Tag: bangla news

bangla news

  • Mamata Banerjee: সাংবাদিক বৈঠকে থাকলেন না, অভিষেককে নিয়ে দ্রুত জোট বৈঠক ছাড়লেন মমতা! কেন?

    Mamata Banerjee: সাংবাদিক বৈঠকে থাকলেন না, অভিষেককে নিয়ে দ্রুত জোট বৈঠক ছাড়লেন মমতা! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাল কাটল শেষে! মুম্বইতে ইন্ডিয়া জোটের মিটিং শেষ হওয়ার পরেই বেরিয়ে গেলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকলেন না সাংবাদিক বৈঠকে। তাহলে কি অসন্তোষ? মতের মিল হল না। মোদি-বিরোধী ‘পাঁচ মিশলি’ জোট ভোটের আগে পর্যন্ত এক ছাতার তলায় থাকে কি না তা নিয়েই এখন সরগরম দেশের রাজনীতি।

    দ্রুত প্রস্থান মমতার

    শুক্রের সন্ধ্যাতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কলকাতা ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন জোটের বৈঠকে বাকি ২৬টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অংশ নিলেও। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। বিরোধী জোটের সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার আগে তৃণমূল সুপ্রিমোর মুম্বই ত্যাগ নিয়ে আলোচনা রাজনৈতিক মহলে। 

    রাহুল গান্ধীর উপর অসন্তুষ্ট মমতা

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর উপর অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দিন জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মোদি ও আদানি আঁতাত নিয়ে সরব হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন তিনি। রাহুলের এই পদক্ষেপেই অসন্তুষ্ট তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ জোটের বৈঠকে কোনও প্রাথমিক আলোচনা ছাড়াই আদানি প্রসঙ্গ তোলেন রাহুল।  সূত্রের দাবি, এদিন এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কংগ্রেস নেতাকে প্রশ্নও করেন বিষয়টি ঠিক হল কিনা। 

    জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে মতপার্থক্য

    সূত্রের খবর এবারের বৈঠকে জেডিইউ, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টির মতো দলগুলি জাতিভিত্তিক জনগণনার পক্ষে থাকলেও বিরোধিতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে এই মতপার্থক্যের জেরে রাজনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা স্থগিত রাখা হয়। তবে এই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকের পর তড়িঘড়ি মুম্বই ছাড়েন কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি। 

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    ১৪ সদস্যের সমন্বয় কমিটি

    দ্বিতীয় পর্বের জোট বৈঠকে ১৪ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটিতে তারুণ্যেই জোর দেওয়া হয়েছে। ১৪ সদস্যের এই সমন্বয় কমিটির মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল, CPI নেতা ডি রাজা, DMK নেতা টি আর বালু, NCP প্রধান শরদ পাওয়ার,শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত, বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, আপ সাংসদ রাঘব চড্ডা, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, JDU নেতা লল্লন সিং, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং অপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা নেত্রীর নামও ওই কমিটিতে রয়েছে। তবে তৃণমূলের তরফ থেকে কেবলমাত্র অভিষেকের নামই দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

    রাজ্যে সিপিএম-কংগ্রেসের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ

    পাটনায় জোটের বৈঠক থেকে আগাম বেরিয়ে গিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বেঙ্গালুরুতে বেরিয়ে গিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। প্রথমবার যখন অরবিন্দ কেজরিওয়াল বেরিয়ে গিয়েছিলেন তখন তিনি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছিলেন। তবে এদিন তৃণমূলের তরফ থেকে এনিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলায় সিপিএম ও কংগ্রেসের ভূমিকায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মমতা। এদিন ধূপগুড়িতে যেভাবে মহম্মদ সেলিম অভিষেককে আক্রমণ করেছেন তাতে জোট কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “ভারত হিন্দু রাষ্ট্র”, নাগপুরের অনুষ্ঠানে আবারও দাবি মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “ভারত হিন্দু রাষ্ট্র”, নাগপুরের অনুষ্ঠানে আবারও দাবি মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত হিন্দু রাষ্ট্র।” ফের একবার দাবি করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর মতে, সমস্ত ভারতীয় হিন্দু ও ভারত হিন্দুত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। শুক্রবার নাগপুরে ‘তরুণ ভারত’ নামে একটি দৈনিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই মত পোষণ করেন ভাগবত।

    হিন্দুস্তানের অর্থ

    সরসংঘচালক বলেন, “হিন্দুস্তান মানে হচ্ছে হিন্দু রাষ্ট্র। আর এটা ধ্রুব সত্য। সেই কারণে বর্তমানে যাঁরা দেশে বসবাস করেন, তাঁদের আমি হিন্দু বলে মনে করি। এঁরা সকলেই হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত। এঁদের পূর্বসূরিরাও হিন্দু ছিলেন। বিশ্বজুড়ে হিন্দুত্বের কদর বেড়েছে।” ভাগবত বলেন, “কিছু মানুষ এটা বুঝতে পেরেছেন। অনেকে আবার বুঝেও না বোঝার ভান করছেন। এর কারণ তাঁদের অভ্যাস এবং স্বার্থপরতা। আবার কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা বুঝতে পারছেন না কিংবা ভুলে গিয়েছেন।” স্বদেশি, পারিবারিক মূল্যবোধ এবং শৃঙ্খলার ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন ভাগবত।

    হিন্দুত্বের কদর বাড়ছে

    সরসংঘচালক (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের নিজস্ব আদর্শ অক্ষুণ্ণ রেখে ন্যায্যভাবে এবং সত্যের ভিত্তিতে কোনও কাজ করা উচিত। আমাদের আদর্শের মতো সারা বিশ্বে আর কিছু নেই। এর বিকল্পও নেই। সবাই এটা বুঝতে পেরেছে। কেউ এটা স্বীকার করে, কেউ করে না।” আরএসএস প্রধান বলেন, “আমরা সেই ১৯২৫ সাল থেকেই বলে আসছি যে ভারতে বসবাসকারী প্রত্যেকেই হিন্দু। যারা ভারতকে তাদের মাতৃভূমি বলে মনে করে এবং বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের সংস্কৃতি নিয়ে বাঁচতে চায় এবং ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভাস এবং আদর্শ যাই হোক না কেন, এই পথে এগোনোর চেষ্টা করে, তারা সকলেই হিন্দু।”

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    প্রসঙ্গত, হিন্দুত্ব নিয়ে ভাগবতের (Mohan Bhagwat) এই দাবি এই প্রথম নয়। গত বছর নভেম্বর মাসেও ছত্তিশগড়ে গিয়ে হিন্দুত্বের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। সংঘের একটি অনুষ্ঠানেও ভারতে বসবাসকারী সবাই হিন্দু বলেও দাবি করেছিলেন আরএসএস প্রধান। ভারতে বসবাসকারী সকলের ডিএনএ এক বলেও মন্তব্য করেছিলেন ভাগবত। হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে কোনও পার্থক্যই নেই বলেও দাবি করেছিলেন সংঘপ্রধান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: বাংলায় দলের হালহকিকৎ বুঝতে বৈঠকে বসছেন নাড্ডা, কারা থাকছেন জানেন?

    JP Nadda: বাংলায় দলের হালহকিকৎ বুঝতে বৈঠকে বসছেন নাড্ডা, কারা থাকছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। এমতাবস্থায় ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বিরোধীরা। দেশের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। রণকৌশল স্থির করতে শুক্রবার মুম্বইয়ে বৈঠকে বসেছেন ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা। আরব সাগরের তীরে যখন অস্ত্রে শান দিচ্ছে ‘ইন্ডিয়া’, সেই সময় বাংলা নিয়ে বৈঠকে বসছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। নাড্ডার ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধানের মতো বিজেপির প্রথম সারির কয়েকজন নেতার।

    পদ্মের চোখ ধাঁধানো ফল 

    যেহেতু বাংলায় তৃণমূলকে কোণঠাসা করার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছিল এঁদের ওপর, তাই তাঁদের সঙ্গেই আলোচনায় বসছেন বিজেপি সভাপতি (JP Nadda)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বাংলার পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা কেন্দ্রগুলির অবস্থা বোঝার চেষ্টা করবেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে ৪২টি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম এ রাজ্যে চোখ ধাঁধানো ফল করে পদ্ম শিবির। নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে গেরুয়া নেতৃত্ব জানতে পেরেছিলেন, যে ২৪টি আসনে ধরাশায়ী হতে হয়েছে তাঁদের, সেখানে ব্যবধান ছিল খুব কম।

    ১২৪ আসন নিয়ে পরিকল্পনা 

    বাংলার এই আসনগুলির পাশাপাশি দেশের ১০০টি কেন্দ্রেও অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন পদ্ম প্রার্থীরা। এই আসনগুলিকে কীভাবে পদ্মঝুলিতে নিয়ে আসা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। বাংলায় যে ২৪টি আসনে অল্প ভোটের ব্যবধানে হারতে হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে, সেই আসনগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্মৃতি, ধর্মেন্দ্র, প্রতিমা ভৌমিক সহ দলের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে। এই বৈঠকে এঁদের কাছ থেকেই বাংলার আসনগুলির হালহকিকৎ জানতে চাইছেন নাড্ডা (JP Nadda)।

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    এদিকে, ভোটার তালিকা যাতে স্বচ্ছভাবে প্রস্তুত করা হয়, তা নিশ্চিত করতেও বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ দিয়েছেন নাড্ডা। নয়া ভোটারদের নাম তালিকায় উঠছে কিনা, সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নাম থাকলে তা বাদ দিতে দলীয় কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। শেষ যেবার বঙ্গ সফরে এসেছিলেন নাড্ডা, তখনই তিনি এইসব নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন বলে পদ্ম-শিবির সূত্রে খবর। পুরো প্রক্রিয়া যাতে সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়, তাই রাজ্যস্তরে সাত সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করেছে বিজেপি। জেলাগুলিতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিধানসভাগুলিতে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda Municipality: তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত, বন্ধ টাকা! হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঝালদার ৭ কাউন্সিলর

    Jhalda Municipality: তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত, বন্ধ টাকা! হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঝালদার ৭ কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতছাড়া হওয়া ঝালদা পুরসভা ছিনিয়ে আনতে মরিয়া তৃণমূল। বিরোধীদের জব্দ করতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা এমনই অভিযোগ। পুরসভা শাসক দলের হাতছাড়া হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন স্কিমের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। সেই টাকা পেতেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ঝালদার ৭ কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল।

    বিরোধীদের অভিযোগ

    জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা ঝালদার বাসিন্দা নেপাল মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘স্রেফ বিরোধী দলের পুরসভা বলেই বিভিন্ন অছিলায় রাজ্য সরকার ঝালদা পুরসভার ‘হাউজ ফর অল প্রকল্প’-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তহবিল আটকে রেখেছে। সুবিচার পেতে তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছি।’’ ঝালদা পুরভবন সূত্রে খবর, ‘হাউজ ফর অল প্রকল্পে’ বাড়ি তৈরির জন্য পুরসভায় মোট ৩ কোটি টাকা এসেছিল। গত বছরের শেষে বিরোধীদের ডাকা অনাস্থার জেরে তৃণমূল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল পদ থেকে সরে যাওয়ার কিছু দিনের মাথায় ২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা পুরসভার তহবিল থেকে ফেরত নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঝালদার উপপুরপ্রধান পূর্ণিমার দাবি, ‘‘আবেদন-নিবেদনের পরেও সেই টাকা মেলেনি। সুবিচার পেতে মামলা করা করা ছাড়া গতি নেই।’’

    আরও পড়ুন: চড়া রোদে হেঁটেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে সুকান্ত, ‘চোরেদের’ না আনার আহ্বান

    মামলাকারীদের দাবি

    মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি এদিন আদালতে জানান, শাসক দলের হাত থেকে পুরসভা চলে যাওয়ার পর থেকেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এ কথা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তবে পুরসভা চলছে কীভাবে? আইনজীবী জানান, পুরসভার তরফ থেকে একাধিকবার টাকা দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্য কোনও উত্তর দেয়নি। টাকা প্রত্যাহার করার কোনও নথি আছে কি না, তা দেখতে চান বিচারপতি সিনহা। উল্লেখ্য, গত পুরসভা নির্বাচনের পর পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি তপন কান্দুকে গুলি করে খুন করা হয়। এরপর উপ পুরপ্রধান হন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তারপরও ওই পুরসভার ক্ষমতা ফিরে পেতে বারবার বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ কংগ্রেসের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।” শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের গোঠা হাইস্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরিতে যোগদানের মামলায় এদিন এই মন্তব্য করে বিচারপতি বসু। এই মামলায় আগের শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন তিনি। এদিন প্রকাশ করেন সন্তোষ।

    সিআইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন

    এদিন সিআইডির আইনজীবীকে আদালতের প্রশ্ন, “যাঁরা জাল নথি জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কি চিহ্নিত করা গিয়েছে?” সিআইডির আইনজীবী জানান, তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, “তাঁদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি?” সিআইডির তরফে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, নথি পরীক্ষার কাজ চলছে। এর পরেই বিচারপতি (Calcutta High Court) বসু বলেন, “মনে হচ্ছে সিআইডি সিবিআইয়ের আগে লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে বলুন এই শিক্ষকদের ওপর নজর রাখতে।”

    নিয়োগ দুর্নীতি 

    প্রসঙ্গত, জাল নথি দিয়ে সুতির গোঠা এ আর রহমন হাইস্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন অনিমেষ তিওয়ারি। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা। অভিযোগ, তিনিই প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে জানা যায়, কেবল অনিমেষ নন, জাল নথি দিয়ে আরও কয়েকজনও ওই স্কুলে চাকরি করছেন। এই দুর্নীতির তদন্তভার সিআইডির হাতে দেন বিচারপতি বসু। তদন্ত করতে সিআইডির আধিকারিকরা একাধিকবার ওই স্কুলে যান। তার পরেও তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি না হওয়ায় গত শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    সিআইডির তরফে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে কারা রয়েছেন, তার তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের আদালতে তলবও করেন বিচারপতি বসু (Calcutta High Court)। সিআইডির তদন্তকারী ওই দলের প্রধানকে তাঁর প্রশ্ন, “আপনি কী মনে করছেন, থালায় করে আপনাকে নথি সাজিয়ে দিয়ে আসা হবে?” তদন্ত এভাবে এগোলে এই মামলায় তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশের ব্যাপারে বিবেচনা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি বসু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    Calcutta High Court: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বুথ দখল হওয়ার পরে দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণ ভয়ে কিছু করতে পারিনি।” শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনই জানালেন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের এক প্রিসাইডিং অফিসার। পেশায় শিক্ষক সুমিত পাণ্ডে নামের ওই প্রিসাইডিং অফিসার আদালতকে জানিয়েছেন, দেদার ছাপ্পা হলেও, প্রাণ ভয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট লিখতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

    প্রিসাইডিং অফিসারের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি 

    প্রিসাইডিং অফিসারের এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির পর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ২ ব্লকের ওই বুথে পুনর্নির্বাচন করা নিয়ে কমিশনের অবস্থান জানতে চেয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, ৪ জুলাই রাজ্যে এক দফায় হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোট গণনা হয় ১১ জুলাই। এই নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা ও বুথ দখলের অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ যে নিছক অমূলক নয়, এদিন প্রিসাইডিং অফিসারের স্বীকারোক্তিই তার অন্যতম ‘প্রমাণ’।

    পুনর্নির্বাচনের দাবি

    বেলডাঙার কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ছাপ্পা ও রিগিংয়ের অভিযোগে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন সিপিএম প্রার্থী নাসিমা বেগম। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনের দিন ও ভোট গণনার দিন তাঁর এজেন্টদের মারধর করে ভোটকেন্দ্র ও গণনাকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। মামলাটি ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। তিনি ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের হলফনামা তলব করেন। আদালতে হলফনামা দিয়ে ওই প্রিসাইডিং অফিসার জানান, ভোট গ্রহণের দিন বেলা ১২টা নাগাদ বুথে ঢুকে পড়ে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি লাগু! কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ নাড্ডার

    গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল তাদের মুখ। বুথে ঢুকেই ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে দেদার ছাপ্পা দিতে শুরু করে তারা। সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বুথ দখল করে রেখেছিল তারা। দুষ্কৃতীরা তাঁর ও পোলিং অফিসারদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিল। তাই তাঁরা ঘটনার কথা পুলিশকে জানাতে পারেননি। বিকেল ৫টায় নির্বাচন শেষ হলে তাঁকে ‘ভোট শান্তিপূর্ণ’ লিখতে বাধ্য করে। প্রিসাইডিং অফিসারের  এই হলফনামার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ওই বুথে ফের নির্বাচন করাতে চায় কিনা, ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিয়ে তা জানাতে হবে কমিশনকে। ১২ সেপ্টম্বর ফের শুনানি হবে ওই মামলার (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asia Cup 2023: ভিলেন হতে পারে বৃষ্টি! শনিবার ভারত-পাক ব্লকবাস্টার ম্যাচ কখন, কোথায় দেখতে পাবেন

    Asia Cup 2023: ভিলেন হতে পারে বৃষ্টি! শনিবার ভারত-পাক ব্লকবাস্টার ম্যাচ কখন, কোথায় দেখতে পাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছর পর ওয়ানডে ক্রিকেটে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। বিশ্বকাপের আগে ভারত-পাক মহারণের অপেক্ষায় থাকা লক্ষ লক্ষ ভক্তের আশায় জল ঢালতে পারেন বরুণ দেব। গত দুই দিন ধরে পাল্লেকেলেতে বৃষ্টি হচ্ছে এবং আবহাওয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী শনিবার অর্থাৎ ২ সেপ্টেম্বর আবহাওয়ার অবনতি হতে পারে। শনিবারের আবহাওয়া অনুযায়ী সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাতের শতাংশ হল ৯১%। ফলে অনুমান, ভারত- পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টি হতে পারে।

    পরিসংখ্যান ভারতের পক্ষে

    শেষবার ভারত-পাক ওয়ানডে খেলা হয়েছিল ২০১৯-এ ম্যাঞ্চেস্টারে বিশ্বকাপের মঞ্চে। যেখানে ভারত পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করেছিল ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে। হেড টু হেড পরিসংখ্যানে ভারত শেষ পাঁচ ম্যাচে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। একমাত্র হার ২০১৭-য় ওভালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। বুধবার ভারত ক্যান্ডিতে পৌঁছেছে। তবে বৃহস্পতিবার অনুশীলন করেনি টিম ইন্ডিয়া। শুক্রবার রাতে ভারতের অনুশীলন করার কথা। ক্যান্ডিতে আগামী চারদিন মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই শনিবার ভারত-পাক ম্যাচ পুরোদমে হওয়া নিয়ে জোরালো সংশয় রয়েছে।

    আরও পড়ুন: চোখের নিমেষে শেষ! বিশ্বকাপে ভারত-পাক ম্যাচের টিকিট আর কি পাওয়া যাবে?

    হাওয়া অফিস কী বলছে

    আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে ম্যাচের দিন বৃষ্টি হতে পারে। সেখানকার স্থানীয় আবহাওয়ার দফতর জানাচ্ছে যে, ম্যাচের দিন ৯০ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী ঝোড়ো বৃষ্টিও হতে পারে। আর্দ্রতা হতে থাকতে পারে ৮৪ শতাংশ। এছাড়াও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে। শোনাযাচ্ছ ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের দিন অর্থাত্ শনিবারই ক্যান্ডির ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে বালাগোল্লা ঝড়। আর তাতেই ম্যাচের দিন বৃষ্টির হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ফলে উদ্বেগে ক্রিকেটপ্রেমীরা।

    ম্যাচ কখন শুরু, কোন চ্যানেলে

    ভারত বনাম পাকিস্তান গ্রুপ-এ’র ম্যাচ ভারতীয় সময় অনুযায়ী দুপুর-৩টায় শুরু হবে। টস হবে আধঘন্টা আগে, ২.৩০-এ।

    স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ক এবং ডিজনি হটস্টার-এ ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার উপভোগ করা যাবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: বেহালায় ৩২ বছর ধরে চলছে সরকারি অনুমোদনহীন স্কুল! বিস্মিত বিচারপতি

    Calcutta High Court: বেহালায় ৩২ বছর ধরে চলছে সরকারি অনুমোদনহীন স্কুল! বিস্মিত বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ৩২ বছর ধরে চলছে স্কুল। তাও আবার খাস কলকাতার বুকে। বেহালার বিবেকানন্দ পল্লী কিশোর ভারতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এই ৩২ বছরে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের নাকি সরকারি অনুমোদনই নেই। এই তথ্য সামনে আসতেই শুক্রবার সরগরম হয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ঘটনা এক শিক্ষিকার পেনশনকে ঘিরে। ২০১৭ সালে বেহালার বিবেকানন্দ পল্লী কিশোর ভারতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অবসর নেন শিক্ষিকা ধারা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তারপরে থেকেই তিনি পেনশন পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। সব জায়গায় দরবার করার পরে তিনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারস্থ হন সেখানেও তাঁর সমস্যার সমাধান হয় না। এরপর স্কুল শিক্ষিকা সোজা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন। 

    শুক্রবারই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়

    শুক্রবারই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চে (Calcutta High Court) এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে ধারা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদে গিয়ে তাঁর মক্কেল জানতে পারেন যে স্কুলের সরকারি অনুমোদনের পুনর্নবীকরণ সংক্রান্ত ১৬,০০০ টাকা বকেয়া রয়েছে। ওই টাকা পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যদি পায় তখনই পদক্ষেপ নিতে পারবে।’’ এই শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে যান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta High Court)। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘কীভাবে স্থায়ী সরকারি (Calcutta High Court) অনুমোদন ছাড়া ৩২ বছর ধরে একটা স্কুল চলছে! জেলা স্কুল পরিদর্শকরা এতদিন ধরে কী করছিলেন? তাঁদের কাজ কি শুধু বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে নজরদারি রাখা?’’ বিচারপতি (Calcutta High Court) বসুর আরও সংযোজন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদই বা কি করছে? এত বছরে তো হাজার হাজার জন স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছে? তাঁরা যদি বাইরে পড়তে যায় এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয় যদি স্কুলের অনুমোদন সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করে না পায় তাহলে মহা বিপদে পড়বে পড়ুয়ারা।’’  

    কী বলছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ?

    অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী বলেন,‘‘এরকম অনেক স্কুল আছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে অস্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয় এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে স্কুলের আবেদনের ভিত্তিতে স্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয়। এই স্কুল হয়তো সেই আবেদন করেনি।’’ এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এটা তো অত্যন্ত চিন্তার বিষয়!’’এদিন বিচারপতি (Calcutta High Court) বিশ্বজিৎ বসু, নির্দেশ দেন সরকারি অনুমোদনের জন্য কোনও শিক্ষিকার পেনশন আটকে থাকতে পারে না। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে জমা করারও নির্দেশ দেন বিচারপতি বসু। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য (Calcutta High Court) করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • LPG Price Cut: ফের সস্তা রান্নার গ্যাস! ১৫৭ টাকা কমল সিলিন্ডারের দাম, কারা লাভবান হবেন?

    LPG Price Cut: ফের সস্তা রান্নার গ্যাস! ১৫৭ টাকা কমল সিলিন্ডারের দাম, কারা লাভবান হবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসের শুরুতেই  ফের দাম কমল এলপিজি গ্যাসের(LPG Cylinder)। শুক্রবার ১৯ কেজি ওজনের বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম ১৫৭ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিল রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থাগুলি। দিন দু’য়েক আগেই গৃহস্থলী গ্যাসের দাম এক ধাক্কায় ২০০ টাকা কমানোর কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। আর ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম (Commercial LPG cylinder prices) কমল দেড়শ টাকার বেশি।

    কোথায় কত গ্যাসের দাম

    কলকাতায় আজ , শুক্রবার থেকে ১৯ কেজি ওজনের বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হল ১৬৩৬ টাকা। গতমাসে কলকাতায় বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিল ১৮০২.৫০ টাকা।এদিকে দিল্লিতে ১৯ কেজি ওজনের রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম আজ থেকে হল ১৫২২.৫ টাকা। গতকাল পর্যন্ত এই সিলিন্ডারের দাম ছিল ১৬৮০ টাকা। চেন্নাইয়ে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হল ১৬৯৫ টাকা। এর আগে গতমাসে চেন্নাইতে ১৯ কেজি ওজনের গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিল ১৮৫২.৫০। মুম্বইয়ে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম হয়েছে ১৪৮২ টাকা। গতমাসে সেই দাম ছিল ১৬৪০.৫০ টাকা। এর আগে গত ১ এপ্রিল ও মে মাসেও বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমেছিল। মে মাসে ১৭১.৫০ টাকা দাম কমেছিল ১৯ কেজি ওজনের গ্যাসের। 

    আরও পড়ুন: করছে সরকারি চাকরি! তিন দশক ধরে গা ঢাকা দেওয়া আট জঙ্গি গ্রেফতার কাশ্মীরে

    সম্প্রতি রাখির দিনে দেশবাসীকে রান্নার গ্যাসের দামে প্রায় দুশো টাকা ছাড় দিয়েছিল কেন্দ্র। সরকার জানিয়েছিল, প্রতি সিলিন্ডারে সরকার ২০০ টাকা করে ভর্তুকি দেবে। শুধু তাই নয়, উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় থাকা পরিবারগুলির জন্য আরও বড় ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় সিলিন্ডার পিছু ৪০০ টাকা ভর্তুকি পাবেন গ্রাহকরা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে জানিয়েছিলেন, রাখি এবং ওনাম উপলক্ষে রান্নার গ্যাসের দাম ২০০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। এই উৎসবে মা-বোনেদের ‘স্নেহ উপহার’ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান তিনি। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, নতুন করে আরও ৭৫ লক্ষ মহিলাকে উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় আনা হবে। মঙ্গলবারের পর দিল্লিতে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমে হয় ৯০৩ টাকা। উজ্জ্বলা প্রকল্পের আওতায় যাঁরা রান্নার গ্যাস কিনছেন, তাঁরা সিলিন্ডার প্রতি ৭০৩ টাকা করে দিচ্ছেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: লক্ষ্য ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি লাগু! কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ নাড্ডার

    One Nation One Election: লক্ষ্য ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি লাগু! কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই ডাকা হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) নীতি কার্যকর করতে গড়া হয়েছে কমিটিও। এই কমিটির মাথায় রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আজ, শুক্রবার তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এর পরেই দুয়ে দুয়ে চার করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। চলতি বছরেই রয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। আপাতত এই নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। এগিয়ে আসতে পারে লোকসভা নির্বাচন। আর যদি ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি কার্যকর হয়, তবে দেশ ফিরবে ’৬৭ সালের আগের অবস্থায়।

    ‘এক দেশ এক নির্বাচন’

    ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বসবে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’র পাশাপাশি ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত বিল পাশ করানো হবে বলে জল্পনা। সরকারি একটি সূত্রে খবর, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ পেশ করা হতে পারে এই বিশেষ অধিবেশনেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি বিশেষ অধিবেশনে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) বিল পাশ হয়ে যায়, তাহলে ঘর গোছানোর সময় পাবেন না বিরোধীরা। বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা আলাদা নির্বাচন হলে যে বিস্তর খরচ হতো, তাও বেঁচে যাবে। এমতাবস্থায় কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করলেন নাড্ডা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তি

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই ‘এক দেশ এক নির্বাচনে’র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর যুক্তি ছিল, এতে নির্বাচনের বিপুল খরচ কমবে। এক সঙ্গে দুটি নির্বাচন হলে সরকারি কর্মীদের কাজের চাপ কমবে। পৃথক ভোট হলে বারংবার আদর্শ আচরণবিধি লাগুর কারণে যে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম থমকে থাকে, তা আর হবে না। মোদি সরকারের এই নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডিয়া’ নয়, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, জানাল আরও একটি রিপোর্ট

    তাঁদের মতে, এই নীতির সাহায্যে মোদি সরকার ঘুরপথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে দেশে। এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী। প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এক সঙ্গেই হতো লোকসভা ও বিধানসভাগুলির নির্বাচন। পরে কয়েকটি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু হওয়ায় ছেদ পড়ে এই ধারাবাহিকতায়। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর এ বিষয়ে (One Nation One Election) আলোচনা করতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল মোদি সরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

LinkedIn
Share