Tag: Assam

Assam

  • BJP: তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সহ অসমে বিজেপিতে যোগ ১৫০ নেতা-কর্মীর

    BJP: তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সহ অসমে বিজেপিতে যোগ ১৫০ নেতা-কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজেপিকে (BJP) পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ইন্ডিয়া। সেই জোটের আয়ু লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত কিনা, তা জানা যাবে উৎসবের মরশুম শেষ হলেই। তবে তার আগে বিরোধীদের জোটকে ঝটকা দিল অসম বিজেপি।

    বিজেপিতে যোগ

    বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১৫০ সদস্য দলীয় পতাকা ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে। এর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের অসম রাজ্য সাধারণ সম্পাদকও। বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাও রয়েছেন এই দলবদলুদের দলে। শনিবার তাঁরা হাতে তুলে নেন বিজেপির ঝান্ডা। পদ্ম শিবিরে তাঁদের স্বাগত জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, “বিজেপিই (BJP) একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা দেশের স্বার্থে কাজ করে, পরিবারতন্ত্রের স্বার্থে নয়।”

    হিমন্তর বার্তা 

    এক্স হ্যান্ডেলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আমি সব সময় বলেছি যে, যাঁরা ভারত এবং অসমের জন্য কাজ করতে চান, তাঁদের পরিবারতন্ত্র এবং পরিবারকেন্দ্রিক দলে জায়গা হবে না। কেবলমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টিই দেশের স্বার্থে কাজ করতে পারে।” বিজেপিতে যোগ দেওয়া ওই ১৫০ জন তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও জানান হিমন্ত। তিনি বলেন, “ভারতী মায়ের সেবার লক্ষ্যে যাঁরা কাজ করবেন বলে আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, আমি তাঁদের স্বাগত জানাই।”

    তিনি লিখেছেন, “নাগাঁও জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সুরেশ বোরা, অসম যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি পরিতোষ রায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ শর্মা তাদের পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। তাঁরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এঁরা আজ বিজেপিতে যোগ দেবেন। ইন্ডি জোটের বিরুদ্ধে এঁরাও সুর চড়িয়েছেন।”

    আরও পড়ুুন: “লোকসভা নির্বাচন এলেই গুন্ডাদের জেলে ঢুকিয়ে দেবো”, চ্যালেঞ্জ সুকান্ত মজুমদারের

    পুরো ঘটনাটি দলের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে বিজেপি (BJP)। দলের মুখপাত্র বলেন, “এদিন যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই জেলা ও ব্লকস্তরের কর্মী। তাঁরা যে কোনও রাজনৈতিক দলের মেরুদণ্ড। আমরা তাঁদের বিজেপিতে (BJP) স্বাগত জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরের সাজ শিল্পীদের অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দিচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশে

    Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরের সাজ শিল্পীদের অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দিচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগমনী দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় খুঁটিপুজো থেকে শুরু করে, শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি পর্ব। উৎসবের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্গা প্রতিমার অঙ্গসজ্জার সাজ শিল্পীদের কারখানায়। এই বছরের কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) সাজ শিল্পীদের তৈরি করা প্রতিমার অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দেবে আসাম, ত্রিপুরা এবং উত্তর প্রদেশে। করোনার মন্দা থেকে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে সাজ শিল্পীদের ব্যবসা। আশায় বুক বেঁধেছেন শিল্পীরা।

    করোনার আবহ কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছে প্রতিমার সাজ শিল্প (Krishna Nagar)

    প্রতিমা প্রস্তুতকারক বিভিন্ন কুমোর পাড়ায় (Nadia) চলছে মূর্তি নির্মাণের চরম ব্যস্ততা। দেবী মূর্তির মৃৎপ্রতিমা প্রস্তুত হওয়ার পর, তা সর্বসাধারণের মাঝে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে বিভিন্ন ধরনের অলংকার ব্যবহারে অঙ্গের সাজ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। যার ফলে, দুর্গাপূজার সূচনা কালে দেবী মূর্তির সাজ প্রস্তুত করার লক্ষ্যে নিরলস কর্মব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চকের পাড়ায়। এলাকার বাসিন্দা পেশায় ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদকের কারখানায় এখন তীব্র ব্যস্ততা। শিল্পী তন্ময় মোদকের তৈরি প্রতিমার ডাকের সাজ এবার পাড়ি দেবে ভিন রাজ্যে। দীর্ঘ দু-তিন বছর করোনা আবহ কাটিয়ে, এই বছর ফেলে আসা পুরনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন ডাক শিল্পীরা। যার কারণে করোনা কালে ব্যবসার অভূতপূর্ব ক্ষতি সামাল দিয়ে, এই বছর কিছুটা হলেও বাড়তি রোজগারের আশার আলো দেখছেন এই সাজ শিল্পীরা।

    সাজ শিল্পীদের বক্তব্য

    চলতি বছরে ডাকের সাজের বাড়তি চাহিদা রয়েছে বলে জানান কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) শিল্পী তন্ময় মোদক। তিনি বলেন, দুর্গোৎসব উপলক্ষে এই বছর তাঁর কারখানায় তৈরি ডাকের সাজ কলকাতার কুমারটুলিতে যাবে। সেই সঙ্গে সাজ সরঞ্জাম পাড়ি দেবে ত্রিপুরা, আসাম ও উত্তরপ্রদেশে। দেবী প্রতিমার এই সাজ তৈরি হয় মূলত তার দিয়ে। চলতি বছরে ভিন রাজ্য থেকে অধিক সংখ্যক বায়নানামা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে তার কারখানায় দিনরাত পরিশ্রম করে দেবীর সাজ তৈরি করে চলেছেন ৬ জন কারিগর। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ব্যবসায়িক ক্ষতি কাটিয়ে উঠে অভিশপ্ত করোনা কাল যেন আর ফিরে না আসে, এই কথাই জানান কৃষ্ণনগরের এই ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Assam Flood: ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র, জলের তলায় একাধিক জেলা, অসমের বন্যায় এখনও পর্যন্ত মৃত ১৫ 

    Assam Flood: ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র, জলের তলায় একাধিক জেলা, অসমের বন্যায় এখনও পর্যন্ত মৃত ১৫ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাসছে অসম। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে প্রতি বছরই বন্যা হয়ে থাকে। চলতি বছরে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে আবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অসমে (Assam Flood)। প্রায় দুই লক্ষ মানুষ এই বন্যায় বিপর্যস্ত। এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বন্যার কারণে। অসমে অবিরাম বৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ নদীই বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। তাদের জলস্তর অনেক বেড়েছে। জলস্তর বৃদ্ধির কারণে, গুয়াহাটি এবং জোড়হাটের নিমতি ঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেরি পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

    ত্রাণশিবিরে বহু মানুষ

    সোমবার অসম (Assam Flood) সরকারের তরফে যে বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বন্যায় রাজ্যে এক লক্ষ ৯০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এক জনের মৃত্যু হয়েছে সোমবার। ব্রহ্মপুত্র-সহ রাজ্যের একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ওই নদী তীরবর্তী গ্রামগুলি। বহু মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে সরকারি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র নদীর জল কোথাও কোথাও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। 

    ১৭টি জেলা বন্যার কবলে

    রাজ্যের নানা প্রান্তে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তারাই জানিয়েছে, এই মুহূর্তে অসমের (Assam Flood) মোট ১৭টি জেলা বন্যার কবলে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লখিমপুর। তার পরেই তালিকায় আছে ধেমাজী। এই দুই জেলায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ডিব্রুগড়, ধুবরি, তেজপুর এবং জোড়হাটের নিমতি ঘাটে ব্রহ্মপুত্র বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওয়াহুন, বেকি, জিয়া-ভারালি, ডিসাং, দিখাউ এবং সুবানসিরি নদীও লাল দাগ অতিক্রম করেছে। একই সময়ে, ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে গুয়াহাটিতে ফেরি পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে ত্রাণশিবির খুলেছে অসম সরকার। এখনও পর্যন্ত ৪৫টি ত্রাণ প্রায় ৫০০ জন সেই শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ভয় ধরাচ্ছে অগাস্ট! শেষ এক মাসে ডেঙ্গি সংক্রমণ ১০ হাজার

    চাষের জমি জলের তলায়

    বিপর্যয় মোকাবিলা দল জানিয়েছে, বন্যায় রাজ্যে আট হাজার হেক্টরের বেশি চাষের জমি জলের তলায়। ৮০৮৬.৪০ হেক্টর ফসলি জমি বন্যার জলে তলিয়ে গেছে এবং ৮১৩৪০টি বড় প্রাণী এবং ১১৮৮৬টি হাঁস-মুরগি সহ ১৩০৫১৪টি প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে অসমে অনবরত বৃষ্টির কারণে উঁচু এলাকাগুলি থেকে বৃষ্টির জল গড়িয়ে নামছে নীচের দিকে। তাতেই ফুলেফেঁপে উঠছে একাধিক নদী। বৃষ্টি না থামলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। উদলগুড়ির দুটি এলাকা এবং বিশ্বনাথ ও দাররাং-এর একটি করে এলাকা থেকে বন্যার জলে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Supreme Court: মণিপুর হিংসায় সিবিআই মামলার শুনানি হবে অসমে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: মণিপুর হিংসায় সিবিআই মামলার শুনানি হবে অসমে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের হিংসা সংক্রান্ত যে মামলাগুলির তদন্ত রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে, তার শুনানি হবে অসমের গুয়াহাটিতে। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ওই মামলাগুলির বিচারের জন্য নিম্ন আদালত মনোনয়নের ভার গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, অভিযুক্তদের হাজিরা, পুলিশ হেফাজত, জেল হেফাজত এবং হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলা হবে অনলাইনে।

    গুয়াহাটির আদালতে হাজিরা

    নির্যাতনের শিকার, সাক্ষী এবং সিবিআই মামলায় যুক্ত কারও যদি অনলাইনে মুখ দেখাতে আপত্তি বা ভয় থাকে, তাহলে তিনি গুয়াহাটির আদালতে সরাসরি হাজিরা দিতে পারেন। অনলাইন বিচারের জন্য মণিপুর সরকারকে সচল ও দ্রুতগামী ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। প্রসঙ্গত, মণিপুরের কংপোকপিতে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর ঘটনা সহ মোট ১০টি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। ২১ অগাস্ট মণিপুরের হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, ত্রাণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বিচারপতি গীতা মিত্তলকে নিয়ে কমিটি গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট গঠিত প্যানেল তিনটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পরিচয়পত্র নষ্ট হয়ে যাওয়া, ক্ষতিপূরণের বৃদ্ধি ইত্যাদি।

    টিম গড়েছে সিবিআই

    মণিপুর হিংসার ঘটনাগুলি তদন্তের জন্য চলতি মাসেই ২৯ জন মহিলা আধিকারিক সহ মোট ৫৩জন আধিকারিককে নিয়ে টিম গড়েছে সিবিআই। এই টিমে (Supreme Court) পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদার তিন মহিলা অফিসার। দু’ জন অতিরিক্ত সুপার এবং ছ’ জন ডেপুটি সুপার পদমর্যাদার মহিলা অফিসারও রয়েছেন। তদন্ত প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধান করবেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: “এক সময় এগরোল বিক্রি করতেন, তারপরে এই উত্থান”, সুজিতকে কটাক্ষ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, সিবিআই মামলাগুলি প্রতিবেশী রাজ্যে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তাঁর যুক্তি ছিল, মণিপুরে বিচার প্রক্রিয়া চললে বিচারপতিদের জাতি পরিচয় একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। অভিযুক্তদের আদালতে হাজিরার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    এদিকে, মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ ও বিজেপি সভাপতি সারদা দেবীকে তলব করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের তলব পেয়ে বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে গিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার শাহের বাসভবনে হবে ওই বৈঠক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মহাভারতে’ ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) ছিল বলে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বোরা। তাঁর এই মন্তব্যে বিস্তর হইচই হয় রাজ্যে। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভূপেনকে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় এফআইআর দায়ের হয় ভূপেনের বিরুদ্ধে। এর পরেই সুর নরম করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। চান নিঃশর্ত ক্ষমাও। ক্ষমা প্রার্থনা করে ভূপেন বলেন, “আমার এই মন্তব্যের জন্য কোনও সম্প্রদায় যদি আঘাত পেয়ে থাকে, তার জন্য আমি দুঃখিত। ধর্মকে আঘাত করার মতো কোনও পরিকল্পনা আমার ছিল না।” মন্তব্যের জন্য শ্রীকৃষ্ণের কাছেও ক্ষমা চাইবেন বলে জানান তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভেদাভেদের অভিযোগও তোলেন ভূপেন।

    ‘লাভ জিহাদ’

    ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। এদিন হিন্দু স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ির বেশ কয়েকজন সদস্যকে খুন করার অভিযোগ ওঠে জনৈক নাজিবুর রহমান বোরার বিরুদ্ধে। পরে থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এই ঘটনার পিছনে ‘লাভ জিহাদে’র (Love Jihad) তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি দাবি করেছিলেন, মহাভারতেও ‘লাভ জিহাদ’ ছিল। এ ব্যাপারে তিনি ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারী এবং শ্রীকৃষ্ণ ও রুক্মিনীর বিয়ের উদাহরণ দেন।

    ভূপেনের আলটপকা মন্তব্য

    তাঁর দাবি, মহাভারতের এই চরিত্রদের বিয়েও ছিল ‘লাভ জিহাদ’। ভূপেনের আলটপকা মন্তব্যের জেরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। ঘরে-বাইরে বিপাকে পড়ে যায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মকে অপমান করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে সরব হয় হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন। গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এহেন আলটপকা মন্তব্যে বিপাকে পড়তে পারে দল। বিজেপি ভূপেনের এই বিতর্কিত মন্তব্যকেই (Love Jihad) হাতিয়ার করতে পারে। সূত্রের খবর, এসব চিন্তা করেই ভূপেনের ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই তড়িঘড়ি ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন ভূপেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ‘‘শুধু উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকেই নিশানা কেন?’’ পাঁচলার ঘটনা উল্লেখ করে প্রশ্ন হিমন্তর

    Manipur: ‘‘শুধু উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকেই নিশানা কেন?’’ পাঁচলার ঘটনা উল্লেখ করে প্রশ্ন হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোয় ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে দেশজুড়ে। অথচ দেশের অন্যান্য রাজ্যে এমনতর ঘটনা ঘটলেও, কেবল উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কিছু ঘটলে হইচই হচ্ছে বলে অভিযোগ। মণিপুরের ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ আখ্যা দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার পাঁচলায়ও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। অথচ তা নিয়ে কোনও সমালোচনা হচ্ছে না। অন্তত এমনই অভিযোগ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার। প্রসঙ্গত, পাঁচলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে তৃণমূল কর্মীরা নগ্ন করে ঘোরায় বলে অভিযোগ। বিজেপির এক প্রার্থীর মুখে তৃণমূল কর্মীরা প্রস্রাব করে দেয় বলেও অভিযোগ।  

    হিমন্তর ট্যুইট-বাণ

    সাম্প্রতিককালে দেশের অন্যান্য অংশের ছ’টি যৌন হেনস্থার ঘটনার কথাও ট্যুইট-বার্তায় তুলে ধরেছেন তিনি। লিখেছেন, মণিপুরের ঘটনা ভয়ঙ্কর। দোষীরা আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তথাকথিত মুক্তচেতাদের মধ্যে একটা প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেটা হল, তাঁদের ক্রোধ কেবল উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির প্রতি। অথচ দেশের অন্য প্রান্তে যখন এই জাতীয় নৃশংস ঘটনা ঘটে, তখন তারা তাকে উপেক্ষা করে যান।

    ঘটনার ঘনঘটা

    এর পরেই তিনি (Manipur) ছ’টি ঘটনার কথা শেয়ার করেন। প্রথম ঘটনাটি জোধপুরের। ১৯ জুলাই ছ মাসের শিশু সহ একই পরিবারের চারজনকে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৬ জুলাই জোধপুরেই এক দলিত নাবালিকাকে তার বয়ফ্রেন্ডের সামনেই গণধর্ষণ করা হয়। ১৩ জুলাই বিজেপির এক কার্যকর্তা নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় তৃণমূলের কর্মীরা তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেয় বলে অভিযোগ। ৮ জুলাই বিজেপির এক মহিলা প্রার্থীকে বিবস্ত্র করে তৃণমূল কর্মীরা হাঁটায় বলে অভিযোগ।

    ৭ জুন বিহারে উপজাতি সম্প্রদায়ের এক নাবালিকাকে ৮ জন মিলে ধর্ষণ করে। ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায় গত বছর ২০ অক্টোবর উপজাতি সম্প্রদায়ের এক মহিলাকে রাস্তার ওপর প্রকাশ্যে ১০ জন মিলে ধর্ষণ করে। তাঁর প্রশ্ন, দেশের বিভিন্ন অংশে এমন ঘটনা ঘটলে কেবল বেছে বেছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকেই নিশানা করা হচ্ছে কেন?

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা, কেন?

    এদিকে, মণিপুরের (Manipur) বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সব মিলিয়ে মোট ৬ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। সাম্প্রতিক ওই মহিলাদের নির্যাতনের পর গোটা রাজ্যেই বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। অশান্তির আঁচ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সরকারের এক পদস্থ আধিকারিক। তিনি জানান, ভুল তথ্য যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আগেই বহু বিবাহ রোধে বিল আনছে অসম সরকার!

    UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আগেই বহু বিবাহ রোধে বিল আনছে অসম সরকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) পক্ষে সওয়াল করেছেন খোদ প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিজেপির অ্যাজেন্ডায়ও রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করার কথা। আসন্ন বাদল অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত বিল পেশ হতে পারে বলে কিছু দিন আগেই দাবি করেছিলেন দিল্লির এক বিজেপি নেতা। তবে দেশে কবে লাগু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, তার অপেক্ষায় থাকছেন না অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

    বহু বিবাহ রোধে রাজ্য বিল

    তিনি জানান, বহু বিবাহ রোধে রাজ্য বিল পাশ করবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির ব্যাপারে যতক্ষণ না চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ততদিন এই আইন লাগু থাকবে রাজ্যে। এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর সিদ্ধান্তের বিষয়ে কেন্দ্রের প্রতি আমাদের রাজ্যের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। বহু বিবাহ রোধে অসম সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পার্লামেন্টে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    তবে রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যের। ল’ কমিশন এবং পার্লামেন্টারি কমিটি বর্তমানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য ও সংগঠনের মত জানতে চেয়েছে। অসম সরকার এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে। তিনি জানান, বহু বিবাহ রোধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি বর্তমানে ঝুলে রয়েছে অসমে। এর কারণ হল, এটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিলের একটা অংশ মাত্র। তিনি বলেন, তাই আমরা ভাবছি অসমে দ্রুত বহু বিবাহ রোধে বিল আনা যায় কিনা।

    আরও পড়ুুন: “তুঙ্গে মোদির জনপ্রিয়তা, তাই কলেবরে বাড়ছে এনডিএ”, বললেন রাজনাথ

    গত মে মাসেই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ঘোষণা করেছিলেন, বহু বিবাহ রোধে বিল পাশ করাবে অসম সরকার। এজন্য গুয়াহাটি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রুমি ফুকানের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গড়া হয়েছিল। রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কমিটিকে ৬০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। যদি এই সময়সীমার মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটি রিপোর্ট দিতে পারে, তাহলে সেপ্টেম্বরে বিধানসভার অধিবেশনেই পেশ করা হবে বিলটি (UCC)। তা নিতান্তই সম্ভব না হলে বিলটি পেশ করা হবে জানুয়ারিতে, শীতকালীন অধিবেশনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assam: ১৩ বছরের নাতনিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ! গ্রেফতার ৭৩ বছরের সুকুর আলি

    Assam: ১৩ বছরের নাতনিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ! গ্রেফতার ৭৩ বছরের সুকুর আলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ৭৩ বছর বয়সী বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে অসমে (Assam)। জানা গিয়েছে হাইলাকান্দির বাসিন্দা সুকুর আলির তার সম্পর্কে এক নাতনিকে গত জুন মাসে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। 

    ২১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজত সুকুরের

    গুরুতর এই অভিযোগে ১১ জুলাই মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সুকুরকে। পাশাপাশি শিশু সুরক্ষা কমিশনও তার বিরুদ্ধে পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানায়। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রজু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সুকুর আলিকে কোর্টে তোলা হলে বিচারক আপাতত তাকে ২১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন।

    অসমের (Assam) হাইলাকান্দিতে হিন্দু নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন

    অন্যদিকে হাইলাকান্দিতে ধর্ষণ ও খুনের আসামি জুবের আহমেদ এখনও পলাতক। জুবেরের গ্রেফতারির দাবিতে ১০ জুলাই হাইলাকান্দিতে বজরঙ দল এবং অন্যান্য সংগঠন এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করে। দিন সাতেক আগে জুবেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ১৩ বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্ষণের, পরে মেয়েটি হাসপাতালে মারা যায়। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সমগ্র হাইলাকান্দি। দোষীর গ্রেফতারির দাবিতে রাস্তায় নামে বিভিন্ন সংগঠন। জানা গিয়েছে, গত ৫ জুলাই জুবের তার দুই সহযোগী জাবির এবং আনসারকে সঙ্গে নিয়ে ২ জন হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে। এরপর অভিযোগ কাছাড়ের এক চা বাগানে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা এক নাবালিকাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। ওই নাবালিকাকে পরে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। এরপর মেয়েটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে এবং তাকে ভর্তি করানো হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই সে মারা যায়। মৃত্যুর আগের জবানবন্দিতে নাবালিকা বলে, জুবের তার পরিচয় একজন হিন্দু হিসেবে দিয়েছিল এবং নিজের নাম বলেছিল রাহুল। জানা গিয়েছে জুবের বেঙ্গালুরুতে একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। পুলিশ তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জুবেরের ফোনের লোকেশন মিজোরামে পাওয়া গিয়েছে। অসম (Assam) পুলিশ মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ চালাচ্ছে। ৬ জুলাই থেকে জুবেরের গোটা পরিবারের খোঁজ মিলছেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Flood: অসমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, মৃত ৩, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Flood: অসমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, মৃত ৩, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে (Assam) বন্যা (Flood) পরিস্থিতির আরও অবনতি। শনিবার পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। রাজ্যের ১৫টি জেলার ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। রাজ্যের প্রতিটি নদীর জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। বন্যায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নলবাড়ি জেলা। এদিন এই জেলায় একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে।

    ব্রহ্মপুত্রের রুদ্ররূপ

    জোরহাট জেলায় তেজপুর এবং নেমাটিঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। সব মিলিয়ে বন্যার কবলে পড়েছেন ৪ লক্ষ ৭ হাজার ৭৭১ জন মানুষ। এর মধ্যে মহিলার সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৩৮। ৫৩ হাজার ১১৯ জন শিশুও রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলি হল বাকসা, বারপেটা, বাজালি, চিরাং, দারাং, ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, গোয়ালপাড়া, গোলাঘাট, জোরহাট, কামরূপ, লখিমপুর, নাগাওঁ, নলবাড়ি এবং তামুলপুর। করুণ অবস্থা বাজালি জেলার। এই জেলায় বানভাসি হয়েছেন ২২ হাজার ১৫৮ জন, নলবাড়িতে দুর্গতের সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৮ জন। আর লখিমপুরে বন্যার (Flood) কবলে পড়েছেন ২২ হাজার ৬০ জন।

    জলের তলায় 

    দুর্গতদের জন্য ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে ২২০টি। সেখানে ঠাঁই হয়েছে ৮১ হাজার ৩৫২ জনের। ত্রাণ বিলির জন্য প্রশাসনের তরফে বাজালিতে খোলা হয়েছে ৫৭টি কেন্দ্র, নলবাড়িতে ৩৪টি। বানভাসি হয়েছে রাজ্যের ১ হাজার ১১৮টি জেলা। জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে ৮৪৬৯.৫৬ হেক্টর জমির ফসল। কেবল শনিবারই বানের জলে ভেসে গিয়েছে ৯৬৪টি গবাদি পশু। বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে ১৫৭টি রাস্তা। ধুবড়িতে ভেসে গিয়েছে একটি সেতু। প্রবল বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে করিমগঞ্জ জেলার কয়েকটি জায়গায়।

    আরও পড়ুুন: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদল বৈঠক, বন্দি ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা

    দারাং জেলায় বাঁধ ভেঙেছে চারটি। নলবাড়ি, গোটাঘাট, কামরূপ এবং বিশ্বনাথ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫টি বাঁধ। আগামী কয়েকদিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই জল (Flood) বাড়তে পারে রাজ্যের একাধিক নদনদীর। প্রত্যাশিতভাবেই প্লাবিত হতে পারে রাজ্যের নতুন নতুন অঞ্চল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assam Flood: অসমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, বিপন্ন লক্ষাধিক, আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Assam Flood: অসমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, বিপন্ন লক্ষাধিক, আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টির (Rain) বিরাম নেই। তাই ক্রমেই অবনতি হচ্ছে অসমের বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতির। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা চলে যাচ্ছে জলের তলায়। উচ্চ অসমের লাখিমপুর থেকে নিম্ন অসম, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। সব চেয়ে করুণ অবস্থা নলবাড়ি জেলার। সেখানকার ১০৮টি গ্রামের প্রায় ৪৫ হাজার বাসিন্দা গৃহহীন। সব মিলিয়ে অসমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি। এমতাবস্থায় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রাজ্যে বৃষ্টি চলবে আরও কয়েকদিন।

    ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র

    প্রবল বর্ষণের জেরে ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র নদ। দুকূল ছাপিয়ে বইছে তার বিভিন্ন শাখানদী। বন্যায় (Assam Flood) সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাকসা, দারাং, ধেমাজি, বরাপেটা, ধুবড়ি, কোকরাঝাড়, লাখিমপুর, শোনিতপুর, উদলাগিরি এবং নলবাড়ি। বন্যা দুর্গতদের অনেকেরই ঠাঁই হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। তবে সেখানে যাঁদের জায়গা হয়নি, তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু বাঁধের ওপর। নলবাড়ির অবস্থা সব চেয়ে খারাপ হওয়ার কারণ হল ভুটান থেকে বয়ে আসা নদী পাগলাদিয়া।

    জল বাড়ছে পাগলাদিয়ায়ও

    গত ২৪ ঘণ্টায় এই নদীর জলস্তর একলপ্তে বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি। পাহাড়ে আরও বৃষ্টি হলে ফের দুঃখের কারণ হবে পাগলাদিয়া। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ভুটানের জলাধার থেকে ছাড়া হচ্ছে জল। তাই সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। অসমের বিভিন্ন নদী ফুঁসতে থাকায় অনেক জায়গায় নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফেরি সার্ভিস। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রাজ্যের ১০ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৮০০ জন।

    বন্যা (Assam Flood) দুর্গতদের উদ্ধারে নামানো হয়েছে সেনা, আধাসেনা, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের কর্মীদের। কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন প্রশাসনের কর্মী এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও। প্রবল বর্ষণ এবং বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।

    তাই কয়েকটি জায়গায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্থলপথে যোগাযোগও। এদিকে, প্রবল বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে অসমের ডিমা হাসাও এবং কামরূপ মেট্রোপলিটন জেলায়। গোয়ালপাড়া, লাখিমপুর, বরপেটা, মাজুলি, ধেমাজি, বঙ্গাইগাঁও সহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা, সেতু এবং নদী বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টের গুঁতো! কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর দাবি কমিশনের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share