Tag: bangla news

bangla news

  • Basirhat: টাকি পুরসভার পাঁচজন কাউন্সিলার একসঙ্গে পদত্যাগ করলেন, কেন জানেন?

    Basirhat: টাকি পুরসভার পাঁচজন কাউন্সিলার একসঙ্গে পদত্যাগ করলেন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Basirhat) টাকি পুরসভায় পাঁচজন কাউন্সিলার পদত্যাগ করলেন। মূলত, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন তৃণমূলের ওই কাউন্সিলররা। বিধানসভায় গিয়ে তাঁরা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (Basirhat)  

    বসিরহাটের টাকি পুরসভায় মোট ১৬ টি আসন রয়েছে। যাঁর মধ্যে ১৪ টি আসন তৃণমূলের দখলে ছিল। ২টি আসন পেয়ে বিরোধী আসনে রয়েছে বিজেপি। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের নাম ফারুক গাজি। তাঁর বিরুদ্ধে কাউন্সিলারদের মারধর করা এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, টাকি পুরসভা এলাকায় ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজি কাজ করতে বাধা সৃষ্টি করেন। এর প্রতিবাদ করলে ভয় দেখানো, এমনকী আমাদের মারধর করা হয়েছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজির বিরুদ্ধে সরব হয়েই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান তাঁরা। জানা গিয়েছে, এদিন রাজ্য বিধানসভায় গিয়ে জেলার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে পদত্যাগ পত্র পেশ করেন পাঁচজন কাউন্সিলর। পাশাপাশি, বসিরহাটের (Basirhat) মহকুমা শাসকের কাছেও তাঁরা পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এমত অবস্থায় টাকি পুরসভায় অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। কাউন্সিলররা সেচমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনার ভারপ্রাপ্ত নেতা পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে দেখা করেন। এসব অভিযোগ নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    কী বললেন পদত্যাগী কাউন্সিলার?

    এদিন পাঁচ কাউন্সিলারের তরফে প্রদ্যুৎ দাস বলেন, ওই ভাইস চেয়ারম্যানের জন্য আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছি না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা  নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারছি না। ফারুক গাজি আপাদমস্তক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এর আগে আমরা জেলা নেতৃত্বের কাজে বারবার অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু, কারও কাছ থেকে সুরাহা পাইনি। এমনকী ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা কাউন্সিলারদের গায়েও হাত তোলেন। সে ব্যাপারেও জেলার নেতাদের জানানো হয়েছে। দেওয়ালে পিঠ থেকে গিয়েছে বলে আমরা এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। এদিন পাঁচজন একসঙ্গে পদত্যাগ করায় তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা বর্তমানে ৯ জন হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গবাসী”! হাইকোর্টের দুয়ারে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গবাসী”! হাইকোর্টের দুয়ারে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা। আজ, মঙ্গলবার এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ফি বার নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল হাওয়া গরম করে বলে অভিযোগ। রাজ্যের অভিযোগ, কেন্দ্রের জন্যই বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের প্রকল্পের টাকা। এবার পাল্টা চাল দিল বঙ্গ বিজেপি। দায়ের করল জনস্বার্থ মামলা। আগামী সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হতে পারে মামলাটির।

    সুকান্তর অভিযোগ

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রকল্পের কথা যাতে বাংলার মানুষ জানতে পারেন, সেজন্য পঞ্চায়েত স্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কমন সার্ভিস সেন্টার (সিএসসি) চালু করা হয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার সিএসসি বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলার মানুষ যাতে কেন্দ্রীয় পরিষেবার কথা জানতে না পারেন, তাই ওই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য।”

    সিএসসির সুবিধা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সিএসসির মাধ্যমে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ই-সার্ভিস মারফৎ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা জানতে পারতেন গ্রামের বাসিন্দারা। ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ওই পরিষেবা তুলে দেয়। পরিবর্তে ‘বাংলা সেবা কেন্দ্র’ নামে একটি সেন্টার খোলা হয়েছে।” “কেন ওই পরিষেবা বন্ধ করা হল?”, প্রশ্ন সুকান্তর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েত অফিসে কমপক্ষে দেড় লক্ষ ছেলেমেয়েকে কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে রাজ্য। তাই পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে কেন্দ্রের ওই পরিষেবা আবার চালু হোক।” তিনি জানান (Sukanta Majumdar), প্রায় ২০০ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা নানাভাবে পান রাজ্যের মানুষ।

    আরও পড়ুুন: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে মাদক পাচার হতো”, বিধানসভায় তোপ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষ যাতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জানতে পারেন, তাই কমন সার্ভিস সেন্টার খুলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পঞ্চায়েত স্তরে এই কমন সার্ভিস সেন্টারগুলি খোলা হয়েছিল। আয়ুষ্মান ভারত, কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা সহ নানা প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে কোথায় যেতে হয়, কী করতে হয়, অনায়াসেই মিলত এসব তথ্য। এই সব কেন্দ্রের সুবিধা পেতেন মূলত প্রান্তিক অঞ্চলের বাসিন্দারাই।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চাঁদে অবতরণের পরই তো আসল কাজ শুরু ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! জানেন কী করবে বিক্রম-প্রজ্ঞান?

    Chandrayaan 3: চাঁদে অবতরণের পরই তো আসল কাজ শুরু ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! জানেন কী করবে বিক্রম-প্রজ্ঞান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার মডিউল চাঁদে নামার সঙ্গে সঙ্গেই মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে পা রাখবে ভারত। চার বছরে ব্যর্থ হয়েছে তিনটি অভিযান। এবার তাই সদা সতর্ক ইসরো। ‘চন্দ্রযান ২’ চাঁদের সামনে গিয়েও চাঁদে পা রাখতে পারেনি। তবে সেই অভিযান থেকে শিক্ষা নিয়েই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর রূপরেখা তৈরি করেছে ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা। বুধবার অর্থাৎ ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের পরই শুরু হবে আসল কাজ।

    কী করবে বিক্রম

    ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদে একটা গোটা দিন (পৃথিবীতে ১৪ দিন) তার কাজ চালিয়ে যাবে। ল্যান্ডারে ৩টি পেলোড এবং ১টি রোভার রয়েছে। এছাড়াও এতে ৫ ধরনের বৈজ্ঞানিক যন্ত্র রয়েছে, যা পৃথিবীতে প্রচুর তথ্য পাঠাবে। সৌরশক্তি চালিত ল্যান্ডার এবং রোভার চাঁদ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যস্ত থাকবে। তবে রোভার শুধুই তথ্য সংগ্রহ করবে। কিন্তু পৃথিবীতে সেই সব তথ্য পাঠানোর কাজ হবে ল্যান্ডারের। এক্ষেত্রে, ল্যান্ডার যোগাযোগ রাখছে চাঁদের চারপাশে কক্ষপথে ঘুরতে থাকা ‘চন্দ্রযান ৩’ প্রোপালশন মডিউল এবং ‘চন্দ্রযান ২’-এর অরবিটারের সঙ্গে। তাদের মাধ্যমে রিলে পদ্ধতিতে সেই তথ্য পৃথিবীতে বেঙ্গালুরুতে স্থিত ইসরোর মিশন অপারেশনস কন্ট্রোলে (MOX) এসে পৌঁছবে।

    চন্দ্রপৃষ্ঠে ভারতের চিহ্ন

    চাঁদের পৃষ্ঠ ছোঁয়ার কিছুক্ষণ পরেই, বিক্রম ল্যান্ডারের এক পাশের প্যানেলটি খুলে যাবে। বেরিয়ে আসবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। এটি চাঁদের পৃষ্ঠে ঘুরে বেরিয়ে একাধিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। রোভারের ছয়টি চাকায় খোদিত রয়েছে জাতীয় পতাকার ছবি ও ইসরোর লোগো। ল্যান্ডারটি অবতরণের চার ঘণ্টা পরে বেরিয়ে আসবে এই রোভার। তারপর প্রতি সেকেন্ডে ১ সেমি বেগে ঘুরে-ফিরে বেড়াবে। অবতরণ স্থলের চারপাশ স্ক্যান করতে ব্যবহার করবে নেভিগেশন ক্যামেরা। রোভারটি ঘুরে ফিরে বেড়ানোর সময় চাঁদের পৃষ্ঠে ভারতের পতাকা ও ইসরোর লোগোর ছাপ পড়ে যাবে। ভারতের চিহ্ন আঁকা হবে চাঁদের বুকে।

    আরও পড়ুন: বুধবার চাঁদে পা ‘বিক্রম’-এর, তার আগে ৭০ কিমি ওপর থেকে ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    প্রবল ঠান্ডা সইতে হবে

    ইসরো চেয়ারম্যান জানিয়েছে, রোভারের পেলোডগুলিতে ইনস্টল করা যন্ত্রগুলি চাঁদের সমস্ত ডেটা পাঠাবে। এগুলি চাঁদের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত সমস্ত তথ্যও দেবে। ল্যান্ডারে তিনটি পেলোড রয়েছে। এটি ল্যান্ডিং সাইটের চারপাশে চাঁদের প্লাজমার ঘনত্ব, তাপমাত্রা এবং ভূমিকম্প পরিমাপ সবকিছুই করবে। প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সময় বাড়ানো হতে পারে। এক চন্দ্রদিনের পরিবর্তে দুই চন্দ্রদিনও কাজ করতে পারে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। তবে সেক্ষেত্রে ল্যান্ডার ও রোভারটিকে দ্বিতীয় চন্দ্রদিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে দক্ষিণ মেরুতে এক চন্দ্ররাতে (পৃথিবীর হিসেবে প্রায় ১৪ দিন) মাইনাস ২৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হিমাঙ্কের তাপমাত্রা সহ্য করতে হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “শীঘ্রই আপনার পরিবারের কোনও সদস্য যদি ভিতরে ঢুকে যায়?” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “শীঘ্রই আপনার পরিবারের কোনও সদস্য যদি ভিতরে ঢুকে যায়?” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে আর মাত্র ৬ মাস সময় আছে বলে মন্তব্য করেছিলেন মমতা। তারই পাল্টা হিসেবে সুকান্ত বলেন,  “মুখ্যমন্ত্রীর হাতে কি ৬ সপ্তাহ সময় আছে? তার মধ্যেই যদি আপনার পরিবারের কোনও সদস্য ভিতরে ঢুকে যায়?” 

    সুকান্তর অভিমত

    ইন্ডিয়া জোট নিয়েও কটাক্ষ করেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইএনডিআইএ-র একজন সদস্য। কিন্তু ইন্ডিয়া আপনার সঙ্গে নেই। ভারতবাসী প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গেই রয়েছে আর থাকবেও।” লুঠপাট সত্বেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে যে ১১ হাজার আসন পেয়েছে সেটা বড় ব্যাপার, বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    রাজ্যে সিএএ লাগু করার ব্যাপারেও সরব হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালুর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ। সুকান্ত মজুমদার জানান, জনসাধারণকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। মূলত, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে সরকার পদক্ষেপ করতে পারে বলে জানান তিনি।তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা প্রসঙ্গে সুকান্ত জানান, তৃণমূলের কাজই হচ্ছে বিজেপি যা পদক্ষেপ নেবে তার বিরোধিতা করা। তবে এই আইন চালু হলে জন সাধারনের কতোটা উপকার হবে সেটা সকলে বুঝতে পারবে, তখনই সবাই এই আইনকে স্বাগত জানাবে বলে মত বিজেপি রাজ্য সভাপতির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় স্বপ্নদীপকে! মিলেছে র‌্যাগিংয়ের প্রমাণ, দাবি পুলিশের

    JU Student Death: বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় স্বপ্নদীপকে! মিলেছে র‌্যাগিংয়ের প্রমাণ, দাবি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের তদন্তে। দুর্ঘটনার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দায় বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়েছিল স্বপ্নদীপকে (JU Student Death)। মঙ্গলবার লালবাজার সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের আরও দাবি, র‌্যাগিংয়ের (JU Student Death) সমস্ত প্রমাণ মিলেছে। জানা গিয়েছে, যে ১২ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই সেদিনের র‌্যাগিং-এ জড়িত। ইতিমধ্যে র‌্যাগিং বিরোধী আইনের ৪ নম্বর ধারায় মামলা (JU Student Death) রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তের জাল ক্রমশই গোটাচ্ছে পুলিশ।

    হস্টেলের ৭০ নম্বর ঘরে বিবস্ত্র করা হয় স্বপ্নদীপকে (JU Student Death)

    মঙ্গলবার হস্টেলের রাঁধুনিকে লালবাজারে তলব করা হয়। ঘটনার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল সে কথাই জানা হয় তাঁর কাছ থেকে, এমনটাই সূত্রের খবর। লালবাজার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্বপ্নদীপের (JU Student Death) রুম নম্বর ৬৮ হলেও তাঁকে ৭০ নম্বর ঘরে বিবস্ত্র করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে হস্টেলের বারান্দা থেকে নীল রঙের হাফপ্যান্ট এবং গেঞ্জিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছে যে সেটি স্বপ্নদীপের (JU Student Death) পোশাক। অভিযোগ উঠেছে, স্বপ্নদীপকে সমপ্রেমী বলে খেপানো হতো। সে যে সমপ্রেমী নয়, তা প্রমাণ করতে বলে সিনিয়রা। বারবার বাড়ি ফেরার কথা নিজের মাকে বলতে থাকে স্বপ্নদীপ।

    যাদবপুরকাণ্ডে বিধানসভায় বিক্ষোভ বিজেপির

    প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যান স্বপ্নদীপ কুণ্ডু (JU Student Death)। তিনি ছিলেন বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। পরের দিন ভোর বেলায় তাঁর মৃত্যু (JU Student Death) হয়। সামনে আসে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ। এই ঘটনায় একে একে ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে, সোমবারই যাদবপুরের ডিন অফ স্টুডেন্টসকে তলব করে মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু রজত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদে করে সন্তুষ্ট নয় মানবাধিকার কমিশন (JU Student Death), এমনটাই জানা গিয়েছে। পূর্ব ঘোষণা মতো এদিনই যাদবপুরকাণ্ডে বিধানসভায় কালো উত্তরীয় পরে হাজির হন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে মাদক পাচার হতো”, বিধানসভায় তোপ শুভেন্দুর  

    Jadavpur University: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে মাদক পাচার হতো”, বিধানসভায় তোপ শুভেন্দুর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার যাদবপুর ইস্যুকে বিধানসভায় টেনে এনেছেন শুভেন্দু। এনেছেন মুলতুবি প্রস্তাবও। নিজে পাঠ করেছেন সেই প্রস্তাব। তাঁর এই প্রস্তাব গ্রহণও করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই সভায়ই সরকারকে চাঁদমারি করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে রাতের অন্ধকারে মাদক পাচার চক্রের রমরমা ছিল। এ ব্যাপারে স্থানীয় থানা কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    শুভেন্দু (Jadavpur University) বলেন, “ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য স্তম্ভিত। মাদক পাচার চক্রের অবাধ বিচরণ ছিল বলে অভিযোগ। ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকা থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। সিনিয়ররা হস্টেল দখল করে রাখতো।  ব়্যাগিং করেছে। সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য হৃদয়বিদারক। এটা নতুন নয়। ওখানে এক ধরনের উগ্র বাম মানসিকতার সংগঠনের ছাত্র আছে, যারা মাঝে মাঝে দেশবিরোধী কথা বলে।”

    বিলম্বিত বোধোদয়

    ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের। ওই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। অভিযোগ, ক্যাম্পাসে নিত্য আনাগোনা বহিরাগতদের। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই মদের বোতল পড়ে থাকার দৃশ্য দেখা গিয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। এহেন আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ঘোষণা করেছেন, মাদক ও সুরা নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবই জানেন। কারণ সিপিএম এবং আল্ট্রা-সিপিএম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চান বলেও অভিযোগ অগ্নিমিত্রার।

    আরও পড়ুুন: যাদবপুরের আঁচ বিধানসভায়ও, ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির, ওয়াকআউট

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এ পর্যন্ত প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে মোট ১৩ জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃত পড়ুয়ার সমান ওজনের খড়ের পুতুল বানিয়ে তদন্ত করছেন আধিকারিকরা। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বিজেপির অভিযোগের তির বরাবর রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তার দিকে। যে অভিযোগের অভিমুখ এদিনও ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারের দিকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Chandrayaan 3: বুধবার চাঁদে পা ‘বিক্রম’-এর, তার আগে ৭০ কিমি ওপর থেকে ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: বুধবার চাঁদে পা ‘বিক্রম’-এর, তার আগে ৭০ কিমি ওপর থেকে ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝে মাত্র ২৪-ঘণ্টা। বুধবার সন্ধেয় চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। তার সঙ্গেই রচিত হতে চলেছে নতুন ইতিহাস। আপামর ভারতবাসী এখন একটাই প্রার্থনা— ঠিকঠাক যেন অবতরণ করে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram)। দেশবাসীকে অভয় দিচ্ছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। জানিয়েছেন, সব ঠিকই আছে। এখন শেষ মুহূর্তের সিস্টেম-চেক প্রক্রিয়া চলছে।

    ইতিহাস তৈরির অপেক্ষায় ভারত

    তারিখ— ২৩ অগাস্ট। দিন— বুধবার। সময়— সন্ধেয় ৬টা বেজে ৪ মিনিট। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর কাছে এটাই এখন মাহেন্দ্রক্ষণ। কখন তা আসবে সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন সকলে। কারণ, এই সময় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’  মহাকাশযানের ‘ল্যান্ডার বিক্রম’ (Lander Vikram)। সকলেই উদগ্রীব। সকলের মন প্রত্যাশায় ভরপুর। তবে, একইসঙ্গে রয়েছে সামান্য আশঙ্কাও। আর তাই, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর সাফল্য কামনায় দেশজুড়ে চলছে পুজো-প্রার্থনা।

    আরও ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    কিন্তু, পৃথিবীতে যখন তার নামে এত পুজোপাঠ চলছে, যজ্ঞ হচ্ছে, তখন কী করছে ‘চন্দ্রযান ৩’? উত্তর দিয়েছে ইসরো। মঙ্গলবার, ট্যুইটার হ্যান্ডলে দুটি ভিডিও শেয়ার করেছে ইসরো। সেখানে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত অবতরণ করার আগে চন্দ্রপৃষ্ঠের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। আর মহাকাশযানে লাগানো বিভিন্ন ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে চাঁদের এবড়ো-খেবড়ো খানা-খন্দ-গর্তে ভরা ভূমি। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চন্দ্রপৃষ্ঠের প্রায় ৭০ কিলোমিটার উপর থেকে ছবি তুলেছে চন্দ্রযানের ‘ল্যান্ডার পজিশন ডিটেকশন ক্যামেরা’। ধূসর গোলকের গায়ে এবড়োখেবড়ো চিহ্ন দেখা গিয়েছে সেই ভিডিওতে। গত ১৯ অগাস্ট ওই ছবিটি তুলেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। পাশাপাশি, আরেকটি ভিডিওতে গত ২০ তারিখ ৪ নম্বর ল্যান্ডার ইমেজার ক্যামেরায় তোলা পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের ছবিও ধরা পড়েছে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, কীভাবে চাঁদের পরিক্রমা করে চলেছে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram)। এর আগেও চাঁদের ছবি পাঠিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। সেই ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছিল ইসরো।

    মঙ্গলে চূড়ান্ত ব্যস্ততা ইসরোয়

    ট্যুইটারে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) অবতরণের প্রসঙ্গে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে মিশন অপারেশনস কমপ্লেক্সে (MOX) চূড়ান্ত ব্যস্ততা ও উত্তেজনা রয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মিশন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলছে। সিস্টেমে এখন চেকিং চলছে। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে সব ঠিকঠাক আছে। ইসরো আরও জানিয়েছে, অবতরণের সরাসরি সম্প্রচার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে শুরু হবে। ইসরো আগেই জানিয়েছিল, অবতরণের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে বিকেল ৫টা ৪৬ মিনিট নাগাদ। আর সন্ধেয় ৬টা ৪ মিনিটে হবে কাঙ্খিত ‘টাচডাউন’। ইসরো জানিয়েছে, যেখানে উৎক্ষেপণের সময় ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) গতি ছিল ঘণ্টায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার, সেখানে চাঁদের কক্ষপথে ঢোকার পরে তা হয় ঘণ্টায় ৬ হাজার কিলোমিটার এবং অবতরণের সময়ে হবে ঘণ্টায় মাত্র ৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ, একেবারে পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram)। 

    সাফল্য কামনায় দেশজুড়ে পুজো-যজ্ঞ

    এদিকে, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর সাফল্য কামনায় দেশজুড়ে কোথাও হচ্ছে পুজো-প্রার্থনা, তো কোথাও আয়োজন করা হয়েছে যজ্ঞের। কলকাতা থেকে বারাণসী— দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বারাণসীর কামাখ্যা মন্দিরে হোমের আয়োজন করা হয়। কোচবিহার মদনমোহন কলোনি এলাকায় এই যজ্ঞের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার যাতে চাঁদের মাটিতে নেমে অবতরণ ইতিহাস তৈরি করতে পারে, সেই প্রার্থনা করা হয়। মুম্বইয়ে আবার বিশেষ হোমের আয়োজন করেন শিবসেনা নেতা (উদ্ধব ঠাকরে শিবির) আনন্দ দুবে। উত্তর প্রদেশের আগ্রায় বিশেষ যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল চন্দ্রযানের সাফল্য কামনায়। আবার মধ্য প্রদেশে বিশেষ পুজোর আয়োজনও করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুরের আঁচ বিধানসভায়ও, ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির, ওয়াকআউট

    Jadavpur University: যাদবপুরের আঁচ বিধানসভায়ও, ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির, ওয়াকআউট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের (Jadavpur University) আঁচ পৌঁছল বিধানসভায়ও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তোলপাড় হয় রাজ্য। মঙ্গলবার এ নিয়ে সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে এদিন গলায় কালো উত্তরীয় জড়িয়ে বিধানসভায় আসেন বিজেপি বিধায়করা। আনেন মুলতুবি প্রস্তাব। প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন স্পিকার। অধিবেশন শুরু হলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শ্রেণির উগ্র বাম মানসিকতার লোক রয়েছে, তারা মাঝে মধ্যে দেশবিরোধী কথাবার্তাও বলে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশবিরোধী কথা বলার একটা ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। তাদের জন্য যাদবপুরে রুলস-রেগুলেশন কিছুই মানা হয় না। মানা হলে গ্রামের মেধাবী ছাত্রটির জীবন এভাবে চলে যেত না।”

    শুভেন্দুর প্রশ্ন

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সিসি ক্যামেরা বসানো সহ যেসব নির্দেশিকা দিয়েছিলেন হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, সেসব মানা হয়নি কেন, এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসুর কাছে তা জানতে চান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে পদ্যত্যাগে বাধ্য করেছিলেন বলেও শিক্ষামন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু। বিজেপির তরফে এদিন ফের এনআইএ তদন্তের দাবিও জানানো হয়। অধিবেশন কক্ষেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পরে ওয়াক-আউট করেন বিধানসভা কক্ষ থেকে। 

    শুভেন্দুকে নোটিশ 

    এদিকে, এবার শুভেন্দুকে নোটিশ পাঠাল যাদবপুর থানা। তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, যেদিন শুভেন্দুর ওপর হামলা হয়েছিল, সেদিনের ঘটনা বিশদে জানতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে শুভেন্দুকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আইনি সন্ত্রাস’’! ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহারে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের (Jadavpur University) প্রতিবাদে দিন কয়েক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপির যুব মোর্চা। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কর্মসূচি সেরে ফেরার সময় শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তাঁর গাড়িতে হামলা হয় বলেও অভিযোগ। এর পরেই যাদবপুর জিআরপিতে আরএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পরে শুভেন্দুর অভিযোগ জিআরপির তরফে হস্তান্তরিত করা হয় কলকাতা পুলিশে। তার প্রেক্ষিতেই শুভেন্দুকে নোটিশ পাঠিয়েছে যাদবপুর থানা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: জাতীয় পতাকার অবমাননা! শুভেন্দুর করা মামলায় রাজ্যকে তিরস্কার হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: জাতীয় পতাকার অবমাননা! শুভেন্দুর করা মামলায় রাজ্যকে তিরস্কার হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের দিন বাঁশবেড়িয়ার জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় রাজ্যকে তিরস্কার করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘জাতীয় পতাকার অবমাননা করে কেউ নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারে না’।

    কী ঘটেছিল

    জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে একটি জনস্বার্থ মামলা হয় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ৷ সেই মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৫ অগাস্ট পতাকা উত্তোলনের সময় বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাইস্কুলে কিছু দুষ্কৃতী পতাকার অবমাননা করে৷ পাথর ছোড়ে। হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। সওয়াল জবাবের সময়ে রাজ্যের তরফে এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, আদৌ সেদিন ওই স্কুলে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছিল কিনা, সেই বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। রাজ্যের আইনজীবী অনির্বাণ রায় আদালতে জানান, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তখনই মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরাই আদতে ‘ভিক্টিম’। তখন প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যদি বলছেন, কিছু হয়নি, তাহলে তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হয়েছে?” রাজ্যের আইনজীবী উত্তর দেন, “স্কুলের বাইরে জমায়েত করেছিলেন। গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা চলছিল।” রাজ্যের এহেন উত্তরে অসন্তুষ্ট হন প্রধান বিচারপতি। এরপরই রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য,” আপনার কী মনে হয় না, এটা সিরিয়াস।” বিচারপতির মন্তব্য, “রাজ্যের এ বিষয়ে আরও সজাগ হওয়া উচিৎ ছিল।”  শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “মামলাকারী ইনি বলেই কি এত অনীহা?” 

    আরও পড়ুন: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    আদালতের অভিমত

    রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, “আপনি ভুলে যান কে আদালতে এসেছে। জাতীয় পতাকার অবমাননা আমাদের সবার অবমাননা। রাজ্যের আরও প্রোঅ্যাক্টিভ হওয়া উচিত। পুলিশ-থানার উচিৎ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত পদক্ষেপ নেওয়া।” এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, “সরকারি স্কুলের ভিতরে জাতীয় পতাকা (National Flag) অবমাননার অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। রাজ্য অভিযোগ খতিয়ে না দেখে কে মামলা করেছে সেইদিকে তাকিয়ে রয়েছে, এটা ঠিক নয়।” প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “সব কিছুকে রাজনৈতিক রঙ দেবেন না। মিথ্যে বলবেন না। আপনি চোখ বন্ধ রাখলেই পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায় না। যবে থেকে এসছি দেখছি মামলাকারী কে সেটা এখানে খুব গুরুত্ব পায়।” এবিষয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।  স্কুলকে এই মামলায় যুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ সেপ্টেম্বর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘আইনি সন্ত্রাস’’! ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহারে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘‘আইনি সন্ত্রাস’’! ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহারে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারা যত্রতত্র ব্যবহার করে ‘আইনি সন্ত্রাস’ করছেন মহিলারা। সোমবার এক মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারা অনুযায়ী, বিবাহিত কোনও মহিলা শ্বশুরবাড়িতে নিষ্ঠুরতার শিকার হলে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের শাস্তি হবে। আদালতের মতে, এই ধারারই অপব্যবহার করছেন মহিলারা।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    ২০১৭ সালের একটি মামালার শুনানি হচ্ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের সিঙ্গল বেঞ্চে। এক মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী ও স্বামীর পরিবারের সদস্যরা তাঁর ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করেন। তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে স্ত্রীর করা সব অভিযোগ সরিয়ে নেওয়ার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলার স্বামীও। এই মামলার শুনানিতেই এদিন বিচারপতি সামন্ত বলেন, “সমাজ থেকে পণের ভয় দূর করতে আইনসভা ৪৯৮-এ বিধান প্রণয়ন করেছে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, উক্ত বিধানের অপব্যবহার করে নতুন আইনি সন্ত্রাসের রাস্তা উন্মোচিত হচ্ছে।” আদালত জানিয়েছে, যদি ফৌজদারি আইন একজন অভিযোগকারীকে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি দেয়, তাহলে এটিকে যৌক্তিক প্রমাণ প্রতিপন্ন করে তাকে ন্যায়সঙ্গত করতে হবে।

    মহিলার অভিযোগ

    বিচারপতি (Calcutta High Court) সামন্ত বলেন, “আমি মনে করি যে, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে (এই মামলায়) অভিযোগ দায়ের করা তাৎক্ষণিক ফৌজদারি মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে কোনও অভিযোগ দাঁড়াচ্ছে না।” আদালত বলেছে, “এই উদ্যোগ কেবলমাত্র ব্যক্তিগত রাগ নিয়ে দায়ের করা হয়েছে।” আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পরেই খারিজ হয়ে যায় মামলা। 

    আরও পড়ুুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা মোদির, কী বললেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রথম স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন ওই মহিলা। অভিযোগ (Calcutta High Court) পেয়ে পুলিশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশীর বয়ান রেকর্ড করে। পুলিশ লক্ষ্য করে, স্বামীর বিরুদ্ধে সাধারণ কয়েকটি অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। ওই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে ফের একটি মামলা দায়ের করেন ওই মহিলা। এবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করা হয় স্বামীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share