Tag: bangla news

bangla news

  • Gautam Gambhir: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদ করায় গম্ভীরকে খুনের হুমকি আইসিসের!

    Gautam Gambhir: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদ করায় গম্ভীরকে খুনের হুমকি আইসিসের!

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: খুনের হুমকি পেলেন ভারতীয় সিনিয়র ক্রিকেট দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে মঙ্গলবারই সমাজমাধ্যমে বার্তা লিখেছিলেন তিনি। বুধবার খুনের হুমকি পেলেন গম্ভীর। ভারতীয় দলের কোচকে ইমেলে হুমকিবার্তা পাঠিয়েছে ‘আইএসআইএস কাশ্মীর’। দু’টি হুমকিবার্তা পেয়েছেন গম্ভীর। থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন ভারতীয় দলের কোচ। বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

    থানায় অভিযোগ দায়ের

    মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা লিখেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। তারপরই খুনের হুমকি পেলেন গম্ভীর (Gautam Gambhir)। এক বার নয়, মোট ২ বার বিরাট-রোহিতদের কোচকে ইমেলে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ৩টি শব্দের ছোট্ট একটি মেসেজ পাঠানো হয়েছে গম্ভীরকে। কী লেখা হয় তাতে? বুধবার (২৩ এপ্রিল) ‘আইসিস কাশ্মীর’ নামের এক সংগঠন গম্ভীরকে ‘আই কিল ইউ’ (যার অর্থ আমি তোমাকে মেরে ফেলব) লিখে দুটি ইমেল পাঠিয়েছে। প্রথম ইমেলটি আসে দুপুরে আর দ্বিতীয়টি বিকেলে যা পাওয়ার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভারতীয় টিমের হেড কোচ। রাজেন্দ্র নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই সঙ্গে দিল্লির ডিসিপিকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার কথা জানিয়েছেন পুলিশকে।

    তদন্তে পুলিশ

    গম্ভীরের (Gautam Gambhir) অভিযোগ পেয়েই দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কোথা থেকে ওই ইমেল এসেছে, কারা তা পাঠিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গম্ভীর এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে বলেও জানা গিয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তারা অভিযোগ পেয়েছে। গম্ভীর এখন দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা পান। তবে কতটা নিরাপত্তা বাড়ানো হবে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে বৈসরন উপত্যকায় ২৬ জন সাধারণ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। বেছে বেছে হিন্দুদের টার্গেট করে তারা। তারপর এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ বা টিআরএফ। গম্ভীর সমাজমাধ্যমে এই ঘটনার নিন্দা করেছিলেন। লিখেছিলেন, “মৃতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। যারা এই কাজের জন্য দায়ী তাদের মূল্য চোকাতেই হবে। ভারত পাল্টা আঘাত হানবেই।” প্রসঙ্গত, গৌতম গম্ভীর বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। তিনি পূর্ব দিল্লি কেন্দ্রে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। প্রথমে কেকেআর ও পরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এখন তিনি রাজনীতি থেকে একটু দূরে।

  • Gaurav Gogoi: “সরকারি অনুমতি ছাড়াই পাকিস্তানে কাটিয়ে এসেছেন অসমের কংগ্রেস সাংসদ,” বিস্ফোরক দাবি হিমন্তর

    Gaurav Gogoi: “সরকারি অনুমতি ছাড়াই পাকিস্তানে কাটিয়ে এসেছেন অসমের কংগ্রেস সাংসদ,” বিস্ফোরক দাবি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগে লোকসভায় কংগ্রেসের সহকারি দলনেতা গৌরব গগৈয়ের (Gaurav Gogoi) স্ত্রী এলিজাবেথ কালবোর্নকে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। বুধবার হিমন্ত তাক করলেন কংগ্রেস সাংসদ স্বয়ং গৌরবকেই। এদিন সরাসরি গৌরবের নাম না নিয়ে হিমন্ত দাবি করেন, ওই সাংসদ ভারত সরকারকে না জানিয়েই ১৫ দিন কাটিয়ে এসেছেন ইসলামাবাদে। নয়াদিল্লিতে পাক হাই-কমিশনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগও রয়েছে।

    হিমন্তর বিস্ফোরক দাবি (Gaurav Gogoi)

    সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পাকিস্তান আমাদের বড় শত্রু। কিন্তু আমাদের দেশের ভিতরে থেকেই যাঁরা পাকিস্তানের প্রশংসা করেন, তাঁরাই আমাদের জাতির সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু।’’ তাঁর দাবি, অসম পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম সংসদ সদস্যের ব্রিটিশ স্ত্রীর মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসূত্র সম্পর্কে “চাঞ্চল্যকর তথ্য” উন্মোচন করেছে। তিনি বলেন, ‘‘সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশবাসী জানতে পারবেন কীভাবে একজন গর্বিত বাবার সন্তান হয়েও জাতির বিরুদ্ধে যেতে পারেন।’’ প্রসঙ্গত, হিমন্তের স্পষ্ট ইঙ্গিত গৌরব গগৈয়ের দিকে, যিনি অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের পুত্র (Himanta Biswa Sarma)।

    দেশের অভ্যন্তরের শত্রুকে চিহ্নিত করা কঠিন

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এই সাংসদ ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে কোনও প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য না দিয়েই ১৫ দিনের জন্য ইসলামাবাদে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের সঙ্গে ওই সাংসদের সম্পর্ক রয়েছে। এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানের শত্রুকে চিহ্নিত করা যায়, কিন্তু আমাদের দেশের অভ্যন্তরের শত্রুকে চিহ্নিত করা কঠিন (Gaurav Gogoi)।’’ অসম পুলিশের এসআইটি বর্তমানে এই বিষয়টি তদন্ত করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।’’ তাঁর আশ্বাস, রাজ্য সরকার সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেবে এবং তদন্তের ফল শীঘ্রই জনগণের কাছে প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে যে তদন্ত চলছে, তাতে সংসদ সদস্য ও তাঁর ব্রিটিশ স্ত্রীর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে।’’

    প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে গৌরবের স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাক-যোগের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন হিমন্ত। সেই সময় বিজেপির মুখপাত্র কিশোর উপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, এলিজাবেথ (গৌরবের স্ত্রী) পাকিস্তানের পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা তৌকির শেখের অধীনে ইসলামাবাদে কাজ করেছেন। মার্কিন (Himanta Biswa Sarma) ধনকুবের জর্জ সোরসের একটি সংস্থার সঙ্গেও যোগ রয়েছে তাঁর। এলিজাবেথ ভারতীয় নাগরিক নন বলেও দাবি (Gaurav Gogoi)।

  • Pakistan: নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ৪২ লঞ্চ প্যাডে থাকা ১৩৫ জঙ্গি অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়, দাবি গোয়েন্দাদের

    Pakistan: নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ৪২ লঞ্চ প্যাডে থাকা ১৩৫ জঙ্গি অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়, দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী (Pakistans Southern Strategy) হামলা আসলে কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের গ্রীষ্মকালীন নাশকতা কৌশলের অঙ্গ। পাকিস্তানের (Pakistan) মদতে এই সময়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ বেড়ে যায়। গোয়েন্দাদের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জম্মুর দিকে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে এখনও পর্যন্ত ৩২টি অস্থায়ী শিবির বা লঞ্চ প্যাডে ১০০ সন্ত্রাসী লুকিয়ে রয়েছে। এই সমস্ত সন্ত্রাসীরা বর্তমানে অনুপ্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে, কাশ্মীরের কাছে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ১০টি অস্থায়ী শিবির বা লঞ্চ প্যাডে, সেখানে ৩৫ জন সন্ত্রাসবাদী রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    গত ৬ মাসে ৫০ বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা (Pakistan)

    গোয়েন্দা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ছয় মাস ধরে জম্মুর দিক থেকে ৫০ বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা (Pakistans Southern Strategy)। এরমধ্যে কিছু সন্ত্রাসবাদী দক্ষিণ দিক থেকে অনুপ্রবেশ করে কাশ্মীরের দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত ৭৫ জন সন্ত্রাসী রয়েছে। অন্যদিকে, জম্মু অঞ্চলে এই সংখ্যা ৫০। কারণ জম্মু অঞ্চলে লুকানোর জায়গা কম আছে বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। জম্মু-কাশ্মীরের আত্মগোপন করে থাকা এই সন্ত্রাসবাদীরা (Pakistan) প্রযুক্তিগত সহায়তা পাচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে। তাদেরকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। ২০২৩ সালে এমনই ১২৫টি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছিল। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩০০।

    গত বছরে কাশ্মীরে পর্যটক পৌঁছায় ২.৩৫ কোটি

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ছিল ১০৭। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে এই হামলার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২৭ এবং ২৬। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিনটি সন্ত্রাসবাদী হামলার (Pakistan) ঘটনা ঘটেছিল। জানা গিয়েছে, গত বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ২.৩৫ কোটি পর্যটক এসেছিলেন। একই সঙ্গে অমরনাথ যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন পাঁচ লাখ ভক্ত। শ্রীনগরের লালচকে প্রতিদিন পর্যটকদের পা পড়ত গড়ে ১১ হাজার। খুব স্বাভাবিকভাবে ব্যাপক অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন হচ্ছিল ভূস্বর্গের। কারণ সেখানকার প্রধান জীবিকাই ছিল পর্যটন। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং আইএসআই এমনটা চাইনি। ফলস্বরূপ, পহেলগাঁও হামলা।

  • Anti Naxal Operation: ছত্তিশগড়ে এক হাজার মাওবাদীকে ঘিরে রেখেছে ২০ হাজার জওয়ান, খতম অন্তত ৫

    Anti Naxal Operation: ছত্তিশগড়ে এক হাজার মাওবাদীকে ঘিরে রেখেছে ২০ হাজার জওয়ান, খতম অন্তত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় মাওবাদী বিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাটোপে এক হাজারেরও বেশি মাওবাদী (Anti Naxal Operation)। সূত্রের খবর, ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুরে ওই মাওবাদীদের ঘিরে রেখেছেন ২০ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। ছত্তিশগড়, তেলঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে এখনও পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন মাওবাদী নিকেশ হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশ থেকে মাওবাদীদের নির্মূল করতে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ। তার পর থেকেই মাও-দমনে চালানো হচ্ছে ব্যাপক অভিযান। দিন দুই আগে সেরকমই একটি অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। বাহিনীর ঘেরাটোপে হাজারেরও বেশি মাওবাদী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন মোস্ট ওয়ান্টেড কমান্ডার হিদমা এবং ব্যাটেলিয়নের প্রধান দেবও।

    মাওবাদীদের পালানোর পথ বন্ধ (Anti Naxal Operation)

    সূত্র মারফত গোয়েন্দারা জানতে পারেন বিজাপুরের একটি জঙ্গলে জড়ো হয়েছেন হাজারেরও বেশি মাওবাদী। এর পরেই যৌথ অভিযানে নামে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র এবং তেলঙ্গানার নিরাপত্তা বাহিনী। এই বাহিনীতে রয়েছে জেলা রিজার্ভ গার্ড, বাস্তার ফাইটার্স, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, রাজ্য পুলিশের সমস্ত ইউনিট, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স এবং তাদের অভিজাত কমান্ডো ব্যাটেলিয়ন কোবরা। মাওবাদীদের পালানোর পথ বন্ধ করতে নিরাপত্তা বাহিনী ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমান্ত বরাবর অবস্থিত কারেগুট্টা পাহাড়কে ঘিরে রেখেছে। ঘন জঙ্গল ও পাহাড়ের সারি দ্বারা বেষ্টিত এই এলাকাটি মাওবাদীদের ১ নম্বর ব্যাটেনিয়নের ঘাঁটি। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে মাওবাদীরা একটি প্রেস বিবৃতি মারফত গ্রামবাসীদের পাহাড়ে প্রবেশ করতে না করে। তারা জানিয়ে দেয়, এই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছে।

    দেশকে মাওবাদীমুক্ত করার শপথ

    প্রসঙ্গত, দেশকে মাওবাদীমুক্ত করতে দ্বিমুখী কৌশল নিয়েছে কেন্দ্র (Anti Naxal Operation)। একদিকে যেমন মাও-দমনে জোর দেওয়া হচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে তাদের আত্মসমর্পণেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের ভালো প্যাকেজও দেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে। তার জেরেই মিলছে একের পর এক সাফল্য। চলতি বছর এ পর্যন্ত শুধু ছত্তিশগড়েই (Chhattisgarh) খতম হয়েছে ১৫০ মাওবাদী। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “২০২৬ সালের ৩১ মার্চের আগেই আমরা দেশ থেকে নকশালবাদের সম্পূর্ণ নির্মূল করব, যাতে এর কারণে দেশের কোনও নাগরিকের প্রাণহানি না হয় (Anti Naxal Operation)।”

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা আরব মুলুকের, কে কী বলল?

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা আরব মুলুকের, কে কী বলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) তীব্র নিন্দা করেছে আরব বিশ্বের (Arab World) বিভিন্ন দেশ। মঙ্গলবারই দু’দিনের সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনই দুপুরে পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করা হয়। জঙ্গি হামলায় এক নেপালি-সহ মোট ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

    কুয়েতের প্রতিক্রিয়া (Pahalgam Terror Attack)

    কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স, সাবাহ খালেদ আল হামাদ আল সাবাহ পহেলগাঁওয়ে মর্মান্তিক প্রাণহানির জন্য বুধবারই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন আহতদের। সৌদি আরবের বিদেশমন্ত্রকও এই হামলার নিন্দা করে জারি করেছে বিবৃতি। তাতে বলা হয়েছে, “সব ধরনের হিংসা, চরমপন্থা এবং অসামরিক নাগরিকদের টার্গেটে পরিণত করার ক্ষেত্রে সৌদি আরব তার দৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করে।” বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, “ভুক্তভোগীদের পরিবার ও ভারত প্রজাতন্ত্রের সরকার ও জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশ করা হচ্ছে।”

    সৌদি আরবের প্রতিক্রিয়া

    প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের সময় দুই দেশই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উভয় পক্ষ ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহলেগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, যেখানে নিরীহ অসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি ঘটেছে।” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যে কোনও কারণেই হোক না কেন, কোনও জঙ্গি কর্মকাণ্ডের কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে পারে না। উভয় পক্ষই সন্ত্রাসবাদকে কোনও নির্দিষ্ট জাতি, ধর্ম বা সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করার যে কোনও প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে যে সন্ত্রাসবাদ এবং সকল ধরণের সহিংস চরমপন্থা মানবতার জন্য সবচেয়ে গুরুতর হুমকির মধ্যে রয়েছে (Pahalgam Terror Attack)।”

    জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, “সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে সকল ধরণের হিংসা ও সন্ত্রাসবাদকে স্থায়ীভাবে প্রত্যাখ্যান করছে (Arab World)।” সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ভারত সরকার ও জনগণের পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে (Pahalgam Terror Attack)।

  • Indus Waters Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করল ভারত, থমকে যাবে পাক জনজীবন? জানুন বিস্তারিত

    Indus Waters Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করল ভারত, থমকে যাবে পাক জনজীবন? জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন ২৭ জন ভারতীয়। লস্কর-ই-তৈবার শাখা, রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই হামলা চালায়। এর ঠিক একদিন পরেই বুধবার মোদি সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে কয়েক দশকের পুরনো সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Waters Treaty) স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সিন্ধু নদী সমেত তার শাখানদীগুলি – ঝিলাম, চেনাব, রবি, বিপাশা এবং শতদ্রুর জল পাকিস্তানে আর যাবে না। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের পরে বেশ বিপাকে পড়তে চলেছে পাকিস্তান। এমনটাই মনে করছেন ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। চুক্তি স্থগিতের বিরাট প্রভাব পড়তে চলেছে কয়েক কোটি পাক নাগরিকের ওপর। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় হামলার পরে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছিলেন ‘‘রক্ত এবং জল একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।’’ তবে সেসময় ভারত জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত না করার সিদ্ধান্ত নেয়।

    চুক্তি স্বাক্ষর হয় ১৯৬০ সালে (Indus Waters Treaty)

    ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই দুই দেশ ছাড়াও অতিরিক্ত স্বাক্ষরকারী ছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। এই চুক্তিতে সিন্ধু এবং এর উপনদীগুলির জল দুই দেশের মধ্যে ন্যায্যভাবে ভাগ করার কথা বলা হয়েছিল। চুক্তির অধীনে, পূর্বাঞ্চলীয় ৩ নদী – বিপাশা, রবি এবং শতদ্রুর জল ভারতকে এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় ৩ নদী – চেনাব, সিন্ধু এবং ঝিলামের জল পাকিস্তানকে বরাদ্দ করা হয়েছিল (Indus Waters Treaty)। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশকে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে একে অপরের নদী ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। যেমন ছোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু, জলসেচ ইত্যাদি কাজে।

    কে কীভাবে জলের ভাগ পাবে

    এই চুক্তি অনুযায়ী (Indus Waters Treaty) পূর্বাঞ্চলীয় তিনটি নদী – বিপাশা, রবি এবং শতদ্রু নদীর জলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পায় ভারত। এই নদীগুলি ভারতেই অবস্থিত। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই নদীগুলির গড় বার্ষিক প্রবাহ ৪১ বিলিয়ন (৪ হাজার ১০০ কোটি) ঘনমিটার। অন্যদিকে, তিনটি পশ্চিমাঞ্চলীয় নদী সিন্ধু, চেনাব এবং ঝিলাম – নদীর জলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পায় পাকিস্তান। এই নদীগুলির গড় বার্ষিক প্রবাহ ৯৯ বিলিয়ন (৯ হাজার ৯০০ কোটি) ঘনমিটার।  ভারতে অবস্থিত সিন্ধু নদীর মোট জলের প্রায় ৩০ শতাংশ পায় ভারত। অন্যদিকে বাকি ৭০ শতাংশ পায় পাকিস্তান।

    সিন্ধু জল চুক্তির (Indus Waters Treaty) প্রস্তাবনায় কী বলা হয়েছে

    সিন্ধু জল চুক্তির প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে সদিচ্ছা, বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার মনোভাবের কথা। সিন্ধু নদীর জল থেকে দুই দেশই যাতে উপকৃত হয় এবং সুবিধা পায়, সেকথাই বলা হয় প্রস্তাবনায়। ওই চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু নদী ব্যবস্থায় ভারতীয় অংশে অবস্থিত যে কোনও বাঁধ, ব্যারেজ, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদিতে পাকিস্তান হামলা চালালে তা চুক্তি লঙ্ঘন বলে মনে করা হবে। এর ফলে বাতিল করা হতে পারে সিন্ধু জল চুক্তি।

    ভারত-পাকিস্তানের বাঁধ বিরোধ

    এই চুক্তি মূলত জল বণ্টনের ওপর তৈরি হলেও জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত কিষাণগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প (Indus Waters Treaty) নিয়ে দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ রয়েছে। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের ঝিলাম নদীর একটি উপনদী হল কিষাণগঙ্গা। এই কিষাণগঙ্গা নদীর এক পাড়ে বান্দিপোরা জেলায় কিষাণগঙ্গা প্রকল্পটি ২০১৮ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল। অন্যদিকে, কিশতোওয়ার জেলার চেনাব নদীর উপর অবস্থিত রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ চলছে। পাকিস্তানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নির্মিত এই দুই ভারতীয় বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাক সরকারের দাবি, এর ফলে তাদের সেচযোগ্য জল সরবরাহকারী নদীগুলির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক মঞ্চের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ ভারতকে কিষাণগঙ্গা বাঁধ নির্মাণের অনুমতি দেয়। খারিজ করে পাকিস্তানের দাবি। চলতি বছরে, নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালত ভারত সরকারের অবস্থানকেই সমর্থন করেছে। আদালতে রায় হল, বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জল চুক্তি তৈরি হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে ভারতের সিদ্ধান্ত সঠিক। কাশ্মীরে কিষাণগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আবেদনের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়।

    কেন ভয় পায় পাকিস্তান?

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Waters Treaty) কোনওভাবেই দুই দেশের নিরাপত্তার দিকে কোনওভাবেই যুক্ত নয়। পাকিস্তানের বরাবরেরই আশঙ্কা যে সিন্ধুর উপনদীগুলির প্রবাহের একেবারে নিচের অংশে তাদের অবস্থান। তাই ভারত যে কোনও সময় তাদের দেশে বন্যা বা খরার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। আর যদি যুদ্ধ লাগে তাহলে তো এটা হতেই পারে। এমন আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রথম থেকেই। অর্থাৎ ১৯৪৮ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বাঁধে। এই যুদ্ধের অন্যতম কারণ ছিল সিন্ধু নদীর জল ব্যবস্থার উপর কার অধিকার থাকবে। তবে পরবর্তীকালে ১৯৬০ সালে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে অন্তত জল ব্যবস্থার অধিকার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কখনও যুদ্ধ বাঁধেনি। এ নিয়ে বেশিরভাগই তাদের যে বিরোধ সামনে এসেছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একটা সময় ছিল যখন সিন্ধু জল চুক্তিকে একসময় বিশ্বের সবচেয়ে সফল জল বন্টন চুক্তি হিসেবে মনে করা হত। কিন্তু বর্তমানে বারবার সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় এবং প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে সেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করতে বাধ্য হল মোদি সরকার।

    পাকিস্তানের জিডিপির ২৫ শতাংশ নির্ভর করে এই সিন্ধুর জলের উপরেই

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ার ফলে চরম দুর্দিনে পড়তে চলেছে পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সেদেশের ৮০ শতাংশ কৃষিজমিতে জল সরবরাহ হয় এই চুক্তির মাধ্যমেই। এমনিতেই আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। তারপরে এমন চুক্তি স্থগিত করার অর্থ হল মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। জানা যাচ্ছে, সেচের জন্য প্রয়োজনীয় জলের ৯০ শতাংশেরও বেশি আসে সিন্ধু নদী থেকে। এর পাশাপাশি করাচি, মুলতান, লাহোরের মতো বড় শহরগুলিতেও সিন্ধু নদীর জলই ব্যবহৃত হয়। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, পাকিস্তানের তারবেলা এবং মাংলার জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চলে সিন্ধুর জল থেকেই। গম, চাল, আখ, তুলো চাষ এবং পাকিস্তানের জিডিপির ২৫ শতাংশ নির্ভর করে এই সিন্ধুর জলের উপরেই, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই চুক্তি মোতাবেক জল না পেলে পাকিস্তানের কৃষি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, জনজীবন-সবই থমকে যাবে বলে আশঙ্কা পাক নাগরিকদের। এমনিতেই পাকিস্তানে প্রবল জল সংকট চলছে, তাই সিন্ধু নদীর জল না পেলে কার্যত শুকিয়ে যাবে দেশের বিরাট অংশ।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের, পাকিস্তানকে ‘ভাতে’ মারতে পাঁচ পদক্ষেপ ভারতের

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের, পাকিস্তানকে ‘ভাতে’ মারতে পাঁচ পদক্ষেপ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের (Pahalgam Attack) পর এবার পাকিস্তানকে আক্ষরিক অর্থেই ভাতে মারতে উদ্যোগী হল ভারত। মঙ্গলবার দুপুরে পহেলগাঁওয়ে গুলি করে খুন করা হয়েছে এক নেপালি-সহ ২৮ জনকে। এঁদের মধ্যে ২৭ জনই হিন্দু। পর্যটকরা হিন্দু কিনা তা জেনেই, তার পরে (Indus Waters Treaty) গুলি করে জঙ্গিরা। পাক-মদতপুষ্ট এই জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকাজুড়ে চলছে তল্লাশি।

    কূটনৈতিক ও কৌশলগত পদক্ষেপ (Pahalgam Attack)

    পর্যটকদের ওপর হামলার কারণে এবার মোদি সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও কৌশলগত পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভার কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত এই পদক্ষেপগুলির জেরে পাকিস্তান যে ঘোর বিপাকে পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বুধবার রাতে নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষ হয় রাত ৯টা নাগাদ। তার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। তিনিই জানান, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেওয়া পাঁচটি পদক্ষেপের কথা। বিদেশ সচিব জানান, জম্মু-কাশ্মীরে সম্প্রতি সফলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপত্যকায় উন্নতি হচ্ছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতি হচ্ছে। সেই আবহে এই হামলা।

    প্রথম পদক্ষেপ – সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত

    ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে পাঁচটি প্রধান পদক্ষেপ করেছে, তার মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত। বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারত পূর্বাঞ্চলীয় নদীগুলির – রবি, বিয়াস ও শতদ্রুর জল নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে, পাকিস্তান পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলির সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর ওপর অধিকার কায়েম রাখে। তবে এই তিন নদীর সীমিত জল ব্যবহারের অধিকার ভারতের রয়েছে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একাধিক যুদ্ধ এবং উত্তেজনার আবহেও এই চুক্তি টিকে ছিল দশকজুড়ে। এই চুক্তিটি আপাতত স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। শর্ত হল, পাকিস্তানকে বিশ্বাসযোগ্য ও অপরিবর্তনীয়ভাবে সীমান্ত-পার সন্ত্রাসবাদে সমর্থন জোগানো বন্ধ করতে হবে। ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত হল, যত দিন না পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের প্রতি তার সমর্থন প্রত্যাহার করছে, ততদিন এই চুক্তি স্থগিত থাকবে (Pahalgam Attack)।

    দ্বিতীয় পদক্ষেপ – আটারি চেক পোস্ট বন্ধ

    ভারত-আটারি ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে এই পথে সব ধরনের সীমান্ত পারাপার বন্ধ হয়েছে। এতে মানুষ ও পণ্য চলাচলও স্থগিত করা হয়েছে। যারা ইতিমধ্যেই বৈধ নথিপত্র নিয়ে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে এসেছেন, তাঁদের ২০২৫ সালের ১ মে-র মধ্যে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। এই প্রধান স্থলবন্দর বন্ধের উদ্দেশ্য হল, ভবিষ্যতে সীমান্ত পারাপার আরও সীমিত করা এবং পাকিস্তানের প্রতি কঠোর বার্তা পাঠানো (Indus Waters Treaty)।

    তৃতীয় পদক্ষেপ – পাকিস্তানিদের সার্ক ভিসা বাতিল

    তৃতীয় পদক্ষেপ হিসেবে সার্ক ভিসা অব্যাহতি প্রকল্পের অধীনে কোনও পাকিস্তানিকে আর ভারতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আগে এই ভিসায় ভারতে আসার জন্য পাকিস্তানিদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই সব অনুমতিই বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। এই ভিসা প্রকল্পের অধীনে যে সব পাক নাগরিক এখনও ভারতে রয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের ভারত ছাড়তে হবে। প্রসঙ্গত, সার্ক ভিসা অব্যাহতি প্রকল্প হল সার্কের সদস্য দেশগুলির মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি বিশেষ চুক্তি, যার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ভিসা ছাড়াও বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মলদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কা – এই সাত দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারেন নাগরিকরা। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তুলে নেওয়া হচ্ছে এই অনুমতি (Pahalgam Attack)।

    চতুর্থ পদক্ষেপ – দূতাবাস কর্তাদের নির্দেশ

    চতুর্থ পদক্ষেপ হিসেবে ইসলামাবাদে উপস্থিত ভারতীয় দূতাবাস থেকে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, নৌ উপদেষ্টা এবং বায়ু উপদেষ্টাকে ফিরিয়ে নিচ্ছে ভারত। তুলে নেওয়া হচ্ছে তাঁদের সহকারিদেরও। একই সঙ্গে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, নৌ উপদেষ্টা এবং বায়ু উপদেষ্টাকে ‘পার্সোনা নন গ্রাতা’ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হচ্ছে। ভারত ছাড়ার জন্য তাঁদের এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে (Indus Waters Treaty)।

    পঞ্চম পদক্ষেপ – দূতবাসে কর্মী সংকোচন

    পঞ্চম পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের সদস্য সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ করা হচ্ছে। চলতি বছরের ১ মে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে (Pahalgam Attack)।

    প্রসঙ্গত, এদিনের ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল-সহ সরকারের পদস্থ কর্তারা। এই সভায়ই বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়। পহেলগাঁওয়ে হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে ভারতীয় সেনা ও পুলিশ ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সাতজন জঙ্গির একটি দল এই হামলা চালায় (Indus Waters Treaty)। এদের মধ্যে কয়েকজন পাকিস্তানিও ছিল (Pahalgam Attack)।

  • Vitamin deficiency: শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে বমি বমি ভাব! কোন ভিটামিনের অভাবে বাড়ছে শারীরিক জটিলতা? 

    Vitamin deficiency: শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে বমি বমি ভাব! কোন ভিটামিনের অভাবে বাড়ছে শারীরিক জটিলতা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হঠাৎ করেই বুকের মাঝে চিনচিনে ব্যথা। তার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট! কিংবা ঘরের ভিতরে কাজ করতে করতে হঠাৎ মাথা ঘুরতে শুরু করল। দিনভর বমি বমি ভাব! এমন নানান শারীরিক সমস্যায় অনেকেই ভোগেন‌। এই ধরনের সমস্যায় স্বাভাবিক জীবন যাপনও ব্যাহত হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিনের অভাবেই এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি (Vitamin deficiency) দেখা দিলে এই ধরনের নানান উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাই ভিটামিনের অভাবে সমস্যা হচ্ছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তাহলে জানা দরকার, ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে কোন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়?

    শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে ভিটামিন বি ১২ ঘাটতি দেখা দিলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হতে পারে। কারণ, ভিটামিন বি ১২ ঘাটতি হলে রক্তে লোহিত কণিকার মাত্রা কমে যায়। এর ফলে রক্তকোষে অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিকমতো হয় না। এর জেরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা যায়।

    হৃদস্পন্দন ওঠানামা করে (Vitamin deficiency)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকের হঠাৎ বুক ধড়ফড় করে! শরীরে অস্বস্তি অনুভব হয়। এই ধরনের সমস্যার অন্যতম কারণ হৃদস্পন্দনের অনিয়মিত ওঠানামা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে শরীরে লোহিত কণিকার ঘাটতি হয়। এর ফলে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়।

    স্নায়ুর সমস্যা দেখা দেয়

    অনেক সময়েই ভিটামিন বি ১২ এর অভাবের জেরে (Vitamin deficiency) হাঁটাচলা এবং পেশির সক্রিয়তা কমে যায়। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ভিটামিনের অভাবে স্নায়ুর সক্রিয়তা কমতে থাকে। এর ফলেই স্বাভাবিক হাঁটাচলায় সমস্যা দেখা যায়। পেশির শক্তিও কমতে থাকে।

    দিনভর বমি ভাব

    ভিটামিন বি ১২ অভাবে বমি ভাব দেখা যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে ভিটামিন বি ১২ ঘাটতি হলে পাচনতন্ত্রের উপরে তার প্রভাব পড়ে। তার ফলে হজম সংক্রান্ত নানান সমস্যা তৈরি হতে থাকে। এর ফলে বমি ভাব দেখা যায়। তাছাড়া খাবারের প্রতি অনিহা তৈরি হয়। যা শরীরকে আরও দূর্বল করে দেয়।

    মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হয় (Vitamin deficiency)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন বি ১২ অভাব শরীরের পাশপাশি মনের স্বাস্থ্যের পক্ষেও জোরালো প্রভাব ফেলে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ভিটামিনের অভাবে দিনভর ক্লান্তি বোধ থাকে। শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। তাই যে কোনও কাজেই আগ্রহ কমে। মেজাজ খিটখিটে থাকে। সবমিলিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে‌।

    কীভাবে সহজেই ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি মেটানো সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু ঘরোয়া খাবার থেকে শরীর সহজেই ভিটামিন বি ১২ চাহিদা (Vitamin deficiency) পূরণ করতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডিম বিশেষত ডিমের কুসুম খেলে সহজেই ভিটামিন বি ১২ চাহিদা পূরণ হয়। ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ থাকে। তাই নিয়মিত ডিমের কুসুম খেলে সহজেই ভিটামিন বি ১২ জোগান পাওয়া যাবে।
    দুধ, পনীর এবং দই এই তিনটি খাবার থেকে শরীর সহজেই ভিটামিন বি ১২ চাহিদা পূরণ করতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত দুগ্ধজাত খাবার খেলে ভিটামিন বি ১২ চাহিদা পূরণ হয়‌।
    আপেল এবং বেরি জাতীয় ফলেও থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২। তাই নিয়মিত এই জাতীয় ফল খেলেও শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ জোগান বজায় থাকে।
    এছাড়াও মাশরুম এবং মাংস ভিটামিন বি ১২ জোগান বজায় রাখে। সপ্তাহে অন্তত একদিন মাংস কিংবা মাশরুমের পদ খাদ্যতালিকায় রাখলে ভিটামিন বি ১২ জোগান সহজ হয়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ramakrishna 332: “কীর্তনিয়া কীর্তন সমাপ্ত হইল, কেহ কেহ মা কালীর ও রাধাকান্তের মন্দিরে আরতি দর্শন করলেন”

    Ramakrishna 332: “কীর্তনিয়া কীর্তন সমাপ্ত হইল, কেহ কেহ মা কালীর ও রাধাকান্তের মন্দিরে আরতি দর্শন করলেন”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ৯ই নভেম্বর
    ভক্তসঙ্গে সংকীর্তনানন্দে

    অনেক ভক্তেরা আসিয়াছেন। শ্রীযুক্ত বিজয় গোস্বামী, মহিমাচরণ, নারায়ণ, অধর, মাস্টার, ছোট গোপাল ইত্যাদি। রাখাল, বলরাম তখন শ্রীবৃন্দাবনধামে আছেন।

    বেলা ৩-৪টা বাজিয়াছে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বারান্দায় কীর্তন শুনিতেছেন। কাছে নারাণ আসিয়া বসিলেন। অন্যান্য ভক্তেরা চতুর্দিকে বসিয়া আছেন।

    এমন সময় অধর আসিয়া উপস্থিত হইলেন। অধরকে দেখিয়া ঠাকুর যেন শশব্যস্ত হইলেন। অধর প্রণাম করিয়া আসন গ্রহণ করিলে ঠাকুর তাঁহাকে আরও কাছে বসিতে ইঙ্গিত করিলেন।

    কীর্তনিয়া কীর্তন সমাপ্ত করিলেন। আসর ভঙ্গ হইল। উদ্যানমধ্যে ভক্তেরা এদিক-ওদিক বেড়াইতেছেন। কেহ কেহ মা কালীর ও রাধাকান্তের মন্দিরে আরতি দর্শন করিতে গেলেন।

    সন্ধ্যার পর ঠাকুরের ঘরে আবার ভক্তেরা আসিলেন।

    ঠাকুরের (Ramakrishna) ঘরের মধ্যে আবার কীর্তন হইবার উদ্যোগ হইতেছে। ঠাকুরের খুব উৎসাহ, বলিতেছেন যে, “এদিকে একটা বাতি দাও।” ডবল বাতি জ্বালিয়া দেওয়াতে খুব আলো হইল।

    ঠাকুর বিজয়কে বলিতেছেন (Kathamrita), “তুমি অমন জায়গায় বসলে কেন? এদিকে সরে এস।”

    এবার সংকীর্তন খুব মাতামাতি হইল। ঠাকুর মাতোয়ারা হইয়া নৃত্য করিতেছেন। ভক্তেরা তাঁহাকে খুব বেড়াইয়া বেড়াইয়া নাচিতেছেন। বিজয় নৃত্য করিতে করিতে দিগম্বর হইয়া পড়িয়াছেন। হুঁশ নাই।

    কীর্তনান্তে বিজয় চাবি খুঁজিতেছেন, কোথায় পড়িয়া গিয়াছে। ঠাকুর বলিতেছেন, “এখানেও একটা হরিবোল খায়।” এই বলিয়া হাসিতেছেন। বিজয়কে আরও বলিতেছেন, “ও সব আর কেন” (অর্থাৎ তার চাবির সঙ্গে সম্পর্ক রাখা কেন)!

    কিশোরী প্রণাম করিয়া বিদায় লইতেছেন (Kathamrita)। ঠাকুর যেন স্নেহে আর্দ্র হইয়া তাঁহার বক্ষে হাত দিলেন আর বলিলেন, “তবে এসো।” কথাগুলি যেন করুণামাখা। কিয়ৎক্ষণ পরে মণি ও গোপাল কাছে আসিয়া প্রণাম করিলেন—তাঁহারা বিদায় লইবেন। আবার সেই স্নেহমাখা কথা। কথাগুলি হইতে যেন মধু ঝরিতেছে। বলিতেছেন, “কাল সকালে উঠে যেও, আবার হিম লাগবে?”

    মণি এবং গোপালের আর যাওয়া হইল না, তাঁহারা আজ রাত্রে থাকিবেন। তাঁহারা ও আরও ২/১ জন ভক্ত মেঝেতে বসিয়া আছেন। কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর শ্রীযুক্ত রাম চক্রবর্তীকে বলিতেছেন, “রাম, এখানে যে আর-একখানি পাপোশ ছিল। কোথায় গেল?”

    ঠাকুর সমস্ত দিন অবসর পান নাই—একটু বিশ্রাম করিতে পান নাই। ভক্তদের ফেলিয়া কোথায় যাইবেন! এইবার একবার বর্হিদেশে যাইতেছেন। ঘরে ফিরিয়া আসিয়া দেখিলেন যে, মণি রামলালের নিকট গান লিখিয়া লইতেছেন —

    “তার তারিণি!
    এবার ত্বরিত করিয়ে তপন-তনয়-ত্রাসিত”—ইত্যাদি।

  • Terror Infrastructure: জম্মু-কাশ্মীরের চোখ ধাঁধানো উন্নতিই কাল হয়েছে! তাই কি পহেলগাঁওয়ে হামলা পাক-জঙ্গিদের?

    Terror Infrastructure: জম্মু-কাশ্মীরের চোখ ধাঁধানো উন্নতিই কাল হয়েছে! তাই কি পহেলগাঁওয়ে হামলা পাক-জঙ্গিদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নতি ও গত বছর রেকর্ড ২৯ লক্ষ পর্যটকের আগমন পাকিস্তানকে (Pakistan) ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।’ তার জেরেই পহেলগাঁওয়ে এই হামলা বলে মনে করছেন সেনাকর্তারা। মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার (Terror Infrastructure) পরে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছে মূলচক্রী লস্কর নেতা সইফুল্লা। ভারতের সেনা কর্তারা জানান, পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি পরিকাঠামো সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে। প্রধান প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ এলাকায় রয়েছে। তবে লঞ্চ প্যাড এখনও সক্রিয় লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর।

    পাক সেনা প্রধানের উসকানিমূলক বক্তব্য (Terror Infrastructure)

    এই হত্যালীলার দিন কয়েক আগেই পাক সেনা প্রধান আসিম মুনির কাশ্মীরকে ইসলামাবাদের ঘাড়ের শিরা বলে দাবি করেছিলেন। দ্বি-জাতি তত্ত্বের উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, “আমাদের অবস্থান একদম স্পষ্ট। এটা (কাশ্মীর) আমাদের ঘাড়ের শিরা ছিল, থাকবেও, আমরা তা ভুলব না। আমরা আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের তাদের সংগ্রামে একা ছাড়ব না।” মঙ্গলবার ঘটনার পরে পরেই সেনাবাহিনীর এক প্রবীণ কর্তা বলেছিলেন, “৭৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এলওসি বরাবর শক্তিশালী অন্তঃপ্রবেশ-রোধ জাল থাকায় জঙ্গিরা এখন জম্মু-কাশ্মীরে ঢোকার জন্য অন্য পথ ব্যবহার করছে। গত বছর এলওসিতে ১০টি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে। খতম হয়েছে ২৫ জন জঙ্গি।”

    বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করতেই হামলা!

    পহেলগাঁও অঞ্চলে সেনাবাহিনীর কোনও বড়ো অংশ মোতায়েন ছিল না। তবে স্থানীয় রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি বিশেষ বিপ্লব-বিরোধী ইউনিট দুপুরে নৃশংসতার খবর পাওয়া মাত্র কয়েকটি কলাম পাঠায়। সেনাকর্তাদের মতে, এই “স্বল্পখরচে, উচ্চপ্রভাব” হামলাটি সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্সের ভারত সফর এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সৌদি আরব সফরের সময় ঘটানো হয়েছে। তামাম বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করতেই (Terror Infrastructure) এটা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে প্রমিনেন্ট ইসলামিক দেশ।

    সেনাকর্তাদের মতে, গত দু’বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ১৪৪ জন জঙ্গি নিকেশ হওয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি তাদের অস্তিত্ব জানান দিতে বড় ধরনের হামলার ছক কষেছিল। এক সেনাকর্তা বলেন, “পাকিস্তান ও পিওকেতে জঙ্গি পরিকাঠামো, যেখানে লস্কর-ই-তৈবা(LeT), জইশ-ই-মোহাম্মদ(JeM), ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল(UJC), আল-বদরের মতো জঙ্গি সংগঠনের কৌশলগত অস্ত্র, জিহাদি সেমিনার ও মাদ্রাসা নেটওয়ার্ক এখনও সক্রিয়।” তিনি বলেন, “জেনারেল মুনিরের সম্প্রতি ভারত-বিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য (Pakistan) থেকে স্পষ্ট, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নতি ও গত বছর রেকর্ড ২৯ লক্ষ পর্যটকের আগমন পাকিস্তানকে ক্ষুব্ধ করেছে (Terror Infrastructure)।” প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের। তার জেরে ফি বছর বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেটাই চোখ টাটিয়েছে পাক সেনার।

LinkedIn
Share