Tag: bangla news

bangla news

  • Vikramaditya-Vikrant: প্রথমবার পাশাপাশি ‘ভি-২’! একসঙ্গে আরব সাগরে ঝড় তুলল ‘বিক্রান্ত-বিক্রমাদিত্য’

    Vikramaditya-Vikrant: প্রথমবার পাশাপাশি ‘ভি-২’! একসঙ্গে আরব সাগরে ঝড় তুলল ‘বিক্রান্ত-বিক্রমাদিত্য’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনা চলছিলই। এবার সাক্ষাত হল সেই দৃশ্য। আরব সাগরের নীলাভ জলে ঢেউ তুলে প্রথমবার একসঙ্গে পাশাপাশি এগিয়ে চলল ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) দুই বিমানবাহী রণতরী— আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও আইএনএস বিক্রান্ত (Vikramaditya-Vikrant)। 

    একা তো নয়! দুই দুই এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারকে ‘এসকর্ট’ (Vikramaditya-Vikrant) করে সঙ্গে চলল তাদের নিজস্ব ‘ব্যাটল গ্রুপ’। কী নেই তাতে! দুই বিশাল জাহাজের ডেকে অভিযানে প্রস্তুত ৩৫টি ফাইটার জেট। বাঁয়ে-ডাইনে, আগে-পিছনে ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, এএসডব্লু করভেট। জলের নিচ দিয়ে চলা সাবমেরিন ও আকাশে ভ্রাম্যমান নজরদারি বিমান। সাম্প্রতিক অতীতে, এত বড় আকারে শক্তি-প্রদর্শন করেনি ভারতীয় নৌসেনা। 

    আরও পড়ুন: সুরাটে মিলল আইএস মডিউলের সন্ধান! ধৃত ১ মহিলা-সহ ৪

    সাম্প্রতিক অতীতে, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ক্ষমতার আস্ফালন করতে বার বার দেখা গিয়েছে চিনকে। যে হারে সমুদ্রে নিজেদের কায়েমি বৃদ্ধি করে চলেছে ড্রাগনের দেশ, তার মোকাবিলা করতে কোনও ভাবেই একটা অপারেশনাল বিমানবাহী রণতরী যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে, ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্ত— উভয় দিকই সামন্তরালভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ, একসঙ্গে চিন ও তার ‘সব ঋতুর বন্ধু’ পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে পাশাপাশি, দুটি অপারেশনাল এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। এতদিনে সেটা বাস্তব রূপ পেল।

    এই প্রদর্শনের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু অবশ্যই ছিল বিক্রান্ত ও বিক্রমাদিত্য (Vikramaditya-Vikrant)। তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দুই বিমানবাহী রণতরীকে তাদের নিজস্ব বহর নিয়ে এগোতে দেখে, দেশবাসী যে অনেকটাই নিরাপদ অনুভব করবেন, তা নিশ্চিত। বিক্রান্ত-বিক্রমাদিত্য ক্যারিয়ারের ডেক থেকে এক-এক করে উড়ছে মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান। কখনও আবার ল্যান্ডিং করছে এমএইচ-৬০আর, কামোভ, এএলএইচ হেলিকপ্টার। এই মহড়া বা প্রদর্শনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল দুই বিমানবাহী রণতরীর মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা। 

    গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস বিক্রান্ত। অন্যদিকে দীর্ঘ রক্ষণাবেক্ষণের পর ফের জলে নেমেছে আইএনএস বিক্রমাদিত্য। নৌসেনার মুখপাত্র কমান্ডার বিবেক মাধওয়াল বলেন, ৩৫টি যুদ্ধবিমান নিয়ে আরব সাগরে দুটি ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপের অপারেশন চালিয়েছে নৌসেনা। তিনি জানান, নৌসেনার ইতিহাসে এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত (Vikramaditya-Vikrant)। জাতীয় স্বার্থ, আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা ও বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সমুদ্রে সুসম্পর্ক স্থাপন ও সহযোগিতাপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় নৌসেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সাংগঠনিক ভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী, শতাধিক বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা পড়ল নদিয়ায়

    Nadia: সাংগঠনিক ভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী, শতাধিক বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা পড়ল নদিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া (Nadia) জেলায় সাংগঠনিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী বিজেপি, এখানে গণতান্ত্রিকভাবে ভোট হবে, বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নেই তৃণমূলের, এমনটাই বললেন নদিয়ার বিজেপি বিধায়ক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপুর থানার ফুলিয়া বিডিও অফিসে বিজেপির শতাধিক মনোনয়ন জমা পড়ল আজ। গত দুই দিনে প্রচুর সংখ্যায় বিজেপির মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী।

    নদীয়ার (Nadia) বিধায়ক কী বললেন?

    মনোনয়ন জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিনে বিজেপির প্রায় শতাধিক প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা করেছেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট (Nadia) উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চ্যাটার্জী। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ইলেকশন কমিশনের এই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত শুধু আমাদের নয়, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্যই অসুবিধার সৃষ্টি করছে। ইলেকশন প্রক্রিয়া শুরুর আগে কিছু গণতান্ত্রিক নিয়ম থাকে। যেখানে অন্তত এক সপ্তাহ আগে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এখানে কিছুই মানা হয়নি। নিজেদের সুবিধামতো কমিশনকে কাজে লাগিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। শাসক দল চাইছে না এ রাজ্যে কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দল থাকুক। তবে আমরা প্রতিটি বাধা পেরিয়ে সাংগঠনিক দিক থেকে ১০০ শতাংশ প্রস্তুত রয়েছি। প্রতিটি পঞ্চায়েত স্তরেই আমরা প্রার্থী দেব এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াই চালিয়ে যাব।

    ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে না তো!

    পাশাপাশি বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী (Nadia) কটাক্ষের সুরে বলেন, রাজ্য পুলিশ দিয়ে বিগত ১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পুনরায় করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। আর সেই জন্যই একদিনে গোটা রাজ্যের ভোট, রাজ্যের পুলিশকে দিয়ে ভোট লুট করার পরিকল্পনা করছে রাজ্যের শাসক দল। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল চাইছে গোটা রাজ্যে বিরোধী শূন্য ভোট হোক। আর এই লক্ষমাত্রাকে নিয়ে রাজ্য সরকার, নির্বাচন কমিশনকে পুরোপুরি ভাবে পরিচালনা করছে। বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী আরও বলেন, নদিয়া জেলায় শাসক দলের কোনও নেতা কর্মীরা বিজেপির মনোনয়নকে আটকাতে পারবে না। অনেক প্রতিকুলতার মধ্যে আমরা রাজনৈতিক বিরোধিতা করেও আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা করব। আমরা এই দুর্নীতি গ্রস্থ সরকারের বিরুদ্ধে সর্ব শক্তি দিয়ে এই নির্বাচনে লড়াই করব।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: “অভিষেককে ডেকে লাভ হবে না”, ‘কালীঘাটের কাকু’র মন্তব্যে রহস্যের গন্ধ

    Kalighater Kaku: “অভিষেককে ডেকে লাভ হবে না”, ‘কালীঘাটের কাকু’র মন্তব্যে রহস্যের গন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারালেন ‘কালীঘাট কাকু’ (Kalighater Kaku)। পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, ‘আমার ২০০ কোটি আছে তো আপনার কি? শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি, গৌত আদানিরও এত টাকা। তা নিয়ে তো কেউ কোনও কথা বলে না। শুধু আমার বেলাতেই কেন টাকার অঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে?’ শনিবার রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকার ইএসআই হাসপাতালে কালীঘাট কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে গিয়েছিল ইডি। সেখানেই তাঁকে সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁর ছ’টি সংস্থায় যে ২০-২২ কোটি টাকার বিনিয়োগের খবর পাওয়া যাচ্ছে তা কি সত্যি? তাতেই মেজাজ হারান কালীঘাট কাকু। 

    সংস্থায় বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন

    ওই ছ’টি সংস্থায় নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে সুজয়কৃষ্ণভদ্র বলেন, ‘কোনও কিছু নেই। ২০০৮ সাল থেকে কাজ করছি। ইডিকে সব তথ্য দিয়েছি।’ উল্লেখ্য, গত ৩০ মে ইডি গ্রেফতার করে সুজয়কৃষ্ণকে। তার আগে তিনি দু’বার সিবিআই দফতরে হাজিরাও দিয়েছিলেন। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারের প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে না পারার কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আপাতত তিনি হেফাজতে।

    অভিষেককে ডেকে লাভ নেই

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলব নিয়েও মুখ খুলেছেন কালীঘাট কাকু। তিনি বলেছেন, ‘ডেকে কোনও লাভ হবে না।’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের এই মন্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছ। কারণ, তিনি অভিষেক বন্দ্যাপাধ্যায়ের কোম্পানিতেই কাজ করতেন। সেই যোগসূত্রও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: সিভিককে উর্দি পরিয়ে পুলিশ করার ছক রাজ্যের! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    এদিকে, সিভিক ভলিন্টিয়ার রাহুল বেরাকে গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। জেরায় নাকি বিষ্ণুপুরের ওই সিভিক ভলিন্টিয়ার বহু তথ্য উগরে দিয়েছেন বলে খবর। রাহুলের দেওয়া তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কালীঘাট কাকুর মোবাইলের যাবতীয় ডেটা ডিলিট করেছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গ টেনে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়, রাহুল নাকি জেরায় অনেক কিছু বলেছেন গোয়েন্দাদের? কালীঘাট কাকুর জবাব, ‘যা ইচ্ছা বলুক।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: শাহি দাওয়াই! হিংসাদীর্ণ মণিপুরে শান্তি ফেরাতে শান্তিরক্ষক কমিটি গঠন কেন্দ্রের

    Manipur: শাহি দাওয়াই! হিংসাদীর্ণ মণিপুরে শান্তি ফেরাতে শান্তিরক্ষক কমিটি গঠন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসাদীর্ণ মণিপুরে (Manipur) শান্তি ফেরাতে বিশেষ শান্তিরক্ষক কমিটি (Peace Committee) গঠন করল কেন্দ্র। রাজ্যপালের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটিতে রাখা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহকেও। কমিটির সদস্য হিসেবে থাকছেন রাজ্যের সব সাংসদ এবং বিধায়করা। রাখা হয়েছে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরও।

    মণিপুরে (Manipur) শান্তিরক্ষক কমিটি

    কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক, সাহিত্যিক, শিল্পী, সমাজকর্মী ও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের। বিবদমান জনগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করে রফাসূত্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে এই কমিটি। মণিপুরে হিংসার তদন্তে এর আগে ডিআইজি পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে সিট গঠন করেছিল সিবিআই। সিটের সদস্য সংখ্যা ১০। এই সিটই রিপোর্ট দেবে সিবিআইকে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দিয়েছিল কেন্দ্র। এবার গঠন করা হল শান্তিরক্ষক কমিটি।

    পরিস্থিতির মোকাবিলায় কেন্দ্রের পদক্ষেপ

    হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই (Manipur) জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ শুরু হয় ৩ মে থেকে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেয় কেন্দ্র। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনী। সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির ভার দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহকে। তাঁর অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংহকে সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপারেশনাল কমান্ডার-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু মাসাধিককাল কেটে গেলেও হিংসা থামেনি।

    আরও পড়ুুন: ফের জ্বলতে পারে অশান্তির আগুন, মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনী বহাল রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    ঘটনার সূত্রপাত মণিপুর (Manipur) হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়ায়। এরই বিরোধিতায় নামে রাজ্যের বিভিন্ন জনজাতি সংগঠন। পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ। সূত্রের খবর, রাজ্যে এ পর্যন্ত হিংসার বলি হয়েছেন ১০০ জন। গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫০০ জনেরও বেশি। হিংসার জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী।

    প্রসঙ্গত, হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ১ জুন মণিপুরে (Manipur) গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে শান্তি কমিটি গঠনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। তাঁর ওই সফরের পরপরই তোড়জোড় শুরু হয় কমিটি গঠনের। শেষমেশ গঠিত হল কমিটি। বিবদমান জনগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করাই মূল কাজ হবে ওই কমিটির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Panchayat Election 2023: প্রচার সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ জারি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ কমিশনের

    Panchayat Election 2023: প্রচার সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ জারি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। শুক্রবারই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব। এই আবহে শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জারি করা হয়েছে একাধিক বিধি-নিষেধ। মিটিং-মিছিলের অনুমতি পেতে হলে রাজনৈতিক দলগুলিকে কী কী শর্ত মানতে হবে, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের সে সংক্রান্ত নির্দেশও পাঠানো হয়েছে।

    বিধির গেরো

    কমিশনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, মোটরবাইক ও সাইকেল মিছিল করা যাবে না। আপত্তিকর কোনও সামগ্রী নিয়ে শামিল হওয়া যাবে না সভা ও মিছিলে। একটি থানা এলাকায় কোনও একটি রাজনৈতিক দল বা তাদের প্রার্থী দিনে সর্বাধিক তিনটি সভা করতে পারবেন। কোনও এলাকায় সভা ও মিছিল করতে হলে অনুমতি চেয়ে অন্তত তিন দিন আগে আবেদন করতে হবে থানায়। আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে। যে দল আগে আবেদন করবে, অগ্রাধিকার পাবে তারাই। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রেজিস্টারে নথিবদ্ধ করবেন ওসি। কেবল আবেদনপত্র জমা দিলেই হবে না, ওসির অনুমতি মিললে তবেই করা যাবে সভা ও মিছিল।

    ভার্চুয়াল বৈঠক

    এদিকে, শুক্রবার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন নির্বাচন (Panchayat Election 2023) কমিশনার রাজীব সিনহা। সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে হবে। এ ক্ষেত্রে কমিশন যে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করবে না, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: সিভিককে উর্দি পরিয়ে পুলিশ করার ছক রাজ্যের! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালেও। সেবার ঝরেছিল রক্ত। খোয়াতে হয়েছিল বহু প্রাণ। জেলায় জেলায় উঠে এসেছিল অশান্তির ছবি। সংবাদমাধ্যমে ভেসে উঠেছিল বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোটের কাহিনি। শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের দাদাগিরির ছবিও দেখা গিয়েছিল। আর দেখা গিয়েছিল, কীভাবে হচ্ছে ভোট চুরি। শাসক দলের (Panchayat Election 2023) নেতাদের দাপাদাপির কাছে বড্ড অসহায় দেখাচ্ছিল বিরোধী নেতাদের। পাঁচ বছর পর ফের হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আবার হয়তো ঝরবে রক্ত। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। কিন্তু শাসক দল তাতে রাজি হবে কি? প্রশ্ন সেটাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • IS Module in Gujarat: সুরাটে মিলল আইএস মডিউলের সন্ধান! ধৃত ১ মহিলা-সহ ৪

    IS Module in Gujarat: সুরাটে মিলল আইএস মডিউলের সন্ধান! ধৃত ১ মহিলা-সহ ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটের সুরাটে মিলল আইএস (ISIS) মডিউলের সন্ধান! এক মহিলা-সহ চার অভিযুক্তকে পোরবন্দর থেকে গ্রেফতার করল গুজরাট (GUjarat) পুলিশের সন্ত্রাস-বিরোধী স্কোয়াড এটিএস। অভিযুক্তদের মধ্যে ওই মহিলা ছাড়া বাকিরা নাবালক। অভিযুক্তদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আইএসের গোপন নথি ও পতাকা।

    আফগানিস্তানে যাওয়ার পরিকল্পনা

    সূত্রের খবর, এনআইএ-এর থেকে তথ্য পেয়ে এটিএস আইজি-র নেতৃত্বে একটি দল সুরাট সংলগ্ন পোরবন্দরে যায়। সেখান থেকেই সুমেরা নামে ওই মহিলাকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত তিন নাবালক শ্রীনগরের বাসিন্দা। মহিলা এসেছিল সুরাট থেকে। তারা পোরবন্দর থেকে বোট ভাড়া করে আফগানিস্তানে যাওয়ার মতলব কষছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। এও জানা যাচ্ছে, সেখানে গিয়ে আইএস-খোরাসানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাদের।

    এটিএস সূত্রে খবর, টানা ৬ ঘণ্টা ওই মহিলাকে জেরা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের থেকে আইএসের নথি ও পতাকা ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে ভিডিও ও অডিও ক্লিপ। সেখানে সন্ত্রাসের উসকানিমূলক ভাষণ দিতে দেখা যাচ্ছে কাশ্মীরের তরুণদের উদ্দেশে।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীতে না, অথচ পঞ্চায়েতে ভিন্ রাজ্যের পুলিশে আগ্রহ নবান্নর

    সূত্রের খবর ওই মহিলা বিবাহিত এবং তার দুই সন্তান রয়েছে। তার স্বামী দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা। আড়াই বছর আগে ওই মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তরা মাছধরার বোটে ক্যাপ্টেন ও জিপিএস কোঅর্ডিনেটরের দায়িত্বে কাজ করত। গত এক বছর ধরেই আইএসের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছিল তারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Birbhum: বীরভূমে মনোনয়ন জমা করতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি, অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক

    Birbhum: বীরভূমে মনোনয়ন জমা করতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি, অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ই জুন থেকে ১৫ই জুন চলবে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। আর সেই মনোনয়ন করতে গিয়ে এবার আক্রান্ত হল বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৭০ জন বিজেপি কর্মী। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) লাভপুরে।

    কী ঘটেছে (Birbhum)  বীরভূমে

    জানা গিয়েছে, শনিবার গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সমিতির মোট ৭০ জন বিজেপি কর্মী মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন লাভপুরের (Birbhum) ব্লক অফিসে। লাভপুর বাস স্ট্যান্ডে বাস থেকে নেমে ব্লকের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা, ঠিক এমন সময় ব্লক অফিসে ঢোকার আগেই পেট্রোল পাম্পের কাছে, প্রায় ৩০ টি মোটর বাইকে ৬০ জন দুষ্কৃতী হাতে মোটা লাঠি নিয়ে আচমকা মারধর শুরু করে। উল্লেখ্য ঘটনা স্থলের পাশেই পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল, কিন্তু পুলিশ ছিল কেবল দর্শকের ভূমিকায়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বেধড়ক মারে লাভপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের ডান হাত এবং জামনা পঞ্চায়েতের মহাদেব মণ্ডলের বাঁ পা ভেঙে যায়। নির্বাচনে মনোনয়ন না করতে দিয়ে তৃণমূল কার্যত বিরোধী মতকে কণ্ঠরোধ করতে চায় বলে জানায় বিজেপি।

    কী অভিযোগ?

    স্থানীয় (Birbhum) বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ এবং তৃণমূল নেতা মান্নান হোসেনের নেতৃত্বে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। আহত বিজেপি কর্মীদের বোলপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

    মনোনয়ন পত্র জমাকে ঘিরে বিরোধীদের অভিযোগ

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে জেলায় জেলায় উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে প্রথম দিন থেকেই। গতকাল নন্দীগ্রামের বিষ্ণুপুর ১ নম্বর ব্লকে বেশ কিছু বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারেননি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল নির্বাচনের বিশেষ প্রস্তুতির কিছুই ছিল না বলে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল। আজ মনোনয়নের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকাল থেকেই ডোমকলে কংগ্রেস-সিপিএম প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। শাসক তৃণমূল, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে এই মনোনয়নে বাধা বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সিভিককে উর্দি পরিয়ে পুলিশ করার ছক রাজ্যের! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সিভিককে উর্দি পরিয়ে পুলিশ করার ছক রাজ্যের! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুটের পরিকল্পনা করছে তৃণমূল সরকার। এমনই গুরুতর অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগাতে স্বরাষ্ট্র দফতরের পরিকল্পনা ফাঁস করলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল যেসব জায়গায় জমি হারিয়েছে সেই সব স্পর্শকাতর জেলায় প্রশাসন দ্বিমুখী কৌশল নিচ্ছে। ভোটের সময় বিরোধীদের উপর চাপ তৈরিতেই এই পদক্ষেপ। 

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    ট্যুইটারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘সূত্র মারফৎ জানতে পেরেছি, রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর সিভিক ভলিন্টিয়ারদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজে লাগাতে চাইছে। আসলে যেখানে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস হারবে বুঝতে পারছে, সেখানে ওই সিভিক ভলিন্টিয়ারদের ব্যবহার করা হবে। যাতে সহজে ওরা ভোট লুঠ করতে পারে। আমার কাছে খবর রয়েছে, যে সব জেলা উত্তেজনা প্রবণ, যেমন জলপাইগুড়ি, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বীরভূমে সিভিক ভলিন্টিয়ারদের শিখণ্ডি করে ভোট লুঠের চেষ্টা করবে শাসক দল। তবে আমরা সেটা হতে দেব না। সব কিছুর উপর নজর রাখা হচেছ।’

    আরও পড়ুন: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট পঞ্চায়েত মামলার শুনানিতে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘একদিনে নির্বাচন পরিচালনা করতে দরকার বিপুল পুলিশ কর্মী। কিন্তু তা নেই রাজ্যে। তাই সেই অভাব ঢাকতেই ঘুর পথে হাইকোটের্র পর্যবেক্ষণকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতর পুলিশের পোশাক পরিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যবহার করতে চাইছে। কিন্তু আমরা এত সহজে সেটা হতে দেব না। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ডাটা বেস আমাদের কাছে রয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছি। যদি কোনও অন্যায় কাজ করা হয়, তাহলে ইটের বদলে পাটকেল পাবে রাজ্য সরকার। আমরা সব তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রয়োজনে তা হাইকোর্টে জমা দেওয়া হবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ফের জ্বলতে পারে অশান্তির আগুন, মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনী বহাল রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    Manipur: ফের জ্বলতে পারে অশান্তির আগুন, মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনী বহাল রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আঁচ নিভু নিভু। তবে আগুন এখনও নেভেনি। যে কোনও মুহূর্তেই তুষের আগুন জ্বলতে পারে দাউ দাউ করে। তাই আপাতত মণিপুরে (Manipur) সশস্ত্র বাহিনী বহাল রাখার সিদ্ধান্তই নিল কেন্দ্রীয় সরকার। ৩ মে কুকি-মেইতেই সংর্ঘষের জেরে আক্ষরিক অর্থেই আগুন জ্বলেছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। তার পর থেকে অশান্তির আগুন জ্বলছে কখনও ধিকি ধিকি করে, কখনও আবার দাউ দাউ করে। হিংসার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি মোতায়েন করা হয়েছিল সশস্ত্র বাহিনী। ঠিক ছিল, বাহিনী মোতায়েন থাকবে ১০ জুন পর্যন্ত। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গোটা জুন মাসই বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী

    প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মণিপুরে মোট ১১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে। এর মধ্যে ৫২ কোম্পানি সিআরপিএফ এবং ৪৩ কোম্পানি বিএসএফ। চলতি সপ্তাহেই আরও ৩০ কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, বাহিনী পরিচালনা করার জন্য ডেপুটি কমান্ডান্ট পদমর্যাদার ২০ জন আধিকারিককে মণিপুরে রাখা হয়েছে।

    চলছে হিংসা

    হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই (Manipur) জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ শুরু হয় ৩ মে থেকে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেয় কেন্দ্র। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনী। সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির ভার দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহকে। তাঁর অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংহকে সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপারেশনাল কমান্ডার-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু মাসাধিককাল কেটে গেলেও হিংসা থামেনি।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীতে না, অথচ পঞ্চায়েতে ভিন্ রাজ্যের পুলিশে আগ্রহ নবান্নর

    ঘটনার সূত্রপাত মণিপুর (Manipur) হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়ায়। এরই বিরোধিতায় নামে রাজ্যের বিভিন্ন জনজাতি সংগঠন। পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ। সূত্রের খবর, রাজ্যে এ পর্যন্ত হিংসার বলি হয়েছেন ১০০ জন। গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫০০ জনেরও বেশি। হিংসার জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই কারণেই পরিস্থিতি যাতে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে না ওঠে, তাই পুরো জুন মাস সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majundar: ‘‘সন্ধেবেলায় বললে সিরিয়াসলি নেবেন না’’! মদনকে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর, কিন্তু কেন?

    Sukanta Majundar: ‘‘সন্ধেবেলায় বললে সিরিয়াসলি নেবেন না’’! মদনকে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর, কিন্তু কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আগের দিন দায়িত্ব পেয়েই পরের দিন পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা, আর ঠিক তার পরের দিন থেকেই নমিনেশন। অন্যদিকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা পাচ্ছেন না ফর্ম। বিডিও বলছেন, আমরা এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হতে পারেনি। তাই যদি হয়, তাহলে কেন এতো তাড়াতাড়ি ভোট ঘোষণা? প্রশ্ন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।

    কোথায় বলেন বিজেপি (BJP) নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    হুগলির পুরশুড়ার চিলাডিঙ্গি এলাকায় একটি জনসভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি যোগ দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং তৃণমূল নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেন। সেই সঙ্গে কিছু প্রশ্নও তোলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি নাম না করে বলেন – শুধু মাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) বাঁচানোর জন্য বিশেষ কৌশল! নাকি বিজেপির সভা বন্ধ করার জন্য এতো তাড়াতাড়ি করে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা? সভা থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দলদাস বলে কটাক্ষ করেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    এইদিন হুগলির খানাকুলেও আরও একটি জনসভা করেন বিজেপির (BJP) এই নেতা। খানাকুলে বিজেপির এই জনসভায় সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি সরাসরি কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন, যা রাজনৈতিক মহলে বেশ সরগরম করে দিয়েছে। প্রশ্ন-উত্তর গুলি হল,

    প্রশ্ন – মনোনয়নের পয়লা দিনেই বিরোধীশূন্য করার হুশিয়ারি মদন মিত্রের (Madan Mitra)।

    উত্তর – মদন দার বয়স হয়ে গেছে এখন, সন্ধ্যেবেলা বলেছেন না সকালে বলেছেন, সেটা আগে জানতে হবে, তার উপর নির্ভর করবে; সন্ধ্যাবেলা বললে সিরিয়াসলি নেবেন না।

    প্রশ্ন – মাঠে বিরোধী কোনও খেলোয়াড় নেই, তাই তিনি খেলতে পারবেন না, সেই কারণে মনমরা হয়ে যাচ্ছে, বলছেন মদন মিত্র।

    উত্তর – বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলাতে ডিসিয়ার তোলার জন্য সব থেকে ভীড় বিজেপি কর্মীদেরই ছিল।

    প্রশ্ন – টুকটাক অশান্তি না হলে হয়, আগে সিপিএমের আমলে বোমা ছিলো আর এখন আমাদের আমলেও আছে।

    উত্তর – আমরা তো সেটাই বলছি সিপিএম আর তৃণমূলের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।

    প্রশ্ন – ১০০ শতাংশ ভোট না মেরে দিলে হয়? ইঙ্গিতে ছাপ্পা ভোটের কথাই বলা হচ্ছে।

    উত্তর – ওনার দল কী করতে পারে, উনি সেটা ভালো জানেন, যখন তাঁকে সামান্য মুখ খুলার পর বলতে হয়, যা করার আমার সাথেই করুক আমার পরিবারের প্রতি প্রতিহিংসা মূলক কাজ করবেন না। এর থেকেই প্রমাণ তৃণমূল প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে কী কী করতে পারে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share