Tag: bangla news

bangla news

  • AIADMK: এনডিএ শিবির ছাড়ল জয়ললিতার দল এআইএডিএমকে, কেন জানেন?

    AIADMK: এনডিএ শিবির ছাড়ল জয়ললিতার দল এআইএডিএমকে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ছাড়ল এআইএডিএমকে (AIADMK)। বিজেপির তামিলনাড়ু নেতৃত্বের প্রতি বিষোদ্গার করে এনডিএ ছাড়ল জয়ললিতার দল। কংগ্রেস-ডিএমকে জোটকে হারাতে এনডিএ শিবিরে ভিড়েছিলেন এআইএডিএমকে নেতৃত্ব।

    কী বলছেন এআইএডিএমকে নেতৃত্ব?

    বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মসনদে বসে কংগ্রেস-ডিএমকে জোট। লোকসভা নির্বাচনের আগে এনডিএতে বিশেষ সুবিধা হবে না আঁচ করেই জয়ললিতার দল এনডিএ ছাড়ল বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সোমবার দলের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর কেপি মুনুসামি বলেন, “এআইএডিএমকের সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এআইএডিএমকে আজ থেকে বিজেপি এবং এনডিএ জোটের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করছে।”

    মানহানিকর বিবৃতির প্রতিবাদ!

    তিনি বলেন, “বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব গত এক বছর ধরে আমাদের প্রাক্তন নেতা, আমাদের সাধারণ সম্পাদক ইপিএস এবং আমাদের কর্মীদের সম্পর্কে ক্রমাগত অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করে চলেছেন।” দলীয় নেতৃত্বের দাবি, এই পদক্ষেপটি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এআইএডিএমকে ও তাদের নেতাদের ওপর বিজেপির আক্রমণ ও মানহানিকর বিবৃতির প্রতিবাদ।

    দিন কয়েক আগে সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ডিএমকে নেতা তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধি। তিনিও মন্ত্রিসভার সদস্য। উদয়নিধির মন্তব্যের প্রতিবাদ করে বিজেপি। এই আবহে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দ্রাবিড়ীয় আইকন সিএন আন্নাদুরাই সম্পর্কে  বিজেপির তামিলনাড়ু নেতৃত্ব বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলেন অভিযোগ। কী ডিএমকে, কী এআইএডিএমকে (AIADMK) তামিলনাড়ুর কোনও রাজনৈতিক দলই আন্নাদুরাই সম্পর্কে কটু কথা শুনতে রাজি নয়। তাছাড়া লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আসন ভাগাভাগি নিয়েও এনডিএর সঙ্গে এআইএডিএমকের অশান্তি হচ্ছিল বলে খবর। সেই কারণেও বাড়ছিল দূরত্ব।

    সর্বোপরি, গত লোকসভা নির্বাচন এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি জয়ললিতার দল। তার জেরে এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসার চাপ তৈরি হচ্ছিল দলের নিচুতলায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই এনডিএ শিবির ছাড়তে বাধ্য হল জয়ললিতার দল।

    আরও পড়ুুন: “কিছু শহুরে মাওবাদী এখন কংগ্রেস চালাচ্ছে”, ভোপালের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও আখের গুছোতে বিজেপির হাত ধরেছিল জয়ললিতার দল। ১৯৯৮, ২০০৪ এবং ২০১৯ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট গঠন করে লড়াইয়ের ময়দানে নামে এআইএডিএমকে (AIADMK)। ’৯৮ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেন জয়ললিতা। তার জেরে পতন হয় বাজপেয়ী সরকারের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pandit Deendayal Upadhyay: জাতীয়তাবাদী লেখক, দার্শনিক, সমাজ সংস্কারক ছিলেন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়

    Pandit Deendayal Upadhyay: জাতীয়তাবাদী লেখক, দার্শনিক, সমাজ সংস্কারক ছিলেন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয়তাবাদী লেখক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক এবং সমাজ সংস্কারক হিসাবে বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Pandit Deendayal Upadhyay)। আজ তাঁর জন্মজয়ন্তী। অত্যন্ত একটি সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের মধ্যে জন্ম হয়েছিল তাঁর। ভারতীয় ইতিহাসতত্ত্ব, শিক্ষা, চেতনা, আধ্যাত্মিকতা, রাজনীতি এবং সমাজতত্ত্বের উপর প্রচুর লেখালেখি করে গেছেন তিনি। ভারতীয় জনসংঘ দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। পরে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়ে ছিলেন তিনি। “একাত্ম মানববাদ” দর্শনের স্রষ্টা ছিলেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রচারক হিসাবেও অনক দিন ভারত রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণের জন্য সমর্পিত ছিলেন। 

    প্রথম জীবন (Pandit Deendayal Upadhyay)

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhyaya) উত্তরপ্রদেশের বৃজভূমিতে জন্ম গ্রহণ করেন ১৯১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে। মামার বাড়িতে থেকে মেট্রিকুলেশন, ইন্টার মিডিয়েট পরীক্ষা দেন। এরপর বিএ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। অত্যন্ত মেধাবী এবং পড়াশুনায় আগ্রহী ছাত্র ছিলেন। এরপর ১৯৩৭ সাল থেকে নিজেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে নিবেদন করেন। অনেক দিন সামজিক আন্দোলন এবং ভারত রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেন। এরপর সংঘের প্রচারক হয়ে যান। ১৯৩৯ সালে নাগপুরে সংঘের প্রথমবর্ষ এবং ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বর্ষ সংঘ শিক্ষাবর্গ করেন। এরপর উপলব্ধি করেন সমাজকে সংস্কার করে ভরতের স্বাধীনতা অর্জন করা একান্ত প্রয়োজন। ধীরে ধীরে সমাজিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন।

    ভারতীয় জন সংঘের সভাপতি

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Pandit Deendayal Upadhyay) ১৮৬৭ সালে কালিকটে ভারতীয় জন সংঘের সভাপতি রূপে নির্বাচিত হন। তিনি ভারতীয় পরম্পরা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসবোধের বাইরে গিয়ে ভারতের চিন্তাকে কখনই প্রকাশ করতেন না। ভারতীয় মানসিকতার মধ্যে বিদেশী সংস্কৃতির প্রভাবকে মুক্ত করার কথা বলতেন। এই জনসংঘের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন বাংলার আরেক রাজনীতিবিদ ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বর্তমান ভারতের ভারতীয় জনতা পার্টি হল যথার্থ জনসংঘের উত্তরসুরী রাজনৈতিক দল।

    লেখক এবং সাংবাদিকতা

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Pandit Deendayal Upadhyay) অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র যেমন ছিলেন, সেই সঙ্গে প্রচুর লেখালেখি করেছেন। ভারতীয় পুরাণ, উপনিষদ, বেদ, রামায়ণ, মহাভারতের উপর প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল তাঁর। তিনি ভারতীয় হিন্দু রাজাদের বিষয়ে উপান্যাস লেখেন। “সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত” এবং “জগতগুরু শঙ্করাচার্য” নামক দুটি উপন্যাস লেখেন। এগুলি প্রকাশ হয়েছিল ১৯৪৬ এবং ১৯৪৭ সালে। আরএসএসের প্রচারক থাকার সময় ১৯৪৫ সালে মসিক “রাষ্ট্রধর্ম” এবং সপ্তাহিক “পঞ্চজন্য” সম্পাদনা করে প্রকাশ করতেন। এছাড়াও দৈনিক “স্বদেশ” নামক পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ইংরেজরা চক্রান্ত করে দেশকে ভাগ করেছিল, তাই তিনি দেশভাগের জন্য অত্যন্ত ব্যথিত হন। ১৯৬৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মুঘলসরাই স্টেশনে রহস্যজনক ভাবে তাঁর মৃত্যু হয়।

    একাত্ম মানববাদ

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Pandit Deendayal Upadhyay) মনে করতেন পুঁজিবাদ, সমাজবাদ, সাম্যবাদ, ব্যক্তি নির্ভর ভাবনার মধ্যে একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই সব মতবাদের শিকড় দেশে নয় বিদেশে অর্থাৎ ভারতের বাইরে। এই ভাবনাগুলি মানুষের মূল্যবোধের মধ্যে মানবতার পরিসরকে অনেক দূরে নিয়ে চলে গেছে। তাই ভারতীয়ত্বকে সন্ধান করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করতেন। আর তাই তিনি তাঁর একাত্ম মানবতাবাদে, মানুষের পরস্পর দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষের পরিসরকে মানবতার সমন্বয় এবং আত্ম্যানুভবের পরিভাষায় মানব দর্শনকে প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর এই দর্শনে ব্যক্তিকে সমাজ-দেশ-রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন। তিনি স্পষ্ট ভাবে দেখান, ভারতীয় সমাজ পরিবারকে বর্জন করে কখনই দাঁড়িয়ে থাকতে পরে না। ব্যক্তির যেমন পরিবারের প্রতি দায়িত্ব থাকে, ঠিক তেমনি পরিবার তার অধিকারকে সুরক্ষিত করে। আবার পরিবার, সামজের প্রতি কর্তব্য পালন করলে, সমাজও পরিবারের অধিকারকে সুরক্ষিত করে। ঠিক তেমনি সমাজ, রাষ্ট্রের জন্য কর্তব্য পালন করে আর রাষ্ট্র, সমাজের অধিকারকে সুরক্ষিত করে। এই ভাবেই মানবজাতি পরস্পরের মধ্যে মেলবন্ধনে একাত্মভাবের প্রতি বিশ্বাসের নাম হল মানবাতাবাদ। সকালের কাছে এক সত্যকে অনুভব করার নাম হল একাত্ম মানবদর্শন।   

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “কিছু শহুরে মাওবাদী এখন কংগ্রেস চালাচ্ছে”, ভোপালের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “কিছু শহুরে মাওবাদী এখন কংগ্রেস চালাচ্ছে”, ভোপালের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস দেউলিয়া এবং মরচে পড়া লোহা। কিছু শহুরে মাওবাদী এখন দল চালাচ্ছে।” সোমবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর মতে, দেশজুড়ে নেতিবাচকতার ভাইরাস ছড়াচ্ছে কংগ্রেস। চলতি বছরই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। তার আগে বিজেপির তরফে আয়োজন করা হয়েছে ‘কার্যকর্তা মহাকুম্ভে’র।

    মোদির নিশানায় কংগ্রেস 

    এই মহাকুম্ভেই ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিশানা করেন কংগ্রেসকে। তিনি বলেন, “আমাকে বলুন, কংগ্রেস আপনাদের জন্য কী ভাল কাজ করেছে। এই দল এটা নিশ্চিত করেছে যে আপনি ও লোকেরা যাতে অনুন্নয়নে আটকে থাকেন, জীবিকার অভাবে দারিদ্র ও হতাশার মধ্যে ডুবে থাকেন।” এর পরেই তিনি বলেন, “কংগ্রেস দেউলিয়া ও মরচে পড়া লোহা। কিছু শহুরে মাওবাদী এখন দল চালাচ্ছে। আর বিজেপি সরকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নীত করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে।”

    ‘প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি কংগ্রেস’

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস ৫০ বছর আগে দারিদ্র দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।” তাঁর প্রশ্ন, “মধ্যপ্রদেশকে কি আপনারা আবার কংগ্রেস আমলের মতো অসুস্থ রাজ্যে পরিণত করতে চান? আপনাদের রাজ্যে আবার দুর্নীতিবাজদের লুটপাট দেখতে চান?” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নকে বিজেপি সরকার অগ্রাধিকার দেবে। যদি বিজেপি ক্ষমতায় থাকে এবং মোদির নেতৃত্বে থাকে, তবে আপনাদের উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।”

    আরও পড়ুুন: ইন্ডি জোটের অন্দরে ফের তাল ঠোকাঠুকি! রাঘবের মেগা বিয়েকে ঘিরে আপকে বিঁধল কংগ্রেস

    কংগ্রেসের পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আক্রমণ শানান বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডিকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে দলটি একদিন সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিলের বিরোধিতা করতে চেয়েছিল, এবার কিন্তু আইনটির জন্য অপ্রতিরোধ্য সমর্থনের মুখে তাঁদের অন্য কোনও বিকল্প ছিল না।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন মহিলা সংরক্ষণ বিল কেন পাশ করেনি? অন্য জোটের শরিকদের বিপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অহংকারী জোটকে নেতৃত্ব দিতে চায় কংগ্রেস। এই দলের হতাশা স্পষ্ট এবং এখন তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করবে এবং যুবক ও মহিলাদের বিভ্রান্ত করবে। কংগ্রেস সেই দল যারা দ্রৌপদী মুর্মুকে দেশের রাষ্ট্রপতি হতে দেখতে চায়নি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat Express: শতাব্দী, রাজধানীর জায়গা নেবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কেন জানেন?

    Vande Bharat Express: শতাব্দী, রাজধানীর জায়গা নেবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে হলে এতদিন ভরসা ছিল শতাব্দী এক্সপ্রেস কিংবা রাজধানী এক্সপ্রেস। এবার এই ট্রেনগুলোর জায়গা নিতে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। এতদিন সব মিলিয়ে ২৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলত। রবিবার আরও ৯টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ৪০০টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

    জানা গিয়েছে, যাত্রীদের রেলযাত্রা সুখকর করতে আগামী চার বছরে অন্তত ৪০০টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালাবে রেল। খুব শীঘ্রই চলবে দেশের প্রথম স্লিপার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। অত্যাধুনিক এই ট্রেন তৈরি হচ্ছে প্রোটোটাইপ ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে। প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার চলবে মুম্বই দিল্লি রুটে। রাজধানী কিংবা শতাব্দী এক্সপ্রেসে যেসব সুযোগ-সুবিধা মেলে না, সেগুলো মিলবে বন্দে ভারত স্লিপারে। এটি হবে সম্পূর্ণভাবে শক প্রুফ। তাই যাত্রীদের কোনও ঝাঁকুনি লাগবে না।

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের বৈশিষ্ট্য 

    অলোক কুমার মিশ্র, ডিরেক্টর অ্যান্ড জেনারেল ম্যানেজার (মেকানিক্যাল), কাইনেক্ট স্পেশাল পারপাস ভেহিকল, আরভিএনএল বলেন, স্লিপার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি (Vande Bharat Express) ঘণ্টায় ১৬০ কিমি বেগে ছুটবে। ০ থেকে ১০০ কিলোমিটারে পৌঁছতে লাগবে ৬০ সেকেন্ডের কম সময়। সর্বোচ্চ গতি হবে ২০০ কিমি। রাজধানী কিংবা শতাব্দীও ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ছোটে। তবে সেখানে গতি বাড়াতে হয় ধীরে ধীরে। কম্পন কিংবা শক না থাকায় বন্দে ভারতের যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বেশি। রেলওয়ে ট্র্যাক এবং কোচের ক্ষতিও হবে কম। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের দরজা স্বয়ংক্রিয়। ট্রেনে রয়েছে জিপিএস, ফায়ার সেন্সর এবং ওয়াইফাইয়ের মতো ব্যবস্থা। প্রত্যেক সিটে থাকবে চার্জিং পয়েন্ট। যাত্রীদের জন্য কোচে থাকবে টিভিও।

    আরও পড়ুুন: ইন্ডি জোটের অন্দরে ফের তাল ঠোকাঠুকি! রাঘবের মেগা বিয়েকে ঘিরে আপকে বিঁধল কংগ্রেস

    অলোক জানান, প্রাথমিকভাবে ট্রেনটি (Vande Bharat Express) হবে ১৬ কোচের। পরে ধীরে ধীরে বাড়িয়ে করা হবে ২৪ কোচ। ১৬ কোচের ট্রেনটির ১১ এসি তিন কোচ, চার এসি দুই কোচ এবং ১ এসি ফার্স্ট ক্লাস কোচ থাকবে। জানা গিয়েছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কোচ হচ্ছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আওতায়। পুরো ট্রেনটিই তৈরি হচ্ছে ভারতে। বন্দে ভারতের ভাড়া রাজধানী কিংবা শতাব্দীর চেয়ে ঢের বেশি। রেলমন্ত্রক মনে করছে, আরও বেশি করে বন্দে ভারত চালালে লাভের অঙ্ক বাড়বে। তাই চেয়ার কারের পাশাপাশি স্লিপার ও জেনারেল ক্লাসের বন্দে ভারত চালানোর পরিকল্পনা করছে রেল। আপাতত স্লিপার ক্লাসের ট্রেনই বেশি করে চালানোর চেষ্টা চলছে বলে রেল সূত্রে খবর। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Canada India Relationship: বেসুরো গাইছেন দলীয় সাংসদ, বিপাকে জাস্টিন ট্রুডো, তাই সুর নরম প্রতিরক্ষামন্ত্রীর!

    Canada India Relationship: বেসুরো গাইছেন দলীয় সাংসদ, বিপাকে জাস্টিন ট্রুডো, তাই সুর নরম প্রতিরক্ষামন্ত্রীর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের অন্দরেই বেসুরো ধ্বনি। শেষমেশ তাই বোধহয় ঢোক গিলতে বাধ্য হল কানাডা সরকার। প্রায় তলানিতে ঠেকে যাওয়া ভারত-কানাড সম্পর্কের (Canada India Relationship) উন্নতি ঘটাতে সুর নরম করলেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের তদন্ত চলবে বলেও জানান তিনি।

    সরকার বাঁচাতে ভারতের দিকে আঙুল!

    গত জুন মাসে কানাডায় প্রকাশ্যে খুন হন নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার পরেই ভারত-কানাডা সম্পর্কে অবনতি হয়। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, যেহেতু শিখদের একটা বড় অংশের সমর্থনে চলছে ট্রুডোর জোট সরকার, তাই শিখদের চটানো ট্রুডোর পক্ষে সম্ভব নয়। সরকার বাঁচাতে সেই কারণে ট্রুডো দুষছেন ভারতকে।

    দলের অন্দরেই পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভ

    তবে এনিয়ে ট্রুডোর দল লিবারাল পার্টির অন্দরেই পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভ। দলীয় সাংসদ চন্দ্র আর্য সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর ওই বিবৃতির পরেই কানাডায় বসবাসকারীরা আতঙ্কে রয়েছেন। বিষয়টি উদ্বেগজনক।” দলের (Canada India Relationship) অন্দরেই বেসুরো ধ্বনি ওঠায় খানিক সুর নরম করেছে ট্রুডো সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিল ব্লেয়ার বলেন, “আমরা বুঝতে পারছি যে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার প্রশ্নে এটা (নিজ্জর হত্যা বিতর্ক) একটা কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু দেশের আইন এবং নাগরিকদের রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই আমরা তদন্ত চালিয়ে সত্যিটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।”

    আরও পড়ুুন: উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক ফাঁস! কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার পাঁচ লস্কর জঙ্গি

    ভারতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে যে সমস্যা হবে, তাও মানছেন কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “সেটা খুবই উদ্বেগের বিষয় হবে। কারণ, সে ক্ষেত্রে আমাদের সার্বভৌম ক্ষমতা খর্ব করে দেশের মাটিতেই কানাডার নাগরিককে হত্যার ঘটনা প্রমাণিত হবে।”

    এদিকে, কানাডা (Canada India Relationship) যে ক্রমেই খালিস্তানি জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে, তা জানা গিয়েছে সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, ট্রুডো সরকারের মদতে অন্তত ২১ জন কট্টরপন্থী খালিস্তানি নেতা কানাডায় আশ্রয় পেয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর তারা সে দেশের ভারতীয় হাই কমিশন সহ বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রগুলিতে হামলার ছক কষছে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Raghav Chadha Marriage: ইন্ডি জোটের অন্দরে ফের তাল ঠোকাঠুকি! রাঘবের মেগা বিয়েকে ঘিরে আপকে বিঁধল কংগ্রেস

    Raghav Chadha Marriage: ইন্ডি জোটের অন্দরে ফের তাল ঠোকাঠুকি! রাঘবের মেগা বিয়েকে ঘিরে আপকে বিঁধল কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি আম আদমি পার্টির নেতা। অথচ বিয়ে করতে গিয়ে তিনি পরেছেন ১০ লাখি পোশাক! আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডার বিয়ে হয়েছে অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার সঙ্গে (Raghav Chadha Marriage)। এই মেগা বিয়েকে কেন্দ্র করে অশান্তি দেখা দিয়েছে ইন্ডি (INDI) জোটের অন্দরে। রাঘবকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। ঘটনাচক্রে এই দুই দলই রয়েছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডিতে।

    অশান্তি ইন্ডি জোটে

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে জোট বেঁধেছে পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। এই ‘ইন্ডিয়া’র অন্দরেই নিত্য চলছে তাল ঠোকাঠুকি। জোটে থাকলেও, পঞ্জাবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়বে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন আপ নেতৃত্ব। এখানে যে কোনও আসন সমঝোতা হবে না, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেজরিওয়ালের দলের তরফে। তার জেরে আপ-কংগ্রেস দু’ পক্ষেই চলছিল আস্তিন গোটানোর কাজ।

    কটাক্ষ-বাণ কংগ্রেসের

    রাঘব-পরিণীতির বিয়েকে (Raghav Chadha Marriage) কেন্দ্র করে হাতে অস্ত্র পেয়ে যায় কংগ্রেস। তার পরেই হাত শিবিরের পক্ষ থেকে নিক্ষেপ করা হয় কটাক্ষ-বাণ। আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মানকে নিজের পোস্টে ট্যাগ করে কংগ্রেস বিধায়ক সুখপাল সিং খাইরারের প্রশ্ন, “এঁরা যদি আম আদমি হন, তবে খাস (ভিভিআইপি) কে?”  রাঘবের আয়কর রিটার্নের হিসাবও পোস্ট করেছেন সুখপাল। তিনি লিখেছেন, “একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এত বিপুল খরচ করার জন্য মানুষের কাছে জবাবদিহি করা উচিত।” তবে সাত পাকে বাঁধা পড়ার জন্য রাঘব-পরিণীতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক।

    প্রসঙ্গত, রবিবার রাজস্থানের উদয়পুরের লীলা প্যালেসে বসেছিল রাঘব-পরিণীতির বিয়ের (Raghav Chadha Marriage) আসর। বিলাসবহুল বোটে চেপে বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন রাঘব। হোটেলের যে লাক্সারি স্যুটে বর-কনে থাকছেন, রাত পিছু তার ভাড়া প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও এই বিয়েতে বিস্তর খরচ হয়েছে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক ফাঁস! কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার পাঁচ লস্কর জঙ্গি

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক ফাঁস! কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার পাঁচ লস্কর জঙ্গি

    Jammu and Kashmir: উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক ফাঁস! কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার পাঁচ লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। জন্মু ও কাশ্মীর পুলিশ (Jammu And Kashmir Police) এবং সিআরপিএফের (CRPF) যৌথ অভিযানে ফাঁস হয়েছে লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি (LeT Terrorist Module) মডিউল। জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলা থেকে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সংগঠনের পাঁচ জন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি নিরাপত্তাবাহিনীর। প্রসঙ্গত, আজই জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপির কোর গ্রুপের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    জঙ্গিদের কাছ থেকে কী কী মিলল

    জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) যৌথ প্রয়াসে এই অভিযানে সাফল্য এসেছে, বলে সেনাবাহিনী সূত্রে খবর। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের নাম আদিল হুসেন ওয়ানি, সুহেল আহমেদ দার, আইতমাদ আহমেদ লাওয়ে, মেহরাজ আহমেদ লোন, সাবজার আহমেদ খার। পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গিদের কাছ থেকে দু’টি পিস্তল, তিনটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি ইউবিজিএল গ্রেনেড লঞ্চার, দু’টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, পিস্তল এবং একে-৪৭ এর গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে থানার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: বিদেশ যাচ্ছেন রাজ্যপাল! কেন, উপাচার্যদের কী বললেন আচার্য?

    প্রসঙ্গত, মাত্র দিন দশেক আগেই কাশ্মীরের অনন্তনাগে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে জঙ্গি এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে। মোট ৪ জন জওয়ান এবং এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয় এই ঘটনায়। কাশ্মীরের প্রত্যন্ত এলাকায় ৩ জন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েই অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। এই জঙ্গিরা অনন্তনাগের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। রবিবার ধৃত জঙ্গিদের থেকে জেরায় জানা গেছে, সামনে আরও ২টি বড় নাশকতার ছক কষা হয়েছিল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: ওয়েনাড়ে থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল, চাইছে সিপিআই, ফের সংঘাতের আবহ ইন্ডি জোটের অন্দরে !

    Rahul Gandhi: ওয়েনাড়ে থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল, চাইছে সিপিআই, ফের সংঘাতের আবহ ইন্ডি জোটের অন্দরে !

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংঘাতের আবহ ইন্ডি (INDI) জোটের অন্দরে। যার জেরে অশনি সঙ্কেত দেখছেন জোটের কারিগররা। কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। এবারও ওই আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী তিনিই। তবে কেরল সিপিআই চাইছে ওয়েনাড় নয়, রাহুল বরং অন্য কোনও আসনে প্রার্থী হোন। কারণ কেরলে সিপিআই যে চারটি আসনে লড়াই করে, তার একটি হল ওয়েনাড়।

    কংগ্রেস-সিপিআই সংঘাত

    রাহুল প্রার্থী হলে একদিকে যেমন সিপিআইয়ের পরাস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে, তেমনি ইন্ডি জোট নিয়ে জনমানসে ভুল বার্তা যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে। (যেহেতু সিপিআই এই জোটে রয়েছে।) তাই সিপিআই কংগ্রেস নেতৃত্বকে অনুরোধ করেছে রাহুন যেন ওয়েনাড়ে প্রার্থী না হোন। যদিও কেরল কংগ্রেসের সাফ কথা, সিপিআই কিংবা অন্য কোনও জোটসঙ্গী (Rahul Gandhi) ঠিক করে দিতে পারে না অন্য দল কী করবে।

    অশান্তি সঙ্গী ইন্ডি জোটের 

    জন্মলগ্ন থেকেই অশান্তি পিছু ছাড়ছে না বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডির। নিষেধ সত্ত্বেও এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করায় প্রথম অশান্তি দেখা দেয়। তার পর থেকে একের পর এক অশান্তি। যার জেরে মধ্যপ্রদেশে ইন্ডির যে জনসভা হওয়ার কথা ছিল, তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এবার সংঘাত শুরু হয়েছে ওয়েনাড় আসনটিকে কেন্দ্র করে। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের আমেঠি ও কেরলের ওয়েনাড়ে প্রার্থী হয়েছিলেন রাহুল। আমেঠিতে হেরে গেলেও, ওয়েনাড়ে জয়ী হন গান্ধী পরিবারের এই প্রতিনিধি। কেরলে লোকসভার আসন রয়েছে ২০টি। এর মধ্যে সিপিআই লড়ে চারটি কেন্দ্রে।

    আরও পড়ুুন: হাওড়ায় ব্যাগ ভর্তি মানুষের কঙ্কাল মিলল পঞ্চায়েত অফিসের পাশে, আতঙ্ক

    এ রাজ্যে কংগ্রেসের লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে নয়, এলডিএফের বিরুদ্ধে। এই এলডিএফেই রয়েছে সিপিআই। আবার কংগ্রেস এবং সিপিআই দুই দলই রয়েছে ইন্ডি জোটে। তাই রাহুলকে (Rahul Gandhi) ওয়েনাড় আসনটি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছে সিপিআই। দলের এক নেতার কথায়, “বিজেপিকে পরাস্ত করার লক্ষ্য সামনে রেখে ২০২৪ সালে লড়াই হবে। এর জন্যই নানা রকম প্রস্তুতি চলছে। তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই রাহুলের আসন বাছা উচিত। এমন আসনে তাঁর প্রার্থী হওয়া উচিত, যেখানে মূল লড়াই বিজেপির সঙ্গে। ওয়েনাড় সহ কেরলের কোনও কেন্দ্রে বিজেপি মূল শক্তি নয়।” সিপিআইয়ের এই যুক্তি মানতে রাজি নয় কংগ্রেস। কেরল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে সুধাকরণ বলেন, “সিপিআই বা অন্য কোনও জোটসঙ্গী কেউই ঠিক করে দিতে পারে না অন্য দল কী করবে। আমরা চাই, রাহুল (Rahul Gandhi) ওয়ানাড়েই লড়ুন।”

    কোথাকার জল কোথায় গড়ায়, এখন সেটাই দেখার!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • CV Ananda Bose: বিদেশ যাচ্ছেন রাজ্যপাল! কেন, উপাচার্যদের কী বললেন আচার্য?

    CV Ananda Bose: বিদেশ যাচ্ছেন রাজ্যপাল! কেন, উপাচার্যদের কী বললেন আচার্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মউ করতে চলেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনে উপাচার্যদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে সে কথা জানালেন তিনি। একই সঙ্গে কোনও কিছুতে কান না দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে উপাচার্যদের কাজ করে যেতে বললেন আচার্য। রবিবার রাজভবনে গবেষণা ও পঠন-পাঠন নিয়ে দীর্ঘ দু’ঘণ্টা উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    কী নির্দেশ রাজ্যপালের

    সূত্রের খবর, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী সমস্যা, উপাচার্যদের কাছে জানতে চান আচার্য সিভি আনন্দ বোস। বিশ্বস্তরে বাংলার শিক্ষাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যান, এমনও বার্তা দেন উপাচার্যদের। এদিন মাতৃভাষায় পড়াশোনার উপর জোর দেন আচার্য। একইসঙ্গে সিভি আনন্দ বোস বলেন, এবার থেকে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি কাজ করছে কি না, তা তিনিই তদারকি করবেন। আলাদা আলাদা করে প্রত্যেক উপাচার্যের কাছ থেকে সমস্যার কথা শোনেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গেও ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা হয় তাঁর। রাজ্যপাল নির্দেশ দেন, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিক সময়ে যেন ভর্তির ব্যবস্থা হয় ও পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হয়।

    বিদেশ সফরে রাজ্যপাল

    বিদেশের কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মৌ স্বাক্ষরিত হচ্ছে? বিশ্ববিদ্যালয় ধরে ধরে এদিন তা পর্যালোচনা করেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষণা ও পঠন-পাঠনের জন্য গত জুন মাসে শেষের দিকেই “কলকাতা কমিটমেন্ট” চালু করেছিলেন রাজ্যপাল। তার লক্ষ্যপূরণে কতটা এগোতে পারল বিশ্ববিদ্যালয়গুলি, তা এদিন উপাচার্যদের থেকে জানতে চান রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্সে নিয়ে যেতে হবে। যে কোনও অভিযোগ এলেই তার নিষ্পত্তি দ্রুত করতে হবে। চলতি সপ্তাহে আপনাদের সঙ্গে আরও একবার আলোচনা করব। যে কোনও সমস্যা হলে আপনারা রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। রাজভবন সব সময় আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: দমদমে ফের এক বৃদ্ধার মৃত্যু! “সমাজবিরোধীদের মতোই রাজ্যে ভয়মুক্ত ডেঙ্গি”, দাবি বিজেপির

    মঙ্গলবারই বিদেশ সফরে উড়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল বলেন, ‘আমি কয়েকদিনের জন্য বিদেশে যাচ্ছি। ইউএন সিকিউরিটি জেনারেলের আমন্ত্রণে যাচ্ছি। সেখানে বৈঠক হবে আমার। কয়েকটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব আমি। মউ করা হবে। আমি ২ বা ৩ তারিখেই ফিরে আসব।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: দমদমে ফের এক বৃদ্ধার মৃত্যু! “সমাজবিরোধীদের মতোই রাজ্যে ভয়মুক্ত ডেঙ্গি”, দাবি বিজেপির

    Dengue Update: দমদমে ফের এক বৃদ্ধার মৃত্যু! “সমাজবিরোধীদের মতোই রাজ্যে ভয়মুক্ত ডেঙ্গি”, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন আতঙ্কের আরেক নাম ডেঙ্গি (Dengue Update)। কলকাতায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এই মশাবাহিত রোগ। কমার কোনও লক্ষণ নেই। প্রশাসনও নির্বিকার। শুধু বৈঠক, উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন এবং দোষারোপ করে দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে প্রশাসন। চলছে তথ্য গোপনের চেষ্টা। শহরে ফের এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।

    আতঙ্কপুরী দমদম

    ডেঙ্গি (Dengue Update) নিয়ে আতঙ্কপুরী হয়ে উঠছে দমদম। ফের এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ দমদম এলাকা থেকে। এবার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। এ নিয়ে দমদম এলাকা থেকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ৬। দমদম পুরসভার ২৭নং ওয়ার্ডের শ্যামনগর অঞ্চলে মৃত্যু হল এক বয়স্ক ভদ্র মহিলার। রুনা বসাক নামে ৫৩ বছর বয়সি ওই মহিলা চলতি মাসের ১৪ তারিখ নাগেরবাজার সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন।  প্রসঙ্গত, কলকাতা ছাড়া নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এবং হুগলি জেলায় রেড জোন চিহ্নিত করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

    প্রতিদিন নতুন ডেঙ্গি আক্রান্ত ৩০০

    পুজোর আগে ডেঙ্গি (Dengue Update) নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্কের শেষ নেই। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন রাজ্যে ২৫০ থেকে ৩০০ জন নতুন ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি ডেঙ্গি থাবা বসিয়েছে গ্রামাঞ্চলেও। জেলায় জেলায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠানো হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ এই তিনটে জেলা নিয়ে চিন্তার কারণ সবথেকে বেশি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত এক সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭,৭৬০ জন।

    রাজ্য সরকার-পুর প্রশাসন নিরুত্তর

    রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। পুজো পেরিয়েও এই দাপট বজায় থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নভেম্বর পর্যন্ত থাকতে পারে ডেঙ্গির দাপট। তবু নিরুত্তাপ রাজ্য। তথ্য গোপনে ব্যস্ত সরকার। সব রাজ্য ডেঙ্গি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা দিলেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে এখনও কোনও রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। এ প্রসঙ্গে রাজ্যকে বিঁধলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। তিনি বলেন, “ডেঙ্গি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কোথাও কোনও তৎপরতা নেই। ডেঙ্গি রোধ করার জন্য পুরনিগমের যে ভূমিকা থাকা উচিত, জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য যে কর্মসূচি নেওয়া উচিত এবং কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত সেটা একবিন্দু মানে না। সেটা দিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না। আমাদের রাজ্যে সমাজবিরোধীরা যেমন ভয়মুক্ত হয়ে গেছে, যে পুলিশ তাদের কিছু করতে পারবে না, সেরকমই মশারাও ভয়মুক্ত হয়ে গেছে যে এই সরকার বা পুরনিগম তাদের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। তারাও নির্ভয়ে বিচরণ করছে।” 

    আরও পড়ুন: এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রথম সোনা! শ্যুটিংয়ে বিশ্বরেকর্ড করে চ্যাম্পিয়ন দিব্যাংশ-রুদ্রাংশ-ঐশ্বর্য

    জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় রেফার

    দুর্ভাগ্যের বিষয় এটাই যে, এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় রেফার করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা যে প্রেসক্রিপশন লিখছে সেখানে ডেঙ্গি শব্দ নেই, বলে মত আক্রান্তদের। কোথাও বলছে, অজানা জ্বর, কোথাও বলছে পাহাড়ি জ্বর। মুর্শিদাবাদ জেলা, মালদা জেলায় এধরনের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এখানেও ডেঙ্গি প্রতিরোধ করার যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন আছে, সরকারকে যতটা তৎপর হতে হয়, মুখ্যমন্ত্রী-স্বাস্থ্যমন্ত্রীর যতটা মধ্যস্থতার প্রয়োজন আছে সেটা হচ্ছে না, বলে দাবি বিরোধীদের। কার্যত মানুষকে খোলা মৃত্যুর দিকে, অসহায় অবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, বলে অভিমত সাধারণ মানুষের।

    ডেঙ্গিতে ছারখার বাংলাদেশ

    বাংলাদেশেও ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গি (Dengue Update)। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে চলতি বছরে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য দফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গি বিষয়ক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেই দেশে ডেঙ্গিতে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে চলতি বছরে বাংলাদেশে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯০৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩,০০৮ জন নতুন ডেঙ্গি রোগী। ফলে, সেই দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে, বর্তমানে, ১০,৪৭০ জন ডেঙ্গি রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share