Tag: bangla news

bangla news

  • Neeraj Chopra: দুরন্ত থ্রোয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নীরজ, সঙ্গে প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতাও

    Neeraj Chopra: দুরন্ত থ্রোয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নীরজ, সঙ্গে প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করে ফেললেন সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ফের স্বমহিমায় টোকিয়ো অলিম্পিক্সের সোনা জয়ী নীরজ। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ের লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগোলেন ভারতীয় অ্যাথলিট।

    মরসুমে সেরা থ্রো

    শুক্রবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জ্যাভলিনে গ্রুপ এ-র লড়াই ছিল। সেখানে ৮৩ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়তে পারলে সরাসরি ফাইনালে ওঠার সুযোগ ছিল। নীরজ ৮৮.৭৭ মিটার ছুড়ে সেই কাজটাই করে ফেললেন। অলিম্পিক্সে সোনা জয়ের জন্য নীরজ ছুড়েছিলেন ৮৭.৫৮ মিটার। তার থেকেও বেশি দূরে জ্যাভলিন ছুড়লেন নীরজ। এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত সব থেকে দূরে জ্যাভলিন ছুড়লেন তিনি। আগামী রবিবার ফাইনালে নামবেন নীরজ। অলিম্পিক্স-সহ নানা প্রতিযোগিতায় সোনার পদক পেলেও, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে এখনও প্রথম স্থান অধিকার করতে পারেননি নীরজ।

    হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছেন নীরজ-সহ তিনজন ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ার। ৩৭ জনের মধ্যে ১২ জন ফাইনালে উঠতে পারবেন। তার মধ্যেই প্রথম হিসাবে ফাইনালে জায়গা করে নিলেন এই প্রতিযোগিতায় গতবারের রুপোজয়ী নীরজ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করার জন্য যে দূরত্বে জ্যাভলিন ছুড়েছিলেন , তাতেই পরের অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করলেন তিনি। ২০২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করার জন্য এই বছর ১ জুলাইয়ের পর কোনও প্রতিযোগিতায় ৮৫.৫ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়তে হত। সেটাই করলেন নীরজ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ্যতা অর্জন করার সঙ্গে প্যারিস অলিম্পিক্সেও নিজের জায়গা পাকা করে ফেললেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • LCA Tejas Mk-1A: আরও ১০০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারতীয় বায়ুসেনা! শীঘ্রই বরাত হ্যাল-কে

    LCA Tejas Mk-1A: আরও ১০০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারতীয় বায়ুসেনা! শীঘ্রই বরাত হ্যাল-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন-পাকিস্তান দ্বৈত সীমান্তের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় বায়ুসেনাকে (Indian Air Force) শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া বেশ কয়েক বছর ধরেই করে আসছে মোদি সরকার। সেই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশীয় লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস যুদ্ধবিমানের আরও ১০০টি নতুন ‘মার্ক ১এ’ (LCA Tejas Mk-1A) সংস্করণ কেনার বিষয়ে উদ্যোগী হলো বায়ুসেনা। এই প্রেক্ষিতে একটি প্রস্তাব বায়ুসেনার তরফে কেন্দ্রের কাছে পেশ করা হতে পারে। সূত্রের খবর, হয়ত তা কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেত পেয়েও যাবে। সব ঠিকঠাক চললে, খুব শীঘ্রই এই বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডকে বরাত দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    বায়ুসেনায় ৩০০টির ওপর তেজস

    বায়ুসেনার (Indian Air Force) তরফে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী, ‘তেজস মার্ক ১এ’ (LCA Tejas Mk-1A) যুদ্ধবিমানের আধুনিক সংস্করণের ১০০টি ইউনিট কেনা হবে। খুব দ্রুত এর জন্য বরাত দেওয়া হবে হ্যাল-কে। জানা গিয়েছে, এই ১০০টি বিমান হাতে আসতে প্রায় ১৫ বছর লাগবে। সেটা হওয়ার পর বায়ুসেনার হাতে ৪০টি এলসিএ তেজস মার্ক-১, ১৮০টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ এবং অন্তত ১২০টি তেজস মার্ক-২ (বর্তমানে পরীক্ষার স্তরে) যুদ্ধবিমান থাকবে। 

    গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বায়ুসেনা প্রধান

    বুধবার, বায়ুসেনার (Indian Air Force) সদর দফতরে এলসিএ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরি। সেখানেই বায়ুসেনার উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বায়ুসেনার শীর্ষ আধিকারিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, হ্যাল, ডিআরডিও এবং এডিএ-র শীর্ষ পদাধিকারীরা। সেখানেই এই ১০০টি যুদ্ধবিমান (LCA Tejas Mk-1A) কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়। মৌখিকভাবে, হ্যালকে সেই সিদ্ধান্ত জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। আপাতত, অপেক্ষা সরকারি সিলমোহরের। 

    দেশের গর্ব এলসিএ তেজস

    চতুর্থ প্রজন্মের ‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্‌ট’ গোত্রের তেজস সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এর ৬৫ শতাংশেরও বেশি যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামও ভারতীয় সংস্থাগুলি তৈরি। ছ’দশকের পুরনো রুশ যুদ্ধবিমান মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমানের পরিবর্ত হিসেবে তেজস ব্যবহার করতে শুরু করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ভারতীয় বায়ুসেনায় এলসিএ তেজস মার্ক-১ যুদ্ধিবিমানের অন্তর্ভুক্তি হয়েছিল ২০১৬ সালে। প্রথম স্কোয়াড্রনটি ছিল বায়ুসেনার ৪৫ স্কোয়াড্রন, পোশাকী নাম ‘ফ্লাইং ড্যাগার্স’। তেজস ব্যবহারের আগে, এই স্কোয়াড্রন মিগ-২১ বাইসন ব্যবহার করতো। 

    চলছে আধুনিকীকরণ

    পরবর্তীকালে, ২০২১ সালের গোড়ায় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৮৩টি হালকা যুদ্ধবিমান তেজসের উন্নত সংস্করণ মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk-1A) কেনার বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি। এখন সেগুলির উৎপাদন চলছে সংস্থার বেঙ্গালুরুর কারখানায়। হ্যাল-এর তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৪ ফেব্রুয়ারি থেকেই ওই শুরু হবে এই বিমানগুলোর ডেলিভারি প্রক্রিয়া। তার আগেই, বায়ুসেনার (Indian Air Force) তরফে আরও ১০০টি আধুনিক সংস্করণের যুদ্ধবিমানের বরাত পেতে চলেছে হ্যাল। উৎপাদনের পাশাপাশি, প্রতিনিয়ত এই যুদ্ধবিমানকে আরও শক্তিশালী ও আধুনিক করার প্রক্রিয়া একইসঙ্গে চলছে। তেজসকে সম্প্রতি ‘অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যান্‌ড অ্যারো রেডার’ (এএসইএ), মিড এয়ার ফুয়েলিংয়ে সজ্জিত করার কাজও সম্পূর্ণ করে ফেলেছে হ্যাল। ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য (INS Vikramaditya) থেকে সফল উড়ান এবং অবতরণ পরীক্ষা হয়েছে তেজসের। 

    শক্তিশালী ‘অস্ত্র’-এ সজ্জিত তেজস

    শুধু তাই নয়, তেজস-এর (LCA Tejas Mk-1A) মারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পরীক্ষাও চলছে ক্রমাগত। বুধবারই ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় তেজস যুদ্ধবিমান থেকে পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ করা হয় স্বদেশীয় ‘অস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্রের। গোয়ায় ডিআরডিও-র তত্ত্বাবধানে এই পরীক্ষা চলে। ‘অস্ত্র’  হলো ১০০ কিলোমিটার পাল্লার মাক ৪.৫ (শব্দের চেয়ে সাড়ে চার গুণ বেশি গতি) বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ বা দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম আকাশ-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। এক কথায়, বিমান থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায়। এই ক্ষেপণাস্ত্র মূলত আকাশপথে হামলাকারী শত্রু বিমান, হেলিকপ্টার, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম। সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানে ইতিমধ্যেই যুক্ত করা হয়েছে এই মিসাইল। বুধবারের পরীক্ষা সফল হওয়ায়, শীঘ্রই তেজসেও এই বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করা হবে। বর্তমানে এই ক্ষেপণাস্ত্রের আরও উন্নত ও অধিক ১৬০ কিমি পাল্লার সংস্করণ নিয়ে পরীক্ষা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda News: মালদায় রাজ্যপাল, দেখা করলেন নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে

    Malda News: মালদায় রাজ্যপাল, দেখা করলেন নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিজোরামে নির্মীয়মান সেতু দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Malda News)। মৃতদের পরিবার পিছু রেলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লাখ টাকা এবং কম আহতদের ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন তিনি। এদিন মালদার (Malda News) পুকুরিয়া থানার চৌদুয়ার গ্রামের মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

    মালদায় (Malda News) কী বললেন রাজ্যপাল? 

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জানান, মৃত ও আহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার। মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। যদিও রাজ্যে কর্মসংস্থানের অভাবের ফলেই শ্রমিকেরা ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে পাড়ি দিচ্ছেন কি না- সেই প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান ।  শুক্রবার সকালে রেলপথে মালদা (Malda News) এসে পৌঁছান রাজ্যপাল। এদিন রাজ্যপালের সামনেই কথা বলতে বলতে জ্ঞান হারিয়েছেন নিহত কারও স্ত্রী, কারও মা। ১৩ বছরের এক মেয়ের দাদা দুর্ঘটনায় মারা যান। সে বলে, “এখানে কোনও কাজ পায়নি দাদা। তার জন্যই বাইরে গিয়েছিল। পরিবারের কষ্ট আর সহ্য করতে পারেনি। আমি কি আর পড়াশোনা করতে পারব না? আমার দাদার স্বপ্ন ছিল (Malda News) যাতে আমি ভালভাবে পড়াশোনাটা করি। তার জন্য বাড়তি দুটো পয়সার জন্য বাইরে গিয়েছিল। এখানে কিচ্ছু নাই, তার জন্যই তো বাইরে গিয়েছিল।”

    মিজোরামে নির্মীয়মান রেল সেতু ভেঙে মৃত্যু হয় বহু শ্রমিকের  

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে মিজোরামের সাইরান এলাকায় একটি নির্মীয়মান রেল সেতু ভেঙে মৃত্যু হয় বহু শ্রমিকের। এদের মধ্যে ২৩ জন মালদার বাসিন্দা (Malda News) বলে জানা যায়। ঘটনার পরপরই শোকের ছায়া নেমে আসে মৃত ও আহতদের পরিবারে। শাসক ও বিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রীরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে এলেও খোদ রাজ্যপালের এহেন কর্মসূচি রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃত শ্রমিকদের দেহ মালদায় ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাতেই বেশ কয়েকটি দেহ মালদায় (Malda News) ফিরে আসতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: মণিপুর হিংসায় সিবিআই মামলার শুনানি হবে অসমে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: মণিপুর হিংসায় সিবিআই মামলার শুনানি হবে অসমে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের হিংসা সংক্রান্ত যে মামলাগুলির তদন্ত রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে, তার শুনানি হবে অসমের গুয়াহাটিতে। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ওই মামলাগুলির বিচারের জন্য নিম্ন আদালত মনোনয়নের ভার গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, অভিযুক্তদের হাজিরা, পুলিশ হেফাজত, জেল হেফাজত এবং হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলা হবে অনলাইনে।

    গুয়াহাটির আদালতে হাজিরা

    নির্যাতনের শিকার, সাক্ষী এবং সিবিআই মামলায় যুক্ত কারও যদি অনলাইনে মুখ দেখাতে আপত্তি বা ভয় থাকে, তাহলে তিনি গুয়াহাটির আদালতে সরাসরি হাজিরা দিতে পারেন। অনলাইন বিচারের জন্য মণিপুর সরকারকে সচল ও দ্রুতগামী ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। প্রসঙ্গত, মণিপুরের কংপোকপিতে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর ঘটনা সহ মোট ১০টি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। ২১ অগাস্ট মণিপুরের হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, ত্রাণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বিচারপতি গীতা মিত্তলকে নিয়ে কমিটি গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট গঠিত প্যানেল তিনটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পরিচয়পত্র নষ্ট হয়ে যাওয়া, ক্ষতিপূরণের বৃদ্ধি ইত্যাদি।

    টিম গড়েছে সিবিআই

    মণিপুর হিংসার ঘটনাগুলি তদন্তের জন্য চলতি মাসেই ২৯ জন মহিলা আধিকারিক সহ মোট ৫৩জন আধিকারিককে নিয়ে টিম গড়েছে সিবিআই। এই টিমে (Supreme Court) পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদার তিন মহিলা অফিসার। দু’ জন অতিরিক্ত সুপার এবং ছ’ জন ডেপুটি সুপার পদমর্যাদার মহিলা অফিসারও রয়েছেন। তদন্ত প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধান করবেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: “এক সময় এগরোল বিক্রি করতেন, তারপরে এই উত্থান”, সুজিতকে কটাক্ষ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, সিবিআই মামলাগুলি প্রতিবেশী রাজ্যে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তাঁর যুক্তি ছিল, মণিপুরে বিচার প্রক্রিয়া চললে বিচারপতিদের জাতি পরিচয় একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। অভিযুক্তদের আদালতে হাজিরার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    এদিকে, মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ ও বিজেপি সভাপতি সারদা দেবীকে তলব করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের তলব পেয়ে বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে গিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার শাহের বাসভবনে হবে ওই বৈঠক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19 Guidelines: রাজ্যে কোভিড বিধি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হলো! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    Covid 19 Guidelines: রাজ্যে কোভিড বিধি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হলো! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আর কোভিড বিধি (Covid 19 Guidelines) রইল না। বৃহস্পতিবার টেলি সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো শুক্রবার আর খাতায় কলমে কোনও কোভিড বিধি নেই রাজ্যে। যদিও, অনেক আগে থেকেই মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়গুলি বাসে, ট্রেনে দেখা যাচ্ছিল না। তবুও সরকারি বিধিনিষেধ ছিল। এদিন সেই বিধি নিষেধ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    সরকারি ভাবে উঠল কোভিড-বিধি

    টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়েই কোভিড বিধি (Covid 19 Guidelines) প্রসঙ্গে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ই তিনি বলেন, ‘আজ থেকে পশ্চিমবঙ্গে কোভিডবিধি প্রত্যাহার করা হল। আজ থেকে সমস্ত কোভিড গাইডলাইন তুলে দেওয়া হল।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিডের সময় থেকে মানুষ অনেক কষ্ট পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হয়েছিল তাঁদের। সেই সময় তাঁদের সামনে কোনও অনুপ্রেরণা ছিল না। তখন এই টিভি এই সিরিয়ালই দেখত মানুষ। এবার কোভিডবিধি তুলে নেওয়া হল।’  করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের সঙ্গেই ২০২০ সালের ২৩ মার্চ থেকেই লাগু হয় কোভিডবিধি। মাঝে কোভিড বিধি শিথিল করা হলেও করোনা বাড়তেই ফের কড়া হয় গাইডলাইন। করোনার ডবল ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজের পর প্রকোপ কমতেই মাস্ক ভুলেছে মানুষ। কমেছে স্যানিটাইজারের ব্যবহারও। প্রতিদিনের জীবনে বাস-ট্রেনে দূরত্ববিধি অতীত। অবশেষে সরকারিভাবে এদিন কোভিডবিধি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।

    আরও পড়ুন: ৫০ কোটির ‘তছরুপ’! সমবায় সমিতির দুর্নীতির তদন্তেও ইডি-সিবিআই

    প্রসঙ্গত , চলতি মাসেই রাজ্যে একাধিকজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট সামনে এসেছে। এমনকী কলকাতাতেই কোমর্বিডিতে এক মহিলার মৃত্যুর খবর সামনে আসে। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের মধ্যে অগাস্টের শুরুতেই ২ জন ষাটোর্ধ্ব করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর মেলে। এদিনে দিন দুয়েক আগেই কেন্দ্র কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট EG.5 এবং BA.2.86 নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। আগাম সতর্কতা হিসেবে কোভিডের নয়া প্রজাতিকে রুখতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকে কেন্দ্র। আপাতত রাজ্যগুলিকে জিনোম সিকোয়েন্সিং টেস্ট বাড়ানোর উপর জোর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এরই মাঝে বাংলা থেকে কোভিড বিধি প্রত্যাহারের সরকারি ঘোষণা হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi At BRICS: ব্রিকস সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের কী কী উপহার দিলেন মোদি? জেনে নিন

    PM Modi At BRICS: ব্রিকস সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের কী কী উপহার দিলেন মোদি? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকা ব্রিকস সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের উপহার দিলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi At BRICS)। প্রত্যেকটি উপহারই ছিল ভারতীয় ঐতিহ্য এবং নিজস্ব শিল্পকর্ম মোড়া। ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসাকে দুটি ‘সুরাহি’ উপহার দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, এগুলি তেলেঙ্গানা থেকে তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি লেডি রামাফোসাকে মোদির উপহার ‘নাগাল্যান্ডের সাল’। জানা যাচ্ছে, ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য নাগাল্যান্ডের উপজাতিরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই শাল তৈরি করছেন। এটির জটিল নকশা উজ্জ্বল রং এক আলাদা মাত্রা দিয়েছে শালটিকে। এই সালের মধ্য দিয়েই নাগাল্যান্ডের ওই উপজাতিদের প্রাচীন ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং জীবনধারা প্রতিফলিত হয়। 

    উপহার দেওয়া হয়েছে কর্নাটকের ‘বিদ্রি’ ফুলদানি 

    এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতিকে মোদি (PM Modi At BRICS) দিয়েছেন ‘বিদ্রি’ ফুলদানি। কী এই ফুলদানি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় শিল্পকলায় সৃষ্ট এটি কর্নাটকের বিদার শহরে তৈরি হয়।’’ এর উপাদানে থাকে দস্তা, তামা এবং অন্যান্য ধাতু সংকর, লোহা এতে থাকে না। ঢালাই এর উপর খোদাই করা থাকে বিভিন্ন কারুকাজ। তাতে ভারতীয় শিল্পকর্মের ছাপ থাকে। খাঁটি রুপোর তার দিয়ে এই ফুলদানি সাজানো হয়। তারপরে বিশেষ একটি মাটির দ্রবণে ফুলদানিটিকে ভিজিয়ে রাখা হয়। এর ফলে দস্তার খাদ খুবই উজ্জ্বল কালো হয়ে ওঠে, কালো ব্যাকগ্রাউন্ড এর উপর রুপোলী কারুকাজগুলি আরও সুন্দর দেখতে লাগে।  

    ‘নক্কাশি’ ও ‘গোল্ড পেইন্টিং’ উপহার দেন মোদি (Pm Modi)

    পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতিকে মোদি (PM Modi At BRICS) দিয়েছেন রুপোর ‘নক্কাশি’। কিভাবে তৈরি হয় এই শিল্পকর্ম? জানা যাচ্ছে, প্রথমে কাগজে আঁকা হয় তারপর সেই কাগজটিকে রুপোলি সিটের উপর স্থানান্তরিত করা হয়। অন্যদিকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলাদা সিলভাকে মধ্যপ্রদেশের বিশেষ ‘গোল্ড পেইন্টিং’ উপহার দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, এগুলিও মধ্যপ্রদেশের উপজাতিদের শিল্পকর্মের অন্যতম নিদর্শন। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দু এবং রেখা দিয়ে তৈরি এই ছবিগুলিকে মধ্যপ্রদেশের গোল্ড সম্প্রদায়ের দেওয়ালে দেখা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ভোর থেকেই কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টিপাত, চলবে কতদিন?

    Weather Update: ভোর থেকেই কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টিপাত, চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই সূর্য লুকিয়েছে মেঘের আড়ালে। ভোর থেকেই শুরু হয়েছে বঙ্গের জেলায় জেলায় বৃষ্টি (Weather Update)। শহর কলকাতাতেও একই পরিস্থিতি রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত মৌসুমী অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে এবং এর প্রভাবেই চলছে বৃষ্টি (Weather Update)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই এই চিত্র দেখা যায় রাজ্য জুড়ে। দক্ষিণবঙ্গে অবশ্য বুধবার থেকেই চলছে বৃষ্টি (Weather Update)। হাওয়া অফিস বলছে যে শনিবার পর্যন্ত এই বৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে উত্তরবঙ্গে নদীগুলিতে বাড়ছে জলস্তর। 

    উত্তরবঙ্গে কমলা সতর্কতা

    ভারী বৃষ্টির (Weather Update) কারণে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। শুক্রবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ইত্যাদি জেলায় বৃষ্টির (Weather Update) পরিমাণ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি কোচবিহার এবং দার্জিলিং-এর মতো জেলাতে বৃষ্টির পরিমাণ হতে পারে ১০০ মিলি লিটার। অন্যদিকে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে হাওয়া অফিস এবং রবিবার থেকে বৃষ্টির (Weather Update) পরিমাণ কমবে বলেও জানা গিয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গে চলবে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত (Weather Update)

    অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত (Weather Update) হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কম কমবে, দক্ষিণবঙ্গের চার জেলাতে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির (Weather Update) সতর্কতা জারি করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান। অন্যদিকে কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া ও হুগলিতেও চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।

    কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া

    কলকাতার ক্ষেত্রেও শুক্রবার মাঝারি বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্র থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “অচিরেই ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে”, জি-২০ বৈঠকে প্রত্যয়ী মোদি

    PM Modi: “অচিরেই ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে”, জি-২০ বৈঠকে প্রত্যয়ী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রেড টেপ ছেড়ে ভারত এখন রেড কার্পেটে।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর এই বাক্য-বাণের অভিমুখ অবশ্যই কংগ্রেসের দিকে। রাজস্থানের জয়পুরে এদিন বিনিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠকে বসেন জি-২০-র সদস্য দেশগুলির মন্ত্রীরা। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে ভার্চুয়ালি ওই বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি কটাক্ষ করেন কংগ্রেসকে। এর পরেই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে ভারতের অর্থনীতির প্রসঙ্গ।

    মোদির কণ্ঠে ঝরে পড়ল প্রত্যয়

    তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। অচিরেই তৃতীয় স্থান দখল করবে। এসবই হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কঠিন পরিশ্রমের ফলে। বাণিজ্য এবং বিশ্বায়ন লক্ষ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রতা থেকে বের করে এনেছে। ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বের আশার আলো। এই অর্থনীতিতে বিশ্বাস রাখছে দুনিয়া। আমরা সেটা দেখতেও পাচ্ছি।”

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা নীতিগত বিষয়ে স্থিরতা এনেছি। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে। এর জন্য আমরা দায়বদ্ধ। বিশ্ব অতিমারির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতাও আছে। এগুলি বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এবং সেই পরীক্ষাগুলিও উতরেছে দুনিয়া। জি-২০ গোষ্ঠীর সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বাসের জায়গা গড়ে তোলাটা আমাদের দায়িত্ব। ভবিষ্যতে আরও অনেক ধাক্কা আসতে পারে। তার মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে সহনশীল ও সর্বব্যাপী মূল্যবোধের একটা শৃঙ্খল আমাদের গড়ে তোলা উচিত।”

    ‘গেম চেঞ্জার’

    তিনি বলেন, “রাজস্থানের জয়পুর শিল্পপতিদের কাছে সুপরিচিত। ইতিহাসে দেখা যায়, ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে দিয়ে চিন্তাভাবনার আদান-প্রদান হয়েছে, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তিও ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। এতে মানুষ একে অপরের আরও কাছাকাছি এসেছে। ‘ওপেন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কমার্সে’র ওপরও এদিন গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। একে তিনি ‘গেম চেঞ্জার’ অভিধায় ভূষিত করেন। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা প্রতিযোগিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করেছি। আমরা ডিজিটালাইজেশন সম্প্রসারিত করেছি এবং উদ্ভাবনের প্রচার করেছি। আমরা ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর স্থাপন করেছি এবং শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলেছি। আমরা রেড টেপ থেকে রেড কার্পেটে চলে এসেছি এবং এফডিআই প্রবাহকে উদারীকরণ করেছি।”

    আরও পড়ুুন: “এক সময় এগরোল বিক্রি করতেন, তারপরে এই উত্থান”, সুজিতকে কটাক্ষ সুকান্তর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: “এক সময় এগরোল বিক্রি করতেন, তারপরে এই উত্থান”, সুজিতকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “এক সময় এগরোল বিক্রি করতেন, তারপরে এই উত্থান”, সুজিতকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নিউটাউন, বাগুইআটি এই সমস্ত এলাকায় ঘুরে জানতে পেরেছি ভদ্রলোক এক সময় স্টেশনের পাশে এগরোল বিক্রি করতেন। সেই থেকেই এই উত্থান।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই কটাক্ষের অভিমুখ যিনি, তিনি তৃণমূল নেতা সুজিত বসু, রাজ্যের মন্ত্রীও বটে। পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নিজাম প্যালেসে তাঁকে তলব করেছে সিবিআই।

    সুকান্তর নিশানায় সুজিত

    ‘গৃহ সম্পর্ক অভিযান’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিজেপি। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েই বাগুইআটির জ্যাংড়া এলাকায় গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আক্রমণ শানান তৃণমূলকে। সুজিতকে সিবিআইয়ের তলব প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “এরা হাজিরা দেওয়ার পক্ষপাতি নয়। শুধু সিবিআই কেন, ইডিরও তদন্ত হওয়া উচিত। যে ব্যক্তির কথা বলছেন, আমি কলকাতায় আসার পর নিউটাউন, বাগুইআটি এই সমস্ত অঞ্চল ঘুরে জানতে পেরেছি, ভদ্রলোক এক সময় স্টেশনের পাশে এগরোল বিক্রি করতেন। সেই থেকেই উত্থান। ওঁর এই মডেল স্টাডি করা যেতে পারে। ইডিরও স্টাডি করা উচিত এত টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন কী করে। এক সময় সুভাষ চক্রবর্তীকে ধরেছিলেন। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এখন বলছেন, ‘দুষ্টু ছেলে’।”

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’

    তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, সিবিআই এবং ইডি দুই সংস্থারই তদন্ত করা উচিত এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন এবং ভাগ অন্য কেউ পেয়েছে কিনা, সেগুলোও দেখা উচিত।” ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “এটায় তো লুকোনোর কোনও বিষয় নেই, বাচ্চারাও জানে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কার কোম্পানি। লোকসভায় বিষয়টি তুলেছিলাম। তৃণমূলের ওদিকে সবাই বসেছিলেন, একটা শব্দ পর্যন্ত কেউ করতে পারেননি। একটা কোম্পানির কয়েক বছরের মধ্যে টার্নওভার জাম্প। কতগুণ লাফ, আর কোম্পানিটা কার সবই প্রকাশ্যে। আমার কাছে ওয়েবসাইটের কাগজ রয়েছে, দিয়ে দেব। ক্লাস নাইনে পড়ার সময়ই নাকি উনি সংস্থার মালিক, যেখানে পরিষ্কার লেখা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি। লুকোনোর কী আছে? ঘোমটার নীচে খেমটা নাচন দিয়ে কোনও লাভ আছে? ঘোমটা খুলে নাচুন।”

    আরও পড়ুুন: ৫০ কোটির ‘তছরুপ’! সমবায় সমিতির দুর্নীতির তদন্তেও ইডি-সিবিআই

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • C V Ananda Bose: র‍্যাগিং-মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে ইসরোর সাহায্য চাইলেন রাজ্যপাল 

    C V Ananda Bose: র‍্যাগিং-মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে ইসরোর সাহায্য চাইলেন রাজ্যপাল 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র‌্যাগিং রুখতে  প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করার কথা ভাবছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। র‌্যাগিং মোকাবিলায় এ বার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।

    রাজ্যপালের আর্জি

    রাজভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে র‌্যাগিং থেকে মুক্ত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে ইসরো। রাজভবনের ওই সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে, এদিন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে অনেকটা সময় ধরে আলোচনা করেছেন বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। কীভাবে প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলিকে র‌্যাগিং থেকে মুক্ত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে উভয়ের মধ্যে। শুধু ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গেই নয়, এর পাশাপাশি হায়দরাবাদের একটি সংস্থার সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা করেছেন রাজ্যপাল বোস।

    প্রযুক্তিগত সাহায্য

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ভিডিও বিশ্লেষণ, ইমেজ ম্যাচিং স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্য শনাক্তকরণ এবং রিমোট সেন্সিংয়ের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ বিষয়ে প্রযুক্তিগত সমাধান তৈরি করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি র‌্যাগিং-এর অভিযোগে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও প্রাক্তনী মিলিয়ে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে।

    আরও পড়ুন: পূর্বসূরির চোখে উত্তরসূরি! চাঁদের বুকে ‘বিক্রম’-এর ছবি তুলে পাঠালো ‘চন্দ্রযান ২’ অরবিটার

    ইসরো যাদবপুর সম্পর্ক

    বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে ইসরোর চন্দ্রযান ৩। প্রথম দেশ হিসাবে ভারত এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। সেই সাফল্যকে সামনে রেখেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র‌্যাগিং নির্মূল করতে ইসরোর প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের ‘পাখির পালকের মতো অবতরণ’ (বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যার নাম ‘সফ্‌ট ল্যান্ডিং’) কর্মসূচিতে ইসরোর সহযোগীর ভূমিকায় ছিল দেশের কয়েকটি প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই তালিকার অন্যতম নাম যাদবপুর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share