Tag: bangla news

bangla news

  • Modi Govt: মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তি, দেখে নিন গুরুত্বপূর্ণ কাজের খতিয়ান

    Modi Govt: মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তি, দেখে নিন গুরুত্বপূর্ণ কাজের খতিয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তার পর ২০১৯ ও ২০২৪ সালেও তিনিই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। সোমবার হল মোদি সরকারের (Modi Govt) ১১ বর্ষ পূর্তি। এদিনই মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরল বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের দাবি, সুসংহত শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে গত ১১ বছরে মোদি সরকার একগুচ্ছ সাহসী ও সুদূরপ্রসারী সংস্কারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের গতি পরিবর্তন করেছে। বিজেপির তরফে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা ভারতের উন্নয়নের পথে স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।

    ২০১৪ সালে শুরু হওয়া ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল ভারতকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। সরকারের এই কর্মসূচি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণ, স্বদেশি উৎপাদনকে উৎসাহিত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের শিল্পক্ষেত্রে নয়া গতি এনেছে। এটি বিধিনিষেধ সহজতর করেছে, উদ্ভাবনকে উৎসাহ দিয়েছে এবং ভারতকে বিশ্বের দ্বিতীয় সব চেয়ে আকর্ষণীয় উৎপাদন গন্তব্যে পরিণত করেছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ থেকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’য় রূপান্তর আত্মনির্ভরতা ও বৈশ্বিক শিল্পক্ষেত্রে ভারতের আস্থা বৃদ্ধির প্রতীক।

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (Modi Govt)

    ২০১৫ সালে চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগগুলিকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত মুক্ত ঋণ দেয়।২০২৫ সালের শুরু পর্যন্ত এই যোজনার মাধ্যমে প্রায় ৩২.৪ লাখ কোটি টাকার ঋণ বিলি করা হয়েছে। সুবিধাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ নারী, এবং প্রায় অর্ধেক ঋণ দেওয়া হয়েছে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির লোকজনকে। সর্বোচ্চ ঋণ বিলি করা হয়েছে তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকে (BJP)।

    বিমুদ্রাকরণ

    ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর কালো টাকা সাদা করতে, জাল নোটের রমরমা ঠেকাতে, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করতে (Modi Govt) এবং ডিজিটাল লেনদেনে দেশবাসীকে উৎসাহিত করতে ভারত সরকার ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে। এর ফলে আয়কর রিটার্ন দাখিল বেড়েছে ২৪.৭ শতাংশ এবং অগ্রিম কর সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে ৪১.৮ শতাংশ। ‘অপারেশন ক্লিন মানি’র মাধ্যমে ১৮ লাখ সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে, যার ফলে ১৭,৫২৬ কোটি টাকার অবৈধ আয়ের সন্ধান মিলেছে। সরকারের এই পদক্ষেপে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

    জিএসটি

    ২০১৭ সালের ১ জুলাই চালু হওয়া জিএসটি বিভিন্ন পরোক্ষ করের পরিবর্তে একটি একক কর ব্যবস্থা চালু করে। এটি করের বাধা দূর করেছে, ইনপুট ক্রেডিটের সুবিধা এনেছে এবং আন্তঃরাজ্য বাণিজ্যকে উন্নত করেছে। ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে দেশে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ পৌঁছেছে ২০.১৮ লাখ কোটি টাকায়, যা তার আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ১১.৭ শতাংশ বেশি। এই সংস্কার কর দেওয়া সহজ করেছে, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করেছে এবং অর্থনৈতিক কাঠামোকে মজবুত করেছে।

    ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং ইউপিআই

    বিএইচআইএম, আধার এবং ইউপিআইয়ের মতো উদ্যোগগুলি ভারতের পেমেন্ট ব্যবস্থায় বিপ্লব এনেছে। ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে ইউপিআই মাসে ১৭৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেন করেছে, যার আর্থিক মূল্য ২২ লাখ কোটি টাকারও বেশি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ১৬.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেনের মাধ্যমে রেকর্ড গড়ে। ২০১৯ সালে ডিজিটাল পেমেন্টে ইউপিআইয়ের অংশ ছিল ৩৪ শতাংশ। ২০২৪ সালে এটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ শতাংশে। মোদি সরকারের এই ব্যবস্থা ডিজিটাল ফিনান্সে ভারতকে বিশ্বনেতা হিসেবে গড়ে তুলেছে (BJP)।

    আয়ুষ্মান ভারত

    ২০১৮ সালে শুরু (Modi Govt) হওয়া আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (PM-JAY) প্রতি পরিবারে সেকেন্ডারি ও তৃতীয় স্তরের চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য কভারেজ প্রদান করে। ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৩৬.৯ কোটিরও বেশি আয়ুষ্মান কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। যার ফলে প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি সঞ্চয় হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় এখন ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী সব নাগরিক এবং ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্সরাও অন্তর্ভুক্ত।

    ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপ

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা হয়। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়ে যায় এবং এটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একীভূত হয়। এই অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ায় সমান নাগরিকত্বের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী হয়েছে এবং জাতীয় ঐক্য মজবুত হয়েছে।

    উরি, বালাকোট, অপারেশন সিঁদুর ও ব্ল্যাক ফরেস্ট  

    ২০১৬ সালে উরির হামলার পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত। ২০১৯ সালে পুলওয়ামার প্রতিক্রিয়ায় বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক চালায় মোদি সরকার। ২০২৫ সালে হয় অপারেশন সিঁদুর। পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই অভিযানে দেশীয় সামরিক সক্ষমতা ও মহিলা অফিসারদের নেতৃত্বের ভূমিকাও তুলে ধরা হয়, যা আদতে আত্মনির্ভরতা ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শুরু হয় অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্ট (BJP)। ২১ দিন ধরে ভারতের কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের ১০,০০০-এর বেশি কর্মী অংশ নেন ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমান্তের কারেগুট্টালু পাহাড়ে মাওবাদী ঘাঁটি ও তাদের নেতৃত্ব কাঠামো ধ্বংস করতে। অভিযানে ৩১ জন মাওবাদী নিকেশ হয়, যাদের মধ্যে ছিল সিপিআই (মাওবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক নামবালা কেশব রাও (বাসবরাজু)-এর মতো শীর্ষ নেতাও (Modi Govt)।

    আত্মনির্ভর ভারত

    কোভিড অতিমারী-উত্তর পর্বে শুরু হওয়া আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের লক্ষ্য হল আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানো এবং বিশেষ করে এমএসএমইদের জন্য দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো। মোদি সরকারের এই উদ্যোগ ব্যাপক সাফল্য পায়। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিরক্ষা রফতানি ২০১৩–১৪ অর্থবর্ষে ৬৮৬ কোটি টাকা থেকে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ২১,০৮৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। বৃদ্ধির পরিমাণ ৩০ গুণ। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা রফতানি ৪,৩১২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮,৩১৯ কোটি টাকায়।

    অগ্নিপথ স্কিম

    ২০২২ সালের জুনে চালু হওয়া অগ্নিপথ স্কিম অনুযায়ী ১৭.৫ থেকে ২১ বছর বয়সি যুবকদের চার বছরের জন্য ‘অগ্নিবীর’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়, যাদের মধ্যে ২৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে রাখা হয়। এই স্কিমটি শৃঙ্খলা গড়ে তোলে এবং বার্ষিক ৪.৭৬ লক্ষ টাকা বেতন, ১১.৭১ লক্ষ টাকা ‘সেবা নিধি’ এক্সিট প্যাকেজ এবং ৪৮ লক্ষ টাকার জীবন বীমা দেয়। প্রতিরক্ষা সেবার বাইরেও এটি যুবকদের ভবিষ্যতের (BJP) কেরিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জনেও সহায়তা করে। অপারেশন সিঁদুরে এই অগ্নিবীরদের অনেকেই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন (Modi Govt)।

    সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ

    কিছু যুগান্তকারী প্রকল্পের মাধ্যমে মোদি সরকার ভারতের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। ২০২৪ সালে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বহু প্রতীক্ষিত একটি সাংস্কৃতিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছে। কাশী বিশ্বনাথ ধাম প্রকল্প বারাণসীর মন্দির চত্বরে এক নতুন রূপ এনে দিয়েছে, আর মহাকাল লোক করিডর উজ্জয়নের মহাকালেশ্বর মন্দিরকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। এই সমস্ত উদ্যোগই ঐতিহ্য ও আধুনিক পরিকাঠামোর এক অসাধারণ সমন্বয়, যা ধর্মীয় পর্যটন ও সভ্যতাগত গর্বকে উৎসাহিত করছে। এই যুগান্তকারী কীর্তিগুলির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এবং বৈদেশিক নীতিতেও নিজস্ব ছাপ রেখেছে। এমনই একটি সাফল্য হল ভারতে (BJP) সফলভাবে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন। এছাড়াও, নানা সময় বিভিন্ন দেশের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত মানবিক সাহায্য দিয়েছে। যার ফলে ভারত অর্জন করেছে বিশ্বনেতার সম্মান (Modi Govt)।

  • Jyoti Malhotra: ভিআইপি সুবিধা, স্পেশাল ভিসা, পাকিস্তানে জ্যোতির নিরাপত্তায় একে-৪৭ হাতে ‘রক্ষীরা’! কেন? তদন্তে গোয়েন্দারা

    Jyoti Malhotra: ভিআইপি সুবিধা, স্পেশাল ভিসা, পাকিস্তানে জ্যোতির নিরাপত্তায় একে-৪৭ হাতে ‘রক্ষীরা’! কেন? তদন্তে গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার (Jyoti Malhotra) কাছ থেকে ১২ টেরাবাইট ডিজিটাল তথ্য আদায় করেছে হরিয়ানার হিসার পুলিশ। এই তথ্যভাণ্ডারে রয়েছে চ্যাট রেকর্ড, কল লগ, ভিডিও ফুটেজ, আর্থিক লেনদেন এবং অন্যান্য ফরেন্সিক প্রমাণ—যা পাকিস্তানভিত্তিক চার ব্যক্তির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কথা স্পষ্ট করেছে। সাম্প্রতিক কালে যুদ্ধ শুধু গোলাগুলিতে হয় না। সমাজে নিজেদের মতামত স্পষ্ট করতে, মানুষকে বোকা বানাতে ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া। এর মধ্য দিয়েই চলে ব্রেন ওয়াশ, বা মগজ ধোলাই। তদন্তে যে সমস্ত বিস্ফোরক তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে, তার ভিত্তিতে ইতিমধ্যে জ্যোতিকে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)- এর ‘অ্যাসেট’-ও বলছেন তদন্তকারীদের একাংশ। হয়তো এই জন্যই লাহোরের আনারকলি বাজারে যখন ঘুরে বেড়াচ্ছিল জ্যোতি মালহোত্রা, তখন তার সঙ্গে ছিল অন্তত ছ’জন বন্দুকধারী। যাদের হাতে ছিল একে-৪৭। সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের এক ইউটিউবারের ভিডিওয় দেখা গিয়েছে এই চিত্র। ওই ভাইরাল ভিডিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    জ্যোতিকে ঘিরে বন্দুকধারী কেন?

    বিদেশি ইউটিউবের এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, লাহোরের আনারকলি বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে জ্যোতি। আর তাকে নিরাপত্তা দিতে হাতে অত্যাধুনিক রাইফেল একে-৪৭ নিয়ে হাজির বেশ কয়েকজন রক্ষী। একজন ইউটিউবার, ভ্লগারের জন্য এত উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা? স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে অনেক। একজন ইউটিউবারের জন্য নিরাপত্তায় কেন এত কড়াকড়ি? বিস্মিত খোদ জ্যোতির ভিডিও করা স্কটিশ ইউটিউবারও। একজন ভারতীয় ইউটিউবার পাকিস্তানের রাস্তায় হাঁটছে। ভিডিও শ্যুট করছে। আর তাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছে সশস্ত্র বাহিনী। অতএব পাকিস্তানের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ যে ছিল তা স্পষ্ট। ওই স্কটিশ ইউটিউবার প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন ওই বন্দুকধারীদের সঙ্গে রাখার প্রয়োজন হয়েছিল জ্যোতির। ওই সশস্ত্র ব্যক্তিরা রক্ষী ছিল, না কি অন্য কেউ, সেই প্রশ্নও রয়েছে। সূত্রের খবর, এই প্রশ্নগুলি ভাবাচ্ছে হরিয়ানা পুলিশকেও।

    নিরাপত্তা হুমকি ও ‘ন্যারেটিভ পুশ’

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জ্যোতির। নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি আধিকারিক দানিশের সঙ্গে তার ‘ঘনিষ্ঠতা’ ছিল বলে অভিযোগ। দানিশকে আগেই ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে ভারত। অভিযোগ, দানিশের মাধ্যমে পাকিস্তানের আরও আধিকারিক, এমনকি গুপ্তচরদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল জ্যোতির। তিনি পাক চরদের কী তথ্য দিয়েছে, তা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ডিজিটাল ফরেন্সিক তদন্তে উঠে এসেছে, কীভাবে একটি সুপরিকল্পিত ‘ন্যারেটিভ পুশ’ বা মতপ্রচার কৌশলের অংশ হিসেবে জ্যোতিকে ব্যবহার করা হচ্ছিল। রাষ্ট্রবিরোধী এই প্রচার কৌশলের লক্ষ্য ছিল সমাজকে বিভাজিত করা, ভুয়ো তথ্য ছড়ানো এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দুর্বল করা। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এমন সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালীদের কাজে লাগিয়ে ভারতের আভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করার কৌশলে লিপ্ত।

    চার পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগ

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত চার জন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি এবং ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল জ্যোতির। তাদের সঙ্গে জ্যোতির চ্যাটে কোনও গ্রুপ বা মধ্যস্থতাকারীর উপস্থিতি ছিল না, যা থেকে বোঝা যায়, এই কথোপকথন ছিল পুরোপুরি গোপনীয়। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি এই চার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পরিচয় এবং গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে সচেতন ছিল জ্যোতি। তার পাকিস্তান সফরের পরপরই তার সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে ফলোয়ার ও ভিউয়ারশিপ হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। তদন্তকারীদের মতে, এটি শুধুমাত্র স্বাভাবিক জনপ্রিয়তা নয়, বরং পরিকল্পিত প্রচার অভিযানের অংশ, যেখানে তার পোস্ট ও ভিডিও বিশেষভাবে ‘ন্যারেটিভ পুশ’ কৌশল অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, জ্যোতি সচেতনভাবেই এই গোয়েন্দা জালে পা দিয়েছিল এবং সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজে থেকেই সহযোগিতা করেছিল।

    বিশেষ ভিসা ও নিরাপত্তা কভার

    প্রথম পাকিস্তান সফরের পর জ্যোতি মালহোত্রাকে স্পেশাল ভিসা ও নিরাপত্তা কভার দেওয়া হয়েছিল। যা সাধারণ বিদেশি সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত বিরল। তদন্তকারীদের ধারণা, আইএসআই তাকে ‘অ্যাসেট’ হিসেবে গড়ে তুলেছিল এবং বিশেষ এই সুবিধাগুলি তার সক্রিয় সহযোগিতার পুরস্কার ছিল। স্কটল্যান্ডের ওই ইউটিউবারের ভিডিওতে দেখা যায় জ্যোতিকে যারা পাহাড়া দিচ্ছিল, তাদের গায়ে যে জ্যাকেট ছিল, তাতে লেখা ‘ভয় নেই’। ভিডিওতে স্কটিশ ইউটিউবার একবার জ্যোতিকে জিজ্ঞাসা করেছেন পাকিস্তানের আতিথেয়তা প্রসঙ্গে। স্পষ্ট ভাষায় জ্যোতি জানিয়েছে পাকিস্তানের আতিথেয়তা দারুণ। তার মুখভঙ্গিই বুঝিয়ে দিয়েছে যে সে কতটা খুশি পাকিস্তানের আতিথেয়তায়। আপাতত জ্যোতির মোবাইল এবং ল্যাপটপ, আর সেখানে পাওয়া ছবি, ভিডিও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাকিস্তানের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ কতটা দৃঢ়, কী কী তথ্য তার মাধ্যমে পাচার হয়ে গিয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। আর কে কে এই গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত, তাদের খোঁজও চলছে।

    শক্তিশালী ডিজিটাল প্রমাণ, হতে পারে সাজা

    পুলিশ সূত্রে খবর, জ্যোতির কাছ থেকে পাওয়া ডিজিটাল প্রমাণ এতটাই শক্তিশালী যে, এর ভিত্তিতে আদালতে সহজে দোষ স্বীকার করানো সম্ভব হতে পারে। যদিও এখনও কোনও সংবেদনশীল তথ্য ফাঁসের প্রমাণ মেলেনি, তবুও তার কাজকর্ম সাধারণ সাংবাদিকতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে মত তদন্তকারীদের। জ্যোতির কাছ থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণে বেশ কিছু আর্থিক লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে। এই ঘটনা আবারও তুলে ধরছে কীভাবে প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভারতের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছে এবং ভেতর থেকে দুর্বল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

  • Iran: পাত্তা দিল না ইরান! সব সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চান শেহবাজ

    Iran: পাত্তা দিল না ইরান! সব সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চান শেহবাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীর, সন্ত্রাসবাদ, জলবণ্টন, বাণিজ্য-সহ দ্বিপাক্ষিক সমস্ত সমস্যার সমাধানের জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত পাকিস্তান। সোমবার ইরান (Iran) সফরে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। চাপের মুখে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ভারত বিরোধিতা করে মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে সাহায্য পাওয়ার আশায় ইরান সফরে গিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেখানে পাত্তা পাননি তিনি। তাই ফের একবার ভারতের সঙ্গে সমঝোতার কথা বললেন শাহবাজ।

    ভারতের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে পাকিস্তানের জঙ্গি ডেরায় ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তার প্রতিক্রিয়ায় সংঘাতের পর সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করেছে দুই দেশ। এই আবহে চারটি ‘বন্ধু’ দেশে সফর করছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। রবিবার তিনি গিয়েছিলেন তুরস্কে। সেখানকার প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্দোগানের সঙ্গে আলোচনা হয় তাঁর। এর পরে ইরানের গিয়ে সোমবার সে দেশের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজসকিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সৈয়দ আলি খামেনির সঙ্গেও বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তেহরানে, ওই বৈঠক করার পরেই শেহবাজ শরিফ জানান, তাঁরা ভারতের সঙ্গে থাকা সব সমস্যার সমাধান করতে চান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সব সমস্যার সমাধানের জন্য প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য আমরা উন্মুখ। আমরা আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা এবং জল সমস্যা-সহ সকল বিরোধের সমাধান করতে চাই। বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয়ে আমাদের প্রতিবেশীর (ভারতের) সঙ্গে কথা বলতেও আমরা প্রস্তুত।’’

    সন্ত্রাস বন্ধ ছাড়া কথা নয়

    ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে কী শর্তে কথা হতে পারে তা জানিয়ে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা কেবলমাত্র পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের প্রত্যাবর্তন এবং সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের ভিত্তিতেই হতে পারে। এ প্রসঙ্গে শাহবাজ শরিফ বলেন, “যদি ভারত শান্তির পথ বেছে নেয়, তাহলে আমরা আন্তরিকতা ও দায়িত্বের সঙ্গে শান্তির বার্তা দেব। কিন্তু যদি তারা আগ্রাসনের পথে থাকে, তাহলে আমরা নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষা করব, যেমন কিছুদিন আগেও করেছি।” ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি, এই নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি সমাজ মাধ্যমে শুধু লেখেন, ইরান আশা করে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধের সমাধান হবে। পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে বিরোধের অবসানে ইরান আনন্দিত।

  • Thalassemia: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে থ্যালাসেমিয়া! রুখতে নতুন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র?

    Thalassemia: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে থ্যালাসেমিয়া! রুখতে নতুন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। তাই বাড়ছে উদ্বেগ। বিশ্বের মোট থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের বড় অংশ ভারতেই! আর তাই এই রোগ মোকাবিলায় এবার বাড়তি নজর দিচ্ছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health)।

    কেন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia)?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৫ কোটি মানুষ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। প্রতি বছর ভারতে ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ নতুন করে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতি বছর চিকিৎসা বাবদ কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। যা যথেষ্ট আর্থিক বোঝা বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাছাড়া থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির বারবার রক্তের প্রয়োজন হয়। তাই এই চিকিৎসা যথেষ্ট জরুরি। পাশপাশি এই রোগে আক্রান্তের স্বাভাবিক জীবন অনেক সময়েই ব্যহত হয়। সব মিলিয়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে দেশ জুড়ে স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল।

    কোন পথে থ্যালাসেমিয়া মোকাবিলার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health) তরফে জানানো হয়েছে, থ্যালাসেমিয়া মোকাবিলায় সবচেয়ে বড় হাতিয়ার সচেতনতা কর্মসূচি। তাই স্কুল স্তর থেকেই থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সচেতনতা জরুরি। তাই প্রত্যেক স্কুলে থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) নিয়ে কর্মসূচি চালানো‌ হবে। প্রাথমিক শিক্ষার পর্ব থেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি শুরু হবে। থ্যালাসেমিয়া রোগ কী সে সম্পর্কে জানানোর পাশপাশি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের কী কী সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কেও জানানো হবে। রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হবে। যাতে কম বয়সি ছেলেমেয়েরা রক্তদান কর্মসূচিতে যোগদান করে। কারণ বিশাল সংখ্যক থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য রক্তের প্রয়োজন। নিয়মিত রক্তদান কর্মসূচি ছাড়া সেই রক্তের জোগান থাকা মুশকিল। তবে থ্যালাসেমিয়া নিয়ে যাতে কোনও ভ্রান্ত ধারণা তৈরি না হয়, সে দিকেও নজরদারি চালাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।‌ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের যাতে কোনও রকম সামাজিক সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতেও স্কুল স্তরে নানান কর্মসূচি।

    থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) রুখতে লাগাতার স্ক্রিনিং

    থ্যালাসেমিয়া রুখতে লাগাতার স্ক্রিনিং জরুরি। তাই গ্রামীণ এলাকায় এবং স্কুলে স্কুলে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শিশুদের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই বোঝা যায় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কিনা! তাই নিয়মিত এই পরীক্ষা জরুরি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক বছর স্কুলে স্কুলে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করা হবে। তাহলে সহজেই থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের সংখ্যা জানা যাবে। ফলে থ্যালাসেমিয়া মোকাবিলার কাজ সহজ হবে।
    থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের চিকিৎসা সহজ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কেন্দ্রীয় ব্লাড ব‌্যাঙ্ক ব্যবস্থা এবং স্টেম সেল রেজিস্ট্রি-র মতো কাঠামো আরও জোরদার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের জীবন স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত রক্ত জরুরি হয়। শরীরে যাতে রক্তের ঘাটতি না হয় সেদিকে নজর দেওয়া হয়। আবার অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হয়। তাই থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্তের চিকিৎসা যাতে সহজেই হয়, রক্তের জোগান যাতে ঠিকমতো থাকে আবার প্রয়োজন মাফিক অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার ও করা যায়, সেই দিকে নজর রাখতেই এই দুই পরিকাঠামোর উপরে বাড়তি নজর দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health)।

  • PM Modi: ‘‘শান্তিতে দিন কাটাও, রুটি খাও, নয়তো আমার গুলি তো আছেই’’! পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    PM Modi: ‘‘শান্তিতে দিন কাটাও, রুটি খাও, নয়তো আমার গুলি তো আছেই’’! পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ফের এক বার পাকিস্তানকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দিন কয়েক আগেই রাজস্থানের বিকানের থেকে পাকিস্তানকে (India Pakistan) নিশানা করেছিলেন মোদি। এবার গুজরাটের (Gujarat) ভুজ। প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটাতে সে দেশের জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে! পাকিস্তানকে হয় শান্তি বেছে নিতে হবে, নয়তো তাঁর ‘গুলি’ প্রস্তুত রয়েছে। সোমবার গুজরাটে ‘রোড শো’ থেকে জনসভা— একাধিক কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির।

    ভারত পর্যটনে বিশ্বাসী, পাকিস্তানে সন্ত্রাসই ব্যবসা

    ভুজের (Bhuj) জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘ভারত পর্যটনে বিশ্বাস করে। কিন্তু পাকিস্তান (India Pakistan) সন্ত্রাসবাদকেই পর্যটন হিসাবে বিবেচনা করে, যা বিশ্বের জন্য খুবই বিপজ্জনক। আমি পাকিস্তানের জনগণের কাছে জানতে চাই, কী অর্জন করেছে তাঁদের দেশ? আজ ভারত বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। সেখানে আপনাদের (পাকিস্তান) অবস্থা কোথায়?’’ পাক নাগরিকদের উদ্দেশে মোদির বার্তা, ‘‘যারা সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহ দিচ্ছে, তারাই আপনাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিয়েছে!’’ পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদ আর পাকিস্তান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে হামলার পর আমি ১৫ দিন অপেক্ষা করেছিলাম। আমি আশা করেছিলাম, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পাকিস্তান। কিন্তু সব দেখে মনে হচ্ছে, সন্ত্রাসই তাদের রুটিরুজি। ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) ছিল সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটাতেই।’’ সাম্প্রতিক সময়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যেকার সামরিক অস্থিরতার প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘‘৯ মে রাতে পাকিস্তান যখন ভারতের নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল, তখন আমাদের সেনাবাহিনী দ্বিগুণ শক্তি দিয়ে তার জবাব দেয়। ধ্বংস করে ওদের (পাকিস্তান) বিমানঘাঁটি।’’

    পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্ম দায়িত্বশীল হোক

    শুধু ভুজ নয়, গুজরাটের দাহোদের জনসভা থেকেও সন্ত্রাসবাদ এবং পাকিস্তান নিয়ে মুখ খোলেন মোদি। পাকিস্তানকে (India Pakistan) সন্ত্রাসবাদীদের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসতে সে দেশের জনগণের দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। মোদির হুঁশিয়ারি, ‘‘সন্ত্রাসবাদের মতো রোগ থেকে পাকিস্তানকে মুক্ত করতে, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সে দেশের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। শান্তিতে জীবন কাটাও, রুটি খাও। নয়তো আমার গুলি তো আছেই। যারা সিঁদুর মুছে দিতে আসবে, তাদেরও মুছে যেতে হবে, এটা নিশ্চিত। যারা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে, তারা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি, মোদির সঙ্গে মোকাবিলা করা কতটা কঠিন!’’

  • Ramakrishna 363: নরেন্দ্রর প্রতি ঠাকুরের শিক্ষা, ‘‘জ্ঞান-অজ্ঞানের পার হও’’

    Ramakrishna 363: নরেন্দ্রর প্রতি ঠাকুরের শিক্ষা, ‘‘জ্ঞান-অজ্ঞানের পার হও’’

    নরেন্দ্রকে শিক্ষা (জ্ঞান অজ্ঞানের পার হও)

    নরেন্দ্র কাছে বসিয়া আছেন (Ramakrishna)। তার বাড়িতে কষ্ট। সেই জন্য তিনি সর্বদা চিন্তিত হইয়া থাকেন। তাহার সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজে যাতায়াত ছিল। বেদন্তাদি গ্রন্থ পড়িবার খুব ইচ্ছা। এক্ষুনি বয়স ২৩ বছর হইবে। ঠাকুর নরেন্দ্রকে একদৃষ্টে দেখিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে নরেন্দ্রের প্রতি)- তুই তো ‘খ’ (আকাশবৎ)। তবে যদি এ ট্যাক্সোবাড়ির ভাবনা না থাকত। (সকলের হাস্য)

    কৃষ্ণকিশোর বলত, আমি ‘খ’। একদিন তার বাড়িতে গিয়ে দেখি (Kathamrita) সে চিন্তিত হয়ে বসে আছে। বেশি কথা কচ্ছে না। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কী হয়েছে গো! এমন করে বসে রয়েছ। কেন সে বলল ট্যাক্সওয়ালা এসেছিল। সে বলে গেছে টাকা যদি না দাও, তাহলে ঘটি বাটি সব নিলাম করে নিয়ে যাব। তাই আমার ভাবনা হয়েছে। আমি হাসতে হাসতে বললাম, সে কী গো! তুমি তো ‘খ’ (আকাশবৎ) যাক শালারা ঘটিবাটি নিয়ে যাক। তোমার কী।

    তাই তোকে বলছি তুই ‘খ’, এত ভাবছিস কেন (Ramakrishna)? কী জানিস শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে (Kathamrita) বলছেন, অষ্ট সিদ্ধির একটি থাকলে কিছু শক্তি হতে পারে। কিন্তু আমায় পাবে না। সিদ্ধাই এর দ্বারা শক্তি বল টাকা এসব হতে পারে কিন্তু ঈশ্বরকে লাভ হয় না।

    আরেকটি কথা জ্ঞান-জ্ঞানের পার হও। অনেকে বলে অমুক বড় জ্ঞানী। বস্তুত তা নয় বশিষ্ট এত বড় জ্ঞানী। পুত্র শোকে অস্থির হয়েছিল। তখন লক্ষণ বললেন, রাম একি আশ্চর্য। তিনিও তো এত শোকার্ত। রাম বললেন, ভাই যার জ্ঞান আছে, তার অজ্ঞান আছে। যার আলোবোধ আছে তার অন্ধকার বোধ আছে। যার ভালো বোধ আছে তার মন্দ বোধও আছে। যার সুখ বোধ আছে তার দুঃখবোধও আছে (Ramakrishna)। ভাই তুমি দুইয়ের পারে যাও। সুখ দুঃখের পারে যাও। তাই তোকে বলছি জ্ঞান-অজ্ঞানের পার হও।

  • Daily Horoscope 27 May 2025: গৃহনির্মাণের জন্য অর্থব্যয় হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 27 May 2025: গৃহনির্মাণের জন্য অর্থব্যয় হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অভিনেতারা খুব ভালো সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) পড়াশোনার জন্য বিদেশযাত্রা হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) ভালো যুক্তির জন্য তর্কে জিততে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) বাইরে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।

    ২) স্ত্রীর কাছে কথা রাখার চেষ্টা করুন।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    কর্কট

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ।

    ৩) চিকিৎসকের কাছে যেতে হতে পারে।

    সিংহ

    ১) সংসারের দায়িত্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) বাড়িতে মনোমালিন্য হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    কন্যা

    ১) পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে।

    ২) দরকারি কাজ দ্রুত মেটান।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    তুলা

    ১) সাবধান থাকতে হবে, শরীরে অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) গৃহনির্মাণের জন্য অর্থব্যয় হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    বৃশ্চিক

    ১) অভিভাবকদের পরামর্শ আপনার জন্য কার্যকর হবে।

    ২) অন্য কেউ পরামর্শ দিলে তা না নেওয়াই শ্রেয়।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) উচ্চশিক্ষার যে কোনও কাজ সফল হবে।

    ২) কোনও বন্ধুর কারণে কর্মে জটিলতা কেটে যেতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে মনের কথা খুলে বলুন।

    মকর

    ১) প্রতিবেশীদের হিংসার কারণে কাজে বাধা পড়তে পারে।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মানহানির সম্ভাবনা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) পারিবারিক শান্তি বজায় থাকবে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মীন

    ১) শত্রুর সঙ্গে আপস করতে হতে পারে।

    ২) শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • PM Modi: “আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দিলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত,” গুজরাটে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দিলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত,” গুজরাটে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যদি কেউ আমাদের বোনেদের সিঁদুর (Operation Sindoor) মুছে দেয়, তাহলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত।” সোমবার গুজরাটে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর এই প্রথম নিজের রাজ্য গুজরাটে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন দাহোদের জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি খানিকক্ষণ হাঁটলেন স্মৃতির সরণী বেয়ে। গুজরাটবাসীকে অভিবাদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ ২৬ মে। ২০১৪ সালে এই দিনেই আমি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করি। প্রথমে গুজরাটের মানুষ আমায় আশীর্বাদ করেন, তারপর কোটি কোটি ভারতীয় আমায় আশীর্বাদ করেন।”

    গুজরাট সফরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    দু’দিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সফর শুরু হয়েছে রোড-শো দিয়ে। এক কিলোমিটার পথ রোড-শো করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে দেখতে ঢল নামে জনতার। গুজরাটবাসী অভিবাদন জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। প্রতিনমস্কার জানান তিনিও। এই ভিড়ের মধ্যেই ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশির পরিবারও। প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে আপ্লুত তাঁরা। কুরেশি ভাদোদরার বাসিন্দা। এদিনের রোড-শোয়ে উপস্থিত ছিলেন সোফিয়ার বাবা-মা, ভাই মহম্মদ সঞ্জয় কুরেশি এবং বোন শায়না সুনসারাও। সোফিয়ার মা হালিমা কুরেশি বলেন, “আমরা তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছি। সবাই এক সঙ্গে তাঁকে স্বাগত জানাতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। তিনি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানানো আমাদের কর্তব্য।” তিনি বলেন, “সোফিয়া কেবল আমাদের মেয়ে নয়, ও আমাদের দেশের মেয়ে (PM Modi)।”

    অপারেশন সিঁদুর কেন?  

    এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চিন্তা করুন, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, তারপর কী আর ভারত চুপ করে বসে থাকতে পারে? কী, মোদি কি চুপ করে বসে থাকতে পারে?” এর পরেই তিনি বলেন, “যদি কেউ আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দেয়, তাহলে তারও মুছে যাওয়া নিশ্চিত। তাই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) শুধুমাত্র একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি ভারতীয়দের সংস্কৃতি এবং আমাদের অনুভূতির প্রকাশ। সন্ত্রাসবাদীরা ১৪০ কোটি ভারতীয়কে চ্যালেঞ্জ করেছিল। তাই মোদি সেটাই করেছে, যার জন্য দেশবাসী আমায় প্রধান সেবকের দায়িত্ব দিয়েছে।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশ এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অকল্পনীয় ও অভূতপূর্ব। দেশ কয়েক দশকের পুরানো শৃঙ্খল ভেঙে দিয়েছে। ১৪০ কোটি ভারতীয় বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন (PM Modi)।”

  • NIA: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে এবার গ্রেফতার সিআরপিএফ জওয়ান

    NIA: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে এবার গ্রেফতার সিআরপিএফ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের খেয়ে, তথ্য জোগাচ্ছিলেন পাকিস্তানকে (Espionage Racket)। এই অভিযোগে এবার গ্রেফতার করা হয় সিআরপিএফের এক জওয়ানকে। ধৃত জওয়ানের নাম মোতিরাম জাট। অভিযোগ, মোতিরাম পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স অফিসারের কাছে ভারতের বেশ কিছু (NIA) গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করেছে। সে পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে। যদিও দিল্লি থেকে তাকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। পাতিয়ালা হাউস কোর্টে তুলে ৬ জুন পর্যন্ত তাকে হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    মোতিরামের পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে (NIA)

    সিআরপিএফ সূত্রে খবর, সাব ইন্সপেক্টর পদে থাকা মোতিরামের পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অবাধ বিচরণ দেখে সন্দেহ হয় তার সিনিয়রদের। তার পরেই মোতিরামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআরপিএফের কর্তারা। পরে তাকে তুলে দেওয়া হয় এনআইএর হাতে। গ্রেফতার করা হয় ইউএপিএ আইনে। সিআরপিএফের এক কর্তা জানান, ধৃত জওয়ান সিআরপিএফের আইন এবং প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে। গত ২১ মে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাকে।

    পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করছিল মোতিরাম। এজন্য সে পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স অফিসারদের কাছ থেকে টাকাও নিত বলে অভিযোগ। গত দু’বছরে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বহু ক্লাসিফায়েড ইনফর্মেশন সে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ। বিশেষ এনআইএ বিচারক চন্দরজিৎ সিং বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ কেবল দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই নয়, বরং বিদেশি পর্যটক ও সাধারণ নাগরিকদের জীবন সম্পর্কেও গভীর আশঙ্কা তৈরি করে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য হিসেবে এই কাজ বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।”

    প্রসঙ্গত, গত (NIA) ২৪ মে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর নানা তথ্য পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে গুজরাটের কচ্ছ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী সহদেব সিং গোহিল নামে একজনকে। গুজরাট এটিএস সূত্রে খবর, এই কাজের জন্য পাক গোয়েন্দাদের কাছ থেকে মোটা টাকাও পেত সে। প্রসঙ্গত, মে মাসে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট এবং উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় (Espionage Racket) তল্লাশি চালিয়ে ১৯ জন পাক চরের হদিশ মিলেছে। এদের মধ্যে রয়েছে ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাও (NIA)।

    এদিকে, রাজস্থানের ডিগ শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কাশেম নামে একজনকে। কর্তৃপক্ষের দাবি, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন কাশেম পাকিস্তানে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রেখে চলেছিল। এই অপারেশনের কিছুদিন আগেই সে পাকিস্তান ঘুরে এসেছিল বলেও অভিযোগ।

  • Sri Lanka: লবণ সংকটে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা, সাহায্যের হাত বাড়াল মোদির ভারত

    Sri Lanka: লবণ সংকটে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা, সাহায্যের হাত বাড়াল মোদির ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লবণ সংকটে (Salt Crisis) দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এই অতি প্রয়োজনীয় বস্তুটির জন্য হাহাকার চারদিকে। যার ফলে গত কয়েক দিনে শ্রীলঙ্কায় নুনের দাম বেড়ে গিয়েছে তিন থেকে চারগুণ পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে সমুদ্রতীটে জমে থাকা নুন ধুয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির কারণেই খাবারযোগ্য এই খনিজ পদার্থটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রান্নাঘরের অতিপ্রয়োজনীয় এই উপকরণটির চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। জোগান কম হওয়ায় নুনের দাম কেজি প্রতি বেড়ি গিয়েছে ১৪৫ টাকা পর্যন্ত। শ্রীলঙ্কার সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মজুতদার ও কালোবাজারিরা নুনের জোগান কমিয়ে দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে দাম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    নুন আমদানিতে দেরি (Sri Lanka)

    নুন উৎপাদনকারীদের সংগঠনের মতে, শ্রীলঙ্কা সরকারের ৩০ হাজার মেট্রিক টন আয়োডিনযুক্ত নুন আমদানিতে দেরি হওয়ায় সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। উল্লেখ্য যে, শ্রীলঙ্কা বছরে প্রয়োজনীয় মোট নুনের ২৩ শতাংশ নিজেই উৎপাদন করে।পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলার কারণে সংঘাত বেঁধেছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। সেই সময় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে কলম্বো (শ্রীলঙ্কার রাজধানী) জানিয়েছিল, তারা কোনও দেশকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার জন্য তাদের ভূমি ও জলসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেবে না।

    বন্ধুত্বের প্রতিদান ভারতের 

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই কারণেই ভারত তার এই প্রতিবেশী দেশটিকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। ভারতের তরফে শ্রীলঙ্কায় ৩ হাজার ৫০ মেট্রিক টন নুনের একটি চালানও ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। এই চালানের মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন নুন (Salt Crisis) উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন সরবরাহ করেছে। বাকি ২৫০ মেট্রিক টন সংগ্রহ করা হয়েছে বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছ থেকে (Sri Lanka)।

    মাত্র দু’বছর আগেই চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রবল ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়ে দেশটি। সেই সময় ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কাকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। আরও একবার সেই ভারতই পাশে দাঁড়াচ্ছে বন্ধুরাষ্ট্রের (Sri Lanka)।

LinkedIn
Share