Tag: Assam

Assam

  • Assam: আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা! দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    Assam: আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা! দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম (Assam) জিহাদি কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। জঙ্গিরা নানা ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। নিজেদের মধ্যে সংগঠনের কাজ চালাতে নানান ধরনের আধুনিক অ্যাপ ব্যবহার করছে তারা। যাতে করে সহজে তাদের নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। অভিমত, খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himanta Biswa Sarma)। সাম্প্রতিককালের পাঁচটি ঘটনায় বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন আনসারুল ইসলামের (Ansarul Islam) যোগ মিলেছে বলে জানিয়েছেন হিমন্ত। গোটা বিষয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। প্রশাসন কাজ করছে, তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে, বলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সন্দেহভাজন মনে হল পুলিশকে খবর দিতে বলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে ভূস্বর্গে তিরঙ্গা মিছিল, জাতীয় সঙ্গীতও গাইল পড়ুয়ারা

    এদিন উদ্বেগের সঙ্গে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “আনসারুল ইসলামের সদস্য ৬ জন বাংলাদেশি অসমে ঢুকেছে। এরা রাজ্যে ঢুকে তরুণ প্রজন্মকে মৌলবাদী মগজধোলাই দিচ্ছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে বারপেতা (Barpeta) থেকে এদের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।” হিমন্ত অভিযোগ করেন, রাজ্যে বাইরের লোক ঢুকে মাদ্রাসায় ছাত্রদের মগজধোলাই করছে। যা রীতিমতো আতঙ্কের বিষয়। তিনি বলেন, “জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে ফোনে কথোপকথন করে না। ফোন ট্যাপ হওয়ার ভয়ে তারা বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে। টেলিগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপের অনুরূপ অ্যাপ তৈরি করে নিজেদের মধ্যে প্রচার চালায় তারা। এর ফলে সহজে তাদের ট্র্যাক করা যায় না।”

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসে কি গণতন্ত্র রয়েছে? পরিবারতন্ত্রই সম্বল, রাহুলকে তোপ বিজেপির

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “জঙ্গি কার্যকলাপ আর জিহাদি কাজের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে মগজধোলাই দেওয়া থেকে বিষয়টা শুরু হয়। এরপরে ইসলামী মৌলবাদের প্রচারে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সব শেষে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া।” অসম পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) হীরেন নাথ জানান, ধরা পড়া জঙ্গিদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে দেখা গিয়েছে, তারা বিশেষ বিশেষ গ্রুপ ব্যবহার করে। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে কাজ চালায় তারা। তারা কীভাবে প্রচার চালায় তা অভিযানের সময় প্রাপ্ত বিভিন্ন নথি থেকে  জানা গিয়েছে। কিন্তু এখনই নিরাপত্তার খাতিরে তা বিশদে বলা সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: অভিবাদন প্রিয়তমা! যুদ্ধ ভুলে ভারতে হিন্দু রীতিতে বিয়ে ইউক্রেনীয়-রুশ যুগলের

     

  • Al-Qaeda: অসমে আল-কায়দা প্রধানের ভিডিওবার্তা! সতর্ক করল পুলিশ

    Al-Qaeda: অসমে আল-কায়দা প্রধানের ভিডিওবার্তা! সতর্ক করল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব ভারতেও জাল বুনছে আল কায়দা (Al-Qaeda)। নজরে ভারত ও তৎসংলগ্ন দেশগুলির যুব সমাজ। উত্তর পূর্বের রাজ্য অসমে আল কায়দা (Al-Qaeda) জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষনেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির একটি ভিডিওবার্তা সামনে আসার পর থেকেই এই জল্পনা আরও ঘণীভূত হচ্ছে। এ বিষয়ে সতর্ক করে অসম পুলিশ জানিয়েছে, আল কায়দার ভারতীয় উপ মহাদেশীয় শাখা (Al-Qaeda in Indian Sub continent)  বা সংক্ষেপে ‘আকিস’ (AQIS) এখন অসমে ঘাঁটি গাড়তে চাইছে। এই গোষ্ঠী তাদের ম্যাগাজিনের সর্বেশেষ সংস্করণটি বাংলায় প্রকাশ করেছে।

    অসম পুলিশের DG ভাস্করজ্যোতি মহন্ত (Bhaskar Jyoti Mahanta) বলেন, “ম্যাগাজিনের সংস্করণ বাংলায় প্রকাশ করার অর্থই হল আল-কায়দা বাংলাদেশ ও অসমের বাংলাভাষী অঞ্চলে নিজেদের সংগঠন সম্প্রসারণ করতে চাইছে।” তাদের উদ্দেশ্য হল, আল-কায়দার ভাবধারা ছড়িয়ে দেওয়া। এর জন্য তারা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যে নেটনাগরিকদের মধ্যে আল-কায়দার প্রতি একই ধরনের আবেগ রয়েছে, তাদের মগজধোলাই করে জিহাদি কার্যকলাপের দিকে এগিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই অসমে সেই কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা।

    আরও পড়ুন: আল-কায়দা যোগ! অসমে আটক ১১ জন

    গোয়েন্দাদের হাতে আসা তথ্য বলছে, মূলত টেকসেভি তরুণ সমাজকে দলে টানাই এই জিহাদিদের প্রধান লক্ষ্য। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের ইসলামের নামে খুন করতেও উৎসাহ দেয় এই সংগঠন। তাদের নিশানায় থাকেন মূলত জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতারা। এর পাশাপাশি, আল-কায়দার প্রতি সহানুভূতিশীল ধনী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা তুলে মোটা তহবিল তৈরি করাও এই জঙ্গি মডিউলের অন্যতম কাজ।

    অসমে এখন সক্রিয় রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়দা (Al-Qaeda)! সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাক্রম থেকেই এই বিষয়টি সামনে এসেছে। মূলত, সাইবার দুনিয়ায় আল-কায়দার প্রোপাগান্ডা মেনে কাজ করছে এই সংগঠনের সদস্যরা। গত দুদিনে প্রায় ১১ জন জঙ্গি ধরা পড়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, গত কয়েকদিনে জঙ্গিযোগ রয়েছে সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না।

  • Al-Qaeda arrested: আল-কায়দা যোগ! বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার অসমের যুবক

    Al-Qaeda arrested: আল-কায়দা যোগ! বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার অসমের যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আল কায়দার (Al-Qaeda) সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ২৪ বছর বয়সী অসমের এক যুবককে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করল সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের (Central Crime Branch) অফিসারেরা। রবিবার ভোর রাতে ৩০ সদস্যের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর (South Bengaluru) জয়নগরের কাছে তিলকনগরে ওই যুবকের বাড়িতে হানা দেয়। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। 

    প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে বেঙ্গালুরু আসে আখতার হুসেন নামে ওই যুবক। সেখানে খাবার ডেলিভারির কাজ করত। অসম থেকে আসা আরও তিনজন ছেলের সঙ্গে একটি মেসে থাকত সে। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার (Bengaluru police commissioner) সিএইচ প্রতাপ রেড্ডি জানান, হুসেনের তিন রুমমেটকেও জেরা করা হচ্ছে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়েই অভিযান চালানো হয়। হুসেনের সঙ্গে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার যোগাযোগ রয়েছে। দেশে ধর্মীয় হিংসা ছড়ানো এবং দেশে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দেওয়ারও প্রমাণ মিলেছে আখতারের বিরুদ্ধে। তবে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য সামনে আসবে, বলে দাবি পুলিশের।

    আরও পড়ুন: দেশভাগ যন্ত্রণার! এক হোক ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, চান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

    হুসেনকে জেরা করে সোমবার তামিলনাড়ুর সালেম থেকে অসমের আর একজন যুবককে গ্রেফতার করে সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসারেরা। তার সঙ্গেও আল কায়দার যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাকে সালেম থেকে বেঙ্গালুরু আনা হতে পারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

    সম্প্রতি বাংলাদেশের ধর্মীয় গোঁড়ামি বিরোধী মুক্তমনা ব্লগার অনন্ত বিজয় দাসের খুনিকেও বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করে কর্নাটক পুলিশের স্পেশ্যাল টাক্স ফোর্স। জাল নোটের কারবারের তদন্তে নেমে ফয়জল আহমেদ নামে আনসার উল বাংলার ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। বেঙ্গালুরুতে সাহেব মজুমদার নামে বসবাস করছিল সে। সঙ্গে সেখানে কাজও জুটিয়ে নিয়েছিল এই বাংলাদেশি জঙ্গি। সেও বাড়ি ভাড়া নেওয়ার জন্য অসমের কাছার জেলার বাসিন্দা বলে নথি দেখিয়েছিল।

  • Fund scam:   অসমে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা! অর্থ সাহায্য বিদেশি চার্চের

    Fund scam: অসমে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা! অর্থ সাহায্য বিদেশি চার্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির অন্যান্য অংশে উপজাতি ও চা বাগান এলাকায় খ্রিস্টান মিশনারিদের (Christian missionaries in tribal and tea garden) দ্বারা বড় আকারে ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। সম্প্রতি প্রমাণ মিলেছে যে, জার্মানির চার্চ এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলি আসামে ধর্মান্তরের জন্য প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে।

    অসমের তেজপুরের ডায়োসিস দ্বারা জার্মানির এক চার্চের যাজককে পাঠানো একটি চিঠি দেখে এই কথা জানা যায়। এই চিঠি থেকে বোঝা যায়, বিদেশী দেশগুলি থেকে পাঠানো অর্থে আসামে ধর্ম পরিবর্তনে ব্যবহার করা হয়৷ লিগ্যাল রাইটস অবজারভেটরি (LRO)এর প্রাপ্ত ওই চিঠিতে দেখা যায়, ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ওই চার্চ থেকে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে ওই টাকা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: কয়লা-কাণ্ডে ধৃত আরও এক ইসিএল কর্তা! ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ক

    অনুদানের জন্য ওই যাজককে ধন্যবাদ জানিয়ে, তেজপুরের ডায়োসিস, তার চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে অর্থটি ধর্ম প্রচার (খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তর) এবং বিশ্বাস গঠনের জন্য ব্যবহার করা হবে। তেজপুরের ডায়োসিস আরও উল্লেখ করেছে যে মহামারী বিধিনিষেধের সময়, তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সামাজিক কাজের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করবে।

    আরও পড়ুন: এনআইআরএফ তালিকায় দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি মাদ্রাজ, সেরা কলেজ মিরান্ডা হাউজ

    উল্লেখ্য, অসমে মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সিদের সংখ্যালঘু পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার। অসমই প্রথম রাজ্য যারা ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে সংশাপত্র দেওয়ার পথে এগতে চলেছে। সেখানেই ধর্মান্তকরণের এই প্রয়াস সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন একে ধর্মীয় আগ্রাসন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ব্যাপটিস্ট এবং ক্যাথলিকরা আসাম এবং উত্তর পূর্বে সমানভাবে ধর্মান্তরিতকরণে জড়িত। তিনি রাজ্য সরকারকে ধর্মীয় কথোপকথনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনার আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঠিকভাবে তদন্ত করা উচিত বলেও দাবি তোলে সংগঠনটি।

     

  • Assam Flood: আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ, জলে ডুবে মৃত আরও পাঁচ

    Assam Flood: আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ, জলে ডুবে মৃত আরও পাঁচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসামের বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, রবিবার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে আরও পাঁচ জনের। এখনও ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ। এই বছর এই অবধি আসামে বন্যার কারণে জলে ডুবে এবং ভূমি ধ্বসে মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জনের। 

    রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলার বুলেটিনে এদিন বলা হয়, নওগাঁ জেলার ২ জন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর এবং শিবসাগর জেলার  একজন করে জলে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন। ২৩ জেলার ১৮,৩৫,৫০০ জন মানুষ এখনও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ। বরপেটা, কাছার, দারাং, ডিব্রুগড়, হোজাই, কামরূপ মেট্রপলিটন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মরিগাঁও, নওগাঁ, নলবাড়ি, শিবসাগর, এই জেলাগুলি এখনও জলের তলায়।

    আরও পড়ুন: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে কাছার জেলা।  সেখানে এখনও ১০.২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। তারপরেই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ নওগাঁ (৩.৭৬ লক্ষ), মরিগাঁও (১.৭৬ লক্ষ)। শনিবার অবধি ২৪ জেলায় ২২.১৭ লক্ষ মানুষ বন্যার কারণে আটকে ছিলেন।

    আরও পড়ুন: শিবসেনার বিদ্রোহীদের হোটেল খরচ জোগাচ্ছে কে? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ? 

    এখনও ১,৬১৮টি গ্রাম, ৪৭,১৯৮.৮৭ হেক্টর জমি জলের তলায়। রাজ্যজুড়ে ৪১৩টি ত্রাণকেন্দ্রে ২০ জেলার ৬৫,৭৫৭ জন শিশুসহ মোট ২,৭৮,০৬০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। 

    বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলিতে রাজ্য প্রশাসন ৬৮৫.২৬ কুইন্টাল চাল, ডাল, নুন এবং ২,৬৩৪ লিটার সরষের তেল এবং ৪৭৯২.৯২ কুইন্টাল গবাদি পশুর খাদ্য বিতরণ করেছে।

    ১২ জেলায় ৫,৯০,৯৪৯ গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্থ। ব্রহ্মপুত্র এবং তিনটি উপনদী কপিলি, ডিসাং এবং বুড়িদিহিং বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন। ব্রহ্মপুত্র এবং অন্যান্য নদীর জল বাড়ায় প্লাবিত হয়েছে ২৬৭৫টি গ্রাম। সেখানের এখনও প্রায় ৯১ হেক্টর জমি জলের তলায়। 

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় সাধ্যমত ত্রাণ এবং পানীয় জল বিলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি, আমির খানরা। কেন্দ্রের তরফেও সব ধরণের সাহায্যের কথা বলা হয়েছে।   

     

  • Maharashtra political crisis: গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    Maharashtra political crisis: গুজরাট ছেড়ে একনাথ শিন্ডেরা রয়েছেন আসামে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরের তীর ছেড়ে তাপী নদীর ধার। সেখান থেকে সটান ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী বিধায়করা! পশ্চিমের বিজেপি (BJP) শাসিত গুজরাট (Gujrat) ছেড়ে কেনই বা তাঁরা উড়ে গেলেন উত্তর-পূর্বের আসামে (Assam)?  বিশেষত রাজ্যটি যখন বন্যা কবলিত। আসুন, জেনে নেওয়া যাক, মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে কেন দলবল নিয়ে হাজির হলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মার রাজ্যে।

    আরও পড়ুন : দল বিরোধী আইন এড়াতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছেন শিন্ডে?

    ‘নরম হিন্দুত্ব’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde)। তাঁর দাবি, কংগ্রেস ও এনসিপি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে গড়া হোক সরকার। মুখ্যমন্ত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় অনুগামী ৩৬ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান একনাথ। সেখান থেকে চলে যান আসামের গুয়াহাটিতে। সেখানকার এক রাজকীয় হোটেলে রয়েছেন শিন্ডে সহ শিবসেনার অন্য বিধায়করা।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করতে দেখা গিয়েছিল আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। বুধবার সকালে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা পৌঁছানোর আগেই তাঁর গাড়ি পৌঁছে যায় পূর্ব নির্ধারিত হোটেলে। প্রশ্ন হল, কেন গুজরাট ছেড়ে আসামে আশ্রয় নিলেন শিন্ডে ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা? বিশেষ করে, দুটি রাজ্য যখন দেশের দুপ্রান্তে অবস্থিত?

    আরও পড়ুন : সরকারি বাসভবন ছেড়ে ফিরলেন ‘মাতোশ্রী’তে, মুখ্যমন্ত্রিত্ব কি ছাড়বেন উদ্ধব?

    রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এর অনেকগুলি কারণ রয়েছে। প্রথমত, মহারাষ্ট্রের সঙ্গে গুজরাটের দূরত্ব আসামের চেয়ে ঢের কম। তাই বিদ্রোহী বিধায়করা যখন গুজরাটে ছিলেন, তখন শিবসেনার তরফে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছিল তাঁদের সঙ্গে। এই বিদ্রোহীদের টোপ দিয়ে দলের মূল স্রোতে ফেরাতে পারলেই শিন্ডের বিদ্রোহে জল ঢালা হয়ে যেত। তা এড়াতেই মধ্যরাতের বিমানে গুজরাট ছাড়েন শিন্ডে ও তাঁর অনুগামীরা। 

    দ্বিতীয়ত, হিমন্ত বিশ্বশর্মা দক্ষ রাজনীতিবিদ। কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। উত্তর-পূর্বে কংগ্রেসের কোমর ভেঙে দিয়েছেন এই রাজনীতিবিদ। তাই তাঁর ওপরই ভরসা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। হিমন্তের চালে শিবসেনা-বিরোধীদের মাত দেওয়া সহজ হবে বলেই মনে করছেন পদ্ম নেতারা। সেই কারণেই হিমন্তের রাজ্যের হোটেলে ‘বন্দি’ করে রাখা হয়েছে বিদ্রোহী বিধায়কদের। কড়া নিরাপত্তার বলয় ভেঙে যে হোটেলে ঢুকতে পারবে না কাকপক্ষীও। 

    সর্বোপরি, রয়েছে হিমন্তের ওপর বিজেপির অশেষ আস্থা। কংগ্রেস ভেঙে আসা হিমন্ত আসামের একের পর এক নির্বাচনে বিপুল জয় এনে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরকে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কার্বি আংলং নির্বাচনেও বিরোধীদের দুরমুশ করে দিয়েছেন তিনি। যার জেরে বিজেপি নেতৃত্বের বিশেষ ভরসাস্থল হয়ে উঠছেন উত্তর-পূর্বের এই নেতা। তাই মধ্যরাতের বিমানে হিমন্তের ডেরায় পাঠানো হয়েছে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের।

  • Assam Flood: বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে, মৃত্যু বেড়ে ৫৪

    Assam Flood: বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে, মৃত্যু বেড়ে ৫৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলের তলায় আসাম (Assam), মেঘালয় (Meghalaya)। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য দুটিতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্যের জনজীবন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪। আসামের ২৮টি জেলায় বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রায় ২৯৩০টি গ্রাম জলমগ্ন। জল ঢুকতে শুরু করেছে অন্যান্য জেলাতেও। ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। তিন দিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে ১৮ জন মারা গিয়েছেন আসামে।  

    আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আসাম ও মেঘালয় ছাড়াও আগামী পাঁচ দিন পশ্চিমবঙ্গ, সিকিমে প্রবল বৃষ্টিপাত হবে। আসামে শুক্রবার ৭ জন মারা যান। এ নিয়ে গত তিন দিনে রাজ্যটিতে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮-তে। গুয়াহাটিতে ভূমিধসে আরও তিনজন আহত হন।

    আরও পড়ুন: বন্যা বিধ্বস্ত আসাম, মৃত বেড়ে ৫৫, ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ লক্ষের বেশি  

    ব্রহ্মপুত্র ও বরাক নদীর জল অনেক জায়গাতেই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যায় প্রায় ৭০ হাজার লোক গৃহহীন হয়েছেন। ১৯৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছে আসাম প্রশাসন। মেঘালয়ে শুক্রবার বন্যার কারনে ৪ জনের প্রাণ গিয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন মারা গিয়েছেন বাঘমারায় এবং একজন সিজুতে।

    আরও পড়ুন: বন্যার কবলে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি, মৃত ৯

    আসামের বিজলী, বক্সা, বরাপেটা, বিশ্বনাথ, বঙ্গাইগাঁও, চিরাঙ্গ, ধেমাজি, ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, ডিমা-হাসো, গোয়ালপাড়া, হোডাই, কামরূপ,কার্বি আংলং পশ্চিম, কোকড়াঝাড়, লখিমপুর, মাজুলি, মোরিগাঁও, নগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগর, সোনিতপুর, দক্ষিণ সালমারা, তমুলপুর, তিনসুকিয়া, উডালগুড়ি জেলা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

    আসামের ২৮টি জেলার ১৯ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বন্যায়। অসংখ্য মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। এখনও বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। নলবাড়ি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কয়েক হাজার বাড়ি ভেঙেছে। ৩৭৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) আজ সকালে ফোন করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে (Himant Bishwasharma)। রাজ্য সরকারকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।

  • Ambubachi Mela: দু’বছর পর আবার কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী মেলা

    Ambubachi Mela: দু’বছর পর আবার কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী মেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেজে উঠছে নীলাচল পাহাড়। দীর্ঘ দুই বছর পর কোভিড (covid) পরবর্তী সময়ে আবার কামাখ্যা মন্দির চত্বরে বসতে চলেছে অম্বুবাচী মেলা (Ambubachi Mela)। জুন মাসের ২২ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে অম্বুবাচী। চলবে ২৬ জুন পর্যন্ত। চারদিন ব্যাপী আসামর গুয়াহাটির কাছে নীলাচল পাহাড়ে কামাখ্যা মন্দির চত্বরে এই মেলার আয়োজন করা হবে। এর জন্য চলছে শেষ পর্বের প্রস্তুতি। 

    হিন্দু ধর্মের একটি বিশেষ উৎসব হল এই অম্বুবাচী। লোককথা অনুসারে আষাঢ় মাসের মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় চরণ শেষ হলে সেই সময় মা বসুন্ধরা ঋতুমতী হয় আর এই সময়েই পালন করা হয় অম্বুবাচী। এইসময় মাটিকাটা লাঙ্গল চালানো নিষেধ থাকে। এই সময় সমস্ত মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। 

    কামাখ্যায় এই সময় বিশেষভাবে অম্বুবাচীর উৎসব পালিত হয়। অম্বুবচীর প্রথম দিন থেকে কামাখ্যা দেবীর মন্দিরের দ্বার বন্ধ থাকে। চতুর্থদিনের স্নান ও পূজা সম্পন্ন হওয়ার পর কামাখ্যা মায়ের দর্শন করার অনুমতি দেওয়া হয়। এই সময় ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় কামাখ্যায়। গত দুই বছর করোনার জন্য এই মেলা ও উৎসব বন্ধ ছিল। করোনা পরবর্তী সময়ে চলতি বছরে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে আসাম সরকার। তাই এবছর মেলা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা তুঙ্গে।

    আরও পড়ুন: এবছর অম্বুবাচী শুরু কবে? জেনে নিন এই বিশেষ উৎসবের মাহাত্ম্য

    মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমান, দীর্ঘ দু’বছর পর এই মেলা বসছে। এবছর প্রচুর ভক্তসমাগম হবে। যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে ভিড় সামলানো দায় হয়ে যাবে বলে ভয় মন্দির কর্তৃপক্ষের। যে কোনও দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে তাই সদা সতর্ক কর্তৃপক্ষ। 

    শেষবার ২০১৯ সালে কামরূপ-কামখ্যায় এই মেলায় ২৫ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে। দূর-দূরান্ত থেকে সাধু-সন্নাসীরা যোগ দেন এখানে। এবছরও ভিড় আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। করোনা এখনও সম্পূর্ণরূপে চলে যায়নি। এর মধ্যে এই বিশাল জনসমাগম নিয়ে চিন্তায় রয়েছে প্রশাসনও। চলতি সপ্তাহে দফায় দফায় মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছে তারা। এ সময় বিভিন্ন সংগঠন মন্দির চত্বরে পাহাড়ের পাদদেশে দরিদ্রসেবায় খাবার-বস্ত্র দান করেন। এ নিয়েও সতর্ক প্রশাসন।

  • Assam-Meghalaya Rainfall: ১২১ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টি অসম-মেঘালয়ে! আবহাওয়াবিদরা কী বলছেন, জানুন…

    Assam-Meghalaya Rainfall: ১২১ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টি অসম-মেঘালয়ে! আবহাওয়াবিদরা কী বলছেন, জানুন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর প্রবল বৃষ্টি হয়েছে অসম, মেঘালয় সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। কিন্তু এই বছর সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। আবহাওয়া দফতর এবং মেঘালয় প্রশাসন জানিয়েছে, দীর্ঘ ১২১ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। ১৯৬৬ সালে ৭৮৯.৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছিল এরপরেই ২০২২-এ ৮৫৮.১ মিমি বৃষ্টি হয়ে এক রেকর্ড গড়ে তুলেছে। এই বছরেই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে আসাম ও মেঘালয়ে, এমনটাই জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।

    আরও পড়ুন: বন্যায় বিধ্বস্ত গুজরাট – মহারাষ্ট্র, মৃতের সংখ্যা ১০০-এর বেশি

    রিপোর্ট সূত্রে জানা যায়, বর্ষাকালের প্রথম মাসে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মোট ৩১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন, ৭২ জন আহত হয়েছেন ও ৫০ জন নিখোঁজ। এছাড়াও অনেকই বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি যেমন- অসম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুরে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে ও এই রাজ্যেই হতাহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে বজ্রপাতের ফলে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। প্রবল বর্ষণের ফলে অসম ও মেঘালয়ার বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধসও হয়েছে, এর ফলে জুন মাসে ১৫০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

    আবহওয়াবিদ রক্সি ম্যাথিউ কোল (Roxy Mathew Koll) জানিয়েছেন, অসম, মেঘালয়, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ইত্যাদি জায়গায় ১৯৫০ সাল থেকেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে বলেছন গ্লোবাল ওয়ার্মিং (Global Warming)। অর্থাৎ আবহাওয়ায় বর্তমানে অনেক পরিবর্তন আসতে দেখা গিয়েছে। ফলে ভারত মহাসাগর  বিশেষ করে আরব সাগরের জল বেশি গরম হতে শুরু করেছে। ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।

    এছাড়াও আধুনিকীকরণ (Modernization), মাটির ব্যবহারে পরিবর্তন এসবও বন্যা, ভূমিধসের (Landslide) ওপর প্রভাব ফেলে থাকে। তাপমাত্রাতেও বিপুল পরিমাণে পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। ১৯৮১- ২০১০ সাল পর্যন্ত যেখানে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তেমনি ২০২২-এ তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ৩৪.১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও আরব সাগরের (Arabian Sea) ওপর নিম্নচাপের (Depression) সৃষ্টি হওয়ায় জুন মাসে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। অন্যদিকে সমুদ্রের জলস্তরও (sea level) বাড়তে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড বৃষ্টিপাত মেঘালয়ে, কারন জানেন? 

  • Assam: শিবসেনার বিদ্রোহীদের হোটেল খরচ জোগাচ্ছে কে? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ?

    Assam: শিবসেনার বিদ্রোহীদের হোটেল খরচ জোগাচ্ছে কে? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসামের (Assam) গুয়াহাটির একটি বিলাসবহুল হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছেন মহারাষ্ট্রের (Maharastra) বিদ্রোহী শিবসেনা (Shiv Sena) বিধায়ক একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। তাঁর সঙ্গে ওই হোটেলে ঠাঁই নিয়েছেন আরও প্রায় চল্লিশ জন বিধায়ক। আসাম সরকার তাঁদের থাকার খরচ দিচ্ছে বলে অভিযোগ। শনিবার সেই অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন বিজেপি শাসিত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

    কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিবাদের জেরে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তাঁরই সতীর্থ শিবসেনার একনাথ শিন্ডে। পরে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে প্রথমে চলে যান গুজরাটের সুরাট এবং পরে সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে উড়ে যান আসামের গুয়াহাটিতে। সেখানেই অনুগতদের নিয়ে একটি বিলাসবহুল হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। শনিবার মধ্যরাতের বিশেষ বিমানে গুজরাটের ভাদোদরায় ফিরে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সঙ্গে দেখা করেন শিন্ডে। রাতেই ফিরে যান আসামের ওই হোটেলে।

    আরও পড়ুন : আধা-সামরিক বাহিনী ও আসাম রাইফেলসে নিয়োগে অগ্রাধিকার ‘অগ্নিবীর’দের

    বিলাসবহুল হোটেলে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের থাকা খাওয়ার খরচ দিচ্ছে আসাম সরকার। বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হয় এমনই। প্রবল বন্যায় যখন রাজ্য ভাসছে, তখন সরকারের বিরুদ্ধে ‘বদান্যতা’র অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধীরা।  

    বিরোধীদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। তিনি বলেন, শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের হোটেলের থাকার খরচ দিচ্ছে না আসাম সরকার। অসমে বর্তমানে ভয়াল আকার নিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যা পরিস্থিতির সঙ্গে মহারাষ্ট্রের বিধায়কদের হোটেলে থাকার কোনও সম্পর্ক নেই। বিদ্রোহী বিধায়কদের হোটেল খরচ আসাম সরকার দিচ্ছে না।

    আরও পড়ুন : সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    এদিকে, মহারাষ্ট্রের ডেপুটি স্পিকার ডিসকোয়ালিফিকেশন নোটিশ ধরিয়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী ১৬ বিধায়ককে। আগামিকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁদের জবাব দিতেও বলা হয়েছে। এই ১৬ জনের মধ্যে রয়েছেন বিদ্রোহীদের নেতা শিন্ডে স্বয়ংও। রাজনৈতিক মহলের হিসেব, এভাবেই বিদ্রোহীদের দমন করার খেলায় নেমেছে মহারাষ্ট্রের জোট সরকার।

     

LinkedIn
Share