Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • PM Modi at Fort William: যৌথ সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনের সূচনা, বিজয় দুর্গে আড়াই ঘণ্টা আলোচনা মোদির

    PM Modi at Fort William: যৌথ সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনের সূচনা, বিজয় দুর্গে আড়াই ঘণ্টা আলোচনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সামরিক নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তরের সম্মেলন শুরু হল কলকাতায়। অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম দেশের তিন বাহিনী যৌথ সেনা কমান্ডাররা সম্মেলনে অংশ নিলেন। ‘যৌথ সেনাপতি সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi at Fort William)। সোমবার ফোর্ট উইলিয়ামে (বর্তমান নাম বিজয় দুর্গ) তিনদিনব্যাপী সেনা সম্মেলনে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে সেনা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী। মোট আড়াই ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি। বক্তব্য-বৈঠক শেষে দুপুর ২ টো নাগাদ কলকাতা থেকে আকাশপথে বিহারের উদ্দেশে রওনা দেন নরেন্দ্র মোদি।

    বিজয় দুর্গে বিশেষ বৈঠকে মোদি

    কলকাতায় সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিজয় দুর্গে (সাবেক ফোর্ট উইলিয়াম) তিন দিনের এই কনফারেন্সের উদ্বোধন করেছেন মোদি (PM Modi at Fort William)। আগামী ১৭ তারিখ পর্যন্ত এই সম্মেলন চলবে। থাকবেন ভারতের তিন সশস্ত্রবাহিনীর প্রধান, সেনার উচ্চপদস্থ ও গুরুত্বপূর্ণ কর্তারা। রবিবার সন্ধ্যা প্রায় ৭টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মোদি কলকাতা পৌঁছোন। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা রওনা দেন রাজভবনে। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা এবং উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কোনও কর্মসূচি না থাকলেও মোদিকে দেখতে ভিড় ছিল বিজেপি সমর্থকদের। ভিড় দেখে গাড়ি থামিয়ে হাত নেড়ে জনসংযোগ সারেন মোদি। সেখান থেকে তাঁর ২৪ গাড়ির কনভয় পৌঁছয় রাজভবনে। সেখানেই রাত্রিবাস করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজনাথ সিংও। তিনি রাত কাটান ফোর্ট উইলিয়ামে।

    যৌথ সেনাপতি সম্মেলনের উদ্বোধনে মোদি

    সকালে রাজভবন থেকেই যোগ দেন সম্মেলনে। সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রাজভবন থেকে বেরোন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi at Fort William)। সাড়ে ৯টায় ঢোকেন বিজয় দুর্গে। সেখানে যৌথ সেনাপতি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাড়ে তিন ঘণ্টা মোদি বিজয় দুর্গেই ছিলেন। চলতি সম্মেলনের বিষয়বস্তু ভারতের সশস্ত্রবাহিনীর সংস্কার, রূপান্তর এবং পরিবর্তন। আগামী তিন দিন ধরে সেখানে ভারতীয় সেনার লক্ষ্য এবং কর্মপন্থা নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই সম্মেলনে এদিন ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, তিন বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (সিডিএস) অনিল চৌহান, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা সচিব-সহ আরও বেশ কয়েকটি মন্ত্রকের সচিবেরা।

    মোদির এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    উল্লেখ্য, বিজয় দুর্গে মোদির (PM Modi at Fort William) এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। একদিকে অশান্ত বাংলাদেশ। অন্যদিকে চিন সীমান্ত। তার মধ্যে আবার নেপালে পালাবদল। পরিবর্ত পরিস্থিতিতে ‘তিন ফ্রন্টে’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনার স্ট্র্যাটেজি কী হবে, কতটা প্রস্তুত বাহিনী, তা এদিন খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সুপারস্পাই’ অজিত ডোভালের এই বৈঠকে থাকাও ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে সমর বিশেষজ্ঞরা। এক প্রতিরক্ষা আধিকারিকের কথায়, এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য সামরিক কাঠামোয় গভীর সংস্কার, প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণ এবং বহু-মাত্রিক যুদ্ধ প্রস্তুতির ওপর জোর দেওয়া। জানা যাচ্ছে, সেনার আধুনিকীকরণ এবং পরিকাঠামোগত সরলীকরণ নিয়েও এদিন আলোচনা হয়।

    সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই সম্মেলন সেনার তিন বাহিনীর সর্বোচ্চ চিন্তাভাবনামূলক ফোরাম, যা দেশের শীর্ষ অসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বকে ধারণাগত ও কৌশলগত স্তরে মতামত বিনিময়ের জন্য আয়োজন করা হয়েছে ৷ অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপটে, এই বছরের সম্মেলন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ৷ এবারের সম্মেলনে সংস্কার, রূপান্তর, পরিবর্তন এবং অপারেশনাল প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, “তিনদিনের এই সম্মেলন সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হবে ৷ যা ক্রমবর্ধমান জটিল ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় ৷” শেষ সম্মলিত সেনা সম্মলেন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৩ সালে ভোপালে।

    চতুর্থবার রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    চলতি বছরে এই নিয়ে চতুর্থবার রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুজোর আগে ভোটমুখী বঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সরকারি সফরে এলেও তাঁর সফরকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের বাইরে ঢাক-ঢোল নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। দলের কর্মী-সমর্থকদের এই উৎসাহ দেখে গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান মোদিও। কয়েকদিন আগেই মেট্রোর নতুন রুটের উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ফের শহরে মোদি। সোমবারই তিনি কলকাতা থেকে বিহারে যান। সেখানে তিনি ₹৩৬,০০০ কোটিরও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করেন এবং জনসভায় ভাষণ দেন। পাশাপাশি, উত্তর বিহারের বহুপ্রতীক্ষিত বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালেরও উদ্বোধন করেন।

  • Supreme Court: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের ওপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের ওপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের ( Waqf Amendment Act 2025) বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সেই মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিল, পুরো ওয়াকফ আইন স্থগিত রাখার কোনও যুক্তি নেই। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই আইনের কয়েকটি ধারাকে স্থগিত রাখা গেলেও গোটা আইনকে স্থগিত রাখা যায় না। গত ২২ মে ওই মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতিতে তৈরি হয় সংশোধিত ওয়াকফ আইন, ২০২৫। তারপর দেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় এই আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আপত্তি তুলে বিক্ষোভ দেখায় বেশ কয়েকটি মৌলবাদী সংগঠন। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বিজেপি বিরোধী দলগুলি। আদালতে দায়ের হয় মামলা।

    কোন কোন ধারা স্থগিত হল (Supreme Court)

    আইন অনুযায়ী, কেউ ওয়াকফ তৈরি করতে চাইলে অন্তত পাঁচ বছর ইসলাম ধর্ম অনুশীলনকারী হতে হবে—এই ধারা স্থগিত রাখা হয়েছে। আদালত বলেছে, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে নির্ধারণের স্পষ্ট নিয়ম হয়নি।

    জেলা কালেক্টর বা প্রশাসক যাতে ওয়াকফ সম্পত্তি সরকারি জমি কি না তা নির্ধারণ করতে পারেন—এই ক্ষমতাও আপাতত বাতিল করা হল। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই স্পষ্ট মন্তব্য করেন, “কালেক্টররা ব্যক্তিগত নাগরিকদের অধিকার নির্ধারণ করতে পারবেন না। এটি ক্ষমতার বিভাজন নীতির পরিপন্থী।”

    অমুসলিমরাও ওয়াকফ বোর্ড ও কাউন্সিলের সদস্য হতে পারবেন

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ড বা কাউন্সিলে অমুসলিম সদস্য মনোনয়নের বিধান বহাল থাকছে। তবে আদালতের মত, বোর্ডের ( Waqf Amendment Act 2025) বেশিরভাগ সদস্য যেন মুসলিম সম্প্রদায়ের হন, সেই দিকেই গুরুত্ব দিতে হবে। আদালত স্পষ্ট করেছে, অমুসলিমরাও ওয়াকফ বোর্ড ও কাউন্সিলের সদস্য হতে পারবেন, কিন্তু নেতৃত্বের দায়িত্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কারও হাতে দেওয়াই উচিত। নির্দেশে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে চারজনের বেশি অমুসলিম সদস্য রাখা যাবে না এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডে অন্য ধর্মীয় সদস্যের সংখ্যা তিনজনের বেশি হওয়া চলবে না। আদালত জানিয়েছে, ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার না হওয়া পর্যন্ত জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের অধিকার সৃষ্টি করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো তাই স্থগিত থাকবে।

    মামলাকারী আইনজীবীর প্রতিক্রিয়া

    মামলাকারী আইনজীবী আনাস তানভির বলেন, আদালত প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে যে কিছু ধারায় সমস্যা আছে। পুরো আইন নয়, শুধু বিতর্কিত অংশই স্থগিত রাখা হয়েছে। বিশেষ করে পাঁচ বছর ইসলাম ধর্ম চর্চার শর্ত বাতিল হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি কিছুটা কমবে।

    কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান

    কেন্দ্রীয় সরকার আদালতে যুক্তি দিয়েছিল, সংসদে গৃহীত কোনও আইনের ধারা স্থগিত করা উচিত নয়। সংশোধনী মূলত ওয়াকফ সম্পত্তির ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণের জন্য, ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর এর কোনও প্রভাব নেই। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ২০১৩ সালের সংশোধনীর আগেই অ-মুসলিমরা ওয়াকফ তৈরি করতে পারতেন না; অতীতে এ নিয়ে প্রতারণার আশঙ্কাও ছিল।

    ওয়াকফ বোর্ডের কার্যপ্রণালীতে স্বচ্ছতা আনতেই এই আইন

    লোকসভায় ২৮৮ জন সাংসদ সমর্থন জানিয়ে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের পক্ষে ভোট দেন, অন্যদিকে ২৩২ জন সাংসদ এর বিরোধিতা করেন। রাজ্যসভায়ও একই চিত্র—সেখানে ১২৮ জন সদস্য বিলের পক্ষে ভোট দেন এবং ৯৫ জন সদস্য বিপক্ষে থাকেন। ভোটাভুটির পর একাধিক রাজনৈতিক দল, মুসলিম সংগঠন এবং এনজিও আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধনের উদ্দেশ্যে এই নতুন ওয়াকফ সংশোধনী আইন সংসদে পাস করানো হয়েছিল। বিজেপির দাবি, সংশোধিত আইন মূলত ওয়াকফ বোর্ডের কার্যপ্রণালীতে স্বচ্ছতা আনতে এবং বোর্ডগুলিতে মহিলাদের বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতেই আনা হয়েছে।

    ১.২ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে

    ভারতে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে রয়েছে প্রায় ৮.৭ লক্ষ সম্পত্তি এবং ৯.৪ লক্ষ একর জমি। এই বিপুল সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ১.২ লক্ষ কোটি টাকা। ফলে জমির পরিমাণের বিচারে ওয়াকফ বোর্ড ভারতীয় রেলওয়ে ও সশস্ত্র বাহিনীর পর দেশের তৃতীয় বৃহত্তম জমির মালিকানা ধরে রেখেছে। বর্তমানে সারা দেশে মোট ৩০টি ওয়াকফ বোর্ড কার্যকর রয়েছে। অতীতে একাধিকবার এনিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। দুর্নীতিমুক্ত ওয়াকফ বোর্ড গড়তেই বিজেপি সরকার এই আইন পাশ করায়।

  • Yusuf Pathan: শেখ শাহজাহান হোক বা ইউসূফ পাঠান, তৃণমূল আর জবরদখল যেন সমার্থক!

    Yusuf Pathan: শেখ শাহজাহান হোক বা ইউসূফ পাঠান, তৃণমূল আর জবরদখল যেন সমার্থক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনি গেরোয় তৃণমূলের (TMC) সাংসদ ইউসূফ পাঠান (Yusuf Pathan)। প্রাক্তন এই ক্রিকেট তারকাকে ‘দখলদার’ তকমা দিল গুজরাট হাইকোর্ট। আদালতের সাফ কথা, বরোদা পুরসভার জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছেন ইউসূফ। তাই ওই জমি তাঁকে খালি করে দিতে হবে। প্রয়োজনে পুরসভা বুলডোজার চালিয়ে ওই জমি খালি করাতে পারবে। তৃণমূলের আরও এক নেতা সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধেও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। মাথায় শাসক দলের আশীর্বাদী হাত থাকায় তিনিও গিলে ফেলেছেন বিঘের পর বিঘে জমি।

    তৃণমূলের সাংসদ ইউসূফ (Yusuf Pathan)

    গুজরাটের বাসিন্দা ইউসূফ। মুসলিম তাস খেলতে গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করে তৃণমূল। তার জেরে গোহারা হেরে যান ওই কেন্দ্রের দীর্ঘদিনের সাংসদ কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। তৃণমূলের এহেন নেতার গায়েই লাগল দখলদারের তকমা। গুজরাট আদালতের পর্যবেক্ষণ, “ইউসূফ একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি সেলিব্রিটিও। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপের প্রভাব পড়ে সমাজের ওপর। তাই তাঁর আইন মেনে চলা উচিত। উল্টে তিনিই বেআইনি কাজ করছেন।” গুজরাট হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তৃণমূল সাংসদকে আর নোটিশ পাঠাবে না পুরসভা। এর পর জমি খালি না করলে পুরসভা প্রয়োজনে বুলডোজার চালাতে পারবে।

    জমি দখলের অভিযোগ

    বরোদা পুরসভার অধিকৃত ৯৭৮ স্কোয়ার মিটার জমি নিয়েছিলেন পাঠান। পুরসভার অভিযোগ, ওই জমিতে দেওয়াল তুলে জায়গাটি নিজের সম্পত্তির মতো ব্যবহার করছিলেন তৃণমূলের এই সাংসদ। কাজটি বেআইনি। উল্লেখ্য যে, ২০১২ সালে পাঠানকে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন বরোদা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তাঁরা তাঁকে জমিটি কিনে নিতে বলেছিলেন। সেজন্য নিলাম করা হবে না। প্রতি বর্গমিটারে ৫৭ হাজার ২৭০ টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে পুরসভার ওই অনুমোদন বাতিল করে দেয় গুজরাট সরকার। পাঠান বেআইনিভাবে জমিটি দখল করে রেখেছেন, এই মর্মে তৎকালীন বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় পাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরেও এত বছর ধরে জমিটি ব্যবহার করে চলেছেন তৃণমূলের এই সাংসদ।

    জমি দখলের অভিযোগ প্রমাণিত

    আদালতে পাঠান (Yusuf Pathan) জানান, বর্তমান বাজারদরে তিনি জমিটি কিনে নিতে ইচ্ছুক (TMC)। এবার আপত্তি জানায় পুরসভা। তাদের দাবি, বিখ্যাত ক্রিকেটার সাংসদ হলেও, জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর জ্ঞান নেই। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে পাঠানের দখল করা জমি পুররুদ্ধারের জন্য পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি মউনা ভট্ট। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, “প্রাক্তন ক্রিকেটার যে ওই জমি দখল করে রেখেছেন, তা প্রমাণিত। তাই আইনত পুরসভা তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে।”

    আদালতের নির্দেশ

    পুরসভার তরফেও জমি জবরদখলের জন্য পাঠানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল একাধিকবার। প্রতিবারই তাঁকে খালি করতে বলা হয় জমিটি। তার পরেও তিনি ছাড়েননি জমির দখলদারি। উল্টে পুরসভার নোটিশের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পাঠান। আদালতের নির্দেশ, পাঠানকে আর কোনও নোটিশ পাঠানো হবে না। তিনি যদি নিজেই জমিটি খালি না করেন, তবে পুরসভা নিজে থেকেই ব্যবস্থা নেবে। অথচ জমিটি (Yusuf Pathan) পেতে কীই না করেছেন তৃণমূলের (TMC) এই সাংসদ। আস্তাবল করতে ওই প্লটটি কিনে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে তিনি আবেদন করেছিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। দাবির স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, তিনি ও তাঁর ভাই ইরফান পাঠান দু’জনেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। তবে তার পরেও যে চিঁড়ে ভেজেনি, এদিন গুজরাট হাইকোর্টের রায়েই তা স্পষ্ট।

    পশ্চিমবঙ্গের ছবি

    গুজরাট থেকে এবার চোখ ফেরানো যাক খোদ তৃণমূল-শাসিত পশ্চিমবঙ্গে। এখানেও জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের আরও এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, তিনিও মুসলিম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তৃণমূল জমানায় তিনি ও তাঁর ভাই সিরাজউদ্দিন গায়ের জোরে ফসলের খেত দখল করে বদলে দিয়েছেন জমির চরিত্র। যে জমি এক সময় সবুজ সবজিতে ভরে উঠত, সেই জমির চরিত্র বদলেই বানানো হয়েছে মাছের ভেড়ি। শোনা যায়, ঘনিষ্ঠ (Yusuf Pathan) মহলে শাহজাহান প্রায়ই বলতেন ‘নোনা জলে সোনা ফলে’। সেই ‘সোনা’ ফলাতে গিয়েই তৃণমূলের (TMC) এই নেতা গায়ের জোরে দখল করে নিয়েছেন স্থানীয়দের জমি-জিরেত। রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডের জেরে শাহজাহান গারদে যেতেই মুখ খুলতে শুরু করেন স্থানীয়দের অনেকেই। বেড়মজুর গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমি হালদার সেই সময় বলেছিলেন, “আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। শ্বশুরমশাইকে মেরেছে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক বিঘে কৃষিজমি লিখিয়ে নিয়েছে। বাচ্চা দুটোর প্রাণের আশায় আমি কিছু বলিনি।”

    পাঠানকাণ্ডের গুজরাট (Yusuf Pathan) হাইকোর্টের রায়ের পর অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তৃণমূল (TMC) আর জবরদখল যেন সমার্থক!

  • India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক বিঘ্নিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক প্রাচীন, “সময়-পরীক্ষিত” এবং “স্থিরভাবে” এগিয়ে চলেছে। রবিবার মস্কোর তরফে আমেরিকাকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব (India-Russia Relation) নাপসন্দ আমেরিকার। রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কিনছে বলে, শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। এই বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এবার সর্বসমুখে সম্মান দিল রাশিয়াও।

    ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল

    ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে হলে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা করতে হবে। আমেরিকার একার চেষ্টায় তা সম্ভব নয়। তার জন্য ইউরোপের সহযোগিতা চাই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরও এক বার ইউরোপের দেশগুলিকে রাশিয়ার তেল আমদানি নিয়ে চাপ দিলেন ট্রাম্প। এই আবহে আমেরিকার লাগাতার চাপের মুখে ভারতের অনড় অবস্থানের প্রশংসা করল রুশ বিদেশ মন্ত্রক। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের এবং তা ক্রমাগত আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারাই এই সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তারা বিফল হতে বাধ্য।” মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ভারত এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কঠিন সময়েও স্থিতিশীল ভাবে এগিয়ে চলেছে।’’

    দিল্লির প্রশংসা রুশ বিদেশ মন্ত্রকের

    আমেরিকা ও নেটো সদস্য দেশগুলির চাপের মুখেও ভারত যেভাবে দৃঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি, তার প্রশংসা করেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। ভারত-রাশিয়ার সুদীর্ঘ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ও ঐতিহ্যের কারণেই ভারত এমন অবস্থান নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে তারা যে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, তার প্রমাণ আমেরিকার কাছে মাথা নত করেনি ভারত। দিল্লির প্রশংসা করে রুশ বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘আমেরিকা এবং নেটো-র সদস্য দেশগুলির অনবরত চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালন করে চলেছে। ভারতের এই অবস্থান আসলে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বের প্রতিফলন। দুই দেশের সম্পর্কে সবসময় জাতীয় স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।’’ প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া চলতি মাসেই যৌথ সামরিক অভিযানে সামিল হতে চলেছে। মহাকাশ মিশনেও ভারতকে সাহায্য করছে রাশিয়া, রসকসমসে প্রশিক্ষণ চলেছিল ভারতীয় মহাকাশচারীদের। এছাড়া বাণিজ্য সম্পর্ক তো আছেই।

  • BJP: নেশামুক্ত ভারত গড়ার সংকল্প! মহালয়াতে বিজেপির ডাকে রাজ্যে ‘নমো ম্যারাথন’

    BJP: নেশামুক্ত ভারত গড়ার সংকল্প! মহালয়াতে বিজেপির ডাকে রাজ্যে ‘নমো ম্যারাথন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেশামুক্ত ভারত গড়ার সংকল্প নিয়েছে বিজেপি (BJP)। মোদি সরকারের এটা অন্যতম ঘোষিত কর্মসূচি। সেই লক্ষ্য়ে দেশজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও করতে দেখা যায় মোদি সরকারকে। এই আবহে মহালয়ার দিন কলকাতা ও শিলিগুড়িতে নমো ম্যারাথনের ডাক দিল বিজেপি। সল্টলেকের দলীয় দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায় (BJP West Bengal)। কলকাতায় এই দৌড় শুরু হবে স্বামীজীর বাড়ি থেকে এবং শেষ হবে শ্যামবাজার পাঁচ মাথা মোড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির পাদদেশে। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক শহরে একই দিনে একযোগে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

    মাদক বিরোধী লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা মোদি সরকারের

    পশ্চিমবঙ্গে মাদকবিরোধী লড়াই ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। রাজ্যে মাদক পাচার ও অপব্যবহার দীর্ঘদিন ধরেই একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগ এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের (এনজিও) সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই গত কয়েক বছরে বিপুল পরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে রাজ্যে মোট ৪৯৮৮ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়েছিল। তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ধরা পড়ে আরও ৩১৪৫ কেজি মাদক। চলতি বছরেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে প্রায় ৫৭২৯ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে, যা স্পষ্ট করে দেয় যে পাচারচক্র এখনও সক্রিয় থাকলেও মোদি সরকারের নজরদারি ও অভিযান অনেক বেশি কার্যকর হয়েছে। এই লড়াইকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এনজিওকে অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪.৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এনজিওগুলির জন্য, যাতে তারা স্থানীয় স্তরে সচেতনতা তৈরি, পুনর্বাসন কার্যক্রম, এবং মাদকবিরোধী প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।

    ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর সেবা পক্ষকাল

    লকেট চট্টোপাধ্যায় (BJP) জানান, যুবসমাজই ভারতের আগামী দিনের সূর্য। তাই তাঁদের নেশামুক্ত কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত পালিত হবে সেবা পক্ষকাল। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই দিনগুলিতে রাজ্য জুড়ে নানা ধরনের সমাজসেবামূলক কর্মসূচি নেওয়া হবে। লকেট বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন, সেবার মাধ্যমেও রাজনীতিতে অংশ নেওয়া যায়। বিজেপি (BJP) তাঁর দেখানো পথেই এগোচ্ছে।’’

  • India vs Pakistan: বাইশ গজেও বদলা! পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মরণ, ভারতীয় সেনাকে জয় উৎসর্গ সূর্যের

    India vs Pakistan: বাইশ গজেও বদলা! পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মরণ, ভারতীয় সেনাকে জয় উৎসর্গ সূর্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) দাপটে পাকিস্তানকে হারাল ভারত (India vs Pakistan)। দেশের সেনাবাহিনীকে এই জয় উৎসর্গ করলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহতদের পরিবারের প্রতি ভারতীয় দলের তরফ থেকে সমবেদনা জানাচ্ছেন। ভারত অধিনায়কের সুরেই কথা বলেছেন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরও। খেলা শেষে তিনি বলেন, “দল হিসেবে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারের পাশে থাকতে চেয়েছিলাম। সেটাই করে দেখিয়েছি। অপারেশন সিঁদুরের জন্য ভারতীয় সেনার উপর গর্বিত।”

    সূচি অনুযায়ী খেলা, বাইরে কোনও সম্পর্ক নয়

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং ভারতের (India vs Pakistan) ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কারণে এই ম্যাচের উত্তাপ ছিল মাঠের বাইরেও। অনেকেই এই ম্যাচ বয়কট করতে বলেছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন হরভজন সিংয়ের মতো প্রাক্তনেরাও। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল, বড় প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে কোনও আপত্তি নেই তাদের। ভারতীয় বোর্ড স্পষ্ট করে দিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেললেও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে আপত্তি নেই তাদের। তবে কোথাও ক্রিকেটারদের মাথাতেও হয়তো প্রতিবাদের কথা ঘুরছে। তাই নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করলেন তাঁরা। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের কোনও রকম সম্মান জানাননি তাঁরা। বুঝিয়ে দিয়েছেন, সূচি অনুযায়ী খেলছেন। তার বাইরে পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁদের।

    বাইশ গজেও বদলা ভারতের

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং পাল্টা হিসাবে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর এই দাবিই তুলেছিলেন হরভজন সিং। না ক্রিকেট, না বাণিজ্য— পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কোনও রকম সম্পর্কই দেখতে চাননি তিনি। বাণিজ্য এখনও শুরু হয়নি। ক্রিকেট হল। ক্রিকেট ম্যাচেও ‘বদলা’ নিল ভারত। শুধু ‘বদলা’ নয়, একেবারে দুরমুশ করে বদলা। রবিবার দুবাইয়ে ভারত জিতল সাত উইকেটে। পড়শি দেশের তোলা ১২৭/৯ ভারত টপকে গেল ২৫ বল বাকি থাকতেই। রবিবার ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন কুলদীপ যাদব। ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচের শুরুটা যে ভাবে হয়েছিল, শেষটাও সে ভাবেই হল। টসের পর পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আলি আঘার সঙ্গে হাত মেলাননি ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। একে অপরকে ম্যাচের জন্য শুভেচ্ছাও জানাননি। তবে সৌজন্য না দেখালেও দুই দলের কেউই বিপক্ষকে অসম্মান করেননি। খেলা শেষেও সেটাই করল ভারত। পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত না মিলিয়েই সাজঘরে ফিরে গেলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১২৮ রান তাড়া করতে নেমে ২৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় ভারত। পাকিস্তান গোটা ম্যাচে দাঁড়াতে পারেনি। মাঠেই ‘বদলা’ নিলেন সূর্যেরা। পাকিস্তানের সঙ্গে ছেলেখেলা করে জিতলেন তাঁরা।

    উপেক্ষাতেই জবাব দিল ভারত

    ক্রিকেট ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জয়ী এবং পরাজিত দুই অধিনায়কই (India vs Pakistan) কথা বলেন। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারও নিজের বক্তব্য রাখেন। অথচ রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আঘা এলেনই না কথা বলার জন্য। ভারতের আচরণের প্রতিবাদ করে তিনি এই কাজ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন জানান, ভারত হাত মেলায়নি বলেই প্রতিবাদস্বরূপ সলমন সাক্ষাৎকার দেননি। হেসন বলেছেন, “বিপক্ষ দলের এমন আচরণে আমরা হতাশ। যে ভাবে খেলেছি সেটা নিয়েও হতাশ। আমরা চেয়েছিলাম ওদের সঙ্গে হাত মেলাতে। সেটা হয়নি। তাই জন্যই সলমন আসেনি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথা বলতে। খুব হতাশাজনক ভাবে ম্যাচটা শেষ হল।” তবে, ভারত নিজের জায়গায় স্পষ্ট। উপেক্ষাতেই জবাব দিল ভারত। বার্তা স্পষ্ট, সন্ত্রাসে মদতকারীদের সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্যই চলে না। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ নিজেদের অবস্থান থেকে সরেনি টিম ইন্ডিয়া।

    পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারের পাশে

    রবিবার ছিল সূর্যর জন্মদিন। সেটা আরও স্পেশাল হয়ে উঠল পাকিস্তানকে হারিয়ে। তিনি নিজে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন। ভারত ম্যাচ জেতে ৭ উইকেটে। আর সব শেষে এসে সূর্যর বক্তব্যে মুগ্ধ দেশের ক্রিকেটভক্তরা। তিনি বলেন, “আমরা পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তাঁদের জন্য আমাদের সমবেদনা রইল। আর আমাদের আজকের জয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করতে চাই। তারা এভাবেই আমাদের অনুপ্রাণিত করুক।” সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্য বলেন, “কয়েকটা কথা বলতে চাই। এর থেকে ভালো সুযোগ হয়তো পাব না। আমার মনে হয় স্পোর্টসমানশিপের ঊর্ধ্বেও কিছু জিনিস আছে। আমরা পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীরও পাশে রয়েছি। আমরা এখানে আসার সময়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, খেলতে আসছি। এর যোগ্য জবাব দিতে চেয়েছিলাম। মাঠেই এর যথাযথ জবাব দিয়েছি। বিসিসিআই এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত।”

  • Donald Trump: ‘‘অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন শেষ’’, ডালাসে ভারতীয় খুন নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

    Donald Trump: ‘‘অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন শেষ’’, ডালাসে ভারতীয় খুন নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেক্সাসের ডালাসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মোটেল ম্যানেজার চন্দ্রমৌলি ‘বব’ নাগামাল্লাইয়াহর নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে অবশেষে প্রতিক্রিয়া জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন— “আমেরিকাকে আবার নিরাপদ করব।” একই সঙ্গে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন এখন শেষ।

    কী লিখলেন সমাজমাধ্যমে?

    ট্রাম্প (Donald Trump) সোমবার সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘চন্দ্র নাগামাল্লাইয়ার খুনের সাংঘাতিক খবরটা আমি শুনেছি। ডালাসে তিনি এক জন সম্মানীয় ব্যক্তি ছিলেন। স্ত্রী এবং সন্তানের সামনে তাঁর মাথা কেটে নেওয়া হয়েছে। কাজটা করেছেন এক অবৈধ অভিবাসী, যিনি কিউবা থেকে এখানে এসেছিলেন। কখনও তাঁর এখানে ঢুকতে পারার কথা ছিল না। এর আগেও এই লোকটি শিশুনিগ্রহ, গাড়ি চুরির মতো অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। জো বাইডেনের অপদার্থ সরকার তাঁকে আটকে রাখতে পারেনি। কিউবাও এঁকে চায় না।’’

    অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন এখন শেষ

    অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে এর পর আরও কঠোর হওয়ার বার্তা দেন ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি লেখেন, ‘‘অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন এখন শেষ, নিশ্চিন্ত থাকুন। আমার প্রশাসনের আধিকারিকেরা ভাল কাজ করছেন। আমেরিকাকে আবার আমরা নিরাপদ, সুরক্ষিত করে তুলব। এই অপরাধী আমাদের হেফাজতে রয়েছে। খুনের অভিযোগে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’’

    ওয়াশিং মেশিন নিয়ে ঝগড়ার সময়ই খুন

    চন্দ্রমৌলি ‘বব’ নাগামাল্লাইয়াহ হত্যাকাণ্ডে ৩৭ বছরের ইয়োরডানিস কোবোস-মার্টিনেজকে (Illegal Immigrants) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডালাসে চন্দ্র একটি ছোট হোটেলের মালিক ছিলেন, আর সেই হোটেলেই কর্মরত ছিল মার্টিনেজ। ১০ সেপ্টেম্বর দু’জনের মধ্যে ওয়াশিং মেশিন নিয়ে তীব্র বিতণ্ডা ঘটে। সেই ঝগড়ার ফলেই ঘটেছিল নৃশংস খুন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে ধরা পড়ে—অভিযুক্ত (Illegal Immigrants) এক হাতে কাটা মাথা নিয়ে রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে।

  • BJP: “ইসলামে যদি সমতা থাকে, তাহলে মসজিদে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ কেন?” সিদ্দারামাইয়াকে প্রশ্ন বিজেপির

    BJP: “ইসলামে যদি সমতা থাকে, তাহলে মসজিদে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ কেন?” সিদ্দারামাইয়াকে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা যদি বলি ধর্মান্তর করো না, তবু তাদের মধ্যে অনেকেই ধর্মান্তরিত হয়। আমাদের হিন্দু সমাজে যদি সমতা ও সমান সুযোগ থাকত, তাহলে কে ধর্মান্তরিত হত? আমরা কি অছুতত্ব প্রবর্তন করেছি?” জাতি গণনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। তিনি এও বলেন, “ইসলাম, খ্রিস্টান বা অন্য যে কোনও ধর্মে অসমতা থাকতে পারে। আমরা বা বিজেপি কাউকে ধর্মান্তর করতে বলেনি, তবে মানুষ করেছে… এটা তাদের অধিকার।”

    বিজেপির তোপ (BJP)

    সিদ্দারামাইয়ার এহেন মন্তব্যের জেরে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। কর্নাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) আর অশোক এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে লেখেন, “ইসলামে যদি সমতা থাকে, তাহলে মসজিদে মহিলাদের প্রবেশ কেন নিষিদ্ধ? ইসলামে যদি সমতা থাকে, তাহলে তিন তালাক নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করা হয়েছিল কেন? ইসলামে যদি সমতা থাকে, তাহলে কুরআনে হিন্দু-সহ অবিশ্বাসীদের কেন কাফের বলা হয়? আপনি কি এই প্রশ্ন করার সাহস রাখেন, সিদ্দারামাইয়া?” তিনি আরও লেখেন, “যদি ইসলাম শান্তিপ্রিয় ধর্ম হয়, যদি মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ থাকে, তাহলে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা পর্যটকদের নাম কেন জানতে চেয়েছিল? মহিলাদের ও শিশুদের কপালে সিঁদুর খুঁজে নিয়েছিল? তাদের কলমা পাঠ করতে বলেছিল এবং শুধুমাত্র হিন্দুদের হত্যা করেছিল? আপনি কি এই প্রশ্ন করার সাহস রাখেন, সিদ্দারামাইয়া (BJP)?”

    ৪৭টি নতুন খ্রিস্টান জাত

    প্রসঙ্গত, শনিবার কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া সরকারের বিরুদ্ধে ৪৭টি নতুন খ্রিস্টান জাত তৈরি করার অভিযোগ করে বিজেপি। পদ্মশিবিরের দাবি, এটি হিন্দু সমাজ বিভক্ত করার এবং ধর্মান্তরিত প্রচারের একটি কৌশল। সরকার হিন্দু সমাজকে দুর্বল করার জন্য এ কাজ করছে। তার প্রেক্ষিতেই পাল্টা মন্তব্য করেন সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। যারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে পাটকেলটি ছুড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (BJP)।

  • Assam: “ভূপেনদার ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে কংগ্রেসের মন্তব্যে আমি স্তম্ভিত”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Assam: “ভূপেনদার ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে কংগ্রেসের মন্তব্যে আমি স্তম্ভিত”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি মা কামাখ্যার কৃপায় ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর প্রথমবার অসমে এসেছি। অপারেশন সিঁদুর আমাদের একটি বড় সাফল্য।” অসমের (Assam) মংগোলদৈ এলাকায় এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কংগ্রেসকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর (Assam)

    কংগ্রেসের অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন বিজেপি ভারতরত্ন দিচ্ছে শুধুমাত্র যাঁরা নাচেন এবং গান গান, তাঁদের। ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের সময় পণ্ডিত নেহরু উত্তর-পূর্বকে বিদায় জানিয়েছিলেন, সেই ক্ষতির বেদনা এখনও ভরেনি এবং কংগ্রেস পার্টির বর্তমান প্রজন্মও তাতে নুন ছিটিয়ে দিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি ভূপেনদার ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে আমি স্তম্ভিত।” তিনি বলেন, “আপনি আমায় যত অভিশাপ দিন, আমি কেয়ার করি না। আমি ভগবান শিবের ভক্ত, আমি সমস্ত বিষই গ্রহণ করি। কিন্তু যখন কংগ্রেস দেশের সৎ সন্তানদের—যেমন ডঃ ভূপেন হাজারিকাকে—অপমান করে, তখন আমার মনে কষ্ট হয়।”

    জঙ্গি হামলার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ গোটা ভারত উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে চলছে। বিশেষ করে তরুণদের জন্য এটি তাদের লক্ষ্য এবং স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ছ’দশকেরও বেশি সময়ে কংগ্রেস ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ৩টি সেতু তৈরি করেছে,  আর আমরা এক দশকে এই নদীতেই ৬টি সেতু নির্মাণ করেছি। রাজনীতির স্বার্থে কংগ্রেস সেই সব মানুষ ও ব্যবস্থার পাশে দাঁড়ায়, যারা সব সময় ভারতের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস শাসন কালে ভারতে বহু জঙ্গি হামলা হয়েছিল। ইউপিএ সরকার চুপচাপ বসে ছিল।”

    তিনি বলেন (Assam), “আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনী জঙ্গি মস্তারমাইন্ডদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানজুড়ে হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কংগ্রেস আমাদের নিজেদের সেনাবাহিনীর বদলে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তারা জঙ্গি মস্তারমাইন্ডদের অ্যাজেন্ডা বহন করার চেষ্টা করেছিল। পাকিস্তানের মিথ্যা কথা কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের কাছে তাদের ভোটব্যাংকের স্বার্থ সর্বোচ্চ প্রাধান্য পায়। তারা ‘দেশের স্বার্থ’ নিয়ে কখনও ভাবে না।” তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করে। তারা চায় অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের স্থায়ী নাগরিক হোক এবং এই অনুপ্রবেশকারীরাই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করুক (Assam)।”

  • Sushila Karki: “মানুষের সেবা করতেই দায়িত্ব নিয়েছি, ক্ষমতায় টিকে থাকতে নয়”, নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েই বললেন কার্কি

    Sushila Karki: “মানুষের সেবা করতেই দায়িত্ব নিয়েছি, ক্ষমতায় টিকে থাকতে নয়”, নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েই বললেন কার্কি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানুষের সেবা করতেই দায়িত্ব নিয়েছি আমি ও আমার সহযোগীরা, ক্ষমতায় টিকে থাকতে নয়।” রবিবার নেপালের (Nepal) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে এমনই বললেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি (Sushila Karki)। এদিনই তিনি জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণ দেন। বলেন, “যুব সমাজের আন্দোলনে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের শহিদের মর্যাদা দেওয়া হবে।” তিনি জানান, সময় পেরিয়ে গেলে মানুষের সমর্থন ছাড়া তিনি গদি আঁকড়ে বসে থাকবেন না। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন সুশীলা। কাঠমাণ্ডুর সিংহ দরবার হল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। আন্দোলনের সময় গণরোষের আঁচে পুড়ে গিয়েছে ওই ভবনের সিংহভাগ অংশ। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দফতরকেই আপাতত প্রধানমন্ত্রীর দফতর করা হয়েছে। এদিন সেখানে বসেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সুশীলা।

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য (Sushila Karki)

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি এবং আমার দল এখানে ক্ষমতার স্বাদ নিতে আসিনি। আমরা ছ’মাসের বেশি পদে থাকব না। নতুন পার্লামেন্টকে দায়িত্ব দিয়ে দেব। আপনাদের সমর্থন ছাড়া থাকব না।” নেপাল পুনর্গঠনের ডাকও দেন সুশীলা। বলেন, “নেপালকে আবার গড়ে তোলার জন্য সব অংশীদারের এগিয়ে আসা উচিত। আমরা হাল ছাড়ব না। আমাদের দেশকে পুনরুদ্ধার করতে এক সঙ্গে কাজ করব।” তিনি (Sushila Karki) বলেন, “আমাদের জেন জেড প্রজন্মের সঙ্গে খাপ খাইয়ে কাজ করতে হবে। এরা যা দাবি করছে, তা হল দুর্নীতির সমাপ্তি, সুশাসন ও অর্থনৈতিক সমতা। আপনাকে এবং আমাকে এই লক্ষ্য পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে।”

    নেপালে সাধারণ নির্বাচন

    জানা গিয়েছে, নেপালে সাধারণ নির্বাচন হবে আগামী বছরের ৫ মার্চ। প্রসঙ্গত, নেপালের ক্ষমতায় ছিল কেপি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সোচ্চার হন আম নেপালবাসী। পথে নামে জনতা। এদের নেতৃত্ব দেয় জেন জেড। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ নিজের দফতরে আসেন সুশীলা। তার পরেই দেন জাতির উদ্দেশে ভাষণ। জেন জেডের তরফে বলা হয়েছে, “আমাদের মূল দাবি ছিল দুর্নীতিমুক্ত নেপাল। সুশীলা কার্কির (Sushila Karki) নেতৃত্বে নয়া আইন আসুক। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা (Nepal) হোক। আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক।”

LinkedIn
Share