Tag: bangla news

bangla news

  • Panchayat Election 2023: বয়কট সত্ত্বেও ৯৫ শতাংশ ব্যালট পড়ল কীভাবে? তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: বয়কট সত্ত্বেও ৯৫ শতাংশ ব্যালট পড়ল কীভাবে? তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হাতিয়ারা-জ্যাংড়ার ২ নম্বর বুথ। বিক্ষিপ্ত অশান্তির জেরে ভোট বয়কট করেছিলেন ভোটাররা! অথচ সেই বুথে ভোটের হার ৯৫ শতাংশ। ভোটারদের একাংশের বয়কটের পরেও ভোটের হার এত বেশি কী করে? মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং আইজিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এ নিয়ে রাজারহাটের বিডিওকে তলব করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    আদালতের নির্দেশ

    রাজারহাটের হাতিয়ারা-জ্যাংড়ার ২ নম্বর পঞ্চায়েতের আব্দুল কালাম কলেজে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, বাসিন্দাদের ভোট দিতেই দেওয়া হয়নি। ভোট দিতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। রীতিমতো হুমকি দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। তারপরই স্থানীয়রা ভোট বয়কট করেন। ১ জুলাই ভোটের ফলপ্রকাশের দিন দেখা গেল, ওই বুথেই ভোট পড়েছে ৯৫ শতাংশ। যে বুথে ভোটাররা ভোটই দেননি, সেই বুথে এত ভোট পড়ল কীভাবে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি জানিয়েছেন, এক জন পুলিশ আধিকারিককে নিয়োগ করে ঘটনার অনুসন্ধান করবেন ডিজি এবং আইজি। আগামী ৩ অগাস্ট রাজ্যের ডিজি এবং আইজিকে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    ব্যালট পেপার ‘অদল-বদল’

    দুটি বুথে ব্যালট পেপার ‘অদল-বদল’করা হল। গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির ২ বুথের ২ ব্যালট পেপার বদলে যায়। আরামবাগ মলয়পুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্যালট পেপার নিয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ বাসিন্দাদের। এক আসনের ব্যালট অন্য আসনে দিয়ে ভোট হয়। অন্য প্রার্থীর নামের ব্যালটে ভোটে জয়ী হন আর একজন  প্রার্থী। এই কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আরামবাগ বিডিও-র রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি। ২৫ জুলাই মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia Repoll: ‘স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি’, গোটা জেলায় ফের ভোট চেয়ে আদালতে বিজেপি সাংসদ

    Purulia Repoll: ‘স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি’, গোটা জেলায় ফের ভোট চেয়ে আদালতে বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি পুরুলিয়ায়।’ এই মর্মে অভিযোগ জানিয়ে তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন পুরুলিয়ার (Purulia Repoll) বিজেপি (BJP) সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। নিরপেক্ষ তদন্তকারী কোনও সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে। ২০ জুলাই ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। আইনজীবী ব্রজেশ ঝা জানান, আদালতের কাছে পুরো জেলায় নতুন করে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার আবেদন জানানো হয়েছে। একাধিক ব্লকে আনসিলড ব্যালট বাক্স গণনা হয়েছে। কাউন্টিং হলে কারচুপি হয়েছে। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে মামলা করা হয়েছে।

    ২০ বুথে ফের ভোট

    এদিকে, হাওড়ার সাঁকরাইলের ১৫টি, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার ৪টি এবং হুগলির সিঙ্গুরের একটি বুথে ফের নির্বাচন হবে। এই মর্মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। কমিশন জানিয়েছে, সাঁকরাইলের মাণিকপুর ও সারেঙ্গার ১৫টি বুথে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়। তাই ওই বুথগুলিতে ভোট গণনার কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি। প্রসঙ্গত, সাঁকরাইলে বিধায়ক তৃণমূলের প্রিয়া পালের বিরুদ্ধে ব্যালট পেপার লুঠের অভিযোগ উঠেছিল।

    পুনর্নির্বাচনের দাবি

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলার একাধিক বুথে ব্যালট বাক্স লুট, অবাধে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের দাবিও জানানো হয়েছে। তবে গোটা জেলায় (Purulia Repoll) পুনর্নির্বাচনের দাবি এই প্রথম। নির্বাচনের দিনই নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন জ্যোতির্ময়। পুরুলিয়ার বুথগুলিতে দেখা মেলেনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর। তিনি নিজে ভোট দেন ঝালদা থানার পুস্তি হাইস্কুলের ১০৩ নম্বর বুথে। তার পরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায়। জোতির্ময় বলেন, “নির্বাচনের দিন থেকে ভোট গণনা, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটাই হয়েছে লোক ঠকানো। ফলে মানুষের প্রকৃত রায় সামনে আসেনি। তাই পুনর্নির্বাচনের আবেদন।”

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলা, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    কমিশন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়ার (Purulia Repoll) ২০টি পঞ্চায়েত সমিতির সবকটি দখল করেছে তৃণমূল। জেলা পরিষদও তাদের দখলে। ৪৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৪২টি, বিজেপি ২টি। একটিতে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী। ১৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১২৩টি, বিজেপি জিতেছে ১১টিতে। এদিকে, মালদহের গাজোল গণনা কেন্দ্র থেকে উদ্ধার হল সিল করা ৩টি ব্যালট বাক্স। এই বাক্সগুলির খোঁজ না মেলায় সালাইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের জীবনপুর গ্রামের ৮৩ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন হয়েছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিচারপতি সেনগুপ্তের পর এবার বিরক্তি প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতিও, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: বিচারপতি সেনগুপ্তের পর এবার বিরক্তি প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতিও, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক হিংসা সংক্রান্ত মামলার পাহাড় জমেছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সোমবার এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এবার একই কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেলন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম স্বয়ং। তিনি বলেন, “গত দেড় মাস ধরে গাদা গাদা পঞ্চায়েত মামলা দায়ের হচ্ছে। পঞ্চায়েত মামলা শুনতে গিয়ে অন্য কোনও মামলা শোনা হচ্ছে না। আর মানুষ ভাবছে আমরা কাজ করছি না।”

    একের পর এক মামলা

    ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকে একের পর এক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের মধ্যে যেমন রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তেমনি রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। কখনও নির্বাচনের দফা বৃদ্ধি, কখনওবা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, কখনও আবার নির্বাচনে শাসক দলের অবাধ ছাপ্পার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন এঁরা। সুবিচারের আশায় দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। এই সব মামলার বেশ কতকগুলির শুনানি হয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। নির্বাচন হয়েছে ৮ জুলাই। তার পর থেকে এখনও চলছে মামলা। ভোট হিংসার বিচার চেয়ে প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে নতুন নতুন মামলা। এ নিয়েই মঙ্গলবার উষ্মা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

    উষ্মা প্রকাশ প্রধান বিচারপতিরও

    এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান কয়েক জন আইনজীবী। তখনই উষ্মা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “পঞ্চায়েত মামলার ভিড়েই চাপা পড়ে যাচ্ছে অন্য সব মামলা।” সোমবার প্রায় একই রকম সুর শোনা গিয়েছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের গলায়ও। তিনিও বলেছিলেন, “সারা দিন কি শুধুই রাজনৈতিক মামলা শুনব? অন্য মামলা কি আর শোনা যাবে না!”

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    এদিন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “আইনজীবীদের আবেদন মতো সময়ে শুনানি করা সম্ভব নয়। ওই মামলাগুলির জন্য নির্ধারিত দিনেই পঞ্চায়েত মামলার শুনানি হবে।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এত মামলা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আদালতকে ব্যবহার করে অনেকেই সস্তা প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকেই আদালতকে ব্যবহার করে সংবাদ শিরোনামে আসতে চাইছেন। দয়া করে এই কাজ করবেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।  তদন্ত করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় প্রকল্পের নামে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। 

    অনিয়মের অভিযোগ

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ক্ষেত্রে রাজ্যে বেনিয়ম হয়েছে বলে বিরোধীরা একাধিকবার অভিযোগ তুলেছিল। অভিযোগের জেরেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে টিম পাঠিয়ে ছিল। রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ক্ষেত্রে রাজ্যে বেনিয়ম হয়েছে বলে স্বীকার করেছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকও ৷ জানানো হয়েছিল দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র ৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) দুর্নীতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। 

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আদালতের নির্দেশ

    এদিনের শুনানিতে মামলাকারীর তরফে সওয়াল করা হয়, ন্যায্য ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। অথচ যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় আসছেনই না, তাঁদের নামে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এক ব্যক্তির বহু অ্যাকাউন্টে টাকা যাচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, অথচ টাকা পৌঁছয়নি। আবার অন্য এলাকার লোকের নামে বাড়ি বরাদ্দ হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, জেলায় আবাস যোজনার প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাতে বিস্তর গরমিল রয়েছে। আরও অভিযোগ, ন্যায্য প্রাপকদের বঞ্চিত করে বেআইনিভাবে একাধিক ব্যক্তির নাম তালিকায় তোলা হয়েছে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ করে ট্যুইট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বেঙ্গালুরুতে ২৬টি বিরোধী দলের বৈঠককে কটাক্ষ করে এদিন ট্যুইট করলেন শুভেন্দু। সদ্য শেষ হয়েছে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাতে সন্ত্রাস হয়েছে বলে বিস্তর অভিযোগ সব বিরোধী দলের। সেখানে কংগ্রেস–সিপিএম ওই বৈঠকে তৃণমূলের সঙ্গে একসারিতে আসায় বাম-কংগ্রেসের ওপর তলার নেতাদের  কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু। ২০২৪ লোকসভা ভোটে বিজেপিকে পরবর্তী দফায় ঠেকাতে একজোট হচ্ছে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস-এনসিপি-আপ-সমাজবাদী পার্টি সহ ২৬টি দল। পাটনার প্রথম বৈঠকের পর আজ বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় মেগা বৈঠক বিরোধী জোটের। তাকেই কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    বিরোধীদের খোঁচা

    শুভেন্দু এদিন বিরোধী বৈঠক প্রসঙ্গে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘কর্মীরা খাবে পেটো, গুলি, রড-লাঠি; আর নেতাদের বরাদ্দ মুচমুচে ফিশ ফ্রাই ? কী রাজনীতি রে ভাই ! পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার শাসকদলের তাণ্ডব আটকাতে প্রাণ দিয়েছেন দলীয় কর্মীরা। তাঁদের মৃতদেহকে উপেক্ষা করছে এই সুবিধাবাদী জোট। বহু আহত কর্মী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে কী যুক্তি দেবেন নেতারা ? সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের (CPM and Congress Worker) প্রতি আমার করুণা হচ্ছে। নেতারাই তাঁদের পিঠে ছুরি মারলেন।’

    বিরোধী জোট নিয়ে গতকাল ট্যুইটে তোপ দাগতে ছাড়েননি  বাংলায় বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক  অমিত মালব্য (Amit Malviya)। তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে ৫০-এর বেশি প্রাণহানি, তালিকায় কংগ্রেস কর্মীরাও। রাহুল গান্ধী কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হবেন? এত মৃত্যুর জন্য রাহুল কি অনুশোচনা করবেন, নাকি আত্মসমর্পণ করবেন? এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নিয়ে রাহুলের নীরবতা তাঁর কাপুরুষতা ও সুযোগ সন্ধানী রাজনীতির উদাহরণ’। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

  • Supreme Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলা, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    Supreme Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলা, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Rama Navami) শোভাযাত্রায় ব্যাপক হিংসা হয়েছিল এ রাজ্যে। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলাও। পরে আদালত অভিযোগের তদন্তভার দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।

    সুপ্রিম কোর্টে শুনানি

    সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে হয় এই মামলার শুনানি। হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় অশান্তির ঘটনায় পাঁচটি এফআইআর দায়ের করেছিল এনআইএ। এদিন আদালত জানতে চায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় অশান্তির ঘটনা নিয়ে দায়ের হওয়া পাঁচটি এফআইআরের বিবরণ একই কিনা। ওই বিবরণ বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এনআইএকে। শুক্রবার সকালের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই রিপোর্ট জমা দেবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন শুনানিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা জানান, রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা ছোড়া হলেও, বিস্ফোরক আইনে মামলা করেনি পুলিশ।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছিল এই মামলার। তখন আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তির ঘটনায় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। তার জের টেনে এদিন শুভেন্দুর আইনজীবীর প্রশ্ন, এরপরও কেন রাজ্য পুলিশ বিস্ফোরক আইনে কোনও মামলা রুজু করল না? তিনি (Supreme Court) বলেন, হিংসার ঘটনায় দোষীদের আড়াল করতেই বিস্ফোরক আইনে এফআইআর দায়ের করেনি রাজ্য পুলিশ। মামলাকারীদর বিজেপি নেতা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা ভুল। এঁদের মধ্যে সমাজকর্মী, আইনজীবীরাও রয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    হাইকোর্ট দেখেছে, একজন পুলিশ আধিকারিকই অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে ৫টি সিজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। ভিডিও ফুটেজে দুষ্কৃতীদের দেখা গিয়েছিল, তারপরেও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, সঠিক তদন্ত হয়নি। রামনবমীর মিছিলে নির্বিচারে পাথর, বোমা ছোড়া হয়েছে, তারপরেও বিস্ফোরক আইনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি। প্রসঙ্গত, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হাওড়া ও হুগলি। কোথাও শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। কোথাও আবার ট্রেন বন্ধ করে কার্যত তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu Terrorists Killed: রাতভর ‘অপারেশন ত্রিনেত্র’! ড্রোনের সাহায্যে পুঞ্চে ৪ জঙ্গিকে খতম করল সেনা

    Jammu Terrorists Killed: রাতভর ‘অপারেশন ত্রিনেত্র’! ড্রোনের সাহায্যে পুঞ্চে ৪ জঙ্গিকে খতম করল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমরনাথ যাত্রা চলাকালীন জঙ্গিদমন অভিযানে (Operation Trinetra) বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চে ৪ জঙ্গিকে খতম (Jammu Terrorists Killed) করল যৌথবাহিনী। সেনা সূত্রে খবর, সোমবার রাতে পুঞ্চ জেলার সিন্ধরা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। রাতভর দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় গুলি বিনিময় হয়। ড্রোনের সাহায্য নিয়ে ৪ জঙ্গিকে নিকেষ করা হয়।

    রাতভর ‘অপারেশন ত্রিনেত্র’

    সেনার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১১টা নাগাদ গোপন চ্যানেলে খবর আসে যে পুঞ্চের সিন্ধারা এলাকায় বেশ কয়েক জন জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছেন। সেই খবর পেয়েই ওই এলাকায় রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তল্লাশি অভিযানে যায় ভারতীয় সেনার বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনী, রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ বাহিনীকে নিয়ে গঠিত যৌথবাহিনী। সেনার তরফ থেকে এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন ত্রিনেত্র’ (Operation Trinetra)।

    জঙ্গিরা কোথায় লুকিয়ে? জানিয়ে দেয় ড্রোন

    সিন্ধারা এলাকা ঘিরে জওয়ানরা তল্লাশি অভিযান শুরু করতেই, জঙ্গলে ভেতর থেকে বাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি শুরু করে জঙ্গিরা। বিভিন্ন দিক থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ধেয়ে আসছিল বাহিনীর দিকে। অন্ধকারে কিছু দেখাও যাচ্ছিল না বলে বাহিনীকে প্রথমে সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু, এই অভিযানে অত্যাধুনিক নাইট ভিসন ক্যামেরা, গগলসের পাশাপাশি ড্রোন নিয়ে গিয়েছিল সেনা। 
    তাতেই সাফল্য মেলে। সেনা সূত্রে খবর, ড্রোনে থাকা ক্যামেরা থেকে বাহিনী জেনে যায়, জঙ্গলের ঠিক কোন জায়গায় লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা (Jammu Terrorists Killed)।

    শুরু হয় সেনার ‘ফাইনাল অ্যাসল্ট’

    ড্রোনের সাহায্যে জঙ্গিদের অবস্থান চলে আসে হাতের মুঠোয়। সেই মতো, পরিকল্পনা করা হয়। তার পরই ‘ফাইনাল অ্যাসল্ট’ শুরু করে সেনা। খুঁজে খুঁজে এক এক করে চার জঙ্গিকে খতম (Jammu Terrorists Killed) করা হয়। বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় জঙ্গিদের একটি ডেরার হদিশ মিলেছে। জঙ্গিদের ডেরা থেকে প্রচুর অস্ত্র মিলেছে। তিনটি গ্রেনেড ও অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই এলাকায় আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে আছে কি না, তা জানতে চিরুনি-তল্লাশি চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি মুকেশ সিংহ জানিয়েছেন, এই অভিযানে ড্রোন ব্যবহার করে জঙ্গিদের খুঁজে খুঁজে মারা হয়েছে। প্রযুক্তির সাহায্যে নেওয়ায় জঙ্গিদের সহজেই খুঁজে বার করে সম্ভব হয়েছে।

    বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল

    সেনা সূত্রে খবর, যে ৪ জনকে নিকেষ (Jammu Terrorists Killed) করা হয়েছে, তারা প্রত্যেকে বিদেশি। সীমান্তের ওপার থেকেই জঙ্গিদের ওই দলটি ভারতে প্রবেশ করে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছিল বলে জানানো হয় সেনা বাহিনীর তরফে। নিহত জঙ্গিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে,  সেনার অনুমান, উপত্যকায় বড়সড় নাশকতার ছক ছিল এই জঙ্গিদের। এই নিয়ে গত ২ দিনে পুঞ্চে ৬ জঙ্গিকে খতম করল সেনা। সোমবারও পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে কয়েকজন জঙ্গি। তাদের জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানে নিহত হয় দুই জঙ্গি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    PM Modi: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওঁরা পরিবারকেই অগ্রাধিকার দেন। দেশকে নয়। দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দিল্লি থেকে পোর্ট ব্লেয়ারের বীর সাভারকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি নয়া ভবনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন  করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি নিশানা করেন বিজেপি বিরোধী দলগুলির জোট বাঁধার উদ্যোগকে। তিনি বলেন, “ওঁরা পরিবারকেই অগ্রাধিকার দেন। দেশকে নয়। দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা। যে যত বড় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, বৈঠকে তাঁর আসন হবে তত বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

    ‘ভ্রষ্টাচারীদের সম্মেলন’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ তো কট্টর ভ্রষ্টাচারীদের সম্মেলন হচ্ছে। বিরোধীদের মন্ত্র হল, অফ দ্য ফ্যামিলি, বাই দ্য ফ্যামিলি এবং ফর দ্য ফ্যামিলি।” তিনি (PM Modi) বলেন, “গত ৯ বছরে আমরা পুরনো সরকারের ভুলগুলি শুধরে দেশের মানুষকে নতুন সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিয়েছি। দেশে উন্নয়নের মডেল তৈরি হয়েছে। এটা সবকা সাথ সবকা বিকাশের মডেল।” তিনি বলেন, “এই দলগুলির লক্ষ্য দেশের গরিবের বাচ্চার বিকাশ নয়, নিজের বাচ্চা, ভাই-ভাইপোর বিকাশই। পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি দেশের যুবশক্তির সঙ্গে কখনও ন্যায় করেনি। এদের একটাই এজেন্ডা –  নিজের পরিবার বাঁচাও, পরিবারের জন্য দুর্নীতি কর।”

    ‘জাতিবাদের বিষ বিক্রি করছেন’

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এখন কিছু লোক দেশকে নিয়ে দোকান খুলে বসেছে। এদের দোকানে দুটি জিনিসের গ্যারান্টি পাওয়া যায়। এক, জাতিবাদের বিষ বিক্রি করা এবং দুই, দুর্নীতি করা।” তিনি বলেন, “এঁরা যখন ক্যামেরার সামনে একই ফ্রেমে আসেন, তখন দেশবাসীর একটাই কথা মনে আসবে, এটা লাখো-কোটি টাকার দুর্নীতি। দেশের জনতা বলছে, এটা কট্টর দুর্নীতির সম্মেলন হচ্ছে। যেসব নেতা বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িত, জেলে গিয়েছেন বা আদালতে সাজাপ্রাপ্ত, তাঁরাই এই বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণ পেয়েছেন।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা ভারতের দুর্দশার জন্য দায়ী, তাঁরা এখন তাঁদের দোকান খুলেছেন। ২০২৪ এর লক্ষ্যে ২৬টি দল এক হয়েছে। এই দলগুলির ক্ষেত্রে এটাই মানায়। তাঁরা মুখে অন্য গান গাইছেন। কিন্তু বাস্তবতা অন্য কিছু। এখন তাঁরা বেঙ্গালুরুতে বৈঠক করছেন।” বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা নিয়ে কেন এই বিরোধী জোটের সদস্যরা চুপ করে রয়েছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, এদিনই বেঙ্গালুরুতে বৈঠকে বসছেন বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতারা। তাকেই নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    আরও পড়ুুন: নদিয়ায় ফের বিজেপি ও সিপিএমে ছাপ মারা ব্যালট উদ্ধার, চাঞ্চল্য

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Taj Mahal: গত ৪৫ বছরে এই প্রথম! তাজমহলের দেওয়াল ছুঁল যমুনার জল

    Taj Mahal: গত ৪৫ বছরে এই প্রথম! তাজমহলের দেওয়াল ছুঁল যমুনার জল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাজমহলের (Taj Mahal) দেওয়ালে ধাক্কা মারছে যমুনার ঢেউ। এমন ঘটনা অনেকের কাছেই কাল্পনিক মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই বাস্তব। ৪৫ বছরে এই প্রথমবার যমুনার জল পৌঁছে গেল তাজমহলের দোরগোড়ায়। শেষবার এই ছবি দেখা গিয়েছিল ১৯৭৮ সালে। তাজমহল চত্ত্বরে ঢুকে গিয়েছিল যমুনা নদীর জল। তারপর কেটে গিয়েছে সাড়ে চার দশক। তাজমহলের পাশের শান্ত যমুনা যে হঠাৎই এমন ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে, তা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ছিল অকল্পনীয়।

    ভাসছে উত্তরভারত

    গোটা উত্তরভারত জুড়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে প্রবল বৃষ্টিপাত। তার জেরে যমুনার জলস্তর এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। যা টপকে গিয়েছে বিপদসীমার রেখাও। তার ফলে প্লাবিত হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। জল থৈ থৈ লালকেলা চত্বরের ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্লাবিত হয়েছিল দিল্লর সবচেয়ে বড় শ্মশান নিগমবোধ ঘাটও। এবার যমুনার জল ঢুকে পড়ল তাজমহলে। তবে এর ফলে বড় কোনও বিপদের সংকেত এখনও পাওয়া যায়নি।

    কী বলছে এএসআই

    এদিকে, তাজমহল (Taj Mahal) চত্বর জলে ভেসে যাওয়া চিন্তায় পড়েছেন ইতিহাসবিদরাও। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। এখনও তাজমহলের বেসমেন্ট পর্যন্ত জল প্রবেশ করেনি। তবে যমুনার বাড়তে থাকা জলস্তরের দিকে নজর রাখছেন তাঁরা। আগামীদিনে বিপদ বাড়তে পারে কি না, তা নিয়ে কাটাছেড়া চলছে। তবে তাজমহলের দেওয়াল স্পর্শ করে ফেলেছে যমুনার জল। আকির্ওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাজমহলের বেসমেনেট এখনও জল ঢোকেনি। তাজমহলে এএসআই-এর সংরক্ষণ সহকারী প্রিন্স বাজপেয়ী বলেন, ‘বন্যার প্রবল জলোচ্ছ্বাসেও তাজমহলের মূল স্মৃতিসৌধের মধ্যে জল ঢুকতে পারবে না। কারণ, সেই মতো পরিকল্পনা করেই তা বানানো হয়েছে।’

    আরও পড়ুন: ‘মণিপুরকে বাঁচান’! উদ্বিগ্ন অলিম্পিয়ান মীরাবাঈ চানুর চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

    ১৯৭৮ সালে শেষ বার যমুনার জল তাজমহলের (Taj Mahal) পিছনের দেওয়ালে ধাক্কা মেরেছিল। তখন যমুনার জলস্তর ছিল ২০৭.৪৯ মিটার। গত সপ্তাহে সেই রেকর্ড অবশ্য ভেঙে গিয়েছে। যমুনার জলস্তর পৌঁছে গিয়েছিল ২০৮.৬৬ মিটার। তার পরেও সুরক্ষিত তাজমহল। তবে নতুন করে প্রবল বর্ষণ না হলে আপাতত ভয়ের কিছু দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mirabai Chanu: ‘মণিপুরকে বাঁচান’! উদ্বিগ্ন অলিম্পিয়ান মীরাবাঈ চানুর চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

    Mirabai Chanu: ‘মণিপুরকে বাঁচান’! উদ্বিগ্ন অলিম্পিয়ান মীরাবাঈ চানুর চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে শান্তি (Manipur Violence) ফেরানোর আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)-কে চিঠি লিখলেন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন মীরাবাই চানু (Mirabai Chanu)। অলিম্পিয়াড মীরাবাঈ চানু বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণে রয়েছেন। তবে বিদেশে থাকলেও নিজের রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন তিনি। 

    প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেই সরাসরি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মীরাবাঈ চানু (Mirabai Chanu)। চিঠিতে তিনি মণিপুরের অশান্তি (Manipur Violence) থামানোর জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন। এব্যাপারে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো-বার্তাও দিয়েছেন তিনি। ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন মীরাবাঈ। তিনি বলছেন, “মণিপুরে সংঘাতের তিন মাস পূর্ণ হতে চলেছে, কিন্তু এখনও শান্তি ফিরে আসেনি। এই সংঘাতের কারণে অনেক খেলোয়াড় প্রশিক্ষণ নিতে পারেননি, শিশুদের পড়াশোনাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন এবং অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। পুড়ে গিয়েছে।” এরপরই প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমি আবেদন করতে চাই যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সংঘাতের অবসান ঘটান এবং মণিপুরের সমস্ত মানুষকে বাঁচাতে এবং শান্তি ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ করুন।”

    আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম হোমিওপ্যাথিক মিউজিয়াম হবে কলকাতায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে ঘোষণা

    ভাইরাল চানুর ভিডিয়ো

    ভিডিওবার্তায় চানু (Mirabai Chanu) বলেন, “আসন্ন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এশিয়ান গেমসের প্রশিক্ষণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও আমার বাড়ি মণিপুরে। আমি মণিপুরে না থাকলেও সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আমি সবসময় চিন্তিত, কবে এই সংঘাতের অবসান ঘটবে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে মীরাবাই চানুর এই ভিডিয়ো। মণিপুরে (Manipur Violence) গত কয়েক মাস ধরেই কুকি ও মেইতেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এখনও তা পুরোপুরি থামেনি। তবে আগের থেকে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক বলে জাবি করছে মণিপুর সরকার। ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে শান্তি ফেরাতে বদ্ধ পরিকর কেন্দ্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share