Tag: bangla news

bangla news

  • Delhi Ordinance Bill 2023: লোকসভার চৌকাঠ পেরিয়ে রাজ্যসভায় যাচ্ছে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল, পেশ করবেন শাহ?  

    Delhi Ordinance Bill 2023: লোকসভার চৌকাঠ পেরিয়ে রাজ্যসভায় যাচ্ছে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল, পেশ করবেন শাহ?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার হার্ডল পেরিয়েছে। এবার পার হতে হবে রাজ্যসভার চৌকাঠ। তারপর রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল ২০২৩ (Delhi Ordinance Bill 2023) যাবে রাষ্ট্রপতি ভবনে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই বিলটি পরিণত হবে আইনে। সূত্রের খবর, ৭ অগাস্ট, সোমবার রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    লোকসভায় হট্টগোল

    দিন দুয়েক আগেই লোকসভায় ধ্বনি ভোট পাশ হয়েছে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল ২০২৩ (Delhi Ordinance Bill 2023)। বিলের বিরোধিতা করেন আম আদমি পার্টি সহ বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের সাংসদরা। লোকসভা থেকে ওয়াক আউটও করেন তাঁরা। চেয়ারের দিকে কাগজ ছুড়ে মারার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় আপ সাংসদ সুশীল কুমার রিঙ্কুকে। বিলটি নিয়ে আলোচনার সময় অমিত শাহ নিশানা করেন বিরোধীদের। তিনি বলেন, “২০১৫ সালে একটি দল ক্ষমতায় এসেছিল, যাদের উদ্দেশ্য ছিল লড়াই করা, সেবা করা নয়।” তিনি বলেন, “ট্রান্সফার পোস্টিং করানোর অধিকার না পাওয়াটা সমস্যা নয়, বরং বাংলো নির্মাণের সময়ের দুর্নীতি লুকোতে ভিজিলেন্স ডিপার্টমেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ বড় সমস্যা।”

    বিরোধীদের নিশানা শাহের

    তিনি (Delhi Ordinance Bill 2023) বলেন, “কেজরিওয়ালের আমলে দিল্লির আমলা নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা দেখা গিয়েছে। এদিকে, দিল্লির আইন প্রণয়নের অধিকার রয়েছে কেন্দ্রের। সেই জায়গা থেকেই এই বিল পাশ হয়েছে।” শাহ বলেন, “বিরোধীদের বলতে চাই, শুধু মাত্র জোটে রয়েছেন বলে এই কোটি টাকা ব্যয়ের বাংলো সংস্কারকে সমর্থন করবেন না। কারণ আপনাদের জোট থাকলেও নরেন্দ্র মোদি জিতবেন।” শাহ বলেন, “এই কারণেই নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, বিআর আম্বেদকর সহ একাধিক নেতা চেয়েছিলেন, দিল্লি যেন পৃথক রাজ্যের মর্যাদা না পায়।” বিরোধীদের ব্যাপক হট্টগোলের মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে বিলটি পাশ হয়ে গিয়েছে লোকসভায়। এবার বিলটি পেশ হবে রাজ্যসভায়।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ধর্নাকে ‘চোরেদের ধর্না’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    জানা গিয়েছে, সোমবার বিল পেশ হওয়ার পর হবে আলোচনা। তারপর এদিন সন্ধ্যায়ই ভোটাভুটি (Delhi Ordinance Bill 2023) হতে পারে। এদিন বিরোধীদের হয়ে মুখ খুলতে পারেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি। সুপ্রিম কোর্টেও বিলটি নিয়ে আপের হয়ে সওয়াল করেছেন তিনিই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Consulate: আমেরিকার রাস্তায় অনাহারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভারতীয় মহিলা, জয়শঙ্করকে চিঠি মায়ের

    Indian Consulate: আমেরিকার রাস্তায় অনাহারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভারতীয় মহিলা, জয়শঙ্করকে চিঠি মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার রাস্তায় অনাহারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক ভারতীয় মহিলা। হায়দ্রাবাদের ওই হতাশাগ্রস্ত মহিলাকে নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে শিকাগোর ভারতীয় কনস্যুলেট (Indian Consulate)। তাঁকে মেডিক্যাল এবং ভারতে ফিরতে সাহায্য করার প্রস্তাবও দিয়েছে তারা। আমেরিকায় পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। সঈদা জাইদি নামের ওই মহিলা অবশ্য ভারতে ফিরতে চাইছেন না। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা আপাতত হতাশাগ্রস্ত। তবে ইতিমধ্যেই তাঁকে তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলানো হয়েছে।

    ট্যুইট-বার্তা কনস্যুলেটের

    কনস্যুলেটের তরফে ট্যুইট-বার্তায় বলা হয়েছে, মিসেস সঈদা জাইদির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরে এবং তাঁকে সাহায্য করার কথা বলতে পেরে আমরা খুশি। তাঁকে ভারতে ফিরতে সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে, মেডিক্যাল সাহয্যের কথাও বলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ এবং ভারতে তাঁর মায়ের সঙ্গে কথাও বলেছেন। ভারতে ফেরার ব্যাপারে তিনি আমাদের সাহায্যের আবেদনে সাড়া দেন কিনা, আমরা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি। তাঁকে সব রকমভাবে সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত। ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের উদ্দেশে আমেরিকা রওনা দেন বছর সাঁইত্রিশের জাইদি।

    ভারতে পাবেন যত্নআত্তি 

    তিনি (Indian Consulate) ট্রাইন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন। নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছিলেন তিনি। মাস দুয়েক ধরে তিনি আর যোগাযোগ রাখছিলেন না। সম্প্রতি পাগলের মতো অবস্থায় আমেরিকার রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই উদ্বেগে ছিলেন পরিবার। ভিডিও ফুটেজে এক ব্যক্তি তাঁকে সাহায্য করতে চাইছেন বলেও শোনা যায়। তাঁকে খাবারের প্রতিশ্রুতিও দিতে শোনা গিয়েছিল ওই ব্যক্তিকে। তাঁকে এও বলতে শোনা যায়, তিনি (জাইদি) যেন ভারতে ফিরে যান। সেখানে তিনি যত্নআত্তি পাবেন।

    আরও পড়ুুন: পিস রুমের পর ‘পিস ট্রেন’ চালুর প্রস্তাব রাজ্যপালের, কী বললেন সুকান্ত?

    সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি দেন জাইদির মা। তাতে মেয়েকে ফিরিয়ে আনার জন্য বিদেশমন্ত্রকের সাহায্য চান তিনি। এর পরেই শিকাগোর ভারতীয় কনস্যুলেট (Indian Consulate) সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে, তারা ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছেন। এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। তাঁর মায়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Broadband: প্রত্যন্ত গ্রামেও ব্রডব্র্যান্ড পরিষেবা দিতে ১.৩৯ লক্ষ কোটি টাকার অনুমোদন মন্ত্রিসভার

    Broadband: প্রত্যন্ত গ্রামেও ব্রডব্র্যান্ড পরিষেবা দিতে ১.৩৯ লক্ষ কোটি টাকার অনুমোদন মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যন্ত গ্রামে ব্রডব্র্যান্ড (Broadband) পরিষেবা পৌঁছে দিতে ১.৩৯ লক্ষ কোটি টাকার অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ভারত নেট প্রজেক্টের অধীনে কাজ হবে। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ৬.৪ লক্ষ গ্রামে এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। ভারত নেট প্রজেক্টের অধীনে ইতিমধ্যেই দেশের ১.৯৪ লক্ষ গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ব্রডব্র্যান্ড পরিষেবা। আগামী আড়াই বছরের মধ্যেই বাকি ৬.৪ লক্ষ গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হবে এই পরিষেবা। সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধেয় বৈঠক বসে মন্ত্রিসভার। সেখানেই ১,৩৯,৫৭৯ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। দেশের সব গ্রামের বাড়িতে এই ব্রডব্র্যান্ড পরিষেবা পৌঁছে দিতেই বরাদ্দ করা হয়েছে ওই পরিমাণ টাকা।

    ভারত ব্রডব্র্যান্ড নেটওয়ার্ক লিমিটেড

    বিএসএনএলেরই একটি অংশ ভারত ব্রডব্র্যান্ড নেটওয়ার্ক লিমিটেডের (Broadband)। সূত্রের খবর, প্রতিটি বাড়িতে ফাইবার অপটিক পৌঁছে দিতে স্থানীয় এন্টারপ্রেনিয়ঁর সঙ্গে পাইলট প্রজেক্ট চালু হয়। এই পাইলট প্রজেক্ট চালু হয়েছিল দেশের চারটি জেলার গ্রামগুলিকে যুক্ত করতে। তার পর তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দেশের ৬০ হাজার গ্রামে। জানা গিয়েছে, গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং কানেকশনের জন্য প্রয়োজনীয় বাড়তি ফাইবার দেবে ভারত ব্রডব্র্যান্ড নেটওয়ার্ক লিমিটেড। স্থানীয় সংস্থাই রক্ষণাবেক্ষণ করবে নেটওয়ার্কের।

    পাইলট প্রজেক্ট

    সূত্রের খবর, পাইলট প্রজেক্টে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ সংস্থাকে কাজে লাগানো হয়েছিল। এরা কাজ করছিল দেশের ৬০ হাজার গ্রামে। এই সংস্থাগুলি ৩.৫১ লক্ষ ব্রডব্র্যান্ড পরিষেবা দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, প্রতি বাড়িতে ফি মাসে গড় ডেটা ব্যবহৃত হয় ১৭৫ গিগাবাইট। মাসিক ব্রডব্র্যান্ড প্লানের মূল্য শুরু হয়েছে ৩৯৯ টাকা থেকে। সব মিলিয়ে দেশে ৩৭ লক্ষ রুট কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার পাতা হয়েছে। এর মধ্যে ভারত ব্রডব্র্যান্ড নেটওয়ার্ক লিমিটেড (Broadband) পেতেছে ৭.৭ রুট কিলোমিটার।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি, রাজবংশ এবং তুষ্টিকরণ ভারত ছাড়ো”, রেলের অনুষ্ঠানে ডাক প্রধানমন্ত্রীর

    সূত্রের খবর, গ্রামাঞ্চলে ব্রডব্র্যান্ড পরিষেবা দেওয়ার প্রধান কারণ মানুষ যাতে বিশ্বের যে কোনও চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাতে পারেন। তাছাড়া কোনও কোনও ব্যবসায়ী ইউটিউবে কোচিং করাচ্ছেন, ছেলেমেয়েরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসবে বলে টাকাপয়সা জমাচ্ছেন বাবা-মায়েরা, এজন্যও প্রয়োজন ব্রডব্র্যান্ডের। এছাড়াও আরও অনেক কাজ করার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে ব্রডব্র্যান্ড পরিষেবার। তাই প্রত্যন্ত গ্রামেও এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই কারণেই অনুমোদন করা হল টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi: “দুর্নীতি, রাজবংশ এবং তুষ্টিকরণ ভারত ছাড়ো”, রেলের অনুষ্ঠানে ডাক প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “দুর্নীতি, রাজবংশ এবং তুষ্টিকরণ ভারত ছাড়ো”, রেলের অনুষ্ঠানে ডাক প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দুর্নীতি, রাজবংশ এবং তুষ্টিকরণ ভারত ছাড়ো।” রবিবার রেলের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ প্রকল্পের অধীনে পূর্ব রেলের ৫০৮টি স্টেশনের মানোন্নয়ন কর্মসূচির শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তোপ দাগলেন বিরোধীদের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত ছাড়ো আন্দোলনে প্রাণিত হয়ে গোটা দেশ আজ বলছে দুর্নীতি, রাজবংশ এবং তুষ্টিকরণের ভারত ছাড়া উচিত।” এদিনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিরোধীদের নেতিবাচক রাজনীতির সমালোচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিরোধীদের নেতিবাচক রাজনীতি

    তিনি (PM Modi) বলেন, “মোদি সরকার ভোটব্যাঙ্কের ঊর্ধ্বে উঠে উন্নয়নে প্রত্যয়ী। সেখানে বিরোধীরা নেতিবাচক রাজনীতি করছেন। না নিজেরা করবেন, না অন্যদের করতে দেবেন। এই চিন্তাভাবনা নিয়ে চলছেন বিরোধীরা।” বিরোধীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর তোপ, “সত্তর বছরে নিজেরা ওয়ার মেমোরিয়াল করেননি। কিন্তু ওয়ার মেমোরিয়াল তৈরি হওয়ার পর সমালোচনা করেছেন। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনেরও বিরোধিতা করেছেন। সর্দার প্যাটেলের মূর্তিরও সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা।” তিনি বলেন, “নেতিবাচক রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমরা সদর্থক রাজনীতির পথে চলছি। আমরা আমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি। আমরা উন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি।”

    অমৃতকালে উন্নয়ন

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “অমৃতকালে ভারত উন্নয়নের লক্ষ্যে এগোচ্ছে। নতুন শক্তি পাচ্ছে। নয়া উদ্যম। নয়া অঙ্গীকার। এবং এই উদ্যমেই ভারতীয় রেলের ইতিহাসে নয়া অধ্যায় শুরু হয়েছে।” তিনি বলেন, “আজ গোটা বিশ্বের নজর ভারতের দিকে। গোটা বিশ্বে ভারতের সম্মান বেড়েছে। বিশ্ববাসী ভারতকে সম্মানের চোখে দেখছে। এর দুটি কারণ। এক ভারতবাসী প্রায় তিরিশ বছর বাদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার নিয়ে এসেছে। দুই, সেই নিরঙ্কুশ সরকার ধারাবাহিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা কঠিন চ্যালেঞ্জের স্থায়ী সমাধানের পথে পদক্ষেপ।” জোট সরকার বা মিলিজুলি সরকার যে উন্নয়ন করতে পারে না, সেই বার্তাও এদিন সুকৌশলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ৩ সেনা মৃত্যুর বদলা, উপত্যকায় ফের এনকাউন্টারে খতম ১ জঙ্গি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “প্রতিটি অমৃত ভারত স্টেশন  হবে সেই শহরের আধুনিক উচ্চাকাঙ্খা ও প্রাচীন ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের প্রতীক।” রেলওয়ে সূত্রে খবর, যে স্টেশনগুলির উন্নয়ন হচ্ছে, সেগুলি রয়েছে ২৭টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। কাজ শেষ হবে দু বছরের মধ্যে। ব্যয় হবে ২৪ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা। পুরো টাকাটাই দেবে কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ফের হিংসার আগুন জ্বলল মণিপুরে, পুড়ে খাক ১৫ বাড়ি, গুলিতে জখম যুবক

    Manipur: ফের হিংসার আগুন জ্বলল মণিপুরে, পুড়ে খাক ১৫ বাড়ি, গুলিতে জখম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে ফের হিংসার আগুন জ্বলল মণিপুরে (Manipur)। বিষ্ণুপুর, চূড়াচাঁদপুরের পর এবার অশান্তির আগুনে পুড়ল ইম্ফল পশ্চিম জেলার লাংগল গ্রাম। এলাকার ১৫টি বাড়িতে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা। ছোড়া হল এলোপাথাড়ি গুলিও। গুলির ঘায়ে জখম হন এক যুবক। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় নিরাপত্তা বাহিনী। হিংসার এই ঘটনায় রবিবার দুপুর পর্যন্ত মৃত্যুর কোনও খবর মেলেনি। এদিকে, শনিবারই চেকন এলাকায় একটি বাণিজ্যিক ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। রবিবারও কারফিউ জারি রয়েছে পশ্চিম ইম্ফলে। আধাসেনার পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশও।

    বিষ্ণুপুরের কোয়াকতায় সংঘর্ষ

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে মণিপুরের (Manipur) বিষ্ণুপুরের কোয়াকতায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় অন্তত তিনজনের। এঁদের মধ্যে দুজন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। আর একজন গ্রামরক্ষী। একাধিক বাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সংঘর্ষ চলেছিল শনিবার ভোর পর্যন্ত। সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষীও। জায়গাটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা থাকায় যৌথবাহিনীর গুলিতে হামলাকারীদের কেউ নিহত কিংবা আহত হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি।

    অশান্তির শুরু 

    রাজধানী ইম্ফল থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে বিষ্ণুপুর (Manipur) জেলা। জেলাটি মেইতেই অধ্যুষিত। ৩ মে অশান্তি শুরু হওয়ার পর এলাকা ছেড়ে পালায় কুকিরা। আবার চূড়াচাঁদপুর জেলায় কুকিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে মেইতেইরা। কোয়াকতা হল এই দুই জেলার মাঝামাঝি এলাকা। প্রশাসন জায়গাটিকে বাফার জোন হিসেবে আগলে রেখে চলছিল। শুক্রবার গভীর রাতে সংঘর্ষ শুরু হয় এখানেই।

    আরও পড়ুুন: প্রতারণার তথ্য লোপাট করতেই হামলা নুহর সাইবার ক্রাইম থানায়, দাবি হরিয়ানা সরকারের

    পুলিশ সূত্রে খবর, ওই রাতে বাফার জোন (Manipur) টপকে এলাকায় ঢুকে পড়ে কয়েকজন। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুর্বৃত্তরা। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মেইতেইরা। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় অন্তত তিনজনের। তাঁরা মেইতেই জনগোষ্ঠীর। এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগুনও। সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের জ্বলল অশান্তির আগুন। প্রসঙ্গত, ৩ মে অশান্তি শুরু হয় মণিপুরে। মেইতেইরা তফশিলি জাতির দাবি জানাচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তার প্রতিবাদ জানায় কুকি সহ বিভিন্ন জনজাতি। তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Haryana: প্রতারণার তথ্য লোপাট করতেই হামলা নুহর সাইবার ক্রাইম থানায়, দাবি হরিয়ানা সরকারের

    Haryana: প্রতারণার তথ্য লোপাট করতেই হামলা নুহর সাইবার ক্রাইম থানায়, দাবি হরিয়ানা সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নুহ জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় যে হামলা হয়েছিল, তা প্রমাণ নষ্ট করতেই। চলতি বছরের প্রথম দিকে যেসব প্রতারণার খবর ফাঁস হয়েছিল, সে সংক্রান্ত নথি নষ্ট করতেই হামলা চালানো হয়েছিল। শনিবার এমনই দাবি করল হরিয়ানা (Haryana) সরকার। ৩১ জুলাই নুহতে হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই সময়ই হামলা হয় সাইবার ক্রাইম থানায়। হিংসায় সব মিলিয়ে খুন হন ছ’ জন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন দুজন হোমগার্ড এবং একজন ধর্মগুরুও।

    হিংসার নেপথ্যে

    জানা গিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি শোভাযাত্রার পথ আগলানোয় শুরু হয় হিংসা। গত কয়েকদিন ধরে যে হিংসার আগুনে পুড়ছে গুরগাঁও-ও। হরিয়ানা সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তল্লাশি চালানোর সময় যেসব প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেগুলি নষ্ট করতেই হামলা চালানো হয়েছিল সাইবার পুলিশ স্টেশনে। এই থানায়ই সংরক্ষিত রয়েছে বিভিন্ন অপরাধ ও প্রতারণার তথ্য। গত এপ্রিলে ১০০ কোটি টাকার সাইবার প্রতারণার জাল ফাঁস করেছিল পুলিশ। হিংসার জেরে নুহ এখনও থমথমে।

    বন্ধ ইন্টারনেট

    হরিয়ানার (Haryana) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেন, সাইবার ক্রাইম থানায় হামলার ঘটনার বিষয়টিকে হালকাভাবে নিচ্ছে না সরকার। তিনি বলেন, নুহ ক্রমেই নতুন জামতাড়ায় পরিণত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া এলাকাটি ভারতের সাইবার ক্রাইম হাব হিসেবে কুখ্যাত। এদিকে, হিংসার আঁচ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য নুহ এবং পালওয়াল জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ৭ অগাস্ট বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে এসএমএস পরিষেবা। প্রসঙ্গত, হরিয়ানা সরকার ৫ অগাস্ট পর্যন্ত এসএমএস এবং ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত রেখেছিল।

    অন্যদিকে, নুহতে (Haryana) হিংসার মাঝে খুন করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে আম আদমি পার্টির নেতা আহমেদ জাভেদের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রদীপ কুমার নামে বজরং দলের এক কর্মীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করার ঘটনায় তিনি জড়িত। পুলিশের দাবি, ৩১ জুলাই সোহানায় ওই খুন হয়। সেই খুনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন জাভেদ।

    আরও পড়ুুন: শিখদের হত্যা করতে বলেছিলেন জগদীশ টাইটলার! চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Jagdish Tytler: শিখদের হত্যা করতে বলেছিলেন জগদীশ টাইটলার! চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের

    Jagdish Tytler: শিখদের হত্যা করতে বলেছিলেন জগদীশ টাইটলার! চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি পদবি বিতর্কে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর। তবে ফের অস্বস্তিতে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। এবার শিখ-নিধনের অভিযোগে খুনের মামলা দায়ের হল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলারের (Jagdish Tytler) বিরুদ্ধে। চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, ১৯৮৪ সালে শিখ বিরোধী মামলায় জগদীশ শিখদের হত্যা করার জন্য জনতাকে প্ররোচিত করেছিলেন।

    প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান

    চার্জশিটে যে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, সেখানে তাঁর দাবি, জগদীশ প্রথমে শিখদের হত্যা করতে জনতাকে বলেছিলেন। পরে বলেছিলেন, তাঁদের দোকান এবং মূল্যবান সামগ্রী লুট করতে। চার্জশিটে এও দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস নেতা দাঙ্গাকারীদের এই বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। তাঁর (Jagdish Tytler) সংসদ ক্ষেত্রে অন্য কংগ্রেস সাংসদের আসনের তুলনায় বেশি শিখকে হত্যা করা হয়েছে কিনা, তাও তুলনা করে দেখছিলেন ওই কংগ্রেস নেতা। তিনি তাঁর অনুগামীদের আরও শিখকে আক্রমণ করতে বলেছিলেন।

    হত্যায় প্ররোচনা 

    চার্জশিটে প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, সেদিন জগদীশ একটি সাদা অ্যাম্বাসাডরে করে এসেছিলেন এবং জনতাকে প্ররোচিত করছিলেন। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর দুই শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে খুন হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তার পরেই দেশের বিভিন্ন অংশে শুরু হয় শিখদের ওপর অত্যাচার। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর টাইটলার জনতাকে শিখদের হত্যা করতে প্ররোচিত করেছিলেন। যার জেরে দিল্লির পল বাঙ্গাস গুরুদ্বারে আগুন লাগানো হয় এবং শিখ সম্প্রদায়ের তিনজনকে হত্যা করা হয়। জনতাকে প্ররোচিত করার পর ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় টাইটলারকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ব্যালটের পর ইভিএম খেতে তৈরি তৃণমূল’’, নন্দীগ্রামে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    দাঙ্গায় পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে তাঁর দোকান। এমন এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানও দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের চার্জশিটে। ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “তিনি (টাইটলার) (Jagdish Tytler) একটি গাড়িতে করে এলেন এবং জনতাকে বললেন প্রথমে শিখদের হত্যা কর, পরে লুট কর তাদের দোকান।” চার্জশিটে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে আরও এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান। সেখানে তিনি বলেছেন, “আমি (টাইটলার) তোমাদের আশ্বস্ত করছি, তোমাদের কিছুই হবে না। তোমরা শুধু শিখদের হত্যা কর।” সিবিআইয়ের দাবি, দাঙ্গায় যে জগদীশ টাইটলার জড়িত ছিলেন, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kashmir 370 article: ভূস্বর্গে অশান্তির আঁচ! ৩৭০ ধারা রদের চতুর্থ বার্ষিকীতে ফের গৃহবন্দি মেহবুবা মুফতি

    Kashmir 370 article: ভূস্বর্গে অশান্তির আঁচ! ৩৭০ ধারা রদের চতুর্থ বার্ষিকীতে ফের গৃহবন্দি মেহবুবা মুফতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৃহবন্দি পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা (Kashmir 370 article) বিলোপের চতুর্থ বার্ষিকীর দিনেই ফের গৃহবন্দি করা হল তাঁকে। শুক্রবার রাতে গৃহবন্দি করা হয়েছে তাঁর দলের আরও কয়েকজন নেতাকে।

    গৃহবন্দি মুফতি 

    শনিবার ট্যুইট-বার্তায় মুফতি লেখেন, দলের অন্য পিডিপি নেতাদের পাশাপাশি আমিও গৃহবন্দি হয়ে রয়েছি। মধ্যরাত থেকে ধরপাকড় চলছিল। বেআইনিভাবে থানায় আটক করে রাখা হয়েছে দলের সদস্যদের। উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে সুপ্রিম কোর্টে দাবি করছে ভারত সরকার। ভয় পেয়েই যে এমন কাজ করছে, তা স্পষ্ট। তাঁর দাবি, একদিকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের পূর্তিতে কাশ্মীরিদের উৎসবে শামিল হতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। তার জন্য বড় বড় পোস্টার, ব্যানার ঝোলানো হয়েছে শ্রীনগর সহ চারিদিকে। কিন্তু নৃশংস আচরণের মাধ্যমে কাশ্মীরের আবেগকেই পদদলিত করা হচ্ছে। মুফতি লিখেছেন, যে সময় অনুচ্ছেদ ৩৭০ (Kashmir 370 article) প্রত্যাহার করা নিয়ে মামলার শুনানি চলছে, আশাকরি, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। 

    শুনানি চলছে সাংবিধানিক বেঞ্চে

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে একটি সভা করার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছিল মুফতির দল। সেই আবেদন খারিজ করে দেয় প্রশাসন। এর পরেই মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয় বলে খবর। যদিও সভার অনুমতির বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। 

    প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে সংবিধানের ৩৭০ (Kashmir 370 article) নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বৈধতা বিচার করছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সাংবিধানিক বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে?”, উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভাই যেখানে কার্যকর নয়, সেখানে ধারা প্রত্যাহার বা সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া আদৌ সম্ভব কিনা, কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রশ্ন দেশের শীর্ষ আদালতের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৮ অগাস্ট। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে বাতিল করা হয় ৩৭০ ধারা। সেই সময় একবার গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতিকে। পরে অবশ্য মুক্তিও দেওয়া হয় তাঁদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে?”, উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে?”, উলুবেড়িয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ধর্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উলুবেড়িয়া থানাকে সিআইডির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত। ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। বিচারপতির প্রশ্ন, “কতবার তল্লাশি হয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কী কী চেষ্টা করেছে পুলিশ। আমি দেখতে চাই কেস ডায়েরি থেকে কী কী চেষ্টা হয়েছে গ্রেফতারের। মূল অভিযুক্ত যিনি তিনি কি খুব প্রভাবশালী?” সিআইডি তদন্তের পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, নির্যাতিতার পরিবারকে সশস্ত্র পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে।

    নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণ

    উলুবেড়িয়ায় সরকারি জায়গায় একটি ছোট চায়ের দোকান রয়েছে ওই নাবালিকার পরিবারের। মামলাকারীর অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজন দোকান বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তাঁদের চাপ দিচ্ছিল। তাঁর অভিযোগ, ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে তাঁর নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়। মামলাকারীর দাবি, পুলিশ প্রথমে তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরে অভিযোগ নিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করলেও, মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। এর পরেই আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর দাবি, এর মধ্যেই সামাজিক চাপে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন তাঁর স্বামী। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, মূল অভিযুক্ত শেখ এক্রামূল তাঁদের হুমকি দিচ্ছে।

    ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ

    এদিনের শুনানিতে আদালতে হাজির ছিলেন উলুবেড়িয়ার আইসি রামেশ্বর ওঝা এবং আইও। ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশ। বিচারপতি বলেন, “রাজ্যের দেওয়া তদন্ত রিপোর্ট, কেস ডায়েরি দেখে আদালত মনে করছে পুলিশ কিছু নথি দেখে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছে। যার জন্য পুলিশ গণধর্ষণের অভিযোগও মানতে চাইছে না। মাস পিটিশনের সঙ্গে দশ টাকার স্ট্যাম্প পেপারের তথ্য দেখে পুলিশ তাতেই মান্যতা দিয়েছে।” আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, “রাজ্য কেন অভিযুক্তের হয়ে কথা বলছে, সেটাই তো পরিষ্কার নয়। এটা রাজ্যের লজ্জা। একজন নির্যাতিতার পাশে থাকা উচিত রাজ্যের। সেখানে রাজ্য পুলিশ থাকছে অভিযুক্তের পাশে। এটা চলতে পারে না।” বিচারপতি বলেন, “আদালত নিশ্চিত, মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পুলিশ ব্যর্থ। এটা রাজ্যের ব্যর্থতা। তাই সিআইডিকে তদন্ত হস্তান্তর করা হল।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Calcutta High Court: বোতলবন্দি জলেই শরীরে ঢুকছে বিষ! বৈধ পানীয় জল তৈরি সংস্থার তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ

    Calcutta High Court: বোতলবন্দি জলেই শরীরে ঢুকছে বিষ! বৈধ পানীয় জল তৈরি সংস্থার তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানীয় জলের মাধ্যমেই শরীরে ঢুকছে বিষ। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এবার বেআইনি পানীয় জলের রমরমা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যবাসীকে এ ব্যাপারে সতর্ক করার পাশাপাশি বৈধ পানীয় জল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির তালিকা তৈরির নির্দেশও রাজ্যকে দিয়েছে হাইকোর্ট। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের সর্বত্র নজরদারি চালিয়ে বেআইনি পানীয় জলের কারখানাগুলি বন্ধ করারও।

    রাজ্যের রিপোর্ট তলব

    বছর কয়েক ধরে প্যাকেজড ড্রিংঙ্কিং ওয়াটারের রমরম ব্যবসা চলছে। সেই জল আদৌ পরিস্রুত কিনা বা পানের যোগ্য কিনা তা যাচাই করা হয়নি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগেই গত বছর হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই রিপোর্টে রাজ্য জানিয়েছে, বেআইনি পানীয় জলের কারবার রুখতে গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক বেআইনি প্যাকেজিং ড্রিংঙ্কিং ওয়াটার কারখানা।  

    বেআইনি পানীয় জলের কারখানা

    মামলাকারীর অভিযোগ, রাজ্যে যত্রতত্র কুটির শিল্পের মতো গজিয়ে উঠেছে বেআইনি পানীয় জলের কারখানা। দূষিত পুকুর কিংবা নদী থেকে জল সংগ্রহ করে সেগুলিকে কৃত্রিম পদ্ধতিতে শোধন করে বোতলজাত করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডর্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ছাড়াই ওই সব কারখানা চালানো হচ্ছে। তার পরেই রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

    আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া রিপোর্টে রাজ্য জানায়, রাজ্যজুড়ে ৪১৩টি ইউনিটে হানা দিয়ে ৮৫টি বেআইনি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২১ সালের মধ্যে ৩৪০টি কারখানার জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮০টি নমুনা। আইনজীবীদের একাংশের মতে, রাজ্যের এই পদক্ষেপকে যথেষ্ট বলে মনে করছে না আদালত। তাই রাজ্যে কতগুলি জল তৈরির কারখানার লাইসেন্স রয়েছে, তার তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share