Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Donald Trump: বাতিল জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক, চিনা পণ্যের ওপর আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

    Donald Trump: বাতিল জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক, চিনা পণ্যের ওপর আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা (China) পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। বর্তমানে চিনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। ট্রাম্প প্রশাসনের নয়া সিদ্ধান্তের জেরে ১ নভেম্বর থেকে চিনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩০ শতাংশ। প্রশ্ন হল, চিনের বিরুদ্ধে হঠাৎই বা কেন এমন পদক্ষেপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? কেন চিনা পণ্যের ওপর চাপালেন এত চড়া শুল্ক?

    ট্রাম্পের যুক্তি (Donald Trump)

    এই সব প্রশ্নের উত্তর ট্রাম্প নিজেই দিয়েছেন তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে। তিনি লিখেছেন, “গত ছ’মাস চিনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। বাণিজ্যে ওদের এমন একটা পদক্ষেপ সেই কারণেই আরও বিস্ময়কর লাগছে। আমার অবশ্য বার বার মনে হয়েছে, ওরা মিথ্যা বলছে। সেই সন্দেহই সত্যি হল। মনে তো হচ্ছে, অনেক দিন ধরে ওরা এই পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু চিনকে সারা বিশ্বের বাজারে এভাবে অচলাবস্থা তৈরি করতে দেওয়া যাবে না।” পাল্টা হুমকির সুরে ট্রাম্প লিখেছেন, “ওরা একটা একচেটিয়া অবস্থান নিতে চাইছে। কিন্তু আমেরিকার অবস্থানও একচেটিয়া এবং চিনের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। এখনও পর্যন্ত আমি তা ব্যবহার করার প্রয়োজন মনে করিনি। এবার করতে হবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “তারা ক্রমশ বৈরী হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিঠি পাঠাচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, যে তারা দুর্লভ খনিজ ও উৎপাদনের প্রায় প্রতিটি উপাদানের ওপর রফতানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায়, এবং প্রায় যা কিছু তাদের মাথায় আসে।” ট্রাম্প এই পদক্ষেপকে ‘অশুভ ও বৈরী পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়েছেন, যা বিশ্ববাজারকে বাধাগ্রস্ত করে পুরো বিশ্বকে ‘বন্দি’ করে রাখার জন্য নীল নকশা ছকা হয়েছে।

    কী লিখলেন ট্রাম্প

    ট্রাম্প লিখেছেন, “কেউ কখনও এ ধরনের কিছু দেখেনি। মূলত, এটি বাজারকে অবরুদ্ধ করবে এবং প্রায় সব দেশের জন্য জীবনকে কঠিন করে তুলবে, বিশেষ করে চিনের জন্য।” তিনি যোগ করেন, “আমরা অন্যান্য দেশের কাছ থেকেও সাড়া পেয়েছি যারা এই আকস্মিক বিরাট বাণিজ্যিক বৈরিতা নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ।” গত অগাস্টেই ট্রাম্প (Donald Trump) বলেছিলেন, তিনি ৯০ দিনের আগে বেজিংয়ের (China) ওপরে শুল্ক চাপাবেন না। জানিয়েছিলেন, আগামী ১০ নভেম্বর রাত ১২টা বেজে ১ মিনিট পর্যন্ত স্থগিত রাখা হবে নয়া শুল্কহার লাগু করার সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ এই পর্বে আগে যে হারে শুল্ক নেওয়া হচ্ছিল, তা-ই বলবৎ থাকবে। কিন্তু সেই সময়কালের আগেই সিদ্ধান্ত বদল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চিনা পণ্যের ওপর চাপিয়ে দিলেন ১০০ শতাংশ শুল্ক।

    চিনা বাণিজ্যমন্ত্রকের নয়া রফতানি নিয়ন্ত্রণ

    প্রসঙ্গত, চিনা বাণিজ্যমন্ত্রক ৯ অক্টোবর নতুনভাবে রফতানি নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করেছে। এতে আরও পাঁচটি নতুন বিরল মাটি (Rare Earth) উপাদানকে রফতানি নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এবং সেমিকন্ডাক্টর ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যবহৃত চালানের ওপর অতিরিক্ত নজরদারি আরোপ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। একইসঙ্গে পরিশোধন (refining) প্রযুক্তিকেও এই নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হয়েছে এবং চিনা কাঁচামাল ব্যবহারকারী বিদেশি উৎপাদকদের লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে বিদেশি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলি, বিশেষত আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলি, নিয়মিতভাবে এসব উপকরণ পাওয়া থেকে কার্যত বঞ্চিত হবে (Donald Trump)।

    ‘অ্যানাউন্সমেন্ট ১৮’

    এটি আসলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ঘোষিত ‘অ্যানাউন্সমেন্ট ১৮’-এর আওতায় আরোপিত সীমাবদ্ধতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সেই সময় ১৭টি বিরল মাটি উপাদানের মধ্যে ৭টি এবং সংশ্লিষ্ট চুম্বকের রফতানি সীমিত করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপ ছিল মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিশোধ, যা বৈশ্বিক সরবরাহে সংকট সৃষ্টি করে এবং অনেক মার্কিন প্রস্তুতকারককে উৎপাদন লাইন বন্ধ করতে বাধ্য করে (China)। চিনের শি জিনপিং সরকার এই রফতানি সীমাবদ্ধতাকে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। তবে একে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিন উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার আগে কৌশলগত চাপের হাতিয়ার হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে বেজিং বিরল মাটি উপাদানের ক্ষেত্রে তাদের প্রায় একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ বিশ্ব সরবরাহের প্রায় ৭০ শতাংশ আরও মজবুত করেছে। এই ধাতুগুলি বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি, যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে কম্পিউটার চিপ পর্যন্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে অপরিহার্য (Donald Trump)।

    ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক বাতিল

    এদিকে, চলতি মাসের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল ট্রাম্প-জিনপিংয়ের। সেই বৈঠক বাতিল করে দেওয়া হয়েছে (China)। কারণ হিসেবে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমি প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলিনি, কথা বলার প্রয়োজনও নেই। দু’সপ্তাহের মধ্যে জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার দেখা করার কথা ছিল। আর তার প্রয়োজন মনে করছি না। শুধু আমার কাছে নয়, সব রাষ্ট্রনেতার কাছেই এটা খুবই বিস্ময়কর (Donald Trump)।”

  • Amit Shah: ‘‘এদেশের মাটিতে আমার অধিকারের সমান অধিকার পাক-বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদেরও’’, সিএএ নিয়ে অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘এদেশের মাটিতে আমার অধিকারের সমান অধিকার পাক-বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদেরও’’, সিএএ নিয়ে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিতদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য‌ করা হয়েছে। দিল্লিতে জনসংখ্যা ও জনবিন্যাস সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিতাড়িত হিন্দুরা নিজেদের নামে বাড়ি কিনতে পারেননি। তারা সরকারি চাকরি পাননি, রেশন কার্ড পাননি, এমনকি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাও হয়নি। তাদের অধিকার দেওয়ার জন্যই সিএএ।”

    কাদের জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের সিদ্ধান্ত সংসদ নয়, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি নিয়েছিল। সেই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য এই মানুষগুলোর চার প্রজন্ম নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এখন তারা কি সস্তায় রেশন, বছরে ৫ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবিমার চিকিৎসা, ভোটাধিকার এবং সম্পত্তি কেনার অধিকার পাবে না?” এ প্রসঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনা টেনে শাহ জানান, পাকিস্তানে ১৯৫১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১৩ শতাংশ, বর্তমানে তা কমে মাত্র ১.৭৩ শতাংশে। বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা ২২ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৭.৯ শতাংশে। আফগানিস্তানে হিন্দু-শিখ মিলিয়ে একসময় ছিল ২.২ লক্ষ, এখন মাত্র ১৫০ জন। শাহের বক্তব্য, এই হ্রাস ধর্মান্তরের কারণে নয়, বরং নির্যাতনের ফলে তারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি জানান, “যারা ধর্মরক্ষার জন্য ভারতে এসেছে, তারা উদ্বাস্তু। কিন্তু যারা অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক স্বার্থে অবৈধভাবে ঢুকেছে, তারা অনুপ্রবেশকারী।” অমিত শাহের দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) আনার মাধ্যমে এই অবহেলিত মানুষদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শাহ বলেন, “ভারতের মাটিতে কারা প্রকৃত শরণার্থী আর কারা অনুপ্রবেশকারী, সেই সীমারেখা স্পষ্টভাবে টানা জরুরি। যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে এই দেশে আশ্রয় খুঁজেছেন, তাঁদের নৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার। যতটা অধিকার আমার এই দেশের মাটিতে, ঠিক ততটাই অধিকার পাকিস্তান ও বাংলাদেশের হিন্দুদেরও এই মাটিতে।”

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে অপপ্রচার

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে শাহ (Amit Shah) বলেন, সিএএ নিয়ে অন্যায়ভাবে অপপ্রচার চালানো হয়েছে এবং অযথা প্রতিবাদ হয়েছে। তাঁর কথায়, “এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিতদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য।” তাঁর দাবি, ১৯৫১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে ঐতিহাসিক ভুলগুলো হয়েছে, মোদি সরকার তা সংশোধন করেছে। শাহ আরও বলেন, “যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে তারা উদ্বাস্তু। কিন্তু অবৈধভাবে ঢোকা মানে অনুপ্রবেশ। উদ্বাস্তুদের আমরা নাগরিকত্ব দিচ্ছি, অনুপ্রবেশকারীদের নয়। কারণ, যদি সবাইকে ঢুকতে দেওয়া হয়, তবে ভারত একদিন ধর্মশালা হয়ে যাবে।”

  • India UK Defence Deal: ৩,৮৮৪ কোটি টাকায় ব্রিটেন থেকে হালকা মাল্টিরোল মিসাইল কিনছে ভারত, কী এর বৈশিষ্ট্য?

    India UK Defence Deal: ৩,৮৮৪ কোটি টাকায় ব্রিটেন থেকে হালকা মাল্টিরোল মিসাইল কিনছে ভারত, কী এর বৈশিষ্ট্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও মজবুত ও নিশ্ছিদ্র করার লক্ষ্যে এবার ব্রিটেনের থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সদ্যসমান্ত ভারত সফরের মধ্যেই এই প্রতিরক্ষা চুক্তির (India UK Defence Deal) বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ, বলে জানা গিয়েছে।

    ৩,৮৮৪ কোটি টাকার ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে হওয়া বৈঠকে দুই দেশ ৪৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৩,৮৮৪ কোটি টাকা) মূল্যের একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে (India UK Defence Deal) সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ব্রিটেন ভারতীয় সেনাবাহিনীকে লাইটওয়েট মাল্টিরোল মিসাইল (এলএমএম) বা ‘মার্টলেট’ সরবরাহ করবে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী সংস্থা থ্যালেস এই মিসাইলগুলি তৈরি করবে। ফলে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এয়ার ডিফেন্স) আরও মজবুত হবে বলে নয়াদিল্লির তরফে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে।

    ভারতে আসছে পৌরাণিক পাখি…

    এলএমএম বা মার্টলেট হল হালকা ওজনের একধরনের মাল্টিরোল মিসাইল (Lightweight Multirole Missile) বা বহুমুখী ক্ষেপণাস্ত্র। এই হালকা মিসাইলটি আকাশ থেকে ভূমি (এয়ার-টু-সারফেস), আকাশ থেকে আকাশ (এয়ার-টু-এয়ার), ভূমি থেকে আকাশ (সারফেস-টু-এয়ার) ও ভূমি থেকে ভূমিতে (সারফেস-টু-সারফেস) থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ‘মার্টলেট’ নামটি মূলত একটি পৌরাণিক পাখির নাম। ইংরেজদের যুদ্ধের সাজে এই পাখির একটি কাল্পনিক ছবি থাকে, যার পা নেই। অর্থাৎ এই পাখি কখনও বিশ্রাম নেয় না। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম এবং লঞ্চার পাবে (India UK Defence Deal)। এলএমএম দ্রুত, নির্ভুল এবং বহুমুখী, ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং ছোট বিমান ধ্বংস করতে সক্ষম। এই মিসাইল সাঁজোয়া যান, হেলিকপ্টার এবং যুদ্ধজাহাজ থেকে ছোড়া যেতে পারে। ৬ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে ‘মার্টলেট’। লেজার বিম গাইডেন্স-ভিত্তিক এলএমএম নানা কনফিগারেশনে পাওয়া যায়। মাত্র ১৩ কিলোগ্রাম ওজনের এই মিসাইলটির গতি ম্যাক ১.৫ (শব্দের গতির দেড় গুণ) এবং এটি ২০১৯ সাল থেকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে মোতায়েন রয়েছে।

    থ্যালেস তৈরি করবে এই মিসাইল

    ব্রিটিশ সরকার এই চুক্তিকে নিজেদের প্রতিরক্ষা শিল্প এবং ভারতের সঙ্গে গভীরর কৌশলগত সম্পর্কের জন্য একটি ঐতিহাসিক মোড় হিসেবে বর্ণনা করেছে। ব্রিটিশ সরকার বলেছে যে, এই চুক্তিটি (India UK Defence Deal) প্রায় ৭০০ ব্রিটিশ কর্মীর চাকরি নিশ্চিত করবে। এই একই মিসাইল ব্যবহার করছে ইউক্রেন। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যেখানে ইউক্রেনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে, উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে অবস্থিত থ্যালেস সেই কারখানাতেই এই মিসাইল (Lightweight Multirole Missile) তৈরি হবে। সেখানেই ভারতীয় সেনার জন্য এয়ার ডিফেন্স মিসাইল এবং লঞ্চার তৈরি করা হবে। অন্যদিকে, নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, সেই মিসাইল চুক্তির হাত ধরে ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের ক্ষেত্রে দীর্ঘকালীন সমন্বয়ের পথ আরও প্রশস্ত হল। আত্মনির্ভর ভারতের যে ভিত্তি আছে, সেটার পথও প্রশস্ত হয়েছে।

    সমুদ্রেও ভারত-ব্রিটেন সমঝোতা

    এছাড়াও, সামুদ্রিক খাতে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় চুক্তি (India UK Defence Deal) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্দো-প্যাসিফিক ওশেন ইনিশিয়েটিভ (IPOI) এর অধীনে একটি রিজিওনাল মেরিটাইম সিকিউরিটি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স (RMSCE) প্রতিষ্ঠা। এটি প্রশিক্ষণ, তথ্য ও জ্ঞান ভাগাভাগি এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের উপর জোর দেবে। যৌথ বিবৃতিতে, দুই দেশ জানিয়েছে যে এই কেন্দ্রটি জলদস্যু, অবৈধ মাছ ধরা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করবে। এছাড়া, মেরিটাইম ইলেকট্রিক প্রপালশন সিস্টেম তৈরির বিষয়ে দু’দেশ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছে। সেই বিষয়টিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য সই-সাবুদও হয়েছে।

  • Election Commission: অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে ১ বছরের জেল ও জরিমানা! মুখ্যসচিবের ভূমিকায় কেন বিরক্ত নির্বাচন কমিশন?

    Election Commission: অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে ১ বছরের জেল ও জরিমানা! মুখ্যসচিবের ভূমিকায় কেন বিরক্ত নির্বাচন কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়াল-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনেই ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন। যে কোনও দিন শুরু হয়ে যাবে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন। এসআইআর (SIR) নিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। জেলায় জেলায় চলছে প্রস্তুতি বৈঠক। এই আবহে রাজ্য়ের মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। একপ্রকার তাঁকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মাননীয়া। মমতার মন্তব্যের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশন অসন্তুষ্ট বলে জানা গিয়েছে।

    মুখ্যসচিবের ভূমিকা ক্ষুব্ধ কমিশন

    লোকপাল আইন অনুযায়ী, হলফনামা ছাড়া কোন সরকারি আধিকারিককে অভিযোগ দেওয়া যায় না। মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণিত হলে এক বছরের জেল হতে পারে। বৃহস্পতিবার এসআইআর নিয়ে একরাশ বিরক্ত প্রকাশ করে কমিশনের তুলোধনা করেন মমতা। তিনি বলেন, “এখানে যিনি রাজ্য থেকে গিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। সেগুলি সময় হলে বলব।” আর তারপরই বলেন, “আশা করি তিনি বেড়ে খেলবেন না। তিনি বড্ড বেশি অফিসারদের থ্রেট করছেন। এদিকে তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ।” বাস্তবে, কোনও সিইও পদমর্যাদার অফিসারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া প্রকাশ্যে এ ভাবে দুর্নীতির অভিযোগ করা যায় না। লোকপাল আইন অনুযায়ী, কোনও সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করতে হলে লিখিত স্বীকারোক্তি দিতে হয়। এমনকি, সেই অভিযোগ সঠিক না হলে অভিযোগকারীর জেল এবং জরিমানাও হতে পারে। কমিশনের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, লোকপাল আইনের ওই অংশটি মুখ্যসচিবের জানা উচিত। তাই কমিশনের বক্তব্য, সেই সময়ে তাঁর ওই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।

    কমিশনকে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা

    এ প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সাফ কথা মমতা যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তা নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দেওয়ার নামান্তর। শুভেন্দু বলেন, “মনোজ আগারওয়ালের বিরদ্ধে কী তথ্য আছে তা পশ্চিমবঙ্গের জনগণ জানতে চায়। আমরা প্রধান বিরোধী দল জানতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী না বললে দীপাবলির পরে সিইও দফতরে ধর্না দেব।”  এ বিষয়ে তিনি সিইও দফতরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান শুভেন্দু। কমিশনের এক আধিকারিকের কথায়, কোনও অভিযোগ থাকলে মুখ্য়মন্ত্রী, মুখ্যসচিবকে দিয়ে দরকারে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করাতে পারেন, কিন্তু প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্য করা অপরাধ।

    মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    কমিশন সূত্রে খবর,  মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের সময় তাঁর সঙ্গে থেকে একইভাবে দোষী রাজ্যের মুখ্যসচিবও। এই নিয়ে সিইও দফতরে শুভেন্দু যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে ওই বৈঠকে মুখ্যসচিবের উপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। সেই চিঠি নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়েছে সিইও-র দফতর। তাদের বক্তব্য, কমিশনে কেউ কোনও অভিযোগ জানালে সিইও দফতর নিয়ম মেনেই তা দিল্লিতে পাঠিয়ে দেয়। বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও সেই পদ্ধতি মানা হয়েছে। এখন জাতীয় নির্বাচন কমিশন এনিয়ে ফের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলে অুনমান রাজনৈতিক মহলে।

  • Weight Gain Problem: উৎসবের পরে বেড়েছে ওজন! দীপাবলির আগে কোন দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে?

    Weight Gain Problem: উৎসবের পরে বেড়েছে ওজন! দীপাবলির আগে কোন দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের রেশ এখনো কাটেনি! বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো শেষ হলেও, উৎসবের মরসুম কিন্তু হাজির! আর মাত্র কয়েক দিন! আর তারপরেই দীপাবলির উৎসবে মেতে উঠবেন আমজনতা! দীপাবলি আর ভাইফোঁটা! বছরের এই দুই উৎসবে বাঙালি বাড়িতে বাড়তি আয়োজন! শহর হোক বা গ্রাম, কালীপুজো আর ভাইফোঁটা উপলক্ষে বাঙালির রান্নাঘরে বাড়তি আয়োজন চলে! গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা চলছে থাকে।‌ তাই দুর্গোৎসব আর দীপাবলির মাঝের দু’সপ্তাহে শরীরে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর সময় অনেকেই নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করেছেন‌।‌ রাত জেগে প্যান্ডেলে প্রতিমা দর্শন করেছেন। বন্ধুদের সঙ্গে দেদার আড্ডা আর খানাপিনা ও চলেছে! আর তার জেরে অনেকেই কাবু হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হজমের গোলমালে জেরবার অনেকেই। আবার কেউ কেউ বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। দীপাবলির উৎসবে মেতে ওঠার আগে, তাই কয়েক দিন শরীরের বাড়তি যত্ন জরুরি।

    কোন দিকে বাড়তি খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    নিয়মিত সকালে আধ-ঘণ্টা হাঁটা!

    উৎসবের মরশুমে শরীর সুস্থ রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সময়ে নিয়মিত সকালে আধ ঘণ্টা হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে হাঁটলে শরীরের একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ‌ হয়। ওজন ও ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ, কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে। সকালে হাঁটলে মানসিক চাপ কমে। ফলে শরীরের একাধিক হরমোন ঠিকমতো কাজ করে। এর জেরে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। পাশপাশি, সকালে হাঁটলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ও এড়ানো যায়। তাই পুজোর পেট পুজোর জেরে‌, যারা বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত, তাদের নিয়মিত সকালে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, দু’সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটলে তার প্রভাব শরীরে পড়বে।

    রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উৎসবের মরসুমে অনেকেই রাত জেগে থাকেন। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। একদিকে অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া, আরেকদিকে অপর্যাপ্ত ঘুম! এই দুই কারণেই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়াও একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে থাকে। দীপাবলির উৎসবের আনন্দ করার জন্য‌ এই কয়েকদিন তাই রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে মস্তিষ্ক, স্নায়ু এবং পেশির বিশ্রাম জরুরি। তাই প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। দুর্গাপুজোর সময়ে অনেকেই রাত জেগে ঠাকুর দর্শন করেন। তাই উৎসবের পরে শরীরে বাড়তি ক্লান্তিবোধ তৈরি হয়। এই সময় তাই মস্তিষ্কের বিশ্রামের প্রয়োজন। অতিরিক্ত রাত জেগে থাকার অভ্যাস বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে।

    কম তেলে রান্না খাবার প্রয়োজন!

    বাঙালির ভুরিভোজ মানেই মাছ, মাংসের হরেক পদ। আর তার সঙ্গে চলে ভাজাভুজি! আর তার জেরেই ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো বিপদ‌ তৈরি হয়। তাই সুস্থ থাকতে আপাতত ভুরিভোজে রাশ টানার পরামর্শ‌ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন খেলেও অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া চলবে না। বরং স্যুপ কিংবা স্টু জাতীয় পদ বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আর তেলে ভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেল ও মশলা ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি হজমের গোলমাল তৈরি করে।

    সব্জি আর ফলেই ভরসা রাখার পরামর্শ!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, হজমের গোলমাল এড়াতে এবং অন্যান্য রোগের দাপট কমাতে সব্জি এবং ফলের উপরেই ভরসা রাখা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, উৎসবের মরসুমে সুস্থ থাকতে নিয়মিত সব্জি এবং ফল খাওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, এই সময়ে অধিকাংশ বাঙালি অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খান। কিন্তু সেই অনুপাতে ফল আর সব্জি খাওয়া হয় না। আর তার জেরেই সমস্যা বাড়ে‌। নিয়মিত লেবু, পেয়ারা, কলা, নাশপাতি জাতীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন এগুলো অন্ত্রের জন্য ভালো। আবার এগুলো শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের জোগান দেয়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। তার পাশপাশি গাজর, পালং শাক, পটল, ঝিঙে লাউয়ের মতো সব্জি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের জোগান দেবে।‌ তাই শরীর সুস্থ থাকবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শুভেন্দু, কোন বিষয়ে জানেন?

    Suvendu Adhikari: মমতাকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শুভেন্দু, কোন বিষয়ে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ডেডলাইন বেঁধে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘সোমবারের মধ্যে মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে তোলা দুর্নীতি প্রকাশ করতে না পারলে ধরে নেব আপনি এসআইআর নিয়ে ভয় পেয়েছেন।’

    কমিশনকে তুলোধনা মমতার (Suvendu Adhikari) 

    বৃহস্পতিবার এসআইআর নিয়ে একরাশ উদ্বেগ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে তুলোধনা করেন মমতা। তিনি বলেন, “এসআইআরের নামে আদতে এনআরসি করার চক্রান্ত চলছে।” তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। পাশাপাশি নিশানা করেন নির্বাচন কমিশনকেও। তিনি বলেন, “এখানে যিনি (মনোজ আগরওয়াল) রাজ্য থেকে গিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেগুলি সময় হলে বলব। আশা করি, তিনি বেড়ে খেলবেন না। তিনি বড্ড বেশি অফিসারদের থ্রেট করছেন। এদিকে, তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ।”

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তা নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দেওয়ার নামান্তর।’ তিনি বলেন, “আমি একে রাজনৈতিক ভাষা বলব না, বলব গুন্ডাদের ভাষা।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে যে ভাষা মমতা প্রয়োগ করেছেন, তা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। সেই কারণেই এবার সরাসরি নির্বাচন কমিশনের কাছে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। পরে অভিযোগ দায়ের করা হয় নির্বাচন কমিশনে।

    কী বললেন শুভেন্দু

    সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে কী তথ্য আছে, পশ্চিমবঙ্গের জনগণ তা জানতে চান, আমরা প্রধান বিরোধী দলও জানতে চাই। আমরা জানতে চাই কোন কোন আধিকারিককে কীভাবে তিনি ধমকেছেন, সেই আধিকারিকদের নাম প্রকাশ করুন। প্রয়োজনে ওই আধিকারিককে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করুন (Mamata Banerjee)। আমরা তাঁর নাম, পদ জানতে চাই। তিনি বিএলও, নাকি বিডিও নাকি ম্যাজিস্ট্রেট নাকি এসডিও নাকি এডিএম, আমরা তা জানতে চাই।”

    মুখ্যমন্ত্রীর দিকে কার্যত

    এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আপনি যদি সোমবারের মধ্যে এই সব অভিযোগ তথ্য-প্রমাণ দিয়ে সামনে না আনেন, তাহলে ধরে নেব আপনি এসআইআর নিয়ে ভয় পেয়েছেন। ক্ষমতা হারানোর ভয় পেয়েছেন। সোমবারের মধ্যে মনোজ আগরওয়ালের দুর্নীতি প্রকাশ করতে না পারলে, আপনার আইএএস, আইপিএস অফিসারদের, সিএমও-র স্টাফদের সিরিজ অফ দুর্নীতির কথা আমরা বলব।” তিনি আরও বলেন, “মনোজ আগরওয়াল কী করছেন, মুখ্যমন্ত্রী না বললে দীপাবলির পরে সিইও দফতরে ধর্না দেব। কেন কমিশনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি। দু’জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কেন কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি?”

    নির্বাচনী পদে নিয়োগ নিয়ে নয়া বিতর্ক

    এদিকে, বাংলায় (Suvendu Adhikari) নির্বাচনী পদে নিয়োগ নিয়ে নয়া বিতর্ক। রাজ্যের একাধিক জেলায় নির্বাচনী রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা ইআরও পদে নিয়ম ভেঙে নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি দাবি করেন, “রাজ্যের বহু জেলাশাসক জুনিয়র অফিসারদের ইআরও পদে নিয়োগ করেছেন, যা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা লঙ্ঘন (Mamata Banerjee)।” শুভেন্দু বলেন, “এভাবে সিনিয়র ডাব্লুবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) আধিকারিকদের এড়িয়ে জুনিয়রদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, যা ইলেকশন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশের পরিপন্থী।”

    কমিশনের নির্ধারিত মানদণ্ড

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সব মিলিয়ে মোট ২২৬টি নিয়োগ হয়েছে কমিশনের নির্ধারিত মানদণ্ড উপেক্ষা করে। তিনি বলেন, “এই ধরনের অনিয়ম আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সততা ও স্বচ্ছতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে।” শুভেন্দু জানান, নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক নির্দেশে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এসডিও, এসডিএম বা আরডিও পদমর্যাদার আধিকারিকরাই ইআরও হিসেবে নিযুক্ত হতে পারেন। সেই নিয়ম লঙ্ঘন করেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দুর ট্যুইট-বার্তা

    ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, “আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি, পশ্চিমবঙ্গে এই নির্দেশ কঠোরভাবে কার্যকর করা হোক। যেন দ্রুত সংশোধন ও পুনর্নিয়োগের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা যায়।” শুভেন্দু জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে উদাহরণ হিসেবে তিনি কয়েকজন ইআরও-র নাম এবং বিবরণ পাঠিয়েছেন, যাঁরা যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করেন না (Mamata Banerjee)।

    এদিকে, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ার প্রায় সাড়ে চারশো বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলওদের নিয়ে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার পরিষ্কার জানিয়ে দেন, একজন বৈধ ভোটারের নাম যেমন তালিকা থেকে বাদ যাবে না, তেমনই কোনও অবৈধ ভোটারের নামও ভোটার তালিকায় রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে (Mamata Banerjee) কোনও ভুল হলে তার দায় বর্তাবে বিএলওদের ওপরই (Suvendu Adhikari)।

  • India vs West Indies: দ্বিশতরানের পথে যশস্বী, ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত

    India vs West Indies: দ্বিশতরানের পথে যশস্বী, ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদের পর দিল্লিতেও দাপট দেখালেন ভারতের ব্যাটাররা। ফের একবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের (India vs West Indies) বিরুদ্ধে একটা গোটা দিন আধিপত্য ধরে রাখল ভারতীয় দল। মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে প্রথম দিনে ৩১৮ রান তুলে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। দিনের শেষে যশস্বী ১৭৩ ও শুভমন গিল ২০ রানে ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন। তবে অল্পের জন্য এদিন শতরান হাতছাড়া হল সাই সুদর্শনের।

    টস জিতলেন শুভমন

    ভারতের (India vs West Indies) টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার পর সপ্তম টেস্টে প্রথম টস জিতলেন শুভমন। ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন। শুভমন টসে জেতায় মাঠেই তাঁরে শুভেচ্ছা জানান কোচ গৌতম গম্ভীর থেকে শুরু করে সতীর্থেরা। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সাবধানে করেন যশস্বী ও লোকেশ রাহুল। নতুন বল ধরে খেলেন তাঁরা। প্রথম ঘণ্টা শেষ হওয়ার পর আক্রমণ শুরু করল ভারত। হাত খোলেন রাহুল। স্পিনারকে এগিয়ে এসে ছক্কাও মারেন। দ্বিতীয় বার সেই শট মারতে গিয়ে জোমেল ওয়ারিকানের বলে স্টাম্প আউট হন রাহুল।

    যশস্বীর জমকালো ইনিংস

    টেস্টে (India vs West Indies) প্রথম শতরানের পথে এগোচ্ছিলেন সাই সুদর্শন। কিন্তু ৮৭ রানের মাথায় জোমেল ওয়ারিকানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন ভারতীয় ব্যাটার। ২৫১ রানে ভারতের দ্বিতীয় উইকেট পড়ল। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর রান তোলার গতি বাড়ায় ভারত। বল কিছুটা পুরনো হয়ে যাওয়ায় বিশেষ কিছু হচ্ছিল না। ১৪৮ বলে নিজের শতরান পূর্ণ করেন যশস্বী। টেস্টে এটি তাঁর সপ্তম শতরান। টেস্টে তাঁর সাতটি শতরানের মধ্যে পাঁচটিই ১৫০-র বেশি। দ্বিতীয় দিন দ্বিশতরানেরও সুযোগ রয়েছে ভারতীয় ওপেনারের। ইতিমধ্যে তিনি ৩ হাজার রান পূরণ করে ফেলেছেন যশস্বী। এখনও পর্যন্ত তিনি একটাই মাত্র ওয়ানডে ম্য়াচ খেলেছেন। ভারতের কাছে এই সিরিজটা যে একেবারেই ‘ছেলেখেলা’ তা বলা যেতে পারে। প্রথম ম্য়াচে তো টিম ইন্ডিয়া ইতিমধ্যেই জয়লাভ করেছে। এবার দ্বিতীয় ম্য়াচের কথা যদি বলতে হয়, তাহলে তিন দিনের মধ্যে এই ম্য়াচও শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করতে চাইবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে টিম ইন্ডিয়ার ঝুলিতে পয়েন্ট আসবে।

  • India: কাবুলে ফের খুলছে ভারতীয় দূতাবাস, আফগান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকের পরেই ঘোষণা

    India: কাবুলে ফের খুলছে ভারতীয় দূতাবাস, আফগান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকের পরেই ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরও চাপে পড়ে গেল পাকিস্তান। মজবুত হচ্ছে ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্ক। ‘কাবুল মিশন’ (Kabul Mission) সফল করতে সেখানে ফের খোলা হচ্ছে ভারতীয় (India) দূতাবাস। এর পাশাপাশি, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি উড়ান পরিষেবা, উন্নয়নমূলক প্রকল্প সম্প্রসারণ এবং মানবিক সাহায্য বাড়ানোর ঘোষণাও করা হয়েছে।

    মুত্তাকি-জয়শঙ্কর বৈঠক (India)

    তালিবান সরকারকে এখনও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। এই সরকারেরই বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ভারত সফরে এসেছেন বৃহস্পতিবার। থাকবেন এক সপ্তাহ। আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম সে দেশের নয়া সরকারের শীর্ষ কোনও নেতা প্রথম এলেন ভারত সফরে। শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, পাকিস্তান–আফগানিস্তান–ইরান বিষয়ক যুগ্ম সচিব আনন্দ প্রকাশ এবং বিদেশমন্ত্রকের অন্য কর্তারা। বৈঠক শেষে জয়শঙ্কর বলেন, “আজ আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে কাবুলে ভারতের প্রযুক্তিগত মিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ভারতের দূতাবাসে’র মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।” আফগান বিদেশমন্ত্রীকে “এক্সেলেন্সি” সম্বোধন করে জয়শঙ্কর বলেন, “আপনার এই সফর আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং ভারত-আফগানিস্তানের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ফের নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

    কী বললেন মুত্তাকি

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে আফগানিস্তানের রাশ যায় তালিবানদের হাতে। তার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস। তবে গত কয়েক মাসে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে দুই দেশের মধ্যে। এহেন আবহে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পুরোদস্তুর দূতাবাস চালু করার ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সদলে বৈঠক শেষে মুত্তাকি বলেন, “আশা করছি, দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়বে (Kabul Mission)। যোগাযোগ এবং বিনিময় বৃদ্ধি পাবে।” নয়াদিল্লিকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ আখ্যা দেন আফগান বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “পারস্পরিক সম্মান, বাণিজ্য এবং দুই দেশের সাধারণ মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই আমরা।” তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী মুত্তাকি সাফ জানিয়ে দেন, “আমাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কোনও দেশকে অন্য দেশের ওপরে হামলা চালাতে দেব না।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আফগান বিদেশমন্ত্রীর নিশানায় যে আদতে পাকিস্তানই, তা বলাই বাহুল্য। যদিও ইসলামাবাদের নাম মুখে আনেননি তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী।

    খনি খুঁড়তে ভারতকে আমন্ত্রণ

    এর পরেই দূতাবাস খোলার কথা ঘোষণা করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতাকে সমর্থন করে ভারত। নয়াদিল্লির (India) টেকনিক্যাল মিশন কাবুলে রাষ্ট্রীয় দূতাবাসের মর্যাদা পাবে।” আফগানিস্তানের খনি ক্ষেত্রগুলিতে খনন কার্য চালানোর অনুমতি পেয়েছে ভারত। সেজন্য ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তালিবান সরকার। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এতে দুই দেশেরই স্বার্থ রয়েছে। বাণিজ্য এবং ব্যবসা বাড়বে।” কাবুল এবং নয়াদিল্লির মধ্যে অতিরিক্ত উড়ান চালুর কথাও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর। এর পরেই ভূমিকম্পের সময় ভারতের মানবিক সাহায্যের জন্য নয়াদিল্লিকে ধন্যবাদও জানান মুত্তাকি (Kabul Mission)।

    পুরোদমে চালু হচ্ছে ভারতীয় দূতাবাস

    ২০২২ সালে কাবুলে একটি টেকনিক্যাল টিম পাঠিয়েছিল ভারত। সেই থেকেই সেই টিমের সদস্যরা অবস্থান করছিলেন ভারতীয় দূতাবাসে। সেই দূতাবাসই এবার চালু হচ্ছে পুরোদমে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান ও তালিবান সরকারের মধ্যে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাস ও আফগান শরণার্থীদের পুনর্বাসন নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েনের আবহে কাবুলের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ বাড়ানোর নয়া সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেটাকেই কাজে লাগাল ভারত। বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা শুধু আফগানিস্তানের জাতীয় উন্নয়নেই নয়, গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এবং সহনশীলতাও নিশ্চিত করে।” তিনি আরও জানান, ভারত অতীতের প্রকল্পগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও অসম্পূর্ণ প্রকল্পগুলির সমাপ্তিতে সহযোগিতা করবে। আফগানিস্তানের উন্নয়নমূলক অন্যান্য চাহিদা সম্পর্কেও আলোচনা হবে।

    দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় জোর

    এদিন, বৈঠকের শুরুতেই জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের মুখোমুখি এই সাক্ষাৎ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই বৈঠক আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিনিময়, অভিন্ন স্বার্থ চিহ্নিত করা এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সুযোগ দিয়েছে।” নাম না করে পাকিস্তানকে নিশানা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রীও বলেন, “আমাদের উভয় দেশেরই উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির প্রতি অভিন্ন প্রতিশ্রুতি রয়েছে। কিন্তু সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদ সেই লক্ষ্যে বড় হুমকি (Kabul Mission)। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রতি আপনার সংবেদনশীলতার প্রশংসা আমরা করি (India)।” তিনি বলেন, “আমাদের শিক্ষা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচিগুলি দীর্ঘদিন ধরে আফগান যুবসমাজকে লালন-পালন করে আসছে। আমরা আফগান শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনার সুযোগ আরও বাড়বে।” তিনি বলেন, “খেলাধুলো আর একটি দীর্ঘদিনের সংযোগের ক্ষেত্র। আফগানিস্তানের ক্রিকেট প্রতিভার উত্থান সত্যিই প্রশংসনীয়। আফগানিস্তানের ক্রিকেটকে আরও সাহায্য করতে পেরে ভারত আনন্দিত।”

    এদিকে, তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরের মধ্যেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল। অনুমান, এই হামলা চালিয়েছে পাক বিমানবাহিনী (Kabul Mission)। পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানদের সম্পর্কের নাটকীয় অবনতির পরেই ঘটল এই হামলা (India)।

  • Nobel Peace Prize: নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ভেনিজুয়েলার মারিয়া করিনা মাচাদো, জানেন তাঁর পরিচয়?

    Nobel Peace Prize: নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ভেনিজুয়েলার মারিয়া করিনা মাচাদো, জানেন তাঁর পরিচয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশা ভেঙে দিয়ে ২০২৫ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার ( Nobel Peace Prize) পেলেন ভেনেজুয়েলার প্রধান বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। শুক্রবার নোবেল কমিটি ঘোষণা করে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে নিরলস লড়াইয়ের জন্য এই সম্মান পাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে আত্মগোপনে থাকা এই রাজনীতিক ‘ভেনেজুয়েলার আয়রন লেডি’ নামেও পরিচিত। ভেনেজুয়েলায় মুক্ত নির্বাচনের পক্ষে দশকের পর দশক ধরে সওয়াল করেছেন মারিয়া। বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা, মানবাধিকারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। ২০২৪ সালে ভেনেজুয়েলার নির্বাচনে বিরোধীদের মুখ হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি।

    মারিয়া ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণা

    শুক্রবার অসলোতে ঘোষণা করা হল মারিয়ার নাম। এ বছর কমিটির ভাবনায় ছিল ৩৩৮টি নাম। যার মধ্যে ২৪৪ জন ব্যক্তি এবং ৯৪টি সংস্থা। তার মধ্যে কমিটি বেছে নিল মারিয়া করিনা মাচাদোকে। নোবেল কমিটি ঘোষণায় জানিয়েছে, গণতন্ত্রের জন্য মারিয়ার অবিচল সংগ্রাম ও অহিংস প্রতিরোধ সারা বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণা। মারিয়া কোরিনা মাচাদো শুধু ভেনেজুয়েলায় নয়, বরং সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছে অনুপ্রেরণা। ভেনেজুয়েলাকে একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে ফেরানোর সময়ে তাঁর লড়াইকে সম্মান জানানো হলো নোবেল কমিটির তরফে। কমিটির তরফে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালে শান্তির জন্য লড়াই করা সাহসী এক ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হল। এক মহিলা, যিনি আঁধার ঘনিয়ে এলেও গণতন্ত্রের জন্য মশাল জ্বেলে রেখেছিলেন।’ কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক শক্তির অন্যতম মুখ মারিনা কোরিনা মাচাদো গোটা দক্ষিণ আমেরিকার নাগরিক আন্দোলনকে সাহস জুগিয়েছেন। ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ মুখও ইনি।

    হতাশ ট্রাম্প

    ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০৫ বার মোট ১৪২ জনকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৯২ জন পুরুষ এবং ১৯ জন মহিলা। ২০২৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন জাপানের নিহন হিদানকো। পরমাণু বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে একটি সংগঠন রয়েছে তাঁর। বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। তবে, চলতি বছর দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করে আসছেন যে, বিশ্বের ‘আটটি যুদ্ধ’ শেষ করার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার তাঁরই প্রাপ্য। তবে শেষমেষ নোবেল কমিটি এবার বেছে নিল মারিয়াকেই।

  • BJP West Bengal: পাখির চোখ বিধানসভা! ফের রাজ্যে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক, বৈঠকে ভূপেন্দ্র যাদব-বিপ্লব দেব

    BJP West Bengal: পাখির চোখ বিধানসভা! ফের রাজ্যে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক, বৈঠকে ভূপেন্দ্র যাদব-বিপ্লব দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো শেষ হতেই ২০২৬ সালের বিধানসভা (BJP West Bengal) ভোট প্রস্তুতি শুরু করে দিল বঙ্গ বিজেপি। সংগঠনের মোর্চা প্রধানদের নিয়ে কলকাতার হেড অফিসে সভার আয়োজন করা হল। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ভোট প্রস্তুতির পর্যবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিপ্লব দেব এবং ভূপেন্দ্র যাদব। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটা তাদের দ্বিতীয় মিটিং। এই মিটিংয়ে সংগঠনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হবে বলেই খবর। সেখানে সংগঠনের ত্রুটি এবং শক্তির জায়গা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হবে। সেই মতো পরবর্তী রুটম্যাপ ঠিক হবে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বৈঠকে থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদার। বৈঠকে থাকার কথা বঙ্গ বিজেপির অন্যান্য নেতা-নেত্রীদেরও।

    ভোটের প্রস্তুতি চলছে

    পুজোর আগে তিন তিনবার রাজ্য়ে ঘুরে গেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। পুজোর আগে এবং পুজোর মধ্যে রাজ্যে এসেছেন অমিত শাহ। সূত্রের দাবি, চলতি মাস থেকেই ধারাবাহিক কর্মসূচি শুরু করে দিচ্ছে বিজেপি। অক্টোবর ও নভেম্বর জুড়ে চলবে লাগাতার কর্মসূচি। জানুয়ারি থেকে দ্বিগুণ তৎপরতা নিয়ে এরাজ্য়ে ঝাঁপাবে বিজেপি। একাদশীতেই কলকাতায় এসে ছাব্বিশের প্রাথমিক ‘স্ট্র্য়াটেজি মিটিং’ সেরে ফেলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। আলোচনার মাধ্যমে সংগঠনের একদম বুথ লেভেলের পরিস্থিতি জানতে চাইছেন ভূপেন্দ্র যাদব এবং বিপ্লব দেব। কোথাও নিচু তলার সংগঠন দুর্বল হলে, সেটা ঠিক করার পরামর্শ দিচ্ছে তারা। তবে কোথায় পরিস্থিতি খারাপ, আর কোথায় ভালো, সেটা বুঝতে গেলে সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাই দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সভা করে যাচ্ছেন দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বলে দাবি।

    কী কী নিয়ে আলোচনা

    পশ্চিমবঙ্গে (BJP West Bengal) আগামি বছর হবে বিধানসভা ভোট। সেই মতো রাজ্যে এসআইআর-এর প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এই মাসেই হয়তো ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের দিন ঘোষণা হয়ে যাবে। সেই সময় বিজেপি-এর সভ্যরা ঠিক কীভাবে কাজ করবে, সেটাও আগেভাগে ছকে রাখতে চাইছে বিজেপি। এখানেই শেষ নয়, সূত্রের খবর, ২০২৬ সালের ভোটের আগে নিজেদের আরও শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে চাইছে বিজেপি। তারা প্রাথমিকভাবে সংগঠনের বাস্তবিক পরিস্থিতি ঝালিয়ে নিচ্ছে। এর পর কোন আসনে কাকে দাঁড় করানো যায়, সেটা দেখার পালা। তবে এখনই এই নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হবে না। বরং একটা সম্ভাব্য লিস্ট সাজিয়ে রাখতে চাইছেন উচ্চ নেতারা। সেই লিস্টে এখনও অনেক অদলবদলের রয়েছে সম্ভাবনা। একদম ভোটের আগেই বেরবে শেষ প্রার্থী তালিকা।

LinkedIn
Share