Tag: bangla news

bangla news

  • SSC Scam : একাদশ-দ্বাদশ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    SSC Scam : একাদশ-দ্বাদশ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে (SSC Scam) ওএমআর সংক্রান্ত কারচুপি-তে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ২৮ জুনের মধ্যে পেশ করতে হবে রিপোর্ট, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

    ওএমআর নিয়ে বিশদ তথ্য

    বৃহস্পতিবার সিবিআই-কে ৯০৭ ওএমআর (SSC Scam) কারচুপি তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এর আগে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগেও ওমএমআর শিটে-দুর্নীতির বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হাতে আসা তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারীদের দাবি, নবম ও দশমের ৯৫২টি, একাদশ ও দ্বাদশের ৯০৭টি ওমএরআর শিটে গরমিল রয়েছে। স্কুল সার্ভিস দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এর আগে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নীলাদ্রি দাস নামে এক ব্যক্তিকে। নিলাদ্রি যে সংস্থার আধিকারিক সেই সংস্থা নাইসার হাতেই ছিল এসএসসি পরীক্ষার ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব। গাজিয়াবাদ ও দিল্লির অক্ষরধামে সেই সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ওএমআর বিকৃতির ব্যাপারে একাধিক তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের হাতে।

    আরও পড়ুন: বন সহায়ক পদে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন

    এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত (SSC Scam) একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেছিলেন, “দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কাউকে ছাড়া হবে না।” প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ওএমআর-এর ক্ষেত্রেও কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। এবার এই সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, “৯০৭ ওএমআর কারচুপি’র ধরণ কী? এই ওএমআর প্রকাশিত করা যায়নি কেন?” তাঁর আরও সংযোজন, “এই ওএমআর প্রকাশিত করা গেলে কবে যাবে, তা বিস্তারিত জানাতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।” একইসঙ্গে ২৮ জুনের মধ্যে সিবিআইকে ৯০৭ ওএমআর কারচুপির তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Malda: তৃণমূল নেতার রহস্যজনক মৃত্যু, চার তৃণমূল নেতার নামে পুলিশে অভিযোগ

    Malda: তৃণমূল নেতার রহস্যজনক মৃত্যু, চার তৃণমূল নেতার নামে পুলিশে অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হবিবপুর (Malda) ব্লকের তৃণমূলের অঞ্চল চেয়ারম্যানের রহস্যজনক মৃত্যুতে চার তৃণমূল নেতার নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানায় পরিবার। মৃতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে মৃতদেহ নিয়ে এলাকায় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটে। মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা মালদার  ঋষিপুর কালীতলা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    মালদায় (Malda) কী হয়েছিল?

    ১১ দিনের লড়াই শেষ। কলকাতার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হল মালদার হবিবপুর ব্লকের ঋষিপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শিবানন্দ শর্মার। আজ বৃহস্পতিবার নিথর মৃতদেহ গ্রামে ফিরতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রথমিক ভাবে বলা হয়, পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন শিবানন্দ। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পনা করে তাঁকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই ঘটনার পর আহত ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তারপরে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং এরপর কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।

    পরিবারের বিক্ষোভ

    জানা যায়, বুধবার ময়না তদন্তের পর বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতার দেহ গ্রামে (Malda) ফিরতেই পরিবারের লোকজন এবং গ্রামবাসী বাড়িতে মৃতদেহ রেখে এলাকায় বিক্ষোভ করতে থাকে। এরপর বিক্ষোভের ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হবিবপুর থানার পুলিশ। খবর পেয়ে পৌছায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রহিম বক্সি। জেলা সভাপতিকে পেয়ে, তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এলাবাসী। জেলা সভাপতি সেই পরিবারের পাশে  থাকার বার্তা দেন এবং সঠিক ভাবে তদন্ত করা হবে বলে আশ্বাস দিলে, তবেই মৃতদেহ বাড়ি থেকে বের করা হয় বলে জানা যায়।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের মধ্যে শিবানন্দের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে বাড়ি (Malda) থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের লোকেরাই খুন করেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই। আরও বলেন, প্রশাসনকে সঠিক ভাবে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। স্বামীর অবর্তমানে আমার এই ছোট ছোট ছেলে মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাবো কী কিরে? এই প্রশ্নও রাখেন প্রশাসনের সামনে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ট্যাবলোয় ইন্দিরা হত্যার দৃশ্য, “কানাডার জন্যও ভাল নয়”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ট্যাবলোয় ইন্দিরা হত্যার দৃশ্য, “কানাডার জন্যও ভাল নয়”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) ও কানাডার (Canada) সম্পর্কের জন্য এই দৃশ্য মোটেই ভাল নয়। কানাডার ঘটনায় এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। কানাডায় খালিস্থানপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়েও মুখ খোলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। ৬ জুন ছিল অপারেশন ব্লু-স্টারের ৩৯তম বার্ষীকি। এই উপলক্ষে কানাডার ব্র্যাম্পটন শহরে শোভাযাত্রা বের করেছিলেন খালিস্থানপন্থীরা। শোভাযাত্রায় একটি ট্যাবলোর মাধ্যমে দেখানো হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা দৃশ্য। সেই শোভাযাত্রার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সে সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কানাডায় খালিস্থানপন্থীদের বাড়বাড়ন্তের বিষয়ে মুখ খোলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)।

    জয়শঙ্করের প্রতিক্রিয়া

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ভারতীয় সেনার পোশাকে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে দুই শিখ জওয়ান। সাদা শাড়ি পরিহিত এক মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে। সেই ট্যাবলোর পিছনে খালিস্থানি পতাকা হাতে হেঁটে চলেছেন বেশ কয়েকজন। এ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, আমি মনে করি এই বিষয়টির সঙ্গে আরও বড় সমস্যা জড়িত…সত্যি কথা বলতে কী, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি ছাড়া অন্য কোনও কারণে কেউ এমন করতে পারে বলে আমি মনে করি না। আমার মতে, সে দেশে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাড়বাড়ন্ত বৃহত্তর অন্তর্নিহিত সমস্যা। চরমপন্থীরা সহিংসতার পক্ষে। আমি মনে করি, এটি আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ভাল নয়। কানাডার জন্যও এটা ভাল নয়।

    অপারেশন ব্লু-স্টার

    প্রসঙ্গত, খালিস্থানপন্থী জঙ্গি ভিন্দ্রেওয়ালাকে খতম করতে ১৯৮৪ সালে পঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। তার জেরে ওই বছরেরই ৩১ অক্টোবর শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সম্প্রতি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে খালিস্থানপন্থীদের আন্দোলন। গ্রেফতার করা হয়েছে আন্দোলনের নেতা অমৃতপালকে। 

    সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে নানা সময় কানাডায় আন্দোলন করেছেন খালিস্থানপন্থীরা। সম্প্রতি যে শোভাযাত্রা হয়েছিল, সেখানেও ছিলেন তাঁরাই। সেই ঘটনার জেরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের (S Jaishankar)।

    আরও পড়ুুন: “শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম”, তৃণমূলের সৌগতর মন্তব্যে স্তম্ভিত রাজ্য

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Bana Sahayak Recruitment: বন সহায়ক পদে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Bana Sahayak Recruitment: বন সহায়ক পদে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন সহায়ক পদে (Bana Sahayak Recruitment) নতুন করে নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এজলাসে শুনানির পর একক বেঞ্চের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। ৬ জুলাই পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। এর ফলে বন সহায়ক পদে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনই শুরু করতে পারবে না রাজ্য। পাশাপাশি, দু’হাজার অস্থায়ী কর্মীর প্যানেল বাতিলের যে নির্দেশ সিঙ্গল বেঞ্চ দিয়েছিল, আপাতত তার উপরেও স্থগিতাদেশ থাকবে বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত।

    বন সহায়ক পদে এখনই নিয়োগ নয়

    উল্লেখ্য, রাজ্যে বন বিভাগে কর্মী নিয়োগেও (Bana Sahayak Recruitment) দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে নিয়োগ প্রক্রিয়ার গলদ ধরা পড়ে। তিনি নির্দেশ দেন, দু’মাসের মধ্যে পুরনো প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল তৈরি করতে হবে। সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। বনসহায়ক পদে আবেদনের শেষ দিন ছিল ২৯ মে। গত ১৯ তারিখ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ভিএম ভেলুমণি এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বন সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের তরফে প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে। 

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    দু’হাজার জনের পুরনো প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল গঠন এবং তার মাধ্যমে পুরনো নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার শুরু করার যে নির্দেশ বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে বিচারপতি বিবেক চৌধুরী এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়। প্যানেলে থাকা ৫০ জন এই মামলা করেন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টেবর মাসে বনসহায়ক পদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ হয়। দু’হাজার শূন্যপদ ছিল, চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ হয়। মাসিক ভাতা ১০ হাজার টাকা। সহায়করা মূলত ফরেস্ট গার্ডদের মতোই বনসুরক্ষার কাজ করবেন। এমনটাই ঠিক করেছিলেন রাজ্যের বনকর্তারা। বিরোধীরা প্রথম থেকেই অভিযোগ তোলেন, কিছু লোককে চাকরি পাইয়ে দিতেই এই পদ তৈরি করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Kaliaganj: “সিবিআই তদন্ত দিলে ভালো হবে?’’ কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Kaliaganj: “সিবিআই তদন্ত দিলে ভালো হবে?’’ কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে (Kaliaganj) রাজ্যের ভূমিকায় খুশি নন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিন হাইকোর্টে বিচারপতির চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা খুনের ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে সিট। ঘটনাক্রমে, এই সিট গঠন করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নিজেই। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সেখানকার পরিস্থিতি। প্রতিবেশীরা অভিযোগ তোলেন, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সেই মামলাতেই পুলিশকর্তা পঙ্কজ দত্ত, উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং পুলিশ আধিকারিক দময়ন্তী সেনকে সদস্য হিসেবে রেখে সিট গঠন করেছিলেন রাজাশেখর মান্থা।

    তীব্র ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য! তদন্তে (Kaliaganj) অসহযোগিতার অভিযোগ

    বিচারপতি মান্থা এদিন বলেন, ‘‘সিটকে পুলিশ সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ উঠছে। তাহলে বলতেই হচ্ছে, রাজ্য নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে। সিট যাতে কাজ করতে না পারে, সেই চেষ্টা করছে রাজ্য। এবার কি সিবিআইকে তদন্তভার দিলে ভালো হবে?’’ তাঁর আরও সংযোজন, পুলিশ সিটকে সাহায্য করছে না (Kaliaganj)। আর পুলিশ কিছুই জানে না, এটা কি হতে পারে?’’ এরপরেই তিনি নির্দেশ দেন, রাজ্য পুলিশ কেন হাইকোর্টের নির্দেশ মানেনি, তা এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে স্বরাষ্ট্র দফতরকে।

    সিটের সদস্যই সিবিআই-এর পক্ষে সওয়াল করছেন

    বিশেষ তদন্তকারী দলের অন্যতম সদস্য হলেন উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তিনিও রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন ইতিমধ্যেই। সিটের পক্ষ থেকে প্রাথমিক রিপোর্টও (Kaliaganj) আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। উপেন বিশ্বাস প্রাক্তন সিবিআই কর্তা। তিনি বলেন, ‘‘সব তথ্যের স্ক্রুটিনি করা হয়েছে। আমাদের কেউ সাহায্য করেনি। যদি ওই পরিবার ও রাজ্যবাসীর বিশ্বাস ফেরাতে হয়, তাহলে রাজ্য পুলিশের উপর নির্ভর করলে হবে না। সিবিআই-কে ছাড়া এই তদন্ত সম্ভব নয়।’’

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Saugata Roy: “শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম”, তৃণমূলের সৌগতর মন্তব্যে স্তম্ভিত রাজ্য

    Saugata Roy: “শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম”, তৃণমূলের সৌগতর মন্তব্যে স্তম্ভিত রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রবীণ রাজনীতিবিদ। প্রাক্তন অধ্যাপক। বর্তমানে তৃণমূলের (TMC) সাংসদ। তবে সম্প্রতি দলীয় নেতৃত্বকে খুশি করতে গিয়ে কুকথার ছররা ছড়াচ্ছেন তৃণমূলের সৌগত রায় (Saugata Roy)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) চটি পেটা করতেন বলে প্রকাশ্য সভায় জানিয়ে দিলেন তিনি। একজন শিক্ষকের মুখের এহেন ভাষায় স্তম্ভিত রাজ্যের শিক্ষককুল।

    সৌগতর (Saugata Roy) কুবাক্য

    বুধবার বরাহনগরে সভা হচ্ছিল তৃণমূলের। সভার পোশাকি নাম নবজোয়ার যাত্রার প্রস্তুতি সভা। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মতো নেতারা। এমন সময় ভাষণ দিতে উঠলেন সৌগত। তিনি প্রথমেই নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, “শুভেন্দু বলছেন, করমণ্ডল দুর্ঘটনার পিছনে তৃণমূল! ওঁর কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে? কোথায় বালেশ্বর, অন্য রাজ্যে গিয়ে তৃণমূল অন্তর্ঘাত করবে?” এর পরেই সৌগত (Saugata Roy) বলেন, “বয়স কম হলে শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম।” প্রবীণ রাজনীতিবিদের মুখে এহেন কুবাক্য শোনার পরেও মঞ্চে উপস্থিত তৃণমূল নেতারা ছিলেন নির্বিকার।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। পদ্ম-নেতা রাহুল সিনহা বলেন, একজন অধ্যাপকের মুখের ভাষা শুনলে লজ্জা লাগে। আসলে তৃণমূলের পচা পুকুরে নামলে এসব কুকথা বলাই অভ্যাসে পরিণত হয়। শুক্রবার বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয়েছে ২৮০ জনেরও বেশি যাত্রীর। জখম হয়েছেন হাজারেরও বেশি। যাঁরা মারা গিয়েছেন কিংবা জখম হয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই বাংলার। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। দুর্ঘটনার কারণ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেছিলেন, “বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূল। তাই সিবিআই তদন্তে ভয় পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল।” এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দুর প্রতি কুবাক্য-বাণ নিক্ষেপ করেন সৌগত।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    এক প্রবীণ রাজনীতিবিদের (Saugata Roy) মুখের ভাষা যে এমন হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারছেন না রাজনীতির কারবারিরা। প্রত্যাশিতভাবেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছে তৃণমূল। দলের সহ সভাপতি দলবদলু জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “সৌগতবাবু হয়তো উত্তেজনার বশে বলে ফেলেছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রে তৃণমূল এ ধরনের মন্তব্যকে সমর্থন করে না। হিংসার পথে চলে না তৃণমূল।”

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে বোমা বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে সৌগত (Saugata Roy) বলেছিলেন, “এই গরমে পটাশিয়াম ক্লোরেট ও আর্সেনিক ট্রাইসালফাইড বাইরে রাখলে তা বিস্ফোরণ হতেই পারে। রাজ্যে ৩৮ হাজার গ্রাম রয়েছে। কোথায় বোমা রয়েছে, সেটা পুলিশের পক্ষ জানা সম্ভব নয়।” প্রাক্তন অধ্যাপকের এহেন মন্তব্যেও অস্বস্তিতে পড়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের বিধানসভা কেন্দ্রেই মিছিল করার অনুমতি মিলছে না। পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামে মিছিল ও জনসভার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার আদালতের মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবারই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    শুভেন্দুর মিছিলের প্রস্তুতি

    আগামী ১৬ জুন নন্দীগ্রাম বিধায়ক কার্যালয় থেকে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত বিরোধী দলনেতা মিছিল এবং পরে সভা করতে চান। অভিযোগ, সেই মিছিল ও সভার জন্য আবেদন জানানো হলেও কোনও উত্তর মেলেনি পুলিশ-প্রশাসনের তরফে। আদালতে বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, ১৬ জুন ওই মিছিলের বিশদ জানিয়েই অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল প্রশাসনের কাছে। কিন্তু প্রশাসনের তরফে সেই আবেদনের কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। বিজেপি নেতা (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন, মিছিলের সাত দিন আগেও জবাব না পাওয়ায় শেষ মুহূর্তে ওই কর্মসূচি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাই আদালত বিষয়টি দেখুক। শুভেন্দুর এই আর্জির শুনানি শুক্রবার হতে পারে বলে আদালত সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন, দেহ টুকরো করে প্রেসার কুকারে ফোটাল প্রেমিক

    আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    উল্লেখ্য, গত ১ জুন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল করে নন্দীগ্রামে যাওয়ার পরই পাল্টা এই মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ১৬ জুন বিকেল ৩টেয় নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা-কর্মীদের মিছিলে সামিল হতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। প্রকাশ্যে অভিষেকের পদযাত্রাকে পাত্তাও দিতে চাইছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। অভিষেকের সভা প্রসঙ্গে শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, বাইরে থেকে, এমনকী কলকাতা থেকেও লোক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অভিষেকের পদযাত্রাকে টেক্কা দিতেই সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। তবে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই ধোঁয়াশা কাটাতেই কলকাতা হাইকোর্টে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Tribal Movement: আদিবাসীদের ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধের প্রভাব কেমন ছিল?

    Tribal Movement: আদিবাসীদের ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধের প্রভাব কেমন ছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী ইউনাইটেড ফোরামের ৩৬ টি সংগঠন একত্রিত হয়ে ১২ ঘণ্টার জন্য বাংলা বন্‌ধ (Tribal Movement) ডাকে বৃহস্পতিবার। সিআরসি-র রিপোর্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে কুড়মিদের তফশিলি উপজাতি (ST) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ। আর তার বিরুদ্ধেই তাদের এই আন্দোলন। কুড়মিদের কোনও ভাবেই তফশিলি উপজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না বলে রাজ্যের আদিবাসী সমাজ মনে করে। পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর সহ নানা জেলায় বন্‌ধ-এর চিত্র এদিন চোখে পড়েছে।

    দুর্গাপুরে বাংলা বন্‌ধ (Tribal Movement)

    আদিবাসীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় দুর্গাপুরের গলফ নগর মোড়ে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের ধর্মঘটে দুর্গাপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর বাজারে বন্‌ধ-এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে বলে জানা গেছে। বন্‌ধ-এর কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রাখেন। রঘুনাথপুর তেমাথা মোড়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ পথ অবরোধ করেন (Tribal Movement) এবং সেই সঙ্গে ধারালো অস্ত্র ও তীর-ধনুক হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ভোগান্তির মুখে সাধারণ মানুষ। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স উপস্থিত হয়।

    পশ্চিম মেদিনীপুরে বাংলা বন্‌ধ (Tribal Movement)

    ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের ডাকে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধ ডাকা হয়েছিল। সেই মতো সকাল থেকেই ঘাটাল মহাকুমার ক্ষীরপাই ও দাসপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবরোধ করা হয়। রাজ্য সড়কের ওপর ব্যারিকেড লাগিয়ে চলে অবরোধ (Tribal Movement)। এর জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় রাজ্য সড়কে। পথে বেরিয়ে চরম সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। শুধু ঘাটাল মহকুমাই নয়, আদিবাসী সমাজের তরফে অবরোধ করা হয় মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন কেরানিচটি, ভাদুতলাতেও। এদিন সকাল থেকেই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর রীতিমতো বাঁশ দিয়ে ঘিরে অবরোধে শামিল হয় আদিবাসীরা। অবরোধের কারণে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড থেকে চলেনি কোনও বাস। ফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছে নিত্যযাত্রীদেরও। রাজ্যের শাসকদল নৈতিকভাবে এই বন্‌ধ-এর বিরোধিতা করলেও, রাস্তায় নেমে সেভাবে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি তাদের। ভোটের রাজনীতির জন্যই কি বিরোধিতা নয়? প্রশ্ন বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস মিশ্রের। যদিও তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির দাবি, প্রতিটি সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দলেরই আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ পুলিশের। সব মিলিয়ে আদিবাসী সংগঠনগুলির ডাকা বাংলা বন্‌ধ-এ ভালো প্রভাব পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর সহ রাঢ় বঙ্গে।

    দক্ষিণ দিনাজপুরে বাংলা বন্‌ধ (Tribal Movement)

    অদিবাসী নয়, এমন ক্ষত্রিয় কুড়মিদের দ্বারা আদিবাসীদের ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে এবং সরকারি মদতে সিআরসি-র রিপোর্টকে পরিবর্তন করে কুড়মিদের এসটি তালিকাভুক্তকরণ করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে সরব হয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন। আর তাই বৃহস্পতিবার সকাল ছটা থেকেই সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে পালিত হয় বন্‌ধ। সকাল থেকেই কোনও বেসরকারি বাস চলাচল করেনি (Tribal Movement)৷ শুনসান বালুরঘাট পাবলিক বাস স্ট্যান্ড চত্বর। বেসরকারি বাস চলাচল না করার ফলে সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা। এদিকে কিছু সরকারি বাস সকাল ছটার আগে চলাচল করলেও তারপরে আর চলাচল করতে দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে আদিবাসীদের বন্‌ধ সফল বলে দাবি করছেন সংগঠনের নেতারা।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BSNL: বিএসএনএলকে ফের ত্রাণ প্যাকেজ দিচ্ছে কেন্দ্র, আসছে ৫জি পরিষেবাও

    BSNL: বিএসএনএলকে ফের ত্রাণ প্যাকেজ দিচ্ছে কেন্দ্র, আসছে ৫জি পরিষেবাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার বিএসএনএলকে (BSNL) ত্রাণ প্যাকেজ দিতে চলেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই ৮৯,০৪৭ কোটি টাকার প্যাকেজ অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর আগে দুবার দেওয়া হয়েছে ত্রাণ প্যাকেজ। তৃতীয়বার দেওয়া হল কোম্পানির ৪জি (4G) ও ৫জি (5G) পরিষেবা উন্নত ও চালু করতে। কেন্দ্রের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএসএনএলের অনুমোদিত মূলধন ১.৫ লাখ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.১ লাখ কোটি টাকা করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ত্রাণ প্যাকেজের ফলে বিএসএনএল একটি শক্তপোক্ত টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার হবে এবং দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় পরিষেবা দেবে।

    বিএসএনএলকে (BSNL) প্রথম ত্রাণ প্যাকেজ

    ঋণে জর্জরিত বিএসএনএলকে (BSNL) চাঙা করতে কেন্দ্র প্রথম ত্রাণ প্যাকেজ দেয় ২০১৯ সালে। সেবার ত্রাণের পরিমাণ ছিল ৬৯ হাজার কোটি টাকা। এর ঠিক তিন বছর পরে ২০২২ সালেও ফের একবার ত্রাণ প্যাকেজ দেয় কেন্দ্র। এবার দেওয়া হয় ১.৬৪ লাখ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, এই দুটি ত্রাণ প্যাকেজ পেয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বিএসএনএল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে অপারেটিং মুনাফা অর্জন করতে শুরু করেছে বিএসএনএল। সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, বিএসএনএলের মোট ঋণ ৩২ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ২২ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা।

    কী জানিয়েছিলেন মন্ত্রী? 

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানান, দেশের অনেক এলাকায় বিএসএনএলের (BSNL) ৪জি কভারেজ রয়েছে। বর্তমানে এটি প্রায় সারা দেশকে কভার করতে চলেছে। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, বিএসএনএল ২০০টি সাইটে ৪জি নেটওয়ার্ক চালু করেছে। আপাতত তিন মাস ধরে এর পরীক্ষা হবে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতিদিন গড়ে ২০০টি সাইটে এই পরিষেবা চালু করা হবে।

    আরও পড়ুুন: হারানো জমি ফিরে পেতে পুরনো সঙ্গী বিজেপির হাত ধরছে দেবগৌড়ার দল?

    ওই সময় মন্ত্রী বলেছিলেন, এই গতি আমরা দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাব। বিএসএনএল নেটওয়ার্ক প্রাথমিকভাবে ৪জি হবে। এটি সেই মতোই কাজ করবে। নভেম্বর-ডিসেম্বরের কাছাকাছি এটি ছোট সফ্টওয়্যার সমন্বয় সহ ৫জি হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, ১ অক্টোবর দেশে ৫জি পরিষেবা চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জিও, এয়ারটেল ইতিমধ্যেই এই পরিষবা দিচ্ছে। এই দুই সংস্থাই বিএসএনএলের (BSNL) থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: প্রশ্নপত্র নিয়ে তৈরি ইডি! সিজিও পৌঁছলেন রুজিরা, উত্তর মিলবে কি?

    Rujira Banerjee: প্রশ্নপত্র নিয়ে তৈরি ইডি! সিজিও পৌঁছলেন রুজিরা, উত্তর মিলবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাজিরার সময় ছিল সকাল ১১টা। তবে, দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে পৌঁছলেন রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। কয়লা পাচার মামলায় আজ অভিষেক-পত্নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ হরিশ মুখার্জি রোডের বাড়ি থেকে বের হয় রুজিরার গাড়ি। তিনি বাড়ি থেকে বেরনোর আগে তাঁর বাড়িতে আসতে দেখা যায় দুই আইনজীবীকে। আইনজীবী সঞ্জয় বসুর সঙ্গে ছিলেন এক সহকারী। এর প্রায় আধ ঘণ্টা পর, রুজিরা পৌঁছন সিজিও-তে। 

    প্রশ্নমালা নিয়ে প্রস্তুত ইডি

    ইডি সূত্রে খবর, রুজিরার (Rujira Banerjee) জন্য আগে থেকেই তৈরি করে রাখা হয়েছে তিন-পাতার প্রশ্নমালা। অভিষেক-জায়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আগেই দিল্লি থেকে কলকাতায় চলে এসেছেন তিন সদস্যের তদন্তকারী দল। দলে রয়েছেন ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর পঙ্কজ কুমার ও দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ২০মিনিট নাগাদ তাঁরা কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন। সেখান থেকে সোজা চলে যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র

    সিজিও-তে নিরাপত্তার কড়াকড়ি

    এদিকে, রুজিরার হাজিরাকে (Rujira Banerjee) ঘিরে এখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে সিজিও কমপ্লেক্স। যে কোনও প্রকার অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে। মোতায়েন করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। ইডির দফতরে প্রবেশ নিয়েও কড়াকড়ি করছে পুলিশ। ইডির দফতরের বাইরে বিধাননগর থানার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ব্যারিকেড দিয়েও ঘিরে রাখা হয়েছে।

    বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ার পরই তলবের চিঠি

    প্রসঙ্গত, গত সোমবার, অর্থাৎ ৫ জুন, দুবাই যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয় রুজিরাকে (Rujira Banerjee)। অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা তাঁকে জানান, ইডি-র মামলায় লুক আউট সার্কুলার জারি থাকায় বিদেশ যেতে পারবেন না রুজিরা। এরপর বিমানবন্দরেই অভিষেক-পত্নীকে হাজিরার নোটিস ধরায় ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share