Tag: bangla news

bangla news

  • JU: হস্টেলে ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার! যাদবপুরে পরিদর্শনের পর কী ভাবছে ইসরো?

    JU: হস্টেলে ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার! যাদবপুরে পরিদর্শনের পর কী ভাবছে ইসরো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল এবং ক্যাম্পাস পরিদর্শন করলেন ইসরোর প্রতিনিধি দল। বুধবার দ্বিতীয় দিন তারা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছেন। হস্টেলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখার পর ক্যাম্পাসেও গিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দুই প্রতিনিধি। কোথায়, কী প্রযুক্তি ব্যবহার করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মানুবর্তিতা প্রয়োগ করায় সুবিধা হবে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। 

    ‘জোন’ ভাগ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন 

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশকে আলাদা ‘জোন’ হিসাবে ভাগ করে পরিদর্শন করে ইসরোর প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার তাঁরা শুধু ক্যাম্পাসে ঘুরলেও এদিন তাঁরা মেন হস্টেলেও যান। এই হস্টেলের এ২ ব্লকের যেখানে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল, সেই অংশ বিশেষ ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন তাঁরা। ইসরোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।উপাচার্য আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কথা বলেছিলেন। যাদবপুরে ইসরোর সুপারিশে প্রযুক্তির প্রয়োগের কথা বলেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইসরোর সহায়তা প্রয়োজন। পরে রাজভবনের তরফ থেকে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ইসরোর প্রতিনিধি দলের অনেক আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল। নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে মঙ্গলবার তাঁরা ক্যাম্পাসে আসেন।

    আরও পড়ুন: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর ব্যবহার

    সূত্রের খবর, মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই (AI) এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন বা আরএফডিআই (RFDI)কে কাজে লাগিয়ে নিরাপত্তার কাজ এগোতে পারে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে ইসরো।  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকে জোরদার করতে উন্নত পর্যায়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন গেটে বসতে পারে উন্নত প্রযুক্তির সিসিটিভি ক্যামেরা, সেই সমস্ত বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখে তারা।  এরপর চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করবে এই প্রতিনিধি দল। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Notice: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণা! নুসরতের সঙ্গে আরও এক অভিনেত্রীকে তলব ইডির 

    ED Notice: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণা! নুসরতের সঙ্গে আরও এক অভিনেত্রীকে তলব ইডির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণা মামলায় এবার অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্রকে তলব করল ইডি। মামলায় আগেই নাম জড়িয়েছিল টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, যে কোম্পানির মাথায় ছিলেন রাকেশ সিং এবং নুসরত জাহান, ওই কোম্পানির ডিরেক্টর পদে ছিলেন রূপলেখাও। তদন্তকারীদের দাবি, ওই কোম্পানি বাজার থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা তুলে নয়ছয় করেছে। 

    কে এই রূপলেখা

    বুধবার রূপলেখাকে তলব করেছে ইডি। রূপলেখা জানিয়েছেন, নোটিস হাতে পেলে তিনি ইডির মুখোমুখি হবেন। সূত্রের খবর, যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেই সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন রূপলেখা। ইন্ডাস্ট্রিতে খুব বেশি নাম না করলেও টলিপাড়ায় একাধিক ছবিতে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল রূপলেখাকে। ‘ইচ্ছে’ এবং ‘কলি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তা ছাড়া ওড়িয়া ছবিতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

    কী অভিযোগ

    ফ্ল্যাট দুর্নীতি মামলায় নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। প্রথম বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন। নুসরতের বিরদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি। শঙ্কুদেব পণ্ডার অভিযোগ ছিল, “প্রবীণদের অর্থ নিয়ে চিটিংবাজি চলছে। তাঁদের পয়সা নিয়ে ফ্ল্যাট কেনা হচ্ছে। অন্যদিকে, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন নুসরত জাহান। নায়িকা তথা সাংসদ বলেন, “আমি দিনভর কাজে ব্যস্ত থাকি। কলকাতায় এসে যদি জানতে পারি এই ধরনের কোনও নোটিশ এসেছে সেক্ষেত্রে অবশ্যই যাবতীয় পদক্ষেপ করব।” পাশাপাশি তাঁকে ডাকা হলে তিনি অবশ্যই যাবেন বলে জানান এই তারকা সাংসদ।

    আরও পড়ুন: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    নুসরত স্পষ্ট জানান, সংশ্লিষ্ট সংস্থার থেকে তিনি ঋণ বাবদ কিছু টাকা নিলেও তা সুদ সমেত ফেরত দিয়েছেন। তাঁর কাছে যাবতীয় নথি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই সংস্থার ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকা রাকেশ সিংকে তলব করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরই মধ্যে নতুন করে এক অভিনেত্রীর নাম সামনে আসায় শোরগোল পড়েছে। বেলঘরিয়ার রূপলেখার ফ্ল্যাট আছে একটি। সেখান থেকে সংবাদমাধ্যমকে রূপলেখা জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি এবং রাকেশ অন্য একটি সংস্থার ডিরেক্টর। ওই সংস্থার সঙ্গে তাঁদের আর কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: “আমার মিশন হল সমগ্র দেশের উন্নয়ন”, সাক্ষাৎকারে বললেন মোদি

    PM Narendra Modi: “আমার মিশন হল সমগ্র দেশের উন্নয়ন”, সাক্ষাৎকারে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিন পরেই দিল্লিতে বসছে জি২০ সম্মেলন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সাক্ষাৎকার দিলেন ‘মানি কন্ট্রোল’-কে। বর্তমান পৃথিবীতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ভারতের অবস্থান এবং ভূমিকা ঠিক কী হতে চলেছে, এ বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ‘মানি কন্ট্রোল’কে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হল।

    প্রশ্ন: জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারত সভাপতিত্ব করছে, এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর (PM Narendra Modi): যদি আপনারা জি২০ সম্মেলনের দিকে লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন আমাদের মোটো রয়েছে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। যার অর্থ ‘‘এক পৃথিবী, এক পরিবার এবং এক ভবিষ্যৎ’’। আমাদের কাছে সমস্ত পৃথিবী হল একটা পরিবারের মতো। যেখানে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে অন্য সদস্যের উপর। যখন আমরা একসঙ্গে কাজ করি তখন আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাই। গত ৯ বছর ধরে আমরা সাক্ষী থেকেছি ‘‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস’’ এই নীতির। এটাই হল আমাদের বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের উপাদান।

    সবকা সাথ: সমগ্র পৃথিবী একসঙ্গে থেকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা।

    সবকা বিকাশ: পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলে মানব উন্নয়নের কাজ করা।

    সবকা বিশ্বাস: প্রত্যেকের বিশ্বাসকে জিতে নেওয়া।

    সবকা প্রয়াস: প্রতিটি দেশের যে সমস্ত কিছু শক্তি এবং রসদ আছে, তার ভরপুর প্রয়োগ করা।

    প্রশ্ন: বর্তমানে আপনি (PM Narendra Modi) বিশ্ব নেতাদের সম্মেলন করছেন, যখন সারা পৃথিবী একটি ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এমন অস্থির-পরিস্থিতি আর দেখা যায়নি। এই আবহে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের থিম রাখা হয়েছে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’, ‘‘এক পৃথিবী এক পরিবার এবং এক ভবিষ্যৎ।’’ এ বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের প্রতিক্রিয়া ঠিক কী? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: বিগত কয়েক বছরে সারা পৃথিবী সাক্ষী থেকেছে ভারতবর্ষের উন্নয়নের। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই উন্নয়ন হয়েছে। আমরা অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধশালী হয়েছি, আমাদের ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের সংস্কার হয়েছে। সামাজিকভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা এগিয়েছি। ডিজিটাল, ফিনান্সিয়াল সহ আরও অনেক দিকে ভারতের উন্নতি যথেষ্ট সদর্থক। বিদ্যুৎ, হাউসিং সমেত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত উন্নতির শিখর ছুঁয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং সংস্থা ভারতের এই বিকাশকে স্বাগত জানিয়েছে। সারা বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীরা ভারতবর্ষকে তাঁদের অন্যতম পছন্দের জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

    যখন বিশ্বব্যাপী মহামারি ছড়িয়ে পড়ল, তখন সবার একটা কৌতূহল ছিল যে ভারত কীভাবে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে! আমরা অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে পেরেছি। ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষদেরকেও এই সুবিধা আমরা দিয়েছি। আমাদের ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার আমাদের সাহায্য করেছে সরাসরি উন্নয়নকে ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে। আমরা ২০০ কোটিরও বেশি করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ বিনামূল্যে দিতে পেরেছি। আমরা ১৫০-এরও বেশি দেশে করোনার ভ্যাকসিন এবং ওষুধ সরবরাহ করতে পেরেছি। এটা আমাদের মানবকেন্দ্রিক বিকাশ নীতির কারণেই সম্ভব হয়েছে।

    এরই মাঝে বিগত ৯ বছর ধরে সারা পৃথিবী সাক্ষী থেকেছে, অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার এবং বিপর্যয় মোকাবিলার পরিকাঠামো তৈরিতে ভারত ঠিক কতটা এগিয়েছে। সারা বিশ্বের মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাসের জায়গা করে নিতে পেরেছে আমাদের দেশ। সে কারণেই আমরা জি২০ এর মতো শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করতে পেরেছি। জি২০ বিষয়ে যখন আমরা আমাদের অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করি, বিশ্বব্যাপী তা গ্রহণ করা হয় এবং প্রশংসিত হয়। তার কারণ পৃথিবীর বিভিন্ন ইস্যুতে সমস্যার সমাধান করতে আমরা সক্ষম, যা সকলেই জানে। বর্তমান জি২০ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে আমরা লঞ্চ করব বায়োফুয়েল-অ্যালায়েন্স। এর ফলে পরিবেশ বান্ধব শক্তির ব্যবহার যেমন বাড়বে বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে, তেমনই খরচ কমবে জ্বালানির।

    প্রশ্ন: আপনি (PM Narendra Modi) ব্যাখ্যা করেছেন যে ভারতের সভাপতিত্বে জি২০ সম্মেলন আসলে জনগণের সভাপতিত্ব। শুধু একটি বা দু’টি শহরে নয়, জি২০ এর ইভেন্টগুলি অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বিভিন্ন শহরে। কেন নিলেন এমন সিদ্ধান্ত?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: অনেক মানুষই আমার জীবন সম্পর্কে পুরোটা জানেন। আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে, অনেক দশক ধরেই সাংগঠনিক কাজ করতাম রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক ক্ষেত্রে। সেই হিসেবে আমাকে জেলায় জেলায় সফর করতে হতো। ভারতবর্ষের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই আমার সফর করার সৌভাগ্য হয়েছে। এই সময়কালের মধ্যে আমি অনেক কিছু শিখেছি, ভারতের বৈচিত্র, বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের সংস্কৃতি, তাদের সমস্যা এবং আরও বিভিন্ন দিক সম্পর্কে। যা আমার কাছে একটা অনন্য অভিজ্ঞতা। এই এত বৈচিত্রতার মধ্যেও আমি লক্ষ্য করেছি যে আমাদের মধ্যে একটা সাধারণ বিষয় আছে এবং সেটা হল ‘হ্যাঁ পারব’ ‘আমরা পারব’। ক্ষমতার বৃত্তে থেকে সর্বপ্রথম ভাবা গিয়েছে দিল্লির বাইরেও কিছু করার কথা।

    আমরা (PM Narendra Modi) আরও দেখেছি যে পৃথিবীব্যাপী নেতারা শুধুমাত্র রাজধানীতে অথবা দু-একটি নির্বাচিত শহরে আসতেন। এবারে দেশের প্রায় কম বেশি গুরুত্বপূর্ণ সব শহরেই অনুষ্ঠিত হয়েছে জি২০ সম্মেলন। যার ফলে বিশ্বের নেতারা ভারতের বৈচিত্র নিজের চোখে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। এই যেমন ধরুন তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল তিনি বেঙ্গালুরুতে সফর করেছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বারাণসীতে সফর করেছেন। পর্তুগিজের রাষ্ট্রনেতারা গোয়া এবং মুম্বইতে সফর করেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শান্তিনিকেতনের সফর করেছেন। দিল্লির বাইরেও বিভিন্ন জায়গাতে সফর করার সুযোগ পেয়েছেন বিশেষ তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। জি২০ সম্মেলনে ২২০টি মিটিং হয়েছে দেশের ৬০টি শহরে, ২৮টি রাজ্যে এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। এক লাখেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন ১২৫টি দেশ থেকে। আমাদের দেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষ কোনও না কোনও ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এই অনুষ্ঠানগুলোকে সফল করার জন্য।

    প্রশ্ন: জি২০ গঠন করা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, এশিয়ার অর্থনৈতিক সংকটকে সামলানোর জন্য। ঘটনা হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে অসংখ্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, কিন্তু সেগুলি তাদের উদ্দেশ্য পূরণে সেভাবে সফল হয়নি। আপনি (PM Narendra Modi) কি মনে করেন জি২০ তাদের উদ্দেশ্য পূরণে সফল হবে? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: আমি মনে করি এটা আমার বিষয় নয়। কিন্তু আমি মনে করি এটা একটা ভালো প্রশ্ন। সম্প্রতি, জি২০, ২৫ বছরে পদার্পণ করতে চলেছে। এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই দেখতে হবে জি২০ কতটা উদ্দেশ্য পূরণ করতে পেরেছে! জি২০ প্রসঙ্গে বলতে গেলে এটা বলা যায় যে বিভিন্ন দেশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, ধারাবাহিকভাবে জি২০ এর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের মতো করে তথ্য আদান-প্রদান করছে। বিভিন্ন পরিকল্পনা নিচ্ছে। আমাদের দেশ ভারতও এই অ্যাকটিভ ফোরামের অংশ। সন্ত্রাসবাদ থেকে কালো টাকা, জলবায়ু থেকে সার্বিক উন্নয়ন-এই সমস্ত বিষয়েই আলোচনা হয়েছে এবং পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।

    প্রশ্ন: পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন শক্তির বিচ্ছিন্নতা নজরে পড়ছে। যেমন একদিকে চিনের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে জোট, অন্যদিকে আমেরিকার নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে অন্য আরেকটি জোট। অন্যদিকে ভারত ‘মাল্টি পোলার’ পৃথিবীর পক্ষে সওয়াল করছে। এ বিষয়ে আপনার (PM Narendra Modi) কী বক্তব্য?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: আমরা এমন একটা পৃথিবীতে বাস করছি যেখানে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের উপর নির্ভরশীল। এই সময়ে মধ্যে এটাও বাস্তব যে প্রত্যেক দেশই তার নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে। তাই এই আবহে সচেতনতা বাড়াতে হবে আমাদের, প্রত্যেকের সাধারণ উদ্দেশ্যটা ঠিক কী। বর্তমানে পৃথিবীতে অনেকগুলি শক্তি অবস্থান করছে। প্রত্যেকেই অন্য দেশের একাধিক ইস্যুতে সম্মত হচ্ছে। আবার বিরুদ্ধ মতও পোষণ করছে। এই বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিজ দেশের স্বার্থকে তুলে ধরতে হবে আমাদের। বহু দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে যারা বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আবার বিরোধিতাও করেছে।

    প্রশ্ন: বহুমুখী সংস্কারের ক্ষেত্রে আপনার নীতি ঠিক কী?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: কোনও প্রতিষ্ঠানে কখনও সংস্কার হতে পারে না, যদি তা পৃথিবীর কোনও নিয়মকে লঙ্ঘন করে। আমরা প্রতিষ্ঠানিক সংস্কারের কথা বলি। এর বাইরেও বহুমাত্রিক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে উন্নয়নকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য, সামাজিকভাবে অগ্রগতির জন্য সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হওয়ার জন্য এবং সভ্যতার অগ্রগতির জন্য যে কোনও ক্ষেত্রে সংস্কার খুবই প্রয়োজন। এটা তখনই সম্ভব যখন গণতান্ত্রিকভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিটি দেশের সঙ্গে প্রতিটি দেশের একটি সম্পর্ক তৈরি হবে। সারা পৃথিবীর মানুষের মধ্যে যোগাযোগের সেতু তৈরি হলেই এটা সম্ভব। এক দেশের মানুষের সঙ্গে অপর দেশের মানুষের যোগাযোগ বাড়বে বাণিজ্য এবং পর্যটনের মাধ্যমে, বিজ্ঞান এবং ক্রীড়ার মাধ্যমে, সংস্কৃতি এবং বাণিজ্যের মাধ্যমে।

    প্রশ্ন: সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের আজ সুসম্পর্ক রয়েছে।  আপনার (PM Narendra Modi) কি মনে হয় যে জি২০ তে ভারতবর্ষ বর্তমানে সকল দেশের বিশ্বস্ত কণ্ঠস্বর? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: বিগত কয়েক দশকের একটি অস্থিরতার পরে ২০১৪ সালে ভারতের জনগণ একটি স্থায়ী সরকারকে নির্বাচিত করেছেন। যে সরকারের অ্যাজেন্ডা শুধুই সারা ভারতের অগ্রগতি এবং বিকাশ। এই সংস্কারগুলি সম্ভব হয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, শিক্ষার ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এবং সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে। যখনই কোনও দেশ আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে তখনই তারা বুঝেছে যে ভারত একটি বিশ্বস্ত বন্ধু। সেই সমস্ত দেশগুলির নিজেদেরও নানা সমস্যার মোকাবিলা এবং সংস্কারের জন্য ভারতকে দরকার পড়ছে। এইভাবেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।

    প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে উন্নত দেশগুলি তাদের প্রতিশ্রুতি রাখেনি, উপরন্তু দেখা যাচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে তারা অর্থ ব্যয় করেই চলেছে। এবিষয়ে জি২০ সম্মেলনে বিশ্বের ধনী দেশগুলি সম্পর্কে আপনার (PM Narendra Modi) বার্তা ঠিক কী?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: আমার মনে হয় আমাদের সকলকে বুঝতে হবে যে সারা পৃথিবীতে উন্নয়নশীল দেশ এবং উন্নত দেশ রয়েছে। শুধুমাত্র জলবায়ুর পরিবর্তন কোনও অঞ্চলের সমস্যা নয়, এটা সারা পৃথিবীব্যাপী সমস্যা। আমাদের এটা বুঝতে হবে যে এই পৃথিবীতে গরিব দেশগুলির সাহায্য দরকার। বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্য়াকে যা বিপদে ফেলবে তা অবশ্যই সারা বিশ্বের সমস্যা-এটা আমাদের বুঝতে হবে। পাশাপাশি আমাদের নীতি এবং কৌশলেও পরিবর্তন করতে হবে। পারস্পরিক দোষারোপ, সমালোচনা এগুলি আমাদের যেন লক্ষ্য না হয়। পরিবর্তে আমাদের সম্পূর্ণ ফোকাস করতে হবে কৃষি সমেত শক্তিক্ষেত্র এবং জীবনযাত্রার মানের ওপর।

    প্রশ্ন: আপনি (PM Narendra Modi) অপ্রচলিত শক্তির ক্ষেত্রে সর্বদাই সওয়াল করেন। অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারের বিষয়ে জি-২০ এর সদস্য দেশগুলির কী করা উচিত? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: আমি আপনাদেরকে বলে দিতে চাই, ২০২৩ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ আমাদের শক্তি আসবে নন ফসিলস্ জ্বালানির উৎস থেকে। সরকার এখন নজর দিচ্ছে ইলেকট্রিক যানবাহন শিল্পের উপর এবং এতে এখন সফলতাও দেখা গিয়েছে। মানুষ ভাল রকমের প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে। কারণ এটি একটি বিকল্প শক্তির উৎস। গত ৯ বছরে মোদি সরকারের নানা প্রকল্পের ফলে নিরাপদ স্যানিটেশন, ব্যবস্থা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স বর্তমানে একটি মন্ত্র নিয়েছে তা হল, ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড ওয়ান সান ওয়ান গ্রিড’। বিশ্বের ১০০টি দেশে এই প্রকল্পের কাজ চলছে। ভারতবর্ষ এমন একটি দেশ যা দেশের মানুষের জীবন শৈলী এবং পরিবেশকে পাশাপাশি সমান দৃষ্টিতে দেখছে। বিশ্বব্যাপী আমাদের প্রতিটি ক্রিয়াকলাপ করা উচিত যাতে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হয়। তাই যা প্রকৃতি, পরিবেশকে ধ্বংস করবে এগুলো থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। আমি মনে করি স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন একজন মানুষ সদা তাঁর স্বাস্থ্যের প্রতি যেমন দৃষ্টি রাখেন, তেমনি আমাদেরও নিজেদের গ্রহের প্রতি সদা দৃষ্টি রাখা দরকার। ভারতের নীতি হল প্রকৃতি বান্ধব। যে কোনও অঞ্চলের অধিবাসীদের দেখলেই তা বোঝা যায়।

    প্রশ্ন: বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের সুবিধার্থে জি২০ এর ছাতার তলায় ভারতের ভূমিকা ঠিক কী? 

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) উত্তর:  ভূ-রাজনৈতিক এবং অন্যান্য উপাদান বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে। এরকম অবস্থায় প্রতিটি দেশের প্রয়োজন একটি স্থায়ী নীতি যা বাণিজ্য, শিল্প এবং নতুন নতুন আবিষ্কারকে উৎসাহিত করবে। জি২০ সম্মেলনের সভাপতিদের জন্য ভারত একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জি২০ এর সভাপতিত্বের দ্বারা ভারত খুব উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা পালন করছে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের ক্ষেত্রে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কারের ক্ষেত্রেও ভারতের দৃষ্টি রয়েছে।

    প্রশ্ন: বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলির উন্নয়নের জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্যনীতি থাকা প্রয়োজন কি? 

    প্রধানমন্ত্রীর (Pm Modi) উত্তর: ভারত বর্তমান জি২০-তে সভাপতিত্ব করছে। এর পাশাপাশি বিশ্বের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত সদা আগ্রহী। যে সমস্ত দেশ জি২০ এর সদস্য নয়, সেই দেশগুলোর উন্নয়নের দিকেও ভারতের দৃষ্টি রয়েছে। যেমন আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশ। সম্ভবত এটা জি২০ ইতিহাসে প্রথম যখন ইন্দোনেশিয়া, ভারত এবং ব্রাজিল এই তিন দেশ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির সম্পর্কে আওয়াজ তুলেছে।

    প্রশ্ন: কম এবং মধ্য আয়ের দেশগুলিতে ঋণের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই সমস্ত দেশগুলির সার্বিক উন্নয়নের জন্য এবং ঋণ কমানোর জন্য জি-২০ কী করতে পারে?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: ভারতের সভাপতিত্বে জি২০ সম্মেলন হচ্ছে যেখানে কম এবং মধ্য আয়ের দেশগুলির বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে আলোচনা হবে। আমরা এই সমস্ত দেশগুলির স্বার্থের পক্ষে আওয়াজ তুলেছি। আমরা সমন্বয়ে আস্থা রাখি এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতেই এই ঋণের পরিমাণ কমানো সম্ভব বলে আমাদের (PM Narendra Modi) মনে হয়। জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীরা এবং বিভিন্ন দেশের জাতীয় ব্যাঙ্কের গভর্নররা এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। বর্তমানের এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ঋণের এই সংকটের খবর এক দেশ থেকে অন্য দেশে পৌঁছে যেতে খুব বেশি সময় নেয় না। যার ফলে আরেক দেশ সহজেই বুঝে যায় যে একই রকম পরিস্থিতি তৈরি না করার জন্য কী কী করতে হবে। আমাদের দেশের ক্ষেত্রেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কুফল আনতে পারে এই সমস্ত নীতিগুলি থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এই জাতীয় ভুল নীতি শুধু অর্থনীতি নয় সমাজকেও ধ্বংস করে দেয়।

    প্রশ্ন: আমাদের দেশ ‘ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’-এর ক্ষেত্রে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। ইউপিআই, আধার বা ওএনডিসি-এই সমস্ত কিছুই রয়েছে যা প্রভাব সৃষ্টি করেছে ভারতীয় অর্থনীতিতে। বিশ্বের মাপকাঠিতে আপনি (PM Narendra Modi) কীভাবে দেখেন একে?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: বছর বছর ধরে আমাদের দেশ প্রতিভার জন্য পরিচিত। বর্তমানে ‘ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ গত ৯ বছর ধরে আমাদের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছে। ভারতবর্ষের এই প্রযুক্তি বিপ্লব শুধুমাত্র যে অর্থনীতিক প্রভাবিত করেছে তা নয়, সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছে। মানবকেন্দ্রিক এই উন্নয়নের মডেলে আমরা ভরপুর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছি। জনধন প্রকল্প, আধার এবং মোবাইল এই তিন প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষের কাছে দেশের উন্নয়নকে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ভারতবর্ষে বিদেশী প্রতিনিধিরা এসে আশ্চর্য হয়েছেন যে কীভাবে রাস্তার ধারের ব্যবসায়ীরাও কিউআর কোড শেয়ার করে ক্রেতাদের কাছে টাকা নিচ্ছেন। করোনার সময়কালে একটি টেক প্ল্যাটফর্ম Cowin আমাদেরকে ২০০ কোটি ভ্যাকসিন দিতে সাহায্য করেছে, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। একটি উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমাদের ‘ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’-এর নীতি সারা দেশের বিভিন্ন অর্থমন্ত্রীরা গ্রহণ করেছেন।

    প্রশ্ন: সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য মুদ্রাস্ফীতি একটি বড় সমস্যা, এ বিষয়ে জি২০ এর ধনী দেশগুলির কী দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে মুদ্রাস্ফীতির বোঝা না বইতে হয়? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: মুদ্রাস্ফীতি আজকে একটা সারা পৃথিবীব্যাপী ইস্যু। করোনা মহামারির পর থেকে সারা পৃথিবীতে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বাড়তে থাকে। জি২০ সম্মেলনে একটি মিটিং হয় বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রী এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নরদের মধ্যে। সেখানে তাঁরা বলেন, ‘‘একটা শক্তিশালী নীতির প্রয়োজন। যেখানে প্রত্যেকটি দেশ মিলিতভাবে এই মুদ্রাস্ফীতিকে রোধ করতে পারবে।’’ আমাদের ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে আমরা একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে ২০২২ সালে সারা পৃথিবীব্যাপী যে মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে, ভারতে তার থেকে ২.২ শতাংশ কম রয়েছে। এই কারণে আপনারা বুঝতে পারবেন এই বছরের রাখি বন্ধনের সময় আমরা গ্যাসের দাম কমাতে পেরেছি উপভোক্তাদের জন্য।

    প্রশ্ন: ভারতবর্ষ বর্তমানে পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। ২০২৭ সালের মধ্যে আমরা তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছি। সারা পৃথিবীব্যাপী এর প্রভাব কী হতে পারে?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: আপনারা ঠিকই বলছেন ভারতবর্ষ পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। কীভাবে এটা হল, আমার (PM Narendra Modi) মনে হয় সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এই শিরোপা দখল করতে অনেক কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে। সব থেকে বড় কথা বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার তার জনগণকে বিশ্বাস করে। জনগণের যে সামর্থ্য সেটাকেও বিশ্বাস করে। এটা মনে রাখতে হবে যে জনগণ আমাদেরকে এতটাই বিশ্বাস করে যে তারা আমাদেরকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে শুধুমাত্র একবারের জন্য নয়, দু’দুবারের জন্য। এর ফলে আমাদের দেশের রাজনৈতিক স্থিরতা এসেছে। সামাজিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বঞ্চিত শ্রেণির ক্ষমতায়ন হয়েছে। সামাজিক বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। ‘ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট’ ভারতবর্ষে এসেছে রেকর্ড পরিমাণে। ভারতবর্ষের রফতানি হয়েছে রেকর্ড পরিমাণে। বিগত বছরগুলির সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রজেক্টে আমরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। এর ফলে সারা দেশে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে ১৩.৫ কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্রতা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। যেটা আমাদের কাছে একটা বড় সফলতা। ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই শ্রীবৃদ্ধি শুধুমাত্র ভারতের জন্য নয় সারা পৃথিবীর জন্যই ভাল।

    প্রশ্ন: আপনি (PM Narendra Modi) ৭২ বছরে পা দিলেন, কিন্তু আপনার এনার্জি লেভেল দেখে যে কোনও যুবকও ঈর্ষা করবে। আপনি কীভাবে এতটা তরতাজা এবং সক্রিয় থাকেন? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: সারা পৃথিবীব্যাপী অনেক মানুষই থাকেন, যাঁরা তাঁদের শক্তিকে সময় এবং সংস্থান দিয়ে উদ্দেশ্যের পথে নিয়ে যান। এটা শুধুমাত্র আমি একা নই বা আমি ব্যতিক্রম এমনটাও নয়। আমি যখন রাজনীতিতে আসিনি তখন সমাজের জন্য কাজ করতাম এবং একদম ভূমিস্তরে এই কাজ ছিল আমার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমি ঘুরতে পেরেছি। দ্বিতীয় দিক হল, পার্থক্য আছে একটি মিশন এবং অ্যাম্বিশনের মধ্যে। যখন একজন মানুষ অ্যাম্বিশনের জন্য কাজ করেন, তখন তিনি নিজের পদ, ক্ষমতা এবং সুবিধাকে লক্ষ্য রাখেন। কিন্তু যখন একজন মানুষ মিশনের জন্য কাজ করেন, তখন তাঁর ব্যক্তিগতভাবে সেখানে পাওয়ার কিছু থাকে না। তাই উত্থান এবং পতন সেখানে খুব বেশি ভূমিকা রাখে না। তিনি মিশনের মধ্যেই নিজেকে উৎসর্গ করে দেন। তাঁর যা কিছু সংস্থান আছে সেই সমস্ত কিছুকে তিনি সেখানে রাখেন। আমার মিশন হল সমগ্র দেশের উন্নয়ন। আমি আগেও বলেছি যে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে আমি সারা ভারতের প্রতিটি জেলাতেই সফর করেছি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে এবং সেখানে আমি দেখেছি যে সাধারণ মানুষ কীভাবে থাকে এবং বাঁচে।

    ‘মানি কন্ট্রোল’-কে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎকার থেকে অনুবাদিত। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar on Bharat: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    S Jaishankar on Bharat: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়া না ভারতবর্ষ, এই বিতর্কে বিরোধীদের মোক্ষম জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “সংবিধান যেখানে বলছে যা ইন্ডিয়া তাই ভারত, তাহলে বিরোধীদের এত জল ঘোলা করার কী দরকার। বিতর্ক না বাড়িয়ে আমি তাঁদের বলতে চাই সংবিধানটা একবার ভালো করে পড়ুন, তাহলেই ভুল ভেঙে যাবে। স্পষ্ট করে লেখা আছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি২০ সমাবেশে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রনেতাদের একটি নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সেই উপলক্ষে আমন্ত্রণপত্রও যাচ্ছে নিমন্ত্রিতদের কাছে। যে আমন্ত্রণপত্র ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। কারণ, ভারতের রাষ্ট্রপতি কাউকে কোনও চিঠি লিখলে তাতে চিরাচরিত ভাবে লেখা থাকে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ কথাটি। কিন্তু জি২০ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর চিঠিতে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ কথাটি লেখা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণপত্রে লেখা ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’দেখেই জল্পনা তাহলে কি ইন্ডিয়া নাম বদলে শুধুই ভারত হয়ে গেল? এই বিতর্কে তোলপাড় দেশের রাজনীতি ৷ এ বিষয়ে নিজের মত স্পষ্ট করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানালেন  ভারত নাম উচ্চারণ করলে যে ছবি ও ধারণা মনের মধ্যে ভেসে ওঠে সেই একই প্রজ্ঞা নিহিত রয়েছে দেশের সংবিধানে।

    প্রসঙ্গত, এদেশের সংবিধানে ইন্ডিয়া ও ভারত দু’টি শব্দেরই উল্লেখ রয়েছে। সংবিধানের ১ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, “India that is Bharat”। ‘সংবিধান তৈরির সময়ও ১ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে মতবিরোধ ছিল। দেশের নাম ভারত অথবা হিন্দুস্তান রাখার পক্ষে একটা বড় অংশের সমর্থন ছিল। তখন তা হয়নি। তবে এখন সময় বদলেছে। ভারতীয় সংস্কৃতি ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেশ কিছু শহরের নাম বদল করা হয়েছে। তাই এই সময়ই আসল নামে দেশের পরিচিতি গড়ে তোলা উচিত, বলে মনে করেন দেশের অনেকেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Justice Abhijit Ganguly: ৮২ পেলেই টেট পাশ! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট

    Justice Abhijit Ganguly: ৮২ পেলেই টেট পাশ! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট পরীক্ষায় পাশের নম্বর নিয়ে আপাতত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Gangopadhyay) রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। টেট মামলায় (TET case) ৮২ না ৮৩, কত নম্বরকে টেট পাশের জন্য গণ্য করা হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। ওই মামলায় ৮২ নম্বর প্রাপ্তদের উত্তীর্ণ হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে সেই রায়-এ হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। বুধবার এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সংরক্ষিত প্রার্থীদের দাবি ছিল, ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেলেই পাশ বলে গণ্য করতে হবে ও মূল পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে। সেই আর্জিকে মান্যতা দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন কয়েকজন টেট প্রার্থী। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির মতের অমিল হওয়ায় মামলা যায় তৃতীয় বেঞ্চে। এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখল বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ। টেট পরীক্ষা হয় ১৫০ নম্বরে। তার মধ্যে ৮২ পেলে শতাংশের বিচারে তা হয় ৫৪.৬৭ শতাংশ। ৫৫ শতাংশ পেলে তবেই উত্তীর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয় সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের। এ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী, ৫৪.৬৭ শতাংশকে ৫৫ বলেই ধরা হবে। সে কারণেই সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের দাবি ছিল, ৮২ পেলেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। 

    আরও পড়ুন: উত্তর দিনাজপুরে বিএড, ডিএলএড কলেজ বন্ধের হুমকি কেন দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী?

    বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এই রায় তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এর আগে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে রায় দ্বিধা বিভক্ত হয়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের মত ছিল, ১৫০ এর মধ্যে ৮২ পেলেই টেট উত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য করা সম্ভব। আর বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের মত ছিল, ৮২.৫ পেলে তবেই প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে উল্লেখ করা হবে। এরপর মামলা যায় বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। এদিন তিনি যে রায় দিয়েছিলেন এরপর প্রার্থীদের টেটে বসার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা রইল না বলেই মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India To Bharat: রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রী! ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’ লিখলেন মোদি

    India To Bharat: রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রী! ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’ লিখলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কের সূত্রপাত! জি-২০ সম্মেলনের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়ার বদলে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত। রাষ্ট্রপতির পর এবার ‘ইন্ডিয়া’ মুছে ‘ভারত’ হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। প্রাইম মিনিস্টার অফ ইন্ডিয়ার বদলে তাঁর অভ্যর্থনাপত্রে লেখা প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত। সেই সরকারি নোটিফিকেশন ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র সেই সরকারি অভ্যর্থনাপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। 

    প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত

    আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি২০ সমাবেশে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রনেতাদের একটি নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সেই উপলক্ষে আমন্ত্রণপত্রও যাচ্ছে নিমন্ত্রিতদের কাছে। যে আমন্ত্রণপত্র ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। কারণ, ভারতের রাষ্ট্রপতি কাউকে কোনও চিঠি লিখলে তাতে চিরাচরিত ভাবে লেখা থাকে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ কথাটি। কিন্তু জি২০ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর চিঠিতে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ কথাটি লেখা হয়েছে। তবে, প্রধানমন্ত্রীর তরফে এটি সম্প্রতি লেখা হয়নি। জানা গিয়েছে, গত অগাস্ট মাসে ১৫তম ব্রিকস (BRICS) সম্মেলনে যোগদান করতে প্রধানমন্ত্রী যখন দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে গিয়েছিলেন, সে সময়ই সরকারি নোটিফিকেশনে উল্লেখ করা হয়েছিল প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত। ইন্ডিয়া’ নামটি নিয়ে একাধিক বার সরাসরি কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাতে গলা মিলিয়েছেন বিজেপির তাবড় নেতারাও।

    আরও পড়ুন: দেশের নাম বদলের জল্পনা, অমিতাভ বচ্চনের ট্যুইটে নয়া গুঞ্জন

    ভারত-নামে সমর্থন

    ভারত’-এর হয়ে ব্যাটন ধরেছেন বিজেপির একাধিক নেতা। জল্পনা চলছে আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশনে এই নাম বদলের প্রস্তাব পেশ করতে পারে কেন্দ্র। এই মর্মে আনা হতে পারে নয়া বিলও। আর বিল পাশ হলেই রাতারাতি বদলে যেতে পারে দেশের নাম। এই বিষয়ে ট্যুইট করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তাঁর কথায়, “ভারতীয় প্রজাতন্ত্র- আমাদের সভ্যতা দৃঢ় পদক্ষেপে অমৃতকালের দিকে এগোচ্ছে দেখে আনন্দ হচ্ছে, গর্ববোধ করছি।” জি-২০ বৈঠকের আগে দেশের রাজধানী শহরে দেশের সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদেরও নোটিফিকেশনে ‘ভারত অফিসিয়ালস’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vikram-Pragyan: ঘুমোতে যাওয়ার আগে বিক্রমের থ্রি-ডি ছবি নিয়েছিল প্রজ্ঞান, প্রকাশ করল ইসরো

    Vikram-Pragyan: ঘুমোতে যাওয়ার আগে বিক্রমের থ্রি-ডি ছবি নিয়েছিল প্রজ্ঞান, প্রকাশ করল ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) নতুন ছবি প্রকাশ করল ইসরো। তবে, এই ছবি আগের থেকে একেবারে আলাদা। কারণ, এই ছবি দেখতে গেলে, পরতে হবে বিশেষ চশমা। কারণ, ছবিটি থ্রি-ডি বা ত্রিমাত্রিক। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, চন্দ্রভূমি সহ ল্যান্ডার বিক্রমের এই বিশেষ ছবি তুলেছিল রোভার প্রজ্ঞান (Vikram-Pragyan)।

    প্রজ্ঞানের তোলা বিক্রমের ত্রিমাত্রিক ছবি

    রাত ঘনিয়েছে চাঁদের দেশে। তার আগেই, ব্যাটারি ফুল চার্জ করে সোমবার ল্যান্ডার বিক্রমের পেটে সেঁধিয়ে গিয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। ঘুমিয়ে পড়েছে ল্যান্ডার বিক্রমও। এখন অপেক্ষা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে আরেকটা সূর্যোদয়ের, যা আসবে ১৪ দিন পর। বিক্রম-প্রজ্ঞান  (Vikram-Pragyan) ‘স্লিপ মোড’-এ যাওয়ার পর মঙ্গলবার নতুন ছবি নিজেদের ট্যুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডলে পোস্ট করেছে ইসরো। রোভার প্রজ্ঞানের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ল্যান্ডার বিক্রম সহ চন্দ্রপৃষ্ঠের ওই ছবিটি। ইসরো জানিয়েছে, ঘুমোতে যাওয়ার আগে, গত ৩০ অগাস্ট, ১৫ মিটার দূরত্ব থেকে রোভার প্রজ্ঞান এই ছবিটি তুলেছে।

    কী এই ‘অ্যানাগ্লিফ’ ছবি?

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ছবিটি দুভাগে তুলেছে প্রজ্ঞান। এই ‘অ্যানাগ্লিফ’ ছবিটি মূলত ন্যাভক্যাম স্টিরিও ইমেজ ব্যবহার করে তোলা হয়েছে। প্রজ্ঞান রোভারে রয়েছে এই ক্যামেরাটি। এক বার বাঁ দিক থেকে এবং এক বার ডান দিক থেকে ছবি তোলা হয়েছে (Vikram-Pragyan)। তার পর সেই ছবি দু’টিকে মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে নতুন ত্রিমাত্রিক ছবি। ইসরো জানিয়েছে, এই তিন-চ্যানেল বিশিষ্ট ছবির  বাঁ-দিকে রয়েছে রেড চ্যানেল, ডান দিকে রয়েছে নীল এবং সবুজ রঙের ইমেজ। সবগুলিকে এক করে একটি স্টিরিও ইমেজ তৈরি করা হয়েছে। যেটা থ্রি-ডি বা ত্রিমাত্রিক এফেক্ট দিচ্ছে। ইসরো জানিয়েছে, লাল ও সবজে-নীল বা নীলাভ-সবুজ রঙের চশমা পরে দেখলে, ছবিটি স্পষ্ট হবে।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত ইসরো বিজ্ঞানী এন ভালারমতি, তাঁর কণ্ঠেই বিশ্ব শুনেছিল ভারতের চন্দ্রজয়ের কথা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • C V Ananda Bose: বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি উড়িয়ে ফের মধ্যরাতে নতুন উপাচার্য  নিয়োগ রাজ্যপালের

    C V Ananda Bose: বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি উড়িয়ে ফের মধ্যরাতে নতুন উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজ্যপাল কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসাবে অধ্যাপক কাজল দে-কে নিয়োগ করছেন। রাজ্যপাল নিয়োগনামায় সই করছেন, তেমন একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। 

    রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব

    রাজ্য শিক্ষাদফতরের সঙ্গে আলোচনা না করেই উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন রাজ্যপাল বোস (C V Ananda Bose)। এই নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এখন চরমে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত কড়া ভাষায় রাজ্যপালকে বিঁধেছেন। গতকাল আবার কার্যত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেন মমতা। রাজ্যপালের কথায় যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরিচালিত হবে, তাদের ক্ষেত্রে ‘আর্থিক অবরোধ’ গড়ে তোলা হবে বলে প্রকাশ্যেই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। শুধু তাই নয় প্রয়োজনে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসবেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। 

    ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত

    রাজ্যপাল যদিও সেই হুঁশিয়ারি ‘উড়িয়ে’ পূর্বের মতোই মঙ্গলবার মধ্যরাতে আবার উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। এর ফলে রাজ্য এবং রাজভবনের সংঘাত আরও তীব্র হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজভবন ও বিকাশ ভবনের দ্বন্দ্ব দীর্ঘ সময় ধরে চললেও সম্প্রতি তা বড় আকার নেয়। গত ৩১ অগাস্ট রাজ্যপাল (C V Ananda Bose) ঘোষণা করেছিলেন, নতুন করে নিয়োগ না-হওয়া পর্যন্ত আচার্য হিসাবে তিনি নিজেই রাজ্যের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বতিকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অচলাবস্থা তিনি কোনওভাবেই  মেনে নেবেন না বলে জানান রাজ্যপাল। ছাত্রছাত্রীদের যাতে সার্টিফিকেট পেতে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয় তার জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিমত বোসের।

    আরও পড়ুন: বিগ বি-কে বিশ্বকাপের ‘সোনার টিকিট’! হাতে তুলে দিলেন জয় শাহ

    অসহনীয় মনোভাব 

    ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবারই শিক্ষক দিবসের এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের নাম না-করে তাঁর এই সাম্প্রতিক কালের উপাচার্য নিয়োগ এবং একাধিক নির্দেশনামা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের বিকাশ ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাই তাঁদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। কারণ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) জানিয়েছিলেন, উপাচার্যের কথাই শুনে চলতে হবে। অন্যান্য আধিকারিকরা রাজ্য সরকারের কথা শুনতে বাধ্য নন। তারপরই এমন বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এমন আবহে মাঝরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ আবার রাজ্য সরকারের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ICC World Cup 2023: বিগ বি-কে বিশ্বকাপের ‘সোনার টিকিট’! হাতে তুলে দিলেন জয় শাহ

    ICC World Cup 2023: বিগ বি-কে বিশ্বকাপের ‘সোনার টিকিট’! হাতে তুলে দিলেন জয় শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড কিংবদন্তী অমিতাভ বচ্চনকে (Amitabh Bachchan) আসন্ন বিশ্বকাপের (ICC World Cup 2023) ‘গোল্ডেন টিকিট’ দিলেন  বিসিসিআই সচিব জয় শাহ (Jay Shah)। বিশ্বকাপের দল ঘোষণার দিনই বিগ বি-এর হাতে এই সোনার টিকিট (Golden ticket) তুলে দেওয়া হয়। বিসিসিআই ট্যুইট করে এ খবর জানিয়েছে।

    অমিতাভকে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড

    কিংবদন্তি অভিনেতা ক্রিকেটের অন্ধভক্ত। সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো একাধিক ক্রিকেটারের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত যোগাযোগ রয়েছে। সব সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের পাশে থাকেন বিগ বি। দল হারলেও ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করেন। অমিতাভের প্রতিদিন ট্যুইট দেখলেই বোঝা যায় যে, তিনি কীভাবে ফলো করেন এই খেলা। বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না যে, বিসিসিআই অমিতাভকে ভিভিআইপি ট্রিটমেন্টই করবে। তাই এই টিকিট দিয়েছে। টিকিটের সঙ্গেই অমিতাভকে দেওয়া হয়েছে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডও। বলাই বাহুল্য যে, খেলা দেখতে এসে যাবতীয় সুযোগ সুবিধাই পাবেন সোনার টিকিটের মালিক। এক দিনের বিশ্বকাপের সব ম্যাচ দেখতে পারবেন অমিতাভ।

    আরও পড়ুন: দেশের নাম বদলের জল্পনা, অমিতাভ বচ্চনের ট্যুইটে নয়া গুঞ্জন

    বিসিসিআই-এর ট্যুইট

    অমিতাভের হাতে বিশ্বকাপের গোল্ডেন টিকিট তুলে দেওয়ার ছবি সমাজমাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে বিসিসিআই। সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘‘বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বিশ্বকাপের ‘গোল্ডেন টিকিট’ তুলে দিয়েছেন সহস্রাব্দের মহাতারকা অমিতাভ বচ্চনের হাতে। তাঁর হাতে আমরা এই টিকিট তুলে দিতে পেরে গর্বিত।’’ বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে এই বিশেষ আমন্ত্রণ পেয়ে খুশি অমিতাভও।

    কী এই গোল্ডেন টিকিট

    মঙ্গলবার বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের ভারতীয় দল ঘোষণা হওয়ার পরেই অমিতাভের বাড়িতে পৌঁছে যান জয়। বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে এই বিশেষ টিকিটের ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এই টিকিট থাকলে দেখা যাবে বিশ্বকাপের সব ম্যাচ। স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা যাবে ভিআইপি গেট দিয়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি স্টেডিয়ামে বিশেষ অতিথির সম্মান পাবেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের খ্যাতনামীদের এই ‘গোল্ডেন টিকিট’ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন বিসিসিআই কর্তারা। বিগ বি-র হাতেই প্রথম তুলে দেওয়া হল এই বিশেষ টিকিট।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jill Biden: করোনা আক্রান্ত মার্কিন ফার্স্ট লেডি, জি-২০ সম্মেলনে কি যোগ দেবেন বাইডেন?

    Jill Biden: করোনা আক্রান্ত মার্কিন ফার্স্ট লেডি, জি-২০ সম্মেলনে কি যোগ দেবেন বাইডেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের হানা, একেবারে হোয়াইট হাউসে। আক্রান্ত হলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন (Jill Biden)। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, সুস্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর রক্তের নমুনার পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত  মার্কিন প্রেসিডেন্ট মাস্ক পরে থাকবেন বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত জি-২০ সম্মেলনে বৃহস্পতিবারই মার্কিন দেশ থেকে রওনা হওয়ার কথা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের। কিন্তু এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে (Jill Biden) তাঁর ভারত সফর নিয়ে সংশয় শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে মার্কিন ফার্স্ট লেডিকে হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকরা।

    আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি (Jill Biden) আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনা ভাইরাসে 

    জিল বাইডেনের (Jill Biden) করোনা পজেটিভ হওয়ার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টেরও পরীক্ষা করা হয়। তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও জানা গিয়েছে আগামী কয়েকদিন করোনার কোনও উপসর্গ তাঁর দেখা দেয় কিনা সেদিকে নজর রাখবে মার্কিন প্রশাসন। নিয়মিত পরীক্ষাও চলবে। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে বিগত কয়েকদিনে যাঁরা মার্কিন ফার্স্ট লেডির (Jill Biden) সংস্পর্শে এসেছেন তাঁরাও যেন করোনা পরীক্ষা করেন। প্রসঙ্গত এটাই প্রথম নয় এর আগেও জিল বাইডেন (Jill Biden) করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে। আবার ২০২২ সালের জুলাই মাসেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন জো বাইডেন নিজেও।

    জি-২০ সম্মেলনে আসছেন কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    জি-২০ সম্মেলনে ইতিমধ্যে  চিনের প্রেসিডেন্ট শি-জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আসছেন না বলে জানা গিয়েছে। এবার যদি মার্কিন প্রেসিডেন্টও না আসেন, তাহলে এই বৈঠকের জৌলুস অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে। তবে, মার্কিন ফার্স্ট লেডির কোভিড সংক্রমণের জেরে বাইডেনের ভারত সফর ঘিরে সংশয় তৈরি হয়েছিল সোমবার। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের মাটিতে পা রাখার কথা তাঁর। বাইডেনকে ভারতে আসার অনুমতি চিকিৎসকরা দেবেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। তবে, মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাই বৃহস্পতিবার তিনি দিল্লিতে আসছেন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share