Tag: Assam

Assam

  • Himanta Biswa Sarma: অসমের ভবিষ্যতের পক্ষে ‘সেফগার্ড’ ডিলিমিটেশনের সিদ্ধান্ত, জানালেন হিমন্ত

    Himanta Biswa Sarma: অসমের ভবিষ্যতের পক্ষে ‘সেফগার্ড’ ডিলিমিটেশনের সিদ্ধান্ত, জানালেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে (Assam) ডিলিমিটেশনের (Delimitation) সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রবিবার নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ব্রেক-থ্রু আখ্যা দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। অসমের ভবিষ্যতের পক্ষে এটি সেফগার্ড বলেও জানিয়েছেন তিনি। ডিলিমিটেশনের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা।

    নির্বাচন কমিশন…

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন আগেই আদেশে জানিয়েছে অসমে ১ জানুয়ারি থেকে ডিলিমিটেশনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। সেই কারণে ১ জানুয়ারি, ২০২৩ থেকে কোনও জেলা কিংবা প্রশাসনিক ইউনিটে কোনও পরিবর্তন করতে পারবে না অসম সরকার। ২৭ ডিসেম্বরের আদেশে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল অসমের লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রগুলির জন্য ২০০১ সালের সেনসাসের রিপোর্টের ভিত্তিতে ডিলিমিটেশন করা হবে।

    আরও পড়ুুন: ফের টাকার পাহাড়ের খোঁজ কলকাতায়, ৫৬ লক্ষ নগদ টাকা সহ গ্রেফতার ৯

    নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে অসম প্রদেশ কংগ্রেস ও অল ইন্ডিয়া ডেমক্রেটিক ফ্রন্ট। ডিলিমিটশনের সিদ্ধান্তকে তারা রাজ্যের শাসক দল বিজেপির রাজনৈতিক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে। বিজেপি মেরুকরণের রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ অসমের বিরোধী দলগুলির। তাদের প্রশ্ন, ২০১১ সালের আদম সুমারির রিপোর্টের বদলে কেন মান্যতা দেওয়া হবে ২০০১ এর আদমশুমারির রিপোর্টকে। বিরোধীদের অভিযোগের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ২০২২ সালে ডিলিমিটেশনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা সেরা সিদ্ধান্ত। এনআরসি সফল হয়নি। অসম অ্যাকর্ডও চাহিদা পূরণ করতে পারেনি। তাই ডিলিমিটেশনই হল সেফগার্ড। অন্তত আগামী দু দশকের জন্য এটি অসমের পক্ষে সেফগার্ড হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজার কোনও অর্থ নেই। এটি সাংবিধানিক। তিনি বলেন, এটা করা হবে ডেটা অনুযায়ী।

    প্রসঙ্গত, অসমের বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, বিজেপি তাদের সুবিধার জন্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনগুলিকে পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। ২০১১ সালের পরিবর্তে ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের আদমশুমারিতে অসমের মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৩.৩ শতাংশ। যা দেশের মধ্যে সব চেয়ে বেশি। বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। তাদের অভিযোগ, বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্যই এহেন অভিযোগ করছেন বিরোধীরা।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rhino Poaching: কুড়ি বছরে এই প্রথম, ২০২২ সালে একটিও গন্ডার শিকার হয়নি অসমে

    Rhino Poaching: কুড়ি বছরে এই প্রথম, ২০২২ সালে একটিও গন্ডার শিকার হয়নি অসমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কুড়ি বছরে অসমে এই প্রথমবার। ২০২২ সাল জুড়ে একটিও গন্ডার শিকারের (Rhino Poaching) ঘটনা ঘটেনি এই রাজ্যে।

    মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কী বললেন  

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “বিভিন্ন টেকনোলজির সাহায্য আমরা নিয়েছি যাতে গন্ডার শিকার (Rhino Poaching) বন্ধ করা যায়। বন্য কর্মীদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল। তার সঙ্গে বিশেষ কমান্ডো মোতায়েন করা হয়েছিল। সম্মিলিত এই চেষ্টার ফলেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, যেটি গত কুড়ি বছরে প্রথম”।
    প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে এটি ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হয়তো প্রথম যেখানে বছরে একটিও গন্ডার শিকারের (Rhino Poaching) ঘটনা ঘটেনি। সরকারি রিপোর্ট বলছে, শেষবারের মতো বেআইনি গন্ডার শিকারের (Rhino Poaching) খবর পাওয়া গেছিল ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর খিলাকুন্দা নামক স্থানে, যেটি গোলাঘাট জেলায় অবস্থিত।

    গন্ডার শিকার (Rhino Poaching) রোধে টাস্ক ফোর্স গঠন
     

     

    ২০২১ সালের জুন মাসে অসম সরকার একটি টাস্ক ফোর্স নির্মাণ করে মোট ২২ জনকে নিয়ে। যার প্রধান করা হয় অসম পুলিশের ডিজিপিকে। সশস্ত্র বাহিনীও মোতায়ন করা হয় এই বেআইনি শিকার (Rhino Poaching) আটকানোর জন্য।

    এই টাস্ক ফোর্সে ১১ টি জেলার পুলিশ সুপারকে এবং  ৬ টি বনবিভাগের আধিকারিককে রাখা হয়। এই টাস্ক ফোর্স মূলত গোলাঘাট, নওগাঁ, করবি অঙ্গলং, বিশ্বনাথ, শান্তিপুর, দারং, মরিগাও, বক্সা, চিরাং, বারপেটা এবং মাজুলী জেলাগুলির উপর বিশেষ নজর রেখেছিল।

    গন্ডার শিকার (Rhino Poaching) অসমে একটা ধারাবাহিক অপরাধ হয়ে উঠেছিল ২০১৩-১৪ সাল নাগাদ। ওই সময়ের মধ্যে ২৭ টি গন্ডার শিকারের খবর সামনে আসে। ২০১৬ সালে ১৮ টির বেশি গন্ডারকে শিকার (Rhino Poaching) করা হয়, অন্তত পরিসংখ্যান তাই বলছে।

    সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে এখন বর্তমানে ২৬১৩ টি গন্ডার রয়েছে এবং এই সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, যারা শিকার (Rhino Poaching) করে তাদের কাছে একটা ভুল ধারণা থাকে যে গন্ডারের শিং এর থেকে ওষুধ তৈরি হয় এবং তার একটা ব্যাপক আর্থিক মূল্য রয়েছে কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভুল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Meteorite: পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি কীভাবে, জানাবে অসমে খসে পড়া উল্কাপিণ্ড!

    Meteorite: পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি কীভাবে, জানাবে অসমে খসে পড়া উল্কাপিণ্ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত বছর আগের এক রাতের নিকষ কালো আকাশের বুকে দেখা গিয়েছিল উজ্জ্বল আলোকখণ্ড। পরে সেটি দ্রুত গতিতে নীচের দিকে এসে সজোরে আছড়ে পড়ে মাটিতে। আসলে সেটি একটি উল্কাপিণ্ড (Meteorite)। অসমের (Assam) গোলাঘাট জেলার কামারগাঁও শহরের উপান্তে খসে পড়েছিল ওই উল্কাপিণ্ড।

    উল্কাপিণ্ড…

    সেই উল্কাপিণ্ড সংগ্রহ করে শুরু হয় গবেষণা। সেই গবেষণা থেকেই জানা গিয়েছে এই উল্কাপিণ্ডের মধ্যেই লুখিয়ে রয়েছে পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি হয়েছিল কীভাবে। এই উল্কাপিণ্ডে থাকা রাসায়নিক কম্পোজিশনগুলিই সমস্যার সমাধানে বড়সড় ইঙ্গিত দেবে বলে আশা গবেষকদের। অসমের মাটিতে আছড়ে পড়া ওই উল্কাপিণ্ডের মধ্যে থাকা রাসায়নিক বিশ্লেষণ করেন জানা যাবে নক্ষত্র থেকে কীভাবে জীবনের সূচনা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধ! মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি তালিবানের

    উল্কাপিণ্ডটি নিয়ে কাজ করছেন খড়্গপুর আইআইটির একদল গবেষক। তাঁদের দাবি, ভিন সৌরজগৎ থেকে আসা উল্কাপিণ্ড বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে খনিজের মধ্যে ভেসিক্যালস রয়েছে। এই প্রথম এটা জানা গেল। এটা থেকেই জানা যেতে পারে জগতে কীভাবে প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল। কেবল খড়্গপুর আইআইটি (IIT) নয়, আইআইটির সঙ্গে যৌথভাবে এই গবেষণা করছে জাপানের হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিও। এই গবেষণালব্ধ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অফ জিওগ্রাফিক্যাল রিসার্চ প্ল্যানেটসে।

    আরও পড়ুন: হয় কোভিড-বিধি মানুন, নয়তো ভারত জোড় যাত্রা বন্ধ করুন, রাহুলকে চিঠি মাণ্ডব্যর

    গবেষকরা জেনেছেন, অসমে যে উল্কাপিণ্ডটি (Meteorite) খসে পড়েছিল, সেটা এসেছে মঙ্গল ও বৃহস্পতির অ্যাস্টোরয়েড বেল্ট থেকে। দ্রুত গতিতে ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার সময় সেটির সঙ্গে ধাক্কা হয় কোনও গ্রহাণুর। জানা গিয়েছে, এই যে উল্কাপিণ্ডের সঙ্গে গ্রহাণুর সংঘর্ষ, তার ফলে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল গ্রহাণু। এরই কয়েকটি টুকরো আছড়ে পড়েছে ভূপৃষ্ঠে। অসমের কামারগাঁওয়ে যে উল্কাপিণ্ডটি আছড়ে পড়েছিল, সেটি যে গ্রহাণু থেকে এসেছিল, সেটি আকারে ৬.৪ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Project Vartak: চিনকে চাপে রাখতে অরুণাচল সীমান্তে পরিকাঠামো গড়ছে ভারত!

    Project Vartak: চিনকে চাপে রাখতে অরুণাচল সীমান্তে পরিকাঠামো গড়ছে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে লাল ফৌজ। মাঝে মধ্যেই চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার। অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই চিন(China) পরিকাঠামোও গড়ে তুলেছে বলে খবর। এসবেরই জবাব দিতে ফের একবার আস্তিন গোটাচ্ছে ভারতীয় সেনা। লাল ফৌজকে যোগ্য জবাব দিতে অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিকাঠামো গড়ছে ভারতও (India)। তাওয়াংয়ের ঘটনার পর এবার এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে প্রজেক্ট ভারটক (Project Vartak)। এই প্রজেক্টের চিফ ইঞ্জিনিয়র ব্রিগেডিয়ার রামন কুমার সংবাদ মাধ্যমকে জানান বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন রাস্তার উন্নয়ন করছে, সংস্কার করা হচ্ছে রাস্তাঘাট। পশ্চিম অসম এবং পশ্চিম অরুণাচল প্রদেশে ইতিমধ্যেই এ কাজ শুরু হয়েছে।

    রামন কুমার বলেন…

    প্রজেক্টের চিফ ইঞ্জিনিয়র ব্রিগেডিয়ার রামন কুমার বলেন, আমাদের ন্যাশনাল হাইওয়ে রয়েছে, সিঙ্গল লেন রোডস, ডাবল লেন রোডস এবং অন্যান্য ধরনের রাস্তা আছে। আমরা তাওয়াং জেলার প্রত্যন্ত এলাকার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চাই। এলাকার আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোর উন্নয়নও করতে চাই আমরা। তিনি জানান, দুটি টানেলের কাজও চলছে। একটি হল সেলা টানেল, অন্যটি নেচিপু টানেল। শীতকালে বরফ পড়ে। তখন যাতায়াতে সমস্যা হয়। সেই সমস্যার সমাধান করতেই তৈরি করা হচ্ছে দুটি টানেল। তিনি বলেন, সেলা টানেলের কাজ চলছে। এটি সেলা পাসের চারশো মিটার নীচে। টানেলের কাজ শেষ হয়ে গেলে এই এলাকার লোকজন শীতকালে বরফ পড়ার সময়ও অনায়াসে একস্থান থেকে অন্যত্র যাতায়াত করতে পারবেন টানেলের মাধ্যমে।

    আরও পড়ুন: ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে পারেন মমতা, কেন জানেন?

    চিফ ইঞ্জিনিয়র ব্রিগেডিয়ার রামন কুমার বলেন, আমরা নেচিপু টানেলেও কাজ করছি। এটা নেচিপু পাসের কাছেই। টানেল দুটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সেনার পাশাপাশি সাধারণ যানবাহনও চলাচল করতে পারবে। টানেলের মাধ্যমে যাতায়াত হবে অনায়াস। তিন বলেন, এটা যে কেবল সেনা এবং এলাকাবাসীর উপকারে লাগবে তা নয়, উন্নত হবে এলাকার পর্যটন শিল্পও। রাস্তার পরিকাঠোমা উন্নয়নের পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায়ও যাতে মোবাইল কানেকটিভিটি মেলে, সেজন্য তাওয়াং এবং সীমান্তের অন্যত্র বসানো হচ্ছে মোবাইল টাওয়ারও। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ৯ তারিখে তাওয়াংয়ে হাতাহাতি হয় ভারতীয় সেনা ও লাল ফৌজের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Assam: ফেব্রুয়ারিতে দু দিনের বিশেষ ছুটি ঘোষণা অসম সরকারের, কেন জানেন?

    Assam: ফেব্রুয়ারিতে দু দিনের বিশেষ ছুটি ঘোষণা অসম সরকারের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজের চাপে সময় দেওয়া যাচ্ছে না বাবা-মাকে। কর্মসূত্রে অনেকেই থাকেন দূর-দুরান্তে। বাবা-মা আগলে বসে থাকেন ভিটে। তাই দূরত্ব বাড়ছে মা বাবার সঙ্গে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য চলতি বছর থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য দু দিনের বিশেষ ক্যাজুয়েল লিভের ব্যবস্থা করেছে অসমের (Assam) বিজেপি (BJP) সরকার। আগামী বছরও মিলবে ছুটি। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়ে দিয়েছে অসম সরকার। এ বছর ছুটি ছিল জানুয়ারিতে (January)। আগামী বছর ছুটি মিলবে ফেব্রুয়ারিতে। ফেব্রুয়ারির ৯ এবং ১০ তারিখ এই দু দিন ছুটি। কর্মীরা চাইলে ওই দু দিন ছুটি না নিয়ে অন্য সময় নিতে পারেন।

    অসমই প্রথম?

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ছুটি দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তবে এ দেশে এর চল নেই বলেই মনে হয়। অসমই প্রথম রাজ্য যারা এটা চালু করেছে। চলতি বছর মা-বাবার সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য অসমে ছুটি দেওয়া হয়েছিল ৬ ও ৭ জানুয়ারি। অনেক কর্মী ওই দিনই ছুটি নিয়েছেন। অনেকে আবার অন্য ছুটির সঙ্গে এই দু দিন জুড়ে দিয়ে দীর্ঘায়িত করে নিয়েছেন ছুটির তালিকা। সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই যে দু দিনের বিশেষ ছুটি, সেই ছুটি দিনের দিন না নিয়ে শনি-রবিবারের সঙ্গে জুড়ে দিয়েও নেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে মা-বাবার সঙ্গে কাটানোর জন্য মিলবে টানা চারদিন। এই বিশেষ ছুটি পেতে গেলে কীভাবে আবেদন করতে হবে, তা একটি স্পেশাল ওয়েব পোর্টাল মারফত জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, অসম মহিলা কমিশনের নোটিশ মুসলিম সাংসদকে

    ২০২১ সালে অসমের (Assam) ক্ষমতায় আসে হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। ওই বছরই ১৫ই অগাস্টের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বলেছিলেন, সরকারি কর্মীরা যাতে মা-বাবা এবং শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন, তাই দু দিনের বিশেষ ছুটি দেওয়া হবে। পরে মন্ত্রিসভা সায় দেয় এই প্রস্তাবে। তার পরেই চলতি বছর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় জানুয়ারির ৬ এবং ৭-এ। হিমন্ত জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্য সচিব এবং পুলিশের ডিজি ছাড়া এই ছুটি সবাই পাবেন। এমনকী মন্ত্রীরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Himanta Biswa Sarma: ‘হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়, তারা কখনওই সন্ত্রাসে জড়ায় না’, বললেন হিমন্ত

    Himanta Biswa Sarma: ‘হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়, তারা কখনওই সন্ত্রাসে জড়ায় না’, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়। তারা কখনওই সন্ত্রাসে জড়ায় না। বৃহস্পতিবার একথা বলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি বলেন, হিন্দুরা (Hindus) সচরাচর দাঙ্গায় জড়িত থাকে না। এই সম্প্রদায় জিহাদে বিশ্বাস করে না। ভারতে নানা সময় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটছে। এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়। এদিন রাহুল গান্ধী সম্পর্কে সাদ্দাম হুসেন মন্তব্য নিয়েও উত্তর দিয়েছেন হিমন্ত।

    হিমন্ত উবাচ…

    এদিন একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেখানেই এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়। তারা দাঙ্গা করে না। তিনি বলেন, সম্প্রদায় হিসেবে হিন্দুরা জিহাদে বিশ্বাস করে না। হিন্দু সম্প্রদায় কখনও দাঙ্গায় জড়াবে না। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাটের এক জনসভায় বলেছিলেন, উচিত শিক্ষা দেওয়ায় সমাজবিরোধীরা হিংসা করা বন্ধ করেছে। তার পরেই হিমন্তের এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বই কি! ওই সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, গুজরাটে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে বিজেপি।

    এদিন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও একহাত নেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাহুলকে সুন্দর দেখতে। তাঁর গ্ল্যামার রয়েছে। কিন্তু এখন ছবি তুলে সাদ্দাম হুসেনের ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন। প্রসঙ্গত, ২৩ নভেম্বর হিমন্ত বলেছিলেন, রাহুল গান্ধীকে সাদ্দাম হুসেনের মতো দেখায়। ইরাকের একনায়ক ছিলেন সাদ্দাম। হিমন্ত এও বলেছিলেন, তিনি বরং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, জওহরলাল নেহরু বা মাহাত্মা গান্ধীর মতো লুক নিলে ভাল করতেন।

    আরও পড়ুন: মাদ্রাসাগুলি ছিল আল-কায়দার অফিস, বিস্ফোরক হিমন্ত! জানেন কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী?

    কংগ্রেসে থাকায় তাঁর জীবনের মূল্যবান ২২টা বছর নষ্ট হয়েছে বলেও ওই সাক্ষাৎকারে জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কংগ্রেসে থাকাকালীন আমরা একটি পরিবারের ভজনা করতাম। আর বিজেপিতে আমরা পুজো করি দেশের। এর পরেই তিনি বলেন, কংগ্রেসে থেকে জীবনের ২২টা বছর নষ্ট করেছি আমি। আদর্শগত কারণেই যে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, এদিন তা মনে করিয়ে দিয়েছেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: উচ্চ মাধ্যমিক পাশ মেধাবীদের স্কুটার দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: উচ্চ মাধ্যমিক পাশ মেধাবীদের স্কুটার দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের স্কুটার বিলি করলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের হাতে ওই স্কুটার (Scooter) তুলে দেন তিনি। প্রয়াগ ভারতী প্রকল্পের অধীনে দেওয়া হয়েছে ডাঃ বাণীকান্ত কাকাতি মেরিট অ্যাওয়ার্ড। চলতি বছর সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮০০ জন। এর মধ্যে ছাত্র রয়েছে ৬ হাজার ৫২ জন। আর ছাত্রীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৪৮ জন।

    পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা…

    তবে মুফতে মেলেনি এই পুরস্কার। এজন্য পুরস্কার দাতাদের তরফে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল মাণদণ্ড। যেসব ছাত্র অসম হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন কাউন্সিল থেকে ৭৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন, তাঁদেরই হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্কুটার। ছাত্রীদের ক্ষেত্রে নম্বরের গণ্ডি ছিল ৬০ শতাংশ। এদিন মূল অনুষ্ঠানটি হয় কামরূপ জেলায়। কামরূপ মেট্রোপলিটনের পড়ুয়াদের হাতে স্কুটারের চাবি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। অসম সরকারের এক আধিকারিক বলেন, বাকি পুরস্কার প্রাপকের হাতে স্কুটারের চাবি তুলে দেওয়া হবে চলতি বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে।

    এদিনের অনুষ্ঠান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক মাইলস্টোন তাঁদের জীবনে, যাঁরা ডাঃ বাণীকান্ত কাকাতি মেরিট অ্যাওয়ার্ড প্রাপকদের তালিকা তৈরি করেছেন। এটা সমাজের তরফে একটা উপহার এবং আশীর্বাদ তাঁদের, যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেছেন।

    আরও পড়ুন: অসম-মেঘালয় সীমান্তে মাফিয়া-পুলিশ সংঘর্ষ, নিহত ৬, বন্ধ ইন্টারনেট

    হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma) বলেন, আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বিকাশের মূল মন্ত্র হয়ে উঠবে ডিজিটাইজেশন। তাই ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবনের ওপর জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, এতে কী হবে, কোনও এক ব্যক্তি চাকরি খোঁজার চেয়ে অন্যদের চাকরি দেবেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁরা মেধাবী, তাঁদের সব সময় লক্ষ্য হওয়া উচিত আকাশছোঁয়া। অদূর ভবিষ্যতে তোমরা যদি নিজেদের গ্রেড ৩ কিংবা গ্রেড ৪ এর চাকরিতে বেঁধে ফেল, তাহলে তা হবে তোমাদের মেধার অপব্যবহার। আগামী বছর থেকে মেধাবীদের ইলেকট্রিক স্কুটার দেওয়া যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)। তাঁর মতে, এতে জ্বালানির খরচ কমবে। আরও একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে বলেও এদিন জানান হিমন্ত। তিনি জানান, যেসব ছাত্রী স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হবেন, তাঁদের বছরে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Hindu: হিন্দুদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য,  ক্ষমা চাইলেন বদরুদ্দিন আজমল

    Hindu: হিন্দুদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন বদরুদ্দিন আজমল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার একদিন পর, অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) প্রধান বদরুদ্দিন আজমল শনিবার ‘ক্ষমা’ চেয়ে বলেন যে কারও অনুভূতিতে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না।

    আজমলের বিবৃতি

    “কোনও সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্যই আমার ছিল না। আমি আমার বক্তব্যে গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। একজন সিনিয়র নেতা হিসেবে আমার এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি। আমার মন্তব্যে আহত সকলের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। গতদিনের বিবৃতিতে আমি লজ্জিত। সরকার যেন সংখ্যালঘুদের প্রতি ন্যায়বিচার করে এবং তাদের জন্য  শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে, এটুকুই আমার প্রত্যাশা।” এটাই ছিল আজমলের এদিনের বিবৃতি। তাঁর আরও সংযোজন , জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আমাদের ভাবার প্রয়োজন আছে।

    আরও পড়ুন: খোশমেজাজে জেলবন্দি আফতাব! দিন কাটছে দাবা খেলে, বই পড়ে

     প্রসঙ্গত গত শুক্রবার বদরউদ্দিন আজমল বলেছিলেন যে মুসলমানদের মতো হিন্দুদেরও অল্প বয়সে বিয়ে করা উচিত।

    “মুসলিম পুরুষরা ২০-২২ বছর বয়সে বিয়ে করে আর মুসলিম মহিলারা ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করে, যেমনটি সরকারি আইন রয়েছে। তবে, তাদের (হিন্দুদের) বিয়ের আগে একটি দুটি বা তিনটি অবৈধ স্ত্রী থাকে। তারা সন্তানের জন্ম দেয় না”। এমনটাই শুক্রবার বলেছিলেন এআইইউডিএফ প্রধান।

    মিঃ আজমল বলেন, “তাদেরও (হিন্দুদের) মুসলমানদের অনুসরণ করা উচিত এবং অল্প বয়সে বিয়ে করা দরকার। ছেলেদের ২০-২২ বছর বয়সে এবং মেয়েদের ১৮-২০ বছর বয়সে বিয়ে দিন এবং তারপর দেখুন কত সন্তানের জন্ম হয়। “

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    আসামের বিজেপি বিধায়ক দিগন্ত কলিতা, এআইইউডিএফ প্রধানের এই মন্তব্যের জন্য তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, “ওনার বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া উচিত। আমাদের বদরউদ্দিন আজমলের কাছ থেকে শেখার দরকার নেই। এটা ভগবান রাম এবং দেবী সীতার দেশ। এখানে বাংলাদেশিদের কোনো জায়গা নেই”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Assam Madrasa: অসমের মাদ্রাসায় জিহাদি শিক্ষা! গ্রেফতার ২ শিক্ষক

    Assam Madrasa: অসমের মাদ্রাসায় জিহাদি শিক্ষা! গ্রেফতার ২ শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি শিক্ষক (Teacher)। ছাত্রছাত্রীদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করাই তাঁর ব্রত। অথচ তিনি শিক্ষা দিতেন হিন্দুদের (Hindu) ধ্বংস করতে! পড়ুয়াদের শেখাতেন, যারা হিন্দুদের ধ্বংস করতে পারবে, তারা আল্লাহর কাছ থেকে বিশেষ আশীর্বাদ পাবে। অন্ততঃ আসামের এক মাদ্রাসার (Assam Madrasa) এক পড়ুয়ার অভিযোগ এমনই। শুধু তাই নয়, ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষক জিহাদির শিক্ষাও দিতেন বলে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে।

    আসামের কাছাড় জেলায় রয়েছে স্বাধীন বাজার ইসলামিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা। এই মাদ্রাসারই (Assam Madrasa) দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁদের দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে সোনাই টাউন থেকে। ওই মাদ্রাসার বছর চোদ্দর এক পড়ুয়ার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে দায়ের হয় এফআইআর। তার ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেফতার করে সোনাই থানার পুলিশ। সোনাই থানার পুলিশ আধিকারিক জোসেফ কেইভম বলেন, যে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁরা হলেন, বছর একান্নর আবদুর হুসেন লস্কর এবং বছর আঠাশের দিলওয়ার হুসেন মজুমদার।

    ছাত্রের অভিযোগ…

    সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসাম মাদ্রাসার (Assam Madrasa) ওই ছাত্র বলে, ওই দুই শিক্ষক প্রায়ই আমাদের বলতেন, যদি হিন্দুদের ধ্বংস করতে পার, তাহলে আল্লাহর কাছ থেকে বিশেষ আশীর্বাদ পাবে। রাত্রি ১১টার স্পেশাল ক্লাসে যারা উপস্থিত থাকবে না, তাদের হত্যা করার হুমকিও দেওয়া হত বলে অভিযোগ। মাদ্রাসার ওই পড়ুয়া বলে, শারীরিক সমস্যার জন্য স্পেশাল ক্লাসে যেতে পারব না বলায় তাঁরা আমাকেও হত্যার হুমকি দেন। সে বলে, তাঁরা আমার রুমে ঢুকে ওষুধপত্র পুড়িয়ে দেন। নির্দয়ভাবে মারতে থাকেন। আমাকে একটি ঘরে বন্দিও করে রাখেন। পরে মাদ্রাসা থেকে ওই ছাত্রকে বাড়ি নিয়ে যান তার বাবা।

    আরও পড়ুন: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম

    যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। স্বাধীন বাজার ইসলামিয়া মাদ্রাসা এতিমখানার তরফে ফকরুল ইসলাম লস্কর বলেন, ছেলেটি অপরাধমূলক নানা কাজকর্ম করত। শিক্ষকরা তাকে সৎপথে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁরা ছড়ি ব্যবহার করতেন। তিনি বলেন, এটা একজন শিক্ষক করতেই পারেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Assam Minor Rape: নাবালিকার ধর্ষণ-খুনকে আত্মহত্যা! আসামে গ্রেফতার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, সরকারি চিকিৎসক!

    Assam Minor Rape: নাবালিকার ধর্ষণ-খুনকে আত্মহত্যা! আসামে গ্রেফতার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, সরকারি চিকিৎসক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসামে ১৩ বছরের নাবালিকা পরিচারিকা ধর্ষণ এবং খুনের (Assam Minor Rape) মামলায় কর্তব্য পালন না করার অভিযোগে গ্রেফতার দরং জেলার জেলাশাসক। এমনটাই জানালেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

    কী অভিযোগ? 

    ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আসাম পুলিশের দুর্নীতির বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পরিচারিকা হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে একথা জানিয়েছে সিআইডি। হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যার রূপ দিতে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। এই ঘটনায় ভুয়ো পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তৈরির দায়ে মঙ্গলবার তিন চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। সোমবার দরং জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে গ্রেফতার হয়েছেন। এর এক দিন পরেই গ্রেফতার হয়েছেন ধুলা থানার ওসি। দরং জেলার পুলিশ সুপার এখনও নিখোঁজ।

    আরও পড়ুন: ১০-১৫ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত, বললেন অর্থমন্ত্রী

    কী ঘটেছিল?

    চলতি বছর জুন মাসে আসামের দরং জেলার ধুলা থানার ঢেকিয়াজুলি এলাকার এসএসবি জওয়ান কৃষ্ণকমল বরুয়ার বাড়িতে তেরো বছরের কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন নাবালিকা। তাঁর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে স্থানীয় পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও আত্মহত্যার কথাই বলা হয়। কিন্তু কিশোরীর মা-বাবার অভিযোগ করেন, তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। কারণ,মৃতদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গোপনাঙ্গে রক্তের দাগ ছিল। ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। সঠিক তদন্তের আশ্বাস দেয় রাজ্য সরকার। আন্দোলনের চাপে ফের ময়নাতদন্ত করতে বাধ্য হয় পুলিশ।

    এরপর রাজ্য সরকারের নির্দেশে ফের ময়নাতদন্ত করা হয়। এবং তাতে ধর্ষণের করার প্রমাণ মেলে। ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায়, বাড়ির মালিক কৃষ্ণকমল বরুয়া ধর্ষণ করেছে। ময়নাতদন্তের এই রিপোর্ট আসার পর আসাম  পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে। ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। সেদিন তিনি এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব সিআইডিকে দেন। সিআইডির বিশেষ টিম গত ১২ অগাস্ট  তদন্ত নামে। সিআইডির তদন্তে দেখা যায় মৃতদেহ উদ্ধারের সময় ভিডিওগ্রাফি করেনি পুলিশ। এমনকি ফুটপ্রিন্টও নেওয়া হয়নি। এরপর এক এক করে দুর্নীতির তথ্য সামনে আসতে শুরু করে।        

    হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, এক সাংবাদিক এই মামলার বিষয়ে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ জানান এবং দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। তারপরেই এই মামলার তদন্ত ভার তিনি দেন সিআইডিকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share