Tag: assembly election

assembly election

  • PM Modi: ‘আমি প্রতিদিন ২-৩ কিলো গালি খাই, কিন্তু…’, তেলঙ্গানায় কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন মোদি?

    PM Modi: ‘আমি প্রতিদিন ২-৩ কিলো গালি খাই, কিন্তু…’, তেলঙ্গানায় কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি প্রতিদিন দু তিন কিলো করে গালি খাই। এটাই আমার শরীরে পুষ্টির কাজ করে। তেলঙ্গানার (Telangana) এক জনসভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর নাম না নিয়েও সরকারের প্রধান কাজ কী, তাও জানালেন মোদি। বললেন, রাজ্যের প্রয়োজন এমন এক সরকারের যাদের কাছে পরিবার নয়, রাজ্যই প্রথম গুরুত্ব পাবে।

    মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করেই…

    আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) রয়েছে তেলঙ্গানায়। এদিনের সভায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করেই তাঁকে একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তাঁর বিরুদ্ধে এনেছেন দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গেই আসে গালাগালির প্রসঙ্গও। মোদি বলেন, আমি ক্লান্ত হই না। কারণ প্রতিদিন ২-৩ কিলো গালি দেওয়া হয় আমাকে…ঈশ্বরের আশীর্বাদে সেটা আমার শরীরে গিয়ে পুষ্টির কাজ করে। এটাকে আমি সদর্থক দৃষ্টিতেই দেখি। তাঁকে গালি দিলেও, তাতে যে তাঁর কিছু এসে যায় না, এদিন তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তেলঙ্গানাবাসীকে যেন গালাগালি না দেওয়া হয়, সেই হুঁশিয়ারিও দেন মোদি। বলেন, মোদিকে গালাগালি দিন, বিজেপিকে গালাগালি দিন…কিন্তু তেলঙ্গানার মানুষকে গালাগালি দেবেন না। যদি দেন, তার জন্য চড়া মূল্য চোকাতে হবে।

    আরও পড়ুন: বালিতে গিয়ে সুনক, মাক্রঁর সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি, কেন জানেন?

    দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে মোদি (PM Modi) বলেন, আমি আপনাদের ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করছি। কিছু মানুষ বেপরোয়া হয়ে, ভয়ে এবং সন্দেহের বশে মোদিকে গালাগালি দেবেন। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, বিরোধীদের পাতা সেই ফাঁদে পা দেবেন না। তাঁকে যে দীর্ঘদিন ধরে গালাগালি শুনতে হচ্ছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, ২০-২২ বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন রকমের গালাগালি আমাকে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, গালাগালির ডিক্সেনারি বানাতে গিয়ে দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছেন তাঁরা। তাঁরা এটা করছেন, কারণ তাঁদের আর দেওয়ার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের কাছে আবেদন করছি, গালাগালি দিলে হেসে উড়িয়ে দিন, রিলাক্স করুন, মনের সুখে চা খান। কারণ জেনে রাখুন, আগামী সকালে পদ্ম ফুটবেই।

    তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কুসংস্কার নিয়েও কটাক্ষ করেন মোদি (PM Modi)। বলেন, তেলঙ্গানা হল দেশের তথ্য প্রযুক্তির কেন্দ্র। কিন্তু আধুনিক শহরে কুসংস্কারকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যা দুঃখজনক। তিনি বলেন, তেলঙ্গানাকে যদি এগোতেই হয়, তাহলে আগে কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jammu & Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ভোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত নাড্ডার

    Jammu & Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ভোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট (assembly election) শীঘ্রই! রাজস্থানের জয়পুরে বিজেপির কর্মকর্তাদের বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত দিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। ভূস্বর্গে শান্তি ফিরছে বলেও জানান তিনি। নাড্ডা বলেন, নাশকতা থেকে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) এখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য বিপুল জনাদেশ নিয়ে দিল্লির তখতে ফিরে আসে বিজেপি। এর পরেই জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ নেয় নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। কাশ্মীর থেকে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা (Article 370)। উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে (Ladakh) পরিণত করা হয় কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে। শুরু হয় উন্নয়নযজ্ঞ। যার জেরে ক্রমেই শান্তি ফিরছে ভূস্বর্গে।

    জম্মু-কাশ্মীরে নরেন্দ্র মোদির সরকার যে বিধানসভা নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর, বিভিন্ন সময় তা জানিয়ে দিয়েছেন মোদি এবং অমিত শাহ। সেই মতো উপত্যকায় শান্তি ফিরতেই শুরু হয় ডিলিমিটেশনের (Delimitation) কাজ। ডিলিমিটেশন কমিশন কাশ্মীরে ৪৭টি ও জম্মুতে ৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের সুপারিশ করে। সুপারিশ করা হয় পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রেরও। পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের উদ্বাস্তুদের প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি বিধানসভায় দুই কাশ্মীরি অভিবাসীকেও মনোনীত করার সুপারিশও করে ওই কমিশন। কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়তেই বোঝা গিয়েছিল, খুব বেশি দূরে নেই জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন নিয়ে পাকিস্তানের ‘প্রহসনমূলক’ প্রস্তাব খারিজ ভারতের

    এদিন নাড্ডাও জানান, ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হলেই ভোট হবে ভূস্বর্গে। জম্মু-কাশ্মীরে যে শান্তি ফিরছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বলেন, জেলা উন্নয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরে পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফিরে এসেছে। ইদানিং উপত্যকায় আর পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটছে না। নাড্ডা বলেন, জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে পর্যটন এবং ব্যবসার উন্নতি হচ্ছে। কাশ্মীরে বিক্ষিপ্ত যেসব হিংসার ঘটনা ঘটছে, তা পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হতাশার ফল। তাঁর মতে, এরা চায় না উপত্যকায় শান্তি ফিরে আসুক। নাড্ডার আশ্বাস, জঙ্গিদের এই বিক্ষিপ্ত হত্যাকাণ্ডও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। জঙ্গিবাদের প্রতি উপত্যকাবাসীর সমর্থন শেষ হয়ে গিয়েছে বলেও মনে করেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, কাশ্মীরের মানুষ এখন আর জঙ্গিবাদ সমর্থন করেন না। সহিংসতায় তাঁরা বিরক্ত। তাঁরা চান, শান্তি ফিরে আসুক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপত্যকায় উন্নয়নযজ্ঞ শুরু করেছেন বলেও জানান তিনি। বলেন, জঙ্গিবাদ থেকে জম্মু ও কাশ্মীর এখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভিন্ন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন : গদি রাখতে গেলে শেহবাজকে জিইয়ে রাখতেই হবে কাশ্মীর ইস্যু

    জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপির ভিত যে পোক্ত হচ্ছে, এদিন তাঁর ভাষণে তা জানিয়ে দেন বিজেপির জম্মু-কাশ্মীর সভাপতি রবিন্দর রায়না। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে ভিত্তি হারিয়েছে কংগ্রেস। ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিডিপির সমর্থনের ভিত্তিও হয়েছে সঙ্কুচিত।

     

LinkedIn
Share