Tag: Assam

Assam

  • Assam: অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যা, চোখ কপালে তুলবে পরিসংখ্যান

    Assam: অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যা, চোখ কপালে তুলবে পরিসংখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির সিংহভাগই মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত। অসমকেও (Assam) সিংহভাগ দেশবাসী সেরকমই একটি রাজ্য হিসেবে চেনেন। তবে তাঁদের ধারণা ভুল। এক সময় অসম উপজাতি অধ্যুষিত (Muslim Population) একটি রাজ্য হলেও, বর্তমানে আর তা নয়। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যার গ্রাফ। ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। আগামী তিন দশকের মধ্যে অসম মুসলমানরাই হয়ে পড়বেন সংখ্যাগুরু। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কিছু দিন আগেই বলেছিলেন, “দু’দশকের মধ্যেই অসমে হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় সমান সমান হয়ে যাবে।”

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (Assam)

    জানা গিয়েছে, মুসলমান জনসংখ্যার এই ‘হাইপে’র নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। গত শতাব্দীতে দলে দলে বাংলাদেশি মুসলমান ঢুকেছে এ দেশে। তাই এ রাজ্যে তাদের জনসংখ্যাই বাড়ছে হু হু করে। প্রতিটি জনগণনায়ই দেখা যাচ্ছে, অসমে কমছে অসমিয়া ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা। দ্রুত কমছে তারা। এই জায়গাটা দখল করছে বাংলাভাষী মুসলমানরা। প্রতিটি দশকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাদের সংখ্যা। যাঁরা বামপন্থী ঘরানার, তাঁরা বলবেন এর কারণ অনুপ্রবেশ নয়। তবে বাস্তব বলছে অন্য কথা (Assam)। জানা গিয়েছে, এ দেশে যত অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশ থেকে ঢোকে, তার সিংহভাগই ঢোকে অসম দিয়ে।

    আরও পড়ুন: লাভ জিহাদ বন্ধে কঠোর আইন আনছে যোগী সরকার, কী আছে বিলে জানেন?

    মুসলমান জনবিস্ফোরণ আতঙ্কের কারণ

    অসমে যে ক্রমেই মুসলমান জনবিস্ফোরণ আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়েছে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। দিন কয়েক আগে তিনি বলেছিলেন, “এই মুহূর্তে অসমের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই মুসলিম। ২০৪১ সালে মুসলিম প্রধান রাজ্য হয়ে উঠবে অসম। এটাই বাস্তব। কেউ থামাতে পারবে না।” তিনি বলেছিলেন, “১০ বছরে ১৬ শতাংশ করে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ছে এ রাজ্যে। আমাদের সরকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জনসংখ্যা কমানোর পদক্ষেপও নিয়েছে।” তিনি বলেন, “মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধে কংগ্রেসের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রাহুল গান্ধী যদি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ব্র্যান্ড অ্যাস্বাসাডর হন, তাহলে তা সম্ভব হবে। কারণ এই ধর্মের মানুষ কেবল তাঁর কথা শোনে।” অসমের মতোই অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের সীমানা ঘেঁষা রাজ্য ঝাড়খণ্ডেরও। বাংলা হয়ে সেখানেও ঢুকছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। উপজাতি সম্প্রদায়ের তরুণীদের বিয়ে করে দখল করছে জমি-জিরেত। যার জেরে ঝাড়খণ্ডেও বদলে যাচ্ছে ডেমোগ্রাফি। মাটি হারাচ্ছেন উপজাতির লোকজন। ঘাঁটি গাড়ছে বাংলাদেশি মুসলমানরা। সেই ঝাড়খণ্ডের মাটিতেই দাঁড়িয়ে অসমের ভয়ঙ্কর ছবিটা তুলে ধরেছেন হিমন্ত।

    সেনসাসের রিপোর্ট

    মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তার প্রমাণ মেলে গত কয়েকটি সেনসাসের রিপোর্ট দেখলেই। ২০১১ সালে অসমে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১,৯১,৮০,৭৫৯। মুসলমান ছিল ১.০৬,৭৯,৩৪৫। ২০২১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ২,১২,৬৯,৫৪৩। মুসলমান জনসংখ্যা ১,৩৮,৩৯,৩৬৩। ২০৩১ সালে এটা হতে পারে হিন্দু ২,৩৫,৮৫,৭৬৯। মুসলমান হতে পারে ২,৭৯,৩৪,৪৩১। ২০৪১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা হতে পারে ২,৬১,৫৪,২৯০। মুসলমান জনসংখ্যা হবে ২,৩২,৪১,২২২। ২০৫১ সালে এটাই হবে হিন্দু ২,৯০,০২,৪৯২। মুসলমান ৩,০১,১৮৩০৮। ১৯৫১ সালে ১৬ শতাংশ জনসংখ্যা বেড়ে  অসমে হিন্দু জনসংখ্যা হবে ২ কোটি ৯০ লাখ। এই সময় ৩০ শতাংশ মুসলমান বেড়ে হবে ৩ কোটি। যার অর্থ, এ রাজ্যে মুসলমানরাই (Assam) হবে সংখ্যাগুরু। মুসলমানদের এই জনসংখ্যার (Muslim Population) একটা বড় অংশই অনুপ্রবেশকারী। যার জেরে ক্রমেই বিপন্ন হচ্ছে অসমিয়া ভাষা। গত কয়েক দশকে এর আকার হয়েছে ভয়ঙ্কর।

    বিপন্ন অসমিয়া ভাষা

    অসমের দুটি অংশ। দক্ষিণাংশটি পরিচিত বরাক ভ্যালি নামে। এখানে হিন্দু রয়েছেন ১২ লাখ। ব্রহ্মপুত্র ভ্যালিতে রয়েছে প্রায় ২৮ লাখ বাঙালি। ২০১১ সালের জনগণনায় দেখা গেল, ৯০ লাখ ২০ হাজার মানুষ নিজেদের বাংলাভাষী বলে দাবি করেছে। যার অর্থ হল, ৫০ লাখ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি, তাদের মাতৃভাষা বাংলা বলে জানিয়েছিলেন জনগণনাকর্মীদের। ১৯৯১ সালে ভাষাভিত্তিক জনগণনায় দেখা গিয়েছিল অসমিয়া ভাষায় কথা বলেন রাজ্যটির ৫৭.৮১ শতাংশ মানুষ। এর পরের দুদশকে দেখা গিয়েছে এই সংখ্যাটা বাড়ে তো নিই, উল্টে কমেছে। হয়েছে ৪৮.৩৭ শতাংশ। ওই সেনসাসেই জানা গিয়েছিল বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা ছিল ২১.৬৭ শতাংশ। ২০১১ সালে সেটাই বেড়ে হয়েছে ২৮.৯৩ শতাংশ।  

    মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ছে

    ভাষা বদলের এই ছবি আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে নামনি অসমের বরপেটা, ধুবড়ি-সহ মুসলমান অধ্যুষিত ৭ জেলায়। ১৯৯১ সালের জনগণনায় দেখা গিয়েছে, ওই সাত জেলায় অসমিয়া ভাষায় কথা বলতেন ৫৩ লাখ ২৯ হাজার ২৯ জন। ২০১১ সালে এটাই বেড়ে হয়েছে ৫৭ লাখ ২০ হাজার ৪৬৬ জন। মাত্র ২০ বছরের ব্যবধানে ওই জেলাগুলিতেই বাংলা ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৫.৯৯ শতাংশ। এর থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, অসমে (Muslim Population) বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে (Assam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Assam: “সরকারি কর্মসূচিতে নিরামিষ খাবার”, ভিআইপি সংস্কৃতির অবসানে বিরাট ঘোষণা হিমন্তর

    Assam: “সরকারি কর্মসূচিতে নিরামিষ খাবার”, ভিআইপি সংস্কৃতির অবসানে বিরাট ঘোষণা হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান নিয়ে বিরাট ঘোষণা করলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি সোমবার একটি প্রশাসনিক বৈঠকে বলেছেন, “আমাদের সরকার ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান ঘটাবে। সরকারি কর্মসূচিতে শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হবে।” একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রী কনভয়ের গাড়ি সংখ্যা কমিয়ে এবার থেকে ১০ করা হবে বলেও জানিয়েছেন। তাঁর এই ঘোষণা অসমের জন্য যুগান্তরকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    ঠিক কী বলেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam)?

    অসমের (Assam) দিসপুরে সোমাবার জেলা শাসকদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) । তিনি বলেন, “আমি সরকারি অনুষ্ঠানগুলিতে অতিরিক্ত খাবার ব্যবস্থা সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। তাই আমরা কড়া অবস্থান নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করব। আমাদের সরকার ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান ঘটাবে। এখন থেকে কেবল মাত্র নিরামিষ এবং সাত্ত্বিক আহার পরিবেশন করা হবে সব অনুষ্ঠানে। সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের কাছে আমার স্পষ্ট বার্তা যে কোনও সরকারি কাজের জন্য অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাতে হবে। কোনও মন্ত্রী বা পদাধিকারী জেলা বা মহকুমায় গেলে তাঁদেরকে নিজের খরচে হোটেল খাবার খেতে হবে। আমি সম্প্রতি ডিব্রুগড়ে গিয়েছিলাম, সেখানে নিজের খরচে একটি ধাবায় খাবার খেয়েছিলেম। সরকারি অনুষ্ঠানে এবার থেকে সকলের জন্য নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে অন্যরাজ্য বা বিদেশি অতিথিদের জন্য আমিষ আহারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।”

    আরও পড়ুনঃ পাইন গাছের বর্জ্য ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জনের সুযোগ, পথ দেখাচ্ছেন দুই বোন

    ভিআইপি কালচার নিয়ে কী বলেন

    মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam) নিজের এক্স হ্যান্ডলে ভিআইপি সংস্কৃতি নিয়ে একটি পোস্টে বলেছেন, “আমাদের সরকার ভিআইপি কালচারকে শেষ করবে। মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যারিকেডের সংখ্যা কমিয়ে দেব। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের গাড়ির সংখ্যা কম করতে হবে। মোট ১০টি গাড়ির বেশি যেন না রাখা হয়। একই ভাবে অন্য মন্ত্রী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্য গাড়ির সংখ্যায় সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। তাঁদের কনভয়ে থাকবে একটি করে গাড়ি।”

    তিনি আরও বলেন, “দেশের জিডিপিতে অংশ নেওয়া আমাদের রাজ্যের জেলাগুলির উপর বিশেষ নজর রাখতে হবে। রাজ্যের রিপোর্টের সঙ্গে এবার থেকে জেলার রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ করে নতুন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ করাতে হবে। একই ভাবে বন্যা কবলিত এলাকায় ১২ অগাস্টের মধ্যে পুনর্বাসন অনুদান পৌঁছে দিতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam Moidam: অবশেষে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ঠাঁই পেল ‘অসমের পিরামিড’ মৈদাম

    Assam Moidam: অবশেষে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ঠাঁই পেল ‘অসমের পিরামিড’ মৈদাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল অসমের অহম রাজবংশের কবরের ঢিবি ‘মৈদাম’ (Assam Moidam)৷ ফলে ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’-এর  (UNESCO World Heritage Site) তালিকায় এ বার ঠাঁই পেল উত্তর-পূর্ব ভারত। প্রসঙ্গত, মৈদাম সমাধিক্ষেত্রকে গত বছর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’ হিসাবে মর্যাদা দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৬তম অধিবেশনে সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। 

    কী এই ‘মৈদাম’? (Assam Maidams) 

    অনেকটা পিরামিডের মতই আকার। এটি আসলে অহম রাজপরিবারের সমাধিস্থল। অসমে প্রায় ৬০০ বছর শাসন করেছিল অহম রাজবংশ। আজকের অসম আগে পরিচিত ছিল অহম হিসাবে। এবার সেই অহম রাজপরিবারের ‘কবরস্থান’ বা ‘মৈদাম’ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থান (UNESCO World Heritage Site) তকমা পেল। অনেকে এটিকে আবার ‘অসমের পিরামিড’-ও বলে। বিশেষত ইট, পাথর বা মাটি দিয়ে তৈরি ফাঁপা খিলানের উপরে একটি ঢিবি তৈরি করে এই অষ্টভুজাকার সমাধিস্থলগুলি তৈরি করা হত। ভিতরে ঢোকার জন্য সুড়ঙ্গের মতো প্রবেশপথ থাকত। প্রাথমিকভাবে  অসমের ছাড়াইদেও জেলায় এই সমাধিস্থলগুলি দেখা যায়। জানা গিয়েছে, ছাড়াইদেওতে  ৯০ টিরও বেশি রাজকীয় সমাধির ঢিবির রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ছাত্রদের সংস্কৃত ‘শ্লোক’ পাঠে বাধা! প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর 

    এক দশক পরে ফলপ্রসূ হল উদ্যোগ

    উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ছাড়াইদেও জেলায়, অহম সাম্রাজ্যের ‘ঢিপি সমাধি ব্যবস্থা’ ( mound burial system) ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানে তকমা পাওয়ার জন্য প্রথম তালিকাভুক্ত হয়। সেসময় মৈদামগুলি (Assam Moidam) ইউনেস্কো হেরিটেজ ক্ষেত্রের তালিকায় ঢোকানোর চেষ্টা শুরু করেছিল অসমের তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। শেষ পর্যন্ত এক দশক পরে ফলপ্রসূ হল সেই উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী এই পদক্ষেপের জন্য ইউনেস্কোকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এই দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’’ 

    কী বললেন হেমন্ত বিশ্ব শর্মা?  

    এ প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন যে, ”মৈদাম ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক সম্পত্তি বিভাগের অধীনে, বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এটি অসমের জন্য একটি দারুণ সাফল্য। কারণ, প্রথমবারের মতো উত্তর-পূর্ব থেকে কোনও স্থাপত্য (Assam Moidam) ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানের তকমা পেল। কাজিরাঙ্গা ও মানস জাতীয় উদ্যানের পর এটি অসমের তৃতীয় বিশ্ব ইতিহ্যবাহী স্থান”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: “অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান, জীবন-মরণের সমস্যা”, বললেন হিমন্ত

    Himanta Biswa Sarma: “অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান, জীবন-মরণের সমস্যা”, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যা। আর এটাই অসমিয়াদের কাছে জীবন-মরণের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ডে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি জানান, অসমে মুসলমান জনসংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে (Changing Demography)। ১৯৫১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, অসমে মুসলমান ছিলেন মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ। সেটাই এখন বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ। মুসলমানদের এই বাড়বাড়ন্তের কারণে বদলে গিয়েছে অসমের ডেমোগ্রাফি। এনিয়ে ওই বৈঠকে উদ্বেগও প্রকাশ করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ডেমোগ্রাফি বদল উদ্বেগের বই কি! এটি কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়, বরং আমার কাছে এটি জীবন-মরণের সমস্যা।”

    অসমের ডেমোগ্রাফি বদল (Himanta Biswa Sarma)

    গত কয়েক দশকে কীভাবে অসমের ডেমোগ্রাফি বদলে গিয়েছে, সেই ছবিও তুলে ধরেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “১৯৫১ সালে অসমে মুসলিম জনসংখ্যার হার ছিল ১২ থেকে ১৪ শতাংশ। এখন এটাই বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ।” তিনি বলেন, “আমরা অনেকগুলো জেলা হারিয়েছি (এই জেলাগুলিতে বর্তমানে মুসলমানরাই সংখ্যাগুরু। বোধহয় এই বিষয়টিই বোঝাতে চেয়েছে হিমন্ত)। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডেমোগ্রাফি বদলে যাওয়াটা আমার কাছে একটা বড় ইস্যু।” ব্যাপক হারে অনুপ্রবেশের ফলেই যে রাজ্যে মুসলমানদের এই বাড়বাড়ন্ত, তাও মনে করিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বাংলাদেশের মুসলমানদের ব্যাপক হারে অনুপ্রবেশের ফলেই মুসলমানদের সংখ্যা এত বেড়ে গিয়েছে। আমাদের সরকার প্রতিদিন প্রচুর অনুপ্রবেশকারীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে।”

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    ডেমোগ্রাফি বদলে যাওয়ার নেপথ্যেও যে তুষ্টিকরণের রাজনীতি রয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন হিমন্ত। বলেন, “আমি মনে করি, অসমের জনসংখ্যার সমস্যার সমাধান করা কংগ্রেসের দায়িত্ব। কারণ রাজ্যের সংখ্যালঘুরা কংগ্রেস নেতাদের কথা শোনেন। তাঁরা নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধীর মধ্যে রাহুলকেই বেছে নেবেন। তাঁরা আমায় শত্রু মনে করেন।” তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “রাহুল গান্ধী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অভিযানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলে, আগামিকাল থেকেই অসমের জনসংখ্যা বৃদ্ধি কমবে ব্যাপকভাবে।”

    হু হু করে বাড়ছে মুসলমান

    রীতিমতো তথ্য দিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রাজ্যে প্রতি দশ বছরে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ছে ৩০ শতাংশ করে। সেই হিসেবে ২০৪১ সালে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠবেন মুসলিমরাই। এটাই বাস্তব। কেউ থামাতে পারবে না।” তিনি বলেন, “দশ বছরে ১৬ শতাংশ করে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ছে এ রাজ্যে। আমাদের সরকার মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে জনসংখ্যা কমাতে পদক্ষেপও করছে।”

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ

    বাংলাদেশি মুসলমানদের অনুপ্রবেশের ফলে যে আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডের ডেমোগ্রাফিও বদলে যাচ্ছে, দিন কয়েক আগেই সে সংবাদ পরিবেশন করেছিল মাধ্যম। সেই প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছিল, কীভাবে পশ্চিমবাংলা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে জাল নথি বানিয়ে বাংলার সীমানায় থাকা ঝাড়খণ্ডে ঢুকে পড়ছে অনুপ্রবেশকারীরা। সেখানকার আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করে তারা জমি হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও জানানো হয়েছিল ওই প্রতিবেদনে। এই অনুপ্রবেশের ফলেই যে ঝাড়খণ্ডের ডেমোগ্রাফিও বদলে যাচ্ছে, তারও খতিয়ান পেশ করা হয়েছিল মাধ্যমের ওই প্রতিবেদনে।

    হিমন্তর আশ্বাস

    অসমের মতো ঝাড়খণ্ডেও যে অনুপ্রবেশকারীরাই মাথাব্যথার কারণ, তা ভালোই বুঝেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। বলেন, “রাজ্যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার রয়েছে। অনুপ্রবেশ রুখতে তারা কোনও কঠোর পদক্ষেপ করছে না। উপজাতির তরুণীদের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করছে তারা। পরে করছে ধর্মান্তকরণ। সরকার এসব জেনেশুনেও কোনও পদক্ষেপ করছে না।” ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে সরকার বদলের ডাকও দেন হিমন্ত। আসন্ন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর পদক্ষেপ করবে বলেও আশ্বাস দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    ঝাড়খণ্ড সরকার হাত গুটিয়ে কেন?

    তিনি বলেন, “এ রাজ্যেও ঝাড়খণ্ডের বাইরে থেকে আসছে অনুপ্রবেশকারীরা। আদিবাসী তরুণীদের প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করছে। এসবই ঘটছে জেএমএম-কংগ্রেস জোট শাসকের ছত্রছায়ায়। অসমও সীমান্ত ঘেঁষা রাজ্য। সেখানেও আমি প্রতিদিন লড়াই করছি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে। তাহলে লাগাতার অনুপ্রবেশ চলতে থাকলেও ঝাড়খণ্ড সরকার কেন হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে?” অনুপ্রবেশকারীদের স্বদেশে ফেরানোটা যে রাজ্য সরকারেরই কর্তব্য, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)।

    আরও পড়ুন: জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তানের প্রাক্তন এসএসজি কমান্ডোরা!

    প্রসঙ্গত, পয়লা জুলাইও কোনও ধর্মের নাম না করেই একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের এক শ্রেণির মানুষকে নিশানা করেছিলেন (Changing Demography) অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেছিলেন, অসমের অপরাধমূলক কাজকর্মকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এরাই। তিনি অবশ্য এ-ও বলেছিলেন, “আমি বলছি না যে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষই কেবল অপরাধ করছে। যদিও অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পরে যেসব ঘটনা ঘটছে, তা রীতিমতো উদ্বেগের বিষয় (Himanta Biswa Sarma)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam Flood: প্রায় ২০০ বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর আশঙ্কা! বন্যায় বিপর্যস্ত কাজিরাঙা

    Assam Flood: প্রায় ২০০ বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর আশঙ্কা! বন্যায় বিপর্যস্ত কাজিরাঙা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যায় (Assam Flood) বিপর্যস্ত অসম। ভাসছে কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক। কাজিরাঙার একটা বড় অংশই এখন জলমগ্ন। ডুবেছে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশও। ইতিমধ্যেই গন্ডার, বুনো মহিষ, বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ-সহ অন্তত ২০০ বন্যপ্রাণীর মৃত্যু (Wild Animals Died) হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। তাদের মধ্যে অন্তত ১০টি একশৃঙ্গ গন্ডার রয়েছে।

    বনদফতর সূত্রে খবর (Wild Animals Died) 

    সোমবার বনদফতর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, বন্যায় (Assam Flood) ১৯৮টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০টি একশৃঙ্গ গণ্ডার, ১৭৯টি বিলুপ্তপ্রায় প্যারা হরিণ, বারশিঙ্গা হরিণ, একটি ম্যাকাও, দুটি অন্য প্রজাতির পাখি, একটি পেঁচা এবং ২টি সাম্বর হরিণ। তবে জানা গিয়েছে, ২টি বরা হরিণের মৃত্যু জলে ডুবে হয়নি। বন্যার কবল থেকে বাঁচার জন্য জঙ্গলঘেঁষা জাতীয় সড়ক পার হওয়ার সময় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। প্রতি বারই এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় উদ্যানের বন্যাপ্লাবিত অঞ্চল থেকে কার্বি পাহাড় পাড়ি দেয় বন্যপ্রাণীরা। তাদের অনেকে জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারায়। অন্যদিকে বন্যপ্রাণীদের উদ্ধারে অসমের বিভিন্ন বন্যপ্রাণপ্রেমী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকেরা ইতিমধ্যেই হাজির হয়েছেন কাজিরাঙায়।

    আরও পড়ুন: বিশ্বেমঞ্চে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র জয়জয়কার, সাফল্যকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    বন্যায় ঘরছাড়া বহু পশু (Assam Flood) 

    ১৯৮টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর পাশাপাশি ঘরছাড়া বহু পশু। প্রতি বছরই নিয়ম করে বন্যায় ওলটপালট হয়ে যায় অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ‘জীবনচক্র’। এ বারের বর্ষাতেও তার ব্যতিক্রম হল না। দুকূল ছাপিয়ে চলে আসা ব্রহ্মপুত্রের জলে ডুবেছে জঙ্গলের বিস্তীর্ণ এলাকা (Assam Flood)। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্রপ্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত দুদিনে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে বনকর্মীদের ৪৬টি ক্যাম্প এখনও জলের তলায়। ১৩০০ বর্গ কিলোমিটারের কাজিরাঙা বিশ্বে একশৃঙ্গ গন্ডারের সবচেয়ে বড় আবাসভূমি। সংখ্যায় তারা আড়াই হাজারেরও বেশি। সেই সঙ্গে ১৩৫টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারও রয়েছে অসমের এই অরণ্যে। বন্যায় তাদের অনেকেই ঘরছাড়া।

    অন্যদিকে, বন্যার (Assam Flood) ফলে ব্রহ্মপুত্রের পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক নদীতে বাড়ছে জলস্তর। এর ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে একাধিক এলাকা। বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে কাছাড়ের বরাক নদী। সব মিলিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসমের ২৯টি জেলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam Government: বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটান, কর্মীদের দু’দিনের বিশেষ ছুটি দিল অসম সরকার

    Assam Government: বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটান, কর্মীদের দু’দিনের বিশেষ ছুটি দিল অসম সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়িতে বয়স্করা অনেক সময় একাকিত্বে ভোগেন। বাড়ির ছলে-বৌমা দুজনেই কর্মরত। নাতি-নাতনি ব্যস্ত পড়াশোনায়। বৃদ্ধ মানুষটির সঙ্গী হয় টিভি নইলে মোবাইল। তাই অনেক সময় বয়স্করা একাকিত্বে বোগেন। মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। বাবা-মা, শ্বশুড় শাশুড়ি বাড়ির বৃদ্ধ সদস্যের সঙ্গে সময় কাটাতে দুই দিনের বিশেষ ছুটি (Special Leave) দিল অসমে হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার (Assam Government)।

    কবে কবে ছুটি (Assam Government)

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Assam Government) দফতর থেকে বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ ছুটির (Special Leave) ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসের ৬ এবং ৮ তারিখ ওই ছুটি পাওয়া যাবে। ছুটির উদ্দেশ্যের কথা মাথায় রেখে সরকার এ-ও জানিয়েছে, যে সমস্ত কর্মীর বাবা-মা কিংবা শ্বশুর-শাশুড়ি নেই, তাঁরা ওই ছুটি পাবেন না। অসম সরকারের অধীনে যে কর্মীরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে নিয়ম কিছুটা আলাদা। তাঁরা পর্যায়ক্রমে এই ছুটি নিতে পারবেন। কারণ, সকলে একসঙ্গে ছুটি নিলে জরুরি পরিষেবা থমকে যেতে পারে। উল্লেখ্য, সরকার দু’দিন ছুটি দিলেও হিসাব বলছে, ওই সময়ে পর পর পাঁচ দিন ছুটি পাবেন কর্মীরা। কারণ ৬ এবং ৮ নভেম্বরের মাঝে ৭ তারিখ রয়েছে ছট পুজো উপলক্ষে ছুটি। এ ছাড়া, ৯ তারিখ মাসের দ্বিতীয় শনিবার এবং তার পর রবিবারের ছুটি রয়েছে। টানা পাঁচ দিন ছুটি উপভোগ করতে পারবেন কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস, জানেন এর ইতিহাস ও গুরুত্ব

    সরকারি বিবৃতি (Assam Government)

    ২০২১ সালে অসমে ক্ষমতায় এসেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Assam Government)। সে সময়েই এই বিশেষ ছুটির (Special Leave) ঘোষণা করা হয়েছিল। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এই বিশেষ ছুটি শুধুমাত্র বয়স্ক বাবা-মা কিংবা শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গেই কাটাতে হবে। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, তাঁদের যত্ন করতে সময় দিতে হবে কর্মীদের। কেউ এই ছুটি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam Flood situation: বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র! অসমের বন্যায় মৃত বেড়ে ৫২

    Assam Flood situation: বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র! অসমের বন্যায় মৃত বেড়ে ৫২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি (Assam Flood situation)। লাগাতার বৃষ্টির জেরে ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার উপনদীগুলোর জল বেড়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ফলে ব্রহ্মপুত্রের জল অসমের বিভিন্ন এলাকাগুলিতে প্রবেশ করেছে৷ এর ফলে বহু গ্রাম এখনও জলের তলায়। রাজ্যে বন্যার কবলে পড়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ প্রাণহানি হয়েছে পশুদেরও৷ এছাড়া বহু মানুষ ঘরছাড়া। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

    রাজ্যজুড়ে ২৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত (Assam Flood 2024) 

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অসমে বন্যা পরিস্থিতির (Assam Flood situation) আরও অবনতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২জন প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যার দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজ্যের ৩৫টি জেলার মধ্যে ৩০টি জেলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ৩০টি জেলার ৩৬১৮টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যায় তলিয়ে গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে সবমিলিয়ে ২৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যা কবলিত জেলাগুলি হল কামরূপ, করিমগঞ্জ, ধেমাজি, দারাং, ধুবরি, ডিব্রুগড়, কাছাড়, তিনসুকিয়া, লখিমপুর ইত্যাদি। এখনও পর্যন্ত ৪৭ হাজার মানুষকে স্থানান্তরিত করে ত্রাণশিবিরে পাঠানো গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। 

    জলের তলায় কাজিরাঙা

    গ্রামের পাশাপাশি কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পরিস্থিতিও শোচনীয়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উদ্যানের অন্তত ৭০ শতাংশ জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। আতঙ্কে উদ্যান ছেড়ে পালাচ্ছে পশুরা। সরকারি হিসাব বলছে, কাজিরাঙায় চলতি মরসুমে গন্ডার, হরিণ-সহ ৭৭টি পশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ৬২টি হগ ডিয়ার (পারা হরিণ)। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে, ১৫ হাজারের বেশি পশু বন্যায় (Assam Flood situation)ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে ৯৪টি পশুকে। তার মধ্যে ৫০টিকে নিরাপদে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ১১টি পশু চিকিৎসা চলাকালীন মারা গিয়েছে। 
    রাজ্যের শহরাঞ্চলগুলিও গত ৯ দিন ধরে জলের তলায়। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ প্রসঙ্গে (Assam Flood 2024) বলেছেন, ”ক্ষতির মোকাবিলা করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। মানুষের সমস্যার কথা শুনে সকলে মিলে তার সমাধানের চেষ্টা করছি।”

    আরও পড়ুন: সর্বত্র প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ নেই, নিট-ইউজি বাতিলের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

     অন্যদিকে নতুন করে ফের আতঙ্কে (Assam Flood situation) দিন গুনছে রাজ্যবাসী। কারণ আঞ্চলিক হাওয়া অফিস ৯ জুলাই পর্যন্ত অসমের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে৷ অসম ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডেও খুব ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফে মঙ্গলবার পর্যন্ত উচ্চ ও নিম্ন অসমের বেশ কয়েকটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ফলে বৃষ্টি না থামলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam Maidams: সুপারিশ গেল ইউনেস্কোতে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে অসমের ‘পিরামিড’ অহম মায়দাম?

    Assam Maidams: সুপারিশ গেল ইউনেস্কোতে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে অসমের ‘পিরামিড’ অহম মায়দাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্ভবত চলতি বছরের শেষেই অসমের মুকুটে জুড়তে চলেছে নয়া পালক। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের (UNESCO World Heritage) মর্যাদা পেতে চলেছে অহম আমলের ‘মায়দাম'(Assam Maidams) বা সমাধিস্থল, সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। জানা গিয়েছে, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানে অহম আমলের ‘মায়দাম’-কে সুপারিশ করেছে ফ্রান্সের সংস্থা আইসিওএসএমওএস (International Council on Monuments and Sites)। আর অসমের এই সমাধিস্থলগুলিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ফলে রাজ্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রচারের জন্য আরও ভালো তহবিল পাওয়া যাবে। এছাড়াও সরকারী ও আন্তর্জাতিক সহায়তার ফলে এই সমাধিস্থলগুলি সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতাও পাওয়া যাবে। 

    কী এই ‘মায়দাম’? (Assam Maidams) 

    অনেকটা পিরামিডের মতই আকার। এটি আসলে অহম রাজপরিবারের সমাধিস্থল। অসমে প্রায় ৬০০ বছর শাসন করেছিল অহম রাজবংশ। আজকের অসম আগে পরিচিত ছিল অহম হিসাবে। এবার সেই অহম রাজপরিবারের ‘কবরস্থান’ বা ‘মায়দাম’ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থান ( UNESCO World Heritage Site) তকমা পেতে চলেছে। অনেকে এটিকে আবার ‘অসমের পিরামিড’-ও বলে। বিশেষত ইট, পাথর বা মাটি দিয়ে তৈরি ফাঁপা খিলানের উপরে একটি ঢিবি তৈরি করে এই অষ্টভুজাকার সমাধিস্থলগুলি তৈরি করা হত। প্রাথমিকভাবে আসামের ছাড়াইদেও জেলায় এই সমাধিস্থলগুলি পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, ছাড়াইদেওতে ৯০ টিরও বেশি রাজকীয় সমাধির ঢিবির রয়েছে।  

    ইতিহাস

    উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ছাড়াইদেও জেলায়, অহম সাম্রাজ্যের ‘ঢিপি সমাধি ব্যবস্থা’ ( mound burial system) ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানে তকমা পাওয়ার জন্য প্রথম তালিকাভুক্ত হয়। জানা গিয়েছে, ১২২৮ থেকে ১৮২৬ সাল পর্যন্ত অহম রাজারা অসমে রাজত্ব করেন। ৫৯৮ বছরের শাসনকালে এই বংশে রাজা হিসাবে সিংহাসনে বসেন ৩৯ জন। এরপর ১৮২৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে তাঁদের রাজত্বের অবসান হয়। 

    আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও মজবুত করার ডাক ভারত-অস্ট্রেলিয়ার

    মায়দাম সংরক্ষণের ব্যবস্থা  

    আইসিওএসএমওএস (ICOMOS) রিপোর্ট অনুসারে অসমের সমাধিস্থলগুলির (Assam Maidams) ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রচেষ্টার মূল্যায়ন করে ৩২১-পাতার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে এই সমাধিস্থলগুলি সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত ভারী বৃষ্টিপাত, মাটির ক্ষয় এই সমাধিস্থলগুলির ধ্বংসের কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই সমাধিস্থলগুলির সংরক্ষণে মাটির ক্ষয় রোধ করার জন্য কাজ চলছে। উল্লেখ্য, অসমের এই সমাধিস্থলগুলকে মিশরীয় ফারাওদের পিরামিডগুলির সাথে তুলনা করা হয়। আর এবছর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (UNESCO World Heritage) হিসেবে এই সমাধিস্থল নির্বাচিত হলে, আসামে তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান থাকবে। বাকি দুটি কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান এবং মানস জাতীয় উদ্যান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: দেশে বন্যা মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    Amit Shah: দেশে বন্যা মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর বর্ষাকালে দেশের একাধিক রাজ্য বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটে জীবন হানি। ঘরছাড়া হয় মানুষ। চলতি বছরেও ইতিমধ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে অসমে। রবিবার দেশে বন্যা মোকাবিলার জন্য এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রসঙ্গত, বিহার, অসম, উত্তরাখণ্ড, কেরল, তামিলনাড়ু ও জম্মু-কাশ্মীর প্রতিবছর বর্ষাতেই খবরের শিরোনামে থাকে বন্যার কারণে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অমিত শাহ উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকটি পরিচালনা করেছেন এবং দেশে বন্যা মোকাবিলার সামগ্রিক প্রস্তুতিও পর্যালোচনা করেছেন।

    কারা হাজির ছিলেন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে 

    প্রসঙ্গত, বন্যার পাশাপাশি প্রবল বর্ষণে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ ও সিকিমের মতো পার্বত্য রাজ্যে ধস নামতেও দেখা যায়। যেখানে জীবন হানিও ঘটে। এগুলি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) সভাপতিত্বে হওয়া এই বৈঠকে এদিন হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাতিল, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই, স্বরাষ্ট্র, জলসম্পদ, নদী উন্নয়ন, পরিবেশ ও সড়ক পরিবহন দফতরের আধিকারিকরা, রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য মন্ত্রকের সচিবরা।

    বন্যায় বিপর্যস্ত অসম

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে অসমের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। দশটি জেলায় ১ লাখ ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে এ নিয়ে সামনে এসেছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার একটি ট্যুইটও। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, অসমের ৯৬৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে অসমে ১৩৪টি ত্রাণ শিবির চলছে বলে জানা গিয়েছে। এই শিবির গুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন ১৭ হাজার ৬৬১ জন মানুষ। জানা গিয়েছে, অসমের কুশিয়ারা নদী বর্তমানে বিপদসীমার উপরে বইছে। তবে শনিবারই অসমে বন্যার পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে, কারণ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা কমেছে। এমনটাই জানিয়েছে অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। জানা গিয়েছে, বন্যার জেরে অসমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২,২০, ৫৪৬টি প্রাণী। যার মধ্যে রয়েছে ৪৭ হাজার ৭৯৫টি পোলট্রি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam ends VIP culture: মন্ত্রী-আমলাদেরই চোকাতে হবে নিজ বিদ্যুৎ বিল! অসমে ভাঙল ভিআইপি-সংস্কৃতি

    Assam ends VIP culture: মন্ত্রী-আমলাদেরই চোকাতে হবে নিজ বিদ্যুৎ বিল! অসমে ভাঙল ভিআইপি-সংস্কৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদনি ধরে রাজ্যের বহু সরকারি কর্মীর আবাসনের বিদ্যুতের বিল মেটাত সরকার। তবে এবার থেকে সেই সুবিধা বন্ধ করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি ঘোষণা করলেন অসমের (Assam Government) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। রবিবার তিনি ঘোষণা করেছেন যে তিনি এবং মুখ্যসচিব আগামী ১ জুলাই থেকে তাদের বিদ্যুতের বিল দেওয়া শুরু করবেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এতদিন ওই রাজ্যের যে সকল মন্ত্রী-আমলা এই সুবিধা পেতেন, আগামী মাস থেকে তাঁরাও আর এই সুবিধা পাবেন না।  

    মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্তব্য (Assam Government) 

    রবিবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এখন সরকার কোনও সরকারি কর্মচারী বা রাজনীতিবিদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবে না। এবার থেকে তাঁকে নিজেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তা পোস্ট করে তিনি বলেছেন, “আমাদের মন্ত্রী ও শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের বাসভবন বা সচিবালয়ের বিদ্যুৎ বিল এতদিন ধরে সরকার পরিশোধ করে আসছিল। এটি ৭৫ বছর ধরে চলে আসছে, কোনও নতুন ব্যবস্থা নয়। কিন্তু এবার আমরা ভিআইপি সংস্কৃতি (Assam ends VIP culture) ভাঙছি। করদাতাদের টাকা দিয়ে আমরা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারি না। এমন পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে এখন থেকে গোটা রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মচারী ও রাজনীতিবিদদের নিজেদেরই বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে হবে।”
    অর্থাৎ করদাতাদের টাকা দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ‘ভিআইপি কালচার’ খতমের কথা ঘোষণা করলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আগামী মাস থেকেই এই জরুরি পরিষেবা পাওয়ার জন্য অসমের সরকারি কর্মীদের খসাতে হবে নিজের পকেটের টাকা। 

    আরও পড়ুন: ইডির ডাকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির ঋতুপর্ণা! সঙ্গে অভিনেত্রীর হিসাবরক্ষক

    ৩০ লক্ষ টাকা মাসিক সাশ্রয়

    উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রী  আসাম (Assam Government) সচিবালয় কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জনতা ভবন সৌর প্রকল্প, ২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা, গ্রিড-সংযুক্ত ছাদ এবং গ্রাউন্ড-মাউন্টেড সোলার পিভি সিস্টেমের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পটি মাসে গড়ে ৩ লক্ষ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং বিনিয়োগের পরিমাণ ১২.৫৬ কোটি টাকা ৪ বছরের মধ্যে পুনরুদ্ধার করা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর ফলে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা মাসিক সাশ্রয় হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share