Tag: bangla news

bangla news

  • Lok Sabha Election 2024: লোকসভায় এবারও জিতবে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী পদে পছন্দ মোদি-ই! বলছে সমীক্ষা

    Lok Sabha Election 2024: লোকসভায় এবারও জিতবে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী পদে পছন্দ মোদি-ই! বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। বিজেপিকে মাত দিতে জোট বাঁধতে চাইছেন বিরোধীরা। সেজন্য দিন কয়েক আগে পাটনায় বৈঠকে বসেছিলেন তাঁরা। কয়েকদিন পর ফের শিমলায় হবে বৈঠক। বিরোধী জোট গঠনের চেষ্টা ফলপ্রসূ হবে কিনা, তা বলবে সময়। তবে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি যে ফের ফিরতে চলেছে দিল্লির তখতে, তা এক প্রকার স্পষ্ট। ‘টাইমস নাও’য়ের জনমত সমীক্ষায় প্রকাশ, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও ম্যাজিক ফিগার পার করবে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের দল।

    গেরুয়া ঝুলিতে সিংহভাগ আসন

    পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনের (Lok Sabha Election 2024) মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ১৮ থেকে ২০টি আসন। উত্তর প্রদেশে তারা পেতে পারে ৬৮ থেকে ৭২টি আসন। বিহারে গেরুয়া ঝুলিতে যেতে পারে ২২ থেকে ২৪টি আসন। মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিন্ডে জোট পেতে পারে ২২ থেকে ২৮টি আসন। ঝাড়খণ্ডে পদ্ম শিবির পেতে পারে ১০ থেকে ১২টি আসন। রাজস্থানে তারা পেতে পারে ২০ থেকে ২২টি আসন। তেলঙ্গনায় গেরুয়া শিবির পেতে পারে ৩ থেকে ৫টি আসন। মধ্যপ্রদেশে বিজেপি পেতে পারে ২২ থেকে ২৪টি আসন। ছত্তিশগড়ে কেন্দ্রের শাসক দল পেতে পারে ৬ থেকে ৮টি আসন। ওড়িশায় ৬ থেকে ৮টি আসনের রশি যেতে পারে বিজেপির হাতে। কর্নাটকে বিজেপি পেতে পারে ১৫ থেকে ১৭টি আসন।

    বিজেপিময় গুজরাট

    গুজরাটে ২৬টি আসনের মধ্যে সব কটিই পেতে পারে বিজেপি। হরিয়ানায় বিজেপি পেতে পারে ৬ থেকে ৮টি আসন। হিমাচল প্রদেশে (Lok Sabha Election 2024) বিজেপি পেতে পারে ৩ থেকে ৪টি আসন। উত্তরাখণ্ডে বিজেপি জয়ী হতে পারে ৪ থেকে ৫টি আসনে। গোয়ায় ১ থেকে ২টি আসন পেতে পারে বিজেপি। জম্মু-কাশ্মীরে তারা জিততে পারে ২ থেকে ৩টি আসন। পঞ্জাবে বিজেপি জিততে পারে ১ থেকে ৩টি আসনে। অসমে বিজেপি পেতে পারে ৮ থেকে ১০টি আসন।

    উত্তর-পূর্বের বাকি সব রাজ্য মিলিয়ে গেরুয়া ঝুলিতে যেতে পারে ৪ থেকে ৬টি আসন। কেরলে কেন্দ্রের শাসক দল পেতে পারে ১ থেকে ২টি আসন। দিল্লিতে বিজেপি পেতে পারে ৬ থেকে ৭টি আসন। সমীক্ষা অনুযায়ী, সব মিলিয়ে বিজেপি ও তার শরিক দলগুলি পেতে পারে ২৮৫ থেকে ৩২৫টি আসন। কংগ্রেস ও তার জোট শরিকরা পেতে পারে ১১১ থেকে ১৪৯টি আসন। বাকি আসন পেতে পারে আঞ্চলিক ও অন্য দলগুলি।

    আরও পড়ুুন: দেগঙ্গায় মিছিল লক্ষ্য করে বোমা-গুলি, বাবার সামনেই খুন স্কুলপড়ুয়া

    এই মুহূর্তে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) হলে বাংলায় তৃণমূলকে টক্কর দেবে বিজেপি। অন্তত, ‘টাইমস নাও নবভারতে’র সমীক্ষা তাই বলছে। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি পেতে পারে ১৯ থেকে ২০টি আসন। তৃণমূল পেতে পারে ২০ থেকে ২২টি আসন।

    এদিকে, দেশবাসীর সিংহভাগই ফের প্রধানমন্ত্রী (Lok Sabha Election 2024) হিসেবে চাইছেন নরেন্দ্র মোদিকে। এবিপি নিউজের জন্য সমীক্ষা করেছে সি ভোটার। তাতে জানা গিয়েছে, ৫৭ শতাংশ ভোটার মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন। রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান ১৮ শতাংশ ভোটার। ৮ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন যোগী আদিত্যনাথকে। আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান ৩ শতাংশ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Nagaland Landslide:পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে ধাক্কা গাড়িতে! নাগাল্যান্ডে মৃত ২, দেখুন ভিডিও

    Nagaland Landslide:পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে ধাক্কা গাড়িতে! নাগাল্যান্ডে মৃত ২, দেখুন ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগাল্যান্ডের (Nagaland Landslide) ডিমাপুরের চুমৌকেদিমাতে পাথরের আঘাতে মাটিতে মিশল গাড়ি। ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।  ভয়াবহ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার ভিডিও ধরা পড়েছে অন্য একটি গাড়ির ড্যাশক্যাম থেকে। ওপর থেকে আসা একটি পাথরের চাঁই মুহূর্তের মধ্যে তুবড়ে দিল ৩ টি গাড়িকে সেই ভয়াবহ দৃশ্য ধরা পড়েছে ভিডিওতে। আহতদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

    নাগাল্যান্ডে বিভিন্ন এলাকায় ধস

    নাগাল্যান্ডে (Nagaland Landslide) গত কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় ধস নামছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ চুমৌকেদিমা জেলায় ২৯ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। যে পাহাড়ের ধারের রাস্তায় গাড়িগুলি দাঁড়িয়েছিল,সেখানে প্রায়ই ধস নামে। পাহাড়ে ধসের কারণে ভারী পাথর নীচের দিকে গড়িয়ে আসে তীব্র গতিতে। দু’টি চারচাকার গাড়ি সেই পাথরের নীচে খেলনার মতো পিষে যায়। এই দুর্ঘটনায় এক জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্য এক জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া, গাড়ির ধ্বংসস্তূপে দীর্ঘ ক্ষণ এক জন আটকে ছিলেন। তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

    আরও পড়ুন: রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের শিবিরে অস্ত্র লুটের চেষ্টা, মণিপুরে নিহত ১

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

    নাগাল্যান্ডের (Nagaland Landslide) মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে নাগাল্যান্ড সরকার।  ট্যুইটে নেইফিউ রিও লেখেন, “ মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৫ টা নাগাদ, ডিমাপুর এবং কোহিমার মধ্যে, জাতীয় সড়কে একটি গাড়ির ওপরে গড়িয়ে পড়ে একটি বড় পাথর। এই ঘটনায় দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাড়িটি। পলকা পাহাড়ের কাছে এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন দুজন। এবং তিনজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন।” এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি। ওই ঘটনায় আহতদের উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং সাহায্য করবে নাগাল্যান্ড সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেখানের জাতীয় সড়ক এবং অন্য যে সমস্ত বিপদজনক এবং দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা আছে সেখানে নিরাপত্তা পরিকাঠামো দ্রুত গড়ে তোলা হবে। কেন্দ্র সরকার এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে এই কাজ করতে বলা হবে। সেখানের বাসিন্দাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে কোন সমঝোতা করা হবে না বলেও জানান তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের শিবিরে অস্ত্র লুটের চেষ্টা, মণিপুরে নিহত ১

    Manipur Violence: রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের শিবিরে অস্ত্র লুটের চেষ্টা, মণিপুরে নিহত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur Violence) রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের শিবিরে অস্ত্র লুটের চেষ্টা করল জঙ্গিরা। মঙ্গলবার রাতে থৌবল জেলায় সেনা ছাউনিতে হামলা চালিয়ে, সেখান থেকে অস্ত্র লুটের চেষ্টা করে উন্মত্ত জনতা। যা বাধা দিলে, উন্মত্ত জনতার সঙ্গে সেনা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এরপরই ফের রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা হয়। কিন্তু অসম রাইফেলস ও সেনারা একযোগে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা প্রতিহত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই নাগালের মধ্যে বলে সেনা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে।

    অস্ত্র লুটের চেষ্টা

    একটু একটু করে শান্ত হচ্ছিল মণিপুর (Manipur Violence) । উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য শান্ত হলে, বুধবার থেকে স্কুল খোলার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। বুধবার থেকে যখন মণিপুরে স্কুল খোলার তোড়জোড় শুরু হয়, তার আগেই ফের অশান্তি ছড়াল থৌবল জেলায়। মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের জেরে গত ৩ মে থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় ২৩ জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন থৌবল জেলার ৩ নম্বর রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের শিবিরে চড়াও হয় কয়েকশো মানুষ। গুলি ও অস্ত্র লুট করার চেষ্টা করে তারা।

    আরও পড়ুন: সাফ কাপ জিতে নিজের রাজ্য মণিপুরের জন্য শান্তির প্রার্থনা জিকসনের

    কুকিদের মধ্যে মতানৈক্য

    এদিকে, অভিযোগ, জনজাতি যৌথ মঞ্চের মত ছাড়াই মণিপুরের ২ নম্বর জাতীয় সড়কে চলা অবরোধ রবিবার উঠিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কুকি জঙ্গিদের যৌথ মঞ্চ কেএনও। এই ঘটনার পরে কুকিদের নিজেদের মধ্যে ক্ষোভ ও মতানৈক্য বাড়ে। সোমবার রাতে কেএনওর মুখপাত্র সেইলেন হাওকিপের লামকার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুড়েছে তাঁর গাড়িও। তবে কেউ হতাহত হননি। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ইউনিফায়েড কমান্ডের বৈঠকের পরে রাজ্যে থাকা সব অবৈধ বাঙ্কার ভেঙে (Manipur Violence) ফেলার যে ঘোষণা করেন তার বিরোধিতা করে জনজাতি যৌথ মঞ্চ আইটিএলএফ বলে, কুকিরা মেইতেইদের আক্রমণ করেনি কিন্তু মেইতেইরা বারবার হানা দিচ্ছে, তাই কুকিদের গ্রাম রক্ষা করতে বাঙ্কার জরুরি। বীরেন মেইতেইদের হামলার সুবিধা করে দিতেই বাঙ্কার ভাঙার ছক কষছেন। তা মানা হবে না। না হলে কুকিরা আরও অরক্ষিত হয়ে পড়বে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া প্রস্তুত! মোদি-শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ ধামির

    Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া প্রস্তুত! মোদি-শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ ধামির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (Uniform Civil Code) খসড়া তৈরি , তা জানাতেই কী দিল্লিতে হাজির উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। রাজধানীতে এনিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন ধামি। যদিও পরে সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও আলোচনা হয়নি।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে জল্পনা

    উত্তরাখণ্ডে ইতিমধ্যেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) আনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। যদিও এখনও রিপোর্টার খসরা আসেনি বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি জানান, আমরা দেরি না করে খুব দ্রুতই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি রাজ্যে চালু করতে চাই। তবে আমরা তাড়াহুড়ো করে সেটা করব না, যাতে কোনও খামতি তৈরি না হয়।” অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে উত্তরাখণ্ডের তৈরি খসড়া, সারা ভারতের মূল ভিত্তি হতে পারে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। যদি উত্তরাখণ্ডের খসড়াটি গ্রহণ করা হয়, সেক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে প্রয়োজনে সামান্য কিছু অদলবদল করা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ধামি। সেখানে উত্তরাখণ্ডের জন্য তৈরি খসড়াটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল উপরাষ্ট্রপতির

    অন্যদিকে অসমের গুয়াহাটি আইআইটির সমাবর্তনে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (Uniform Civil Code) পক্ষে সওয়াল করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তাঁর মতে, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করায় কোনওরকতম দেরি করা আমাদের মূল্যবোধের জন্য ক্ষয়কারক হবে।” উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “এটা ছিল সংবিধান প্রণেতার চিন্তাভাবনা। এবার সেটা কার্যকর করার সময় এসেছে। আর কোনও দেরি হওয়া উচিত নয়।” ধনখড় বলছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে কিছু মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে তিনি স্তম্ভিত। উপরাষ্ট্রপতির বক্তব্য, “রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। কিন্তু রাজনীতির জন্য দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কাজে বাধা দেওয়া উচিত নয়।” 

    আরও পড়ুন: সাফ কাপ জিতে নিজের রাজ্য মণিপুরের জন্য শান্তির প্রার্থনা জিকসনের

    উল্লেখ্য সংসদের বাদল অধিবেশনেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বিল আনতে চায় কেন্দ্র। আগামী ২০ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। মাসব্যাপী সেই অধিবেশনে অভিন্ন দেওয়ালি বিলের খসড়াটি পেশ করতে পারে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে বিলটি নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক ও আইন কমিশনের মতামত সংসদীয় কমিটি জানতে চেয়ে বলে খবর। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকবে,বলে বিশ্বাস কেন্দ্রের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SAAF Championship 2023: সাফ কাপ জিতে নিজের রাজ্য মণিপুরের জন্য শান্তির প্রার্থনা জিকসনের

    SAAF Championship 2023: সাফ কাপ জিতে নিজের রাজ্য মণিপুরের জন্য শান্তির প্রার্থনা জিকসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাফ কাপ (SAFF championships) জিতে মণিপুরের পতাকা জড়িয়ে পদক নেওয়ায় বিতর্কে জড়ালেন ভারতীয় ফুটবলার জিকসন সিং। ফাইনালের পর তখন ভারতীয় ফুটবলাররা পদক গ্রহণ করছেন। জিকসনকে দেখা গেল জার্সির ওপর একটা রঙিন পতাকা জড়িয়ে নিয়েছেন। যা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করল। পরে জিকসন জানান, ওটা মণিপুরের পতাকা। যা তিনি জার্সির ওপর পরেছেন রাজ্যে শান্তি ফেরানোর প্রত্যাশায়। কঠিন সময় সংহতির বার্তা দিয়ে। জিকসন বলেন, ‘এটা আমার মণিপুরের পতাকা। আমি ভারতের এবং মণিপুরের সকলকে বলতে চাই, লড়াই নয়। শান্তি চাই। আমি শান্তি চাই।’  

    ভারতীয় ফুটবলে সাপ্লাই লাইন মণিপুর

    কুয়েতকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (SAFF championships) জিতে ট্রফি জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে ভারতীয় ফুটবলাররা। সাফ জয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম তিন সদস্য জিকসন সিং (Jeakson Singh), মহেশ সিং (Naorem Mahesh Singh) ও উদান্তা সিং (Udanta Singh) মণিপুরের বাসিন্দা। গত ২ মাস ধরে হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। মেইতেই ও কুকিদের জাতিদাঙ্গায় উত্তাল হয়ে আছে উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। এই অশান্তিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১২০ জন মানুষ। আহত ৩ হাজারের উপর। ঘরছাড়া লক্ষাধিক। 

    আরও পড়ুন: সাডেন ডেথে কুয়েতকে হারিয়ে সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

    শান্তির বার্তা দেওয়াই উদ্দেশ্য

    জাতীয় পতাকার বদলে বিশেষ জনগোষ্ঠীর পতাকা গায়ে দেওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েছেন জিকসন। কিন্তু তাঁর দাবি, কারও ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না। বরং গত দু’মাস ধরে মণিপুরে যে হিংসা চলছে, তা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর বেঙ্গালুরুর মাঠে মেইতেই পতাকা নিয়ে পদক নিতে যান। 

    মঙ্গলবার ম্যাচের পর মিক্সড জোনে জিকসন বলেন, ‘এটা আমার মণিপুরি পতাকা ছিল। আমি মণিপুর এবং পুরো ভারতকে স্রেফ এটা বলতে চাইছিলাম শান্তি বজায় রাখতে হবে এবং মণিপুরকে বাঁচাতে হবে। আমি শান্তির পক্ষে সওয়াল করছি। দু’মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও লড়াই চলছে। শান্তি ফিরিয়ে আনতে আমি স্রেফ সরকার এবং বাকি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছিলাম। (আমার) পরিবার সুরক্ষিত আছে। কিন্তু প্রচুর পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, নিজেদের ভিটেমাটি হারিয়েছে।’

    পরে গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্যাকসন লেখেন, ‘প্রিয় সমর্থকরা, এই পতাকা নিয়ে (সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ) জয়ের উচ্ছ্বাস প্রকাশ আমি কারও ভাবাবেগে করতে চাইনি। আমার রাজ্য মণিপুরে এখন যে পরিস্থিতি চলছে, তা নিয়ে (সকলের) দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছিলাম। এই জয়টা প্রত্যেক ভারতীয়কে উৎসর্গ করছি।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি যে আমার রাজ্য মণিপুরে শান্তি ফিরে আসবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • SAFF Championship: সাডেন ডেথে কুয়েতকে হারিয়ে সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

    SAFF Championship: সাডেন ডেথে কুয়েতকে হারিয়ে সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (SAFF Championship) ফাইনাল। উত্তেজনার ম্যাচ হবে এমনটাই প্রত্যাশিত। লড়াই হল সমানে সমানে। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকল ম্যাচ। এরপর অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত গোল করতে পারল না কোনও দলই। ফলে খেলা গড়াল টাইব্রেকারে। শেষ পর্যন্ত জয় পেল ভারত। ম্যাচের নায়ক গুরপ্রীত সিং সান্ধু। ইম্ফলে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের পর সাফ কাপ জিতে ট্রফি জয়ের হ্যাটট্রিক করল সুনীলরা।

    ছাংতের গোলে সমতা ফেরায় ভারত

    এদিন খেলার শুরুটা ভাল হয়নি সুনীলদের। সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের (SAFF Championship) ফাইনালেও সুনীল ছেত্রীদের আগ্রাসী খেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন কোচ ইগর স্টিমাচ। কিন্তু ভারত শুরু করেছিল মন্থর গতিতে। ১৫ মিনিটে কুয়েত গোল করার পর ধীরে ধীরে খেলায় ফেরেন সুনীলেরা। ৩৮ মিনিটে ভারত সমতায় ফেরে লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের গোলে। ফাইনালে প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল ভারত। ম্যাচের ৪ মিনিটে সুনীলের হেড সরাসরি কুয়েতের গোলরক্ষকের হাতে যায়। এর মিনিট ২ পরেই কর্নার পায় ভারত। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। খেলার ১৫ মিনিটে সুপরিকল্পিত আক্রমণ থেকে গোল করেন আলখালদি। পিছিয়ে পড়ে খেলার দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন ভারতীয় ফুটবলারেরা। ১৯ মিনিটে সুনীলের শট আটকে দেন কুয়েতের গোলরক্ষক। ৩৮ মিনিটে সাহাল সামাদ একা বল নিয়ে অনেকটা উঠে পাশ দেন সুনীলকে। তিনি আবার বল ফিরিয়ে দেন সাহালকে। তিনি বল সাজিয়ে দেন ফাঁকায় থাকা ছাঙতেকে। মঙ্গলবারই বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়া ২৫ বছরের মণিপুরের ফুটবলার গোল করতে ভুল করেননি।

    আরও পড়ুন: জন্ম সাল রেখেই প্রকাশিত নতুন লোগো! আজ, মোহনবাগানে মার্টিনেজ

    টাইব্রেকারে দুরন্ত ভারত

    ভারত সমতায় ফেরার পর পেশির ফুটবল শুরু করে কুয়েত। মাঠে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথম থেকেই কড়া হাতে ম্যাচ করেছেন রেফারি। প্রয়োজনে কার্ড দেখাতে দ্বিধা করেননি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে কুয়েতের কোচকেও হলুদ কার্ড দেখান তিনি। ১-১ ফলেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দু’দলই কিছুটা সতর্ক ভাবে শুরু করেন। আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ নির্ভর খেলা হলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল করতে পারেনি কোনও দলই। যদিও গোল করার মতো একাধিক পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন দু’দলের ফুটবলারেরাই। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। গোল হয়নি অতিরিক্ত সময়েও।

    শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা থেকে নবমবার সাফ (SAFF Championship) ঘরে তুললেন সুনীলরা। আর সেমিফাইনালের মত ফাইনালেও নায়ক গুরপ্রীত। টাইব্রেকারে আটকে দিলেন কুয়েতকে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আটকে দলকে জিতিয়ে দিলেন। নির্ধারিত সময়ে ১-১ থাকার পর পেনাল্টিতে ভারত জিতল ৫-৪ গোলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: চার রাজ্য সফরে মোদি, উদ্বোধন-শিলান্যাস করবেন ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের

    PM Modi: চার রাজ্য সফরে মোদি, উদ্বোধন-শিলান্যাস করবেন ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দু দিনের সফর। ঘুরবেন চার রাজ্যে। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ৫০টির মতো প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সফর শুরু হবে শুক্রবার। প্রধানমন্ত্রী যাবেন উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, রাজস্থান ও ছত্তীসগড়ে। এই দু দিনে রায়পুর, গোরখপুর, বারাণসী, ওয়ারাঙ্গল ও বিকানের এই পাঁচ শহরের প্রায় এক ডজন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ বাদে বাকি তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা এ বছরেরই শেষের দিকে। তার আগেই প্রধানমন্ত্রী শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন এক গুচ্ছ প্রকল্পের।

    প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার প্রথমে রায়পুরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ছয় লেনের রায়পুর-বিশাখাপত্তনম করিডর সহ এক গুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন তিনি। পরে করবেন জনসভা। পরে গোরক্ষপুরের গীতা প্রেসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তিনি তিনটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনাও করবেন। গোরক্ষপুর রেলস্টেশনের পুনর্নির্মাণের শিলান্যাসও করবেন প্রধানমন্ত্রী। গোরক্ষপুর থেকে তিনি যাবেন তাঁর সংসদ ক্ষেত্র বারাণসীতে। সেখানে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন। বারাণসী-জৌনপুর জাতীয় সড়কের চারলেনের উদ্বোধনও করবেন তিনি। মণিকর্ণিকাঘাট এবং হরিশ্চন্দ্রঘাটের সংস্কার কার্যের শিলান্যাসও করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    করবেন জনসভাও

    বারাণসীতে রাত্রিবাস করে পরের দিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যাবেন তেলঙ্গানার ওয়ারাঙ্গলে। সেখানে নাগপুর-বিজয়ওয়াড়া করিডরের একাংশের নির্মাণ সহ বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। ৫৬৩ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের করিমনগর-ওয়ারাঙ্গল অংশটিকে চার লেনে পরিণত করা হবে। এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। পরে করবেন জনসভা। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন বিকানেরে। সেখানেও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। অমৃতসর-জামনগর এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন অংশের উদ্বোধনের পাশাপাশি গ্রিন এনার্জি করিডর ফেজ ওয়ানের জন্য আন্তঃরাজ্য ট্রান্সমিশন লাইনের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিকানের রেলওয়ে স্টেশনের পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন তিনি। পরে যোগ দেবেন সেখানকার একটি জনসভায়।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য ২০২৪! চার রাজ্যে সভাপতি বদল বিজেপির, নতুন দায়িত্বে কারা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: লক্ষ্য ২০২৪! চার রাজ্যে সভাপতি বদল বিজেপির, নতুন দায়িত্বে কারা?

    BJP: লক্ষ্য ২০২৪! চার রাজ্যে সভাপতি বদল বিজেপির, নতুন দায়িত্বে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বিজেপির (BJP) জয় এক প্রকার নিশ্চিত। দিল্লির মসনদে ফের আসতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। উন্নয়নের কান্ডারি মোদির হাতেই দেশবাসী আরও একবার তুলে দিতে চলেছেন ভারত-রথের রশি। বিজেপির জয় যাতে অনায়াস হয়, যাতে গতবারের চেয়ে আরও বেশি আসন পেয়ে দিল্লির তখতে আসতে পারে বিজেপি, তাই চেষ্টার অন্ত নেই গেরুয়া শিবিরের। এই চেষ্টারই অঙ্গ হিসেবে এবার বদল করা হল দলের চার রাজ্যের সভাপতি।

    বদল কোন কোন রাজ্যে

    যে চারটি রাজ্যে সভাপতি বদল করল বিজেপি, সেগুলি হল তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাব। তেলঙ্গানায় পদ্মশিবিরের (BJP) নেতৃত্ব দেবেন জি কিষান রেড্ডি। বান্দি সঞ্জয় কুমারকে সরিয়ে জায়গা দেওয়া হল রেড্ডিকে। সঞ্জয় অত্যন্ত সক্রিয় হওয়া সত্ত্বেও সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। কারণ সংগঠনকে একত্রিত করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর। রেড্ডি রাজ্য সভাপতি হওয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে হবে তাঁকে।   

    কারা পাচ্ছেন দায়িত্ব

    অন্ধ্রপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডি পুরন্দেশ্বরীর হাতে। তিনি অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এনটি রামা রাওয়ের মেয়ে। এতদিন দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের রশি যাচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডির হাতে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর পঞ্জাবে বিজেপির সভাপতি হচ্ছে সুনীল জাখর। তিনি কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। তাঁর হাতে রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে কংগ্রেসকেই বধ করতে চাইছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুুন: প্রতি বুথে অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী, অর্ধেক রাজ্য পুলিশ! বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব কম নয়। তাঁর ওপর নির্ভর করে সংগঠনের কাজকর্মের অনেকটাই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই চার রাজ্যের সভাপতি বদল করে একদিকে যেমন সংগঠন মজবুত করার পথে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে যাওয়া হল, তেমনি দলকে একটা ঝাঁকুনিও দেওয়া গেল। যার জেরে লোকসভা নির্বাচনের আগে কোমর কষে নামবেন বিভিন্ন রাজ্যের সভাপতিরা। তেলঙ্গনায় কেবল সভাপতি পদেই বদল আনা হয়নি, দলের ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদেও বসানো হচ্ছে ইয়াতালা রাজেন্দরকে।

    এদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডিকে নিয়ে আসা হয়েছে জাতীয় কর্মসমিতিতে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই গেরুয়া শিবিরে (BJP) যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কয়েক মাসের মধ্যেই পেলেন গুরু দায়িত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: বাংলার হিংসা ‘ছোট ঘটনা’! ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, রাজ্য পুলিশের ডিজি-র দাবিতে বিতর্ক

    Panchayat Elections 2023: বাংলার হিংসা ‘ছোট ঘটনা’! ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, রাজ্য পুলিশের ডিজি-র দাবিতে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১ মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) ঘোষণার পর রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে ১৫ জনের। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তারপরও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে, বলে দাবি করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। তাঁর কথায়, “হিংসার ঘটনা এখন অনেকটাই কমেছে। বড় করে দেখানো হচ্ছে যে কোনও ছোট ঘটনাকে।”

    রাজ্য পুলিশের ডিজির দাবি

    মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে মনোজ মালব্য বলেন, ‘বিক্ষিপ্ত কয়েকটি অশান্তি ছাড়া রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওপর মহল থেকে নির্দেশ রয়েছে যে কোনও গন্ডগোলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিতে হবে। আমরা সেই গাইডলাইন মেনে কাজ করছি।’রাজ্যে নিত্যদিন অশান্তির খবর আসছে। বাসন্তীতে গত শনিবারই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে শাসকদলের এক কর্মীর। রবি ও সোমবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী, নিত্য রাজ্যের কোনও কোনও প্রান্ত থেকে বোমাবাজি, গুলিচালনার খবর মিলছে। তার নেপথ্যে গোষ্ঠীকোন্দলই থাক কিংবা শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ। তারপরও রাজ্য পুলিশের ডিজির বক্তব্য, “রাজ্যের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এখানে অনেক বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। কিছু ঘটনা ঘটতেই পারে। আপনার কী সত্যিই মনে হয়, বাংলায় হিংসা হচ্ছে? বাংলায় ২-৩ টি ঘটনা ঘটেছে, তাতে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেছে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূল না করলে চলে যাবে সিভিকের চাকরি’! হুঁশিয়ারি ব্লক সভাপতির

    ডিজিকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মনোজ মালব্যের মন্তব্যকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “ওনাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তম কুমার বলেন। একজন ডিজির কোনও ভূমিকা আমরা ওনার মধ্যে দেখতে পাই না। উনি এক ধরনের মেরুদণ্ডহীন সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষ্য। তার মুখ থেকে এর থেকে ভালো কথা বেরোতে পারে না।” বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বক্তব্য, “১৩টা পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে, তারপরও তিনি কীভাবে বলতে পারলেন এটা ছোট ঘটনা? পুলিশ সম্বন্ধে মানুষের কী ধারণা হবে? বোমা পড়েছে, আর পুলিশ বলছে কোথায় বোমা পড়ছে? ওই যে মন্ত্রী বলে দিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: প্রতি বুথে অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী, অর্ধেক রাজ্য পুলিশ! বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: প্রতি বুথে অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী, অর্ধেক রাজ্য পুলিশ! বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) রাজ্যের প্রতিটি বুথে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। সশস্ত্র বাহিনীর অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী ও অর্ধেক রাজ্যের বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের। আইজি বিএসএফ এবং নোডাল অফিসারদের এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ভোট গণনা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে৷ তাই এমন বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ আদালতের।

    ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) মোট ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। যার অর্থ, ৬৫ হাজার অ্যাকটিভ ফোর্স। এর সঙ্গে থাকছে রাজ্যের ৭০ হাজার সশস্ত্র পুলিশ। এই দুই বাহিনীকে ৫০:৫০ অনুপাতে ব্যবহার করতে হবে। কুইক রেসপন্স টিমেও কেবল রাজ্য পুলিশ রাখলে চলবে না।

    গণনা পর্যন্ত বাহিনী

    আদালতের আরও নির্দেশ, বিএসএফের আইজি পদ মর্যাদার অফিসার ফোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করবেন। কোথায় কত ফোর্স পাঠাতে হবে, তা ঠিক করবেন তিনিই। আদালতের এই নির্দেশের জেরে বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি আর পুরোপুরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে রইল না। প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রথম নির্দেশেই আদালত জানিয়েছিল যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তার মানে শুধু ভোটের দিন নয়, গোটা পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: ‘পঞ্চায়েত ভোটে স্পর্শকাতর বুথ ঠিক করেছেন ভাইপো,’ বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তের

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে প্রথম থেকেই বিস্তর জল ঘোলা হয়েছিল। বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেও, রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য পুলিশের ওপরই আস্থা রাখছিল। প্রয়োজনে ভিন রাজ্য থেকেও বাহিনী আনার চেষ্টা করছিল। এর পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। নিয়মরক্ষার্থে তার পর ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায় কমিশন। ফের আদালতে যান বিরোধীরা। এর পর আদালত জানিয়ে দেয় আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। শেষমেশ রাজ্যে আসছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রতিটি বুথে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকলে আস্থা বাড়বে ভোটারদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share