Tag: bangla news

bangla news

  • Kolkata Derby: লক্ষ্মীপুজোর দিন আইএসএলে কলকাতা ডার্বি! ম্যাচ ঘিরে অনিশ্চয়তা

    Kolkata Derby: লক্ষ্মীপুজোর দিন আইএসএলে কলকাতা ডার্বি! ম্যাচ ঘিরে অনিশ্চয়তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএলে (ISL 2023-24) কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby) ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ দেওয়া হয়েছে ২৮ অক্টোবর। সে দিন লক্ষ্মীপুজো। সে দিনই আবার ইডেন গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের মধ্যে বিশ্বকাপের ম্যাচ রয়েছে। সে দিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলা আয়োজন করা যাবে কি না তা নিশ্চিত নয় রাজ্য ক্রীড়া দফতর। এর ফলে ম্যাচ পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

    মাঠ পাওয়া যাবে না

    মরশুমের প্রথম কলকাতা ডার্বিতে (Kolkata Derby)  ইস্টবেঙ্গল হারিয়ে দেয় মোহনবাগানকে। ডুরান্ডের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে বদলা নেয় মোহনবাগান। এবার আইএসএলের বড় ম্যাচের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ফুটবলপ্রেমীরা। আইএসএলের মোহন-ইস্ট লড়াইয়ের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ অক্টোবর। স্বাভাবিকভাবেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ম্যাচটি। তবে ওই দিন মাঠই পাওয়া যাবে না। রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের সচিব মুকেশ সিংহ জানিয়েছেন, ২৮ অক্টোবর ডার্বি আয়োজন নিয়ে দুই প্রধান চিঠি দিয়েছিল ক্রীড়া দফতরে। জবাবে তিনি মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলকে জানিয়ে দিয়েছেন, দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত সব দফতরে ছুটি থাকে। তাই ওই সময় যুবভারতী দেওয়া সম্ভব নয়। 

    আরও পড়ুন: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    সমস্যা আরও দুটি ম্যাচ নিয়ে

    ওই দিন ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ। ইডেনের ম্যাচের সঙ্গে আইএসএলের (ISL 2023-24) ম্যাচ আয়োজনের কোনও সম্পর্ক না থাকলেও উৎসবের মাঝে ছুটির মেজাজে থাকবে সারা বাংলা। এই সময়ে আরও কয়েকটি ম্যাচ ঘিরে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ২১ অক্টোবর সল্টলেকে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার কথা এফসি গোয়ার। সেই দিন আবার দুর্গাপুজোর সপ্তমী। ২৪ অক্টোবর, দশমীর দিন আবার এএফসি কাপে বসুন্ধরার বিরুদ্ধে খেলা রয়েছে মোহনবাগানের। দু’টি খেলা যুবভারতীতে হওয়ার কথা। পুজোর সময় এই দু’টি ম্যাচ ঘিরেও অনিশ্চয়তা রয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Supreme Court: স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি, রাজভবন-নবান্ন সংঘাতে ইতি টানতে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Supreme Court: স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি, রাজভবন-নবান্ন সংঘাতে ইতি টানতে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সঙ্কট কাটাতে সাহায্য করতে হবে। শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে এমনই বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করার নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। উপাচার্য নিয়োগে প্রধান ভূমিকা নেবে এই সার্চ কমিটিই। এর পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নতির দিকে নজর দেওয়ার জন্য রাজ্য ও রাজ্যপাল দু’ পক্ষকেই উদ্যোগী হতে হবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ

    এদিন বিচারপতি সূর্য কান্ত ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চের নির্দেশ, রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করতে ২৫ সেপ্টেম্বর সার্চ কমিটি গঠন করে দেবে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগেই শীর্ষ আদালতে জমা দিতে হবে প্যানেলের সদস্যদের নাম। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, রাজ্য সরকার পাঁচজন সদস্যের নাম জানাবে। আচার্যও জানাবেন পাঁচজন সদস্যের নাম। ইউজিসির তরফেও দিতে হবে পাঁচজনের নাম। এঁদের মধ্যে থেকেই প্রত্যেক পক্ষ থেকে সমসংখ্যক নাম বেছে নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করে দেবে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই কমিটিই প্রস্তাব করবে স্থায়ী উপাচার্যের নাম।

    ‘রাজ্যপালকে অপমান করা হচ্ছে’

    রাজ্যপালের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য যে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল, এদিন তা দেয়নি শীর্ষ আদালত। যার অর্থ, আপাতত স্বপদেই বহাল থাকছেন রাজ্যপাল মনোনীত অস্থায়ী উপাচার্যরা। এদিনের শুনানিতে রাজ্যের তরফে সওয়াল  করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। আর রাজ্যপালের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “আদালতের নির্দেশ মোতাবেক রাজ্যের তরফে আলোচনায় ডাকা হলেও, তাতে সাড়া দেননি রাজ্যপাল।” পাল্টা রাজ্যপালের আইনজীবী বলেন, “প্রতিদিন রাজ্যপালকে প্রকাশ্যে অপমান করা হচ্ছে। তাই আলোচনার উপযুক্ত পরিবেশ নেই।”

    আরও পড়ুুন: নির্দিষ্ট সঞ্চালকদের বয়কটের সিদ্ধান্ত ইন্ডি জোটের, ‘স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গি’র পরিচয়, কটাক্ষ বিজেপির

    দু’ পক্ষের সওয়াল শেষে আদালত জানায়, মতপার্থক্য ভুলে এগোনো উচিত রাজ্য ও রাজ্যপালের। আপনাদের ব্যক্তিগত ইগোর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রছাত্রীরা ভুক্তভোগী হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যপালকেও সঙ্কট কাটাতে সহযোগিতা করার পরামর্শ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন আচার্য। এর জেরেই রাজভবন-নবান্ন বিবাদের সূত্রপাত। আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যায় রাজ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
  • Aditya-L1: চতুর্থ কক্ষপথ বদল সফলভাবে করল আদিত্য-এল১, এর পর কী?

    Aditya-L1: চতুর্থ কক্ষপথ বদল সফলভাবে করল আদিত্য-এল১, এর পর কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্যের দিকে আরও এক ধাপ এগলো ভারতের সৌরাভিযান। শুক্রবার, পূর্ব-নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সাফল্যের সঙ্গেই চতুর্থ কক্ষপথ বদল করলো আদিত্য-এল১ (Aditya-L1)। সেই খবর ট্যুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডলে জানিয়েছে ইসরো।

    সফল চতুর্থ কক্ষপথ বদল প্রক্রিয়া

    এদিন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়, শুক্রবার ভোররাতে আবার একটি কক্ষপথ বদল করেছে আদিত্য। ইসরো বলেছে, চতুর্থ আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভার (পরিভাষায় ইবিএন#৪) সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়েছে। সেই সময় মরিশাস, বেঙ্গালুরু, শ্রীহরিরোটা ও পোর্টব্লেয়ারে অবস্থিত গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে উপগ্রহর ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। অন্যদিকে, কক্ষপথ বদলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর আদিত্য-এল১ (Aditya-L1) সঠিক দিশা ধরে এগোচ্ছে কিনা তা নির্ধারণ করতে ফিজি দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত ট্রান্সপোর্টেবল টার্মিনাল নজর রাখছিল।

    ১৯ সেপ্টেম্বর বড় পরীক্ষা আদিত্যর

    ইসরো জানিয়েছে, চতুর্থ কক্ষপথ বদলের পর আদিত্য ২৫৬ x ১,২১,৯৭৩ কিলোমিটার পরিধির উপবৃত্তাকার কক্ষপথে অবস্থান করছে। এর পর বড় পরীক্ষা আসতে চলেছে ১৯ সেপ্টেম্বর। সেদিন পঞ্চমবার কক্ষপথ বদল করবে আদিত্য। তবে সেটি এগুলির মতো আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভার হবে না। সেটি হতে চলেছে ট্রান্স-ল্যাগ্রাঞ্জেয়ান পয়েন্ট ১ ইনসার্শান। অর্থাৎ, সেদিন উপগ্রহকে ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্টের দিশায় প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হবে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল প্রক্রিয়া। কারণ, সেদিন পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চিরতরে ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্টের দিকে পাড়ি দেবে আদিত্য-এল১ (Aditya-L1)। এই প্রক্রিয়া হবে ১৯ তারিখ মধ্যরাত ২টো নাগাদ।

    এখনও গতি বাড়াচ্ছে আদিত্য-এল১

    গত ২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পিএসএলভি-সি৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় ১ হাজার ৪৮০ কেজি ওজনের আদিত্য-এল১। উৎক্ষেপণের ১২৫ দিন পর ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট এল১-এ পৌঁছনোর কথা ভারতের সৌরযানের। এর মধ্যে প্রথম ১৬ দিন পৃথিবীর চারপাশে চক্কর কাটতে কাটতে প্রয়োজনীয় গতি সঞ্চয় করে চলেছে আদিত্য-এল১ (Aditya-L1)। এদিনের কক্ষপথ বদল সেই প্রক্রিয়ার অঙ্গ। এর পর ১৯ তারিখের প্রক্রিয়ার পর ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ‘হ্যালো’ পয়েন্ট এল১-এর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে আদিত্য। সেখানেই গিয়ে স্থায়ীভাবে থাকবে এবং সূর্যের জরিপ করবে ভারতের প্রথম সৌরযান।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Govinda: ১০০০ কোটির আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়াল গোবিন্দার! পুলিশি জেরার মুখে সুপারস্টার 

    Govinda: ১০০০ কোটির আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়াল গোবিন্দার! পুলিশি জেরার মুখে সুপারস্টার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ১০০০ কোটি টাকার অনলাইন ‘পঞ্জি’ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল বলিউডের ‘হিরো নম্বর ওয়ান’ গোবিন্দার। পুলিশি জেরার মুখে পড়তে চলেছেন তিনি। গোবিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসবে ওড়িশার অর্থনৈতিক অপরাধদমন শাখা। সোলার টেকনো অ্যালায়েন্স নামের কোম্পানি ক্রিপ্টো কারেন্সির আড়ালে ভারতে এই ধরনের দুনীর্তি জাল বিস্তার করেছে।  এই সংস্থার হয়ে প্রচারমূলক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল গোবিন্দাকে। আর সেই কারণে গোবিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

    গোবিন্দার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ

    ওড়িশার অর্থনৈতিক অপরাধদমন শাখার আধিকারিক জে এন পঙ্কজ জানান, খুব শীঘ্রই অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য একটি টিম মুম্বইতে যাবে। গত জুলাই মাসে ওই সংস্থার একটি অনুষ্ঠানে গোয়াতে গিয়েছিলেন অভিনেতা। যদিও পরে ওই আধিকারিক বলেন, ‘‘তদন্তের স্বার্থে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গোবিন্দা এই ঘটনায় অভিযুক্ত নন, কিংবা সন্দেহভাজনও নন। পরে যদি দেখা যায় যে, সোলার টেকনো অ্যালায়েন্সের সঙ্গে গোবিন্দ বিজ্ঞাপনের চুক্তিতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন, তা হলে তাঁকে সাক্ষী হিসাবে পেশ করা হবে।’’

    আরও পড়ুন: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    কী বললেন গোবিন্দা

    এই তলব নিয়ে এখনও পর্যন্ত বলিউড সুপারস্টারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে মুখ খুলেছে তাঁর টিম। গোবিন্দার ম্যানেজার সাসি সিনহা বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে অভিনেতার কোনও যোগাযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, “একটি সংস্থার ইভেন্টে গোবিন্দা গিয়েছিলেন এবং তিনি ফেরতও আসেন। এর সঙ্গে সংস্থার ব্যবসা বা ব্র্যান্ডিংয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। অর্ধসত্য চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।” ওডিশা পুলিশ সূত্রে খবর, ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগের নামে এই সংস্থাটি ভদ্রক, ময়ূরভঞ্জ, ভুবনেশ্বরে কমপক্ষে দশ হাজার মানুষের থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা তুলেছিল। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, পঞ্জাব, রাজস্থানেও এই সংস্থার জাল ছড়িয়েছিল বলে তদন্তকারীদের অনুমান। এবার ঘটনার সঙ্গে গোবিন্দার নাম যোগ হওয়ায় হইচই বিনোদন জগতে। যদিও এই জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত গোবিন্দা বা তাঁর পরিবারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • BJP: নির্দিষ্ট সঞ্চালকদের বয়কটের সিদ্ধান্ত ইন্ডি জোটের, ‘স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গি’র পরিচয়, কটাক্ষ বিজেপির

    BJP: নির্দিষ্ট সঞ্চালকদের বয়কটের সিদ্ধান্ত ইন্ডি জোটের, ‘স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গি’র পরিচয়, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিল ইন্ডি জোট! অন্ততঃ বিজেপির (BJP) অভিযোগ তেমনই। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের বাসভবনে বৈঠকে বসেছিল ইন্ডি জোটের সমন্বয় কমিটি। সেখানে টেলিভিশনের ১৪ জন সঞ্চালককে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    কড়া সমালোচনা বিজেপির

    বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডির এহেন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। ইন্ডি জোটকে অহংকারী জোট বলে কটাক্ষ করেছে পদ্মশিবির। দলের প্রধান মুখপাত্র অনিল বালুনির তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জরুরি অবস্থার সময় সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। এখনও কিছু রাজনৈতিক দল সেই অহংকার বজায় রেখেছে। তারা দেশকে আবারও জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে চায়।”

    ‘জরুরি অবস্থার মতো মানসিকতা’

    পদ্মশিবিরের (BJP) দিল্লির অফিস থেকে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের পিছিয়ে থাকা মানসিকতা মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী’। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ইন্ডি জোটকে নিশানা করে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এফআইআর করে, সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে, নাৎসি কায়দায় কাকে কাকে টার্গেট করা হবে সেই তালিকা বানানো হচ্ছে। এই দলগুলির মধ্যে জরুরি অবস্থার মতো মানসিকতা এখনও রয়ে গিয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস আমলে বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমের ওপর চাপ তৈরি করে ভিন্ন মতের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হয়েছে। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এনিয়ে একটি তালিকাও দিয়েছেন নাড্ডা।

    আরও পড়ুুন: ৫০ কোটির দুর্নীতি মামলা! রাজ্যকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এদিকে, ইন্ডি জোটের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশন বা এনবিডিএ (NBDA)। লিখিত বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, বিরোধী জোট যেভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকের টিভি নিউজ শো বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা গণতন্ত্রের মূল সুরের বিরোধী। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘বিরোধী জোট সব সময় বহুত্ববাদ ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে। কিন্তু তাদের এই সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের মৌলিক শর্ত অর্থাৎ ভাবনা ও মতপ্রকাশের অবিচ্ছেদ্য (BJP) স্বাধীনতাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে’। তাদের মতে, এভাবে কয়েকজন সাংবাদিক বা সঞ্চালককে বয়কটের সিদ্ধান্ত যেন সেই এমার্জেন্সি অধ্যায়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে দেশকে। যখন সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া হত, স্বাধীন মত দমন করা হত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Justice Abhijit Gangopadhyay: ৫০ কোটির দুর্নীতি মামলা! রাজ্যকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: ৫০ কোটির দুর্নীতি মামলা! রাজ্যকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋনদান সমবায় সমিতিতে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মামলায় সিআইডি এখনও কেন নথি তুলে দেয়নি সিবিআই ও ইডিকে তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।  মামলায় এদিন সিআইডির নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে হাইকোর্ট। ২ সপ্তাহের মধ্যে জরিমানার টাকা দিতে হবে রাজ্যকে। এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    অন্তত ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি

    আলিপুরদুয়ারে একটি সমবায় গোষ্ঠীতে অন্তত ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত ২৪ অগস্ট একযোগে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তে নামার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। সিবিআইয়ের কাছে সিআইডি মামলার নথি হস্তান্তর করেনি। উল্টে আগের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছে সিআইডি। সিবিআই আদালতে দাবি করে, আদালতের নির্দেশ দেওয়ার পরেও তাদের হাতে এই মামলার কোনও নথি তুলে দেয়নি সিআইডি। তার পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে সমস্ত নথি তুলে দিতে হবে। যদি সিবিআইয়ের হাতে নথি তুলে না দেওয়া হয় তা হলে স্বরাষ্ট্র সচিবকে ডেকে পাঠানো হবে।

    আরও পড়ুন: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    কী বললেন বিচারপতি

    সিআইডির উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “টাকা কারা আত্মসাৎ করেছে আমি জানি। যাঁরা সাইকেল চড়ে ঘুরত, গরিব মানুষের টাকা মেরে তাঁরা এখন গাড়ি চড়ছে। কোর্টের সঙ্গে খেলা হচ্ছে?” তিনি আরও বলেন, “আপনারা (সিআইডি) তো এত দিন তদন্ত করলেন। কেন কিছু হল না? তদন্তের অগ্রগতি হয়নি বলেই সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল। তিন দিনের মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে নথি না দিলে স্বরাষ্ট্র সচিবকে ডেকে পাঠাব।” পাশাপাশি সিবিআইকে ডেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এটা ৫০ কোটির দুর্নীতি। গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। গ্রামের মানুষ সব্জি বিক্রি করে ওই টাকা রেখেছিল। প্রতারণা করা হয়েছে।” আবার ইডিকে তিনি বলেন, “যত বড় প্রভাবশালী হোক, গ্রেফতার করুন। এঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া উপায় নেই। দ্রুত তদন্ত শুরু করুন।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Mamata Foreign Tours: স্পেন নয় প্রথম! অতীতেও লগ্নি আনতে বিদেশে গিয়েছিলেন মমতা, প্রাপ্তি ‘লবডঙ্কা’

    Mamata Foreign Tours: স্পেন নয় প্রথম! অতীতেও লগ্নি আনতে বিদেশে গিয়েছিলেন মমতা, প্রাপ্তি ‘লবডঙ্কা’

    একদা রোমান সেনেটকে লেখা এক চিঠিতে রোম সম্রাট জুলিয়াস সিজার উল্লেখ করেছিলেন ‘ভেনি, ভিডি, ভিসি’ শব্দবন্ধের। বাংলায় যার অর্থ— ‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’ স্বরূপ। এরাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে আসা দেশি-বিদেশি শিল্পপতিদের মুখে ‘পি-থ্রি’ থাকে। যার অর্থ— প্রবেশ, প্রস্তাব, প্রস্থান…

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক এক যুগ আগে, ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর মসনদে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বাস দিয়েছিলেন, রাজ্যে শিল্পে জোয়ার আনবেন তিনি। দাবি করেছিলেন, বিনিয়োগের বন্যায় ভেসে যাবে রাজ্য। কিন্তু, সব প্রতিশ্রুতিই সার! যদিও, এখনও সেই একই বুলি আওড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই গালগপ্পোকে হাতিয়ার করেই তিনি বর্তমানে স্পেন-মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়েছেন— রাজ্যে বিনিয়োগ আনতে (Mamata Foreign Tours)। যদিও, শেষেমেশ কী আসবে, তা নিয়ে জোর বিতর্ক হতেই পারে। কারণ, অতীতে যে বাণিজ্য-শিল্প সফর করেছিলেন তিনি, সেখান থেকে কার্যত খালি হাতেই ফিরেছেন (Bengal Industry Situation)। 

    রাজ্যে বিনিয়োগ খতিয়ান

    দেশে-বিদেশে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক বাণিজ্য সম্মেলন থেকে শুরু করে শিল্প মেলার আয়োজন করেছেন। প্রত্যেকটায় নিট ফল শূন্য। না, এটা বিরোধীদের গাল-ভরা অভিযোগ নয়। খোদ সরকারি পরিসংখ্যানই তাই বলছে। ২০১৫ সালে রাজ্যের শিল্প সম্মেলনে ঘোষিত হয়েছিল ২,৪৩,১০০ কোটি টাকার লগ্নি৷ বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ৯৮৩ কোটি টাকা৷ অর্থাৎ ঘোষণার মাত্র ০.৪ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে৷ ২০১৬ সালে বাস্তবায়িত হয়েছে ৩,৪৩৩ কোটি টাকা যা ঘোষণার ১.৩ শতাংশ, ২০১৭ সালে বাস্তবায়িত হয়েছে ২,৫৩৬ কোটি টাকা, যা ঘোষণার ১.০৭ শতাংশ।

    প্রবেশ, প্রস্তাব, প্রস্থান

    ইতিহাসবিদদের মতে, আনুমানিক ৪৭ খৃষ্টপূর্ব সময়ে জুলিয়াস সিজার রোমান সেনেটকে লেখা এক চিঠিতে একটি বীরত্বসূচক বাক্যাংশ উল্লেখ করেছিলেন। যা পরবর্তীকালে, অমর হয়ে যায়। সেই বাক্যাংশটি ছিল ‘ভেনি, ভিডি, ভিসি’। বাংলায় যার অর্থ— ‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’ স্বরূপ। রোম সম্রাটের বাক্যাংশ ‘ভি-থ্রি’ (তিনটে ইংরেজি অক্ষর ভি) হলে, এরাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে আসা দেশি-বিদেশি শিল্পপতিদের মুখে ‘পি-থ্রি’ থাকে। যার অর্থ— প্রবেশ, প্রস্তাব, প্রস্থান। অর্থাৎ, তাঁরা আসেন, বড় বড় প্রস্তাব-প্রতিশ্রুতি দেন এবং প্রস্থান করেন। এ তো গেল রাজ্য সম্মেলনের কথা। এবার আসা যাক বিদেশে মমতার শিল্প-বাণিজ্য সম্মেলনের কথায়। মসনদে আসীন হওয়ার পর মমতা প্রথম বিদেশে বাণিজ্য সম্মেলন করেন সিঙ্গাপুরে ২০১৪ সালের অগাস্ট মাসে (Mamata Foreign Tours)। সেবার ব্যাঙ্কিং, তথ্যপ্রযুক্তি জগতের একঝাঁক প্রতিনিধি সহ ৫২ জন বণিক-কর্তা ও ১২ জন সরকারি আধিকারিক মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছিলেন। ছিলেন বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্বরাও।

    সিঙ্গাপুর থেকে কি কিছু এল?

    টলিউডের আশা ছিল, সিঙ্গাপুরে যেমন হলিউডের স্টুডিও আছে, সেই মতো বিদেশি স্টুডিও যেন এরাজ্যেও গড়ে ওঠে। টলিউডের দাবি ছিল, সিঙ্গাপুরের পরিকাঠামো যাতে এরাজ্যে আসে, তার প্রয়াস যেন করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Foreign Tours)। শোনা গিয়েছিল, সিঙ্গাপুরের মতো দিঘাতেও ওয়াটার ওয়ার্ল্ড গড়ে উঠবে। তৈরি হবে আন্ডারওয়াটার পার্ক, সাবমেরিন মিউজিয়াম। শেষে দেখা গেল, সিঙ্গাপুর থেকে বিনিয়োগের ছিঁটেফোঁটাও এলো না। দিঘায় এখন শুধুমাত্র সিঙ্গাপুরি কলা পাওয়া যায়। ওয়াটার ওয়ার্ল্ড বিশ বাঁও জলে। এও শোনা গিয়েছে, সিঙ্গাপুরে বসবাসকারী এক অনাবাসী ভারতীয় পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন। তিনি বালিতে জমি কিনেছিলেন। কিন্তু, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের মাধ্যমে তাঁকে টাকার জন্য এত চাপ দেওয়া হয়, যে সেই অত্যাচারে তিনি চলে যান এরাজ্য থেকে (Bengal Industry Situation)।

    কলকাতা হয়ে উঠল কি লন্ডন?

    মসনদে বসেই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, কলকাতাকে লন্ডন বানিয়েই ছাড়বেন। সেই গপ্পে ভর করে ২০১৫ সালে লন্ডন সফরে যান মমতা (Mamata Foreign Tours)। তৎকালীন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন, সাংসদ-শিক্ষাবিদ সুগত বসু, সাংসদ-অভিনেতা দেব, ফিকির সভাপতি জ্যোৎস্না সুরি-সহ এক বিশাল দল নিয়ে জুলাই মাসের শেষে লন্ডন সফর করেন মমতা। ঘটা করে বাণিজ্য সম্মেলন হয়। একাধিক বৈঠক, কথা-আলোচনা… সেবারও অনেক প্রতিশ্রুতি প্রাপ্তি ঘটেছিল। ব্যস, ওই পর্যন্তই। গাল-গপ্পো শেষে দেখা গেল, সবই ‘ধাপ্পা’ (Bengal Industry Situation)। আট বছর পর, সম্প্রতি রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সদর্পে ঘোষণা করেন, কলকাতাকে লন্ডনের থেকেও ভালো করে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এও দাবি করেন, লন্ডনে একটা হাইড পার্ক আছে। সেখানে কতগুলো চিপসের দোকান আছে আর কয়েকটা হাঁস চরে বেড়ায়। আর কিছু নেই।

    মমতার জার্মানি-ইতালি সফর

    এখানেই শেষ নয়। রাজ্যে শিল্প টানতে মুখ্যমন্ত্রী অতীতে নেদারল্যান্ডস থেকে শুরু করে জার্মানি, ইতালিতেও পাড়ি দিয়েছিলেন।  রাজ্যে বিনিয়োগ টানতেই এই  বিদেশ সফরে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Foreign Tours)। ২০১৭ সালের জুন মাসে স্থানীয় বণিকসভার সঙ্গে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক, সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। এছাড়াও ছিলেন রাজ্যের শিল্প প্রতিনিধিরাও। এর পর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ১২ দিনের সফরে জার্মানি ও ইতালি যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবারও তাঁর সঙ্গী ছিলেন অমিত মিত্র। তাছাড়া তৎকালীন মুখ্যসচিব মলয় দে, তৎকালীন অর্থসচিব (বর্তমানে মুখ্যসচিব) এইচকে দ্বিবেদীও গিয়েছিলেন মমতার সঙ্গে। সেবার ফ্র্যাঙ্কফুর্ট এবং মিলানে বণিকসভার সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। কিন্তু, সেখান থেকেও কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে (Bengal Industry Situation)। 

    কেন রাজ্যের শিল্পের এই দুরবস্থা?

    বিরোধীদের কটাক্ষ, কোনও শিল্পপতি এরাজ্যে বিনিয়োগে রাজি হননি। কোনও শিল্পপতি রাজ্যে বিনিয়োগ করে অর্থ নষ্ট করতে চাইছেন না। তাঁদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যবে থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, তবে থেকেই বিজনেস সামিট হয়। কিন্তু সেখানে নামকরা কোনও শিল্পপতি আসেন না। থাকেন কিছু সাজানো শিল্পপতি। আর ওই একই লোকেরা প্রতিবছর এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি তোলেন। তাঁরা ভালো ভালো কথা বলেন, কিন্তু বিনিয়োগ করেন না। শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য শিল্পে পরিকাঠামো, আইনশৃঙ্খলা ক্রমশ অবনতি ঘটাতেই নতুন বিনিয়োগে ভরসা পাচ্ছেন না মাঝারি শিল্পপতিরা। এছাড়াও রাজ্যে শাসক দলের দাপট বেড়ে চলায় রাজ্যে বিনিয়োগে ভরসা কমেছে নতুন শিল্প উদ্যোগীদের (Bengal Industry Situation)। এছাড়াও শাসক দলের শিল্প তাড়ানোর যে ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে, তা থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি রাজ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Dengue: খাস কলকাতায় ডেঙ্গির বলি আরও এক, এবার মৃত্যু খোদ চিকিৎসকের

    Dengue: খাস কলকাতায় ডেঙ্গির বলি আরও এক, এবার মৃত্যু খোদ চিকিৎসকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন তিনেক আগে মারা গিয়েছিলেন অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের বোন। ডেঙ্গিতে (Dengue) ভুগছিলেন তিনি। কলকাতায় ফের ডেঙ্গির বলি হলেন একজন। এবার ডেঙ্গি যাঁর প্রাণ কেড়েছে, তিনি পেশায় চিকিৎসক। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসকের নাম দেবদ্যূতি চট্টোপাধ্যায়। মাত্র ২৮ বছরেই জীবনের মায়া ত্যাগ করতে হল তাঁকে। গড়ফার শহিদ নগর এলাকায় বাড়ি ওই চিকিৎসকের। দিন চারেক ধরে জ্বর থাকায় প্রথমে তাঁর চিকিৎসা চলছিল বাড়িতে। পরে তাঁকে ভর্তি করা হয় বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই প্রয়াত হন তিনি। ওই বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চক্ষু দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মৃত চিকিৎসকের পরিবার।

    ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত তুঙ্গে

    ফি বর্ষায় রাজ্যে বাড়বাড়ন্ত হয় ডেঙ্গির (Dengue)। যত্রতত্র জমা জল, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকঠাক পরিষ্কার না হওয়া সহ নানা কারণে রাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত বলে রাজ্যবাসীর অভিযোগ। প্রতি বছর তারই মাশুল গোনেন রাজ্যবাসী। কেউ হারান সন্তান, কেউ হারান বাবা কিংবা মা অথবা কোনও স্বজন-বান্ধবকে। রাজ্যে বর্ষা নামার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এ রাজ্যে হানা দেয় ডেঙ্গি। কিছুদিন আগেই ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার। চলতি বছর অগাস্ট মাসে ডেঙ্গির (Dengue) বাড়বাড়ন্ত তুঙ্গে। ২৭ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ হাজার ৩৬৯ জন। এর একমাস পরেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজারের চৌকাঠ। অর্থাৎ, প্রতিদিন রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন তিনশোরও বেশি

    শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা

    পরিসংখ্যান বলছে, ডেঙ্গি সংক্রমণে প্রতিবার প্রথমে থাকে উত্তর ২৪ পরগনা। এর পর কলকাতা। এবারও তালিকার একেবারে ওপরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজার চারেক। বিধাননগরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৪। দক্ষিণ দমদমে ৩১০। আর শহর কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮৯ জন।

    সরকারি হিসেবে এই পরিসংখ্যান মিললেও, বেসরকারি হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা ঢের বেশি। স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব থেকে জানা গিয়েছে, অন্যান্যবার গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপ ততটা দেখা যায় না। তবে এবার গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপ ৬০ শতাংশ। আর শহরাঞ্চলে ৪০ শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    শহরের এই ৪০ শতাংশের মধ্যেই রয়েছেন সাহেবের বোন, রয়েছেন সদ্য প্রয়াত চিকিৎসকও। সাহেবের বোন মারা (Dengue) যাওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল টলিউড। অভিনেত্রী দেবলীন দত্ত বলেছিলেন, ডেঙ্গি বা এমন অতিমারি চিন্তা তো বাড়াবেই। রোগের উৎসটা চিন্তার। এ ধরনের রোগ তো হবেই। এমন একটা নোংরা শহর। কোনও রক্ষণাবেক্ষণ নেই।’’ তাঁর ক্ষোভ, ‘‘রাস্তাঘাটের কী খারাপ অবস্থা! বছরের পর বছর দেখে যাচ্ছি, যেখানে জল জমার সেই জমেই থাকছে। কোনও সুরাহা হচ্ছে না। এগুলোই তো অসুখের উৎস। সেগুলোকে ঠিক করার জন্য কোনও সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক অভিনেতা সখেদে বলেছিলেন, “আমাদের শহরটা কার্যত ভাগাড়ে ভরে গিয়েছে। তাতেই মশার আঁতুড়ঘর। যা বিপদ বাড়াচ্ছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Bengal Football: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    Bengal Football: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশিচমবঙ্গে ফুটবল অ্যাকাডেমি তৈরি করবে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। মাদ্রিদে বসে সদর্পে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায় (Mamata Banerjee)। স্বাক্ষরিত হল মউ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই অ্যাকাডেমি তৈরি করে কি আদৌ কোনও লাভ হবে বাংলার ফুটবলের? নাকি পুরোটাই গিমিক। 

    কীসের তাগিদ লা-লিগার

    বাংলার ফুটবল (Bengal Football) উন্নতিতে লা লিগার বিশেষ তাগিদ না থাকাই স্বাভাবিক। তারা আসলে মার্কেট ধরার চেষ্টা করছে। বাংলায় ফুটবলের বিপুল জনপ্রিয়তার কথা সকলরেই জানা। যা ধরা পড়েছে লা লিগার প্রসিডেন্ট জাভিয়ার তেভেজের ট্যুইটেও। আর এই সুযোগটাই তিনি কাজে লাগাতে চাইছেন স্পেনের ফুটবল বাজারকে সম্প্রসারিত করতে। একটা সময় ভীষণই জনপ্রিয় ছিল লা লিগা। বার্সেলোনার জার্সিতে মেসি কিংবা রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে রোনাল্ডোর খেলা দেখার জন্য রাত জাগত বাংলার আপামর ফুটবলপ্রেমী। কিন্তু এখন কেউ ফিরেও তাকায় না স্প্যানিস ফুটবলের দিকে। তার একটাই কারণ—মেসি, রোনাল্ডাদের অনুপস্থিতি। তাঁরা স্পেন ছাড়ার পর লা লিগার জনপ্রিয়তা দ্রুত কমেছে। আগ্রহ হারাচ্ছে স্পনসর ও সম্প্রচারকারী সংস্থা। তাই লা লিগায় জোয়ার আনতে ভারতীয় ফুটবলের বাজার ধরতে মরিয়া জাভিয়ার। 

    রাজ্যের ফুটবল তলানিতে

    গত কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় ফুটবলের বাজার ধরতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে লা লিগা। মাঝে মধ্যেই ভারতে ছুটে আসেন  লা লিগার প্রসিডেন্ট জাভিয়ার। দিল্লিতে খুলেছেন অফিসও। কিন্তু তেমন সাড়া না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাংলাকে বেছে নিয়েছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ, এমনটাই মত ফুটবল পণ্ডিতদের। বাংলার মাটিতে অ্যাকাডেমি তৈরির মউ স্বাক্ষর আসলে অশ্বডিম্ব প্রসবের প্রথম পদক্ষেপ। যে রাজ্যের ফুটবল তলানিতে, সেখানে লা লিগার মতো সংস্থার অ্যাকাডেমি তৈরি করে কোনও লাভ যে হবে না, তা ভালোই জানেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় ও লা লিগা কর্তৃপক্ষ। 

    প্রচারের আলোয় থাকার নেশা মমতার

    আসলে প্রচারের আলোয় থাকাটা নেশা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এক্ষেত্র সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো স্পোর্টস আইকনকে সঙ্গী করেছেন মাদ্রিদ সফরে। সৌরভের ইমেজকে কাজে লাগানোর প্রয়াস অতীতেও করেছেন তিনি। সৌরভ নিজেও জানেন, এসব করে কিছু হবে না। তিনি বহুদিন ধরে এটিকে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও পরে কলকাতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। 

    আরও পড়ুন: মউ স্বাক্ষরই সার, মমতার এবারের বিদেশ সফরের নিটফল সেই ‘অশ্বডিম্ব’!

    ময়দানে পিছিয়ে বাংলা

    আসলে, শুধু শিল্প, শিক্ষায় নয়, খেলাধুলাতেও দেশের অন্য রাজ্যের সঙ্গে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ। তার বহু উদাহরণ রয়েছে। একসময় সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার (Bengal Football) দাপট ছিল নিরঙ্কুশ। কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যের যে, ২০১৬-১৭ মরশুমের পর বাংলা আর সন্তাষ ট্রফি জিততে পারেনি। কয়েকদিন আগেই এশিয়া গেমসের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন বাংলার মাত্র একজন ফুটবলার। আসলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁরা জামানায় বাংলার খেলাধুলার বিপর্যয় স্পষ্ট দেখতে পারছেন। শুধু ফুটবল কেন, ক্রিকেটেও একই অবস্থা। বাংলার ছেলেরা সুযোগ পান না কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে। আর সেই দলের অন্যতম মালিক শাহরুখ খানকে জামাই আদর করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও করা হয়। আসলে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়াটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন। তাঁর এই স্পেন সফর কিংবা লা লিগার সঙ্গে বাংলায় অ্যাকাডেমি তৈরি নিয়ে মউ স্বাক্ষর আসলে নিজের ব্যর্থতা ঢাকার একটা অজুহাত মাত্র। যা দিয়ে ব্যর্থতা ঢাকা পড়বে না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Chandrayaan 3: বিশ্বরেকর্ড গড়েছে ইসরো! অভিনন্দন জানালেন ইউটিউব কর্তা, কী সেই অনন্য নজির?

    Chandrayaan 3: বিশ্বরেকর্ড গড়েছে ইসরো! অভিনন্দন জানালেন ইউটিউব কর্তা, কী সেই অনন্য নজির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণভূমে পা রেখেছে ভারত। দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) চন্দ্রবিজয়ের প্রতিটি মুহূর্ত ইউটিউবে স্ট্রিম করেছিল ইসরো। এই সময়টা বিশ্বে ইউটিউবে চোখ রেখেছিলেন ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। সেই কারণে এবার ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউটিউব কর্তা। 

    স্পেনের রেকর্ড ভাঙল 

    বৃহস্পতিবার এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে ইসরোকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। ইউটিউবের প্রধান নীল মোহন ওই অভিনন্দন জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এটা (চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণ) দেখা খুব উৎসাহব্যঞ্জক ছিল। ইসরোর গোটা টিমকে অনেক অভিনন্দন। এক সঙ্গে ৮ মিলিয়ন ভিউয়ার থাকা অসাধারণ একটি বিষয়।” পোস্টের সঙ্গে সেঁটে দেওয়া হয়েছে একটি ভিডিও-ও। সেখানে ধরা রয়েছে ইসরোর চাঁরমারির প্রতিটি মুহূর্ত। পোস্টের সঙ্গে যে ভিডিও দেওয়া হয়েছে সেটি ১৬ সেকেন্ডের। ইসরোর আগে রেকর্ড গড়েছিল স্পেন। স্পেনের এলবিএআইয়ের ৩৪ লক্ষ ভিউয়ারের বিশ্ব রেকর্ড ছিল। আর ইসরোর চন্দ্রাভিযান দেখেছেন ৮০ লক্ষের বেশি মানুষ।

    চন্দ্রভূমে ঘুমের দেশে 

    ২৩ অগাস্ট সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি ছোঁয় ল্যান্ডার বিক্রম (Chandrayaan 3)। তারই পর পর তার পেট থেকে বেরিয়ে আসে প্রজ্ঞান। পৃথিবীতে সেই সময় সন্ধে হলেও, চাঁদে হচ্ছিল সূর্যোদয়। চাঁদের একটি দিন মানে পৃথিবীতে ১৪ দিন। রাত্রিও ১৪ দিনের। প্রজ্ঞানে রয়েছে সৌর প্যানেল। তাই চাঁদে যতদিন দিনের আলো ছিল, ততদিন হেঁটে-চলে বেড়িয়ে নিজের কাজ করেছে প্রজ্ঞান। ছ’ পায়ে ল্যান্ডার বিক্রমের ছবিও তুলেছে সে। বিক্রম আবার সেই ছবি পাঠিয়েছে আঁতুড়ঘর ইসরোয়। দিনের আলো থাকতে থাকতেই হাতের কাজ শেষ করেছে প্রজ্ঞান।

    আরও পড়ুুন: ট্যুইন টাওয়ারের পর এবার হাইকোর্টে উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ, কেন জানেন?

    তারপর চাঁদে যখন সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় হয়েছে, গুটি গুটি পায়ে সে ফের গিয়ে সেঁধিয়ে গিয়েছে বিক্রমের পেটে। ঘুমিয়ে পড়েছে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান (Chandrayaan 3)। চাঁদে এখন চলছে রাত। সূর্য উঠবে সেই ২২ তারিখে। সেদিন ফের বিক্রম এবং প্রজ্ঞান জেগে ওঠে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে ইসরোর পাশাপাশি তামাম ভারতবাসীও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share