আলো ব্যবহার করে) এবং ড্রোনের মাধ্যমে জরিপ করা হবে। এর পরে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে একযোগে সমস্ত স্টেশনে কবচ ডেটা সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Railway Jobs: মোদি জমানায় ইউপিএ-র তুলনায় অনেক বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে রেলে, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    Railway Jobs: মোদি জমানায় ইউপিএ-র তুলনায় অনেক বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে রেলে, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১০ বছরে মোদি সরকার ইউপিএ-র তুলনায় অনেক বেশি কর্মসংস্থান করেছে রেলে। সম্প্রতি সংসদে বক্তৃতা দেওয়ার সময় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) দাবি করেছেন, এনডিএ আমলে ইউপিএর তুলনায় ভারতীয় রেলে অনেক বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে। সংসদে ভারতীয় রেলওয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে, নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ৫.০২ লক্ষ কর্মসংস্থান  (Railway Jobs) করেছে।

    রেলমন্ত্রীর দাবি (Ashwini Vaishnaw) 

    এদিন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব উল্লেখ করেছেন যে, ইউপিএ সরকার ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ৪.১১ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছিল, যা বর্তমান সরকারের চেয়ে ৯১ হাজার কম। চাকরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (Railway Jobs) অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে, আগস্ট ২০২২ থেকে অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত, ১.১ কোটিরও বেশি প্রার্থী আরআরবি (RRB) পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে রেলওয়ে দ্বারা ১,৩০,৫৮১ জন প্রার্থী নিয়োগ করা হয়েছে। একইসঙ্গে রেলমন্ত্রী আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে, এই প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রশ্নপত্র ফাঁস বা অনুরূপ সমস্যার কোনও ঘটনা ঘটেনি, স্বচ্ছ ভাবে পরীক্ষার মাধ্যমেই নিয়োগ ঘটেছে। এছাড়াও এদিন তিনি উল্লেখ করেছেন যে, রেল দুর্ঘটনা ২০১৩-১৪ সালে ১১৮ থেকে ২০২৩-২৪ সালে ৪০-এ নেমে এসেছে। 
    এছাড়াও অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে, তিনি জানিয়েছেন, রেল মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ২০০৪-২০১৪ সাল পর্যন্ত ১,৭১১টি দুর্ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে, যার ফলে ৯০৪ জন মারা গেছে। কিন্তু অন্যদিকে এনডিএ ক্ষমতায় আসার পর গত ১০ বছরে, ৬৭৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং ৭৪৮টি প্রাণহানি ঘটেছে। ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬০ শতাংশ এবং প্রাণহানির সংখ্যা ১৭ শতাংশ কমেছে।

    আরও পড়ুন: জঙ্গি অনুপ্রবেশের জের! বিএসএফের প্রধান এবং উপপ্রধানকে অপসারণ করল কেন্দ্র

    রেল নিরাপত্তায় শীর্ষ অগ্রাধিকার (Railway Jobs) 

    অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী (Ashwini Vaishnaw) জানিয়েছেন যে মোদি সরকার আসার পরেই রেল মন্ত্রক রেল নিরাপত্তাকে শীর্ষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ২০২২-২৩ সালে ব্যয় করেছিল ৮৭,৭৩৬ কোটি টাকা এবং ২০২৪-২৫ সালে সেই টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,০৮,৭৯৫ কোটিতে। এখনও পর্যন্ত ৯,৫৭২ টিরও বেশি কোচে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। শিশু সুরক্ষার ক্ষেত্রে মেল কোচে দুটি নিম্ন বার্থের সঙ্গে দুটি শিশুর বার্থ সংযুক্ত করা হয়েছে, যাতে যাত্রার সময় শিশু সহ মায়েদের ভ্রমণ সহজ হয়। এ বিষয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ইতিবাচকই ছিল। 
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Railway Minister: মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্ঘটনা কত ছিল! পরিসংখ্যান তুলে আক্রমণ বৈষ্ণবের

    Railway Minister: মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্ঘটনা কত ছিল! পরিসংখ্যান তুলে আক্রমণ বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে ঠিক কী বলেছিলেন! সেই তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরে তাঁকে তুলোধনা করলেন বর্তমান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সম্প্রতি, ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে রেলমন্ত্রককে (Railway Minister) কাঠগড়ায় তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই নিয়েই রীতিমতো তথ্য তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেসকে এক হাত নেন বর্তমান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বৃহস্পতিবার সংসদে ট্রেন দুর্ঘটনা সংক্রান্ত অভিযোগের একের পর এক জবাব দিতে থাকেন তিনি। মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ট্রেন দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তিনি এই সংসদে দাঁড়িয়েই বলতেন, দেশে ট্রেন দুর্ঘটনা ০.২৪ শতাংশ থেকে কমে ০.১৯ শতাংশ হয়েছে। তখন এখানে বাকিরা হাততালি দিতেন। আর এখন, যখন দেশের ট্রেন দুর্ঘটনার পরিমাণ ০.১৯ থেকে কমে ০.০৩ শতাংশ হয়েছে, তখন তাঁরা উল্টে আমাকে দোষারোপ করছেন! এ ভাবে কি দেশ চলবে?’’

    আক্রমণ কংগ্রেসকেও (Railway Minister)

    রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘কংগ্রেস তার দলবল নিয়ে সমাজমাধ্যমে মিথ্যা দাবি করছে। এই দেশে প্রতি দিন দু’কোটি মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করেন। তাঁদের সকলের মনে কি বিরোধীরা এ ভাবে ভয় ঢুকিয়ে দিতে চাইছে?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যাঁরা এখানে বেশি চিৎকার করছেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করা উচিত, ৫৮ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পরেও কেন তাঁরা এক কিলোমিটারেও ‘স্বয়ংক্রিয় রেলসুরক্ষা’ (এটিপি) চালু করতে পারেননি?’’ চালকরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘লোকো পাইলটদের গড় কাজ এবং বিশ্রামের সময়গুলি ২০০৫ সালে প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত হয়। ২০১৬ সালে, কয়েকটি বিধি সংশোধন করে এবং লোকো পাইলটদের আরও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। যাঁরা রিল তৈরি করে সহানুভূতি দেখান, তাঁদের এই তথ্য জানা উচিত।’’

    বাড়ছে জেনারেল কোচের সংখ্যা

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই লোকসভায় রেলমন্ত্রী (Railway Minister) জানিয়েছেন যে মেইল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে এবার থেকে বাড়ছে জেনারেল কোচের সংখ্যা। রেলমন্ত্রী (Railway Minister) আরও জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিগুলি জানানো হচ্ছে যাত্রীদের তরফ থেকে এবং সেই দাবিকেই সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে সমস্ত এক্সপ্রেস মেল ট্রেনের ক্ষেত্রে দুই-তৃতীয়াংশ জেনারেল কোচ ও এক ভাগ এসি কোচ থাকে। জেনারেল কোচের চাহিদা যে বাড়ছে সে কথাও এদিন উল্লেখ করেন তিনি। রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নতুন প্রায় আড়াই হাজার মতো জেনারেল কোচ তৈরি করা হবে। আগামী দিনে দশ হাজার জেনারেল কোচ তৈরি করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।

     
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ashwini Vaishnaw:  সমুদ্রের নীচে ২১ কিমি টানেলের মধ্যে দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন! সংসদে জানালেন রেলমন্ত্রী

    Ashwini Vaishnaw: সমুদ্রের নীচে ২১ কিমি টানেলের মধ্যে দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন! সংসদে জানালেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় গঙ্গার নীচে মেট্রোর পর এবার সমুদ্র গর্ভে ছুটবে বুলেট। বুধবার লোকসভার অধিবেশনে নিজের ভাষণে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) দাবি করেন, দেশে উচ্চ গতির ট্রেন চালানোর জন্য অধিকাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এদিন বুলেট ট্রেন প্রকল্পের (Bullet Train Project) কথা বলতে গিয়ে দেশে প্রথম সমুদ্রের নিচ দিয়ে রেল টানেলের কথা বলেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের জন্য সমুদ্রতলের ৩০ মিটার নীচে একটা টানেল হচ্ছে। ওই টানেলটি ২১ কিলোমিটারের। ভারতের প্রথম সমুদ্রতলের নিচ দিয়ে টানেল হবে। খুবই দ্রুত গতিতে কাজ চলছে।”

    ঠিক কী জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী? (Ashwini Vaishnaw) 

    এদিন লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে রেলমন্ত্রীর কাছে জানতে চান গুজরাটের ভালসাদের বিজেপি সাংসদ ধবল লক্ষ্মণভাই প্যাটেল। সেসময় রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, জাপান সরকারের সহযোগিতায় এবার বুলেট ট্রেনের (Bullet Train Project) জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এসেছে ভারতে। বুলেট ট্রেন একটি অত্যন্ত জটিল এবং প্রযুক্তিনির্ভর প্রকল্প। যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে জাপানি রেলওয়ের সাহায্যে এই প্রকল্পের নকশা তৈরি করা হয়েছে। ভারতের পরিবেশ এবং চাহিদা অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে বুলেট ট্রেনের প্রযুক্তি জাপানের কাছ থেকে নেওয়া হলেও এখন দেশের মাটিতে এমন অনেক প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে। 
    মহারাষ্ট্রের বান্দ্র-কুরলা কমপ্লেক্স থেকে শিলফাটা পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চলাচলের জন্য টানেল তৈরি হবে। ২১ কিমি ওই টানেলের মধ্যে ৭ কিমি আরব সাগরের থানে খাঁড়ির নীচ দিয়ে যাবে। এদিন রেলমন্ত্রী (Ashwini Vaishnaw) আরও জানান, ৫০৮ কিমি দূরত্বের এই রুটে ১২টি স্টেশনে থামবে বুলেট ট্রেন। ২০২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: দুর্গতদের জন্য তৈরি মানবসেতু! বৃষ্টির মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা

    কবে থেকে চালু হবে বুলেট ট্রেন? 

    অন্যদিকে এদিন মহারাষ্ট্রের প্রাথমিক কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) বলেন,”মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পে (Bullet Train Project) মোট রেললাইন ৫০৮ কিলোমিটারের। তার মধ্যে ৩২০ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ চলছে। মহারাষ্ট্রে প্রথম দিকে কাজ শুরুতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু, একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর জমি অধিগ্রহণ-সহ সমস্ত অনুমোদন দেন। সেখানে কাজ চলছে। কাঠামো, রেললাইন, বিদ্যুত সিগন্যালিং এবং টেলি যোগাযোগের কাজ সম্পন্ন হলেই বুলেট ট্রেন চালু করার দিনক্ষণ স্থির করা যাবে।”   
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kavach: দ্রুতগতিতে বসছে ‘কবচ’, জানালেন রেলমন্ত্রী, কাজ কতদূর এগোল?

    Kavach: দ্রুতগতিতে বসছে ‘কবচ’, জানালেন রেলমন্ত্রী, কাজ কতদূর এগোল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলে যাত্রী সুরক্ষার প্রশ্নে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার যে কোনও আপোস করবে না, বুধবার সংসদে তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানালেন, দেশে ১ হাজার ৪৬৫ কিলোমিটার রুটে অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন সিস্টেম (Automatic Train Protection System) কবচ (Kavach) বসানো হয়েছে। এই কবচ বসানো হয়েছে ১৪৪টি লোকোমোটিভেও।

    ‘কবচ’ বসাতে ব্যয় (Kavach)

    সাউথ সেন্ট্রাল রেলওয়েতে বসানো হয়েছে এই কবচ। মন্ত্রী জানান, কবচ সিস্টেম বসাতে গিয়ে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১ হাজার ২১৬.৭৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার ১১২.৫৭ কোটি টাকা। মন্ত্রী জানান, ২ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা ক্যাপিটেল এক্সপেনডিচার হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে। সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কবচ ইনস্টল করার ক্ষেত্রে। কবচ ৪.০-এর উন্নত সংস্করণ অনুমোদন পেয়েছে। দ্রুত তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।

    ‘কবচ’ কী?

    প্রশ্ন হল, কবচ কী? কবচ হল একাধিক ট্রেনের সংঘর্ষ এড়ানোর উচ্চ প্রযুক্তি। ট্রেনের গতি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থাকার সময় বিপদ বুঝলে এই প্রযুক্তি লোকোপাইলটকে সতর্ক করে দেবে। লোকোপাইলট যদি ব্রেক কষতে ব্যর্থ হন, তবে কবচই করে দেবে সেই কাজ। যার জেরে ট্রেন যাবে দাঁড়িয়ে। এড়ানো যাবে সংঘর্ষ। প্রাণ বাঁচবে যাত্রীদের। যাত্রী সুরক্ষার ক্ষেত্রে কবচই এখনও পর্যন্ত উচ্চস্তরীয় নিরাপত্তা দেয় বলে শংসাপত্র দিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট সেফটি অ্যাসেসর।

    আরও পড়ুন: এবার নবান্নেও ‘ভাইপোরাজ’? পিএমইউ নিয়ে নবান্নের নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন

    মন্ত্রী জানান, দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া করিডরে চলছে কবচ (Kavach) সম্পর্কিত কাজ। এই দুই রুটে অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর কাজও চলছে। ইতিমধ্যেই এই ফাইবার বসানো হয়েছে ৪ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার রেলপথে। ইনস্টল করা হয়েছে ৩৬৪টি টেলিকম রওয়ার। ২৮৫ ইউনিট কবচ যন্ত্রাংশ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্টেশনে (Automatic Train Protection System)। কবচ ট্র্যাকসাইড ইক্যুইপমেন্ট ইনস্টল করা হয়েছে ১ হাজার ৩৮৪ কিলোমিটার রুটে (Kavach)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rahul Gandhi: ট্রেনের চালকরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান, রাহুলের দাবি খারিজ করে জানালেন রেলমন্ত্রী

    Rahul Gandhi: ট্রেনের চালকরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান, রাহুলের দাবি খারিজ করে জানালেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে নিউ দিল্লি স্টেশনে গিয়ে লোকো পাইলট অর্থাৎ ট্রেনের চালকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। জানতে চেয়েছিলেন তাঁদের সমস্যার কথা। তাঁরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন না বলে পরে অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। এরপরেই লোকো পাইলটদের নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে নাম না করে বিরোধী দলনেতাকে নিশানা করেন রেলমন্ত্রী অশ্বীনি বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীরা নাটক করছেন। ভুল তথ্য দিয়ে লোকো পাইলটদের কাজে অনুৎসাহী করে তোলার চেষ্টা করছে বিরোধীরা।’’

    নাম না করে তাঁর পোস্টে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নিশানা করেন রেলমন্ত্রী

    বুধবার রেলমন্ত্রী (Ashwini Vaishnaw) নাম না করে তাঁর পোস্টে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নিশানা করেন। বিরোধী দলনেতার (Rahul Gandhi) আচমকা লোকো পাইলটদের সঙ্গে দেখা করার ঘটনাকে নাটক বলেও কটাক্ষ করেন রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব। তিনি বলেছেন, লোকো পাইলটেরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন। রেলমন্ত্রীর দাবি, দিনে গড়ে আট ঘণ্টা কাজ করতে হয় তাঁদের। গত মাসেই এই গড় ছিল। কোনও কারণে কাজের মেয়াদ বেড়ে গেলে বিশ্রামের জন্য বাড়তি সময় বরাদ্দ করা হয়।

    ২০১৪-র পর লোকো পাইলটদের কাজের পরিবেশের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে 

    রেলমন্ত্রীর দাবি, ২০১৪-র পর লোকো পাইলটদের কাজের পরিবেশের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। সারা দেশে লোকো পাইলটদের বিশ্রামের জন্য ৫৫৮টি রানিং রুম আছে। প্রায় সব ক’টিই এয়ার কন্ডিশনড। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ট্রেন চলাচলের সঙ্গে যুক্ত ৩৪ হাজার পদ বিগত কয়েক বছরে পূরণ করা হয়েছে। আরও ১৮ হাজার পদ পূরণের প্রক্রিয়া জারি আছে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কয়েকটি রেল দুর্ঘটনায় আলোচনায় ট্রেনের চালকদের শরীর-স্বাস্থ্যের বিষয়টি সামনে আসে। ঠিক এই আবহে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েন রাহুল। কিন্তু রাহুলের দাবি যে সর্বৈব মিথ্যা তা রীতিমতো তথ্য পরিসংখ্য়ান তুলে ধরে প্রমাণ করেন রেলমন্ত্রী।

    লোকো পাইলটদের বক্তব্য নিয়ে আগেই ভিডিও প্রকাশ করেছিল উত্তর রেল 

    প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) নিউ দিল্লি স্টেশনে লোকো পাইলটদের রেস্ট রুমে গিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত লোকো পাইলটদের একাংশ তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। সেই ছবি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সৌজন্যে সামনেও আসে। পরে উত্তর রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বিবৃতি দিয়ে দাবি করেন, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা বহিরাগত। রেলের লোকো পাইলট নন। উত্তর রেল এরপর একাধিক লোকো পাইলটের ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। ভিডিও সাক্ষাৎকারে ট্রেন চালকেরা জানান, তাঁদের কাজের পরিবেশ এবং সুযোগ সুবিধা আগের তুলনায় যথেষ্ট ভাল। তাঁরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন। তখনই  বোঝা যায় রাহুলের দাবি ঠিক কতটা মিথ্যা। এরপর সামনে আসে রেলমন্ত্রীর ট্যুইট। এর আগে লোকসভায় রাহুল (Rahul Gandhi) এক নিহত অগ্নিবীরের পরিবার ক্ষতিপূরণের বিষয়েও লোকসভায় মিথ্যা তথ্য তুলে ধরেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়! তৈরি হচ্ছে ২,৫০০ কোচ, অনুমোদন আরও ১০ হাজার, জানাল রেল

    Indian Railway: ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়! তৈরি হচ্ছে ২,৫০০ কোচ, অনুমোদন আরও ১০ হাজার, জানাল রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ২,৫০০ ট্রেনের (Indian Railway) কোচ তৈরি হচ্ছে। এর পাশাপাশি ১০ হাজারেরও বেশি নতুন কোচ তৈরি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার একথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। উদ্দেশ্য হিসেবে তিনি জানান, এমন উদ্যোগ কেন্দ্র সরকার নিয়েছে রেলের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্যই। সারাদেশে যাতে যাত্রীরা সুবিধা পান। শুক্রবারই রাজধানী দিল্লিতে রেলমন্ত্রী (Indian Railway) হাজির ছিলেন একটি অনুষ্ঠানে এবং সেখানেই তিনি এই কথাগুলি বলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ৫০টি নতুন অমৃত ভারত ট্রেনের কাজ শুরু হয়েছে। গত বছরে এমন দুটো ট্রেনের উদ্বোধনও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একটি মালদাতে অপরটি দ্বারভাঙ্গাতে।

    গত বছরেই ৫,৩০০ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন পাতার কাজও শেষ হয়েছে

    রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, যাত্রী পরিষেবা (Non AC Coaches), যাত্রী নিরাপত্তার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সারা দেশজুড়ে ঢেলে সাজানো হচ্ছে রেলের পরিকাঠামোকে। গত বছরেই ৫,৩০০ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন পাতার কাজও শেষ হয়েছে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৮০০ কিলোমিটার রেল লাইন পাতা হয়েছে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কবচ সিস্টেমকে আরও অত্যাধুনিক করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    তৈরি হচ্ছে ৫ হাজার ৩০০ মালগাড়ির কোচ (Indian Railway) 

    জানা গিয়েছে, মালবহনের জন্য আরও ৫ হাজার ৩০০টি কোচ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়ছে ভারতীয় রেলের। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে যাত্রীদের সংখ্যা। একইভাবে পণ্য পরিবহনের জন্যও অতিরিক্ত মালগাড়ি তৈরির দাবি রয়েছে। চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এই ১৫ হাজার ৩০০ নতুন কোচ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন রেলের এক শীর্ষ কর্তা। জানা গিয়েছে, ২ হাজার ৬০৫টি কোচ (Non AC Coaches) তৈরি করা হবে অমৃত ভারতের সাধারণ কোচের আদলে। বাকিগুলির মধ্যে ১ হাজার ৪৭০টি নন-এসি স্লিপার কোচ এবং ৩২৩টি এসএলআর (সিটিং-কাম-লাগেজ রেক) কোচ তৈরি করা হবে। এছাড়াও ৩২টি উচ্চ-ক্ষমতার পার্সেল ভ্যান এবং ৫৫টি প্যান্ট্রি কার তৈরি করা হচ্ছে, যা যাত্রীদের (Indian Railway) বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে এবং লজিস্টিক প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ashwini Vaishnaw: বিনিয়োগ ১০ হাজার কোটি! শীঘ্রই চালু কেন্দ্রের ‘ইন্ডিয়া এআই মিশন’, এর লক্ষ্য কী?

    Ashwini Vaishnaw: বিনিয়োগ ১০ হাজার কোটি! শীঘ্রই চালু কেন্দ্রের ‘ইন্ডিয়া এআই মিশন’, এর লক্ষ্য কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগামী দু’তিন মাসের মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকার ইন্ডিয়া এআই মিশন (AI Mission) চালু করতে চলেছে কেন্দ্র। দেশীয় শিল্পের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেমকে সমর্থন করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বুধবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)।

    কী বললেন অশ্বিনী বৈষ্ণব? (Ashwini Vaishnaw)

    তিনি বলেন, “পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে আমরা ১০ হাজার কিংবা তারও বেশি গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট কেনা হবে। যাতে করে বৃহত্তর লক্ষ্যে শিল্পক্ষেত্রের দক্ষতাকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায়।” তিনি বলেন, “আমরা একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইননোভেশন সেন্টারও খুলব। সেখানে হাই কোয়ালিটি ডেটা সেট করা থাকবে। এটা স্টার্টআপদের প্রচেষ্টার গুরুত্ব বাড়িয়ে দেবে।” মন্ত্রী (Ashwini Vaishnaw) বলেন, “একটা অ্যাপ তৈরি করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। আর্থ-সমাজিক সমস্যাগুলির ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হবে এই অ্যাপ। স্কিল ডেভেলপমেন্টকেও আমরা গুরুত্ব দেব।” শুরু হয়েছে ‘গ্লোবাল ইন্ডিয়া এআই সামিট ২০২৪’। এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী।

    জিপিইউ-এর গুরুত্ব

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে একটি হাই-পারফর্মেন্স জিপিইউ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ এআই সিস্টেম জটিল ডিপ লার্নিং মডেল এবং বৃহদাকার ডেটাসেট হ্যান্ডেল করে। যখনই এর সঙ্গে হাই-পারফর্মেন্স জিপিইউ ব্যবস্থা যোগ করা হবে, তখনই প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কলোডের ক্ষেত্রে এর পারফর্মেন্স হবে অনন্য সাধারণ। প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে আগেই দ্বিতীয় মোদি সরকারের মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছিল ইন্ডিয়া এআই মিশনে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই মিশনের (AI Mission) নকশা তৈরি পর্বে যে অনুমোদন মিলেছে, তা এই সেক্টরে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে।

    আর পড়ুন: “আলোচনার কোনও সীমাবদ্ধতা নেই”, মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে বলল মস্কো

    প্রাইভেট কোম্পানিগুলি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডেটা সেন্টার খুলতে পারবে। কেবল তা-ই নয়, স্টার্টআপ অ্যাক্সেসকে অনুমোদন দেবে, যাতে করে তারা তাদের এআই মডেল পরীক্ষা এবং ডেভেলপ করতে পারে। কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তি অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। অনেক ভৌগোলিক অঞ্চলে এটি কয়েকজনের হাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে – বড় প্রযুক্তি সরকার নিয়ন্ত্রিত।” প্রযুক্তির সুফল সবাই যাতে কুড়োতে পারে, সেই ব্যবস্থার ওপর জোর দেন মন্ত্রী। পাবলিক ইনফ্রাকস্ট্রাকচারে ভারত যে ক্রমেই ডিজিটাল মোডের দিকে ঝুঁকছে, সেই উদাহরণও এদিন দেন মন্ত্রী (Ashwini Vaishnaw)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share