Tag: bangla news

bangla news

  • Joe Biden: সেপ্টেম্বরেই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, কেন জানেন?

    Joe Biden: সেপ্টেম্বরেই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি যে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে মুগ্ধ, তা প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সময়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। এহেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) আসছেন ভারত সফরে, জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে। গত এক বছর ধরে এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। নভেম্বরেই শেষ হচ্ছে সেই মেয়াদ। তার আগে সেপ্টেম্বরেই হবে জি-২০ লিডার্স সামিট। এই সম্মেলনে যোগ দিতেই নয়াদিল্লিতে আসছেন বাইডেন।

    জি-২০ সম্মেলন

    এই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন, ক্লিন এনার্জি ট্রানজিশন, বহুপাক্ষিক উন্নয়নমূলক ব্যাঙ্ক গঠন সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, জি-২০-র আয়োজক দেশের দায়িত্ব নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাইডেন (Joe Biden)। জি-২০ লিডার্স সামিটে যোগ দিতে ৭ সেপ্টেম্বর ভারতে আসছেন বাইডেন। থাকবেন ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মোদি জমানায় ভারত-মার্কিন সম্পর্ক যেভাবে মজবুত হয়েছে, তাতে বাইডেনের এই সফর যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ মহলের।

    নয়াদিল্লির নেতৃত্বের প্রশংসা

    জুন মাসে বাইডেনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আমেরিকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।” ভারত ও আমেরিকার এক যৌথ বিবৃতিতে বাইডেনের তরফে জি-২০-তে নয়াদিল্লির নেতৃত্বের প্রশংসাও করা হয়। এহেন প্রেক্ষাপটে ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Joe Biden)।

    দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত আমেরিকার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট লু-ও বাইডেনের ভারত সফরের কথা জানান। তিনি বলেন, “ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় বছর হতে চলেছে। জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত, আমেরিকা আয়োজন করছে এপিইসি, অন্যদিকে জাপান জি-৭। আমাদের অনেক কোয়াড (QUAD) সদস্যই রয়েছে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে। এর ফলে দেশগুলি সব এক জায়গায় আসবে।”

    আরও পড়ুুন: “২০৪৭ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারত”, ব্রিকসে প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন, “জি-২০ সামিটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে আর্থিক সাহায্য ও বেশ কিছু পরিবর্তনের আর্জি জানাবেন, যা জি-২০ ভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলির চাহিদাকে আরও ভালভাবে পূরণ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Chandrayaan-3: অবতরণের পর কাজ করবে পেলোডগুলিই! ২ সপ্তাহ ধরে কী কী কাজ করবে রম্ভা-চ্যাস্টেরা?

    Chandrayaan-3: অবতরণের পর কাজ করবে পেলোডগুলিই! ২ সপ্তাহ ধরে কী কী কাজ করবে রম্ভা-চ্যাস্টেরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষনিকের অপেক্ষা! কিছুক্ষণ পরে চাঁদের মাটি ছুঁয়েই অরবিটারে বার্তা পাঠাবে ল্যান্ডার বিক্রম। তার পর কিছু অপেক্ষা। ল্যান্ডার-এর পেটের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদে অবতরণের কিছুক্ষণ পরে, বিক্রম ল্যান্ডারটি খুলবে এবং রোভারের জন্য একটি র‌্যাম্প তৈরি করবে। অর্থাৎ সেই র‌্যাম্প ধরেই রোভারটি এদিক ওদিক ঘুরে বেরাবে। ছয় চাকার রোভারে ভারতের পতাকা এবং ইসরোর লোগো রয়েছে। অবতরণের প্রায় চার ঘণ্টা পর এটি ল্যান্ডারের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে নামতে শুরু করবে। অবতরণের সময় রোভারের গতিবেগ হবে প্রতি সেকেন্ডে ১ সেমি। রোভার তার নেভিগেশন ক্যামেরার মাধ্যমে আশেপাশের পরিবেশ অনুধাবন করতে থাকবে।

    কীভাবে কাজ করবে সাতটি পে-লোড

    সৌরশক্তি চালিত ল্যান্ডার এবং রোভারটি চাঁদের চারপাশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে দুই সপ্তাহ (পৃথিবীর হিসেবে) সময় পাবে। চন্দ্রযান-৩ এর সাতটি পেলোড রয়েছে – চারটি বিক্রম ল্যান্ডারে, দুটি প্রজ্ঞান রোভারে এবং একটি প্রপালশন মডিউলে। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমানাথ জানিয়েছেন, “আমরা জানি চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। কিন্তু এটা ঠিক নয় কারণ এর থেকে গ্যাস বের হয়। বরং তারা আয়নিত হয় এবং পৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি থাকে। এটি দিন এবং রাতের সাথে পরিবর্তিত হয়।” 

    বিক্রমের পে-লোড

    বিক্রমের চারটি পে-লোড হল মুখ্য। রম্ভা, চ্যাস্টে, ইলসা এবং অ্যারে। চাঁদে অবতরণের পর পরই কাজ শুরু করবে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকা এই চারটি পেলোড। এই পেলোডগুলির সাহায্যেই চাঁদে বাজিমাত করবে চন্দ্রযান। এই পেলোডগুলিই চাঁদের ‘অজানা রহস্য’ খুলে দেবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সামনে।

    রম্ভা (RAMBHA)- রেডিও অ্যানাটমি অব মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নোস্ফিয়ার এবং অ্যাটমোস্ফিয়ার বা রম্ভা চাঁদের বুকে সূর্য থেকে আসা প্লাজমা কণার ঘনত্ব, পরিমাণ এবং পরিবর্তনগুলি নিরীক্ষণ করবে।
    চ্যাস্টে (ChaSTE)- চন্দ্রের সারফেস থার্মোফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট বা চ্যাস্টে মেপে দেখবে চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা। 
    ইলসা (ILSA)- অবতরণস্থলের আশপাশের মাটির কম্পন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে ইলসা বা ইনস্ট্রুমেন্ট ফর লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি।
    এলআরএ (LRA)- ‘লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর’ অ্যারে চাঁদের গতিশীলতা বোঝার চেষ্টা করবে। চাঁদের প্রাকৃতিক কার্যপ্রণালী সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নিরীক্ষণ করে তা পৃথিবীতে পাঠানোর দায়িত্ব থাকছে এই চার পেলোডের কাঁধে।

    রোভারের পে-লোড

    আলফা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (APXS)- রোভারের ‘আলফা পার্টিকল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার’ নামে যন্ত্রটি অবতরণস্থলের কাছে চন্দ্রপৃষ্ঠে কী কী উপাদান রয়েছে তা দেখবে। ওই যন্ত্রে কিউরিয়াম নামে তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে এক্স-রে ও আলফা পার্টিকল নির্গত হবে এবং তার মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তুলবে। চাঁদের পাথরের মধ্যে লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, টাইটেনিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে কি না, তার সন্ধানও করবে সে। 
    লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (LIBS)-রোভারের ‘লেসার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ’ যন্ত্রের কাজ হল অবতরণস্থলের আশপাশে চাঁদের মাটিতে কী উপাদান কত পরিমাণে রয়েছে তা খুঁজে বার করা, তবে প্রথম যন্ত্রের থেকে আলাদা পদ্ধতিতে। 

    প্রপালশন মডিউলের পে-লোড

    প্রপালশন মডিউলটি চন্দ্রের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল অধ্যয়ন করবে। এই কাজে তাকে সাহায্য করবে তার একমাত্র পেলোড, বাসযোগ্য প্ল্যানেট আর্থের স্পেকট্রো-পোলারিমেট্রি (শেপ)। এটি কয়েক মাস (বা বছর) চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং মেঘের উপর স্পেকট্রোস্কোপি এবং পোলারাইজেশন অধ্যয়ন করবে, বায়োসিগনেচার সংগ্রহ করবে যা বাসযোগ্য এক্সোপ্ল্যানেট সনাক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই, চৌম্বকক্ষেত্রও নেই। তবে বিপুল জলের খোঁজ পেলে, (H2O)সেখান থেকে তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে হাইড্রজেন ও অক্সিজেনে ভেঙে নেওয়া সম্ভব। এই অক্সিজেন শ্বাসপ্রশ্বাসকে স্বাভাবিক রাখবে। আর হাইড্রজেন ব্যবহার করা যেতে পারে জ্বালানি হিসেবে। চাঁদের ওই মেরুতে আবার বরফ থাকার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। চাঁদের আধাঁর পিঠের ঠিক কোথায় বরফ জমে আছে তার খোঁজ চালাবে প্রজ্ঞান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “২০৪৭ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারত”, ব্রিকসে প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “২০৪৭ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারত”, ব্রিকসে প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০৪৭ সালের মধ্যেই উন্নত দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার শপথ নিয়েছে ভারত।” মঙ্গলবার ‘ব্রিকস’ সম্মলনের মঞ্চে কথাগুলি বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ভারত যে অচিরেই বিশ্বে উন্নয়নের  চালিকা শক্তি হয়ে উঠবে, এদিন প্রত্যয়ের সঙ্গে সেকথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। উন্নয়নের স্বপ্ন পূরণ করতে ভারত যেসব পদক্ষেপ করেছে, এদিন সেকথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    ব্রিকস সম্মেলন

    দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে শুরু হয়েছে ব্রিকস সম্মেলন। ২২ অগাস্ট শুরু হওয়া এই সম্মেলন চলবে চলতি মাসেরই ২৪ তারিখ পর্যন্ত। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি হল, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও এবারের সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশও। এই সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবারই দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিলের দশম বর্ষপূর্তিতে অনেক অনেক অভিনন্দন।

    ব্রিকসের গুরুত্ব 

    গত দশ বছরে আমাদের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিল। ২০০৯ সালে যখন প্রথম ব্রিকস সম্মেলন হয়েছিল, তখন বিশ্ব সবে মাত্র এক বিশাল আর্থিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসছিল। সেই সময় বিশ্ব অর্থনীতিতে আশার আলো হয়ে উঠেছিল ব্রিকস। বর্তমান সময়েও করোনা অতিমারি ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে উদ্বেগের মাঝেও বিশ্ব ই-অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়ছে। তাই এই সময়ও ব্রিকস সদস্য দেশগুলির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিশ্ব অর্থনীতির অস্থির সময়েও ভারত বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। শীঘ্রই ভারত ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। বিশ্বের উন্নয়নের চালিকা শক্তি হয়ে উঠবে ভারত। এর কারণ হল, ভারত সঙ্কট ও প্রতিবন্ধকতাকে আর্থিক উন্নয়নের সুযোগে পরিণত করেছে। ভারতের মানুষ শপথ নিয়েছে, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করবে।”

    আরও পড়ুুন: আজ চাঁদের মাটি ছোঁবে ‘চন্দ্রযান ৩’, সাফল্য কামনায় দেশ-বিদেশে পুজো-যজ্ঞ-নমাজ পাঠ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিগত কয়েক বছরে আমরা মিশন মোডে বিভিন্ন পরিবর্তন করেছি এবং এগুলি ভারতে বাণিজ্য ব্যবস্থাকে ক্রমাগত উন্নত করেছে। আমরা সম্মতির বোঝা কমিয়েছি এবং রেড টেপ সারিয়েছি। জিএসটির সূচনাও বিনিয়োগকারীদের বিশেষ আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। আমরা জনসেবা প্রদান ও সুশাসনকে গুরুত্ব দিয়েছি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতে আছে বিশ্বের তৃতীয় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম। ইউনিকর্ন রয়েছে শতাধিক। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সফল করতে রয়েছে টেলিকম, এআই, ফিনটেক এবং আইটি সেক্টরের মতো ক্ষেত্র।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    Chandrayaan 3: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তার পরেই আসতে চলেছে বহুকাঙ্খিত মাহেন্দ্রক্ষণ। বুধবার সন্ধেয় চাঁদের মাটি ছুঁতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সেই সঙ্গে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে আজ। ইসরো (ISRO) জানিয়েছে, আজ ভারতীয় সময় সন্ধে পৌনে ৬টা থেকে শুরু হবে অবতরণের প্রক্রিয়া। চাঁদের মাটিতে ৩০ কিলোমিটার ওপর থেকে নামবে ল্যান্ডার বিক্রম। সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram) ও তার মধ্যে থাকা রোভার ‘প্রজ্ঞান’ (Rover Pragyan)। 

    দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’

    ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে অবতরণ করার কথা এই মহাকাশযানের। এই এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এর আগে কোনও দেশই মহাকাশযান পাঠায়নি। ফলে ভারত আজ সফল হলে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণের কৃতিত্ব অর্জন করবে। চাঁদের বুকে অবতরণের সেই দৃশ্য বুধবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিট থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে ইসরোর ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউবে।

    আরও পড়ুন: আজ চাঁদের মাটি ছোঁবে ‘চন্দ্রযান ৩’, সাফল্য কামনায় দেশ-বিদেশে পুজো-যজ্ঞ-নমাজ পাঠ

    সফট-ল্যান্ডিং করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ

    তবে, এই অঞ্চলে সফট-ল্যান্ডিং করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। তা হলো, অবতরণ প্রক্রিয়ার ওই শেষের ২০ মিনিট। চার বছর আগে এই পর্বে এসে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছিল (বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) ‘চন্দ্রযান ২’-এর ল্যান্ডার। এই পর্যায়টিই হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ণ। ইসরোর বিজ্ঞানীরা যদিও আত্মবিশ্বাসী, যে এবার তাঁরা সফল হবেনই। ইসরোর দাবি, ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) ও তার ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে (Lander Vikram) এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রতিকূল পরিস্থিতি হলেও তা সঠিকভাবে সফট-ল্যান্ডিং করতে পারবে। ল্যান্ডারে থাকা যাবতীয় সেন্সর কাজ না করলেও, সঠিকভাবে অবতরণ করতে সক্ষম ‘বিক্রম’। তেমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে তাকে।

    তবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের মাথায় অন্য আরেকটা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। তা হলো, চাঁদের মাটি। অবতরণের সময় ল্যান্ডার স্পর্শ করার সময় চারদিকে ধুলোর আস্তরণ উড়বে। কার্যত প্রায় ঢাকা পড়ে যাবে ল্যান্ডার। এমতাবস্থায়, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না ধুলো পুরো থিতিয়ে বসে যাচ্ছে, ততক্ষণ ‘বিক্রম’-এর পেট থেকে ‘প্রজ্ঞান’-কে বের করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বিজ্ঞানীদের এই আশঙ্কার নেপথ্যে রয়েছে কোন বিজ্ঞান? 

    বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে ‘রেগোলিথ’, কী এটা?

    চাঁদের ধুলোকে বলা হয় ‘রেগোলিথ’। এই ধুলো চার্জড পার্টিকলে ভরপুর, খনিজ উপাদানও আছে। এর মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, টাইটানিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ মৌল। তাদের অণু-পরমাণুর মধ্যে নিরন্তর ধাক্কাধাক্কি চলছে। রেগোলিথ মহাজাগতিক রশ্মির বিকিরণে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। চাঁদে যেহেতু পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল নেই, তাই মহাজাগতিক রশ্মি, সৌরঝড় সরাসরি আছড়ে পড়ে চাঁদে। আর মহাজাগতিক রশ্মিদের বিকিরণে চাঁদের ধুলো উত্তেজিত থাকে সারাক্ষণ। 

    মহাজাগতিক রশ্মিদের বিকিরণে চাঁদের ধুলো আরও উত্তেজিত হয়ে লাফালাফি শুরু করে। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি বা অন্য কোনও মহাজাগতিক রশ্মি চাঁদের মাটিতে সরাসরি আছড়ে পড়ার সময় এই সূক্ষাতিসূক্ষ ধূলিকণাগুলিকে আঘাত করে। ফলে এগুলির মধ্যে বিদ্যুৎ তরঙ্গ তৈরি হয়। গরম হলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার জন্য ধুলোকণাগুলো তড়িৎ ঋণাত্মক কণা বা ইলেকট্রন ছাড়তে থাকে। তাপমাত্রার ফারাক এবং মহাজাগতিক রশ্মির প্রভাবে বিরাট এলাকা জুড়ে ধুলোর ঝড় শুরু হয় যাতে ইলেকট্রোস্ট্যাটিক ফোর্স চুম্বকীয় স্তর তৈরি করে। 

    প্রজ্ঞানকে বাঁচাতে এখন কী করণীয়?

    সফট ল্যান্ডিং (Chandrayaan 3) ঠিকঠাক ভাবে করতে হলে রেট্রো-রকেট চালাতে হতে পারে ল্যান্ডারকে (Lander Vikram)। ইসরো জানিয়েছে, অবতরণের সময় যদি চাঁদের মাটির ধুলো ওড়ে, তাহলে ক্ষতি হতে পারে রোভারের। ধুলোর আয়নিক কণারা রোভারের যন্ত্রপাতির ক্ষতি করতে পারে। ধুলোকণা যন্ত্রের উপর গিয়ে পড়লে বেতার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ‘ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক‘ (DSN)-এর মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে পারবে না রোভার ‘প্রজ্ঞান’। সেক্ষেত্রে কী করণীয়? ইসরো জানিয়েছে, ল্যান্ডারের চারটি পা যখন মাটি ছোঁবে, ইঞ্জিন বন্ধ করে দেবেন বিজ্ঞানীরা। শুধুমাত্র সেন্ট্রাল ইঞ্জিন কাজ করবে। তাও সতর্ক ভাবে, যাতে ধুলো না ওড়ে। অবতরণের পর ওই মাটি থিতিয়ে আসার জন্য অপেক্ষা করা হবে। এর পর ল্যান্ডার থেকে আলাদা হয়ে চাঁদের মাটিতে নামবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’ (Rover Pragyan)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: আজ চাঁদের মাটি ছোঁবে ‘চন্দ্রযান ৩’, সাফল্য কামনায় দেশ-বিদেশে পুজো-যজ্ঞ-নমাজ পাঠ

    Chandrayaan 3: আজ চাঁদের মাটি ছোঁবে ‘চন্দ্রযান ৩’, সাফল্য কামনায় দেশ-বিদেশে পুজো-যজ্ঞ-নমাজ পাঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে রাশিয়া। আজ, বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের মাটি ছোঁবে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। মিশন সফল হলে ইতিহাস রচনা করবে আর্যভট্টের দেশ। ‘চন্দ্রযান ৩’-এর সফল অবতরণের কামনায় দেশে-বিদেশে শুরু হয়েছে পুজো-পাঠ, হোম-যজ্ঞ, নমাজ পাঠ।

    বিশেষ পুজোপাঠ

    চন্দ্রযানের সফল অবতরণের কামনায় বিশেষ পুজো এবং যজ্ঞ হয়েছে বারাণসীর কামাখ্যা মন্দিরে। পুজো হয়েছে আগ্রার বিশেষ মন্দিরেও। মুম্বইয়ের চন্দ্রমৌলেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দিলেন শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর নেতা আনন্দ দুবে। এখানেও আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ যজ্ঞের। এদিন বিশেষ পুজো হয়েছে দক্ষিণ ভারতের রামেশ্বর মন্দিরেও। রামেশ্বরম অগ্নি তীর্থে আয়োজন করা হয় বিশেষ যজ্ঞের। বিশেষ ভস্মারতি অনুষ্ঠিত হয় উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে।

    এনসিপি (Chandrayaan 3) কর্মী-সমর্থকরা পুজো দিয়েছেন শ্রী গণেশ মন্দিরে। বিশেষ প্রার্থনা সভায় যোগ দিতে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়েছে ছতরপুরের বাগেশ্বর ধামে। কেবল দেশেই নয়, পুজোআচ্চা হয়েছে বিদেশেও। আমেরিকার নিউ জার্সিতে শ্রী সাই বালাজি মন্দিরে হয়েছে বিশেষ পুজো। বিশেষ যজ্ঞ হয়েছে ভার্জিনিয়ার মন্দিরেও।

    নমাজ পাঠ

    পুজোর পাশাপাশি ‘চন্দ্রযান ৩’-এর সাফল্য কামনায় হয়েছে বিশেষ নমাজ পাঠও। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন মসজিদে নমাজ পাঠ করেন মুসলমানেরা। ভারতের ‘চাঁদমারি’ যাতে সফল হয়, তাই লখনউয়ের ইসলামিক সেন্টার অফ ইন্ডিয়ায়ও হয়েছে বিশেষ নমাজ পাঠ। রাজস্থানের আজমেঢ় শরিফেও হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। লখনউয়ের হজরত শাহ মীনা শাহ দরগায় বিশেষ প্রার্থনা করেন বিজেপি নেতা মহসিন রাজা।

    এদিকে, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) অবতরণের সাক্ষী হতে দেশজুড়ে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। উত্তরপ্রদেশ সরকার সমস্ত স্কুলকে এই ঘটনার বিশেষ স্ক্রিনিং করার নির্দেশ দিয়েছে। যোগী সরকার জানিয়েছে, ভারতের চন্দ্রযান-৩ অবতরণ একটি স্মরণীয় সুযোগ, যা কেবল কৌতূহলকে উসকে দেবে তাই নয়, তরুণদের মধ্যেও প্রশ্ন করার উৎসাহ জাগিয়ে তুলবে।  

    এদিন সায়েন্স পার্টির আয়োজন করেছে বাংলার সংস্কৃতি মন্ত্রক। লাইভ টেলিকাস্টের মাধ্যমে চন্দ্রযান অবতরণের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতায়।

    গুজরাটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কাউন্সিল দু হাজারেরও বেশি স্কুল পড়ুয়াকে বড় পর্দায় এই ঐতিহাসিক (Chandrayaan 3) মুহূর্তটি দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ইসরোর বিজ্ঞানীদের নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কাউন্সিল। অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখানো হবে গুজরাটের ৩৩টি জেলা কমিউনিটি সায়েন্স সেন্টারে।

    আরও পড়ুুন: জোহানেসবার্গে বসেই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর ঐতিহাসিক ল্যান্ডিং দেখবেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Sachin Tendulkar: নয়া ভূমিকায়! নির্বাচন কমিশনের ন্যাশনাল আইকন হচ্ছেন সচিন

    Sachin Tendulkar: নয়া ভূমিকায়! নির্বাচন কমিশনের ন্যাশনাল আইকন হচ্ছেন সচিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া ভূমিকায় ক্রিকেটের ঈশ্বর সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। তবে ক্রিকেট মাঠে নয়, তিনি এবার দূত হলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনে। মাস্টার ব্লাস্টারকে কমিশনের ‘ন্যাশনাল আইকন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিংবদন্তী ক্রিকেটারের সঙ্গে বুধবার এই মর্মে একটি মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত করা হবে। মঙ্গলবার এ কথা ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। আগামী বছর লোকসভা ভোট। তার আগে সচিনকে সামনে রেখে প্রচার করতে চায় নির্বাচন কমিশন। সকলে যাতে ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহ পায়, সেই কারণেই সচিনকে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে।

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ট্যুইট-বার্তা

    ভারতীয় ক্রিকেটে তথা বিশ্ব ক্রিকেটে সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) অবদান অনস্বীকার্য। সচিনের অবসরের পর কেটে গিয়েছে এক দশক। কিন্তু এখনও তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। অবসরের পর নানা সামাজিক কাজে নিজেকে লিপ্ত রেখেছেন। ভারতরত্নও পেয়েছেন। এবার তাঁকে জাতীয় আইকনের স্বীকৃতি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)।

    বুধবার থেকেই নির্বাচন কমিশনের ‘জাতীয় আইকন’ হিসাবে কাজ করবেন সচিন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মুখপত্রের ট্যুইটারে এই খবর জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জোহানেসবার্গে বসেই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর ঐতিহাসিক ল্যান্ডিং দেখবেন প্রধানমন্ত্রী

    তরুণ প্রজন্মকে প্রেরণা দেবেন সচিন

    বুধবার, ২৩ অগাস্ট রাজধানী নয়াদিল্লির রং ভবন অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেই সচিনকে (Sachin Tendulkar) জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জাতীয় আইকনের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। সেখানেই তিনি নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) সঙ্গে একটি মৌ স্বাক্ষর করবেন। তিন বছরের জন্য তিনি চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে দেশের নাগরিকদের ভোট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করতে দেখা যাবে সচিনকে। এই অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের প্রধান শ্রী রাজীব কুমার, নির্বাচন কমিশনার শ্রী অনুপ চন্দ্র পাণ্ডে এবং শ্রী অরুণ গোয়েল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, “তরুণদের উপর সচিনের প্রভাব দেশের ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে তরুণদের ভোট দেওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: জোহানেসবার্গে বসেই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর ঐতিহাসিক ল্যান্ডিং দেখবেন প্রধানমন্ত্রী

    Chandrayaan 3: জোহানেসবার্গে বসেই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর ঐতিহাসিক ল্যান্ডিং দেখবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। চন্দ্রপৃষ্ঠ স্পর্শ করতে চলেছে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’। দেশের মহাকাশ গবেষণার এই মাহেন্দ্রক্ষণে ইসরোর সদর দফতরে বসে বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দান করতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে, সরকারি সূত্রে খবর, ব্রিকস’ (BRICS SUMMIT 2023) শীর্ষবৈঠক উপলক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকতে হলেও ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3 Mission) সফট ল্যান্ডিংয়ের সময় ‘ভার্চুয়ালি’ উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।

    মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় প্রধানমন্ত্রীও

    সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর ল্যান্ডিং উপভোগ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মুহূর্তে তিনি ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছেন। মঙ্গলবারই তিনি পৌঁছেছেন জোহানেসবার্গে। জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধের আগেই ইসরোর (ISRO) সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কানেক্ট করবেন প্রধানমন্ত্রী। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর সঙ্গে তিনিও এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকবেন। প্রসঙ্গত, ‘চন্দ্রযান ৩’ উৎক্ষেপণের দিনও ভারতে ছিলেন না তিনি। থাকবেন না অবতরণেও। উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই যখন শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযানের তখন বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ফ্রান্স সফরে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু, তাঁর তরফে রকেট উৎক্ষেপণের প্রাক্কালে এসেছিল বড় বার্তা।

    আরও পড়ুন: ঢাক-ঢোল বাজিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রধানমন্ত্রী বরণ, উঠল ‘হর হর মোদি’ ধ্বনি

    প্রধানমন্ত্রীর মন পড়ে রয়েছে চাঁদে

    এবারও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগদান করতে জোহানেসবার্গে থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর মন পড়ে রয়েছে চাঁদে। প্রতি মুহূর্তে ইসরোর প্রস্তুতি এবং ‘চন্দ্রযান ৩’-এর অবস্থানের আপডেট নিচ্ছেন মোদি। আর তাই শত ব্যস্ততার মধ্যেও বুধবার সন্ধে ঠিক ৬টা বেজে ৪ মিনিটে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ইসরোর বিজ্ঞানীদের পাশে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বরেও ‘চন্দ্রযান ২’-এর ‘টাচডাউন’ দেখবেন বলে বেঙ্গালুরু উড়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর জানা যায়, ‘চন্দ্রযান ২’-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চন্দ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়েছে। তৎকালীন ইসরো ডিরেক্টর কে শিবনকে দেখা গিয়েছিল চোখের জল ফেলতে। তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুধু আশ্বাস নয়, ৩০ মিনিট ইসরোর বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে বার্তাও দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমাদের চাঁদকে ছোঁয়ার ইচ্ছা আজ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে গেল। সেরা সময় এবার আসবে।’ আজ, বুধবার গোধূলি বেলায় সেই সময় আসতে চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: অবতরণ-পর্বে শেষ ২০ মিনিটই চ্যালেঞ্জ! ‘চিন্তা নেই, সফট-ল্যান্ডিং হচ্ছেই’, আশ্বাস ইসরোর

    Chandrayaan 3: অবতরণ-পর্বে শেষ ২০ মিনিটই চ্যালেঞ্জ! ‘চিন্তা নেই, সফট-ল্যান্ডিং হচ্ছেই’, আশ্বাস ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ‘দ্য ফাইনাল কাউন্টডাউন’। রাত পোহালেই ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়বে ভারত। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করার নজির গড়তে চলেছে দেশ। অনাবিষ্কৃত আঁধারে ঘেরা চাঁদের সেই মেরু অঞ্চলে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) অবতরণ ঘিরে ব্যাপক উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে গোটা দেশে, থুরি বলা ভালো গোটা বিশ্বে। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী যা থাকতে পারে দেশবাসী, তার জন্য গোটা অবতরণ প্রক্রিয়ার সরাসরি স্ট্রিমিং ৫টা ২০ মিনিট থেকে করবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।

    অবতরণ-পর্বে শেষের ২০ মিনিটই প্রধান চ্যালেঞ্জ

    ইসরোর পরিকল্পনা অনুযায়ী, ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর (Lander Vikram) চূড়ান্ত অবতরণ প্রক্রিয়া (দ্য ফাইনাল ডিসেন্ট) শুরু হবে বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। আর সন্ধেয় ৬টা ৪ মিনিটে হবে কাঙ্খিত ‘টাচডাউন’। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের দাবি, চির-আঁধারে ঘেরা চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের পরতে পরতে রয়েছে রহস্য। এই দক্ষিণ মেরু অঞ্চলই সবচেয়ে এবড়ো-খেবড়ো, খানা-খন্দে ভরা। রয়েছে শয়ে শয়ে গহ্বর। ফলে, এই অঞ্চলে সফট-ল্যান্ডিং করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। ইসরোর বিজ্ঞানীদের মাথায় একটাই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। তা হলো, অবতরণ প্রক্রিয়ার ওই শেষের ২০ মিনিট। চার বছর আগে এই পর্বে এসে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছিল (বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) ‘চন্দ্রযান ২’-এর ল্যান্ডার।

    আরও পড়ুন: চাঁদে অবতরণের পরই তো আসল কাজ শুরু ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! জানেন কী করবে বিক্রম-প্রজ্ঞান?

    যদিও এবার, সফল সফট ল্যান্ডিংয়ের বিষয়ে আশাবাদী ইসরো। তারা জানিয়েছে, ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) ও তার ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে (Lander Vikram) এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রতিকূল পরিস্থিতি হলেও, তা সঠিকভাবে সফট-ল্যান্ডিং করতে পারবে। কীভাবে গোটা অবতরণের প্রক্রিয়া কাজ করবে, তা বিশদে ইসরোর তরফে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ধাপে ধাপে ‘বিক্রম’-কে নিচে নামানো হবে। একইসঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে কমানো হবে তার গতিও। এই পুরো বিষয়টা একেবারে অঙ্ক কষার মতো সাজিয়ে ল্যান্ডারের সিস্টেমকে বলে দেওয়া হয়েছে। 

    ধাপে ধাপে গতি কমানোর সঙ্গে নিচে নামবে ‘বিক্রম’

    বর্তমানে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram) চাঁদের ২৫ কিলোমিটার x ৭০ কিলোমিটার কক্ষপথে অবস্থান করছে। সেখান থেকে চাঁদের বুকে পা রাখতে মিনিট ২০ সময় লাগবে। ইসরো জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ‘বিক্রম’-কে বর্তমান অবস্থান থেকে ৭.৪ কিমি উচ্চতায় নামিয়ে আনা হবে। এই সময়ে ল্যান্ডারের গতি থাকবে সেকেন্ডে ৩৫৮ মিটার। সময় লাগবে ১১ মিনিট। দ্বিতীয় ধাপে ৬.৮ কিলোমিটার উচ্চতায় নামিয়ে আনা হবে। এখানে ‘বিক্রম’-এর গতি আরও কমে হবে সেকেন্ডে ৩৩৬ মিটার। 

    ছবি সৌজন্য – ইসরো

    তৃতীয় ধাপে উচ্চতা কমে হবে ৮০০ মিটার। এবারও আরও গতি কমবে। এই পর্যায়ে এসে ল্যান্ডার তার লেজার রশ্মির সাহায্যে অবতরণের যোগ্য জায়গা খুঁজে বের করে নেবে। লেজার রশ্মির সাহায্যে ‘বিক্রম’-এ থাকা সেন্সর অবতরণের উপযুক্ত জায়গা খুঁজে নিতে সাহায্য করবে। পরের ধাপে, ৮০০ থেকে ১৫০ মিটার উচ্চতায় নামবে ‘বিক্রম’। এখানে তার গতি থাকবে সেকেন্ডে ৬০ মিটার। এর পর, পর ১৫০ থেকে ৬০ মিটারে নামার সময়ে এই গতি হবে ৪০ মিটার প্রতি সেকেন্ড। শেষ ধাপে, ৬০ থেকে ১০ মিটারে নামতে গিয়ে ‘বিক্রম’-এর গতি থাকবে ১০ মিটার প্রতি সেকেন্ড। সেখান থেকে মাটি ছোঁয়ার সময় ল্যান্ডারের গতি কমে হবে সেকেন্ডে ১.৬৮ মিটার।

    আরও পড়ুন: বুধবার চাঁদে পা ‘বিক্রম’-এর, তার আগে ৭০ কিমি ওপর থেকে ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    কোনও সেন্সর কাজ না করলেও নামতে পারবে ‘বিক্রম’!

    বিজ্ঞানীদের মতে, এই গোটা ধাপগুলিই হচ্ছে একটা চ্যালেঞ্জ। এই পর্যায়টিই হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ণ। চার বছর আগে, এই পর্যায় থেকে ছিটকে গিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ২’। ব্যর্থ হয়েছিল অভিযান। অধরা থেকে গিয়েছিল স্বপ্ন। তবে, ইসরো এবার অনেক বেশি সতর্ক থেকেছে। যে কারণে, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) নকশায় আমূল বদল আনা হয়েছে। পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ সেন্সর বসানো হয়েছে ‘বিক্রম’-এ। রয়েছে প্রচুর ক্যামেরা। শুধু তাই নয়, ইসরোর দাবি, ল্যান্ডারে থাকা যাবতীয় সেন্সর কাজ না করলেও, সঠিকভাবে অবতরণ করতে সক্ষম ‘বিক্রম’ (Lander Vikram)। তেমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে তাকে। শর্ত বলতে শুধুমাত্র প্রোপালশন সিস্টেম ঠিক চললেই হলো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের বাড়তি ৬ নম্বর, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    Calcutta High Court: ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের বাড়তি ৬ নম্বর, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুল প্রশ্ন মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৪ সালের সব টেট প্রার্থীকেই ৬ নম্বর করে দেওয়া হবে। আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চ ২০১৪ সালের সব টেট প্রার্থীকে ৬ নম্বর দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে কোনও ভুল নেই। একই সঙ্গে এই মামলা ফের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠাল ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে বোর্ড তার হলফনামা জমা দিতে পারবে বলে নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের।

    টেটের প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল

    ২০১৪ সালের টেটের প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে এই অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রশ্ন যাচাই করতে তৎকালীন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন যাচাই করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটিও জানায়, ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। এর পরেই বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় যাঁরা কেবল ওই ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নেগেটিভ মার্কিংয়ের শিকার হয়েছেন, তাঁদের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেন।

    মামলা ডিভিশন বেঞ্চে

    সিঙ্গল (Calcutta High Court) বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় ডিভিশন বেঞ্চে। সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কেবল মামলাকারীরা নন, ২০১৪ সালে যাঁরা টেট দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকেই ৬ নম্বর দিতে হবে। এই ধরনের অন্য একাধিক মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১৪ সালে যাঁরা টেট দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকে ৬ নম্বর দিতে হবে। তিনি এই নির্দেশও দেন, এই ৬ নম্বর পাওয়ায় যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন, চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার অংশ নিতে পারবেন তাঁরাও। তিন মাসের মধ্যে ৬ নম্বর দিয়ে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দিতে হবে তাঁদের। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তার প্রেক্ষিতেই এদিন রায় দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভই কিংপিন”, আদালতে দাবি পুলিশের

    এবার নতুন করে মেধাতালিকা, প্যানেল ও নিয়োগ কোনপথে হবে, তা নিয়েই সিঙ্গল বেঞ্চে হলফনামা জমা দেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে, ইতিমধ্যেই ভুল প্রশ্নে নম্বর পেয়ে চাকরি পেয়েছেন ২৬৯ জন। এর বিরুদ্ধে ফের মামলা করেন চাকরিপ্রার্থী মৌমি চক্রবর্তী সহ ১৬৮ জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভই কিংপিন”, আদালতে দাবি পুলিশের

    Jadavpur University: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভই কিংপিন”, আদালতে দাবি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে কিংপিন সৌরভ চৌধুরীই। আজ, মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে এমনই দাবি করলেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। প্রামাণ হিসেবে অন্য এক পড়ুয়াকে পাঠানো বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রাক্তনী সৌরভের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের উল্লেখ করেন তিনি। সরকার পক্ষের আইনজীবীর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের ওই ছাত্রকে আসলে খুন করা হয়েছে। ঘটনাটিকে তিনি বিরলের মধ্যে বিরলতম বলেও উল্লেখ করেন। এদিন সৌরভকে ২৫ অগাস্ট এবং মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

    সৌরভের ওপরই সন্দেহ ছিল

    ঘটনার পরে পরেই সৌরভের ওপরই সন্দেহ বাড়তে থাকে তদন্তকারী আধিকারিকদের। সৌরভকে জেরা করে প্রয়োজনীয় তথ্য মিলতে পারে বলেও মনে করেছিলেন তদন্তকারীদের একাংশ। তাই গ্রেফতারের আগে একবার এবং পরেও একবার তাঁকে জেরা করেছিলেন খোদ কলকাতার (Jadavpur University) পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এদিন আদালতে পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয়, সৌরভই মাথা। সৌরভকে বাঁচাতে রাতারাতি কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ক্রিয়েট করা হয়েছিল, আদালতে এদিন তাও জানিয়েছে পুলিশ।

    সরকার পক্ষের আইনজীবীর দাবি

    সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন, এঁদের চ্যাট থেকেই স্পষ্ট, নিজেদের মধ্যে ষড়যন্ত্র কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এটা খুন। ছাত্রের বাবাও অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ছেলেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে ব়্যাগিং হয়েছে, তার বিস্তারিত আদালতে জমা করা হয়েছে। তিনি বলেন, কী হয়েছিল, কারা ছিল, সব জানতে হবে। আরও কতজনকে এভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, তার বয়ান নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষায় দারুণ ফল করলেই খুন করার অধিকার আইন দেয়নি। তিনি বলেন, মনোতোষের ডায়েরি থেকে অত্যাচারের তথ্য উঠে এসেছে। এঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা দরকার।

    আরও পড়ুুন: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে মাদক পাচার হতো”, বিধানসভায় তোপ শুভেন্দুর

    ২৪ ঘণ্টার নয়া হেল্পলাইন নম্বর চালু রাজ্যের

    এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের (Jadavpur University) পর সম্বিত ফিরল মুখ্যমন্ত্রীর। ব়্যাগিং রুখতে ২৪ ঘণ্টার নয়া হেল্পলাইন নম্বর চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানেই ওই ফোন নম্বরের উল্লেখ করেন তিনি। নম্বরটি হল, ১৮০০৩৪৫৫৬৭৮। পুলিশ জানিয়েছে, কোনও পড়ুয়া ব়্যাগিংয়ের শিকার হলে ওই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন। তাঁর নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে। অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত নেওয়া হবে ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share