Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শিল্প ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগামী রাজ্য (West Bengal Trade) ছিল পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু গত এক দশকে রাজ্য থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলির ধারাবাহিক প্রস্থান (Companies exit from Bengal) এখন এক গভীর সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দশ বছরে ৬,৬৮৮টি সংস্থা তাদের রেজিস্টার্ড অফিস পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়েছে। চুপচাপ বড় বড় সংস্থা নিজেদের অফিস সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় কোনও প্রতিবাদও হয়নি তৃণমূল-শাসিত বাংলায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলি নিজেদের অফিস সরে নিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে। উদ্যোগপতিদের কথায়, ওই রাজ্যগুলিতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ এবং নীতির স্থিতিশীলতা স্পষ্ট।

    ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো

    রাজ্যে (West Bengal Trade) পালা বদলের পর ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রহ সরকারের ক্ষমতায় আসার সময় থেকে শুরু হয় শিল্পপতির ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি। কিন্তু ২০১৫–১৬ থেকে ২০১৭–১৮ পর্যন্ত সময়টা হল সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। এই তিন বছরে ২,৮১৪টি কোম্পানি রাজ্য ছেড়েছে। যা রাজ্য ত্যাগের মোট সংস্থার প্রায় ৪২ শতাংশ। ২০১৭–১৮ সালে সর্বাধিক ১,০২৭টি কোম্পানি রাজ্যছাড়া হয়, যা ছিল ইঙ্গিতবহ। সবচেয়ে আশঙ্কাজনক দিক হল, ১০০-রও বেশি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, যারা স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড, তারাও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ে। এরা কেবলমাত্র আর্থিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বহু মানুষের চাকরি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার সঙ্গে জড়িত। এই সরে যাওয়া দেশের বিনিয়োগ-বাজারে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে।

    বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই ‘প্রেফার্ড ডেস্টিনেশন’

    পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে যে সব সংস্থা (Companies exit from Bengal) চলে গিয়েছে, দেখা যায় তাদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই। মহারাষ্ট্র (১,৩০৮টি), দিল্লি (১,২৯৭টি) ও উত্তরপ্রদেশে(৮৭৯টি) সরে যায় সংস্থাগুলি। মোট ৩,৪৮৪টি কোম্পানি, প্রায় ৫২ শতাংশ, এই তিন রাজ্যেই সরে গিয়েছে। ছত্তিশগড়, গুজরাট, রাজস্থান, অসমের মতো রাজ্যগুলিও তালিকায় রয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে শিল্পনীতির মধ্যে স্পষ্টতা, স্থায়িত্ব এবং বাস্তবায়নের ইচ্ছা রয়েছে। বিপরীতে, কংগ্রেস বা তৃণমূল-শাসিত রাজ্যগুলি বিনিয়োগের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ, বলেই মনে করছেন উদ্যোগপতিরা।

    প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তবতা

    বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি আসে। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ ₹৩৯,১৩৩ কোটির বিনিয়োগে চতুর্থ স্থানে ছিল (IEM Part A), সেখানে বাস্তবায়িত বিনিয়োগে (IEM Part B) মাত্র ₹৩,৭৩৫ কোটি টাকা রাজ্যে এসেছে। এক বছরে আরও কমেছে—২০২৩ সালে যা ছিল ₹৪,৯৩০ কোটি। এই ব্যাপক ফারাক বিনিয়োগকারীদের (Companies exit from Bengal) আস্থাহীনতার স্পষ্ট প্রতিফলন। কথা আর কাজে বিরাট ব্যবধান শিল্পপতিদের দ্বিধাগ্রস্ত করছে।

    শিল্পোন্নয়ন-পরিকাঠামোয় পিছিয়ে পড়া রাজ্য

    পশ্চিমবঙ্গ এখনও ইন্ডিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল্যান্ড ব্যাঙ্কের (India Industrial Land Bank) অংশ নয়, যেখানে দেশের ২,৮৮৪টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের তথ্য রয়েছে। এটা রাজ্যের প্রশাসনিক অনীহা ও স্বচ্ছতার অভাবকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। এমনকি এফডিআই (বিদেশি বিনিয়োগ) ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রাজ্য হয়েও ১১তম স্থানে রয়েছে, যা এক অদ্ভুত বৈপরীত্য তুলে ধরে।

    নীতির অস্পষ্টতা মূল সমস্যা

    শিল্পোন্নয়ন ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান উদাহরণ হল সিঙ্গুর আন্দোলনের উত্তরাধিকার। টাটার ন্যানো কারখানা আটকে যাওয়ার পরে, তৃণমূল সরকার ‘হ্যান্ডস-অফ’ ভূমি নীতি গ্রহণ করে। ফলে রাজ্য (West Bengal Trade) শিল্পের জন্য জমি দিতে অস্বীকার করে এবং কোম্পানিগুলিকে হাজার হাজার জমির মালিকের সঙ্গে নিজেরা চুক্তি করতে হয়—যা বড় শিল্পপ্রকল্পের ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে ওঠে। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের এপ্রিলে, রাজ্য সরকার হঠাৎ করেই ১৯৯৩ সাল থেকে চালু থাকা আটটি শিল্প ভর্তুকি প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। ডালমিয়া ভারত ও বিরলা কর্পোরেশনের মতো কোম্পানি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৪৩০ কোটি টাকার বেশি দাবি আটকে গেছে।

    রাজনৈতিক ভাষণ দিয়ে উন্নয়ন হয় না

    রাজ্যজুড়ে কর্মসংস্থানের (Companies exit from Bengal) ঘাটতি বাড়ছে। দক্ষ পেশাজীবীরা রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের জিএসডিপি (GSDP)-তে জাতীয় জিডিপি (GDP)-র অংশীদারিত্ব ১৯৬০–৬১ সালের ১০.৫% থেকে কমে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এই পতন কেবলমাত্র পরিসংখ্যান নয়, একটি বড় আঞ্চলিক অসাম্যের চিত্র। ৬,৬৮৮টি কোম্পানির রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। আজকের বিশ্বে শুধুমাত্র রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা দিয়ে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। বিনিয়োগের জন্য চাই স্থিতিশীল নীতি, জমির স্বচ্ছতা, এবং প্রশাসনিক সদিচ্ছা। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal Trade) অবস্থা থেকে বোঝা যায়, শাসনব্যবস্থা উন্নয়নবান্ধব না হলে, শিল্প আসবে না, কর্মসংস্থান হবে না, আর রাজ্য দীর্ঘমেয়াদে কেন্দ্রনির্ভর হয়ে পড়বে।

  • PCOD: ভারতে প্রকোপ বাড়ছে পিসিওডি-র, মোকাবিলায় কোন খাবারে বাড়তি জোর চিকিৎসক মহলের?

    PCOD: ভারতে প্রকোপ বাড়ছে পিসিওডি-র, মোকাবিলায় কোন খাবারে বাড়তি জোর চিকিৎসক মহলের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জলখাবারেই রয়েছে ‘দাওয়াই’! দেশ জুড়ে বাড়ছে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ বা পিসিওডি (PCOD)! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এটা একধরনের ‘লাইফস্টাইল’ ডিজিজ (Lifestyle Dieases)। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে, কিংবা রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে মহিলাদের জরায়ুতে একাধিক সিস্ট তৈরি হয়। এই সমস্যাকেই পিসিওডি বলা হয়। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা মেয়েদের এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময়েই এই সমস্যা আজীবন থাকে। এই সমস্যা আরও জটিল রোগ তৈরি করে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতি দশ জন মহিলার মধ্যে একজন পিসিওডি সমস্যায় ভুগছেন। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, প্রথম থেকেই জীবন যাপনের ধরন এবং খাদ্যাভাস ঠিকমতো রাখলেই এই রোগের প্রকোপ আটকানো সহজ‌ হবে।

    কেন পিসিওডি বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি করছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি একটি জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ। ঠিকমতো পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এই রোগ মোকাবিলা করতে পারবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি-তে আক্রান্ত হলে ওভারিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। এর ফলে, স্বাভাবিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে না। নিয়মিত ঋতুস্রাব হয় না। এর জেরে শারীরিক বিকাশেও সমস্যা হতে পারে। বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা‌ও দেখা দিতে পারে। পিসিওডি-র মতো সমস্যায় স্বাভাবিক জীবন যাপনে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সমস্যা বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে।

    কীভাবে জলখাবারে রয়েছে পিসিওডি (PCOD) মোকাবিলার চাবিকাঠি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে জলখাবারের মধ্যে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালের খাবার শরীরে বাড়তি পুষ্টি জোগায়। দিনের প্রথম খাবার, তাই শরীরে তার প্রভাব ও বাড়তি পড়ে। তাই জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ রুখতে সকালের জলখাবার খুবই জরুরি। কারণ এই খাবারেই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সাহায্য করে‌। ফলে, পিসিওডি-র মতো রোগ মোকাবিলাও সহজ হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারে পরিমিত প্রোটিন এবং নূন্যতম কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত জলখাবারে এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে, যাতে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কার্বোহাইড্রেট বাড়তি না পৌঁছয়। তবেই পিসিওডি-র মতো রোগের প্রকোপ কমবে।

    কাঠবাদাম এবং ওটস

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সকালে কাঠবাদাম এবং ওটসের মতো‌ খাবার পিসিওডি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদামে রয়েছে প্রোটিন। তবে শুধু প্রোটিন নয়। বরং, তার পাশপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের মতো নানান খনিজ পদার্থ। এর ফলে শরীরে বাড়তি এনার্জির জোগান হয়। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ, ওটস এবং কাঠবাদামে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ পর্যাপ্ত থাকলেও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুব কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

    দানাশস্যের তৈরি রুটি

    এছাড়াও বাজরা, জোয়ার, মিলেট, রাগি জাতীয় দানাশস্যের তৈরি রুটির সঙ্গে সবুজ সব্জি খেলে পিসিওডি (PCOD) রুখতে সাহায্য হয়। কারণ, সবুজ সব্জিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ। আর দানাশস্যে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। এই খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ও ফাইবার সকালে শরীরে পৌঁছলে একদিকে শরীরে এনার্জির জোগান‌ বজায় থাকবে। হজম ঠিকমতো হবে। আবার স্থূলতার সমস্যা ও সহজেই আটকানো সম্ভব। তাই দানাশস্যে তৈরি রুটি এবং রঙিন সব্জি অর্থাৎ, গাজর, পালং শাক, রাঙা আলু, বিনসের মতো নানান রঙের মতো সব্জি দিয়ে তৈরি তরকারি খেলে পিসিওডি-র মতো রোগ নিয়ন্ত্রণ সহজ।

    ডালের চিল্লা

    যে কোনও ডালের চিল্লা বানিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মুগ কিংবা মুসুর ডালে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং প্রোটিন। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। তাই সকালের জলখাবারের মেনুতে কড়াইয়ে সামান্য পরিমাণ বাটার দিয়ে তাতে মুগ কিংবা মুসুর ডালের পেস্ট ছড়িয়ে দিতে হবে। তার উপরে সামান্য পনির কুচি, পিঁয়াজ কিংবা শশা কুচি মিশিয়ে তৈরি করলেই অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার তৈরি হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অত্যন্ত কম। আবার পর্যাপ্ত ভিটামিন, প্রোটিন শরীর সহজেই পাবে। তাই এই ধরনের খাবার সহজেই শরীরকে পুষ্টি দেয়।

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিসিওডি-র‌ মতো রোগ প্রতিরোধ করতে শরীরের ওজন নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ওজন নিয়ন্ত্রণে করতে পারলে এই রোগ (PCOD) মোকাবিলা সহজ হবে। তাই খাওয়ার সময় প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার পর্যাপ্ত খাওয়া জরুরি। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। কারণ ওজন বাড়লেই এই ধরনের রোগ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বাড়বে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Bihar: জেলার মোট ভোটারের ১১ শতাংশ নামই বাদ গেল মুসলিম অধ্যুষিত কিষাণগঞ্জে, সংখ্যায় ১ লাখ ৪৫ হাজার

    Bihar: জেলার মোট ভোটারের ১১ শতাংশ নামই বাদ গেল মুসলিম অধ্যুষিত কিষাণগঞ্জে, সংখ্যায় ১ লাখ ৪৫ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের (Bihar) নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সমীক্ষায় বাদ পড়েছে ৬৫ লাখ অবৈধ নাম। বিহারের কিষাণগঞ্জ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাম বাদ পড়েছে। কিষাণগঞ্জ সম্পূর্ণভাবেই মুসলিম অধ্যুষিত একটি জেলা এবং এখান থেকেই বিপুল পরিমাণে নাম বাদ গেছে। কিষাণগঞ্জ জেলার (Kishanganj) মোট ভোটারের ১১.৮% নাম বাদ পড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ১১.৮% ভোটারকে কিষাণগঞ্জে খুঁজে পাওয়া যায় না, অথচ তাদের নাম ছিল ভোটার তালিকায়।

    বাদ পড়েছে ১,৪৫,৬৬৮টি নাম (Bihar)

    কিষাণগঞ্জ এমন একটি জেলা, যা পশ্চিমবঙ্গের সীমানা সংলগ্ন এবং প্রায় সম্পূর্ণটাই মুসলিম অধ্যুষিত। জনবিন্যাসের ভারসাম্যহীনতা ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কিষাণগঞ্জ দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে। প্রসঙ্গত, বিহারে SIR (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২৪ জুন। তখন এই জেলায় মোট ভোটার ছিলেন ১২,৩১,৯১০ জন। সংশোধনের পর এখান থেকেই বাদ পড়েছে ১,৪৫,৬৬৮টি নাম, যা মোট ভোটারের (Bihar) ১১%–এরও বেশি। SIR প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই কিষাণগঞ্জ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ‘স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট’-এর আবেদন জমা পড়তে থাকে। এই হঠাৎ আবেদনের কারণে সন্দেহ জাগে প্রশাসনের (Kishanganj)। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী সম্প্রতি কিষাণগঞ্জের এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ‘স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট’-এর আবেদন গড়ে প্রতিমাসে ২৬ হাজার থেকে ২৮ হাজার জমা পড়েছে। আবার জুলাই মাসের প্রথম ছয় দিনের মধ্যেই এই সার্টিফিকেটের জন্য ১.২৮ লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

    স্বাধীনতার সময় কিষাণগঞ্জ ছিল হিন্দু অধ্যুষিত

    বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্যান কার্ড, আধার কার্ড এবং পাসপোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এখন ব্যাপকভাবে যাচাই করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, স্বাধীনতার সময় কিষাণগঞ্জ একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা ছিল। কিন্তু পরবর্তী দশকগুলিতে এর জনবিন্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকে দায়ী করছেন। সম্প্রতি কিষাণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় চারজন বাংলাদেশিকে ধরা হয়েছে, যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের আশায় এখানে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে (Bihar)।

  • PIB Fact Check: ট্যারিফ-কাণ্ডের জেরে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত! ‘ভুয়ো খবর’ বলল পিআইবি

    PIB Fact Check: ট্যারিফ-কাণ্ডের জেরে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত! ‘ভুয়ো খবর’ বলল পিআইবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনার আবহে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভুয়ো খবরকে খণ্ডন করল ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)। ওই খবরে বলা হয়েছিল, ভারত সরকার নাকি আমেরিকার (India-US Tariff) সঙ্গে থাকা দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলি পর্যালোচনা বা স্থগিত করার পরিকল্পনা করছে। এ প্রসঙ্গে পিআইবি-র (PIB Fact Check) ফ্যাক্ট চেক ইউনিট এক স্পষ্ট বিবৃতিতে জানায়, “বিদেশ মন্ত্রক এমন কোনও বিবৃতি দেয়নি। বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে সতর্ক থাকুন এবং সরকারের বিশ্বাসযোগ্য সূত্র ছাড়া কোনও খবর শেয়ার করবেন না।”

    ভুয়ো খবর থেকে সাবধান

    ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য নিয়ে গুজব (PIB Fact Check) ছড়িয়ে পড়েছিল একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। যেখানে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য নিয়ে বিদেশ মন্ত্রক উদ্বিগ্ন বলে প্রচার করা হয়। এতে বলা হয়, ভারতের বিরুদ্ধে আমেরিকার ‘চড়া শুল্ক, নয়া অর্থনৈতিক নীতি’র প্রতিক্রিয়ায় দিল্লি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করতে চলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৩০ জুলাই ঘোষণা করেন যে ভারতের রফতানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, যা ১ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। মূলত ভারতীয় বস্ত্র, রত্ন ও গয়না, ইলেকট্রনিক্স ও পোশাক খাত এই শুল্কের আওতায় পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ভারত “অন্যায্য বাণিজ্যনীতি” অনুসরণ করছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি চুক্তি বজায় রাখার ফলেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

    ভারতীয় ব্যবসায়ী মহলে উদ্বেগ

    এই শুল্কবৃদ্ধির ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ী (India-US Tariff) মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষত ভারতীয় দ্রব্য রফতানি ও আমেরিকায় চাকরির ওপর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে জল্পনা চলছে। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, “ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা চলছে। কোনও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি পর্যালোচনা বা স্থগিত করার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা একটি সুষম বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে চলেছি।” সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৃষি এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার খুলে দিক নয়াদিল্লি। কিন্তু, কেন্দ্রের মোদি সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, এ দেশের কৃষক এবং দুগ্ধশিল্পের সঙ্গে জড়িতদের লোকসান করে কোনও সমঝোতা সম্ভব নয়। তাই বিকল্প পথের সন্ধানেই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।

  • Poll Body: তেজস্বীর দাবি নস্যাৎ করে দিল নির্বাচন কমিশন, কী বলল জানেন?

    Poll Body: তেজস্বীর দাবি নস্যাৎ করে দিল নির্বাচন কমিশন, কী বলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় জনতা দলনেতা তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) দাবি নস্যাৎ করে দিল নির্বাচন কমিশন (Poll Body)। কমিশনের দাবি, তেজস্বীর ওই আইডি কার্ডের এপিক নম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্যু করা হয়নি। কমিশনের তরফে তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, তিনি যেন তাঁর ভোটার আইডি কার্ডের বিবরণ দেন।

    তেজস্বীর দাবি (Poll Body)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তার পরেই তেজস্বী দাবি করেন, খসড়া ভোটার তালিকায় নাম নেই তাঁর। এর পরেই কমিশনের তরফে তেজস্বীকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। তাতে লেখা, তদন্তের পর জানা গিয়েছে, আপনার নাম বিহার অ্যানিমাল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি ভবনের ভোটকেন্দ্র নম্বর ২০৪-এর ক্রমিক নম্বর ৪১৬-এ তালিকাভুক্ত রয়েছে, যার এপিক নম্বর আরএবি০৪৫৬২২৮। অথচ আপনি ০২.০৮.২০২৫ তারিখের প্রেস কনফারেন্সে যে এপিক নম্বর আরএবি২৯১৬১২০ উল্লেখ করেছেন, সেই অনুযায়ী আপনার দাবি মেলে না।”

    কমিশনের নোটিশ

    কমিশনের নোটিশে এও বলা হয়েছে, “প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী এপিক নম্বর আরএবি২৯১৬১২০ আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্যু করা কোনও নম্বর নয় বলেই মনে হচ্ছে। তাই অনুরোধ করা হচ্ছে আপনি উক্ত এপিক কার্ডের বিস্তারিত তথ্য (মূল কপি সহ) নির্বাচন কমিশনের তদন্তকারী আধিকারিককে সরবরাহ করুন যাতে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে যাচাই করা যায়।”  উল্লেখ্য যে, শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তেজস্বী (Tejashwi Yadav) বলেন, “নির্বাচন কমিশন ৬৫ লাখ ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে দাবি করেছে মৃত্যু ও অন্যত্র স্থানান্তরকে (Poll Body)। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আমাদের যে তালিকা দিয়েছে, তাতে চতুরভাবে কোনও ভোটারের ঠিকানা, বুথ নম্বর কিংবা এপিক নম্বর দেওয়া হয়নি, যাতে আমরা জানতে না পারি কার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।”

    এদিন ক্যামেরার সামনে তিনি নিজের এপিক নম্বর দেখিয়ে তথ্য যাচাই করার চেষ্টা করেছিলেন। এই এপিক নম্বরটি হল একটি অনন্য বর্ণসংখ্যার কোড যা ভোটার আইডিতে ছাপা থাকে। যদিও তেজস্বী জানান, কমিশনের অনলাইন পোর্টালে সেই তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্রের দাবি, সিপিআই(এমএল)-এর সাংসদ সুধামা প্রসাদের স্ত্রীর নামে দু’টি এপিক (Tejashwi Yadav) রয়েছে। সূত্রগুলি ওই এপিক কার্ডগুলির বিস্তারিত তথ্যও শেয়ার করেছে। তাঁর দল সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদনকারী (Poll Body)।

  • Terrorist Tahir Habib: লস্কর কমান্ডারকে জঙ্গি তাহিরের জানাযায় যোগ দিতে বাধা, দিন বদলাচ্ছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে?

    Terrorist Tahir Habib: লস্কর কমান্ডারকে জঙ্গি তাহিরের জানাযায় যোগ দিতে বাধা, দিন বদলাচ্ছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তপার সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এল সাম্প্রতিক এক ঘটনার মাধ্যমে। জম্মু-কাশ্মীরে অপারেশন ‘মহাদেবে’ খতম লস্কর-ই-তৈবা (LeT) জঙ্গি তাহির হাবিবের (Terrorist Tahir Habib) শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK), তার নিজের গ্রাম রাওয়ালকোটের খাই গালায়। সেখানে যে জানজা-গায়েব অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে পাক জঙ্গি নিয়োগকারী চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন স্থানীয়রা।

    তাহির পাক সেনার প্রাক্তন সদস্য (Terrorist Tahir Habib)

    তাহির পাক সেনার প্রাক্তন সদস্য। লস্কর-ই-তৈবার ‘এ’ ক্যাটেগরির সক্রিয় জঙ্গি। ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে যে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করা হয়, সেই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তও এই তাহির। তার জানাজায় অশান্তি শুধুমাত্র এই হামলায় তার জড়িত থাকার বিষয়টিই নিশ্চিত করেনি, পাক-সমর্থিত জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলির বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধের বার্তাও হয়ে উঠেছে। ‘অপারেশন মহাদেবে’ ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী শ্রীনগরে তাহির-সহ তিন জঙ্গিকে নিকেশ করে। কিছুদিন আগেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তাহিরের লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এবং পহেলগাঁওয়ে হামলায় তার সক্রিয় ভূমিকার কথা জানতে পারে। তার পরেই চালানো হয় অপারেশন। তাহিরের মৃত্যুকে এখন আর কেবল একটি কৌশলগত সাফল্য হিসেবে নয়, বরং পাক-আশ্রিত জঙ্গিদের মদত দেওয়ায় ভারতের প্রতিরোধ অভিযানে একটি প্রতীকী জয় হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

    জানাজা-গায়েবে অশান্তি

    খাই গালায় জানাজা-গায়েব শুরু হয় এক শান্ত পরিবেশে। উপস্থিত ছিলেন গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা ও তাহিরের পরিবারের সদস্যরা। শোকাবহ এই পরিবেশেই জোর করেই জানাজায় যোগ দেওয়ার চেষ্টা করে লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার রিজওয়ান হানিফ। এর পরেই দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। তাহিরের পরিবার আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, জানাজায় যেন লস্করের কোনও প্রতিনিধি যোগ না দেয়। আরুশি ভাট নামে একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, #পাহেলগাঁও জঙ্গি হাবিব তাহিরের জানাজা-গায়েব খাই গালা, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত হয়। এটি পাকিস্তানের তরফে সন্ত্রাসবাদের প্রশংসা। একটি দেশ (Terrorist Tahir Habib) যে খুনিদের পূজা করে, তারা কখনওই ‘ভিকটিম’ হতে পারে না।
    #সন্ত্রাসবাদী_রাষ্ট্র_পাকিস্তান (POK)।

    লস্কর কমান্ডারকে ঘাড়ধাক্কা

    জানাজায় উপস্থিত লোকজন হানিফকে যোগ দিতে বাধা দিলে তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা (পড়়ুন, লস্করের সশস্ত্র জঙ্গিরা) তাঁদের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ভয় দেখাতে থাকে। এতেই খেপে যান স্থানীয়রা।  বহু বছর ধরে সন্ত্রাসবাদের জেরে ক্লান্ত গ্রামবাসীরা তাদের তাড়া করেন। একপ্রকার বাধ্য হয়েই পিছু হঠে হানিফ-বাহিনী। স্থানীয়দের এই নজিরবিহীন প্রতিবাদকে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মানসিকতায় বদলের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ থেকে স্পষ্ট যে, পাকিস্তান সরকারের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের প্রতি সাধারণ মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে। বিশেষত সেভাবে, যেভাবে লস্করের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি বহু বছর ধরে খাই গালার মতো অঞ্চলগুলিতে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানো ও সেখানকার তরুণদের নিয়োগের কাজ করে এসেছে।

    দিন বদলাচ্ছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে

    বহু বছর ধরে ভয় ও জোরজবরদস্তি করে এই ভিন্নমতটাকেই দমন করে রেখেছিল জঙ্গিরা। এখন যে স্থানীয়রা আর জঙ্গিদের পরোয়া করেন না, এই ঘটনায়ই তা স্পষ্ট। শোনা যাচ্ছে, খাই গালার বাসিন্দারা জঙ্গিদের এবং তাদের নিয়োগকারীদের সামাজিক বয়কটের পরিকল্পনা করছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে পরিচালিত জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলির উদ্দেশে একটি জোরালো বার্তা (Terrorist Tahir Habib)। এই ঘটনাটি ভারতের সাম্প্রতিক কঠোর অবস্থানের প্রেক্ষাপটেও এসেছে, বিশেষ করে ‘অপারেশন সিঁদুরের মতো সামরিক অভিযানের মাধ্যমে, যা পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পাল্টা হিসেবে শুরু হয়েছিল। যদিও ‘সিঁদুর’ মূলত একটি সামরিক মিশন, তবুও এর মানসিক ও সামাজিক প্রভাব সীমান্ত পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে, যার প্রতিফলন খাই গালায় স্থানীয়দের এই প্রতিরোধে স্পষ্ট।

    ভারতের বহুমাত্রিক কৌশলের সাফল্যের ইঙ্গিত

    রাজনৈতিক মহলের মতে, এই পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এটি শুধু কাশ্মীরে পাকিস্তানি জঙ্গিদের যোগ সম্পর্কে ভারতের দাবিকে মান্যতাই দেয় না, বরং ভারতের বহুমাত্রিক কৌশলের সাফল্যের ইঙ্গিতও দেয় (POK)। এই কৌশলের মধ্যে রয়েছে সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযান, পরিকাঠামো উন্নয়ন, এবং জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচেষ্টা। এর সম্মিলিত প্রভাব এখন কেবল জম্মু ও কাশ্মীরেই নয়, বরং পাকিস্তানের নিজস্ব ভূখণ্ডেও টের পাওয়া যাচ্ছে, যেখানে সাধারণ মানুষ ক্রমশ সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দেওয়ার আগে তাহির যুক্ত ছিল ইসলামী জমিয়তে তালবা এবং স্টুডেন্ট লিবারেশন ফ্রন্টের সঙ্গে। এগুলি পাকিস্তানের জঙ্গি তরুণদের আদর্শিক প্রস্তুতির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে তার কর্মজীবন তাকে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দেয়। এটাকেই সে লস্করের জঙ্গি কার্যকলাপে কাজে লাগায় (Terrorist Tahir Habib)।

    পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো টিকে থাকা নিয়েও প্রশ্ন

    গোয়েন্দা সংস্থার রেকর্ডে সে ‘আফগানি’ নামেই পরিচিত। এটি তার সদোজাই পাঠান বংশের প্রতি ইঙ্গিত দেয়। এই সম্প্রদায়টি ১৮শ শতকে আফগানিস্তান থেকে অভিবাসিত হয় এবং ঐতিহাসিকভাবে বিদেশি শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের জন্য পরিচিত ছিল। এখন সেই সম্প্রদায় আর ভারতের বিরুদ্ধে নয়, বরং পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্বশীল যুদ্ধের দমনমূলক ছায়ার বিরুদ্ধেই নতুন ধরনের প্রতিরোধ দেখাচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার জানাজায় লস্করের উপস্থিতিকে জনসাধারণের প্রত্যাখ্যান এবং গ্রামবাসীদের সাহসী প্রতিরোধ এই অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ গতিবিধিতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।এই ঘটনা একই সঙ্গে (POK) পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো টিকে থাকা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে, বিশেষ করে যখন স্থানীয় জনগণ বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন (Terrorist Tahir Habib)।

    ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে এই ঘটনা তাদের কৌশলের এক সুস্পষ্ট সাফল্য প্রমাণ করে, যে হাবিবের মতো চাঁইদের নিকেশ করলে শুধু সন্ত্রাসী শক্তি দুর্বল হয় না, বরং ভয়ের দ্বারা দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবিত জনগণের মধ্যে প্রতিরোধের বীজও বপন করা হয়। খাই গালায় যা ঘটেছে, তা আপাত দৃষ্টিতে ছোট্ট একটি গ্রামের সংঘর্ষ মনে হলেও, এর তাৎপর্য ব্যাপক (Terrorist Tahir Habib)।

  • Hindus under Attack: ভারত-বাংলাদেশে গত ১ সপ্তাহে হিন্দু নির্যাতনের কতগুলি ঘটনা

    Hindus under Attack: ভারত-বাংলাদেশে গত ১ সপ্তাহে হিন্দু নির্যাতনের কতগুলি ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ ও দেশের বাইরে হিন্দু ধর্মের (Hindus under Attack) উপর আঘাত ক্রমাগত বাড়ছে। হিন্দু হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ, জমি দখল, হিন্দু উৎসবে আক্রমণ, হিন্দু নারীদের উপর নির্যাতন—এই সব ঘটনা নানা প্রান্তে ঘটেই চলেছে। ২৭ জুলাই থেকে ২ অগাস্ট পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া এমন কিছু ঘটনার একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন নিচে তুলে ধরা হল।

    ভারতের ঘটনাগুলি (Hindus under Attack)

    বিহার

    সীতামারহির এক মন্দিরে কাশিম নামে এক ব্যক্তি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে পুরোহিত সেজে ছিলেন। তিনি নিজেকে “কৃষ্ণ” নামে পরিচয় দিতেন এবং হিন্দু পূজারী সেজে আসল পরিচয় গোপন রেখেছিলেন।

    উত্তরপ্রদেশ, আগ্রা

    অগাস্ট মাসের শুরুতেই (Hindus under Attack) আগ্রা পুলিশ একটি বড়সড় ধর্মান্তরণ চক্র ফাঁস করে, যার আন্তর্জাতিক যোগসূত্র থাকার প্রমাণ মিলেছে।

    পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা

    ২৬ বছর বয়সি এক হিন্দু মহিলা বাগুইআটি থেকে সল্টলেক যাওয়ার পথে এক ক্যাব চালকের দ্বারা লাঞ্ছিত হন (Hindus under Attack)। সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিবাদ করে তিনি চালককে পুলিশের হাতে তুলে দেন এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

    উত্তরাখণ্ড

    রানিখেত অঞ্চলে হিন্দু মহিলাদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার একটি বড় চক্র ফাঁস করেছে পুলিশ (Hindus under Attack)।

    হায়দরাবাদ

    ২৪ জুলাই, পবিত্র পেদ্দাম্মা থাল্লি মন্দির প্রশাসনের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হয়। অভিযোগ, মূর্তিগুলিকে গোপনে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

    মহারাষ্ট্র

    কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান “সনাতনী সন্ত্রাস” নামক নতুন একটি শব্দ ব্যবহার করে বিতর্ক সৃষ্টি করেন। গেরুয়া সন্ত্রাসের ব্যর্থ তত্ত্বের পর, এটি কংগ্রেসের নতুন রাজনৈতিক কৌশল বলেই অনেকে মনে করছেন।

    মণিপুর

    ৩১ জুলাই এনআইএ-র একটি বড় সফলতা—জিরিবাম গণহত্যার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেফতার। এই হামলায় এক মেইতেই পরিবারের ৬ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন (Bangladesh)

    রংপুর, গঙ্গাচড়া

    রঞ্জন রায় নামে এক হিন্দু যুবককে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
    পরবর্তীতে, ৫০০ থেকে ৬০০ জন মৌলবাদী একত্রিত হয়ে ওই উপজেলার তের বেতগাড়ি ইউনিয়নের ১৫টিরও বেশি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায়।

    নেপালে বাড়ছে মৌলবাদী তৎপরতা

    ভারতের বাইরে একমাত্র হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ নেপালে মৌলবাদী সংগঠনগুলি “তাবলীগ” নামের কর্মসূচি চালিয়ে ধর্মীয় জনসংখ্যা পরিবর্তনের অপচেষ্টা করছে। এতে জেহাদি কার্যকলাপ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

  • Israeli Hostage: হামাসের হাতে পণবন্দি ইজরায়েলি নাগরিক বলছেন, “নিজেই নিজের কবর খুঁড়ছি”, সামনে এল ভিডিও

    Israeli Hostage: হামাসের হাতে পণবন্দি ইজরায়েলি নাগরিক বলছেন, “নিজেই নিজের কবর খুঁড়ছি”, সামনে এল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস (Hamas) সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে—একজন ইজরায়েলি পণবন্দি (Israeli Hostage) ভূগর্ভস্থ একটি সুড়ঙ্গে নিজেই নিজের কবর খুঁড়ছেন। ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে অত্যন্ত ক্ষীণকায় ও দুর্বল দেখাচ্ছে এবং তাঁকে এক হাতে একটি বেলচা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

    কী বললেন ওই পণবন্দি? (Israeli Hostage)

    জানা গেছে, ওই পণবন্দির (Israeli Hostage) নাম এভিয়াতার ডেভিড, বয়স ২৪ বছর। ভিডিওতে তিনি ধীরে ধীরে হিব্রু ভাষায় কথা বলেন, এবং বলেন “আমি এখন যা করছি, তা হলো আমার নিজের কবর খুঁড়ছি। প্রতিদিন আমার শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আমি যেন সরাসরি কবরের দিকেই হেঁটে যাচ্ছি। আমি সেই কবর খুঁড়ছি, যেখানে আমাকে কবর দেওয়া হবে। ঘুমানোর সময় শেষ হয়ে আসছে, পরিবারের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো শেষ হয়ে আসছে।” নিজের বক্তব্য শেষ করার পরেই তাকে ভেঙে পড়তে দেখা যায়।

    ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর পণবন্দি (Israeli Hostage) হন ডেভিড

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, হামাস জঙ্গিরা ইজরায়েলের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। সেদিনই ৪৯ জনকে পণবন্দি করা হয়, যাঁদের মধ্যে এভিয়াতার ডেভিডও ছিলেন। ওই দিনের হামলায় হামাস ১,২১৯ জন ইজরায়েলি নাগরিককে হত্যা করে বলে অভিযোগ, যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন অসামরিক নাগরিক। এই ঘটনার পর শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে খবর।

    বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কী বললেন?

    ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ভিডিওটি দেখার পর প্রধানমন্ত্রী ডেভিডের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পণবন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ইজরায়েল সরকার সমস্ত রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নেতানিয়াহু হামাসের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, “হামাস (Hamas) ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের পণবন্দিদের অনাহারে রেখে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করছে।”

    ইজরায়েলি নাগরিকদের সমাবেশ

    এই ভিডিও ছাড়াও হামাস ও ইসলামিক জিহাদীরা আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে ২১ বছর বয়সি আরেক পণবন্দী, রম ব্রাস্লাভস্কিকে দেখা যাচ্ছে। তিনি একজন জার্মান-ইজরায়েলি নাগরিক এবং তাঁকেও একইভাবে দুর্বল অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। এই ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ার পর, শনিবার সন্ধ্যায় ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। তাঁরা একটি সমাবেশে অংশ নেন এবং পণবন্দীদের মুক্তির দাবিতে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

  • Operation Akhal: জঙ্গি দমনে জম্মু-কাশ্মীরে চলছে অপারেশন অখল, তিনদিনে খতম ৬ জঙ্গি

    Operation Akhal: জঙ্গি দমনে জম্মু-কাশ্মীরে চলছে অপারেশন অখল, তিনদিনে খতম ৬ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) তিনজন জঙ্গির নিহত হওয়া এবং একজন জওয়ানের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে সেখানে “অপারেশন অখল” (Operation Akhal) নামে একটি সন্ত্রাস দমন অভিযান চলছে, যা চলতি বছরের অন্যতম বড় অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার এই অভিযান তৃতীয় দিনে পা দিয়েছে, এবং এখনও পর্যন্ত মোট ছয়জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।

    শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিনজন জঙ্গি নিহত হয় (Operation Akhal)

    এর আগে শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিনজন জঙ্গি নিহত হয়। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার আখাল বনাঞ্চলে শনিবার রাতে সারারাত বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। জানা গেছে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং সিআরপিএফ-এর একটি যৌথ দল এই অভিযান চালাচ্ছে এবং তারা সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ওই এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতি সম্পর্কে গোপন গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পরই নিরাপত্তা বাহিনী চিরুনি তল্লাশি শুরু করে। আখাল বনাঞ্চলকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী এবং সন্ত্রাসবাদীদের গোপন আস্তানাগুলিতে গুলি চালাতে শুরু করে (Operation Akhal)। শুরু হয় ব্যাপক সংঘর্ষ।

    শনিবার নিহত জঙ্গিরা “দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)”-এর সদস্য ছিল

    প্রাথমিক পর্যায়ে গুলি বিনিময়ের পর, শুক্রবার রাতে সাময়িকভাবে অভিযান বন্ধ রাখা হয়। শনিবার আবার অভিযান শুরু হলে, নিরাপত্তা বাহিনী তিনজন জঙ্গিকে খতম করতে সমর্থ হয়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী (Operation Akhal), শনিবার নিহত জঙ্গিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা-র শাখা “দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)”-এর সদস্য ছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, এই সংগঠন পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। সেই হামলায় ২৬ জন ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছিলেন।

    অপারেশন মহাদেব

    জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) সন্ত্রাস দমন অভিযানে যৌথ বাহিনী বর্তমানে উচ্চ প্রযুক্তির নজরদারি ব্যবস্থা, ড্রোন, এবং উন্নত পরিকাঠামো ব্যবহার করছে। এর আগে, “অপারেশন মহাদেব” চালানো হয়, যেখানে শ্রীনগরের দাঁচিগাঁও এলাকায় পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত লস্করের জঙ্গিদের খতম করা হয়। পরদিন, অর্থাৎ ২৯ জুলাই, চালানো হয় আরেকটি অভিযান “অপারেশন শিবশক্তি”, যেখানে আরও দুই সন্ত্রাসীকে নিকেশ করা হয়। তথ্য অনুযায়ী, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২০ জন সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া, ৬ ও ৭ মে তারিখে ভারত “অপারেশন সিঁদুর” চালায়, যেখানে পাকিস্তানি সীমান্তে অনুপ্রবেশকারী ১০০-র বেশি সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করা সম্ভব হয় (Operation Akhal)।

  • Crude Politics: অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাজনীতি, রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি কেনার জল গড়াবে কতদূর?

    Crude Politics: অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাজনীতি, রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি কেনার জল গড়াবে কতদূর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত তিন বছরে ভারতের জ্বালানি কৌশলে একটি বড়সড় পরিবর্তন এসেছে, যেখানে রাশিয়াকে অপরিশোধিত তেলের (Crude Politics) আমদানির কেন্দ্রে জায়গা দেওয়া হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ ছিল মাত্র ০.২ শতাংশ। কিন্তু যুদ্ধকালীন-পর্বে রাশিয়ান তেল ভারতের প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছে (Donald Trump Tariff)। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় ভারত নিরপেক্ষতার নীতি অবলম্বন করেছিল। সোভিয়েত-নেতৃত্বাধীন কমিউনিজমের বিরুদ্ধে পশ্চিমী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতেও অস্বীকার করেছিল। এর ফলে মস্কোর সঙ্গে ভারতের এক কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক অস্ত্র স্থানান্তর, প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং কূটনৈতিক সহায়তা।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Crude Politics)

    ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। এরপর পশ্চিমী বিশ্বের একটি বড় অংশ মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর মধ্যে রয়েছে তেল আমদানিও। যুদ্ধের আগে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানির মধ্যে রাশিয়ার অংশ ছিল মাত্রই ০.২ শতাংশ। ২০২৩ সালের মে মাসে সেই হার লাফিয়ে হয়ে যায় ৪০ শতাংশেরও বেশি। রিয়েল-টাইম তথ্য ও বিশ্লেষণ সংস্থা কেপলারের (Kpler) মতে, ২০২৩ সালের মে মাসে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি সর্বোচ্চ ২১.৫ লাখ ব্যারেল ছুঁয়েছিল। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রাশিয়া প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি তেল সরবরাহ করেছে, যা ভারতের মোট আমদানির ৪১ শতাংশ। সেই তুলনায় ইরাকের অংশ ছিল ২০ শতাংশ, সৌদি আরবের ১১ শতাংশ, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ৪ শতাংশ। বর্তমানে প্রতি মাসে গড় রাশিয়ান তেল আমদানির পরিমাণ ১৭.৫ থেকে ১৭.৮ লাখ ব্যারেল। উল্টো দিকে, ইরাক এবং সৌদি আরব প্রতিদিন সরবরাহ করে যথাক্রমে প্রায় ৯ লাখ ও ৭ লাখ ব্যারেল তেল (Crude Politics)।

    তেল বিক্রির জন্য রাশিয়া ঝোঁকে ভারত ও চিনের দিকে

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর তেল বিক্রির জন্য রাশিয়া ঝোঁকে ভারত ও চিনের মতো দেশের দিকে। ডিসকাউন্টের তুঙ্গ সময়ে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল ব্রেন্ট দামের চেয়ে প্রায় ৪০ মার্কিন ডলার কমে বিক্রি হত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ছাড়ের পরিমাণ কমে এসেছে। সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ভারত রাশিয়ান তেলের প্রতি মেট্রিক টনে গড়ে ৫২৫.৬০ মার্কিন ডলার মূল্য দিয়েছে, যা ইরাক থেকে আমদানি করা তেলের দামের চেয়ে প্রতি ব্যারেলে প্রায় ৫ মার্কিন ডলার কম। আইসিআরএর দাবি, গত দুই অর্থবর্ষে তেল আমদানিতে প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় করেছে ভারত (Donald Trump Tariff)।

    ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের রাশিয়ান তেল কৌশলকে নতুন চাপে ফেলেছেন। ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছেন। রাশিয়ান তেল কেনা অব্যাহত রাখায় ধার্য করা হয়েছে জরিমানাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছেন, “ভারতকে তাই ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে, সঙ্গে থাকবে একটি জরিমানাও।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “মস্কো যদি ৫০ দিনের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তিচুক্তিতে না পৌঁছায়, তাহলে রাশিয়ান তেল কেনা সব দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।” উল্লেখ্য, ভারত প্রতিদিন প্রায় ৫.২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল খরচ করে, যার প্রায় ৮৫ শতাংশই আমদানি করতে হয়। এই চাহিদা ক্রমশই বাড়ছে (Crude Politics)।

    ভারতের অবস্থান

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সময় নয়াদিল্লি বরাবরই নিরপেক্ষ কূটনৈতিক অবস্থান বজায় রেখেছে। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি বহুবার বলেছেন, “ভারত যদি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কিনত, তাহলে তেলের দর আকাশ ছুঁতো (Donald Trump Tariff)।”

    ট্রাম্পের দাবি

    এদিকে, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার দাবি করেন, তিনি শুনেছেন ভারত আর রাশিয়ার তেল কিনবে না। তিনি একে একটি ভালো পদক্ষেপ আখ্যা দেন। উল্লেখ্য, এর কয়েকদিন আগেই তিনি মস্কোর সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও সামরিক সম্পর্ক নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছিলেন। ট্রাম্প বলেন, “আমি শুনেছি ভারত আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। আমি জানি না এটা ঠিক কি না, তবে এটি একটি ভালো পদক্ষেপ। দেখা যাক, ভবিষ্যতে কী হয়।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন মন্তব্যের আড়ালে রয়েছে একটি প্রচ্ছন্ন হুমকি। কারণ তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশগুলির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

    সাফ কথা ভারতের

    এহেন আবহে শনিবার প্রকাশিত নতুন একটি প্রতিবেদনে ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তারা জানিয়েছেন, নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। একজন কর্তা তো বলেই দিলেন, সরকার তেল আমদানিকারী সংস্থাগুলিকে রাশিয়া থেকে আমদানি কমাতে কোনও নির্দেশই দেয়নি (Donald Trump Tariff)। পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞার জেরে তেলের দাম কমে যাওয়ায় রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনা বেড়েছে এবং এর মাধ্যমে মস্কো গুরুত্বপূর্ণ রফতানি রাজস্ব ধরে রাখতে পেরেছে। একই সঙ্গে ভারত পাচ্ছে সস্তায় জ্বালানি। যাতে পূরণ হচ্ছে তার ক্রমবর্ধমান চাহিদা।

    ট্রাম্পের এক্সিকিউটিভ অর্ডার

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডারের মাধ্যমে প্রায় ৭০টি দেশের রফতানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, যার মধ্যে ভারতও রয়েছে। যদিও ওই অর্ডারে রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি কেনার কারণে অতিরিক্ত শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের হুমকির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল না, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও সেই ব্যবস্থা নিতেই পারে (Crude Politics)। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারতের জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা পূরণের ক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য এবং সেই সময়কার বৈশ্বিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।”

    তেল কেনা অব্যাহত রইবে

    শনিবার প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের শাস্তির হুমকি সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে। কারণ এগুলি দীর্ঘমেয়াদি তেলের চুক্তি। রাতারাতি কেনা বন্ধ করে দেওয়া সহজ নয়। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভারত রাশিয়া থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৭.৫ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি।

    রাশিয়ান তেল আমদানির ব্যাখ্যা

    ভারতের পক্ষ থেকে রাশিয়ান তেল আমদানির ব্যাখ্যায় আর এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ান গ্রেডের তেল আমদানির ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দামে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি এড়ানো গিয়েছে। যদিও পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ার তেলের দাম তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রিতই রয়েছে। ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ইরান ও ভেনেজুয়েলার তেলের মতো রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল সরাসরি নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে না। তাই ভারত সেটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্ধারিত দামের সীমার নীচে কিনছে। অবশ্য সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জুলাই মাসে ডিসকাউন্টের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল পরিশোধন সংস্থাগুলি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে (Donald Trump Tariff)। ছাড়ের পরিমাণ ২০২২ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল তখন, যখন মস্কোর ওপর প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড তাদের কত রাশিয়ান তেলের প্রয়োজন, গত এক সপ্তাহে তা জানায়নি তারা (Crude Politics)।

LinkedIn
Share