Tag: bangla news

bangla news

  • Mango: নবাবের দেশে একই গাছে ১৩০ রকমের আম! তাক লাগালেন জিয়াগঞ্জের গবেষক চাষি

    Mango: নবাবের দেশে একই গাছে ১৩০ রকমের আম! তাক লাগালেন জিয়াগঞ্জের গবেষক চাষি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের আমের সুখ্যাতি শুধু দেশ নয়, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও। ঐতিহাসিক এই মুর্শিদাবাদে নবাবদের ইতিহাস থেকে জানা যায়, তাঁরা বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে নানা প্রজাতির গাছ এনে নিজস্ব আমবাগানে লাগাতেন। তাঁদের বাগানে কমপক্ষে ২০০র বেশি প্রজাতির আম (Mango) ছিল। কিন্তু আজ অধিকাংশ আমবাগান কেটে বসতি গড়ে উঠছে। হরেক রকম আমের নাম থাকলেও এখন অধিকাংশই আমাদের কাছে দুর্লভ হয়ে উঠেছে। এখন আমরা আর নতুন প্রজন্মকে সব ধরনের আম দেখাতে পারি না। এরই মধ্যে আশার আলো দেখিয়েছেন জিয়াগঞ্জের আমডাওড়ার একজন আম গবেষক এবং চাষি কুশল ঘোষ।

    কীভাবে সম্ভব হল এই কাজ (Mango)?

    হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন প্রজাতির আম আর দেখতে না পেয়ে তাঁর মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল। তখনই তিনি চিন্তাভাবনা করেছিলেন, বাগানে নানা ধরনের আমের ফলন করবেন। কথা অনুযায়ী শুরু করে দেন কাজ। তিনি গ্রাফটিং-এর সাহায্যে ১৫০ থেকে ২০০ প্রজাতির আমের ফলন করে নবাবি আমলের বিভিন্ন প্রজাতির আমের (Mango) অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। কুশলবাবু তাঁর আমবাগানে শঙ্করায়ন পদ্ধতির সাহায্যে শ্যাম ভোগ, বেল চম্পা, ল্যাম্বো, বিভী প্রভৃতি প্রজাতির আম উৎপন্ন করছেন। তিনি বলেন, উদ্যান পালন আধিকারিকের কাছ থেকে ২০০০ সালে গ্রাফটিং-এর মাধ্যমে হাতে-কলমে আম গাছে বিভিন্ন প্রজাতির আমের ফলনের শিক্ষা তিনি লাভ করেন। তারপর সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আমের কলম বসানোর কাজ শুরু করেন। এসব কাজ শুরু করার ২-৩ বছরের পর থেকেই ভালো আম পাওয়া শুরু হয়। খুব স্বাভাবিক কারণে বিভিন্ন রকমের আম দেখে কুশলবাবুর উৎসাহ আরও বাড়তে থাকে এবং গাছের প্রজাতির সংখ্যাও বেড়ে যায়।

    কী বললেন তাঁর সঙ্গী?

    কুশলবাবুর সব সময়কার সঙ্গী প্রতাপ সিংহ বলেন, এখানকার গাছে (Mango) কোহিতুর, আলফানসো, ফজলি, গোলাপখাস, সারেঙ্গা, বিল্লি, বিরা এরকম ১৬৫ প্রজাতির আম তাঁর এই বাগানে ফলার রেকর্ড রয়েছে। তিনি বলেন, বিগত বছরে ১০০র বেশি প্রজাতির আম হলেও চলতি বছরে সংখ্যা একটু কমেছে। কুশলবাবু জানান, শঙ্করায়নের মাধ্যমে বঙ্গবাসীকে তিনি নানা রকমের আম উপহার দেবেন। ভবিষ্যতেও তিনি যতদিন থাকবেন, মুর্শিদাবাদ থেকে যতই আমগাছ কেটে ফেলে দেওয়া হোক না কেন, তিনি জেলাবাসীকে একটি গাছের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির আমের ফলন সংক্রান্ত শিক্ষা দিয়ে যাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arpita Accuses Partha: ‘‘নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থ, টাকাও ওঁর’’! আদালতে বিস্ফোরক অর্পিতা

    Arpita Accuses Partha: ‘‘নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থ, টাকাও ওঁর’’! আদালতে বিস্ফোরক অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ১০ মাস পর প্রকাশ্যে এলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Teacher Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত অর্পিতা এদিন সশরীরে হাজিরা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র বিশেষ আদালতে। জামিনের আবেদন করেন। আর সেখানেই তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। দাবি করলেন, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়-ই (Arpita Accuses Partha)।

    কী দাবি করেছেন অর্পিতা?

    এদিন অর্পিতার জামিনের শুনানি ছিল আদালতে। আদালতে প্রায় ২ ঘণ্টা সওয়াল করেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার, দিল্লি থেকে এসেছেন অর্পিতার হয়ে সওয়াল করতে। আইনজীবী মারফৎ অর্পিতা জানান, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা পুরোটাই পার্থর (Arpita Accuses Partha)। এদিন অর্পিতা (Arpita Mukherjee) দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতির মাথা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এও স্বীকার করেন, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে যে বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার হয়েছে, সেই টাকাও পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরই। অর্পিতা বলেন, ‘‘আমার বাড়ি থেকে টাকা-গয়না উদ্ধার হয়েছে। আমি পরিস্থিতির শিকার। মাস্টারমাইন্ড হলেন পার্থ।’’ 

    আরও পড়ুন: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    অর্পিতার আরও দাবি, তিনি নিজে পরিস্থিতির শিকার, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এদিন আদালতে অর্পিতা (Arpita Mukherjee) বলেন, “বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট অনন্ত টেক্সফ্যাবের রেজিস্টারর্ড অফিস ছিল। আমার সঙ্গে অনন্ত টেক্সফ্যাবের কোনও সম্পর্ক নেই। আমাকে ব্যবহার করা হয়েছিল অনন্ত টেক্সফ্যাবের শেয়ার ট্রান্সফার করার জন্য। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর মৃত্যুর পর মেয়ে বিদেশে থাকায় এটা করা হয়। ওই সংস্থার সব ক্ষমতা পার্থর হাতেই ছিল। এই সব সংস্থার সব কাজও হত পার্থর বাড়িতে।” অর্পিতার দাবি, তাঁকে দিয়ে জোর করে বিভিন্ন নথিতে সই করিয়ে নিতেন পার্থ (Arpita Accuses Partha)।

    অর্পিতার ‘পরিস্থিতির শিকার’ দাবি মানতে নারাজ ইডি

    যদিও, অর্পিতার নিজেকে ‘পরিস্থিতির শিকার’ বলে দাবি করা মানতে নারাজ ইডি। তাদের পাল্টা দাবি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে এই দুর্নীতির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে অর্পিতারও ভূমিকা রয়েছে। পার্থর ৩১টি এলআইসি পলিসির নমিনি ছিলেন অর্পিতা। প্রত্যেকটিতে তাঁর সই রয়েছে। তাঁকে দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে জোর করে সই করিয়ে নিয়েছেন এই মর্মে কোনও অভিযোগ কখনও দায়ের করেননি তিনি (Arpita Accuses Partha)। 

    এদিন বিচারক দু-পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর অর্পিতার জামিনের রায়দান আপাতত স্থগিত রাখেন। বুধবার, ৩১ মে এবিষয়ে রায় জানাবেন বলে বিচারক জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেককে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে দলের এক নেতা, বিস্ফোরক অপরূপা

    Abhishek Banerjee: অভিষেককে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে দলের এক নেতা, বিস্ফোরক অপরূপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন দলের মধ্যেই এক সিনিয়র তৃণমূল নেতা এবং পুলিশ। পুরুলিয়ার ঘটনার কথা একটি চক্রান্ত মাত্র, এই বলে, নিজের ট্যুইটারে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন আরামবাগ লোকসভার সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৃণমূলের আদি-নব্য দ্বন্দ্বের কথা প্রকাশ্যে এসেছে বলে তীব্র চাঞ্চল্য।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সম্পর্কে কী বলেছেন অপরূপা?

    সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বলেন, “আমি খুব গভীর ভাবে জানি, বিজেপিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) শুধু অধিকারী পরিবারের চরম শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু আমাদের দলের মধ্যে অনেক শত্রুরাও আছে যারা অভিষেককে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপির সাথে মিলিত ভাবে। একটি মেয়েকে দিয়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে তথ্য পাঠানো হচ্ছে দিল্লিতে।” তিনি আরও দাবি করেন, এই কাজটি আমাদের দলের নেতা, এক বিজেপির নেতা এবং পুলিশের মাধ্যমে করা হচ্ছে। পুরুলিয়ার ঘটনা একটি চক্রান্ত, আমি জানি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমার কিছু যায় আসে না, আমাকে দিদি দুবার সাংসদ করেছেন, এর জন্য দিদির কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার টিকিট যদি সিনিয়র নেতা কাটতে চায়, কেটে দেবেন। আমি চাকরি করব দিদির কালীঘাটে, কিন্তু দলের সাথে কখনো গদ্দারি করব না। পরে অবশ্য অপরূপা পোদ্দারের কাছে ট্যুইটারের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা বলার ট্যুইটারে বলেছি, বিষয়টা দলের অভ্যন্তরের বিষয়। যা বলার, দলের মিটিং এ বলব।

    তৃণমূল মুখপাত্রের বক্তব্য

    সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের এই বিস্ফোরক মন্তব্যের (Abhishek Banerjee) বিষয়ে রাজ্য তৃণমূলের মুখাপত্র কুণাল ঘোষকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি একটা ট্যুইট হয়েছে। এরপর এই বিষয়ে আর কিছু বলতে চান নি তিনি। কিন্তু তৃণমূল দলের অন্দরে কী আদি-নব্য দ্বন্দ্ব? এই নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।

    বিজেপির বক্তব্য

    অপরূপা পোদ্দারের ট্যুইটার মন্তব্যের বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক এবং রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, বিষয়টি তৃণমূলের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) আদি-নব্য গোষ্ঠী কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই না। তৃণমূল দল হল চোরেদের দল। কে কত চুরি করতে পারবে সেই নিয়ে লড়াই করছে আদি-নব্য তৃণমূল নেতা নেত্রীরা। আপাতত রাজনৈতিক মহল, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা যে প্রকাশ্যে এসেছে, সে কথাই বলছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • WB Hospital: রেফার রোগ সারবে কবে? সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে চরম ভোগান্তি!

    WB Hospital: রেফার রোগ সারবে কবে? সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে চরম ভোগান্তি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় জখম হোক কিংবা হৃদরোগে আক্রান্ত, সরকারি হাসপাতালে (WB Hospital) গেলেই নতুন রোগের সম্মুখীন হন রোগী ও পরিজনেরা। একাধিকবার অভিযোগ করেও সমাধান হয়নি। ভোগান্তি বরং বাড়ছে। অনেক সময় রোগীর চিকিৎসার সময়ও কমে যাচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের এই রেফার রোগে জর্জরিত রোগী ও পরিবার। রোগীর পরিজনদের একাংশের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি করতে বিস্তর ভোগান্তির শিকার হতে হয়। শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীর সুপারিশ না থাকলে সহজে ভর্তি করা যায় না। রোগ যতই জটিল হোক না কেন, ভোগান্তির শিকার হতেই হবে। বিশেষত, রোগীকে রেফার করে দেওয়া এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    কী বলছেন ভুক্তভোগীরা? 

    সরকারি হাসপাতালে গিয়ে রেফারের জেরে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন, এমন মানুষের তালিকা দীর্ঘ। সম্প্রতি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (WB Hospital) বক্ষঃরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন এক রোগীর পরিবারের লোকজন জানান, তাঁরা বর্ধমান থেকে এসেছেন। তিনটি হাসপাতাল থেকে রেফার করার পর শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে তাঁরা রোগীকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। তাঁরা জানান, দিন পাঁচেক আগে ওই রোগীকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে ভর্তির পরামর্শ দেন। কিন্তু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ রেফার করে দেয়। তারা জানায়, রোগীর চিকিৎসা করার মতো পরিকাঠামো নেই। তারপর তাঁকে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও রোগী ভর্তি করতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। তারপরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। 
    চার হাসপাতাল ঘুরে কিডনির সমস্যায় ভুক্তভোগী রোগী অবশেষে চিকিৎসা পরিষেবা পেলেন। এমনই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন পূর্ব মেদিনীপুরের এক বাসিন্দা। কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে (WB Hospital) ভর্তি ওই রোগীর পরিবারের লোকজন জানান, কিডনির সমস্যায় ভুক্তভোগী ওই প্রৌঢ় প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ওই হাসপাতালে তাঁদের জানানো হয়, কিডনির চিকিৎসা করানোর পরিকাঠামো ওই হাসপাতালে নেই। তাই তাঁদের রেফার করে দেওয়া হয়। তাঁরা এনআরএস হাসপাতালে যান। সেখানেও তাঁদের রেফার করে দেওয়া হয়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজও রোগী পরিষেবা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। অবশেষে রোগীকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? 

    রাজ্যে গত দু’বছরে মেডিক্যাল কলেজ (WB Hospital) বেড়েছে খান দশেক। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ২৫টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। তাছাড়াও রয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল। কিন্তু এতকিছুর পরেও রোগীদের ভোগান্তি কমছে না। বরং রেফারের জেরে চিকিৎসার ন্যূনতম সুযোগ না পেয়ে রোগীমৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। যেমন, সম্প্রতি, বর্ধমানের এক দিনমজুর রেফার সমস্যায় জর্জরিত হয়ে চিকিৎসার সুযোগও পাননি। বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসা করিয়ে আর্থিকভাবে ভেঙে পড়ে পরিবার। আবার চিকিৎসা দেরিতে শুরু করায় রোগীকেও বাঁচানো যায়নি। রাজ্যের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে, পরিকাঠামোগত উন্নতি না করে, শুধুই বিজ্ঞাপন নির্ভর স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে হলে এমনি ভোগান্তি চলবে। 
    চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে, নুতন তৈরি হওয়া মেডিক্যাল কলেজে কোনও পরিকাঠামো নেই। জেলা হাসপাতাল (WB Hospital) রাতারাতি মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরে সেই হাসপাতালের পরিকাঠামোগত পরিবর্তনে নজর দেওয়া হয় না। ফলে, রোগী পরিষেবা তলানিতে। তাছাড়া, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলিতে ঠিকমতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ করা হয় না। যন্ত্রপাতি নেই। পরীক্ষা করার পরিকাঠামোও নেই। ফলে রোগী রেফার করা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। কারণ, সেখানে ভর্তি করলেও রোগীকে চিকিৎসা করা যাবে না। সেই সুযোগ নেই। 

    সরকারি হাসপাতালের (WB Hospital) রেফার রোগ নিয়ে কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা অবশ্য ভিন্ন যুক্তি দিচ্ছেন। সরকারি হাসপাতাল (WB Hospital) অপ্রয়োজনীয়ভাবে রেফার করে, একথা তাঁরা মানতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, রোগীর তুলনায় পরিকাঠামো কম, এটা বাস্তবিক সমস্যা। তবে, রোগীকে হয়রানি করতে রেফার করা হয় না। বেড না থাকলে কী করা যাবে। তবে, জরুরি অবস্থায় রোগী গেলে তাঁকে পরিষেবা দিতেই হবে। জরুরি রোগীকে রেফার করার অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। তবে, পরিকাঠামোগত ত্রুটির জন্য চিকিৎসা পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে আর রেফার রোগ জাঁকিয়ে বসছে, এমন অভিযোগ মানতে নারাজ স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁরা বলছেন, জেলা হাসপাতালেও পরিষেবা ভালো। দু-একটি অভিযোগ আসলে ব্যতিক্রমী ঘটনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Akhand Bharat: ইতিহাসে প্রথম! নয়া সংসদ ভবনের দেওয়ালে অখণ্ড ভারতের ভাস্কর্য

    Akhand Bharat: ইতিহাসে প্রথম! নয়া সংসদ ভবনের দেওয়ালে অখণ্ড ভারতের ভাস্কর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া সংসদ ভবনের দেওয়ালে স্থাপন করা হল অখণ্ড ভারতের (Akhand Bharat) ম্যুরাল। এ বিষয়ে সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, ‘‘আমাদের সংকল্প খুব পরিষ্কার এবং তা হল অখণ্ড ভারত।’’ 

    কী রয়েছে অখণ্ড ভারতের (Akhand Bharat) ম্যুরালে?

    প্রাচীন ভারতের নানা জনপদ চিহ্নিত করা রয়েছে ওই ম্যুরালে। তক্ষশীলাও রয়েছে, যা বর্তমানে পাকিস্তানের অংশ। রয়েছে গান্ধারও, যা বর্তমানে আফগানিস্তানের অংশ। বর্তমান নাম কান্দাহার। বিশেষজ্ঞদের মতে, অখণ্ড ভারতের ভাবনার প্রতিফলন ভারতীয় সংসদে এই প্রথম দেখা গেল। ইতিহাস বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতীয় সংস্কৃতি বা স্বাধীনতা সংগ্রাম-কোনও কিছুই অখণ্ড ভারতকে বাদ দিয়ে হয় না। লাহোরে ভগৎ সিং-এর মামলা হোক, চট্টগ্রামে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, অথবা তক্ষশীলায় চাণক্যের পাঠদান-সমস্ত কিছুই ভারতের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। একই সঙ্গে বিদেশি শাসকের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘটনাগুলিকেও স্মরণ করায়।

    আরও পড়ুন: ‘‘সংসদের আস্থার প্রতীক প্রধানমন্ত্রী’’, শুভেচ্ছা বার্তায় বললেন রাষ্ট্রপতি 

    ট্যুইট কর্নাটক বিজেপিরও

    এনিয়ে ট্যুইট করেছে কর্ণাটক বিজেপিও। তারা লিখছে, ‘‘এটা আমাদের গর্ব, আমাদের প্রাচীন সভ্যতার প্রতীক।’’

    অখণ্ড ভারত (Akhand Bharat) ভৌগোলিক ধারণা

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অখণ্ড ভারতের (Akhand Bharat) ধারণা একটা ভৌগোলিক ধারণা, যেখানে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার এবং তাইল্যান্ড আসে। প্রসঙ্গত, রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেন এবং তিনি বলেন, ‘‘এই সংসদ ভবন হল ১৪০ কোটি দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তার সঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত।’’

    আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের অন্দরসজ্জা কেমন? ভিডিও শেয়ার করে ঝলক দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • WTC Final: দলে যশস্বী, সূর্যকুমার! বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের চূড়ান্ত দল ঘোষণা

    WTC Final: দলে যশস্বী, সূর্যকুমার! বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের চূড়ান্ত দল ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএলের রেশ শেষ হতে না হতেই ক্রিকেটপ্রেমীরা মেতে উঠবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে (WTC Final)। আগামী ৭ জুন থেকে লন্ডনের ওভালে শুরু হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia) দ্বৈরথ। দুই দলই রবির সন্ধ্যায় চূড়ান্ত দল ঘোষণা করে দিল। ১৭ সদস্যের স্কোয়াড। মূল দলে ১৫ জন ও স্ট্যান্ড বাইতে দুই ক্রিকেটার। দুই দলেই রয়েছে চমক।

    দলে যশস্বী, সূর্যকুমার 

    আইপিএলে দুরন্ত পারফরম্যান্সের ফলে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে গেলেন যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal) থাকছেন স্ট্যান্ড বাই ক্রিকেটার হিসেবে। ব্যক্তিগত কারণে টেস্ট দলে যোগ দিতে পারবেন না ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। তাঁর বদলে দলে যোগ দেবেন যশস্বী। তাঁর ইউকে ভিসাও রয়েছে। ফলে যশস্বীর উড়ান ধরতেও সমস্যা নেই। চলতি আইপিএলে যশস্বী ১৪ ম্যাচে ৬২৫ রান করেছেন। হাঁকিয়েছেন একটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি ফিফটি। লন্ডনের উড়ান ধরবেন সূর্যকুমার যাদবও (Suryakumar Yadav)। সূর্যর আইপিএল অভিযানও দুরন্ত সফল। ১৬ ম্যাচে ৬০৫ রান করেছেন বিশ্বের এক নম্বর টি-২০ ব্যাটার। রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি হাফ-সেঞ্চুরি। 

    নেই মিচেল মার্শ

    ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে (WTC Final) অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াডে রাখা হল না মিচেল মার্শকে। চার পেসার হিসেবে অজি স্কোয়াডে আছেন প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জোস হ্যাজেলউড, স্কট বোল্যান্ড। সঙ্গে পেসার অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন ক্যামেরুন গ্রিন। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খোয়াজা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সংস্করণে যে দল জিতবে, তারা পাবে ১.৬ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৩.২৩ কোটি। আর রানার্স দল পাবে ৮ লাখ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৬.৬১ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখতে গিয়ে সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ হিন্দু যুবতীর

    ১৫ সদস্যের দুই দল

    অস্ট্রেলিয়া দল: প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), স্টট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স ক্যারে (উইকেটকিপার), ক্যামেরন গ্রিন, মার্কাস হ্যারিস, জোশ হ্যাজেলউড, ট্রাভিস হেড, জোশ ইংলিস (উইকেটকিপার), উসমান খোয়াজা, মার্নাস লাবুশানে, ন্যাথান লিয়ঁ, টড মারফি, স্টিভ স্মিথ (ভাইস ক্যাপ্টেন), মিচেল স্টার্ক ও ডেভিড ওয়ার্নার।

    স্ট্যান্ড বাই প্লেয়ার্স: মিচেল মার্শ, ম্যাথিউ রেনেশ

    ভারতীয় দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, ঈশান কিশান, চেতেশ্বর পুজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, শ্রীকর ভরত (উইকেটকিপার), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, শার্দূল ঠাকুর, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ, উমেশ যাদব ও জয়দেব উনাদকট।

    স্ট্যান্ড বাই প্লেয়ার্স: যশস্বী জয়সওয়াল, মুকেশ কুমার, সূর্যকুমার যাদব

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা।” রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও লাভলী মৈত্র সহ একাধিক তৃণমূল নেতানেত্রীর নাম করে তিনি বলেন, “সব দলই ঝান্ডা তুলবে, মানুষ যাকে গ্রহণ করবে সে ক্ষমতায় থাকবে। আপনারা কত বড় মস্তান? আপনাদের থেকে অনেক বড় মস্তান কেষ্ট এখন তিহার জেলে রয়েছে। আপনারা থাকবেন, অন্য কেউ থাকবে না, তা চলতে পারে না। অন্যায়, দুর্নীতি, চুরির প্রতিবাদ হবে না, এটা হতে পারে না। এ জিনিস চলতে দেওয়া যাবে না, জেনে রাখুন মমতা। বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা।”

    সোনারপুর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়কের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    রাজ্য সরকারের দুর্নীতি ও অপশাসন নিয়ে সোনারপুরে একটি প্রতিবাদ মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। পরে, প্রতিবাদ সভা থেকে তিনি বলেন, “২০০৯ সালে সোনারপুর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫৫৮ টাকা। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৭১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ফিরদৌসী বেগমের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয় ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭৬০ টাকা। ২০২১ সালে সেই সম্পত্তির পরিমাণ এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়ায় ৬ কোটি ৬৬ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। রকেটের থেকেও বেশি গতিতে বেড়েই চলেছে বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ। এর থেকেই প্রমাণিত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দুর্নীতি করে হয়েছে। এই চোরেদের উৎখাত করতে হবে।”

    শাসক দলের সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমের যোগ নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের অন্য দুই দল কংগ্রেস ও সিপিএমের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “শাসক দলের সঙ্গে সেটিং রয়েছে দুই দলের। ২০১১ সালে বিরোধী দলনেতা ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তখনও বিরোধিতার কোনও ছবি ধরা পড়েনি। ২০১৬ সালে বিরোধী দলনেতা হন আব্দুল মান্নান। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরাও কোনও আন্দোলন করেননি। বর্তমানে বিরোধী দল বিজেপি। দুর্নীতি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি বার বার সোচ্চার হয়েছে। তাই আগামী দিনে এই পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করতে বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Guwahati-NJP Vande Bharat: বাংলার তৃতীয়! গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    Guwahati-NJP Vande Bharat: বাংলার তৃতীয়! গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব ভারত পেল প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সোমবার দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Guwahati-NJP Vande Bharat) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এর ফলে, পশ্চিমবঙ্গ পেল তার তৃতীয় বন্দে ভারত। এর আগে প্রথমে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি ও পরে পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেয়েছে বাংলা।

    এদিন দুপুর ১২টা মিনিটে দিল্লি থেকে পতাকা নাড়িয়ে গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নতুন করে ১৮২ কিমি বৈদ্যুতিকীকরণ সেকশনের পাশাপাশি অসমের লামডিঙে নব নির্মিত ডেমু/মেমু শেডেরও উদ্বোধন করেন। এই উপলক্ষে মোদি ট্যুইটারে লেখেন, অসম সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে আজকের দিন গুরুত্বপূর্ণ। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ফলে মানুষের জীবন আরও সহজ হবে। একইসঙ্গে এই রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রও উপকৃত হবে।

     

    কখন ছাড়বে? গন্তব্যে পৌঁছবে কখন?

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ট্রেনটি দুটি স্টেশনের মধ্যে মোট ৪১১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে। ট্রেনের সূচিও ঘোষণা করেছে রেল। ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে যাত্রা করবে। গুয়াহাটি পৌঁছবে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে। এর পরে এই ট্রেনটি গুয়াহাটি থেকে বিকাল ৪টে ৩০ মিনিটে ছাড়বে এবং প্রায় রাত ১০টা ২০ মিনিটে যাত্রীদের নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছবে। অর্থাৎ সাড়ে ৫ ঘণ্টায় ৪১১ কিমি অতিক্রম করবে আপ ও ডাউন এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আগামী বুধবার, ৩১ মে থেকে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করবে গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Guwahati-NJP Vande Bharat)।

    আরও পড়ুন: কোভিড ভ্যাকসিন থেকে বন্দে ভারত! ৯ বছরে মোদি সরকারের সাফল্যের নানা ছবি

    কোন কোন স্টেশনে স্টপেজ?

    জানা গিয়েছে, গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি (Guwahati-NJP Vande Bharat) অসমের কামরূপ মেট্রোপলিটান, কামরূপ রুরাল, নলবাড়ি, বরপেটা, চিরাং, কোকরাঝাড় জেলা ও উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, নিউ কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলা হয়ে অতিক্রম করবে। ৫টি স্টেশনে থামবে ট্রেনটি। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে রওনা দিয়ে ট্রেনটি প্রথম স্টপেজ দেবে নিউ কোচবিহারে। তারপর নিউ আলিপুরদুয়ার, কোকড়াঝাড়, নিউ বঙ্গাইগাঁও এবং কামাখ্যায় থামবে। তারপর সোজা পৌঁছে যাবে গুয়াহাটি। মঙ্গলবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন চলবে বন্দে ভারত ট্রেন।

    কত ভাড়া হতে পারে?

    এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Guwahati-NJP Vande Bharat) মোট ৮ টি কামরা থাকছে। যার মধ্যে ১টি এক্সিকিউটিভ ক্লাস এবং ৫টি চেয়ার কার থাকবে। চেয়ার কারে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটির ভাড়া ৭৮৮ টাকা। এগ্‌জ়িকিউটিভ ক্লাসে ১৬১২ টাকা। তবে, এর সঙ্গে কেটারিং চার্জ ধার্য করা হবে। জানা গিয়েছে, গুয়াহাটি গামী সকালের ট্রেনে চা-জলখাবারের চার্জ ধরা হবে। অন্যদিকে, নিউ জলপাইগুড়িগামী ফিরতি ট্রেনে নৈশভোজের চার্জ ধার্য করা হবে। ফলে, এই টিকিটের দাম বেশি হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Conversion: ধর্মান্তরণের প্রয়াস! শাহজাহানপুরে খুন অন্তঃসত্ত্বা হিন্দু মহিলা, ধৃত ২

    Conversion: ধর্মান্তরণের প্রয়াস! শাহজাহানপুরে খুন অন্তঃসত্ত্বা হিন্দু মহিলা, ধৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) লাভ জিহাদের (Love Jihad) ছায়া! লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা এক অন্তঃসত্ত্বা হিন্দু মহিলাকে জোর করে ধর্মান্তরণ (Conversion) ও  খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবক-সহ তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। ওই যুবক ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একজন পলাতক। তার খোঁজ চলছে। 

    ফের ধর্মান্তরের চেষ্টা

    পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি (lakhimpur kheri) জেলার শাহজাহানপুরে (Shahjahanpur)। অভিযুক্তের নাম নাভেদ। সীমা গৌতম (২৪) নামে ওই মহিলার সঙ্গে গত দেড় বছর ধরে লিভ-ইন (Conversion) করছিল নাভেদ। লখিমপুর খেরির রোজা এলাকায়, মুস্তাকিম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকত নাভেদ ও সীমা। গত শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ সীমাকে নিয়ে ওই জেলার একটি হাসপাতালে যান নাভেদ ও ফারহান। দুজনেই হাসপাতালে ভর্তির সময় কর্তৃপক্ষকে বলেছিল যে মহিলা নাভেদের স্ত্রী জোয়া সিদ্দিকি। ফারহান, নাভেদের বন্ধু। এরপর সীমাকে দেখে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সীমা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পুলিশ আসার আগেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় নাভেদ ও ফারহান।

    আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী

    পরিবারের অভিযোগ

    সীমার ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। নাভেদ ও ফারহানকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সুপার এস আনন্দ জানিয়েছেন, মহিলার ভাইয়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে, নাভেদ, মুস্তাকিম এবং ফারহানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি, তফশিলি জাতি/তফশিলি উপজাতি আইন এবং উত্তরপ্রদেশের বেআইনি ধর্মান্তর আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রথমে ভালবাসার নাটক করে পরে সীমার ধর্ম পরিবর্তন (Conversion) করার চেষ্টা করে নাভেদ। মুস্তাকিমের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ক্রমাগত তাঁকে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য চাপ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে ফের উত্তপ্ত মণিপুর! হিংসায় নিহত ৫

    সীমার ভাইয়ের অভিযোগ, তাঁর বোন নাভেদকে ভালবাসলেও, ধর্ম পরিবর্তন (Conversion) করতে রাজি ছিল না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বচসা বাঁধে। সীমাকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁর ভাই। পুলিশ জানিয়েছে, নাভেদ ও ফারহান এখন জেলে। মুস্তাকিমের খোঁজ চলছে। পুলিশ পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। সেই সঙ্গে ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NITI Aayog Meet: “রাজ্যের কোষাগার শূন্য, ধার করে খয়রাতি নয়”! রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    NITI Aayog Meet: “রাজ্যের কোষাগার শূন্য, ধার করে খয়রাতি নয়”! রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্যের কোষাগারের যাতে দেউলিয়া দশা না হয়, তা নিয়ে নীতি আয়োগের (NITI Aayog Meet) পরিচালন পরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সতর্ক করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীদের তিনি বলেছেন, আর্থিক শৃঙ্খলা জরুরি। এখন ধার করে খয়রাতি করা যেতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যতে তার ঠেলা সামলাতে হবে। তাই যে কোনও ঘোষণা করার আগে, কোনও পরিকল্পনার আগে বা কোনও কাজ করার আগে তা মাথায় রাখতে হবে।

    খয়রাতি নয়

    শনিবারের বৈঠকের পরে নীতি আয়োগের (NITI Aayog Meet) সিইও বি আর সুব্রমণ্যম বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট কোনও প্রকল্পের কথা বলেননি। তবে ইঙ্গিত করেছেন। তিনি সার্বিক ভাবে নিজের মতামত জানিয়েছেন। বিদেশি রাষ্ট্রগুলিতে খয়রাতি করতে গিয়ে কী অবস্থা হয়েছে, তার উদাহরণ দিয়েছেন।’’ 

    ভিক্সিট ভারত@ ২০৪৭

    ১১ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়াই শনিবার নীতি আয়োগের (Niti Aayog) বৈঠক হয়। নীতি আয়োগের অষ্টম গভর্নিং কাউন্সিলের এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) মূলত কেন্দ্র, রাজ্য এবং প্রশাসনিক অঞ্চলগুলিকে টিম ইন্ডিয়া হিসাবে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানালেন। একইসঙ্গে ভিক্সিট ভারত@ ২০৪৭-এর স্বপ্ন পূরণ করার আহ্বান জানালেন তিনি। এদিন দিল্লির প্রগতি ময়দানে নিউ কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় নীতি আয়োগের বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সহ অন্যান্য গভর্নিং কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে মোট ১৯টি রাজ্য ও ৬টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধি যোগদান করেছিলেন।

    বিশেষ দল তৈরির কথা

    নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকে এ বার প্রধান বিষয় ছিল ‘২০৪৭-এ বিকশিত ভারত’ তথা স্বাধীনতার শতবর্ষে উন্নত দেশগুলির তালিকায় ভারতকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী আজ বলেছেন, ‘‘এ কোনও ব্যক্তি বা কিছু লোকের আকাঙ্ক্ষা নয়। গোটা দেশের আকাঙ্ক্ষা। এ জন্য জাতীয় স্তরে পরিকল্পনার থেকেও রাজ্য ও জেলা স্তরে পরিকল্পনা তৈরি জরুরি বলে যুক্তি দিয়েছেন মোদি। প্রতিটি রাজ্যে এই পরিকল্পনা তৈরির জন্য একটি বিশেষ দল তৈরি করতে বলেছেন। জানিয়েছেন, নীতি আয়োগ এ বিষয়ে রাজ্যগুলিকে সাহায্য করবে। তাতে রাজ্যের ভার লাঘব হবে। রাজ্যের পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই জাতীয় স্তরে রূপরেখা তৈরি হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে প্রতিটি রাজ্যে নীতিআয়োগের ধাঁচের প্রতিষ্ঠান তৈরির লক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যগুলির ক্ষতি! নীতি আয়োগের বৈঠকে গরহাজির ৮ অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী

    এদিন প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ উপলক্ষে শ্রী অন্ন যোজনার প্রকল্পের উপর জোর দেওয়ার বার্তা দেন। পাশাপাশি জল সংরক্ষণের জন্য অমৃত সরোবর প্রোগ্রামের উপর জোর দেন তিনি। পাশাপাশি পরিকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজ্যগুলিকে গতিশক্তি পোটালে সক্রিয় হওয়া এবং স্থানীয় এলাকা থেকে সামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দেওয়ার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share