Tag: bangla news

bangla news

  • Panchayat Poll 2023: জেলশাসকদের বিশেষ নির্দেশ! রাজ্যে টহলদারি শুরু কেন্দ্রীয় বাহিনীর

    Panchayat Poll 2023: জেলশাসকদের বিশেষ নির্দেশ! রাজ্যে টহলদারি শুরু কেন্দ্রীয় বাহিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে আর মাত্র কয়েক দিন। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll 2023)। তার আগে, শুক্রবার থেকেই একাধিক জেলায় টহলদারি শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাতেই জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নতুন করে যাতে কোনও বিতর্ক তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে দৃষ্টি রয়েছে কমিশনের। অন্য দিকে, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, গণনার পর আরও ১৫ দিন থাকুক কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই দাবি তিনি জানিয়ে এসেছেন নির্বাচন কমিশনকে। 

    জেলাশাসকদের নির্দেশ কমিশনের

    কমিশন সূত্রে খবর, জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিক জায়গায় মোতায়েন করতে হবে। ব্যবহার করতে হবে সঠিক সময়। যাতে চোখে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে হবে আপনাদের। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জেলায় জেলায় বিশেষ নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের। শনিবার থেকেই জেলাশাসকদের কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ।শুক্রবার সকাল থেকেই একাধিক জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছতে শুরু করে। জেলায় জেলায় শুরু হয় রুট মার্চও। সূত্রের খবর, শনিবার রাজ্যের সব জেলাতেই এরিয়া ডমিনেশনের কাজ শুরু করে দেবে বাহিনী।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ শুরু

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll 2023) আর মাত্র সপ্তাহ দুই বাকি। তার মধ্যে রাজ্য পুলিশের সহায়তায় এলাকা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিটি জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের কেন্দ্রীয় বাহিনী সঠিকভাবে মোতায়েন করার বিষয়ে নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।  শুক্রবার পর্যন্ত ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অমিত শাহের মন্ত্রক।  প্রথম ধাপে যে সব জেলায় ২২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে, সেগুলি হল— আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, বীরভূম, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, হুগলি, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, কালিম্পং, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর। শুক্রবার রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি, আরামবাগ, বাঁকুড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ‘এরিয়া ডমিনেশন’ করতে নেমে পড়েছে। ঝাড়গ্রামে আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। তারা ঝাড়গ্রামের পঞ্চায়েত এলাকায় টহলদারি শুরু করে দিয়েছে। 

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনে শুভেন্দু

    শুক্রবার পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু দাবি করেন, গত বিধানসভা ভোট (Panchayat Poll 2023) মিটে যাওয়ার পর অভূতপূর্ব হিংসার সাক্ষী হয়েছিল বাংলা। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পঞ্চায়েত ভোট মিটলেই যেন বাহিনী প্রত্যাহার করা না হয়। শুভেন্দু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার পর বিধানসভা ভোট পরবর্তী ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে ১৫ দিন রাজ্যে সশস্ত্র বাহিনী রাখতে হবে।’’

  • Bipodtarini Puja: কেন পালন করা হয় বিপত্তারিণী পুজো, জানুন এই ব্রতর মাহাত্ম্য

    Bipodtarini Puja: কেন পালন করা হয় বিপত্তারিণী পুজো, জানুন এই ব্রতর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী বিপত্তারিণীর (Bipodtarini Puja) ব্রত আষাঢ় মাসে রথ (Rath Yatra) এবং উল্টোরথের মাঝে যে শনি এবং মঙ্গলবার পড়ে সেই দুই দিনেই পালিত হয়। কথিত আছে, এই ব্রত পালন করার সময় দেবীর চরণে উৎসর্গকৃত ‘লাল তাগা’ হাতে বাঁধা হলে বিপদ ধারকাছেও ঘেঁষতে পারবে না।

    যিনি বিপদ তারণ করেন তিনিই বিপত্তারিণী

    দেবী দুর্গা (Goddess Durga) হিন্দুধর্মের দেবী। দেবাদিদেব মহাদেবের (Lord Shiva) অর্ধাঙ্গিনী আদি শক্তি। অন্যান্য দেবী তাঁরই অবতার বা ভিন্ন রূপ। দেবী দুর্গার ১০৮ রূপের মধ্যে অন্যতম দেবী সঙ্কটনাশিনীর এক রূপ, দেবী বিপত্তারিণী (Bipodtarini Puja)। সঠিক অর্থে বিশ্লেষণ করলে ‘বিপত্তারিণী’ বা ‘বিপদনাশিনী’ দেবীর নাম নয়, উপাধি। যিনি বিপদ তারণ করেন, তিনিই বিপত্তারিণী। আসলে, মহামায়ার আলাদা করে কোনও নাম হয় কি? ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ ইনিই। আবার ‘দশমহাবিদ্যা’ও তাঁরই রূপের প্রকাশ। 

    স্বামী-সন্তান-পরিবারের মঙ্গল কামনায় বিপত্তারিণী

    বাংলায় ঘরে ঘরে বিবাহিত মহিলারা স্বামী-সন্তান-পরিবারের মঙ্গল কামনায় মা বিপত্তারিণী (Bipodtarini Puja) পুজো করেন। গ্রামাঞ্চলে বিপত্তারিণী পুজো চারদিন ধরে চলে। প্রথম দিনে দেবীর আরাধনা করা হয়। মহিলারা গঙ্গা বা কোনও নদীতে স্নান করে দণ্ডী কাটেন। তারপর দুই রাত্রি ধরে রাতে বাংলা লোকগান, ভজন ও কীর্তন চলে। চতুর্থ দিনে বিসর্জন হয়। বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে মেয়েরা উপবাস করেন। কিন্তু জানেন কি এই পুজোর মাহাত্ম্য? দেবীর মাহাত্ম্য নিয়ে একাধিক বৃত্তান্ত রয়েছে। দেবীর বিপত্তারিণী রূপ নিয়ে ‘মার্কণ্ডেয় পুরাণে’ কাহিনীটি বেশ জনপ্রিয়—

    কথিত আছে, শুম্ভ-নিশুম্ভ, অসুর ভ্রাতৃদ্বয়ের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে দেবগণ একবার মহামায়ার স্তব করছেন, এমন সময় শিবজায়া পার্বতী সেখানে হাজির হয়ে শুধালেন, “তোমরা কার স্তব করছ গো?” যাঁর স্তব, তিনি স্বয়ংই এ প্রশ্ন করছেন। কিন্তু দেবতারা তাঁকে চিনতে পারলেন না। তখন পার্বতী নিজের স্বরূপ দেখিয়ে বললেন, “তোমরা আমারই স্তব করছ।” এর পরবর্তীতে দেবী শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করেন। দেবতাদের বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন। সেই থেকে বিপত্তারিণী পুজোর উৎস।

    আরও পড়ুন: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজোয় ভুলেও করবেন না এই কাজগুলি

    দেবীর মাহাত্ম্য নিয়ে একাধিক বৃত্তান্ত রয়েছে

    এই পুজোর একটি কাহিনি রয়েছে। ব্রতকথা অনুযায়ী, বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজবংশের এক রানির এক নিম্নবর্ণের সখী ছিলেন। তিনি জাতে মুচি। এই মহিলা নিয়মিত গোমাংস খেতেন। রানিও একদিন কৌতূহলী হয়ে গোমাংস খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। প্রথমে তিনি নিমরাজি হন। পরে তিনি রানির আদেশ রক্ষার্থ গোমাংস আনেন। অন্তঃপুরে গোমাংস প্রবেশ করেছে— এই খবর রাজার কাছে পৌঁছে যায়। তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে রানিকে শাস্তি দিতে উদ্যত হন। রানি গোমাংস তাঁর বস্ত্রের আড়ালে লুকিয়ে রেখে বিপত্তারিণী মা দুর্গাকে স্মরণ করতে থাকেন। রানিকে তল্লাশি করে রাজা দেখতে পান তাঁর বস্ত্র আড়ালে গোমাংস নয়, রয়েছে একটি লাল জবা ফুল। লাল জবা কালী পুজোর অন্যতম উপকরণ। মায়ের এই পুষ্প দেখে রাজা তাঁর ভুল বুঝতে পারেন। রানিকে ক্ষমা করে দেন। মা বিপত্তারিণী দুর্গার কৃপায় রানির বিপদ কেটে গেল। এরপর থেকে রানি নিষ্ঠা-সহকারে বিপত্তারিণীর ব্রত করতে থাকলেন। সেই থেকেই বিপত্তরিণীর পুজো প্রচলিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    পুজোয় তেরো সংখ্যার তাৎপর্য

    এই পুজোর একটা বিশেষ নিয়ম হল সবকিছু ১৩টা করে উৎসর্গ করতে হয় দেবীকে। ব্রতর আচার হিসেবে সব কিছু দিতে হয় তেরোটি করে। যেমন— তেরোটি নৈবেদ্য সাজাতে হয়। ব্রত পালনে লাগে তেরো রকম ফুল, তেরো রকম ফল, তেরোটি পান, তেরোটি সুপুরি, তেরোটি এলাচ। এছাড়া, বিপত্তারিণী ব্রতপালনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে হাতে বাঁধতে হয় লাল ডুরি বা ডোর বা তাগা। এই ডোর তৈরির ক্ষেত্রেও তেরো সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ। তেরো গাছা লাল সুতোর সঙ্গে তেরোটি দূর্বা রেখে তেরোটি গিঁট বেঁধে তৈরি হয় এই পবিত্র তাগা বা ডোর। বিশ্বাস করা হয় যে, এই তাগা হাতে পরলে তাঁকে কোনও বিপদ স্পর্শ করতে পরে না৷ 

    বিপত্তারিণী (Bipodtarini Puja) পুজোর শেষে সকলেই হাতে ওই তাগা বেঁধে দেওয়া হয়৷ মেয়েরা বাম হাতে ও ছেলেরা ডান হাতে এটি পরেন৷ এটি শুধু ব্রত পালন যিনি করছেন তিনিই যে বাঁধেন তা নয়, পরিবারের অন্য সদস্যরাও বাঁধেন বিপন্মুক্তির জন্য৷ ব্রতপালনের পর খাবার যা খেতে হয়, সেখানেও ১৩ সংখ্যা রাখা আবশ্যক৷ মায়েরা প্রসাদ হিসেবে খান, তেরোটি লুচি বা পরটা সঙ্গে তেরো রকমের ফল। চাল-চিঁড়ে-মুড়ি এসব খাওয়া যায় না৷ ফল বা ময়দার রান্না যাই খাওয়া হোক না কেন সেটা ১৩ সংখ্যায় গ্রহণ করার কথাই ব্রতে বলা হয়৷ তবে যদি সেটা না হয় তাহলে পুজো মিটে যাওয়ার পর বিজোড় সংখ্যাতেও খাদ্যগ্রহণ করা যায়৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: গরু পাচার রুখে ৭ টি গরু উদ্ধার করলেন অগ্নিমিত্রা, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

    Asansol: গরু পাচার রুখে ৭ টি গরু উদ্ধার করলেন অগ্নিমিত্রা, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধভাবে ট্রাকে লোড করে ৭টি গরু পাচার করা হচ্ছে, এই অভিযোগে একটি গরু বোঝাই গাড়ি আটকে দিল আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। গাড়ি আটক করায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়।

    কীভাবে উদ্ধার হল?

    শুক্রবার বিকালে আসানসোলের (Asansol) ভগৎ সিং মোড়ে গরু সমেত একটি গাড়িটিকে আটকে দেন বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। গাড়িতে উপযুক্ত কাগজপত্র ছিল না বলে দাবি করেন তিনি। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকরা। গাড়িটি পুরুলিয়ার দিক থেকে আসানসোলে আসছিল বলে জানিয়েছেন গাড়ির চালক। আসানসোল  দক্ষিণ থানার পুলিশ গাড়িটি আটক করে নিয়ে যায়। ভগৎ সিং মোড় এলাকায় গরু বোঝাই গাড়ি আটকে দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে জমায়েত হয় অনেক পথ চলতি মানুষও।

    কী বললেন বিধায়কিয়া (Asansol)?

    বিজেপি বিধায়িকা (Asansol) অগ্নিমিত্রা পল বিষয় সম্পর্কে বলেন, আমি খবর পেয়েছি এই রাস্তা দিয়ে অবৈধ ভাবে গরু পাচার চলছে! তারপর রাস্তায় এসে গরু সমেত একটি গাড়ি উদ্ধার করি। গাড়ির চালকের কাছে শীলমোহর সমেত কোনও বৈধ কাগজ ছিল না। একটা কাগজে ২টি গরুর কথা বললেও গাড়িতে মোট সাতটি গরু দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বেজেপি নেত্রী। কাশীপুর থেকে অবৈধ ভাবে এই গরু আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। বিধায়িকা আরও দাবি করেন, এই রাস্তায় প্রত্যেকদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাকে করে গরু পাচার হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি একা কত গরু আটকাবো! সরকার এই গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। প্রত্যেক থানায় পুলিশদের কাটমানি দিয়ে অবৈধ ভাবে গরু পাচার করা হচ্ছে। পুলিশের কাছে সব খবর আছে। এমন নয় যে পুলিশের চোখের আড়ালে সব ঘটছে। এরপর আরও বলেন, বলা হয় যে অসুস্থ বা বিকলাঙ্গ গরুদের কাটা যেতে পারে, কিন্তু এই ট্রাকে থাকা সবকটা গরু অপূর্ণ বয়সের গরু! উল্লেখ্য গাড়িতে কোনও নম্বর প্লেট নেই বলে জানান তিনি। পুলিশের সম্পর্কে আরও বলেন তিনি, পুলিশ শুধু বিজেপির কর্মীদের আটকাতে বেশী তৎপর। অবৈধ চোরাচালান আটকাতে ব্যর্থ পুলিশ। সরকার এই গরু পাচারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে গরু পাচার আটকানো সম্ভব নয়। 

    প্রশাসনের ঘুম কবে ভাঙে, সেটাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের ছক বানচাল করল বাহিনী, গুলিতে খতম ৪ পাক জঙ্গি

    Jammu Kashmir: কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের ছক বানচাল করল বাহিনী, গুলিতে খতম ৪ পাক জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাস দমন অভিযানে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) কুপওয়ারায় নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ফের ভেস্তে দিল সেনা। বাহিনীর গুলিতে খতম হল চার পাকিস্তানি জঙ্গি। চলতি মাসে এই নিয়ে দুবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ হল।

    কালা জঙ্গল দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা

    জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir) পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে কুপওয়ারা জেলার মাচাল সেক্টরের কালা জঙ্গল এলাকা দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে পাক জঙ্গিদের একটি দল। কাশ্মীর জোন পুলিশ ট্যুইটারে লিখেছে, ‘‘কুপওয়ারার মাচাল সেক্টরের কালা জঙ্গলে সেনা এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে নিহত চার জঙ্গি।’’ ভারতীয় সেনার চিনার কোরও ট্যুইট করে এই খবর দিয়েছে।

    থামতে বলায় বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা

    কাশ্মীর জোন (Jammu Kashmir) পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে কুপওয়ারার মাচাল সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে এক জায়গায় টহলদারির সময়, নিরাপত্তা বাহিনী দেখতে পায় যে, কয়েকজন জঙ্গি জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে। তাদের থামার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, উল্টে, বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালিয়ে জবাব দেয় নিরাপত্তা কর্মীরাও। এরপরই শুরু হয় গুলির লড়াই। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে দুপক্ষের গুলি বিনিময়। এর পর, ওই চার জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আরও কোনও জঙ্গি অনুপ্রবেশ করেছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা কর্মীরা।

    চলতি মাসে দুবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ

    এর আগে, গত ১৬ জুন কুপওয়ারার নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে জুমগুন্দ কেরানে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছিল পাঁচ জঙ্গি। এছাড়া, গতকাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (Jammu Kashmir) অনন্তনাগ এলাকায় দুই লস্কর জঙ্গিকে গ্রেফতার করে নিরাপত্তাবাহিনী। ধৃত জঙ্গিদের কাছে থেকে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। উদ্ধার করা অস্ত্রগুলির মধ্যে কয়েছে ১২টি গ্রেনেড ও একে-৪৭ রাইফেলের কার্তুজ। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুক্রবার তার সফরে জম্মু ও কাশ্মীরে পৌঁছেছেন। অমিত শাহ প্রথমে জম্মুতে বিজেপি অফিসে পৌঁছান , যেখানে তিনি শ্যামা প্রসাদ মুখার্জির মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    আরও পড়ুন: উদ্ধার একে ৪৭-এর গুলি, গ্রেনেড! কাশ্মীরের অনন্তনাগে গ্রেফতার ২ লস্কর জঙ্গি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: পঞ্চায়েতকে ঘিরে কংগ্রেস-তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রানিনগর

    Murshidabad: পঞ্চায়েতকে ঘিরে কংগ্রেস-তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রানিনগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার চাকরানপাড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত এলাকা। কংগ্রেস ও তৃণমূল উভয় পক্ষই উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে বোমা ছুড়ে হামলার অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে অগ্নিগর্ভ এলাকা।

    কী ঘটেছে

    পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস প্রার্থী রোজিনা বিবির বাড়িতে বোমা হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি কংগ্রেস প্রার্থী রোজিনা বিবির আত্মীয়দের বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকরানপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎই একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে ইট, পাটকেল ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তার পাশাপাশি বাড়ি-ঘর ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে। হামলার সময় আতঙ্কিত হয়ে কংগ্রেস প্রার্থী তাঁর স্বামীকে নিয়ে ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে। অপর দিকে তৃণমূলের এক নেতার বাড়িতে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বোমা মারার অভিযোগ উঠেছে।

    কংগ্রেস প্রার্থীর এবং তৃণমূলের বক্তব্য (Murshidabad) 

    বিরোধী দল করার জন্য শাসক দল দুষ্কৃতীদের দিয়ে এমন হামলা করছে বলে দাবি করেন কংগ্রেস প্রার্থী রোজিনা বিবি। এলাকায় যাতে ভোটের প্রচার না করা হয়, তাই বাড়িতে বোমা মারা হয় বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস প্রার্থী। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী মহিউদ্দিন সেখের বাড়িতে (Murshidabad) দলীয় সভা চলছিল, সেই সময় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ শাসক দলের। তৃণমূল কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করেও বেশ কয়েকটি বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে যাদের বোমা মেরে পালাতে দেখা যায়, তাদের মধ্যে আছে আনারুল, ছাত্তার, ইব্রাহিম, মইদুল আরও অনেকে। তৃণমূলের অভিযোগ, এই ব্যাক্তিরা প্রথমে তৃণমূল করত কিন্তু বর্তমানে কংগ্রেস এবং সিপিএম করে। এদের প্রত্যেকের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।  

    প্রশাসনের ভূমিকা

    সংঘর্ষের ঘটনার পর এলাকায় পৌঁছায় রানিনগর (Murshidabad) থানার পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রশাসন জানিয়েছে, দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধীদের ভয় দেখাতে এমন সন্ত্রাস বলে দাবি কংগ্রেস নেতৃত্বের। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও দাবি করেছেন এলাকার মানুষ ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • WI vs IND: ক্যারিবিয়ান সফরের জন্য দল ঘোষণা ভারতের

    WI vs IND: ক্যারিবিয়ান সফরের জন্য দল ঘোষণা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশামতোই ক্যারিবিয়ান সফরের (India Tour of West Indies) জন্য টেস্ট ও একদিনের সিরিজের দল ঘোষণা করল বিসিসিআই (BCCI)। টেস্ট, ওডিআই এবং টি-২০ সিরিজ খেলা হলেও আপাতত ওডিআই এবং টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করা হয়েছে। টি-২০ সিরিজের জন্য দল কবে ঘোষণা করা হবে তা জানা যায়নি। টেস্ট ও একদিনের দলে সুযোগ পেয়েছেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার (Mukesh Kumar)।  আগামী ১২ জুলাই থেকে শুরু হবে ক্যারিবিয়ান সফর। 

    ক্যারিবিয়ান সফরে টেস্ট দল

    রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের রেখে দল তৈরি করল ভারতীয় বোর্ড। কিন্তু রাখা হল না চেতেশ্বর পুজারাকে। দলে নেই উমেশ যাদব, মহম্মদ শামিও। সুযোগ পেয়েছেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। সহ-অধিনায়ক করা হল অজিঙ্ক রাহানেকে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হারের পর দলে বদলের কথা বলেছিলেন রোহিত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই সেই বদল দেখা যাচ্ছে। একের পর এক টেস্টে ব্যর্থ হওয়া পুজারাকে বাদ দিয়েছে দল। তাঁর জায়গায় দলে এসেছেন তরুণ যশস্বী জয়সওয়াল। নেওয়া হয়েছে রঞ্জিতে ভাল খেলা রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে।

    আইপিএলে টানা খেলে যাওয়ার পর বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মহম্মদ শামিকে। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বাংলার পেসারকে। ক্যারিবিয়ান সফরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না উমেশ যাদবকেও। ফাইনালে তাঁর বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। শামি, উমেশকে বসিয়ে টেস্ট দলে নেওয়া হয়েছে নবদীপ সাইনি এবং মুকেশ কুমারকে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দলে থাকা মহম্মদ সিরাজ এবং জয়দেব উনাদকট এই দলেও রয়েছেন।টেস্টে উইকেটরক্ষক হিসাবে শ্রীকর ভরত এবং ঈশান কিষনকে দলে নেওয়া হয়েছে। স্পিনার হিসাবে নেওয়া হয়েছে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা এবং অক্ষর পটেলকে। অলরাউন্ডার শার্দূল ঠাকুরও দলে রয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সূচি ঘোষণা করল আইসিসি

    ক্যারিবিয়ান সফরে একদিনের দল

    এক দিনের দলে সূর্যকুমার যাদবকে রাখা হলেও টেস্ট দলে নেই তিনি। ৫০ ওভারের দলে ফেরানো হয়েছে উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসনকে। সেই দলে রয়েছেন সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। স্পিন বিভাগ সামলাবেন যুজবেন্দ্র চাহাল এবং কুলদীপ যাদব। সেই দলে রয়েছেন পেসার উমরান মালিক।

    এক দিনের দলে সূর্যকুমার যাদবকে রাখা হলেও টেস্ট দলে নেই তিনি। ৫০ ওভারের দলে ফেরানো হয়েছে উইকেটরক্ষক সঞ্জু স্যামসনকে। সেই দলে রয়েছেন সহ-অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। সাদা বলের ক্রিকেটে বাদ অশ্বিন। স্পিন বিভাগ সামলাবেন যুজবেন্দ্র চহাল এবং কুলদীপ যাদব। সেই দলে রয়েছেন পেসার উমরান মালিক। বিদেশের মঞ্চে দলের শক্তি দেখাতে গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজ। দুটো সিরিজেই অধিনায়ক করা হয়েছে রোহিত শর্মাকে। এটা রোহিতের কাছেও চ্যালেঞ্জের। এই টেস্ট দিয়েই শুরু হবে WTC-এর নতুন সাইকেল আর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হবে এই সিরিজ দিয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: একদিনে দুটি মামলায় হাইকোর্টে জোড়া স্বস্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

    Panchayat Election 2023: একদিনে দুটি মামলায় হাইকোর্টে জোড়া স্বস্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিপদে ধাক্কা খেতে থাকার মাঝে একদিনে দুটি মামলায় জোড়া স্বস্তি পেল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে একাধিক মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন ধাক্কা খেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। রেহাই মেলেনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও। তবে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে গেল দুটি মামলার রায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সমানে রেখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি নোটিশ দিয়েছিল। সেটা আজ, শুক্রবার খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অন্যদিকে,মনোনয়নে নথি বিকৃতি কাণ্ডেও এখনই কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই, শুক্রবার একথা জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। 

    মানবাধিকার কমিশনের নোটিস খারিজ 

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নোটিস খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্বে গোলমালের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে কমিশনের ডিজি (তদন্ত) রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করবেন বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। এর পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মামলায় শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওই নোটিস খারিজ করে দিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। স্পর্শকাতর এলাকা মানবাধিকার কমিশনের ডিজি চিহ্নিত করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। 

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    নথি বিকৃতি-কাণ্ডে এখনই সিবিআই নয়

    পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) নথি বিকৃতি-কাণ্ডে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনই জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সোমবার দুপুর ২টোয় এই মামলার রায় ঘোষণা করবে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)-এর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই প্রার্থী। সেই মামলায় বুধবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, আগামী ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একই পরিবারের দুই গৃহবধূ, লড়াইয়ের ময়দানে দুই জা

    Purba Medinipur: প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একই পরিবারের দুই গৃহবধূ, লড়াইয়ের ময়দানে দুই জা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুসম্পর্ক বজায় রেখে ভোটের ময়দানে এবার দুই জা। শুরু করেছেন তাঁরা নির্বাচনী প্রচার। এমনই ছবি ধরা পড়লো মহিষাদল (Purba Medinipur) ব্লকের সতীশ সামন্ত অঞ্চলের ২০ নম্বর বুথে। নির্বাচন নিয়ে দুজনেই দুই দলের থেকে জয় বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। 

    দুই জা, পরস্পর বিরোধী দলের প্রার্থী (Purba Medinipur)

    গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একই পরিবারের দু জা। একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির হয়ে, অন্যজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূলের হয়ে। মহিষাদলের (Purba Medinipur) সতীশ সামন্ত অঞ্চলের ২০ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী দাস এবং তৃণমূল প্রার্থী পাপিয়া দাস। এঁরা দুজনে একই পরিবারেরে দুই ভাইয়ের স্ত্রী অর্থাৎ দুজনে সম্পর্কে জা। দুজনেই গৃহবধূ, দুজনেই এই প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে। যদিও প্রত্যেকে এখন পৃথক ভাবে বসবাস করেন। তবে এই পরিবারের সবাইকার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবারের দুই বউমা হলেন এবারে নির্বাচনে দুই বিরোধী প্রার্থী। ইতিমধ্যে দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েই প্রচার শুরু করে দিয়েছে।

    বিজেপি প্রার্থীদের বক্তব্য

    দুই জা-এর মধ্যে বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী দাস বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে যোজনা গুলি রয়েছে, সেগুলিকে নিয়ে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে (Purba Medinipur) গিয়ে প্রচার করব। সাধারণ মানুষ তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে এই তৃণমূলের আমলে, এই কথাও বলেন তিনি। মানুষকে বোঝাবো ভোট দিয়ে বিজেপির হাত শক্ত করলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প গুলিকে দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। শ্রাবন্তী দেবী আরও বলেন, আমরা এলাকায় নির্বাচন নিয়ে ভীষণ আশাবাদী।

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী পাপিয়া দাস বলেন, পারিবারিক সম্পর্ক ঠিক রেখে আমরা রাজনৈতিক ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। তিনি আরও বলেন, আমরা ধীরে ধীরে নির্বাচনে প্রচার শুরু করেছি। এই অঞ্চলে (Purba Medinipur) তৃণমূলের জয় বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত জানিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক বিরোধিতা কখনই পরিবারে প্রভাব পড়বে না বলে জানান পাপিয়া দাস ।  

    এখন দেখার বিষয় কোন জা জনগণের আর্শীবাদ পেয়ে ভোটে জিতে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Assam Flood: অসমে ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি! ২২ জেলায় ঘরছাড়া প্রায় ৫ লাখ

    Assam Flood: অসমে ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি! ২২ জেলায় ঘরছাড়া প্রায় ৫ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে ভয়ঙ্কর আকার ধারন করেছে বন্যা পরিস্থিতি (Assam Flood)। একটানা বৃষ্টিতে বিপদ সীমা পেরিয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার একাধিক শাখানদী। আবহবিদদের পূর্বাভাসে শোনা যাচ্ছে আশঙ্কার কথা। এখনই বৃষ্টি কমছে না অসমে। অসমের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। নদীগুলি প্লাবিত হতেই থাকবে। জলের নীচে বিস্তীর্ণ এলাকার বসত বাড়ি ও চাষের জমি। গবাদি পশু ও মানুষের সহাবস্থানও দেখা যাচ্ছে একাধিক জায়গায়। ত্রাণ শিবিরগুলিতে নজরে পড়ছে শুধুই উদ্বেগ। জানা গিয়েছে, ২২ জেলা জুড়ে ঘরছাড়া প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ। সব থেকে খারাপ অবস্থা বাজালির। সেখানে ঘরছাড়া প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ।

    কোন কোন জেলা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত?

    অসমের (Assam Flood) বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে বাকসা, বাজালি, বরাপেটা, দারাং, ধেমাজি, ধুবড়ি, কোকরাঝার, লখিমপুর, শোনিতপুর, উদালগিরি এবং নলবাড়ি। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পেশ করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ক্ষতির নিরিখে বাজালির পরেই রয়েছে নলবাড়ি। সেখানে ৭৭ হাজার ৭০২ জন মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। বরপেটায় বিপাকে ৬৫ হাজার ২২১ জনের জীবন। লখিমপুরে ২৫ হাজার ৬১৩, বক্সায় ১৪ হাজার ২৩, তামুলপুরে ১৯ হাজার ২০৮, দারাঙে ১৩ হাজার ৭০৪, কোকরাঝাড়ে ৬ হাজার ৫৩৮ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বন্যায়।

    ৮৩টি ত্রাণ কেন্দ্র তৈরি করেছে অসম সরকার

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফি বছর কম বেশি এমন বন্যা পরিস্থিতির শিকার হয় অসম (Assam Flood)। তবে প্রথমবার সেখানে বন্যা দুর্গতদের সংখ্যা ১ লাখ পার করল। ইতিমধ্যে সেখানকার বিজেপি সরকার গড়ে তুলেছে ৮৩টি ত্রাণ কেন্দ্র। উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা, আধাসেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল ও আপৎকালীন বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন সহ একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

    আরও পড়ুন: “বিশ্বশান্তির জন্য ভারত আমেরিকা অঙ্গীকারবদ্ধ,” হোয়াইট হাউসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: নদিয়া সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফকে লক্ষ্য করে বোমা, গুলিবিদ্ধ পাচারকারীরা

    BSF: নদিয়া সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফকে লক্ষ্য করে বোমা, গুলিবিদ্ধ পাচারকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে গরু পাচারের সময় বিএসএফের বাধা। পাচারকারীদের পক্ষ থেকে বিএসএফকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিহত করতে পাল্টা গুলি চালায় বিএসএফ। গুলিবিদ্ধ হন একাধিক গরু পাচারকারী। শুক্রবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধানতলা থানার ইচ্ছামতী বর্ডার পোস্ট সীমান্ত এলাকায়। ঘটনার পর ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলেন বিএসএফের (BSF) এর কৃষ্ণনগর রেঞ্জের ডিআইজি সঞ্জয় কুমার।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    এদিন ভোর রাতে ধানতলা থানার দত্তপুলিয়ায় কাঁটাতার না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইছামতী নদীর ব্রিজের নীচে দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রায় ১০টি গরু পাচার করার চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা। অভিযোগ, বিএসএফের ( BSF) জওয়ানরা গরু পাচারকারীদের আটকাতে গেলে পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। পরে বিএসএফের (BSF) পক্ষ থেকে পাল্টা গুলি চালিয়ে প্রতিহত করে। তাতে বেশ কয়েকজন গরু পাচারকারী জখম হন। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় এক গরু পাচারকারী। তাকে ধানতলা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। আর এর পরই শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিআইজি কৃষ্ণনগর রেঞ্জ সঞ্জয় কুমার।

    ধৃত গরু পাচারকারীর কী বক্তব্য?

    ধৃত গরু পাচারকারী হাসান মণ্ডলের বক্তব্য, আজ ভোররাতে ৬টি গরু নিয়ে বাংলাদেশের ছজন এবং ভারতের চারজন বাংলাদেশ যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। ঠিক তখনই বিএসএফ (BSF) বাধা দেওয়াই আমাদের দলের বেশ কয়েকজন সেনা কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়তে শুরু করে।। এরপর সেনাবাহিনী তরফে গুলি করলে একটি গুলি আমার গায়ে লাগে। ইছামদী নদী পার করে গরুগুলি বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার আমার কাজ ছিল।

    কী বললেন বিএসএফের (BSF) ডিআইজি?

    ঘটনার বিবরণ দিয়ে বিএসএফের (BSF) কৃষ্ণনগর রেঞ্জের ডিআইজি সঞ্জয় কুমার বলেন, সীমানগর এর ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ান এখানে কর্মরত ছিল। ইছামতী লাগোয়া এই সীমান্ত এলাকা। ভোর তিনটে নাগাদ পাচারকারীরা গরু নিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই বিষয়টি নজরে আসতেই তাদেরকে বাধা দেয় বিএসএফ। তারা বিএসএফের লক্ষ্য করে বোমা মারতে থাকে। পাল্টা গুলিতে বেশ কয়েকজন পাচারকারী পালিয়ে গেলেও একজনকে ধরা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share