Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Balasore suicide horror: অভিযুক্ত অধ্যাপকের পক্ষে চিঠিতে স্বাক্ষর ৭১ জনের, বালাসোরে বিএড ছাত্রীর আত্মহত্যায় ভয়ঙ্কর তথ্য

    Balasore suicide horror: অভিযুক্ত অধ্যাপকের পক্ষে চিঠিতে স্বাক্ষর ৭১ জনের, বালাসোরে বিএড ছাত্রীর আত্মহত্যায় ভয়ঙ্কর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালাসোর থেকে উঠে এল গা শিউরে ওঠা ঘটনা। কলেজের মধ্যেই অধ্যাপকের লাগাতার যৌন হেনস্থায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ুয়া আত্মহত্যা করল কলেজ চত্বরে। অভিযুক্ত অধ্যাপক বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে, কলেজের প্রিন্সিপালকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বালাসোর জেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএড কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন ওই তরুণী। দিনের পর দিন তাঁকে কুরুচিকর মন্তব্য, অশ্লীল ইঙ্গিত ও শারীরিক সম্পর্কের কুপ্রস্তাব দিয়ে মানসিক নির্যাতন চালাতেন তাঁরই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সমীর কুমার সাহু।

    মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ছাত্রী

    অভিযোগ, অধ্যাপকের হেনস্থা সহ্য না করতে পেরে কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির (Internal Complaint Committee) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও বাধ সেধেছিল অভিযুক্ত অধ্যাপকের ক্ষমতা। ওই ছাত্রীর ১০০ জন সহপাঠীর মধ্যে ৭১ জন, যার মধ্যে ৪১ জন মহিলাও রয়েছেন, তার চরিত্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে এবং সেই অধ্যাপকের পক্ষে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন যার বিরুদ্ধে তিনি যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। ওড়িয়া ভাষায় লেখা এই চিঠিটি ১ জুলাই তারিখের। যেখানে বলা হয়, ভুক্তভোগী তার উপর হওয়া হয়রানির “ভিডিও প্রমাণ” না দিলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। চিঠিতে ভুক্তভোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার এবং কম উপস্থিতির কারণে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা দেওয়ার পর অধ্যাপককে লক্ষ্য করে আক্রমণ করার অভিযোগও করা হয়েছে। এরপরই পুরোপুরি ভেঙে পড়েন ওই ছাত্রী।

    বিজেডি ও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের কুমিরের কান্না

    জানা গিয়েছে, এখন যাঁরা ওই ছাত্রীর হয়ে বিচার চাইছেন একদিন তাঁরাই ওই ছাত্রীর চরিত্রকে কালিমালিপ্ত করেছিল। ওই ছাত্রীর রুমমেট প্রকাশ জানান যে আত্মহত্যা করার আগের রাতে, নির্যাতিতা ঘুম থেকে উঠেছিলেন, বিচলিত হয়েছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত অপবাদে গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছিলেন। যার বেশিরভাগই বিজু জনতা দল (বিজেডি) এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর সাথে যুক্ত ছাত্র নেতাদের দ্বারা ছড়িয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কলেজের প্রিন্সিপাল দিলীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি।

  • IIT Roorkee: মোদি লিপিকে দেবনাগরী লিপিতে রূপান্তর করতে পারে আইআইটি রুরকির এআই!

    IIT Roorkee: মোদি লিপিকে দেবনাগরী লিপিতে রূপান্তর করতে পারে আইআইটি রুরকির এআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটি রুরকি (IIT Roorkee) বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) মডেল তৈরি করেছে, যা ঐতিহাসিক মোদি লিপিকে দেবনাগরী লিপিতে রূপান্তর করতে পারে। এই প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক স্পর্শ মিত্তল। এটি কেবল প্রযুক্তিগত কৃতিত্ব নয়, এটি এক সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ, ভারতের বিস্মৃত ভাষাতাত্ত্বিক (Devanagari) ঐতিহ্যের এক ডিজিটাল পুনর্জন্ম, এবং ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’, ‘ভাষিণী’, ‘ভারত জিপিটি’, ও ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর মতো জাতীয় উদ্যোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

    দুটি শক্তিশালী উপকরণ (IIT Roorkee)

    এই উদ্যোগের মূল দুটি শক্তিশালী উপকরণ হল ১) মোদি স্ক্রিপ্ট কনভার্সান নেটওয়ার্ক (এমওএসসি)। এটি একটি একটি উন্নত ভিশন-ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল, যা প্রচলিত অপটিকাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (ওসিআর) টুলগুলোর চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। এবং ২) মোদি দেবনাগরী ট্রান্সলিটারেটেড ডেটাসেট। এটি হল মোদি লিপিতে হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির প্রথম এবং একমাত্র ব্যাপক ডেটাসেট, যেখানে প্রামাণ্য দেবনাগরী প্রতিলিপি যুক্ত রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই দুটি টুলই হাগিং ফেস প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে বিশ্বব্যাপী গবেষক, ডেভেলপার ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলি এই উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে আরও গবেষণা ও উন্নয়ন চালাতে পারে। এটি প্রাচীন ভাষা বিষয়ক এআইয়ের ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব পদক্ষেপ।

    মোদি লিপি

    মোদি লিপি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পদবির সঙ্গে বিভ্রান্ত হবার মতো নয়। এটি একটি আধা-সাঁড়াশি ধরণের লিপি যা ঐতিহাসিকভাবে মহারাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্য ও পশ্চিম অংশে ব্যবহৃত হত। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের শাসন কালে জারি করা রাজকীয় ফরমান, পেশওয়াদের আমলের প্রশাসনিক নথিপত্র, এবং ব্রিটিশ শাসনের সময় ভূমি ও আইনি রেকর্ড – সব কিছুর জন্য শতাব্দীর পর শতাব্দী এই মোদি লিপিই ছিল সরকারিভাবে স্বীকৃত ভাষা (IIT Roorkee)। তবে এত সমৃদ্ধ ব্যবহার থাকা সত্ত্বেও ঔপনিবেশিক শাসকরা দেবনাগরী (Devanagari) ও ইংরেজি চাপিয়ে দেওয়ায় মোদি লিপির ব্যবহার কমে যায়। ধীরে ধীরে এই লিপির চর্চাও প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে যায়। বর্তমানে প্রায় ৪ কোটি মোদি লিপিতে লেখা নথি দেশে বিভিন্ন আর্কাইভ, মন্দির, ব্যক্তিগত সংগ্রহ এবং সরকারি দফতরে পড়ে রয়েছে। এর অধিকাংশই অপঠিত, কারণ দক্ষ পাঠকের অভাব রয়েছে।

    কী বললেন প্রধান গবেষক?

    এই প্রেক্ষাপটেই এসেছে মোদিএসসিনেট। সর্বাধুনিক ভিশন-ল্যাঙ্গুয়েজ এআই ব্যবহার করে নির্মিত এই মডেলটি হাতে লেখা মোদি অক্ষরকে চিনতে পারে এবং প্রাসঙ্গিকভাবে তা বুঝে যথাযথভাবে দেবনাগরীতে রূপান্তর করতে পারে। সাধারণ ওসিআর সিস্টেম যেখানে হাতে লেখা, অলঙ্করণযুক্ত বা পুরোনো ক্ষয়প্রাপ্ত লেখার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়, সেখানে মোদি লিপির গতি, শৈল্পিক বৈচিত্র্য এবং সাঁড়াশি প্রকৃতিকে চমৎকার নিখুঁতভাবে সামলাতে পারে। আইআইটি রূরকির প্রধাণ গবেষক তথা প্রকল্পের প্রধান অধ্যাপক স্পর্শ মিত্তল বলেন, “এটি শুধুমাত্র একটি ট্রান্সলিটারেশন সরঞ্জাম নয়। এটি একটি যন্ত্র, যা কালি ও কালের মাঝে চাপা পড়া সভ্যতার জ্ঞানকে উন্মোচন করতে সক্ষম, আর্কাইভে সংরক্ষিত, হারিয়ে যাওয়া উপভাষায় লুকিয়ে থাকা ঐতিহ্যকে জাগিয়ে তুলতে পারে।” তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি এআই তৈরি করছি, যা ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, উত্তরাধিকারকে (Devanagari) বিশ্লেষণ করতে সক্ষম এবং ভারতীয় ইতিহাসের নতুন অধ্যায় উন্মোচনের পথ খুলে দেয় (IIT Roorkee)।”

    প্রযুক্তির ভিত্তি

    গবেষকরা শুধু একটি মডেল তৈরি করেই থেমে থাকেননি, তাঁরা এই প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন করেছেন মোদিট্রান্স নামের একটি বিশেষভাবে সংগৃহীত, উচ্চমানের ডেটাসেটের মাধ্যমে, যা প্রামাণিক মোদী লিপিতে লেখা ২০০০-রও বেশি স্ক্যান করা পাণ্ডুলিপির ছবি নিয়ে গঠিত। এই পাণ্ডুলিপিগুলি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল, শিবকালীন (১৭শ শতাব্দী) – ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের সময়কাল, পেশওয়াকালীন (১৮শ শতাব্দী)- পেশওয়া প্রশাসনের অধীনে এবং আঙ্গলকালীন (১৯শ শতাব্দী) – ব্রিটিশ শাসনের সময়। প্রতিটি পাণ্ডুলিপির সঙ্গে অভিজ্ঞ ভাষাবিদদের দ্বারা যাচাই করা দেবনাগরী লিপ্যন্তর যুক্ত রয়েছে, যা এটিকে শুধুই একটি প্রযুক্তিগত উপাদান নয় বরং বিপুল মূল্যমানের একটি ভাষাগত ঐতিহ্য-ভান্ডারে পরিণত করেছে। গবেষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে এমন একটি টুল, যা একদিকে অ্যাকাডেমিক কড়াকড়ি বজায় রাখে, অন্যদিকে ব্যবহারিক প্রয়োগে উপযোগী, ঐতিহ্য সংরক্ষণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে এক বিরল কৃতিত্ব (IIT Roorkee)।

    একাধিক প্রধান মিশনের সঙ্গে যুক্ত

    এই এআই মডেলটি ভারতের একাধিক প্রধান মিশনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এগুলি হল, ডিজিটাল ইন্ডিয়া – লক্ষ (Devanagari) লক্ষ প্রাচীন পান্ডুলিপিকে যন্ত্র-পঠনযোগ্য রূপে রূপান্তর করে ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে। ভাষিণী – বহু-ভাষিক ভাষা প্রবেশগম্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমর্থন জোগাচ্ছে। ভারতজিপিটি– ভারতীয় প্রসঙ্গকে ভিত্তি করে বৃহৎ ভাষা মডেল গঠনের ভিত্তি তৈরি করছে। এবং ন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন মিশন– আঞ্চলিক ভাষার সংরক্ষণ এবং লিপ্যন্তরের মাধ্যমে ভাষাগত বৈচিত্র্য রক্ষায় সহায়ক। বৈশ্বিক পর্যায়ে এই উদ্যোগটি রাষ্ট্রসংঘের মজবুত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১১.৪-কে সরাসরি সমর্থন করে- বিশ্বের সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও রক্ষার প্রচেষ্টা জোরদার করা (IIT Roorkee)।

    যখন জলবায়ু পরিবর্তন, সময় এবং অবহেলা প্রাচীন নথিগুলোর অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে, তখন এই ধরনের এআই ভিত্তিক কাঠামো বিশ্বব্যাপী প্রয়োগযোগ্য হতে পারে। এই টুলের মাধ্যমে তামিলনাড়ুর সংস্কৃত (Devanagari) গ্রন্থ লিপি হোক বা লাদাখের তিব্বতি পান্ডুলিপি, কিংবা খেমার, পালি ও থাই ভাষার শিলালিপি – সব ক্ষেত্রেই এআই সাহায্য করতে পারে (IIT Roorkee)।

  • Arshad Nadeem: প্রতিশ্রুতি দিয়েও জমি দেয়নি পাক সরকার, ক্ষোভ প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী আরশাদ নাদিমের

    Arshad Nadeem: প্রতিশ্রুতি দিয়েও জমি দেয়নি পাক সরকার, ক্ষোভ প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী আরশাদ নাদিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিক্সে ইতিহাস গড়েও জমি পাননি পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম (Arshad Nadeem)। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করে দেশের জন্য সোনার পদক জেতেন পাকিস্তানের জ্যাভেলিন তারকা আরশাদ নাদিম। এই জয় ছিল ঐতিহাসিক—কারণ, অলিম্পিক্স ইতিহাসে সেই প্রথম কোনও পাকিস্তানি অ্যাথলিট ব্যক্তিগত বিভাগে সোনার পদক জিতেছিলেন। দেশে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার এবং একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আরশাদকে নানা পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয় (Pakistan)। কারও পক্ষ থেকে আর্থিক পুরস্কার, তো কারও পক্ষ থেকে জমির আশ্বাস—ঘোষণার বন্যা বইতে থাকে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, আজও সেই প্রতিশ্রুত জমির একটি টুকরোও হাতে পাননি তিনি।

    প্রতিশ্রুতি এখনও বাস্তব হয়নি, ক্ষোভের কথা জানালেন আরশাদ

    ‘জিও টিভি’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরশাদ নাদিম নিজেই জানিয়েছেন, “পাকিস্তান সরকার (Arshad Nadeem) আমাকে জমি দেওয়ার কথা বলেছিল, কিন্তু বাস্তবে কিছুই পাইনি। এটা ছিল একেবারেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। তবে অন্যান্য নগদ পুরস্কার আমি পেয়ে গিয়েছি।” সরকারের পক্ষ থেকে জমির প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলেও, আরশাদ জানিয়েছেন যে তিনি এখন পুরোপুরি নিজের অ্যাথলেটিক্স কেরিয়ারে মনোযোগ দিচ্ছেন। লক্ষ্য একটাই—নিজেকে আরও উন্নত করা।

    অলিম্পিক্সে আরশাদের বিস্ময়কর পারফরম্যান্স (Arshad Nadeem)

    ২৮ বছর বয়সি আরশাদ নাদিম (Arshad Nadeem) প্যারিস অলিম্পিক্সে ৯২.৯৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভেলিন ছুড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকেন এবং স্বর্ণপদক জেতেন। ঠিক তাঁর পরেই দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ভারতের জ্যাভেলিন সেনসেশন নীরজ চোপড়া, যিনি রুপোর পদক ঘরে তোলেন। বর্তমানে এই দুই তারকার মধ্যে দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে ক্রীড়াপ্রেমী বিশ্ব। ১৬ অগাস্ট, পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে সিলেসিয়া ডায়মন্ড লিগ। সেখানে আবার মুখোমুখি হবেন এই দুই শীর্ষ প্রতিযোগী। ১৯৯৭ সালে পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাব প্রদেশে জন্ম নেন আরশাদ। ছোটবেলায় খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ থেকেই ধীরে ধীরে তিনি পা রাখেন জ্যাভেলিনে। এই খেলা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। অলিম্পিক্স ছাড়াও কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতে নিজের কেরিয়ারে নতুন উচ্চতা ছুঁয়েছেন তিনি।

  • Hindu Temple: ভারত-চিনের সম্পর্ক বহু পুরানো, সাক্ষী কোয়ানঝু শহরের হিন্দু মন্দির

    Hindu Temple: ভারত-চিনের সম্পর্ক বহু পুরানো, সাক্ষী কোয়ানঝু শহরের হিন্দু মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) ফুজিয়ান প্রদেশের কোয়ানঝু শহর। এই শহরেই রয়েছে একটি বৌদ্ধ গুম্ফা। এর ভিত্তি ও স্তম্ভে হিন্দু (Hindu Temple) চিত্রকলা খোদাই করা আছে। এ থেকে প্রমাণ হয় ভারত ও চিনের মধ্যে দীর্ঘকাল সমুদ্রপথে ব্যবসা-বাণিজ্য হত। পণ্যবাহী জাহাজ ভারতের পশ্চিম উপকূল থেকে মালাক্কা প্রণালী (সিঙ্গাপুর) হয়ে ভিড়ত চিনের বন্দরে।গুম্ফায় খোদাই করা ছবিতে রয়েছে সিংহ, যা দক্ষিণ ভারত বা চিনের কোনওটি থেকেই উৎপত্তি হয়নি। তবুও সিংহ ভারত ও চিনে রাজসিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছিল। শ্রীলঙ্কার (সিংহল অর্থাৎ সিংহ জাতি) ও সিঙ্গাপুরের (সিংহপুরা অর্থাৎ সিংহদের শহর) নামেও তা প্রতিফলিত হয়েছে। এটি প্রমাণ করে কীভাবে পণ্যের পাশাপাশি কনসেপ্টগুলিও এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় গিয়েছিল।

    ভগবান বুদ্ধের মন্দির নির্মাণ (Hindu Temple)

    জনশ্রুতি অনুযায়ী, এক বণিক জমির মালিককে অনুরোধ করেছিলেন যাতে তিনি ভগবান বুদ্ধের মন্দির নির্মাণের জন্য জমি দেন। মালিক জমি দিতে অনিচ্ছুক ছিলেন। তিনি শর্ত দিয়েছিলেন, যদি তাঁর তুঁত গাছে সাদা পদ্মফুল ফোটে, তবেই তিনি জমি দেবেন। এই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটার পরেই মালিক জমি দেন। সেখানেই প্রতিষ্ঠিত হয় বৌদ্ধ মন্দির, যা গুম্ফা নামে পরিচিত। এই জায়গাটি পরে বিভিন্ন বৌদ্ধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী ও বণিকদের দ্বারা নানা ধরণের মন্দির নির্মাণের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। সেই কারণেই আজও দেখা যায়, সেখানে রয়েছে একটি শিবলিঙ্গ, যাঁকে পুজো করছে একটি হাতি। আর একটি চিত্রে শিবকে দেখা যায় জটাজুটধারী হিসেবে।

    ভগবান নৃসিংহের ছবি

    ভগবান নৃসিংহের একটি ছবিও রয়েছে। এটি দক্ষিণ ভারতের একটি বিরল রূপ। এঁকে ব্যাঘ্রপাদ বলা হয়, যিনি শিবের এক বাঘ-পদধারী ভক্ত। আর একটি ছবিতে দেখা যায় মা পার্বতীর পায়ের কাছে একটি অসুর বসে রয়েছে। এঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা চিনা ঐতিহ্যের করুণাময় নারী বোধিসত্ত্ব গুয়ান ইনের এক রূপ বলে পুজো করেন। এখানে একটি স্তম্ভও রয়েছে, যা দেখতে শিবলিঙ্গের মতো। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এটি একটি পাথরের বাঁশের কুঁড়ি। কিন্তু সম্ভবত এটি একটি শিবলিঙ্গ। জানা গিয়েছে, প্রথমে ভারত-চিনের (China) মধ্যে বাণিজ্য হত স্থলপথে, মধ্য এশিয়ার মাধ্যমে। পরে মৌসুমি বায়ুর সুবিধা কাজে লাগাতে চালু হয় সমুদ্রপথ (Hindu Temple)।

    মহাভারতে চিনের উল্লেখ

    সবচেয়ে প্রাচীন রামায়ণের পাণ্ডুলিপিতে চিনের কোনও উল্লেখ নেই। তবে সবচেয়ে পুরনো মহাভারতের পাণ্ডুলিপিতে চিনের উল্লেখ রয়েছে। চিন প্রথমে ভারতের সঙ্গে পরিচিত হয় উপজাতিগুলির মাধ্যমে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২০০ সালের দিকে। পরে খ্রিস্টীয় ২০০ সালের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হয় এই দুই প্রতিবেশী দেশের। এই সময়টি ছিল হান সাম্রাজ্যের যখন চিন এক হয়েছিল। ভারতকে তারা ডাকত  শেন্দু (সিন্ধু থেকে উদ্ভূত) এবং থিয়েনচু (স্বর্গীয় বাঁশবন — বৌদ্ধ শব্দ ‘বেনু- বন’ থেকে উদ্ভূত) নামে। বৌদ্ধধর্মকে চিনে স্বাগত জানানো হয়েছিল এমন একটি কঠিন সময়ে যখন সে দেশে গৃহযুদ্ধ চলছিল। বৌদ্ধধর্মা সেই সময় চিনাদের মানসিক শান্তি এনে দিয়েছিল।

    বৌদ্ধ নিদর্শন আমদানিতে উৎসাহ

    তাং যুগে চিন ভারত থেকে বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ এবং বৌদ্ধ নিদর্শন আমদানিতে উৎসাহিত করে। এই সময়ই সংস্কৃত ভাষায় রচিত বৌদ্ধ আদর্শগুলি চিনা লিপিতে অনুবাদ করা শুরু হয়। এই সময়ের শেষের দিকে চিনের কনফিউশীয় পণ্ডিতরা বৌদ্ধধর্ম ও লিঙ্গ পুজোর মতো প্র্যাকটিশের বিরুদ্ধে মনোভাব পোষণ করতে শুরু করেন। সোং যুগে চিনকে বৌদ্ধ ধর্মের কেন্দ্র হিসেবে দেখা হত। এই সময়ে ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের পতন ঘটে। সেই সময় বহু মানুষ চিনে ভ্রমণ করতে থাকেন। তাঁরা একে মৈত্রেয় বুদ্ধ, মঞ্জুশ্রী এবং অমিতাভ বুদ্ধের দেশ হিসেবে বিবেচনা করতেন (Hindu Temple)।

    মৌসুমী বায়ুর ব্যবহার

    তবে এই সময় চিনে যাওয়ার স্থলপথগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে মোঙ্গল সেনার উত্থানের কারণে। তাই সমুদ্রপথই চিনে যাওয়ার প্রধান পথ হয়ে ওঠে (China)। এই সময়ই দক্ষিণ ভারতের চোল রাজারা ইন্দোনেশিয়ার মাধ্যমে চিনের রাজদরবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। মৌসুমী বায়ু ব্যবহার করে প্রায় ৩০ দিনে জাহাজগুলি আরব থেকে ভারতের পশ্চিম উপকূলে পৌঁছত। এরপর ভারতের পূর্ব উপকূল থেকে আরও ৩০ দিনে যেত মালাক্কা প্রণালী পর্যন্ত। তারপর আরও ৩০ দিনে পৌঁছত চিনে। এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ, যেখানে আরব থেকে ঘোড়া সমুদ্রপথে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চিনে নিয়ে যাওয়া হত, বিশেষত যখন স্থলপথ অবরুদ্ধ থাকত (Hindu Temple)।

    হিন্দু মন্দির

    এর বদলে চিন থেকে রেশম, রূপা, চা এবং চিনামাটি রফতানি হত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে সোনা, ভারতীয় সূতিবস্ত্রের বিনিময়ে লেনদেন হত। মশলা ও সুগন্ধি উদ্ভিদও এই বাণিজ্যের অংশ ছিল। এটি ছিল এক বিস্তৃত বাণিজ্য নেটওয়ার্ক (China)। ভারতের একটি শক্তিশালী বণিক সংঘ এই বাণিজ্যের বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করত। এই বাণিজ্যের ফলে রাষ্টকূট রাজবংশ, যারা খ্রিস্টীয় ৮০০ সালের দিকে কর্নাটকের অনেক অংশ নিয়ন্ত্রণ করত প্রচুর সমৃদ্ধ হয়। এই সম্পদ ভারতের প্রাচীনতম কিছু মন্দির নির্মাণে এবং দক্ষিণ-পূর্ব চিনের কিছু মন্দির প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছিল (Hindu Temple)।

  • NCERT: ‘ভারত বিশ্বের ধনী দেশ থেকে সবচেয়ে গরিব দেশে পরিণত হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে’, জানাল এনসিইআরটির বই

    NCERT: ‘ভারত বিশ্বের ধনী দেশ থেকে সবচেয়ে গরিব দেশে পরিণত হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে’, জানাল এনসিইআরটির বই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনসিইআরটি (NCERT)-র অষ্টম শ্রেণির সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের ঔপনিবেশিক যুগ সংক্রান্ত অংশে টিপু সুলতান, হায়দর আলি এবং সপ্তদশ শতকের অ্যাংলো-মহীশূর যুদ্ধগুলির কোনও উল্লেখ করা হয়নি। এই বইয়ে (Social Science) এই সময়কালকে বর্ণনা করা হয়েছে এমন একটি যুগ হিসেবে, যখন ভারত বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ থেকে সবচেয়ে গরিব দেশগুলির একটিতে পরিণত হয়েছিল। ‘এক্সপ্লোরিং সোশ্যাইটি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শিরোনামে বইটির প্রথম ভাগ এই শিক্ষাবর্ষে প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় ভাগটি প্রকাশিত হওয়ার কথা বছর শেষে।

    ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ (NCERT)

    এই অধ্যায়ে ঔপনিবেশিক সময়কাল ধরা হয়েছে ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামার আগমন থেকে শুরু করে অষ্টাদশের শেষ দশক পর্যন্ত। এর মধ্যে রয়েছে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ বা ভারতের মহা বিদ্রোহ। এতে বর্ণনা করা হয়েছে কীভাবে ব্রিটিশরা ব্যবসায়ী থেকে শাসকে পরিণত হয়েছিল। ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধকে তুলে ধরা হয়েছে ‘আ ব্যাটেল দ্যাট মার্কড এ টার্নিং পয়েন্ট অ্যাজ দি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ বাংলার নবাবকে পরাজিত করেছিল। এই সময়কালে ভারতের ড্রেন অফ ওয়েল্থ-এর কথাও বিশদভাবে বলা হয়েছে। এই বইয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিরোধ আন্দোলনগুলিকেও স্থান দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ১৭০০-এর দশকের সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ, কোল বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ, এবং ১৮০০-এর দশকে বিভিন্ন কৃষক বিদ্রোহ (NCERT)

    মারাঠাদের নিয়ে পৃথক অধ্যায়

    বইটিতে মারাঠাদের নিয়ে একটি পৃথক অধ্যায়ে অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধগুলি (১৭৭৫–১৮১৮) নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, ব্রিটিশরা মুঘল বা অন্য যে কোনও শক্তির তুলনায় মারাঠাদের কাছ থেকেই ভারতে আধিপত্য নিয়েছে (Social Science)। অষ্টম শ্রেণির আগের পাঠ্যবইয়ে ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭ পর্যন্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সম্প্রসারণ তুলে ধরা হয়েছিল। সেখানে মহীশূরের শাসক হায়দর আলি ও মহীশূরের বাঘ টিপু সুলতানের প্রতিরোধ এবং ১৭০০-এর দশকে সংঘটিত চারটি অ্যাংলো-মহীশূর যুদ্ধের বিবরণ ছিল। মারাঠাদের সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সংঘাতের কথাও সেখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছিল। পাঠ্যবইটি “উপনিবেশবাদের যুগ” এবং ইউরোপীয় সম্প্রসারণকে ১৫শ শতক থেকে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বর্ণনা করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উপনিবেশবাদীরা যদিও নিজেদের সভ্যতার বার্তাবাহক বলে দাবি করত, আদতে তারা ভারতীয়দের ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা ধ্বংস এবং বিদেশি সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ চাপিয়ে দেওয়ার কাজই করেছে।

    উন্নত ভারত

    নতুন বইটিতে এই বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে যে, ষোড়শ শতকের আগে যখন ইউরোপীয় শক্তিগুলি ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবেশ করেনি, তখন ভারত বিশ্বের মোট জিডিপির অন্তত এক চতুর্থাংশ অবদান রাখত। সেটি ছিল চিন-সহ বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির একটি (NCERT)। পরবর্তী এক অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, “ঔপনিবেশিক শাসন কালে ভারতের বৈশ্বিক জিডিপিতে অংশ ক্রমশ কমতে থাকে, স্বাধীনতার সময় তা গিয়ে দাঁড়ায় মাত্র ৫ শতাংশে। দুই শতকেরও কম সময়ে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হয়ে পড়ে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ।” “ভারত থেকে সম্পদের নিঃশেষণ” শীর্ষক একটি অংশে বলা হয়েছে, ঔপনিবেশিক শাসকরা বহু বিলিয়ন পাউন্ড ভারত থেকে কেড়ে নিয়েছিল। অর্থনীতিবিদ উৎসা পট্টনায়েকের সাম্প্রতিক এক হিসেব অনুযায়ী, ১৭৬৫ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে আজকের হিসেবে প্রায় ৪৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ সম্পদ ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল (Social Science)।

    ব্রিটিশদের চুরি

    বইটিতে বলা হয়েছে, “যদি এই বিপুল সম্পদ ভারতে থেকে যেত এবং এখানেই বিনিয়োগ করা হত, তাহলে স্বাধীনতা পাওয়ার সময় ভারত একেবারেই ভিন্ন চেহারার দেশ হত। ভারতে রেলপথ নির্মাণ ঔপনিবেশিক শাসকদের কোনও উপহার ছিল না।” আরও লেখা হয়েছে, “রেলপথের অধিকাংশ খরচই বহন করা হয়েছিল ভারতীয় জনগণের দেওয়া রাজস্ব থেকে (NCERT)।” অর্থাৎ এই পরিকাঠামো প্রধানত ব্রিটিশদের কৌশলগত ও বাণিজ্যিক স্বার্থের জন্য নির্মিত হয়েছিল। পাঠ্যপুস্তকটি অনুসারে, ওই একই কথা প্রযোজ্য টেলিগ্রাফ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও। বইটিতে আরও বলা হয়েছে, “ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি ভারত থেকে হাজার হাজার মূর্তি, চিত্রকর্ম, রত্ন, পাণ্ডুলিপি ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক নিদর্শন চুরি করে নিয়ে গিয়েছে এবং সেগুলি ইউরোপীয় জাদুঘর ও ব্যক্তিগত সংগ্রহে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই বিরাট চুরির ঘটনা কেবল ভারতেই নয়, বরং সমগ্র ঔপনিবেশিক বিশ্বের ক্ষেত্রেই ঘটেছে (Social Science)। প্রসঙ্গত, আগের অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে রেলপথ, সাংস্কৃতিক নিদর্শনের চুরি কিংবা বৈশ্বিক জিডিপি সম্পর্কে কোনও আলোচনাই ছিল না (NCERT)।

  • Calcutta High Court: ২১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মধ্য কলকাতায় যেন যানজট না-হয়! নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ২১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মধ্য কলকাতায় যেন যানজট না-হয়! নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস উপলক্ষে কলকাতায় মিছিলের দিন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। সকাল ৯টার মধ্যে মিছিল যেখানেই থাকবে, সেখানেই সেটিকে থামিয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শহরে যেন কোনও যানজট না হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)। এই সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করে অল ইন্ডিয়া লয়্যার্স ইউনিয়ন। এই মামলাতেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রাস্তাসহ মধ্য কলকাতা এবং আশপাশের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে যান চলাচল যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, তা কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে নিশ্চিত করতে হবে। এই নির্দেশ কেবল কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ এলাকাগুলির জন্য প্রযোজ্য। বেলা ১১টার পর মিছিল স্বাভাবিক নিয়মেই চলতে পারবে বলে আদালত জানিয়েছে (Calcutta High Court)।

    পুলিশ কমিশনারের পদক্ষেপ স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন

    বিচারপতি এদিন জানতে চান, সভায় কতজনের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজ্যের আইনজীবী জানান, প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের জমায়েত হতে পারে। বিচারপতি তখন বলেন, ‘‘আপনার এই বক্তব্য রেকর্ডে আনব?’’ উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘‘এটা নতুন কিছু নয়।’’ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কলকাতার পুলিশ (Kolkata Police) কমিশনার একজন সরকারি কর্মচারী। তিনি কী কী পদক্ষেপ করছেন, তা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। যদি পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়, তখন কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা-ও আগে থেকে পরিকল্পনা করা দরকার। তিনি আরও বলেন, আমহার্স্ট স্ট্রিট ও কলেজ স্ট্রিট বন্ধ হলে উত্তর কলকাতার (Calcutta High Court) স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থমকে যাবে।

    যানজটের অভিযোগ দীর্ঘদিনের

    আসলে, ২১ জুলাইয়ের তৃণমূল কর্মসূচির কারণে মধ্য কলকাতায় দীর্ঘ যানজটের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই প্রেক্ষিতে ধর্মতলার মতো জনবহুল এলাকায় একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে কর্মসূচি করার অনুমতি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে আবেদনকারীরা। বিচারপতি ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানিতে আদালত (Calcutta High Court) প্রশ্ন তোলে — একটানা কতদিন রাস্তা বন্ধ করে এই ধরনের কর্মসূচি মেনে নেওয়া সম্ভব? তিনি বলেন, “এই বছর কর্মসূচির স্থান পরিবর্তন করছি না, তবে কিছু শর্ত থাকছে।” তৃণমূলের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আগামী বছর শহিদ মিনার, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড বা অন্য কোথাও সভা করার কথা ভাবতে পারেন।”

  • Non Veg Milk: ভারতে ‘আমিষ দুধ’ পাঠাতে চান ট্রাম্প, না মোদি সরকারের! তাই কি থমকে বাণিজ্যচুক্তি?

    Non Veg Milk: ভারতে ‘আমিষ দুধ’ পাঠাতে চান ট্রাম্প, না মোদি সরকারের! তাই কি থমকে বাণিজ্যচুক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তির অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘নন-ভেজ দুধ’ (Non Veg Milk)। দুধ আবার আমিষ! মহাদেবের অভিষেক থেকে শুরু করে নানা পুজোয় দুধ লাগে। হোমে আহুতি দিতে অত্যাবশ্যক ঘি। তা-ও যদি আমিষ হয় তাহলে তা হবে ভারতীয় তথা হিন্দু সংস্কৃতির উপর আঘাত। বেশি দুধ উৎপাদনের জন্য গরুকে মাংস বা প্রাণীর চর্বি খাওয়ানোর রেওয়াজ রয়েছে আমেরিকায়। এই দুধকেই বলা হচ্ছে নন-ভেজ মিল্ক। যা নিয়ে আপত্তি ভারতের। তাই আমেরিকার “নন-ভেজ দুধ”-এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মোদি সরকার। আর তাতেই চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    কী এই ‘নন-ভেজ দুধ’?

    বেশি দুধ উৎপাদনের জন্য গরুকে মাংস বা প্রাণীর চর্বি খাওয়ানো হয় অনেক দেশেই। সেই সব গরু যে দুধ দেয় তাকেই বলা হয় নন ভেজ দুধ। ২০০৪ সালে সেটল পোস্ট ইন্টালিজেন্সর (Seattle Post-Intelligencer)-এর একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মার্কিন গরুর খাদ্যে ব্যবহৃত হয় মৃত পশুর রক্ত, চর্বি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। এই প্রথা এখনও যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ, বিশেষত প্রাণিসম্পদ দ্রুত মোটা করার জন্য। ভারতীয় নিয়ম অনুযায়ী, গরুদের শুধুমাত্র উদ্ভিজ্জ খাদ্য দেওয়া হয়। পশুজাত খাদ্য গ্রহণ করা গরুর দুধ হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অশুচি ও অগ্রহণযোগ্য। এ-দেশে বহু নিরামিষভোজী মানুষ দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার খান। আবার কখনও পুজোআচ্চাতেও দুধ ব্যবহার করা হয়। তাই দুধ আমিষ হলে খাদ্য-সংস্কৃতিই বিপন্ন হবে। ঠিক এই গেরোতেই আটকে আছে ভারত-মার্কিন বাণিজ্যচুক্তি।

    সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংবেদনশীলতা

    ভারতের একটি বিরাট অংশের মানুষ নিরামিষ খান। ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস ২০২৩ (World Atlas 2023) অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৩৮ শতাংশ মানুষ নিরামিষভোজী। তাঁদের কাছে দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য নিরামিষ হিসেবেই বিবেচিত। কিন্তু গোরুকে যদি আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়, তা হলে সেটি নিরামিষ থাকবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। হিন্দু ধর্মে গোরুকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মানা হয়। দিল্লির গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক কর্তা অজয় শ্রীবাস্তব সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, ‘একবার ভেবে দেখুন তো, এমন একটি গোরুর দুধ থেকে তৈরি মাখন খাচ্ছেন যাকে অন্য কোনও প্রাণীর মাংস বা আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়েছে। ভারতবাসী কখনওই এটা অনুমোদন করবে না।’

    অর্থনৈতিক প্রভাব

    ভারত বিশ্বের বৃহত্তম দুধ উৎপাদক ও ভোক্তা হিসেবে পরিচিত। দেশের ৮ কোটিরও বেশি মানুষ এই জীবিকার উপরে নির্ভরশীল। অধিকাংশই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৩৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন দুধ উৎপন্ন হয়েছে ভারতে। যার বাজার মূল্য ₹৭.৫ থেকে ₹৯ লাখ কোটি। অন্য দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রধান দুধ রফতানিকারক দেশ। ভারতের দাবি, এই চুক্তি ভারতের বাজারের ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে দুধের দাম কমে যেতে পারে অন্তত ১৫%, এমনটাই বলছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (State Bank of India) এক বিশ্লেষণ। এতে কৃষকদের বছরে ₹১.০৩ লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে। ভারতের দুগ্ধশিল্প গ্রামীণ অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত। তাই কৃষকদের জীবনধারা সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়। ভারত বর্তমানে পনিরের উপরে ৩০%, মাখনের উপরে ৪০% এবং গুঁড়ো দুধের উপরে ৬০% শুল্ক আরোপ করে।

    ভারতের অনড় অবস্থান ও আন্তর্জাতিক চাপ

    ভারত আমদানি করা দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্যের মান কঠোর ভাবে বজায় রাখতে চায়। সে ক্ষেত্রে অন্য কোনও দেশ থেকে ভারতে দুগ্ধজাত দ্রব্য আমদানি করার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক পশু চিকিৎসার সার্টিফিকেশন। ভারতের নিয়ম অনুযায়ী, পণ্যের লেবেলে নিরামিষ (সবুজ চিহ্ন) এবং আমিষ (বাদামী চিহ্ন) স্পষ্ট ভাবে চিহ্নিত করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ‘নন-ভেজ দুধ’ বাজারে এলে এই ব্যবস্থা জটিল হয়ে পড়বে। এমনকী, ভোক্তাদের মধ্যেও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। ভারত তার সিদ্ধান্তে অনড়। অন্য দিকে, পিছপা হতে রাজি নয় আমেরিকাও। সে দেশের তরফে ভারতের এই যুক্তির তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। এমনকী, এই বিষয়গুলিকে অপ্রয়োজনীয় বাণিজ্য বাধা বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যে সব দেশে গরুকে আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়, তাদের সঙ্গে কোনও রকম চুক্তি করতে চায় না ভারত, এমনটাই সূত্রের খবর। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ গরুকে ভগবান হিসেবে পুজো করেন। সেই কারণেই বিষয়টি ভারতের কাছে অত্যন্ত সংবেদনশীল। ভারতের কাছে বিষয়টি নিছক একটি বাণিজ্যিক চুক্তি নয়। বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং বহু মানুষের রুটি-রুজির বিষয়। সেই কারণে ভারত এই আলোচনাকে ‘রেড লাইন’ (Red Line on US Dairy Product) হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

  • BJP Murder: অভিজিৎ সরকার হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন ওসি সহ দুই পুলিশ কর্মীর জেল! ‘রক্ষকই ভক্ষক’, বলল আদালত

    BJP Murder: অভিজিৎ সরকার হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন ওসি সহ দুই পুলিশ কর্মীর জেল! ‘রক্ষকই ভক্ষক’, বলল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ভোট-পরবর্তী হিংসায় কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের হত্যা মামলায় (BJP Murder) কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সহকারী কমিশনার (তৎকালীন নারকেলডাঙা থানার ওসি) শুভজিৎ সেন এবং অভিযুক্ত সহযোগী সুজাতা দে-র জামিনের আবেদন শুক্রবার খারিজ করেছে আদালত। বিচারক তাঁদের ৩১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। একই দিনে মামলার আরও দুই অভিযুক্ত—তৎকালীন সাব-ইন্সপেক্টর রত্না সরকার ও হোমগার্ড দীপঙ্কর দেবনাথকেও জেল হেফাজতে পাঠানো হয় (Abhijit Sarkar Case)।

    রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়ে যায়, তখন সমাজ কোথায় দাঁড়াবে

    শুনানির সময় বিচারক মন্তব্য করেন, ‘‘যখন রক্ষকই ভক্ষক হয়ে যায়, তখন সমাজ কোথায় দাঁড়াবে?’’ পাশাপাশি, তদন্তকারী অফিসারকে না জানিয়ে কেন শুভজিৎ নিহত অভিজিতের (BJP Murder) মায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন অংশে হিংসার ঘটনা ঘটে। তার মধ্যেই কাঁকুড়গাছিতে অভিজিৎ সরকারের মৃত্যু ঘটে (BJP Murder)। পরিবার সূত্রে অভিযোগ, ফল ঘোষণার ঠিক পরেই গলায় দড়ি পেঁচিয়ে এবং বেধড়ক মারধর করে তাঁকে হত্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ তদন্তে থাকলেও পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই দায়িত্ব সিবিআই-এর হাতে যায়।

    চার্জশিটে নাম বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের (Abhijit Sarkar Case)

    এই মামলায় প্রথমে পুলিশ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সিবিআই প্রথম অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে, যেখানে অভিযুক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ২০ জনে। এর মধ্যে ১৫ জন আগে থেকেই পুলিশের চার্জশিটে ছিল। চলতি বছরের ২ জুলাই সিবিআই দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয়। সেই নথিতে অভিযুক্তদের (BJP Murder) তালিকায় উঠে এসেছে বেলেঘাটা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের নাম। এ ছাড়াও শুভজিৎ সেন, রত্না সরকারদের নামও সেখানে রয়েছে।

  • AK-203 in Indian Army: মেক ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য, চলতি বছরেই সম্পূর্ণভাবে দেশেই তৈরি হবে এ কে-২০৩

    AK-203 in Indian Army: মেক ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য, চলতি বছরেই সম্পূর্ণভাবে দেশেই তৈরি হবে এ কে-২০৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনায় ইনসাসের (INSAS rifle replaced by AK 203) জায়গা নিয়েছে এ কে ২০৩ রাইফেল অর্থাৎ অটোমেটিক কালাশনিকভ। রাশিয়ার টেকনোলজিতে তৈরি বিখ্যাত এ কে সিরিজের অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার এই অ্যাসল্ট রাইফেল। এবার থেকে সম্পূর্ণ রূপে দেশেই তৈরি হবে এই রাইফেল, এমনই জানিয়েছেন ইন্দো রাশিয়ান রাইফেলস প্রাইভেট লিমিটেড (IRRPL)-এর সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল এস কে শর্মা।

    এ কে ২০৩ কতটা কার্যকর

    এ কে ২০৩, ৮০০ মিটার (800 metre range) পর্যন্ত নির্ভুল আঘাত করতে পারে। একটি ম্যাগাজিনে ৩০ টি করে ৭.৬২ ক্যালিবারের বুলেট থাকে। এই রাইফেলের সুবিধা প্রথম এক বছর কোনও মেনটেনেন্স চার্জ লাগে না। সেনাদের জন্য ব্যবহার করা একেবারে সহজ পদ্ধতি। সিঙ্গল এবং বার্স্ট মোডে অসাধারণ নির্ভুল লক্ষ্যএই রাইফেলের। নাইট ভিশন মোডেও দারুন কার্যকরী এ কে ২০৩। পাকিস্তান এবং চিন সীমান্তে কার্যকরী ভূমিকা নেয় এ কে ২০৩। সীমান্তে পাক জঙ্গি দমনেও সক্রিয় এই আধুনিক অস্ত্র। ভারতীয় সেনার ব্যবহৃত এই এ কে-২০৩ (AK-203) অ্যাসল্ট রাইফেল আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ রূপে দেশে তৈরি হবে। মেজর জেনারেল এস কে শর্মা জানান, এই রাইফেল তৈরির কাজের প্রায় ৫০ শতাংশ ইতিমধ্যেই ভারতীয়করণ হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এটি ১০০ ভাগ দেশীয়করণে পৌঁছবে। এর ফলে উৎপাদনের হার অনেক গুণ বেড়ে যাবে এবং দ্রুত সরবরাহ সম্ভব হবে।

    দ্রুত সরবরাহের সম্ভাবনা

    মেজর জেনারেল শর্মা বলেন, “একজন সৈনিকের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বন্ধু তার অ্যাসল্ট রাইফেল। ভবিষ্যতে এ কে-২০৩ হবে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অস্ত্র।” তিনি আরও জানান, ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য ছয় লক্ষেরও বেশি এ কে-২০৩ রাইফেলের অর্ডার এসেছে। এ পর্যন্ত ৪৮,০০০ রাইফেল সরবরাহ করা হয়েছে এবং চলতি বছরের শেষে মোট ৭০,০০০ রাইফেল সরবরাহ করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী এই রাইফেলগুলোর সম্পূর্ণ ডেলিভারি হওয়ার কথা ২০৩২ সালে হলেও, আইআরআরপিএল-এর পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যেই সমস্ত রাইফেল সরবরাহ শেষ হবে, যা চুক্তির নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগেই সম্পন্ন হবে। এর ফলে সীমান্ত আরও সুরক্ষিত হবে। শক্তিশালী হবে ভারতীয় সেনার হাত।

  • PM Modi: “মা, মাটি, মানুষের দলের দ্বারা নারীদের প্রতি দুর্ব্যবহার আমায় ব্যথিত করে,” দুর্গাপুরে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “মা, মাটি, মানুষের দলের দ্বারা নারীদের প্রতি দুর্ব্যবহার আমায় ব্যথিত করে,” দুর্গাপুরে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী কলকাত্তাওয়ালি। এ কথা মাথায় রেখেই দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামের বিশাল জনসভায় ‘জয় মা কালী’ বলে বক্তৃতা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২১ জুলাই ধর্মতলায় সভা রয়েছে তৃণমূলের। তার আগে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) দিয়ে সভা করিয়ে ঘাসফুল শিবিরকে মাত দিল বিজেপি।

    বিকশিত বাংলা (PM Modi)

    এদিন বক্তৃতার শুরুতেই বিকশিত বাংলার প্রসঙ্গ (TMC) টানেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “বিজেপি বিকশিত বাংলা চায়। বাংলার এই মাটি প্রেরণায় পূর্ণ। এই মাটি দেশের প্রথম শিল্পমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটি। দেশের প্রথম শিল্পনীতি দিয়েছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ বিধানচন্দ্র রায়ের মত দূরদর্শী নেতার মাটি। যিনি দুর্গাপুরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই মাটি রবি ঠাকুরের মাটি। এরকম মহান ব্যক্তিত্বরা পশ্চিমবঙ্গকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর তাই পশ্চিমবঙ্গ ভারতের বিকাশের কেন্দ্র ছিল।” তিনি বলেন, “এক সময় বাংলা সমৃদ্ধই ছিল। বিকাশের কেন্দ্রে ছিল। কিন্তু এখন আর তা নেই। আমরা এই অবস্থাই বদলাতে চাইছি। বিজেপি সমৃদ্ধ পশ্চিমবঙ্গ তৈরি করতে চায়। এখন এখানে কাজের জন্য বাইরে যেতে হয় বাংলার মানুষকে। বাংলাকে এই অবস্থা থেকে বের করতে হবে। বাংলা পরিবর্তন চায়, বাংলা উন্নয়ন চায়।”

    বিজেপি ক্ষমতায় এলে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই বাংলা দেশের অন্যতম শিল্পসমৃদ্ধ রাজ্য হয়ে উঠবে। এটা আমার বিশ্বাস। তৃণমূল বাংলাকে শিল্পোন্নত হতে দিচ্ছে না। তাই তৃণমূলকে বাংলা থেকে সরাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে এখানে নতুন বিনিয়োগ আসে। কর্মসংস্থান তৈরি হয়। কিন্তু যতদিন তৃণমূল থাকবে, ততদিন এসব হবে না।” তিনি বলেন, “তৃণমূল সরকার বাংলার বিকাশের পথে অন্তরায়। যেদিন তৃণমূল সরকারের পতন হবে সেদিন থেকে বাংলা নতুন গতিতে দৌড়বে। তৃণমূল সরকার গেলে তবেই আসল পরিবর্তন হবে।”

    আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে

    প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে প্রত্যাশিতভাবেই উঠে আসে মুর্শিদাবাদের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদের মতো ঘটনা ঘটলে পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করে। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তৃণমূলের গুন্ডাগিরির জন্যই এখানে উদ্যোগপতিরা আসেন না। তাই তৃণমূলকে সরাতেই হবে। বিনিয়োগকারীরা সিন্ডিকেটরাজ দেখেই পালিয়ে যান। তৃণমূলের জমানায় রসাতলে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা – সব।” প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে আরজিকর এবং কসবাকাণ্ডও। তিনি বলেন, “বাংলার হাসপাতালও (TMC) মেয়েদের জন্য সুরক্ষিত নয়। তখনও দেখা গিয়েছে, কীভাবে অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। এর পর কলেজেও একটা মেয়ের ওপর কীভাবে অত্যাচার চালানো হল, সেখানে সেখানে দেখা গেল তৃণমূলের লোকেরা জড়িত (PM Modi)।” তিনি বলেন, “যে দল মা, মাটি, মানুষ-এর আদর্শ নিয়ে কথা বলে, তাদের দ্বারা নারীদের প্রতি এমন দুর্ব্যবহার আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে তোলে। ভারতের প্রথম পাশ্চাত্য-শিক্ষিত মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের এই পবিত্র ভূমিতে এমন ঘটনা ঘটতে দেখা অত্যন্ত দুঃখজনক। পশ্চিমবঙ্গে নারীদের ওপর ঘটে চলা নৃশংসতা আমাদের কষ্ট দেয়, রাগে ভরিয়ে তোলে।”

    অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গ

    অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনুপ্রবেশকারীদের হয়ে সরাসরি মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল। কান খুলে শুনে রাখুন, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ীই পদক্ষেপ করা হবে।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “তৃণমূলের (TMC) দুঃশাসনের কারণে ভুগছে পশ্চিমবঙ্গ। মানুষ বিজেপির দিকে আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। তারা বিশ্বাস করে, উন্নয়ন শুধু এনে দিতে পারে বিজেপিই। আগামিকাল দুর্গাপুরে বিজেপির এক জনসভায় অংশ নেব। সবাই যোগ দিন।”

    তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির কারণে বেকার শিক্ষকরা

    এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হাজার হাজার শিক্ষক তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির কারণে বেকার। আদালতও বলেছে, এটি একটি পদ্ধতিগত প্রতারণা।” মমতা সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এই সরকার মিথ্যে, আইনশৃঙ্খলাহীন এবং লুটেরাদের সরকার।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপির পক্ষ থেকে আমি আপনাদের অনুরোধ করছি বিজেপিকে একবার সুযোগ দিন। একটি পরিশ্রমী, সৎ ও শক্তিশালী সরকার বেছে নিন (PM Modi)।”

    কী বললেন মিঠুন

    প্রধানমন্ত্রীর আগে ভাষণ দেন অভিনেতা কাম বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “এবার আমাদের জীবন-মরণের লড়াই। আমাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদ রয়েছে। আমি থাকব। আপনারা থাকবেন। সকলে মিলে লড়ব। যেভাবেই হোক এই ইলেকশন (ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন) আমাদের জিততেই হবে। এছাড়া আর কী নিয়ে কথা বলব?” তিনি বলেন, “দুর্নীতি? দুর্নীতি তো ভরে রয়েছে রাজ্যটায় (TMC)। একটা ফাঁকও নেই। মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে কথা বলব? সেখানেও কথা বলার উপায় নেই। আমি পশ্চিমবঙ্গের ছেলে। এ রাজ্যের মা-বোন আমার মা-বোন।” মিঠুন বলেন, “আমি রাজনীতি করি না। মানুষ-নীতি করি। সেই জন্যই বারবার আমি পশ্চিমবঙ্গে ছুটে আসি।” এই অভিনেতা-রাজনীতিক বলেন, “এবার মাঠে নেমেছি একেবারে তৈরি হয়ে। ২৩-২৪ তারিখ থেকে পুরো মাঠে নামব। আপনাদের সঙ্গে থাকব। আপনাদের প্রবলেম জানব। মাঠে নেমে এক সঙ্গে লড়াই করব। এই লড়াই বহুদিন মনে রাখবে পশ্চিমবঙ্গ।” তিনি বলেন, “বিজেপি হেরে যাওয়ার পাত্র নয়। শুধু পুলিশকে একটু নিরপেক্ষ হওয়ার কথা বলুন। তারপর দেখুন, বিজেপি কী করতে পারে (PM Modi)।”

LinkedIn
Share