Tag: Ayodhya

Ayodhya

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে রাম দরবারের নির্মাণ কাজ, বসল প্রথম সোনার দরজা

    Ram Mandir: অযোধ্যায় দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে রাম দরবারের নির্মাণ কাজ, বসল প্রথম সোনার দরজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় সম্পূর্ণ রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের দ্রুত অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রথম তলায় গড়ে উঠছে রাম দরবার (Ram Darbar)। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাম দরবারে সোনার দরজা স্থাপন করা হয়েছে। মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় মাইলফলক বলেই জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। রাম দরবারের নির্মাণের মাধ্যমেই নতুন অধ্যায়ের সূচনা  হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, রাম দরবারে ভগবান রাম, সীতা, লক্ষণ এবং হনুমানের মূর্তি স্থাপন করা হবে। রাম দরবারের কাজ এখন পুরোদমে চলছে।

    ব্যস্ত নির্মাণ কর্মীরা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন (Ram Mandir)

    নির্মাণ কর্মীরা খুবই ব্যস্ত। নিজেদের নাওয়া-খাওয়া ভুলে সদা ব্যস্ত তাঁরা। প্রতিনিয়ত তাঁরা রাম দরবারকে কীভাবে আরও সুন্দর করা যায়, সেই ভাবনাই ভাবছেন। রাম দরবারে (Ram Darbar) প্রতিষ্ঠিত সোনার দরজা কেবলমাত্র একটি দরজাই নয়, তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানাচ্ছে যে, এটি একটি আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজের বিষয়ে দেশের কোটি কোটি ভক্তের আগ্রহ তুঙ্গে। রাম নগরীর মন্দিরের প্রতিটি আপডেট পেতে তাঁরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। এই আবহে রাম দরবার নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে।

    রাম দরবারের (Ram Mandir) কাজ শেষ হলে আরও বেশি ভক্ত সমাগম হবে

    রাম মন্দির আজ আর কেবল হিন্দু ধর্মের আস্থা বা বিশ্বাসের প্রতীক হয়েই নেই। উপরন্তু এদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পরম্পরা এবং জাতীয় অস্মিতার প্রতীক হয়ে উঠেছে রাম মন্দির। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, রাম দরবারের (Ram Darbar) নির্মাণ কাজ শেষ হলে আরও বেশি সংখ্যক লক্ষ লক্ষ তীর্থ যাত্রা এখানে হাজির হবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০২০ সালের অগাস্টে ভূমি-পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের (Ram Mandir)।

  • Ram Mandir: ফের বড় উৎসব অযোধ্যায়, আগামী মাসেই রাজা হবেন রাম, প্রতিষ্ঠা পাবে তাঁর দরবার

    Ram Mandir: ফের বড় উৎসব অযোধ্যায়, আগামী মাসেই রাজা হবেন রাম, প্রতিষ্ঠা পাবে তাঁর দরবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দিরে উদ্বোধন হয় ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি। তারপর থেকে অনেক জল গড়িয়েছে সরযূ নদী বেয়ে। এক বছর পরে উদযাপিত হয়েছে রামলালার অভিষেকের প্রথম বর্ষপূর্তি। সদ্য উদযাপিত হয়েছে রামনবমীও। এবার আগামী মাসেই অযোধ্যার রাম মন্দিরে ফের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন হতে চলেছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই ভগবান রামকে অযোধ্যার রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। এর পাশাপাশি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রথম তলায় রাম দরবার বা রাজ দরবারের উদ্বোধন হবে। অর্থাৎ আগামী মাসেই রামের রাজত্ব অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে একথা বলাই যায়।

    প্রাণ প্রতিষ্ঠার উৎসবের মতো অতটা জমকালো হবে না অনুষ্ঠান

    তবে এই অনুষ্ঠান রাম মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার মতো অতটা জাঁকজমকপূর্ণ বা জমকালো হবে না বলেই জানিয়েছেন রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট নিজেদের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে সামনে রেখে ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি যে ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল রাম মন্দির প্রাঙ্গণে। এই অনুষ্ঠান অতটাও জমকালো হবে না। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আট হাজার লোকের উপস্থিতি ছিল। তবে রাম দরবার প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান ছোটখাটোভাবে সুন্দর করে করা হবে বলেই জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। রামকে রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনাও তুঙ্গে।

    রাম দরবার (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমেই কাজ সম্পূর্ণ হবে রাম মন্দিরের

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিল যে সম্পূর্ণ মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হতে ২০২৫ পর্যন্ত সময় লাগবে। রামকে রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার মধ্যে দিয়েই সেই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট রাম মন্দিরের ভূমি পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরবর্তীকালে নির্মাণ কাজ শুরু হয় রাম মন্দিরের। এরপরে ২০২৪ সালেই উদ্বোধন করা হয় রাম মন্দির (Ayodhya)। রাম মন্দিরের বর্তমানে নির্মাণ কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। নৃপেন্দ্র মিশ্র একসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রাক্তন সচিবও ছিলেন।

    কী বলছেন নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র

    নৃপেন্দ্র মিশ্র সম্প্রতি জানিয়েছেন, মন্দির কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ এই মাসের (এপ্রিল) শেষের দিকে সম্পূর্ণ হবে। মন্দির প্রাঙ্গণে যে প্রাচীরের অবশিষ্ট কাজ রয়েছে সেগুলি ২০২৫ সাল শেষ হওয়ার আগেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। এ নিয়ে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘মন্দিরে (Ram Mandir) এখনও কুড়ি হাজার ঘনফুট পাথর স্থাপন করা হয়নি। মন্দিরে নির্মাণ কাজ আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। মন্দিরের প্রাচীরের বাইরে এবং ভিতরের সমস্ত মূর্তি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে স্থাপন করা হবে।’’ এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার রামলালার মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন কর্নাটকের শিল্পী অরুণ যোগীরাজ। ৫১ ইঞ্চি লম্বা মূর্তি স্থাপিত রয়েছে গর্ভগৃহে। অন্যদিক, রাম দরবারে ব্যবহৃত পাথরের খোদাইয়ের কাজ করছেন জয়পুরের ২০ জন দক্ষ শিল্পী।

    গড়া হয়েছে সন্ত তুলসী দাসের বিরাট মূর্তি

    একইসঙ্গে, রাম মন্দির (Ram Mandir) চত্বরে রামচরিত মানসের রচনাকার সন্ত তুলসী দাসের একটি বিশাল মূর্তিও প্রাজ্ঞণে স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মন্দির নির্মাণ কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাম মন্দিরের কুড়ি একর জমিকেই ব্যাপকভাবে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার রাম মন্দির তৈরি হয়েছে নাগরীতে রীতিতে। প্রসঙ্গত, প্রাণ প্রতিষ্ঠা যখন সম্পন্ন হয় তখন শুধুমাত্র গর্ভগৃহ এবং প্রথম তলাটি সম্পূর্ণ হয়েছিল।

    গড়ে তোলা হয়েছে রামকথা জাদুঘর

    অযোধ্যায় রামের মূল মন্দির থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে একটি ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক রামকথা জাদুকর। এখানেই ভগবান রাম যেন আরও জীবন্ত হয়ে উঠেছেন। রামায়ণের বিভিন্ন ঘটনাবলীও এখানে লিপিবদ্ধ হয়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি রাম মন্দির আন্দোলনের ২০০ বছরের ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে এই জাদুঘরে। প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে যে সমস্ত জিনিসগুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলিও এখানে সংরক্ষিত করা হয়েছে রামভক্তদের জন্য।

  • Ram Navami in Ayodhya: ড্রোন দিয়ে ভক্তদের উপর ছেটানো হবে সরযূর জল, ২ লক্ষ প্রদীপের আলোয় ঝলমলে রামনবমীর অযোধ্যা

    Ram Navami in Ayodhya: ড্রোন দিয়ে ভক্তদের উপর ছেটানো হবে সরযূর জল, ২ লক্ষ প্রদীপের আলোয় ঝলমলে রামনবমীর অযোধ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার রামনবমী। পালিত হবে রামলালার জন্মদিন। তার আগে সেজে উঠছে অযোধ্যা (Ram Navami in Ayodhya)। লক্ষাধিক ভক্তের ভিড়ে সরগরম সরযূ নদীর ধার। অযোধ্যায় রামনবমী উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ত্রেতা যুগে অযোধ্যায় সূর্যবংশীয় রাজা দশরথ এবং রানী কৌশল্যার পুত্র রূপে, পবিত্র চৈত্র শুক্ল নবমী তিথিতে ভগবান বিষ্ণুর অবতার রূপে শ্রীরামচন্দ্র অধর্মের বিনাশ এবং ধর্ম স্থাপনের উদ্দেশ্যে ধরাধামে অবতীর্ণ হন। তাই চৈত্র শুক্ল নবমী তিথিটি হিন্দুদের কাছে পবিত্র রামনবমী হিসাবে খ্যাত। রামজন্মভূমি অযোধ্যা এই সময় আনন্দে মেতে ওঠে।

    সেজে উঠেছে পথ-ঘাট

    রামনবমী (Ram Navami in Ayodhya) উপলক্ষে সাজ সাজ রব অযোধ্যায়। শহরের প্রধান মন্দির এবং রাস্তাগুলি বর্ণিল ফুল ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে, যা ভক্তদের মনে আনন্দের সঞ্চার করছে।​ চলতি বছর রামনবমী পালিত হবে ৬ এপ্রিল রবিবার। এই দিনে ভগবান শ্রী রামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ভক্তরা বিশেষ পুজো ও উপবাস পালন করেন। পূজার শুভ মুহূর্ত বেলা ১১টা ০৮ থেকে দুপুর ১টা ৩৯ পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে। রামনবমী উপলক্ষে এদিন ১৮ ঘণ্টা ধরে ভক্তরা রামলালার মূর্তি দর্শন করতে পারবেন। ২০ লাখ ভক্ত সমাগম হবে, বলে মনে করছে অযোধ্যা মন্দির ট্রাস্ট।

    ড্রোন দিয়ে সরযূর জল

    রামনবমী উপলক্ষে অযোধ্যার (Ram Navami in Ayodhya) শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দির বিশেষভাবে সজ্জিত হয়েছে। মন্দিরের প্রধান ফটক ও গর্ভগৃহে ভগবান রামের সিংহাসনকে আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয়েছে, যা ভক্তদের মধ্যে ভক্তি ও উচ্ছ্বাস বাড়িয়ে তুলেছে।​ সমগ্র অযোধ্যা শহরটি উৎসবের রঙে রঙিন হয়েছে। রাস্তায় ঝলমলে আলোকসজ্জা, পরিষ্কার ও প্রশস্ত রাস্তা, সরযূ নদীর তীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। ভক্তদের উপর সরযূর জল ছেটানোর জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হবে। অযোধ্যার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্র বিজয় সিং শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, “রাম নবমীতে আগত ভক্তদের উপর সরযূ নদীর পবিত্র জল ছেটানো হবে। এর জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হবে। মা সরযূর প্রতি ভক্তদের গভীর বিশ্বাসের কথা মাথায় রেখে এই আয়োজন করা হয়েছে। এটি প্রযুক্তি এবং ঐতিহ্যের এক অনন্য সঙ্গম।”

    দুই লক্ষ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন

    উত্তরপ্রদেশ সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রামনবমী (Ram Navami in Ayodhya) উপলক্ষে দুই লক্ষেরও বেশি প্রদীপ জ্বালানো হবে সরযূর তীরে। এই দীপোৎসব কেবল আধ্যাত্মিকতার প্রতীকই নয়, পর্যটকদের জন্য একটি অনন্য দৃশ্যও উপস্থাপন করবে। এ ছাড়া, অষ্টমীর দিন কনক ভবন থেকে একটি ঐতিহ্য পদযাত্রার আয়োজন করা হবে, যা রাম কথা পার্কে শেষ হবে। রাম কথা পার্কে নৃত্য, সঙ্গীত এবং নাটকের মতো পরিবেশনা সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন স্থানে ভজন ও কীর্তনের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে, যা ভক্তদের মনে ভক্তি ও আনন্দের সঞ্চার করছে।​

    সূর্যতিলক কখন

    এইদিন পুজোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচারগুলির মধ্যে একটি হল সূর্য তিলক। সূর্যের রশ্মি দিয়ে রামলালা মূর্তির প্রতীকী অভিষেক করা হয় বছরের এই দিনে। গত বছর, অযোধ্যায় (Ram Navami in Ayodhya)  নব উদ্বোধন হওয়া রাম মন্দিরে প্রথমবারের মতো এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল গোটা বিশ্ব। এই ঘটনাকে সূর্যের আশীর্বাদের প্রতীক বলে ধরে নেওয়া হয়। যেহেতু রামচন্দ্র সূর্যবংশী রাজবংশের বংশধর তাই এই সূর্য তিলকের আয়োজন। এই অনুষ্ঠান কেবল তিলকের আকারে সূর্যের শক্তির শারীরিক রূপকেই সম্মান করে না বরং রামের মধ্যে বিদ্যমান সূর্যের গুণাবলী – তেজ, শক্তি এবং নির্দেশনার মূর্ত প্রতীক। রাম নবমীর দিন ঠিক দুপুর ১২টায় সূর্য তিলকের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। সূর্য দেবতার আশীর্বাদের প্রতীক হিসেবে সূর্যের আলো সরাসরি দেবতার কপালে পড়ার জন্য এই নির্দিষ্ট মুহূর্তটি বেছে নেওয়া হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি প্রায় ৫ মিনিট স্থায়ী হবে।

    বিপুল ভক্ত-সমাগমের প্রস্তুতি

    রামনবমী উপলক্ষে অযোধ্যায় (Ram Navami in Ayodhya) বিপুল ভক্ত সমাগম আশা করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। যাতে দর্শনার্থীরা কোনও ধরণের অসুবিধার সম্মুখীন না হন, তাই জন্য বিভিন্ন স্থানে ভাণ্ডার, পানীয় জল, স্বাস্থ্য শিবির এবং শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানুষকে গরমের ক্লান্তি থেকে মুক্তি দিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে চটির আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে থাকছে ঠান্ডা জলের ব্যবস্থা। এর আগে, উত্তরপ্রদেশ সরকার বলেছিল যে ভক্তদের সুবিধার্থে, শৃঙ্গারহাট থেকে রাম পথের ৩ নম্বর গেট পর্যন্ত মাদুর বিছানো হবে এবং নিয়মিত জল ছিটানো হবে। ধর্মপথের পাশে ছায়াযুক্ত অস্থায়ী শিবির স্থাপন করা হবে এবং ২৪৩টি স্থানে পানীয় জলের সুবিধা প্রদান করা হবে। ধর্মপথ, রামপথ, ভক্তিপথ, আরতি ঘাট, চৌধুরী চরণ সিং ঘাট এবং দর্শন পথ সহ গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে তিন-পর্যায়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভক্তদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে রাম মন্দির ট্রাস্ট দর্শনের সময়কাল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, শহরের বিভিন্ন স্থানে স্টল স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে স্থানীয় খাবার এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। আরেকটি আকর্ষণ হবে সরস মেলা, যেখানে সারা দেশের হস্তশিল্প এবং ঐতিহ্যবাহী পণ্য প্রদর্শিত হবে। এখানে স্থানীয় কারিগরদের শিল্প প্রদর্শন করা হবে। রামনবমীর দিন যাঁরা অযোধ্যায় উপস্থিত হতে পারবেন না, তারা প্রসার ভারতীর সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে এই উৎসব উপভোগ করতে পারবেন।

  • Ram Mandir: প্রায় সম্পূর্ণ অযোধ্যা রাম মন্দিরের নির্মাণের কাজ, বৈদিক রীতিতে সম্পন্ন কলসি পুজো

    Ram Mandir: প্রায় সম্পূর্ণ অযোধ্যা রাম মন্দিরের নির্মাণের কাজ, বৈদিক রীতিতে সম্পন্ন কলসি পুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় সম্পূর্ণ অযোধ্যার রাম মন্দিরের নির্মাণের কাজ। গত পরশু অর্থাৎ বুধবার ২ এপ্রিল অযোধ্যার (Ayodhya) রাম জন্মভূমিতে (Ram Mandir) সম্পন্ন হয় কলসি পুজো। সম্পূর্ণ বৈদিক রীতিতে এই কলসি পুজো সম্পন্ন হয়। এই অনুষ্ঠানে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন। কলসি পুজোয় শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই এর পাশাপাশি হাজির ছিলেন অনিল মিশ্র, গোপাল রাই প্রমুখরা।

    নির্মাণ সংস্থার আধিকারিকরাও হাজির ছিলেন পুজোয় (Ram Mandir)

    একইসঙ্গে রাম জন্মভূমির মন্দির নির্মাণের (Ram Mandir) কাজ করেছে যে এল অ্যান্ড টি কোম্পানি এবং টিসিএস, তাদের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। এই কোম্পানির আধিকারিকরা পুজোতেও অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের প্রার্থনা করতেও দেখা যায়। প্রসঙ্গত, আগামী ৬ এপ্রিল রয়েছে রামনবমী। সেই আবহে ২ এপ্রিলে কলসি পুজো সম্পন্ন হল। মন্দির নির্মাণ কমিটির (Ram Mandir) চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ২৪ মার্চ তাঁরা একটি বৈঠক করেন। এই বৈঠকেই আলোচিত হয় রাম মন্দির নির্মাণের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। নৃপেন্দ্র মিশ্র আরও জানিয়েছেন, রাম মন্দিরের ভিতরে সপ্ত মন্দিরে নির্মাণও প্রায় সম্পূর্ণ। ভগবান রামের মূর্তিও খুব তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠা করা হবে।

    আগেই জানানো হয় মন্দির নির্মাণ হতে সময় লাগবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত

    রামমন্দিরের চত্বরে আরও সাতটি মন্দির রয়েছে। এগুলি সম্পূর্ণ হওয়ার কাজও চলছে। এই সাতটি মন্দিরে মহর্ষি বাল্মীকি, শবরী, নিষাদরাজ, অহল্যা, বশিষ্ঠ, বিশ্বকর্মা ও অগস্ত্য মুনির পুজো হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন আরএসএস প্রমুখ মোহন ভাগবতও। তখনই রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়, সম্পূর্ণ মন্দির নির্মাণ হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। ২০২৫ সালের রামনবমীর আবহে অযোধ্যা নগরীর রাম মন্দির প্রায় সম্পূর্ণ ।

  • Ayodhya: রামনবমীর আগে সেজে উঠছে অযোধ্যা, ৫০ লাখ ভিড় হতে পারে, অনুমান প্রশাসনের

    Ayodhya: রামনবমীর আগে সেজে উঠছে অযোধ্যা, ৫০ লাখ ভিড় হতে পারে, অনুমান প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরেই অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দিরে প্রবেশ করেছেন রামলালা। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। তারপর থেকে এটা দ্বিতীয় বর্ষ। মন্দিরে প্রবেশের পরে দ্বিতীয়বার রামনবমী অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সরযূ নদীর ধারে অযোধ্যায়। রামনগরীতে একেবারে সাজো সাজো রব এনিয়ে। প্রভু রামের জন্মোৎসব পালন কোনও রকমের ত্রুটিই রাখতে চাইছে না অযোধ্যা। ভক্তি আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়ার রামনগরী যেন তপক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। ভক্তদের মনস্কামনা পূরণের ভূমি হয়ে উঠেছে অযোধ্যা। ইতিমধ্যে গোটা মন্দির চত্বর সেজে উঠেছে রংবেরঙের ফুলে এবং তোরণে। সন্ধ্যা নামতেই আলোর মালায় রামমন্দির চত্বরকে আরও মায়াবি লাগছে। প্রশাসনের অনুমান, চলতি বছরে পঞ্চাশ লাখেরও বেশি ভক্ত হাজির হতে পারেন রামনবমীর (Ram Mandir) অনুষ্ঠানে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করে ভক্তদের ভিড় বাড়তে থাকে অযোধ্যায়। সেসময় রামলালার দর্শনের সময়সীমাও বদল করা হয়। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি কুম্ভমেলা শেষ হতেই ফের আগের সময়সীমা চালু করা হয়। আগামী ৬ এপ্রিল রয়েছে রামনবমী। তার আগে উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছেছে সরযূ নদীর ধারে।

    সেজে উঠেছে রামমন্দিরের প্রধান দ্বার (Ayodhya)

    অযোধ্যার রাম জন্মভূমিতে ঢোকার মুখে যে প্রধান দ্বার, সেটিকে সুন্দরভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। সর্বত্র যেন ভক্তির ছোঁয়া। ফুলের তোড়া সমেত অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে সাজানো এই দ্বার স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রামভক্তদের। অযোধ্যার (Ayodhya) এমন সাজ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ঠিক কতটা জাঁকজমক করে পালন হতে যাচ্ছে রামনবমী। মন্দিরের গর্ভগৃহে যেখানে ভগবান রামলালার মূর্তি রয়েছে তাও সাজানো হয়েছে। গর্ভগৃহে যে সিংহাসনের ওপর রামলালা বিরাজমান রয়েছেন, সেটিকেও খুব সুন্দরভাবে এবং নানা সামগ্রী ও উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে। এখানেই প্রতিফলিত হচ্ছে ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতা।

    অযোধ্যায় ১০০-রও বেশি বড় বড় এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয়েছে

    এর পাশাপাশি, অযোধ্যার (Ayodhya) প্রতিটি রাস্তাতেই দেখা যাচ্ছে তৈরি করা হয়েছে ফটক। অনেক জায়গাতে তোরণও নজরে পড়ছে। সমগ্র অযোধ্যাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। রাস্তাঘাটে কোথাও আবর্জনার দেখা নেই। সারাদিন ও রাতে ভক্তদের ঢল এখন থেকেই নামতে দেখা যাচ্ছে। রামমন্দির থেকে দেড় কিমি দূরে সরযূ নদী। সেই নদীর ধারেও ভক্তরা ভিড় জমাচ্ছেন। নদীর পাড়ও পরিষ্কার করা হয়েছে। রাম কি পৈদাই বলে পরিচিত ঘাটে মোমবাতি এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনও করা হচ্ছে। ভক্তরা সেখানে নিজেদের মনস্কামনা পূর্ণ করতে প্রার্থনা করছেন। সমগ্র অযোধ্যার মন্দিরে আকাশে-বাতাসে বর্তমানে ভজন এবং কীর্তন শোনা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি ধর্মীয় গানও প্রতিধ্বনিত হচ্ছে রাস্তায় এবং মন্দির চত্বরে। সমগ্র অযোধ্যায় ১০০-রও বেশি বড় বড় এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। এগুলো থেকেই রামলালার দর্শন এবং রামনবমীর উদযাপন দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    রামনবমীতে ৫০ লাখ তীর্থযাত্রীর পা পড়বে

    প্রসঙ্গত, রামনবমীর আবহে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। প্রশাসনের তরফ থেকেও ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ দ্বিতীয় বছরের রামনবমীতে ৫০ লাখ মানুষ তীর্থযাত্রীর পা পড়বে অযোধ্যায়। এনিয়েই ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘন ঘন বৈঠক চলছে প্রশাসনের মধ্যে। অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়ন করা হচ্ছে অযোধ্যায় (Ayodhya)। তৈরি করা হয়েছে ক্যাম্প।

    ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাবে সিসি ক্যামেরা

    রামনগরীর প্রতিটি রাস্তায় নজরে পড়ছে ব্যারিকেড। এর পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রাখার জন্য সিসি ক্যামেরাও সেখানে রাখা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের আরাম এবং অন্যান্য সুবিধার কথা ভেবে একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে, গরমে বা অন্য কোনও কারণে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশেষ মেডিক্যাল টিমের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এছাড়া, দমকল সমেত অন্যান্য এমারর্জেন্সি সার্ভিসেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    স্থানীয় অর্থনীতিও ব্যাপক চাঙ্গা হবে বলে মনে করা হচ্ছে

    প্রসঙ্গত, রামনবমীতে একটি বড় করে আরতি হবে রাম জন্মভূমিতে। এই আরতি দর্শনেও জমবে ব্যাপক ভিড়। সেখানে সাংস্কৃতিক কর্মসূচিও পালিত হবে। ওই অনুষ্ঠানে দেখানো হবে ভগবান রামের জীবনী এবং তাঁর শিক্ষা। শুধুমাত্র তাই নয়, রামনবমীর মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিও ব্যাপক চাঙ্গা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হোটেল, গেস্ট হাউস এবং ধর্মশালাগুলিও সম্পূর্ণভাবে বুকিং হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ধর্মীয় সামগ্রীও বিক্রি করছেন। ফুল-প্রসাদ ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে।

  • Ayodhya Ram Mandir: ৯৪৪ কেজি রুপো দান! ৫ বছরে সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিল অযোধ্যার রাম মন্দির

    Ayodhya Ram Mandir: ৯৪৪ কেজি রুপো দান! ৫ বছরে সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিল অযোধ্যার রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী-রাম মাহাত্ম্যে ভক্তদের প্রাণকেন্দ্র এখন অযোধ্যা (Ayodhya Ram Mandir)। প্রতিদিন অযোধ্যার রাম মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামছে। বিশেষ বিশেষ দিনে তো জনসমুদ্র। দেশের কোষাগারকেও ভরিয়ে তুলছে রাম মন্দির। ধর্মীয় পর্যটনের উত্থানের জেরে বিগত ৫ বছরে শ্রী রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিয়েছে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধান চম্পত রাই সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন। এই অর্থ ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এর মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এই ৪০০ কোটি টাকা করের মধ্যে ২৭০ কোটি টাকা জিএসটি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৩০ কোটি টাকা অন্যান্য কর (Ram Mandir Tax) হিসাবে দেওয়া হয়েছে। রামমন্দির ট্রাস্টের দাবি, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল দ্বারা অডিট করা হিসাবই প্রকাশ করা হয়েছে।

    ভক্তদের ভিড় রাম মন্দিরে

    ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir)। তারপর থেকেই রাম মন্দিরে ভক্তদের ভিড় লেগেই রয়েছে। বড় বড় উৎসবে নামে অগুনতি পুণ্যার্থীর ঢল। গত বছর অযোধ্যা ১৬ কোটি দর্শনার্থী ভিড় জমিয়েছিলেন, যা রেকর্ড। যার মধ্যে ৫ কোটি রাম মন্দির পরিদর্শন করেছেন। রাম মন্দিরের ট্রাস্টের কর্তা চম্পত রাই বলেন, “অযোধ্যায় ভক্ত ও পর্যটকদের সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এটিকে একটি প্রধান ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করেছে এবং স্থানীয় মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। মহাকুম্ভের সময় ১.২৬ কোটি ভক্ত অযোধ্যায় এসেছিলেন।” তবে রাম মন্দির তৈরি হওয়ার আগেও কিন্তু বহু মানুষ গিয়েছিলেন রামলালার দর্শন করতে।

    রাম মন্দিরে নিয়মিত আয় ও কর প্রদান

    ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট (Ayodhya Ram Mandir) গত পাঁচ বছরে রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য ২,১৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে, যার মধ্যে ১৮ শতাংশ অর্থ সরকারকে ট্যাক্স (Ram Mandir Tax) হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে। এই অর্থ প্রধানত জনগণের দান, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য দাতাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। মন্দিরের নির্মাণ শুরুর আগে ভারত সরকার মাত্র এক টাকা দান করেছিল। চম্পত রাই আরও জানান, গত পাঁচ বছরে ট্রাস্ট মোট ৩,৫০০ কোটি টাকা দান সংগ্রহ করেছে, যার ৬০ শতাংশই ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়। গত পাঁচ বছরে, ট্রাস্ট সরকারী বিভাগগুলোকে ৩৯৬ কোটি টাকা ট্যাক্স প্রদান করেছে। এর মধ্যে ২৭২ কোটি টাকা জিএসটি হিসেবে, এবং ১৩০ কোটি টাকা বিভিন্ন ট্যাক্স ক্যাটেগরিতে প্রদান করা হয়েছে।

    আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা

    চম্পৎ রাই জানান, ট্রাস্ট রাজকীয় নির্মাণ সংস্থা (উত্তরপ্রদেশ রাজকীয় নির্মাণ নিগম)-কে  রাম কথা মিউজিয়ামের চারপাশে তিনটি গেট নির্মাণের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ট্রাস্ট সরকারী অ্যাকাউন্টে ৩৯ কোটি টাকা জমা করেছে, আর রয়্যালটি হিসেবে ১৪.৯০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে এবং নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য ৭.৪০ কোটি টাকা শ্রম তহবিল হিসেবে বরাদ্দ করেছে। এছাড়া, ৪ কোটি টাকা বিমা পলিসির জন্য রাখা হয়েছে এবং রাম জন্মভূমি মানচিত্র অনুমোদন করার জন্য আয়োধ্যা বিকাশ প্রাধিকারণের জন্য ৫ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে, ভক্তরা শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ট্রাস্টে ৯৪৪ কিলোগ্রাম রুপো দান করেছেন (যার ৯২ শতাংশ বিশুদ্ধ)। ভারত সরকারের মিন্টিং কর্পোরেশন প্রাপ্ত রুপো দিয়ে বিশাল রুপোর ইট তৈরি করেছে, যেগুলো ব্যাঙ্ক লকারে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে, চম্পত রায় এ তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি আরও জানান যে, রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। চম্পত রাই জানান, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট স্বচ্ছভাবে এই কর পরিশোধ করেছে। এই টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে। তাঁদের আর্থিক লেনদেন ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) নিয়মিত পরীক্ষা করেও দেখে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ল্য়ান্ড-মার্ক অযোধ্যা

    ২০১৯ সালে যুগান্তকারী নির্দেশের পর ২০০০ সালে অযোধ্যায় রামলালার মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সেই কাজ করেছিলেন। এরপরই রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। এক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পুরোভাগে। এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রখ্যাত সব সাধু, সন্ন্যাসী, দেশ বিদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট্যজন। হিন্দুদের বিশ্বাস, অযোধ্য়ায় মন্দিরের জায়গাতেই রামলালার জন্ম হয়েছিল। বর্তমানে অযোধ্যা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ল্য়ান্ড-মার্কে পরিণত হয়েছে। রাম মন্দিরের দৌলতে ভরে উঠছে কোষাগার। এই মন্দির থেকে রাজস্ব এবং কর হিসেবে জমা পড়ছে বিপুল অঙ্কের টাকা।

  • Ayodhya: মহাকুম্ভ শেষ, নেই বাড়তি চাপ, অযোধ্যার রামলালা দর্শনে চালু আগের সময়সূচিই

    Ayodhya: মহাকুম্ভ শেষ, নেই বাড়তি চাপ, অযোধ্যার রামলালা দর্শনে চালু আগের সময়সূচিই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ সম্পন্ন হয়েছে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। মহা শিবরাত্রির দিন ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল মহাকুম্ভ। চলেছে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়ে বিপুল সংখ্যক ভক্তের পা পড়ে রামনগরীতে। মহাকুম্ভে স্নান সেরে অযোধ্যায় রামলালার দর্শন করবেন- এই উদ্দেশে অনেকেই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্তু প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ শেষ হতেই ভিড় কমেছে অযোধ্যাতেও। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ যখন চলছিল, তখন অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Temple) দর্শনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু সোমবার থেকেই রাম মন্দির দর্শনের জন্য সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। আগের মতোই করা হয়েছে সময়সূচী।

    রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এবং প্রশাসনের বৈঠক

    শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এবং অযোধ্যার (Ayodhya) প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিগত দিনগুলিতে ব্যাপক ভক্তদের ভিড় হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Temple)। চাপ কমাতে দর্শনের সময়সূচিতে বদল করে রাম মন্দির ট্রাস্ট। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত খোলা থাকত মন্দির। এরপর গতকাল সোমবার চালু করা হল আগের নিয়ম।

    ভোর ৪:১৫ থেকে ৬টা পর্যন্ত দ্বার বন্ধ থাকবে

    নতুন সময়সূচী অনুসারে, ব্রহ্ম মুহূর্তে ভোর ৪টায় মঙ্গল আরতির পর, স্নানের জন্য ৪:১৫ থেকে ৬টা পর্যন্ত দ্বার বন্ধ থাকবে। এর পরে, সকাল ৬টায় শৃঙ্গার আরতি অনুষ্ঠিত হবে। তারপর সকাল ৬:৩০ থেকে দর্শন শুরু হবে চলবে সকাল ১১:৫০ পর্যন্ত। এরপর, ভোগের জন্য দুপুর পর্যন্ত দ্বার বন্ধ থাকবে। এরপর দুপুর ১২টা থেকে ১২:৩০ পর্যন্ত আবার দর্শন শুরু হবে।

    দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কখন করা যাবে দর্শন (Ayodhya)

    রামলালার দুপুরের বিশ্রামের জন্য দুপুর ১২:৩০ থেকে ১টা পর্যন্ত দরজা বন্ধ থাকবে। দুপুর ১টা থেকে আবার দর্শন শুরু হবে এবং সন্ধ্যা ৬:৫০ পর্যন্ত চলবে। এরপর সন্ধ্যা ৬:৫০ থেকে ৭টা পর্যন্ত বালভোগের জন্য দরজা বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যা ৭টায় আরতির পর ফের দ্বার দর্শনের জন্য দরজা খোলা হবে। দরজা খোলা থাকবে রাত ৯:৪৫ পর্যন্ত। এরপর রাত ৯:৪৫ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাত্রিভোগের জন্য দরজা বন্ধ থাকবে এবং রাত ১০টায় শয়ন আরতি অনুষ্ঠিত হবে। আরতিতে অংশগ্রহণকারী দর্শনার্থীরা রাত ৯:৩০ থেকে মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন। রাত ১০টা ১৫ নাগাদ আরতি-পুজোর পর রামলালা শয়নে যাবেন। সকাল পর্যন্ত মন্দির (Ayodhya) বন্ধ থাকবে।

  • Ayodhya: ভোর থেকে রাত, লম্বা লাইন অযোধ্যায়, প্রয়াগে অমৃতস্নান সেরে রামলালা দর্শনে ভক্তদের ঢল

    Ayodhya: ভোর থেকে রাত, লম্বা লাইন অযোধ্যায়, প্রয়াগে অমৃতস্নান সেরে রামলালা দর্শনে ভক্তদের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে সম্পন্ন হচ্ছে মহাকুম্ভ। সারা দেশ এখন প্রয়াগরাজমুখী। মনে করা হচ্ছে ৬০ কোটি ভক্ত ছুঁয়ে যাবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই আবহে অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির দর্শনে দেখা যাচ্ছে ভক্তদের ঢল। ভোর থেকে রাত লম্বা লাইন। সারা দেশ থেকেই ভক্তরা হাজির হচ্ছেন রামলালার (Ramlala) দর্শনে। লাইন শুরু হচ্ছে সকাল পাঁচটা থেকে এবং তা চলছে রাত্রি দশটা পর্যন্ত। প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান সেরেই প্রচুর ভক্ত আসছেন রামলালার দর্শনে। প্রতিদিন লাখেরও বেশি ভক্তের পা পড়ছে অযোধ্যার (Ayodhya) মাটিতে। এমনটাই জানিয়েছে সেখানকার প্রশাসন।

    ভক্তদের ভিড়ে উন্নত হয়েছে অর্থনীতিও

    এই আবহে ভক্তদের ভিড়কে (Ayodhya) নিয়ন্ত্রণ করতে এবং যাতে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে রাম মন্দির চত্বরজুড়ে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ২০১৬-১৭ সালে যেখানে অযোধ্যাতে ভক্ত সংখ্যা ছিল ২.৩৫ লক্ষ সেখানে ২০২৪ সালে অযোধ্যায় ভক্ত সংখ্যা হয়েছে ১৪ থেকে ১৫ কোটি এবং এর ফলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ হয়েছে ব্যাপকভাবে।

    কী বললেন অযোধ্যার (Ayodhya) পুলিশ সুপার?

    চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে অযোধ্যার (Ayodhya) পুলিশ সুপার রাজ করণ নায়ার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘প্রচুর ভক্ত অযোধ্যায় আসছেন। ২৪ ঘণ্টাই আমাদেরকে ডিউটি করতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ও ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টও করতে হচ্ছে। প্রত্যেক ভক্ত একই উদ্দেশ্যে আসছেন। তাঁরা রামলালাকে দর্শন করতে চান। এখানে যে গাড়িগুলি ঢুকছে সেজন্য পার্কিংয়েরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ট্রাফিকের জন্য অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়ন করা হয়েছে। অযোধ্যার ছটি জায়গাতে আমরা কেন্দ্র তৈরি করেছি। যেখানে নিখোঁজ দর্শনার্থীদের সন্ধানের জন্য সাহায্য করা হবে।’’ অযোধ্যার (Ayodhya) আরেক পুলিশ কর্তা, মধুবন কুমার সিং জানিয়েছেন, প্রতিনিয়তই ভক্ত সংখ্যা বেড়ে চলেছে মহাকুম্ভে। ভক্তরা কুম্ভমেলায় পুণ্যস্নান সেরে রামলালা (Ramlala) দর্শন করতে আসছেন। একই সঙ্গে তাঁরা হনুমানজীর মন্দিরও দর্শন করছেন ।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাইন চলছে।

  • Satyendra Das: প্রয়াত রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, আধ্যাত্মিক জগতে শোকের ছায়া

    Satyendra Das: প্রয়াত রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, আধ্যাত্মিক জগতে শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মহন্ত সত্যেন্দ্র দাস (Satyendra Das)। বুধবার সকালে উত্তরপ্রদেশের লখনউতে সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (Ram Mandir)। বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    শোক প্রকাশ যোগীর (Satyendra Das)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “পরম রামভক্ত, শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দির, শ্রী অযোধ্যা ধামের পুরোহিত শ্রী সত্যেন্দ্র কুমার দাসজি মহারাজের মৃত্যুর খবর অত্যন্ত দুঃখের। এটা আধ্যাত্মিক জগতের অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁকে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।” হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, “অযোধ্যা রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাসজি আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। নিউরোলজি ওয়ার্ডের হাই-ডিপেনডেন্সি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল।”

    রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    রাম মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি চম্পত রাই বলেন, “সত্যেন্দ্র দাস মহারাজের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তিনি লখনউতে পিজিআই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ৪৮ ঘণ্টা আগে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তিনি হনুমানঘড়ির সাধু ছিলেন। তিনি ‘বিরাক্ত’ ছিলেন, যিনি শিশুদের সংস্কৃত ব্যাকরণ পড়াতেন।” অযোধ্যায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র শরদ শর্মা মহন্ত সত্যেন্দ্র দাসের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “তাঁকে সবাই শ্রদ্ধা করতেন। অযোধ্যার আন্দোলনের বিষয়ে খুব কম লোকের জ্ঞান আছে। তিনি সেই স্বল্প সংখ্যকদের মধ্যে একজন (Satyendra Das)। আমরা তাঁর মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত।”

    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদকাণ্ডের সময় সত্যেন্দ্র দাস রাম মন্দিরের অস্থায়ী পুরোহিত ছিলেন। সেই থেকেই তিনি রামলালার সেবায় নিয়োজিত। ধীরে ধীরে তিনি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পদে উন্নীত হন। নির্বাণী আখড়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সত্যেন্দ্র। ভক্তরা চাইলেই তাঁর সাক্ষাৎ পেতেন। যে কোনও সমস্যায় তাঁরা ছুটে যেতেন সত্যেন্দ্রর কাছে। অযোধ্যা ও রাম মন্দির সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান ছিল গভীর। ২০২৪ সালে নতুন মন্দিরে রামলালার অভিষেকের সময় সত্যেন্দ্রর সঙ্গে পরিচয় ঘটে দেশবাসীর। রাম মন্দিরের তরফে প্রদীপ দাস জানান, এদিনই হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হবে প্রবীণ পুরোহিতের দেহ (Ram Mandir)। বৃহস্পতিবার সরযূ নদীর তীরে হবে তাঁর শেষকৃত্য (Satyendra Das)।

  • Ram Mandir: অযোধ্যার রাম মন্দিরে নামছে ভক্তের ঢল, সময় বাড়ল দেবদর্শনের

    Ram Mandir: অযোধ্যার রাম মন্দিরে নামছে ভক্তের ঢল, সময় বাড়ল দেবদর্শনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Mandir) দেখতে এমনিতেই নিত্য ভিড় হয়। তার ওপর উত্তরপ্রদেশেরই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে চলছে মহাকুম্ভ মেলা। স্বাভাবিকভাবেই এক যাত্রায় পৃথক ফল যাতে না হয়, তাই কুম্ভে অমৃতস্নান করে পুণ্যার্থীরা চলে যাচ্ছেন অযোধ্যার রাম মন্দির দর্শনে। স্বাভাবিকভাবেই অযোধ্যায় ভিড় বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। এই ভিড় সামাল দিতেই মন্দিরের দর্শন (পুজো)-এর সময়সূচি পরিবর্তন করলেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, এখন থেকে মন্দির খোলা থাকবে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত। এর আগে রামলালার এই মন্দিরের দ্বার ভক্তদের জন্য খুলত সকাল ৭টায়।

    বদলাল আরতির সূচিও (Ram Mandir)

    যেহেতু দর্শনের সময়সীমা এক ঘণ্টা বেড়েছে, তাই বদলে গিয়েছে আরতির সূচিও। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগে মঙ্গল আরতি হত ভোর সাড়ে ৪টায়। এখন থেকে সেটাই হবে ভোর ৪টায়। এর পর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে মন্দিরের দ্বার। সকাল ৬টায় হবে শৃঙ্গার আরতি (Ram Mandir)। সেই সময় থেকেই ভক্তরা করতে পারবেন দেব দর্শন। মন্দির ট্রাস্ট আরও জানিয়েছে, রামলালাকে রাজভোগ নিবেদন করা হবে দুপুর ১২টায়। তখনও ভক্তরা দর্শনের সুযোগ পাবেন। সন্ধ্যা আরতি হবে সন্ধ্যা ৭টায়। এই সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকবে ১৫ মিনিটের জন্য। তারপর ফের খোলা হবে। দিনের শেষ আরতি যা শয়ন আরতি নামে পরিচিত তা হবে ১০টায়। আগে হত রাত্রি সাড়ে ৯টায়। এই শয়ন আরতির পরেই দেবতার বিশ্রামের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। খুলবে ফের পরের দিন ভোরে, মঙ্গল আরতির সময়।

    রাম মন্দিরে ভক্তের ঢল

    প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের। সেদিনই হয় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। তার পর থেকেই ফি দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ্যা। এই অযোধ্যা থেকেই মাত্র ১৬০ কিলোমিটার দূরে হচ্ছে মহাকুম্ভ উপলক্ষ্যে মেলা। সেই মেলা দেখতে এসেই রামলালার দর্শন সেরে যাচ্ছেন ভক্তকুল। পর্যটন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম ছ’মাসে উত্তরপ্রদেশে এসেছেন ৩২.৯৮ কোটি পর্যটক। এঁর সিংহভাগই ঘুরে গিয়েছেন অযোধ্যা ও বারাণসী। উত্তরপ্রদেশ সরকারের মতে, জানুয়ারির ২৬ তারিখ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীর দিন পর্যন্ত (Ayodhya) মাত্র নদিনে এক কোটিরও বেশি ভক্ত অযোধ্যা পরিদর্শন করেছেন (Ram Mandir)।

LinkedIn
Share